চোখের তারা নাম-এ-মুহাম্মদ (ﷺ)


الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ وَالصَّلُوةُ وَالسَّلَامُ عَلَى سَيِّدِ الْمُرْسَلِينَ أَمَّا بَعْدُ فَأَعُوْذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَنِ الرَّجِيمِ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

وَعَلَى آلِكَ وَأَصْحُبِكَ يَا حَبِيبَ الله

الصلوةُ وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ يَارَسُوْلَ الله

وَعَلَى أَلِكَ وَأَصْحْبِكَ يَا نُورَ اللَّه

الصَّلُوةُ وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا نَبِيَّ الله

نَوَيْتُ سُنَّتَ الْاعْتِكَافِ


(অর্থাৎ আমি সুন্নাত ইতিকাফের নিয়্যত করলাম।)


যখনই মসজিদে প্রবেশ করবেন, মনে করে নফল ইতিকাফের নিয়্যত করে নিন। কেননা, যতক্ষণ মসজিদে থাকবেন, নফল ইতিকাফের সাওয়াব অর্জিত হতে থাকবে এবং সাধারনভাবে মসজিদে খাওয়া-দাওয়াও জায়িয হয়ে যাবে। ইতিকাফের নিয়্যতও শুধুমাত্র খাওয়া দাওয়া বা ঘুমানোর জন্য যেন না হয় বরং এর উদ্দেশ্য যেন আল্লাহ্ তায়ালার সন্তুষ্টি জন্যই হয়। ফতোওয়ায়ে শামীতে বর্ণিত রয়েছে: যদি কেউ মসজিদে খাওয়া দাওয়া বা ঘুমাতে চায় তবে ইতিকাফের নিয়্যত করে নিন, কিছুক্ষণ আল্লাহ্ তায়ালার যিকির করুন অতঃপর যা ইচ্ছা করুন (অর্থাৎ এবার চাইলে খাওয়া দাওয়া বা ঘুমাতে পারেন)


দরূদ শরীফের ফযীলত


নবী করীম, রউফুর রহীম (ﷺ) ইরশাদ করেন: নিশ্চয় আল্লাহ্ তায়ালা একজন ফিরিশতা আমার কবরে নিযুক্ত করেছেন, যাকে সকল সৃষ্টির আওয়াজ শুনার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, কিয়ামত পর্যন্ত যে কেউ আমার প্রতি দরূদ পাক পাঠ করে তবে সে আমাকে তার নাম এবং তার পিতার নাম সহ পেশ করে দেয়। বলে যে, অমুকের ছেলে অমুক আপনার (ﷺ) প্রতি দরূদ পাক পাঠ করেছে। (মু'জামুষ যাওয়ায়িদ, ১০/২৫১, হাদীস নং-১৭২৯১)


কারবালা ওয়ালোঁ কা সদকা ইয়া নবী। দূর হো রঞ্জ ও আলাম চশমে করম।

ভিরদে লব হার দম দূরূদে পাক হো,

ইয়া শাহে আরব ও আযম! চশমে করম।

(ওয়াসায়িলে বখশিশ, ২৫৪ পৃষ্ঠা)


صَلُّوا عَلَى الْحَبِيب !

صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد

سُبْحَى اللَّهِ فَؤْوَجَالَ !


দরূদ শরীফ পাঠকারী কিরূপ ভাগ্যবান যে, তার নাম পিতার নাম সহ প্রিয় নবী (ﷺ) এর দরবারে পেশ করা হয়। এখানে এই মাদানী। ফুলটিও খুবই ঈমান সতেজকারী যে, নুরানী কবরে উপস্থিত ফিরিশতাকে এতো বেশী শ্রবণ শক্তি দেয়া হয়েছে যে, সে দুনিয়ার কোণায় কোণায় একই সময়ে দরূদ শরীফ পাঠকারী লাখে লাখ মুসলমানের অত্যন্ত নিম্নস্বরও শুনে নেয় এবং তাকে অদৃশ্যের জ্ঞানও দান করা হয়েছে যে, সে দরূদ শরীফ পাঠকারীর নাম বরং তার পিতার নামও জেনে যায়। যদি প্রিয় নবী (ﷺ) এর দরবারের খাদিমের শ্রবণ শক্তি এবং অদৃশ্যে জ্ঞানের অবস্থা এরূপ হয় তবে প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা (ﷺ) এর ক্ষমতা ও অদৃশ্যের জ্ঞানের কিরূপ শান হবে! হুযুর (ﷺ) কেনইবা আপন গোলামদের চিনবেন না এবং কেনইবা তাদের ফরিয়াদ শুনে আল্লাহ্ তায়ালার প্রদত্ত ক্ষমতায় তাদেরকে সাহায্য করবেন না!


ফরিয়াদ উম্মতি জু করে হালে যার মে,

মুমকিন নেহী কেহ খাইরে বশর কো খবর না হো।

(হাদায়িকে বখশিশ, ১৩০ পৃষ্ঠা)


صَلُّوا عَلَى الْحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! সাওয়াব অর্জনের উদ্দেশ্যে বয়ান শ্রবণ করার পূর্বে কিছু ভালো ভাল নিয়্যত করে নিই। ফরমানে মুস্তফা (ﷺ) হচ্ছে “نِيَةُ الْمُؤْمِنِ خَيْرٌ مِنْ عَمَلِهِ" মুসলমানের নিয়্যত তার আমল অপেক্ষা উত্তম।


(মু'জামুল কাবীর, সাহাল বিন সা'আদ, ৬/১৮৫, হাদীস: ৫৯৪২)


দু'টি মাদানী ফুল:


(১) ভালো নিয়্যত ছাড়া কোন উত্তম কাজের সাওয়াব পাওয়া যায় না।

(২) ভালো নিয়্যত যত বেশি হবে, সাওয়াবও তত বেশি পাওয়া যাবে।


বয়ান শ্রবণ করার নিয়্যত সমূহ


* দৃষ্টিকে নত রেখে গভীর মনোযোগ সহকারে বয়ান শ্রবণ করবো। * হেলান দিয়ে বসার পরিবর্তে ইলমে দ্বীনের সম্মাণার্থে যতক্ষণ সম্ভব দু'যানু হয়ে বসবো। * প্রয়োজনে সামনে এগিয়ে অন্যদের জন্য জায়গা প্রসারিত করবো। * ধাক্কা ইত্যাদি লাগলে ধৈর্যধারণ করবো, ধমকানো, ঝগড়া করা বা বিশৃংখলা করা থেকে বেঁচে থাকবো। * !تُوْبُوا إِلَى اللَّهُ أَذْكُرُ اللَّهِ صَلُّوا عَلَى الْحَبِيْب ইত্যাদি শুনে সাওয়াব অর্জন এবং আওয়াজ প্রদানকারীর মনতুষ্টির জন্য উচ্চস্বরে উত্তর প্রদান করবো। * বয়ানের পর নিজেই আগে এসে সালাম ও মুসাফাহা এবং ইনফিরাদী কৌশিশ করবো।


صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد

صَلُّوا عَلَى الْحَبِيْب


অযু ছাড়া মুহাম্মদ (ﷺ) নাম নিতো না এমন বুযুর্গ


দা'ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত "দরূদ ও সালামের পুষ্পধারা" কিতাবে বর্ণিত রয়েছে: সুলতান মাহমুদ গয়নবী (رحمة الله) একজন মহান আলিম ও নামায-রোযার অনুসারী ছিলেন এবং নিয়মিতভাবে কোরআনে পাকের তিলাওয়াত করতেন। তিনি সারা জীবন দ্বীন ইসলামের হুকুম আহকাম অনুযায়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন এবং ইসলামের পতাকাকে সমুন্নত করতে ও আল্লাহর কালামকে প্রসারের জন্য অনেক যুদ্ধ করেছেন আর বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন। বীর ও সাহসী হওয়ার পাশাপাশি আশিকে রাসূল (ﷺ) এর মহান মর্যাদায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাঁর অনুগত গোলাম আয়ায এর এক ছেলে ছিলো যার নাম ছিলো "মুহাম্মদ (ﷺ)"। হযরত মাহমুদ গযনবী (رحمة الله) যখনই সেই ছেলেকে ডাকতো তখনি তার নাম ধরে ডাকতো, একদিন তিনি স্বভাব বিরুদ্ধভাবে তাকে হে ইবনে আয়ায! বলে ডাকলেন। আয়ায মনে করলো যে, সম্ভবত বাদশাহ আজ আমার উপর অসন্তুষ্ট, এজন্য আমার ছেলেকে নাম ধরে ডাকলেন না, তিনি তাঁর দরবারে উপস্থিত হয়ে আরয করলেন: আমার সন্তানের আজ কোন ভুল (Mistake) হয়েছে, যার কারণে আপনি তার নাম ধরে না ডেকে 'আয়াযের সন্তান' বলে ডেকেছেন? তিনি (رحمة الله) বললেন: আমি নামে "মুহাম্মদ (ﷺ)" এর সম্মানে তোমার ছেলের নাম অযু ছাড়া নেইনি। কেননা, তখন আমি অযু অবস্থায় ছিলাম না, এজন্যই "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামটি অযু ছাড়া উচ্চারণ করা ভাল মনে করিনি।


(রুহুল বয়ান, পারা, ২২, আল আহযাব, ৭নং আয়াতের পাদটিকা, ৪০/১৮৫)


লব পে আ'জাতা হে জব নামে জনাব, ওজদ মে হো কে হাম এ্যয় জাঁ বে'তাব,

মুহ মে গল জাতা হে শেহেদে নায়াব, আপনে লব চুম লিয়া করতে হে।


(হাদায়িকে বখশিশ, ১১৪ পৃষ্ঠা)


সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা: হে আমাদের প্রিয় আক্বা (ﷺ) ! যখনই আপনার  নাম মোবারক (মুহাম্মদ (ﷺ) আমাদের ঠোঁটে আসে, তখন এমন মনে  হয়, যেন কেউ আমাদের মুখে খাঁটি মধু ঢেলে দিলো, এই খুশিতে ঠোঁট পরস্পর মিলে যায় এবং একে অপরকে চুমু দিতে থাকে।


صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد

صَلُّوا عَلَى الْحَبِيْب


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! প্রসিদ্ধ আশিকে রাসূল বাদশাহ সুলতান মাহমুদ গযনবী رَحْته الله تعالى عَلَيْهِ এর আপন আক্বা ও মওলা, আহমদে মুজতাবা, হাবীবে কিবরীয়া (ﷺ) এর প্রতি প্রেম ও ভালবাসা প্রকাশ করার পদ্ধতিও কিরূপ গভীর শ্রদ্ধার উপযুক্ত। নিঃসন্দেহে তিনি হাবীবের প্রেমে উজাড় হয়ে গিয়েছিলেন, তাইতো মাহবুবে গাফ্ফার, হুযুর (ﷺ) এর নাম মোবারকের সাথে সম্পর্কীত হওয়ার কারণে আদবের উদ্দেশ্যে অযু ছাড়া "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামটি নিজের মুখে আনলেন না, যদিওবা অযু ছাড়া "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামটি নেয়া শরয়ী ভাবে জায়িয, কিন্তু তাঁর প্রেম তাঁকে এ বিষয়ে অনুমতি দেয়নি, যদি কখনো এরূপ অবস্থার সম্মুখীন হয়ে যেতো যে, "মুহাম্মদ (ﷺ)" নাম নেওয়া ছাড়া উপায় থাকতো না এবং তখন অযু বিহীন হতেন তবে আদবের কারণে অন্য কোন উপযুক্ত নাম ব্যবহার করতেন। الْحَمْدُ لِلَّهِ عَزَّوَجَنَّ "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের আদব করার কারণে আজ পর্যন্ত এই আদব সম্পন্ন ব্যক্তিত্বদের প্রসিদ্ধি ও মহত্বের ঢঙ্কা চারিদিকে বেজে চলেছে, সুতরাং আমাদেরও উচিৎ যে, আমরাও এই আশিকানে রাসূলের পদাঙ্ক অনুসরন করে "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের পাশাপাশি যেসব মুসলমানের নাম "মুহাম্মদ (ﷺ)" তাদেরও আদব করার অভ্যাস গড়ি। কেননা, হাদীসে মোবারাকায় তাদের সাথে সদাচরণ করার আদেশ বর্ণিত হয়েছে, যেমনটি আমিরুল মুমিনিন হযরত সায়্যিদুনা আলিউল মুরতাদা كَزَّمَ اللَّهُ تَعَالَى وجهة الكريم থেকে বর্ণিত; হুযুর পুরনূর (ﷺ) ইরশাদ করেন: যখন তোমরা ছেলে সন্তানের নাম "মুহাম্মদ (ﷺ)" রাখবে, তখন এর সম্মান করো, বৈঠকে তার জন্য স্থান উন্মুক্ত করো এবং তার দিকে মন্দের ইঙ্গিত করো না। (জামে সগীর, ৪৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-৭০৬) অপর এক হাদীসে পাকে বর্ণিত রয়েছে: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেন: যখন ছেলের নাম "মুহাম্মদ (ﷺ)" রাখবে তখন তাকে মেরো না এবং বঞ্চিতও করো না।


(মুসনাদে আল বাযার, মুসনাদে আবী বারযা আল ইসমিলি, ৯/৩২৭, হাদীস নং-৩৮৮৩)। আমাদের এর স্থলে ইয়া রাসূলাল্লাহ্, ইয়া নবীআল্লাহ্ বলা উচিৎ, অথচ দোয়ার ■ শব্দাবলী যথাসম্ভব পরিবর্তন করা হয় না। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ৩০/১৫৬-১৫৭ পৃষ্ঠা)


নূহ ও খলীল ও মূসা ও ঈসা, দৌলত জু চাহো দোনো জাহাঁ কি, পায়ে মুরাদে দোনো জাহাঁ মে,

সব কা হে আক্বা নামে মুহাম্মদ (ﷺ)।

করলো ওযীফা নামের মুহাম্মদ (ﷺ)।

জিস নে পুকারা নামে মুহাম্মদ (ﷺ)।

(কাবালায়ে বখশিশ, ৭৩ পৃষ্ঠা)


صَلُّوا عَلَى الْحَبِيْب صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! আল্লাহ্ তায়ালার নিকট তাঁর প্রিয় মাদানী হাবীব (ﷺ) এবং তাঁর পবিত্র নামের আদব করা কিরূপ প্রিয় যে, তিনি তাঁর পবিত্র বাণীতে নিজের প্রিয় বান্দাদেরকে হুযুর (ﷺ) এবং তাঁর পবিত্র নামের আদব প্রদর্শন করার আদেশ প্রদান করেছেন। সুতরাং আমাদেরও উচিৎ, আমরাও এই আল্লাহ্ তায়ালার প্রদান এবং মুফাসসীরিনে কিরাম (ﷺ) সময় আদব ও সম্মানের দিকে দৃষ্টি রেখে সর্বদা গুণবাচক নাম যেমন; ইয়া রাসূলাল্লাহ্+, ইয়া হাবীবাল্লাহ্ + ইত্যাদি ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ি। এমনিতে তো হুযুর (ﷺ) এর সকল নামই নিঃসেন্দেহে আদব ও সম্মানের উপযুক্ত এবং আল্লাহ্ তায়ালার প্রিয়, কিন্তু এর মধ্যে "আহমদ" ও "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের শান সবচেয়ে অনন্য। কেননা, এই দু'টি এমনই মোবারক নাম, যা আল্লাহ্ তায়ালার খুবই প্রিয়।


আল্লাহ্ তায়ালার প্রিয় নাম


সদরুশ শরীয়া, বদরুত তরিকা হযরত আল্লামা মাওলানা মুফতী আমজাদ আলী আযমী وختةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বলেন: হুযুরে আকরাম (ﷺ) এর পবিত্র নাম হচ্ছে "মুহাম্মদ (ﷺ)” ও “আহমদ" এবং প্রকাশ থাকে যে, এ দু'টি নাম স্বয়ং আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর প্রিয় মাহবুব (ﷺ) এর জন্য নির্বাচন করেছেন, যদি এই দু'টি নাম আল্লাহ্ তায়ালার নিকট খুবই প্রিয় না হতো তবে আপন প্রিয় হাবীবের জন্য পছন্দ করতেন না। (বাহারে শরীয়াত, ১৬তম অংশ, ৩/৬০১) অতঃপর এই দু'টি নামের মধ্যে "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামটির যে গুরুত্ব ও ফযীলত অর্জিত, তা সকল বিবেকবান ব্যক্তি সহজেই বুঝতে পারবে। কিন্তু আফসোস! শত কোটি আফসোস!! যতই আমরা। নবীর যুগ থেকে দূরে হয়ে যাচ্ছি, আমাদের সমাজে অজ্ঞতার অন্ধকার বাড়তে  রয়েছে। যার একটি স্পষ্ট উদাহরণ হলো যে, কিছু অজ্ঞ ব্যক্তি নিজের সন্তানের জন্য ■ এরূপ নামে সন্ধানে থাকে যে, যা পরিবারে, বংশে, মহল্লায় এমনকি দূর দূর পর্যন্ত যেনো কারো না হয়, যেই শুনবে চমকে উঠবে যে, ওয়াও! কিরূপ জবরদস্ত নাম রেখেছেন, আরে এই নাম তো আমরা প্রথম শুনলাম ইত্যাদি। অনুরূপভাবে কিছু অজ্ঞ ا الا مَانُ وَ الْحَفِيظ অমুসলিমদের নামে নিজের সন্তানের নাম রাখে مَعَاذَ اللَّه عَزَّ وَجَنَ নিঃসন্দেহে এসব ইলমে দ্বীন থেকে দূরত্ব এবং নাম রাখার গুরুত্ব সম্পর্কে না জানার প্রতিফল। মনে রাখবেন! নামের সম্পর্ক শুধুমাত্র দুনিয়াবী জীবনেই সীমাবদ্ধ নয় বরং যখন হাশরের ময়দানে কিয়ামত কায়েম হবে তখন মানুষদের ঐ নামে ডাকা হবে যেই নামে তাকে দুনিয়ায় ডাকা হতো।


হযরত সায়্যিদুনা আবু দারদা رضى الله تعالى عنه থেকে বর্ণিত; হুযুর পুরনূর (ﷺ) ইরশাদ করেন: কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের পূর্বপুরুষদের নাম সহকারে আহবান করা হবে, সুতরাং নিজের উত্তম নাম রাখো।


(আবু দাউদ, কিতাবুল আদব, বাবু ফি তাগিরীল আসমা', ৪/৩৭৪, হাদীস নং-৪৯৪৮)


সুতরাং পিতা মাতার উচিৎ যে, তারা সন্তানদের যেনো এমন নাম না রাখে, যা কাল কিয়ামতের দিনে স্বয়ং তাদের এবং তাদের সন্তানদের সবার সামনে অপদস্ত ও লজ্জিত হতে হয়। হ্যাঁ! নাম যদি রাখতেই হয় তবে বরকতের নিয়্যতে ছেলে সন্তানদের নাম আম্বিয়ায়ে কিরাম عَلَيْهِم السلام এবং বুযুর্গানে দ্বীন رَحِمَهُمُ الله المبين আর মেয়ে সন্তানের নাম উম্মাহাতুল মুমিনিন এবং সাহাবীয়াত رضی الله تعالى عنهن এবং ওলীয়া  নামানুসারে রাখার মানসিকতা তৈরী করুন। কেননা, এই। নামগুলো খুবই বরকতময় হয়ে থাকে। বিশেষকরে "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের মহত্বে কথা  তো কি আর বলবো যে, এটি ঐ মোবারক নাম, যা কালেমা তায়্যিবা, কোরআনে করীম, আযান, নামায, তিলাওয়াত, দরূদ ও সালাম এবং দ্বীনি কিতাব ইত্যাদি সবই এই পবিত্র নামের বরকতে পরিপূর্ণ, অনুরূপভাবে পূর্ব পশ্চিম, উত্তর দক্ষিন, যমীন ও আসমান চারিদিকেই "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের চর্চা এবং জ্যোতি, এমনকি একটি নিরীক্ষা অনুসারে দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশী রাখা নাম হয়েছে "মুহাম্মদ (ﷺ)"। সুতরাং যদি আমরা চাই যে, আমাদেরও এই সম্মানিত ও মহৎ নামের বরকত অর্জিত হোক, তবে এর। একটি উত্তম উপায় হলো: আমরা যেন আমাদের ছেলে সন্তানদের নাম "মুহাম্মদ (ﷺ)" ■ রাখি, যেনো এই মোবারক নাম আমাদের ক্ষমা ও মাগফিরাতের মাধ্যম হয়ে যায় এবং আল্লাহ্ তায়ালা এর বরকতে আমাদেরকেও জান্নাতের প্রবেশাধিকার প্রদান করেন।


আসুন! উৎসাহ গ্রহণার্থে "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের ফযীলত সম্বলিত মক্কী মাদানী


মুস্তফা حل اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم এর চারটি বাণী শ্রবণ করি


১. ইরশাদ হচ্ছে: যার ঘরে ছেলে সন্তান জন্ম হয় এবং আমার ভালবাসা ও আমার নামের বরকত অর্জনের জন্য তার নাম "মুহাম্মদ (ﷺ)" রাখে, তবে সে এবং তার সন্তান উভয়ই জান্নাতে প্রবেশ করবে।


(কানযুল উম্মাল, কিতাবুন নিকাহ, কসমুল আকওয়াল, ৮ম অংশ, ১৬/১৭৫, হাদীস নং-৪৫২১৫)


