বিষয় নং-৭: সনদে কোনো একজন বর্ণনাকারী মুনকার, অথবা মুদ্ত্বরাব অথবা মাতরুক থাকলে

<p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">বিষয় নং-৭: সনদে কোনো একজন বর্ণনাকারী মুনকার, অথবা মুদ্ত্বরাব অথবা মাতরুক থাকলে সে হাদিসকে জাল বলা হবে না।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">বর্তমান আহলে হাদিসগণ খুবই ফিতনা ছড়াচ্ছে যে হাদিসের সনদে কোন রাবীর ব্যাপারে যদি মুনকার, মাতরুক ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হয় তাহলে তা তাদের দৃষ্টিতে জাল হাদিস হিসেবে গণ্য। অথচ এটি হচ্ছে তাদের মনগড়া নীতিমালা। সকল মুহাদ্দিছগণই বলেছেন সনদের একজন রাবীর প্রতি উপরের বর্ণিত দুর্বলতার ইঙ্গিত দ্বারা সনদটি দ্বায়িফ হবে কিন্তু জাল নয়। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">ক. (সনদ মুনকার হওয়া): এ বিষয়ে ইমাম জালালুদ্দীন ছিয়তী (رضي الله عنه) বলেন-</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">المنكر نوع اخر غير الموضوع وهو قسم الضعيف-التعقبات:৭৩-باب :الاطعمة</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">-“সর্বসম্মত অভিমত হলো মুনকার সনদ জাল হাদিসের প্রকার নয়,  বরং দ্বায়িফ হাদিসের প্রকার।”  ১১২১২  ছিয়তী, তা‘আকিবাত ‘আলাল মাওদ্বুআত, ৩৭ পৃ.;</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">ইমাম ছিয়তী (رضي الله عنه) তার এ কিতাবের অন্যস্থানে বলেন,</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">صرح ابن عدى بأن الحديث منكر فليس بموضوع-التعقبات:৬২</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">-“এটা সুস্পষ্ট কথা ইমাম ইবনু আদী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন মুনকার সনদের হাদিস জাল নয়।”  ১১৩১৩  ছিয়তী,  তা‘কিবাত, ৬২ পৃষ্ঠা</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"> তিনি এ কিতাবের অন্যস্থানে বলেছেন যে,</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">المُنْكَرْ مِنْ قِسْم الضَّعِيْف وَهُوَ محتمل فى الفضائل-التعقبات:باب المناقب</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">-“হাদিসের সনদ মুনকার হওয়া দ্বায়িফ হওয়ার অর্ন্তভুক্ত, তবে ফাযায়েলে আমলের ক্ষেত্রে তা দলিল হওয়ার সম্ভবনা রাখে।” ১১৪১৪  ইমাম ছিয়তী, তা‘কিবাত,  কিতাবুল মানাকিব;</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"> আল্লামা ইবনুল র্আরাক কেনানী (৯৬৩ হি.) এ বিষয়ে লিখেন-</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">وَالْمُنكر من قسم الضَّعِيف وَهُوَ مُحْتَمل فِي الْفَضَائِل.</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">-“হাদিসের সনদ মুনকার হওয়া দ্বায়িফ হওয়ার অর্ন্তভুক্ত, তবে ফাযায়েলে আমলের ক্ষেত্রে তা দলিল হওয়ার সম্ভবনা রাখে।”  ১১৫১৫  তানযিহুশ শরিয়াহ, ২/৫০ পৃ.;</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">খ. (সনদ মুজতারিব হওয়া): অপরদিকে মুজত্বরাব সনদ সম্পর্কে ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন-</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">الُمضْطَرِبْ مِنْ قسم الضَعِيْف لَا المَوْضُوْع :২৭: باب الجنائز</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">-“মুজতারাব দ্বায়িফ সনদেরই প্রকার, এটি জাল নয়।”  ১১৬১৬  ইমাম ছিয়তী,  তা‘কিবাত, ২৭ পৃষ্ঠা;</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">আল্লামা তাহের পাটনী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) একটি হাদিস সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে লিখেন- مُضْطَرب: قلت من قسم الضَّعِيف لَا الْمَوْضُوع</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">-“এ সনদটি মুজত্বারিব, আমি (তাহের পাটনী) বলি, মুজতারাব হলো দ্বায়িফ সনদের প্রকার, তাই বলে এটি জাল নয়।” ১১৭ ১৭  তাযকিরাতুল মাওদ্বুআত, ২১৯ পৃ.;</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">গ. (সনদ মু’দাল হওয়া): ইমাম আবূ আব্দুল্লাহ বদরুদ্দীন হামাভী আশ-শাফেয়ী (ওফাত. ৭৩৩ হি.) -</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">والمعضل من قسم الضَّعِيف -“হাদিসের সনদ ‘মু’দাল’ হওয়া দ্বায়িফ সনদের অর্ন্তভুক্ত (জাল এর নয়)।” (المنهل الروي , ৪৭ পৃ.) </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">ঘ. (সনদ মুনকাতী‘ঈ হওয়া): আল্লামা জাযায়েরী দামেস্কী (رضي الله عنه) লিখেন-</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">والمنقطع من قسم الضَّعِيف -“সনদ মুনকাতী‘ঈ (সনদের মাঝে কোনো একজন বিচ্ছিন্ন) হওয়া দ্বায়িফ হাদিসের অর্ন্তভুক্ত (জাল নয়)।” ১১৮১৮ তাওজিহুন নযর ইলা উসূলিল আছার, ২/৭৩০ পৃ.;</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"> বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার আল্লামা কাস্তাল্লানী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেন- </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">والْمُنْقَطِعَ مِنْ قِسْمِ الضَّعِيفِ -“সনদ মুনকাতী‘ঈ (সনদের মাঝে কোনো একজন বিচ্ছিন্ন) হওয়া দ্বায়িফ হাদিসের অর্ন্তভুক্ত (জাল নয়)।”  ১১৯১৮  কাস্তাল্লানী, ইরশাদুস সারী, ১/২১ পৃ.;</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) উল্লেখ করেন- </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">والْمُنْقَطِعَ مِنْ قِسْمِ الضَّعِيفِ -“সনদ মুনকাতী‘ঈ (সনদের মাঝে কোনো একজন বিচ্ছিন্ন) হওয়া দ্বায়িফ হাদিসের অর্ন্তভুক্ত (জাল নয়)।”  ১২০২০  ইবনে হাজার, ফতহুল বারী, ১/৩৪৭ পৃ.;</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">আহলে হাদিসদের ইমাম শাওকানী লিখেন- </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">أَنَّ الْمُنْقَطِعَ مِنْ قِسْمِ الضَّعِيفِ -“নিশ্চয় সনদ মুনকাতী‘ঈ (সনদের মাঝে কোনো একজন বিচ্ছিন্ন) হওয়া দ্বায়িফ হাদিসের অর্ন্তভুক্ত (জাল নয়)।”  ১২১২১ নায়লুল আউতার, ৬/৩৭৫ পৃ.;</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">ঙ. ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেন-</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">فقد صرح بأن رواية المجهول من قسم الضعيف -“এ বিষয়টি সুস্পষ্ট যে সনদ মাজহুল হওয়া দ্বায়িফ সনদের অর্ন্তভুক্ত (জালের নয়)।”  ১২২২২  ইবনে হাজার, আন-নুক্কাত, ৩৮৭ পৃ.;</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">তাই কোনো মুহাদ্দিসের সনদ বিষয়ে কোনো দুর্বলতা বুঝায় এমন শব্দ দ্বারা কোনো হাদিসকে জাল বলা যাবে না।</span></p>

বিষয় নং-৭: সনদে কোনো একজন বর্ণনাকারী মুনকার, অথবা মুদ্ত্বরাব অথবা মাতরুক থাকলে

বিষয় নং-৭: সনদে কোনো একজন বর্ণনাকারী মুনকার, অথবা মুদ্ত্বরাব অথবা মাতরুক থাকলে সে হাদিসকে জাল বলা হবে না। বর্তমান আহলে হাদিসগণ খুবই ফিতনা ছড়...

Read more »

সামর্থ থাকা স্বত্ত্বেও যে ব্যক্তি হজ্ব করলনা

<div>সামর্থ থাকা স্বত্তেও যে ব্যক্তি হজ্ব করলনা</div><div><br></div><div>حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى القُطَعِيُّ البَصْرِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِلاَلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، مَوْلَى رَبِيعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ البَاهِلِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الهَمْدَانِيُّ، عَنِ الحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ مَلَكَ زَادًا وَرَاحِلَةً تُبَلِّغُهُ إِلَى بَيْتِ اللهِ وَلَمْ يَحُجَّ فَلاَ عَلَيْهِ أَنْ يَمُوتَ يَهُودِيًّا، أَوْ نَصْرَانِيًّا،</div><div><br></div><div>-“হযরত আলী (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন: যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ পৌছার মত পাথেয় ও বাহনের মালিক হল অথচ হজ্জ করলনা, সে ইহুদী অবস্থা বা খ্রিষ্টান অবস্থায় মৃত্যু বরণ করতে কিছুই আসে যায় না।”  ২৬২৬,  তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ৮১২;</div><div><br></div><div>এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম তিরমিজি ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) নিজেই বলেন,</div><div>هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ، لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الوَجْهِ، وَفِي إِسْنَادِهِ مَقَالٌ، وَهِلاَلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ مَجْهُولٌ، وَالحَارِثُ يُضَعَّفُ فِي الحَدِيثِ.</div><div>-“এই হাদিস গরীব, এই সূত্র ছাড়া অন্য কোন সূত্রে ইহা পাইনি। এর সনদ নিয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে। হেলাল ইবনে আব্দুল্লাহ মাজহুল বা অপরিচিত। হারেছ দুর্বল রাবী।”  ২৭২৭,  তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ৮১২;</div><div><br></div><div>এই হাদিসের রাবী هِلاَلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ (হেলাল ইবনে আব্দুল্লাহ) সম্পর্কে ইমাম মিযযী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম যাহাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎), আল্লামা ইবনে কাছির ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও হাফিজ ইবনু হাজার আসকালানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,</div><div>قال الترمذي: مجهول. وقال البخاري: منكر الحديث. وقال أبو أحمد الحاكم: ليس بالقوي عندهم. وقال ابن عدي: هو معروف بهذا الحديث، وليس بالمحفوظ.وقال: لا يتابع عليه.</div><div>-“ইমাম তিরমিজি ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: সে অপরিচিত। ইমাম বুখারী বলেন: সে মুনকার। আবু আহমদ হাকেম বলেন: সে ইমামদের কাছে প্রতিষ্ঠিত নয়। ইবনে আদী বলেন: সে এই সনদের মাধ্যমেই পরিচিত কিন্তু গায়রে মাহফুজ বা অসংরক্ষিত। ইবনে আদী আরো বলেন: তাকে অনুসরণ করা যাবেনা।”  ২৮২৮,  ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৬৬২৫; ইমাম যাহাবী: মিযানুল এ’তেদাল, রাবী নং ৯২৭২; হাফিজ ইবনে কাছির: আত তাকমীল ফি জারহে ওয়া তা’দিল, রাবী নং ৮৮৬; ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ১৩২;</div><div><br></div><div>এই হাদিসের আরেকজন রাবী হল (হারেছ ইবনে আব্দুল্লাহ হামদানী) তার সম্পর্কে ইমামগণের অভিমত লক্ষ্য করুন,</div><div>قَالَ ابْن الْمَدِينِيّ كَذَّاب وَقَالَ الدَّارَقُطْنِيّ ضَعِيف وَقَالَ النَّسَائِيّ لَيْسَ بِالْقَوِيّ وَقد كذبه الشّعبِيّ وَقَالَ ابوبكر بن عَيَّاش عَن مُغيرَة قَالَ لم يكن يصدق عَن عَليّ فِي الحَدِيث وقال أبو زرعة لا يحتج بحديثه قال أَبُو حَاتِمٍ: لا يُحْتَجُّ بِهِ. وقال ابن معين: ضعيف</div><div>-“আলী ইবনে মাদানী বলেন: সে মিথ্যাবাদী। দারে কুতনী বলেন: সে দ্বায়িফ রাবী। ইমাম নাসাঈ বলেন: সে শক্তিশালী নয়। ইমাম শাবী তাকে মিথ্যাবাদী বলেছেন। আবু বকর ইবনে আইয়াশ মুগিরা থেকে বর্ণনা করেন, সে হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে সত্য হাদিস বর্ণনা করতনা। ইমাম আবু যুরাআ বলেন: তার বর্ণিত রেওয়াতের উপর নির্ভর করা যাবেনা। ইমাম আবু হাতেম বলেন: আমি তার উপর নির্ভর করিনা। ইবনে মাঈন বলেন: সে দুর্বল।”  ২৯২৯,  ইমাম যাহাবী: আল মুগনী ফিদ দোয়াফা, রাবী নং ১২৩৬; ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ২৪৮; ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলামী, রাবী নং ২০; ইমাম যাহাবী: মিযানুল এ’তেদাল, রাবী নং ১৬২৭;</div><div><br></div><div>অতএব, হাদিসটি নিতান্তই দুর্বল, রাবীদের উপর মিথ্যার অভিযোগ রয়েছে। ইমাম বুখারীর উস্তাদ আলী ইবনে মাদানী ও বিশিষ্ঠ তাবেঈ হযরত শাবি ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাকে মিথ্যাবাদী বলেছেন। তবে সতর্কতার জন্য হাদিসটি বয়ান করা যেতে পারে।</div>

সামর্থ থাকা স্বত্ত্বেও যে ব্যক্তি হজ্ব করলনা

সামর্থ থাকা স্বত্তেও যে ব্যক্তি হজ্ব করলনা حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى القُطَعِيُّ البَصْرِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَ...

Read more »

যে ব্যক্তি আলিমের যিয়ারত করল সে যেন আল্লাহর নবীর যিয়ারত করল

<div>যে ব্যক্তি আলিমের যিয়ারত করল সে যেন আল্লাহর নবীর যিয়ারত করল..।</div><div><br></div><div>ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৪৩০ হিজরী হাদিসটি আরেকজন সাহাবী থেকে এভাবে বর্ণনা করেছেন,</div><div>حدثنا أبو الحسين محمد بن أحمد بن جعفر، ثنا يعرب بن خيران، ثنا محمد بن الفضل بن العباس البلخي بسمرقند ، ثنا أبو محمد حمد بن نوح، ثنا حفص بن عمر العدني، عن الحكم، عن عكرمة، عن ابن عباس، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم:  من زار العلماء فكأنما زارني، ومن صافح العلماء فكأنما صافحني، ومن جالس العلماء فكأنما جالسني، ومن جالسني في الدنيا أجلس إلى يوم القيامة </div><div>-“হযরত ইবনু আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: যে ব্যক্তি আলেমের যিয়ারত করলসে যেন আমার যিয়ারত করল, যে ব্যক্তি আলেমের সাথে বসল সে যেন আমার সাথে বসল, যে ব্যক্তি দুনিয়ায় আমার সাথে বসল সে যেন সে কেয়ামতের দিন আমার কাছে বসবে।” (ইমাম আবু নুয়াইম: আখবারু ইসবাহান, হাদিস নং ২১০৭;) </div><div>এই হাদিসের সনদে حفص بن عمر بن ميمون العَدنيّ (হাফছ ইবনু উমর ইবনে মায়মুন আদনী) রয়েছে। ছাহেবে জীল তাকে মিথ্যাবাদী হিসেবে উল্লেখ করেছেন কিন্তু বাকী সকল ইমামগণ তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। কেউ কেউ তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন। যেমন এই রাবী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) উল্লেখ করেছেন, وثقه محمد بن حماد الطهراني -“ইমাম মুহাম্মদ ইবনু হাম্মাদ তাহরানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন।”(ইমাম যাহাবী: মিযানুল এতেদাল, রাবী নং ২১৩০;)  </div><div>قال ابن أبي حاتم: أخبرنا أبو عبد الله الطهراني قال: حدثنا حفص بن عمر العدني، وكان ثقة.</div><div>-“ইমাম ইবনু আবী হাতেম ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন, আবু আব্দিল্লাহ তাহরানী আমাদের খবর দিয়েছেন তিনি বলেছেন, হাফছ ইবনু উমর আদনী সে বিশ্বস্ত রাবী।”(ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ১৪০৫; ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ৯৮;) </div><div>وَقَال أَبُو أَحْمَد بْن عدي: وعامة حديثه غير محفوظ، وأخاف أن يكون ضعيفا كما ذكره النَّسَائي </div><div>-“ইমাম আবু আহমদ ইবনু আদী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন, তার সাধারণ হাদিস গুলো অসংরক্ষিত এবং আমি ভয় করছি ইহা দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে, যেমনটি ইমাম নাসাঈ ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) উল্লেখ করেছেন।”(ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ১৪০৫; ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ৯৮;) </div><div>হাফিজুল হাদিস ইমাম শামছুদ্দিন যাহাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) আরো বলেছেন,</div><div>ضعفوه -“ইমামগণ তাকে দুর্বল বলেছেন।” (ইমাম যাহাবী: আল কাশেফ, রাবী নং ১১৫৯;) </div><div>ইমাম আবু হাতিম ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) لَيِّنُ الْحَدِيثِ. -“হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।”(ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ৯৮;)  ইমাম নাসাঈ ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন لَيْسَ بِثِقَةٍ. -“সে বিশ্বস্ত নয়।”(ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ৯৮;)  </div><div>অতএব, সামগ্রীক বিচারে এই রাবীর বর্ণিত রেওয়ায়েত নূন্যতম স্তর হবে হাছান অথবা দ্বায়িফ। এই হাদিসের অর্থের সাথে মিল রয়েছে এমন একাধিক রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে। যেমন ইমাম দায়লামী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) হাদিসটি এভাবে বর্ণনা করেছেন,</div><div>عن مُعَاوِيَة بن حيدة من اسْتقْبل الْعلمَاء فقد استقبلني وَمن زار الْعلمَاء فقد زارني وَمن جَالس الْعلمَاء فقد جالسني وَمن جالسني فَكَأَنَّمَا جَالس رَبِّي عز وَجل</div><div>-“সাহাবী হযরত মুয়াবিয়া ইবনু হায়দাহ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) বলেছেন: যে ব্যক্তি আলেমকে স্বাগতম করল সে যেন আমাকে স্বাগতম করল, যে ব্যক্তি কোন আলেমের যিয়ারত করল সে যেন আমার যিয়ারত করল, যে ব্যক্তি আলেমের সাথে বসল সে যেন আমার সাথে বসল, যে ব্যক্তি আমার সাথে বসল সে যেন আল্লাহর কাছে বসল।”(মুসনাদু ফেরদৌস, হাদিস নং ৫৮৯৩; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ২৮৮৮৩; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিছ, হাদিস নং ৪৫৭১০;)  </div><div>ইমাম আলাউদ্দিন হিন্দী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও হাফিজুল হাদিস ইমাম জালাউদ্দিন ছিয়তী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) হাদিস উল্লেখ করে বলেছেন,</div><div>الرافعي عن بهز بن حكيم عن أبيه عن جده. -“ইমাম রাফেয়ী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বাহজ ইবনু হাকিম ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) থেকে, তিনি তিনার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণনা করেছেন।”(ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ২৮৮৮৩; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিছ, হাদিস নং ৪৫৭১০;)  এখানে ‘বাহজ ইবনু হাকীম’ এর দাদা হল, معاوية بن حيدة (মুয়াবিয়া ইবনু হায়দাহ) যিনি আল্লাহর রাসূলের সাহাবী।</div><div>প্রিয় পাঠক মহল লক্ষ্য করুন, ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) সনদসহ হাদিসটি আল্লাহর রাসূল ( ﷺ‎‎) থেকে বর্ণনা করেছেন এবং আসমাউর রিজালের আলোকে হাদিসটি মওজু নয়। সেখানে কওমীদের গুরু জনাব আব্দুল মালেক সাহেব তিনার ‘প্রচলিত জাল হাদিস’ নামক বইয়ের প্রথম প্রকাশের ৯৪ পৃষ্টায় বলে দিলেন- “অনেক উলামায়ে কেরামের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে খুব আগ্রহের সঙ্গে এবং হাদিসে রাসূল মনে করে এটাকে বর্ণনা করে থাকে। কিন্তু তা হাদীসে রাসূল নয়।” </div><div>কওমীদের কি দ্বায়িত্ব জ্ঞানহীনতা দেখুন। রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎)’র একটি আল হাদিসকে জাল হাদিস বানিয়ে দেওয়াই তাদের মূল কর্ম।</div>

যে ব্যক্তি আলিমের যিয়ারত করল সে যেন আল্লাহর নবীর যিয়ারত করল

যে ব্যক্তি আলিমের যিয়ারত করল সে যেন আল্লাহর নবীর যিয়ারত করল..। ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ওফাত ৪৩০ হিজরী হাদিসটি আরেক...

