✧ মক্কাবাসীর মীলাদ মাহফিল

<p style="text-align: justify;">✧ মক্কাবাসীর মীলাদ মাহফিল </p><p style="text-align: justify;">কিতাবঃ আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ)</p><p style="text-align: justify;">🖋️মূলঃ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (رحمة الله)</p><p style="text-align: justify;">قال السخاوى واما اهل مكة معدن الخير والبركة فيتوجهون الى المكان المتواتر بين الناس انه محل مولده وهو فى سوق الليل رجاء بالوغ كل منهم بذالك المقصد ويزيد اهتمامهم به على يوم العيد حتى قل ان يتخلف عنه احد من صالح وطالح ومقل وسعيد سيما الشريف صاحب الحجاز بدون توار وحجاز قلت الان سيماء الشريف لاتيان ذالك المكان ولا فى ذالك الزمان قال وجود قاضيها وعالمها البرهانى الشافعى اطعام غالب الواردين وكثيرمن القاطنين المشاهدين ف اخر الاطعمنه والحلوى. ويمد للجمهور فى منزله صبحتها سماطا جامعا رجاء لكشف البلوى. وتبعه ولده الجمالى فى ذالك للقاطن والسالك قلت اماالان فما بقى من تلك الاطعمة الا الدخان ولا يظهرمما ذكر الابريح الريحان فالحال كما قال. اما اخيام فانها كخيامهم -وارى نساء الحى غير نسائهم.</p><p style="text-align: justify;">ইমাম সাখাবি (رحمة الله) বলেন মক্কাবাসি কল্যান ও বরকতের খনি। তাঁরা সে প্রসিদ্ধ পবিত্র স্থানের প্রতি বিশেষ মনোনিবেশ করেন, যেটা নবী করিম (ﷺ) এর জন্ম স্থান। এটা ‘সাউকুল লাইলে’ অবস্থিত। যাতে এর বরকতে প্রত্যেকের উদ্দ্যশ্য সাধিত হয়। এসব লোক মীলাদু্নবীর দিন আরও অনেক কিছুর আয়োজন করে থাকেন। এ আয়েজনে আবেদ, নেককার, পরহিজগার, দানবীর কেউ বাদ যায় না। বিশেষ করে হেজাজের আমির বিনা সংকোচে সানন্দে অংশ গ্রহন করেন এবং তাঁর আগমন উপলক্ষে ঔ জায়গায় এক বিশেষ নিশান তৈরী করা হতো। প্রথম যোগে এটা ছিল না। পরবতর্ীতে এটা মক্কার বিছারক ও বিশিষ্ট আলেম আল- বুরহানিশ শাফেয়ী মীলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে আগত যিয়ারতকারী খাদেম ও সমবেত লোকদেরকে খানা ও মিষ্টি খাওয়ানোকে পছন্দনীয় কাজ বলে রায় দিয়েছেন। হেজাজের আমির (মীলাদুন্নবীর উপলক্ষে স্বীয় আবাসগৃহে সাধারণ লোকদের জন্য ব্যাপক পানাহারের ব্যবস্থা করতেন যেন এর বদৌলতে বিপদ আপদ বালা মুসিবত দূরিবুত হয়ে যায়। তাঁর ছেলেও খাদেম ও মুসাফিরদের বেলায় স্বীয় পিতার অনুসারী ছিলেন। এ সব খানাপিনার মধ্যে কোন কিছু বাদ যেতনা কেবল ধুমপান ছাড়া আর এ সব খানাপিনার মধ্যে নানা ফুলের সুগন্ধ ভরপুর থাকতো। অবস্থাটা ছিল জনৈক কবির কবিতার মত-</p><p style="text-align: justify;">. اما اخيام فانها كخيامهم -وارى نساء الحى غير نسائهم</p><p style="text-align: justify;">অর্থাৎঃ তাবু তো ওসব তাবুর মতোই কিন্তু আমি দেখতেছি সে গোত্রের মহিলাগন এ সব মহিলা থেকে অনেক ভিন্ন। </p><p style="text-align: justify;"><br /></p>

✧ মক্কাবাসীর মীলাদ মাহফিল

✧ মক্কাবাসীর মীলাদ মাহফিল  কিতাবঃ আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ) 🖋️মূলঃ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (رحمة الله) قال السخاوى واما ا...

Read more »

✧ স্পেন ও পাশ্চাত্য দেশে মীলাদুন্নবী পালন

<p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">✧ স্পেন ও পাশ্চাত্য দেশে মীলাদুন্নবী পালন </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">কিতাবঃ আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ)</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">🖋️মূলঃ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (رحمة الله)</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">كيف كان ملوك الاندلس يحتلفون بالمولد ؟ واما ملوك الاندلس والغرب فلهم فيه ليلة تسير بها الركبان يجتمع فيهاائمة العلماء الاعلام فمن يليهم من كل مكان و تعلوابين اهل الكفر كلمة الايمان. واظن اهل الروم لا يتخلفون عن ذالك اقتفاء بغيرهم من الملوك فيما هنالك الاحتفال فى بلاد الهند وبلاد الهند تزيد على غيرها بكثير كما اعلمنيه بعض اولى النقد زالتحرير.</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">স্পেন ও পাশ্চাত্য দেশের শহরগুলোতে মীলাদুন নবীর রাতে রাজা-বাদশাহগণ জুলুস বের করতেন, সেথায় বড় বড় ইমাম ও ওলামায়ে কেরামগণ অংশ গ্রহন করতেন। মাঝপথে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক এসে তাঁদের সাথে যোগ দিতেন এবং কাফিরদের সামনে সত্যে ও বানী তুলে ধরতেন। আমার যতটুকু ধারণ, রোমবাসীরাও কোন অংশে ওদের থেকে পিছপা ছিলনা। তারাও অনান্যা বাদশাহগনের মত মীলাদ মাহফিলের আয়োজন করতেন। হিন্দুস্থান শহরগুলোতে মীলাদুন্নবীর প্রসংগে উচ্ছস্থরের ওলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্ট লিখকগন আমাকে বলেছেন যে হিন্দুস্থানের লোকেরা অন্যান্য দেশের তুলনায় অধীক ব্যাপক হারে এ পবিত্র ও বরকতময় দিনে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। </span></p><p style="text-align: justify;"><br /></p>

✧ স্পেন ও পাশ্চাত্য দেশে মীলাদুন্নবী পালন

✧ স্পেন ও পাশ্চাত্য দেশে মীলাদুন্নবী পালন  কিতাবঃ আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ) 🖋️মূলঃ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (رحمة الله) كي...

Read more »

✧ মিসর ও সিরিয়া বাসীর মিলাদ

<p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">✧ মিসর ও সিরিয়া বাসীর মিলাদ </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">কিতাবঃ আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ)</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">🖋️মূলঃ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (رحمة الله)</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">فاكثر هم بذالك عناية اهل مصر و الشام ولسلطان مصر فى تلك الليلة من العام اعزم مقام . قال ولقد حضرت فى سنة خمس وثمانين وسبعمائة ءلبلة المولد عند الملك الظاهر برقوق رحمة الله.... بقلعة الجبل العلية فرايت ماهالنى وسرنى وما ساء نى وحررت ما انفق فى تلك الليلة على القراء و الحاضرين من الوعاظ والمنشدين و غيرهم من الاتباع والغلمان والخدام المترددين بنحو عشرة الاف مشقال من الذهب ما بين خلع و مطعوم ومشروب ومشموم ومشموع وغيرها ما يستقيم به الضلوع. وعددت فى ذالك خمسا وعشرين من القراء الصيتين المرجوكونهم مثبتين ولا نزل واحد منهم الا بنحو عشرين خلعة من السلطان ومن الامراء الا عيان قال السخاوى قلت ولم يزل ملوك مصر خدام الحرمين الشريفين ممن وفقهم الله لهدم كثير من المناكير والشين ونظر وا فى امر الرعية كالوالد لولده وشهروا انفسهم بالعدل فاسعفهم الله بجنده ومدده.</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">মীলাদ মাহফিলে সবচেয়ে অগ্রগামী ছিলেন মিসর ও সিরিয়াবাসি। মিসরের সুলতান প্রতি বছর পবিত্র বেলাদতের রাত্রে মিলাদ মাহফিলের আয়োজনের অগ্রনী ভূমিকা রাখতেন। ইমাম সামছুদ্দীন সাখাবী বর্ণনা করেন- আমি ৭৮৫ হিজরীতে মীলাদের রাতে সুলতান বরকুকের উদোগে আলজবলুল আলীয়া নামক কিল্লায় আয়োজিত মীলাদ মাহফিলে হাজীর হয়ে ছিলাম। ওখানে আমি যা কিছু দেখেছিলাম, তা আমাকে হতবাক করেছে অসীম তৃপ্তি দান করেছে। কোন কিছুই আমার কাছে অসস্থিকর লাগেনি। সে পবিত্র রাতের বাদশাহের ভাষন, উপস্থিত বক্তাগনের বক্তব্য, কারীগনের তেলাওয়াতে কোরআন এবং নাত পাঠকারীগনের না’ত আমি সাথে সাথে লিপিবদ্ধ করে নিয়েছি। এছাড়া উপস্থিত জনতা, শিশু ও নিয়োজিত সেবকদের মধ্যে প্রায় দশ হাজার মিছকাল (একশত ভরী) স্বর্ণ, কাপড় ছোপড়, নানা প্রকারের পানাহার, সুগন্ধি বাতি এবং অনান্য জিনিস পত্র প্রদান করেন যেটা দ্বারা ওরা সাংসারিক জীবনে অনেকটা সচ্ছলতা অর্জন করতেন ঐ সময় আমি এমন পচিশঁ জন “কারী” বাছাই করেছি যাদের সুমিষ্ট কন্ঠের জন্য অন্য সবের উপর তাদের স্থান দিয়েছি। তাদের মধ্যে এমন কেউ ছিল না যিনি বাদশাহ ও বাদশাহের বিশিষ্ট লোকদের কাছ থেকে প্রায় বিশটি বিশেষ পোষাক উপহার না নিয়ে মঞ্চ থেকে অবতরন করেছেন। ইমাম ছাখাবি বলেন, আমার চাক্ষুস বর্ণনা হচ্ছে, মিসরের বাদশাহগন যারা হরমাইন শরীফের খাদিম ছিলেন, তারা এসব লোকদের অন্র্Íগত ছিলেন। যাদেরকে আল্লাহ তাআলা অধিকাংশ দোসত্রুটি প্রতিরোধে তৌফিক দান করে ছিলেন। তারা প্রজাদের সাথে এমন আচরন করতেন যেমন পিতা নিজ সন্তানের সাথে করে থাকে। তারা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা দ্বারা সুনাম অর্জন করে ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে এ কাজে স্বীয় ফেরেস্থা দ্বারা গায়বী সাহায্য করেন। যেমনঃ বাদশা আবু সাঈদ জামাক্ক মাক্ক (رضي الله عنه) র আলোচনা উল্লেখযোগ্য। তিনি মীলাদ মাহফিলে সমবেত হয়ে ওকে সত্যায়ন করেন এবং এর প্রতি গভীর মনোযোগ প্রদান করত: একদল কারীগনের সমবেত করে জৌলুস পূর্ণ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে দুই তৃতীয়াংশের ও বেশী সময় সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও উত্তম দিক গুলো পর্যালোচনায় ব্যয় করতেন।</span></p><div style="text-align: justify;"><br /></div>

✧ মিসর ও সিরিয়া বাসীর মিলাদ

✧ মিসর ও সিরিয়া বাসীর মিলাদ  কিতাবঃ আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ) 🖋️মূলঃ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (رحمة الله) فاكثر هم بذالك ع...

Read more »

