কিতাবঃ আত্তোহ্ফাতুল গাউছিয়া (১ম ও ২য় খণ্ড)

রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী (মা.জি.আ.)

প্রকাশনায়ঃ আঞ্জুমানে কাদেরীয়া চিশ্তীয়া আজিজিয়া বাংলাদেশ (ছিপাতলী, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।)

টেক্সটঃ মাসুম বিল্লাহ সানি

সার্বিক তত্ত্বাবধানঃ

শাহজাদা আল্লামা আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন

অধ্যক্ষ- ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মূঈনীয়া কামিল মাদ্রাসা।

অনুবাদঃ

এম. এম. মহিউদ্দীন

শিক্ষক- ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মূঈনীয়া কামিল মাদ্রাসা।

নির্বাহী সম্পাদক- মাসিক আল্-মুবীন

প্রকাশকাল

প্রথম প্রকাশ-  ১লা আগষ্ট ২০০০ ইংরেজি

দ্বিতীয় প্রকাশ- ১লা মার্চ ২০১১ ইংরেজি

তৃতীয় প্রকাশ- ১লা জানুয়ারি ২০১৯ ইংরেজি

আর্থিক সহযোগিতাঃ

মোহাম্মদ আবু রায়হান সওদাগর, পিতা: মরহুম মোহাম্মদ ইছহাক

প্রোপ্রাইটর: নিউ সততা ক্লথ ষ্টোর, ১নং রোড, ৭/৮নং দোকান, জহুর মার্কেট, চট্টগ্রাম।

মোহাম্মদ পারভেজ সওদাগর, পিতা: আবদুচ ছত্তার

ফয়জুল্লাহ সারাং বাড়ী, দক্ষিণ গুমান মর্দ্দন, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি এবং মুরব্বী যারা ইন্তিকাল করেছেন তাদের মাগফিরাত কামনায়...

প্রকাশকঃ

আলহাজ্ব রফিক আহমদ সওদাগর, মোছাফ্ফা, আবুধাবী।

হাদিয়া: ১৬০ (একশত ষাট) টাকা মাত্র।

বি:দ্র:- অত্র কিতাবে বর্ণিত খতম শরীফসমূহ ছিলছিলাভূক্ত কোন হক্কানী পীর-মাশায়েখের অনুমতি সাপেক্ষে পাঠ করা আবশ্যক।



সূচিপত্র



নং    বিষয়    

০১.    ভুমিকা   

০২.    অনুবাদকের কথা   


[ প্রথম খণ্ড ]


০৩.    মোস্তফা (ﷺ)’র চরণে আবেদন   

০৪.    খতমে রাসূলী শরীফ (প্রথম নিয়ম)   

০৫.    খতমে রাসূলী শরীফ (দ্বিতীয় নিয়ম)     

০৬.    খতমে রাসূলী শরীফ (তৃতীয় নিয়ম)   

০৭.    খতমে রাসূলী শরীফ (চতুর্থ নিয়ম)   

০৮.    খতমে গাউছিয়া আলীয়া শরীফ (বৃহত্তম আকারে)    

০৯.    খতমে গাউছিয়া আলীয়া শরীফ (সহজ ও ছোট আকারে)    

১০.    নামাজে গাউছিয়া    

১১.    হযরত গাউছে পাক (رضي الله عنه)থেকে সাহায্য প্রার্থনা করার নিয়ম   

১২.    এস্তেখারায়ে গাউছিয়া   

১৩.    কাযায়ে হাজত নামাজ আদায়ের নিয়মাবলী    

১৪.    দরূদে পঞ্জেগঞ্জে কাদেরী    

১৫.    দরূদে ফজলে আজীম   

১৬.    দরূদে রহমত   

১৭.    খতমে হযরত আলী (رضي الله عنه) শরীফ পাঠের নিয়মাবলী    

১৮.    খতম শরীফ হযরত সাইয়্যুদুনা ইমাম হাসান (عليه السلام)    

১৯.    খতম শরীফ হযরত সাইয়্যুদুনা ইমাম হুসাইন (عليه السلام)    

২০.    খতম শরীফ হযরত সাইয়্যুদুনা ইমাম জয়নুল আবেদীন (عليه السلام)    

২১.    খতম শরীফ হযরত দাতা গঞ্জে বক্শ লাহোরী (رحمة الله)    

২২.    খতম শরীফ হযরত সোলতান বাহু (رحمة الله)     

২৩.    খতম শরীফ হযরত খাজা মূঈন উদ্দীন চিশ্তী (رضي الله عنه)     

২৪.    খতমে খাজাগানে নকশবন্দীয়া শরীফ    

২৫.    খতম শরীফ হযরত মাখদুম রাদুলবী (رحمة الله)     

২৬.    খতমে হযরত আলাউদ্দীন ছাবের কলিয়রী (رحمة الله) শরীফ    

২৭    খতমে হযরত নিজামুদ্দীন আউলিয়া (رحمة الله) শরীফ   



[ দ্বিতীয় খণ্ড ]


২৮.    কয়েকটি উপকারী খতম ও ফাতেহা শরীফের তারতীব   

২৯.    বুজুর্গ ব্যক্তির কবর জিয়ারত ও ফয়েজ অর্জন করার নিয়ম    

৩০.    হযরত খাজা বাকী বিল্লাহ (رضي الله عنه)-এর খতম শরীফের তারতীব    

৩১.    পবিত্র শবে ক্বদরের তারিখ নির্ণয়ের  সহজ উপায়    

৩২.    খতমে খাজাগানে নকশবন্দীয়া    

৩৩.    খতমে মাজাহারীয়া শরীফের তারতীব    

৩৪.    হযরত নাছিরুদ্দীন চিশ্তী (رضي الله عنه)-এর শিরণী তৈরীর নিয়ম    

৩৫.    হযরত মাখদুম শায়খ আহমদ আবদুল হক চিশ্তী (رضي الله عنه)    

৩৬.    হযরত খাজা মুহাম্মদ মা’ছুম নকশবন্দী (رضي الله عنه)-এর খতম শরীফ    

৩৭.    হযরত খাজা শামসুদ্দীন তুরক পানিপত্তি (رضي الله عنه)-এর ওজীফা  শরীফ    

৩৮. হযরত মাখদুম রাদুলভী (رضي الله عنه)-এর ওজীফা শরীফ   

৩৯.   মুশকিল দূরীভূত হওয়া    

৪০    বুজুর্গ ব্যক্তির বুজুর্গী সম্পর্কে জানার নিয়ম    

৪১.  হযরত ছৈয়দুনা মারূফ খরকী ও ছৈয়দুনা কুতুবুল আকতাব (رضي الله عنه)-এর উপর ছালাম পেশ করার নিয়ম    

৪২.    স্বপ্নযোগে জিয়ারতে মোস্তফা   নছীব হওয়ার নিয়ম   

৪৩.   প্রতিদিন এশার নামাজের পর দাওয়াত পড়ার নিয়ম    

৪৪.   নিয়মিত পাঠ করার জন্য খতমে কাদেরীয়া ও খতমে খাজেগান শরীফের নিয়ম    

৪৫.    দারিদ্রতা দূরীভূত হওয়ার দোয়া    

৪৬.    রিজিকের স্বচ্ছলতার দোয়া    

৪৭.    অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে দোয়া   

৪৮.    ইহকাল ও পরকালের সমস্ত উদ্দেশ্য পূরণের দোয়া    

৪৯.     রাসূল (ﷺ)'র মুহাব্বত ও জিয়ারতে খাতেমুন নবীয়্যীন মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ      

৫০.    উদ্দেশ্য হাসিলের দোয়া   

৫১.    উদ্দেশ্য পূরণ ও  রাসূল (ﷺ)'র জিয়ারত নসিব হওয়ার দোয়া   

৫২.    অর্থ সংকট দূরীভূত ও মুশকিল আছান হওয়ার তারতীব   

৫৩.    দাঁত ও ব্যাথা-বেদনার রোগ হতে মুক্তির দোয়া    

৫৪. ঈমানের পদচ্যুতি ও সর্বপ্রকার কুমন্ত্রণা হতে হেফাজত থাকার নিয়ম    

৫৫. শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে হেফাজত থাকার নিয়ম    

৫৬.   শত্রু ও হিংসুকদের অনিষ্ট থেকে হিফাজত থাকার দোয়া   

৫৭.    উদ্দেশ্য পূরণের দোয়া    

৫৮.    মাথা ব্যাথা নিবারণের দোয়া   

৫৯.    চোখের ব্যাথা নিবারণের দোয়া   

৬০.    দাঁতের ব্যাথা নিবারণের দোয়া   

৬১.    পেটের ব্যাথা নিবারণের দোয়া   

৬২.    হাঁটুর ব্যাথা নিবারণের দোয়া   

৬৩.    প্রাত্যহিক জ্বর নিবারণের দোয়া   

৬৪.    জাদুর প্রভাব হতে সুস্থ হওয়ার দোয়া   

৬৫.    মৃগী রোগীর আরোগ্য লাভের দোয়া   

৬৬.  উম্মুস সিব্ইয়ান তথা শিশু রোগ ও আসীবজাদা জ্বিন ইত্যাদির অনিষ্ট ও ক্ষতি হতে হেফাজত থাকার উপায়    

৬৭.    কোন স্থানে জ্বিন, ভূত ইত্যাদি পাথর নিক্ষেপ করলে এর থেকে পরিত্রাণের উপায়    

৬৮.  অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হতে হিফাজত থাকার উপায়    

৬৯.    নিদ্রা কম কিংবা না হলে, নিদ্রা হওয়ার উপায়    

৭০.    ডায়বেটিস রোগ নিবারণের দোয়া    

৭১.    সামগ্রিক রোগ নিবারণের দোয়া   

৭২.    ক্বয়েদখানা হতে মুক্তি লাভের দোয়া   

৭৩.    শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার দোয়া    

৭৪.   মুশকিল আসান ও সহজ হওয়া এবং উদ্দেশ্য পূরণ হওয়ার দোয়া    

৭৫.  জাদুগরের শাস্তি এবং জাদু মন্ত্র জাদুকারীর দিকে প্রত্যাবর্তনের নিয়ম    

৭৬.   কবরের আযাব থেকে হেফাজত থাকার নিয়ম   

৭৭.    বৃষ্টির জন্য খতম শরীফের তারতীব    

৭৮.    সু-পাত্র ও সু-পাত্রী ব্যবস্থা হওয়ার জন্য দোয়া   

৭৯.  মৃত ব্যক্তির গুনাহ মাফ ও উচ্চ মর্যাদার জন্য দাওয়াত    

৮০.    সমস্ত হাজত পূরণের দোয়া   


মোস্তফা (ﷺ) এর চরণে আবেদন


اِلْتِجَاءٌ بِجَنَابِ الْمُصْطَفٰى عَلَيْهِ الصَّلَواةُ وَالسَّلَامُ


نَحْمَدُكَ اَللهم اِلٰهَ الْعَالَمِيْنَ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ وَعَلٰى آلِكَ وَاَصْحَابِكَ يَا رَحْمَةَ لِّلْعَالَمِيْنَ .


اَرْجُوْ لَتَشْفَعُ شَافِعِىْ يَوْمَ الْحَزِيْنَ


يَامَالِكِىْ مَلْجَائِىْ مَاوٰى الْمُجْرِمِيْنَ


بَـعَثَ الْـكَرِيْمُ لِكُلِّ قَـوْمٍ هَـادِيًـا


وَاَنْتَ اِلٰى جَمِيْعِ الْخَلْقِ خَيْرُ الْمُصْلِحِيْنَ


مِنْ نُوْرِ وَجْهِكَ نَوَّرَتْ شَمْسُ الضُّحٰى


يَـا نُـوْرُ مِنْ نُـوْرِ اِلٰـهِ الْعَالَمِيْنَ


نَـوِّرْ فُـوَادِىْ سَيِّدِىْ بِـضِـيَائِـكَ


يَا هَادِىَ الثَّـقَلَيْنِ يَانُوْرَمُّـبِيْنَ


خَـلَقَ الْحَكِـيْمُ دَوَاَءكُلِّ مُـؤْلَـمٍ


وَاِلٰى حَضَرَتِكَ عِلَاجُ الْعَاشِقِيْنَ


يَا صَاحِبَ السُّلْطَانِ يَا عَلَمَ الْهُدٰى


فَارْزُقْنِىْ حُبَّكَ يَا حَبِيْبَ الْمُرْسَلِيْنَ


اَعْمَالِىْ سَـيِّـئَـةٌ وَذَاتُـكَ رَاحِـمٌ


اِرْحَمْنِىْ يَامَوْلَائِـىْ مَوْلَى الْعَالَمِيْنَ


وَبِجَاهِ مُحِىُّ الدِّيْن اِمَامِ الْاَوْلِيَـاءِ


لِذُنْوْبِىْ فَاغْفِرْ يَاشَفِيْعَ الْمُذْنِبِيْنَ


سَـفَرٌ طَـوِيْـلٌ هَـائِـلٌ مَازَادَلِـىْ


يَا حَافِظِىْ اُنْصُرْ غَرِيْبَ السَّافِرِيْنَ


عَزِيْزٌ مَائِلٌ مَتٰى حَـظَّ زِيَارَتُـكَ


قُدْرَتُكَ وَسِيْعٌ يَا خَيْرَ الْمُوَسِّعِيْنَ




বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম


মোস্তফা (ﷺ) এর চরণে আবেদন


যাঁর উপর অসংখ্য দরূদ ও সালাম


 হে কায়েনাতের প্রভূ! আমরা আপনারই প্রশংসায় বিভূর, হে কায়েনাতের প্রতিপালকের রাসূল! আপনার উপর অসংখ্য দরূদ ও সালাম, সাথে সাথে আপনার পরিবার-পরিজন ও সাহাবায়ে কেরামদের উপরও- হে রাহমাতালি­ল আলামীন।


বিচার দিনের জামিনদার, সুপারিশ চাই আপনার


হে গুনাহগারের আশ্রয়, মালিক আশ্রম আমার।


প্রতি গোত্রের তরে দিশারী, পাঠিয়েছেন মহান আল্লাহ্ 


প্রেরিত তুমি সবজগতের, সকল দিশারীর মহান সর্দার।


তোমার মুখের জ্যোতে, পায় আলো মধ্যাহ্নের দিবাকর


ওহে অতুল্য নূর, বিশ্ব-উপাস্য আল্লাহ্ তা’আলার।


ওহে অধিকর্তা আমার, তব নূরের আলো দাও হৃদে আমার


ওহে অত্যুজ্জ্বল নূর, হে দিশারী জ্বীন-মানব সবার।


সকল রোগের ঔষধ, উদ্ভাবন করেছে ডাক্তার


প্রেম-রোগের ঔষধ, আছে শুধু সকাশে তোমার।


ওহে সর্বোপরি কর্তৃত্ববান, ওহে হেদায়তের ঝান্ডা


ওহে রাসূলদের প্রেমাস্পদ, দাও ভিক্ষা মোরে প্রেম তোমার।


মন্দ অতি কর্ম আমার, তব সত্ত্বা দয়ার আধার


ওহে জগতপ্রভূ মনিব আমার, সিক্ত কর দয়ায় তোমার।


দোহাই মনিব সকাশে তোমার, দ্বীনের প্রাণদাতা ইমামুল আউলিয়ার


হে শফিউল মুযনেবীন, মার্জনা কর পাপ আমার।


অনন্ত সফর অতি ভয়ঙ্কর, পাথেয় কিছু নেই আমার


হে দয়ালদাতা রক্ষাকর্তা, নিঃস্ব পথিকে কর উদ্ধার।


মিলনাশে অস্থির আযীয, সে সৌভাগ্য নেই তো আমার


   শক্তি তবে বিপুল তোমার, হে উদার দাতা আশা পুরাও আমার।



খতমে রাসূলী শরীফ (প্রথম নিয়ম)


বিশ্বনবী রাসূলে আরবী ইমামুল আম্বিয়া হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (ﷺ) এর খতম শরীফ যা সকল মনোবাঞ্চনা পূর্ণ ও প্রত্যেক প্রকার বিপদ হতে পরিত্রাণ লাভের এক অনুপম মাধ্যম।


এই খতম শরীফ যদি সার্বক্ষণ পাঠ করা হয়, তাহলে ইহকাল ও পরকালের সমুদয় উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়ে যাবে এবং যাবতীয় জটিল কার্যাদি সহজ ও সমাধান হয়ে যাবে।


খতমে রাসূলী শরীফ পাঠের নিয়মাবলী


কয়েকজন খোদাভীরু পরহেজগার লোক অজু করে পাক পবিত্র হয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান পূর্বক সুগন্ধি ব্যবহার করে একটি মাহ্ফিলে একত্রিত হবে। অতঃপর নিম্নে উলে­খিত দোয়া সমূহ পাঠ করবে।


১। বিছমিল্লাহ শরীফ ১২৫ বার


২। দরূদ শরীফ ১২৫ বার


৩। আলহামদু শরীফ ১২৫ বার


৪। কলেমায়ে তৈয়্যবা ১২৫ বার


৫। কলেমায়ে শাহাদাত ১২৫ বার


৬। আমান্তুু বিল্লাহ ১২৫ বার


৭। এস্তেগফার ১২৫ বার


৮। আয়াতুল কুরছী ১২৫ বার


৯। আলিফ, লাম, মীম, আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম- ১২৫ বার।


১০। ইউছাব্বেহু লিল্লাহে মাফিছ্ ছামাওয়াতে ওয়ামাফিল আরদিল মালিকিল্ কুদ্দুছীল্ আজিজীল্ হাকিম  ১২৫ বার।


১১। সূরায়ে এখলাস শরীফ ১২৫ বার


১২। কলেমায়ে তামজীদ ১২৫ বার


১৩। আল্লাহু আলিমুন্ ১২৫ বার


১৪। ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহ্মাতিকা আছ্তাগিছু- ১২৫ বার


অতঃপর পরম করুণাময়ের পাক দরবারে বিনয় ও নম্রতার সহিত সবিনয়ে দোয়া করবে।


অনুরূপ আরও পাঠ করবে


১। এস্তেগফার ১১১ বার


২। দরূদ শরীফ ৩৬০ বার


৩। আলহামদু শরীফ ১১১ বার


৪। ইয়া হাদী ইয়া নূরু ৩৬০ বার


৫।  يَا هَادِىْ يَا مُنَوِّرُ ৩৬০ বার


৬। صَلَّى اللهُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ ৩৬০ বার


৭। সূরায়ে আলাম নাশ্রাহ্ শরীফ ৩৬০ বার


৮। اَلصَّلَوةُ وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ اَلصَّلَوةُ وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا حَضْرَتْ سَيَّدَ الْعَرَبِ وَالْعَجَمِ شَيْئًا لِلهِ مُشْكِلْكُشَا بِالْخَيْرِ . ৩৬০ বার


৯।  আলহামদু শরীফ ১১১ বার


১০। দরূদ শরীফ ৩৬০ বার


১১। يَا رَسُوْلَ اللهِ اُنْظُرْ حَالَنَا + يَا حَبِيْبَ اللهِ اِسْمَعْ قَالَنَا  -৩৬০ বার


      اِنَّنِىْ فِىْ بَحْرِ هَمٍّ مُغْرَقٌ  + خُذْ يَدِىْ سَهِّلْ لَنَا اَشْكَالَـنَا


১২। সূরায়ে ইয়াছীন শরীফ ৫১ বার


১৩। সূরায়ে মুজ্জাম্মিল শরীফ ২৫ বার


অতঃপর পরম করুণাময় প্রয়োজনীয়তা পূর্ণকারীর দরবারে স্বীয় মনোবাঞ্চনাবলী পূরণের জন্য প্রার্থনা করবে।



খতমে রাসূলী শরীফ (দ্বিতীয় নিয়ম)


১। দরূদ শরীফ ১১১ বার


২। সূরা ইয়াছীন ১ বার


৩। সূরা মুজ্জাম্মিল শরীফ ১ বার


৪। সূরা কাফিরূন শরীফ ৭ বার


৫। সূরা এখলাছ শরীফ ১১১ বার


৬। সূরা ফালাক শরীফ ৭ বার


৭। সূরা নাস শরীফ ৭ বার


৮। সূরা ফাতিহা শরীফ ৭ বার


৯।  الم ذٰلِكَ হতে مُفْلِحُوْنَ পর্যন্ত  ১ বার


১০। مَا كَانَ مُحَمَّدٌ اَبَآ اَحَدٍ مِّنْ رِّجَالِكُمْ وَلٰكِنْ رَّسُوْلَ اللهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّيْنَ - ১বার


১১।  اِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَاتَهُ يُصَلُّوْنَ عَلٰى النَّبِىِّ يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا - ১বার


১৩। سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُوْنَ وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِيْنَ وَالْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ .  - ৭বার


         অতঃপর প্রার্থনা করবে।


বিপদগ্রস্ত, বিপদাপন্ন, রুগ্ন, অভাবী ও সন্তানহীন ব্যক্তিরা বিশ্বনবী ইমামুল আম্বিয়া ছৈয়্যদে আলম (ﷺ) এর রূহে পাকে এই খতমের ইসালে সওয়াব করলে, ইন্শাআল্লাহ তাদের সকল মনোবাঞ্চনা পূর্ণ হয়ে যাবে।


অনুরূপ আরও পাঠ করবে


এশারের দু’রাকাত সুন্নাতের পর পড়বে


১। দরূদ শরীফ ১১ বার


২। বিছমিল্লাহ শরীফ ৭৮৭ বার


৩। দরূদ শরীফ পুনরায় ১১ বার


৪। يَـا رَبَّـاهُ ১২০০ বার


৫। খালি মাথায় দাঁড়িয়ে উপবিষ্ট অবস্থায় পুনরায় দরূদ শরীফ-১১ বার


৬। অতঃপর اَللهُ اَكْبَـرْ বলে সেজদা করে سُبْحَانَ رَبِّـىَ الْاَعْلٰى -২১ বার


৭। সূরা এখলাছ শরীফ - ৫ বার


৮। يَا سَمِيْعُ يَا بَصِيْرُ يَا عَلِيْمُ-৭ বার। অতঃপর اَللهُ اَكْبَـرْ বলে দাঁড়িয়ে যাবে।


৯। অতঃপর اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ اَيُّهَا النَّبِىُّ وَرَحْمَتُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ  -১০১ বার


অতঃপর হস্তদয় উত্তোলন করে নিজ উদ্দেশ্য পূরণের প্রার্থনা করবে, ইন্শাআল্লাহ তড়িৎ  মকসুদ পূর্ণ হয়ে যাবে। (যা বাস্তবে পরিলক্ষিত হয়েছে)


জরুরী নোটঃ খতম শরীফ পাঠের সময় আতর ইত্যাদি সুগন্ধি ব্যবহার করা  এবং আগরবাতি জ্বালানো উত্তম। খাঁটি অন্তর নিয়ে খতম শরীফ পড়া শর্ত। হালাল আহার্য খাওয়া, গীবত, হিংসা-বিদ্বেষ ও লোক দেখানো কার্যাবলী হতে দূরে থাকা অপরিহার্য। নির্ধারিত সময়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। চুগলখোরী হতে বিরত থাকা প্রয়োজন এবং সর্বদা বিনয়ী ও নম্র থাকা উচিত, যাতে অতিসত্বর খতম শরীফের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায় এবং খতম পাঠের সময় বাদানুবাদ নিষিদ্ধ।



খতমে রাসূলী শরীফ (তৃতীয় নিয়ম)


সাতজন খোদাভীরু ব্যক্তি পাক পবিত্র হয়ে অজু সহকারে সুগন্ধি ব্যবহার পূর্বক একধ্যানে একাগ্রচিত্তে এশার নামাজের পরে একটি পৃথক কক্ষে এই পবিত্র খতম শরীফ আদায়ের লক্ষ্যে একটি মাহ্ফিলের আয়োজন করবে। কিছু শিরণী পাকায়ে বিশ্বনবী হুজুর সরকারে দো’আলমের উদ্দেশ্যে ফাতেহা দিবে। একসাথে বিশ্বনবী (ﷺ) এর পরিবারবর্গ, সহচরগণ, আনসারগণ এবং সকল আমলকারী আলেমদের জন্যও ফাতেহা দিবে। খতম শরীফ সমাপনান্তে শিরণীগুলি বন্টন করে দিবে। এই খতম শরীফ যে উদ্দেশ্যে পড়ানো হয়, ইন্শাআল্লাহ তা’অতিসত্বর সফল হবে।


খতম শরীফ পড়ার নিয়মাবলী


১। এস্তেগফার ১১ বার


২। দরূদ শরীফ ১১ বার


৩।  فَاِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِىَ اللهُ لَا اِلٰهَ اِلَّاهُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ -৭৭ বার


৪। لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَاشَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِىْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ حَىُّ لَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَا ذُوْالْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ بِيَدِهِ الْخَيْرِ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ .   -১৬০ বার


৫। سُبُّوْحٌ قُـدُّوْسٌ رَبُّـنَا وَرَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوْحُ -২৭৫ বার


৬। কলেমায়ে তৈয়্যবা -৭০০ বার


৭। اَللهُ حَاضِرِىْ اَللهُ نَاظِرِىْ اَللهُ شَاهِدِىْ اَللهُ نَاصِرِىْ اَللهُ مَعِىْ اللهُ لِىْ. -৫০০ বার।


৮।  اَللهم قَلِّبْ قَلْبِىْ مَاتُحِبُّ وَتَرْضٰى .  -৪৪৫ বার।


৯। يَا حَىُّ يَا قَيُّوْمُ يَا ذَالْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ . -৫১০ বার।


১০। اَللهم صَلِّ عَلٰى سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ بِعْدَدِ نُجُوْمِ السَّمٰوَاتِ وَبِعَدَدِ اَنْفَاسِ الْخَلَائِقِ . -৪৪১বার


১১। هُوَ الَّذِيْ أَرْسَلَ رَسُوْلَهُ بِالْهُدٰى وَدِيْنِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلٰى الدِّيْنِ كُلِّهِ وَكَفٰى بِاللهِ شَهِيْدًا . مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ وَالَّذِيْنَ مَعَهُ أَشِدَّاءُ عَلٰى الْكُفَّارِ رُحَمَاءُ بَيْنَهُمْ تَرَاهُمْ رُكَّعًا سُجَّدًا يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِنَ اللهِ وَرِضْوَانًا سِيْمَاهُمْ فِي وُجُوْهِهِمْ مِنْ أَثَرِ السُّجُودِ ذٰلِكَ مَثَلُهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَمَثَلُهُمْ فِي الْإِنْجِيْلِ كَزَرْعٍ أَخْرَجَ شَطْأَهُ فَآزَرَهُ فَاسْتَغْلَظَ فَاسْتَوَى عَلٰى سُوْقِهِ يُعْجِبُ الزُّرَّاعَ لِيَغِيْظَ بِهِمُ الْكُفَّارَ وَعَدَ اللهُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنْهُمْ مَغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيْمًا. 


