৬টি কন্যা সন্তানের পর পুত্র সন্তান
মারকাযুল আউলিয়া (লাহোর) এর এক ইসলামী ভাইয়ের মাদানী বাহার বর্ণনা করছি: সম্ভবত ২০০৩ সালের কথা, এক ইসলামী ভাই তাকে আশিকানে রাসূলের মাদানী সংগঠন দা'ওয়াতে ইসলামীর তিনদিনের আন্তর্জাতিক সুন্নাতে ভরা ইজতিমায় (সাহরায়ে মদীনা, মদীনাতুল আউলিয়া মুলতান) অংশগ্রহণ করার জন্য দাওয়াত প্রদান করলেন। সে আরয করলো: আমি ছয়টি কন্যা সন্তানের পিতা, আমার ঘরে আরো একটি সন্তান আসার অপেক্ষায় আছে, দোয়া করবেন যেন এবার আমার পুত্র সন্তান হয়। সেই ইসলামী ভাই ইনফিরাদী কৌশিশ করে বললেন: হজ্জের পর লোকসংখ্যার দিক থেকে আশিকানে রাসূলের সবচেয়ে বড় ইজতিমায় (মুলতান শরীফ) এসে দোয়া করুন, না জানি কার দোয়ার সদকায় তরী পার হয়ে যায়। তার কথা সেই ব্যক্তির হৃদয়কে প্রভাবিত করলো এবং সে সুন্নাতে ভরা ইজতিমায় (মুলতান শরীফ) উপস্থিত হয়ে গেলো। সেখানকার মনোরম দৃশ্যের বর্ণনা করার ভাষা তার নিকট ছিলো না, সে জীবনে প্রথমবার এক মহান রূহানী প্রশান্তি অনুভব করলো। الحمد لله عزوجل ইজতিমার কিছুদিন পর আল্লাহ তায়ালা তাকে চাঁদের মত ফুটফুটে একটি মাদানী মুন্না (ছেলে সন্তান) দান করলেন, পরিবারের সবার আনন্দ বর্ণনাতীত ছিলো। الحمد الله عزوجل সে দা'ওয়াতে ইসলামীর মাদানী পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেলো। আল্লাহ তায়ালা তাকে আরো একটি পুত্র সন্তান দান করে ধন্য করেন। الحمدُ لِلَّهِ عَزَّوَجَنَّ তার দা'ওয়াতে ইসলামীর মাদানী পরিবেশে মাদানী কাফেলার যিম্মাদার হিসেবে খেদমত করার সৌভাগ্যও অর্জিত হলো।

রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "যে ব্যক্তি আমার উপর জুমার দিন ২০০বার দরূদ শরীফ পড়ে, তার ২০০ বছরের গুনাহ ক্ষমা হয়ে যাবে।" (কানযুল উম্মাল)

৪০ জন নেককার মুসলমানের জমায়েতের মাঝে একজন ওলী থাকে
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! দা'ওয়াতে ইসলামীর মাদানী পরিবেশ এবং সুন্নাতে ভরা ইজতিমায় কেন রহমত বর্ষিত হবে না, কেননা জানি না ঐ সকল আশিকানে রাসূলের মধ্যে কতজন আউলিয়ায়ে কিরাম رَحِمَهُمُ الله السَّلام রয়েছেন। আমার আক্বা, আ'লা হযরত رختةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ বলেন: "জামাআতের মধ্যে বরকত রয়েছে আর مَجْمَعِ مُسْلِمِينَ أَقْرَبِ يَقَبُولَ )অর্থাৎ মুসলমানদের সমাবেশে দোয়া করাটা কবুল হওয়ার খুবই কাছাকাছি) ওলামায়ে কিরামরা বলেন: যেখানে ৪০ জন নেককার মুসলমান একত্রিত হয়, তাদের মধ্যে একজন অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার ওলী থাকেন।"

(ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ২৪তম খন্ড, ১৮৪ পৃষ্ঠা। ফয়যুল কদীর, ১ম খন্ড, ৪৯৭ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৭১৪)

ছেলে হোক, মেয়ে হোক বা কিছুই না হোক সর্ববাস্থায় কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করুন

