🕋 আল মায়েদাহ আয়াত নং : ০
بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
📕 কানযুল ঈমান
০. আল্লাহ্র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)
📗 ইরফানুল কুরআন
০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَوۡفُوۡا بِالۡعُقُوۡدِ ۬ؕ اُحِلَّتۡ لَکُمۡ بَہِیۡمَۃُ الۡاَنۡعَامِ اِلَّا مَا یُتۡلٰی عَلَیۡکُمۡ غَیۡرَ مُحِلِّی الصَّیۡدِ وَ اَنۡتُمۡ حُرُمٌ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یَحۡکُمُ مَا یُرِیۡدُ ﴿۱﴾
📕 কানযুল ঈমান
১. হে ঈমানদারগণ! স্বীয় অঙ্গীকার পূরণ করো। তোমাদের জন্য হালাল হলো বাকশক্তিহীন চতুষ্পদ জন্তু, কিন্তু (হালাল নয়) ওই সব (জন্তু), যেগুলোর কথা সামনে তোমাদেরকে শুনানো হবে, তবে শিকার হালাল মনে করো না যখন তোমরা ইহরামের মধ্যে থাকো। নিশ্চয় আল্লাহ্ আদেশ করেন যা চান।
📗 ইরফানুল কুরআন
১. হে ঈমানদারগণ! (নিজেদের) অঙ্গীকার পূর্ণ করো। তোমাদের জন্যে চতুষ্পদ জন্তু (অর্থাৎ গবাদি পশু) হালাল করা হয়েছে, সেসব (প্রাণী) ব্যতীত যা তোমাদের জন্যে পরবর্তীতে বর্ণিত হবে। (তবে) ইহরাম অবস্থায় শিকার করাকে হালাল মনে করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ যা চান তা নির্দেশ করেন।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ২
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تُحِلُّوۡا شَعَآئِرَ اللّٰہِ وَ لَا الشَّہۡرَ الۡحَرَامَ وَ لَا الۡہَدۡیَ وَ لَا الۡقَلَآئِدَ وَ لَاۤ آٰمِّیۡنَ الۡبَیۡتَ الۡحَرَامَ یَبۡتَغُوۡنَ فَضۡلًا مِّنۡ رَّبِّہِمۡ وَ رِضۡوَانًا ؕ وَ اِذَا حَلَلۡتُمۡ فَاصۡطَادُوۡا ؕ وَ لَا یَجۡرِمَنَّکُمۡ شَنَاٰنُ قَوۡمٍ اَنۡ صَدُّوۡکُمۡ عَنِ الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ اَنۡ تَعۡتَدُوۡا ۘ وَ تَعَاوَنُوۡا عَلَی الۡبِرِّ وَ التَّقۡوٰی ۪ وَ لَا تَعَاوَنُوۡا عَلَی الۡاِثۡمِ وَ الۡعُدۡوَانِ ۪ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ ﴿۲﴾
📕 কানযুল ঈমান
২. হে ঈমানদারগণ! হালাল সাব্যস্ত করো না আল্লাহ্র নিদর্শনগুলোকে, না সম্মানিত মাসকে, না হেরমের প্রতি প্রেরিত ক্বোরবানীর পশুকে, না এমন সব পশুকেও, যেগুলোর গলায় চিহ্নসমূহ ঝুলানো হয়েছে এবং না সে সব লোকের সম্পদ ও মান-ইজ্জতকে, যারা সম্মানিত ঘরের উদ্দেশ্যে এসেছে, স্বীয় রবের দয়া ও তার সন্তুষ্টি লাভ করতে চায়। আর যখন তোমরা ইহ্রাম মুক্ত হবে তখন শিকার করতে পারো। আর তোমাদেরকে কোন গোত্রের এ শত্রুতা যে, ‘তোমাদেরকে তারা মসজিদে হারামে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছিলো’ যেন সীমালংঘনে প্ররোচিত না করে এবং সৎ ও খোদাভীরুতার কাজে তোমরা পরস্পরকে সাহায্য করো আর পাপ ও সীমালংঘণ একে অন্যের সাহায্য করো না এবং আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো নিশ্চয় আল্লাহ্র শাস্তি কঠোর।
📗 ইরফানুল কুরআন
২. হে ঈমানদারগণ! তোমরা অবমাননা করো না আল্লাহ্র নিদর্শনাবলীর, আর না পবিত্র (ও সম্মানিত) মাসের (অর্থাৎ যিলক্বদ, যিলহজ্জ, মহররম ও রজব মাসের), না পবিত্র কা’বায় প্রেরিত কুরবাণীর পশুর, না মক্কার পথে ধাবমান প্রাণীর যেগুলোর গলায় চিহ্নিতকারী বন্ধনী রয়েছে; আর না পবিত্র গৃহ (কা’বা) অভিমুখী গমনকারীর পবিত্রতার (অর্থাৎ তার প্রাণ, সম্পদ এবং সম্মান ও মর্যাদার অসম্মান করো না, কেননা তারা সেসব লোক), যারা তাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি অন্বেষণ করছে। আর যখন তোমরা ইহরাম মুক্ত হও তখন তোমরা শিকার করতে পারো। আর তোমাদেরকে মসজিদুল হারামে (অর্থাৎ কা’বা গৃহে উপস্থিত হতে) বাধা দেয়ার কারণে যেন কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদেরকে সীমালঙ্ঘনে প্ররোচিত না করে। আর পূণ্য ও খোদাভীতির (কাজের) ক্ষেত্রে একে অপরকে সাহায্য করো। তবে পাপ ও যুলুমে একে অপরকে সাহায্য করো না। আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ (পাপাচারীদেরকে) কঠিন শাস্তিপ্রদানকারী।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৩
حُرِّمَتۡ عَلَیۡکُمُ الۡمَیۡتَۃُ وَ الدَّمُ وَ لَحۡمُ الۡخِنۡزِیۡرِ وَ مَاۤ اُہِلَّ لِغَیۡرِ اللّٰہِ بِہٖ وَ الۡمُنۡخَنِقَۃُ وَ الۡمَوۡقُوۡذَۃُ وَ الۡمُتَرَدِّیَۃُ وَ النَّطِیۡحَۃُ وَ مَاۤ اَکَلَ السَّبُعُ اِلَّا مَا ذَکَّیۡتُمۡ ۟ وَ مَا ذُبِحَ عَلَی النُّصُبِ وَ اَنۡ تَسۡتَقۡسِمُوۡا بِالۡاَزۡلَامِ ؕ ذٰلِکُمۡ فِسۡقٌ ؕ اَلۡیَوۡمَ یَئِسَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ دِیۡنِکُمۡ فَلَا تَخۡشَوۡہُمۡ وَ اخۡشَوۡنِ ؕ اَلۡیَوۡمَ اَکۡمَلۡتُ لَکُمۡ دِیۡنَکُمۡ وَ اَتۡمَمۡتُ عَلَیۡکُمۡ نِعۡمَتِیۡ وَ رَضِیۡتُ لَکُمُ الۡاِسۡلَامَ دِیۡنًا ؕ فَمَنِ اضۡطُرَّ فِیۡ مَخۡمَصَۃٍ غَیۡرَ مُتَجَانِفٍ لِّاِثۡمٍ ۙ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۳﴾
