ফয়যানে রমযান
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعُلَمِينَ وَالصَّلوةُ وَالسَّلَامُ عَلَى سَيِّدِ الْمُرْسَلِينَ أَمَّا بَعْدُ فَأَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَنِ الرَّجِيمِ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

কিতাবের নাম:

ফয়যানে রমযান

লিখক :

শায়খে তরীকত, আমীরে আহলে সুন্নাত, দা'ওয়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা হযরত আল্লামা মাওলানা আবু বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবী যিয়ায়ী

প্রকাশকাল

: শাবানুল মুয়াজ্জম ১৪৩৯ হিজরি, মে ২০১৮ ইংরেজি

প্রকাশনায় : মাকতাবাতুল মদীনা (দা'ওয়াতে ইসলামী)

মাকতাবাতুল মদীনার বিভিন্ন শাখা

ফয়যানে মদীনা জামে মসজিদ, জনপথ মোড়, সায়দাবাদ, ঢাকা। ফয়যানে মদীনা জামে মসজিদ, নিয়ামতপুর, সৈয়দপুর, নীলফামারী। কে.এম. ভবন, দ্বিতীয় তলা, ১১ আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম।

মাদানী অনুরোধ: অন্য কারো এই কিতাবটি ছাপানোর অনুমতি নেই

কিতাবটি পাঠ করার ২৩ টি নিয়্যত
الْحَمْدُ لِلْرَبِّ الْعَلَمِينَ وَالصَّلوةُ وَالسَّلامُ عَلَى سَيِّدِ الْمُرْسَلِينَ أَمَّا بَعْدُ فَأَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَنِ الرَّحِيمِ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

এই কিতাবটি পাঠ করার ২৩টি নিয়্যত

نِيَّةُ الْمُؤْمِنِ خَيْرٌ مِنْ عَمَلِهِ : صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم

অর্থাৎ মুসলমানের নিয়্যত তার আমল থেকে উত্তম।

(মু'জামুল কাবির, ৬ষ্ঠ খন্ড, ১৮৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৫৯৪২)

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ وَالصَّلوةُ وَالسَّلَامُ عَلَى سَيِّدِ الْمُرْسَلِينَ أَمَّا بَعْدُ فَأَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَنِ الرَّجِيمِ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ



শয়তান লাখো অলসতা দিবে তবুও আপনি সাহস করে ফয়যানে রমযান (প্রতি বছর পবিত্রশাবান মাসে) সম্পূর্ণ পড়ে নিন, إن شاء الله عزومة এর বরকত আপনি নিজেই দেখবেন।