মীলাদ মাহফিলের প্রতি বাদশা মুজাফফারের আমল

<p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">মীলাদ মাহফিলের প্রতি বাদশা মুজাফফারের আমল</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">কিতাবঃ আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ)</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">🖋️মূলঃ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (رحمة الله)</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">☛ইরবলের স্বনামধন্য বাদশা মুজাফফর (رحمة الله) সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে মীলাদের সুচনা করেন। তিনি মীলাদ মাইফিলের প্রতি ছিলেন গভীর মনোযোগী সীমাহীন যত্মবান ও গুরুত্বশীল। মীলাদ শরীফ বৈধতার ব্যাপারে চুড়ান্ত ফায়সালা দেন। মীলাদ শরীফ পালনের কারণে বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা ইমাম আবু শামা (رحمة الله) তাঁর ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি স্বীয় ‘কিতাবুল বাইছ আলা ইনকারিল বিদয়ে ওয়াল হাওয়াদীস নামক বিখ্যাত গ্রন্থে তাঁর আলোচনা করত: বলেন যে, তাঁর এ আমল একটি উত্তম ও বৈধ কাজ। তিনি মীলাদ শরীফ পাঠকারীর কৃতজ্ঞাত ও ভূয়সী প্রশংসা করতেন। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">ইমাম ইবনে জাযরী (رحمة الله) উক্ত মন্তব্যের উপর আরও কিছু বৃদ্ধি করে বলেন যে, মীলাদ শরীফের মতো একটি বৈধ ও উত্তম আমলকে কেবল লাঞ্চিত ও অপমানীত শয়তান ও তার অনুসারীরাই প্রত্যাখ্যান করতে পারে। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">তিনি বলেন, আহলে ছালীব তথা খ্রীষ্ঠানের যদি তাদের নবী ঈসা (عليه السلام) এর জন্ম দিনকে ঈদুল আকবার হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারে, তবে সেখানে আবুল ইসলাম তথা উম্মতে মুহাম্মদী তাদের রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্ম দিনকে ঈদুল আকবার হিসেবে তাঁর সর্বোচ্ছ তাযীম ও তাকরীম প্রদর্শন করা অত্যধিক উপযোগী তাতে কোন সন্দেই নেই। যেহেতেু আমরাতো তার প্রতি আদিষ্ট। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">☛খাতেমাতুল আইম্মা বিশ্ববিখ্যাত হাদীস শরীফের ইমাম, শায়খুল ইসলাম জনাব আবুল ফদ্বল ইবনে হাজার (رحمة الله) বলেন: মীলাদ শরীফের অনুষ্ঠান পালন মূলত; একটি সুবৃহৎ ও মজবুত স্তম্বের উপর গঠিত, তিনি মীলাদ মাহফিলের উপর এমন একটি সুদৃঢ় মূলনীতি বের করেছেন, যার প্রতি সকল জ্ঞানী, পন্ডিতগন ভিত্তি করে আসছেন। যেমন: </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">☛পবিত্র বোখারী ও মুসলিম শরীফে এসেছে: </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَوَجَدَ الْيَهُودَ صِيَامًا، يَوْمَ عَاشُورَاءَ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا هَذَا الْيَوْمُ الَّذِي تَصُومُونَهُ؟: فَقَالُوا: هَذَا يَوْمٌ عَظِيمٌ، أَنْجَى اللهُ فِيهِ مُوسَى وَقَوْمَهُ، وَغَرَّقَ فِرْعَوْنَ وَقَوْمَهُ، فَصَامَهُ مُوسَى شُكْرًا، فَنَحْنُ نَصُومُهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ্রفَنَحْنُ أَحَقُّ وَأَوْلَى بِمُوسَى مِنْكُمْ فَصَامَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ:</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">অর্থ:- হুযূর মদীনায় আগমন সেখানকার ইয়াহুদীকে দেখতে পেলেন যে, তারা আশুরার দিনে রোযা রাখছে। তিনি তাদেরকে ঐ দিনের রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে জাবাবে তারা বলল, এ দিনে মহান আল্লাহ পাক ফেরাউনকে নীল দরিয়াতে ডুবিয়ে মারেন এবং মুসা (عليه السلام) কে রক্ষা করেছিলেন বিধায় আমরা শুকরিয়া স্বরূপ এদিনে রোযা পালন করে থাকি। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের একথা শ্রবনে বললেন: তাহলে তো আমরা তোমাদের চেয়ে হযরত মুসা (عليه السلام) এর প্রতি অধিক হক্বদার। এরপর থেকেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজেও রোযা রেখেছিলেন এবং তাঁর সাহাবায়ে কেরামকে রোযা পালনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন: আমি যতদিন বেচে থাকবো ততদিন তাদের ন্যায় একটি এবং তাদের সাথে মিশ্রন না হওয়ার আশংকায় আরেকটি মোট দুটি রোযা পালন করবো। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">☛শায়েখ ইবনে হাজার আসক্বালানী (رحمة الله) বলেন, বালা মুছিবত বিদূরীত হওয়া ও নেয়ামত প্রাপ্তির আশায় নিদির্ষ্ট দিনেও ঈদ উৎসব পালনের মাধ্যম আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করা হয়, তাতে বহুবিধ ফায়দা নিহীত আছে। আর তার মত নেয়ামত পুর্ণ দিন বছরে বার বার আসে। প্রকাশ থাকে যে, আল্লাহর শুকরিয়া বহুবিধ ইবাদত দ্বারা হাসিল হয় যেমন: নামাজ, রোযা, তেলাওয়াত ইত্যাদি। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">যদি তাই হয়, তবে এবার বলুন! রহমতে আলম হুযূরে পাক (ﷺ) এর চেয়ে বিশাল নেয়ামত আর কি হতে পারে? তাঁর নেয়ামতের বিশালত্ব সম্পর্কে لَقَدْ جَاءكُمْ আয়াত দ্বারা উপলদ্ধি করা যায় এবং আয়াতে বর্ণিত رَسُولٌ ْ مِّن أَنفُسِكُمْ দ্বারা তাঁর আগমনের সময়কার তা’যীম তথা ক্বিয়াম প্রদর্শনের ও ইঙ্গিত পাওয়া যায়। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">☛শায়খুল ইসলাম ইবনে হাজার (رحمة الله) আরও বলেন: মিথ্যা ও অহেতুক বিষয় ব্যতিরেকে শরীয়ত কর্তৃক সমর্থিত মীলাদ মাহফিলের মাধ্যমে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নিমিত্তে নিদির্ষ্ট সময়ে খুশী যাহের করতে কোন বাধা নেই। আর যেথায় হারাম বা মাকরূহ জনিত কার্যাবলী মিশ্রিত হয়, তা হতে বিরত থাকা অবশ্যক। তা ব্যতীত উত্তম পন্থায় মাসের প্রত্যেক দিনও পালন করা যায় তাতে কোন বাধা নেই।যেমন: </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">☛এ প্রসঙ্গে ইমাম ইবনে জামাআত তামান্নী (رحمة الله) বলেন: মীলাদ সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের কাছে অবিচ্ছিন্ন সনদে বর্ণিত আছে যে, বিখ্যাত আদর্শবান ও যাহেদ অমর ব্যক্তি জনাব আবু ইসহাক ইব্রাহীম বিন আব্দুর রহমান বিন ইব্রাহীম বিন জামাআ (رحمة الله) মদীনা মুনাওয়ারায় ছাহেবে সালাত ও সালাম, পরিপর্ূণ অভিবাদন প্রাপ্তির মালিক জনাবে রাসূলে খোদা (ﷺ) এর রাওদ্বা মোবারকের সম্মুখে এসে মীলাদ মাহফিলের আয়োজন করতেন এবং উক্ত মাহফিলে খাদ্যের ব্যবস্থা করত: মানুষকে খাওয়াতেন এবং মীলাদ শেষে বলতেন যে, মহান আল্লাহ পাক যদি আমাকে তাওফিক দিতেন, প্রতিদিন আমি মীলাদ মাহফিল পালন করতাম।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">☛আল্লামা ইমাম মুল্লা আলী কারী (رحمة الله) বলেন, আমি হতভাগার জন্য মানুষদেরকে যিয়াফতের ব্যবস্থা করতে অক্ষম অভ্যন্তরীনভাবে এক নূরানী যিয়াফত হিসেবে আল্লাহর করুনার বোর্ডে মঞ্জুর হয় এবং কোন বছর, মাস নির্ধারিত ব্যতীত তা আজীবন গ্রন্থাকারে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে। এ মানষে আমি উক্ত গ্রন্থকে المورد الروى فى المولد النبوى নামে নামকরন করি। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">তবে মীলাদ শরীফকে যাতে খাঁটো করে দেখা না হয়, সেদিকে খেয়াল করা উচিত। যেমন: এ প্রসঙ্গে হাদীস বিশারদগন স্বীয় নির্দিষ্ট গ্রন্থ সমুহে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। তন্মধ্যে আল মাওরিদুল হানী গ্রন্থ অন্যতম। তাছাড়া ও দালায়েলুন নবুওয়ত গ্রন্থের বিকলপ নেই। বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম ইবনে রজব প্রাণীত লাত্বায়েফুল মা.আরেফ গ্রন্থে ও মীলাদ শরীফের আলোচনা করা হয়েছে। এ গ্রন্থ গুলো মীলাদ শরীফ বৈধ হওয়ার এক বিশাল প্রমাণ। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">কেননা আজকাল কিছুকিছু উলামায়ে ছুদের আবির্ভাব ঘটছে, যাদের কথা বার্তা ওয়াজ নছীহত গুলো মিথ্যা ও নতুন নতুন আবিস্কৃত উদ্ভাবনায় জর্জরীত। তারা যে সমস্ত গ্রন্থ রচনা করেছে, তাতে মীলাদ বৈধ হওয়ার আলোচনা তো দূরের কথা বরং তাতে মীলাদ মাহফিল বৈধ হওয়ার নামে নিকৃষ্টতা, কদর্যতায় ভরপুর। যে গ্রন্থগুলোর বর্ণনা ও প্রচলিত ব্যবহার আদৌ বৈধ নয় বিধায় তাদের বর্ণিত মীলাদ মাহফিল অবৈধ বক্তব্যের প্রতিবাদ করা সকলের জন্য ওয়াজিব। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">মীলাদ মাহফিলে আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হচ্ছে, তেলাওয়াতে কুরআন, মানুষকে খাদ্য খাওয়ানো, সাদক্বা খায়রাত করা, মাহফিলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রশংসা, প্রশংসীত কবিতামালা আবৃত্তি, পরকালের পাথেয় ও কল্যানমুলক কার্য্যের প্রতি হৃদয়ের অগ্রসরতা, ছাহেবে মাওলিদ তথা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি সালাত ও সালাম পেরণ করা ইত্যাদি। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">☛জেনে রাখ মহান আল্লাহর নিন্মোক্ত বাণী-</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">لَقَدْ جَاءكُمْ رَسُولٌ مِّنْ أَنفُسِكُمْ</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"> “তোমাদের কাছে তোমাদের নিজেদের মধ্য হতে অবশ্যই একজন রাসূল এসেছেন” বাক্য দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থাৎ : তোমাদের নিজেদের মধ্য হতে এসেছেন যিনি, তিনি হচ্ছেন, নুবুওয়ত রেসালাত, আযমত ও জালালতের গুনে গুনান্বিত ও বৈশিষ্টপুর্ণ এক মহান ব্যক্তিত্ব। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">বর্ণিত বক্তব্য দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, তিনি পরিপুর্ণ সৌন্দর্য্যের মালিক অথবা তা দ্বারা নবী করীম (ﷺ) এর বক্তব্য كنت نبيا وادم بين الماء الطين অর্থাৎ: আমি তখনও নবী ছিলাম যখন আদম (عليه السلام) মাটি ও পানির সংমিশ্রনে ছিলেন, একথা বুঝানো হয়েছে।</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">☛বর্ণিত ব্যাখ্যা সম্পর্কে যদিও কোন কোন হাফিজে হাদীসবেত্তাগন নিরবতা অবলম্বন করেছেন তবুও এর মমার্থ বিশুদ্ধ পন্থায় বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, ইমাম বায়হাকী ও হাকীম নিশাপুরী (رحمة الله) তাকে বিশুদ্ধ বলে মত দিয়েছেন। তাঁরা বলেন,</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">বিশুদ্ধ সনদে হযরত ইরবাদ্ব বিন সারিয়্যা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ ফরমান: </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">إِنِّي عِنْدَ اللَّهِ مَكْتُوبٌ خَاتِمُ النَّبِيِّينَ ، وَإِنَّ آدَمَ لَمُنْجَدِلٌ فِي طِينَتِهِ</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">অর্থাৎ: আমি মহান আল্লাহ পাকের দরবারে তখন ও সর্বশেষ নবী হিসেবে লিখিত ছিলাম, যখন পিতা আদম (عليه السلام) কদর্মায় মিশ্রিত ছিলেন। অর্থাৎ আদম (عليه السلام) এর ভেতরে রূহ প্রবেশের পূর্বে মাটির মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে থাকাবস্থায়ও আমি নবী ছিলাম। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">☛ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল ও বুখারী (رحمة الله) স্বীয় তারীখ গ্রন্থে আবু নাঈম স্বীয় হুলিয়া গ্রন্থে, হাকীম স্বীয় মুস্তাদরেকে হযরত মাইসারা দ্বাবাঈ (رضي الله عنه) হতে একখানা হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে আমি নিবেদন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি বলে দিন যে, কখন থেকে আপনি নবী ছিলেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে মাইসারা! হযরত আদম (عليه السلام) রূহ ও জিসিম মোবারকের মধ্যে বিদ্যমান থাকাবস্থায়ও আমি নবী ছিলাম। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">☛ইমাম বায়হাক্বী (رحمة الله) বলেন, আমি একটি গ্রন্থ প্রনয়ন করেছি, যাতে ইমাম তিরমীজি (رحمة الله) এর বর্ণিত হাদীস ও বিদ্যমান আছে। তিনি স্বীয় গ্রন্থে সাইয়্যিদিনা হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে হাসান সূত্রে একখানা হাদীস বর্ণনা করে বলেন: সাহাবায়ে কেরামগন (رضي الله عنه) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দরবারে জানতে চাইলেন হে আল্লাহর রাসূল! আপনি বলে দিন কবে থেকে আপনার নবুওয়ত প্রতিষ্টিত হয়? তিনি বললেন: আদম (عليه السلام) রূহ ও জিসিম মোবারকের মধ্যে থাকাবস্থায়। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">☛অন্য হাদীসে এসেছে انا اول الانبياء خلقا واخرهم بعثا অর্থাৎ: সৃষ্টিগত দিক থেকে আমি প্রথম নবী এবং প্রেরীত হওয়ার দিক থেকে সর্বশেষ নবী। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">☛সহীহ মুসলিম শরীফে হযরত আমর ইবনুল আস (رضي الله عنه) হতে একখানা হাদীস এসেছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেছেন: </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">كَتَبَ اللَّهُ مَقَادِيرَ الْخَلائِقِ كُلِّهَا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ بِخَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ-، قَالَ: وَعَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ-. ومن جملة ما كتب فى الذكر- وهو ام اكتاب ان محمدا خاتم النبيين-</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">অর্থাৎ: মহান আল্লাহ পাক অবশ্যই আসমান ও জমিনসমুহ সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে সৃষ্টি কুলের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেন এমতাবস্থায় তাঁর আরশ ছিল পানির উপর স্থিরকৃত। তখন কুরআন মজীদে যা লিখিত ছিল, তার সারগর্ব ছিল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন সর্বশেষ নবী। এর দ্বারা উদ্দেশ্য ছিল মুক্বাররাবীন ফেরেস্তাদের জন্য তাঁর নবুওয়ত প্রকাশ পাওয়া এবং মাক্কামে ইল্লিয়্যীনের সর্বোচ্ছ স্থানে তাঁর রূহ মোবারক উচ্ছাসীত এ জন্য যে তাঁর সুমহান মর্যাদা সবার নিকট পরিজ্ঞাত ও প্রস্পুটিত হয়ে উঠে এবং সমস্ত আম্বিয়া ও রাসূলগনের উপরে তাঁর মর্যাদা ও ব্যবধান প্রকাশ পায় এ প্রয়াসে তাঁকে প্রথম সৃষ্টি করা হয়েছে। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর র্পূবেকার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম এর রূহ প্রকাশের মতলব হচ্ছে মুকাররাবীন ফেরেস্তাদের সামনে তাঁর নবুওয়ত যাহের করা, মাকামে ইল্লীয়্যিনের উচ্ছ স্থানে তাঁর পবিত্রাত্মা বিদ্যমান থাকার অর্থ হচ্ছে তাঁর অপর মযার্দা ও মহিমা তাঁদেরকে জানিয়ে দেয়া। তাছাড়া সমস্ত আম্বিয়াকুল (عليه السلام ) এর উপর তাঁর সুমহান মর্যাদার পরিধি কতটুকু তা জানিয়ে দেয়াই নবুওয়ত প্রকাশ করার মূল উদ্দেশ্য। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">এরপর হযরত আদম (عليه السلام ) দেহ ও আত্মার সংমিশ্রনে থাকাবস্থায় হুযূরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম এর নুবুওয়াত প্রকাশের কারন হচ্ছে যেহেতু এ সময় হযরত আদম (عليه السلام ) দেহ ও আত্মার সংমিশ্রনে থাকাবস্থায় হুযূরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম এর নবুওয়াত প্রকাশের কারণ হচ্ছে যেহেতু এসময় হযরত আদম (عليه السلام ) রূহ মোবারক দেহ জগতে প্রবেশের সময় ছিল। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম ইবনে হাজার (رضي الله عنه ) স্বীয় “কিতাবুল নাফখে ওয়াত তাসভীয়্যা গ্রন্থে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম এর অস্তিত্বের পুর্বেকার মিছালী ছুরতে তাঁর নবুওয়তী বৈশিষ্টসমুহ আলোচনা করতে যেয়ে বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম এর সকল বৈশিষ্টতার পুর্ণতার বাস্তবায়ন এভাবে হয়েছে যে, হাদীসে বর্ণিত مقادير الخلق দ্বারা হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সৃষ্টিকেই প্রথমে বুঝানো হয়েছে। তাঁর আগমনের র্পূবে তিনি বিরাজমান জীব হিসেবে না থাকলেও তাঁর লক্ষ্য, গন্তব্য ও কামালতসমুহ তাকদীরে বিদ্যমান ছিল। হুজ্জাতুল ইসলাম (رضي الله عنه ) আরও বলেন:</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">اول القكرة اخر العمل واخر العمل اول الفكرة </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">অতএব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী كنت نبيا দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে তাঁর কথা আমি আদম (عليه السلام ) এর সমস্ত দেহাবয়ব সৃষ্টির পূর্বে ও নবী ছিলাম। আর বাস্তবে ও ঐ সময় মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম ব্যতীত আর কারও অস্থিত্ব বিদ্যমান ছিলনা। যেমন: ধরে নিন একজন ইঞ্জিনিয়ার সাহেব একটি বাড়ী নিমার্ণের পূর্বে কি কি সরঞ্জামাদীর প্রয়োজন তা ভাল করে জানেন এবং তা নির্মাণে তার পূর্বে পরিকল্পনা থাকে। তদ্রæপ মহান আল্লাহ তাক্বদীর সৃষ্টি করে তার অনুকুলে কিভাবে সৃষ্টি করবেন তা জ্ঞাত আছেন। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">ইমাম সুবুকী رضي الله عنه  আর চমৎকার কথা বলেছেন যে, দেহ সৃষ্টির পূর্বে রূহ সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই হুযূরে পাকের বাণী كنت نبيا বাক্য দ্বারা তিনি স্বীয় রূহ পাকের দিকে অথবা হাক্বীক্বতে মুহাম্মাদীর দিকে ইঙ্গিত করেছেন। আর প্রকৃত পক্ষে হাক্বীক্বতে মুহাম্মাদী সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম সর্ম্পকে কেবল আল্লাহ পাক ছাড়া দ্বিতীয় কেউই জানেনা। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">এর পরে মহান আল্লাহ পাক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম এর হাক্বীক্বত থেকে প্রত্যেকের হাক্বীক্বতকে যে সময়ে বা যে হালতে ইচ্ছা প্রদান করেছেন। অতএব হাক্বীকতে মুহাম্মদী আদম (عليه السلام ) কে সৃষ্টি করার প্রাক্ষালেও বিদ্যমান ছিল। ফলে মহান আল্লাহ পাক হাক্বীক্বতে মুহাম্মাদীকে ঐ গুনে গুনাম্বিত করে সর্ব প্রকার ফয়েজে রাব্বানী দান করে নবী হিসেবে রূপদান করেন। এরপর আরশে আজীমে তাঁর মোবারক নাম লিপিদ্ধ করেন, যাতে তাঁর দরবারে তাঁর হাবীবে পাকের সম্মান মর্যাদা ও বড়ত্ব যে কতটুকু তা সকল ফেরেস্তা ও অন্যান্যরা জানতে সক্ষম হয়। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">অতএব, সন্দেহাতীতভাবে বলা যায় যে, ঐ সময় হতেও হাক্বীক্বতে মুহাম্মাদী সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম বিদ্যমান ছিল। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">স্বীয় জননী মা আমেনা (رضي الله عنه) এর গর্ভে তার দেহাবয়বকে পূর্ণাকৃতি ধারণ করে ধরণীর বুকে আগমন যদিও বিলম্বে হয়েছে, তথাপি তার নবুওয়াতীর গুরূ দায়ীত্বভার প্রজ্ঞার্পূণ নির্দেশনা, হাকিকতে মুহাম্মদীর গুঢ় রহস্যাবলীর সকল ব্যশিষ্টসমুহ এবং তাঁর পূর্ণতার বিকাশ সাধন যুগে যুগে দ্রুত কার্য়কর বা বলবত ছিল। এবং এতে বিলম্বের কোন অবকাশ নেই। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">ইমাম কাস্তালানী (رضي الله عنه ) বলেন, মহান আল্লাহ পাক যখন তাঁর সৃষ্টি কুল ও তাদেঁর রিযিকের তাক্বদীর সৃষ্টি ঝুলন্ত রাখলেন ঠিক তখনই তিনি হাক্বীক্বতে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লামকে প্রকাশ করে নিজের সম্মুখে রাখলেন, তখন থেকেই আহমদী নূরের আলোকে ৮০ হাজার আলমের  ঊর্ধ্ব ও নিম্নস্থান আলোকিত হয়ে যায়, এরপর মহান আল্লাহ পাক তাঁর হাবীবে কিবরিয়া সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লামকে নবুওয়তের বিষয় অবগত করত রেসালতের শুভ সংবাদ দেন। অথচ ঐ সময় হযরত আদম (عليه السلام ) ছিলেন রূহ ও দেহের মধ্যখানে অবস্থিত। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম এর দৃষ্টি সকল আত্মার প্রতি প্রবাহিত হলো। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><br /></span></p><p style="text-align: justify;"><br /></p>

মীলাদ মাহফিলের প্রতি বাদশা মুজাফফারের আমল

মীলাদ মাহফিলের প্রতি বাদশা মুজাফফারের আমল কিতাবঃ আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ) 🖋️মূলঃ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (رحمة الله) ☛ইর...