- ২৪১ বার।


১২। اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا صَاحِبَ الشَّفَاعَةِ وَيَا نَاصِرَ الْمُسْلِمِيْنَ- اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا خَاتِمَ الرِّسَالَةِ وَيَا سَيِّدَ النَّبِيِّيْنَ . -১৪১ বার


অতঃপর বিনয় ও নম্রতার সাথে আপন উদ্দেশ্যের জন্য প্রার্থনা করবে।



খতমে রাসূলী শরীফ (চতুর্থ নিয়ম)


কয়েকজন ব্যক্তি অজু করে পাক-পবিত্র অবস্থায় একটি মাহ্ফিলের আয়োজন করে প্রত্যেকে দু’রাকাত নফল নামাজ পড়বে (প্রথম রাকাতে সূরা ফাতেহা পাঠান্তে ‘আয়াতুল কুরসী’ এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতেহার পর সূরা বাকরার শেষ রুকু)। অতঃপর সুুগন্ধি ইত্যাদি ব্যবহার করে এক ধ্যানে নিম্ন নিয়মে খতম শরীফ আরম্ভ করবে।


১। اَللهم صَلِّ عَلٰى سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ مَعْدَنِ الْجُوْدِ وَالْكَرَمِ مَنْبَعِ الْعِلْمِ وَالْحِلْمِ وَالْحِكَمِ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ .   -১১ বার


২। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْـمِ     -১২০০ বার


৩। اَللهُ الصَّمَدْ خُذْبِيَدِىْ سَلَامٌ قَوْلًا مِّنْ رَّبِّ رَّحِيْـمِ . -১০০ বার


৪। لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّـىْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ .  -১০০ বার


৫। فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّ وَكَذٰلِكَ نُنْجِىْ المُؤْمِنِيْنَ   -১০০ বার


৬।  وَاُفَوِّضُ اَمْرِىْ اِلٰى اللهِ اِنَّ اللهَ بَصِيْرٌ بِالْعِبَادِ .  - ১০০ বার


৭। حَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيْلِ نِعْمَ الْمَوْلٰى وَنِعْمَ النَّصِيْـرِ . - ১০০ বার


৮। سُبْحَانَ الَّذِىْ بِيَدِهِ مَلَكُوْتُ كُلِّ شَيْئٍ وَ اِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ .  -১০০ বার


৯। اَللهُ لَطِيْفٌ بِعِبَادِه يَرْزُقُ مَن يَّشَاءُ وَهُوَ الْقَوِىُّ الْعَزِيْزُ - ১০০ বার


১০।  يَا بَدِيْعَ الْعَجَائِبِ بِالْخَيْرِ يَا بَدِيْعُ . -১২০০ বার


১১। اِنَّا فَتَحْنَا يَا مُفَتِّحُ  - ১০০ বার


১২। يَا جَامِعَ النَّاسِ وَيَا جَامِعُ - ১০০ বার


১৩। فَسَيَكْفِيْكَهُمُ اللهُ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ - ১০০ বার


১৪। اَللهُ غَالِبٌ عَلٰى اَمْرِهِ وَلَكِنْ اَكْثَرُ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ  - ১০০ বার


১৫। رَبِّ اِنِّـىْ مَغْلُوْبٌ فَانْتَصِـرْ - ১০০ বার


১৬। দরূদ শরীফ -১০০০ বার


অতঃপর চাহিদা পূর্ণকারী আল্লাহ তাআলার পাক দরবারে অতি বিনয় ও নম্রতার সাথে নিজ উদ্দেশ্য পূরণ কল্পে প্রার্থনা করবে। ইন্শা আল্লাহ অতি দ্রুত নিজ আশা পূরণ হবে। (ইহা পরীক্ষিত)


খতমে গাউছিয়া আলীয়া শরীফ (বৃহত্তম আকারে)


এগার কিংবা পনের জন খোদাভীরু ব্যক্তিবর্গ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে অজু সহকারে পৃথক স্থানে এই খতম শরীফ পড়া আরম্ভ করবে। আগরবাতি জ্বালাবে এবং শরীরে সুগন্ধি ব্যবহার করবে। চার দানার শিরণী পাক করে হুজুর গাউছে পাকের ফাতেহা দিবে। এই খতম শরীফ জুমার রজনীতে এশার পর আদায় করা অত্যন্ত ফলপ্রসু। খতম শরীফ সমাপনান্তে নিজ উদ্দেশ্যাবলী পূরণ কল্পে বিনয় ও নম্রতার সাথে পাক  পরওয়ারদিগার আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের পাক দরবারে হুজুর গাউছে পাকের উছিলা নিয়ে একাগ্রচিত্তে হাত তোলে প্রার্থনা করবে।


পরম করুণাময় আল্লাহর অনুগ্রহে অতিসত্বর উদ্দেশ্য সফল হবে।


পড়ার নিয়মাবলী


১। এস্তেগফার -  ১১১ বার


২। اَللهم صِلِّ عَلٰى سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ مَعْدَنِ الْجُوْدِ وَالْكَرَمِ مَنْبَعِ الْعِلْمِ وَالْحِلْمِ وَالْحِكْمِ وَ آلِهِ وَاَصْحَابِهِ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ . -১১১ বার


৩। সূরা ফাতেহা শরীফ -  ১১১ বার


৪। কলেমায়ে তামজীদ - ১১১ বার


৫।  خُذْبِيَدِىْ شَيْئًا لِلهِ يَا حَضْرَتْ سُلْطَانْ شَيْخْ عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ اَلْمَدَدْ . -৩৬০বার


৬। সূরা আলামনাশ্রাহ শরীফ - ৩৪১ বার


৭। সূরা ইয়াছিন শরীফ - ৪১ বার


৮। সূরা ফাতাহ শরীফ - ২৫ বার


৯। সূরা মুজ্জাম্মিল শরীফ - ২৫ বার


১০। يَا بَاقِـىْ اَنْتَ الْبَاقِـىْ - ১১১ বার


১১। يَا كَافِـىْ اَنْتَ الْكَافِـىْ - ১১১ বার


১২। يَا شَافِـىْ اَنْتَ الشَّافِـىْ - ১১১ বার


১৩। يَا هَادِىْ اَنْتَ الْهَادِىْ - ১১১ বার


১৪। কলেমায়ে তৈয়্যবা - ১২৬০ বার


১৫। আল্লাহু - ২৫,০০০ বার


১৬। يَا حَضْرَتْ شَاهْ مُحِىُّ الدِّيْنِ مُشْكِلْكُشَا بِالْخَيْـرِ -১১১ বার


১৭। يَا حَضْرَتْ غَـوْثْ اَغِثْنَا بِاِذْنِ اللهِ -১১১ বার


১৮। فَسَهِّلْ يَا اِلٰهِىْ كُلِّ صَعْبٍ بِحُرْمَةِ سَيِّدِ الْاَبْرَارِ سَهِّلْ -১১১ বার


১৯। يَا شَيْخ عَبْدَ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ شَيْئًا لِلهِ -১১১১ বার


২০। আলহামদু শরীফ -১১১ বার


২১। يَا حَىُّ يَا قَيُّوْمُ بِـرَحْمَتِكَ اَسْتَغِيْثُ -২২৫ বার


২২। يَا رَحْمٰنُ يَا رَحِيْمُ يَا لَطِيْفُ -৯৭৭ বার


২৩। আয়াতুল কুরছী -৪৫ বার


২৪। সূরা বাকারার শেষ রুকু -২৫ বার


২৫। সূরা এখলাছ শরীফ -১০১৫ বার


২৬। اَللهُ كَافِىْ قَصَدْتُ الْكَافِىْ وَوَجَدْتُ الْكَافِىْ لِكُلِّ الْكَافِىْ كَفَا فِىَ الْكَافِىْ وَنِعْمَ الْكَافِىْ وَلِلهِ الْحَمْدُ . -১৩০ বার


২৭। اَللهُ يُحْيِىْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ حَىٌّ لَا يَمُوْتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ . -১৪১বার


২৮। يَا بَدِيْعَ الْعَجَائِبِ بِالْخَيْـرِ يَا بَدِيْعُ . -৫০০ বার


২৯। সূরা ফাতেহা শরীফ -১১১ বার


৩০। দরূদ শরীফ 


اَللهم صَلِّى عَلٰى سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ مَعْدَنِ الْجُوْدِ وِالْكَرَمِ مَنْبَعِ العِلْمِ وَالْحِلْمِ وَالْحِكْمِ وَ ألِهِ وَاَصْحَابِهِ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ .  -১০০১ বার 



ক্বাসীদায়ে গাউছিয়া শরীফ


 


(১)  سَقَانِىْ الْحُبُّ كَأسَاتِىْ الْوِصَال


فَقُلْتُ لِخَمْرَتِىْ نَحْوِىْ تَعَال


(২)  سَعَتْ وَمَشَتْ لِنَحْوِىْ فِىْ كُؤُسٍ


فَهِمْتُ بِسُكْرَتِىْ بَيْنَ الْمَوَال


(৩)  فَقُلْتُ لِسَائِرِ الْاَقْطَابِ لُمُّوْا


بِحَالِىْ وَادْخُلُوْا اَنْتُمْ رِجَال


(৪)  وَهُمُّوْا وَشْرَبُوْا اَنْتُمْ جُنُوْدِىْ


فَسَاقِىْ الْقَوْمِ بِالْوَافِىْ مَلَال


(৫)  شَرِبْتُمْ فُضْلَتِىْ مِنْ بَعْدِ سُكْرِىْ


وَلَا نِلْتُمْ عُلُوِّىْ وَاِتِّصَال


(৬)  مَقَامُكُمُ الْعُلٰى جَمْعًا وَّلٰكِنْ


مَقَامِىْ فَوْقَكُمْ مَازَالَ عَال


(৭)  اَنَا فِىْ حَضْرَةِ التَّقْرِيْبِ وَحْدِىْ


يُصَرِّفُنِىْ وَحَسْبِىْ ذُوْالْجَلَال


(৮)  اَنَا الْبَازِىْ اَشْهَبُ كُلَّ شَيْخٍ


وَمَنْ ذَافِىْ الرِّجَالِ اُعْطِىْ مِثَال


(৯)  كَسَانِىْ خِلْعَةً بِطَرَازِ عَزْمٍ


وَتَوَّجَنِىْ بِتِيْجَانِىْ الْكَمَال


(১০)  وَ اَطْلَعَنِىْ عَلٰى سَرٍّ قَدِيْمٍ


وَقَلَّدَنِىْ وَاَعْطَانِىْ سُؤَال


(১১)  وَوَلَّانِىْ عَلٰى الْاَقْطَابِ جَمْعًا


فَحُكْمِىْ نَافِذٌ فِىْ كُلِّ حَال


(১২)  وَلَوْ اَلْقَيْتُ سِرِّىْ فِىْ بِحَارٍ


لَصَارَ الْكُلُّ غَوْرًا فِىْ زَوَال


(১৩)  وَلَوْ اَلْقَيْتُ سِرِّىْ فِىْ جِبَالٍ


لَدُكَّتْ وَاخْتَفَتْ بَيْنَ الرِّمَال


(১৪)  وَلَوْ اَلْقَيْتُ سِرِّىْ فَوْقَ نَارٍ


لَخَمْدَتْ وَانْطَفَتْ مِنْ سِرِّ حَال


(১৫)  وَلَوْ اَلْقَيْتُ سِرِّىْ فَوْقَ مَيْتٍ


لَقَامَ بِقُدْرَةِ الْمَولٰى تَعَال


(১৬) وَمَا مِنْهَا شُهُوْرٌ اَوْ دُهُوْرٌ


تَمُرٌّ وَتَنْقَضِىْ اِلَّا اَتَالِى


(১৭) وَتُخْبِرُنِـىْ بِمَا يَأتِىْ وَيَجْرِىْ


وَتُعْلِمُنِىْ فَاَقْصِرْ عَنْ جِدَالِى


(১৮) مُرِيْدِىْ هِمْ وَطِبْ وَشْطَحْ وَ غَنِّ


وَاِفْعَلْ مَاتَشَآءُ فَالْاِسْمُ عَال


(১৯) مُرِيْدِىْ لَاتَخَفْ اَللهُ رَبِّىْ


عَطَانِىْ رِفْعَةً نِلْتُ الْمَنَال


(২০) مُرِيْدِىْ لَاتَخَفْ وَاشٍ فَاِنِّىْ


عَزُوْمٌ قَاتِلٌ عِنْدَ الْقِتَال


(২১)  طُبُوْلِىْ فِى السَّمَآءِ وَالْاَرْضِ دُقَّتْ


وَشَاؤُسُ السَّعَادَةِ قَدْ بَدَالِىْ


(২২)  بِلَادُ اللهِ مُلْكِىْ تَحْتَ حُكْمِىْ


وَوَقْتِـىْ قَبْلَ قَلْبِىْ قَدْ صَفَالِىْ


(২৩)  نَظَرْتُ اِلٰى بِلَادِ اللهِ جَمْعًا


كَخَرْدَلَةٍ عَلٰى حُكْمِ اتِّصَال


(২৪) وَكُلُّ وَلِـىٍّ لَهُ قَدَمٌ وَاِنِّـىْ


عَلٰى قَدَمِ النَّبِىْ بَدْرِ الْكَمَال


(২৫)  دَرَسْتُ الْعِلْمَ حَتّٰى صِرْتُ قُطْبًا


وَنِلْتُ السَّعْدَ مِنْ مَوْلٰى الْمَوَالِىْ


(২৬)  نَبِـىٌّ هَاشِمِىْ مَكِّىْ حِجَازِىْ


هُوَ جَدِّىْ بِـه نِلْتُ الْمَنَالِىْ


(২৭) رِجَالٌ فِـىْ هَوَاجِرِهِمْ صِيَامٌ


وَفِى ظُلَمِ اللَّيَالِىْ كَالَّاٰلِ


(২৮)  اَنَا الْحَسَنِىْ وَالْمُخْدَعْ مَقَامِىْ


وَاَقْدَامِىْ عَلٰى عُنُقِ الرِّجَال


(২৯) اَنَا الْجِيْلِىْ مُحِـىُّ الدِّيْنِ اِسْمِىْ


وَاَعْلَامِىْ عَلٰى رَأْسِ الْجِبَال


(৩০)  وَعَبْدُ الْقَادِرِ الْمَشْهُوْرُ اِسْمِىْ


وَجَدِّىْ صَاحِبُ الْعَيْنِ الْكَمَال


অতঃপর ১১১ বার নিম্নোক্ত দরূদ শরীফ পাঠ করে বিশ্ব স্রষ্টার দরবারে আপন উদ্দ্যেশাবলীর জন্য প্রার্থনা করবে।


দরূদ শরীফ -


اَللهم صَلِّ عَلٰى سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ سَيِّدِ الْمُرْسَلِيْنَ وَ عَلٰى اَرْشَدِ اَوْلَادِهِ اَلشَّيْخِ عَبْدِ الْقَادِرِ الجِيْلَانِـىْ اِمَامِ الطَّرِيْقَةِ وَالْاَوْلِيَاءِ الْكَامِلِيْنَ .


নোটঃ এই খতম শরীফ খুবই সতর্কতা অবলম্বনে ও খাঁটি নিয়্যত সহকারে পাঠ করা অপরিহার্য এবং খতমের তাস্বীহ সমূহের সংখ্যার পূর্ণতার প্রতি সজাগ থাকা প্রয়োজন। তাছাড়া গাউছে পাকের ১১ নাম ও জিকির আজকার, কিয়াম মিলাদ ইত্যাদি পাঠ করা আবশ্যক। 


পরম করুণাময় আল্লাহর অনুগ্রহে অতি সন্নিকটে উদ্দেশ্য সফল হবে। 



খতমে গাউছিয়া শরীফ (সহজ ও  ছোট আকারে)


পূর্বে উলে­খিত শর্ত সাপেক্ষে এই খতম শরীফ আরম্ভ করবে


পড়ার নিয়মাবলী


১। এস্তেগফার -১১ বার 


২। দরূদ শরীফঃ


اَللهم صَلِّى عَلٰى سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ مَعْدَنِ الْجُوْدِ وِالْكَرَمِ مَنْبَعِ الْعِلْمِ وَالْحِلْمِ وَالْحِكَمِ وَ آلِهِ وَاَصْحَابِهِ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ .  -১১১ বার


৩। কলেমায়ে তামজীদ   -১১১ বার


৪। خُذْ بِيَدِىْ شَيْئًا لِلهِ يَا حَضْرَتْ سُلْطَانْ شَيْخ عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ اَلْمَدَدْ . -১১১বার


৫। বিছমিল্লাহ সহকারে সূরা ইয়াছিন শরীফ -৩ বার


৬। সূরা ফাতাহ শরীফ -১ বার


৭। সূরা মুজ্জাম্মিল শরীফ -১ বার


৮।  বিছমিল্লাহ সহকারে আলামনাশ্রাহ -১৪১ বার


৯। আয়াতুল কুরছী وَهُوَ الْعَلِـىُّ الْعَظِيْمُপর্যন্ত -১১ বার


১০। সূরা এখলাছ শরীফ -১১ বার


১১। সূরা ফালাক শরীফ -১১ বার


১২। সূরা নাস শরীফ -১১ বার


১৩। সূরা ফাতেহা শরীফ -১১ বার


১৪। يَا بَاقِىْ اَنْتَ الْبَاقِـىْ -১১১ বার


১৫। يَا حَضْرَتْ شَاهْ مُحِىُّ الدِّيْن مُشْكِلْكُشَا بِالْخَيْرِ -১১১ বার


১৬। يَا غَوْثُ اَغِثْنَا بِاِذْنِ اللهِ -১১১ বার


১৭। فَسَهِّلْ يَا اِلٰهِىْ كُلَّ صَعْبٍ بحُرْمَةِ سَيِّدِ الْاَبْرَارِ سَهِّلْ -১১১ বার


১৮। اَللهُ كَافِىْ قَصَدْتُ الكَافِىْ وَوَجَدْتُ الْكَافِىْ لِكُلِّ الْكَافِىْ كَفَا فِىَ الْكَافِىْ وَ نِعْمَ الْكَافِىْ وَلِلهِ الْحَمْدُ . -১৩০ বার


১৯। দরূদ শরীফ - ১১ বার


২০। اِمْدَادِ كُنْ اِمْدَادِ كُنْ – اَزْ رَنْجِ وَ غَمْ اَزَادِ كُنْ


دَرْ دِيْن وَدُنْيَا شَادِ كُنْ – يَا شَيْخ عَبْدُ الْقَادِرَا  -১৬৫ বার


২১। مُشْكِلَاتِ بِے عَدَدْ دَارِيْمِ مَا – شَيْئًا لِلهِ غَوْثِ اَعْظَمْ پِـيْرِمَا -১১১ বার


২২। দরূদ শরীফ - ১১১ বার


২৩। কলেমায়ে তৈয়্যবা -১১১ বার


২৪। صَلَّى اللهُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَسَلَّمَ عَلَيْكَ يَا حَبِيْبَ اللهِ . -১১১ বার।


পরিশেষে হযরত গাউছে পাক (رحمة الله) এর উছিলা নিয়ে উদ্দেশ্য ও চাহিদা পূরণকর্তা বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের দরবারে বিনয় ও নম্রতার সাথে আপন উদ্দেশ্যাবলী পেশ করবে। ইনাশআল্লাহ, পরম করুণাময়ের অনুগ্রহে উদ্দেশ্য সফল হবে। 


নামাজে গাউছিয়া


এই বরকতপূর্ণ নামাজ তরীকায়ে কাদেরীয়া ও চিশ্তীয়ার মশায়েখ কেরামগণের সম্পাদিত কাজ। ইহা প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা এবং উদ্দেশ্যাবলী পূরণ হওয়ার অনন্য উৎস।


নামাজের নিয়মঃ মাগরিবের নামাজ সমাপনান্তে ‘সালাতুল আছরার’ এর নিয়ত করে দু’রাকাত নামাজ আদায় করবে। প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহার পর এগার বার সূরা ‘এখলাছ’ শরীফ তেলাওয়াত করবে। নামাজ শেষে বিশ্বনবী হুজুর (ﷺ) এর উপর এগার বার দরূদ ও সালাম প্রেরণ করবে এবং একবার صَلَّى اللهُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَسَلَّمَ عَلَيْكَ يَا حَبِيْبَ اللهِ পাঠ করে বাগদাদ শরীফের অভিমুখে এগার কদম অগ্রসর হবে এবং প্রত্যেক কদমে গাউছে পাকের নিম্নোক্ত পবিত্র নাম সমূহ হতে একটি করে পড়বে।


নামসমূহঃ


(১) سَيِّدْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِـىْ


(২) فَقِيْر مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِـىْ


(৩) مَخْدُوْم مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِـىْ


(৪) غَوْث مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِـىْ


(৫) خَؤَاجَهْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِـىْ


(৬) سُلْطَانْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِـىْ


(৭) بَادْ شَاهْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِـىْ


(৮) وَلِـىْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِـىْ


(৯) قْطُبْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِـىْ


(১০) دَرْوِيشْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِـىْ


(১১) مَوْلَانَا مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِـىْ


অতঃপর উচ্চস্বরে নিম্নরূপ শব্দ সম্ভারের মাধ্যমে হুজুর গাউছে পাক (رضي الله عنه)কে আহবান করবে।


يَا حَضْرَتْ غَوْث صَمَدَانِىْ اِنِّىْ عَبْدُكَ وَمُرِيْدُكَ مَظْلُوْمٌ عَاجِزٌ مُحْتَاجٌ اِلَيْكَ فِىْ جَمِيْعِ الْاُمُوْرِ فِى الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ امْدُدْنِىْ وَ اَغِثْنِىْ بِاِذْنِ اللهِ تَعَالٰى وَبِحُجَّةِ اللهِ تَعَالٰى وَبِرِضَاءِ اللهِ تَعَالٰى فِىْ حَاجَتِىْ .


ইন্শাআল্লাহ! এক সপ্তাহের মধ্যে উদ্দেশ্য হাসিল হবে।


বিঃদ্রঃ ক্বাছিদায়ে গাউছিয়া শরীফ ও জিকির আজকার এবং কিয়াম মিলাদ পড়া আবশ্যক।



হযরত গাউছে পাক আবদুল কাদের জিলানী (رضي الله عنه) থেকে সাহায্য প্রার্থনা করার নিয়ম


হযরত ছৈয়দুনা গাউছে পাক রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহু থেকে সাহায্য প্রার্থনা করতে চাইলে, তাহলে প্রথমে ছালাতুল গাউছিয়া আদায় করার পর নিম্নে বর্ণিত এছিম বা দোয়া গুলি (খুলুছ দিলে) অন্তরের মধ্যে ভক্তি সহকারে পড়বেন। এছিম বা দোয়াগুলি নিম্নরূপঃ


