কোন নেকীই ছেড়ে দেয়া উচিত নয়
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা দেখলেন তো! পিতামাতার আনুগত্য, ওযু, নামায, আল্লাহ তায়ালার যিকির, হজ্ব ও ওমরা, আত্মীয়তার বন্ধন,

রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "কিয়ামতের দিন আমার নিকটতম ব্যক্তি সেই হবে, যে দুনিয়ায় আমার উপর বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ পড়েছে।" (তিরমিযী ও কানযুল উম্মাল)

اَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَنَهَى عَنِ الْمُنْكَرِ )সৎকাজের নির্দেশ ও অসৎকাজে বাধা প্রদান), সদকা, সৎচরিত্র, দানশীলতা, খোদাভীতিতে কান্না করা, তদুপরি আল্লাহ তায়ালার প্রতি ভাল ধারণা ইত্যাদি নেকীর কারণে আল্লাহ তায়ালা আপন বান্দাদের প্রতি দয়া করেন এবং কষ্ট ও আযাব থেকে মুক্তি দিয়েছেন। তবে এটা হচ্ছে তাঁর অনুগ্রহ ও বদান্যতার ব্যাপার, তিনি মালিক ও মুখতার, যাকে চান ক্ষমা করে দেন, যাকে চান শাস্তি দেন, এসবই তাঁর ন্যায় বিচার। যেভাবে তিনি কোন নেকীর প্রতি খুশী হয়ে আপন দয়ায় ক্ষমা করে দেন, সেভাবেই কোন গুনাহের কারণে যখন তিনি অসন্তুষ্ট হয়ে যান তখন তাঁর কহর ও গযবে জোশ চলে আসে, অতঃপর তাঁর পাকড়াও খুবই কঠোর হয়ে থাকে। যেমনটি এখন উল্লেখিত দীর্ঘ হাদীসের শেষভাগে চুগলখোরদের এবং অন্যদের প্রতি গুনাহের অপবাদ প্রদানকারীর পরিণতি কিরূপ হলো। সুতরাং বুদ্ধিমান হচ্ছে সে-ই, যে বাহ্যিকভাবে কোন ছোট নেকী হলেও তা বর্জন করে না, কেননা হতে পারে এই নেকীই মুক্তির উপায় হয়ে যায়, পক্ষান্তরে বাহ্যিকভাবে গুনাহ যতোই সামান্য হোক না কেন, তা কখনোই করে না।

صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد

صَلُّوا عَلَى الْحَبِيْب

Top