Read more »

✧ মক্কাবাসীর মিলাদ

<p dir="ltr" id="docs-internal-guid-dda402b2-7fff-ed85-7838-2fb7d7c23d48" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> ✧ মক্কাবাসীর মিলাদ </p><p dir="ltr" id="docs-internal-guid-dda402b2-7fff-ed85-7838-2fb7d7c23d48" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">কিতাবঃ আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ)</p><p dir="ltr" id="docs-internal-guid-dda402b2-7fff-ed85-7838-2fb7d7c23d48" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">🖋️মূলঃ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (رحمة الله)</p><p dir="ltr" id="docs-internal-guid-dda402b2-7fff-ed85-7838-2fb7d7c23d48" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><br /></p><p dir="ltr" id="docs-internal-guid-dda402b2-7fff-ed85-7838-2fb7d7c23d48" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">قال شيخ مشائخنا الامام العلامة الحبر الفهامة شمس الدين محمد السخاوى بلغه الله المقام العالى وكنت ممن تشرف ادراك المولد فى مكة المشرفة عدة سنين وتعرف ما اشتمل عليه من البركة المشار لبعضها بالتعين تكررت زيارتى فيه لمحل المولد المستفيض وتصورت فكرتى ماهنالك من الفجر الطويل العريض قال واصل على المولد الشريف لم ينقل عن احد من السلف الصلح فى قرون الثلثة الفاضلة وانما حدث بعدها بالمقاصد الحسنة والنية التى الاخلاص شاملة ثم لازال اهل الاسلام فى سائر الاقطاز والمدن العظام يحتفلون فى شهر مولده صلى الله عليه وسلم بعمل الولائم البديعة والمطاعم المشتملة على الامور البهيجة الرفيعة ويتصدقون فى لياليه بانواع الصدقات ويظهرون المسرات ويريدون فى المبرت بل يعتنون بقراءة مولده الكريم يظهر عليهم من –</p><p dir="ltr" id="docs-internal-guid-dda402b2-7fff-ed85-7838-2fb7d7c23d48" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">بركاته كل فضل عميم بحيث كان مما جرب كما قال اللامام شمس الدين ابن الجزرى المقرى المجزرى المقرى المجرب من خواصه انه امان تام فى ذالك العام بشرى تعجيل نبيل ما ينبغى ويرام-</p><p dir="ltr" id="docs-internal-guid-dda402b2-7fff-ed85-7838-2fb7d7c23d48" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"><br /></p><p dir="ltr" id="docs-internal-guid-dda402b2-7fff-ed85-7838-2fb7d7c23d48" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;">আমাদের মাশায়েখদের ইমাম শায়খ শামসুদ্দীন মুহাম্মদ সাখাবী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, পবিত্র মক্কা শরীফের মিলাদ অনুষ্ঠানে যারা কয়েক বছর উপস্থিত ছিলেন, আমি তাদের মধ্যে অন্যতম একজন। আমরা মীলাদ অনুষ্ঠানের বরকত অনুভব করছিলাম যা নির্দিষ্ট কয়েক ব্যক্তির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়। এ অনুষ্ঠানের মধ্যেও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্মস্থানের যিয়ারত আমার কয়েক বার হয়েছে। আমার চিন্তা ও মন মানসিকতা কেবল সে জিনিসটিকে ধ্যান, ধারনা করছিল, যার সময়টি ছিল সুবহে সাদিক উদয়ের প্রাক্কালে। ইমাম সাখাবি বলেন মীলাদ অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি উত্তম তিন যুগের পূর্বসূরী কোন নেককার বুযুর্গ লোকদের থেকে পাওয়া যায় না। মীলাদ অনুষ্ঠান উত্তম তিন যুগের পরই ভাল উদ্দেশ্য ও নেক নিয়তের সাথে উদ্ভব হয়েছে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন, সে মাসে সব দেশ ও অঞ্চলের মুসলমানরা মীলাদ অনুষ্ঠানের নামে সভা সমাবেশে সমবেত হতে থাকে। আর মানুষকে দাওয়াত দিয়ে সুস্বাদু খাদ্য সামগ্রী আহার করায়। আর অনুষ্ঠান রজনীতে গরীব মিসকিনদের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের দান সদকা বিতরণ করে খুশী ও আনন্দ প্রকাশ করে। আর ঐ মাসে বহুল পরিমানে পূণ্যময় কাজ করে। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্ম বৃত্তান্ত ও তৎসংশি­ষ্ট অলৌকিক কাহিনীসমূহ বর্ণনাকারীদের মুখে শোনার ব্যবস্থা করে। এর ফলে তাদের প্রতি বরকত প্রকাশ পেতে থাকে। যেমন বাস্তব অভিজ্ঞতা দ্বারা প্রমাণীত, ইমাম শামসুদ্দীন ইবনুল জাযরী আল মুকীরী (رحمة الله) মীলাদ মাহফিল করার উপকারীতা ও বৈশিষ্ট বণর্না করে বলেছেন, মিলাদ মহাফিলের বিশেষ বরকতের মধ্যে এ ও রয়েছে যে, আয়োজন কারীর জন্য অনুষ্ঠানটি পূর্ণ বছরের নিরাপত্তার ওছিলা হয় এবং এর বরকতে যথা শীঘ্র আয়োজকের মনোবাসনাও উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়। </p><div style="text-align: justify;"><br /></div>

✧ মক্কাবাসীর মিলাদ

 ✧ মক্কাবাসীর মিলাদ  কিতাবঃ আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ) 🖋️মূলঃ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (رحمة الله) قال شيخ مشائخنا الامام ا...

Read more »

✧ অনারবে মীলাদ

<p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"> ✧ অনারবে মীলাদ</span></p><p dir="ltr" id="docs-internal-guid-55cac41b-7fff-bfd3-9a0d-89560bfc5579" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">কিতাবঃ আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ)</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">🖋️মূলঃ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (رحمة الله)</span></span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">واما دلعجم فمن حيث دخول هذا الئهد المعظم والزمان المكرم- لاهلها مجالس فخام من انواع الطعام للفقراء الكرام وللفقراء من الخاص ولعامة- وقراءة الختمات والتلاوات المتواليات والانشادات المتعاليات والبناس البرات والخيرات وانواع السرور واضاف الحبورحتى بعض العبائز من غزلهن ونسجهن يجمعن مايقمن بجمعهن الاكابر والأعيان- وبهيا فهن ما يقدرون عليه فى ذالك الزمان ومن تعظيم مشايخهم وعلمائهم هذا المولدا لمعظم والمجلس المكرم- انه لايأ باه احد فى حضوده دجاء ادراك نوده وسروره وقد وقع لشيخ مشايتنا مولنازين الدين محمود البهدا نى النقشبندى (قدس سره العلى) انه اراد سلطان الزمان وخاقان الدوران هما يون بادشاه- (تغمده الله واحسن مثوااه) ان يجتمع به ويحصل له المدر والامداد بسببه- فأباه السيغ وامتنع ايضا ان يأتيه السلطان ستغاناء بقضل الرحمن- فألح السلطان على وزيره يبرام خان- بانه لابد من تدبير للا جتماع فى الكان ولو فى قليل من الزمان- فسمع الوزيد ان الشيغ لايحصر فى دعوة من هناء وعزاء الافى مولد النبى عليه الصلاة والسلام- تعظيما لذ الك المقام فأنهى الى اللطان فأمره يتهيئة اسبابه الملو كانية من انواع الاطعمة والاسبة ومما يثم به ويتبخر فى المجلس العلمية- ونادى الاكابر والأ هالى- وحفر الشيغ مع بعض الموالى فاخذ الطلن الابريق بيد الأدب ومعاونة التوفيق- والوزير اخذ الطثت من تحت امره- رجاء لطفه ونظره وعسلا يد التسيغ المكرم وحصل لهما يبركة تواضعهما لته تعالى ولرلوله صلى الله عليه وسلم) لمقام المعظم والجاه المفخم.</span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">অর্থাৎ- আরব ছাড়াও অনারবে মীলাদ মাহফিলের প্রচলন ছিল মহাসমারোহে যেমন: পবিত্র রবিউল আওয়াল মাসে এবং মহিমান্বিত দিনে (১২ই তারিখে) এতদঞ্চলের অধিবাসীদের মীলাদ মাহফিলের নামে জাঁকজমক পূর্ণ মাজলিসের আয়োজন হতো সে গরীব মিসকীনদের মধ্যকার বিশেষ ও সাধারনদের জন্য বহু ধরনের খাবারের বন্দোবস্ত করা হতো। তাতে ধারাবাহিক তেলাওয়াত বহু প্রকার খতম এবং উচ্ছাঙ্গ ভাষায় প্রশংসা সম্বলিত কবিতা মালা আবৃত্ব হতো। বহু বরকতময় ও কল্যাণময় আমলের সমাহার ঘটতো বৈধ পন্থায় বঙ্গ আনন্দোল্লাস প্রকাশ করা হতো বহু বিশেষক্ত মহা পন্ডিতগণ ও তাতে অংশ গ্রহণ করতেন। এমনকি কোন কোন বৃদ্ধা মহিলাগণ ও সে মাজলিসে সমবেত হয়ে রাসূলে পাকের শানে বহু প্রেমকাব্য ও ছন্দ মালা সংগ্রহ করতঃ তা মাজলিসে উপবেশন করতো। তাঁদের প্রেমকাব্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গগন ও জড়ো হতেন। তাঁদের (মহিলাদের) জন্য সাধ্যানুসারী আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকতো। তৎকালীন উলামা মাশায়েখগণের বহুবিদ সম্মানজনক কার্যাবলীর অন্যতম হচ্ছে এ মহান মীলাদ মাহফিল এবং মহিমাময় মাজলিসের প্রতি গুরুত্বারোপ ও সম্মান প্রদর্শন করা। কিন্তু তা সত্বেও উক্ত মাহফিলে সমবেত হওয়ার ব্যাপারে তাদেঁর কারও থেকে কোন ধরনের অস্বীকৃতি মুলক কঠোক্তি প্রকাশ পায়নি। যেহেতু সকলের এ উত্তম ধারনা ও আত্মবিশ্বাস ছিল যে, উক্ত মাহফিলে সমবেত হওয়া মূলতঃ আত্মতৃপ্তি, হুযূরে পাকের শুভাগমনের খুশী যাহের এবং তাঁরা এ ধরনের বহু উপমা বিদ্যমান রয়েচে। তন্মধ্যে আমাদের মহামান্য শায়েখগনের মুরববী শায়েখ মাওলানা যাইনুদ্দী্ন মাহমুদ আল-বাহদানী নকশবন্দী (رضي الله عنه) এর ঘটনা উল্লেখ যোগ্য। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">একবার যুগশ্রেষ্ট প্রতিভা সমপন্ন কালজয়ী, বিপ­বী মুঘল সম্রাট বাদশা হুমায়ুন (আল্লাহ পাক তাকেঁ করুনার আচলে ডেকে রাখুন এবং সর্বোত্তম মাকাম দান করুন) তাঁর বিশাল জাঁকজমকপূর্ণ মাজলিসে মহামান্য শেখ যাইনুদ্দিন মাহমুদ আল বাহদানী নকশেবন্দী (رضي الله عنه) কে সমবেত করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন কিন্তু শায়খ (رحمة الله) সহসাই তা প্রত্যাখ্যান করে বললেন, আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে অমুখাপেক্ষী কোন সভা- সমাবেশে তিনি সমবেত হন না। কিন্তু সম্রাট তাঁর এ উক্তিতে পিছপা না হয়ে বরং তাঁর মন্ত্রীমহোদয় জনাব বারাম খাঁনকে দিয়ে বারং বার অনুনয় ব্যক্ত করেন যে, রাজদরবারে এ ধরনের কল্যান মুলক অনুষ্ঠানের নিতান্তই প্রয়োজন বিধায় অল্পক্ষন হলেও উপস্থিতি কামনা করি। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">সম্রাটের মন্ত্রী মহোদয় বুঝতে পারলেন যে, আল্লামা মাইনুদ্দিন ছাহেব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মীলাদ মাহফিলে কেবল তাঁর সম্মানার্থে উপস্থিত হতে পারেন অন্য কোন অনুষ্ঠানে নয়। এবিষয়টি মন্ত্রী মহোদয় সম্রাট মহোদয়ের দরবারে অবহিত করেন। এ সুবাদে সম্রাট মহোদয় স্বীয় মন্ত্রী মহোদয় কে আন্তর্জাতিক মানের খাদ্য ও পান সামগী প্রস্তুত করত: মাহফিল কে অপরূপ সজ্জায় সজ্জিত এভং সুরভীতি করার জন্য আতর গোলাপ, ধুপদ্বারা সুঘ্রানীত ও সুরভীত করার নির্দেশ দেন। </span></p><p style="text-align: justify;"><span style="font-size: medium;">অনুষ্ঠানে আকাবীর তথা বড় বড় উলামা-মাশায়েখ ও তথাকার অধিবাসীদিগকে অংশ গ্রহনের আহবান করা হয়। হাজারও মানুষের সমাগমে অনুষ্ঠানে সজ্জিত টিক এমনই মুহুর্তেই শায়খুল আল্লামা যাইনুদ্দিন (رحمة الله) কিছু সংখ্যক সহচরবৃন্দকে নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। তাঁর সম্মানার্থে সম্রাট মহোদয় আপ্যায়নের জন্য স্বয়ং- শেখ মহোদয়ের হস্ত ধৌত করনের জন্য শিষ্ঠাচার হস্তে পানির লোটা বহন করেন এবং স্বীয় মন্ত্রী মহোদয় (বারাম খান) নির্দেশের অধীনস্ত হয়ে নীচে চিলমুচি (চিলিমচি) বহন করেন। উভয়ের উদ্দেশ্য একটিই ছিল যে, যাতে করে তাদের প্রতি শায়খ মহোদয়ের সুদৃষ্টি পরায়ন স্নেহশীল এবং কোমলপ্রাণ হোন। তারা তাঁর হস্তমোবারকে মিষ্টি পরিবেশন করেন। এরই ফলে আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের সন্তুষ্টি কামনায় তাঁর প্রতি উভয়ের সমোচ্ছ স্থান ও গৌরভয়ম মর্যাদা অর্জিত হয়।</span></p>

✧ অনারবে মীলাদ

 ✧ অনারবে মীলাদ কিতাবঃ আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ) 🖋️মূলঃ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (رحمة الله) واما دلعجم فمن حيث دخول هذا ا...

