জান্নাতকে সাজানো হয়
হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُمَا থেকে বর্ণিত; নবীয়ে রহমত, শফিয়ে উম্মত, তাজেদারে রিসালাত صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: "নিশ্চয় জান্নাতকে বছরের শুরু থেকে আগামী বছর পর্যন্ত রমযানুল মোবারকের জন্য সাজানো হয়।" আরো ইরশাদ করেন: "রমযান শরীফের প্রথম দিন জান্নাতের গাছগুলোর পাতা থেকে বড় বড় চোখ বিশিষ্ট হুরদের উপর বাতাস প্রবাহিত হয় এবং তারা আরয করে: "হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার বান্দাদের মধ্যে এমনসব বান্দাদেরকে আমাদের স্বামী বানাও, যাদেরকে দেখে আমাদের নয়ন জুড়ায়, আর যখন তারা আমাদেরকে দেখে তখন যেন তাদের নয়নও জুড়ায়।" (শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ৩১২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩৬৩৩)
জান্নাত কে সাজায়?
প্রসিদ্ধ মুফাসীর, হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ হাদীসে পাকের এই অংশ: "নিশ্চয় জান্নাতকে বছরের শুরু থেকে
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "যে ব্যক্তি আমার উপর দরূদ শরীফ পাঠ করা ভুলে গেলো, সে জান্নাতের রাস্তা ভুলে গেলো।" (তাবারানী)
আগামী বছর পর্যন্ত রমযানুল মোবারকের জন্য সাজানো হয়।” এর আলোকে মিআরাত ৩য় খন্ডের ১৪২-১৪৩ নং পৃষ্ঠায় বলেন: অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা দিতেই, পরবর্তী রমযানের জন্য জান্নাতকে সাজানো শুরু হয়ে যায় এবং বছর জুড়ে ফিরিশতারা তা সাজাতে থাকে, জান্নাত স্বভাবতই সাজানো গুছানো, তারপরও আরো বেশি সাজানো হয়, অতঃপর সাজ-সজ্জাকারী যদি ফিরিশতারা হয়, তবে কিরূপ সজ্জিত হতে পারে, এই সাজ-সজ্জা আমাদের ধারণা ও কল্পনার বাইরে, অনেক মুসলমান রমযানে মসজিদ সাজায়, সেখানে চুনকাম করায়, পতাকা লাগায়, আলোকিত করে, এর মূল উৎস হলো এই হাদীস শরীফ।
صَلُّوا عَلَى الْحَبِيب ! صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد
الْحَمْدُ لِلَّهِ عَزَّوَجَنَّ জান্নাতের মহত্বের কথা কী বলবো! আহ! আমাদের যদি বিনা হিসেবে ক্ষমা করে দেয়া হয় এবং জান্নাতুল ফিরদাউসে প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা عَلَى الله تعالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم এর প্রতিবেশীত্ব নসীব হয়ে যায়।| الْحَمْدُ لِلَّهِ عَزَّوَجَنَّ আশিকানে রাসূলের মাদানী সংগঠন দা'ওয়াতে ইসলামী হকপন্থিদের মাদানী সংগঠন, এতে সর্বদা সম্পৃক্ত থাকুন, দা'ওয়াতে ইসলামী ওয়ালাদের উপর কেমন কেমন অনুগ্রহ হয়ে থাকে তার একটি "মাদানী বাহার" লক্ষ্য করুন:
জান্নাতে প্রিয় নবী এর প্রতিবেশীত্বের সুসংবাদ
