কিতাবঃ ৪০ রূহানী চিকিৎসা
এই রিসালাটি শায়খে তরিকত, আমীরে আহলে সুন্নাত, দা'ওয়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা হযরত আল্লামা মাওলানা আবু বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রজবী دَامَتْ بَرَكَاتُهُمُ الْعَالِيَهْ উর্দু ভাষায় লিখেছেন । দাওয়াতে ইসলামীর অনুবাদ মজলিশ এই বইটিকে বাংলাতে অনুবাদ করেছে ।
اَلْحَمدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ وَلصَّلٰوتُ وَلسَّلَامُ عَلٰى سَيِّدِ الْمُرْسَلِيْنَ اَمَّا بَعْدُ فَاَعُوْزُبِا للّٰهِ مِنَ الشَّيْطٰنِ الرَّجِيْمِ ط بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ط
কিতাব পাঠ করার দোআ ধর্মীয় কিতাবাদি বা ইসলামী পাঠ পড়ার শুরুতে নিম্নে প্রদত্ত দোআটি পড়ে নিন اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل যা কিছু পড়বেন, স্বরণে থাকবে।
দোআটি হলঃ
اَللّٰهُمَّ افْتَحْ عَلَينَا حِكمَتَكَ وَانْشُرْ عَلَيْنَا رَحْمَتَكَ يَا زَالْخَلَالِ وَالْاِ كْرَام
অনুবাদঃ হে আল্লাহ ! আমাদের জন্য জ্ঞান ও হিকমতের দরজা খুলে দাও এবং আমাদের উপর তােমার বিশেষ অনুগ্রহ নাযিল কর ! হে চির মহান ও হে চির মহিমান্বিত !
(আল মুস্তাতারাফ, খন্ড -১ ম, পৃ -৪০, দারুল ফিকির, বৈরুত )
(দোআটি পড়ার আগে ও পরে একবার করে দরূদ শরীফ পাঠ করুন)
কিয়ামতের দিনে আফসােস
ফরমানে মুস্তফা صلّى اللّٰهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَاَلِهٖ وَسَلَّم
কিয়ামতের দিনে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে বেশী আফসােস করবে, যে দুনিয়াতে জ্ঞান অর্জন করার সুযােগ পেল কিন্তু জ্ঞান অর্জন করল না এবং ঐ ব্যক্তি আফসােস করবে, যে জ্ঞান অর্জন করল আর অন্যরা তার থেকে শুনে উপকার গ্রহণ করল অথচ সে নিজে গ্রহণ করল না (অর্থাৎ সে জ্ঞান অনুযায়ী আমল করল না)
(তারিখে দামেশক লিইবনে আসাকির খন্ড -৫১ পষ্ঠা -১৩৭ দাল ফিকির বৈরুত।)
اَلْحَمدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ وَلصَّلٰوتُ وَلسَّلَامُ عَلٰى سَيِّدِ الْمُرْسَلِيْنَ اَمَّا بَعْدُ فَاَعُوْزُبِا للّٰهِ مِنَ الشَّيْطٰنِ الرَّجِيْمِ ط بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ط
৪০ টি রূহানী চিকিৎসা
দরূদ শরীফের ফযীলত আল্লাহ্ তাআলার প্রিয় হাবীব, হাবীবে লাবীব, নবী করীম, রউফুর রহীম, হুযুর পুরনূর صلّى اللّٰهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَاَلِهٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন : “যে আমার উপর জুমার রাতে এবং জুমার দিন ১০০ বার দরূদ শরীফ পড়ে, আল্লাহ্ তাআলা তার ১০০ টি হাজত পূরণ করবেন। ৭০ টি আখিরাতের, আর ৩০ টি দুনিয়ার। ” (তারিখে দামেশক লি ইবনে আসাকির, ৫৪ খন্ড, ৩০১ পৃষ্ঠা)
صَلُّوْ اعَلَى الْحَبِيْب! صَلَّى اللّٰهُ تَعَالٰى عَلٰى مُحَمَّد
প্রতিটি ওয়াজিফার শুরু ও শেষে ১ বার করে দরূদ শরীফ পাঠ করে নিন। ফলাফল প্রকাশ না হওয়া অবস্থায় অভিযােগের পরিবর্তে নিজের অসতর্কতার কারণে দুর্ভাগ্য মনে করুন এবং আল্লাহ্ তাআলার প্রজ্ঞার প্রতি দৃষ্টি রাখুন।