Read more »

যে ব্যক্তি হজ্ব করল কিন্তু আমার যিয়ারত করলনা সে যেন আমার প্রতি যুলুম করল।

<div>যে ব্যক্তি হজ্ব করল কিন্তু আমার যিয়ারত করলনা সে যেন আমার প্রতি যুলুম করল।</div><div><br></div><div>ইমাম ইবনু আদী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বর্ণনা করেছেন,</div><div>حَدَّثَنَا على بن إسحاق، حَدَّثَنا مُحَمد بْنُ مُحَمد بْنِ النُّعْمَانِ بْنِ شِبْلٍ، حَدَّثني جَدِّي، حَدَّثني مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ، عنِ ابْنِ عُمَر، قَال: قَال رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ حَجَّ الْبَيْتَ فلم يزرنى فقد جفانى</div><div> -“হজরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন: যে ব্যক্তি হজ্ব করল কিন্তু আমার যিয়ারত করল না সে যেন আমার উপর যুলুম করল।”(ইমাম ইবনে ছালেহী; সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১২তম খন্ড, ৩৭৯; ইমাম ইবনে আদী: আল-কামিল, ৮ম খন্ড, ২৪৮ পৃ:; ইমাম ইবনে হিব্বান: মাজরুহীন, হাদিস নং ১১২৮; কাজী শাওকানী: নাইলুল আওতার, ৫ম খন্ড, ১১৪ পৃ: ২০৭৩ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়)  </div><div>এই হাদিসর গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে হাফিজুল হাদিস ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন,</div><div>ابن عدي، والدار قطني في العلل وابن حبان في الضعفاء. والخطيب في رواة مالك بسند ضعيف جدا عن ابن عمر.</div><div>-“ইমাম ইবনু আদী, দারা কুতনী তার ইলালে, ইবনু হিব্বান তার দ্বোয়াফা গ্রন্থে, খতিব তার ‘রেওয়ায়েতে মালেক’ গ্রন্থে হযরত ইবনু উমার (رضي الله عنه) থেকে অত্যান্ত দুর্বল সনদে বর্ণনা করেছেন।”(ইমাম ছিয়তী: আদ দুররুল মুনতাশিরা ফি আহাদিছিল মুশতাহিরাহ, ১ম খন্ড, ১৯ পৃ:;) </div><div>এই হাদিসের সনদের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে হাফিজুল হাদিস ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন,</div><div>قلت ولابن عدي في الكامل وابن حبان في الضعفاء والدارقطني في العلل وغرائب مالك وآخرين كلهم عن ابن عمر مرفوعا من حج ولم يزرني فقد جفاني ولا يصح</div><div>-“আমি (ছাখাবী) বলছি, ইমাম ইবনু আদী তার আল কামিল গ্রন্থে, ইবনু হিব্বান তার দ্বোয়াফা গ্রন্থে, দারা কুতনী তার ইলালে ও গারাইবুল মালেক গ্রন্থে এবং অন্যন্য সকলেই হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) থেকে মারফূরূপে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি হজ্ব করবে কিন্তু আমার যিয়ারত করবেনা সে যেন আমার প্রতি যুলুম করল। ইহা ছহীহ্ নয়।”(ইমাম ছাখাভী: মাকাছিদুল হাছানাহ, হাদিস নং ১১৭৮;) </div><div>ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) কোন হাদিসকে ولا يصح বললে হাদিসটি নূন্যতম দ্বায়িফ বুঝায়। এ বিষয়ে পূর্বে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।</div><div>এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে হাফিজুল হাদিস, ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন,</div><div>وَذَكَرَهُ ابْنُ عَدِيٍّ وَابْنُ حِبَّانَ فِي تَرْجَمَةِ النُّعْمَانِ وَالنُّعْمَانُ ضَعِيفٌ جِدًّا</div><div>-“ইমাম ইবনু আদী ও ইমাম ইবনু হিব্বান ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বর্ণনাকারী নুমানের তরজমায় ইহা উল্লেখ করেছেন। আর বর্ণনাকারী নুমান অত্যান্ত দুর্বল।”(ইমাম আসকালানী: তালখিছুল হাবীর, ২য় খন্ড, ৫৬৯ পৃ:;) </div><div>ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর দৃষ্টিতে হাদিসটি দুর্বল সনদের তবে মাওজু নয়।</div><div>বিশ্বখ্যাত মুহাদ্দিছ, ইমাম আসকালানীর শশুর, ইমাম ইবনু মুলাক্কিন ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে বলেছেন,</div><div>وَمن ضَعِيف الْبَاب: حَدِيث مَنْ حَجَّ وَلم يَزُرْني فقد جفاني -“এ বিষয়ে দুর্বল হাদিস হচ্ছে, যে ব্যক্তি হজ্ব করবে কিন্তু আমার যিয়ারত করবেনা সে যেন আমার প্রতি যুলুম করল।”(ইমাম ইবনু মুলাক্কিন: বদরুল মুনীর, ৬ষ্ঠ খন্ড, ২৯৯ পৃ:;)   </div><div>আল্লামা তাহের পাতনী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এই হাদিস সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন,</div><div>قال الزركشي هو ضعيف -“ইমাম যারকাশী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন, এই হাদিস দুর্বল।”(তাহের পাতনী: তাজকেরাতুল মওজুয়াত) </div><div>এই হাদিসের বর্ণনাকারী مُحَمد بْنُ مُحَمد بْنِ النُّعْمَانِ بْنِ شِبْلٍ সম্পর্কে ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) উল্লেখ করেছেন,</div><div>أتهمه الدارقطني وضعفه جدا -“ইমাম দারা কুতনী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তার উপর অভিযোগ দিয়েছেন এবং তাকে অত্যান্ত দুর্বল বলেছেন।”(ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ৭১০;)  </div><div>এছাড়া অন্য কোন ইমাম এই রাবী সম্পর্কে চরম পর্যায়ের সমালোচনা করেছেন বলে আমি পাইনি। উল্লেখযোগ্য সকল মুহাদ্দিছ তাবকার ইমামগণ হাদিসটিকে দুর্বল বলেছেন, কেউ মওজু বা জাল হাদিস বলেননি। শুধুমাত্র ইবনু তাইমিয়া এবং এ বিষয়ে তার হিতাকাংখিরাই হাদিসটিকে মওজু বলেছেন। কেননা ইবনে তাইমিয়াই রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) এর যিয়ারতের বিরুদ্ধে ছিল। মূলত হাদিসটি মওজু হওয়ার কোন কারণ নেই। এ হাদিসের মাআনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়,</div><div>وعن علي بن أبي طالب رضي الله عنه قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: من زار قبري بعد موتي فكأنما زارني في حياتي، ومن لم يزر قبري فقد جفاني.</div><div>-“হজরত আলী (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) বলেছেন: যারা আমার ওফাতের পরে যিয়ারত করবে সে যেন আমার জিবদ্দশায় যিয়ারত করল। যে আমার যিয়ারত না করবে সে যেন আমার উপর যুলুম করল।”(ইমাম খারকুশী: শরফুল মুস্তফা, হাদিস নং ৮৬২, ৩য় খন্ড, ১৭২ পৃ:; ইবনে ছালেহী: সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১২তম খন্ড, ৩৭৭ পৃ:;)  </div><div>অতএব, হাদিসটি দ্বায়িফ পর্যায়ের।</div><div>প্রিয় পাঠক, আল্লামা ইবনু র্আরাক ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর তানজিহুশ শারিয়াহ, গ্রন্থের হাদিস নং ৮ এর ব্যাখ্যায়; আল্লামা তাহের পাতনীর তাজকেরাতুল মওজুয়াত, ১ম খন্ড ৭৬ পৃষ্টায় উল্লেখ রয়েছে قَالَ الزَّرْكَشِيّ هُوَ ضَعِيف </div><div>-“ইমাম যারকাশী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) হাদিসটিকে দ্বায়িফ বলেছেন।” কিন্তু লা-মাজহাবী কাজী শাওকানী তার ‘ফাওয়াইদ’ গ্রন্থে ও তিনার অনুসরণে কওমী আলেম জুনায়েদ বাবুনগরী তদীয় “প্রচলিত জাল হাদীস” বইয়ের ১২৬ পৃষ্টায় ইমাম যারকাশী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর নামে হাদিসটি জাল বানিয়ে দিলেন। কি আশ্চর্য জালিয়াতী! এমনকি ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) নিজের কিতাবে হাদিসটিকে ضَعِيف দ্বায়িফ বলেছেন যা কিছুক্ষণ পূর্বে আপনাদেরকে দেখিয়েছি। অথচ কওমী আলেম জুনায়েদ বাবুনগরীর তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় লিখিত “প্রচলিত জাল হাদীস” বইয়ের ১২৬ পৃষ্টায় বলেছেন ইমাম ছিয়তী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) হাদিসটিকে জাল বলেছেন। (নাউজুবিল্লাহ) কি জালিয়াতী দেখুন! ছাগানী ইবনে তাইমিয়ার মতাদর্শী তাই সে হাদিসটিকে কোন কারণ ছাড়াই জাল বলেছে। কিন্তু হাফিজুল হাদিস ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ও ইমাম ছাখাবী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) হাদিসটিকে জাল বলেননি বরং দ্বায়িফ বলেছেন।</div>

যে ব্যক্তি হজ্ব করল কিন্তু আমার যিয়ারত করলনা সে যেন আমার প্রতি যুলুম করল।

যে ব্যক্তি হজ্ব করল কিন্তু আমার যিয়ারত করলনা সে যেন আমার প্রতি যুলুম করল। ইমাম ইবনু আদী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বর্ণনা করেছেন, حَدَّثَنَا عل...

Read more »

মৃত ব্যক্তির উছিলার হাদিস

<div>মৃত ব্যক্তির উছিলার হাদিস</div><div><br></div><div>حَدَّثَنَا طَاهِرُ بْنُ عِيسَى الْمُقْرِئُ الْمِصْرِيُّ، ثنا أَصْبَغُ بْنُ الْفَرَجِ، ثنا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْمَكِّيِّ، عَنْ شَبِيبِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ رَوْحِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْخَطْمِيِّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ عَمِّهِ عُثْمَانَ بْنِ حُنَيْفٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَجُلًا كَانَ يَخْتَلِفُ إِلَى عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي حَاجَتِهِ وَكَانَ عُثْمَانُ لَا يَلْتَفِتُ إِلَيْهِ وَلَا يَنْظُرُ فِي حَاجَتِهِ، فَلَقِيَ ابْنَ حُنَيْفٍ فَشَكَا ذَلِكَ إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ بْنُ حُنَيْفٍ: ائْتِ الْمِيضَأَةَ فَتَوَضَّأْ، ثُمَّ ائْتِ الْمَسْجِدَ، فَصَلِّ فِيهِ رَكْعَتَيْنِ وَقُلِ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ وَأَتَوَجَّهُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّنَا نَبِيِّ الرَّحْمَةِ: يَا مُحَمَّدُ إِنِّي أَتَوَجَّهُ بِكَ إِلَى رَبِّكَ فَيَقْضِي لِي حَاجَتِي،</div><div><br></div><div>-“আবু উমামা ইবনে ছাহেল ইবনে হুনাইফ তাঁর চাচা থেকে বর্ণনা করেন, একদা এক ব্যক্তি হযরত উছমান (رضي الله عنه) এর কাছে আসলেন ও তাঁর সাথে সাক্ষাতের চেষ্টা করেন, কিন্তু উছমান (رضي الله عنه) কে হাজত পূরণের জন্য দেখা পাচ্ছেন না। অত:পর ঐ লোকটি হযরত উছমান ইবনে হুনাইফ (رضي الله عنه) এর সাথে মিলিত হলেন ও বিস্তারিত বললেন। </div><div>অত:পর উছমান ইবনে হুনাইফ (رضي الله عنه) তাকে বললেন: তুমি উত্তমরূপে অজু কর ও মসজিদে গিয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় কর। অত:পর এভাবে দোয়া কর: হে আল্লাহ! আমাদের নবী ও রহমতের নবী ( ﷺ‎‎) এর উছিলায় আপনার দিকে মোতাওয়াজ্জু হচ্ছি ও প্রার্থনা করছি। ওহে মুহাম্মদ ( ﷺ‎‎)! আমি আপনার মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি মোতাওয়াজ্জু হয়েছি আমার হাজত পূরণের জন্য।”  ৪৬৪৬,  ইমাম তাবারানী: আদ্-দোয়া, হাদিস নং ১০৫০; ইমাম তাবারানী: মু’জামুছ ছাগীর, হাদিস নং ৫০৮; ইমাম তাবারানী: মু’জামুল কবীর, হাদিস নং ৮৩১০; ইমাম মুনজেরী: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, ১ম খন্ড, ২৮২ পৃ:; এনহাজুল হাজাত, নশরুত্তিব; অফাউল অফা, ৪র্থ জি: ২২২ পৃ:; ইমাম হায়ছামী: মাজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, হাদিস নং ৩৬৬৮;</div><div><br></div><div>এই হাদিস সম্পর্কে হাফিজুল হাদিস, ইমাম মুনজেরী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তদীয় কিতাবে বলেন: وَالْحَدِيثُ صَحِيحٌ -“এই হাদিস ছহীহ্।”  ৪৭৪৭,  তারগীব, ১ম খন্ড, ২৮২ পৃ:;</div><div><br></div><div>ইমাম হায়ছামী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: وَقَدْ قَالَ الطَّبَرَانِيُّ: وَالْحَدِيثُ صَحِيحٌ </div><div>-“অবশ্যই ইমাম তাবারানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: এই হাদিস ছহীহ্।”  ৪৮৪৮,  ইমাম হায়ছামী: মাজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, হাদিস নং ৩৬৬৮;</div><div><br></div><div>এই হাদিসের সনদে شَبِيبِ بْنِ سَعِيدٍ (ছাবীব ইবনে সাঈদ) নামক একজন রাবী রয়েছে। যার সম্পর্কে লা-মাজহাবীরা অযথা বাক-বিতন্ডা করার অপচেষ্টা করে। অথচ তিনি একজন নির্ভরযোগ্য রাবী। যেমন ইমামগণের বক্তব্য লক্ষ্য করুন,</div><div>وَقَال أبو زُرْعَة: لا بأس به. -“ইমাম আবু যুরাআ ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: তার ব্যাপারে কোন অসুবিধা নেই।”  ৪৯৪৯,  ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ২৬৯০;</div><div><br></div><div>وَقَال أَبُو حاتم : وهو صالح الحديث لا بأس به. -“ইমাম আবু হাতিম ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: সে হাদিস বর্ণনায় নেক ও তার ব্যাপারে কোন অসুবিধা নেই।”  ৫০৫০,  ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ২৬৯০;</div><div><br></div><div>وَقَال النَّسَائي: ليس به بأس. -“ইমাম নাসাঈ ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: তার ব্যাপারে কোন অসুবিধা নেই।”  ৫১৫১,  ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ২৬৯০;</div><div><br></div><div>وذكره ابنُ حِبَّان في كتاب الثقات -“ইমাম ইবনে হিব্বান ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাকে বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন।”  ৫২৫২,  ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ২৬৯০;</div><div><br></div><div>روى له الْبُخَارِيّ، وأبو داود فِي "الناسخ والمنسوخ"، والنَّسَائي. </div><div>-“ইমাম বূখারী, আবু দাউদ, ও নাসাঈ ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ‘নাছিখ-মানছুখে’ তার থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন।”৫৩৫৩,  ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ২৬৯০;</div><div>  </div><div>قال عَلِيّ ابْن المديني: ثقة، -“ইমাম আলী ইবনে মাদিনী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: সে বিশ্বস্ত।”  ৫৪৫৪,  মউছুআতুল আকওয়াল, রাবী নং ১৬০৯;</div><div><br></div><div>وقال الدارقطني في كتاب الجرح والتعديل: شبيب بن سعيد ثقة. </div><div>-“ইমাম দারে কুতনী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাঁর “জারহ্ ওয়া তা’দিল” কিতাবে বলেন: ‘ছাবিব ইবনে সাঈদ’ বিশ্বস্ত।”  ৫৫৫৫,  ইমাম মুগলতাঈ: ইকমালু তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ২৩৪৩;</div><div><br></div><div>ولما ذكره ابن خلفون في الثقات قال: وثقه الذهلي وابن المديني وغيرهما </div><div>-“ইমাম ইবনে খালিফুন ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাকে বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। ইমাম যাহ্লী, ইবনে মাদানী ও অন্যান্য ইমামগণ তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন।”  ৫৬৫৬,  ইমাম মুগলতাঈ: ইকমালু তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ২৩৪৩;</div><div><br></div><div>وقال الطبراني في الأوسط ثقة. -“ইমাম তাবারানী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাঁর ‘আওছাত’ গ্রন্থে তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন।”  ৫৭৫৭,  ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ৫৩৪;</div><div><br></div><div>قال الحاكم: قلت للدارقطني شبيب بن سعيد؟ قال ثقة. -“ইমাম হাকেম ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: ইমাম দারে কুতনী ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) কে ‘ছাবীব ইবনে সঈদ’ সম্পর্কে বললাম: তিনি বলেন: সে বিশ্বস্ত।”  ৫৮৫৮,  মউছুআতুল আকওয়াল, রাবী নং ১৬০৯;</div><div><br></div><div>বলুন! এতজন ইমাম شَبِيب بْن سَعِيدٍ “ছাবীব ইবনে সাঈদ” বিশস্ত রাবী বলার পরও নেশাগ্রস্থ লোক ব্যতীত কেউ তাকে ‘দ্বায়িফ রাবী’ বলতে পারেনা। অতএব, প্রমাণিত হল, রাসূলে পাক ( ﷺ‎‎) এর ওফাতের পরেও সাহাবায়ে কেরাম (رضي الله عنه) তাঁর উছিলায় দোয়া করা জায়েয জানতেন। উছমান ইবনে হুনাইফ (رضي الله عنه) প্রিয় নবীজি ( ﷺ‎‎) এর বিশিষ্ট সাহাবী ছিলেন। আর আমরা সকলেই জানি জান্নাতী দল হল তারাই যারা রাসূল ( ﷺ‎‎) ও তাঁর সাহাবীদের অনুসরণ করেন।</div>

মৃত ব্যক্তির উছিলার হাদিস

মৃত ব্যক্তির উছিলার হাদিস حَدَّثَنَا طَاهِرُ بْنُ عِيسَى الْمُقْرِئُ الْمِصْرِيُّ، ثنا أَصْبَغُ بْنُ الْفَرَجِ، ثنا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ أَبِي...

Read more »

গরীব-মোহাজিরের উছিলা

<div>গরীব-মোহাজিরের উছিলা</div><div><br></div><div>حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ رَاهَوَيْهِ، ثنا أَبِي، ثنا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمَيَّةَ بْنِ خَالِدٍ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَفْتِحُ بِصَعَالِيكِ الْمُهَاجِرِينَ</div><div><br></div><div>-“হযরত উমাইয়্যা ইবনে খালেদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উসাইদ (رضي الله عنه) নবী করিম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, নিশ্চয় রাসূল (ﷺ) গরীব-মোহাজেরদের উছিলায় প্রার্থনা করতেন।”  ৮৪৩৪৩,  ইমাম বাগভী: শরহে সুন্নাহ, হাদিস নং ৪০৬২; ইমাম তাবারানী: মু’জামুল কবীর, হাদিস নং ৮৫৭; মেসকাত শরীফ, ৪৪৭ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ৯ম খন্ড, ৪৩৪ পৃ:; শরহে ত্বাবী, হাদিস নং ৫২৪৭; ছিরাতে হালভিয়া, ২য় খন্ড, ৩৩৫ পৃ:; ইমাম হায়ছামী: মাজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, হাদিস নং ১৭৯০৪; ইমাম আবু নুয়াইম: মারেফাতুস সাহাবা, হাদিস নং ৯৭৫;</div><div><br></div><div>ইমাম হায়ছামী (র:) দু’টি সনদ উল্লেখ করে বলেন:</div><div>رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، وَرِجَالُ الرِّوَايَةِ الْأُولَى رِجَالُ الصَّحِيحِ. -“ইমাম তাবারানী ইহা বর্ণনা করেছেন, এর ইহা প্রথম সনদের সকল রাবীগণ বিশ্বস্ত।”  ৮৪৪৪৪,  ইমাম হায়ছামী: মাজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, হাদিস নং ১৭৯০৪;</div><div><br></div><div>এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম মানাভী (র:) ও আব্দুর রহমান মুবারকপুরী তদীয় </div><div>কিতাবে উল্লেখ করেন, قَالَ الْمُنْذِرِيّ رُوَاته رُوَاة الصَّحِيح وَهُوَ مُرْسل </div><div>-“ইমাম মুনজেরী (র:) বলেন: এই রেওয়ায়েত টি ‘মুরছাল ছহীহ্’।”  ৮৪৫৪৫,  আল্লামা মানাভী: তাইছির বি’শরহে জামেইছ ছাগীর, ২য় খন্ড, ২৭৬ পৃ:; মুবারকপুরী: তুহফাতুল আহওয়াজী, ৫ম খন্ড, ২৯১ পৃ:;</div><div><br></div><div>চার মাজহাবের ইমামের দৃষ্টিতে নির্ভরযোগ্য তবেঈ’র মুরছাল রেওয়ায়েত হুজ্জত বা দলিল হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ। অতএব, এই হাদিস উছিলার পক্ষে অবশ্যই হুজ্জত বা দলিল। তাই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) নিজেই গরীব-মোহাজেরদের উছিলায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন। অর্থাৎ গরীব-মোহাজেরদের উছিলায় প্রার্থনা করার শিক্ষা স্বীয় উম্মতকে দিয়েছেন। এমনকি প্রিয় নবীজি (ﷺ) এর সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈগণ ও তাবে তাবেঈগণের উছিলায় দোয়া করারও বিধান রয়েছে। </div>

গরীব-মোহাজিরের উছিলা

গরীব-মোহাজিরের উছিলা حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ رَاهَوَيْهِ، ثنا أَبِي، ثنا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيه...