📕 কানযুল ঈমান
৩. তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে মড়া, রক্ত, শূকরের মাংস, ওই পশু যা যবেহ করার সময় আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো নাম উচ্চারন করা হয়েছে, ওই জন্তু যা শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা পড়েছে, ওই পশু যাকে ধারাল নয় এমন বস্তু দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে, যা উপর থেকে পড়ে মারা গেছে, যে পশুকে অন্য পশু শিং দ্বারা আঘাত করে হত্যা করেছে, যেটাকে অন্য কোন হিংস্র পশু খেয়ে ফেলেছে, তবে যেগুলোকে তোমরা যবেহ্ করে নিয়েছো তা’ ব্যতীত, যা মূর্তি পূজার বেদীর উপর বলি দেয়া হয়েছে এবং জুয়ার তীর দ্বারা ভাগ নির্ণয় করা। এটা পাপ কাজ। আজ কাফিরগণ তোমাদের দ্বীন থেকে হতাশ হয়ে গেছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করো না এবং আমাকেই ভয় করো। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের উপর আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন মনোনীত করলাম। সুতরাং যে ব্যক্তি ক্ষুধা পিপাসার তীব্রতায় বাধ্য হয়, এভাবে যে, পাপের দিকে ধাবিত হয় না, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
📗 ইরফানুল কুরআন
৩. তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃতজন্তু (অর্থাৎ শরীয়ত সম্মত উপায়ে যবাই ব্যতীত মৃত প্রাণী), (প্রবাহিত) রক্ত, শূকরের মাংস, (সেসব প্রাণী) যা যবাই করার সময়ে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো নাম উচ্চারণ করা হয়েছে, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া (প্রাণী), (ধারালো অস্ত্র ব্যতীত অন্য কোনো কিছুর) আঘাতে মারা যাওয়া, উঁচু স্থান থেকে পড়ে মারা যাওয়া, (কোনো প্রাণীর) শিংয়ের আঘাতে মারা যাওয়া এবং (সেসব প্রাণী) যাকে হিংস্র প্রাণী ছিঁড়ে খেয়েছে; তবে ওইসব প্রাণী ব্যতীত (মারা যাওয়ার পূর্বে) যাকে তোমরা যবাই করে নিয়েছো। আর (সেসব প্রাণীও) যা বাতিল উপাস্যদের পূজার বেদীতে (অর্থাৎ মূর্তির জন্যে নির্ধারিত হত্যার স্থানে) হত্যা করা হয়েছে। আর (এও হারাম) যে, তোমরা লটারীর (অর্থাৎ শুভাশুভ নিরূপণের তীরের) মাধ্যমে ভাগ্য নির্ণয় করো (অথবা অংশ বণ্টন করো)। এ সকল কর্মকান্ড গোনাহের কাজ। আজ কাফেরেরা তোমাদের দ্বীন (বিজয়ী হওয়ার কারণে তাদের ঘৃন্য প্রবৃত্তিগুলো) থেকে নিরাশ হয়ে গিয়েছে। কাজেই (হে মুসলমানগণ!) তোমরা তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকেই ভয় করো। আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছি, তোমাদের উপর আমার নিয়ামত পূর্ণ করে দিয়েছি এবং তোমাদের জন্যে ইসলামকে দ্বীন (হিসেবে, অর্থাৎ পরিপূর্ণ জীবনবিধানরূপে) মনোনীত করেছি। অতঃপর যদি কোনো ব্যক্তি প্রচন্ড ক্ষুধায় (এবং পিপাসায় একেবারে নিরূপায় অবস্থায়) গোনাহের দিকে ধাবিত না হয়ে বাধ্য হয় (অর্থাৎ ইচ্ছকৃতভাবে গোনাহে ধাবিত হয়ে হারাম বস্তু ভক্ষণ না করে); তখন নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৪
یَسۡـَٔلُوۡنَکَ مَاذَاۤ اُحِلَّ لَہُمۡ ؕ قُلۡ اُحِلَّ لَکُمُ الطَّیِّبٰتُ ۙ وَ مَا عَلَّمۡتُمۡ مِّنَ الۡجَوَارِحِ مُکَلِّبِیۡنَ تُعَلِّمُوۡنَہُنَّ مِمَّا عَلَّمَکُمُ اللّٰہُ ۫ فَکُلُوۡا مِمَّاۤ اَمۡسَکۡنَ عَلَیۡکُمۡ وَ اذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰہِ عَلَیۡہِ ۪ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَرِیۡعُ الۡحِسَابِ ﴿۴﴾
📕 কানযুল ঈমান
৪. হে মাহ্বূব! আপনাকে জিজ্ঞাসা করছে যে, তাদের জন্য কী হালাল করা হয়েছে। আপনি বলে দিন, ‘তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে পবিত্র বস্তুসমূহ; এবং যে শিকারী জন্তুকে তোমরা শিকার শিক্ষা দিয়েছো সেগুলোকে শিকারের দিকে ধাবিত করে, যে জ্ঞান তোমাদেরকে আল্লাহ্ শিক্ষা দিয়েছেন তা থেকে সেগুলোকে শিক্ষা দিয়ে। সুতরাং তোমরা আহার করো তা থেকেই যা সেগুলো মেরে তোমাদের জন্য রেখে দেয়, এবং সেটার উপর আল্লাহ্র নাম নাও আর আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো। নিশ্চয় হিসাব করতে আল্লাহ্র বেশি সময় লাগে না।
📗 ইরফানুল কুরআন