অবশ্য যদি দোয়া কবুল হওয়ার কোন চিহ্ন দেখা না যায় তবুও অভিযোগের শব্দাবলী মুখে উচ্চারণ না করা চাই। আমাদের কল্যাণ কিসে নিহিত, তা আল্লাহ তায়ালা আমাদের চেয়ে অধিক ভালো জানেন। আমাদেরকে সর্বাবস্থায় আল্লাহ তায়ালার কৃতজ্ঞ বান্দা হয়ে থাকা চাই। তিনি ছেলে সন্তান দান করলেন, তবে কৃতজ্ঞতা, মেয়ে সন্তান দান করলেন, তবুও কৃতজ্ঞতা, উভয়টি দান করলেন, তবুও কৃতজ্ঞতা, আর একেবারে না দিলে, তবুও কৃতজ্ঞতা, সর্বাবস্থায় কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করাই উচিত। ২৫ পারা সূরা শুরা এর ৪৯ ও ৫০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালার ইরশাদ হচ্ছে:

لِلَّهِ مُلْكُ السَّمَوتِ وَالْأَرْضِ يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ يَهَبُ لِمَنْ يَشَاءُ إنَاثًا وَيَهَبُ لِمَنْ يَشَاءُ الذُّكُورَ أَوْ يُزَوْجُهُمْ ذُكْرَانًا وَإِنَانًا وَيَجْعَلُ مَنْ يَشَاءُ عَقِيمًا إِنَّهُ عَلِيمٌ قَدِيرٌ

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আল্লাহ তায়ালারই জন্য আসমান সমূহ ও জমিনের রাজত্ব। তিনি সৃষ্টি করেন যা ইচ্ছা করেন। যাকে চান পুত্র সন্তান সমূহ দান করেন। অথবা উভয়ই যুক্তভাবে প্রদান করেন- পুত্র ও কন্যা সন্তান। যাকে চান বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি জ্ঞানময়, শক্তিমান।


রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "যে ব্যক্তি জুমার দিন আমার উপর দরূদ শরীফ পড়বে, কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য সুপারিশ করবো।" (কানযুল উম্মাল)


"খাযায়িনুল ইরফানে” ৫০নং আয়াতের এই অংশ (যাকে চান বন্ধ্যা করে দেন) এর আলোকে বলেন: (অর্থাৎ) "যে, তার সন্তানই হয় না, তিনি (অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা) হচ্ছেন মালিক, আপন নিয়ামতকে যেভাবে ইচ্ছা বন্টন করেন, যাকে ইচ্ছা দান করেন। আম্বিয়া عَلَيْهِمُ الصَّلُوةُ وَ السَّلَام দের মধ্যেও এই অবস্থা পাওয়া যায়, হযরত লুত ও হযরত শোয়াইব عَلَيْهِمَا الصَّلُوةُ وَالسّلام এর শুধু কন্যা সন্তানই ছিলো, কোন পুত্র সন্তান ছিলো না এবং হযরত ইব্রাহিম عَلَى نَبِيِّنَا وَعَلَيْهِ الصَّلُوةُ وَالسَّلَامِ এর শুধু পুত্র সন্তানই ছিলো, কোন কন্যা সন্তান ছিলো না আর সায়্যিদুল আম্বিয়া, হাবীবে খোদা, মুহাম্মদে মুস্তফা صَلَّى اللهُ تَعَالٰى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم কে আল্লাহ তায়ালা চার পুত্র ও চার কন্যা সন্তান সন্তান দান করেছেন।" (খাযায়িনুল ইরফান, ৮৭৪ পৃষ্ঠা)

হুযুর পুরনূর এর পবিত্র সন্তানের সংখ্যা
দা'ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত ৩২ পৃষ্ঠা সম্বলিত রিসালা "জীবিত কন্যাকে কূপে নিক্ষেপ করল" এর ৭ম পৃষ্ঠায় রয়েছে হুযুর পুরনূর صلّى اللهُ تَعَالٰى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم চার পুত্র সন্তানের কথা যদিও "খাযায়িনুল ইরফানে" উল্লেখ রয়েছে, কিন্তু এতে মত পার্থক্য রয়েছে, তিন পুত্রেরও উল্লেখ রয়েছে এবং দুই পুত্রেরও। যেমনটি "তাযকিরাতুল আম্বীয়া" এর

রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "আমার প্রতি অধিকহারে দরূদ শরীফ পাঠ করো, নিশ্চয় আমার প্রতি তোমাদের দরূদ শরীফ পাঠ, তোমাদের গুনাহের জন্য মাগফিরাত স্বরূপ।" (জামে সগীর)