Read more »

কাফেরের কবরে ৯৯টি সাপ থাকবে

<div>কাফেরের কবরে ৯৯টি সাপ থাকবে</div><div><br></div><div>حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا السَّمْحِ، يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا الْهَيْثَمِ، يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُسَلَّطُ عَلَى الْكَافِرِ فِي قَبْرِهِ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ تِنِّينًا تَلْدَغُهُ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ، فَلَوْ أَنَّ تِنِّينًا مِنْهَا نَفَخَ فِي الْأَرْضِ مَا أَنْبَتَتْ خَضِرًا</div><div><br></div><div>-“হযরত আবু সাঈদ (رضي الله عنه) বলেন রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: কাফেরের জন্য কবরে ৯৯টি সাপ নির্ধারণ করা হয়। সেগুলো তাকে কিয়ামত পর্যন্ত দংশন করতে থাকবে। যদি একটি সাপ জমিনে নি:শ্বাস ফেলে, তাহলে জমিনে কখনো শস্য জন্মাবে না। তিরমিজি ৭০টির কথা বর্ণনা করেছেন।”  ৮৩৭৩৭,  সুনানে দারেমী শরীফ, ২য় খন্ড, ৪২৬ পৃ: হাদিস নং ২৮৫৭; ছহীহ্ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং ৩১২১; শারিয়াতু লিল আজরী, হাদিস নং ৮৪১; মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদিস নং ১৩২৯; মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, হাদিস নং ৩৪১৮৭; জামে তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ২৪৬০; মেসকাত শরীফ, ১৩৪ নং হাদিস; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১ম খন্ড, ৩২৮ পৃ:;  ইমাম মুনজেরী: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, ২য় খন্ড, ৬৭৫ পৃ:; মুসনাদে আহমদ, ৩য় খন্ড, ৩৮ পৃ: হাদিস নং ১১৩৩৪;</div><div><br></div><div>এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম তিরমিজি (র:) বলেছেন: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ  </div><div>-“এই হাদিস হাছান।”  ৮৩৮৩৮,  সুনানে দারেমী, ২য় খন্ড, ৪২৬ পৃ: হাশিয়া;</div><div><br></div><div>ইমাম হাকেম নিছাপুরী (র:) বলেন: هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ </div><div>-“এই হাদিসের সনদ ছহীহ।”  ৮৩৯৩৯,  ইমাম মুনজেরী: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, ২য় খন্ড, ৬৭৫ পৃ:;</div><div><br></div><div>ইমাম নুরুদ্দিন আলী হায়ছামী (র:) বলেন,</div><div>رَوَاهُ أَحْمَدُ، وَأَبُو يَعْلَى مَوْقُوفًا، وَفِيهِ دَرَّاجٌ، وَفِيهِ كَلَامٌ وَقَدْ وُثِّقَ. </div><div>-“ইমাম আহমদ, আবু ইয়ালা মাওকুফরূপে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে ‘র্দারাজ’ রয়েছে, যার ব্যাপারে অনেক কথা রয়েছে আবার বিশ্বস্ত হওয়ার বক্তব্য রয়েছে।”  ৮৪০৪০,  ইমাম হায়ছামী: মাজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, হাদিস নং ৪২৮৫;</div><div><br></div><div>এর সনদে دَرَّاجُ بْنُ سَمْعَانَ، أَبُو السَّمْحِ الْمِصْرِيُّ الْقَاصُّ “র্দারাজ ইবনে ছাময়ান..” নামক একজন রাবী রয়েছে, যার সম্পর্কে ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন (র:), উসমান ইবনে সাঈদ (র:) ثقة বিশ্বস্ত রাবী বলেছেন।” ৮৪১৪১,  ইমাম যাহাবী: মিযানুল এ’তেদাল, ২য় খন্ড, ২৭৮ পৃ:;</div><div><br></div><div>وذكره البستي في الثقات وكذلك ابن خلفون ووثقه. قال ابن شاهين في كتاب الثقات يروي عن أبي الهيثم، عن أبي سعيد، ما كان بهذا الإسناد فليس به بأس. وقال الحربي: دراج رجل معروف. وخرج ابن حبان عدة أحاديث من حديثه في صحيحه، وكذلك الحاكم</div><div>-“ইমাম বাছেতী (র:) তাকে বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। এমনিভাবে ইমাম ইবনে খালিফুন (র:) তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন। ইমাম ইবনে শাহিন (র:) তাকে বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। আবী হায়ছাম হযরত আবী সাঈদ (র:) থেকে বর্ণনা করেন, তার সনদে কোন অসুবিধা নেই। ইমাম হারাবী (র:) বলেন: র্দারাজ প্রসিদ্ধ রাবী। ইমাম ইবনে হিব্বান (র:) তার ছহীহ্ গ্রন্থে তার থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন, এমনিভাবে ইমাম হাকেম (র:)ও বর্ণনা করেছেন।”  ৮৪২৪২,  ইমাম মুগলতাঈ: ইকমালু তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ১৪৭৩;</div><div><br></div><div>তাই উভয়ের মাঝামাঝি স্তর হিসেবে বলা যায়, সে ‘ছহীহ্ অথবা হাছান’ রাবী। সুতরাং হাদিস খানা ‘হাছান’ স্তরের, কোন অবস্থায় দ্বায়িফ নয়। কেননা ইমামদের বড় একটি দল তাকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য বলেছেন।</div>

কাফেরের কবরে ৯৯টি সাপ থাকবে

কাফেরের কবরে ৯৯টি সাপ থাকবে حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا السَّمْحِ، يَ...

Read more »

প্রিয় নবীজি (ﷺ) কে দেখলে জাহান্নাম হারাম

<div>প্রিয় নবীজি (ﷺ) কে দেখলে জাহান্নাম হারাম</div><div><br></div><div>حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ الْبَصْرِيُّ قال: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ كَثِيرٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ خِرَاشٍ، يَقُولُ: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: لَا تَمَسُّ النَّارُ مُسْلِمًا رَآنِي أَوْ رَأَى مَنْ رَآنِي</div><div><br></div><div>-“হযরত জাবের (رضي الله عنه) বলেন আমি রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: ঐ মুসলমানকে জাহান্নামের আগুন স্পর্ষ করবেনা যে আমাকে দেখেছে অথবা আমাকে যারা দেখেছে তাদেরকে দেখেছে।”  ৮১৭১৭,  তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ৩৮৫৮; ইমাম আবী আছেম: আস সুন্নাহ, হাদিস নং ১৪৮৪; ইমাম আবু নুয়াইম: মারেফাতুস সাহাবা, হাদিস নং ৩৮; ইমাম ছিয়তী: ফাতহুল কবীর, হাদিস নং ১৩৬৫০; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৩২৪৮০; ইমাম হায়ছামী: মাজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, হাদিস নং ১৬৪২২;</div><div><br></div><div>এই হাদিসের রাবী مُوسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ كَثِيرٍ ‘মূসা ইবনে ইব্রাহিম ইবনে কাছির’ কে ইমাম ইবনে শাহিন ও ইবনে হিব্বান (র:) ثقة বিশ্বস্ত বলেছেন। ৮১৮১৮,  ইমাম মুগলতাঈ: ইকমালু তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৪৭৭৪;</div><div><br></div><div> ইমাম আবু আলী তুশী (র:) তার বর্ণিত হাদিসকে حسن হাছান বলেছেন।  ৮১৯১৯,  ইমাম মুগলতাঈ: ইকমালু তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৪৭৭৪;</div><div><br></div><div>ইমাম যাহাবী (র:) তার ব্যাপারে বলেন: صدوق مُقِلّ. -“সে সত্যবাদী ও হাদিস বর্ণনায় দরিদ্র বা তার হাদিস সংখ্যা খুব কম।”  ৮২০২০,  ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ৩২২;</div><div><br></div><div>ইমাম যাহাবী (র:) তার ‘কাশেফ’ গ্রন্থে তাকে ثقة বিশ্বস্ত বলেছেন।  ৮২১২১,  ইমাম যাহাবী: আল কাশেফ, রাবী নং ৫৬৭৬;</div><div><br></div><div>অতএব, এই রাবীর বর্ণিত হাদিস ছহীহ্ হওয়াতে কোন বাধা নেই। ইমামগণ তার ব্যাপারে কোন সমালোচনা করেননি। ইমাম তিরমিজি (র:) হাদিসটিকে حسن হাছান বলেছেন। আল্লামা ছানআনী (র:) হাসিটিকে ছহীহ্ বলেছেন।  ৮২২২২,  আল্লামা ছানআনী: আত তানভীর শরহে জামেউছ ছাগীর, হাদিস নং ৫৮৪৮;</div><div><br></div><div>মেসকাতের তাহকিকে নাছিরুদ্দিন আলবানী হাদিসটিকে حسن হাছান বলেছেন। আলবানী তার ‘তারাজিয়াতে আলবানী’ গ্রন্থে হাদিসটিকে حسن হাছান বলে স্বীকার করেছেন।  ৮২৩২৩,  আলবানী: তারাজিয়াাতে আলবানী, হাদিস নং ২৪৬;</div><div><br></div><div>এই হাদিসের সমর্থনে আরেকটি হাদিস রয়েছে,</div><div>حَدَّثَنَا أَحْمَدُ قَالَ: نَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خَالِدٍ أَبُو مَرْوَانَ الْعُثْمَانِيُّ قَالَ: نَا نَافِعُ بْنُ صَيْفِيٍّ، وَكَانَ بَلَغَ مِائَةً وثِنْتَى عَشْرَةَ سَنَةً، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُقْبَةَ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يَدْخُلُ النَّارَ مُسْلِمٌ رَآنِي، وَلَا رَأَى مَنْ رَآنِي، </div><div>-“আব্দুর রহমান ইবনে উকবা তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি নবী করিম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: ঐ মুসলমানকে আগুনে প্রবেশ করানো হবেনা যে আমাকে দেখেছে অথবা আমাকে যারা দেখেছে তাদেরকে দেখেছে।”  ৮২৪২৪,  ইমাম তাবারানী: মুজামুল আওছাত, হাদিস নং ১০৩৬; ইমাম তাবারানী: মুজামুল কবীর, হাদিস নং ৯৮৩; ইমাম আবী আছেম: আস সুন্নাহ, হাদিস নং ১৪৮৫; ইমাম আবু নুয়াইম: মারেফাতুস সাহাবা, হাদিস নং ৫৪১৫; ইমাম ইবনুল আছির: উছদুল গাবা ফি মারিফাতিস সাহাবা, ৩৭১৪ নং রাবীর ব্যাখ্যায়; হাফিজ ইবনে কাছির: জামেউল মাসানিদ ওয়াস সুনান, হাদিস নং ৭৬৯৮; ইমাম আসকালানী: আল ইছাবা, ৫৬৩৫ নং রাবীর ব্যাখ্যায়; ইমাম হায়ছামী: মাজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, হাদিস নং ১৬৪২২;</div><div><br></div><div>অতএব, কোন মুসলমান যদি রাসূলে করিম (ﷺ) কে দেখলে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবেনা। এমনকি কোন মুসলমান সাহাবীদেরকে দেখলেও তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবেনা। (সুবহানাল্লাহ)</div><div><br></div><div>র্হারা দিবসে রাসূল (ﷺ) রওজা থেকে আযান দিয়েছেন</div><div>أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، قَالَ: لَمَّا كَانَ أَيَّامُ الْحَرَّةِ لَمْ يُؤَذَّنْ فِي مَسْجِدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثًا، وَلَمْ يُقَمْ، وَلَمْ يَبْرَحْ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ الْمَسْجِدَ، وَكَانَ لَا يَعْرِفُ وَقْتَ الصَّلَاةِ إِلَّا بِهَمْهَمَةٍ يَسْمَعُهَا مِنْ قَبْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ</div><div>-“হযরত সাঈদ ইবনে আব্দুল আজিজ বলেন, র্হারা ফেতনার সময় ৩ দিন ও ৩ রাত মসজিদে নববীতে আযান ও ইকামত কিছুই হয়নি। সে সময় সাঈদ ইবনে মুছাইব (رضي الله عنه) মসজিদে নববীতে আটকা পড়েছিল। তিনি রাসূলে পাক (ﷺ) এর রওজা মুবারক থেকে (আযান ইকামতের) গুন গুন আওয়াজ দ্বারা নামাজের ওয়াক্ত নির্ধারণ করতেন।”  ৮২৫২৫,  সুনানে দারেমী, হাদিস নং ৯৪;</div><div><br></div><div>এই হাদিসের সকল রাবীগণ বিশ্বস্ত ও সত্যবাদী। লা-মাজহাবী ওহাবীরা বিনা কারণে এই হাদিকে দ্বায়িফ বলে বেড়ায়। কারণ ‘মারওয়ান ইবনে মুহাম্মদ’ ছহীহ্ মুসলীমের রাবী ও বিশ্বস্ত। ‘সাঈদ ইবনে আব্দুল আজিজ’ ছহীহ্ মুসলীমের রাবী ও সর্ব সম্মতিক্রমে বিশ্বস্ত।” তাই হাদিসটি অবশ্যই ছহীহ্। এর সমর্থনে আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়। যেমন লক্ষ্য করুন,</div><div>قَالَ أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ عَطَاءِ بْنِ الْأَغَرِّ الْمَكِّيُّ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ أَبِي حَازِمٍ قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ يَقُولُ: لَقَدْ رَأَيْتُنِي لَيَالِي الْحَرَّةِ وَمَا فِي الْمَسْجِدِ أَحَدٌ مِنْ خَلْقِ اللَّهِ غَيْرِي وَإِنَّ أَهْلَ الشَّامِ لَيَدْخُلُونَ زُمَرًا زُمَرًا يَقُولُونَ: انْظُرُوا إِلَى هَذَا الشَّيْخِ الْمَجْنُونِ وَمَا يَأْتِي وَقْتَ صَلَاةٍ إِلَّا سَمِعْتُ أَذَانًا فِي الْقَبْرِ ثُمَّ تَقَدَّمْتُ فَأَقَمْتُ فَصَلَّيْتُ وَمَا فِي الْمَسْجِدِ أَحَدٌ غَيْرِي</div><div>-“আবী হাযম বলেন, আমি সাঈদ ইবনে মুছাইব (رضي الله عنه) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: র্হারা দিবসে লোকেরা আমাকে দেখেছে আর মসজিদে নববীতে আমি ছাড়া আর কেউ ছিলনা। শামের লোকেরা দলে দলে প্রবেশ করেছেন আর বলেছেন দেখ এই বৃদ্ধ লোকটি পাগল। আমি নামাজের সময় চিনতাম শুধু নবী পাক (ﷺ) এর রওজা শরীফ থেকে আযান শুনে। অত:পর আমি দাঁড়াতাম ও ইকামত দিতাম এবং সালাত আদায় করতাম আর তখন মসজিদে কেউ থাকত না।”  ৮২৬২৬,  ইমাম ইবনে সা’দ: তাবাকাতুল কুবরা, ৫ম খন্ড, ১৩২ পৃ:;</div><div><br></div><div>দুইটি রেওয়ায়েত একত্রিত হয়ে অবশ্যই হাদিসটি আরো শক্তিশালী হবে। তাই বিষয়টি ছহীহ্ হওয়াতে আর কোন বাধা থাকবেনা।</div><div><br></div><div>রওজা মোবারকের সামনে সালাম দিলে নবীজি (ﷺ) সরাসরি শুনেন</div><div>أَخْبَرَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ، أخبرنا أَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْبَخْتَرِيِّ، حدثنا عِيسَى بْنُ عَبْدِ اللهِ الطَّيَالِسِيُّ، حدثنا الْعَلَاءُ بْنُ عَمْرٍو الْحَنَفِيُّ، حدثنا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ صَلَّى عَلَيَّ عِنْدَ قَبْرِي سَمِعْتُهُ، وَمَنْ صَلَّى عَلَيَّ نَائِيًا أَبْلَغْتُهُ</div><div>-“হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে করিম (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি আমার রওজা মোবারকের কাছে এসে সালাত পাঠ করবেন তার সালাত আমি নিজ কানে শুনি। আর যারা দুর থেকে সালাম দেয় তাহলে ইহা আমার কাছে পৌছানো হয়।”  ৮২৭২৭,  ইমাম বায়হাক্বী: শুয়াইবুল ঈমান, হাদিস নং ১৪৮১; তারিখে বাগদাদ, ১০৯০ নং হাদিস, ৪র্থ খন্ড, ৪৬৮ পৃ:; মেসকাত শরীফ, হাদিস নং ৯৩৪; ইমাম যাহাবী: মিযানুল এ’তেদাল, ৮১৫৪ নং রাবীর ব্যাখ্যায়; ইমাম সুবুকী: তবকাতুস শাফিয়াতুল কুবরা, ১ম খন্ড, ১৭০ পৃ:; তাখরিজু আহাদিসুল কাস্সাফ, ৩য় খন্ড, ১৩৫ পৃ:; আল্লামা ইবনে মুলাক্কিন: বাদরুল মুনীর, ৫ম খন্ড, ২৯০ পৃ:; ইমাম ছিয়তী: ফাতহুল কবীর, হাদিস নং ১১৯৭২; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ২১৬৫; ফাওয়াইদুল মাজমুয়া, হাদিস নং ১৬;</div><div><br></div><div>ছহীহ্ সনদ সহকারে হাদিসখানা নিচে দেওয়া হল,</div><div>وَأَخْرَجَ أَبُو الشَّيْخِ فِي كِتَابِ الصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَحْمَدَ لْأَعْرَجُ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الصَّبَّاحِ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَلَّى عَلَيَّ عِنْدَ قَبْرِي سَمِعْتُهُ وَمَنْ صَلَّى عَلَيَّ مِنْ بَعِيدٍ أبلغته</div><div>-“হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে করিম (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি আমার রওজা মোবারকের কাছে এসে সালাত পাঠ করবেন তার সালাত আমি নিজ কানে শুনি। আর যারা দুর থেকে সালাম দেয় তাহলে ইহা আমার কাছে পৌছানো হয়।”  ৮২৮২৮,  রওজাতুল মুহাদ্দেছীন, হাদিস নং ১১৯৩; হাফিজ ইবনুল কাইউম: জালাউল আফহাম, হাদিস নং ২৪; আজিমাবাদী: আওনুল মা’বুদ শরহে আবু দাউদ, ২০৪২ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিস, হাদিস নং ২২৭৭০; তবকাতুস শাফিয়াতুল কুবরা লিছ সুবুকী, ৩য় খন্ড, ৪০৮ পৃ:; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ২১৯৮;</div><div><br></div><div>এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে হাফিজুল হাদিস ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (র:) বলেন,</div><div>وَأَخْرَجَهُ أَبُو الشَّيْخِ فِي كِتَابِ الثَّوَابِ بِسَنَدٍ جَيِّدٍ بِلَفْظِ مَنْ صَلَّى عَلَيَّ عِنْدَ قَبْرِي سَمِعْتُهُ</div><div>-“আবুশ শায়েখ তাঁর ‘কিতাবুছ ছাওয়াব’-এ হাদিসটি অতি-উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন, এই শব্দে: যে আমার রওজার কাছে এসে সালাত পাঠ করবে আমি তার সালাত শুনব।”  ৮২৯২৯,  ইমাম আসকালানী: ফাতহুল বারী শরহে বূখারী, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৪৮৮ পৃ: ৩৪৪১ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়;</div><div><br></div><div>অথচ আলবানী তার ছিলছিলায়ে দ্বায়িফার মধ্যে হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী (র:) এর নামে লিখেছেন: </div><div>فقول الحافظ في "الفتح" (৬ / ৩৭৯) : سنده جيد، غير مقبول </div><div>-“হাফিজ তার ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে (৬/৩৭৯) বলেছেন: এর সনদ জায়্যেদ অগ্রহণযোগ্য।”  ৮৩০৩০,  ছিলছিলায়ে জয়ীফা, হাদিস নং ২০৩ এর ব্যাখ্যায়</div><div><br></div><div>কতবড় মিথ্যাবাদী!!</div><div>এই হাদিস সম্পর্কে আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (র:) বর্ণনা করেন,</div><div>وَرَوَاهُ أَبُو الشَّيْخِ، وَابْنُ حِبَّانَ فِي كِتَابِ: ثَوَابِ الْأَعْمَالِ، بِسَنَدٍ جَيِّدٍ. </div><div>-“আবুশ শায়েখ ও ইবনে হিব্বান (র:) ‘কিতাবুছ ছাওয়াবে’ হাদিসটি উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।” ৮৩১৩১,  ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, হাদিস নং ৯৩৪ এর ব্যাখ্যায়;</div><div> </div><div>এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে আল্লামা নুরুদ্দিন আলী ইবনে মুহাম্মদ আল-কেনানী (র:) {ওফাত ৯৬৩ হি.} বলেন,</div><div>أخرجه أَبُو الشَّيْخ فِي الثَّوَاب. (قلت) وَسَنَده جيد كَمَا نَقله السخاوي عَن شَيْخه الْحَافِظ ابْن حجر</div><div>-“আবুশ শায়েখ তাঁর ‘ছাওয়াব’ গ্রন্থে উত্তম সনদে ইহা বর্ণনা করেছেন। যেমনটি ইমাম ছাখাবী (র:) তাঁর ছাখাবী তিনার উস্তাদ হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী (র:) থেকে বর্ণনা করেছেন।”  ৮৩২৩২,  তানজিয়াতু শারিয়াতুল মারফুয়া, ১ম খন্ড, ৩৩৫ পৃ:;</div><div><br></div><div>এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে আল্লামা আব্দুর রউফ মানাভী (র:) উল্লেখ করেন, قَالَ ابْن حجر اسناده جيد -“হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী (র:) বলেন: ইহার সনদ জায়্যেদ বা অতি-উত্তম।”  ৮৩৩৩৩,  আল্লামা মানাভী: তায়ছির বি’শরহে জামেউছ ছাগীর, ২য় খন্ড, ৪২৮ পৃ:;</div><div><br></div><div>এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে ইমাম নববী (র:) বলেন,</div><div>وقال النووي في الأذكار ورياض الصالحين إسناده صحيح -“ইমাম নববী (র:) তাঁর ‘আজকার’ ও রিয়াদুছ ছালেহীন’ গ্রন্থে বলেন: ইহার সনদ ছহীহ্।”  ৮৩৪৩৪,  আজিমাবাদী: আওনুল মা’বুদ শরহে আবু দাউদ, ৬ষ্ঠ খন্ড, ২২ পৃ:;</div><div><br></div><div>আফছুছের বিষয় হল, কুখ্যাত নাছিরুদ্দিন আলবানী এই হাদিসের রাবী عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي يَحْيَى الزُّهْرِيُّ أَبُو صَالِحٍ الْأَعْرَجُ ‘আব্দুর রহমান ইবনে আহমদ ইবনে আবী ইয়াহইয়া যুহুরী আবু ছালেহ্ আল আরাজ’ সম্পর্কে বলেন, فهو مجهول -“সে অপরিচিত।”  ৮৩৫৩৫,  সিলসিলায়ে আহাদিসুদ দ্বায়িফা, হাদিস নং ২০৩;</div><div><br></div><div>অথচ এই রাবী মজহুল বা অপরিচিত নয় বরং মারুফ বা সু-পরিচিত, কারণ ইমামগণের কেউ তার ব্যাপারে সমালোচনা করেননি, বরং তার নাম, উপনাম, পিতা ও দাদার নাম, ভাইয়ের নাম, মৃত্যু সন, বাড়ি কোথায়, বংশের নাম ইত্যাদি পেশ করেছেন। এই রাবী সম্পর্কে ইমামদের বক্তব্য হল,</div><div>عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي يَحْيَى الزُّهْرِيُّ أَبُو صَالِحٍ الْأَعْرَجُ تُوُفِّيَ سَنَةَ ثَلَاثِمِائَةٍ، هُوَ أَخُو مُحَمَّدِ بْنِ أَحْمَدَ بْنِ يَزِيدَ الزُّهْرِيِّ</div><div>-“‘আব্দুর রহমান ইবনে আহমদ ইবনে আবী ইয়াহইয়া যুহুরী আবু ছালেহ্ আল আরাজ’ তিনশ হিজরীতে ইন্তেকাল করেছেন। তার ভাই হচ্ছে ‘মুহাম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে ইয়াজিদ যুহুরী’।”  ৮৩৬৩৬,  ইমাম আবু নুয়াইম: তারিখে ইসবাহান, রাবী নং ১১৩৭; তবকাতুল মুহাদ্দেসীন বি’ইসবাহান, রাবী নং ৪৮৬;</div><div><br></div><div>তাই স্পষ্ট করেই বলা যায় এই রাবী (মারুফ) বা সু-পরিচিত। যেহেতু ইমামদের কেউ তার ব্যাপারে সমালোচনা করেননি সেহেতু সে মকবুল বা গ্রহণযোগ্য রাবী। হাফিজ ইবনে হাজার আস্কালানী (র:) ইমাম নববী (র:), মোল্লা আলী ক্বারী (র:), আল্লামা মানাভী (র:) প্রমূখ এই রাবীর রেওয়ায়েতকে (ছহীহ্-যায়্যেদ) বা বিশুদ্ধ-অতি-উত্তম বলেছেন এবং অন্যান্য ইমামগণ সমর্থন করেছেন। এর থেকেই প্রমাণিত হয় এই রাবী মাকবুল বা গ্রহণযোগ্য।</div><div>সুতরাং শুয়াইবুল ঈমানের সনদ দুর্বল হলেও আবুশ শায়েখ এর সনদ ছহীহ্। আর একই বিষয়ে একাধিক সনদ থাকলে পরস্পর মিলিত হয়ে হাদিসটি আরো ক্বাবী বা শক্তিশালী হয়ে যায়। সর্বোপরি এই হাদিসের সনদ ‘যায়্যেদ’ বা অতি-উত্তম বলে স্বীকৃত। সকল ইমামগণ এ ব্যাপারে একমত, শুধুমাত্র আলবানী ও তার সাংগ-পাংগরা ব্যতীত।</div>

প্রিয় নবীজি (ﷺ) কে দেখলে জাহান্নাম হারাম

প্রিয় নবীজি (ﷺ) কে দেখলে জাহান্নাম হারাম حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ الْبَصْرِيُّ قال: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِبْرَاهِيم...

