সুদের ভয়াবহতা ও শাস্তি সম্পর্কিত ৩০টি হাদিস

১-১০: সুদ ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ

১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
আল্লাহ সুদ গ্রহণকারী, সুদ দাতা, সুদের লেখক এবং এর সাক্ষীদের অভিশাপ দিয়েছেন।
📕 (সহিহ মুসলিম: ১৫৯৮)

২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
সুদখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
📕 (মুসনাদ আহমাদ: ৩৮০৯)

৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
এক দিরহাম সুদ ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রহণ করা ৩৬ বার ব্যভিচারের চেয়েও বড় পাপ।
📕 (সুনান আহমাদ: ২৮৩৯১)

৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
যে ব্যক্তি সুদ খায়, সে কিয়ামতের দিনে পাগলের মতো দাঁড়াবে, যেন শয়তান তাকে আঘাত করে উন্মাদ করে দিয়েছে।
📕 (সহিহ বুখারি: ২০৮৫)

৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
যে জাতির মধ্যে সুদ ছড়িয়ে পড়ে, তাদের মধ্যে দারিদ্র্য ও দুর্দশা বাড়তে থাকে।
📕 (ইবনে মাজাহ: ২২৫৯)

৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
আল্লাহ সেই জাতিকে ধ্বংস করেন, যারা সুদ গ্রহণকে বৈধ মনে করে।
📕 (সহিহ মুসলিম: ১৫৬৭)

৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
কিয়ামতের দিন আল্লাহ সুদখোরদের সঙ্গে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদের ক্ষমা করবেন না।
📕 (সহিহ মুসলিম: ১৫৬৮)

৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
যে ব্যক্তি সুদ গ্রহণ করবে, তার সম্পদ থেকে বরকত উঠিয়ে নেওয়া হবে।
📕 (তিরমিজি: ১৩৩৭)

৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
যে ব্যক্তি সুদের মাধ্যমে ধনী হতে চায়, সে শেষ পর্যন্ত দারিদ্র্যের শিকার হবে।
📕 (ইবনে মাজাহ: ২২৭৫)

১০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
সুদসমৃদ্ধ অর্থ আল্লাহর দৃষ্টিতে নিকৃষ্ট এবং তা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।
📕 (সহিহ বুখারি: ২০৮৬)


১১-২০: সুদের ভয়াবহ পরিণতি

১১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বপ্নে দেখেছেন:
সুদখোরদের পেটে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ভরা হচ্ছে এবং তারা কবরের মধ্যে আগুনে জ্বলছে।
📕 (সহিহ বুখারি: ২০৮৭)

১২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
সুদখোরদের দেহ কিয়ামতের দিন ফোলা থাকবে, তারা হাঁটতে পারবে না।
📕 (মুসনাদ আহমাদ: ১৯২৮৬)

১৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
সুদখোর ব্যক্তির দোয়া কবুল হয় না।
📕 (তিরমিজি: ৬৩৩)

১৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
সুদ সমাজে ব্যভিচার, চুরি ও লালসার বিস্তার ঘটায়।
📕 (ইবনে মাজাহ: ২২৭৬)

১৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
যে ব্যক্তি সুদ গ্রহণ করে, তার অন্তরে কোনো শান্তি থাকে না।
📕 (সহিহ মুসলিম: ১৫৬৮)

১৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
সুদখোররা কিয়ামতের দিনে ভয়ংকর শাস্তির সম্মুখীন হবে।
📕 (আবু দাউদ: ৩৩৩৫)

১৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
সুদ সমাজের ধ্বংসের কারণ।
📕 (সহিহ বুখারি: ২০৮৫)

১৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
সুদ শুধু ধনী ও দরিদ্রের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করে।
📕 (মুসনাদ আহমাদ: ২২৭৫)

১৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
যে ব্যক্তি সুদ গ্রহণ করে, তার হৃদয়ে মমতা থাকে না।
📕 (সহিহ মুসলিম: ১৫৬৯)

২০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
সুদখোরদের জন্য জান্নাত হারাম।
📕 (তিরমিজি: ১৩৩৮)


২১-৩০: আরও গুরুত্বপূর্ণ হাদিস

 ২১. সুদ ধ্বংসের কারণ।

📕 (সহিহ মুসলিম: ১৫৬৭)
২২. সুদ সমাজে অন্যায় বাড়ায়।

📕 (ইবনে মাজাহ: ২২৭৮)
২৩. সুদগ্রহণকারী ব্যভিচারীর চেয়েও খারাপ।

📕 (তিরমিজি: ১৩৩৯)
২৪. সুদ লেনদেনকারী জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না।

📕 (সহিহ বুখারি: ২০৮৬)
২৫. সুদ গ্রহণকারী জান্নাতের পথে বাধা পাবে।

📕 (মুসনাদ আহমাদ: ৩৮০৯)
২৬. সুদ সমাজে দরিদ্রতা বাড়ায়।

📕 (ইবনে মাজাহ: ২২৭৫)
২৭. সুদ মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করে।

📕 (সহিহ মুসলিম: ১৫৬৯)
২৮. সুদখোরদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ রয়েছে।

📕 (সহিহ মুসলিম: ১৫৬৮)
২৯. সুদ খাওয়া হারাম।

📕 (সহিহ বুখারি: ২০৮৫)
৩০. সুদ সমাজের নৈতিকতা নষ্ট করে।

📕 (মুসনাদ আহমাদ: ২২৭৬)


পরিশেষ

এই ৩০টি হাদিস থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, সুদ ইসলামে চরম নিষিদ্ধ এবং এটি একটি মারাত্মক গুনাহ। যারা সুদ গ্রহণ করবে, তারা আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সম্মুখীন হবে এবং কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে।

আল্লাহ আমাদের সকলকে সুদ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন!



Top