৮২৭ পৃষ্ঠায় রয়েছে; তাঁর )صلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَأَيْهِ وَسَلَّم( তিন পুত্র সন্তান ছিলো: কাসিম, ইবরাহীম, আব্দুল্লাহ। মনে রাখবেন! তৈয়্যব, মুতায়্যিব, তাহির ও মুতাহহির তাঁরই (অর্থাৎ হযরত আব্দুল্লাহ رضی الله تعالى عنه( এর উপাধী ছিলো, এরা কোন আলাদা সন্তান ছিলেন না। (তাজকিরাতুল আম্বীয়া, ৮২৭ পৃষ্ঠা) হযরত আল্লামা আব্দুল মুস্তফা আযমী رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ "সিরাতে মুস্তফা"র ৬৮৭ পৃষ্ঠায় লিখেন: এই বিষয়ে সকল ঐতিহাসিকগণ একমত যে, হুযুর আকদাস على اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم এর সন্তানের সংখ্যা (নিশ্চিত) ছয়জন। দুই পুত্র সন্তান হযরত কাসিম ও হযরত ইব্রাহীম )رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُمَا( এবং চার কন্যা সন্তান হযরত যয়নাব, হযরত রুকাইয়া, হযরত উম্মে কুলছুম ও হযরত ফাতেমা )رضی اللَّهُ تَعَالٰى عَنْهُنَّ(, কিন্তু কতিপয় ঐতিহাসিকগণ এটা বর্ণনা করেছেন যে, তাঁর )صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم একজন পুত্র আব্দুল্লাহ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ ও ছিলো, যার উপাধী ছিলো তৈয়্যব ও তাহির। এই কথার উপর ভিত্তি করে হুযুর صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم এর পবিত্র সন্তানের সংখ্যা সাত অর্থাৎ তিন পুত্র সন্তান ও চার কন্যা সন্তান। (সিরাতে মুস্তফা, ৬৮৭ পৃষ্ঠা)

রমযানের আশিক
মুহাম্মদ নামের এক ব্যক্তি সারা বছর নামায পড়তো না। যখন রমযান শরীফের বরকতময় মাস আসতো, তখন সে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করতো এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামায নিয়মিতভাবে পড়তো আর পূর্ববর্তী বছরের কাযা নামাযগুলোও আদায় করতো। লোকেরা তাকে জিজ্ঞাসা করলো: তুমি এমন করো কেন? সে বললো: এ মাসটা হচ্ছে রহমত, বরকত, তাওবা ও মাগফিরাতের, হতে পারে আল্লাহ তায়ালা আমাকে আমার এ আমলের কারণে ক্ষমা করে দেবেন। যখন তার ইন্তিকাল হলো, তখন কেউ তাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞাসা করলো: مَا فَعَلَ اللهُ بِكَ؟ অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা তোমার সাথে কিরূপ আচরণ করেছেন? সে উত্তর দিলো: "আমার আল্লাহ পাক আমাকে রমযান শরীফের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের কারণে ক্ষমা করে দিয়েছেন।” (দুররাতুন্নাসিহীন, ৮ম পৃষ্ঠা)

صَلُّوا عَلَى الْحَبِيْب صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد


রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "যে ব্যক্তি আমার উপর প্রতিদিন সকালে দশবার ও সন্ধ্যায় দশবার দরূদ শরীফ পাঠ করে, তার জন্য কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ নসীব হবে।" (মাজমাউয যাওয়ায়েদ)

