❏ নামাজের পর ইমাম সকলের জন্য দোয়া করতে হবে
ইমাম সাহেব নামাজের ইমামতি করে দোয়ার সময় সকলের জন্য দোয়া করার কথাই প্রিয় নবীজি (ﷺ) বলেছেন। যেমন :
এ বিষয়ে সহীহ্ রেওয়ায়েতে উল্লেখ আছে, ইমাম ইবনু মাজাহ, ইমাম তিরমিজি, ইমাম আবু দাউদ, ইমাম বাজ্জার, ইমাম আহমদ, ইমাম বায়হাক্বী (رحمة الله عليه) প্রমূখ বর্ণনা করেছেন,
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ قَالَ: حَدَّثَنِي حَبِيبُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِي حَيٍّ المُؤَذِّنِ الحِمْصِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:.. وَلاَ يَؤُمَّ قَوْمًا فَيَخُصَّ نَفْسَهُ بِدَعْوَةٍ دُونَهُمْ، فَإِنْ فَعَلَ فَقَدْ خَانَهُمْ
-“হযরত ছাওবান (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি ইমামতি করে সে যেন দোয়ার সময় অন্যদের বাদ দিয়ে কেবল নিজের জন্য দোয়া না করে। যদি সে এরূপ করে তবে সে যেন মুক্তাদীদের সাথে খিয়ানত করল।”
(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৯২৩; তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ৩৫৭; সুনানে আবী দাউদ, হাদিস নং ৯০; মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ২২৪১৫; মুসনাদে বাজ্জার, হাদিস নং ৪১৮০; ইমাম তাবারানী: মুসনাদে শামেঈন, হাদিস নং ১০৪২; ইমাম বায়হাক্বী: শুয়াবুল ঈমান, হাদিস নং ১০৬৭০; ইমাম বাগভী: শরহে সুন্নাহ, হাদিস নং ৬৪১;)
ইমাম তিরমিজি (رحمة الله عليه) হাদিসটিকে حَدِيثُ ثَوْبَانَ حَدِيثٌ حَسَنٌ -“ছাওবান (رضي الله عنه)’র হাদিসটি ‘হাছান’। এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম বাগভী (رحمة الله عليه) বলেন, هذا حديث حسن. -“এই হাদিস হাছান।”
এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করা যায়, ইমাম আহমদ, ইমাম বায়হাক্বী (رحمة الله عليه) বর্ণনা করেছেন,
حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي السَّفْرُ بْنُ نُسَيْرٍ الْأَزْدِيُّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ شُرَيْحٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ... وَلَا يَؤُمَّنَّ أَحَدُكُمْ فَيَخُصَّ نَفْسَهُ بِالدُّعَاءِ دُونَهُمْ، فَمَنْ فَعَلَ فَقَدْ خَانَهُمْ
-“হযরত আবু উমামা বাহেলী (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি ইমামতি করে সে যেন দোয়ার সময় অন্যদের বাদ দিয়ে কেবল নিজের জন্য দোয়া না করে। যদি সে এরূপ করে তবে সে যেন মুক্তাদীদের সাথে খিয়ানত করল।”
(মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ২২২৪১; ইমাম বায়হাক্বী: মারেফাতুস সুনান ওয়াল আছার, হাদিস নং ৬৯৭১; ইমাম বায়হাক্বী সুনানে কুবরা, হাদিস নং ৫৩৪৮;)
অনুরূপ আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখযোগ্য, ইমাম বায়হাক্বী (رحمة الله عليه) বর্ণনা করেছেন,
أَخْبَرَنَا أَبُو زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ الْمُزَكِّي، أنبأ أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ سَلْمَانَ النَّجَّادُ بِبَغْدَادَ، ثنا يَحْيَى بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الزِّبْرِقَانِ، أنبأ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أنبأ أَصْبَغُ بْنُ زَيْدٍ، ثنا مَنْصُورٌ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِي حُيَيٍّ الْمُؤَذِّنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:... وَلَا يَخُصُّ نَفْسَهُ بِدَعْوَةٍ دُونَهُمْ، فَإِنْ فَعَلَ فَقَدْ خَانَهُمْ،
-“হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন:... দোয়ার সময় অন্যদের বাদ দিয়ে শুধু নিজের জন্য খাছ দোয়া করবেনা। এরূপ করলে লোকদের সাথে খিয়ানত করা হবে।”(ইমাম বায়হাক্বী: সুনানে কুবরা, হাদিস নং ৫৩৪৯;)
উল্লেখিত ৩টি রেওয়ায়েত দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত হয়, জামাতের ইমামতি করার পর দোয়া রয়েছে, এবং ঐ দোয়ায় সকল মুসল্লীদের জন্য দোয়া করার কথা স্বয়ং আল্লাহর হাবীব (ﷺ) তাকিদ দিয়েছেন। অথচ ওহাবীর দলেরা বলছে দোয়া নেই।