৪. লোকেরা আপনাকে জিজ্ঞেস করে, তাদের জন্যে কী কী বস্তু হালাল করা হয়েছে। (তাদেরকে) বলে দিন, ‘তোমাদের জন্যে পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হয়েছে। আর যেসব শিকারী প্রাণী তোমরা শিকারে প্রেরণের জন্যে পোষ মানিয়েছো, তোমরা সেগুলোকে (শিকারের পদ্ধতি) শিক্ষাদান করো যা আল্লাহ্ তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন; সুতরাং সেসব (শিকারী প্রাণী) তোমাদের জন্যে যেসব (শিকার হত্যা করে) রেখে দেয় তোমরা তা থেকে(ও) খাও এবং (শিকারে প্রেরণের সময়) এতে (এ শিকারী প্রাণীর উপর) আল্লাহ্র নাম উচ্চারণ করো। আর আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৫
اَلۡیَوۡمَ اُحِلَّ لَکُمُ الطَّیِّبٰتُ ؕ وَ طَعَامُ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ حِلٌّ لَّکُمۡ ۪ وَ طَعَامُکُمۡ حِلٌّ لَّہُمۡ ۫ وَ الۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ الۡمُؤۡمِنٰتِ وَ الۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ اِذَاۤ اٰتَیۡتُمُوۡہُنَّ اُجُوۡرَہُنَّ مُحۡصِنِیۡنَ غَیۡرَ مُسٰفِحِیۡنَ وَ لَا مُتَّخِذِیۡۤ اَخۡدَانٍ ؕ وَ مَنۡ یَّکۡفُرۡ بِالۡاِیۡمَانِ فَقَدۡ حَبِطَ عَمَلُہٗ ۫ وَ ہُوَ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ ﴿۵﴾
📕 কানযুল ঈমান
৫. আজ তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হলো এবং কিতাবীদের খাদ্যদ্রব্য তোমাদের জন্য হালাল। আর তোমাদের খাদ্যদ্রব্য তাদের জন্য বৈধ। এবং চরিত্রবতী মুসলিম নারীগণ আর চরিত্রবতী নারীগণ তাদেরই থেকে, যাদেরকে তোমাদের পূর্বে কিতাব দেওয়া হয়েছে- যখন তোমরা তাদেরকে তাদের মহর প্রদান করবে, বিবাহ বন্ধনে আনার জন্য, ব্যভিচারের জন্য নয় এবং উপপত্নী বানানোর জন্যও নয়। আর যে মুসলমান কাফির হয় তার কী রইলো? সব বিনষ্ট হয়ে গেলো এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।
📗 ইরফানুল কুরআন
৫. আজ তোমাদের জন্যে পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হয়েছে এবং যাদেরকে (ঐশী) কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের যবাই(ও) তোমাদের জন্যে হালাল; আর তোমাদের যবাইকৃত প্রাণী তাদের জন্যে হালাল এবং (একইভাবে) মুসলমান সতীসাধ্বী নারীগণ এবং তাদের সতীসাধ্বী নারীগণ যাদেরকে তোমাদের পূর্বে কিতাব দেয়া হয়েছিল (তোমাদের জন্যে হালাল); যখন তোমরা তাদেরকে তাদের দেনমোহর পরিশোধ করো; (তবে এ শর্তে যে) তোমরা (তাদেরকে) বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করবে (নির্মল চরিত্র রক্ষার্থে), না (নিছক ফুর্তি করার নিমিত্তে) প্রকাশ্য ব্যভিচারের জন্যে আর না গোপন প্রণয়ের জন্যে। আর যে ব্যক্তি (আল্লাহ্র বিধিবিধানের উপর) ঈমান প্রত্যাখ্যান করে, তবে তার সকল আমল বিনষ্ট হবে এবং সে পরকালে(ও) ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে গণ্য হবে।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৬
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا قُمۡتُمۡ اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغۡسِلُوۡا وُجُوۡہَکُمۡ وَ اَیۡدِیَکُمۡ اِلَی الۡمَرَافِقِ وَ امۡسَحُوۡا بِرُءُوۡسِکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ اِلَی الۡکَعۡبَیۡنِ ؕ وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ جُنُبًا فَاطَّہَّرُوۡا ؕ وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مَّرۡضٰۤی اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ اَوۡ جَآءَ اَحَدٌ مِّنۡکُمۡ مِّنَ الۡغَآئِطِ اَوۡ لٰمَسۡتُمُ النِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُوۡا مَآءً فَتَیَمَّمُوۡا صَعِیۡدًا طَیِّبًا فَامۡسَحُوۡا بِوُجُوۡہِکُمۡ وَ اَیۡدِیۡکُمۡ مِّنۡہُ ؕ مَا یُرِیۡدُ اللّٰہُ لِیَجۡعَلَ عَلَیۡکُمۡ مِّنۡ حَرَجٍ وَّ لٰکِنۡ یُّرِیۡدُ لِیُطَہِّرَکُمۡ وَ لِیُتِمَّ نِعۡمَتَہٗ عَلَیۡکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۶﴾
📕 কানযুল ঈমান
৬. হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা নামাযের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন নিজ মুখমণ্ডল ধৌত করো এবং কনুই পর্যন্ত হাতও; আর মাথা মসেহ করো; এবং পায়ের গিঁঠ ধৌত করো। আর যদি তোমাদের গোসল করার প্রয়োজন হয়, তবে বিশেষভাবে পবিত্র হও; এবং তোমরা যদি পীড়িত হও অথবা সফরে থাকো অথবা তোমাদের থেকে কেউ পায়খানা-প্রস্রাবের স্থান থেকে আগমন করে অথবা তোমরা স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করো এবং এ সমস্ত অবস্থায় পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা ‘তায়াম্মুম’ করো। তখন আপন মুখ ও হাতগুলো তা’দ্বারা মসেহ করো। আল্লাহ্ চান না যে, তোমাদের কোন কষ্ট হোক; হাঁ, এটাই চান যে, তোমাদেরকে অতিমাত্রায় পবিত্র করবেন এবং স্বীয় অনুগ্রহ তোমাদের প্রতি সম্পূর্ণ করে দেবেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।