আল্লাহ তায়ালা অমুখাপেক্ষী

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা দেখলেন তো! আল্লাহ তায়ালা রমযান মাসের প্রতি গুরুত্ব প্রদানকারীর প্রতি কিরূপ উচ্চ পর্যায়ের দয়ালু যে, বছরের অন্যান্য মাস বাদ দিয়ে শুধুমাত্র রমযান মাসে ইবাদতকারীকে ক্ষমা করে দিলেন। এ ঘটনা থেকে কেউ আবার একথা বুঝে বসবেন না যে, এখনতো আল্লাহর পানাহ! সারা বছর নামায থেকে অব্যাহতি পাওয়া গেলো!! শুধুমাত্র রমযানুল মোবারকেই রোযা-নামায পালন করবো আর সোজা জান্নাতে চলে যাবো। প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! প্রকৃতপক্ষে ক্ষমা করা বা আযাব দেওয়া এ সবকিছু আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল, তিনি হলেন অমুখাপেক্ষী, যদি তিনি ইচ্ছা করেন তবে কোন মুসলমানকে বাহ্যতঃ কোন ছোট্ট নেক আমলের উপর ভিত্তি করে আপন অনুগ্রহে ক্ষমা করে দেন এবং যদি চান তবে বড় বড় নেক আমল থাকা সত্ত্বেও কোন একটি ছোট্ট গুনাহের কারণে ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে পাকড়াও করে নিবেন। যেমনটি ৩য় পারা সূরা বাকারার ২৮৪ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালার ইরশাদ হচ্ছে:

فَيَغْفِرُ لِمَنْ يَشَاءُ وَيُعَذِّبُ مَنْ يَشَاءُ (পারা ৩, সূরা বাকারা, আয়াত ২৮৪)

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: অতঃপর যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন আর যাকে ইচ্ছা করবেন শাস্তি দিবেন;

তৃ বে'হিসাব বখশ কেহ হ্যায় বে'শুমার জুরম দে'তা হোঁ ওয়াসেতা তুঝে শাহে হিযায কা

তিনটির মাঝে তিনটি গোপন
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! কোন নেকীই ছেড়ে দেয়া উচিত নয়, জানিনা আল্লাহ তায়ালার কোন নেকীটি পছন্দ হয়ে যায় এবং কোন ছোট থেকে ছোটতর গুনাহ না করা উচিৎ, কেননা জানিনা কোন গুনাহের প্রতি আল্লাহ তায়ালা অসন্তুষ্ট

রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "যে ব্যক্তি কিতাবে আমার উপর দরূদ শরীফ লিখে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমার নাম তাতে থাকবে, ফিরিশতারা তার জন্য ক্ষমা চাইতে থাকবে।” (তাবারানী)

হয়ে যান আর তাঁর কষ্টদায়ক শাস্তি এসে ঘিরে ধরে। খলীফায়ে আলা হযরত, ফকীহে আযম, সায়্যিদুনা আবূ ইউসূফ মুহাম্মদ শরীফ মুহাদ্দিসে কুটলভী رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ উদ্ধৃত করেন: "আল্লাহ তায়ালা তিনটি জিনিসের মাঝে তিনটি জিনিসকে গোপন রেখেছেন: ১৯ নিজের সন্তুষ্টিকে তাঁর আনুগত্যের মাঝে এবং (২) নিজের অসন্তুষ্টিকে তাঁর অবাধ্যতার মাঝে আর ৩৯ নিজের আউলিয়াদেরকে তাঁর বান্দাদের মাঝে।” (তাম্বীহুল গা'ফিলীন, ৫১ পৃষ্ঠা) এ বাণীটি উদ্ধৃত করার পর ফকীহে আযম رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ বলেন: "সুতরাং প্রত্যেকটি আনুগত্য ও প্রতিটি নেকীকে কাজে পরিণত করা চাই, কেননা জানা নেই, কোন নেকীতে তিনি সন্তুষ্ট হয়ে যান এবং প্রত্যেকটি পাপ থেকে বিরত থাকা উচিৎ, কেননা জানা নেই, কোন পাপের কারণে তিনি অসন্তুষ্ট হয়ে যান! হোক না সেই পাপ খুবই নগন্য। যেমন; (বিনা অনুমতিতে) কারো খড় খুটো দিয়ে খিলাল করা, এটা বাহ্যিকভাবে অতি সাধারণ একটি বিষয় কিংবা কোন প্রতিবেশীর মাটি দ্বারা তার অনুমতি ছাড়া হাত পরিস্কার করা, যদিও এটা একটি নগন্য বিষয়, কিন্তু হতে পারে, এ মন্দ কাজটিতেই আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্টি নিহিত রয়েছে, সুতরাং এমন ছোট ছোট কাজ থেকেও বিরত থাকা উচিৎ।" (আখলাকুস সালিহীন, ৬০ পৃষ্ঠা)

আসসালামু আলাইকুম ইসলামী বিশ্বকোষ গ্রবথ S2 : https://play.google.com/store/apps/details?id=com.srizwan.bookhozur500
Top