Read more »

আল-মাওলিদুর রাভী (ভুমিকা)

<p> <span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-weight: 700; text-align: justify; white-space-collapse: preserve;">✧ ভুমিকা</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: center;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">সমস্ত প্রশংসা জ্ঞাপন করি সে চিরস্থায়ী অনন্ত অবিনশ্বর আল্লাহ পাকের যিনি আহমদী নূরের আলো প্রস্পুটিত করেছেন যিনি মুহাম্মদী আলো উদ্তি করেছেন, যিনি তাঁকে এ অস্তিত্বজগতে মাহমুদ (সুপ্রশংসিত) বলে গুনাম্বিত করে অগনীত নেয়ামত রাজী ও বেশুমার খ্যাতিসম্পন্ন মর্যাদাসমূহ দান করে সমগ্র আরব ও আজমে তথা ৮০ হাজার আলমের ৫০ হাজার সৃষ্টি জীবের পরিপূর্ণ নিয়ামক স্বরূপ প্রেরন করেছেন। পাঠিয়েছেন সৃষ্টিকুলের হেদায়েতের চেরাগ, হাদিয়্যা, রহমত, ক্ষমাশীল হিসাবে। যেহেতু তাঁর এক পবিত্র উপাধি হচ্ছে الودود الرحيم (প্রেমময় অতিশয় দয়াদ্রশীল)। আল্লাহ পাক এ নব জাতক শিশু মুহাম্মদ (ﷺ)কে রবিউল আওয়াল মাসের এক উত্তম সময়ে পাঠিয়ে সুভাসিত ও সৌরভীত করেছেন। তিনি তাঁকে মর্যাদাশীল, সম্মানীত করেছেন, সর্বোচ্চ এহসান করেছেন, তাঁকে সবার উর্ধ্বে নির্বাচিত করেছেন। তাঁর মহিমান্বিত মর্যাদা সম্পর্কে বিচক্ষণবাদীরা কতইনা উত্তম প্রবন্ধ লিখেছেন</span></p><br /><p dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">لهذا الشهر فى الاسلام فضل * ومنقبة تفوق على الشهور</span></p><p dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"> فمولود به واسم ومعنى- * وايات يشرن لدى الظهور</span></p><p dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">ربيع فى ربيع فى ربيع * ونور فوق نور فوق نور-</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">এ মাসের রয়েছে অনেক মর্যাদা ও গুরুত্ব। </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">সকল মাসের উপরে তার শ্রেষ্টত্ব </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">রবিউলে উদিত রবি যিনি </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">সকল নূরের উর্ধ্ব নূরী তিনি। </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">মহান আল্লাহ পাক তাঁর কুরআনে আযীম ও ফুরকানে হাকীমে তাঁর হাবিবে পাকের শানে এরশাদ ফরমান: </span></p><br /><p dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">لَقَدْ جَاءكُمْ رَسُولٌ مِّنْ أَنفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُم بِالْمُؤْمِنِينَ رَؤُوفٌ رَّحِيمٌ.</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অর্থাৎ: তোমাদের নিকট তোমাদের মধ্য হতেই একজন রাসূল এসেছেন, তোমাদের বিপন্ন কালে তিনি ব্যথিত হন। তিনি তোমাদের জন্য মংগল কামী। সকল মোমিনদের প্রতি সীমাহীন দয়াদ্রশীল এবং অতিশয় দয়ালু। রাসূলে পাকের সমস্ত নূরের ফয়েজ লাভের জন্য আল্লাহ পাক এ সংবাদ গুলো প্রকাশ করিয়েছেন। বর্ণিত আয়াত দ্বারা এদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, উম্মতের নিকট তাঁর রাসূল (ﷺ) এর আগমন মূলত: তাঁর উম্মতদের প্রতি লক্ষ্য রাখা, তাদেরকে দর্শন দিয়ে অনুগ্রহ করা এবং তাদের ব্যথিত হৃদয়ে শান্তি স্থাপন করা। </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">আয়াতে বর্ণিত كم শব্দদ্বারা যদিও মুমিন ও কাফেরের অন্তর্ভূক্তি বুঝায় তবুও এখানে মূলত: তিনি যে কেবল মুত্তাকিদের জন্য হেদায়েতকারী তাতে সন্দেহ নেই।। যেমন: মনে করুন নীল দরিয়ার পানি প্রেমীকদের জন্য পানি আবার গোমটা পরিহিতদের জন্য রক্ত। </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">আয়াতে বর্ণিত মর্মদ্বারা আরও ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে, রাসূল (ﷺ) এর আগমন তোমাদের নিকট প্রতিশ্রোতিবদ্ধ তোমাদের আশা আকাংখার মূল উদ্দেশ্য। তার প্রমাণ মিলে নিন্মোক্ত আয়াতে কারীমাতে: </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"> </span></p><p dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُم مِّنِّي هُدًى فَمَن تَبِعَ هُدَايَ فَلاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ . وَالَّذِينَ كَفَرواْ وَكَذَّبُواْ بِآيَاتِنَا أُولَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ.</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অর্থাৎ: তোমাদের নিকট আমার পক্ষ থেকে হেদায়েতকারী আসার পর যদি কেউ সে হেদায়েতের অনুস্মরন করে, তবে তাদের জন্য কোন দু:খও ভয় থাকবেনা। অন্যদিকে যারা কুফরী করবে (সত্যকে প্রত্যাখ্যান করবে) আমাদের আয়াতসমুহকে মিথ্যায় প্রতিপন্ন করবে, কেবল তারাই হবে জাহান্নামের অধিবাসী, আর সেখানে তারা চিরস্থায়ী অবস্থান করবে। </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">উপরোক্ত আয়াতে বর্ণিত فاما يأتينكم বাক্যের فإما হরফে শর্ত এবং তার সাথে ما হরফ সংযুক্ত হয়েছে, যা দৃঢ়তা সূচক অর্থে ব্যবহৃত। ইহা দ্বারা একথা প্রতীয়মান হলো যে, তাঁর গ্রহণীয়তা বরণীয়ে মহামান্য একটি ব্যাপক নিদর্শন ও পূর্ণ ঈঙ্গিত বহন করে যে, এ নিখীল ধরনীর বুকে হুযূরে পাক (ﷺ) এর মহাগমন মূলত: আলমে আরওয়াহ জগতে সমস্থ আম্বিয়া (عليه السلام) স্থান থেকে যে নবুওয়তী স্বীকৃতি নেয়া হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন সহ বান্দাহগণের প্রতি মহান আল্লাহ পাকের সে কৃত প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়ন, অনুগ্রহ ও সম্মান দান করা। </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">এটা থেকে আরও প্রতীয়মান হলো যে, যদি এ ধরাধামে তাঁর মহাগমন না ঘটতো, তবে কেউই তার মর্যাদার অস্তিত্ব ফিরে পেতোনা। যেহেতু তিনি হচ্ছেন নৈকট্য লাভের দিক বিবেচনায় সমুচ্ছ, সম্মান লাভের দিক বিবেচনায় আল্লাহর নিকট প্রথম স্তরে সমাসীন। কেননা তিনি এমনই এক মর্যাদাশীল নবী ও রাসূল, যিনি সৃষ্টি কুলের প্রতি ধাবমান ও মনোযোগী হলেও প্রকৃত প্রস্তাবে তাঁর মাওলায়ে কারীমের সান্নিধ্য থেকে একমুহুর্তের জন্য দুরে নন। ইহাই হচ্ছে রাসূলগনের সমুচ্ছ মর্যাদার নিদর্শন। </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">আর এ বিষয়টি কেবল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বেলায় কেন তাঁর উম্মতের বিশেষ ব্যক্তি বর্গের বেলায় ও তা প্রযোজ্য। যেমনঃ এ প্রসঙ্গে আল্লাহ পাকের বিশেষ বান্দাহ সুলতান মাহমুদ (رحمة الله) এর বিশেষ খাদেম হযরত আয়াম (رضي الله عنه) এর ঘটনা উল্লেখ যোগ্য। তিনি কখনও উচ্ছ পদের অভিলাষী ছিলেননা বরং এক্ষেত্রে সর্বদাই আল্লাহর সান্নিধ্যের পদবী প্রত্যাশা করতেন। একবার তাঁর মুনীব ও সুলতানা তাঁর সম্মোখে বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ পদ দানের অভিপ্রায় ব্যক্ত করলে সাথে সাথে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এবং তাঁর মাওলায়ে কারীমের সান্নিধ্যে সর্বোচ্ছ উপস্থিতির মাক্কাম হাছিলের পথে অগ্রসর হয়ে যান। কেননা তাঁর একথা আগোচর ছিলনা যে, তাঁর নবীয়ে কারীম পাক (ﷺ) কখনো নিজের ইচ্ছা অভিপ্রায়কে মহান আল্লাহ পাকের ইচ্ছা অভিপ্রায়ের উর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন। </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">একথা শত র্স্ফুত যে, হুযূরে পাক (ﷺ) নিজের সকল ইচ্ছা অভিলাষকে আল্লাহর ইচ্ছা অভিলাষের ভেতর উৎসর্গ করে দেন। লক্ষ লক্ষ জীবন এ আক্ষেপে বিরান হয়ে গেছে। তবুও তাঁর মাশুক (আল্লাহ ও তদীয় রাসলের) এর যিয়ারত নছীব হয়নি। হঁ্যা অধিক মাত্রায় ছুন্নতের পরিপূর্ণ তাবেদারী এবং মহববতের আবেগেই উহা সম্ভব হয়ে থাকে। তবে এসব গুনে গুনান্নিত হলেই যে যিয়ারত নছীব হয়ে যাবে ইহা কোন জরুরী নয়। কারণ কারও না দেখার ভেতরেও বিশাল হেকমত থাকতে পারে। কাজেই দুঃখ করার কোন কারণ নেই। প্রকৃত প্রেমিকের আসল উদ্দেশ্য হলো মাশুকের সন্তুষ্টি, তাতে মিলন হোক বা না হোক তাতে আফছোছ করার মত কিছুই নেই। </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">  </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">যেমনঃ এ প্রসঙ্গে জনৈক কবি বলেনঃ-</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: right;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">اربد وصاله ويد يد هجرى * فاترك ما اريدلما يريد</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অর্থাৎ- আমি মাহবুবের মিলন চাই অথচ মাহবুব চায় আমার বিচ্ছেদ। কাজেই মাহবুবের সন্তুষ্টি বিধানের লক্ষ্যে আমার সকল ইচ্ছা অভিলাষ পরিত্যাগ করলাম। </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">ইহাই হচ্ছে আল্লাহর মারেফত তত্ত্ববীদ আহলে কামিলগনের সমুচ্ছ মর্যাদার আসন, যঁারা তাজাল্লিয়াতে জামাল ও জালালের মধ্যে মিশ্রিত হয়ে ফানা ফির রাসূল, ফানা ফিল্লাহ ও বাক্কা বিল্লাহতে আত্মা বিলীন করে দিয়েছে। .., প্রার্থীব কোন মোহ তাদেঁরকে হাতছানী দিয়ে ডাকার দুঃসাহস দেখাতে পারেনা। এমনই একজন মুখলিছ বান্দাহ শায়খ আবু ইয়াযীদ (رحمة الله) তন্মধ্যে অন্যতম। </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">যখন তাকেঁ বলা হলো ওহে আবু ইয়াযীদ! বলতো তুমি কি চাও? তিনি বললেনঃ- </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: right;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">اريد أن لااريد</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অর্থাৎ- কিছু না চাওয়াই আমার ইচ্ছা অভিপ্রায়।</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অতীতে বহু মারেফত তত্ত্ব অনুসন্ধানকারী সৌভাগ্যশালী ব্যক্তিবর্গগন বহু উক্তি করে গেছেন। তাছাড়া বহু নেতৃস্থানীয় উচ্ছ স্থরের সুফী সাধকগনের ইচ্ছা অভিলাষ ছিল তাই। যেহেতু কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি ব্যতীত অন্য কোন ইচ্ছা- অভিলাস কামনা করা তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিলনা। এটাই ছিল খোদা তত্ত্বজ্ঞান গনের কেটি উচ্ছ স্তর। </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">যারা মাক্কামে ফানা- ও বাক্কার স্তরে উন্নীত যারা নিজ সত্ত্বাকে আল্লাহর মত্ত্বার মধ্যে একীভূত করে দিয়েছে এটা মূলতঃ তাদের নিদর্শন। </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">আয়াতে বর্ণিত رسول শব্দের لام (লাম) হরফে তানভীন ব্যবহৃত হয়েছে, যেন মনে হয় আয়াতের ভাবার্থ এভাবেই হয়েছে। </span></p><br /><p dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">لقد جاءكم ايها الكرام رسول كريم من رب كريم بكتاب كريم ويه دعاء الى دوح وريحان وحينة نعيم- وزيادة بشارة الى لقاء لريم وانذار عن الحميم والجيم- كما قال عزوجل نيئى عبدى انى انا الفغود الرحيم وأن عذابى هو العذاب الأليم- </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অর্থাৎ- ওহে সম্মানীত ব্যক্তিবর্গ! তোমাদের নিকট অবশ্যই রবেব কারীমের পক্ষ থেকে কিতাবে কারীম তথা সম্মানজনক গ্রন্থ আল কোরআন নিয়ে একজন রাসূলে কারীম (সম্মানজনক রাসূল ) শুভাগমন করেছেন। ইহাতে জান্নাতে নাঈম, আরাম আয়েশ ও জান্নাতী ফলফুলের সৃঘ্রানের প্রতি আহবান করা হয়েছে। এবং লিক্বায়ে কারীম বা রোজ কেয়ামতে মহান মাওলায়ে কারীমের সাথে সম্মানজনক সাক্ষাতের অতিরিক্ত শুভ সংবাদ দানের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। পাশ্বা পাশ্বি হামীম ও জাহীম তথা প্রচন্ড গরম পানি বিশেষ ও উত্তপ্ত নরক আগ্নি নামক দুটি জাহান্নামের অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাওয়ার ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">এদিকে ইঙ্গিত করেই মহান আল্লাহ পাক এরশাদ ফরমান: </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: right;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">نبئ عبادى افى انا الغفورا الرحيم وأن غدابى هد العذاب الأليم</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অর্থ্যাৎ- আমার বান্দাহগনকে এ সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে যে, তারা অনুতপ্ত হয়ে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থী হলে তখনই আমি তার জন্য ক্ষমাশীল ও অতিদয়াশীল। অন্যতায় যারা অহংকারী, তাদের প্রতি আমার যন্ত্রনাদায়ক শাস্তির অশুভ পরিণাম রয়েছে। </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">রহমতে আলম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি সকল তাযীম, তাকরীম প্রদর্শনের অন্যতম একটি হচ্ছে যে, রুহ জগতে মিছালী ছুরতে সকল নবী ও রাসূল (عليه السلام) গণ থেকে তাঁর নবুওয়ত ও রেসালাতের স্বীকৃতি এভাবে নেয়া হয়েছে যে, আযমত জালালতের সাথে নবুওয়ত ও রেসালাতের গুরুদায়িত্ব নিয়ে আসবেন তাঁরা যদি তাঁর মহাগমনের সময় দান অথবা নাই পান নির্দিধায় তাঁরা যেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি ঈমান গ্রহন করে, তাকে সাহায্য করে সবোর্পরি তাঁর সকল আযমত, কার্যালত, জামালত, জালালিয়্যাত ও বুযুর্গীর প্রশাংসা জ্ঞাপন করতে হবে এবং স্বীয় সম্প্রদায়কে এগুলোর বিস্তারীত বর্ণনা করতর এর প্রতি আস্থা বিশ্বাস ও বাস্তবায়ন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। সকল মুফাসসিরীনে কেরামগন এর স্বপক্ষে মহান আল্লাহর নিন্মোক্ত বানী দ্বারাই এর সত্যতা প্রমাণ করেন। </span></p><br /><p dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">وَإِذْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ النَّبِيِّينَ لَمَا آتَيْتُكُمْ مِنْ كِتَابٍ وَحِكْمَةٍ ثُمَّ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مُصَدِّقٌ لِمَا مَعَكُمْ لَتُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَتَنْصُرُنَّهُ.</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অর্থাৎ- আল্লাহ পাক সমস্ত নবীগন হতে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলেন যে, আপনাদেরকে কিতাব এবং হিকমাহ তথা শরীয়ত যাহাই দান করি তারপর আসবেন আপনাদের নিকট এ কজন রাসূল যিনি আপনাদের নিকটস্থ কিতাবের বাস্তবতা প্রমাণকারী হবেন, (যেহেতু তাঁর আগমনের অগ্রিম সংবাদ আপনাদের কিতাবে থাকবে, অতএব, তাঁর মহাগমন দ্বারা আপনাদের কিতাবের বাস্তবতা প্রমানিত হবে। তিনি আপনাদের বর্তমানে এসে গেলে) আপনারা তাঁর প্রতি অবশ্যই ঈমান গ্রহন করবে এবং তাঁর সাহায্য সহায়তা করবেন। </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">(অঙ্গীকারের এ বিষয়বস্ত উল্লেখ পূর্বক) আল্লাহ পাক নবীগণকে লক্ষ্য করে বললেন আপনারা অঙ্গীকার করলেন তো এবং উক্ত বিষয় বস্তুর উপর আমার কঠোর আদেশ গ্রহণ করলেন তো? নবীগণ সকলেই বলে উঠলেন, আমরা অঙ্গীকার করলাম। আল্লাহ পাক বললেন, তাহলে আপনারা (নিজেরাই নিজেদের উপর) সাক্ষী থাকুন, আমি ও আপনাদের সাথে সাক্ষীদের মধ্যে থাকলাম। (এ অঙ্গীকারে স্বীয় উম্মতগন ও শামিল হবে) এ অঙ্গীকারের পর যে ফিরে যাবে, যে পলায়নকারী হিসেবে অবশ্যই গণ্য হবে। </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">পূর্বোক্ত হয়েছে যে, আল্লাহ পাক নবী কারীম (ﷺ)কে ধরনীয় বুকে প্রেরনের পূর্বে আদম (عليه السلام) হতে নিয়ে সকল নবীগন হতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নবুওয়ত ও রেসালাতের অঙ্গীকার এবং তাকে সাহায্য সহায়তা করার স্বীকৃতি নেয়া হয়েছিল এবং নবীগণ ও যাতে স্বীয় উম্মত হতে তাঁর প্রতি ঈমান আনয়ন করত: তাকে সাহায্য সহায়তার অঙ্গীকার গ্রহন করতে পারেন সে দিকে জোর তাকিদ দেয়া হয়েছিল। </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">এ সমুচ্ছ মর্যদা নিয়েই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যুগে যুগে সকল নবী ও রাসূল গণের হাদী ও রাহবর হয়ে ধরাপৃষ্টে আগমন করেন। সেই হিসেবে তো নিঃসন্দেহে তিনি হযরত মুসা (عليه السلام) এরও নবী ছিলেন। এ জন্যই তো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জোরের সাথে বলেছিলেনঃ لوكان موس حيا لماوسعه الااتباعى অর্থ:- এ যুগে মুসা নবী (عليه السلام) জীবিত থাকলে তাঁর জন্য আমার আনুগত্য অনুসরণ ছাড়া উপায় থাকতোন। (মেশকাত শরীফ) মাওয়হেবে লাদুন্নিয়া গ্রন্থে উক্ত তথ্য বর্ণনার পর উল্লেখ আছে এ তথ্যের অনিবার্য অর্থ ইহাই যে, হযরত ছাক্বীয়ে কাওসার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কেবল তাঁর উম্মতের নবী ছিলেন না বরং তিনি সমস্ত নবীগণেরও নবী ছিলেন। এরই প্রতিফলন এবং বিকাশ সাধন হবে কেয়ামতের ভয়াল দিনে হযরত আদম (عليه السلام) এবং তৎপরবর্তী সকল নবীগণও ঐ দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পতাকাতলে সমবেত থাকবেন। নিন্মোক্ত হাদীস শরীফই তার স্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছে এভাবে </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: right;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">آدَم وَمَنْ دُونه تَحْت لِوَائِي يَوْم الْقِيَامَة</span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অর্থাৎ- কিয়ামতের ভয়াল মাঠে হযরত আদম (عليه السلام) এবং তিনি ছাড়াও আরও যত নবীও রাসূলগন (عليه السلام) আছেন সকলেই আমার পতাকাতলে সমবেত হবেন। </span></p><br /><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-size: 11pt; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">জেনে রাখ! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাহ্যিক ছুরত তথা ছুরতে জিসমানী হালতে ধরাপৃষ্টে মুহুরে নবুওয়ত সাধন হলেও প্রকৃত প্রস্তাবে হুযূরী কলব তথা মিছালী ছুরতে পূর্বের ন্যায় আল্লাহ নিকটে অবস্থান করছেন। সে মতে তিনি আল্লাহর পাকের সমীপে সর্বদাই উপস্থিত আছেন। তাতে এক পলকও তাঁর থেকে অদৃশ্য থাকেন না। সেক্ষেত্রে তিনি হচ্ছেন দু সমুদ্রের মিলনস্থল। যেহেতু তিনি তোমাদের কাছে বিস্ময়কর ও দুবোর্ধ হলেও মহান আল্লাহর অতি সান্নিধ্যে। আমাদের কাছে বোধগম্য ও সুষ্পষ্ট হলেও আল্লাহর কাছে সত্ত্বাগত ভাবে বিদ্যমান আছেন, আমাদের সাথে সমতল বা বিছানার মত মনে হলেও তার কাছে আরশ তুল্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রত্যাবর্তন স্থল সর্বদাই মাওলায়ে কারীমের সান্নিধ্যে বিদ্যমান। </span></p>