২. ইরশাদ হচ্ছে: যে দস্তরখানায় কেউ "আহমদ" বা "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের থাকে, তবে সেই স্থানে প্রতিদিন দু'বার বরকত অবতীর্ণ করা হবে।


(মুসনাদুল ফিরদাউস, ২/৩২৩, হাদীস নং-৫৬৫২৫)


৩. ইরশাদ হচ্ছে: যে আমার নামের বরকত লাভের আশায় আমার নামানুসারে নাম রাখে, কিয়ামত পর্যন্ত সকাল সন্ধ্যা তার উপর বরকত অবতীর্ণ হতে থাকবে।


(কানযুল উম্মাল, কিতাবুন নিকাহ, কসমুল আকওয়াল, ৮ম অংশ, ১৬/১৭৫, হাদীস নং-৪৫২১৩)


৪. ইরশাদ হচ্ছে: কিয়ামতের দিন দু'জন ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তায়ালার দরবারে দাঁড় করানো হবে, আদেশ হবে: তাদের জান্নাতে নিয়ে যাও! আরয করা হবে: ইয়া ইলাহী! আমরা কোন আমলের কারণে জান্নাতের উপযুক্ত হলাম, আমরা তো জান্নাতের কোন কাজ করিনি? ইরশাদ হবে: জান্নাতে যাও! আমি শপথ করেছি যে, যার নাম "আহমদ" বা "মুহাম্মদ (ﷺ)" হবে, তারা দোযখে যাবে না।


(ফিরদাউসুল আখবার, ২/৫০৩, হাদীস নং-৮৫১৫)


পুছে গা মওলা লায়াহে কিয়া কিয়া,

গম কি গাটায়ে চায়ি হে চর পর,

রঞ্জ ও আলাম মে হে নাম লিওয়া,

মে ইয়ে কহোঙ্গা নামে মুহাম্মদ (ﷺ)।

কর দেয় ইশারা নামে মুহাম্মদ (ﷺ)।

কর দেয় ইশারা নামে মুহাম্মদ (ﷺ)।


(কাবালায়ে বখশিশ, ৭৪ পৃষ্ঠা)


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! পবিত্র নামের ফযীলত এবং এর বরকত সম্পর্কে শুনে অনেক ইসলামী ভাইয়ের এই মানসিকতা তৈরী হয়েছে হয়তো, ভবিষ্যতে। আমরাও আমাদের সন্তান ও নাতিদের নাম "মুহাম্মদ (ﷺ)"ই রাখবো এবং রাখাও উচিৎ। কিন্তু মনে রাখবেন! "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামানুসারে নাম রাখাতে বেআদবী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে এবং বেআদবী থেকে বেঁচে থাকা খুবই প্রয়োজন, মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের বেআদবী থেকে বাঁচার সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হলো; আকীকার দিন সন্তানের নাম "মুহাম্মদ (ﷺ)" এবং ডাকার জন্য অন্য কোন নাম রেখে দিন, যেনো "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের বরকতও অর্জিত হয় এবং নামের বেআদবী থেকেও বেঁচে থাকা যায়। الْحَمْدُ اللَّهِ عزوجل আমাদের বুযুর্গদেরও এরূপ রীতি ছিলো যে, তারা বরকত অর্জনের জন্য নিজের সন্তানদের নাম "মুহাম্মদ (ﷺ)" এবং আদবের খাতিরে ডাকার জন্য অন্য কোন নাম রাখতেন।


আ'লা হযরত এর কর্মপদ্ধতি


আ'লা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত, মাওলানা শাহ ইমাম আহমদ রযা খাঁন (رحمة الله) নিজের সব সন্তান ও ভাতিজার আকীকায় "মুহাম্মদ (ﷺ)" নাম রাখেন অতঃপর পবিত্র নামের আদবের দিক বিবেচনা করে এবং পরস্পরের পরিচিতির জন্য উপনাম আলাদা রাখেন। (ফতোওয়ায়ে রযবীয়া, ২৪/৬৮৯)


আশিকে আ'লা হযরতের অনুসরন


অনুরূপভাবে আশিকে আ'লা হযরত, আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَكَاتُهُمُ العالية এর প্রতি কারো নাম রাখার আবেদন করা হলো, তবে সাধারণত তিনি دَامَتْ بَرَكَاتُهُمُ الْعَالِيهِ ছেলে সন্তানের নাম "মুহাম্মদ (ﷺ)" এবং ডাকার জন্য উপনাম যেমন "রজব রযা" রাখেন। নামের সাথে রযা শব্দটি অতিরিক্ত, এটি ইমামে আহলে সুন্নাত, মাওলানা শাহ ইমাম আহমদ রযা খাঁন (رحمة الله) এর সাথে সম্পর্কের জন্য করে থাকেন।


আপনে রযা কে কুরবান জাও,

আখোঁ মে আ'কর দিল মে সামা কর,

আপনে জমিলে রযবী কে দিল মে,

صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد

(নাম রাখনে কি আহকাম, ২৯ পৃষ্ঠা)


জিস নে শিখায়া নামে মুহাম্মদ (ﷺ)। রঙ্গত রছা জা নামে মুহাম্মদ (ﷺ)। আ'জা সামা জা নামে মুহাম্মদ (ﷺ)।


(কাবালায়ে বখশিশশ, ৭৪ পৃষ্ঠা)


صَلُّوا عَلَى الْحَبِيب !


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! الحَمْدُ للهِ عارجل


ওলামায়ে কিরামরা رحتهم الله تعالى নিজেদের কিতাবেও "মুহাম্মদ (ﷺ)" নাম সম্পর্কে খুবই চমৎকার মাদানী ফুল বর্ণনা করেছেন। ■ আসুন! বরকত অর্জনের উদ্দেশ্যে "মুহাম্মদ (ﷺ)" নাম সম্পর্কে কিছু ঈমান সতেজকারী। মাদানী ফুল লক্ষ্য করুন।


"মুহাম্মদ (ﷺ)” শব্দটি সম্পর্কে ঈমান সতেজকারী মাদানী ফুল


প্রসিদ্ধ কোরআনের মুফাসসীর, হাকিমুল উম্মত মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী (رحمة الله) তাফসীরে নঈমীতে লিখেন: "মুহাম্মদ (ﷺ)" শব্দটির অর্থ হচ্ছে: চারিদিকে প্রশংসিত, সর্বদা, সর্বযুগে, সকল ভাষায় প্রশংসিত, সত্য এটাই যে, হুযুরে আনওয়ার صلى الله تعالٰی عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم সকল সৃষ্টি হতে উত্তম, সকল রাসূলদের সরদার, অনুরূপভাবে হুযুরে আকরাম (ﷺ) এর নাম শরীফও সকল নবীদের নামের সরদার, এই নামের অসংখ্য ফযীলত রয়েছে, যা থেকে কয়েকটি হলো:


(১) সবার নাম তাদের পিতামাতারাই রাখে, উপাধী দেয় তার সম্প্রদায়েরা, খেতাব পায় সরকার থেকে, কিন্তু হুযুরে আনওয়ার (ﷺ) এর নাম, উপাধী ও খেতাব সবই আল্লাহ্ তায়ালার পক্ষ থেকেই। কেননা, আব্দুল মুত্তালিব )رَضِيَ اللَّهُ تَعَالٰى عَنْهُ( ফিরিশতাদের সুসংবাদের ভিত্তিতে এই নাম রাখেন। (২) সবার নাম জন্মের সপ্তম দিনে রাখা হয়, কিন্তু হুযুরে আকরাম (ﷺ) এর নাম জগৎ সৃষ্টির পূর্বেই আরশে আযীমে লিখিত হয়েছে এবং হযরত ঈসা عَلَيْهِ الضَّلُوةُ وَالسَّلام হুযুর (ﷺ) এর জন্মের প্রায় ৬০০ বছর পূর্বেই নিজের সম্প্রদায়দের বললেন: إِسْمُهُ أَحْمَد )অর্থাৎ) তাঁর নাম হলো "আহমদ", পূর্ববর্তী সম্প্রদায়েরা প্রিয় আক্বা (ﷺ) এর নামের বরকতে দোয়া প্রার্থনা করতো। (৩) হুযুরে আনওয়ার (ﷺ) এর নাম "মুহাম্মদ (ﷺ)" অনেক ব্যাপক, যাতে হুযুরে আনওয়ার (ﷺ) এর অসংখ্য ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে। আদম এর অর্থ হচ্ছে "মাটি দ্বারা সৃষ্ট”, ইব্রাহিম এর অর্থ হচ্ছে "দয়াময় পিতা", নূহ এর অর্থ হচ্ছে "খোদাভীতিতে কান্নাকাটি ও বিলাপকারী", এই সকল নামের মধ্যে এক একটি  গুণের দিকে ইঙ্গিত রয়েছে, কিন্তু "মুহাম্মদ (ﷺ)" এর অর্থ হচ্ছে "চারিদিকে, সকল গুণেই অতিশয় প্রশংসিত", এতে হুযুরে আনওয়ার (ﷺ) এর অসংখ্য উৎকর্ষতা ও গুণাবলীর দিকে ইঙ্গিত হয়ে গেছে। (৫) "মুহাম্মদ (ﷺ)" শব্দে অদৃশ্য সংবাদও রয়েছে যে, সর্বদা অর্থাৎ দুনিয়া ও আখিরাতে তাঁর সব স্থানে, চারিদিকে প্রশংসা হতে থাকবে, এই সংবাদের সত্যতা আমরা আমাদের চোখে দেখছি। কেননা, আজও হুযুরে আকরাম (ﷺ) এর সমান কারো প্রশংসা হয় না বরং যা হুযুরে  আনওয়ার (ﷺ) এর সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়ে গেছে তাঁরও প্রশংসা হবে। দুনিয়ায় তাঁর সাড়া, আরশে তাঁর চর্চা। (৬) যে নিজের সন্তানের নাম ভালবেসে "মুহাম্মদ (ﷺ)" রাখবে, আল্লাহ্ তায়ালা তার প্রতি দয়া করবেন। কেননা, এরূপ ব্যক্তিকে শাস্তি দিতে লজ্জাবোধ করেন, যে আমার মাহবুবের ভালবাসায় নিজের সন্তানের নাম

"মুহাম্মদ (ﷺ)" রেখেছে। (তাফসীরে নাঈমী, ৪/২২০-২২১ পৃষ্ঠা)


"মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের আরো বরকতের বর্ণনা করতে গিয়ে মুফতী সাহেব বলেন: সবার নাম জন্মের সপ্তম দিনে রাখা হয়, কিন্তু হুযুর صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَأَلِيه وسلم এর নাম রব (আল্লাহ্) তায়ালা সৃষ্টজীবের জন্মের পূর্বেই রেখেছেন। কেননা, আদম عَلَيْهِ الضَّلُوةُ وَالسَّلام এই নাম আরশে আযীমের সুউচ্চে লিখা অবস্থায় পেয়েছেন, নূহ عَلَيْهِ الصَّلُوةُ وَالسَّلام এর জাহাজ এই নামের বরকতেই পরিপূর্ণ হয়েছিলো, আম্বিয়ায়ে কিরামগণ عليهم السلام হুযুর পুরনূর على الله تعال عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم এর নামের ওসীলায় দোয়া করেন। আম্বিয়ায়ে কিরামদের عليهم السلام নামের অর্থ এমন মহান নয়, যেমনটি "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের অর্থ, অর্থাৎ নিষ্কলুষ এবং সর্বদিকেই প্রশংসার উপযুক্ত। হুযুর পুরনূর عَى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَأَلِيهِ وَسَلَّم এর নাম দ্বারা কবরের পরীক্ষায় সফলতা এবং হাশরে মুক্তি রয়েছে। মোটকথা হুযুর (ﷺ) এর নাম এমন অমূল্য রত্ন, যার মাধ্যমে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে যায়। (শানে হাবীবুর রহমান, ৫৫ পৃষ্ঠা)


শেয়দা না কিউ হোঁ ইচ পর মুসলমাঁ, 

রাখো লাহাদ মে জিচ দিন আযীযো, 

রোজে কিয়ামত মিযান ও পুল পর,

রব কো হে পেয়ারা নামে মুহাম্মদ (ﷺ)। 

মুঝ কো সুনানা নামে মুহাম্মদ (ﷺ)। 

দেয় গা সাহারা নামে মুহাম্মদ (ﷺ)।

(কাবালায়ে বখশিশ, ৭৩ পৃষ্ঠা)


صَلُّوا عَلَى الْحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد


"নাম রাখনে কে আহকাম" কিতাবের পরিচিতি


হে আশিকানে রাসূল! বর্ণনাকৃত "মুহাম্মদ (ﷺ)" নাম সম্পর্কে চমৎকার মাদানী ■ ফুল শ্রবণ করে আমাদের অন্তরেও এই পবিত্র নামের গুরুত্ব ও ফযীলত এবং শান ও। মহত্ব আরো বৃদ্ধি হয়েছে হয়তো। "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের ফযীলত ও বরকত এবং নাম ■ রাখা সম্পর্কে শরীয়াতের বিধানাবলী এবং অনেক মাদানী ফুল জানতে দা'ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত "নাম রাখনে কে। আহকাম" নামক কিতাব অধ্যয়ন করুন। الْحَمْدُ اللهِ عزوجل এই কিতাবে সমাজে নাম। রাখার বিভিন্ন ধরন, আল্লাহ্ তায়ালার পছন্দনীয় নাম, প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা, আল্লাহ্ তায়ালার নাম সহকারে নাম রাখার মাদানী ফুল, "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের বরকত সম্বলিত  মুস্তফা (ﷺ) এর বাণী, "মুহাম্মদ (ﷺ)" শব্দ সম্পর্কে ঈমান সতেজকারী। মাদানী ফুল, উপাধী, ছদ্মনাম এবং উপনামের পরিচিতি, এছাড়াও মাদানী মুন্না ও মাদানী মুন্নীদের নাম রাখার জন্য ৫৩৮টি নামের তালিকাও সংযোজন করা হয়েছে, সুতরাং নিজেও এই কিতাবটি অধ্যয়ন করুন এবং অপরকেও পড়ার উৎসাহ প্রদান করুন। দা'ওয়াতে ইসলামীর ওয়েব সাইট  থেকেও এই কিতাবটি পড়তে পারবেন, ডাউনলোড (Download) এবং প্রিন্ট আউট (Print Out) ও করতে পারবেন।


صَلُّوا عَلَى الْحَبِيْب صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের বুযুর্গানে দ্বীনরা رَحِمَهُمُ الله النبيِّين "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের খুবই আদব প্রদর্শন করতেন, এমনই তো হওয়া উচিৎ যে, আমরাও বুযুর্গানে দ্বীনদের পদ্ধতির অনুসারী হয়ে এই পবিত্র নামের সম্মান ও মহত্বের প্রতি সজাগ থাকা এবং মন ও প্রাণ দিয়ে এর আদব প্রদর্শন করি, কিন্তু আফসোস, শত কোটি আফসোস!! এখন এই নামে পাকের পবিত্রতা খুবই বাজে ভাবে ভুলুণ্ঠিত করা হচ্ছে, যেমন অনেক বাচাল ও নির্ভিক মূর্খ লোকের মুখ এতোই ধারাল হয়ে থাকে যে, তারা সাধারণ লোকের পাশাপাশি "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের মুসলমানকেও ক্ষমা করে না এবং তাদেরও معاذ الله عزوجل০ অশ্লিল গালি ও মন্দ উপাধী দ্বারা ডেকে থাকে, অনুরূপভাবে অনেক মূর্খ ব্যক্তি শরীয়াতের বিধানাবলী না জানার কারণে সকল লোকের নামের শুরুতে "মুহাম্মদ (ﷺ)" লিখে বা পড়ে থাকে, অথচ অনেক সময় অর্থের দিক দিয়ে কিছু নামের পূর্বে "মুহাম্মদ (ﷺ)" লিখা বা পড়া সঠিক নয়, অতঃপর "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের বরকত কি আর অর্জিত হবে, উল্টো বেআদবীর শাস্তি মাথায় এসে পড়ে। এখন একদিকে তো এই মূর্খদের কর্মপদ্ধতি, আর অপরদিকে সেই আদব সম্পন্ন ব্যক্তিত্বদের অনুকরনযোগ্য ভূমিকা আমাদের সামনে। কেননা, তারা প্রিয় নবী (ﷺ) এর সম্মানের পাশাপাশি "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের সম্মান ও মহত্বের সত্যিকার রক্ষক এবং "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের আদবের বিষয়ে জবরদস্ত মাদানী মানসিকতা সম্পন্ন ছিলেন। আসুন! "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের আদব প্রদর্শন সম্পর্কে একটি শিক্ষামূলক ঘটনা শ্রবণ করি।


মুফতীয়ে আযম সংশোধন করে দিলেন


সিরাজুল আরেফিন, হযরত আল্লামা মাওলানা গোলামে আ'সী (رحمة الله) বলেন: আমি আমার নামের শুরুতে বরকতের জন্য "মুহাম্মদ (ﷺ)” শব্দটি যোগ করেছিলাম। এতে শাহজাদায়ে আ'লা হযরত, মুফতীয়ে আযম হিন্দ, মাওলানা মুস্তফা রযা খাঁন رختةُ اللهِ العالى عليه সতর্ক করে দিলেন যে, এখানে ইসমে রিসালত (অর্থাৎ "মুহাম্মদ (ﷺ)") না হওয়া উচিৎ। আমি দ্রুত আরয করলাম যে, হুযুর! তবে "মুহাম্মদ (ﷺ) আব্দুল হাই" এর বিধান কি? এর উত্তরে হুযুর বললেন: কোথায় আব্দুল হাই আর কোথায় গোলাম আসি? আল্লামা (গোলামে আসি رختةُ اللَّهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ( বলেন: এই উত্তর শুনে আমি আশ্চার্যাহ্নিত হয়ে গেলাম এবং হযরতের দ্বীনের জ্ঞানের মহত্ব অন্তরে গভীরভাবে রেখাপাত করলো।


হুযুর মুফতীয়ে আযম (رحمة الله) নিজের উক্তি দ্বারা এরই নির্দেশনা দিয়েছেন যে, যে নামের শুরুতে "মুহাম্মদ (ﷺ)" শব্দ আনা হবে, যদি সেই নামের প্রয়োগ "মুহাম্মদ (ﷺ)" শব্দের সাথে সঠিক হয়, তবে সেখানে "মুহাম্মদ (ﷺ)" শব্দটি আনা সঠিক হবে (যেমন মুহাম্মদ (ﷺ) সাদিক) এবং যদি নামের প্রয়োগ "মুহাম্মদ (ﷺ)" শব্দের সাথে সঠিক না হয়, তবে সেখানে "মুহাম্মদ (ﷺ)" শব্দটি নামের প্রথমে আনা সঠিক হবে না (যেমন মুহাম্মদ (ﷺ) গোলাম হুসাইন)। হুযুর সায়্যিদে আলম (ﷺ) হলেন আব্দুল হাই, সুতরাং মুহাম্মদ (ﷺ) আব্দুল হাই বলা সঠিক, কিন্তু গোলামে আসী নয়, এই জন্যই যে, "মুহাম্মদ (ﷺ) গোলামে আসী (অর্থাৎ "আসী"র গোলাম)" বলা সঠিক নয়।


(জাহানে মুফতীয়ে আযম, ৪৫১ পৃষ্ঠা)


এছাড়াও এমন অনেক নাম রয়েছে, যার পূর্বে "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের প্রয়োগ। সঠিক হয় না, যেমন; আব্দুল মুস্তফা, গোলামে গাউছ, গোলামে জিলানী, উবাইদ রযা ইত্যাদি, কিন্তু অনেক সময় এই নামগুলোর পূর্বেও "মুহাম্মদ (ﷺ)" লিখে দেয়া হয়, তবে এই বিষয়টিও মনের মাঝে গেঁথে নিন যে, "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের প্রয়োগ কোন কোন নামের সাথে সঠিক এবং কোন কোন নামের সাথে সঠিক নয় তা নিরূপন করা সবার জন্য অনুমতি নেই! সুতরাং এই কারণেই বিশুদ্ধ সুন্নি আলিমে দ্বীন বা দা'ওয়াতে ইসলামীর অধীনে প্রতিষ্ঠিত দারূল ইফতা আহলে সুন্নাতের শরণাপন্ন হোন।


মাহফুষ সদা রাখনা শাহা বে আদবোঁ সে, অউর মুঝ চে ভি সর যদ না কাভী বে আদবী হো।


(ওয়াসায়িলে বখশিশ, ৩১৫ পৃষ্ঠা)


صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد

صَلُّوا عَلَى الْحَبِيبِ


১২টি মাদানী কাজের মধ্যে একটি হলো "ছুটির দিনের ইতিকাফ”