يَا سُلْطَانَ الْعَارِفِيْن- يَا تَاجَ الْمُحَقِّقِيْن- يَا سَاقِىَ الْحُمَيَا- يَا جَمِيْلَ الْمُحَيَّا- يَا بَرَكَةَ الْاَنَامِ- يَا مِصْبَاحَ الظُّلَامِ – يَا شَمْسُ بِلَا اَفَلٍ- يَا دُرُّ بِلَا مَثَلٍ- يَا بَدْرُ بِلَا كَلَفٍ- يَا بَحْرُ بِلَاطَرَفٍ- يَا بَازَ الْاَشْهَبُ- يَا فَارِجَ الْكُرَبِ- يَا غَوْثَ الْاَعْظَمِ- يَا وَاسِعَ الْلُطْفِ وَالْكَرَمِ- يَا كَنْزَالْحَقَائِقِ- يَا مَعْدِنَ الدَّقَائِقِ- يَا وَاسِطَ السَّلْكِ وَالسُّلُوْكِ- يَا صَاحِبَ الْمُلْكِ وَالْمُلُوْكِ- يَا شَمْسَ الشُّمُوْسِ- يَا زَهْرَةَ النُّفُوْسِ- يَا هَاوِىَ النَّسِيْمِ- يَا مُحْىَ الرَّمِيْمِ- يَا عَالِىَ الْهَمِيْمِ- يَانَامُوْسَ الْاُمَمِ- يَا حُجَّةَ الْعَاشِقِيْنَ- يَا سُلَالَةَ آلَ طَهٰ وَيَسِيْن- يَا سُلْطَانَ الْوَاصِلِيْنِ- يَا وَارِثَ النَّبِىِّ الْمُخْتَارِ- يَا خَزَانَةَ الْاَسْرَارِ- يَا مُبْدِئَ جَمَالِ اللهِ- يَانَائِبَ رَسُوْلِ اللهِ- يَا كَبِدَ الْمُصْطَفٰى- يَاصَاحِبَ الْوَفَا- يَاسِرَّ الْمُجْتَبٰى- يَانُوْرَ الْمُرْتَضٰى- يَاقُرَّةَ الْعُيْونِ- يَاذَا الْوَجْهِ الْمَيْمُوْنِ- يَا صَالِحَ الْاَحْوَالِ- يَا صَادِقَ الْاَقْوَالِ- يَا سَيْفَ اللهِ الْمَسْلُوْلِ- يَا ثَمَرَةَ الْبَتُوْلِ- يَا رَاحِمَ النَّاسِ- يَا مُذْهِبَ الْبَاسِ- يَا مُفْتَحَ الْكُنُوْزِ- يَا مَعْدِنَ الرُّمُوْزِ- يَا كَعْبَةَ الْوَاصِلِيْنَ- يَا وَسِيْلَةَ الطَّالِبِيْنَ- يَا مُنْجِلَ الْمَطَرِ- يَا مُحْسِنَ الْبَشَرِ- يَا قُوَّةَ الضُّعَفَاءِ- يَا مَلْجَأَ الْغُرَبَاءِ- يَا اِمَامَ الْمُتَّقِيْنَ وَصَفْوَةَ الْعَابِدِيْنَ- يَا قَوِىَّ الْاَرْكَانِ- يَا حَبِيْبَ الرَّحْمٰنِ- يَا مُجْلِىَ الْكَلَامِ الْقَدِيْمِ- يَا شِفَاءَ اَسْقَامِ السَّقِيْمِ- يَا اَتْقٰى الاَتْقِيَاءِ- يَا اَصْفٰى اَلاَصْفِيَاءِ- يَا نَارَاللهِ الْمُوْقَدَةِ- يَا حَيَاةَ الْاَفْئِدَةِ- يَا شَيْخَ الْكُلِّ- يَا دَلِيْلَ السُّبُلِ- يَا نَقِيْبَ الْمَحْبُوْبِيْنَ- يَا مَقْصُوْدَ السَّالِكِيْنَ- يَا كَرِيْمَ الطَّرْفَيْنِ- يَا عُمْدَةَ الْفَرِيْقَيْنِ- يَاقَاضِىَ الْقُضَاةِ- يَا فَاتِحَ الْمُغْلَقَاتِ- يَا كَافِىَ الْمُهِمَّاتِ- يَا حَائِطَ الْاَشْيَاءِ- يَانُوْرَ الْمَلَاءِ- يَا مُنْتَهٰى الْاَمَلِ حِيْنَ يَنْقَطِعُ الْعَمَلُ- يَا سَيِّدَ السَّادَاتِ- يَامَنْبَعَ السَّعَادَاتِ- يَاضِيَاءَ السَّمٰوَاتِ وَالْاَرْضِيْنَ- يَا قَامُوْسَ الْوَاعِظِيْنَ- يَا عَيْنَ الْوَرٰى- يَا قُدْوٰةَ السَّرَى- يَا جَمَّ الْفَوَائِدِ- يَا فَرَجًا فِى الشَّدَائِدِ- يَا بَحْرَ الشَّرِيْعَةِ- يَا سُلْطَانَ الطَّرِيْقَةِ- يَا بُرْهَانَ الْحَقِيْقَةِ- يَا تَرْجُمَانَ الْمَعْرِفَةِ- يَا كَاشِفَ الْاَسْرَارِ- يَا غَافِرَ الْاَوْزَارِ- يَا طِرَازَ الْاَوْلِيَاءِ- يَا عَضُدَ الْفُقْرَاءِ- يَا ذَالْاَحْوَالِ الْعَظِيْمَةِ- يَا ذَالْاَوْصَافِ الرَّحِيْمَةِ- يَا ذَالْمِلَّةِ الْجَلِيَّةِ- يَا ذَالْمَذْهَبِ الْحَنْبَلِيَّةِ- يَا اِمَامَ الْأَئِمَّةِ- يَا كَاشِفَ الْغُمَّةِ- يَافَاتِحَ الْمُشْكِلَاتِ- يَا مَقْبُوْلَ رَبِّ الْجَنَّاتِ- يَا جَلِيْسَ الرَّحْمٰنِ- يَا مَشْهُوْرًا مِنَ الْجِيْلَانِ- يَا شَاهْ- يَا سِرَّ اِلٰهِ- يَا عَفِيْفُ- يَا شَرِيْفُ- يَا تَقِىُّ- يَا نَقِىُّ- يَا صَدِيْقُ- يَا مَعْشُوْقُ- يَا قُطْبَ الْاَقْطَابِ- يَا فَرْدَ الْاَحْبَابِ- يَا سَيِّدِىْ- يَا سَنَدِىْ- يَا مَوْلَائِىْ- يَا قُوَّتِىْ- يَا غَوْثِىْ- يَا غِيَاثِىْ- يَا عَوْنِـىْ- يَا رَاحَتِىْ- يَا قَاضِىَ حَاجَاتِىْ- يَا فَارِجَ كُرْبَتِىْ- يَا ضِيَائِىْ- يَا رَجَائِىْ- يَا شِفَائِىْ- يَا سُلْطَانْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِر- يَا نُوْرَ السَّرَائِرِ- يَا صَاحِبَ الْقُدْرَةِ- يَا وَاهِبَ الْعَظْمَةِ- يَا مَنْ ظَهَرَ سِرُّهُ فِى الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ- يَا مَلِكَ الزَّمَانِ- يَا آمَانَ الْمَكَانِ- يَا مَنْ يُقِيْمُ بِاَمْرِ اللهِ- يَا وَارِثَ كِتَابِ اللهِ- يَا وَارِثَ رَسُوْلِ اللهِ- يَا قُطْبَ الْاَقْطَابِ- يَا حَضْرَةَ الشِّيْخِ عَبْدُ الْقَادِرْ قَدَّسَ اللهُ سِرَّهُ وَنَوَّرَ ضَرِيْحُهُ- يَا سِرَّالْاَسْرَارِ- يَا كَعْبَةَ اَلْاَبْرَارِ- يَا شَيْخُ كُلِّ قُطْبٍ وَغَوْثٍ- يَا شَاهِدَ الْاَكْوَانِ بِنَظْرَةٍ- يَا مُبْصِرَ الْعَرْشِ بِعِلْمِهِ- يَا بَالِغَ الْغَرْبِ وَالشَّرْقِ بِخَطْوَةٍ- يَا قُطْبَ الْمَلَائِكَةِ وَالْاِنْسِ وَالْجِنِّ- يَا قُطْبَ الْبَرِّ وَالْبَحْرِ- يَاقُطْبَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ- يَا قُطْبَ السَّمٰوَاتِ وَالْاَرْضِيْنَ- يَا قُطْبَ الْعَرْشِ وَالْكُرْسِىِّ وَاللَّوْحِ وَالْقَلَمِ- يَا صَاحِبَ الْهِمَّةِ وَالشَّفَاعَةِ- يَا مَنْ يَبْلُغُ لِمُرِيْدِهِ عِنْدَ الْاِسْتِغَاثَةِ وَلَوْ كَانَ فِىْ الْمَشْرِقِ فَرْسُكَ مَسْرُوْجٌ وَسَيْفُكَ مَسْلُوْلٌ وَرُمْحُكَ مَنْصُوْبٌ وَقُوْسُكَ مَوْتُوْرٌ وَسَهْمُكَ صَائِبٌ وَرِكَابُكَ عَالٍ- يَا صَاحِبَ الْجُوْدِ وَالْكَرَمِ- يَا صَاحِبَ الْاَخْلَاقِ الْحَسَنَةِ وَالْهِمَمِ- يَا صَاحِبَ التَّصَرُّفِ فِى الدُّنْيَا وَفِىْ قَبْرِهِ بِاِذْنِ اللهِ- يَا صَاحِبَ الْقَدَمِ الْعَالِى عَلَى رَقَبَةِ كُلِّ وَلِىِّ اللهِ- يَا غَوْثَ الْاَعْظَمِ اَغِثْنِىْ وَاَمْدُدْنِىْ فِىْ كُلِّ اَحْوَالِىْ وَاُنْصُرْنِىْ فِىْ كُلِّ اٰمَالِىْ وَتَقَبَّلْنِىْ فِىْ طَرِيْقِكَ الْعَالِىْ بِحُرْمَةِ جَدِّكَ الْمُصْطَفٰى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبِشَفَاعَتِهِ وَرُوْحِهِ وَسِرِّهِ وَصَلَّى اللهُ عَلٰى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَّ آلِهِ وَصَحْبِهِ وَسَلِّمْ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ - 


উচ্চারণ: এয়া সুলতানাল আ’রেফীন, এয়া তাজাল মুহাক্কেকীন, এয়া সাকীয়াল হুমায়া, এয়া জামিলাল মুহায়্যা, এয়া বারাকাতাল আনামে, এয়া মেছবাহাজ্ জোলামে, এয়া শামসু বেলা আফালিন, এয়া র্দুরো বেলা মাছালিন, এয়া বদ্রো বেলা কালাফিন্, এয়া বাহ্রো বেলা ত্বরাফিন্, এয়া বাজুল আশ্হাবু, এয়া ফারেজাল কুরাবে, এয়া গাউছাল আ’যমে, এয়া ওয়াসেয়াল্ লুত্ফে ওয়াল্ কারামে, এয়া কানযাল্ হাক্বায়েক্বে, এয়া মাদেনাদ্ দাকায়েকে, এয়া ওয়াসেতাস্ সল্কে ওয়াস্ সুলুকে, এয়া ছাহেবাল্ মুল্কে ওয়াল্ মুলুকে, এয়া শাম্সাশ্ শুমুছে, এয়া জাহরাতান্ নুফুছে, এয়া হাবেয়ান্ নাসিমে, এয়া মুহ্ইয়ার রামীমে, এয়া আ’লীয়াল্ হামীমে, এয়া নামুছাল্ উমামে, এয়া হুয্যাতাল্ আ’শেকীনা, এয়া সুলালাতা আলা ত্বোয়া-হা ওয়া ইয়াসিন, এয়া সুল্তানাল ওয়াসেলীন, এয়া ওয়ারেছান্ নবীয়্যীল মুখতারে, এয়া খাজানাতাল্ আছ্রারে, এয়া মুব্দেয়া জামালিল্লাহে, এয়া নায়েবে রাসুলিল্লাহে, এয়া কাবেদাল্ মুস্তাফা, এয়া ছাহেবাল্ ওয়াফা, এয়া র্ছিরাল্ মুজতবা, এয়া সাদেক্বাল্ আক্ওয়াল, এয়া র্ক্বুরাতাল উয়্যুনে, এয়া জাল্ ওয়ায্হেল্ মায়মুনে, এয়া ছালেহাল্ আহ্ওয়ালে, এয়া ছাদেক্বাল আক্ওয়ালে, এয়া সাইফুল্লাহিল মাস্লুলে, এয়া ছামারাতাল্ বাতুলে, এয়া রাহেমান্ নাছে, এয়া মুজহেবাল্ বাজে, এয়া মুফ্তাহাল্ কুনুজে, এয়া মা’দেনার রামুজে, এয়া কা’বাতাল ওয়াসেলিন, এয়া ওয়াসিলাতাত্ ত্বোয়ালেবিন, এয়া মুনজেলাল্ মাত্বারে, এয়া মুহসিনাল্ বাশারে, এয়া কুয়্যাতাত্ দোয়াফায়ে, এয়া মাল্জা আল্ গুরাবায়ে, এয়া ইমামাল্ মুত্তাকীনা ওয়া ছাফ্ওয়াতাল্ আবেদীনা, এয়া ক্বাবীয়্যাল্ আরকানে, এয়া হাবীর্বা রাহ্মানে, এয়া মুজ্লিয়াল কালামিল ক্বাদীমে, এয়া শাফায়াচ্ছাকামীচ্ ছাকিমে, এয়া আত্ক্বাল্ আত্কিয়ায়ে, এয়া আছ্ফাল্ আছ্ফিয়ায়ে, এয়া নারাল্লাহিল্ মু-ক্বাদাতে, এয়া হায়াতাল আফ্য়েদাতে, এয়া শায়খাল্ কুলে­, এয়া দলিলাচ্ ছুবুলে, এয়া নাকিবাল্ মাহ্বুবীনা, এয়া মাক্ছুদাচ্ ছালেকীনা, এয়া কারীমাত্ র্ত্বফাইনে, এয়া উমদাতাল্ ফরিক্বাইনে, এয়া ক্বাদীয়াল কুদ্বাতে, এয়া ফাতেহাল্ মুগ্লাক্বাতে, এয়া কাফীয়াল্ মুহিম্মাতে, এয়া হা-য়েত্বাল আশ্-ইয়ায়ে, এয়া নুরাল মালায়ে, এয়া মুন্তাহাল আমালে হিনা ইয়ান্ ক্বাতেয়ুল আমালু, এয়া সৈয়্যদাস্ সাদাতে, এয়া মান্বা’আয্-সাআদাতে, এয়া দ্বিয়ায়াচ্ ছামাওয়াতে ওয়াল আরদ্বিনা, এয়া কামুচাল ওয়ায়েজিনা, এয়া আ’ইনাল ওয়ারা, এয়া ক্বুদ্ওয়াতুচ্ ছারা, এয়া জাম্মাল ফাওয়ায়েদে, এয়া ফারযান্ ফীশ্ শাদায়েদে, এয়া বাহ্রাশ শরীয়াতে, এয়া সুলতানাত্ ত্বরীক্বাতে, এয়া বুরহানাল হাকীকাতে, এয়া তরজুমানাল মা’রেফাতে, এয়া কাশেফাল আস্রারে, এয়া গাফেরাল আওজারে, এয়া তেরাজাল আউলিয়ায়ে, এয়া আ’দুদাল ফোক্রায়ে, এয়া জাল্ আহ্ওয়ালিল আজীমাতে, এয়া জাল্ আওছার্ফি রাহিমাতে, এয়া জাল মিল্লাতিল জালীয়াতে, এয়া জাল্ মাজহাবাল্ হাম্বলিয়াতে, এয়া ইমামাল আয়্যিম্মাতে, এয়া কাশেফাল্ গুম্মাতে, এয়া ফাতেহাল্ মুশ্কিলাতে, এয়া মাক্বুলা রাব্বিল জান্নাতে, এয়া জালির্চা রাহ্মানে, এয়া মাশ্হুরাম্ মিনাল্ জিলানে, এয়া শাহ্, এয়া র্ছিরা এলাহে, এয়া আ’ফীফু, এয়া শরীফু, এয়া তাক্বীয়্যু, এয়া নাক্বীয়্যু, এয়া ছাদীক্বু, এয়া মা’শুকু, এয়া ক্বুত্বাল আক্বতাবে, এয়া ফরদাল আহ্বাবে, এয়া সৈয়্যদী, এয়া সনদী, এয়া মাওলায়ী, এয়া ক্বুয়্যাতী, এয়া গাউছী, এয়া গিয়াছী, এয়া আ’উনী, এয়া রাহাতী, এয়া ক্বাদ্বীয়া হাজাতী, এয়া ফারেজা র্কুবাতী, এয়া দ্বিয়ায়ী, এয়া রাজায়ী, এয়া শাফায়ী, এয়া সুল্তান মুহিউদ্দীন আবদুল কাদের, এয়া নুরাচ্ ছারায়েরে, এয়া ছাহেবাল্ কুদ্রাতে, এয়া ওয়াহেবাল আ’জমাতে, এয়া মান্ জাহারা র্ছিরূহু ফীদ্ দুনীয়া ওয়াল আখেরাতে, এয়া মালেকায্ যমানে, এয়া আমানাল মাকানে, এয়া মান্ ইউকীমু বে-আম্রীল্লাহে, এয়া ক্বুত্বাল আক্ব্তাবে, এয়া হাদ্রাতাশ্ শাইখ আবদুল কাদের কাদ্দাছাল্লাহু র্ছিরূহু ওয়া নাওয়্যারা দ্বরীয়ুহু, এয়া র্ছিরাল আস্রারে, এয়া কা’বাতাল আব্রারে, এয়া শাইখা কুলে­ ক্বুত্বিন্, এয়া মুব্ছেরাল আ’রশে বে-ইল্মেহী, এয়া বালেগাল্ র্গাবে ওয়াশ্ র্শক্বে বে-খত্ব্ওয়াতিন, এয়া কুত্বাল মালায়েকাতে ওয়াল্ ইনছে ওয়াল জিন্নে, এয়া কুত্বাল র্বারে ওয়াল বাহ্রে, এয়া কুত্বাল মাশ্রেকে ওয়াল মাগরেবে, এয়া ক্বুত্বাচ্ছামাওয়াতে ওয়াল র্আদ্বিনা, এয়া কুত্বাল আ’রশে ওয়াল্ কুরছিয়্যে ওয়াল্ লাওহে ওয়াল কালামে, এয়া ছাহেবাল্ হিম্মাতে ওয়াশ শাফায়াতে, এয়া মান্ ইয়াব্লুগু লে-মুরিদেহী ইন্দাল ইস্তেগাছাতে ওয়ালাও কানা ফীল্ মাশরেক্বে ফারছুকা মাছরূজুন্ ওয়া সাইফুকা মাস্লুলুন ওয়া রূমহুকা মানছুবুন, ওয়া ক্বাও ছুকা মাওতুরূন, ওয়া ছাহমুকা ছায়েবুন, ওয়া রেকাবুকা আলীন্, এয়া ছাহেবাল জুদে ওয়াল কারামে, এয়া ছাহেবাল আখলাক্বিল হাছানাতে ওয়াল্ হেমামে, এয়া ছাহেবাত্ তার্সারূফে ফীদ্ দুনীয়া ওয়া ফী কবরেহী বে-ইয্নিল্লাহে, এয়া ছাহেবাল্ ক্বাদামিল আ’লী আ’লা রাক্বাবাতে কুলে­ ওয়ালী আল্লাহে, এয়া গাউছাল্ আ’যমে আগিছ্নী ওয়া আম্দুদ্নী ফী কুলে­ আহ্ওয়ালী ওয়া উনছুরনী ফী কুলে­ আমালী, ওয়া তাকাব্বাল্নী ফী ত্বরীক্বেকাল আলী বে-হুরমাতে জাদ্দেকাল মোস্তফা মুহাম্মাদিন্ (ﷺ)া ওয়া বে-শাফায়াতেহী ওয়া রূহেহী ওয়া র্ছিরেহী ওয়া সাল্লাল্লাহু আ’লা সৈয়্যদেনা মুহাম্মাদিন্ ওয়া আলেহী ওয়া ছাহ্বেহী ওয়া সালে­ম, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আ’লীয়্যীল আ’জীম।


এস্তেখারায়ে গাউছিয়া


যদি কোন ব্যক্তি ভাল কিংবা মন্দ কার্যের ফলাফল সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে, তাহলে সে ব্যক্তি রজনীর নিদ্রা হতে উঠে অজু করতঃ তাহিয়্যাতুল অজু নামে দু’রাকাত নামাজ আদায় করবে এবং প্রত্যেক রাকাতে বিছমিল্লাহ্ সহ সূরা ফাতেহা ১১ বার, সূরা এখলাস ১১ বার, নিম্নোক্ত দরূদ শরীফ ১১ বার।


اَللهم صَلِّى عَلٰى سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ مَعْدَنِ الْجُوْدِ وَالْكَرَمِ مَنْبَعِ الْعِلْمِ وَالْحِلْمِ وَالْحِكَمِ وَ اٰلِهِ وَ اَصْحَابِهِ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ .


অতঃপর سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرْ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ . -১১ বার পাঠ  করে এমনিভাবে খাঁটি অন্তর নিয়ে দু’রাকাত নামাজ আদায় করবে। অতঃপর এ সবের সাওয়াব গাউছে সাক্বালাইন ইমামুল আউলিয়া  হুজুর গাউছে পাক (رضي الله عنه) এর রূহে পাকে প্রেরণ করবে। অতঃপর يَا شَيْحُ عَبْدَ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ شَيْئًا لِلهِ .-১১ বার পাঠ করার পর দু’রাকাত কাযায়ে হাজাতের নামাজ নিম্নরূপ নিয়ম মাফিক সম্পন্ন করবে।


‘কাযায়ে হাজত’ নামাজ আদায়ের নিয়মাবলী


যখন নিয়ত করবে, তখন চক্ষুদ্বয় বন্ধ করে নেবে এবং স্বীয় শরীরকে কোমল করে তথা বিনয় ও নম্রতার সাথে সূরা ফাতেহা শরীফ পাঠ করা আরম্ভ করবে। এমতাবস্থায় যখন اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَ اِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ  স্থানে পৌঁছবে, তখন সে আয়াতটি মুখমন্ডল ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত বারংবার পাঠ করতে থাকবে। মুখমন্ডল যদি ডানদিকে ফিরে যায়, তখন উদ্দেশ্যকৃত কাজটি সাফল্য হবে। আর যদি মুখমন্ডল বাম দিকে ফিরে যায়, তখন উদ্দেশ্যকৃত কাজটি করবে না এবং তাতে সাফল্যও হবে না। অতঃপর সূরায়ে ফাতেহা পাঠ করা সমাপ্ত করে সূরায়ে ‘এখলাস’- ১১ বার পাঠ করবে এবং দ্বিতীয় রাকাতে উক্ত আয়াতটি বারংবার পাঠ করার প্রয়োজন নেই। কেবলমাত্র সূরায়ে ফাতেহা পাঠের পর সূরায়ে এখলাস ১১ বার পড়ে নামাজ সমাপ্ত করবে।


দরূদে পঞ্জেগঞ্জে কাদেরী


(এক) শত্রুদের উপর সম্মান লাভ, বিজয় ও সফলতা অর্জন এবং সাহায্য লাভের উদ্দেশ্যে ফজরের নামাজের পর নিম্নলিখিত দোয়াটি ৮৭৪ বার পাঠ করবে।


يَا عَزِيْزُ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلٰى النَّبِىِّ الْعَزِيْزِ الْمُعِزِّ الْاَعَزِّ وَعَلٰى آلِـهِ وَاَصْحَابِهِ الْمُعَزَّزِيْنَ اَللهم عَزِّزْنِىْ بِالْاِيْمَانِ وَحُسْنِ الْعَمَلِ وَالْعَافِيَةِ الدَّائِمَةِ وَحُسْنِ الْعَاقِبَةِ فِـىِ الْاُمُوْرِ كُلِّهَا وَهَبْ لَنَا ذُرِّيَةً طَيِّبَةً اِنَّكَ سَمِيْعُ الدُّعَاءِ .


(দুই) রিজিক বৃদ্ধি, ইহকাল ও পরকালে বৃহৎ কল্যাণ এবং উদ্দেশ্যাবলী পূরণকল্পে নিম্নোক্ত দরূদ শরীফ জোহরের নামাজের পর ১০০ বার পাঠ করবে।


يَا كَرِيْمُ صَلِّ عَلٰى النَّبِىِّ الْكَرِيْمِ مَعْدَنِ الْجُوْدِ وَالْكَرَمِ وَ آلِهِ الْكِرَامِ وَ اِبْنِهِ الْكَرِيْمِ وَعَبْدِهِ الْمُكَرَّمِ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ اَللهم اَكْرِمْ عَلَيْنَا بِكَرَمِكَ الْعَظِيْمِ.


(তিন) শত্রুদের ক্ষতি সাধন ও ধ্বংসের লক্ষ্যে এবং কুকর্মশীল ব্যক্তিদের প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত দোয়াটি আছরের নামাজের পর ১০০ বার পাঠ করবে।


يَا جَبَّارُ صَلِّى عَلٰى النَّبِى سَيِّدِ الْقَاهِرِيْنَ قَاتِلِ الْمُشْرِكِيْنَ دَافِعِ الْحَاسِدِيْنَ وَآلِهِ وَاَصْحَابِهِ اَجْمَعِيْن اَللهم اِقْهَرْ عَلٰى اَعْدَائِنَا بِقَهْرِكَ الْعَظِيْمِ يَا قَهَّارُ.


(চার) সকল বিপদাপদ এবং রোগ ব্যাধি ইত্যাদি হতে নিরাপদে থাকার উদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত দোয়াটি মাগরিবের নামাজের পর ১০০ বার পাঠ করবে।


يَا سَتَّارُ صَلِّى عَلٰى سَتْرِكَ الْجَمِيْلِ وَآلِهِ وَاَصْحَابِهِ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ اَللهم اُسْتُرْنَا بِسَتْرِكَ الْجَمِيْلِ فَلَمْ يَزَلْ سَتْرُكَ الْجَمِيْلُ اَلْمُزَّمِّلُ اَلْمُدَّثِّـرُ مَسْتُوْرًا مُزَّمِّلًا مُدَّثِّرًا اِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ .


অতঃপর حَسْبُنَا اللهُ وَ نِعْمَ الْوَكِيْلِ ৪৫০ বার পাঠ করবে।


(পাঁচ) পাপ হতে পরিত্রাণ, জান-মালের নিরাপত্তা, বরকত ও মঙ্গল এবং উদ্দেশ্যাবলী পূরণ কল্পে এশার নামাজের পর নিম্নোক্ত দোয়াটি ১০০ বার পাঠ করবে।


يَا غَفَّارُ صَلِّ عَلٰى شَفِيْعِ الْمُذْنِبِيْنَ وَ آلِهِ وَاَصْحَابِهِ اَجْمَعِيْنَ رَبِّ اغْفِرْلِىْ وَلِوَالِدَىَّ وَلِجَمِيْعِ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّىْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ . 


দরূদে ফজলে আজীম


বিপুল অনুগ্রহ ও করুণা, অধিক কল্যাণ সাধন, ধন-দৌলত লাভ, ইহকাল ও পরকালের উন্নতি সাধন সকল প্রকার শত্রুদের থেকে নিরাপদ ও হেফাজতে থাকার উদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত দোয়াটি দৈনিক ১০০ বার পাঠ করবে।


يَا ذَالْفَضْلِ الْعَظِيْمِ صَلِّ عَلٰى فَضْلِكَ الْعَظِيْمِ وَ آلِهِ وَاَصْحَابِهِ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ تَفَضَّل عَلَيْنَا بِفَضْلِكَ الْعَظِيْمِ .


শত্রুদের প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে কতেক ব্যক্তিবর্গ অজু করে পাক-পবিত্র হয়ে একটি মাহফিলের আয়োজন করবে এবং এশার নামাজের পর নিম্নোক্ত দরূদ শরীফ ২৮,৯৮৯ বার পাঠ করবে।


يَا جَبَّارُ صَلِّ عَلٰى سَيِّدِ الْقَاهِرِيْنَ قَاتِلِ الْمُشْرِكِيْنَ دَافِعِ الْحَاسِدِيْنَ وَ آلِهِ وَ اَصْحَابِهِ اَجْمَعِيْن اَللهم اِقْهَرْ عَلٰى اَعْدَائِنَا بِقَهْرِكَ الْعَظِيْمِ يَا قَهَّارُ .


ইন্শাআল্লাহ পরম করুণাময় এর অনুগ্রহে শত্রুদের অনিষ্ট ও ক্ষতি হতে নিরাপদে থাকবে। অতি শীঘ্রই দুশমন ধ্বংস ও বিরাণ হয়ে যাবে এবং তার ধন-দৌলত ও বংশধর ধ্বংসলীলায় পরিণত হবে। তখন মানুষ সে দুশমনকে ঘৃণাপূর্ণ দৃষ্টিতে অবলোকন করবে। (তবে যাকে শত্রু মনে করা হচ্ছে সে প্রকৃত শত্রু কিনা তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা পূর্ব শর্ত)


দরূদে রহমত


নিম্নোক্ত দরূদ শরীফগুলো যথানিয়মে পাঠ করলে ইন্শাআল্লাহ যে কোন মহৎ উদ্দেশ্য সফল হবে।


يَا رَحْمٰنُ يَا رَحِيْمُ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلٰى رَحْمَةِ لِّلْعَالَمِيْنَ رَاحَةِ الْمُؤْمِنِيْنَ الرَّؤُفِ الرَّحِيْمِ وَ آلِهِ وَاَصْحَابِهِ وَ اَوْلِيَائِهِ اَجْمَعِيْنَ وَعَلَيْنَا مَعْهُمْ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ .


দৈনিক ১০০ বার পাঠ করবে।


رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّتِنَا وَقُرَّةُ اَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِيْنَ اِمَامَا . 