📗 ইরফানুল কুরআন
৬. হে ঈমানদারগণ! যখন (তোমরা) নামাযের জন্যে দন্ডায়মান (হওয়ার প্রবৃত্ত) হও, তখন তোমরা (ওযুর জন্যে) তোমাদের মুখমন্ডল ও তোমাদের হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করো; আর তোমাদের মাথা মাসেহ্ করো এবং তোমাদের পা(ও) টাখনু পর্যন্ত (ধৌত করো)। আর যদি তোমরা অপবিত্র অবস্থায় থাকো, তবে (গোসল করে) ভালোভাবে পবিত্র হও। আর যদি তোমরা অসুস্থ হও অথবা সফরে থাকো অথবা তোমাদের কেউ প্রকৃতির চাহিদা নিবারণ থেকে (মুক্ত হয়ে) ফিরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সংগত হও অতঃপর পানি না পাও, তবে (এসব অবস্থায়) পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করে নিও। সুতরাং (তায়াম্মুম হলো) পবিত্র মাটি দিয়ে তোমাদের মুখমন্ডল এবং তোমাদের (পুরো) হাত মাসেহ্ করা। আল্লাহ্ তোমাদেরকে কষ্ট দিতে চান না, বরং তিনি চান তোমাদেরকে পবিত্র করতে এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নিয়ামত পূর্ণ করতে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৭
وَ اذۡکُرُوۡا نِعۡمَۃَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ وَ مِیۡثَاقَہُ الَّذِیۡ وَاثَقَکُمۡ بِہٖۤ ۙ اِذۡ قُلۡتُمۡ سَمِعۡنَا وَ اَطَعۡنَا ۫ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۷﴾
📕 কানযুল ঈমান
৭. এবং স্মরণ করো আল্লাহ্র অনুগ্রহকে তোমাদের উপর এবং ওই অঙ্গীকারকে, যা তিনি তোমাদের নিকট থেকে নিয়েছেন, যখন তোমরা বলেছিলে, ‘আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি;’ আর আল্লাহ্কে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ্ অন্তরসমূহের কথা জানেন।
📗 ইরফানুল কুরআন
৭. আর স্মরণ করো তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহের কথা এবং (স্মরণ করো) তাঁর অঙ্গীকারও যা তিনি তোমাদের থেকে (দৃঢ়ভাবে) গ্রহণ করেছিলেন, যখন তোমরা (সম্মত হয়ে) বলেছিলে, ‘আমরা (আল্লাহ্র নির্দেশ) শুনলাম এবং আমরা (তাঁর) আনুগত্য করলাম’। আর আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ অন্তরের (লুকায়িত) বিষয়াদি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবগত।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৮
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا کُوۡنُوۡا قَوّٰمِیۡنَ لِلّٰہِ شُہَدَآءَ بِالۡقِسۡطِ ۫ وَ لَا یَجۡرِمَنَّکُمۡ شَنَاٰنُ قَوۡمٍ عَلٰۤی اَلَّا تَعۡدِلُوۡا ؕ اِعۡدِلُوۡا ۟ ہُوَ اَقۡرَبُ لِلتَّقۡوٰی ۫ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۸﴾
📕 কানযুল ঈমান
৮. হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর আদেশের উপর খুব অটল হয়ে যাও ন্যায় সহকারে সাক্ষ্য দিতে, তোমাদেরকে কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতা যেন এর প্রতি প্ররোচিত না করে যে, সুবিচার করবে না। সুবিচার করো। তা আত্নসংযমের অতি নিকটতর এবং আল্লাহ্কে ভয় করো! বস্তুতঃ আল্লাহ্ তোমাদের কৃতকর্মের খবর রাখেন।
📗 ইরফানুল কুরআন
৮. হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে দৃঢ়ভাবে ন্যায়ের উপর অবিচল থেকে সাক্ষী প্রদান করো। আর কোনো সম্প্রদায়ের চরম শত্রুতা(ও) যেন তোমাদেরকে এ বিষয়ে প্ররোচিত না করে যে, তোমরা (তাদের সাথে) ন্যায়বিচার করবে না। ন্যায়বিচার করো, (কারণ) এটি খোদাভীতির অধিকতর নিকটবর্তী এবং আল্লাহ্কে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে সম্যক অবগত।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৯
وَعَدَ اللّٰہُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ۙ لَہُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ وَّ اَجۡرٌ عَظِیۡمٌ ﴿۹﴾
📕 কানযুল ঈমান
৯. ঈমানদার-সৎকর্মপরায়ণদেরকে আল্লাহ্ এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তাদের জন্য ক্ষমা ও মহাপুরস্কার রয়েছে।
📗 ইরফানুল কুরআন
৯. যারা ঈমান আনয়ন করে এবং সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাদেরকে অঙ্গীকার প্রদান করেছেন (যে,) তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১০
وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَ کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِنَاۤ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ الۡجَحِیۡمِ ﴿۱۰﴾
📕 কানযুল ঈমান
১০. আর যারা কুফর করেছে এবং আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে তারা দোযখের অধিবাসী।
📗 ইরফানুল কুরআন
১০. আর যারা কুফরী করে এবং আমাদের আয়াতসমূহকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করে তারাই জাহান্নামের (অগ্নির) অধিবাসী।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১১
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اذۡکُرُوۡا نِعۡمَتَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ اِذۡ ہَمَّ قَوۡمٌ اَنۡ یَّبۡسُطُوۡۤا اِلَیۡکُمۡ اَیۡدِیَہُمۡ فَکَفَّ اَیۡدِیَہُمۡ عَنۡکُمۡ ۚ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ وَ عَلَی اللّٰہِ فَلۡیَتَوَکَّلِ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۱۱﴾
📕 কানযুল ঈমান
১১. হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর আল্লাহ্র অনুগ্রহকে স্মরণ করো যখন একটা সম্প্রদায় চেয়েছে যে, তোমাদের বিরুদ্ধে হস্ত সম্প্রসারণ করবে। তখন তিনি তাদের হাত তোমাদের উপর থেকে রুখে দিয়েছেন; এবং আল্লাহ্ক ভয় করো। আর মুসলমানদেরকে আল্লাহ্রই উপর ভরসা করা চাই।
📗 ইরফানুল কুরআন
১১. হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্মরণ করো আল্লাহ্র (সে) নিয়ামত (যা) তোমাদের প্রতি অর্পিত হয়েছিল, যখন (কাফেরেরা হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের উদ্দেশ্যে) তোমাদের দিকে তাদের হস্ত প্রসারিত করার সংকল্প করেছিল তখন আল্লাহ্ তোমাদের থেকে তাদের হস্ত প্রতিহত করেছিলেন। আর আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো, এবং ঈমানদারগণ যেন আল্লাহ্রই উপর ভরসা করে।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১২
وَ لَقَدۡ اَخَذَ اللّٰہُ مِیۡثَاقَ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ ۚ وَ بَعَثۡنَا مِنۡہُمُ اثۡنَیۡ عَشَرَ نَقِیۡبًا ؕ وَ قَالَ اللّٰہُ اِنِّیۡ مَعَکُمۡ ؕ لَئِنۡ اَقَمۡتُمُ الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَیۡتُمُ الزَّکٰوۃَ وَ اٰمَنۡتُمۡ بِرُسُلِیۡ وَ عَزَّرۡتُمُوۡہُمۡ وَ اَقۡرَضۡتُمُ اللّٰہَ قَرۡضًا حَسَنًا لَّاُکَفِّرَنَّ عَنۡکُمۡ سَیِّاٰتِکُمۡ وَ لَاُدۡخِلَنَّکُمۡ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ ۚ فَمَنۡ کَفَرَ بَعۡدَ ذٰلِکَ مِنۡکُمۡ فَقَدۡ ضَلَّ سَوَآءَ السَّبِیۡلِ ﴿۱۲﴾
📕 কানযুল ঈমান
১২. এবং নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ বনী ইস্রাঈলের নিকট থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন; এবং আমি তাদের মধ্য থেকে বারজন নেতা নিযুক্ত করেছি; আল্লাহ্ এরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের সাথে আছি’। অবশ্যই তোমরা যদি নামায কায়েম রাখো, যাকাত প্রদান করো, আমার রসূলগণের উপর ঈমান আনো, তাদের প্রতি সম্মান আনো, তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করো এবং আল্লাহ্কে উত্তম ঋণ প্রদান করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের পাপ মোচন করবো এবং অবশ্যই তোমাদেরকে বেহেশ্তসমূহে নিয়ে যাবো, যেগুলোর পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত। অতঃপর এ অঙ্গীকারের পর তোমাদের মধ্যে যে ‘কুফর’ করেছে সে অবশ্যই সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে।
📗 ইরফানুল কুরআন
১২. নিশ্চয়ই আল্লাহ্ বনী ইসরাঈল থেকে দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, এবং (এর সম্পাদন, বাস্তবায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে) আমরা তাদের মধ্য থেকে বারোজন সর্দার নির্ধারণ করেছিলাম। আর আল্লাহ্ (বনী ইসরাঈলকে) বললেন, ‘আমি তোমাদের সাথে আছি (অর্থাৎ আমার বিশেষ সাহায্য ও সহায়তা তোমাদের সাথে থাকবে)। যদি তোমরা নামায কায়েম রাখো, যাকাত আদায় করতে থাকো, আমার রাসূলগণের উপর (সবসময়) ঈমান রাখো, তাদের (নবুয়্যতের মিশনে) সাহায্য করতে থাকো এবং আল্লাহ্কে (তাঁর দ্বীনের রক্ষণাবেক্ষণ ও সহায়তায় সম্পদ ব্যয় করে) উত্তম ঋণ প্রদান করো; তাহলে আমি তোমাদের থেকে তোমাদের গোনাহসমূহ অবশ্যই দূরীভুত করে দেবো এবং তোমাদেরকে অবশ্যই প্রবেশ করাবো জান্নাতে যার তলদেশে স্রোতধারা প্রবাহিত। অতঃপর পরবর্তীতে তোমাদের মধ্যে যেই তা অস্বীকার করবে, তবে অবশ্যই সে সরল পথ থেকে বিপথগামী হবে।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১৩