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! বুযুর্গানে দ্বীনরা رَحِمَهُمُ اللَّهُ الْمُصلين কিরূপ আত্ম মর্যাদাবোধ সম্পন্ন ছিলেন যে, এই ব্যক্তিত্বরা "মুহাম্মদ (ﷺ)” নামের বেআদবী হতে দেখলে ব্যাকুল হয়ে যেতেন এবং তাঁদের ঈমানী চেতনায় জোশ এসে যেতো, তাই এই ব্যক্তিত্বরা সাথেসাথেই বেআদবীকারীর সংশোধন করে দিতেন। আহ! যদি আমাদেরও এই বুযুর্গদের সদকা নসীব হয়ে যেতো এবং আমরাও তাঁদের শিক্ষার উপর আমল করে "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের আদব প্রদর্শনকারী এবং এই পবিত্র নাম মোবারকের বেআদবী হতে দেখলে সাথেসাথেই বেআদবীকারীর সংশোধনকারী হয়ে যাই। الْحَمْدُ لِلَّهِ عَزَوَجَنَّ আজকের এই ফিতনা ফ্যাসাদের যুগে দা'ওয়াতে ইসলামী মুসলমানদের মাঝে বুযুর্গদের এই মাদানী মানসিকতা উদ্বেলিত করতে, তাদের "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের আদব প্রদর্শন করাতে এবং "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের বেআদবীকারীদের সংশোধন করার মানসিকতা দিতে সর্বদা সচেষ্ট, সুতরাং আপনিও এই মাদানী পরিবেশে সম্পৃক্ত থাকুন এবং আদব ও সম্মানের অনুসারী হতে ১২টি মাদানী কাজে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করুন। ১২টি মাদানী কাজের মধ্যে সাপ্তাহিক একটি কাজ হলো "ছুটির দিনের ইতিকাফ"। ছুটির দিন শহরের দূর্বল এলাকা এবং পার্শবর্তী গ্রামে গিয়ে সেখানকার মসজিদকে আবাদ করার পাশাপাশি স্থানিয় আশিকানে। রাসূলকে নেকীর দাওয়াত দিয়ে ইলমে দ্বীন শিখা ও শেখানো উৎসাহ প্রদান করা হয়। * الْحَمْدُ اللَّهِ عَزَّوَجَنَ ছুটির দিনের ইতিকাফে ইসলামী ভাইদের সুন্নাত ও আদব এবং। মাদানী দরস ইত্যাদি শেখানোর অত্যন্ত উপকারী একটি মাধ্যম। ছুটির দিনের ইতিকাফের বরকতে মসজিদ আবাদ হয়। ছুটির দিনের ইতিকাফের বরকতে মসজিদে অতিবাহিত করা প্রতিটি মুহুর্ত ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়। ছুটির দিনের ইতিকাফের বরকতে মসজিদের প্রতি ভালবাসা পোষণ করা এবং তাতে অধিক সময় অতিবাহিত করার ফযীলত অর্জিত হয়। الحَمْدُ اللهِ عاوجاق নিজের অধিকতর সময়। মসজিদের অতিবাহিত করার অনেক ফযীলত রয়েছে যে, হযরত সায়্যিদুনা আবু সাঈদ খুদরী رضى الله تعالى عنه থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেন: যখন তোমরা কোন ব্যক্তিকে দেখো যে, সে মসজিদে অধিকহারে আসা যাওয়া করছে, তবে তার ঈমানের সাক্ষ্য দাও। কেননা, আল্লাহ্ তায়ালা ১০ম পারার সূরা তাওবার ১৮ নং আয়াতে ইরশাদ করেন:

 إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسْجِدَ اللَّهِ مَنْ أَمَنَ بِاللَّهِ وَ الْيَوْمِ الْآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلُوةَ وَأَتَى الرَّكُوةَ


কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আল্লাহর মসজিদসমূহের তারাই আবাদ করে, যারা আল্লাহ্ ও কিয়ামতের উপর ঈমান আনে।

(পারা ১০, সূরা তাওবা, আয়াত ১৮)


নামায কায়েম রাখে, যাকাত প্রদান করে।


(তিরমিযী, কিতাবুল ঈমান, বাবু মা'জা ফি হুরমাতুস সালাত, ৪/২৮০, হাদীস নং-২৬২৬)


আসুন! উৎসাহ গ্রহণার্থে একটি মাদানী বাহার শ্রবণ করি।


আমি ঘুড়ি উড়ানোর নেশায় মত্ত ছিলাম!


বাবুল মদীনার (করাচী) এক ইসলামী ভাইয়ের অতীত জীবন গুনাহে অতিবাহিত হচ্ছিলো, ঘুড়ি উড়ানোর নেশায় মত্ত ছিলো, ভিডিও গেমস ও মার্বেল খেলা ইত্যাদি তার ব্যস্ততায় অর্ন্তভূক্ত ছিলো। প্রত্যেকের কাজে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করা, মানুষের সাথে ঝগড়া করা, কথায় কথায় মারামারি করা ইত্যাদি মন্দ কাজে সে গ্রেফতার ছিলো। সৌভাগ্যবশতঃ এক ইসলামী ভাইয়ের ইনফিরাদী কৌশিশে সে রমযানুল মোবারকের শেষ ১০ দিন তার এলাকার মসজিদে ইতিকাফকারী হয়ে গেলো। যেখানে সে অনেক ভাল ভাল স্বপ্ন দেখতে লাগলো এবং খুবই প্রশান্তি অনুভব করলো। এরপর সে আরো দুই বছর ইতিকাফের সৌভাগ্য অর্জন করলো। একবার তাদের মসজিদের মুয়াজ্জিন সাহেব ইনফিরাদী কৌশিশ করে তাকে। আশিকানে রাসূলের বিশ্বব্যাপী অরাজনৈতিক মাদানী সংগঠন দা'ওয়াতে ইসলামীর মাদানী মারকয ফয়যানে মদীনায় (বাবুল মদীনা, করাচী) অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক সুন্নাতে। ভরা ইজতিমায় নিয়ে গেলো। একজন মুবাল্লিগ সুন্নাতে ভরা বয়ান করছিলো, যে সাদা পোশাক ও খয়েরী চাদরে আবৃত, মুখে এক মুষ্ঠি দাঁড়ি আর মাথায় সবুজ পাগড়ী শরীফের মুকুট সাজানো ছিলো। এমন উজ্জ্বল চেহারা সে জীবনে প্রথমবারই দেখলো। মুবাল্লিগের চেহারার আকর্ষণ ও উজ্জলতা তার হৃদয় কেড়ে নিলো আর সে দা'ওয়াতে ইসলামীর মাদানী পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেলো। الْحَمْدُ لِلَّهِ عَزَّوَجَنَّ সে • এক মুষ্ঠি দাঁড়িও সাজিয়ে নিয়েছে।


বিগড়ে আখলাক সারে সনওয়ার জায়েঙ্গে, জামে ইশকে মুহাম্মদ (ﷺ) ভি হাত আয়ে গা, মাদানী মাহোল মে করলো তুম ইতিকাফ। মাদানী মাহোল মে করলো তুম ইতিকাফ।


(ওয়াসায়িলে বখশিশ, ৬৪০-৬৪১ পৃষ্ঠা)


صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد


صَلُّوا عَلَى الْحَبِيْب


মজলিশে তাওকীত


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যেমনিভাবে দা'ওয়াতে ইসলামীর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ১২টি মাদানী কাজে লিপ্ত হয়ে যাওয়া "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের আদব প্রদর্শনের মাদানী মানসিকতা অর্জনের একটি উত্তম উপায়, তেমনিভাবে দা'ওয়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠিত বিভাগ সমূহের যেকোন বিভাগের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নিজের খেদমত পেশ করাতেও পবিত্র নামের সম্মান ও মহত্ব এবং এর আদব ও শ্রদ্ধা করার মানসিকতা অর্জিত হবে।


الْحَمْدُ لِلَّهِ عَزَّوَجَنَّ আশিকানে রাসূলের বিশ্বব্যাপী অরাজনৈতিক মাদানী সংগঠন  দা'ওয়াতে ইসলামীর দুনিয়া জুড়ে প্রায় ১০৪টিরও বেশী বিভাগে নেকীর দাওয়াতের সাড়া জাগিয়ে যাচ্ছে। এর বিভাগগুলোর (Departments) মধ্যে একটি বিভাগ হলো


"মজলিশে তাওকীত"।


الْحَمْدُ لِلَّهِ عَزْوَجَنَّ মজলিশে তাওকীত এই পর্যন্ত আ'লা হযরত (رحمة الله) এর গবেষণা অনুযায়ী ইলমে তাওকীতের মূলনীতি ও বিধানাবলীর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখে দুনিয়ার অসংখ্য শহরের (হারামাঈন তায়্যিবাইন সহ) "আওকাতুস সালাত” এর (নামাযের সময়সূচী) মানচিত্র তৈরী করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আরো এক কদম অগ্রসর হয়ে দা'ওয়াতে ইসলামীর "মজলিশে আই টি" এর সহযোগীতায় এমন একটি সফটওয়ার "আওকাতুস সালাত” নামে প্রকাশ করেছে, যা কম্পিউটার এবং মোবাইল ইত্যাদিতে নামাযের সঠিক সময় জানার জন্য খুবই উপকারী। এই সফটওয়ারের মাধ্যমে অসংখ্য স্থানের নামাযের সঠিক সময় জানার ব্যবস্থা রয়েছে, সময়সূচী সম্পর্কীত যেকোন সমস্যা বা পরামর্শ জন্য এই মজলিশের সংশ্লিষ্ট যিম্মাদারের সাথে ফোনে বা এই ই-মেইল এ্যড্রেস (prayer@dawateislami.net) এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। আর্ন্তজাতিক মাদানী মারকায ফয়যানে মদীনা বাবুল মদীনা করাচীতে অফিসে সরাসরি দিকনির্দেশনাও নেয়া যাবে।


আল্লাহ্ করম এ্যয়ছা করে তুজ পে জাহাঁ মে,

এ্যয় দা'ওয়াতে ইসলামী তেরী ধূম মাচি হো। 

(ওয়াসায়িলে বখশিশ, ৩১৫ পৃষ্ঠা)


صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد

صَلُّوا عَلَى الْحَبِيب !


