❏ ইবরাহীম (عليه السلام)-এর আকৃতি-অবয়ব
ইমাম আহমদ (رحمة الله) জাবির (رضي الله عنه) সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমার সম্মুখে পয়গম্বরগণকে পেশ করা হয়। তন্মধ্যে মূসা (عليه السلام) শানুয়া গোত্রের লোকদের অনুরূপ দেখতে পাই। ঈসা ইবন মারয়াম (عليه السلام)-কে অনেকটা উরওয়া ইবন মাসউদের মত এবং ইবরাহীম (عليه السلام)-কে অনেকটা দাহয়া কালবীর মত দেখতে পাই। এ সনদে ও এ পাঠে ইমাম আহমদ (رحمة الله) একাই এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম আহমদ (رحمة الله) আসওয়াদ ইবন আব্বাস (رضي الله عنه) সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি ঈসা ইবন মারয়াম, মূসা ও ইব্রাহীম (عليه السلام)-কে দেখেছি। তন্মধ্যে ঈসা (عليه السلام) ছিলেন গৌরবর্ণ, চুল ঘন কাল, বক্ষদেশ প্রশস্ত। আর মূসা (عليه السلام) ছিলেন ধূসরবর্ণ ও বলিষ্ঠ দেহী। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ আর ইব্রাহীম (عليه السلام)? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমাদের সাথীর দিকে তাকাও অর্থাৎ তাঁর নিজের দিকে ইঙ্গিত করেন। ইমাম বুখারী মুজাহিদ সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি ইবন আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে শুনেছেন যে, লোকজন তার সম্মুখে দাজ্জালের প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করছিল এবং বলছিল, দাজ্জালের চক্ষুদ্বয়ের মধ্যখানে লিখিত থাকবে কাফির। ইবন আব্বাস (رضي الله عنه) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এ কথা শুনি নাই। বরং তিনি বলেছেনঃ ইবরাহীম (عليه السلام)-কে যদি দেখতে চাও, তবে তোমাদের সাথীর প্রতি তাকাও। আর মূসা (عليه السلام) হলেন, ঘনচুল, ধূসর রং বিশিষ্ট। তিনি একটি লাল উটের উপর উপবিষ্ট—যার নাকের রশি খেজুর গাছের ছালের তৈরি। আমি যেন দেখতে পাচ্ছি তিনি এ অবস্থায় উপত্যকার দিকে নেমে আসছেন। বুখারী ও মুসলিম (رحمة الله) এ হাদীসটি ভিন্ন সূত্রে বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারী (رحمة الله) ‘কিতাবুল হজ্জ’ ও ‘কিতাবুল লিবাসে’ এবং মুসলিম (رحمة الله)ও আবদুল্লাহ ইবন আওন সূত্রে এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।
Top