(১) هُوَ اللّٰهُ الرَّحِيم : যে প্রত্যেহ নামাযের পর ৭ বার পাঠ করবে اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل শয়তানের ক্ষতি হতে বেঁচে থাকবে এবং তার ঈমানের সাথে মৃত্যু নছীব হবে।
(২) يَا مَلِكُ : যে গরীব ব্যক্তি প্রত্যেহ ৯০ বার পাঠ করবে
اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل দরিদ্র অবস্থা হতে মুক্তি লাভ করবে।
(৩) يَا قُدُّوْشُ : যে কেউ সফর অবস্থায় এ ওয়াযিফা পড়তে থাকবে اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل ক্লান্তি বা অবসাদ হতে নিরাপদ থাকবে।
(৪) يَا سَلَامُ : ১১১ বার পাঠ করে অসুস্থ ব্যক্তির উপর ফুঁক দেয়াতে اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل আরােগ্য লাভ হবে।
(৫) يَا مُهَيْمِنُ : যে কোন চিন্তাগ্রস্থ ব্যক্তি প্রত্যেহ ২৯ বার পাঠ করে নিবে اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل তার দুশ্চিন্তা দূর হবে।
(৬) يَا مُهَيْمِنُ : প্রত্যেহ ২৯ বার পাঠকারী اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل প্রত্যেক বিপদ - আপদ হতে নিরাপদ থাকবে।
(৭) يَاعَزِيْزُ : ৪১ বার। বিচারক বা অফিসার ইত্যাদির নিকট (জায়িয উদ্দেশ্য পূরনের জন্য ) যাওয়ার পূর্বে পাঠ করে নিন اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل ঐ বিচারক বা অফিসার দয়ালু হয়ে যাবে।
(৮) يَا مُتَكَبِّرُ : প্রতিদিন ২১ বার পাঠ করে নিন, ভয় - ভীতিপূর্ণ স্বপ্ন দেখে থাকলে اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل এটার বরকতে ভয়ংখর স্বপ্ন দেখবে না। (চিকিৎসার সময় হতে আরােগ্য লাভ হওয়া পর্যন্ত)
(৯) يَا مُتَكَبِّرُ : ১০ বার স্ত্রীর সাথে “ মিলন ” করার পূর্বে পাঠকারী اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل নেক্কার সন্তানের পিতা হবে।
(১০) يَا بَارِىءُ : ১০ বার। যে কেউ প্রত্যেক জুমা (শুক্রবার) পড়ে নিবে اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل তার পুত্র সন্তান হবে।
(১১) يَا قَهَّارُ : ১০০ বার। যদি কোন বিপদ আসে তবে পাঠ করুন اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل বিপদ দূর হয়ে যাবে।
(১২) يَا وَهَّابُ : ৭ বার। যে প্রত্যেহ পাঠ করবে اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل সে মুসতাযাবুদ দাওয়াত হয়ে যাবে। (অর্থাৎ তার প্রত্যেক দোআ কবুল হবে)
(১৩) يَا فَتَّاحُ : ৭০ বার। প্রত্যেহ যে ফজর নামাযের পর দু’হাত সিনা অর্থাৎ বুকের উপর রেখে পাঠ করবে اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل তার অন্তরের মরিচা ও ময়লা দূর হবে।
(১৪) يَا فَتَّاحُ : ৭ বার। যে প্রতিদিন (দিনের যে কোন সময়) পাঠ করবে, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل তার অন্তর আলােকিত হবে।
(১৫) يَا قَا بِضُ : ৩০ বার। যে প্রতিদিন পাঠ করবে, সে
اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل শত্রুর উপর বিজয় লাভ করবে।
(১৬) يَا رَافِعُ : ২০ বার। যে প্রতিদিন পাঠ করবে, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل তার উদ্দেশ্য পূরণ হবে।