জশনে বিলাদত সম্পর্কিত আত্তারের চিঠি


হে জন্মে বিলাদত উদযাপনকারী আশিকানে রাসূল! সফরুল মুযাফফরের। মোবারক মাস শেষ হতে চলেছে। অতঃপর إن شاء الله عزوعة রবিউল আউয়ালের নূর বর্ষণকারী মাস নিজের পবিত্র ও মহিমাময় সত্তার সহিত আগমন করবে। কেননা, এটিই সেই আজিমুশ্মান মাস, যার জন্য আশিকে রাসূল এগার মাস খুবই আগ্রহের সহিত অপেক্ষা করে থাকে, এই মাসে মারহাবা ইয়া মুস্তফার প্রতিধ্বনিতে জুলুসে মিলাদের সাড়া জাগায়, নাতের মাহফিলের ব্যবস্থা করে, সদকা ও খয়রাত করে, মাদানী পতাকা লাগায়, লাইটিং করে এবং ধুমধাম সহকারে জন্নে বিলাদতের খুশি ■ উদযাপন করে নিজেদের ভক্তি এবং ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ করে। কিন্তু মনে রাখবেন! সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজের কিছু আবশ্যকীয় আদব থাকে, অনুরূপভাবে জন্মে ■ ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করারও কিছু আদব রয়েছে, যার প্রতি সজাগ থাকা। আবশ্যক। যেমন; জন্মে বিলাদতের জন্য গলি বা সড়ক ইত্যাদি এমনভাবে। সাজানো যে, যার দ্বারা গাড়ী ও পথচারীদের চলতে কষ্ট হয়, তবে তা নাজায়িয। ■ লাইটিং দেখার জন্য মহিলাদের পরপুরুষের মাঝে বেপর্দা হয়ে বের হওয়া এবং পর্দা। সহকারেও প্রচলিত পদ্ধতিতে পুরুষদের সাথে একত্রে জমা হওয়া খুবই মন্দ বিষয়। আর বিদ্যুৎ চুরি করাও নাজায়িয, সুতরাং এর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে যোগাযোগ। করে জায়িয পন্থায় লাইটিং করার ব্যবস্থা করুন। জুলসে মিলাদে যথাসম্ভব অযু। সহকারে থাকবেন, জামাআত সহকারে নামাযের প্রতি বিশেষ ভাবে সজাগ থাকবেন।


শায়খে তরিকত, আমীরে আহলে সুন্নাত, দা'ওয়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা হযরত আল্লামা মাওলানা আবু বিলাল মুহাম্মদ (ﷺ) ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবী যিয়ায়ী دَامَتْ بَرَكَاتُهُمُ الْعَالِيهِ জন্ম মীলাদ উদযাপনকারী আশিকানে রাসূলের জন্য নিজের চিঠিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাদানী ফুল প্রদান করেছেন। আসুন! আমরাও সেই "আত্তারের চিঠি" মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করার সৌভাগ্য অর্জন করি:


আত্তারের চিঠি


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ সগে মদীনা মুহাম্মদ (ﷺ) ইয়াস আত্তার কাদেরী রযবী عُفِى عَله এর পক্ষ থেকে সকল আশিকানে রাসূল ইসলামী ভাই ও ইসলামী বোনদের খেদমতে জন্মে বিলাদতের আনন্দে উদ্বেলিত মাদানী পতাকা, ঝলমলে বাতি ও ছোট ছোট ঝাড়বাতির চুম্বনরত আন্দোলিত মধুর চেয়েও মিষ্ঠ মক্কী ও মাদানী সালাম


السَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعُلَمِينَ عَلَى كُلِّ حَالَ


তুম বি করকে উনকা চর্চা আপনে দিল চমকাও, উচে মে উচাঁ নবী কা ঝান্ডা ঘর ঘর মে লেহরাও।


চাঁদ রাতে এভাবে মসজিদে তিনবার ঘোষণা করান: "সকল আশিকানে রাসূলকে মোবারকবাদ পেশ করছি। কেননা, রবিউল আউয়াল শরীফের চাঁদ দেখা গিয়েছে।"


রবিউন নুর উম্মিদো কি দুনিয়া সাথ লে আয়া, দোআও কি কবুলিয়ত কো হাতোহাত লে আয়া।


পুরুষের দাঁড়ি মুন্ডিয়ে ফেলা কিংবা এক মুষ্টি থেকে কম রাখা উভয়টি হারাম। ইসলামী বোনেরা বেপর্দা চলাফেরা করা হারাম। দয়া করে! রবিউল আউয়ালের বরকতে ইসলামী ভাইয়েরা সর্বদা দাঁড়ি মুন্ডানো এবং ইসলামী বোনেরা সর্বদা সম্পূর্ণ শরীয়াত অনুযায়ী পর্দা করার এবং সৌভাগ্যবানেরা মাদানী বোরকা পরিধানের নিয়্যত করে নিন। (পুরুষদের দাঁড়ি মুন্ডানো বা এক মুষ্ঠি থেকে ছোট রাখা এবং মহিলাদের বেপর্দা হওয়া হারাম, যদি কেউ এ কাজগুলি করে থাকে, তাহলে তার তাড়াতাড়ি তাওবা করে এ সমস্ত গুনাহ্ থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব।)


ঝুক গেয়া কা'বা সবি ভুত মুহ কে বল আউন্দে গিরে, দবদবা আ'মদ কা থা, আহলান ওয়া সাহলান মারহাবা।


(ওয়াসায়িলে বখশীশ, ১৪৭ পৃষ্ঠা)


সুন্নাত ও নেকীর উপর স্থায়িত্ব অর্জন করার মাদানী ব্যবস্থাপনা হচ্ছে যে, ■ সকল আশিকানে রাসূল ইসলামী ভাই ও ইসলামী বোনেরা প্রতিদিন 'ফিক্রে মদীনা'  করার মাধ্যমে "মাদানী ইনআমাতের রিসালা" পূরণ করে প্রতি মাসের প্রথম। তারিখেই জমা করানোর নিয়্যত করে নিন। হাত উঠিয়ে বলুন إن شاء الله علع। 

(মনে • রাখবেন! যদি অন্তরে নিয়্যত না থাকার পরও জেনে শুনে লোক দেখানোর জন্য হাত উঠানো যে, আমি নিয়্যত করছি, তবে তা গুনাহ।)


বদলীয়া রহমত কি চায়ে বুন্দিয়া রহমত কি আ'য়ে,

আব মুরাদে দিল কি পায়ে আ'মদে শাহে আরব হে। (কাবালায়ে বখশীশ, ১৮৪ পৃষ্ঠা)


সকল আশিকানে রাসূল নিগরান ও যিম্মাদারগণসহ বিশেষভাবে রবিউল আউয়াল শরীফে গুরুত্বের সহিত কমপক্ষে ৩ দিনের মাদানী কাফেলায় সফর করার সৌভাগ্য অর্জন করুন এবং ইসলামী বোনেরা ৩০ দিন পর্যন্ত নিজ ঘরে (শুধুমাত্র পরিবারের ইসলামী বোন এবং মাহরিমদের মাঝে) "মাদানী দরস” অব্যাহত রাখুন এবং আগামীতেও নিয়মিত চালু রাখার নিয়্যত করে নিন।


সা'আদত মিলে দরসে ফয়যানে সুন্নাত, কি রো'জানা দু মরতবা ইয়া ইলাহী!


(ওয়াসায়িলে বখশীশ, ১০৩ পৃষ্ঠা)


ভাল ভাল নিয়্যত সহকারে নিজের মসজিদ, ঘর, দোকান, কারখানা ইত্যাদিতে ১২টি অন্যথায় কমপক্ষে ১টি মাদানী পতাকা রবিউল আউয়াল শরীফের চাঁদরাত থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ মাস উড়াতে থাকুন। বাস, জীপ, ট্রেন, লঞ্চ, স্ট্রীমার, জাহাজ, মালগাড়ী, ট্রাক, ট্রলী, টেক্সি, রিক্সা, ঘোড়ার গাড়ী ইত্যাদিতে প্রয়োজনে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী পতাকা কিনে বেঁধে দিন। নিজের সাইকেল, মোটরসাইকেল এবং কারের সাথেও লাগিয়ে দিন। إن شاء الله عزوعة চারিদিকে মাদানী পতাকার সুদৃশ্য মাদানী বাহার সকলের দৃষ্টিগোচর হবে। সাধারণতঃ ট্রাকের পিছনে বিভিন্ন প্রাণীর বড় বড় ছবি এবং বেহুদা কবিতা লেখা থাকে। আমার আকাংখা হলো, ট্রাক, বাস, রিক্সা, টেক্সি, সুজুকী এবং কার ইত্যাদির পেছনে স্পষ্ট অক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকুত: "আমি দা'ওয়াতে ইসলামীকে ভালবাসি।" বাস ও ট্রান্সপোর্টের মালিকদের সাথে সাক্ষাৎ করে এর "মাদানী ব্যবস্থা" করুন এবং সগে মদীনা فف عنه এর আন্তরিক দোয়া অর্জন করুন।


বিশেষ সতর্কতা


যদি পতাকার মধ্যে না'লাইন শরীফ কিংবা অন্য কোন লিখা থাকে, তবে এ বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে যে, তা যেনো ছিড়ে টুকরো টুকরো না হয়, মাটিতেও যেনো পড়ে না যায়, তাছাড়া যখনই রবিউল আউয়াল শরীফের মাস চলে যাবে, সাথে সাথে খুলে নিন। যদি সতর্কতা অবলম্বন করতে না পারেন আর অসম্মানী হয়ে যায়, তবে সাধাসিধে মাদানী পতাকা উড়ান। (সগে মদীনা ও নিজের ঘরে নকশা বিহীন সাধাসিধে মাদানী পতাকা লাগিয়ে থাকেন।)


বদলীয়া রহমত কি চায়ে বুন্দিয়া রহমত কি আ'য়ে, আব মুরাদে দিল কি পায়ে আ'মদে শাহে আরব হে। (কাবালায়ে বখশীশ, ১৮৪ পৃষ্ঠা)


সকল আশিকানে রাসূল নিগরান ও যিম্মাদারগণসহ বিশেষভাবে রবিউল আউয়াল শরীফে গুরুত্বের সহিত কমপক্ষে ৩ দিনের মাদানী কাফেলায় সফর করার সৌভাগ্য অর্জন করুন এবং ইসলামী বোনেরা ৩০ দিন পর্যন্ত নিজ ঘরে (শুধুমাত্র পরিবারের ইসলামী বোন এবং মাহরিমদের মাঝে) "মাদানী দরস” অব্যাহত রাখুন এবং আগামীতেও নিয়মিত চালু রাখার নিয়্যত করে নিন। সা'আদত মিলে দরসে ফয়যানে সুন্নাত, কি রো'জানা দু মরতবা ইয়া ইলাহী!


