❏ ফরজ নামাজের পর সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাছ পাঠ


ফরজ নামাজের পর সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাছ পাঠের ব্যাপারেও রাসূলে পাক (ﷺ) এর হাদিস বিদ্যমান রয়েছে। যেমন:


এ সম্পর্কে অপর হাদিসে আছে, ইমাম আহমদ, ইমাম তিরমিজি, ইমাম নাসাঈ, ইমাম আবু দাউদ (رحمة الله عليه) বর্ণনা করেছেন,

حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُوبَ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الرُّعَيْنِيُّ، وَأَبُو مَرْحُومٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّهُ قَالَ: أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَقْرَأَ بِالْمُعَوِّذَاتِ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ 

-“হযরত উকবা ইবনে আমের (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, রাসূলে পাক (ﷺ) আমাকে আদেশ দিয়েছেন প্রত্যেক নামাজের পর “মউওয়্যাজাত” পাঠ করা জন্য।”

(মেসকাত শরীফ, ৮৯ পৃঃ হাদিস নং ৯৬৯; ইমাম মোল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ৩য় খন্ড, ৪৪ পৃঃ; মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ১৭৪১৭; সুনানে আবী দাউদ, হাদিস নং ১৫২৩; তিরমিজি শরীফ, ১ম জি: ৬৬ পৃঃ; নাসাঈ শরীফ, ১ম জি: ১৫০ পৃঃ; সনদ সহীহ্।) 


মউওয়্যাজাত হল সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাছ। সুতরাং নামাজের পর শুধু দোয়া নয় বরং ‘মউওয়্যাজাত’ তথা সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাছ পাঠ করারও নির্দেশনা রয়েছে। অথচ ওহাবীরা বলে ফরজ নামাজের পর কিছুই নেই! (নাউজুবিল্লাহ) 

এছাড়াও রাসূলে পাক (ﷺ) অন্যান্য সময়েও মউওয়্যাজাত হল সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাছ পাঠ করতেন। যেমন:


ইমাম তাবারানী (رحمة الله عليه) বর্ণনা করেছেন,

حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ قَالَ: نَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ: نَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَقِيلٍ، وَقُرَّةَ، وَيُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَنَامَ نَفَثَ فِي كَفَّيْهِ وَعَوَّذَ فِيهِمَا بِالْمُعَوِّذَاتِ، ثُمَّ مَسَحَ بِهِمَا عَلَى وَجْهِهِ

-“হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল (ﷺ) যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন মউওয়্যাজাত হল সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাছ পাঠ করতেন ও দুই হাঁতের কব্জির উপর ফুঁ দিয়ে ইহার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন, অত:পর দুই হাঁত দ্বারা চেহারা মুবারকে মাসেহ করতেন।”(ইমাম তাবারানী: মুজামুল আওছাত, হাদিস নং ৩৩৫৪;)


এ বিষয়ে আরেকটি হাদিস লক্ষ্য করুন, ইমাম আহমদ (رحمة الله عليه) বর্ণনা করেছেন,

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ: إِذَا مَرِضَ يَقْرَأُ عَلَى نَفْسِهِ بِالْمُعَوِّذَاتِ، وَيَنْفُثُ

-“হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলে পাক (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয় রাসূল পাক (ﷺ) যখন অসুস্খ অনুভব করতেন তখন মউওয়্যাজাত হল সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাছ পাঠ করে নিজের উপর ফুঁ দিতেন।”(মুসনাদু আহমদ, হাদিস নং ২৫৪৮৩;)


অতএব, ফরজ নামাজের পরে অথবা অন্যান্য সময়েও মউওয়্যাজাত হল সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাছ পাঠের বিশেষ ফজিলত রয়েছে।

Top