(১৭) يَا بَصِيْرُ : ৭ বার। যে কেউ প্রত্যহ আসরের সময়
(অর্থাৎ আসর শুরুর সময় হতে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত যে কোন সময়) পাঠ করে নিবে, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل আকস্মিক মৃত্যু বরণ করা হতে নিরাপদ থাকবে।
(১৮) يَا سَمِيْعُ : ১০০ বার। যে প্রত্যেহ পাঠ করবে ও পাঠকালে কথা - বার্তা বলবেনা এবং পাঠ করে দোআ করবে اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل যা প্রার্থনা করবে তা পাবে।
(১৯) يَا حَكِيْمُ : ৮০ বার। যে প্রত্যেহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর পাঠ করবে, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل কারাে মুখাপেক্ষী হবে না।
(২০) يَا جَلِيْلُ : ১০ বার পাঠ করে যে নিজের কোন সম্পদ ও মালপত্র এবং টাকা - পয়সা বা মূল্যবান বস্তুর ইত্যাদির উপর ফুঁক মেরে দেয়, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل এটি চুরি হওয়া হতে নিরাপদ থাকবে।
(২১) يَا شَهِيْدُ : ২১ বার। যে সকালে (সূর্য উঠার আগে আগে) অবাধ্য ছেলে - মেয়ের কপালে হাত রেখে আসমানের দিকে মুখ করে পাঠ করবে, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل তার ছেলে - মেয়ে নেককার ও বাধ্যগত হবে।
(২২) يَا وَكِيْلُ : ৭ বার। যে প্রতিদিন আসরের সময় পাঠ করে নিবে, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل বিপদ-আপদ, দুর্ঘটনা হতে নিরাপত্তা লাভ করবে।
(২৩) يَا حَمِيْدُ : ৯০ বার। যার মন্দ কথা বলার অভ্যাস যায় না, তিনি পাঠ করে কোন খালি পেয়ালা বা গ্লাসে ফুঁক দিয়ে দিন। প্রয়ােজন অনুযায়ী সেটাতে পানি পান করুন, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل অশ্লীল কথা বলার অভ্যাস দূর হয়ে যাবে। (একবার ফুঁক দেয়া গ্লাস বছরের পর বছর ব্যবহার করা যাবে)
(২৪) يَا مُحْصِى : ১০০০ বার। যে কেউ প্রত্যেক জুমার রাতে (অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের মধ্যবর্তী রাতে) পাঠ করে নিবে اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل কবর ও কিয়ামতের শাস্তি হতে নিরাপদ থাকবে।
(২৫) يَا مُحْيِىْ : ৭ বার পাঠ করে পেট ফাঁপা, পেট বা যে কোন স্থানে ব্যথা হােক অথবা শরীরের কোন অঙ্গ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, নিজের উপর ফুক দিয়ে দিন, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل উপকার হবে। (চিকিৎসার সময় হতে আরােগ্য লাভ পর্যন্ত কমপক্ষে ১ বার)
(২৬) يَا مُحْيِى- يَا مُمِيْتُ : ৭ বার। যে প্রতিদিন পাঠ করে নিজের (শরীরের) উপর ফুক দেয়, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل (তাকে) যাদু ক্ষতি সাধন করতে পারবে না।
(২৭) يَا وَاجِدُ : যে কেউ খাবার খাওয়ার সময় প্রত্যেক গ্রাসের (পূর্বে) পাঠ করতে থাকবে, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل ঐ খাবার তার পেটে নূর হবে এবং রােগ দূর হয়ে যাবে।
(২৮) يَا مَاجِدُ : ১০ বার, পাঠ করে শরবতের উপর ফুঁক দিয়ে যে পান করে নিবে, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل সে (কঠিন) রােগে আক্রান্ত হবে না।