Read more »

ইলিম অন্বেষণ করলে পূর্ববর্তী গোনাহ মাফ

<div>ইলিম অন্বেষণ করলে পূর্ববর্তী গোনাহ মাফ</div><div><br></div><div>أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُعَلَّى، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي دَاوُدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَخْبَرَةَ، عَنْ سَخْبَرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ طَلَبَ الْعِلْمَ، كَانَ كَفَّارَةً لِمَا مَضَى </div><div><br></div><div>-“হযরত সাখবারাহ (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি ইলিম অন্বেষণ করবে, তার জন্যে তার পূর্ববর্তী পাপ সমূহ কাফ্ফারা হয়ে যাবে।” ৭৯৯৯৯,  জামে তিরমিজি শরীফ, হদিস নং ২৬৪৮; সুনানে দারেমী শরীফ, ১ম খন্ড, ১৪৯ পৃ: হাদিস নং ৫৮০; ইমাম ইবনে কানেঈ: মুজামু ছাহাবা, ১ম খন্ড, ৩২১ পৃ:; ইমাম আবু নুয়াইম: মারেফাতুস সাহাবা, হাদিস নং ৩৬৫৬; ইমাম ইবনুল আছির: উসদুল গাবা, ১৯৪৩ নং রাবীর ব্যাখ্যা; ইমাম আসকালানী: আল ইছাবা ফি তামিজিছ ছাহাবা, রাবী নং ৩১০৫; ইমাম ছিয়তী: জামেউস ছাগীর, হাদিস নং ১২৪৬১; মেসকাত শরীফ, ২২১ নং হাদিস; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১ম খন্ড, ৪৩৬ পৃ:; জামেউল উসুল, হাদিস নং ৫৮২৮; তুহফাতুল আশরাফ, হাদিস নং ৩৮১৩; হাফিজ ইবনে কাছির: জামেউল মাসানিদ ওয়াস সুনান, ৩য় খন্ড, ২৬৫ পৃ:; ইত্তেহাফু মিহরাত, হাদিস নং ২৪৬০৬; ইমাম ছিয়তী: ফাতহুল কবীর, হাদিস নং ১২০১৩; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ২৮৭০০; মুসনাদে জামে, হাদিস নং ৩৯৮৮;</div><div><br></div><div>এই হাদিস প্রসঙ্গে ইমাম তিরমিজি (র:) বলেছেন: </div><div>هَذَا حَدِيثٌ ضَعِيفُ الإِسْنَادِ، -“এই হাদিসের সনদ দূর্বল।”  ৮০০৮০০,  তিরমিজি শরীফ, মেরকাত, ১ম খন্ড, ৪৩৭ পৃ:;</div><div><br></div><div>ইমাম মিযযী (র:) বলেন, هَذَا حديث ضعيف الإسناد، -“এই হাদিসের সনদ দ্বায়িফ ।”  ৮০১১,  ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, ২১৮৫ নং রাবীর ব্যাখ্যায়;</div><div><br></div><div>কারণ বর্ণনাকারী ‘আবু দাউদ আ’মা’ أَبُو دَاوُدَ الأَعْمَى এর সম্পূর্ণ নাম হল,نُفَيْعُ بْنُ الْحَارِثِ الْهَمْدَانِيُّ،  ‘নুফাঈ ইবনুল হারেছ হামদানী’। ইমামগণের নিকেট সে দুর্বল রাবী।</div><div>এই হাদিসের রাবী عبد الله بن سخبرة ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ছাখবারা’ সম্পর্কে ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মাকদেছী (র:) ওফাত ৩০১ হিজরী ও ইমাম বুখারী (র:) বলেন,</div><div>أبو معمر صاحب ابن مسعود وهو عبد الله بن سخبرة -“আবু মামার ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) এর সঙ্গী হচ্ছে আব্দুল্লাহ ইবনে ছাখবারা (র:)।”  ৮০২২,  তারিখু ওয়াল আসমাউল মুহাদ্দেছীন ওয়া কুনাহুম, রাবী নং ৫৩৬; ইমাম বুখারী: তারিখুল কবীর, রাবী নং ২৮০;</div><div><br></div><div>ইমাম ইবনে হিব্বান (র:) তাকে الثقات ‘বিশ্বস্তদের’ অন্তর্ভূক্ত করেছেন। দেখুন ‘কিতাবুস সিক্বাত’ রাবী নং ৩৬৬২। ইমাম ইবনে শাহীন (র:) ওফাত ৩৮৫ হিজরী বলেন, </div><div>أَبُو معمر عبد الله بن سَخْبَرَة كُوفِي ثِقَة قَالَه يحيى -“আবু মামার আব্দুল্লাহ ইবনে ছাখবারাহ কূফী একজন বিশ্বস্ত রাবী এরূপ বলেছেন ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন (র:)।”  ৮০৩৩,  তারিখু আসমাউ ছিক্বাত, রাবী নং ৬৮৩;</div><div><br></div><div>ইমাম ইজলী (র:) ওফাত ২৬১ হিজরী বলেন,</div><div>عبد الله بن سَخْبَرَة أَبُو معمر من أَصْحَاب عبد الله ثِقَة -“আব্দুল্লাহ ইবনে ছাখবারাহ আবু মামার ছিলে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) এর সঙ্গী, সে বিশ্বস্ত।”  ৮০৪৪,  ইমাম ইজলী: ছিক্বাত, রাবী নং ৮৯২;</div><div><br></div><div>এই রাবী সম্পর্কে ইমাম ফালুজী আছরী (র:) ও ইমাম হাফিজ ইবনু হাজার আসকালানী (র:) বলেন,</div><div>أبو معمر، هو: عبد الله بن سخبرة، الأزدي، ويقال: الأسدِي، الكوفي، توفي في إمارة عبيد الله بن زياد، من الثانية، ثقة.</div><div>-“আবু মামার আর তিনি হলেন আব্দুল্লাহ ইবনে ছাখবারা আজদী, তাকে উসাদী আল-কূফী বলা হয়। উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ এর যুগে সে মারা যায়। সে বিশ্বস্ত রাবী।”  ৮০৫৫,  ইমাম ইবনে জারির তাবারী: মুজামুস ছাগীর, রাবী নং ৫৯৮৬; ইমাম আসকালানী: আল ইছাবা ফি তামিজিছ ছাহাবা, রাবী নং ৩১০৫; ইমাম আসকালানী: তাকরিবুত তাহজিব, রাবী নং ৩৩৪১;</div><div><br></div><div>হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী (র:) আরো বলেন,</div><div>قال أبو بكر بن أبي خيثمة عن يحيى بن معين ثقة وذكره ابن حبان في الثقات قال ابن سعد وهو ثقة وله أحاديث وقال العجلي كوفي تابعي ثقة.</div><div>-“আবু বকর ইবনে হাইছামা ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন (র:) হতে বর্ণনা করেন, সে বিশ্বস্ত। ইবনে হিব্বান (র:) তাকে বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। ইবনে সা’দ (র:) বলেন: সে বিশ্বস্ত, তার একাধিক রেওয়ায়েত রয়েছে। ইমাম ইজলী (র:) বলেন: কূফী তাবেঈ ছিলেন এবং বিশ্বস্ত।”  ৮০৬৬,  ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ৩৯৭;</div><div><br></div><div>ইমাম যাহাবী (র:) বলেন,</div><div>تَابِعِيٌّ مَشْهُورٌ، وُلِدَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَثَّقَهُ ابْنُ مَعِينٍ.</div><div>-“সু-পরিচিত তাবেঈ ছিলেন। সে রাসূলে পাক (ﷺ) এর যুগেই জন্মগ্রহণ করেছিল। ইবনে মাঈন (র:) তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন।”  ৮০৭৭,  ইমাম যাহাবী: তারিখে ইসলামী, রাবী নং ৫৩;</div><div><br></div><div>ইমাম মিযযী (র:) বলেন,</div><div>قال أَبُو بكر بْن خيثمة، عَنْ يحيى بْن مَعِين: ثقة. وذكره ابنُ حِبَّان فِي كتاب الثقات</div><div>-“আবু বকর হাইছামা হযরত ইবনে মাঈন (র:) থেকে বর্ণনা করেন, সে বিশ্বস্ত। ইবনে হিব্বান (র:) তাকে বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন।”  ৮০৮৮,  ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৩২৯১;</div><div><br></div><div>আল্লামা হাফিজ ইবনে কাছির (র:) বলেন,</div><div>أبو مَعْمَر: عبد الله بن سَخْبَرَة الأَزْديُّ، تابعي -“আবু মামার আব্দুল্লাহ ইবনে ছাখবারাহ আজদী ছিলেন তাবেঈ।”  ৮০৯৯,  হাফিজ ইবনে কাছির: তাকমিল ফি জারহি ওয়া তাদিল, ৩য় খন্ড, ৪৫০ পৃ:;</div><div><br></div><div>ইমাম আবু হাতিম রাজী (র:) বলেছেন, سألت يحيى بن معين عن أبي معمر فقال: كوفي ثقة. </div><div>-“আমি ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন (র:) কে আবু মামার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন: কূফী বিশ্বস্ত।”  ৮১০১০,  জারাহ ওয়া তাদিল, রাবী নং ৩২১;</div><div><br></div><div>দেখুন এতজন ইমাম ‘আব্দুল্লাহ ইবনু ছাখবারাহ’ সম্পর্কে তাবেঈ, বিশ্বস্ত বলার পরেও জনাব আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেব তিনার ‘হাদিসের নামে জালিয়াতী’ বইয়ের ৪৫২ পৃষ্টায় লিখেছেন- “আব্দুল্লাহ ইবনু ছাখবারাহ নামক ব্যক্তিটিও অপরিচিত।” মিথ্যাচারিতা কাকে বলে দেখুন!</div><div>এই হাদিসের আরেকজন রাবী ‘ছাখবারাহ’ সম্পর্কে ইমাম বুখারী (র:) বলেন, سَخْبَرَة الْأَزْدِيّ لَهُ صُحْبَة روى عَنهُ عبد الله ابْنه -“ছাখবারাহ আজদী (رضي الله عنه) সাহাবী ছিলেন, তার থেকে তদীয় সন্তান আব্দুল্লাহ রেওয়ায়েত বর্ণনা করেছেন।”  ৮১১১১,  দোয়াফাই ছাগীর, রাবী নং ১৫৯; ইমাম বুখারী: তারিখুল কবীর, রাবী নং ২৫২৭;</div><div><br></div><div>ইমাম ইবনে হিব্বান (র:) তাকে ‘কিতাবুস সিক্বাত’-এ এভাবে উল্লেখ করেছেন, سَخْبَرَة الْأَزْدِيّ وَالِد عَبْد اللَّه بْن سَخْبَرَة يُقَال إِن لَهُ صُحْبَة </div><div>-“ছাখবারাহ আজদী (رضي الله عنه) ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনে ছাখবারাহ এর পিতা। তাকে সাহাবী বলা হয়েছে।”  ৮১২১২,  কিতাবুস সিক্বাত, রাবী নং ৬০৬;</div><div><br></div><div>‘ছাখবারা’ সম্পর্কে হাফিজ ইবনু হাজার আসকালানী (র:) বলেন,</div><div>صحابي في إسناد حديثه -“তিনি সাহাবী ছিলেন, তার থেকে বর্ণিত হাদিসের সনদ দুর্বল।”  ৮১৩১৩,  ইমাম আসকালানী: তাকরীতুত তাহজিব, রাবী নং ২২১৩;</div><div><br></div><div>মুহাম্মদ ইবনে হুছাইন মুছিলী আজদী ওফাত ৩৭৪ হিজরী ও ইমাম আবু হাতিম (র:) বলেন, سخبرة الأزدي، له صحبة، -“ছাখবারাহ আজদী (رضي الله عنه) সাহাবী ছিলেন।”  ৮১৪১৪,  জিকরু ইমে কুল্লে ছাহাবী, রাবী নং ২৩৭, জারাহ ওয়া তাদিল, রাবী নং ১৩৯১;</div><div><br></div><div>ইমাম ইবনে আছির (র:) ওফাত ৬৩০ হিজরী, হাফিজ ইবনে আব্দিল র্বাররর (র:) ও ইমাম মিযযী (র:) বলেন: </div><div>سخبرة، والد عَبد اللَّهِ بْن سخبرة، يقال: لَهُ صحبة. -“ছাখবারাহ (رضي الله عنه) ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবনে ছাখবারাহ (র:) এর পিতা, তাকে সাহাবী বলা হয়।”  ৮১৫১৫,  ইমাম ইবনুল আছির: উসদুল গাবা, রাবী নং ১৯৪৩; ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ২১৮৫; ইসতিআব বি’মারিফাতিল আসহাব, রাবী নং ১১৩০;</div><div><br></div><div>এতজন ইমাম হযরত ছাখবারাহ (رضي الله عنه) কে সাহাবী হিসেবে উল্লেখ করার পরেও জনাব আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেব তিনার ‘হাদিসের নামে জালিয়াতী’ বইয়ের ৪৫২ পৃষ্টায় লিখেছেন- “অনুরূপভাবে এ ‘সাখবারাহ’ নামক সাহাবীর কথাও এ ‘অন্ধ আব্দুল্লাহ’ ছাড়া কেউ কখনো উল্লেখ করেন নি।”</div><div>দেখুন পিতার কথা বিশ্বস্ত সন্তান উল্লেখ করে হাদিস বর্ণনা করাতেও সমালোচনা করলেন।! বড়ই হাস্যকর!! উল্লেখিত বর্ণনার আলোকে বলা যায়, এই হাদিসের মান হাছান অথবা ছহীহ্ পর্যায়ের হবে। কারণ সাহাবী ‘ছাখবারাহ’ ও তদীয় পুত্র তাবেঈ ‘আব্দুল্লাহ ইবনে ছাখবারাহ’ উভয়েই বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য রাবী। ইমামগণ তাদের ব্যাপারে সু-স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন।</div><div>অথচ ভূয়া তাহকিক কারী নাছিরুদ্দিন আলবানী ও তার অন্ধ অনুসারী মুজাফ্ফর বিন মহসিন বলেছে, </div><div>ولا نعرف لعبد الله بن سخبرة كبير شيء، ولا لأبيه، -“আমি আব্দুল্লাহ ইবনে ছাখবারাহ সম্পর্কে বেশী কিছু জানিনা এবং তার পিতা সম্পর্কেও জানিনা।”  ৮১৬১৬,  আলবানী: ছিলছিলায়ে জয়ীফা, ১০ম খন্ড, ৩০ পৃ:;</div><div><br></div><div>আশ্চর্যের বিষয় হল, যিনি হাদিস বর্ণনা করেছেন তিনি হাদিস খানাকে ‘জাল’ বলেননি, এবং কোন ইমাম’ই হাদিসটিকে ‘মওজু’ বলেননি। অথচ ভূয়া তাহকিক কারী নাছিরুদ্দিন আলবানী হাদিস খানাকে ‘জাল’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। আর এ কথা সকলেই অবগত আছেন, উৎসাহ প্রদানে ও ফাজায়েলের ক্ষেত্রে ‘দ্বায়িফ’ হাদিস গ্রহণযোগ্য।</div>

ইলিম অন্বেষণ করলে পূর্ববর্তী গোনাহ মাফ

ইলিম অন্বেষণ করলে পূর্ববর্তী গোনাহ মাফ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُعَلَّى، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ خ...

Read more »

পাগড়ী মাথায় নামাজ পড়লে ৭০ গুণ সওয়াব বেশী

<div>পাগড়ী মাথায় নামাজ পড়লে ৭০ গুণ সওয়াব বেশী</div><div><br></div><div>عَن جَابر قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم رَكْعَتَانِ بِعِمامَةٍ خَيْرٌ مِنْ سَبْعِينَ رَكْعَةً بِلا عِمامَةٍ</div><div><br></div><div>-“হযরত জাবের (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: পাগড়ী পরা অবস্থায় দুই রাকাত নামাজ পাগড়ী বিহীন নামাজের ৭০ রাকাতের সমান সওয়াব।” ৭৮৯৮৯,  মুসনাদে ফিরদৌস, হাদিস নং ৩২৩৩; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিস, হাদিস নং ১২৭৭৪; ইমাম ছিয়তী: জামেউছ ছাগীর, ১ম জি: ২৭৩ পৃ: হাদিস নং ৬৯৭৪; ইমাম ছিয়তী: ফাতহুল কবীর, হাদিস নং ৬৬২৫; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৪১১১৩৮; ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানাহ, ১ম খন্ড, ৪৬৬ পৃ:; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, হাদিস নং ১৬০৩; আল্লামা মানাভী: ফায়জুল কাদীর কিতাবে ৪৪৬৮ নং হাদিস; আল্লামা ছানআনী: আত তানভীর শরহে জামেউছ ছাগীর, ৪৪৫২ নং হাদিস; আল্লামা মানাভী: আত তাইছির শরহে জামেউস ছাগীর, ২য় খন্ড, ৩৫ পৃ:; আলবানী: ছিলছিলায়ে আহাদিসিদ দ্বায়িফা, হাদিস নং ৫৬৯৯;</div><div><br></div><div>এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম ইসমাঈল আজলুনী (র:) বলেন,</div><div>لكن أورد السيوطي في الجامع الصغير عن جابر بلفظ ركعتان بعمامة خير من سبعين ركعة من غير عمامة فهو غير موضوع لأن الجامع المذكور جرده مؤلفه عن الموضوع.</div><div>-“ইমাম ছিয়তী (র:) তার ‘জামেউস ছাগীর গ্রন্থে এই শব্দে হাদিসটি উল্লেখ করেছেন:- পাগড়ী সহ ২ রাকাত পাগড়ী ব্যতীত ৭০ রাকাতের সমান। এই হাদিস মওজু নয়, কারণ জামেউছ ছাগীর কিতাবে লেখক কোন মওজু হাদিস উল্লেখ করেননি।” ৭৯০৯০,  ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, হাদিস নং ১৬০৩;</div><div><br></div><div>ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী (র:) অনুরূপ বলেছেন,</div><div>قُلْتُ مَرْوِيُّ ابْنِ عُمَرَ نَقَلَهُ السُّيُوطِيُّ عَنِ ابْنِ عَسَاكِرَ فِي جَامِعِهِ الصَّغِيرِ مَعَ الْتِزَامِهِ بِأَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ فِيهِ الْمَوْضُوعَ</div><div>-“আমি (আলী ক্বারী) বলি: ইমাম ছিয়তী (র:) বর্ণনাকারী হযরত ইবনু উমার (رضي الله عنه) থেকে ইমাম ইবনু আসাকির (র:) এর রেফারেন্সে তদীয় জামেউছ ছাগীর গ্রন্থে তিনার প্রতিশ্রুতির সাথে ইহা উল্লেখ করেছেন। কেননা জামেউছ ছাগীর গ্রন্থে তিনি কোন মওজু হাদিস উল্লেখ করেননি।”  ৭৯১৯১,  ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: আসরারুল মারফুয়া, হাদিস নং ২৬৩;</div><div><br></div><div>এই হাদিস সম্পর্কে আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (র:) আরো উল্লেখ করেন,</div><div>وَقَدْ جَاءَ فِي خَبَرٍ ضَعِيفٍ: صَلَاةٌ بِعِمَامَةٍ خَيْرٌ مِنْ سَبْعِينَ صَلَاةً بِغَيْرِ عِمَامَةٍ </div><div>-“অবশ্যই হাদিসে দ্বায়িফ সনদে এসেছে: পাগড়ী সহ ২ রাকাত পাগড়ী ব্যতীত ৭০ রাকাতের সমান।”  ৭৯২৯২,  ইমাম মোল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১৪১০ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়;</div><div><br></div><div>এই হাদিস সম্পর্কে আল্লামা মানাভী (র:) বলেন,</div><div>(رَكْعَتَانِ بعمامة خير من سبعين رَكْعَة بِلَا عِمَامَة) لِأَن الصَّلَاة حَضْرَة الْملك وَالدُّخُول إِلَى حَضْرَة الْملك بِغَيْر تجمل خلاف الْأَدَب (فر عَن جَابر) وَهُوَ غَرِيب </div><div>-“পাগড়ী সহ ২ রাকাত পাগড়ী ব্যতীত ৭০ রাকাতের সমান। কেননা নামাজে ফেরেস্থারা উপস্থিত থাকেন, আর নামাজে পাগড়ী ব্যতীত প্রবেশ করা ফেরেস্থাদের আদবের খেলাফ। হযরত জাবের (رضي الله عنه) থেকে মুসনাদু ফেরদৌছে বর্ণনা করেছেন আর ইহা গরীব।”  ৭৯৩৯৩,  আল্লামা মানাভী: আত তাইছির শরহে জামেউস ছাগীর, ২য় খন্ড, ৩৫ পৃ:;</div><div><br></div><div>হাদিসটি সম্পর্কে হাফিজুল হাদিস ইমাম ছাখাবী (র:) বলেছেন,</div><div>ومما لا يثبت ما أورده الديلمي في مسنده عن ابن عمر رفعه</div><div>-“এমনিভাবে হযরত ইবনু উমার (رضي الله عنه) থেকে মারফূভাবে ইমাম দায়লামী (র:) তদীয় মুসনাদে ইহা বর্ণনা করেছেন, ইহা ছাবিত নয়।”  ৭৯৪৯৪,  ইমাম ছাখাভী: মাকাছিদুল হাছানাহ, ৭১৫ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়;</div><div><br></div><div>মুহাদ্দিছিনে কেরামগণ যখন কান হাদিস সম্পর্কে বলেন তখন ইহা মওজু বুঝায়না এবং ছহীহ্ও বুঝায়না, বরং দ্বায়িফ অথবা হাছান বুঝায়। যেমন হাফিজুল হাদিস ইমাম ছাখাবী (র:) বর্ণনা করেছেন, বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিছ, হাফিজুল হাদিস, ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী (রহ:) বলেছেন,</div><div>وَذكر السخاوي عَنهُ أَن لفظ لَا يثبت لَا يلْزم مِنْهُ أَن يكون مَوْضُوعا فَإِن الثَّابِت يَشْمَل الصَّحِيح فَقَط والضعيف دونه. </div><div>-“ইমাম ছাখাবী (র:) হাফিজ ইবনু হাজার (র:) থেকে বর্ণনা করেন, নিশ্চয় لا يثبت এই শব্দটি হাদিসকে মওজু বলা আবশ্যক করেনা, কেননা ছাবিত শব্দটি শুধুমাত্র ছহীহ্ এর ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় জয়ীফের ক্ষেত্রে নয়।” ৭৯৫৯৫,  আল্লামা তাহের পাটনী: তাযকিরাতুল মওদ্বুআত, ৭৫ পৃষ্ঠা</div><div><br></div><div>সুতরাং ইমাম ছাখাবী (র:) এর দৃষ্টিতে হাদিসটি নূন্যতম দ্বায়িফ। হাফিজ ইবনে তাইমিয়া কোন সমালোচনা ছাড়াই হাদিসটি এভাবে উল্লেখ করেছেন, وقد روى أبو حفص مرفوعا: -“অবশ্যই আবু হাফ্ছ (র:) মারফু সূত্রে বর্ণনা করেছেন।”  ৭৯৬৯৬,  হাফিজ ইবনে তাইমিয়া: শরহে উমদাতুল ফিকহ, ১ম খন্ড, ৩১৪ পৃ:;</div><div><br></div><div>‘আত তানভীর শরহে জামেউছ ছাগীর’ গ্রন্থে এবং আল্লামা মানাভী (র:) ‘ফায়জুল কাদীর’ কিতাবে ৪৪৬৮ নং হাদিসে বলেছেন, এর সনদে </div><div>طَارق بْن عَبْد الرَّحْمَن بْن الْقَاسِم الْقرشِي (ত্বারিক ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে কাছিম) রয়েছে, যাকে ইমামগণের অনেকে বিশ্বস্ত বলেছেন আবার অনেকে ‘শক্তিশালী নয়’ বলেছেন। যেমন: </div><div>ذكره ابنُ حِبَّان فِي كتاب الثقات -“ইবনে হিব্বান (র:) তাকে বিশ্বস্তদের মধ্যে উল্লেখ করেছেন।”  ৭৯৭৯৭,  ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, ৩য় খন্ড, ৪৩৪ পৃষ্টা রাবী নং ৭;</div><div><br></div><div>قلت وقال العجلي ثقة -“ইবনে হাজার আসকালানী (র:) বলেন, আমি বলি: ইমাম ইজলী (র:) বলেছেন: সে বিশ্বস্ত রাবী।”  ৭৯৮৯৮,  ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, ৩য় খন্ড, ৪৩৪ পৃষ্টা রাবী নং ৭;</div><div><br></div><div>সুতরাং ইমাম হায়ছামী (র:) এর উসূল মোতাবেক হাদিসটির সনদের স্তর হচ্ছে ‘হাছান’। “ত্বারেক ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে কাসেম” সম্পর্কে ইমাম নাসাঈ (র:) সমালোচনা করলেও ইমাম ইবন হিব্বান (র:) ও ইমাম ইজলী (র:) ‘বিশ্বস্ত’ বলেছেন তাই এ অবস্থায় তার বর্ণিত হাদিসের স্তর হবে ‘হাছান’। </div><div>প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন, এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী (র:), ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী (র:), ইমাম ইসমাঈল আজলুনী (র:) প্রমূখ দ্বায়িফ বলেছেন, কিন্তু কওমীদের বড় আলেম জনাব জুনায়েদ বাবুনগরীর তত্ত¡াবধানে ও নির্দেশনায় লিখিত ‘প্রচলিত জাল হাদিস’ নামক বইয়ের চতুর্থ প্রকাশের ১২৮ পৃষ্টায় লিখে দিয়েছেন-</div><div>“এ হাদীসটি সম্পূর্ণ বাতিল। হাফিজুল হাদিস আল্লামা ছাখাবী, ইমাম আজলুনী ও ইমাম শাওকানীও হাদিসটিকে মওজু বলে অভিহিত করেছেন।” অথচ ইহা ইমামগণের চূড়ান্ত ফায়ছালা নয়। এখানে ইমামদের নামে চূড়ান্ত কথা গোপন করে মিথ্যাচারিতা করা হয়েছে।</div>