আল-মাওলিদুর রাভী (ভুমিকা)

  ✧ ভুমিকা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম  সমস্ত প্রশংসা জ্ঞাপন করি সে চিরস্থায়ী অনন্ত অবিনশ্বর আল্লাহ পাকের যিনি আহমদী নূরের আলো প্রস্পুটিত কর...

Read more »

আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ) [সূচীপত্র ও প্রাক কথা]

<p><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-weight: 700; text-align: justify; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ)</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">اَلْمَوْرِدُ الرَّوِى فِيْ مَوْلِدٍ النَّبَوِى</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">মূলঃ</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">ইমাম নূরুদ্দীন মুল্লা আলী কারী আল হারুবী (رحمة الله)</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অনুবাদঃ</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">মো. কবিরুজ্জামান</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">মো. আবুল খায়ের ইবনে মাহতাবুল হক</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">টেক্সট রেডীঃ মাসুম বিল্লাহ সানি ও সিরাজুম মুনির তানভির</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">ব্যবস্থাপনায়ঃ</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">শাহজালাল লতিফিয়া ইসলামী গবেষনা সংস্থা</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">বিয়ানীবাজার, সিলেট</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">০১৭২২১১৫১৬১</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">প্রকাশকঃ</span><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">মোঃ শাহ্ আলম সরকার, সমাচার, ৩৭ পি. কে. রায় রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০। ফোন</span><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">৪৭১১৬১৪৩</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">প্রকাশকালঃ</span><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">একুশে বইমেলা, ২০১৭</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"><span style="font-size: medium;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">গ্রন্থস্বত্বঃ</span><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অনুবাদক   </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">প্রচ্ছদঃ</span><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">মশিউর রহমান </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">বর্ণবিন্যাসঃ বাঁধন, সমাচার কম্পিউটার সিস্টেম,  বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০</span><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">পরিবেশকঃ</span><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">এস.এস. বুক্স ৩৮ বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">উত্তর আমেরিকা পরিবেশক : মুক্তধারা, জ্যাকসন</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">হাইট, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র। </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">যুক্তরাজ্য পরিবেশক: সঙ্গীতা লিমিটেড, ২২ ব্রিকলেন, লন্ডন, যুক্তরাজ্য</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"><span style="font-size: medium;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">মূল্যঃ ২৫০ টাকা </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">ঘরে বসে সমাচার এর সকল বই কিনতে ভিজিট করুন</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">ফোনে অর্ডার করতে ০১৫ ১৯৫২ ১৯৭১ হট লাইন ১৬২৯৭</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">_________________________________</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">সুচিপত্রঃ</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ ভুমিকা </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ অনারবে মীলাদ</span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ মক্কা বাসির মিলাদ </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ মিসর ও সিরিয়া বাসীর মিলাদ</span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ মক্কা বাসীর মীলাদ মাহফিল </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ মদীনা বাসীর মীলাদ মাহফিল </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ মীলাদ মাহফিলের প্রতি বাদশা মুজাফফারের আমল</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ সকল সৃষ্টি প্রাণবন্ত হলো  </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ প্রথম সৃষ্টি নূরে মুহাম্মদী (ﷺ)</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ দুরুদ শরীফের উছিলায় মহরানা আদায়</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উছিলায় ক্ষমা লাভ</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ যুগে যুগে সচ্ছ ও নির্মল ধারায় আমার আগমন। </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ হুযূর (ﷺ) এর ভাষায়ই পিতৃ পরিচয়</span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ আদম (عليه السلام) সৃষ্টির চৌদ্ধ হাজার বছর পূর্বে আমি নূর হিসাবে ছিলাম</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পূর্ব পুরুষগণের পরিচয় ও বিশেষণ</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ আব্দুল মুত্তালিব কর্তৃক খাজা আব্দুল্লাহ (رضي الله عنه) কে কোরবানি ও জমজম কুপ খনন </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ আমেনা (رضي الله عنه) এর বিবাহের ঘটনা </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ মাতৃগর্ভে থাকাকালীন মোজেজা </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ নূরে মোহাম্মাদী (ﷺ) দ্বিতীয় প্রমাণ </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ ইব্রাহীম (عليه السلام) এর দোয়ার নির্যাস ইসা (عليه السلام) এর সুসংবাদ ও মা জননীর স্বপ্ন কথা গুলোর ব্যাখ্যা।</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্ম কালীন অলৌকিক ঘটনাবলী </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সময়ে পিতার ইন্তেক্বাল</span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ আবু লাহাব কর্তৃক সুআইবিয়াকে মুক্তিদান এবং আবু লাহাবের মুক্তি লাভ</span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ মুহরে নবুওত দর্শনে এক ইয়াহুদীর অচেতন হওয়া </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ মক্কায় ইহুদী পন্ডিতের সুসংবাদ ও মুসলমান হওয়ার কাহিনী </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ সিরীয় সন্নাসী ঈসার সুসংবাদ প্রদান</span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ মুবিজানের স্বপ্ন ও পারস্য সম্রাটের প্রাসাদ কম্পিত </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ ৪টি স্থানে ইবলিস বিলাপ করেছিল </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ খতনাকৃত অবস্থায় জন্ম গ্রহণ করেছেন </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ মোহাম্মাদ নাম করনের কারণ </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ মোহাম্মদ নাম করনে দ্বিতীয় কারণ </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নাম সংক্রান্ত পর্যালোচনা </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ রাসূলের প্রশংসায় ইমাম সুয়ূতী নিন্মোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেন </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্ম সাল, জন্ম মাস, জন্ম দিন ও জন্ম কালীন সময়ের পর্যালোচনা </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ একটি সুক্ষ্ম আলোচনা </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ যে মাসে হুযূর (ﷺ) এর আগমন </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ যে তারিখে জন্ম গ্রহন করেছেন </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ যে সময়ে জন্ম গ্রহন করেছেন </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ বেলাদত রজনী ক্বদর রজনীর চেয়েও শ্রেষ্টতম</span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">মাতৃগর্ভে অবস্থান </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ হালিমা (رضي الله عنه) এর গৃহে রাসূল পাক (ﷺ) এর যে সমস্ত মোজেযা প্রকাশ পেয়েছিল</span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ হুযূর (ﷺ) বক্ষ বির্দীন হওয়ার ঘটনা </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ মাতৃ বিয়োগ ও মাতুলালয়ে প্রকাশিত মোজেজা </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ আবু তালেবের সঙ্গে সিরিয়া সফর </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ হুযূর (ﷺ) এর সঙ্গে আবু বকরের সিরিয়া সফর এবং বহিরা পাদ্রীর সাক্ষাৎ লাভ</span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ সিরিয়ায় তৃতীয় সফরে নাসতোর পাদ্রীর সাক্ষাৎ লাভ</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ খাদিজা (رضي الله عنه) এর বিবাহ </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ ৩৫ বছর বয়সে কাবা মেরামতের কাহিনী </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ হস্তিবাহিনীর ৪০ বছরের মাথায় নবুওয়ত লাভ </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ সর্বশেষ অবতারীত আয়াতের ব্যাখ্যা </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ হুযূর (ﷺ) সাথে জিব্রাঈল ও পাহাড়ীয় ফেরেস্তাদ্বয়ের কথোপকথন </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ সকাল- সন্ধায় আমল </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ সর্বশেষ অবতারীত আয়াত </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ সংজোযন</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">❏ সংক্ষিপ্ত মীলাদ শরীফ </span><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span class="Apple-tab-span" style="text-wrap-mode: nowrap;"> </span></span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ মীলাদুন্নবী (ﷺ) উপলক্ষে গ্রন্থ </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: #134f5c; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">❏ ইসলামি বিশ্বকোষ মাওলিদ </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /><br /><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অনুবাদকের কথা</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">الحمد لله والشكر لله والصلوة والسلام على رسول لله اما بعد فقد قال الله تعالى فى القران الكريم من يطع الرسول فقط اطاع الله (الخ) وقال عليه السلام من احب سنتى فقط احبنى ومن احبنى كان معى فى الجنة.</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">রাসূলে পাক (ﷺ) এর প্রতি আন্তরিক মহব্বত ও তাঁর অনুসরণই নাজাতের একমাত্র অসিলা। আর এটাই স্বাভাবিক যে, ভালোবাসা মহব্বতকৃত ব্যক্তিকেই বার বার স্মরণ করিয়ে দেয়। যেমন হাদীস শরীফে উল্লেখ রয়েছে,</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: right;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;"> من احب شئيا اكثر ذكره </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">আর মহানবী (ﷺ) হলেন, অপরিসীম গুণের অধিকারী।তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী শাফিউল মুজনিবীন, রাহমাতুল্ল্লিল আলামীন। তাঁর জন্ম বৃত্তান্ত সম্পর্কে আরবী ভাষায় লিখিত আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ)’ বিশ্বব্যাপী প্রসিদ্ধ একটি গ্রন্থ। প্রথিতযশা মুহাদ্দিস আল্লামা মুল্লা আলী আলী কারী (رحمة الله) যার লিখক। এমন মহান একজন লিখকের অমূল্য কীর্তির বঙ্গানুবাদ করার মতো যোগ্যতা বা সাধ্য আমার নেই। কিন্তু তারপরও এ গ্রন্থের গুরুত্ব এবং ব্যাপক কল্যাণের চিন্তা করেই এবং মাওঃ আবুল খায়ের ইবনে মাহতাবুল হকের পিড়াপিড়িতে আমি আল্লাহর উপর ভরসা করে এ কাজ শুরু করি। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">নিঃসন্দেহে আল্লাহ আমাকে এ কাজের জন্য তাওফীক দিয়েছেন যার প্রমাণ যখনই আমি এর অনুবাদ লিখতে বসেছি তখনই সহজতা অনুভব করেছি। লিখক তাঁর কিতাবে অত্যন্ত সহজভাবে বিশ্বনবী (ﷺ) জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা উপলক্ষ্যে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলের ব্যাপারে অনবদ্য আলোচনা উপস্থাপন করেছেন। এসব আলোচনা দ্বিধা-বিভক্ত মুসলমান ভাইদের উপকারে আসবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এতো বড় মাপের একজন আলেমের অনবদ্য গ্রন্থের অনুবাদ যথার্থভাবে করা সম্ভব হবেনা, এটাই স্বাভাবিক। তারপরও রাবু্বল আলামীন তাঁর এ আকিঞ্চন বান্দার দ্বারা এ কাজ করিয়েছেন, সেজন্য তাঁর দরবারে জানাই লক্ষ-কোটি সুজুদ। আল্লাহ পাক এর মাধ্যমে পরকালে আমাদেরকে তাঁর নবীর শাফায়াতের অধিকারী করুন এ আমার একান্ত কামনা। </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">গ্রন্থখানা অনুবাদে ত্রুটি বিচ্যুতি থাকা অসাভাবিক নহে, কার নজরে বিচ্যুতির দৃষ্টি আসলে অনূরুধ যে আমাদের অবগত করা। পরবর্তিতে তা সংশোধন করা হবে। </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: blue; font-family: Arial, sans-serif; font-style: italic; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">আল হাকীর </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: blue; font-family: Arial, sans-serif; font-style: italic; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">মু. কবিরুজ্জামান</span><span style="color: #980000; font-family: Arial, sans-serif; font-style: italic; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"> </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">আমরা সকল প্রশংসা জ্ঞাপন করছি সে মহান আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তায়ালার, যিনি তাঁর রাসূলে কিবরিয়া (ﷺ) এর আনুগত্যতার সাথে নিজের ভালবাসাকে সংযুক্ত ও শর্তারোপ করেছেন। যেমনঃ এর স্বপক্ষে নিন্মোক্ত বাণী প্রমাণ বহন করে। মহান আল্লাহর বাণী : </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: right;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;"> قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অর্থাৎ: বলুন হে রাসূল! যদি তোমরা আল্লাহ পাককে ভাল বাসতে চাও তবে প্রথমে আমার অনুস্মরণ ও অনুকরন কর। তবেই তিনি (আল্লাহপাক) তোমাদেরকে ভাল বাসবেন। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক সে নবী (ﷺ) এর প্রতি, যিনি আল্লাহ পাকের নিকট সুমহান ও সর্ব শ্রেষ্ট জীব হিসাবে বিবেচিত, আরও বর্ষিত হোক তাঁর পরম ও চরম আহলে বায়েত ও সকল ছাহাবায়ে কেরামগনের প্রতি। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">হামদে বারী সালাত ও সালাম নিবেদনের পর মহান আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসূলে পাক (ﷺ) এর ভালবাসা হচ্ছে ইসলামী চিন্তা গবেষনার গুরুত্বপূর্ণ উৎস। তন্মধ্যে প্রধান হচ্ছে-</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">(১) তাঁকে সর্বোচ্ছ সম্মান প্রদান করা। </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">(২) তাঁর আনীত ও সকল শিক্ষা দীক্ষার প্রতি যথাযথ আমল করা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে যে, জাতী ইসলামী চিন্তা ধারার এ গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পূর্ণভাবে ভূলে গিয়েছে। অথচ জাতি আজ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলে পাকের প্রতি কঠোর ভালবাসা পোষন করা বাঞ্চনীয় ছিল। তাই আল্লাহও রাসূলের প্রতি অগাধ ভালবাসা উপেক্ষা করার দরুন তা একেবারে হ্রাস পেয়ে গেছে। ফলে তাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা, বন্ধুত্ব ও উন্নতির পরিবর্তে অবনতি ক্ষতিগ্রস্থতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এরই সুবাদে আজকের কাফের বেনিয়া গোষ্টিরা তাদের উপর প্রভাব প্রতিপত্বি বিস্তার লাভের প্রস্তুতি ও সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসূলে পাকের প্রতি উম্মতের সুগভীর ভালবাসার সু-সম্পর্ক দুর্বল ও নশ্যাত-করার মানসে গবেষনা ও শিক্ষামুলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে উম্মতে মুহাম্মদী ঝড়বাদীদের আওতায় চলে যাওয়ার ফলে তারা আজ বিজয়ের পরিবর্তে পরিনত হয়েছে বিজিত সম্প্রদায়ে এবং পশ্চিমা নুংড়া জাতিদের নিকৃষ্ট গবেষনার স্রোতে ভেসে গিয়েছে। ফলে তারা তাদের প্রতিপালক ও স্বীয় রাসূলকে ভূলে গিয়েছে। যদ্বরুন ইউরোপীয় ও ঝড়বাদীরা তাদের গাড়ে সাওয়ার হয়ে তাদের উপর নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তার লাভ করে। তা এক চরম বেদনাদায়ক ও আক্ষেপের বিষয়। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">এজন্য আমরা তাদের সকল ষঢ়যন্ত্র নশ্যাত করার মানসে শিক্ষামুলক আরবী ভাষায় প্রচারিত বিকল্প ধারা প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করি। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">আমরা পূর্ববর্তী তিনজন নির্ভর যোগ্য ইমাম ও ইসলামী উম্মাহর লিখিত তিন খানা অমুল্য গ্রন্থ হতে সংগৃহীত তথ্য উপাত্ত্ব উদঘাটন করেছি যেগুলো তাঁদের নিকট সমাদৃত ও গৃহীত। </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">মীলাদ সংক্রান্ত বহুল তথ্য উপাত্ত্বগুলো নিন্মোক্ত তিনটি গ্রন্থ হতে সংকলিত। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">১। আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবী (ইমাম মোল্লা আলী কারী (رحمة الله) </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">২। মাওলিদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)। (হাফিজ ইবনে কাছীর রচিত) </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">৩। মাওলিদু নাবী। (হাফিজ ইবনে হাজার হায়তামী রচিত) </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অতএব, বহুযুগ ধরে বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মুসলমানরা আজ মীলাদ শরীফের প্রতি গুরুত্বরোপ দিয়ে আসছে বিধায় মীলাদ বিরোধীদের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে তাই আমরা এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বিশে­ষন করতে শরয়ী প্রমাণাদী উপস্থাপন করছি। এর মূল উদ্দেশ্য যাতে আমরা নবী প্রেমীক উম্মতদের পুনঃরায় আল্লাহ ও তাঁর রাসূলে পাক (ﷺ) এর ভাল বাসার দিকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হই। </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;"> কেননা মহান আল্লাহ পাক নিন্মোক্ত বাণী দ্বারা স্বীয় রাসূলে পাক (ﷺ) এর অনুগত্যকে নিজের ভালবাসার অন্তর্ভূক্ত করেছেন। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;"> যেমনঃ মহান আল্লাহ পাকের বাণীঃ -</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: right;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;"> অর্থাৎ: বলুন। তোমরা যদি আল্লাহকে ভাল বাসতে চাও তবে পূর্বে রাসূল কে ভালবাস। তবেই তিনি তোমাদেরকে ভাল বাসবেন। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">আর এ ভালবাসা সম্পর্কে হুযূরে পাক (ﷺ) এরশাদ ফরমানঃ </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">لا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ والِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعينَ .</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অর্থাৎ তোমরা ততক্ষন যাবত পুর্ণ মুমিন হতে পারবেনা যতক্ষন যাবত না আমি তার নিকট তার নিজের চেয়ে, পিতা-মাতার চেয়ে, সন্তান-সন্ততির চেয়ে এবং সমস্ত মানুষের চেয়েও অত্যধিক প্রিয় হই। </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অতএব ততক্ষন পর্যন্ত আমরা আমাদের সৃষ্টি কর্তা মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভে সক্ষম হবোনা, যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁর রাসূলে পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হবোনা এমনকি রাসূলে পাক (ﷺ) এর ভালবাসা ব্যতীত তাঁর অনুস্বরণ ও অনুকরণ করা ও আমাদের পক্ষে-কশ্মিন কালেও সম্ভব হবেনা। </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">মহান আল্লাহ পাক এ মুল্যবান গ্রন্থ গুলোর সংস্করণের তাওফিক দানের জন্যে আমরা তাঁর কৃতজ্ঞতার পাশের্ব আবদ্ধ। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">পাশা পাশি উক্ত গ্রন্থ গুলো সংকলন বিষয়ে সাবির্কভাবে সর্বোত্তম সহযোগীতা করায় মহামান্য শায়েখ আলহাজ লতীফ আহমদ চিশতী এবং মহামান্য শায়েখ আলহাজ মুহাম্মদ জামীল চিশতী মহোদ্বয় গনের প্রতি কৃতজ্ঞতার বিকলপ নেই। </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">পরিশেষে মহান আল্লাহ পাকের দরগাহে এ আকুতী জানাই যে, তিনি যেন আমাদের পূর্ব পুরূষ হতে এ গুরুত্ব পূর্ণ অমুল্য গ্রন্থ সংকলন ও সংস্করনের অক্লান্ত ও অবিশ্রান্ত পরিশ্রমকে মঞ্জুর করেন এবং এ মেহনতকে তাঁর মোবারক দরগাহে একনিষ্টতার ধার প্রান্তে পৌছে দেন। </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">(আমীন ছুম্মা আমীন) </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">বিনীত </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">আল্লাহর সন্তুষ্টির ভিখারী </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">মুহাম্মদ খান কাদেরী </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">ইসলামী বাস্তবায়নকেন্দ্র </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">(২০৫-শাদমান নং (১) লাহোর পাকিস্থান) </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /><br /><br /><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">লেখকের কথা</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: center;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাকের, যিনি বিশ্বজগতের প্রতি পালক। দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এর প্রতি তাঁর পরম আহলে বাইত ও সকল সাহাবায়ে কেরামগনের (رضي الله عنه) প্রতি।</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;"> </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">পরর্বতী বক্তব্য হলো, মহান আল্লাহ পাক এ অধমকে হাফিজে হাদীস শায়েখ আব্দুর রহমান বিন আলী আশ শায়বাণী (যিনি ইবনে দিবা নামে পরিচিত) তাইছিরুল উছুল ইলা-জামিউল উছুল, গ্রন্থকারের প্রনেতা) র প্রণীত আল মাওলিদু নাবী, গ্রন্থের খেদমতের উছিলায় ইহসান করেছেন। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">গ্রন্থ খানার টিকা ও গবেষনা কাজে আমি নিজেকে উৎসর্গ করি। পাশা পাশি বর্ণিত হাদীস গুলো সন্নিবেশিত করি। আশা করি আল্লাহ পাকের প্রশংসায় মীলাদ প্রেমীকদের নয়ন যুগল হবে। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">এরপর আমার নিকট বার্তা পৌছে যে, হাফিজে হাদীস শায়েখ মুল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) এর প্রণীত গ্রন্থ সংকলন করার জন্য। তিনি ছিলেন স্বীয় যুগের এক প্রতিভা সম্পন্ন বড় ইমাম। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">যেমন: হাদীস সংগ্রহের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সে যুগের এক কীনারাহীন বিদ্যাসাগর। এজন্য তৎকালীন যুগে লোকেরা তাঁকে অমুল্য জ্ঞানসমুদ্র বলে উপাধি দেয়। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">এ অমুল্য গ্রন্থ প্রায় ৯৩ পৃ: সম্বলিত এবং চমৎকার পরিমার্জিত পান্ডুলিপি। এর অন্য আরেকটি পান্ডুলিপি অতিচমৎকার ফার্সি ভাষায় লিখিত পাওয়া যায়। তবে এর প্রথম হস্তলিপি স্পষ্ট ও পরিমার্জিত থাকার দ্বরুন আমরা তার উপর আস্থা রাখি। গ্রন্থের উপর বহু টিকা লিখা হয়েছে। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">গ্রন্থকার (رحمة الله) তাঁর গ্রন্থে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সহীহ ও জঈফ হাদীস বর্ণনা করেছেন বিধায় আমি (লেখক) অতিরিক্ত কোন হাদীস বর্ধিত করিনি। গ্রন্থকার (رضي الله عنه) স্বীয় গ্রন্থ প্রণয়নে অধিকাংশ ক্ষেত্রে زعموا- روى- قيل শব্দগুলো বর্ণনা করেছেন। আর হাদীস বিশরাদগনের কাছে এ ধরনের বর্ণনাই যথেষ্ট। আবার কোন কোন সময় গ্রন্থ প্রণয়নে সনদ সহকারে এমন বহু হাদীস বর্ণনা করেছেন, যা নির্ভরযোগ্য তাবেঈন ও আইম্মায়ে কেরামগনের বর্ণিত হাদীস। অথচ বর্ণনা প্রাক্ষালে একথা বলেননি যে, হাদীসটি নবী করীম (ﷺ) এর নিকট মারফু হিসেবে পরিচিত বরং তা মাওকুফ হাদীস। তবে মুফাসিসরীনে কেরামগনের বর্ণিত হাদীসকে তিনি অত্যধিক প্রাধান্য দিয়েছেন এবং তাঁদের বর্ণিত হাদীস মারুফু বলে রায় প্রদান করতেন। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">আমাদের দৃষ্টিতে তাঁর বর্ণিত হাদীস সমূহ মারফু সুত্রে বর্ণিত ও প্রকাশ্য দলীলের বিপরীত নয়। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">তাঁর সংগৃহীত হাদীস গুলো বর্ণনা করেছেন ইবনে আব্বাস, কা’ব এবং হালীমা সাদিয়াগন (رضي الله عنه)। চতুর্থ ঘটনা বর্ণনা করেন নবীজীর মাতা হযরত সাইয়্যিদা আমেনা (رضي الله عنه)। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অত্রএব তাঁদের বর্ণিত ঘটনাসমুহ কি সমালোচিত হতে পারে না কখনও না। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /><br /><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;"> </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">গ্রন্থকার ইমাম মুল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) সংক্ষিপ্ত পরিচিতি</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">তাঁর নাম ইমাম মুল্লা আলী বিন মহাম্মদ সুলতান হারুবী (যিনি মুল্লা আলী কারী হানাফী নামে পরিচিত)। তিনি ছিলেন এক বিশাল প্রতিভা সম্পন্ন, স্বীয় যুগের একমাত্র ব্যক্তিত্ব উজ্জল নক্ষত্র, ভাষা পরিমার্জনকারী, বিশে­ষণের আলোকধারা। তাঁর খ্যাতি সবর্ত্রে প্রচারিত। তিনি হিরা প্রদেশে জন্ম গ্রহন করেন। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">ইলমে হাদীসের উদ্দেশ্যে জ্ঞান আহরণের জন্য তিনি সুদূর মক্কায় ভ্রমন করেন। হাদীস সংগ্রহ করেন সেখানকার নির্ভর যোগ্য উস্তাদ জনাব আবুল হাসান আল বিকরী (رحمة الله) সাইয়্যিদ যাকারীয়া আল হাসানী, শিহাব আহমদ বিন হাজার হায়তামী, শায়েখ আহমদ আল মিছরী (যিনি ক্বাজী যাকারীয়া ছাহেবের সুযোগ্য ছাত্র) শায়েখ আব্দুল্লাহ সানাদী, আল্লামা কুতবুদ্দিন মক্কী সহ প্রমুখ মুহাদ্দিসীনে কেরামগনের নিকট হতে। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-size: medium;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">তাঁর সুখ্যাতি সর্বত্রে ছড়িয়ে পড়ে</span><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"> </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">তাঁর জীবদ্দশায় তিনি বহু সুক্ষগ্রন্থ প্রণয়ন করে গেছেন, যে গুলো পরিমার্জিত সংশোধিত সুচী ভিত্তিক এবং বিশাল ফায়দা সংবলিত। তন্মধ্যে মেরক্বাত শরহে মেশকাত ১১ খন্ডে প্রনীত, তা তাঁর সর্ববৃহৎ প্রণীত ও বিশ্বনন্দিত অমুল্য গ্রন্থ, তাছাড়া শরহে শিফা, শরহে শামায়েল, শরহে নুখবাতুল ফিকর শরহে শাত্বেরা, শরহুল জাযরীয়্যা লাখছুন মিনাল ক্বামুস (যা কামুস নামে প্রশিদ্ধ)। তাছাড়া “আল আয়মনারুল জানিয়্যা ফি আসমায়িল হানাফিয়্যা, শরহে ছুলাছিফয়াতে বুখারী নযুতাহুল খাতীর, আল ফাতীর ফি তারজমায়ে শায়খ আব্দুল কাদীর গ্রন্থ গুলোও অন্যতম।</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">মৃত্যু</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">তিনি ১০১৪ হিজরীর শাওয়াল মাসে পবিত্র মক্কা নগরীতে ইন্তেকাল ফরমান। এবং জান্নাতুল মুয়াল্লা নামক স্থানে তাকেঁ দাফন করা হয়। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">তাঁর মৃত্যু সংবাদ যখন মিসরের উলামায়ে কেরামদের কাছে পৌছে, তখন তাঁরা আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে জড়ো হয়ে তাঁর গায়েবানা জানাযা আদায় করেন। তাঁর গায়েবানা জানাযায় প্রায় চার হাজারের ও অধিক লোক অংশগ্রহন করেন। </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;"> </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">হুযূরে পাক (ﷺ) এর জন্মানুষ্ঠান</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">হুযূরে পাক (ﷺ) এর জন্মানুষ্ঠান নিয়ে বহু আলোচনা সমালোচনা হয়। তা কি জায়েয? না জায়েয নয়? এ বিষয়ের অবতারনার জন্য কলম হাতে নিলাম। আমার ব্যক্তিগত চিন্তা ধারা ও আজকের সমস্ত মুসলিম জাতিরা যে চিন্তা গবেষনা করছে তা হচ্ছে যে, হুযূরে পাক (ﷺ) এর জন্মানুষ্ঠান বিষয়ে যতই আলোচনা সমালোচনা হোকনা কেন সর্বোপরি তা যে যুক্তি সঙ্গত ও বৈধ বিষয় তা সন্দেহের অবকাশ নেই। তা প্রতি বছর প্রতি মৌসুমে পালিত হয়ে আসছে। আবার কেহ তা শ্রবনে বিরক্ত ও হচ্ছে। তাই আমার কিছু সংখ্যক বন্দু মহল আমার পক্ষ থেকে মীলাদ সংক্রান্ত কিছু প্রমাণ উদঘাটন করতঃ জানতে চাইলে আমি তা লিখার মনস্থ করি। যেহেতু জেনে শুনে কোন বিষয় গোপন করা যে মহা অপরাধ তা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে উক্ত বিষয়ে কলম চালনাকে দায়ীত্ব মনে করি। আল্লাহ পাকের নিকট এ প্রার্থনা জানাই, তিনি যেন যথাযতভাবে উক্ত বিষয়ে লিখার শক্তি দান করেন। (আমীন) </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">মীলাদ মাহফিল বৈধ হওয়ার যুক্তি নির্ভরদলীল সমূহ </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">১। আমরা হুযূরে পাক (ﷺ) এর জন্মানুষ্ঠান, এমনকি মীলাদ মাহফিলে তাঁর জীবনী আলোচনা করা, শ্রবন করার উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া, সালাত ও সালাম পাঠ করা, প্রশংসা গাওয়া, শ্রবন করা, খানা খাওয়ানো, উম্মতের হৃদয়ে আনন্দ জাগানো ইত্যাদি বিষয় গুলোকে বৈধ বলে মনে করি। </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">২। মীলাদ মাহফিলকে কেবল বিশেষ কোন রাত্রে বা দিনে পালন করা হলে আমরা তাকে সুন্নাত বলিনা বরং যারা তার বিশ্বাসী প্রকৃত পক্ষে তারাই আহলে বিদআতী, ধর্মে নতুন বিষয় উদ্ভাবনকারী। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">কেননা হুযূরে পাক (ﷺ) এর আলোচনা এবং তাঁর সাথে সম্পর্ক রাখা নিদির্ষ্ট নয় বরং যে কোন সময়ে তা করা যায় তা সকল উম্মতে মুহাম্মদীর উপর ওয়াজিবও বটে। নবী পাকের আলোচনায় স্বীয় আত্মা পরিপুর্ণ করাও ওয়াজিব। বিশেষত: নবী করীম (ﷺ) এর আগমনের মাস তথা মাহে রবিউল আউয়াল আসলে ঈমানদারগণ মানুষকে তার প্রতি অগ্রসর হওয়ার মানসে আহবান করা বা অনুষ্ঠান করিয়ে মীলাদ মাহফিলের সকল ফয়েজ ও বরকত উপলদ্ধি করানো উচিত। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">মুসলমানকে অতীত ও বর্তমান বিষয়ে এমনকি যারা উপস্থিত থাকবে তারা অনুপস্থিতগনের অবহিত করবে। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">৩। মীলাদ মাহফিল সহ পূবোর্ক্ত নেক কর্ম মুলক কাজ পালন করা আল্লাহর দাওয়াত প্রচারের সুবৃহৎ উসিলা। মানুষের জন্য তা স্বর্ণালী যোগ বিধায় তার জন্য তা পরিহার করা উচিত নয়। এবং প্রত্যেক আহবানকারী উলামায়ে কেরামদের জন্য আবশ্যক যে, তারা যেন মীলাদ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতিকে হুযূরে পাকের আলোচনা, তাঁর চরিত্র, কৃতিত্ব, শিষ্ঠাচারীতা, ন্যায় পরায়নতা, উদারতা, জীবনী আলোচনা, মুয়ামালাত, মুআশারাত ও ইবাদত বিষয়ে লোকদের জানিয়ে দেয়া। তাদেরকে নছীহত মুলক কথা বার্তার মাধ্যমে নেক ও কল্যানের পথে পরিচালিত করা এবং বিদআত, শিরকী ফিৎনাহ ফাসাদ, মুছিবত থেকে বেচে থাকার ভীতি প্রদর্শন করা। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">আর আমরা সুন্নীরা আল্লাহর করুনায় সার্বাক্ষণিক ভাবেই এ কাজের আহবান করে আসছি এবং মুসলিম সমাজকে এর প্রতি উৎসাহ ও উদ্দীপনা দিচ্ছি। তাতে আমাদের ব্যক্তিগত কোন সার্থ নেই বরং আমরা তাঁকে আল্লাহ পাকের নৈকট্য লাভের এক পবিত্র ও বিশাল উসিলা হিসেবে মনে করি। </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অতএব, জেনে শুনে যারা নবী পাকের ধর্মের কোন ফায়দা লাভ করতে চায়না তারা সমপূর্ণ ভাবেই মীলাদ মাহফিলের সকল কল্যান রহমত ও বরকত হতে বঞ্চিত থাকবে। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">মীলাদ মাহফিল জায়েয হওয়ার দলীলসমুহ</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">১। মীলাদনুষ্ঠান পালন করা হুযূরে পাক (ﷺ) এর প্রতি আনন্দ ও খুশী প্রকাশ করার এক উত্তম রীতি। এ আনন্দ ও খুশী জাহেরের দ্বরুন কুখ্যাত কাফের আবু লাহাব ও উপকৃত হয়েছে। যেমনঃ বোখারী শরীফে এ প্রসঙ্গে এসেছেঃ </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">انه خفف عن ابى لهب كل يوم الا ثنين سبب عتقه لثو يبة جاريته لما بشرته بولادة المصطفى صلى الله عليه وسلم- </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অর্থাৎ কুখ্যাত আবু লাহাব হতে প্রতি সোমবার জাহান্নামের অগ্নি হালকা করা হয়, যেহেতু তার কৃতদাসী সুয়াইবিয়া কর্তৃক ভাতিজা মুহাম্মদ এর আগমনের সংবাদ জানানোর কারণে তাকে মুক্ত করে দিয়েছিলো। একথা কাব্যাকারে উপস্থাপন করেছেন হাফিজ শামছুদ্দিন মুহাম্মদ বিন নাছির দিমাশকী (رحمة الله) </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;"> </span></span></p><p dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">اذا كان هذا كافرا جاء ذمه * بتبت يداه فى الجحيم مخلدا- </span></span></p><p dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">اتى انه فى يوم الاثنين دائما * يخفف عنه للسرور باحمدا- </span></span></p><p dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">فماالظن باالعبد الذى كان عمره * با حمد مسرورا ومات موحدا </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অর্থাৎঃ আবু লাহাব কাফের হওয়ায় তার নিন্দায় সুরা লাহাব এমর্মে অবর্তীণ হয়েছিল যে, সে চির জাহান্নামী। কিন্তু তা সত্ত্বেও তার ব্যাপারে অত্যাশ্চর্য একটি ঘটনা আছে যে, প্রতি সোমবার তার থেকে প্রজ্জলিত অগ্নিশিখা হালকা করা হয়, কেবল আহমদী শুভাগমনের খুশী প্রকাশের দ্বরুন। তাহলে ঐ ব্যক্তির বেলায় কি অবস্থা হবে, যে সুদীর্ঘ জীবনে আহমদী শুভাগমনে খুশী যাহের করে একত্ববাদে মৃত্যু বরণ করে। রাসূলে পাক (ﷺ) নিজেই নিজের আগমনের দিনকে অত্যধিক সম্মান করতেন এবং এদিবসে তাঁর প্রতি খোদা প্রদত্ত সমুহ নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতেন। যারা এভাবে শুকরিয়া জ্ঞাপন করবে তিনি তাদেরকে মর্যাদায় ভুষিত করবেন। নবীদের জন্মানুষ্ঠানের শুকরিয়াকে কোন সময় রোজা পালনের মাধ্যমেও করা হতো্ যেমনঃ হাদীস শরীফে হযরত কাতাদাহ (رضي الله عنه) হতে একখানা হাদীস এসেছে, তিনি বলেছেনঃ </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">ان رسول الله صلى الله عليه وسلم سئل سُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ قَالَ ذَاكَ يَوْمٌ وُلِدْتُ فِيهِ وَيَوْمٌ بُعِثْتُ أَوْ أُنْزِلَ عَلَيَّ فِيهِ</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অর্থাৎঃ হুযূরে পাক (ﷺ)কে সোমবার দিনের রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন: এ দিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এ দিনে আমার উপর প্রথম কোরআন অবর্তীণ হয়। ইমাম মুসলিম (رضي الله عنه) এ হাদীসটি সহীহ মুসলিম শরীফের কিতাবুস সিয়াম অধ্যায়ে আলোচনা করেছেন। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">আলোচ্য হাদীস হুযূরে পাকের মীলাদানুষ্ঠানের প্রতি ইঙ্গিত বহন করে থাকে। তবে মীলাদ অনুষ্ঠানের বিভিন্ন আকৃতি থাকলেও মূল অর্থ ও উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন তাতে রোজা দ্বারা পালন করা হোক বা খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে হোক, যিকরের আলোচনা মাহফিল হোক বা নবী (ﷺ) এর প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠের মাধ্যমে হোক অথবা মাহফিলের আয়োজন করে তাঁর শামায়েল শরীফ শুনানোর মাধ্যমে হোক তাতে কোন বৈপরিত্ব নেই। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">৩। হুযূরে পাকা (ﷺ) এর আগমনের খুশী যাহের করা পবিত্র কুরআনে পাকের নিন্মোক্ত বাণী দ্বারা নির্দেশিত। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">মহান আল্লাহ পাকের বাণীঃ </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: right;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">قُلْ بِفَضْلِ اللّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُواْ</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অর্থাৎঃ বলুন হে রাসূল! আল্লাহর ফজল ও করুনা এ দুটো দ্বারা তারা যেন খুশী যাহের করে। অতএব, মহান আল্লাহ পাক আমাদরেকে তাঁর রহমত দ্বারা খুশী যাহের করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ই হচ্ছেন সর্বোত্তম রহমত। যার প্রমাণ মিলে নিন্মোক্ত আয়াতে কারীমাতে وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ অর্থাৎঃ আপনাকে সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরন করেছি। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">৪। হুযূরে পাক (ﷺ) অতীত যুগের সময়োপযোগী বড় বড় ধর্মীয় ঘটনাসমুহ বর্ণনা করতেন। এবং বলতেন যখন এ দিবস গুলো আসবে তখন তোমরা তার আলোচনা করবে, এর যথার্থ সম্মান করবে। রাসূলে পাক (ﷺ) এ স্মরনীয় মহিমান্বিত কার্যাবলী নিজেই পালন করেছেন। যেমন: হাদীস শরীফে এসেছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মদীনায় পৌছলেন, তখন সেখানকার ইয়াহুদী গোষ্টিকে দেখতে পেলেন যে, তারা আশুরার দিনে রোজা রাখছে। তিনি তাদেরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা বলল, আমরা ঐ দিনে রোজা রাখার কারণ হলো, যেহেতেু মহান আল্লাহ পাক ঐ দিনে আমাদের নবী মুসা (عليه السلام) কে নীল দরিয়ার বিশাল তরঙ্গে ফেরাউনের আক্রমনএ থেকে রক্ষা করেছেন এবং ফেরাউন সহ তার বাহিনীকে সমুদ্রে ডুবিয়ে মারেন। তাই এ নেয়ামতের শুকরিয়া স্বরূপ আমরা ঐ দিনে রোজা রাখি। তা শ্রবনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) , বললেনঃ</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: right;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;"> نَحْنُ أَوْلَى بِمُوسَى مِنْكُمْ:، وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অর্থাৎ: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরেকে লক্ষ্য করে বললেন: আমরা তোমাদের চেয়ে মুসা (عليه السلام) এর প্রতি অধিক হক্বদার। এর পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজেও রোজা রেখেছেন এবং সাহাবায়ে কেরামকেও রোজা রাখার নির্দেশ দেন। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">৫। প্রচলিত ধারায় উদযাপিত মীলাদ মাহফিলের আয়োজন রাসূলে পাকের যুগে ছিলনা বিধায় সুত্র মতে তা বিদআতের আওতায় পড়ে যায় কিন্তু শরীয়াতের দলীলের আওতাভুক্ত হওয়ায় তাকে বিদআতে হাসানাহ বলা হয়েছে। আর কাওয়ায়িদে কুল্লীয়্যা তথা সাধারন নিয়মানুযায়ী তা বেদআত হয়েছে সামাজিক গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তবে একক নিয়মানুযায়ী নয়, যা রাসূলে পাকের যুগে কোন একজন পালন করেছেন পরবর্তীতে তা ইজমায় পরিনত হয়ে গেছে। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">৬। মূলত: মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি সালাত ও সালাম পাঠের নিমিত্তে, যা নিন্মোক্ত বাণী দ্বারা প্রমাণিত। আল্লাহ পাকের বাণীঃ </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيماً .</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অর্থাৎ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক ও তাঁর ফেরেস্তাগন তাঁর নবীর উপর দুরুদ শরীফ পাঠ করে থাকেন। অতএব, হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর উপর সালাত ও সালাম পাঠ করতে থাক। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">একথা শতস্ফুর্ত যে, শরঈভাবে যা কিছু পাঠ করা হয় মূল তা শরীয়তে দলীল হিসেবে বিবেচিত হয়। অতএব, নবী করীম (ﷺ) এর প্রতি যতই দরুদ শরীফ পড়া হবে ততই নুবুওয়তী ফয়েজ দিলে আসতে থাকবে, মুহাম্মদী সাহায্য অনবরত আসতে থাকবে। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">৭। মীলাদ শরীফ মূলত: হুযূরে পাকের জন্মালোচনাকে অন্তভূর্ক্ত করে এমনকি তাঁর মোজেযা, সীরাত এবং তাঁর পরিচয়কে অন্তভূর্ক্ত করে। অর্থাৎ: নবীজীর জন্মালোচনা, মোজেযা, সীরাত ও জীবনী আলোচনার সমন্বয়ে গঠিত মীলাদ। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">৮। আমাদের জন্য উচিত রাসূলে পাকের পক্ষ থেকে প্রতিদান পাওয়ার আশায় তাঁর গুনাবলী পরিপূর্ণভাবে বর্ণনা করা, তাঁর চরিত্র বর্ণনা করা। যেহেতু কবি সাহিত্যিকরা তাদেঁর কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে রাসূলে পাকের প্রশংসা জ্ঞাপন করে তাঁর নৈকট্যের ধারপ্রান্তে পৌছিয়েছেন পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের আমলের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করেছেন। সুতরাং ব্যক্তি যদি প্রশংসা সুচক কবিতা আবৃত্তি করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করতে পারে তবে যারা তাঁর পবিত্র শামায়েলসমুহ সংগ্রহ করে তার প্রতি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কেন সন্তুষ্ট হবেন না? অতএব, বান্দাহ রাসূলে পাকের প্রতি সীমাতিরিক্ত সন্তুষ্টি ও ভালবাসা লাভের কারণে তাঁর নৈকট্য লাভে ধন্য হয়ে থাকে। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">৯। রাসূলে পাক (ﷺ) এর মু’জিযা ও শামায়েল সমুহের পরিচয় জানা সীমাতিরিক্ত ভালবাসা ও পরিপর্ূণ ঈমানদারের লক্ষন। সাধারন মানব-মানবা সৌন্দর্যের প্রেমে আকর্ষীত হোক চরিত্রে বা গঠনে অথবা ইলমে আমলে, অবস্থায় অথবা আকীদাগত দিক থেকে কিন্তু হুযূরে পাক (ﷺ) এর চরিত্র মাধুর্য্যতা, সৌন্দর্যতা আকর্ষনীয়তা চেয়ে কোন বিষয় অত্যধিক সৌন্দর্যমন্ডিত ও সুরভীত নয়। অতিরিক্ত ভালবাসা ও পরিপূর্ণ ঈমান দুটি শরীয়ত কর্তৃক আদিষ্ট বিষয় বিধায় এ দুটিই নৈকট্য লাভের মূল উৎস। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">১০. রাসূলে পাকের তা’যীম তাকরীম করা শরীয়ত কর্তৃক প্রবর্তীত। বিশেষত: তাঁর আগমনের দিনে আনন্দ উল্লাস-খুশী যাহের করা, ভূজ অনুষ্ঠান করা, যিকরের মাহফিল করা, দরীদ্রদের খাদ্যদান করা হচ্ছে সর্বোত্তম তা’যীম, তাকরীম, আনন্দ, উল্লাস ও খুশী যাহের এবং আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার নামান্তর। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">১১। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জুমআর দিনের ফজিলত ও বৈশিষ্ট বণর্না করত: বললেন এ দিনে হযরত আদম (عليه السلام) জন্ম গ্রহণ করেন অর্থাৎ: এ দিনে তিনি অস্তিত্ব জগতে ফিরে আসেন বা তাঁর দেহ মোবারক তৈরী করা হয়। যে মোবারক সময়ে জন্মগ্রহণ করেছেন তা দ্বারা সাব্যস্থ হলো যে, নবীগনের আগমনের দিনই হচ্ছে মীলাদ অনুষ্ঠানের দিন। যদি তাই হয়, তবে যে দিন নবীউল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, মুহাম্মদ (ﷺ) জন্ম গ্রহণ করেছেন, সে দিনকে কেন আমরা ঈদ হিসেবে পালন করবো না। তা মূলত: শরীয়ত সম্মত ও যুক্তি সঙ্গত।</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">১২। মীলাদ শরীফ এমন একটি কাজ যাকে উলামায়ে কেরাম ও সকল মুসলমানগন উত্তম বলে রায় দিয়েছেন, যা শরীয়তের পঞ্চম দলীল মুস্তাহসান হিসেবে বিবেচিত। বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুসলিম জনতা তা পালন করে আসছে এবং প্রতিটি দেশে তার আমল প্রবাহমান হয়ে আসছে। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">আর উক্ত প্রমাণ হযরত ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) কতৃর্ক নিন্মে বর্ণিত হাদীসে মাওকুফ সুত্রে বর্ণিত হওয়ায় তা শরীয়ত সিদ্ধ। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বাণীঃ </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;"> </span></span></p><p dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">فَمَا رَأوهُ الْمُؤْمِنُونَ حَسَنًا فَهُوَ عِنْدَ اللهِ حَسَنٌ ، وَمَا رَآهُ قَبِيحًا فَهُوَ عِنْدَ اللهِ قَبِيحٌ.</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অর্থ: মুসলমান উলামায়ে কেরামগন যেটাকে উত্তম বলে মনে করেন, তা আল্লাহর নিকট উত্তম বলে বিবেচিত। অপর দিকে তারা সেটাকে নিকৃষ্ট বলে রায় দিয়েছেন, তা আল্লাহর কাছেও নিকৃষ্ট বলে বিবেচিত। ইমাম আহমদ বিন হাজার (رحمة الله) তা বর্ণনা করেছেন। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">১৩। মীলাদ মাহফিলে হুযূরে পাকের যিকরের বৈঠক, সাদক্বা খায়রাত, প্রশংসা ও তা’জীম কিয়াম প্রদর্শন করা হয়ে থাকে বিধায় তা সু্ন্নাত। আর উক্ত কার্যাদী শরীয়ত কর্তৃক স্বীকৃত ও প্রশংসনীয়। এবিষয়ে বহু বিশুদ্ধ হাদীসসমুহ বর্ণিত আছে এবং উক্ত আমলের প্রতি উদ্ভুদ্ধ হওয়ার ও উৎসাহ দিয়েছে। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">১৪। মহান আল্লাহ পাক এরশাদ ফরমানঃ </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: right;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">وَكُـلاًّ نَّقُصُّ عَلَيْكَ مِنْ أَنبَاء الرُّسُلِ مَا نُثَبِّتُ بِهِ فُؤَادَكَ </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অর্থাৎ: রাসূলগণের সংবাদ মধ্যকার কিছু কাহিনী আমি আপনার নিকট বর্ণনা করেছি, যাতে করে এর দ্বারা আমি আপনার অন্তকরণকে সুদৃঢ় করতে পারি। এ আয়াত দ্বারা প্রতীয়মান হয়ে গেলো যে, রাসূলগনের কিচ্ছা কাহিনী বর্ণনা করার হেকমত হচ্ছে মূলত: হুযূরে পাক (ﷺ) এর অন্তকরণকে সুদৃঢ় রাখা। যদি তাই হয়, তবে আমরা ও আজ নবীগণের সংবাদ জানার মাধ্যমে আমাদের হৃদয় সুদৃঢ় রাখার প্রত্যাশী। আর এক্ষেত্রে সকল নবীগণের তুলনায় আমাদের নবী (ﷺ) এর আলোচনা জিন্দা রাখার মাধ্যমে আমাদের ক্বলব সুদৃঢ় রাখবো। তা ই যুক্তি নির্ভর কথা। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">১৫। সলফে সালেহীনগণ যে কাজ করেননি বা যেটি ইসলামের প্রাথমিক যুগেও ছিলনা সেটা নিকৃষ্ট ও নিন্দনীয় বেদআত বটে। এ ধরনের কাজ করা সম্পুর্ণ হারাম বরং তাকে অস্বীকৃতি জানানোও অত্যাবশ্যক। আর যেগুলো শরঈ দলীলের উপর গঠিত হয়েছে তা মেনে নেয়া ওয়াজিব। যেমনঃ কোন কোনটি ওয়াজিব। কোনটি হারাম, যা মাকরূহের উপর গঠিত তা মাকরূহ, যা মুবাহ তা মুবাহ, অথবা কোনটি মুস্তাহাব হলে মুস্তাহাব হিসেবে পরিগণিত হবে। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">এরপর উলামায়ে কেরামগন বেদআতকে মোট পাঁচটি ভাগে বিভক্ত করেছেন। যে গুলো হচ্ছে: </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">১। ওয়াজিব বেদআতঃ-যেমন : কোরআন হাদীস ও আরবী ভাষা জানার নিমিত্বে নাহু-ছরফ শিক্ষা করা বাতীল পন্থীদের দাঁতভাঙ্গা জাওয়াব দেয়া। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">২। মানদ্বুব বেদআতঃ- যেমন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, গগন চুম্বী মিম্বারের উপর আযান দেয়া, উত্তম কাজ যা প্রথম যুগে সুচীত হয়নি। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">৩। মাকরূহ বেদআত:- যেমন: মসজিদসমুহ সীমাতিরিক্ত কারুকার্য করা, কিতাব বাধাই করা। ইত্যাদি। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">৪। মুুবাহ বেদআত:- খাওয়া, পান করার প্রচুর্যতা প্রশান্ততা ও প্রসস্থ জায়গা তৈরী করা। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">৫। হারাম বেদআত- যেমন: যা নতুন আবিস্কৃত কিন্তু কুরআন হাদীসের সম্পূর্ণ বিপরীত এবং সাধারণভাবে শরঈ দলীল তাকে গ্রাহ্য করেনা যেহেতু তা শরয়ী আওতায় পড়েনি। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">১৬। যে বিষয় ইসলামের প্রথম যুগে সমাজবদ্ধভাবে বিন্যস্ত ছিলনা কিন্তু এককভাবে তার অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল তা ও শরীয়তে গ্রাহ্য। কেননা শরীয়তের আওতায় যা প্রতিষ্টিত হয়ে যায়, তা এককভাবে হলেও মূলত: তা শরীয়ত কর্তৃক প্রবর্তীত। তা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট।</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">১। প্রত্যেক বেদআত আবার হারাম নয়। কেননা যদি সকল বেদআত হারাম হয়ে যায়, তবে হযরত আবু বকর, ওমর ও যায়েদ (رحمة الله) গনের আমলে কুরআন মযীদ সংরক্ষণ করা হারাম হয়ে যেতো, যখন সাহাবায়ে কেরামগনের মধ্যকার কিছু সংখ্যক হাফিজে কুরআন ও কারীগনের ইন্তেকালে কুরআনের অস্তিত্ব প্রায় বিলীন হওয়ার আশংকায় তা গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। এবং হযরত ওমর (رضي الله عنه) এর আমলে তিনি একই ইমামের পিছনে তারাবীহের ২০ রাকাত নিন্মোক্ত বাণী نعمت البدعة هذه (কতইনা উত্তম বেদআত) তা দ্বারা সুন্নাত সাব্যস্থ করেছিলেন তাও হারাম হয়ে যাবে। মানুষের সামগ্রীক ফায়দা সম্বলিত সমস্ত গ্রন্থ ভান্ডার সমুহ হারাম হয়ে যাবে, আর আমাদের উপর আবশ্যক হয়ে যেতো কাফেরদের সাথে তীর বর্শা দ্বারা যুদ্ধ করা আবার তারাও আমাদেরকে গুলি, কামান তোপ, যুদ্ধ ট্যাংক উড়োজাহাজ, ডুবোজাহাজ, সাবমেরিন ও নৌবহর দ্বারা হামলা করতো। মিনারার উপর আযান দেয়া হারাম হয়ে যাবে। এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা কেন্দ্র (ক্লিনিক) ত্রানসামগ্রী এতীম খানা লঙ্গর খানা জেলখান্ এগুলো সবই হারাম হয়ে যেতো। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">এতএব, যে সমস্ত উলামায়ে কেরামগন كل بدعت ضلالة (প্রত্যেক বেদআত গোমরাহী) দ্বারা বেদআত সাইয়্যিয়া উদ্দেশ্য নিয়েছেন এবং বলেছেন যে, সাহাবা ও তাবেঈনগনের আমলে যে সকল বিষয় আবিস্কৃত হয়েছে এবং তা রাসূলে পাকের আমলে বিদ্যমান ছিলনা বিধায় তা বেদআত। এর প্রতি উত্তরে আমরা বলবো আমরাতো বর্তমান যুগে এমন অনেক মাসআলাসমুহ উদগাঠন করেছি যা পূর্ববর্তী আমলে ছিলনা। যেমন: তারাবীহের নামাজের পর আমাদের দেশে শেষ রাত্রে তাহাজ্জুদের নামাজ জামাত বদ্ধ হয়ে আদায় করি উক্ত রাত্রে সমস্ত কুরআন খতম করা হয়, খতমে কুরআনের দোয়া দীর্ঘভাবে পাঠ করা হয়, হারামাইন শরীফাইনের ইমামদ্বয় কর্তৃক রামদ্বান শরীফের ২৭ তারিখ তথা লাইলাতুল কদরের রজনীতে খুতবা পরিবেশন করা, এবং তাহাজ্জুদের নামজের জন্য একজন আহবানকারী কর্তৃক এ বলে আহবান করা صلاة الليل اثابكم الله ইত্যাদি। এগুলোর কোনটিই হুযূরে পাকের আমলে প্রচলিত ছিলনা এমনকি পরবর্তী সাহাবী যুগেও ছিলনা। তাহলে আমাদের ঐ ধারাবাহীক আমল বেদআত হয়ে যাবে কি? এবার বলতে হবে যে, এগুলো বেদআত কিন্তু বেদআতে হাসানাহ বা উত্তম বেদআত। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">১৮। ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله) বলেন এমন কতগুলো বিষয় উদ্ভাবন হল, যা শরীয়তে মোটেই গ্রাহ্য নয় বা কুরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াসের সম্পূর্ণ বিপরীত, তা হবে বেদআতে দ্বালালাহ বা ভ্রান্ত বেদআত। আর যেগুলো সত্য ও কল্যানের উপর ভিত্তিকরে প্রবর্তীত হয় অথচ এগুলো শরীয়তের চারটি মূলনীতির বিরোধী নয় তবে তা সন্দেহাতীতভাবে শরীয়ত সিদ্ধ ও প্রশংসীত। ইমাম ইজদুদ্দীন বিন আব্দুস সালাম ও ইমাম নব্বীদ্বয় ও তাকে সর্মথন করেছেন এবং এ আমল সমূহ প্রবাহমান রেখেছেন। অনূরূপ ইমাম ইবনুল আছীর স্বীয় গ্রন্থে বিদআত অধ্যায়ে বেদআতে হাসানা বলে মন্ত্যব্য করেছেন। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">(১৯) শরীয়ত বিরোধী উদ্ভাবনা ছাড়া যেগুলো শরীয়তের আওতায় পড়ে এবং জনগন তাতে অস্বীকার করেনা, প্রকৃত পক্ষে তা ধর্মের অন্র্Íভুক্ত। </span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">কোন কোন গুড়াপন্থিরা বলে থাকে যে, পূর্ববর্তী আমলে যা ছিলনা বা যে কাজের সর্মতন ছিলনা থাকে কোন অবস্থাতেই দলীল হতে পারেনা বরং তা শরীয়তে তা অগ্রাহ্য ও তাদের এহেন যুুক্তি সম্পুর্ণ অযৌক্তিক ও অবান্তর বৈ কিছুই নয়। কেননা হুয়ূর পাক (ﷺ) প্রকৃত বেদআত উদ্গাঠনকারীকে সুন্নাত ও এর প্রচলনকারীকে প্রতিদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। যা নিন্মোক্ত বাণী দ্বারা প্রণিধান যোগ্য। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ ফরমান- </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="rtl" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">مَنْ سَنَّ فِي الْإِسْلَامِ سُنَّةً حَسَنَةً فَعُمِلَ بِهَا بَعْدَهُ كُتِبَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ عَمِلَ بِهَا وَلَا يَنْقُصُ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْءٌ .</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অথার্ৎ- যে ব্যক্তি ইসলামে একটি উত্তম রীতি প্রর্বতন করতঃ এর প্রতি আমল করবে তার আমল নামায় যারা এর প্রতি আমল করবে তাদের সমপরিমান প্রতিদান দান করা হবে। অথচ আমল কারীদের আমল নামা হতে সরিষা পরিমান ছাওয়াব হ্রাস করা হবেনা। ইমাম ইযযুদ্দীন বিন আব্দুস সালাম ও ইমাম নববীদ্বয় ও তাকে সমর্থন করেছেন এবং এ আমল গুলো প্রবাহমান রেখেছেন। অনুৃরুপভাবে ইমাম ইবনুল আছির স্বীয় গ্রন্থের বেদয়াত অধ্যায়ে বেদআতে হাসানা বলে মন্তব্য করেছেন। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">২০। মীলাদ মাহফিল হচ্ছে মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ) এর সকল আলোচনা জীবিত রাখার এক উত্তম মাধ্যম। আর আমাদের দৃষ্টিতে ইসলামে তা প্রবর্তীত ও উত্তম কাজ। কেননা তুমি লক্ষ্য কর হজ্জের বিধি বিধানের দিকে। এগুলো মুসলমানরা বারং বার পালন করে আসছে তার কারণ কি? মূলত: এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে সম্মানীয় ও প্রশংসনীয় ঘটনা আল্লাহর নিদর্শন গুলোর স্মৃতি চারণ করা। যেমন: সাফা মারওয়া পাহাড়ে দৌড়া দৌড়ী করা, পাথর নিক্ষেপ করা, মিনাপ্রান্তরে জবেহ করা ইত্যাদি কাজসমুহ অতীত ঘটনা ও নিদর্শনসমুহ বিধায় বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুসলমানগন বাস্তবে হজ্ব পালনের মাধ্যমে এ নিদর্শন গুলোর স্মৃতি চারন করত: জিন্দা রাখে। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">২১। মীলাদ মাহফিল শরীয়ত সম্মত হওয়ার ব্যাপারে আমরা পূর্বে যে সমস্ত বৈধ যুক্তিগুলো উপস্থাপন করেছি তা কেবল মাত্র মীলাদে মুস্তফা (ﷺ) এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে যে সমস্ত মীলাদ মাহফিলে এমন র্গহীত নিকৃষ্ট ও নিন্দনীয় কাজ হয় যে গুলোর প্রতি ঘৃণা করা আবশ্যক যেমন: নারী পুরুষের সংমিশ্রন, হারাম কাজে মগ্ন হওয়া, সীমাতিরিক্ত অপচয় করা যেগুলোর প্রতি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সন্তুষ্ট নন এগুলো নি:সন্দেহে হারামও নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">তবে একটি বিষয়ের জওয়াব স্পষ্টভাবে দেয়া আবশ্যক যে, যদি কেউ পুবোর্ক্ত নিষিদ্ধ ও নিকৃষ্ট কাজ মীলাদ মাহফিলে সংমিশ্রন করে, তবে তার দ্বারা স্থায়ীভাবে হারাম সাব্যস্ত হয়না। কেননা কোন বৈধ বিষয়ের সাথে অবৈধ বিষয় মিশ্রন হলে অস্থায়ীভাবে তা হারাম হতে পারে কিন্তু মুলকে হারাম করেনা। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">অতএব, তাতে প্রতীয়মান হলো যে, মীলাদ শরীফে কোন অশ্লীল ও শরীয়ত গর্হীত কাজ হলে তখনই তা হারাম হবে অন্যতায় শরীয়ত সম্মত কাজের মাধ্যমে পালিত হলে তা সর্ব সম্মতি ক্রমে বৈধ ও শরীয়ত সম্মত কাজ বলে বিবেচিত হবে। </span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /></span><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: blue; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">লিখকঃ</span></span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0.0pt; margin-top: 0.0pt; text-align: justify;"><span style="color: blue; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-emoji: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"><span style="font-size: medium;">মোহাম্মদ বিন আলাভী</span></span></p><span style="font-size: medium;"><br /><br /></span><br />

আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ) [সূচীপত্র ও প্রাক কথা]

আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ) اَلْمَوْرِدُ الرَّوِى فِيْ مَوْلِدٍ النَّبَوِى মূলঃ ইমাম নূরুদ্দীন মুল্লা আলী কারী আল হারুবী (رحمة ا...

Read more »