ইসলামী ভাই ও ইসলামী বোনদের ফ্রী দরসে নিযামী (অর্থাৎ আলিম কোর্স) করানোর জন্য الْحَمْدُ لِلَّهِ عَؤومة দা'ওয়াতে ইসলামীর তত্ত্বাবধানে "জামেয়াতুল মদীনা" নামে অসংখ্য জামেয়া প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। الحَمْدُ اللهِ عزوجل ১৪২৭ হিজরীতে দা'ওয়াতে ইসলামীর ঐ সকল জামেয়াতুল মদীনার (বাবুল মদীনা) প্রায় ১৬০জন ছাত্র ১২ মাসের জন্য আল্লাহ তায়ালার পথে সফর করে। শুরুতে মাদানী কাফেলা কোর্স করানোর ব্যবস্থা হয়, এমতাবস্থায় ছাত্রদের মাঝে ইসলামের খিদমতের প্রেরণা আরো বৃদ্ধি পেয়ে মদীনা শরীফের ১২টি চাঁদের আলো লেগে
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ শরীফ পড়ে, আল্লাহ তায়ালা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন।" (মুসলিম শরীফ)
গেলো এবং তাদের মধ্যে প্রায় ৭৭জন ছাত্র নিজেদেরকে সারাজীবনের জন্য মাদানী কাফেলার মুসাফির হিসেবে পেশ করে দিলো! এই মহান আত্মত্যাগের উৎসাহের খুবই মহান একটি কারণ ছিলো, আর তা হলো, স্বপ্নে নবীকুল সুলতান, সরদারে দো'জাহান, মাহবুবে রহমান হুযুর صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَأَلِه وسلّم এর দীদার দ্বারা এক আশিকে রাসূলের চক্ষুদ্বয় শীতল হয়, মোবারক ঠোটদ্বয় নড়ে উঠলো, রহমতের ফুল ঝরতে লাগলো এবং শব্দগুচ্ছ গুলো এভাবে সাজানো ছিলো: "যারা নিজেদেরকে সারাজীবনের জন্য পেশ করে দিয়েছে, আমি তাদেরকে জান্নাতে নিজের সাথে রাখবো।" স্বপ্নদ্রষ্টা আশিকে রাসূল ইসলামী ভাইয়ের মনে আফসোস জাগলো যে, আহ! শত কোটি আফসোস! আমাকেও যদি ঐ সৌভাগ্যশালীদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হতো। আল্লাহর প্রিয় হাবীব, হাবিবে লবীব, রাসুলুল্লাহ صلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم আমার মনের এই আশাটি জেনে গেলেন এবং ইরশাদ করলেন: “যদি তুমিও তাদের দল-ভূক্ত হতে চাও, তবে নিজেকে সারা জীবনের জন্য পেশ করে দাও।"
সরে আরশ পর হে তেরি গুযার, মালাকুত ও মুলক মে কোয়ি শেয়,
দিলে ফরশ পর হে তেরি নযর, নেহী উহ জু তুঝ পে ই'য়া নেহী।
(হাদায়িকে বখশীশ, ১০৯ পৃষ্ঠা)
صَلُّوا عَلَى الْحَبِيب ! صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد
সৌভাগ্যবান আশিকানে রাসূলকে এই মহান সুসংবাদের জন্য মোবারকবাদ! আল্লাহ পাকের রহমতের প্রতি লক্ষ্য রেখে দৃঢ় আশাবাদী যে, যে সকল ভাগ্যবানদের ব্যাপারে এই মাদানী স্বপ্ন দেখানো হয়েছে إِنْ شَاءَ اللهُ عَزَّو তাদের শেষ পরিণতি (মৃত্যু) ঈমান সহকারে হবে এবং তারা হুযুর لكَ صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَأَيْهِ وَسَلَّم করুণায় জান্নাতুল ফিরদাউসে তাঁর প্রতিবেশীত্ব অর্জন করবে। তবে আমরা এটা মনে রাখবো! নবী নয় এমন কেউ যে স্বপ্ন দেখে তা শরীয়াতের দলীল নয়, স্বপ্নের মাধ্যমে দেওয়া সুসংবাদের ভিত্তিতে কাউকে নিশ্চিত জান্নাতী বলা যাবে না।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "আমার উপর অধিক হারে দরূদে পাক পাঠ করো, নিঃসন্দেহে এটা তোমাদের জন্য পবিত্রতা।" (আবু ইয়ালা)
ইযনে সে তেরে সরে হাশর কাহি কাশ। হুযুর,
সাথ আত্তার কো জান্নাত মে রাখো গা ইয়া রব। (ওয়াসায়িলে বখশীশ, ৮৬ পৃষ্ঠা)
আসসালামু আলাইকুম ইসলামী বিশ্বকোষ গ্রবথ S2 : https://play.google.com/store/apps/details?id=com.srizwan.bookhozur500