দৈনিক ১০০ বার পাঠ করবে।


رَبِّ اَعُـوْذُبِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ وَاَعُوْذُبِكَ رَبِّ اَنْ يَّحْضُرُوْنَ- رَبِّ اَعُوْذُبِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ سَلَامٌ عَلٰى عِبَادِهِ الَّذِىْنَ اصْطَفٰى- سَلَامٌ عَلٰى اِبْرَاهِيْمَ- سَلَامٌ عَلٰى مُوْسٰى وَهَارُوْنَ- سَلَامٌ عَلٰى اِلْيَاسِيْنَ- سَلَامٌ عَلٰى الْمُرْسَلِيْنَ- سَلَامٌ عَلٰى نُوْحٍ فِى الْعَالَمِيْنَ- سَلَامٌ قَوْلًا مِّن رَّبِّ رَّحِيْمِ- سَلَامٌ هِىَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ- بِحُرْمَةِ آلم- آلـمص- كهيعص- طٓسم- طٓس- حٓمعسق- حٓم- ن- يس- طه- ق- آلـمر- آلر- يَارِجَالَ الْغَيْبِ يَا شِيْخ سَيِّدْ عَبْدَ الْقَادِرْ جِيْلَانِـىْ شَيْئًا لِلهِ- 


 দৈনিক ১০০ বার পাঠ করবে।


যাবতীয় মনোবাঞ্চনা পূরণের ক্ষেত্রে উপরোক্ত দরূদ শরীফগুলো তীরের লক্ষ্যবস্তুুর মত দ্রুত কার্যকরী হয়। রিজিক ও ধন- দৌলত বৃদ্ধি, জানের নিরাপত্তা, সকল প্রকার রোগ হতে মুক্তি, শত্রুদের অনিষ্ট ও ক্ষতি হতে রক্ষা পাওয়া, সৃষ্টি জীবের উপর প্রাধান্য ও বিজয় লাভের জন্য ইত্যাদি সকল নেক উদ্দেশ্য হাসেলের ক্ষেত্রে এ দরূদ শরীফগুলো অতীব মঙ্গলদায়ক ও ফলপ্রসু।


উপরোক্ত দরূদ শরীফের অনেক উপকারিতা রয়েছে। উক্ত দরূদ শরীফ অতীব সহজ বটে উপকারিতাও অনেক। ১৩০০ হিজরীর মুজাদ্দেদ আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান (رحمة الله) উক্ত দরূদ শরীফের ৪০টি উপকারিতা বর্ণনা করেছেন, যা নির্ভরযোগ্য হাদীস শরীফগুলো দ্বারা প্রমাণিত। 


যে ব্যক্তি বিশ্বনবী রাসূলে করিম (ﷺ)কে মুহাব্বত ও ভালবাসে, তাঁহার সম্মান- মর্যাদাকে পৃথিবীর যাবতীয় বস্তুু হতে অধিকহারে অন্তরে রাখবে। আর তাঁহার মান-মর্যাদা হ্রাস ও মলিনত্বকারীদের নিকট হতে সে ঈমানদার দূরত্বে সরে দাঁড়াবে এবং অন্তরে ঘৃণা রাখবে।


যে ঈমানদার উপরোক্ত দরূদ শরীফ পাঠ করবে তার জন্য অগণিত উপকারিতা রয়েছে তৎ মধ্যে কিঞ্চিৎ নিম্নে বর্ণিত হলো।


যথা:- 


(১) ইহা পাঠকের উপর আল্লাহ তাআলা তিন হাজার  রহমত অবতীর্ণ করবেন।


(২) তার প্রতি দু’হাজার বার সালাম পাঠাবে।


(৩) পাঁচ হাজার সৎ কাজের প্রতিদান তার কর্মলিপির মধ্যে লিপিবদ্ধ করবেন।


(৪) তার পাঁচ হাজার পাপ ক্ষমা করবে।


(৫) তার পাঁচ হাজার পদ উন্নতি করবে।


(৬) তার কপালে লিপিবদ্ধ করে দিবে যে, ইনি কপট মুনাফিক নয়।


(৭) তার কপালে আরও লিখে দিবে যে, ইনি নরক হতে মুক্তিপ্রাপ্ত।


(৮) মহাপ্রলয়ের দিবসে আল্লাহ তাআলা তাকে শহীদগণের সাথে রাখবে।


(৯) তার ধন-দৌলতে উন্নতি সাধন করবে।


(১০) তার সন্তান-সন্ততি এবং পরবর্তীদের সন্তান-সন্ততিদের উপর বরকত দান করবে।


(১১) শত্রুদের উপর বিজয় দান করবে।


(১২) অন্তরসমূহে তার প্রেম-ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে।


(১৩) যে কোন একদিন জিয়ারতে মোস্তফা দ্বারা সম্মানিত হবে।


(১৪) ঈমানের উপর অটল থেকে ইহকাল ত্যাগ করবে।


(১৫) কেয়ামত দিবসে প্রিয় নবী (ﷺ) তার সহিত মোসাফাহা করবে।


(১৬) রাসূল (ﷺ) এর সুপারিশ তার জন্য অবধারিত হবে।


(১৭) আল্লাহ তাআলা তাঁর উপর এমন সন্তুুষ্ট হবেন যে, কখনো নারাজ হবেন না।


উপরন্তুু ইহা বৃহৎ সুসংবাদের বিষয় যে, আলা হযরত (رحمة الله) এই দরূদ শরীফ সকল ছুন্নী গণের জন্য অনুমতি প্রদান করেছেন বটে বদ্ আকীদা পোষণকারীদের হতে বেচে থাকা পূর্বশর্ত।


দরূদ শরীফ নিম্নরূপ


صَلَّى اللهُ عَلٰى النَّبِىِّ الْاُمِّىِّ وَ آلِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَوةً وَسَلَامًا عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ .


জুমার নামাজের পর জমায়াতের সহিত মদীনাভিমুখী হয়ে বিনয় ও নম্রতার সাথে দাঁড়ায়ে একশত বার উক্ত দরূদ শরীফ পাঠ করবে। যেখানে জুমা হয় না সে স্থানে শুক্রবার দিন ফজরের কিংবা আছরের নামাজের পর পাঠ করবে। যে নির্জনে থাকবে সে একাকী পাঠ করবে, অনুরূপ নারী জাতি আপন গৃহে পাঠ করবে।



খতমে হযরত আলী রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহু শরীফ


পাঠের নিয়ামাবলী


 (১) দরূদ শরীফ -১০০ বার


(২) বিছমিল্লাহ সহকারে সূরা আলামনাশ্রাহ -১০০ বার


(৩) বিছমিল্লাহর সহিত সূরা কাউছার -১০০ বার


(৪) বিছমিল্লাহর সহিত সূরা এখলাছ -১০০ বার


(৫) কলেমায়ে তামজীদ -১০০ বার


(৬) اَللهُ يُحْيِىْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ حَىٌّ لَا يَمُوْتُ بَيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلٰ كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ . -১০০বার


(৭) يَا كَافِـىْ اَنْتَ الْكَافِـىْ -১০০ বার


(৮) نَادِ عَلِيًّا مَظْهَرُ الْعَجَائِبِ تَجِدْهُ عَوْنًا لَكَ فِى النَّوَائِبِ كُلُّ هَمٍّ وَغَمٍّ سَيَنْجَلِىْ بِعَظْمَتِكَ . يَا اَللهُ . يَا اَللهُ . يَا اَللهُ . وَبِنَبُوَّتِكَ يَامُحَمَّدُ . يَامُحَمَّدُ . يَامُحَمَّدُ وَبِوَلَايَتِكَ يَا عَلِـىُّ . يَا عَلِـىُّ . يَا عَلِـىُّ. يَا وَلِىُّ . يَا وَلِىُّ . يَا وَلِىُّ . وَبِمَحْبُوْ بِيَّتِكَ . يَا مُحِىُّ الدِّيْن . يَا مُحِىُّ الدِّيْن . يَا مُحِىُّ الدِّيْن . اَلْغَوْثُ الْاَعْظَمُ .  - ১০০ বার


(৯) يَا خَالِـقُ -১০০ বার


(১০) يَا وَهَّـابُ -১০০ বার


(১১) يَا تَـوَّابُ -১০০ বার


(১২) شَاهِ مَرْدَاں شِيْرِ يَزْدَاں قُوَّتِ پَرْوَرْدِگارْ   ؁ لَا فَتٰى اِلَّا عَلِىْ لَا سَيْفَ اِلَّا ذُوالْفِقَار -১০০ বার


(১৩) দরূদ শরীফ -১০০ বার


(১৪) বিছমিল্লাহর সহিত সূরা ফাতিহা -১০০ বার


(১৫) شَيْئًا لِلهِ يَا حَضْرَتْ عَلِىْ عَنْكَ الْمَدَدْ -১০০ বার


অতঃপর বিশ্ব নিয়ন্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের মহান পাক দরবারে নিজ মনো বাসনা ও মকছুদ নিয়ে মুনাজাত করবে।


পুনবার আরও পাঠ করবেঃ


১। সূরা যিলযাল - ১৫ বার ২। সূরা আদিয়াহ - ১৪০ বার


৩। সূরা ক্বারিয়া - ৩০ বার ৪। সূরা তাকাছুর - ১০ বার


৫। সূরা ওয়াল আছর- ৪০ বার ৬। দরূদ শরীফ - ১০০০


পুনরায় মুনাজাত করবে।



খতম শরীফ হযরত সাইয়্যুদুনা ইমাম হাসান (عليه السلام) 


ওফাত শরীফ ১১ই রবিউল আউয়াল


১। ইস্তেগফার - ১১ বার।


২। দরূদ শরীফ - ১২৯ বার।


৩। সূরা ফাতেহা শরীফ - ১২৯ বার।


৪। সূরা আলামনাশ্রাহ শরীফ - ১২৯ বার।


৫। সূরা কাওছার শরীফ - ১২৯ বার।


৬। দরূদ শরীফ - ১২৯ বার।


৭। সূরা ফাতেহা শরীফ - ১২ বার।


৮। شيئًا لِله يَا حضرت سيدنا امام حسن عنك المدد - ১৬৩ বার।


অতঃপর উদ্দেশ্য পূরণের জন্য দোআ করবে।


অনুরূপ আরো পাঠ করবে


১। সূরা বাকারা শরীফের শেষ রুকু - ১ বার।


২। সূরা দাহ্র শরীফ - ১ বার।


৩। সূরা মুজাম্মেল শরীফ - ১ বার।


৪। সূরা ফিল্ শরীফ - ১ বার।


৫। সূরা কুরাইশ শরীফ - ১ বার।


৬। সূরা কাউছার শরীফ - ১ বার।


৭। সূরা কাফিরুন শরীফ - ১০৩ বার।


৮। সূরা ইখলাছ শরীফ - ১০৩ বার।


৯। সূরা ফালাক্ শরীফ - ১০৩ বার।


১০। সূরা নাস শরীফ - ১০৩ বার।


১১। সূরা ফাতেহা শরীফ - ১০৩ বার।


১২। আলিফ-লাম-মীম - ১০৩ বার।


১৩। مَا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِنْ رِجَالِكُمْ وَلَكِنْ رَسُولَ اللهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّيْنَ وَكَانَ اللهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمًا - ১০৩ বার।


১৪। سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ . وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ . وَالْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ - ১০৩ বার।


১৫। দরূদ শরীফ - ১১ বার।


অতঃপর যিকির-আযকার ও মীলাদ শরীফ শেষে আল্লাহর দরবারে উদ্দেশ্য পূরণের জন্য দোআ করবে।



খতম শরীফ হযরত সাইয়্যুদুনা ইমাম হুসাইন (عليه السلام)


১। বিস্মিল্লাহ্ শরীফ - ১১ বার।


২। ইস্তেগফার - ১১ বার।


৩। দরূদ শরীফ - ১১৮ বার।


৪। সূরা ফাতেহা শরীফ - ১১৮ বার।


৫। সূরা কাউছার শরীফ - ১২৭ বার।


৬। দরূদ শরীফ - ১৩৬ বার।


৭। সূরা ফাতেহা শরীফ - ১০ বার।


৮। দরূদ শরীফ - ১১৮ বার।


৯। يَا حضرت سيد الشهداء سيدنا امام حسين عنك المدد - ১৪৫ বার।


অতঃপর মুনাজাত করবে।


অনুরূপ আরো পাঠ করবেন


১। সূরা তাগাবুন শরীফ - ১ বার।


২। সূরা জুমা শরীফ - ১ বার।


৩। সূরা র্আ-রাহ্মান শরীফ - ১ বার।


৪। সূরা মুদ্দাচ্ছের শরীফ - ১ বার।


৫। সূরা মুরসালাত শরীফ - ১ বার।


৬। সূরা কাফেরূন শরীফ - ১০৩ বার।


৭। সূরা নাছর শরীফ - ১০৩ বার।


৮। সূরা লাহাব শরীফ - ১০৩ বার।


৯। সূরা ইখলাছ শরীফ - ১০৩ বার।


১০। সূরা ফালাক শরীফ - ১০৩ বার।


১১। সূরা নাস শরীফ - ১০৩ বার।


অতঃপর যিকির-আযকার ও মীলাদ শরীফ শেষে আল্লাহর দরবারে উদ্দেশ্য পূরণের জন্য দোআ করবে।



খতম শরীফ হযরত সাইয়্যুদুনা ইমাম জয়নুল আবেদীন (عليه السلام)


(ওফাত শরীফ- ১৮ই মুহররম)


১। ইস্তেগফার - ১১ বার।


২। দরূদ শরীফ - ১১৮ বার।


৩। সূরা ফাতেহা শরীফ - ১১৮ বার।


৪। সূরা আলামনাশ্রাহ শরীফ - ১১৮ বার।


৫। সূরা ইখলাছ শরীফ - ১১৮ বার।


৬। সূরা নাস শরীফ - ১১৮ বার।


৭। দরূদ শরীফ - ১১৮ বার।


৮। সূরা ফাতেহা শরীফ - ১১৮ বার।


৯। يا رحمة للعالمين ادرك لزين العابدين ـ محبوس ايدى الظالمين فى المركباءِ والمزدحم - ১১৮ বার।


১০। شيئًا لِله يا حضرت امام الصابرين سيدنا زين العابدين عنك المدد  -১১৮ বার।


অতঃপর যিকির-আযকার ও মীলাদ শরীফ শেষে আল্লাহর দরবারে উদ্দেশ্য পূরণের জন্য দোআ করবে। 



খতম শরীফ হযরত দাতা গঞ্জে বক্শ্ লাহোরী (رحمة الله) 


পাঠের নিয়মাবলী 


১। দরূদ শরীফ -১০ বার


২। সূরা ফাতেহা শরীফ -২১ বার


৩। সূরা ওয়াশ শামসী শরীফ -২০ বার


৪। সূরা ওয়াল্লাইলে শরীফ -২০ বার


৫। সূরা গাশিয়াহ্ শরীফ -৪০ বার


৬। সূরা তারেক শরীফ -৫০ বার


৭। দরূদ শরীফ -১১১ বার


৮। সূরা এখলাছ শরীফ -১১১বার


৯। কলেমা তামজীদ -১১১ বার


১০। خَذْ بِيَدِىْ شَيْئًا لِلهِ يَا حَضْرَتْ شَهِنْشَاه سَيِّدْ عَلى مَخْدُوْم هَجْوَيْرِىْ اَلْمَدَدْ  -১১১বার


১১। কলেমা তাইয়্যেবা -১০০ বার


১২। সূরা ফাতেহা শরীফ -১১ বার


১৩। দরূদ শরীফ -১১ বার


অতঃপর মহান আল্লাহ পাকের বরকতপূর্ণ দরবারে উদ্দেশ্য পূরণে মোনাজাত করবে।



খতম শরীফ হযরত সোলতান বাহু (رحمة الله) 


পাঠের নিয়মাবলী



১। আলহামদু শরীফ -১১ বার


২। দরূদ শরীফ -১১৩ বার


৩। সূরা আলাম নাশ্্রাহ শরীফ -১২২ বার


৪। يَا حَضْرَتْ سُلْطَانْ شَيِّخْ سَيِّدْ عَبْدَ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ شَيْئًا لِلهِ 


-১৩১ বার


৫। সূরা এখলাছ শরীফ -১৪০ বার


৬। দরূদ শরীফ -১১৩ বার


৭। আলহামদু শরীফ -১১ বার


৮। কলেমা তাইয়্যেবা -১১০০ বার 


৯। আল্লাহু -৭০০ বার


অতঃপর বিশ্ব প্রভু আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে পাকে দোয়া করবে।


অনুরূপ আরও পাঠ করবে


১। সূরা কিয়ামাহ শরীফ -৫০ বার


২। দরূদ শরীফ -৮০ বার


৩। সূরা এখলাছ শরীফ -১০০ বার


৪। সূরা মুরসালাত শরীফ -৪০ বার


৫। يَا نَـصِيْـرُ -৫০০ বার


৬। اَللهُ اَ كْـبَـرْ -৬০ বার


৭। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْم -৪৫ বার


৮। আলহামদু শরীফ -২০ বার


অতঃপর বিনয় ও নম্রতার সাথে একাগ্রচিত্তে লোক দেখানো ব্যতীত উক্ত খতম শরীফের সওয়াব বিশ্বনবী ছরওয়ারে আলম হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এর রূহে পাকে প্রেরণ করবে।



খতম শরীফ হযরত খাজা মূঈন উদ্দিন চিশ্তী আজমিরী (رحمة الله) 


পাঠের নিয়মাবলী


১। দরূদ শরীফ -১০ বার


২। আলহামদু শরীফ -১০ বার


৩। يَا قَـهَّارُ -৮০ বার


৪। সূরা তাকবীর শরীফ -৩০ বার


৫। সূরা এন্ফেতার শরীফ -২ বার


৬। সূরা এন্শেকাক্ শরীফ -১০ বার


৭। সূরা বুরুজ শরীফ -১৫ বার


৮। সূরা তারেক শরীফ -১৭ বার


৯। সূরা আ’লা শরীফ -৮ বার


১০। সূরা গাশিয়াহ্ শরীফ -৭ বার


১১। সূরা ফজর শরীফ -৪ বার


১২। يَا سَـتَّارُ -১৫ বার


১৩। يَا غَـفَّارُ  -৫০ বার


১৪। لَا مَلْجَآ وَلَا مَنْجَا مِنَ اللهِ اِلَّا اِلَيْهِ -৩৬০বার


১৫। সূরা আলামনাশরাহ শরীফ -৩৬০ বার


১৬। দরূদ শরীফ -১০ বার


১৭। خُذْبِيَدِىْ شَيْئًا لِلهِ يَا حَضْرَتْ شَهِنْشَاه خَوَاجَهْ مُعِيْنُ الدِّيْن چشْتِىْ اَجْمِيْرِىْ اَلْمَدَدْ -১০০ বার


১৮। দরূদ শরীফ  -১১ বার


১৯। আলহামদু শরীফ -১১ বার


অতঃপর আল্লাহ তাআলার দরবারে দোয়া করবে।



অনুরূপ পুনবার পাঠ করবেঃ


১। দরূদে আকবর -১১ বার


২। দরূদে হাজারী -১ বার


৩। দরূদে তাজ -১১ বার


৪। দরূদে লাখী -৩ বার


৫। দরূদে মাহী -৩ বার


৬। দরূদে আছমায়ে মোছতায়াজাত -১ বার


৭। সূরা বাকারা শরীফের শেষ রুকু -১ বার


৮। সূরা ফাতেহা  -১ বার


৯। দরূদ শরীফ -৩ বার


অতঃপর হযরত খাজা গরীবে নাওয়াজ (رحمة الله) এর রূহে পাকে ঈসালে ছওয়াব করে নিজ উদ্দেশ্যের জন্য প্রার্থনা করবে।



দ্বিতীয় প্রকার নিয়মাবলী


উদ্দেশ্যাবলী পুরণার্থে সংকটাপন্ন হতে মুক্তি লাভে এবং অন্যের উপর বিজয় ও সাহায্য লাভের উদ্দেশ্যে দু’রাকাআত নামাজ আদায় করবে। প্রথম রাকাআতে সূরা ফাতেহার পরে তিনবার আয়াতুল কুরছী এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতেহার পরে তিনবার সূরা বাকারার শেষ রুকু পাঠ করবে। নামাজ সমাপনান্তে


(১) সূরা ফাতেহা শরীফ -৩ বার


(২) সূরা আলামনাশরাহ শরীফ -১০৩ বার


(৩) দরূদ শরীফ শরীফ -১১ বার



অতঃপর কোমলতা ও নম্রতার সহিত স্ব স্ব মনো বাসনার জন্য মহান স্রষ্টার পাকপূর্ণ দরবারে প্রার্থনা করবে। ইন্শাআল্লাহ অতি দ্রুত তা’পূর্ণ হবে।


খতমে খাজেগানে নকশবন্দীয়া শরীফ (১ম নিয়ম)


এই খতম শরীফ এশার নামাজের পূর্বে বা পরে পড়া উত্তম।


পড়ার নিয়ম-কানুন নিম্নে বর্ণিত


যথা:-


১। সূরা ফাতেহা শরীফ -৭ বার


২। দরূদ শরীফ -১০০ বার


৩। সূরা আলামনাশ্রাহ শরীফ -৭৯ বার


৪। সূরা এখলাছ শরীফ -১০০০ বার


৫। সূরা ফাতেহা শরীফ -৭ বার


৬। দরূদ শরীফ -১০০ বার


৭। দোয়ায়ে ইউনুছ -৫০০ বার


৮। দরূদ শরীফ -১০০ বার


৯। কলেমা তাইয়্যেবা -১০০ বার


১০। يَا اَللهُ -১০০ বার


১১। يَا عَـزِيْـزُ -১০০ বার


১২। يَا وَدُوْدُ -১০০ বার


১৩। يَا كَـرِيْـمُ -১০০ বার


১৪। يَا وَهَّـابُ -১০০ বার


১৫। يَا حَـىُّ يَا قُـيُّـوْمُ -১০০ বার


১৬। حَسْبُنَا اللهُ وَ نِعْمَ الْوَكِيْلِ نِعْمَ الْمَوْلٰى وَنِعْمَ النَّصِيْـرِ -১০০বার


১৭। يَا قَاضِـىَ الْحَاجَاتِ -১০০ বার


১৮।  يَا دَافِـعَ الْـبَـلْيَاتِ -১০০ বার


১৯। يَا حَلَّالَ الْـمُشْكِـلَاتِ -১০০ বার


২০।  يَا كَافِـىَ الْـمُهِمَّاتِ -১০০ বার


২১।  يَا شَافِـىَ الْاَمْـرَاضِ -১০০ বার


২২। يَا مُنَـزِّلَ الْـبَـرَكَاتِ -১০০ বার


২৩।  يَا مُسَبِّـبَ الْاَسْـبَابِ -১০০ বার


২৪।  يَا رَافِـعَ الدَّرْجَـاتِ -১০০ বার


২৫।  يَا مُجِيْـبَ الدَّعْوَاتِ -১০০ বার


২৬। يَا اَمَانَ الْـخَائِـفِيْـنَ  -১০০ বার


২৭। يَا خَـيْـرَ النَّاصِـرِيْنَ  -১০০ বার


২৮। يَا دَلِيْلَ الْمُتَحَـيَّـرِيْنَ  -১০০ বার


২৯। يَا غِـيَاثَ الْـمُسْتَغِيْثِيْنَ اَغِـثْـنَا -১০০ বার


৩০। يَا مُـفَرِّحَ الْـمَحْزُوْنِيْنَ  -১০০ বার


৩১। رَبِّ اِنِّـىْ مَغْلُوْبٌ فَانْتَـصِـرْ -১০০ বার


৩২। يَا اَللهُ يَا رَحْمٰنُ يَا رَحِيْمُ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ-  -১০০ বার


وَصَلَّى اللهُ عَلٰى حَبِيْبِهِ سَيِّدِنَا وَمَوْلَانَا مُحَمَّدٍ وَ عَلٰى آلِـهِ وَ اَصْحَابِهِ اَجْمَعِيْنَ .





খতমে গাউছিয়া শরীফের অন্য একটি নিয়ম


প্রথমে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার এই তিন দিনে তিনটি রোজা রাখবে। অতঃপর শুক্রবারে দু’রাকাত নামাজ (উভয় রাকাতে সূরা ফাতেহার পরে একবার আয়াতুল কুরছী ও এগার বার সূরা এখলাছ) পড়বে। অতঃপর কেবলামুখী বসে এই খতম শরীফ আরম্ভ করবে।


১। اَسْتَغْفِرُاللهَ الْعَظِيْمَ الَّذِىْ لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْحَـىُّ الْقَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْهِ-১১১ বার


২। দরূদ শরীফ -১১১ বার


৩। কলেমা তামজীদ -১১১ বার


৪। আলামনাশ্রাহ শরীফ -১১০০ বার


অতঃপর এসব কিছুর সওয়াব কেবলায়ে আলম, পীরানে পীর, হুজুর গাউছুল আজম (رحمة الله) এর পবিত্র রূহ শরীফে প্রেরণ করবে। সত্তর বার আপন উদ্দেশ্যের প্রার্থনা করবে এবং ৫৬ বার يَا مُجِيْبُ  পড়বে।


খতম শরীফ হযরত মাখদুম রাদুলবী (رحمة الله)


এই খতম শরীফ ইহকাল ও পরকালের উদ্দেশ্য পূরণে অধিক ক্রিয়াশীল


পাঠের নিয়মাবলী


এশা নামাজের চার রাকাত সুন্নাত সমাপনান্তে ফরজ নামাজের পূর্বে এগার বার নিম্নোক্ত দরূদ শরীফ পাঠ করবে।


اَللهم صَلِّ عَلٰى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَ عَلٰى آلِـهِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ بِعَدَدِ كُلِّ مَعْلُوْمٍ لَكَ.