পাগড়ী মাথায় নামাজ পড়লে ৭০ গুণ সওয়াব বেশী

পাগড়ী মাথায় নামাজ পড়লে ৭০ গুণ সওয়াব বেশী عَن جَابر قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم رَكْعَتَانِ بِعِمامَةٍ خَيْرٌ مِنْ سَبْعِ...

Read more »

শুধুমাত্র নবীজির রওজা যিয়ারতের নিয়তে গেলে শাফায়াত ওয়াজিব

<div>শুধুমাত্র নবীজির রওজা যিয়ারতের নিয়তে গেলে শাফায়াত ওয়াজিব</div><div><br></div><div>حَدَّثَنَا عَبْدَانُ بْنُ أَحْمَدَ قَالَ: نَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْعِبَادِيُّ الْبَصْرِيُّ قَالَ: نَا مَسْلَمَةُ بْنُ سَالِمٍ الْجُهَنِيُّ قَالَ: حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ جَاءَنِي زَائِرًا لَا تُعْمِلُهُ حَاجَةٌ إِلَّا زِيَارَتِي، كَانَ حَقًّا عَلَيَّ أَنْ أَكُونَ لَهُ شَفِيعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ </div><div><br></div><div>-“হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) বলেন রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি আমার কাছে শুধু যিয়ারতের উদ্দেশ্যে আসবে অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয়, তাহলে কেয়ামতের দিন তার জন্য শাফায়াত কারী হওয়া আমার জন্য আবশ্যক হয়ে যাবে।” ৭৭৯৭৯,  তাবারানী তার মুজামুল কবীরে, ৬ষ্ঠ খন্ড, ১৭৪ পৃষ্টা হাদিস নং ১৩১৪৯ ও আওছাতে, ৩য় খন্ড, ২৬৬ পৃ: হাদিস নং ৪৫৪৬; হায়ছামী: মাজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, ৩য় খন্ড, ৬৬৬ পৃ:; সুনানে দারে কুতনী, ৩য় খন্ড, ৩৩৩ পৃ:; ফতোয়ায়ে শামী, ৩য় খন্ড, ৫৪ পৃ:; কাস্তালানী: মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া, ৪র্থ খন্ড, ৫৭১ পৃ:;</div><div><br></div><div>এই হাদিস সম্পর্কে হাফিজ ইরাকী (র:) এর অভিমত,</div><div>قال العراقي: رواه الطبراني من حديث ابن عمر وصححه ابن السكن .. وكذا صححه عبد الحق في سكوته عنه والسبكي في رد مسألة الزيارة لابن تيمية</div><div>-“হাফিজ ইরাকী বলেন, ইমাম তাবারানী (র:) ইবনে উমর (رضي الله عنه) এর হাদিসটি বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম ইবনে সুকান (র:) ইহাকে ছহীহ্ বলেছেন। অনুরূপভাবে ইমাম আব্দুল হাক্ব (র:) ইহার ব্যাপারে চুপ থেকে ছহীহ্ বলেছেন। ইমাম তাজউদ্দিন স্কুী (র:) ইবনে তাইমিয়ার যিয়ারতের মাসয়ালায় খন্ডন করতে গিয়ে হাদিসটিকে ছহীহ্ বলেছেন।” ৭৮০৮০,  হাফিজ ইরাকী: তাখরিজু আহাদিছিল এহইয়া, ১ম খন্ড, ৩০৬ পৃ: ৪ নং হাদিস; তাখরিজু আহাদিছি এহইয়াই উলুমুদ্দিন, ৭৭২ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়;</div><div><br></div><div>এই হাদিসের রাবী ‘সালেম, নাফে ও উবাইদুল্লাহ ইবনে উমর’ সকলেই বুখারী-মুসলীমের রাবী। বর্ণনাকারী ‘মুসলীম ইবনে সালেম জুহানী’ কে ইমাম ইবনে মাঈন (র:) বিশ্বস্ত বলেছেন।  ৭৮১৮১,  ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ২৭৩;</div><div><br></div><div>ইমাম আবু হাতিম ও ইয়াকুব ইবনে সুফিয়ান (র:) বলেছেন তার ব্যাপারে অসুবিধা নেই। ইমাম ইবনে শাহিন (র:) তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন।  ৭৮২৮২,  ইমাম মুগলতাঈ: ইকমালু তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৪৫৩৮;</div><div><br></div><div>এই হাদিসের সনদে مَسْلَم بْنُ سَالِمٍ الْجُهَنِيُّ (মুসলিম ইবনে ছালিম) নামক একজন রাবী রয়েছে, যার ব্যাপারে ইমামগণের অভিমত লক্ষ্য করুন, وَثَّقَهُ ابْنُ مَعِينٍ. -“ইবনে মাঈন (র:) তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন।” ৭৮৩ ৮৩,  ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ২৭৩;</div><div><br></div><div>وذكره ابن شاهين في كتاب الثقات. -“ইবনে শাহিন (র:) তাকে বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন।”  ৭৮৪৮৪,  ইমাম মুগলতাঈ: ইকমালু তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৪৫৩৮;</div><div><br></div><div>وذكره ابنُ حِبَّان في كتاب الثقات. -“ইবনে হিব্বান (র:) তাকে বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন।”  ৭৮৫৮৫,  ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৫৯২৭;</div><div><br></div><div>وقال يعقوب بن سفيان: لا بأس به. -“ইয়াকুব ইবনে সুফিয়ান (র:) বলেছেন: তার ব্যাপারে অসুবিধা নেই।”  ৭৮৬৮৬,  ইমাম মুগলতাঈ: ইকমালু তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৪৫৩৮;</div><div><br></div><div>وفي الجرح والتعديل: مسلم بن سالم، كوفي، لا بأس به. -“জারাহ ওয়া তাদিল গ্রন্থে আছে, মুসলীম ইবনে সালিম কূফী এবং তার ব্যাপারে অসুবিধা নেই।”  ৭৮৭৮৭,  ইমাম মুগলতাঈ: ইকমালু তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৪৫৩৮;</div><div><br></div><div>অতএব, এই রাবীর রেওয়ায়েত অবশ্যই হাছান-ছহীহ্ হবে। কারণ শুধু মাত্র আবু দাউদ তার ব্যাপারে সমালোচনা করেছেন এছাড়া বাকী সকল ইমামগণ তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন। হাদিসটি ‘মুসলীম ইবনে ছালিম জুহানী’ থেকে ভিন্ন আরেকটি সূত্রে সামান্য শাব্দিক ব্যবধানে ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী (র:) এভাবে বর্ণনা করেছেন,</div><div>حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حَيَّانَ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ سُلَيْمَانَ الْهَرَوِيُّ، ثنا مُسْلِمُ بْنُ حَاتِمٍ الأَنْصَارِيُّ، ثنا مُسْلِمُ بْنُ سَالِمٍ الْجُهَنِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ يَعْنِي: الْعُمَرِيَّ حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ جَاءَنِي زَائِرًا لَمْ تَنْزِعْهُ حَاجَةٌ إِلا زِيَارَتِي، كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ أَكُونَ لَهُ شَفِيعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ</div><div>-“হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) বলেন রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি আমার কাছে শুধু যিয়ারতের উদ্দেশ্যে আসবে অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয়, তাহলে কেয়ামতের দিন আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য শাফায়াত কারী হওয়া আমার জন্য আবশ্যক হয়ে যাবে।”  ৭৮৮৮৮,  ইমাম আবু নুয়াইম: তারিখে ইস্পাহান, ২য় খন্ড, ১৯০ পৃ:;</div><div><br></div><div>দুইটি সুত্র মিল হাদিসটি আরো শক্তিশালী হবে। ফলে হাদিসটি ছহীহ্ হওয়াতে কোন বাধা থাকবেনা।</div>

শুধুমাত্র নবীজির রওজা যিয়ারতের নিয়তে গেলে শাফায়াত ওয়াজিব

শুধুমাত্র নবীজির রওজা যিয়ারতের নিয়তে গেলে শাফায়াত ওয়াজিব حَدَّثَنَا عَبْدَانُ بْنُ أَحْمَدَ قَالَ: نَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْعِبَ...

Read more »

যে আমার রওজা যিয়ারত করবে তার জন্য শাফায়াত ওয়াজিব

<div>যে আমার রওজা যিয়ারত করবে তার জন্য শাফায়াত ওয়াজিব</div><div><br></div><div>حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدِ بْنِ نُوحٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ هِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخُو عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ زَارَ قَبْرِي وَجَبَتْ لَهُ شَفَاعَتِي </div><div><br></div><div>-“হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি আমার রওজা যিয়ারত করল তার জন্য আমার শাফায়াত আবশ্যক হয়ে গেছে।”  ৭৬৪৬৪,  সুনানে দারে কুতনী, ৩য় খন্ড, ৩৩৪ পৃ:; কাজী আয়্যায: শিফা শরীফ, ১ম জি: ৪৪৪ পৃ:; হাফিজ ইবনে কাছির: জামেউল মাসানিদ ওয়াস সুনান, ২৮তম খন্ড, ৭৬৮৯ পৃ:; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, ১৫তম খন্ড, ২৭৪ পৃ:; ইমাম কাস্তালানী: মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া, ৪র্থ খন্ড, ৫৭০ পৃ:; ইমাম ছিয়তী: জামেউছ ছাগীর, ২য় জি: ৫২৮ পৃ:; হাকেম তিরমিজি: নাওয়াদেরুল উসূল, ৪৮ পৃ:; হাফিজ উকায়লী কৃত: ‘আদ্ব দ্বোয়াফা’ ৪র্থ খন্ড, ১৭০ পৃ:; ইমাম হায়ছামী: মাজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, ৩য় খন্ড, ৬৬৬ পৃ:; ইবনে আদী তাঁর কামিলে;</div><div><br></div><div>এই হাদিস সস্পর্কে আল্লামা ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী (র:) বলেন, </div><div>رواه الدارقطني وغيره وصححه جماعة من أئمة الحديث -“ইমাম দারে কুতনী (র:) সহ অন্যান্য ইমামগণ ইহা বর্ণনা করেছেন, হাদিস শাস্ত্রের একদল ইমাম এই হাদিসকে ছহীহ্ বলেছেন।”  ৭৬৫৬৫,  ইমাম মোল্লা আলী: শরহে শিফা, ২য় খন্ড, ১৫০ পৃ:;</div><div><br></div><div>শারিহে বুখারী আল্লামা ইমাম কাস্তালানী (র:) বলেন,</div><div>ورواه عبد الحق فى أحكامه الوسطى، وفى الصغرى وسكت عنه، وسكوته عن الحديث فيهما دليل على صحته.</div><div>-“ইমাম আব্দুল হক্ব তার ‘আহকামুল অছতী ও ছুগরা’ গ্রন্থে ইহা বর্ণনা করেছেন এবং চুপ থেকেছেন। তার এই হাদিসের উপর চুপ থাকা হাদিসটি ছহীহ্ হওয়ার প্রমাণ।”  ৭৬৬৬৬,  ইমাম কাস্তালানী: মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া, ৩য় খন্ড, ৫৮৮ পৃ:;</div><div><br></div><div>আল্লামা ইমাম যুরকানী (র:) এই হাদিসের ব্যাখ্যায় তদীয় কিতাবে বলেন, تحقَّقت وثبتت -“ইহা তাহকিক করলাম ও প্রমাণিত করলাম।”  ৭৬৭৬৭,  ইমাম যুরকানী: শরহে মাওয়াহেব, ১২তম খন্ড, ১৭৯ পৃ:;</div><div><br></div><div>এই হাদিস সম্পর্কে আল্লামা ইবনুল মুলাক্কিন (র:) বলেন, </div><div>وَهَذَا إسنادٌ جيدٌ، -“এই সনদ অতি-উত্তম।”  ৭৬৮৬৮,  আল্লামা ইবনে মুলাক্কিন: বাদরুল মুনীর, ৬ষ্ঠ খন্ড, ২৯৬ পৃ:;</div><div><br></div><div>এই হাদিস সম্পর্কে আল্লামা নুরুদ্দিন সানাদী (র:) বলেছেন,</div><div>رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيُّ وَغَيْرُهُ وَصَحَّحَهُ عَبْدُ الْحَقِّ -“ইমাম দারে কুতনী ও অন্যান্যরা ইহা বর্ণনা করেছেন, ইমাম আব্দুল হক্ব (র:) একে ছহীহ্ বলেছেন।”  ৭৬৯৬৯,  হাশিয়াতুল সানাদী আলা সুনানি ইবনে মাজাহ, ২য় খন্ড, ২৬৮ পৃ:;</div><div><br></div><div>আল্লামা হাফিজ ইবনে হাজার মক্কী (র:) বলেন, </div><div>وصححه جماعة من أئمة الحديث -“হাদিস শাস্ত্রের একদল ইমাম এই হাদিসকে ছহীহ্ বলেছেন।”  ৭৭০৭০,  যাওয়াহিরুল মুনাজ্জাম, ৪২ পৃ:;</div><div><br></div><div>আল্লামা শায়েখ ইউছুফ নাবহানী (র:) তদীয় গ্রন্থে বলেন,</div><div>صححه جماعة من أئمة الحديث -“হাদিস শাস্ত্রের একদল ইমাম এই হাদিসকে ছহীহ্ বলেছেন।”  ৭৭১৭১,  শাওয়াহিদুল হক্ব, ৭৭ পৃ:;</div><div><br></div><div>তিনি আরো বলেন: وابن السكن وصحيحه -“ইমাম ইবনে সুকন (র:) হাদিসটি বর্ণনা করেছেন এর ছহীহ্ বলেছেন।”  ৭৭২৭২,  শাওয়াহিদুল হক্ব, ৭৭ পৃ:;</div><div><br></div><div>সুনানে দারে কুতনীর সনদে مُوسَى بْنُ هِلَالٍ الْعَبْدِيُّ (মুসা ইবনে হেলাল আব্দী) নামক একজন রাবী রয়েছে, যার সম্পর্কে ইমামগণের অভিমত গুলো লক্ষ্য করুন,</div><div>وقال ابن عدي: أرجو أنه لا بأس به. -“ইবনে আদী (র:) বলেন: নিশ্চয় তাঁর ব্যাপারে কোন অসুবিধা নেই।”  ৭৭৩৭৩,  হাফিজ ইবনে কাছির: তাকমীল ফি জারহি ওয়া তাদিল, রাবী নং ৪৪৭; ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ৩৭৯;</div><div><br></div><div>قلت: هو صالح الحديث. -“ইমাম যাহাবী (র:) বলেন, আমি বলি: তিনি হাদিসের ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য।”  ৭৭৪৭৪,  ইমাম যাহাবী: মিযানুল এতেদাল, রাবী নং ৮৯৩৭;</div><div><br></div><div>আল্লামা নুরুদ্দিন ছামহুদী (র:) বলেন: </div><div>وقد روى عنه ستة منهم الإمام أحمد، ولم يكن يروي إلا عن ثقة، </div><div>-“তার থেকে ছয়জন হাদিস বর্ণনা করেছেন এর মধ্যে ইমাম আহমদ (র:) একজন। ইমাম বিশ্বস্ত রাবী ব্যতীত কারো কাছ থেকে হাদিস বর্ণনা করেননি।”  ৭৭৫৭৫,  আল্লামা ছামহুদী: অফাউল অফা, ২য় জিল্দ, ২০০ পৃ:;</div><div><br></div><div>অতএব, হাদিসটি সর্বনিম্ন হাছান অথবা ছহীহ্ হওয়ার যোগ্যতা রাখে। কারণ ইমাম আবু হাতেম তাকে না চিনলেও ইমাম ইবনে আদী (র:) তাকে চিনেন ও তাকে গ্রহণযোগ্য রাবী বলেছেন। ইমাম যাহাবী (র:) তার হাদিস গ্রহণযোগ্য বলেছেন। এ সম্পর্কে অন্যত্র আরো উল্লেখ আছে,</div><div>وَهَذَا إِسْنَاد جيد، لَكِن مُوسَى هَذَا قَالَ أَبُو حَاتِم الرَّازِيّ بعد أَن ذكر أَن جمَاعَة رووا عَنهُ: هُوَ مَجْهُول.</div><div>-“এই হাদিসের সনদ অতি-উত্তম কিন্তু মূসা সম্পর্কে আবু হাতেম রাজী (র:) বলেন: তার থেকে একদল রেওয়ায়েত করেছেন আর সে মাজহুল রাবী।”  ৭৭৬৭৬,  আল্লামা ইবনে মুলাক্কিন: বাদরুল মুনীর, ৬ষ্ঠ খন্ড, ২৯৬ পৃ:;</div><div><br></div><div>বাস্তবে বর্ণনাকারী অন্যান্য ইমামদের দৃষ্টিতে মাজহুল নয় বরং মারুফ। সুতরাং সনদের বিবেচনায় হাদিসটি ‘হাছান’ পর্যায়ের। তবে এই হাদিস খানা ‘মুসনাদে বাজ্জার শরীফে’ ‘দ্বায়িফ’ সনদে উল্লেখ রয়েছে। উভয় সনদ মিলিয়ে আরো শক্তিশালী হবে। এ সম্পর্কে আরেকটি রেওয়ায়েতে আছে,</div><div>وعن ابن عمر أيضا أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: من زار قبري حلّت له شفاعتي رواه البزار بسند ضعيف</div><div>-“হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) হতে এরূপ বর্ণিত আছে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন: যারা আমার রওজা যিয়ারত করবে তার জন্য আমার শাফায়াত আবশ্যক হয়ে যাবে। ইমাম বাজ্জার (رضي الله عنه) দুর্বল সনদে ইহা বর্ণনা করেছেন।”  ৭৭৭৭৭,  ইমাম ইবনে ছালেহী: সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১২তম খন্ড, ৩৭৯ পৃ:;</div><div><br></div><div>حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، ثنا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ زَارَ قَبْرِي حَلَّتْ لَهُ شَفَاعَتِي</div><div>قَالَ الْبَزَّارُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ لَمْ يُتَابَعْ عَلَى هَذَا، وَإِنَّمَا يُكْتَبُ مَا يَتَفَرَّدُ بِهِ.</div><div>-“হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) নবী করিম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, প্রিয় নবীজি (ﷺ) বলেছেন: যারা আমার রওজা যিয়ারত করবে তাদের জন্য আমার শাফায়াত আবশ্যক হবে।”  ৭৭৮৭৮,  কাশফুল আসতার আনিজ জাওয়াইদিল বাজ্জার, ২য় খন্ড, ৫৭ পৃ:</div>

যে আমার রওজা যিয়ারত করবে তার জন্য শাফায়াত ওয়াজিব

যে আমার রওজা যিয়ারত করবে তার জন্য শাফায়াত ওয়াজিব حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدِ بْنِ نُوحٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ هِلَالٍ، قَالَ: ح...