(১) প্রতিবার হামদ ও (২) সালাত এবং (৩) তাউয )اَعُوْذُ بِالله( ও (৪) তাসমীয়া )بسم الله( সহকারে শুরু করবো। (এই পৃষ্ঠার প্রারম্ভে দেওয়া আরবী ইবারতটি পাঠ করাতে এই চারটি নিয়্যতের উপর আমল হয়ে যাবে) (৫) আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কিতাবের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বো। (৬) দ্বীনি কিতাবের সম্মানার্থে যথা সম্ভব এই কিতাব ওযু সহকারে এবং (৭) দ্বীনের ফযীলত অর্জনের জন্য কিবলামুখী হয়ে পাঠ করার চেষ্টা করবো। (৮) কোরআনের আয়াত ও (৯) হাদীসে মোবারকার যিয়ারত করবো এবং এতে বর্ণনাকৃত বিধানাবলীর প্রতি আমল করার চেষ্টা করবো। (১০) যেখানে যেখানে "আল্লাহ তায়ালা"র জাতি বা গুণবাচক নাম মোবারক আসবে সেখানে "عزوجل” বা "تَعَالٰى" অথবা "جَل جَلَا لَهُ" ইত্যাদি প্রশংসামূলক বাক্য পড়বো এবং (১১) যেখানে যেখানে "নবী করীম صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم এর যেকোন জাতি বা গুণবাচক নাম মোবারক আসবে সেখানে "صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم বা যেকোন দরূদ ও সালাম পাঠ করবো। (১২) কিতাবটি পাঠ করে শরীয়াতের মাসয়ালা শিখবো, হুযুর صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وآله وسلم এর সুন্নাত এবং ওলামায়ে দ্বীনদের পক্ষ থেকে বর্ণিত জীবনোপানের আদব ও সুন্দর সামাজিক ব্যবস্থা শিখবো। ইসলামী জ্ঞান, অভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক চরিত্র ও আদব এবং বুযুর্গানে দ্বীনদের কাহিনী থেকে জ্ঞান অর্জন করবো, যেন নিজের জীবনে এরই আলোকে উত্তম বানাতে পারি। (১৩) যদি কোন বিষয় বুঝে না আসে, তবে ওলামার নিকট জিজ্ঞাসা করবো। (১৪) নেককারদের আলোচনা পাঠ করার বরকত অর্জন করবো। (১৫) অধ্যয়নকালে কোন গুরুত্বপূর্ণ মাসয়ালা বা সুন্নাতে মোবারকা অথবা আখিরাতের ধ্যান সম্বলিত কিংবা মনোরম সমাজ ব্যবস্থা বা বান্দার হক অথবা তাদের কল্যান কামনা সম্পর্কীত কোন এমন বিষয় জানতে পারি যে, যা স্মরণ রাখা বা নোট করা আবশ্যক মনে করি, তবে তা স্মরণীয় করে রাখার জন্য নিজের ব্যক্তিগত কপিতে আন্ডারলাইন বা হাইলাইট করবো অথবা কিতাবে বা আলাদা ডায়েরীতে নোট করবো। (১৬) অধ্যয়নকালে এমন কোন কাজ করবো না, যা কিতাবে বর্ণনাকৃত বিষয়ের মূল উদ্দেশ্য বুঝতে প্রতিবন্ধক হয়, যেমন মোবাইল ফোন ব্যবহার, কথাবার্তা বলা, হৈ হুল্লোড়ের মাঝে পাঠ করা, অধ্যয়ন করার জন্য এমন সময় নির্ধারণ করা যখন ক্লান্তি খুবই বেশী হয় বা মন-মেজাজ স্বাভাবিক থাকে না, মোটকথা অধ্যয়নকালে পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে ইলমে দ্বীন অর্জন করেবা। (১৭) কিতাব সম্পূর্ণ পাঠ করার জন্য ইলমে দ্বীন অর্জনে নিয়্যতে প্রতিদিন কয়েক পৃষ্ঠা পাঠ করে ইলমে দ্বীন অর্জনের অধিকারী হবো এবং এই নিয়্যতের অধিনে অটলতার সহিত নেক আমল করতে থাকার ফযীলতের অধিকারীও হবো। (১৮) ইলমে দ্বীনের প্রচার ও প্রসারের জন্য অন্যদেরকে এই কিতাব পাঠ করার জন্য উৎসাহিত করবো। (১৯) এই হাদীসে পাক “تَهَادَوْا تَحَابُوا অর্থাৎ একে অপরকে উপহার দাও, পরস্পর ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে।” (মুওয়াত্তা ইমাম মালেক, ২য় খন্ড, ৪০৭ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-১৭৩১) এর উপর আমলের নিয়্যতে (একটি বা সামর্থ অনুযায়ী) এই কিতাব ক্রয় করে অন্যান্যদেরকে উপহার স্বরূপ দেয়ার সময় ইলমে দ্বীন প্রসার করার নিয়্যতও করবো, যেন এই নিয়্যতেরও আলাদা সাওয়াব অর্জিত হয়। (২০) যাদেরকে দেবো যথাসম্ভব তাদেরকে সময়সীমাও দিয়ে দেবো যে, আপনি এত দিনের (যেমন ২৫দিন) মধ্যেই পাঠ করে নিবেন। (২১) এই কিতাবটি পাঠ করে যতটুকু দ্বীনি জ্ঞান অর্জিত হবে, শরীয়াতের অনুমতি স্বাপেক্ষে মুখস্ত অন্যদেরকে বলবো, নতুবা কিতাব থেকে দেখে দেখে যারা জানে না তাদের শিখাবো। (২২) উত্তম নিয়্যত সহকারে কিতাব পাঠ করাতে যে সাওয়াব অর্জিত হবে, তা সকল উম্মতকে ইছাল করবো। (২৩) কম্পোজিং ইত্যাদিতে ভুল পেলে তবে কল্যাণ কামনার প্রেরণায় নেকীর কাজে সাহায্য করবো এবং শরয়ী ভূল পরিলক্ষিত হলে তবে ভূল মাসয়ালা প্রসার না হওয়ার নিয়্যতে প্রকাশকদেরকে এবং সম্ভব হলে লিখককে লিখিতভাবে অবহিত করবো।

(প্রকাশক ও লেখকদেরকে কিতাবের ভুলত্রুটি সম্পর্কে শুধু মুখে বলাতে বিশেষ কোন উপকার হয় না।)
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "প্রতিটি উদ্দেশ্য সম্বলিত কাজ, যা দরূদ শরীফ ও যিকির ছাড়াই আরম্ভ করা হয়, তা বরকত ও মঙ্গল শূণ্য হয়ে থাকে।" (মাতালিউল মুসাররাত)

আসসালামু আলাইকুম ইসলামী বিশ্বকোষ গ্রবথ S2 : https://play.google.com/store/apps/details?id=com.srizwan.bookhozur500
Top