অতঃপর ৩৬০ বার এই দোয়া পাঠ করবে।


حَقٌّ حَقٌّ حَقٌّ بِـحَقِّ شَيْخ اَحْمَدْ عَبْدُ الْـحَقْ يَا مُسْتَغِيْثُ اَغِثْنِـىْ وَامْدُدْنِىْ فِـىْ قَضَاءِ حَاجَـتِـىْ - 


এই খতম শরীফ আদায়কালে পোষাক-পরিচ্ছেদ পাক পবিত্র করা এবং আগর বাতি জ্বালানো বাঞ্চনীয়।



খতমে হযরত আলা উদ্দিন ছাবের কলিয়রী (رحمة الله) শরীফ


এই খতম শরীফ যারা পাঠ করবে তারা উভয় জাহানের উদ্দেশ্যাবলীতে সফলকাম হবে।


পাঠের নিয়মাবলী


১। এস্তেগফার -১০০ বার


২। দরূদ শরীফ -১০০ বার


৩। বিছমিল্লাহ শরীফ -১০০ বার


৪। সূরা ফাতেহা শরীফ -৬০ বার


৫। সূরা আলে এমরান শরীফ -১০ বার


৬। সূরা আনআম শরীফ -১০০ বার


৭। সূরা আনফাল শরীফ -৭০ বার


৮। দরূদ শরীফ -১০০ বার


৯। সূরা ফাতেহা শরীফ -৭ বার


এসব পাঠের পর সওয়াব হযরত আলা উদ্দিন ছাবের কলিয়রী (رحمة الله) এর রূহে পাকে প্রেরণ করবে।


অতঃপর নিজ উদ্দেশ্যের জন্য প্রার্থনা করবে ইন্শাআল্লাহ কৃতকার্য হবে।


খতমে হযরত নিজাম উদ্দিন আউলিয়া (رحمة الله) শরীফ


পড়ার নিয়মাবলী



১। দরূদ শরীফ            -৬ বার


২। সূরা ইয়াছিন শরীফ    -৩ বার


৩। সূরা মুদ্দাচ্ছির শরীফ   -১০ বার


৪। সূরা কিয়ামাহ শরীফ   -৩০০ বার


৫। সূরা এখলাছ শরীফ    -৩০০ বার


৬। يَا كَـرِيْـمُ             -৮০ বার


৭। يَا رَحِـيْـمُ              -১৬ বার


৮। يَا جَـبَّـارُ             -১৬০ বার


৯। يَا سَـتَّـارُ    -১০০০ বার 


অতঃপর বিনয় ও নম্রতার সাথে সূরা ‘র্আ রহমান’ পাঠ করতঃ প্রার্থনা করবে যে, মহান আল্লাহ তাআলা হযরত নিজাম উদ্দিন আউলিয়া (رحمة الله)কে এই পবিত্র খতম শরীফের সওয়াবের বরকতে যেন জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।



বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহীম


যাবতীয় উদ্দেশ্যে সাফল্য লাভ, বিজয় অর্জন, উন্নতি ও অগ্রগতি লাভের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত দোয়াসমূহ অতি উৎকৃষ্ট ও দ্রুত ফলপ্রসূ। (যাহা আলা হযরত (رحمة الله)এর ‘আল্ ওয়াজীফাতুল কারিমাহ’ নামক গ্রন্থ হতে সংকলিত।


১। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর নিয়মিত ‘আয়াতুল কুরছি’ পাঠ করবে। 


২। রজনীতে নিদ্রার সময় ‘শরীর বন্ধন ও পরিবেষ্টনের’ উদ্দেশ্যে বিছমিল্লাহ শরীফের ‘রাহীমের’ মীম্কে ‘আলহামদু’ এর লামের সাথে যুক্ত করে সূরা ফাতেহা শরীফ একবার পাঠ করবে। আয়াতুল কুরছী একবার, চার কুল শরীফ একবার পড়ে সূরা এখলাছ শরীফের পূর্বাপর তিন, তিনবার দরূদ শরীফ সহকারে তিনবার পাঠ করবে এবং তিন বার বিছমিল্লাহ শরীফ পাঠান্তে ঘুমাবে।


ফজরের নামাজের পর সূর্যোদয়ের পূর্বে এবং মাগরিবের পর নিম্নোক্ত দোয়া সমূহ পাঠ করবে।


১। حَسْبِىَ اللهُ لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ -১০ বার


২। رَبِّ اِنِّـىْ مَسَّنِـىَ الضُّرُّ وَاَنْتَ اَرْحَمُ الرَّاحِمِيْنَ  -১০ বার


৩। رَبِّ اِنِّـىْ مَغْلُوْبٌ فَانْتَصِـرْ -১০ বার


৪। سَيُهْزَمُ الْجَمْعُ وَيُوَلُّوْنَ الدُّبُـرَ -১০ বার


৫। اَللهم اِنَّا نَجْعَلُكَ فِـىْ نُحُوْرِهِمْ وَنَعُوْذُبِكَ مِنْ شُرُوْرِهِمْ -১০ বার


৬। بِسْمِ اللهِ الَّذِىْ لَا يَضُرُّ مَعَ اِسْمِه شَيْئٌ فِى الْاَرْضِ وَلَا فِى السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ .  -৩ বার


৭। رَبَّنَا لَا تَقْتُلْنَا بِغَضْبِكَ وَلَا تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ . -৩ বার


৮। سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ مَاشَاءَ اللهُ كَانَ وَمَالَمْ يَشَاءْ لَمْ يَكُنْ اَعْلَمُ اِنَّ اللهَ عَلٰى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ وَ اِنَّ اللهَ قَدْ اَحَاطَ بِكُلِّ شَيْئٍ عِلْمًا .   -৩ বার


৯।  اَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ -৩ বার


১০। يَا حَافِظُ يَا حَفِيْظُ يَا رَقِيْبُ يَا وَكِيْلُ يَا سَلَامُ يَا كَبِيْرُ يَا مُحِيْطُ -৩ বার


১১। اِنَّ رَبِّـىْ عَلٰى كُلِّ شَيْئٍ حَفِيْظٌ فَاللهُ خَيْرٌ حَافِظًا وَّهُوَ اَرْحَمُ الرَّاحِمِيْنَ وَاللهُ مُحِيْطٌ بِالْكَافِرِيْنَ وَاللهُ مِن وَّرَائِهِمْ مُحِيْطٌ بَلْ هُوَ قُرْآنُ مَّجِيْدٌ فِىْ لَوْحٍ مَحْفُوْظٍ . -৩ বার


১২। وَالشّمْسُ وَالْقَمْرُ وَالنَّجُوْمُ مَسَخَّرَاتٌ بِاَمْرِهِ اَلَا لَـهُ الْخَلْقَ وَالْاَمْرُ تَبَارَكَ اللهُ رَبُّ الْعَالَمِيْنَ .  -৩ বার


নিজ ও বিশ্ব মুসলিমের নিরাপত্তার জন্য এক শত বার সূরা ফাতেহা শরীফ প্রাতঃকাল ও সন্ধ্যা হতে যে কোন একটি সময় নির্ধারিত করে বিছমিল্লাহর শেষের মীম সূরা ফাতেহার লামের সহিত যুক্ত করে পাঠ করবে, অথবা এরূপে পাঠ করবে যে, ফজরের নামাজের পর ৩০ বার, জোহরের নামাজের পর ২৫ বার, আছরের নামাজের পর ২০ বার, মাগরিবের নামাজের পর ১৫ বার, এশার নামাজের পর ১০ বার। যখন পাঠ করবে তখন স্বীয় উদ্দেশ্যের সফলতার জন্য প্রার্থনা করবে। যে ব্যক্তির সুযোগ হয় না সে প্রত্যেক নামাজের পর ৭ বার পড়ে দোয়া করবে। যদি সে সুযোগও না হয় তখন সকাল-সন্ধ্যা ৭ বার করে পাঠ করবে।


ফজরের নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে রুকু করার পূর্বে ইমাম ও মোক্তাদী যার স্মরণ হয় সে নিম্নস্বরে বিতরের ন্যায় পাঠ করবে।


দোয়া মাছুরা اَللهم اِنَّا نَسْتَعِيْنُكَ হতে اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ পর্যন্ত পড়ে নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করবে।


اَللهم اِنِّـىْ اَسْئَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ وَالْمُعَافَاةَ الدَّائِمَةَ لِىْ وِلِوَالِدَىَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ فِى الدِّيْنِ وَالدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ- اَللهم اغْفِرْلِىْ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ وَاَلِّفْ بَيْنَ قُلُوْبِهِمْ وَاَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِهِمْ- اَللهم الْعَنِ الْكَفْرَةَ الَّذِيْنَ يُكَذِّبُوْنَ رُسُلَكَ وَيُقَاتِلُوْنَ اَوْلِيَائَكَ- اَللهم خَالِفْ بَيْنَ كَلِمَتِهِمْ وَزَلْزِلْ اَقْدَامَهُمْ وَاَنْزِلْ عَلَيْهِمْ بَأسَكَ الَّذِىْ لَا يُرَدُّ عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِيْنَ- اَللهم شَتِّتْ شَمْلَهُمْ وَ مَزِّقْ جَمْعَهُمْ وَدَمِّرْ دِيَارَهُمْ وَكَسِّرْ اَعْمَارَهُمْ وَ حَزِّبْ بُنْيَانَهُمْ وَاَفْسِدْ تَدَابِيْرَهُمْ وَاجْعَلْ بَأسَ بَعْضِهِمْ عَلٰى بَعْضٍ وَ مَزِّقْهُمْ كُلَّ مُمَزَّقٍ- اَللهم يَا مُنْتَقِمُ اِنْتَقِمْ مِنْهُمْ عَاجِلًا يَا مُذِلَّ كُلَّ جَبَّارٍ وَ عَنِيْدٍ بِقَهْرٍ عَزِيْزٍ سُلْطَانَهُ يَا مُذِلُّ يَا قَاهِرُ ذَالْبَطْشِ الشَّدِيْدِ اَنْتَ الَّذِىْ لَا يُطَاقُ اِنْتِقَامُهُ يَا قَاهِرُ-


দোয়া মাছুরা স্মরণ থাকলে তা পাঠ করবে। নামাজের ওয়াক্তের প্রতি দৃষ্টিপাত রাখবে যে, কখনও অধিক পাঠের ফলে বিলম্ব হয়ে সূর্য উদিত না হয়। তাই নামাজ অতি পূর্বে প্রথম ওয়াক্ত হতে আরম্ভ করবে। যদি কোন দিন বিলম্ব হয় তখন দোয়া মাছুরা اَللهم اِنَّا نَسْتَعِيْنُكَ পাঠান্তে রুকু করে নিবে।



যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত আমল করতে চায় সে তা’করবে।


রাত্রে কিংবা দিবসে দু’রাকাত করে বার রাকাত নফল নামাজ আদায় করবে। শেষের দু’রাকাতে সালামের পূর্বে সেজদায় সূরা ফাতিহা ৭ বার, আয়াতুল কুরছী ৭ বার পাঠ করবে। আরও পড়বে।


لَا اِلٰـهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَـهُ الْحَمْدُ يُحْيِىْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ حَـىٌّ لَا يَمُوْتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ- اَللهم اِنِّـىْ اَسْئَلُكَ بِمَقَاصِدِ الْعِزّ مِنْ عَرْشِكَ وَمُنْتَحِىَ الرَّحْمَةِ مِنْ كِتَابِكَ وَ بِـاِسْمِكَ الْاَعْظَمِ وَ كَلِمَتِكَ التَّامَّةِ اَنْ تُقْضِىَ حَاجَتِـىْ-


(এখানে এসে স্বীয় মনোবাসনার কথা স্মরণ করবে)


অতঃপর পূনরায় পাঠ করবেঃ


اَللهم اغْفِرِ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ وَاَلِّفْ بَيْنَ قُلُوْبِهِمْ وَاَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِهِمْ وَانْصُرْهُمْ عَلٰى عَدُوِّكَ وَعَدُوِّهِمْ- اَللهم اِلْعَنِ الْكَفَرَةَ الَّذِيْنَ يُكَذِّبُوْنَ رُسُلَكَ وَيُقَاتِلُوْنَ اَوْلِيَائَكَ- اَللهم خَالِفْ بَيْنَ كَلِمَتِهِمْ وَزَلْزِلْ اَقْدَامَهُمْ عَلَيْهِمْ بَأسَكَ الَّذِىْ لَايُرَدُّ عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِيْنَ- اَللهم انْصُرِ الْاِسْلَامَ وَالْمُسْلِمِيْنَ- اَللهم اَعِزِّ الْاِيْمَانَ وَالْمُؤْمِنِيْنَ- اَللهم اَذِّلِ الْكُفْرَ وَالْكَافِرِيْنَ وَاخْذُلِ الشِّرْكَ وَالْمُشْرِكِيْنَ- اَللهم شَتِّتْ شَمْلَهُمْ وَفَرِّقْ جَمْعَهُمْ وَقَصِّرْ اَعْمَارَهُمْ وَحَرِّبْ بُنْيَانَهُمْ وَاَفْسِدْ تَدَابِيْرَهُمْ وَمَزِّقْهُمْ كُلَّ مُمَزَّقٍ يَا قَاهِرُ ذَالْبَطْشِ الشَّدِيْدِ اَنْتَ الَّذِىْ لَايُطَاقُ اِنْتِقَامُهُ- يَا قَاهِرُ بِشِدَّةِ قَهْرَةٍ وَقُوَّتِهِ وَبَطْشِهِ عَلٰى الطَّائِفَةِ الظَّالِمِيْنَ الْجَبَّارِيْنَ وَالْمُتَكَبِّرِيْنَ الْمُتَمَرِّدِيْنَ بِالشَّدِيْدِ الْبَطَشِ يَا عَظِيْمَ الْقَهْرِ يَامُنْتَقِمُ مِنْ كُلِّ ذِىْ مَسْطُوْرَةٍ مَّكِيْنٍ- يَا مُذِلَّ كُلَّ جَبَّارٍ عَنِيْدٍ- بِقَهْرٍ عَزِيْزٍ سُلْطَانِـهِ- يَا مُذِلُّ اَيِّدْنَا بِنَصْرٍ مِّنْكَ وَفَتْحٍ مُّبِيْنٍ حَتَّى نَقْهَرَ اَعْدَائَنَا اَجْمَعِيْنَ-


اَللهم لَا تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لَايَرْحَمُنَا وَكُفَّّ اَيْدِىَ الظَّالِمِيْنَ عَنَّا وَاجْعَلْ بَأسَ بَعْضِهِمْ عَلٰى بَعْضٍ وَانْصُرْنَا عَلٰى الْقَوْمِ الْكَفِرِيْنَ وَاحْفَظْنَا عَنْ شُرُوْرِ الْمُفْسِدِيْنَ- اَللهم اقْذِفِ الرُّعْبَ فِىْ قُلُوْبِهِمْ وَلَا تَجْعَلْ لَهُمْ عَلَيْنَا سَبِيْلًا رَبَّنَا اَطْمِسْ عَلَى وُجُوْهِ اَعْدَائِنَا وَامْسَخْهُمْ عَلَى مَكَانَتِهِمْ فَلَا يَسْتَطِيْعُوْنَ مُضِيْئًا وَّلَا يَرْجِعُوْنَ-


যদি কোন ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা নামাজান্তে ১০০ বার سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه- سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيْمِ পাঠ করবে। তখন সে অসংখ্য পূণ্য, বরকত এবং ইহকাল ও পরকালের উন্নতি-অগ্রগতি লাভ করবে এবং পাপসমূহ মার্জিত হবে।


--০০--




আত্তোহ্ফাতুল গাউছিয়া (দ্বিতীয় খণ্ড)

اَلتُّـحْـفَـةُ الْـغَـوْثِـيَـةُ

حـصَّـه دوم

(বর্ণিত খতম শরীফ সমূহ ছিলছিলাহভুক্ত কোন হক্কানী-রব্বানী, পীর-মাশায়েখের অনুমতি সাপেক্ষে পাঠ করা আবশ্যক)

নিম্নে কয়েকটি অজিফা ও খতম শরীফ এবং উপকারী


ফাতেহা শরীফের তারতীব দেয়া হলো


১। যদি কোন ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর কমপক্ষে হলেও একবার ‘আয়াতুল কুরছী’ পাঠ করবে তাহলে ঐ ব্যক্তির ঈমান কখনো ক্ষতিগ্রস্ত ও ক্রটি-বিচ্যুতি হবে না। ইহা ছাড়াও প্রত্যেক প্রকার সন্দেহ ও শয়তানি ধোঁকা এবং বালা-মুছিবত থেকে সে হিফাজতে থাকবে। হিসাব নিকাশ ব্যতীত বেহেশতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি রাত্রে শয়ন করার সময় এবং সকালে শয়ন থেকে উঠার সময় প্রত্যেক দিন নিয়মিতভাবে ‘আয়াতুল কুরছী’ পাঠ করে নিজের শরীরের উপর ফুঁক দিবে তাহলে শয়তান তার উপর কখনো বিজয়ী হবে না। এ ভাগ্যবান ব্যক্তির গুনাহ মাফ হয়ে যাবে এবং তার উপর সর্বাক্ষণিকভাবে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।


২। নিজ অন্তরকে আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীনের দিকে ধাবিত করার উপকারী পন্থা হচ্ছে- প্রত্যেক নামাজের পর ১১ বার নিম্ন লিখিত আয়াতে কারীমাটি পাঠ করবে তাহলে আল্লাহ তাআলার ফজলে করম ও তাঁর অসীম অনুগ্রহে সে ব্যক্তির অন্তরের মধ্যে আল্লাহ তাআলার ইশ্ক ও মুহাব্বতে ভরপুর হবে। আয়াতে কারীমাটি হচ্ছেঃ


فَاسْتَقِمْ كَمَا أُمِرْتَ وَمَنْ تَابَ مَعَكَ


৩। যে ব্যক্তি নিয়মতিভাবে প্রত্যেক নামাজের পর সঠিক অন্তরের সাথে নিম্ন বর্ণিত দোয়াটি নিজের উপর আবশ্যিক জেনে পাঠ করবে, তাহলে আল্লাহ তাআলার ফজলে করমে ঐ ব্যক্তির অন্তর আল্লাহ তাআলার মুহাব্বত ও নূরে ইলাহীতে ভরপুর হয়ে যাবে। দোয়াটি নিম্নরূপঃ


اَللهم حَرِّقْ قَلْبِىْ بِنَارِ عِشْقِكَ وَاَرْزُقْنِىْ اِزْدِيَادِ مُحَبَّتِكَ حَتَّى لَا يَبْقٰى شَيْئٌ غَيْرُكَ-


৪। যদি কোন ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের পর ‘কলেমায়ে তাওহীদ’


لَا اِلٰـهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَـهٗ  لَـهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِىْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ حَىٌّ لاَ يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدًا ذُوْالْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ، بِيَدِه الْخَيْرُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ.


পাঠ করবে, তাহলে ঐ ব্যক্তির নামাজ আল্লাহ পাকের দরবারে কবুল হয়ে যাবে এবং তাকে আল্লাহ তাআলার মুহাব্বতের মধ্যে ভাসিয়ে দিবে।


৫। আউলিয়ায়ে কেরামগণ এ বর্ণনা করেছেন যে, যদি কোন ব্যক্তি اَللهم قَلِّبْ قَلْبِىْ مَاتُحِبُّ وَتَـرْضٰى এ দোয়াটি খুব বেশী করে পাঠ করবে, তাহলে ঐ ব্যক্তির অন্তর আল্লাহ তাআলার দিকে ধাবিত হবে। যদিওবা সে ব্যক্তি বেওফা ও নাফরমান হোক না কেন তারপরও তার অন্তরে আল্লাহ তাআলার মুহাব্বত ও ইবাদত বন্দেগীর প্রতি অধিক আগ্রহী হবে।


৬। বুজুর্গ ব্যক্তির কবর জিয়ারত এবং তাঁর থেকে ফয়েজ অর্জন করার নিয়ম নিম্নরূপ


সর্ব প্রথম আপনি কোন কামিল ওলীর নিকট বায়াত গ্রহণ করতঃ তারপর প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এশার নামাজের পর ‘আয়াতুল কুরছী’ এবং চার কুল অর্থাৎ সূূরায়ে কাফেরূন, সূরায়ে এখলাছ, সূরায়ে ফালাক্ব ও সূরায়ে নাছ’ পাঠ করার পর নিজের বক্ষের উপর দম কর, অতঃপর দশবার ‘আল্হামদুলিল্লাহ’ শরীফ আল্লাহ পাকের সমস্ত আসমায়ে হুছনা এবং রাসূলে পাক (ﷺ) এর সমস্ত আসমায়ে মোবারাকা পাঠ করে ডান দিকে ফুঁক প্রদান কর,তারপর একশত বার দরূদ শরীফ পাঠ করে মাথার দিকে ফুঁক দাও এবং সূরায়ে ‘আলাম নাশরাহ’ পাঠ করতে করতে খাট অথবা বিছানার উপর সোজা হয়ে শুয়ে পড়, যাতে করে এমতাবস্থায় নিদ্রা এসে যায়, তাহলে আল্লাহ তাআলার অসীম রহমত ও অনুগ্রহে স্বপ্নযোগে আপনার তালাশকৃত বুজুর্গ ব্যক্তির সন্ধান মিলবে। অর্থাৎ যে বুজুর্গ ব্যক্তিকে আপনি স্বপ্নযোগে সাক্ষাৎ করতে চান অবশ্যই ঐ বুজুর্গের জিয়ারত নসীব হবে। যেমন: হযরত ছৈয়দুনা গাউছে পাক (رضي الله عنه), হযরত খাজা আজমীরি (رضي الله عنه), মোজাদ্দেদে আল্ফে সানী, বাহাউদ্দীন ন❏বন্দী, দাতা গন্জে বখ্শ লাহোরী, হযরত নেজাম উদ্দিন আউলিয়া, শায়খ ফরিদ উদ্দীন গন্জে শেকর রাহমাহুমুল্লাহু তাআলা ইত্যাদি।


এমনিভাবে একচলি­শ দিন পর্যন্ত উক্ত আমলটি করে সমস্ত বুজুর্গানে কেরামের জিয়ারত করার পর তাদের বাতেনী শক্তি (صفائى باطن) নসীব হবে। সে যে কোন মাজারের পার্শ্বে ওজু সহকারে তথা পরিস্কার অন্তরে দু’জানো হয়ে বসে মোরাকাবা করলে আল্লাহ তাআলার ফজলে করমে উক্ত বুজুর্গ ব্যক্তির সাক্ষাৎ লাভে সক্ষম হবেন এবং তার অন্তর নূর ও পরহেজগারীতে আলোকিত হয়ে প্রত্যেক প্রকারের গুনাহ ও পাপ কাজ থেকে সম্পূর্ণরূপে পাক হয়ে যাবে। তখন ঐ ব্যক্তি উক্ত বুজুর্গের সাথে সামনা সামনি কথাবার্তা বলা এবং তাঁর ফুয়ুজাত অর্জন করার সৌভাগ্য নসীব হবে। এ ফকীর অপদার্থকেও উক্ত দোয়ার মধ্যে শামিল রাখিও।


৭। হযরত খাজা বাকী বিল্লাহ (رحمة الله) এর খতম শরীফের তারতীব


হযরত মোজাদ্দেদে আল্ফে সানী (رحمة الله) এবং নূরুল আনোয়ার এর প্রণেতা হযরত মোল্লা জিওন (رحمة الله) ইত্যাদি বুজুর্গ আকাবের গণের পীর ও মোরশেদ হযরত ছৈয়দুনা খাজা বাকী বিল্লাহ নক্শবন্দী ওয়াইছি দেহলভী (رحمة الله) এর খতম শরীফ রিজিক বৃদ্ধি হওয়ার জন্য একটি পরীক্ষিত আমল। ইহার বরকতের মাধ্যমে আল্লাহপাক জাল্লা শানুহু বালা-মুছিবত এবং যাবতীয় পেরেশানি থেকে হিফাজত রাখবে।



খতম শরীফের তারতীব নিম্নে দেয়া হলো


মাগরিবের নামাজের পর প্রথমে ১০০ বার بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ১০০ বার يَا بَاقِـىْ اَنْتَ الْـبَاقِـىْ এবং দরূদ শরীফ আগে ও পরে ১১ বার করে পাঠ করতে হবে।


অতঃপর হযরত খাজা বাকী বিল্লাহ আলাইহি রাহমাহ ও নক্শে বন্দীয়া তরিকার পীর বুজুর্গদের উছিলা নিয়ে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনের পবিত্র দরবারে নিজ উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য দোয়া করলে ইন্শা আল্লাহ কামিয়াবী অর্জন হবে।


বিঃদ্রঃ- হযরত খাজায়ে খাজাগানে নক্শবন্দীয়া (رحمة الله) এর আরওয়াহে তৈয়বার উপর ইছালে ছাওয়াব করা আবশ্যক।


৮। যে ব্যক্তি প্রথম ও শেষে ১১ বার দরূদ শরীফ পাঠ করবে, অতঃপর চলা-ফেরা, উঠা-বসা, এমনকি সর্বাবস্থায় ওজু সহকারে নিম্নে বর্ণিত অজিফাটি সংখ্যা ও গণনা ব্যতীত পাঠ করলে আল্লাহর রহমতে উক্ত অজিফার বরকত ও সম্মানার্থে কয়েক দিনের মধ্যে তার পেরেশানী ও অর্থাভাব দূরীভুত হয়ে প্রশস্থতা হাসিল হবে। অজিফাটি নিম্নরূপঃ


يَا كَافِـىُّ – يَا غَـنِـىُّ – يَا رَزَّاقُ – يَا فَـتَّاحُ


৯। যদি কোন ব্যক্তি মামলা মোকাদ্দমার মধ্যে গ্রেপ্তার হয় এবং মুক্তি লাভের কোন সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে নিম্ন বর্ণিত দরূদ শরীফ অত্যাধিক পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহর রহমতে কামিয়াবী অর্জন করতে সক্ষম হবে।


দরূদ শরীফটি নিম্নরূপ


اَلصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا سَيِّدِىْ يَا رَسُوْلَ اللهِ اَغِثْنَا يَا رَسُوْلَ الثَّقَلَيْنِ اَنْتَ حَقٌّ مُنِيْبٌ بِيَدِيْهِ اللهُ اَللهُ اَللهُ-


১০। নিজের মুখমন্ডলকে সৌন্দর্য্য ও আলোকিত করার জন্য প্রতিদিন নিয়মিতভাবে অধিকহারে নিম্নবর্ণিত দোয়াটি পাঠ করলে তা কার্যকর হবে। তবে দোয়াটি পাঠ করার আগে ও পরে দরূদ শরীফ পড়তে হবে। দোয়াটি হচ্ছে-


بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ يَا نُوْرَ السَّمَواتِ وَالْاَرْضِ-


১১। যে ব্যক্তি নামাজ শেষে নিয়মিতভাবে ‘তাছবীহে ফাতেমী’ অর্থাৎ


سُـبْحَانَ اللهِ -৩৩ বার,


اَلْـحَمْـدُ لِلهِ -৩৩ বার,


اَللهُ اَكْـبَـرُ -৩৪ বার,


অতঃপর ১বার কলেমায়ে তৈয়বা لَا اِلٰـهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدُ رَّسُوْلُ اللهِ পাঠ করবে, যদিওবা সে ব্যক্তি মাথার তালু হতে পায়ের তালু পর্যন্ত গুনাহের মধ্যে ডুবে থাকুক না কেন তারপরও আল্লাহ পাক তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন।


১২। প্রত্যেকে নিজ নিজ উদ্দেশ্যে সাফল্য অর্জনের লক্ষে নিম্নবর্ণিত অজিফাটি অধিক পরিমাণে পড়তে থাকলে আল্লাহর রহমতে তার উদ্দেশ্য হাছিল হবে। অজিফাটি নিম্নে দেয়া হলোঃ


১। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ -২০০ বার


২। لَا اِلٰـهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدُ رَّسُوْلُ اللهِ  -২০০ বার


৩। اَسْتَغْفِرُ اللهَ رَبِّـى مِنْ كُلِّ ذَنْب وَاتُوْبُ اِلَيْهِ -১০০ বার


৪। لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ -১০০ বার


৫। صَلَّى اللهُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ - -৫০০ বার


উক্ত অজিফাগুলি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে পড়তে থাকলে ইন্শাআল্লাহ কামিয়াব অর্জিত হবে এবং সাথে সাথে সমস্ত উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে।


১৩। পবিত্র শবে ক্বদরের তারিখ নির্ণয় করার একটি পরীক্ষিত নিয়ম নিম্নে দেয়া হলো


যদি পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম তারিখটি রবিবার হয়ে থাকে তাহলে রমজানের ২৯ তারিখ শবে ক্বদর হবে। আর যদি রমজানের প্রথম তারিখ সোমবার হয়ে থাকে তাহলে ২১শে রমজান শবে কদর। রমজানের প্রথম তারিখ মঙ্গলবার হয়, তাহলে ২৭শে রমজান শবে ক্বদর। রমজানের প্রথম তারিখ বুধবার হলে ২৯শে রমজান শবে ক্বদর। রমজানের প্রথম তারিখটি যদি বৃহস্পতিবার হয় তাহলে ২৫শে রমজান শবে ক্বদর হবে। আর যদি রমজানের প্রথম তারিখ শুক্রবার হয় তবে ২৭শে রমজান শবে ক্বদর। অনুরূপভাবে ১লা রমজান যদি শনিবার হয়ে থাকে তাহলে ২৩শে রমজান পবিত্র শবে ক্বদর হবে।


১৪। যদি কোন ব্যক্তি এক সালামের মাধ্যমে চার রাকাত নামাজ পড়া আরম্ভ করে, তম্মধ্যে প্রথম রাকাতে সূরা ফাতেহার পর سُوْرَةُ سَبِّحِ اسْمَ ৩ বার, দ্বিতীয় রাকাতে اَلَمْ نَشْرَحْ -৩ বার,  তৃতীয় রাকাতে اِنَّا اَنْزَلْنَا - ৩ বার, চতুর্থ রাকাতে قُلْ هُو اللهُ اَحَدٌ -৩ বার পাঠ করে নামাজ শেষ করার পর পূনরায় সিজদায় গিয়ে নিম্নবর্ণিত দোয়াটি পাঠ করবে তাহলে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনের রহম এবং করমের বদৌলতে ঐ ব্যক্তির সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তাঁর রহমতের দ্বারা উক্ত ব্যক্তির গুনাহ ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে দেয়া হবে। দোয়াটি নিম্নরূপঃ


اَللهم اَنْتَ الْعَالِمُ اِلٰى الْمَعَاصِىْ فَاِنْ لَمْ يَعْصِمْنِىْ لَا عَوْنَ مَـرَّةً لَا تَعْفُوْهَا اِلَّا اَنْتَ -