فَبِمَا نَقۡضِہِمۡ مِّیۡثَاقَہُمۡ لَعَنّٰہُمۡ وَ جَعَلۡنَا قُلُوۡبَہُمۡ قٰسِیَۃً ۚ یُحَرِّفُوۡنَ الۡکَلِمَ عَنۡ مَّوَاضِعِہٖ ۙ وَ نَسُوۡا حَظًّا مِّمَّا ذُکِّرُوۡا بِہٖ ۚ وَ لَا تَزَالُ تَطَّلِعُ عَلٰی خَآئِنَۃٍ مِّنۡہُمۡ اِلَّا قَلِیۡلًا مِّنۡہُمۡ فَاعۡفُ عَنۡہُمۡ وَ اصۡفَحۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۱۳﴾
📕 কানযুল ঈমান
১৩. অতঃপর তাদের এ কেমনই অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণে আমি তাদেরকে অভিসম্পাত করেছি এবং তাদের হৃদয়ে কঠিন করেছি; তারা আল্লাহ্র বাণীসমূহকে সেগুলোর যথাস্থান থেকে বিকৃত করে; এবং ভুলে বসেছে ওই সব নসীহতের এক বিরাট অংশকে, যেগুলো তাদেরকে দেওয়া হয়েছে। এবং আপনি সর্বদা তাদের একটা না একটা প্রতারণা সম্বন্ধে অবহিত হতে থাকবেন অল্প সংখ্যক লোক ব্যতীত; সুতরাং তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং উপেক্ষা করুন। নিশ্চয় সৎকর্মপরায়ণগণ আল্লাহ্র প্রিয়পাত্র।
📗 ইরফানুল কুরআন
১৩. অতঃপর তাদের স্বীয় অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণে আমরা তাদের প্রতি অভিসম্পাত করলাম (অর্থাৎ তারা আমার রহমত থেকে বঞ্চিত হলো)। আর আমরা তাদের অন্তর কঠিন করে দিলাম; (অর্থাৎ তারা হেদায়াত এবং প্রভাবান্বিত হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে গেল। সুতরাং) তারা (আল্লাহ্র কিতাবের) শব্দগুলো (সঠিক) স্থান থেকে পরিবর্তন করে এবং এর (এ পথপ্রদর্শনের বড়) একটি অংশ ভুলে যায়, যার উপদেশ তাদেরকে দেয়া হয়েছিল। আর (যারা ঈমান আনয়ন করেছে) তাদের কতিপয় ব্যতীত, আপনি সর্বদা তাদের কারো না কারো প্রতারণা সম্বন্ধে অবহিত হতে থাকবেন। সুতরাং আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং উপেক্ষা করুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সৎকর্মশীলদেরকে পছন্দ করেন।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১৪
وَ مِنَ الَّذِیۡنَ قَالُوۡۤا اِنَّا نَصٰرٰۤی اَخَذۡنَا مِیۡثَاقَہُمۡ فَنَسُوۡا حَظًّا مِّمَّا ذُکِّرُوۡا بِہٖ ۪ فَاَغۡرَیۡنَا بَیۡنَہُمُ الۡعَدَاوَۃَ وَ الۡبَغۡضَآءَ اِلٰی یَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ ؕ وَ سَوۡفَ یُنَبِّئُہُمُ اللّٰہُ بِمَا کَانُوۡا یَصۡنَعُوۡنَ ﴿۱۴﴾
📕 কানযুল ঈমান
১৪. এবং যে সব লোক দাবী করেছিলো, ‘আমরা খৃষ্টান’, আমি তাদের নিকট থেকে অঙ্গীকার নিয়েছি, তখন তারাও ভুলে গিয়েছে ওই সব উপদেশের একটা বিরাট অংশকে, যেগুলো তাদেরকে দেয়া হয়েছে। সুতরাং আমি তাদের পরস্পরের মধ্যে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঢেলে দিয়েছি; এবং অবিলম্বে আল্লাহ্ তাদেরকে জানিয়ে দেবেন যা কিছু তারা করতো।
📗 ইরফানুল কুরআন
১৪. আর আমরা তাদের থেকেও (এ ধরণের) অঙ্গীকার নিয়েছিলাম, যারা বলে, ‘আমরা খ্রিস্টান’। অতঃপর তারাও এর (এ পথনির্দেশনার বড়) একটি অংশ ভুলে গিয়েছে, যার উপদেশ তাদেরকে দেয়া হয়েছিলো। সুতরাং (এ অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণে) আমরা তাদের পরস্পরের মাঝে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত শত্রুতা ও বিদ্বেষ জাগরুক রেখেছি। আর অচিরেই আল্লাহ্ তাদেরকে সেসব (কর্মকান্ডের প্রকৃত) বিষয় অবহিত করবেন, যা তারা করতো।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১৫
یٰۤاَہۡلَ الۡکِتٰبِ قَدۡ جَآءَکُمۡ رَسُوۡلُنَا یُبَیِّنُ لَکُمۡ کَثِیۡرًا مِّمَّا کُنۡتُمۡ تُخۡفُوۡنَ مِنَ الۡکِتٰبِ وَ یَعۡفُوۡا عَنۡ کَثِیۡرٍ ۬ؕ قَدۡ جَآءَکُمۡ مِّنَ اللّٰہِ نُوۡرٌ وَّ کِتٰبٌ مُّبِیۡنٌ ﴿ۙ۱۵﴾
📕 কানযুল ঈমান
১৫. হে কিতাবীরা! নিশ্চয় তোমাদের নিকট আমার এ রসূল তাশ্রীফ এনেছেন, যিনি তোমাদের নিকট প্রকাশ করে দেন সেসব বস্তু থেকে এমন অনেক কিছু, যেগুলো তোমরা কিতাবের মধ্যে গোপন করে ফেলেছিলে এবং অনেক কিছু ক্ষমা করে থাকেন। নিশ্চয় তোমাদের নিকট আল্লাহ্র পক্ষ থেকে একটা ‘নূর’ এসেছে এবং স্পষ্ট কিতাব।
📗 ইরফানুল কুরআন
১৫. হে আহলে কিতাব! নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট আগমন করেছেন আমাদের (এ) রাসূল যিনি তোমাদের নিকট কিতাবের অনেক বিষয় (সুস্পষ্টরূপে) বর্ণনা করেন যা তোমরা গোপন করতে এবং (তোমাদের) অনেক অন্যায়ও উপেক্ষা করে থাকেন। নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আগমন করেছেন এক নূর (অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) এবং এক সমুজ্জ্বল গ্রন্থ (অর্থাৎ কুরআন মাজীদ)।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১৬
