এই যে প্রতি পদে পদে আল্লাহর নাফরমানি করি, আল্লাহপাক স্পষ্ট নিষেধ করে দেয়ার পরেও প্রকাশ্য শত্রু শয়তানকে আমাদের কাজে-কর্মে, চিন্তা-চেতনায় বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করি- ভেবে দেখেছেন যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, যিনি আমাদের ভালোবাসায় নেয়ামত রাজিতে ডুবিয়ে রেখেছেন, তাঁর ভালোবাসার বান্দাগুলোর এহেন নাফরমানিতে উনার কেমন লাগে?

সেই তিনি আবার শিখিয়েও দিয়েছেন কিভাবে বান্দা শত নাফরমানির পরেও ক্ষমা চাইবে- “হে আল্লাহ্, আমি আমার নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। এখন আপনি যদি আমাকে ক্ষমা ও রহম না করেন, আমি ধ্বংস হয়ে যাব।”

বান্দাদের ভালোবেসে তাঁর প্রিয় রাসূল (ﷺ) এঁর মাধ্যমে দিয়েছেন এমন এক রাত যে একটি রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদত থেকে উত্তম। 

তাঁর প্রিয় হাবীবের মাধ্যমে আমাদের এ রাতের বিশেষ দোয়াও শিখিয়েছেন- “হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমাশীল। ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। আমাদের আপনি ক্ষমা করে দিন।”

আমরা জ্ঞানের স্বল্পতায় ভাবি- আমাদের পাপরাশি এতই গভীর যে আল্লাহ তা ক্ষমা করবেন না। এটি প্রকারান্তরে আল্লাহপাকের ক্ষমতার ওপর প্রশ্ন তোলার সামিল। 

এসব কুপ্ররোচনা দূরে ফেলে আমরা যেন রব্বুল আলামীনের নিকট একান্ত মনে ক্ষমা, রহমত ও দয়া প্রার্থনার জন্য দাঁড়াতে পারি- রহমত,বরকত ও নাজাতের মাসের সমস্ত ফজিলত আমাদের নসীব হোক। ফিলিস্তিনসহ নির্যাতিত সকল মুসলিম উম্মাহর ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।

আমিন, বেহুরমতে সায়্যিদুল মুরসালীন রাহমাতুল্লিল আলামীন।

🖋️সৈয়দ মিফতাহুন নূর মাইজভান্ডারি 
Next
This is the most recent post.
Previous
Older Post
Top