Read more »

নবীজির ওফাতের পরে রওজা যিয়ারত করা জীবদ্দশায় যিয়ারত করার সমান

<div>নবীজির ওফাতের পরে রওজা যিয়ারত করা জীবদ্দশায় যিয়ারত করার সমান</div><div><br></div><div>حَدَّثَنِي أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: ثنا سَعْدٌ قَالَ: ثنا حَفْصُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ حَجَّ فَزَارَ قَبْرِي بَعْدَ وَفَاتِي كَانَ كَمَنْ زَارَنِي فِي حَيَاتِي</div><div><br></div><div>-“হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি হজ্ব করল ও আমার ওফাতের পরে রওজা যিয়ারত করল, সে যেন আমার জীবদ্দশায় আমার যিয়ারত করল।”  ৭৫৩৫৩,  ইমাম তাবারানী: মুজামুল আওছাত, হাদিস নং ৩৩৭৬; ইমাম ফাকেহী: আখবারে মক্কা, হাদিস নং ৯৪৯; ইমাম বায়হাক্বী: সুনানে কুবরা, হাদিস নং ১০২৭৪; ইমাম বায়হাক্বী: শুয়াইবুল ঈমান, হাদিস নং ৩৮৫৭; ইমাম তাবারানী: মুজামুল কবীর, হাদিস নং ১৩৪৯৭; সুনানে দারে কুতনী, হাদিস নং ২৬৯৩; মেসকাত শরীফ, হাদিস নং ২৭৫৬;</div><div><br></div><div>হাদিস খানা সনদের দিকে ‘হাছান’ পর্যায়ের, তবে মওজু বা ভিত্তিহীন নয়। সকল ইমামগণের দৃষ্টিতে ফাজায়েলের ক্ষেত্রে হাছান হাদিস অবশ্যই আমলযোগ্য। সকল ইমামগণই হাদিসটি ‘হাফছ ইবনে আবী দাউদ’ এর সূত্রে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন কিন্তু ইমাম ফাকেহী (র:), ইমাম তাবারানী (র:) তার ‘মুজামুল আওছাতে’ ও ইমাম বায়হাক্বী (র:) তার সুনানে কুবরায় ‘হাফ্ছ ইবনে সুলাইমান আবু উমর’ এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। মূলত নামে দুইজন বুঝালেও এগুলো একজনেরই নাম। এই হাদিসের সনদে  لَيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ (লাইছ ইবনে আবী সুলাইম) ও  حَفْصُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأسدي (হাফছ ইবনে সুলাইমান আল আসাদী) নামক দুজন রাবী রয়েছে, যাদের ব্যাপারে ইমামগণের কেউ কেউ দুর্বল আখ্যা দিলেও অনেকেই তাদেরকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য বলেছেন। ফলে হাদিসটি মাঝামাঝি স্তর তথা হাছান হবে। যেমন নিচের বর্ণনা গুলো লক্ষ্য করুন:- حَفْصُ بْنُ سُلَيْمَانَ (হাফছ ইবনে সুলাইমান) এর আরেক নাম হল: “হাফছ ইবনে আবী দাইদ”</div><div>وَقَال أبو علي ابن الصواف، عن عَبد اللَّهِ بن أحمد بْن حنبل، عَن أبيه: صالح.</div><div>-“আবু আলী ইবনে ছুওয়াফ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি তার পিতা হতে বলেন: হাফ্ছ গ্রহণযোগ্য।”  ৭৫৪৫৪,  ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ১৩৯০; ইমাম যাহাবী: মিযানুল এ’তেদাল, রাবী নং ২১২১;</div><div><br></div><div>وَقَال عثمان بن أَحْمَد بن السماك ، عن حنبل بْن إسحاق، عَن أحمد بن حنبل: ما به بأس.</div><div>-“উছমান ইবনে আহমদ ইবনে সিমাক হযরত হাম্বল ইবনে ইসহাক্ব থেকে বর্ণনা করেন, তিনি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (র:) থেকে বর্ণনা করেন: তার ব্যাপারে অসুবিধা নেই।”  ৭৫৫৫৫,  ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ১৩৯০; ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ৫৭;</div><div><br></div><div>قال وكيع: كان ثقة. -“ইমাম ওয়াকী (র:) বলেন: সে বিশ্বস্ত ছিলেন।  ৭৫৬৫৬,  ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ১৩৯০;</div><div><br></div><div>উল্লেখিত ইমামগণের মতামত গুলো বিশ্লেষণ করে বলা যায়,  حَفْصُ بْنُ سُلَيْمَانَ (হাফছ ইবনে সুলাইমান)’ এর বর্ণিত হাদিস ‘হাছান’ পর্যায়ের। কারণ ইমামদের একটি দল তাকে বিশ্বস্ত ও নেক বান্দাহ বলেছেন। তাই উভয়ের মধ্যে সমযোতা সরূপ বলা যায় ইহা ‘ছহীহ্’ও নয় আবার ‘দ্বায়িফ’ও নয় বরং ‘হাছান’।</div><div>এই হাদিসের দ্বিতীয় রাবী لَيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ (লাইছ ইবনে আবী সুলাইম)</div><div>তার ব্যাপারে ইমাম যাহাবী (র:) বলেছেন:</div><div>لَيْثُ بنُ أَبِي سُلَيْمٍ الكوفي: حسن الحديث، -“লাইছ ইবনে আবী সুলাইম কুফী হাছানুল হাদিস।”  ৭৫৬৫৭,  ইমাম যাহাবী: দিওয়ানুদ দোয়াফা, রাবী নং ৩৫০৩;</div><div><br></div><div>قال أبو داود وسألت يحيى عن ليث فقال لا بأس به -“ইমাম আবু দাউদ (র:) বলেন আমি ইয়াহইয়া (র:) কে ‘লাইছ’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি বললেন: তার হাদিসের ব্যাপারে কোন অসুবিধা নেই।”  ৭৫৮৫৮,  ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ৮৫৩; ইমাম যাহাবী: সিয়ারে আ’লামী নুবালা, রাবী নং ৮৪;</div><div><br></div><div>وقال بن عدي له أحاديث صالحة وقد روى عنه شعبة والثوري </div><div>-“ইবনে আদী (র:) বলেন: তার বর্ণিত হাদিস সমূহ নেক, সূফিয়ান ছাওরী ও শুবা (র:) তার থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন।”  ৭৫৯৫৯,  ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ৮৫৩;</div><div><br></div><div>وقال البرقاني سألت الدارقطني عنه فقال صاحب سنة يخرج حديثه</div><div>-“বারকানী বলেন, আমি ইয়াহইয়া (র:) কে লাইছ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি বলেছেন: সে সুন্নাতের অনুসারী এবং তার হাদিস বর্ণনা করি।”  ৭৬০৬০,  ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ৮৫৩;</div><div><br></div><div>وَقَالَ ابْن معِين أَيْضا لَا بَأْس بِهِ -“এমনিভাবে ইমাম ইবনে মাঈন (র:) বলেছেন: তার ব্যাপারে অসুবিধা নেই।” ৭৬১৬১,  ইমাম যাহাবী: আল মুগনী ফিদ দোয়াফা, রাবী নং ৫১২৬; ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ৩৬৯;</div><div><br></div><div>وعن أبى داود: ليس به بأس. وعن يحيى: لا بأس به. -“ইমাম আবু দাউদ (র:) থেকে বর্ণিত আছে: তার ব্যাপারে অসুবিধা নেই। ইমাম ইয়াহইয়া (র:) থেকেও বর্ণিত আছে: তার ব্যাপারে অসুবিধা নেই।”  ৭৬২৬২,  ইমাম আইনী: মাগানিল আখইয়ার, রাবী নং ২১৯১;</div><div><br></div><div>واستشهد به البخارى فى الصحيح -“ইমাম বুখারী (র:) তার ‘ছহীহ্’ গ্রন্থে তার ব্যাপারে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।”  ৭৬৩৬৩,  ইমাম আইনী: মাগানিল আখইয়ার, রাবী নং ২১৯১; ইমাম যাহাবী: সিয়ারে আ’লামী নুবালা, রাবী নং ৮৪;</div><div><br></div><div>উল্লেখিত ইমামগণের মতামতগুলো বিশ্লেষণ করে বলা যায়, لَيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ (লাইছ ইবনে আবী সুলাইম) এর বর্ণিত হাদিস গুলো এ চেটিয়ে দূর্বল তথা দ্বায়িফ হবেনা বরং রেওয়ায়েত গুলো হাছান পর্যায়ের। কেননা ইমামদের একদল তাকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য বলেছেন। আফছুছ হলো! নাছিরুদ্দিন আলবানী তার কিতাবে লিখেছেন এ দু’জন রাবী কর্তৃক বর্ণিত হাদিস নাকি জাল ও ভিত্তিহীন। (নাউজুবিল্লাহ)</div>

নবীজির ওফাতের পরে রওজা যিয়ারত করা জীবদ্দশায় যিয়ারত করার সমান

নবীজির ওফাতের পরে রওজা যিয়ারত করা জীবদ্দশায় যিয়ারত করার সমান حَدَّثَنِي أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: ثنا سَعْدٌ قَالَ: ثنا حَفْصُ بْ...

Read more »

মুহাম্মদ (ﷺ) কে না বানাইলে আসমান জমীন এমনকি আদমকেও বানানো হত না

<div>মুহাম্মদ (ﷺ) কে না বানাইলে আসমান জমীন এমনকি আদমকেও বানানো হত না</div><div><br></div><div>حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَمْشَاذَ الْعَدْلُ، إِمْلَاءً، ثنا هَارُونُ بْنُ الْعَبَّاسِ الْهَاشِمِيُّ، ثنا جَنْدَلُ بْنُ وَالِقٍ، ثنا عَمْرُو بْنُ أَوْسٍ الْأَنْصَارِيُّ، ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: أَوْحَى اللَّهُ إِلَى عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ يَا عِيسَى آمِنْ بِمُحَمَّدٍ وَأْمُرْ مَنْ أَدْرَكَهُ مِنْ أُمَّتِكَ أَنْ يُؤْمِنُوا بِهِ فَلَوْلَا مُحَمَّدٌ مَا خَلَقْتُ آدَمَ وَلَوْلَا مُحَمَّدٌ مَا خَلَقْتُ الْجَنَّةَ وَلَا النَّارَ وَلَقَدْ خَلَقْتُ الْعَرْشَ عَلَى الْمَاءِ فَاضْطَرَبَ فَكَتَبْتُ عَلَيْهِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَسُولٌ اللَّهِ فَسَكَنَ </div><div>-“হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আল্লাহ তা’আলা ঈসা (عليه السلام) এর প্রতি ওহী করলেন। হে ঈসা! তুমি মুহাম্মদ (ﷺ) এর প্রতি ঈমান আন ও তোমার উম্মতদেরকে আদেশ দাও তারা যেন আমার নবীকে দেখা মাত্র ঈমান আনে। কেননা যদি মুহাম্মদ (ﷺ) কে না বানাইতাম তাহলে আদম (عليه السلام) কেও বানাইতাম না। আমি যদি মুহাম্মদ (ﷺ) কে না বানাইতাম তাহলে জান্নাত ও জাহান্নাম বানাইতাম না। আর অবশ্যই পানির উপরে আমার আরশ সৃষ্টি করেছিলাম ফলে ইহা নড়াচড়া করছিল, অত:পর ইহার উপর লিখে দিলাম “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” ফলে আরশ থেমে গেল।” ৭৩৯৩৯,  ইমাম হাকেম: আল-মুস্তাদরাক, ৪র্থ খন্ড, ১৫৮৩ পৃ:; ইমাম আবুশ শায়েখ ইস্পাহানী: তাবকাতুল মুহাদ্দেছীন, ৩য় খন্ড, ২৮৭ পৃ:; ইমাম ছিয়তী: খাছায়েছুল কোবরা, ১ম খন্ড, ২৯ পৃ:; ইমাম আবু বকর ইবনে খিলাল তাঁর ‘আস সুন্নাহ’ গ্রন্থে, ১ম খন্ড, ২৬১ পৃ:, হাদিস নং ৩১৬; শিফাউছ ছিকাম; ইমাম যাহাবী: মিযানুল এ’তেদাল, ৪র্থ খন্ড, ৩০৭ পৃ:; ইমাম আসকালানী: লিছানুল মিযান, ৫ম খন্ড, ৩৪৩ পৃ:; আলবানী: সিলসিলায়ে আহাদিছুদ দ্বায়িফা, ১ম খন্ড, ৪৪৮ পৃ:</div><div><br></div><div>এই হাদিস উল্লেখ করে ইমাম হাকেম নিছাপুরী (র:) বলেন:</div><div> هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ  -“এই হাদিসের সনদ ছহীহ্।”  ৭৪০৪০,  মুস্তাদরাকে হাকেম, ৪র্থ খন্ড, ১৫৮৩ পৃ:;</div><div><br></div><div>ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী (رضي الله عنه) ও আল্লামা নূরুদ্দিন আলী ইবনে আহমদ ছামহুদী (র:) তদীয় কিতাবে হাদিসটি ছহীহ্ হওয়ার কথা এভাবে লিখেছেন:</div><div>وَأخرج الْحَاكِم وَصَححهُ -“হাকেম হাদিসখানা বের করেছেন ও ইহাকে ছহীহ্ বলে সমর্থন করেছেন।” ৭৪১৪১,  ইমাম ছিয়তী: খাছায়েছুল কোবরা, ১ম খন্ড, ২৯ পৃ:; আল্লামা ছামহুদী: অফাউল অফা, ৪র্থ জি: ২২৪ পৃ:;</div><div><br></div><div>এই হাদিসের সনদে سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ “ছাঈদ ইবনে আবী উরওয়া” নামক রাবী সম্পর্কে কেউ কেউ দ্বায়িফ ধারণা করলেও তাঁর সম্পর্কে ইমাম বুখারী (র:) এর উস্তাদ ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে কাত্তান (র:) বলেন: ইমাম শরফুদ্দিন নববী (র:) তার ব্যাপারে বলেন, </div><div>واتفقوا على توثيقه. روى له البخارى ومسلم، -“তার বিশ্বস্ততার ব্যাপারে সকলেই একমত হয়েছে। ইমাম বুখারী ও মুসলীম তার থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন।” ৭৪২৪২,  ইমাম নববী: তাহজিবুল আসমাউ ওয়াস ছিফাত, রাবী নং ২১৩;</div><div><br></div><div> ইমাম ইবনে হিব্বান তাকে বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। ৭৪৩৪৩,  ইমাম ইবনে হিব্বান: কিতাবুস ছিক্বাত, রাবী নং ৮১০৪;</div><div><br></div><div>وقال ابن معين والنسائي ثقة وقال أبو زرعة ثقة مأمون وقال ابن أبي خيثمة أثبت الناس</div><div>-“ইমাম ইবনে মাঈন ও ইমাম নাসাঈ তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন। ইমাম আবু যুরাআ বলেছেন, সে বিশ্বস্ত ও গ্রহণযোগ্য। ইমাম আবু হাইছামা বলেন, সে মানুষের মধ্যে প্রমাণিত ব্যক্তি।”  ৭৪৪৪৪,  ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ১১০;</div><div><br></div><div>وَقَالَ ابْنُ مَعِينٍ: أَثْبَتُهُمْ فِي قَتَادَةَ سَعِيدٌ، وَالدَّسْتُوَائِيُّ، وَشُعْبَةُ. -“ইমাম ইবনে মাঈন বলেন, সে কাতাদা, সাঈদ, দাসতুয়াঈ ও শুবা (র:) থেকে হাদিস বর্ণনায় প্রমাণিত।”  ৭৪৫৪৫,  ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ৬৭;</div><div><br></div><div>وكان سفيان بن حبيب عالما بشعبة وسعيد. -“প্রখ্যাত ফকিহ্ আল্লামা সুফিয়ান ইবনে হাবীব আলিম হয়েছেন হযরত শুবা (র:) ও ছাঈদ ইবনে উরওয়া (র:) এর উছিলায়।”  ৭৪৬৪৬,  ইমাম যাহাবী: মিযানুল এ’তেদাল, ২য় খন্ড, ৪৬৮ পৃ:;</div><div><br></div><div>ইমাম ইবনে আদী (র:) বলেন: قال ابن عدي: سعيد من الثقات. </div><div>-“ছাঈদ ইবনে উরওয়া বিশ্বস্তদের মধ্যে একজন।” ৭৪৭৪৭,  ইমাম যাহাবী: মিযানুল এ’তেদাল, ২য় খন্ড, ৪৬৮ পৃ:</div><div><br></div><div>وَقَال إسحاق بْن مَنْصُور عَنْ يحيى بْن مَعِين، وأبو زُرْعَة ، والنَّسَائي: ثقة.</div><div>-“ইসহাক্ব ইবনে মানছুর হযরত ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন (র:), আবু যুরাআ (র:) ও ইমাম নাসাঈ (র:) থেকে বর্ণনা করেন, সে বিশ্বস্ত।” ৭৪৮৪৮,  ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ২৩২৭;</div><div><br></div><div>وَقَالَ أَبُو حَاتِمٍ: هُوَ ثِقَةٌ -“ইমাম আবু হাতিম বলেন, সে বিশ্বস্ত।” ৭৪৯৪৯,  ইমাম যাহাবী: তারিখুল ইসলাম, রাবী নং ৬৭;</div><div><br></div><div>وقال ابن سعد: كان ثقة. كثير الحديث -“ইমাম ইবনে সাদ বলেন, সে বিশ্বস্ত ও তা প্রচুর হাদিস।” ৭৫০৫০,  ইমাম মুগলতাঈ: উকমালু তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ২০১৬;</div><div><br></div><div> وقال العجلي: ثقة -“ইমাম ইজলী বলেন, সে বিশ্বস্ত।” ৭৫১৫১,  ইমাম মুগলতাঈ: উকমালু তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ২০১৬;</div><div><br></div><div>ইমাম যাহাবী (র:) নিজেই অন্যত্র বলেন: سعيد بن أبي عرُوبَة ثِقَة </div><div>-“সাঈদ ইবনে আবী উরওয়া বিশ্বস্ত।” ৭৫২৫২,  ইমাম যাহাবী: আল মুগনী ফিদ দুয়াফা, রাবী নং ২৪৩৩;</div><div><br></div><div>এছাড়া ‘আমর ইবনে আওছ আনছারী’ মাজহুল রাবী হলেও ইমাম হাকেম (র:)সহ অনেকেই তার উপর নির্ভর করে তার বর্ণিত হাদিস বর্ণনা করেছেন। সর্বোপরি এই হাদিস নির্ভরযোগ্য। এই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়, জান্নাত-জাহান্নাম সৃষ্টির পূর্বেই আল্লাহ পাক হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) কে সৃষ্টি করেছেন। এমনকি হযরত আদম (عليه السلام) কে বানাইবার পূর্বেই আল্লাহ পাক হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) কে সৃষ্টি করেছেন। আর মাটির তৈরী প্রথম মানুষ হল হযরত আদম (عليه السلام), আমাদের নবী এরও পূর্বে সৃষ্টি, তাই তিনি মাটির তৈরী নন, বরং আল্লাহর নূরের তৈরী। </div>

মুহাম্মদ (ﷺ) কে না বানাইলে আসমান জমীন এমনকি আদমকেও বানানো হত না

মুহাম্মদ (ﷺ) কে না বানাইলে আসমান জমীন এমনকি আদমকেও বানানো হত না حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَمْشَاذَ الْعَدْلُ، إِمْلَاءً، ثنا هَارُونُ بْنُ ال...