(২৯) يَا وَاحِدُ : ১০০১ বার। যার একাকী অবস্থায় ভয় লাগে, তবে একাকী অবস্থায় পাঠ করে নিন, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل তার অন্তর হতে ভয় - ভীতি দূর হয়ে যাবে।
(৩০) يَا قَادِرُ : যে অযুর মধ্যে প্রত্যেক অঙ্গ ধােয়ার সময় পাঠ করার অভ্যাস করে নেয়, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل শত্রু তাকে
কু - পথে পরিচালিত করতে পারবে না।
(৩১) يَا قَادِرُ : ৪১ বার বিপদ এসে গেলে পাঠ করে
নিন, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل বিপদ দূর হয়ে যাবে।
(৩২) يَا مُقْتَدِرُ : ২০ বার। যে প্রতিদিন পাঠ করে নিবে,
اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل সে রহমতের ছায়ায় থাকবে।
(৩৩) يَا مُقْتَدِرُ : ২০ বার। যে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে পাঠ করে নিবে, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل তার সকল কাজে আল্লাহ্ তাআলার সাহায্য সাথে থাকবে।
(৩৪) يَا اَوَّلُ : ১০০ বার। যে প্রতিদিন পাঠ করে নিবে,
اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل তার স্ত্রী তাকে ভালবাসবে।
(৩৫) يَا مَانِعُ - يَا مُعْطِىْ : ২০ বার। স্ত্রী অসন্তুষ্ট হলে স্বামী, আর স্বামী অসন্তুষ্ট হলে স্ত্রী, শােয়ার পূর্বে বিছানায় বসে পাঠ করলে, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل আপােষ হয়ে যাবে। (সময়সীমা : উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত)
(৩৬) يَا ظَاهِرُ : ঘরের দেয়ালে লিখে দিন, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل দেয়াল নিরাপদ থাকবে।
(৩৭) يَا رَءُوفُ : ১০ বার। যে কোন অত্যাচারী হতে মযলুম বা অত্যাচারিত ব্যক্তিকে জালিম থেকে বাঁচাতে চায় এবং তার পাওনা উসূল করে দিতে চায়, সে যেন (এ ওয়াজীফা) পাঠ করার পর ঐ অত্যাচারীর সাথে কথা বলে, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل অত্যাচারী ব্যক্তি তার সুপারিশ গ্রহণ করে নিবে।
(৩৮) يَا غَنِىُّ : মেরুদন্ড, হাঁটু, শরীরের বিভিন্ন স্থানের জোড়া ইত্যাদি ও শরীরের যে কোন স্থানে ব্যথা হােক, চলা - ফেরা, উঠা - বসার সময় পাঠ করতে থাকুন, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل ব্যথা দূরিভূত হয়ে যাবে।
(৩৯) يَا مُغْنِىْ : ১ বার পাঠ করে হাতে ফুক দিয়ে ব্যথার স্থানের উপর মালিশ করাতে اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل শান্তি লাভ হবে।
(৪০) يَا نَافِعُ : ২০ বার। যে কেউ কোন কাজ শুরু করার পূর্বে পড়ে নিবে, اِنْ شَآءَ اللّٰه عَزَّوَخَل ঐ কাজ তার ইচ্ছা অনুযায়ী পূরণ হবে।
চোগলখোরীর সংজ্ঞা
আল্লামা আইনী رَحْمَتُ اللّٰه تَعَالٰى عَلَيْهِ ইমাম নববী رَحْمَتُ اللّٰه تَعَالٰى عَلَيْهِ হতে নকল করেন : ‘ ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে একজনের কথা অন্য জনের নিকট বলে দেয়াকে চোগলখোরী বলা হয়। (উমদাতুল ক্বারী, ২ য় খন্ড, ৫৯৪ পৃষ্ঠা, ২১৬ নং হাদীসের ব্যাখ্যায়)