یَّہۡدِیۡ بِہِ اللّٰہُ مَنِ اتَّبَعَ رِضۡوَانَہٗ سُبُلَ السَّلٰمِ وَ یُخۡرِجُہُمۡ مِّنَ الظُّلُمٰتِ اِلَی النُّوۡرِ بِاِذۡنِہٖ وَ یَہۡدِیۡہِمۡ اِلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ﴿۱۶﴾
📕 কানযুল ঈমান
১৬. আল্লাহ্ তা দ্বারা সরল পথ প্রদর্শন করেন তাকেই, যে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি মোতাবেক চলে, নিরাপত্তার পথে এবং তাদেরকে অন্ধকাররাশি থেকে (বের করে) আলোর দিকে নিয়ে যান স্বীয় নির্দেশে; এবং তাদেরকে সোজা পথ দেখান।
📗 ইরফানুল কুরআন
১৬. আল্লাহ্ এর মাধ্যমে তাদেরকে পথ প্রদর্শন করেন, যারা তাঁর সন্তুষ্টি অনুযায়ী শান্তির (ও নিরাপত্তার) পথে চলে; আর তাদেরকে তাঁর নির্দেশে (কুফরী ও অজ্ঞতার) অন্ধকার থেকে বের করে (ঈমান ও হেদায়াতের) আলোর দিকে নিয়ে যান এবং তাদেরকে সরল পথের হেদায়াত-দিশা দান করেন।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১৭
لَقَدۡ کَفَرَ الَّذِیۡنَ قَالُوۡۤا اِنَّ اللّٰہَ ہُوَ الۡمَسِیۡحُ ابۡنُ مَرۡیَمَ ؕ قُلۡ فَمَنۡ یَّمۡلِکُ مِنَ اللّٰہِ شَیۡئًا اِنۡ اَرَادَ اَنۡ یُّہۡلِکَ الۡمَسِیۡحَ ابۡنَ مَرۡیَمَ وَ اُمَّہٗ وَ مَنۡ فِی الۡاَرۡضِ جَمِیۡعًا ؕ وَ لِلّٰہِ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا بَیۡنَہُمَا ؕ یَخۡلُقُ مَا یَشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۱۷﴾
📕 কানযুল ঈমান
১৭. নিশ্চয় কাফির হয়েছে ওই সব লোক যারা বলেছে, ‘আল্লাহ্ মরিয়ম-তনয় মসীহ্ই।’ আপনি বলে দিন! ‘অতঃপর আল্লাহ্র কে কী করতে পারে, যদি তিনি এটাই চান যে, ধ্বংস করে দেবেন মরিয়ম তনয় মসীহ্ ও তার মাতা এবং সমস্ত দুনিয়াবাসীকে?’ আল্লাহ্র জন্যই রাজত্ব আসমানসমূহের ও যমীনের এবং সে দু’টির মধ্যবর্তীর (সবকিছুর)। যা চান সৃষ্টি করেন এবং আল্লাহ্ সব কিছু করতে পারেন।
📗 ইরফানুল কুরআন
১৭. নিশ্চয়ই ওইসব লোক কুফরী করেছে যারা বলে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ (তো) মারইয়াম-তনয় মাসীহ্ই’। আপনি বলে দিন, ‘অতঃপর কে (সে ব্যক্তি) যে আল্লাহ্র (ইচ্ছার) কোনো কিছুর অধিকারী, যদি তিনি এ ইচ্ছা করেন যে, মারইয়াম-তনয় মাসীহ্, তাঁর মাতা এবং জমিনের সকল অধিবাসীকে ধ্বংস করে দেবেন (তখন তাঁর সিদ্ধান্তের বিপরীতে তাদেরকে কে রক্ষা করতে পারে)? আর (সকল কিছুর) রাজত্ব আল্লাহ্রই; আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও (সৃষ্টিজগতে) যা কিছু এ দু’য়ের মাঝে রয়েছে। তিনি যা চান সৃষ্টি করেন। আর আল্লাহ্ সকল কিছুর উপর নিরঙ্কুশ ক্ষমতাবান।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১৮
وَ قَالَتِ الۡیَہُوۡدُ وَ النَّصٰرٰی نَحۡنُ اَبۡنٰٓؤُا اللّٰہِ وَ اَحِبَّآؤُہٗ ؕ قُلۡ فَلِمَ یُعَذِّبُکُمۡ بِذُنُوۡبِکُمۡ ؕ بَلۡ اَنۡتُمۡ بَشَرٌ مِّمَّنۡ خَلَقَ ؕ یَغۡفِرُ لِمَنۡ یَّشَآءُ وَ یُعَذِّبُ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ لِلّٰہِ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا بَیۡنَہُمَا ۫ وَ اِلَیۡہِ الۡمَصِیۡرُ ﴿۱۸﴾
📕 কানযুল ঈমান
১৮. এবং ইহুদী ও খৃষ্টানগণ বলেছে, ‘আমরা আল্লাহ্র পুত্র এবং তার প্রিয়’। আপনি বলে দিন, ‘অতঃপর তিনি তোমাদেরকে কেন তোমাদের পাপগুলোর উপর শাস্তি দেন? বরং তোমরা মানুষ, তার সৃষ্টি কূল থেকে। যাকে চান ক্ষমা করেন এবং যাকে চান শাস্তি দেন আর আল্লাহ্রই রাজত্ব আসমানসমূহের ও যমীনের এবং এ দু’টির মাঝখানের (সবকিছুর)। আর তারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে’।
📗 ইরফানুল কুরআন
১৮. আর ইহুদী ও খ্রিস্টানেরা বলে, ‘আমরা আল্লাহ্র পুত্র এবং তাঁর প্রিয়তর’। আপনি বলে দিন, ‘(যদি তোমাদের দাবি সত্য হয়) তবে তিনি তোমাদের গোনাহের জন্যে তোমাদেরকে কেন শাস্তি দিচ্ছেন? বরং (প্রকৃত সত্য এই যে,) যা কিছু (সৃষ্টিজগৎ) আল্লাহ্ তৈরি করেছেন তোমরা(ও) এর মধ্যে মানুষই (অর্থাৎ অন্যান্য মানবগোষ্ঠির মতোই)। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমার মাধ্যমে অনুগ্রহ করেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি প্রদান করেন। আর আকাশমন্ডলীতে, পৃথিবীতে এবং যা কিছু (সৃষ্টিজগত) এ দু’য়ের মাঝে রয়েছে, (সবকিছুর) রাজত্ব আল্লাহ্রই। আর (প্রত্যেককে) তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১৯