Read more »

আদম (عليه السلام) হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এর উছিলায় ক্ষমা লাভ

<div>আদম (عليه السلام) হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এর উছিলায় ক্ষমা লাভ</div><div><br></div><div>حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مَنْصُورٍ الْعَدْلُ، ثنا أَبُو الْحَسَنِ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، ثنا أَبُو الْحَارِثِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُسْلِمٍ الْفِهْرِيُّ، ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْلَمَةَ، أَنْبَأَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَمَّا اقْتَرَفَ آدَمُ الْخَطِيئَةَ قَالَ: يَا رَبِّ أَسْأَلُكَ بِحَقِّ مُحَمَّدٍ لَمَا غَفَرْتَ لِي، فَقَالَ اللَّهُ: يَا آدَمُ، وَكَيْفَ عَرَفْتَ مُحَمَّدًا وَلَمْ أَخْلُقْهُ؟ قَالَ: يَا رَبِّ، لِأَنَّكَ لَمَّا خَلَقْتَنِي بِيَدِكَ وَنَفَخْتَ فِيَّ مِنْ رُوحِكَ رَفَعْتُ رَأْسِي فَرَأَيْتُ عَلَىَ قَوَائِمِ الْعَرْشِ مَكْتُوبًا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ فَعَلِمْتُ أَنَّكَ لَمْ تُضِفْ إِلَى اسْمِكَ إِلَّا أَحَبَّ الْخَلْقِ إِلَيْكَ، فَقَالَ اللَّهُ: صَدَقْتَ يَا آدَمُ، إِنَّهُ لَأُحِبُّ الْخَلْقِ إِلَيَّ ادْعُنِي بِحَقِّهِ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكَ وَلَوْلَا مُحَمَّدٌ مَا خَلَقْتُكَ </div><div><br></div><div>“হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: যখন আদম (عليه السلام) দ্বারা অপ্রত্যাশিত কাজটি হয়ে গেল, তখন তিনি বললেন, হে আমার রব! আমি আপনার সত্য নবী মুহাম্মদ (ﷺ) এর উছিলায় প্রার্থনা করছি আমাকে ক্ষমা করে দিন। অত:পর আল্লাহ তা’আলা বললেন: হে আদম! তুমি কিভাবে মুহাম্মদ (ﷺ) কে চিনলে অথচ আমি তাঁকে সৃষ্টি করিনি? আদম (عليه السلام) বললেন: হে আমার রব! যখন আমাকে আপনি সৃষ্টি করেন এবং রুহ্ আমার ভিতরে প্রবেশ করান, তখন আমি আমার মাথা উপরের দিকে উঠিয়েছি এবং আরশের গায়ে লিখিত দেখেছি: “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ”। ফলে আমি জানতে পারলাম যে, নিশ্চয় আপনার প্রিয় পাত্র ব্যতীত আপনার নামের পাশে নাম থাকতে পারেনা! তখন আল্লাহ তা’আলা বললেন: তুমি সত্য বলেছে হে আদম! সে আমার কাছে খুবই ভালবাসার পাত্র বা সৃষ্টি, তুমি আমাকে তাঁর উছিলায় প্রার্থনা করেছ ফলে আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আমি যদি মুহাম্মদ (ﷺ) কে সৃষ্টি না করতাম তাহলে তোমাকেও সৃষ্টি করতাম না।”  </div><div>৭৩২৩২,  ইমাম হাকেম: আল-মুস্তাদরাক, ৪র্থ খন্ড, ১৫৮৩ পৃ:; ইমাম তাবারানী: মু’জামুল আওছাত, ৫ম খÐ, ৩৬ পৃ:; ইমাম বায়হাক্বী: দালায়েলুন্নবুয়্যাত, ৫ম খন্ড, ৩৭৪ পৃ:; আল্লামা ছামহুদী: অফাউল অফা, ৪র্থ জি: ২২২ পৃ:; ইবনে কাছির: মুসনাদে ফারুক, ২য় খন্ড, ৬৭১ পৃ:; ইবনে কাছির: জামেউল মাসানিদ ওয়াস সুনান, ১৭তম খন্ড, ২৯৭ পৃ:; ইমাম ছিয়তী: খাছাইছুল কোবরা, ১ম খন্ড, ২৭ পৃ:; তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৭ম খন্ড, ২৬৪ পৃ:; ইবনে কাছির: আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া, ১ম খন্ড, ৩২৫ পৃ:; শরফুল মোস্তফা, ১৬ নং হাদিস; ইবনে কাছির: ‘সিরাতে নববিয়্যা’ গ্রন্থে, ১ম খন্ড, ৩২০ পৃ:; কাছাছুল আম্বিয়া, ১ম খন্ড, ২৯ পৃ:; ইমাম ইবনে ছালেহী: সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১ম খন্ড, ৮৫ পৃ:; ছিরাতে হলভিয়া, ১ম খন্ড, ৩১৫ পৃ:; শরহে যুরকানী, ১ম খন্ড, ১১৯ পৃ:; ইমাম কাস্তালানী: মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া, ৩য় খন্ড, ৬০৫ পৃ:</div><div><br></div><div><br></div><div>এই হাদিস উল্লেখ করে ইমাম হাকেম নিছাপুরী (র:) ও ইমাম নূরুদ্দিন আলী ইবনে আহমদ ছামহুদী (র:) বলেন: </div><div>هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ -</div><div>“এই হাদিসের সনদ বিশুদ্ধ।”  </div><div>৭৩৩৩৩,  ইমাম হাকেম: আল মুস্তাদরাক, ৪র্থ খন্ড, ১৫৮৩ পৃ:; আল্লামা ছামহুদী: অফাউল  অফা, ৪র্থ জি: ২২২ পৃ:;</div><div><br></div><div>এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম তাবারানী (র:) বলেন:</div><div>لَا يُرْوَى هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عُمَرَ إِلَّا بِهَذَا الْإِسْنَادِ -</div><div>“হযরত উমর (رضي الله عنه) থেকে এই সনদ ব্যতীত অন্য কোন সনদে এই হাদিস দেখিনি।” ৭৩৪৩৪,  ইমাম তাবারানী: মু’জামুল আওছাত, ৫ম খন্ড, ৩৬ পৃ:;</div><div><br></div><div>অর্থাৎ, ইমাম তাবারানী (র:) এর দৃষ্টিতে হাদিসটি গরীব যেহতেু ইহা একজন রাবী কর্তৃক বর্ণিত হাদিস। এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম বায়হাক্বী (র:) বলেছেন যা হাফিজুল হাদিস আল্লামা ইবনে কাছির (র:) সমর্থন করেছেন:</div><div>قَالَ الْبَيْهَقِيُّ تَفَرَّدَ بِهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَهُوَ ضَعِيفٌ </div><div>-“আব্দুর রহমান ইবনে জায়েদ আছলাম হতে বর্ণিত ইহা একক বর্ণনা, আর তিনি হলেন দ্বায়িফ ।” ৭৩৫৩৫,  ইমাম বায়হাক্বী: দালায়েলুন্নবুয়্যাত, ৫ম খন্ড, ৩৭৪ পৃ:; হাফিজ ইবনে কাছির: আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া, ২য় খন্ড, ৬২৯ পৃ:;</div><div><br></div><div> ইমাম আহমদ ও ইমাম দারা কুতনী (র:) তাকে ضَعِيفٌ দুর্বল বলেছেন।  ৭৩৬৩৬,  ইমাম যাহাবী: দিওয়ানুদ দোয়াফা, রাবী নং ২৪৪৬;</div><div><br></div><div>এই عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ “আব্দুর রহমান ইবনে জায়েদ ইবনে আসলাম” রাবী বা বর্ণনাকারী সম্পর্কে ইমাম মিযযী (র:) উল্লেখ করেছেন,</div><div>وَقَال أَبُو أَحْمَد بْن عدي: له أحاديث حسان. وهو ممن احتمله الناس، وصدقه بعضهم. وهو ممن يكتب حديثه. </div><div>-“আবু আহমদ ইবনে আদী (র:) বলেন: তার অনেক হাদিস হাছান রয়েছে। সে এমন ব্যক্তি যার রেওয়ায়েত লোকেরা গ্রহণ করেছেন এবং অনেকে তাকে সত্যবাদী বলেছেন এবং সে ব্যক্তির হাদিস লিখেছেন।” ৭৩৭৩৭,  ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৩৮২০;</div><div><br></div><div>ইমাম যাহাবী (র:) বলেন: وهو صاحب حَدِيثِ -“সে ছাহেবুল হাদিস।” ৭৩৮৩৮,  ইমাম যাহাবী: তারিখে ইসলামী, রাবী নং ২০১;</div><div><br></div><div>কিছু কিছু ইমামের মতে عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ “আব্দুর রহমান ইবনে জায়েদ ইবনে আসলাম” দ্বায়িফ রাবী আবার অনেক ইমামের মতে নির্ভরযোগ্য রাবী। সর্বোপরি বলা যায়, হাদিসটি জাল বা ভিত্তিহীন নয়, বরং এর সনদ বিদ্যমান রয়েছে। কেউ কেউ এর সনদকে ছহীহ্ বা বিশুদ্ধ বলেছেন আবার কেউ কেউ দুর্বল বলেছেন। মুহাদ্দেছীনে কেরাম ইহাকে গ্রহণ করে তাঁদের কিতাবে হাদিসটি স্থান দিয়েছেন। তবে আফছুছের বিষয় হল, নাছিরুদ্দিন আলবানী তার চেলারা, এতজন ইমাম হাদিসটি গ্রহণ করার পরও হাদিসটিকে জাল বলার অপচেষ্টা করেছে। আর প্রিয় নবীজি (ﷺ) এর শান-মানের ব্যাপারে ইহা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হাদিস।</div>

আদম (عليه السلام) হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এর উছিলায় ক্ষমা লাভ

আদম (عليه السلام) হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এর উছিলায় ক্ষমা লাভ حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مَنْصُورٍ الْعَدْلُ، ثنا أَبُو ...

Read more »

মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত

<div>মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত</div><div>الجَنَّةُ تَحْتَ أقْدامِ الأُمَّهاتِ</div><div>-“মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত।” </div><div>৭১৬১৬,  ইমাম দোলাভী: আল কুনা ওয়াল আসমা, হাদিস নং ১৯১১; মুসনাদে ফেরদৌস, হাদিস নং ২৬১১; ইমাম ছিয়তী: ফাতহুল কবীর, হাদিস নং ৫৭৫৯; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৪৫৪৩৯; ইমাম ছিয়তী: জামেউস ছাগীর, হাদিস নং ৬৪১২; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিস, হাদিস নং ১১৪৭৬; ইমাম কাস্তালানী: এরশাদুস ছারী শরহে বুখারী, ২৯৬৬ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়; ইমাম মোল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ৬৯৪ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়; আল্লামা মানাভী: ফায়জুল কাদীর, হাদিস নং ৬৪১২; কাজী শাওকানী: নাইলুল আওতার, ২৮৪৭ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়; আত্তানভীর শরহে জামেউস ছাগীর, হাদিস নং ৩৬২৬; তাজকিরাতু ফি আহাদিছিল মুশতাহিরা, ১ম খন্ড, ১৯২ পৃ:; ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানাহ, হাদিস নং ৩৭৩; ইমাম ইবনে শাহিন: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীর লি’কাওয়াইমিস সুন্নাহ, হাদিস নং ৪৪৮; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ১ম খন্ড, ২৯৯ পৃ: হাদিস নং ১০৭৮;</div><div><br></div><div>হাদিসখানা ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ছালামা ইবনে জাফর কাদ্বাঈ মিছরী (র:) ওফাত ৪৫৪ হিজরী তদীয় কিতাবে সনদসহ উল্লেখ করেন,</div><div><br></div><div>أَخْبَرَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحَسَنُ بْنُ خَلَفٍ الْوَاسِطِيُّ، ثنا عُمَرُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ شَاهِينَ، ثنا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ الْمُهْتَدِي بِاللَّهِ بْنِ الْوَاثِقِ بِاللَّهِ، ثنا عَلِيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْوَاسِطِيُّ، ثنا مَنْصُورُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ الْأَبَّارُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْجَنَّةُ تَحْتَ أَقْدَامِ الْأُمَّهَاتِ </div><div><br></div><div>-“হযরত আনাস ইবনে মালেক (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত।”  ৭১৭১৭,  ইমাম কাদ্বাঈ: মুসনাদে শিহাব, হাদিস নং ১১৯; ইমাম ইবনে শাহিন: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীর লি’কাওয়াইমিস সুন্নাহ, হাদিস নং ৪৪৮;</div><div><br></div><div>এই হাদিসের সনদ সম্পর্কে হাফিজ ইরাকী (র:) বলেছেন,</div><div><br></div><div>قلت: ورواه القضاعي في مسند الشهاب والخطيب في الجامع من حديث أنس بلفظ الجنة تحت أقدام الأمهات وإسناده ضعيف</div><div><br></div><div>-“আমি বলছি: ইমাম কাদ্বাঈ তার মুসনাদে শিহাব গ্রন্থে এবং খতিবে বাগদাদী (র:) তার জামে গ্রন্থে হযরত আনাস (رضي الله عنه) এর রেওয়ায়েতটি বর্ণনা করেছেন। আর এর সনদ দ্বায়িফ ।”  ৭১৮১৮,  তাখরিজু আহাদিসুল এহইয়ায়ে উলুমুদ্দিন, হাদিস নং ১৮৯০;</div><div><br></div><div>এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম জারকাশী (র:) ও ইমাম ছাখাবী (র:) বলেন,</div><div><br></div><div>والْحَدِيث مُنكر وَذكره ايضا من حَدِيث ابْن عَبَّاس وَضَعفه وَمَعْنَاهُ ان التَّوَاضُع للامهات سَبَب لدُخُول الْجنَّة</div><div><br></div><div>-“এই হাদিস মুনকার, ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকেও অনুরূপ হাদিস বর্ণনা করেছেন ও একে দ্বায়িফ বলেছেন। এর অর্থ হচ্ছে: মায়ের কাছে বিনয় প্রকাশ করা জান্নাতে প্রবেশের অন্যতম কারণ।”  ৭১৯১৯,  ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানাহ, হাদিস নং ৩৭৩; আত তাজকিরা ফি আহাদিসিল মুশতাহিরা, ১ম খন্ড, ১৯২ পৃ:;</div><div><br></div><div>এর সমর্থনে আরো রেওয়ায়েত রয়েছে। যেমন: </div><div><br></div><div>حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، نا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ طَلْحَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ السُّلَمِيِّ، أَنَّ جَاهِمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي أَرَدْتُ أَنْ أَغْزُوَ مَعَكَ وَجِئْتُ أَسْتَشِيرُكَ. قَالَ: أَلَكَ وَالِدَةٌ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَاذْهَبْ فَالْزَمْهَا؛ فَإِنَّ الْجَنَّةَ تَحْتَ رِجْلِهَا</div><div><br></div><div>-“হযরত মুয়াবিয়া ইবনে জাহমা আস সালামী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় তিনি নবী পাক (ﷺ) এর কাছে আসলেন ও বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি ইচ্ছা করছি যে, আপনার সাথে যুদ্ধের ময়দানে যাব ও আপনার সাথে শরিক হব। আল্লাহর নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন: তোমার মা কি জিবীত আছেন? তিনি বললেন: হ্যাঁ। নবীজি (ﷺ) বললেন: ইহাই তোমার জন্য আবশ্যক, কেননা মায়ের পায়ের নিচেই তোমার জান্নাত।”  </div><div>৭২০২০,  ইমাম ইবনে আবী আছেম: আল আহাদু ওয়াল মাছানী, হাদিস নং ১৩৭১;</div><div><br></div><div>এই হাদিসটি ইবনে জুরাইয (র:) থেকে ইমাম নাসাঈ (র:) আরেকটি সূত্রে বর্ণনা করেছেন,</div><div><br></div><div>أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْحَكَمِ الْوَرَّاقُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ طَلْحَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ السَّلَمِيِّ، أَنَّ جَاهِمَةَ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَৃৃ</div><div><br></div><div>-“ইবনে জুরাইয (র:) মুহাম্মদ ইবনে ত্বলহা আর তিনি হলেন ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুর রহমান তার পিতা ত্বলহা (র:) হতে, তিনি হযরত মুয়াবিয়া ইবনে জাহমা আস সালামী (رضي الله عنه) হতে...।”  ৭২১২১,  নাসাঈ শরীফ, হাদিস নং ৩১০৪; ইমাম নাসাঈ: সুনানে কুবরা, হাদিস নং ৪২৯৭;</div><div><br></div><div>সুনানে নাসাঈ এর তাহকিকে আলবানী হাদিসটিকে হাছান-ছহীহ বলেছেন। এখানে ‘মুহাম্মদ ইবনে ত্বালহা ইবনে আব্দুর রহমান’ সম্পর্কে ইমামগণের অভিমত লক্ষ্য করুন,</div><div><br></div><div>محمد بن طلحة بن عبد الرحمنৃ قال أبو حاتم محله الصدق يكتب حديثه ولا يحتج به وذكره بن حبان في الثقات </div><div><br></div><div>-“মুহাম্মদ ইবনে ত্বালহা ইবনে আব্দুর রহমান সম্পর্কে ইমাম আবু হাতিম (র:) বলেন: আমি তার হাদিস লিখি তার হাদিসের উপর নির্ভর করিনা। ইমাম ইবনে হিব্বান (র:) তাকে বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন।”  </div><div>৭২২২২,  ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ৩৮০; ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৫৩১২; কাশ্শাফ, রাবী নং ৪৯২৪; ইমাম যাহাবী: তারিখে ইসলামী, রাবী নং ২৮২;</div><div><br></div><div>شيخ ابْن الْمَدِينِيّ وثق وَقَالَ أَبُو حَاتِم لَا يحْتَج بِهِ -</div><div>“শায়েখ ইবনে মাদানী (র:) তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন, আবু হাতেম (র:) তার উপর নির্ভর করেননি।”  ৭২৩২৩,  ইমাম যাহাবী: আল মুগনী ফিদ দোয়াফা, রাবী নং ৫৬৫০;</div><div><br></div><div>অতএব, তার বর্ণিত হাদিস হাছান হওয়াতে কোন বাধা নেই। ইবনে জুরাইয (র:) থেকে ইমাম তাবারানী (র:) আরেকটি সূত্রে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন,</div><div><br></div><div>حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُحَمَّدٍ التَّمَّارُ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمُبَارَكِ الْعَيْشِيُّ، ثنا سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبٍ، ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ رُكَانَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَৃৃ</div><div><br></div><div>-“ইবনে জুরাইয (র:) মুহাম্মদ ইবনে ত্বলহা ইবনে ইয়াজিদ ইবনে রুকানা হতে, তিনি মুয়াবিয়া ইবনে জাহমা (رضي الله عنه) হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি বলেন:...।  </div><div>৭২৪২৪,  ইমাম তাবারনী: মুজামুল কবীর, হাদিস নং ২২০২;</div><div><br></div><div>এই হাদিস সম্পর্কে লা-মাজহাবী নাছিরুদ্দিন আলবানী বলেন, </div><div>ورواه الطبراني بإسناد جيد -</div><div>“ইমাম তাবারানী যায়্যেদ সনদে বর্ণনা করেছেন।”  ৭২৫২৫,  আলবানী: ছহীহ্ তারগীব ওয়া তারহীব, হাদিস নং ২৪৮৫;</div><div><br></div><div>ইমাম বায়হাক্বী (র:) ইবনে জুরাইয (র:) ও হাজ্জায থেকে আরেকটি থেকে আরেকটি সূত্রে বর্ণনা করেছেন,</div><div><br></div><div>أَخْبَرَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ، أنا أَبُو جَعْفَرٍ الرَّزَّازُ، نا أَحْمَدُ بْنُ الْوَلِيدِ الْفَحَّامُ، نا حَجَّاجٌ، قَالَ: قَالَ جُرَيْجٌ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ ৃৃ</div><div><br></div><div>-“হাজ্জায বলেন, ইবনে জুরাইয (র:) মুহাম্মদ ইবনে ত্বলহা ইবনে আব্দুর রহমান হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি মুয়াবিয়া ইবনে জাহমা (رضي الله عنه) হতে...।”  ৭২৬২৬,  ইমাম বায়হাক্বী: শুয়াইবুল ঈমান, হাদিস নং ৭৪৪৯;</div><div><br></div><div>ইমাম হাকেম (র:) ইবনে জুরাইয (رضي الله عنه) ও হাজ্জায থেকে আকেটি সূত্রে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন,</div><div>أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْفَقِيهُ، بِالرِّيِّ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَرَجِ الْأَزْرَقُ، ثنا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ: قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ، أَنَّ جَاهِمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ:ৃৃ </div><div>-“হাজ্জায ইবনে মুহাম্মদ বলেন, ইবনে জুরাইয (র:) বলেছেন আমার কাছে মুহাম্মদ ইবনে ত্বলহা ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান বর্ণনা করেছেন, তিনি তার পিতা হতে, তিনি হযরত মুয়াবিয়া ইবনে জাহমা (رضي الله عنه) হতে,...।”  ৭২৭২৭,  মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ২৫০২;</div><div><br></div><div>ইমাম হাকেম নিছাপুরী (র:) ও ইমাম যাহাবী (র:) হাদিসটি উল্লেখ করে বলেন:  هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ -“এই হাদিসের সনদ ছহীহ্।”  ৭২৮২৮,  মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ২৫০২; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ১ম খন্ড, ২৯৯ পৃ:;</div><div><br></div><div>নাছিরুদ্দিন আলবানী তার ‘তাহকিকু হুকুন নিসাই ফিল ইসলাম’ গ্রন্থের ১ম খন্ডের ১৯৫ পৃষ্টায় হাদিসটিকে صحيح (ছহীহ্) বলেছেন।</div><div>ইমাম আবুল কাশেম আব্দুল মালেক ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে বাশরানে বাগদাদী (র:) ওফাত ৪৩০ হিজরী আরেকটি সনদে হাদিসটি উল্লেখ করেছেন,</div><div>أَخْبَرَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ الْخَالِقِ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ مُحَمَّدٍ السَّقَطِيُّ الْمُعَدَّلِ، ثنا أَبُو أَيُّوبَ سُلَيْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْخٍ، ثنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْأُمَوِيُّ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ رُكَانَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ السُّلَمِيِّ، قَالَ: أَتَى رَجُلٌ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَৃৃ</div><div>(আমালী ইবনে বাশরানে, হাদিস নং ৬২)</div><div>ইমাম বায়হাক্বী (র:) ইবনে জুরাইয (র:) আরেকটি সূত্রে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন,</div><div>أَخْبَرَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ بِبَغْدَادَ، أنبأ أَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّزَّازُ، ثنا أَحْمَدُ بْنُ الْوَلِيدِ الْفَحَّامُ، ثنا حَجَّاجٌ، ح وَأَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ الْقَاضِي، وَأَبُو سَعِيدِ بْنُ أَبِي عَمْرٍو، قَالَا: ثنا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، ثنا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ طَلْحَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ السُّلَمِيِّ، أَنَّ جَاهِمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ جَاءَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ:ৃৃ</div><div>(সুনানে কুবরা লিল বায়হাক্বী, হাদিস নং ১৭৮৩২)</div><div>এই হাদিসের রাবী ‘ত্বালহা ইবনে আব্দুল্লাহ’ সম্পর্কে নাছিরুদ্দিন আলবানী বলেন,</div><div>وطلحة بن عبد الله لم يوثقه غير ابن حبان ,لكن روى عنه جماعة ,فهو حسن الحديث إن شاء الله وفى التقريب: مقبولৃ لكن الحديث بمجموع طرقه صحيح </div><div>-“ইবনে হিব্বান (র:) ব্যতীত কেউ তাকে ছিক্বাহ বলেননি। কিন্তু একদল ইমাম তার থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। আর আল্লাহ চাহেতু সে হাছানুল হাদিস। তাকরীব গ্রন্থে ইমাম আস্কালানী (র:) বলেন: সে গ্রহণযোগ্য। কিন্তু সমষ্ঠিগতভাবে হাদিসটি ছহীহ্।” ৭২৯২৯,  আলবানী: ইরইয়াউল গালিল, ৫ম খন্ড, ২১ পৃ:;</div><div>  </div><div>নাছিরুদ্দিন আলবানী অন্যত্র আরো বলেন,</div><div>وسنده حسن إن شاء الله، وصححه الحاكم  ووافقه الذهبي، </div><div>-“আল্লাহ চাহেতু এর সনদ হাছান, ইমাম হাকেম (র:) একে ছহীহ্ বলেছেন, ইমাম যাহাবী (র:) একমত পোষণ করেছেন।”  ৭৩০৩০,  আলবানী: ছিলছিলায়ে জয়ীফা, হাদিস নং ৫৯৩;</div><div><br></div><div>ইমাম ছাখাবী (র:) ও ইমাম আজলুনী (র:) বলেন,</div><div>أحمد والنسائي وابن ماجه والحاكم في مستدركه من حديث ابن جريج، أخبرني محمد بن طلحة هو ابن عبد اللَّه بن عبد الرحمن ابن أبي بكر الصديق عن أبيه عن معاوية بن جاهمة السلمي، أن جاهمة جاء إلى النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فقال: يا رسول اللَّه، أردت أن أغزو، وقد جئت أستشيرك، فقال: هل لك من أم؟ قال: نعم، قال: فالزمها فإن الجنة تحت رجليها، وقال الحاكم: إنه صحيح الإسناد</div><div>-“আহমদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, হাকেম তার ‘মুস্তাদরাকে’ হযরত ইবনে জুরাইয এর হাদিটি বর্ণনা করেছেন।.. মুয়াবিয়া ইবনে জাহমা সালামী (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, নিশ্চয় জাহমা নবী করিম (ﷺ) এর কাছে গেলেন এবং বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আশা করছি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করব আর এই মর্মে আপনার কাছে উপস্থিত হয়েছে। নবীজি (ﷺ) বললেন: তোমার মাতা জিবিত আছে? সে বলল হ্যাঁ। তাহলে তার খেদমত করা তোমার জন্য আবশ্যক কেননা মায়ের পায়ের নিচেই তোমার জান্নাত। ইমাম হাকেম বলেন: এর সনদ ছহীহ্।”  ৭৩১৩১,  ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানাহ, হাদিস নং ৩৭৩; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ১ম খন্ড, ২৯৯ পৃ: হাদিস নং ১০৭৮;</div>

মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত

মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত الجَنَّةُ تَحْتَ أقْدامِ الأُمَّهاتِ -“মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত।”  ৭১৬১৬,  ইমাম দোলাভী: আল কুনা ও...