১৫। খতমে খাজাগানে নক্শেবন্দীয়া


ইহা একটি পরীক্ষিত এবং অনেক উপকারী। এ খতম শরীফটি শুধু নিজে অথবা দু’জন বা কয়েকজন ব্যক্তি মিলিত হয়ে একত্রেও পড়া যায়। উক্ত দোয়াটি পড়ার আগে ও পরে একশত বার করে দরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে। দোয়াটি হচ্ছে يَا بَدِيْعَ الْعَجَائِبِ بِالْخَيْرِ يَا بَدِيْعُ উক্ত দোয়াটি ১২০০ বার পাঠ করার পর উদ্দেশ্য পূরণের জন্য আল্লাহ পাকের দরবারে প্রার্থনা করলে ইন্শাআল্লাহ তা কবুল করা হবে।


১৬। খতমে মাজহারীয়া শরীফের তারতীব


উক্ত খতম শরীফটি হযরত মির্জা মাজহার জানে জান শহীদ নক্শেবন্দী মোজাদ্দেদী দেহলভী (رحمة الله) এরশাদ করেছেন যে, রোগাক্রান্ত ব্যক্তির সুস্থতার জন্য উক্ত তারতীবটি অত্যন্ত উপকারী। তবে উক্ত দোয়াটি পাঠ করার আগে ও পরে ১১ বার করে দরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে। দোয়াটি হচ্ছে يَـا سَـلَامُ ইহা ১২৫০০০ বার পড়ে রোগাক্রান্ত ব্যক্তির রোগ মুক্তির জন্য আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করলে তার রোগ মুক্তি হবে।


১৭। যদি কোন ব্যক্তি প্রথমে দরূদ শরীফ পাঠ করে অতঃপর আল্লাহ তাআলার ছিফাতী নাম اَلْكَبِيْرُ الْمُتَعَالُ ৭৭৩ বার পাঠ করে দরূদ শরীফ পড়ে দোয়া করলে আল্লাহর ফজলে করমে তার দোয়া কবুল হবে।


১৮। নিজ উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য নিম্ন বর্ণিত দোয়াটির আগে ও পরে দরূদ শরীফ পাঠ করে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এক সপ্তাহ পড়তে থাকলে আল্লাহর রহমতে সপ্তাহের মধ্যে তার উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে। দোয়াটি হচ্ছেঃ لَا اِلٰـهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّىْ كُنْتُ مِّنَ الظَّالِمِيْنَ   ২৩৭৪ বার পড়তে হবে।


১৯। বালা-মুছিবত থেকে হেফাজত এবং ব্যবসা বাণিজ্য ও কাজ কর্মে উন্নতি হওয়ার জন্য নিম্ন বর্ণিত দোয়াটি বৃহস্পতিবার অথবা সোমবার খুলুছ নিয়তে কয়েকজন আলেম, হাফেজ দ্বারা আদায় করার পর আল্লাহ পাকের দরবারে দোয়া করলে উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে।


খতম শরীফের তারতীব নিম্নরূপ


১। اِسْتَغْفَارْ -১১ বার,


২। দরূদ শরীফ -১১ বার,


৩। দোয়ায়ে ইউনুছ لَا اِلٰـهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّىْ كُنْتُ مِّنَ الظَّالِمِيْنَ  -২৭০০বার,


৪। দরূদ শরীফ -১১০০ বার,


৫। سُـوْره الـم نَشْـرَح -১০০০ বার,


৬। سُوْره قُـرَيْش -১০০০ বার,


৭। سُـوْرَه كَـوْثَـرْ -১০০০ বার,


৮। سُوْرَه نَـصَرْ -৩০০ বার,


৯। سُـوْره اِخْلَاص -১১১১১ বার,


১০। দরূদ শরীফ -১০০০ বার।


২০। হযরত ছৈয়দুনা গাউছে পাক (رضي الله عنه) এর নির্দেশক্রমে হযরত ছৈয়দুনা মা’রূপ খরকী (رضي الله عنه) জোহর নামাজের পর নিয়মিতভাবে নিম্ন বর্ণিত অজিফাটি ১১ বার করে পাঠ করতেন। অজিফাটি হচ্ছে-


اَللهُ حَاضِـرِىْ- اَللهُ نَاظِـرِىْ – اَللهُ شَاهِدٌ عَلَـىَّ- اَللهُ مَعِـىْ- اَللهُ مَعِيْنِىْ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْـئٍ مُّـحِيْطٌ-


২১। যদি কোন ব্যক্তি দ্বীনি ও দুনিয়াবী কোন মুশকিল এবং কষ্টের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে থাকে তাহলে অজু করে খুলুছ নিয়তে একান্তভাবে বিশ্বাস করে দরূদ শরীফ এবং কলেমায়ে তৈয়্যবা পাঠ করার পর لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ পাঠ করবে। অতঃপর সূরায়ে ফাতেহা পাঠ করে উক্ত সূরা এবং দোয়া দরূদের সাওয়াব সমস্ত আম্বিয়ায়ে কেরাম (عليه السلام), আউলিয়ায়ে কেরাম, শোহাদায়ে কেরাম এবং সমস্ত ছিদ্দিকীনগণের রূহে বখ্শিশ করে দিন, ইন্শাআল্লাহ তাঁদের উছিলায় সে মুশকিল লাঘব হয়ে যাবে। (كلية التوحيد-২৮)


২২। হযরত শায়খ নাছির উদ্দীন চিশ্তী (رحمة الله)এর


শিরণী তৈরী করার নিয়ম


নিজ মকসুদ বা উদ্দেশ্য পূরণ হওয়ার জন্য হযরত শায়খ নাছির উদ্দীন ছানী চিশ্তী (رحمة الله) এর শিরণী তৈরীর নিয়মটি অতীব শুরুত্বপূর্ণ।


সাড়ে দশ সের (১০ ) আটা, সাড়ে দশ সের (১০ ) গরুর মাংস, এবং সোয়া দুই সের (২ ) গাভীর ঘি। খানা রান্নাকারী অবশ্যই পাক পবিত্র হয়ে অজু সহকারে সুন্নাত তরিকা অনুযায়ী হতে হবে।


মাংস এবং রুটির উপর হযরত শায়খ নাছির উদ্দীন ছানী চিশ্তী নেজামী এবং তাঁর সম্মানিত পিতামহ হযরত শায়খ মোজাদ্দেদ উদ্দীন চিশ্তী ইবনে শায়খ সিরাজুদ্দীন চিশ্তী ইবনে হযরত খাজা কামাল উদ্দীন, আল্লামা চিশ্তী খাওয়াহের জাদা হযরত মাখদুম খাজা নাছির উদ্দীন রওশনী চেরাগ দেহলী এবং হযরত সুলতানুল মাশায়েখ হযরত খাজা নেজামুদ্দীন আউলিয়া মাহ্বুবে এলাহি দেহলী (رحمة الله) এর ফাতেহা দিবে। ইন্শাআল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ হবে।


২৩। কুতুবুল আফাক হযরত ছৈয়দুনা শাহ্ আবদুর রাজ্জাক পান্ছভী (رحمة الله) এর শিরনী পাকানোর তারতীবটি মকছুদ হাছিল হওয়ার জন্য যথেষ্ট ও অতীব ফলপ্রসু। 


নিয়মটি নিম্নরূপ


সাড়ে দুই সের (২ ) মোরগের মাংস অথবা দু’টি মোরগ, সাড়ে তিন সের (৩ ) ময়দার রুটি, আড়াই পাবা (২ ) ঘি পাক পবিত্র হয়ে খাবার তৈরী করার পর ছৈয়দুনা হযরত শাহ্ আবদুর রাজ্জাক পান্ছভী (رحمة الله) এবং তাঁর পীর ও মুর্শিদ হযরত ছৈয়দ মীর আবদুচ ছমদ  খোদা নামা কাদেরী আহমদ আবাদী, মাখদুম হযরত শায়খ আবদুল হক চিশ্তী রদুলভী (رحمة الله) এবং তরিকায়ে কাদেরীয়া, তরিকায়ে চিশ্তীয়ার সমস্ত পীর মাশায়েখ ও বুজুর্গানে কেরামের রূহ মোবারকের উপর ইছালে ছাওয়াব পৌঁছিয়ে দিবে। ইন্শাআল্লাহ অতি সত্ত্বার তার উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যাবে।


২৪। হযরত মাখদুম শায়খ আহমদ আবদুল হক চিশ্তী (رضي الله عنه) এর খতম শরীফ


উক্ত খতম শরীফটি দ্বীনি এবং দুনিয়াবীর সমস্ত মকছুদ পূর্ণ হওয়ার জন্য পরীক্ষিত একটি আমল। তারতীব নিম্নরূপ


এশার নামাজের চার রাকাত সুন্নাত আদায় করার পর ১১ বার দরূদ শরীফ পাঠ করে اَللهم صَلِّ عَلٰى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَ عَلٰى آلِـه سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ بِعَدَدِ كُلِّ مَعْلُوْمٍ لَكَ.  এর পর ৩৬০ বার حَقٌّ حَقٌّ حَقٌّ بِـحَقِّ شَيْخ اَحْمَدْ عَبْدُ الْـحَقْ، يَا مُسْتَغِيْثُ اَغِثْنِـىْ فِـىْ قَضَاءِ حَاجَـتِـىْ - পাঠ করে পূনরায় উপরোলে­খিত দরূদ শরীফটি পাঠ করবে। উলে­খ্য যে, উক্ত খতম শরীফটি আদায় করার সময় কাপড় চোপড় পাক ও পরিস্কার হতে হবে এবং খুশবু ও আগর বাতি জ্বালিয়ে সুগন্ধিময় করা আবশ্যক।



২৫। হযরত খাজা মুহাম্মদ মাছুম নক্শেবন্দী (رحمة الله) এর খতম শরীফ


এ খতম শরীফটি সমস্ত মুশকিল থেকে রেহাই পাওয়া এবং নিজ উদ্দেশ্য সফল হওয়ার লক্ষ্যে হযরত খাজা মুহাম্মদ মাছুম নক্শেবন্দী মোজাদ্দেদী আলাইহে রাহমাহ এর খতম শরীফটি অতীব শুরুত্বপূর্ণ।


নিয়মটি নিম্নরূপ


আছর নামাজের পর يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ  ৫০০ বার, يَا سَمِيْعُ ৫০০ বার, তবে উক্ত দোয়া সমূহ পাঠ করার আগে ও পরে ১১ বার করে দরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে। অতঃপর হযরত খাজা মুহাম্মদ মাছুম নক্শেবন্দী ইবনে হযরত মোজাদ্দেদে আল্ফে সানী (رضي الله عنه)এবং খাজাগানে নক্শেবন্দীয়ার সমস্ত পীর মাশায়েখের রূহে পাকে ঈছালে ছাওয়াব পৌঁছাইবে। ইন্শাআল্লাহ তার মুশকিল দূরীভূত হবে এবং হাজত পূর্ণ হবে।


নোটঃ উক্ত খতম শরীফটি বৃহস্পতিবার আছরের নামাজের পর পড়তে পারলে তৎক্ষণাত ফলপ্রসূ হয়।


২৬। হযরত খাজা শামসুদ্দীন তুরক পানিপত্তি (رحمة الله) এর অজিফা শরীফ


ছৈয়দুনা হযরত মাখদুম ছৈয়দ আ’লা উদ্দীন আলী আহমদ ছাবের কলীয়ারী (رحمة الله) এর একমাত্র খলিফা ছৈয়দুনা হযরত খাজা শামসুদ্দীন তুরক চিশ্তী পানিপত্তি (رحمة الله) এর অজিফা শরীফটি মুশকিল দফে হওয়ার জন্য অতীব উপকারী। নিয়মটি নিম্নরূপঃ


এশার নামাজের পর অজু সহকারে يَا شَمْسُ الدِّيْنِ تُـرْك ১০০০০০ (এক লক্ষ) বার পড়বে, তবে প্রতি ১০০ বার পড়ার পর يَا شَمْسُ الدِّيْنِ تُرْك مُشْكِلْ كُشَا বলতে হবে। যদি একার পক্ষে সম্ভব না হয় তাহলে আরো কয়েকজন লোককে নিয়েও পড়া যাবে। তবে কাপড় এবং স্থান পাক পবিত্র ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হতে হবে এবং আগরবাতি জ্বালাতে হবে।


২৭। হযরত মাখ্দুম রাদুলভী (رحمة الله) এর অজিফা শরীফ


উক্ত অজিফা শরীফটি পাঠ করার নিয়ম হচ্ছে যদি কোন ব্যক্তি কঠিন মুছিবতের মধ্যে থাকে তাহলে রাত্রে পবিত্র ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন স্থানে অজু সহকারে বসে اَغِثْنِىْ وَامْدُدْ نِىْ يَا شَيِّخْ أحَمَدْ عَبْدُ الْحَقْ ৩৬০ বার পাঠ করলে ইন্শাআল্লাহ এক সপ্তাহের মধ্যে হাজত পূর্ণ হয়ে যাবে। তবে হাজত পূর্ণ হওয়ার জন্য তাজুল আউলিয়া হযরত মাখ্দুম শায়খ আহমদ হক চিশ্তী ছাবের রদুলভী (رحمة الله), তাঁর পীর ও মোর্শেদ হযরত মাখ্দুম শায়খ জালালুদ্দীন কবীরুল আউলিয়া চিশ্তী পানিপত্তি (رحمة الله) তাঁর পীর ও মোর্শেদ হযরত মাখ্দুম শায়খ শামসুদ্দীন র্তুক পানিপত্তি (رحمة الله), তাঁর পীর ও মোর্শেদ হযরত মাখ্দুম আলা উদ্দীন ছাবের কালীয়ারী (رحمة الله) সহ সমস্ত খাজাগানে চিশ্তীয়ার বেহেশ্তবাসী পীর মাশায়েখ গণের ফাতেহা নিয়াজ দিতে হবে।


২৮। মুশকিল দূরীভূত হওয়া


প্রথম নিয়ম


যদি কোন ব্যক্তি মুছিবতের মধ্যে পতিত হয়, তখন হযরত ছৈয়দুনা শায়খ মহিউদ্দীন আব্দুল কাদের জিলানী রহমাতুল্লাহে আলাইহে এর খেদমতে পাকের দিকে ধ্যান করে اَحْضُرُوا يَا مَلِكُ الْارُوْاحُ الْقُدُّس وَالْحَىُّ وَالْحَق পাঠ করে তিন বার ‘কলেমায়ে তৈয়্যবা’ এর আওয়াজটা নিজের কলবের দ্বারা উচ্চারণ করলে, তখন পীরানা পীর হযরত গাউছে পাক (رحمة الله) রূহানীভাবে তাশরীফ নিয়ে আসবেন ও আওয়াজ দিতে থাকিবে এবং ঐ ব্যক্তির মুশকিল দূরীভূত করে দিবেন। (شمس العارفين-৪)


দ্বিতীয় নিয়ম


সূরা ফাতেহা শরীফ - ১ বার।


সূরা এখলাছ শরীফ - ১ বার।


দরূদ শরীফ - ১ বার।


يَا شَيْخ عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ شَيًالِلهِ الْمدَدْ حاضر شود -১১১বার।


অতঃপর لَا اِلٰـهَ اِلَّا اللهُ তাসবীহ ক্বলবের মধ্যে দিয়ে ধ্যানে বসবে আল্লাহর রহমতে মুশকিল দূরীভূত হবে।


২৯। যদি কোন ব্যক্তি নিজের অন্তর থেকে শয়তানী কু-মন্ত্রণা থেকে হেফাজতে থাকতে চায়, তাহলে ঐ ব্যক্তির প্রয়োজন প্রথমে অজু করে পাক-পবিত্র ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করে নিরালা স্থানে কেবলার দিকে মুখ করে قَـعْـدَهْ এর নিয়মে (অর্থাৎ নামাজে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার নিয়মে) বসবে এবং নিম্নে বর্ণিত জিকির সমূহ পাঠ করে শরীরের উপর দম করবেন।


১। آيـةُ الْـكُرْسِىْ -৩ বার


২। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ -৩ বার


৩। দরূদ শরীফ -৩ বার


৪।  سَلَامٌ قَوْلًا مِنْ رَبِّ رَّحِيْمِ -৩ বার


৫। চার কুল (অর্থাৎ সূরায়ে কাফেরূন, সূরায়ে এখলাছ, সূরায়ে ফালাক ও সূরায়ে নাছ) -৩ বার


৬। সূরায়ে ফাতেহা -৩বার


৭।  سُبْـحَانَ اللهِ -৩ বার


৮। لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ   -৩ বার


৯। اَسْتَغْفِرُاللهَ الْعَظِيْمَ وَاَتُوْبُ اِلَـيْهِ -১০০০ বার


১০। কলেমায়ে তৈয়্যবা -৩ বার


১১। কলেমায়ে শাহাদাত -৩ বার


অতঃপর আল্লাহ শব্দের নাম মোবারক জিকির আরম্ভ করবেন যেন আল্লাহর নাম অন্তরের দিকে ধাবিত হয়। ইন্শাআল্লাহ উক্ত দাওয়াত শরীফের ফয়েজ এবং বরকতের বদৌলতে অন্তর পাক-পবিত্র ও পরিস্কার হয়ে যাবে এবং কমবখ্ত শয়তান মরে যাবে । তখন ঐ সময় অধিক পরিমাণে سُـبْحَانَ اللهِ - لَاحَوْلَ এবং দরূদ শরীফ পড়বেন। (شمس العارفين-১২)


৩০। যদি আউলিয়ায়ে কেরামের মধ্য থেকে কোন বুজুর্গ ব্যক্তির রওজা শরীফ জিয়ারতের উদ্দেশ্যে যাও, তাহলে ঐ বুজুর্গের সিনা বরাবর হয়ে পাশে বসে ২১ বার سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنَا وَرَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوْحُ পাঠ করবেন, অতঃপর ৩ বার সূরায়ে إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ পাঠ করে নিজের অন্তর হতে যাবতীয় কুমন্ত্রণা দূরীভূত করে অন্তরকে ঐ বুজুর্গের সামনে আত্মসমর্পন করবেন, তাহলে বুজুর্গের রূহের বরকত জিয়ারত কারীর অন্তরে পৌঁছবে।


৩১। যে সমস্ত আউলিয়ায়ে কেরামগণ আপন বুজুর্গী ও কামালিয়াতে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন এবং তাঁদের বুজুর্গী ও কারামত অহরহ প্রকাশ পাচ্ছে, যেমন প্রসিদ্ধ আউলিয়ায়ে কেরামের মাজারসমূহ। উক্ত বুজুর্গানে কেরাম থেকে সাহায্য প্রার্থনা করার নিয়ম নিম্নরূপঃ


প্রথমে ঐ বুজুর্গের কবর শরীফের পার্শ্বে সিনা বরাবর হয়ে কবরের উপর আঙ্গুলি রাখে সূরায়ে বাকারা শরীফের শুরু থেকে مُفْلِحُوْن  পর্যন্ত পড়বেন। অতঃপর কবরের নিচের দিকে (পায়ের দিকে) গিয়ে آمَنَ الرَّسُوْلُ থেকে সূরার শেষ পর্যন্ত পাঠ করে ছাহেবে কবরের নিকট এই প্রার্থনা কর যে, হে আল্লাহর অলী! আমার অমুক উদ্দেশ্য পূরণ হওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া কর এবং সাথে সাথে নিজেও দোয়ায় শরীক হবেন। অতঃপর কেবলার দিকে মুখ করে নিজ উদ্দেশ্য পূরণ হওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করবেন।


৩২। যে বুজুর্গ ব্যক্তি সর্ম্পকে জানা না থাকে তার বুজুর্গী সর্ম্পকে জানার নিয়ম হচ্ছে নিম্নরূপ


প্রথমে ঐ বুজুর্গের কবর জিয়ারত করবেন। উপরে বর্র্ণিত নিয়ম অনুযায়ী জিয়ারত করবেন। অর্থাৎ ছাহেবে কবরের সিনা বরাবর মুখ করে সূরায়ে ফাতেহা ১ বার, সূরায়ে এখলাস ৩ বার। প্রথমে ছাহেবে কবরকে সালাম দিতে হবে এবং سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنَا وَرَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوْحُ দোয়াটি ২১ বার করে চার বার পড়তে হবে। অতঃপর সূরায়ে ক্বদর ৩ বার, তারপর ফাতেহা এবং দরূদ শরীফ  ও উপরোক্ত দোয়াটি পাঠ করার পর নিজের অন্তরকে ছাহেবে কবরের সিনার সামনে রাখবেন, যদি তাতে তোমার অন্তরের মধ্যে শান্তি এবং এতমিনান হয় তাহলে বুঝতে হবে কবরের বুজুর্গ ব্যক্তি কামেল।


৩৩। তরিকায়ে কাদেরীয়ার অন্তর্ভুক্তি সকলের একান্ত প্রয়োজন যে প্রতিদিন নিয়মিত খুলুছ নিয়ত সহকারে এক মন এক ধ্যানে নিম্নবর্ণিত ইছম শরীফটি ৬ বার অথবা ৭ বার পাঠ করলে ইন্শাআল্লাহ অসংখ্য ফায়েদা পাওয়া যাবে।


দোয়াটি নিম্নরূপ


بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ- قَلْبِىْ قُطْبِىْ وَقَالِبِىْ نِ لْبُنَانِىْ سِرِّىْ خَضِرِىْ وَعَيْنُهُ عَرْفَانِىْ هَارُوْنَ عَقْلِىْ وَكَلِيْمِىْ رُوْحِىْ فِرْعُوْنِىْ نَفْسِىْ وَالْهَوَاء هَامَانِىْ-


৩৪। অতঃপর অন্তরকে শান্ত করে এবং সঠিক নিয়তে আল্লাহ পাকের প্রতি পূর্ণ মোহাব্বত রেখে নিম্ন বর্ণিত দোয়াটি ১১ বার পাঠ করবেন।


بِسْمِ اللهِ عَلٰى قَلْبِىْ حَتَّى يُرْوِىْ بِسْمِ اللهِ عَلٰى رُكَبِىْ حَتَّى تُقْوٰى- بِسْمِ اللهِ عَلٰى الْاَرْضِ حَتَّى تُطْـوٰى-


তারপর নিম্নের দোয়াটি ৭ বার পাঠ করবেন।


اَللهُ كَافِىْ قَصَدْتُ الكَافِىْ وَوَجَدْتُ الْكَافِى لِكُلِّ الكَافِى كَفَافِىَ الْكَافِىْ وَنِعْمَ الْكَافِىْ وَلِلهِ الْحَمْدُ-


৩৫। কাদেরীয়া তরীকার অন্তর্ভুক্তীদের প্রয়োজন যে, প্রত্যেক দিন ফজরের নামাজের পর জিকির আজ্কার ও অজীফা এবং তাছবীহ তাহ্লীল ইত্যাদি আদায় করার পর ২ বার অথবা ৩ বার নিম্নের দোয়াটি পাঠ করা।


اِلٰـهِىْ بِحُرْمَةِ وَعِزَّةِ وَعَظْمَةِ سَيِّدِ الشَّبَابِ اَهْلِ الْجَنَّةِ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا الْحُسَيْن عَلَيْهِ السَّلَامُ وَجَدِّيْهِ وَاُمِّيْهِ وَاَبِيْهِ وَاَخِيْهِ وَصَاحِبَتِيْهِ وَبَنِيْهِ فَرِّجْ عَنَّا مَا نَحْنُ فِيْهِ يَا رَبَّ الْعٰلَمِيْنَ-


৩৬। হযরত ছৈয়দুনা মা’রূফ খরকী (رحمة الله) ছৈয়দুনা কুতুবুল আকতাব (رضي الله عنه) এর উপর সালাম পেশ করার নিয়ম নিম্নরূপ


اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا مَلِكَ الزَّمَانِ- وَيَا اِمَامَ الْمَكَانِ- وَيَا قَائِمُ بِاَمْرِ اللهِ الرَّحْمٰنِ- وَيَا وَارِثَ الْكِتَابِ- وَيَا نَائِبَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- يَا مَنْ مِنَ السَّمَاءِ وَالْاَرْضِ عَائِدَتُهُ- يَا مَنْ اَهْلُ وَقْتِهِ كُلُّهُمْ عَائِلَتُهُ- يَا مَن يَّنْـزِلُ الْغَيْثُ بِدَعْوَتِهِ وَيَدِرُّ الضَّرْعُ بِبَـرَكَتِهِ وَرَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى وَبَرَكَاتُهُ-


উপরোক্ত সালামটি খতমে গাউছিয়া আলীয়া শরীফ আদায় করার পর উপস্থিত সবাই একত্রে মিলিত হয়ে একাগ্রচিত্তে খুলুছ অন্তরের সাথে পড়তে হবে। তবে সকলেই তরীকায়ে কাদেরীয়ার অনুসারী হওয়া আবশ্যক এবং প্রত্যেকে নিজ নিজ পীর মোরশেদ বা শায়খের নিকট হতে অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে পাঠ করার নিয়ম কানুন জেনে নিতে হবে। কিন্তু শায়খের অনুমতি ব্যতীত পাঠ করা যাবে না।


৩৭। উপরে বর্ণিত সালাম এবং আরজি পেশ করার পর কাদেরীয়া তরিকার অনুসারীদেরকে নিজ নিজ পীরের অনুমতিক্রমে (رجال الغيب) রেজালুল গায়েবদের (দুনিয়ার আবদাল) খেদমতে সালাম পেশ করবেন। সালাম পেশ করার নিয়ম নিম্নরূপ


اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا رِجَالَ الْغَيْبِ- اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا اَيُّهَا الْاَرْوَاحُ الْمُقَدَّسَةُ- يَا نُقَبَاءُ- يَا نُجَبَاءُ- يَا رُقَبَاءُ- يَا بُدَلَاءُ- يَا اَوْتَادَ الْاَرْضِ اَوْتَادَ اَرْبَعَةِ- يَا اِمَامَانِ- يَا قُطْبُ- يَا فَرْدُ- يَا اُمَنَاءُ اَغِيْثُوْنِىْ بِغَوْثَةِ وَانْظُرْنِىْ بِنَظْرَةٍ وَارْ حَمُوْنِىْ وَحَصِّلُوْا مُرَادِىْ مَقْصُوْدِىْ وَقُوْمُوْا عَلٰى قَضَاءِ حَوَائِجِىْ عِنْدَ نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَلَّمَكُمُ اللهُ تَعَالٰى فِىْ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ اَللهم صَلِّ عَلٰى الْخِضْرِ-


উপরোলে­খিত সালামটি রাতের শেষাংশে আতর গোলাপ লাগিয়ে অজু সহকারে এক মন এক ধ্যানে দন্ডয়মান হয়ে পাঠ করবেন। ইহা ছাড়া অন্যান্য নিয়ম কানুন এবং রেজালুল গায়েবদের সফরের দিন ও তাদের অবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আপন পীর মোর্শেদের নিকট হতে শিখে নিতে হবে।


৩৮। খতমে গাউছিয়া আলীয়া শরীফ আদায় করে ‘রেজালুল গায়ব’ দের খেদমতে সালাম পেশ করার পর উপস্থিত সকলে মিলিত হয়ে নিম্ন বর্ণিত দোয়াটি ৩ বার পাঠ করবেন।


اَللهم اِنِّـىْ اَسْئَلُكَ بِسِرِّ الذَّاتِ وَبِـذَاتِ السِّرِّ هُوَ اَنْتَ وَاَنْتَ هُوَ اَحْتَجَبْتُ بِنُوْرِ اللهِ وَنُوْرِ عَرْشِ اللهِ وَبِكُلِّ اِسْمِ اللهِ مِنْ عَدُوِّىْ وَعَدُوِّ اللهِ بِمِائَةِ اَلْفٍ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ خَتَمْتُ عَلٰى نَفْسِىْ وَ عَلٰى دِيْنِىْ وَعَلٰى كُلِّ شَيْئٍ اَعْطَانِيْهِ رَبِّـىْ بِخَاتِـمِ اللهِ الْمَنِيْعَ الَّذِىْ خَتَمَ بِهِ اقْطَارَ السَّمَوَاتِ وَالْاَرْضِ وَحَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيْلِ نِعْمَ الْمَوْلٰى وَنِعْمَ النَّصِيْرِ وَصَلَّى اللهُ عَلٰى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلٰى آلِـه وَاَصْحَابِه وَسَلَّمَ اَجْمَعِيْنَ-


৩৯। স্বপ্নযোগে জিয়ারতে মোস্তফা (ﷺ) নসীব হওয়ার নিয়ম


প্রথমে দু’রাকাত নফল নামাজ আদায় করবেন। প্রথম রাকাতে সূরায়ে ফাতেহার পর ১০০ বার সূরায়ে এখলাছ (قُلْ هُـوَ اللهُ) আর দ্বিতীয় রাকাতেও অনুরূপ আদায় করে নামাজ শেষ করার পর ৩ বার নিম্নের দোয়াটি পাঠ করবেন। 


يَا مُحْسِنُ يَا مُجْمِلُ يَا مُنْعِمُ يَا مُتَفَضِّلُ اَرِنِىْ وَجْهَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ .


অতঃপর দু’রাকাত নামাজ আদায় করবেন। প্রতি রাকাতে সূরায়ে ফাতেহার পর অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পড়ে নামাজ শেষ করে ১০০ বার নিম্নের দোয়াটি পাঠ করবেন।


يَا نُوْرَ النُّوْرِ- يَا مُدَبِّـرَ الْاُمُوْرِ بَلِّغْ عَنِّـىْ رُوْحَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَحِيَّـةً وَسَلَامًا-


৪০। মঙ্গলবার রাত্রের শেষাংশে ফজরের পূর্বে অজু করে দু’রাকাত নামাজ আল্লাহর উদ্দেশ্যে ‘ছালাতুল হাজাত’ নামাজের নিয়ত করে আদায় করবেন। প্রথম রাকাতে সূরায়ে ফাতেহার পর ১১ বার সূরায়ে কাফেরূন আর দ্বিতীয় রাকাতে সূরায়ে ফাতেহার পর ১১ বার সূরায়ে এখলাছ পাঠ করে নামাজ শেষ করার পর ১১ বার সূরায়ে এখলাছ পাঠ করে গাউছে পাক আবদুল কাদের জিলানী (رضي الله عنه) এর ১১ নাম আদায় করবেন।


(১) سَيِّدْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ


(২) فَقِيرْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ


(৩) مَخْدُومْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ


(৪) غَوثْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ


(৫) خَوَاجَهْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ


(৬) سُلْطَانْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ


(৭) بَادْشَاه مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ


(৮) وَلِـىْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ


(৯) قُطُبْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ


(১০) دَرْوِيشْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ


(১১) مَوْلَانَا مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ 


অতঃপর يَا سَيِّدِىْ عَبْدُ الْقَادِرْ مُحِىُّ الدِّيْن  পাঠ করে ১১ কদম পূর্ব দিকে চলবেন এবং প্রত্যেক কদমে يَا شَيخْ عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ পাঠ করবেন। তারপর ৩ বার নিম্নের না’তটি পড়বেন।


اَدْرِكْنِـىْ ضَمَّ وَ اَنْتَ ذَخِيْـرَتِـىْ  وَاظْلِمُ فِى الدُّنْيَا وَ اَنْتَ نَصِيْرِىْ


وَعَار عَلٰى رَاعِى الْحُمٰى وَهُوَ فِى الْحُمٰى  وَاِذَا ضَاعَ فِى الْبِيْدَاءِ عَقَالَ بَعِيْرِىْ


অতঃপর يَا سَيِّدِ عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ اَدْرِكْنِىْ وَتَدَارِكْنِىْ পাঠ করবেন। এরপর আল্লাহ পাকের দরবারে হযরত গাউছে পাক (رضي الله عنه) এর উসিলা নিয়ে খুলুছ নিয়তে এক মন এক ধ্যানে নিজ নিজ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য প্রার্থনা করলে আল্লাহর রহমতে তা পূর্ণ হবে।


৪১। প্রতিদিন এশার নামাজের পর দাওয়াত পড়ার নিয়ম


১। ইস্তেগফার -১১ বার


২। বিসমিল্লাহ শরীফ -১১০০ বার


৩। দরূদ শরীফ -১০০০ বার


৪। সূরা ফাতিহা শরীফ -১০০০ বার


৫। সূরা ইখলাছ শরীফ -১০০০ বার


৬। اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَ اِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ -১০০০ বার


৭। সূরা আলামনাশ্রাহ শরীফ -১০০ বার


৮।  اَللهُ لَطِيْفٌ بِعِبَادِه يَرْزُقُ مَن يَّشَاءُ وَهُوَ الْقَوِىُّ الْعَزِيْزُ -১০০ বার


৯। يَا بَدِيْعَ السَّمٰوَاتِ وَالْاَرْضِ -১০০ বার


১০। يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْـرَامِ -১০০ বার


১১। يَا مُعْطِـىَ السَّائِلِيْنَ -১০০ বার


১২। اَللهُ الصَّمَدْ خُذْ بِيَدِىْ -১০০ বার


১৩। يَا بَدِيْعَ الْعَجَائِـبِ بِالْخَيْـرِ -১০০ বার


১৪। لَا مَلْجَأ وَلَا مَنْجَأ مِنَ اللهِ اِلَّا اِلَيْهِ -১০০ বার


১৫। দরূদ শরীফ -১০০ বার


১৬। اَللهم رَبِّ اشْـرَحْ لِىْ صَدْرِىْ -১০০ বার


১৭। رَبِّ زِدْنِـىْ عِلْـمًا -১০০ বার


১৮। يَا عَلِيْمُ عَلِّمْنِـىْ مَالَمْ اَكُنْ اَعْلَمُ يَا عَلِيْمُ -১০০ বার


১৯। দরূদ শরীফ -১০০ বার


২০। মুনাজাত



৪২। নিয়মিত পড়ার জন্য খত্মে কাদেরীয়া ও খতমে খাজেগান শরীফের তারতীব


 


১। ইস্তেগফার -১১ বার


২। বিসমিল্লাহ শরীফ - ১১১ বার


৩। সূরা ফাতেহা শরীফ - ১১ বার


৪। দরূদ শরীফ - ১০০ বার


৫। সূরা আলামনাশ্রাহ শরীফ - ১১১ বার


৬। সূরা ইখলাছ শরীফ - ১০১ বার


৭। সূরা ফাতেহা শরীফ - ১০১ বার


৮। দরূদ শরীফ - ১০০ বার


৯। سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرْ وَلَا حَوْلَ وَلَاقُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ . -১১১ বার


১০। نَصْرُ مِّنَ اللهِ وَفَتْحٌ قَرِيْبٌ وَبَشِّرِ الْـمُؤْمِنِيْنَ -১১১ বার


১১। حَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيْلِ نِعْمَ الْمَوْلٰى وَنِعْمَ النَّصِيْرِ -১১১ বার


১২। وَاُفَوِّضُ اَمْرِىْ اِلٰى اللهِ اِنَّ اللهَ بَصِيْرٌ بِالْعِبَادِ -১১১বার


১৩। سَهِّلْ فَسَهِّلْ يَا اِلٰهِىْ عَلَيْنَا كُلَّ صَعْبٍ بِحُرْمَةِ سَيِّدِ الْاَبْرَارِ -১১১ বার


১৪। سَـهِّـلْ بِفَضْلِـكَ يَا عَزِيْـزُ  -১১১ বার


১৫। يَا قَاضِـىَ الْحَاجَاتِ -১০০ বার


১৬। يَا رَافِـعَ الدَّرَجَاتِ - -১০০ বার


১৭। يَا دَافِـعَ الْبَلِيَـاتِ -১০০ বার


১৮। يَا كَافِـىَ الْـمُهِمَّاتِ -১০০ বার


১৯। يَا شَافِـىَ الْاَمْـرَاضِ -১০০ বার


২০। يَا حَلَّالَ الْـمُشْكِلَاتِ -১০০ বার


২১। يَا مُسَبِّـبَ الْاَسْبَابِ -১০০ বার


২২। يَا مُفَتِّـحَ الْاَبْـوَابِ -১০০ বার


২৩।  يَا مُجِيْبَ الدَّعْـوَاتِ -১০০ বার


২৪। رَبِّ اِنِّـىْ مَغْلُوْبٌ فَانْتَصِـرْ -১০০ বার


২৫। اِلٰهِىْ بِحُرْمَـةِ غَوثْ اَغِثْـنِـىْ وَامْدُدْنِـىْ -১০০ বার


২৬। اِنَّا لِلهِ وَ اِنَّا اِلَيْهِ رَاجِـعُوْنَ -১০০ বার


২৭। لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّـىْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ  -১০০ বার


২৮। فَاسْتَجَبْنَا لَـهُ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّ وَكَذَلِكَ نُنْجِى الْمُؤْمِنِيْنَ  -১০০ বার


২৯। يَا اَرْحَـمَ الرَّاحِمِـيْنَ  -১০০ বার


৩০। يَا حَـىُّ يَا قَيُّـوْمُ بِـرَحْمَتِكَ اَسْتَغِيْثُ -১০০ বার


৩১। يَا وَهَّابُ هَبْ لِىْ رِزْقًا وَاسِعًا بَاسِطًا يَا بَاسِطُ -১০০ বার


৩২। يَا بَاقِـىْ اَنْتَ الْبَاقِـىْ -১০০ বার


৩৩। يَا كَافِـىْ اَنْتَ الْكَافِـىْ -১০০ বার


৩৪। اَللهُ كَافِـىْ قَصَدْتُ الْكَافِىْ وَوَجَدْتُ الْكَافِىْ لِكُلِّ الْكَافِىْ كَفَافِىَ الْكَافِىْ وَنِعْمَ الْكَافِىْ وَلِلهِ الْحَمْدُ .  -১০০ বার


৩৫। اِلٰهِىْ بِحُرْمَتِ شَيخْ سَيِّدْ مُحِىُّ الدِّيْن عَبْدُ الْقَادِرْ جِيْلَانِىْ -১০০ বার


৩৬। দরূদ শরীফ -১০০ বার


৩৭। সূরা ফাতেহা শরীফ -১০০ বার


৩৮। দরূদে মা’দন-


اَللهم صَلِّ عَلٰى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَ عَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ مَعْدَنِ الْجُوْدِ وَالْكَرَمِ مَنْبَعِ الْعِلْمِ وَالْحِلْمِ وَالْحِكَمِ وَبَارِكْ وَسَلِّمْ .  -১০০ বার


বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম


দারিদ্রতা দূরীভূত হওয়ার দোয়া


নির্দিষ্ট সময়ে অজু সহকারে বিশুদ্ধ ও নির্ভেজাল অন্তরে তথা একাগ্রচিত্তে-


১। لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ -১০০ বার


উচ্চারণ: লা-হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়ীল আ’জীম


২। وَ مَنْ يَّتَّقِ اللهَ يَجْعَلْ لَّـهُ مَخْرَجًا وَّيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبَ وَمَنْ يَّتَوَكَّلْ عَلٰى اللهِ فَهُوَ حَسْبُهٌ، اِنَّ اللهَ بَالِغُ اَمْـرِه . -১০০ বার


অত:পর পূনরায়


৩। لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ  -১১ বার


৪। দরূদ শরীফ -১১ বার


     একই মজলিসে আদায় করতে হবে।


এই নিয়মে এক সপ্তাহ আদায় করলে আল্লাহ জাল্লা শানুহু গাইব হতে রিযিক দান করবেন যা মানুষের জ্ঞান-ধারণার বাইরে।


রিজিকের স্বচ্ছলতার দোয়া


প্রতিদিন ফজর নামাজের পর দরূদ শরীফ পাঠ করে


সূরা ইয়াছিন শরীফ - ১ বার


সূরা মোজাম্মেল শরীফ - ৩ বার


حَسْبُنَا اللهُ وَنِعْمَ الْوَكِيْلِ نِعْمَ الْمَوْلٰى وَنِعْمَ النَّصِيْرِ -১০০ বার


অত:পর দরূদ শরীফ পাঠ করবে।


     ইনশা আল্লাহ- আশা অনুরূপ কামিয়াবী অর্জিত হবে।


অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে দোয়া


নির্দিষ্ট সময়ে একই মজলিসে-


لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّـىْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ   -৭৭৮২ বার


দরূদ শরীফ -১১ বার 


 অত:পর আল্লাহর দরবারে অভাব পূরণের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করার পর ইনশা আল্লাহ সপ্তাহ দু’সপ্তাহের মধ্যে কামিয়াব হবে।



ইহকাল ও পরকালের সমস্ত উদ্দেশ্য পূরণের দোয়া


   প্রথম ও শেষে দরূদ শরীফ পাঠ করে প্রতিদিন নিয়মিত يَا اَللهُ يَا رَحْمٰنُ يَا كَـرِيْمُ يَا عَزِيْزُ (এয়া আল্লাহু, এয়া রাহমানু,এয়া কারীমু, এয়া আজিজু) ৫০০ (পাঁচশত) বার পাঠ করবে। ইনশা আল্লাহ উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে।


রাসূল (ﷺ)’র মুহাব্বত ও জিয়ারতে খাতেমুন নবীয়্যীন


মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)


জোহর নামাজের পর-


اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ اَيُّهَا النَّبِىُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ -১০১ বার পাঠ করলে ইনশা আল্লাহ জিয়ারত নসীব হবে।


উদ্দেশ্য হাসিলের দোয়া


 ফজর নামাজের সুন্নাত আদায় করে জমাতের পূর্বে-


سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيْمِ -১০০ বার পাঠ করলে ইনশা আল্লাহ উদ্দেশ্য পূরণ হবে। আর যদি সম্ভব হয় يَا حَىُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ اَسْتَغِيْثُ -১০০ বার পাঠ করবে।


উদ্দেশ্য পূরণ ও রাসূল (ﷺ)’র জিয়ারত নসিব হওয়া


প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে

اَللهم صَلِّى عَلٰى سَيِّدِنَا مُحَمَّدِ النَّبِىِّ الْاُمِّىِّ وَعَلٰى آلِـه وَاصْحَابِه وَبَارِكْ وَسَلِّمْ 

-১০০ বার


অথবা- مَوْلَا يَ صَلِّ وَسَلِّمْ دَائِمًا اَبَدًا  عَلٰ حَبِيْبِكَ خَيْرِ الْخَلْقِ كُلِّهِم-১০০বার।


অত:পর সূরা ইখলাছ শরীফ -১০০ বার


اَلصَّلوٰةُ وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَعَلٰى اٰلِكَ وَاَصْحَابِكَ يَا حَبِيْبَ اللهِ  -১০০ বার


ইনশা আল্লাহ প্রতিটি কাজ সহজ হবে এবং উদ্দেশ্য পূরণ হবে।


সংকট দূরীভূত ও মুশকিল আছান হওয়ার তারতীব


প্রথম ও শেষে দরূদ শরীফ পাঠ করে 

لَاحَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ 

(লা-হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলীয়্যীল আ’জীম) 

৬০০ (ছয়শত) বার প্রতিদিন নিয়মিত ওজিফা হিসাবে পাঠ করলে আল্লাহর রহমতে অর্থ সংকট দূরীভূত ও মুশকিল আছান হবে। এটি পরীক্ষিত একটি আমল।


দাঁত ও ব্যাথা-বেদনার রোগ হতে মুক্তির দোয়া


দাঁত ও ব্যাথা-বেদনার রোগ হতে আরোগ্য লাভের জন্য প্রতিদিন বিতরের নামাজে প্রথম রাকাতে সূরা ফাতেহার পর “সূরা-নছর” দ্বিতীয় রাকাতে “সূরা লাহাব” এবং তৃতীয় রাকাতে “সূরা ইখলাছ” পাঠ করবে। উক্ত নিয়ম সর্বদা অব্যাহত রাখাতে আল্লাহ তা’লার ফজলে করমে দাঁতের রোগ হতে আরোগ্য নসীব হবে। এই নিয়মটি পরীক্ষিত।


ঈমানের পদচ্যুতি ও সর্বপ্রকার কুমন্ত্রণা হতে হেফাজত থাকার নিয়ম


হুজুর সৈয়্যদে আলম মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন যে- যদি কোন ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের পর কমপক্ষে একবার “আয়াতুল কুরছি” পাঠ করবে ইনশা আল্লাহ তার ঈমান কখনো পদস্ফলিত হবে না এবং সর্ব প্রকার কুমন্ত্রণা, অমঙ্গল ও বালা-মুছিবত থেকে হেফাজত ও নিরাপদ থাকবে এবং আল্লাহ জাল্লা শানুহু তাকে জান্নাত দান করবেন।


আর যে ব্যক্তি রাত্রে শোয়ার সময় এবং সকালে উঠার সময় প্রতিদিন নিয়মিত “আয়াতুল কুরছি” পাঠ করে নিজের উপর দম করবে শয়তান তার উপর বিজয় হবেনা অর্থাৎ শয়তান তার নিকট আসতে পারবে না। এ ধরনের নেক আমলকারী ব্যক্তির গুনাহ মাফ করা হবে এবং তার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হতেই থাকবে।


শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে হেফাজত থাকার নিয়ম


যদি কোন ব্যক্তির অন্তরে শয়তানের কুমন্ত্রণা অধিক পরিমাণ আসে, তবে তার জন্য উচিত নিম্মোক্ত আয়াতে কারীমা সর্বদা পাঠ করা, আল্লাহর ফজলে শয়তানের কুমন্ত্রণা হতে হেফাজত থাকবে। আয়াতটি হচ্ছে-


رَبِّ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ - وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ- (سوره مؤمنون)


জ্ঞাতব্য:


প্রতিটি দোয়া আল্লাহ তা’লার রহমতের খজিনা সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি খজিনা, আর এই খজিনার মালিক ও তত্ত্বাবধায়ক হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ (ﷺ), আল্লাহর নির্দেশেই তাঁর বান্দাদের উপকারে ব্যয় করেন। প্রত্যেকই এই খাজিনার উপর নির্ভরশীল, কেবলমাত্র জ্ঞান ও যুক্তি দ্বারা এটির শেষ স্তর পর্যন্ত পৌঁছা যাবে না, বরং আমল দ্বারা উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হবে।


অর্থাৎ, আমলের মাধ্যমে কাজ পরিপূর্ণ হবে, কথার দ্বারা নয়।


উপরোক্ত বাণী হযরত শেখ ছদরুদ্দীন কুনুবী আলাইহি রাহমাহ ফরমায়েছেন।


প্রতিটি দোয়া ওজিফা হিসাবে নিয়মিত পাঠ করতে হবে। আর কোরআনী দোয়া যা দুর্লভ বস্তুর হুকুম ভুক্ত, এটি উভয় জগতের পালন কর্তার কালামের খাজিনা হতে অন্যতম খাজিনা স্বরূপ। কাজেই এর প্রতি আগ্রহ ও একাগ্রহচিত্ততা আবশ্যক।


এ সমস্ত খাজিনা সমূহের মধ্যে একটি দোয়া হচ্ছে-


لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّـىْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ


(উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা সুব্হানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ জোয়ালেমীন)


 অর্থ: হে প্রভূ! তুমি ছাড়া ইবাদতের আর কোন উপযুক্ত ও হকদার নাই, তুমি পাক ও পবিত্র। নিশ্চয় আমি জালেমদের অন্তর্ভূক্ত।


আল্লাহ তা’লার একাত্ববাদের রহস্যপূর্ণ সাক্ষী এবং তার প্রভূত্বের মর্যাদাপূর্ণ কালেমা-


لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّـىْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ


আর বান্দা হওয়া এবং বিনয়ী হওয়ার সাক্ষী  اِنِّـىْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ এটি উদ্দেশ্য হাসিলের ক্ষেত্রে খুবই ফলপ্রসু।


আউলিয়ায়ে কেরামগণ বলেন- এই আয়াতে কারীমাটি অর্থাৎ لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّـىْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ  -১০০০০০ (এক লক্ষ) বার পাঠ করলে মূল উদ্দেশ্যে পৌঁছা যাবে। এটি পরীক্ষিত এবং সে সমস্ত বুজুর্গদের কালাম সত্য।


মাছআলা: 


পক্ষান্তরে দোয়া পাঠ করার পরিসংখ্যান নির্ধারণ করা হুজুর (ﷺ)-এর পক্ষ হতে নির্ধারিত নয়। কোন সংখ্যা নির্ধারণ করা যায় না, যেহেতু সংখ্যা নির্ধারণ করা এটা শরীয়তের দালিলিক ভিত্তিতে নির্ধারণ নয়। বরং তা ছুফীয়ায়ে কেরামগণের পরীক্ষিত কথার ভিত্তিতে হয়েছে। وَاللهُ اَعْلَمُ  


আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সত্যিকারের মাশায়েখগণের সংস্পর্শ ও অনুকরণ- অনুসরণ করার তৌফিক দান করুন। আমীন।


শত্রু ও হিংসুকদের অনিষ্ট থেকে হিফাজত থাকা


নিম্নে দোয়াটি আল্লাহ তা’লার দোয়ার খাজিনা হতে একটি।


وَاُفَـوِّضُ اَمْـرِىْ اِلٰى اللهِ اِنَّ اللهَ بَصِيْـرٌ بِالْعِبَادِ


(উচ্চারণ: ওয়া উপাওবেদু আমরী ইলাল্লাহ ইন্নাল্লাহা বাছীরুম বিল্-ইবাদ)


অর্থ: আমি আমার কাজ আল্লাহর উপর সোপর্দ করলাম, নি:সন্দেহে আল্লাহ তা’লা বান্দাদেরকে দেখেন। উক্ত দোয়াটি শত্রু ও হিংসকুদের অনিষ্ট থেকে  জানের হিফাজতের ক্ষেত্রে খুবই ফলপ্রসু। প্রতিদিন ১২৫ (একশত পঁচিশ) বার পাঠ করবে।


উদ্দেশ্য পূরণের দোয়া


শীর্ষ স্থানীয় আউলিয়ায়ে কেরামগণ ইরশাদ করেন যে- যদি কোন ব্যক্তি এশার নামাজের পর অজু সহকারে

 بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ 

(বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম) ১২০০০ (বার হাজার) বার অজিফা হিসাবে পাঠ করে এবং প্রতি ১০০০ (এক হাজার) বার পাঠের  পর দরূদ শরীফ পাঠ করে উদ্দেশ্য পূরণের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করলে আল্লাহর ফজলে করমে উদ্দেশ্য পূরণ হবে।


মাথা ব্যাথা নিবারণের দোয়া


يَا سَمِيعُ  (এয়া ছামীউ) ৩ (তিন) বার পাঠ করে কটন (রুই) এর উপর ফুঁক দিয়ে কানের মধ্যে রাখলে ব্যাথা দূরীভূত হবে। ইনশা আল্লাহুুল আজীজ।


চোখের ব্যাথা নিবারণের দোয়া


নিম্নের আয়াতে কারীমটি ৭ (সাত) বার পাঠ করে ফুঁক (দম) দিলে আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে যাবে।


আয়াতটি হচ্ছে-


وَإِنْ يَكَادُ الَّذِيْنَ كَفَرُوا لَيُزْلِقُونَكَ بِأَبْصَارِهِمْ لَمَّا سَمِعُوا الذِّكْرَ وَيَقُولُونَ إِنَّهُ لَمَجْنُونٌ .


দাঁতের ব্যাথা নিবারণের দোয়া


৭ (সাত) কিংবা ৪১ (একচলি­শ) বার “সূরা ফাতেহা” অথবা ৯ (নয়) বার “সূরা আলাম নাশরাহ্” পাঠ করে দাঁতের উপর ফুঁক দিলে আল্লাহর ফজলে করমে ব্যাথা দূরীভূত হয়ে যাবে।


পেটের ব্যাথা নিবারণের দোয়া


০৭ (সাত) বার “সূরা আলাম নাশরাহ্” পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে উক্ত পানি পেটের ব্যাথাগ্রস্থ রোগীকে সাতবার পানি পান করাও। অথবা ৭ (সাত) বার “সূরা ফাতেহা” পাঠ করে পেটে ফুঁক দিলে আল্লাহ তা’লার মেহেরবানীতে ব্যাথা দূরীভূত হয়ে যাবে।


হাঁটুর ব্যাথা নিবারণের দোয়া


“সূরা ফাতেহা” ১০ (দশ) বার

“সূরা কাফেরূন” ১০ (দশ) বার পাঠ করে ফুঁক দিবেন এবং কোন একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা মতে ঔষধ ব্যবহারে ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবে।


প্রাত্যহিক জ্বর নিবারণের দোয়া


একটি নয় নাল বা আঁশ বিশিষ্ট সাদা তাগা (সূতা) নিয়ে এর উপর “সূরা ওয়াদ্দোহা” পাঠ করে এভাবে ফুঁক দিতে হবে যখন “কাফ” পর্যন্ত পৌঁছবে তখন একটি গিঁড়া দিবে, উক্ত নিয়মে নয়টি গিঁড়া দেয়ার পর পূর্ণ “সূরা ওয়াদ্দোহা” পাঠ করে উক্ত তাগায় ফুঁক দিয়ে রোগীর গলায় বেঁধে দিলে আল্লাহ তা’লার রহমতে সুস্থ হয়ে যাবে।


জাদুর প্রভাব হতে সুস্থ হওয়ার দোয়া


যদি কারো উপর জাদুর প্রভাব লেগে যায়। তবে তাকে প্রথমে গোসল করায়ে পবিত্র ও পরিস্কার  করে “সূরা ফাতেহা” এবং “আয়াতুল কুরছি” পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে রোগীকে পান করাবে, অত:পর “আয়াতুল কুরছি”এবং “চার কুল’’ পাঠ করে রোগীর সমস্ত শরীরে ফুঁক দিবে এবং নিম্নোক্ত আয়াতে কারীমাটি পাঠান্তে ফুঁক দিতে থাকবে ইনশাআল্লাহুল আজীজ সফলকাম হবে। আয়াতটি হচ্ছে-


وَبِالْحَقِّ أَنْزَلْنَاهُ وَبِالْحَقِّ نَزَلَ


(উচ্চারণ: ওয়াবিল হক্কে আনজালনাহু ওয়াবিল হক্কে নাজালা)


মৃগী রোগীর আরোগ্য লাভের দোয়া


যদি কোন ব্যক্তি মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে সংজ্ঞাহীন তথা বেহুশ হয়ে যায়, এক্ষেত্রে তার ডান কানে সম্পূর্ণ আজান আর বাম কানে সাত বার একামত বলাতে আল্লাহর অসীম মেহেরবানীতে উক্ত রোগ নিরাময় হয়ে যাবে।


জ্বিন ইত্যাদির অনিষ্ট ও ক্ষতি হতে হেফাজত থাকার উপায়


উম্মুস সিব্ইয়ান তথা শিশু রোগ ও আসীবজাদা জ্বিন ইত্যাদির অনিষ্ট ও ক্ষতি হতে হেফাজত থাকার উপায়


“সূরা ওয়াত্বোয়ারেক্ব” একবার পাঠ করে রোগীর ডান কানে একবার এবং আরেকবার পাঠ করে বাম কানে একবার ফুঁক দিবে। অত:পর আরো একবার পাঠ করে নাকের ডান চিদ্রে ফুঁক দিবে। এ নিয়মে পূনরায় আমল করবে। অত:পর আরো একবার উক্ত সূরা পাঠ করে ডান চোখে এবং একবার বাম চোখে আর একবার ডান নাকের চিদ্রে এবং একবার মুখের উপর ফুঁক দিবে। অত:পর আরো একবার উক্ত সূরা পাঠ করে সমস্ত শরীরে ফুঁক দিলে আল্লাহ তা’লার ফজলে করমে রোগ নিরাময় হয়ে সুস্থ হয়ে যাবে।


কোন স্থানে জ্বিন, ভূত ইত্যাদি পাথর নিক্ষেপ করলে এর থেকে পরিত্রাণের উপায়


যদি কারো ঘর কিংবা কোন স্থানে জ্বিন, ভূত ইত্যাদি পাথর নিক্ষেপ করে তবে এক্ষেত্রে উচিত যে-লোহার চারটি পেরাগ নিয়ে এর উপর নিম্নোক্ত আয়াতে কারীমা-


إِنَّهُمْ يَكِيدُونَ كَيْدًا- وَأَكِيدُ كَيْدًا- فَمَهِّلِ الْكَافِرِينَ أَمْهِلْهُمْ رُوَيْدًا .