(ওয়াসায়িলে বখশীশ, ১০৩ পৃষ্ঠা)


ভাল ভাল নিয়্যত সহকারে নিজের মসজিদ, ঘর, দোকান, কারখানা ইত্যাদিতে ১২টি অন্যথায় কমপক্ষে ১টি মাদানী পতাকা রবিউল আউয়াল শরীফের চাঁদরাত থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ মাস উড়াতে থাকুন। বাস, জীপ, ট্রেন, লঞ্চ, স্ট্রীমার, জাহাজ, মালগাড়ী, ট্রাক, ট্রলী, টেক্সি, রিক্সা, ঘোড়ার গাড়ী ইত্যাদিতে প্রয়োজনে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী পতাকা কিনে বেঁধে দিন। নিজের সাইকেল, মোটরসাইকেল এবং কারের সাথেও লাগিয়ে দিন। إن شاء الله عزوعة চারিদিকে মাদানী পতাকার সুদৃশ্য মাদানী বাহার সকলের দৃষ্টিগোচর হবে। সাধারণতঃ ট্রাকের পিছনে বিভিন্ন প্রাণীর বড় বড় ছবি এবং বেহুদা কবিতা লেখা থাকে। আমার আকাংখা হলো, ট্রাক, বাস, রিক্সা, টেক্সি, সুজুকী এবং কার ইত্যাদির পেছনে স্পষ্ট অক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকুত: "আমি দা'ওয়াতে ইসলামীকে ভালবাসি।" বাস ও ট্রান্সপোর্টের মালিকদের সাথে সাক্ষাৎ করে এর "মাদানী ব্যবস্থা" করুন এবং সগে মদীনা فف عنه এর আন্তরিক দোয়া অর্জন করুন।


বিশেষ সতর্কতা: যদি পতাকার মধ্যে না'লাইন শরীফ কিংবা অন্য কোন লিখা থাকে, তবে এ বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে যে, তা যেনো ছিড়ে টুকরো টুকরো না হয়, মাটিতেও যেনো পড়ে না যায়, তাছাড়া যখনই রবিউল আউয়াল শরীফের মাস চলে যাবে, সাথে সাথে খুলে নিন। যদি সতর্কতা অবলম্বন করতে না পারেন আর অসম্মানী হয়ে যায়, তবে সাধাসিধে মাদানী পতাকা উড়ান। (সগে মদীনা  ও নিজের ঘরে নকশা বিহীন সাধাসিধে মাদানী পতাকা লাগিয়ে থাকেন।)


নবী কা ঝান্ডা লে'কর নিকলো দুনিয়া পর ছা জাও, নবী কা ঝান্ডা আমন কা ঝান্ডা ঘর ঘর মে লেহরাও।


নিজের ঘরে ১২টি ঝাড়বাতি বা কমপক্ষে ১২টি বাল্ব দ্বারা আলোকিত করুন, তাছাড়া মসজিদ ও মহল্লায়ও ১২ দিন পর্যন্ত মনোরম আলোকসজ্জা করুন। (মনে রাখবেন! বিদ্যুৎ চুরি করা হারাম, এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে বৈধ পন্থার ব্যবস্থা করুন) সম্পূর্ণ এলাকাকে মাদানী পতাকা ও বিভিন্ন রঙের বাতি দ্বারা নববধুর ন্যায় সাজিয়ে নিন। মসজিদ এবং ঘরের ছাদে আর চৌরাস্তায় ইত্যাদিতে যদি পথচারী এবং আরোহীদের কষ্ট না হয়, সর্বসাধারণের অধিকার খর্ব না করে রাস্তার খালি অংশে ১২ মিটার বা প্রয়োজন অনুযায়ী সাইজের বড় বড় পতাকা ঝুলিয়ে দিন। রাস্তার মাঝখানে পতাকা লাগানোর জন্য বাশঁ গাড়বেন না।। কেননা, এতে ট্রাফিকের উপর প্রভাব পড়বে। তাছাড়া গলির ভিতর কোথাও এ ■ ধরণের সাজ-সজ্জা করবেন না, যা দ্বারা মুসলমানদের চলাচলের রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে  যায় আর তাদের অধিকার খর্ব হয় ও তারা মনক্ষুন্ন হয়।


মাশরিক ও মাগরীব মে ইক ইক! বা'মে কা'বা পর ভি এক, নসব পরচম হো গেয়া, আহলাও ওয়া সাহলান মারহাবা।


(ওয়াসায়িলে বখশীশ, ১৫৬ পৃষ্ঠা)


প্রত্যেক ইসলামী ভাই সাধ্যানুযায়ী অধিকহারে অন্যথায় ১১২ কিংবা কমপক্ষে ১২ টাকার "মাকতাবাতুল মদীনা" থেকে প্রকাশিত রিসালা ও মাদানী ফুলের লিফলেট জুলুসে মীলাদে বন্টন করুন এবং ইসলামী বোনেরাও বিতরণ করান। এভাবে সারা বছর নিজের দোকান ইত্যাদিতে রিসালা বিতরনের ব্যবস্থা করে নেকীর দাওয়াতের সাড়া জাগিয়ে দিন। বিয়ে কিংবা শোকের অনুষ্ঠানে এবং মৃতের ইছালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যেও রিসালার বন্টনের ব্যবস্থা করুন এবং অন্যান্য মুসলমানদেরও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করুন।


বাট কর মাদানী রাসায়েল দ্বীন কো ফে'লায়ে, করকে রাজি হক কো হকদার জিনা বন জায়ে।


মাকতাবাতুল মদীনার লিখিত লিফলেট "জনে বিলাদতের ১২টি মাদানী ফুল" সম্ভব হলে ১১২টি অন্যথায় কমপক্ষে ১২টি আর সম্ভব হলে "বসন্তের প্রভাত” রিসালাটির ১২ কপি "মাকতাবাতুল মদীনা" থেকে উপযুক্ত মূল্যে সংগ্রহ করে বন্টন করুন। বিশেষ করে ঐসকল সংগঠনের প্রধানদের নিকট পৌঁছিয়ে দিন যারা জন্মে বিলাদতের সাড়া জাগাচ্ছে। রবিউল আউয়াল শরীফে ১২০০ টাকা, যদি সম্ভব না হয় ১১২ টাকা যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে শুধু ১২ টাকা (প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে বা মেয়েরা) কোন সুন্নী আলিমকে পেশ করুন। যদি নিজের মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদিমের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হয় তাও ঠিক হবে, বরং এই খিদমত প্রতিমাসে চালু রাখার নিয়্যত করুন। জুমার দিন দিলে খুব ভাল। কেননা, জুমার দিন প্রতি নেকীর ৭০ গুণ বেশি সাওয়াব পাওয়া যায়। (কিন্তু জুমার দিনের অপেক্ষা করার পরিবর্তে সুযোগ পেতেই নেকীর কাজ দ্রুত করে নেয়া উচিৎ) উالْحَمْدُ اللَّهِ عَرَّو সুন্নাতে ভরা  বয়ানের ক্যাসেট শুনে লোকের সংশোধনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আপনাদের মধ্যেও কোন না কোন এমন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি হবেন যিনি বয়ানের ক্যাসেট শুনে মাদানী পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন। তাই সুন্নাতে ভরা বয়ান ও মাদানী মুযাকারার মেমোরী কার্ড লোকদের নিকট পৌঁছানো দ্বীনের মহান খেদমত এবং খুবই সাওয়াবের কাজ, যাদের সম্ভব হয় সপ্তাহে অন্যথায় মাসে কমপক্ষে ১২টি মেমোরী কার্ড অবশ্যই ক্রয় করুন। দাতা ইসলামী ভাইয়েরা যদি ফ্রি বন্টন করেন, তবে মদীনা মদীনা হয়ে যাবে। বিয়ের কার্ডের সাথে রিসালা আর সম্ভব হলে মাদানী মুযাকারার মেমোরী কার্ডও অর্ন্তভূক্ত করুন।


উনকে দরপে পালনে ওয়ালা আপনা আপ জওয়াব, কোয়ি গরীব নাওয়াজ তো কোয়ি দাতা লাগতা হে।


বড় শহরের প্রত্যেক এলাকায়ী মুশাওয়ারাত এর নিগরান ১২ দিন পর্যন্ত ■ বিভিন্ন মসজিদে আজিমুশ্মান সুন্নাতে ভরা ইজতিমার আয়োজন করুন। (যিম্মাদার ইসলামী বোনেরা ঘরের মধ্যে মাইক ব্যতীত ইজতিমার আয়োজন করুন) রবিউল ■ আউয়াল শরীফে সংগঠিত সকল ইজতিমায় যাদের সম্ভব হয় তারা যেনো সম্পূর্ণ মাস মাদানী পতাকা সাথে নিয়ে আসবেন।


লব পর না'তে রাসুলে আকরাম হাতো মে পরচম, দিওয়ানা ছরকার কা কিতনা পেয়ারা লাগতা হে।


১১ তারিখ সন্ধ্যায় বা ১২ তারিখ রাতে গোসল করে নিন। যদি সম্ভব হয়  ঈদসমূহেরও ঈদের সম্মানার্থে সাদা পোশাক, পাগড়ী, সারবন্ধ, টুপি, মাদানী চাদর, মিসওয়াক, পকেট রুমাল, জুতা, তাসবীহ, আতরের শিশি, হাতের ঘড়ি, কলম, কাফেলার প্যাড, ইত্যাদি নিজের ব্যবহারের প্রত্যেক জিনিস নতুন কিনে নিন।


(ইসলামী বোনেরাও নিজ ব্যবহার সামগ্রী সম্ভব হলে নতুন কিনুন)


আয়ি নয়ি হুকুমত সিক্কা নয়া চলে গা, আলম মে রঙ্গ বদলা সুবহে শবে বিলাদত।


(যওকে নাত, ৬৭ পৃষ্ঠা)


১২ তারিখ রাত সম্মিলিত মিলাদের মাধ্যমে অতিবাহিত করে সুবহে ■ সাদিকের সময় নিজ হাতে মাদানী পতাকা উড়িয়ে, দরূদ সালামের শ্লোগান তুলে, অশ্রুসিক্ত নয়নে বসন্তের সকালকে অভ্যর্থনা জানান। ফযরের নামাযের পর সালাম ও ঈদ মোবারক বলে একে অপরের সাথে খুশি মনে সাক্ষাত করুন আর সারাদিন ঈদের মোবারকবাদ পেশ করে ঈদ উদযাপন করুন।


ঈদে মিলাদুন্নবী তো ঈদ কি বি ঈদ হে,

বিল ইয়ার্কি হে ঈদে ঈদা ঈদে মিলাদুন্নবী।

(ওয়াসায়িলে বখশীশ, ৪৬৫ পৃষ্ঠা)


আমার প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা (ﷺ) প্রতি সোমবার


রোযা রেখে নিজ শুভাগমণ দিবস পালন করতেন। আপনিও প্রিয় নবী, হুযুর পুরনূর صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَإِلِهِ وَسَلَّم এর স্মরণে ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফে রোযা রেখে মাদানী পতাকা হাতে নিয়ে জুলুসে মীলাদে যোগ দিন। যতটুকু সম্ভব হয়, অযু অবস্থায় থাকুন। মুখে দরূদ সালাম ও না'তে মুস্তফার আওয়াজ তুলে, দুরূদ সালামের ফুল বর্ষণ করে, দৃষ্টিকে নত রেখে পূর্ণ গাম্ভীর্য বজায় রেখে পথ চলুন। লম্প ঝম্প করে চলে কাউকে সমালোচনা করার সুযোগ দিবেন না।


রবিউল আওয়াল তুজ পর আহলে সুন্নাত কিউ ন হো কুরবা,

কেহ তেরী বারভি তারিখ ওহ জানে কমর আয়া। (কাবালায়ে বখশীশ, ৩৭ পৃষ্ঠা)


صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد

صَلُّوا عَلَى الْحَبِيب !