Read more »

জ্ঞানীর কলমের কালী শহিদের রক্তের চেয়ে দামী

<div>জ্ঞানীর কলমের কালী শহিদের রক্তের চেয়ে দামী</div><div><br></div><div>مِدَادُ الْعُلَمَاءِ أَفْضَلُ مِنْ دَمِ الشُّهَدَاءِ</div><div><br></div><div>ইমাম যারকাশী শাফেয়ী (র:) ওফাত ৭৯৪ হিজরী বলেন,</div><div>اخرجه الْحَافِظ ابو يَعْقُوب اسحاق بن ابراهيم الْبَغْدَادِيّ فِي جزئه رِوَايَة الْكِبَار عَن الصغار عَن الْحسن الْبَصْرِيّ</div><div>-“হাফিজ আবু ইয়াকুব ইসহাক্ব ইবনে ইব্রাহিম বাগদাদী (র:) তার গ্রন্থে এই হাদিস বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী কিবার হযরত ছিগার (র:) হতে, তিনি হাছান বছরী (র:) হতে।”  ৬৯৮৯৮,  তাজকিরাতু ফি আহাদিসিল মুসতাহিরা, ১ম খন্ড, ১৬৯ পৃ:; ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানা, ৩৭৭ পৃ: হাদিস নং ১০০৫; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ২য় খন্ড, ১৭৯ পৃ: হাদিস নং ২২৭৬;</div><div><br></div><div>আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (র:) বলেন, </div><div>ذَكَرَهُ الزَّرْكَشِيُّ وَقَالَ هُوَ مِنْ كَلَامِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ -“ইমাম জারাখশী (র:) হাদিসটি উল্লেখ করে বলেন: ইহা বিশিষ্ট তাবেঈ হযরত হাছান বছরী (رضي الله عنه) এর ‘কউল’।”  ৬৯৯৯৯,  ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মওজুয়াতুল কোবরা, ২০৭ পৃ:;</div><div><br></div><div>সুতরাং ইহা হযরত হাছান বছরী (رضي الله عنه) এর ‘কউল’ হিসেবে হাদিস/আছার। উল্লেখ্য যে, আল্লাহর রাসূল (ﷺ), সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈগণের কউল, ফেল, তাকরীর কে হাদিস বলা হয়। ৭০০৭০০,  মিযানুল আখবার;</div><div><br></div><div>হযরত হাছান বছরী (رضي الله عنه) একজন সু-পরিচিত তাবেঈ। এই হাদিসের সমর্থনে একাধিক মারফূ হাদিস রয়েছে, যেমন হাফিজুল হাদিস ইমাম ইবনে আব্দিল র্বাররর (র:) বর্ণনা করেছেন,</div><div>وَقَرَأْتُ عَلَى خَلَفِ بْنِ الْقَاسِمِ، أَنَّ أَحْمَدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ بْنَ عَطِيَّةَ الْحَدَّادَ، حَدَّثَهُ ثنا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُوسَى بْنِ عِيسَى، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُسْتَنِيرِ، ثنا أَبُو عِصْمَةَ عَاصِمُ بْنُ النُّعْمَانِ الْبَلْخِيُّ، ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ أَبِي يُونُسَ الْقُشَيْرِيِّ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُوزَنُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِدَادُ الْعُلَمَاءِ وَدَمُ الشُّهَدَاءِ </div><div>-“হযরত আবু দারদা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: কেয়ামতের দিন আলিমের কলমের কালি ও শহিদের রক্ত ওজন করা হবে, তখন আলিমের কলমের কালি শহিদের রক্তের চেয়ে ভারী হয়ে যাবে।” ৭০১১,  হাফিজ ইবনে আব্দিল র্বার জামিউল বায়ানিল ইলমি ওয়া ফাদ্বলিহী, হাদিস নং ১৫৩; তাজকিরাতু ফি আহাদিসিল মুসতাহিরা, ১ম খন্ড, ১৬৯ পৃ:; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ২৮৯০১; ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানা, ৩৭৭ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: মওজুয়াতুল কোবরা, ২০৭ পৃ:; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ২য় খন্ড, ১৭৯ পৃ: হাদিস নং ২২৭৬;</div><div><br></div><div> হাফিজ যায়নুদ্দিন ইরাকী (র:) বলেন,</div><div>يُوزن يَوْم الْقِيَامَة مداد الْعلمَاء وَدِمَاء الشُّهَدَاء أخرجه ابْن عبد الْبر من حَدِيث أبي الدَّرْدَاء بِسَنَد ضَعِيف.</div><div>-“কেয়ামতের দিন আলিমের কলমের কালি ও শহিদের রক্ত ওজন করা হবে। ইবনে আব্দিল র্বাররর (র:) হযরত আবু দারদা (رضي الله عنه) থেকে দ্বায়িফ সনদে হাদিস বর্ণনা করেছেন।”  ৭০২২,  তাখরিজু আহাদিসুল এহইয়া, হাদিস নং ৪;</div><div><br></div><div>এ বিষয়ে আরেকটি সূত্র উল্লেখ করা যায়,</div><div>رَوَاهُ صَاحب مُسْند الفردوس من حَدِيث عبد الْعَزِيز بن ابي دَاوُد أَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ: حدثنا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الْعَبَّاسِ النَّجَّارُ، قَالَ: حدثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ الْعَسْكَرِيُّ، قَالَ: حدثنا الْعَبَّاسُ بْنُ يَزِيدَ الْبَحْرَانِيُّ، قَالَ: حدثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُلَيَّةَ، قَالَ: حدثنا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وُزِنَ حِبْرُ الْعُلَمَاءِ بِدَمِ الشُّهَدَاءِ فَرَجَحَ عَلَيْهِمْ</div><div>-“মুসনাদে ফেরদৌস গ্রন্থের ছাহেব বর্ণনা করেন, আব্দুল আজিজ ইবনে আবী দাউদ হতে তিনি নাফে হতে, তিনি ইবনে উমর (رضي الله عنه) হতে মারফূরূপে বর্ণনা করেন, কেয়ামতের দিন আলিমের জ্ঞান ও শহিদের রক্ত ওজন করা হবে, তখন আলিমের খিবর শহিদের রক্তের চেয়ে ভারী হয়ে যাবে।”  ৭০৩৩,  খতিবে বাগদাদী: তারিখে বাগদাদ, ২য় খন্ড, ৫৯১ পৃ:; ইমাম যাহাবী: মিযানুল এ’তেদাল, ৭৩৯৫ নং রাবীর ব্যাখ্যায়; ইমাম আসকালানী: লিছানুল মিযান, ৪৩১ নং রাবীর ব্যাখ্যায়; তাজকিরাতু ফি আহাদিসিল মুসতাহিরা, ১ম খন্ড, ১৬৯ পৃ:; ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানা, ৩৭৭ পৃ: হাদিস নং ১০০৫; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ২য় খন্ড, ১৭৯ পৃ: হাদিস নং ২২৭৬;</div><div><br></div><div>এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ রয়েছে,</div><div>حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بُنْدَارٍ، ثنا أَحْمَدُ بْنُ الْحُسَيْنِ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ هِشَامِ بْنِ عَجْلانَ، ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ أَبِي قَبِيلٍ، عَنْ يَزِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ يُوزَنُ مِدَادُ الْعُلَمَاءِ وَدَمُ الشُّهَدَاءِ، فَيَرْجَحُ مِدَادُ الْعُلَمَاءِ عَلَى دَمِ الشُّهَدَاءِ</div><div>-“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: কেয়ামতের দিন আলিমের কলমের কালি ও শহিদের রক্ত ওজন করা হবে, তখন আলিমের কলমের কালি শহিদের রক্তের চেয়ে ভারী হয়ে যাবে।”  ৭০৪৪,  ইমাম আবু নয়াইম: তারিখে ইস্পাহান, ২য় খন্ড, ১৭৯ পৃ:; ইলালু মুতানাহিয়া ফি আহাদিসিল ওয়াহিয়া, হাদিস নং ৮৪;</div><div><br></div><div>ইমাম আবুল কাশেম হামজা ইবনে ইউছুফ জুরযানী (র:) ওফাত ৪২৭ হিজরী তদীয় কিতাবে আরেকটি সূত্র উল্লেখ করেছেন,</div><div>وأما حديث النعمان فنا ابْنُ نَاصِرٍ قَالَ نا مُحَمَّدُ بْنِ إِبْرَاهِيمَ قَالَ نا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ مَرْدَوَيْهِ قَالَ نا عَبْدُ اللَّهِ بن إبراهيم الجرجاني قال اناإِبْرَاهِيمُ بْنُ يَوْمَرْدَ قَالَ نا أَحْمَدُ بْنُ بَهْرَامَ قَالَ نا سَهْلُ بْنُ عَبْدِ الْكَرِيمِ عَنْ يَعْقُوبَ الْقُمِّيِّ عَنِ هَارُونَ بْنِ عَنْتَرَةَ عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ خَطَبَنَا النُّعْمَانُ بْنُ بَشِيرٍ فَقَالَ: سَمِعْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يُوزَنُ مِدَادُ الْعُلَمَاءِ مَعَ دَمِ الشُّهَدَاءِ يَرْجُحُ مِدَادُ الْعُلَمَاءِ عَلَى دَمِ الشُّهَدَاءِ.</div><div>-“হযরত শাবী (র:) বলেন, নুমান ইবনে বাশির (رضي الله عنه) আমাদের মাঝে বক্তব্য পেশ করছিলেন। তিনি বলেন আমি রাসূলে পাক (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, কেয়ামতের দিন আলিমের কলমের কালি ও শহিদের রক্ত ওজন করা হবে, তখন আলিমের কলমের কালি শহিদের রক্তের চেয়ে ভারী হয়ে যাবে।”  ৭০৫৫,  তারিখে জুরযান, রাবী নং ৫২; ইলালু মুতানাহিয়া ফি আহাদিসিল ওয়াহিয়া, হাদিস নং ৮৫;</div><div><br></div><div>এই হাদিস সম্পর্কে লা-মাজহাবী নাছিরুদ্দিন আলবানী বলেন: </div><div>قلت: وهذا إسناد ضعيف -“আমি (আলবানী) বলি: এই সনদ দ্বায়িফ ।”  ৭০৬৬,  ছিলছিলায়ে জয়ীফা, হাদিস নং ৪৮৩২ এর ব্যাখ্যায়;</div><div><br></div><div>তিনি আরো বলেন: </div><div>وبالجملة فالحديث ضعيف من جميع طرقه. -“সমষ্ঠিগতভাবে এই হাদিসের সকল সূত্রই দ্বায়িফ ।”  ৭০৭৭,  ছিলছিলায়ে জয়ীফা, হাদিস নং ৪৮৩২ এর ব্যাখ্যায়;</div><div><br></div><div>এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়,</div><div>أَبُو هُرَيْرَة يُحَاسب النَّاس بأعمالهم وَالْعُلَمَاء على حسب عَمَلهم فيوزن عمل أحدهم مَعَ عمله وَإِن مداد الْعلمَاء فِي الْمِيزَان أثقل من دم الشُّهَدَاء وَأكْثر ثَوابًا يَوْم الْقِيَامَة</div><div>-“হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, লোকেদের আমল হিসাব হবে এবং আলিমগণের আমলও হিসাব হবে। একজন আলিমের আমল অন্যদের আমলের সাথে ওজন করা হবে। আর নিশ্চয় আলিমের কলমের কালী মিযানের পাল্লায় শহিদের রক্তের চেয়েও প্রাধান্য পাবে এবং অধিক সওয়াবের কারণ হবে।”  ৭০৮৮,  মুসনাদে ফেরদৌস, হাদিস নং ৪৮৮;</div><div><br></div><div>ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী (র:) এভাবে উল্লেখ করেছেন,</div><div>يُوزَنُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِدَادُ الْعُلَمَاءِ وَدَمُ الشُّهَدَاءِ فَيَرْجَحُ مِدَادُ الْعُلَمَاءِ عَلَى دَمِ الشُّهَدَاءِ (الشِّيرَازِيّ) عَن أنس، (المرهبي) عَن عمرَان بن حُصَيْن، (ابْن عبد الْبر فِي الْعلم) عَن أبي الدَّرْدَاء، (ابْن الْجَوْزِيّ فِي الْعِلَل) عَن النُّعْمَان بن بشير.</div><div>-“কেয়ামতের দিন আলিমের কলমের কালি ও শহিদের রক্ত ওজন করা হবে, তখন আলিমের কলমের কালি শহিদের রক্তের চেয়ে ভারী হয়ে যাবে।” সিরাজী হযরত আনাস (رضي الله عنه) থেকে, মারহাবী হযরত ইমরান ইবনে হুছাইন (رضي الله عنه) থেকে, ইবনে আব্দিল র্বাররর আবু দারদা (رضي الله عنه) থেকে, ইবনে জাওযী তার ইলাল গ্রন্থে নুমান ইবনে বাশির (رضي الله عنه) থেবে বর্ণনা করেছেন।”  ৭০৯৯,  ইমাম ছিয়তী: ফাতহুল কবীর, হাদিস নং ১৪৫৩৪; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ২৮৭১৫; ইমাম ছিয়তী: জামেউস ছাগীর, হাদিস নং ১৪৫৮২; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিস, হাদিস নং ২৬৯৪;</div><div><br></div><div>ইমাম আলাউদ্দিন হিন্দী (র:) এখানে উল্লেখ করেছেন,</div><div>إذا كان يوم القيامة يوزن دم الشهداء بمداد العلماء فيرجح مداد العلماء على دم الشهداء. ابن النجار عن ابن عباس.</div><div>-“কেয়ামতের দিন আলিমের কলমের কালি ও শহিদের রক্ত ওজন করা হবে, তখন আলিমের কলমের কালি শহিদের রক্তের চেয়ে ভারী হয়ে যাবে। ইবনে নাজ্জার হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন।”  ৭১০১০,  ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ২৮৮৯৯;</div><div><br></div><div>হযরত নাফে (رضي الله عنه) থেকেও এরূপ আরেকটি বর্ণনা দায়লামী শরীফে রয়েছে। এর ব্যাপারে আল্লামা কাজী ছানাউল্লাহ পানিপাথি (র:) স্বীয় তাফছিরের কিতাবে উল্লেখ করেন:</div><div>واخرج الذهبي وَأخرج المرهبي فِي فضل الْعلم عَن عمرَان بن حُصَيْن رَضِي الله عَنهُ قَالَ: قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يُوزن يَوْم الْقِيَامَة مداد الْعلمَاء وَدِمَاء الشُّهَدَاء فيرجح مداد الْعلمَاء على دِمَاء الشُّهَدَاء</div><div>-“ইমাম যাহাবী (র:) এবং মারহাবী (র:) ইলিমের ফজিলত প্রসঙ্গে হযরত ইমরান ইবনে হুছাইন (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: কেয়ামতের দিন আলিমের কলমের কালি ও শহিদের রক্ত ওজন করা হবে, তখন আলিমের কলমের কালি শহিদের রক্তের চেয়ে ভারী হয়ে যাবে।”  ৭১১১১,  তাফছিরে মাজহারী, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৩০৮ পৃ:; তাফছিরে দুর্রে মানছুর, ৩য় খন্ড, ৪২৩ পৃ:;</div><div><br></div><div>وروى الْخَطِيب فِي تَارِيخه من جِهَة مُحَمَّد بن جَعْفَر بِإِسْنَادِهِ الى نَافِع عَن ابْن عمر رَفعه وزن حبر الْعلمَاء بِدَم الشُّهَدَاء فرجح عَلَيْهِم</div><div>-“খতিব তার তারিখের কিতাবে ‘মুহাম্মদ ইবনে জাফর’ এর সম্পর্কে বর্ণনা করেন, সনদ সহকারে নাফে হতে ইবনে উমর (رضي الله عنه) থেকে মারফূ সূত্রে, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: কেয়ামতের দিন আলিমের কলমের কালি ও শহিদের রক্ত ওজন করা হবে, তখন আলিমের কলমের কালি শহিদের রক্তের চেয়ে ভারী হয়ে যাবে।”  ৭১২১২,  তাজকিরাতু ফি আহাদিসিল মুসতাহিরা, ১ম খন্ড, ১৬৯ পৃ:; ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানা, ৩৭৭ পৃ: হাদিস নং ১০০৫; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ২য় খন্ড, ১৭৯ পৃ: হাদিস নং ২২৭৬;</div><div><br></div><div>এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম আজলুনী (র:) বলেন,</div><div>يوزن يوم القيامة مداد العلماء ودم الشهداء؛ فيرجح مداد العلماء على دم الشهداء.</div><div>رواه الشيرازي عن أنس، ورواه الموهبي عن عمران بن الحصين، وأخرجه ابن عبد البر عن أبي الدرداء، وابن الجوزي في "العلل" عن النعمان بن بشير، قال المناوي: وأسانيده ضعيفة؛ لكن يقوي بعضها بعضًا؛ </div><div>-“কেয়ামতের দিন আলিমের কলমের কালি ও শহিদের রক্ত ওজন করা হবে, তখন আলিমের কলমের কালি শহিদের রক্তের চেয়ে ভারী হয়ে যাবে। ইমাম সিরাজী (র:) হযরত আনাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেছেন। মাওহাবী (র:) হযরত ইমরান ইবনে হুছাইন (رضي الله عنه) ওথেকে বর্ণনা করেছেন। ইবনে আব্দিল র্বাররর (র:) হযরত আবু দারদা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইবনে জাওযী (র:) হযরত নুমান ইবনে বাশির (رضي الله عنه) থেকে ‘ইলাল’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। ইমাম মানাভী (র:) বলেছেন: এর প্রত্যেকটি সনদই দ্বায়িফ , কিন্তু একে অপরকে শক্তিশালী করেছেন।”  ৭১৩১৩,  ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, হাদিস নং ৩২৮১;</div><div><br></div><div>এই হাদিস সম্পর্কে আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (র:) বলেছেন,</div><div>رَوَاهُ الشِّيرَازِيُّ عَنْ أَنَسٍ، وَابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، وَابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي الْعِلَلِ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ مَرْفُوعًا: يُوزَنُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِدَادُ الْعُلَمَاءِ وَدَمُ الشُّهَدَاءِ، فَيَرْجَحُ مِدَادُ الْعُلَمَاءِ عَلَى دَمِ الشُّهَدَاءِ</div><div>-“সিরাজী হযরত আনাস (رضي الله عنه) হতে, ইবনে আব্দিল র্বাররর হযরত আবু দারদা (رضي الله عنه) হতে, ইবনে জাওযী তার ইলাল গ্রন্থে হযরত নুমান ইবনে বাশির (رضي الله عنه) হতে মারফূরূপে বর্ণনা করেন, কেয়ামতের দিন আলিমের কলমের কালি ও শহিদের রক্ত ওজন করা হবে, তখন আলিমের কলমের কালি শহিদের রক্তের চেয়ে ভারী হয়ে যাবে।”  ৭১৪১৪,  ইমাম মোল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ৫৬১১ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়;</div><div><br></div><div>আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (র:) আরো বলেছেন,</div><div>قُلْتُ وَمَعْنَاهُ صَحِيحٌ لِأَنَّ نَفْعَ دَمِ الشَّهِيدِ قَاصِرٌ وَنَفْعَ قَلَمِ الْعَالِمِ مُتَعَدٍّ حَاضِرٌ </div><div>-“আমি বলি: এর মাআনা বা অর্থ ছহীহ্। কেননা শহিদের রক্ত উপকারী আর আলিমের কলমের কালী সর্বদা উপকারী।”  ৭১৫১৫,  ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী: আসরারুল মারফুয়া, হাদিস নং ৪২৯;</div><div><br></div><div>“জ্ঞানীর কলমের কালি শহিদের রক্তের চেয়ে দামী” এই হাদিস এক হিসেবে তাবেঈ এর কউল হিসেবে হাদিস, অপর দিকে মারফূ হাদিসের সাথে মিল থাকার কারণে ‘রেওয়ায়েত বিল মায়ানা’ হিসেবে হাদিসে রাসূলও বলা যায়। সুতরাং এই হাদিসকে মওজু বা ভিত্তিহীন অথবা জাল বলার কোন রাস্তা’ই নেই।</div>

জ্ঞানীর কলমের কালী শহিদের রক্তের চেয়ে দামী

জ্ঞানীর কলমের কালী শহিদের রক্তের চেয়ে দামী مِدَادُ الْعُلَمَاءِ أَفْضَلُ مِنْ دَمِ الشُّهَدَاءِ ইমাম যারকাশী শাফেয়ী (র:) ওফাত ৭৯৪ হিজরী বলেন...

Read more »