প্রিয় নবী রমযানে বেশি পরিমাণে দান করতেন
হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُمَا বলেন: “যখন রমযান মাস আসতো তখন নবী করীম صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وعلم প্রত্যেক কয়েদীকে মুক্ত করে দিতেন এবং প্রত্যেক ভিখারীকে দান করতেন।"
(শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ৩১১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩৬২৯)
প্রিয় নবী এর যুগে কি কয়েদী ছিলো?
প্রসিদ্ধ মুফাসসীর, হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ বর্ণনাকৃত হাদীসে পাকের এই অংশ: "প্রত্যেক কয়েদীকে মুক্ত করে দিতেন" এর আলোকে মিরআত ৩য় খন্ডের ১৪২ পৃষ্ঠায় বলেন: সত্য বলতে এখানে কয়েদী দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সেই ব্যক্তি যারা হক্কুল্লাহ বা হক্কুল ইবাদ (অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার হক বা বান্দার হক) এর কারণে গ্রেফতার হতো এবং মুক্ত করার দ্বারা তাদের হক আদায় করে দেয়া বা করিয়ে দেয়াই উদ্দেশ্য।
সবচেয়ে বেশি দানশীল
হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস رضى الله تعالى عنهما বলেন: "প্রিয় নবী على اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বেশি দানশীল ছিলেন এবং রমযান শরীফে হুযুর صلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم (বিশেষকরে) অনেক বেশি পরিমাণে দানশীলতা প্রদর্শন করতেন। জিব্রাঈল আমীন عليه الصلوة والسلام রমযানুল মোবারকের প্রত্যেক রাতে সাক্ষাতের জন্য উপস্থিত হতেন এবং রাসূলে করীম, রউফুর রহীম صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم তাঁর সাথে কোরআন মজীদ তিলাওয়াতের অবতারণা করতেন। যখনই হযরত জিব্রাঈল আমীন علَيْهِ الصَّلُوةُ وَ السَّلام হুযুর পুরনূর صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم ২ ০ ০ ০ ৪ صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم দ্রুতবেগে চলমান বাতাসের চেয়েও বেশি পরিমাণে কল্যাণের ক্ষেত্রে দান করতেন।” (বুখারী, ১ম খন্ড, ৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৬)
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: “যার নিকট আমার আলোচনা হলো এবং সে আমার উপর দরূদ শরীফ পড়লো না, সে জুলুম করলো।" (আব্দুর রাজ্জাক)
হাত উঠা কর এক টুকড়া এ্যয় করীম।
হে সখী কে মাল মে হকদার হাম।
(হাদায়িকে বখশিশ)
صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد
صَلُّوا عَلَى الْحَبِيبِ
হাজার গুণ সাওয়াব
হযরত সায়্যিদুনা ইব্রাহীম নাখয়ী رحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ বলেন: "রমযান মাসে একদিন রোযা রাখা এক হাজার দিনের রোযা থেকে উত্তম এবং রমযান মাসে একবার 'তাসবীহ' পাঠ করা )سُبْحْنَ الله বলা) এই মাস ব্যতীত এক হাজারবার তাসবীহ পাঠ করা )سُبْحت الله বলার) চেয়ে উত্তম আর রমযান মাসে এক রাকাত নামায আদায় করা, রমযান ব্যতীত অন্য মাসের এক হাজার রাকাত অপেক্ষা উত্তম।" (তাফসীরে দুররে মানসুর, ১ম খন্ড, ৪৫৪ পৃষ্ঠা)
রমযানে যিকিরের ফযীলত
আমীরুল মু'মিনীন হযরত সায়্যিদুনা ওমর ফারুকে আযম رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ থেকে বর্ণিত যে, সরদারে দো'জাহান, মাহবুবে রহমান হুযুর صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم এর রহমতপূর্ণ বাণী হচ্ছে: রমযান মাসে আল্লাহর যিকিরকারীকে ক্ষমা করে দেয়া হয় এবং এই মাসে আল্লাহ তায়ালার দরবারে প্রার্থনাকারীরা বঞ্চিত থাকে না।
(শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ৩১১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩৬২৭)
সুন্নাতে ভরা ইজতিমা ও আল্লাহ তায়ালার যিকির
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! সেসব লোকেরা কতইনা সৌভাগ্যবান, যারা এই বরকতময় মাসে বিশেষকরে সুন্নাতে ভরা ইজতিমায় অংশগ্রহন করার সৌভাগ্য লাভ করে এবং আল্লাহ তায়ালার দরবারে নিজেদের দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করে। الْحَمْدُ لِلَّهِ عَزَّوجل আশিকানে রাসূলের মাদানী সংগঠন দা'ওয়াতে ইসলামীর সুন্নাতে ভরা ইজতিমা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালার যিকির সম্বলিতই হয়ে থাকে, কেননা তিলাওয়াত, না'ত শরীফ, সুন্নাতে
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "আমার উপর দরূদ শরীফ পাঠ করো, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর রহমত নাযিল করবেন।" (ইবনে আ'দী)
ভরা বয়ান, দোয়া এবং সালাত ও সালাম ইত্যাদি সবকিছু আল্লাহ তায়ালার যিকির এর অন্তর্ভুক্ত। দা'ওয়াতে ইসলামীর ইজতিমার বরকতের একটি "মাদানী বাহার" লক্ষ্য করুন, যেমনটি
আসসালামু আলাইকুম।
ডাউনলোড করুন ইসলামী বিশ্বকোষ ও আল-হাদিসঃ https://play.google.com/store/apps/details?id=com.srizwan.bookhozur500