❏ ফরজ নামাজের পর ১০০ বার তাসবীহ পাঠ


ফরজ নামাজের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আল হামদুলিল্লাহ ও ৩৪ বার আল্লাহ আকবার পাঠ করার কথাও সহীহ্ হাদিসে রয়েছে। যেমন এ বিষয়ে আরেক হাদিসে আছে, ইমাম মুসলীম, ইমাম তিরমিজি, ইমাম নাসাঈ ও ইমাম আহমদ (رحمة الله عليه) বর্ণনা করেছেন,

حَدَّثَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَيَانٍ الْوَاسِطِيُّ، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ الْمَذْحِجِيِّ قَالَ مُسْلِمٌ: أَبُو عُبَيْدٍ مَوْلَى سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ سَبَّحَ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَحَمِدَ اللَّهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَكَبَّرَ اللَّهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، فَتِلْكَ تِسْعٌ وَتِسْعُونَ ، ثُمَّ قَالَ: تَمَامُ الْمِائَةِ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، غُفِرَ لَهُ خَطَايَاهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ 

-“হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, তিনি বলেন রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর এই পাঠ করবে: ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আল হাম্দুলিল্লাহ্ ও ৩৩ বার আল্লাহু আকবার। তিনি বলেন: সব মিলিয়ে ১০০ বার হবে (ইহা সহ): “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লে শায়ইন কাদির” ফলে তার সমস্থ গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে যদিও সাগরের ফেনার সমপরিমান গোনাহ হয়।”

(সহীহ্ মুসলীম, ১ম খন্ড, ২১৯ পৃঃ; তিরমিজি শরীফ, ১ম জি: ৬৬ পৃঃ; নাসাঈ শরীফ, ১ম জি: ১৫০ পৃঃ; মুসনাদে আহমদ, ২য় খন্ড, ৩৭১ পৃঃ; মেসকাত শরীফ, ৮৮ পৃঃ; ইমাম মোল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ৩য় খন্ড, ৪১ পৃঃ; ইমাম মুনজেরী: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, ১ম খন্ড, ৬৩৯ পৃঃ; সহীহ্ ইবনে খুজাইমা, ২য় খন্ড;) (সুবহানাল্লাহ) 


এ ব্যাপারে হাদিস উল্লেখ করা যায়, ইমাম আবুল কাশেম সুলাইমান তাবারানী (رحمة الله عليه) বর্ণনা করেছেন,

حَدَّثَنَا الْحَضْرَمِيُّ، ثنا أَبُو كُرَيْبٍ، ثنا فِرْدَوْسُ بْنُ الْأَشْعَرِيِّ، ثنا مَسْعُودُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثنا حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، عَنْ نَشِيطِ أَبِي عُمَرَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ أَتَاهُ نَاسٌ يَتَحَدَّثُونَ إِلَيْهِ فَقَالَ سَأُزَوِّدُكُمْ مَا زَوَّدَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا صَلَّيْتَ فَسَبِّحْ دُبُرَ كُلِّ صَلَاةٍ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَاحْمَدْ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَكَبِّرْ أَرْبَعًا وَثَلَاثِينَ، وَقُلْ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

-“হযরত আবু দারদা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় লোকেরা তিনার কাছে এসে রাসূলে পাক (ﷺ)’র হাদিস শুনতে চাইল। তিনি বললেন, রাসূলে পাক (ﷺ) আমাকে যা কিছু অতিরিক্ত আমল শিক্ষা দিয়েছে আমি তোমাদেরকে সেই অতিরিক্ত আমল শিক্ষা দিচ্ছি। তিনি বললেন: যখন সালাত আদায় করবে তখন প্রত্যেক নামাজের পর ৩৩ বার তাসবীহ পাঠ করবে, ৩৩ বার আল্লাহর প্রসংশা পাঠ করবে ও ৩৪ বার তাকবীর পাঠ করবে। অত:পর বলবে: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু...।”

(ইমাম তাবারানী: আদ দোয়া, হাদিস নং ৭১২;) 


এই হাদিসদ্বয় দ্বারাও প্রমাণিত হয়, ফরজ নামাজের পর ৯৯ বার তাসবীহ আছে এবং দোয়া রয়েছে, কারণ আল্লাহর নবী (ﷺ) এরূপ আমল করেছেন। এই আমল কারীর জীবনের সকল গোনাহ মহান আল্লাহ পাক ক্ষমা করে দিবেন। 

Top