(উচ্চারণ: ইন্নাহুম ইয়াকীদুনা ক্বায়দাও ওয়া আকীদু কায়দা ফামাহ্হেলিল কাফেরীনা আমহিল্ হুম রূওয়দা।)


পাঠ করে ফুঁক দিবে। অত:পর উক্ত স্থানের চার কোণায় পুতে দিবে। আর দেওয়ালের মধ্যে আসহাবে কাহাফের নাম লিখে দিলে আল্লাহর রহমতে পাথর নিক্ষেপ করা বন্দ হয়ে যাবে। আসহাবে কাহাফের নাম নিম্নে দেওয়া হলো-


بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ اِلٰهِىْ بِحُرْمَتِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاٰلِه وَاَصْحَابِه وَسَلَّمَ يَمْلِيْخَا، مَكْسَلْمِيْنَا، كَشْفُوْطَطْ، تَبْيَوْنُسْ، اَذَرْفَطْيَوْنُسْ، يُوَانسْ، بُوَسْ وَكَلْبُهُمْ قَطْمِيْـرُ-


অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হতে হিফাজত থাকার উপায়


যে ব্যক্তির অধিক পরিমাণ স্বপ্নদোষ হয়, এক্ষেত্রে তার উচিত শোয়ার সময় “সূরা ওয়াচ্ছামায়ে ওযাত্বোয়ারেক” পাঠ করে। আল্লাহর ফজলে সে ব্যক্তি উক্ত বদনাম হতে আরোগ্য লাভ করবে।


নিদ্রা কম কিংবা না হলে, তাহলে নিদ্রা হওয়ার উপায়


কোন ব্যক্তির নিদ্রা কম হলে সে শোয়ার সময় নিম্মোক্ত আয়াতে কারীমটি পাঠ করে শয়ন করলে ইনশাআল্লাহ তার নিদ্রা হবে। আয়াতটি হচ্ছে -


إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا -


(উচ্চারণ: ইল্লাল্লাহা ওয়া মালায়েকাতাহু ইউ ছাল­ু না আ’লান্নবী এয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানু ছাল­ু আলাইহে ওয়া সালে­মু তাসলীমা।


ডায়বেটিস  রোগ নিবারণের দোয়া


সকালের গোসল কিংবা ফরজ গোসল পুকুর, কুঁয়া কিংবা ঝর্ণার মধ্যে  ভিজা কাপড়ে প্রথমে “সূরা শা’ফা” অর্থাৎ اَلْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ  (সূরা ফাতেহা) সম্পূর্ণ পাঠ করে ৭ বার একটি গ্লাস কিংবা একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে ফুঁক দিয়ে ৩ বার নিম্মোক্ত আয়াতে কারীমাটি-


زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاءِ وَالْبَنِينَ وَالْقَنَاطِيْرِ الْمُقَنْطَرَةِ مِنَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَالْخَيْلِ الْمُسَوَّمَةِ وَالْأَنْعَامِ وَالْحَرْثِ ذٰلِكَ مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَاللهُ عِنْدَهُ حُسْنُ الْمَآبِ-


পাঠ করে এতে ফুঁক দিবে। 


অত:পর بِسْمِ اللهِ الشَّافِىْ اَللهم بِحَقِّ يَا شَافِىْ اَنْتَ الشَّافِىْ পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে তিন ঢুকে উক্ত পানি পান করলে আল্লাহ তা’লার দয়া ও মেহেরবানীতে আরোগ্য লাভ করবে।


সামগ্রিক রোগ নিবারণের দোয়া


হযরত সৈয়্যদুনা আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’লা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে কোন রোগের নিরাময়ের জন্য যে কেউ  لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ 

(লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলীয়্যীল আ’জীম) 

অধিক পরিমাণ পাঠ করবে তাকে কোন রোগ আক্রান্ত করবে না। ছূফীয়ায়ে কেরামগণের মতে এর নিয়ম হচ্ছে- কয়েকজন পরহেজগার ও ধর্মভীরু ব্যক্তি আদব সহকারে গোলাকৃতি ভাবে বসে একাগ্রহচিত্তে কায়োমন অন্তরে “নিম্নোক্ত দোয়া সমূহ পাঠ করে পানিতে ফুঁক (দম) দিয়ে উক্ত পানি রোগীকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিদিন দু’বার পান করালে যতই কঠিন ও জটিল রোগ হউক না কেন আল্লাহর ফজলে করমে আরোগ্য লাভ করবে। কেবলমাত্র মৃত্যু জনিত রোগ ব্যতীত। প্রতিটি দোয়া ও সূরা পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিতে হবে। আর সম্ভব হলে রোগীকেও ফুঁক দিবে।


ইস্তিগ্ফার - ১১ বার।


দরূদ শরীফ - ১১ বার।


لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ -২১০০ বার


সূরা ইয়াসিন শরীফ বিছমিল্লাহ সহকারে -৪১ বার


আয়াতে শাফা -১০০ বার


وَيَشْفِ صُدُوْرَ قَوْمٍ مُؤْمِنِيْنَ - وَشِفَاءٌ لِّمَا فِيْ الصُّدُوْرِ- يَخْرُجُ مِنْ بُطُوْنِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيْهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ- وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَاهُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِيْنَ- وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِيْنِ- قُلْ هُوَ لِلَّذِينَ آمَنُوْا هُدًى وَشِفَاءٌ-


সূরা ফাতেহা শরীফ - ১১০০ বার


সূরা আলাম নাশরাহ শরীফ - ১০৭ বার


সূরা কাফেরূন শরীফ - ১১ বার


সূরা এখলাছ শরীফ - ১১ বার


সূরা ফালাক্ব শরীফ - ১১ বার


সূরা নাছ  শরীফ -১১ বার


بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ اَرْقِيْكَ مِنْ كُلِّ شَيْئٍ يُوْذِيْكَ وَمِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ اَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اللهُ يَشْفِيْكَ، بِسْمِ الله اَرْقِيْكَ  -৪১ বার


يَا حَـىُّ حِيْنَ لَا حَىُّ دَيْمُوْمَةِ مُلْكِهِ وَبقَائِهِ يَا حَىُّ -৪১ বার


চাহল কাফ-


كَفَاكَ رَبُّكَ كَمْ يَكْفِيْكَ وَاكِفَةً كِفْكَافُهَا كَكَمِيْنًا كَانَ مِنْ كُلُكٍ تَكَرُّ كَرًّا كَكَرَّفِىْ كَبَدٍ تَحْكِيْ مُشَكْشَكَةً، كَلُكْ لَكَكِ كَرْنِىْ كَفَاكَ مَابِىْ كَفَاكَ الْكَافُّ كُرْبَتِهِ يَاكَوْكَبَا كَانَ تَحْكِىْ كَوْكَبَ الْفَلَكِ-  ৪১-বার 




ক্বয়েদখানা হতে মুক্তি লাভের দোয়া


নিম্মোক্ত দোয়া ও সূরা সমূহ যথা নিয়মে পাঠ করলে আল্লাহর রহমতে ক্বয়েদ হতে মুক্তি লাভ করবে।


বিছমিল্লাহ সহকারে সূরা ইয়াছিন শরীফ -৪১ বার


প্রতিবার সূরা ইয়াছিন শরীফ পাঠের পর নিম্নোক্ত কালেমাগুলো পাঠ করবে।


بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ، بِسْمِ اللهِ الَّذِىْ لَا اِلٰهَ اِلَّاهُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ، بِسْمِ اللهِ الَّذِىْ لَا اِلٰهَ اِلَّاهُوَ ذُوالْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ، بِسْمِ اللهِ الَّذِىْ لَايضُرُّ مَعَ اِسْمِه شَىْئٌ فِى الْاَرْضِ وَلَا فِى السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ، اَللهم اِنِّـىْ اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ الْقَيْدِ الْحُكُوْمِىْ (এখানে কয়েদী ও তার বাপের নাম বলবে) يَا قَادِرُ يَا حَاكِمُ يَا اَللهُ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ- 


দরূদ শরীফ - ১১ বার।


সূরা আলাম নাশারাহ শরীফ - ১৫২ বার


সূরা ফাতেহা শরীফ - ১ বার


সূরা ক্বদর শরীফ - ১১ বার


দোয়া ইউনুচ শরীফ-


لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّـىْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ   -১১০০ বার


لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ  -৩ বার


اَللهم خَلِّصْ  (এখানে কয়েদী ও তার বাপের নাম বলবে)مِنَ الْقَيْدِ الشَّدِيْدِ بِحُرْمَةِ اَبِىْ يَزِيْد الْبُسْطَامِىْ قَدَّسَ سِرُّهُ، بِحَقِّ يَا اَللهُ يَا رَحْمٰنُ، يَا بُدُّوْحُ يَا ذَالْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ، بِحَقِّ كهيعص، حم، طه، يٰس بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ  ১১-বার -


    ইনশাহ আল্লাহ ক্বয়েদী মুক্তি পাবে।


শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার দোয়া


শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নাজাত পাওয়ার জন্য নিম্মোক্ত দোয়াটি অত্যন্ত ফলপ্রসু।


اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ، بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ، اَعُوْذُ بِوَجْهِ اللهِ الْكَرِيْمِ وَبِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَاخَلَقَ يَا اَللهُ اَلرَّقِيْبُ اَلْحَفِيْظُ اَلرَّؤُفُ الرَّحِيْمُ يَا اَللهُ اَلْحَىُّ الْحَكِيْمُ الْعَظِيْمُ الرَّؤُفُ الْكَرِيْمُ يَا اَللهُ اَلْحَىُّ الْقَيُّوْمُ اَلْقَائِمُ عَلٰى كُلِّ نَفْسٍ بِمَا كَسَبَتْ حَلَّ بَيْتِىْ عَدُؤْكَ وَبِاللهِ التَّوْفِيْقُ وَ صَلَّى اللهُ عَلٰى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ عَدَدَ مَا احَاطَ بِـه عِلْمُكَ وَاَحْصَاهُ كِتَابُكَ-


মুশকিল আসান ও সহজ হওয়া এবং উদ্দেশ্য পূরণ হওয়ার দোয়া


যদি কোন ব্যক্তি প্রতিদিন ১২০০০ (বার হাজার) বার لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّـىْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ    উক্ত তাসবীহটি বার দিন নিয়মিত পাঠ করে আল্লাহর রহমতে তার মুশকিল আসান হবে এবং সমস্ত জায়েয উদ্দেশ্য পূরণ হবে।


অথবা এগার জন ব্যক্তি উক্ত তাসবীহ অর্থাৎ لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّـىْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ   -১২৫০০০ (এক লক্ষ পঁচিশ হাজার) বার পাঠ করে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তা’লার ফজলে উদ্দেশ্য পূরণ হবে এবং মুশকিল আসান হবে।


জাদুগরের শাস্তি এবং জাদু তার দিকে প্রত্যাবর্তনের নিয়ম


প্রথমে একখানা ছুরি দ্বারা বৃত্ত বানাতে হবে। অত:পর “আয়াতুল কুরছি” পাঠ করে নিম্মোক্ত আয়াতটি পাঠ কর।


قُلْ جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا -وَيُحِقُّ اللهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِه وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ- وَيُرِيدُ اللهُ أَنْ يُحِقَّ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِه وَيَقْطَعَ دَابِرَ الْكَافِرِينَ- لِيُحِقَّ الْحَقَّ وَيُبْطِلَ الْبَاطِلَ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُوْنَ- وَيَمْحُوَ اللهُ الْبَاطِلَ وَيُحِقُّ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِه إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُوْرِ-


অত:পর পাঠ করবে-


اَعُوْذُ بِكَلِمَةِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَ عَيْنِ يَا حَفِيْظُ يَا رَقِيْبُ يَا وَكِيْلُ فَسَيَكْفِيْكَهُمُ اللهُ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ-


অত:পর ছুরিটি বৃত্তের মধ্যে গেড়ে দিয়ে বলবে; رَكَوْتُهَا فِىْ قَلْبِ الْعَائِنَةِ (অর্থাৎ বদ নজরকারীর অন্তরে এটা ঢেলে দিলাম) এর পর একটি বরতন কিংবা ঢাকনা দিয়ে উক্ত ছুরি ঢেকে দিলে আল্লাহর ফজলে করমে জাদুগরের দিকে জাদু প্রত্যাবর্তন করবে।


কবরের আযাব থেকে হেফাজত থাকার নিয়ম


প্রথম নিয়ম


যদি কোন ব্যক্তি মৃতের জন্য খননকৃত কবর হতে বের করা মাটির উপর “সূরা ইন্না আনজালনা” ৭ বার পাঠ করে ফুঁক দিয়ে উক্ত মাটি কবরে রাখে, ইনশাআল্লাহ এর বদৌলতে কবরে আযাব হবে না।


দ্বিতীয় নিয়ম: 


যদি কোন ব্যক্তি মৃত্যুকালীন রোগাক্রান্ত অবস্থায় “সূরা এখলাছ” অজিফা হিসাবে সর্বদা পাঠ করে, তাহলে সে কবরের আজাব হতে নাজাত পাবে এবং ফেরেশতাগণ তাকে জান্নাতে পৌঁছিয়ে দিবে।


তৃতীয় নিয়ম:


ফজর ও আছর নামাজের পর ৬০০ (ছয়শত) বার اللهُ الصَّمَدُ (আল্লাহুচ্ছমদ) পাঠে উপকার রয়েছে। এশা নামাজের পর উক্ত তাসবীহ (اللهُ الصَّمَدُ) পাঠে কবরের আজাব হতে আল্লাহ তা’লার ফজলে করমে নাজাত প্রাপ্ত হবে।


চতুর্থ নিয়ম:


পবিত্র হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে-যে ব্যক্তি “সূরা মুলক” সর্বদা তেলাওয়াত করবে, তার জন্য উক্ত সূরা সুপারিশ করবে এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’লা তাকে ক্ষমা করে দিবেন। হযরত ইবনে আব্বাস রাদ্বি আল্লাহু তা’লা আনহুমা বলেন- একজন সাহাবী কোন এক কবরের উপর তাবু তৈরী করল এবং তার নিকট জানা ছিলনা যে- এখানে কবর আছে। কিছুক্ষণ পর উক্ত কবরে “সূরা মুলক” পাঠ করার আওয়াজ শুনতে পেল এমনকি উক্ত সূরা সম্পূর্ণ শেষ হওয়া পর্যন্ত উক্ত আওয়াজ শুনতে পেল। অর্থাৎ সূরা মুলকের তেলাওয়াত শুনল। তা শ্রবণ করার পর উক্ত সাহাবী হুজুর আকদাছ (ﷺ)ার খেদমতে উপস্থিত হয়ে পুরো ঘটনা বর্ণনা করল। হুজুর সৈয়্যদে আলম (ﷺ) ইরশাদ করলেন যে- সূরা মুলুক কবরের আজাব থেকে নাজাত দিয়ে থাকে এবং এই সূরা উক্ত কবরবাসীকে আল্লাহর আজাব হতে হেফাজত রেখেছে।  وَاللهُ اَعْلَمُ


বৃষ্টির জন্য খতম শরীফের তারতীব


১। ইস্তেগফার - ১১ বার।


২। দরূদ শরীফ - ১১ বার।


৩। اَللهم إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيْرًا وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِيْ إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ . - প্রত্যেকে ৪১ বার।


৪। দরূদ উম্মী শরীফ - ১১০০ বার।


৫। দরূদ মা’দন - প্রত্যেকে ১০০ বার।


৬। আয়াতুল কুরসী - প্রত্যেকে ৪১ বার।


৭। সূরা ইয়াসিন শরীফ - ৫০০ বার।


৮। সূরা ওয়াক্বিয়াহ শরীফ - ১২১ বার।


৯। সূরা মূল্ক শরীফ - ১৪১ বার।


১০। সূরা মুজাম্মিল শরীফ - ১৪৩ বার।


১১। সূরা নূহ্ শরীফ - ১৪৫ বার।


১২। সূরা নাবাহ্ শরীফ - ১৫১ বার।


১৩। সূরা নাজিয়াত শরীফ - ১১০ বার।


১৪। সূরা ইন্শিক্বাক শরীফ - ১১০ বার।


১৫। সূরা ইন্ফিতার শরীফ - ১১০ বার।


১৬। সূরা শাম্স শরীফ - ১১৫ বার।


১৭। সূরা দুহা শরীফ - ১১২ বার।


১৮। সূরা আলাম্নাশরাহ্ শরীফ - ১১৪ বার।


১৯। সূরা ত্বীন শরীফ - ১১১ বার।


২০। সূরা ক্বদর শরীফ - ৫৫০০ বার।


২১। সূরা তাকাসূর শরীফ - ১১০০ বার।


২২। সূরা আছর শরীফ - ১১০০ বার।


২৩। সূরা হুমাযাহ্ শরীফ - ১১১ বার।


২৪। সূরা ফীল শরীফ - ১১১ বার।


২৫। সূরা কুরাইশ শরীফ - ১১১ বার।


২৬। সূরা কাউছার শরীফ - ১১৫ বার।


২৭। সূরা কাফিরূন শরীফ - ১১৫ বার।


২৮। সূরা নছর শরীফ - ১১৫ বার।


২৯। সূরা ইখলাস শরীফ - ১১০০ বার।


৩০। اَللهم انزل علينا من السماءِ ماءً طهره نافعًا بحق جبرائيل، ميكائيل، اسرافيل، عزرائيل، دردائيل عليهم السلام - প্রত্যেকে ২১ বার।


৩১। দরূদে তাজ শরীফ - ১২১ বার।


অতঃপর যিকির-আযকার ও মিলাদ ক্বিয়াম শেষে রাসূলে করীম (ﷺ) গাউছে পাক আব্দুল কাদের জিলানী (رضي الله عنه), খাজা গরীবে নাওয়াজ (رضي الله عنه), হযরত খিজির (عليه السلام) ও জমানার গাউছ-কুতুব এবং বুযুর্গানে দ্বীনের প্রতি ফাতেহা ও ইছালে ছাওয়াব শেষে উদ্দেশ্য পূরণের জন্য আল্লাহর দরবারে দোআ করবে।



সু-পাত্র ও সু-পাত্রী ব্যবস্থা হওয়ার জন্য দোআ


১। ইস্তেগফার - ১১ বার।


২। দরূদ শরীফ - ১১ বার।


৩। বিস্মিল্লাহ শরীফ - ২১ বার।


৪। يَـا عَلِـىُّ - ২৯৭০ বার।


৫। يَــا مُـجِـيْبُ - ৫৫০০ বার।


৬। يَــا وَاجِـدُ - ১১০০ বার।


৭। সূরা ফাতেহা শরীফ - প্রত্যেকে ৪১ বার।


৮। لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ  - ১০১ বার।


৯। দরূদ শরীফ - ২১ বার।


অতঃপর মিলাদ-ক্বিয়াম শেষে দোআ করবে।



মৃত ব্যক্তির গুনাহ মাফ ও উচ্চ মর্যাদার জন্য দাওয়াত


১। ইস্তেগফার - ১১০০ বার।


২। দরূদ শরীফ - ১১০০ বার।


৩। সূরা ফাতেহা শরীফ - ১১০০ বার।


৪। সূরা কাফ শরীফ - ১১ বার।


৫। সূরা মূল্ক শরীফ - ৪১ বার।


৬। সূরা মুজাম্মিল শরীফ - ৪১ বার।


৭। সূরা তাকাছুর শরীফ - ৪১ বার।


৮। সূরা ইখলাছ শরীফ - ১১,১১১ বার।


৯। দরূদ শরীফ - ৫০০ বার।


অতঃপর মৃত ব্যক্তির গুনাহ মাফ ও উচ্চ মর্যাদার জন্য দোআ করবে।



সমস্ত হাজত পূরণের দোয়া


 


যে ব্যক্তি উক্ত নকশা লিখে সাবধানতাপূর্বক নিজের সাথে রাখবে আল্লাহর ফজলে করমে তার সমস্ত হাজত পূরণ হবে। তবে আক্বীদা ও বিশ্বাস আবশ্যক। কয়েকদিন পর সাথে রাখা ব্যক্তি উক্ত নকশার বরকত ও ফয়েজ সমূহের বিকাশ আরম্ভ হবে। ইনশাআল্লাহ। এ নকশাটি সর্বাবস্থায় পরিপূর্ণ প্রভাব রাখে। সমস্ত উদ্দেশ্য ও হাজাত হাসিলের ক্ষেত্রে উক্ত নকশাটি খুবই উপকারী।


অথবা উক্ত শে’রের আবজাদ সংখ্যা বের করে উক্ত সংখ্যা গুনন করলে যে সংখ্যা বের হবে উক্ত সংখ্যা পরিমাণ এটি পাঠ করলেও অনুরূপ ফলাফল পাওয়া যাবে। অর্থাৎ ৬৭৫ বার পাঠ করবে। 


وَاللهُ اَعْلَمُ بِحَقِيْقَةِ الْحَالِ




সমাপ্ত

ভূমিকা


 


نَحْمَدُه وَنُصَلِّى وَنُسَلِّمُ عَلٰى رَسُـوْلِـهِ الْـكَـرِيْـمِ


আমি ‘আত্তোহ্ফাতুল গাউছিয়া’ পুস্তকটি আহ্লে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বীদা অনুসারী মুসলমানদের উপকারার্থে রচনা করেছি, আমার কিছু বন্ধু ও হিতাকাংখী উক্ত পুস্তকটি রচনা করার জন্য আমাকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান। তম্মধ্যে এ ব্যাপারে যারা আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তারা হচ্ছেন আলহাজ্ব রফিক আহমদ সওদাগর। আর তৃতীয় সংস্করণে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন মোহাম্মদ আবু রায়হান সওদাগর ও মোহাম্মদ পারভেজ সওদাগর। আমি তাদের শোকরিয়া আদায় করছি এবং তাদের দীর্ঘায়ু ও উন্নতি কামনা করছি। এ ব্যাপারে আরো যারা সহযোগিতা করেছেন আমি তাদেরকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি।


এ পুস্তকটি বিভিন্ন আউলিয়ায়ে কেরামের ছিলছিলা অনুসরণ করে লেখা হয়েছে। তাই আলোচনা সমালোচনা করার কারো কোন অবকাশ নাই।


যদি কোন ব্যক্তি এ পুস্তক থেকে কোন দাওয়াত তার উদ্দেশ্য পূরণের জন্য পড়তে বা পড়াইতে চায় তাহলে প্রথমে তার আপন ছিলছিলার পীর সাহেবের নিকট হতে অনুমতি নিতে হবে। এতে সহসাত ফায়দা লাভ করা যাবে।


আমি অত্র পুস্তকটির বিক্রিত লভ্যাংশ ‘আঞ্জুমানে কাদেরীয়া চিশ্তীয়া আজিজিয়ার’ ‘দারুল এশাআতে’ দান করলাম।


সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! আমার এ পুস্তকখানা উপকৃত প্রমাণিত হলে আমাকে দোয়া করবেন।


ইতি


মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী



অনুবাদকের কথা


اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِيْنَ وَالصَّلوٰةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى سَيِّدِالْاَنْبِيَاءِ وَالْمُرْسَلِيْنَ وَعلٰى آلِـهٖ وَصَحْبِـهٖ اَجْمَعِيْنَ ، اَمَّا بَعْدُ !


পরম করুণাময় মহান আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, অসংখ্য সালাত ও সালাম তাঁর প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (ﷺ) এর প্রতি।


মহান রাব্বুল আলামীনের পবিত্র দরবারে অসংখ্য শুকরিয়া আদায় করছি যার অপরিসীম রহমতে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, লেখক ও গবেষক, ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মূঈনীয়া কামিল মাদ্রাসা, হাটহাজারী আনোয়ারুল উলুম নোমানীয়া ফাযিল মাদ্রাসা ও বেতবুনিয়া মূঈনুল উলুম রেজভীয়া সাঈদীয়া আলিম মাদ্রাসাসহ বহু দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, শায়খুল হাদীস ওয়াত্ তাফসীর, পেশোয়ায়ে আহলে সুন্নাত, শাইখে ত্বরীকত, হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব মোহাম্মদ আজিজুল হক আল-কাদেরী (মাদ্দাজিল­ুহুল আলী) কর্তৃক প্রণীত ‘আত্তোহ্ফাতুল গাউছিয়া’ নামক কিতাবটি বাংলা ভাষাভাষী মুসলমানদের খেদমতে পেশ করার সুযোগ হয়েছে। এতে হযরত ছৈয়দুনা গাউছে পাক রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহু, হযরত খাজা গরীবে নাওয়াজ রাদ্বিআল্লাহু তাআলা আনহু সহ বিভিন্ন হক্কানী রব্বানী পীর মাশায়েখগণের কিছু দাওয়াতের তারতীব দেওয়া হয়েছে। 


আমি যথাসাধ্য মূল কিতাবের সাথে হুবহু রেখে বাংলা অনুবাদের চেষ্টা করেছি। গ্রন্থখানি পাঠ করে মুসলিম ভাই বোনেরা যদি সামান্যটুকুও উপকৃত হন এ অধমের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা স্বার্থক বলে মনে করবো। আল্লাহ আমাদের সকলের খেদমত কবুল করুন ও উত্তম প্রতিদান নসীব করুন। আমীন\


অনুবাদক,

এম.এম. মহিউদ্দীন

শিক্ষক: ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মুঈনীয়া কামিল মাদ্রাসা

নির্বাহী সম্পাদক: মাসিক আল্-মুবীন



 






Top