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আজকের বয়ানে আমরা শুনলাম: 

"মুহাম্মদ (ﷺ)” নাম মুসলমানদের শান ও মহত্বকে বৃদ্ধি করে দেয়।  

"মুহাম্মদ (ﷺ)" নাম সম্মানিত করার মাধ্যম। 

"মুহাম্মদ (ﷺ)" নাম আল্লাহ্ তায়ালারও প্রিয়। 

"মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের বরকতে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে যায়। 

"মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের বরকতে জগৎ সৌভাগ্য মন্ডিত হয়ে চলেছে। 

"মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের বরকতে জান্নাতে প্রবেশাধিকার অর্জিত হয়। 

"মুহাম্মদ (ﷺ)" নাম জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায়। 

"মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের বেআদবী বুযুর্গানে দ্বীনের رَحِمَهُمُ اللَّهُ الْمُبِين নিকট খুবই ঘৃণিত ছিলো। 

"মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের প্রতি বেআদবী করা থেকে প্রত্যেকের বেঁচে থাকা উচিৎ।


আল্লাহ্ তায়ালা "মুহাম্মদ (ﷺ)" নামের সদকায় আমাদেরও আদব ও সম্মানের অফুরন্ত দৌলত নসীব করুক এবং আমাদেরকে এই পবিত্র নামের বরকত নসীব করুন।

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বয়ান শেষ করার পূর্বে সুন্নাতের ফযীলত এবং কতিপয় "সুন্নাত ও আদব" বয়ান করার সৌভাগ্য অর্জন করছি। মদীনার তাজেদার, হুযুরে আনওয়ার (ﷺ) ইরশাদ করেন: "যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতকে ভালবাসলো সে (মূলত) আমাকে ভালবাসলো আর যে আমাকে ভালবাসলো সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে।" (মিশকাতুল মাসাবীহ, ২য় খন্ড, ৫৫ পৃষ্ঠা, হাদীস-১৭৫)


সুন্নাতে আ'ম করে দ্বীন কা হাম কাম করে, নেক হো জায়ে মুসলমান মদীনে ওয়ালে।


صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد صَلُّوا عَلَى الْحَبِيب !


সুরমা লাগানোর সুন্নাত ও আদব


আসুন! আমীরে আহলে সুন্নাত دامت بركائهم العاليه এর রিসালা "১০১ মাদানী ফুল" থেকে সুরমা লাগানোর সুন্নাত ও আদব শ্রবণ করি: প্রিয় আক্বা, মাদানী মুস্তফা (ﷺ) এর বাণী: সব সুরমার চাইতে উত্তম সুরমা হচ্ছে "ইসমাদ"। কেননা, এটা দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পালক গজায়। (ইবনে মাজাহ, ৪/১১৫, হাদীস নং-৩৪৯৭)


পাথুরী সুরমা ব্যবহার করাতে অসুবিধা নেই এবং কালো সুরমা কিংবা কাজল রূপচর্চার নিয়্যতে পুরুষের লাগানো মাকরূহ। আর যদি রূপচর্চা উদ্দেশ্যে না। হয় তবে মাকরূহ নয়। (ফতোয়ায়ে আলমগিরী, ৫/৩৫৯) শয়ন করার সময় সুরমা লাগানো সুন্নাত। (মিরআতুল মানাজিহ, ৬/১৮০) সুরমা ব্যবহারের বর্ণিত তিনটি পদ্ধতির সারাংশ উপস্থাপন করছি :


(১) কখনো উভয় চোখে তিন তিন শলাই (২) কখনো ডান চোখে তিন শলাই এবং বাম চোখে দুই শলাই, (৩) অথবা কখনো উভয় চোখে দুই বার করে অতঃপর সবশেষে এক শলাই সুরমা লাগিয়ে ওটাকেই পরপর উভয় চোখে লাগান। )শুয়াবুল ঈমান, ৫/২১৮-২১৯) এ রকম করাতে إن شاء الله عزَوَجَنَّ তিনটার উপরই আমল হয়ে যাবে। ■ সম্মানজনক যত কাজ রয়েছে, সব কাজই আমাদের প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা, হুযুর পুরনূর (ﷺ) ডান দিক শুরু করতেন তাই সর্বপ্রথম ডান চোখে সুরমা লাগাবেন এরপর বাম চোখে।


صَلُّوا عَلَى الْحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد


বিভিন্ন সুন্নাত শিখার জন্য মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত ২টি রিসালা, ২৪ পৃষ্ঠা সম্বলিত "১০১ মাদানী ফুল" এবং ৪৩ পৃষ্ঠা সম্বলিত “১৬৩ মাদানী ফুল" হাদিয়া দিয়ে সংগ্রহ করে পাঠ করুন। সুন্নাত প্রশিক্ষনের একটি সর্বোত্তম মাধ্যম হচ্ছে দা'ওয়াতে ইসলামীর মাদানী কাফেলায় আশিকানে রাসূলের সাথে সুন্নাতে ভরা সফর করা।


তেরী সুন্নাতোঁ পে চল কর মেরী রূহ জব নিকাল কর,

চলে তু গলে লাগানা মাদানী মদীনে ওয়ালে। (ওয়াসায়িলে বখশিশ, ৪২৮ পৃষ্ঠা)


صَلُّوا عَلَى الْحَبِيب ! صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد


দা'ওয়াতে ইসলামীর সাপ্তাহিক ইজতিমায় পঠিত ৬টি দরূদ শরীফ ও ২টি দোয়া


(১) বৃহস্পতিবার রাতের দরূদ শরীফ:


اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلَّمْ وَبَارِكْ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدِنِ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ الْحَبِيبِ الْعَالِي الْقَدْرِ الْعَظِيمِ الْجَاهِ وَعَلَى آلِهِ وَصَحْبِهِ وَسَلَّمُ


বুযুর্গরা বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রত্যেক জুমার রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) এ দরূদ শরীফ নিয়মিতভাবে কমপক্ষে একবার পাঠ করবে মৃত্যুর সময় তাজেদারে মদীনা, হুযুর পুরনূর (ﷺ) এর যিয়ারত লাভ করবে এবং কবরে প্রবেশ করার সময় এটাও দেখবে যে, রহমতে আলম, নূরে মুজাস্সম, হুযুর পুরনূর (ﷺ) আপন রহমতপূর্ণ হাতে তাকে কবরে রাখছেন।


(আফযালুস সালাওয়াতি আ'লা সায়্যিদিস সাদাত, আস সালাতুস সাদিসাতু ওয়াল খামসূন, ১৫১ পৃষ্ঠা থেকে সংকলিত)


(২) সমস্ত গুনাহের ক্ষমা:


اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِهِ وَسَلَّمْ


হযরত সায়্যিদুনা আনাস رضى الله تعالى عنه থেকে বর্ণিত; নবী করীম, রউফুর রহীম, রাসূলে আমীন (ﷺ) ইরশাদ করেন: "যে ব্যক্তি এ দরূদ শরীফ পাঠ করবে যদি সে দাঁড়ানো থাকে তবে বসার পূর্বে আর বসা থাকলে দাঁড়ানোর পূর্বে তার গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।"


(আফযালুস সালাওয়াতি আ'লা সায়্যিদিস সাদাত, আস সালাতুল হাদীয়াতু আশারা, ৬৫ পৃষ্ঠা)


(৩) রহমতের ৭০টি দরজা:


صَلَّى اللَّهُ عَلَى مُحَمَّدٍ


যে ব্যক্তি এ দরূদ শরীফ পাঠ করবে তার উপর রহমতের ৭০টি দরজা খুলে


দেয়া হয়। (আল কুউলুল বদী, দ্বিতীয় অধ্যায়, ২৭৭ পৃষ্ঠা)


(৪) ছয়লক্ষ দরূদ শরীফ পাঠ করার সাওয়াব:


اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ عَدَدَ مَا فِي عِلْمِ اللَّهِ

صَلَاةً دَائِمَةً بِدَوَامِ مُلْكِ اللَّهِ


হযরত আহমদ সাভী (رحمة الله) কতিপয় বুযুর্গদের থেকে বর্ণনা করেন: এ দরূদ শরীফ একবার পাঠ করলে ছয়লক্ষবার দরূদ শরীফ পাঠ করার সাওয়াব অর্জন হয়। (আফযালুস সালাওয়াতি আ'লা সায়্যিদিস সাদাত, আস সালাতুস সানিয়াতু ওয়াল খামসুন, ১৪৯ পৃষ্ঠা)


(৫) নবী করীম(ﷺ) এর নৈকট্য লাভ:


اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ كَمَا تُحِبُّ وَتَرْضَى لَهُ


একদিন এক ব্যক্তি আসলো হুযরে আনওয়ার (ﷺ) তাঁকে নিজের এবং সিদ্দীকে আকবর رضى اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ এর মাঝখানে বসালেন এতে সাহাবায়ে কিরামগণ عَلَيْهِمُ الرَّضْوَان আশ্চার্যান্বিত হলেন যে এ সম্মানিত লোকটি কে! যখন তিনি চলে গেলেন তখন হুযুর পুরনূর (ﷺ) ইরশাদ করলেন: "সে যখন আমার উপর দরূদ শরীফ পাঠ করে তখন এভাবে পড়ে।"


(আল কুউলুল বদী, প্রথম অধ্যায়, ১২৫ পৃষ্ঠা)


(৬) দরূদে শাফায়াত:


اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَانْزِلْهُ الْمَقْعَدَ الْمُقَرَّبَ عِنْدَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ


উম্মতের শাফায়াতকারী, নবী করীম, রাউফুর রাহীম (ﷺ) ইরশাদ করেন: "যে ব্যক্তি এভাবে দরূদ শরীফ পাঠ করবে, তার জন্য আমার শাফায়াত (সুপারিশ) ওয়াজীব হয়ে যায়।"


(আত তারগীব ওয়াত তারহীব, কিতাবুয যিকর ওয়াদ দোয়া, ২, ৩২৯, হাদীস: ৩০)


(১) এক হাজার দিনের নেকী:


جَزَى اللهُ عَنَّا مُحَمَّدًا مَا هُوَ أَهْلُهُ


হযরত সায়্যিদুনা ইবনে আব্বাস رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُمَا থেকে বর্ণিত, মক্কী মাদানী আক্বা, উভয় জাহানের দাতা, হুযুর পুরনূর (ﷺ) ইরশাদ করেন: "এ দোয়া পাঠকারীর সত্তরজন ফিরিশতা এক হাজার দিন পর্যন্ত নেকী সমূহ লিখতে থাকেন।" (মাজমাউয যাওয়ায়িদ, কিতাবুল আদইয়াহ, বাবু কাইফিয়াতুস সালাত... শেষ পর্যন্ত, ১০/২৫৪, হাদীস: ১৭৩০৫)


(২) যেন শবে কদর পেয়ে গেলো:


لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ السَّمواتِ السَّبْعِ وَرَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ


সহনশীল দয়ালু আল্লাহ্ ব্যতিত ইবাদতের উপযোগী কেউ নেই। আল্লাহ্ তায়ালা পবিত্র, যিনি সপ্ত আসমান ও আরশে আযীমের মালিক ও প্রতিপালক।


ফরমানে মুস্তাফা (ﷺ) যে ব্যক্তি রাতে এ দোয়া তিনবার পড়ে নিবে সে যেন শবে কদর পেয়ে গেলো। (তারীখে ইবনে আসাকীর, ১৯/৪৪১৫)


Top