یٰۤاَہۡلَ الۡکِتٰبِ قَدۡ جَآءَکُمۡ رَسُوۡلُنَا یُبَیِّنُ لَکُمۡ عَلٰی فَتۡرَۃٍ مِّنَ الرُّسُلِ اَنۡ تَقُوۡلُوۡا مَا جَآءَنَا مِنۡۢ بَشِیۡرٍ وَّ لَا نَذِیۡرٍ ۫ فَقَدۡ جَآءَکُمۡ بَشِیۡرٌ وَّ نَذِیۡرٌ ؕ وَ اللّٰہُ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۱۹﴾
📕 কানযুল ঈমান
১৯. হে কিতাবীগণ! নিঃসন্দেহে তোমাদের নিকট আমার এ রসূল তাশরীফ এনেছেন, যিনি তোমাদের নিকট আমার বিধানসমূহ সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, এরপর যে, রসূলগণের আগমন বহুদিন বন্ধ ছিলো, যাতে কখনো একথা না বলতে পারো যে, ‘আমাদের নিকট কোন সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী আসেনি।’ সুতরাং এ সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী তোমাদের নিকট তাশরীফ এনেছেন এবং আল্লাহ্র নিকট সর্বশক্তি রয়েছে।
📗 ইরফানুল কুরআন
১৯. হে আহলে কিতাব! নিশ্চয়ই রাসূলগণের (ধারাবাহিক) আগমনের বিরতির পর তোমাদের নিকট আগমন করেছেন আমাদের (সর্বশেষ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম), যিনি তোমাদের নিকট (আমাদের বিধিবিধান) সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন; কারণ তোমরা (অযুহাত পেশ করার মাধ্যমে এ কথা) বলতে, ‘আমাদের নিকট না কোনো সুসংবাদদাতা আগমন করেছেন, আর না কোনো সতর্ককারী’। (এখন তোমাদের এ অযুহাতও শেষ হয়ে গেল, কেননা) নিঃসন্দেহে তোমাদের নিকট (সর্বশেষ) সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী(ও) আগমন করেছেন। আর আল্লাহ্ সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ২০
وَ اِذۡ قَالَ مُوۡسٰی لِقَوۡمِہٖ یٰقَوۡمِ اذۡکُرُوۡا نِعۡمَۃَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ اِذۡ جَعَلَ فِیۡکُمۡ اَنۡۢبِیَآءَ وَ جَعَلَکُمۡ مُّلُوۡکًا ٭ۖ وَّ اٰتٰىکُمۡ مَّا لَمۡ یُؤۡتِ اَحَدًا مِّنَ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۲۰﴾
📕 কানযুল ঈমান
২০. এবং যখন মূসা নিজ সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বললো, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমাদের উপর আল্লাহ্র অনুগ্রহ স্মরণ করো যে, তিনি তোমাদের মধ্য হতে পয়গাম্বর করেছেন, তোমাদেরকে বাদশাহ্ করেছেন এবং তোমাদেরকে তাই দিয়েছেন যা আজ সমগ্র জাহানের মধ্যে কাউকেও দেন নি।’
📗 ইরফানুল কুরআন
২০. আর (স্মরণ করুন ওই সময়ের কথাও) যখন মূসা (আলাইহিস সালাম) তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের প্রতি (প্রদত্ত) আল্লাহ্র সেই অনুগ্রহ স্মরণ করো, যখন তিনি তোমাদের মধ্য থেকে বহু নবী সৃষ্টি করেছেন, তোমাদেরকে রাজ্যাধিপতি করেছেন এবং তোমাদেরকে এমন (কিছু) দান করেছেন যা সমস্ত জাহানে (তোমাদের সমসাময়িক কালে) কাউকে দান করেননি।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ২১
یٰقَوۡمِ ادۡخُلُوا الۡاَرۡضَ الۡمُقَدَّسَۃَ الَّتِیۡ کَتَبَ اللّٰہُ لَکُمۡ وَ لَا تَرۡتَدُّوۡا عَلٰۤی اَدۡبَارِکُمۡ فَتَنۡقَلِبُوۡا خٰسِرِیۡنَ ﴿۲۱﴾
📕 কানযুল ঈমান
২১. হে সম্প্রদায়! সে পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ করো, যেটা আল্লাহ্ তোমাদের জন্য লিপিবদ্ধ করেছেন এবং পশ্চাদপসরণ করোনা, (যদি করো) তবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ফিরবে।
📗 ইরফানুল কুরআন
২১. হে আমার সম্প্রদায়! (সিরিয়া অথবা বাইতুল মাকদিসের) সে পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ করো, যা আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে নির্দিষ্ট করেছেন এবং পশ্চাদপসরণ করো না, নচেৎ তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফিরবে।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ২২
قَالُوۡا یٰمُوۡسٰۤی اِنَّ فِیۡہَا قَوۡمًا جَبَّارِیۡنَ ٭ۖ وَ اِنَّا لَنۡ نَّدۡخُلَہَا حَتّٰی یَخۡرُجُوۡا مِنۡہَا ۚ فَاِنۡ یَّخۡرُجُوۡا مِنۡہَا فَاِنَّا دٰخِلُوۡنَ ﴿۲۲﴾
📕 কানযুল ঈমান
২২. তারা বললো, ‘হে মূসা! এর মধ্যে তো বড় ক্ষমতাবান লোকেরা রয়েছে এবং আমরা তাঁতে কখনো প্রবেশ করবো না যতক্ষণ না তারা সেখানে থেকে বের হয়ে যাবে। হাঁ, তারা সেখান থেকে বের হয়ে গেলে আমরা সেখানে যাবো।’
📗 ইরফানুল কুরআন
২২. তারা (উত্তরে) বললো, ‘হে মূসা! সেখানে তো (অত্যাচারী) দুর্দান্ত সম্প্রদায় (বসতি স্থাপন করে) আছে; আর তারা এ (ভূমি) থেকে বের হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা কখনো সেখানে প্রবেশ করবো না। সুতরাং তারা সেখান থেকে বের হয়ে গেলে আমরা অবশ্যই প্রবেশ করবো।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ২৩
قَالَ رَجُلٰنِ مِنَ الَّذِیۡنَ یَخَافُوۡنَ اَنۡعَمَ اللّٰہُ عَلَیۡہِمَا ادۡخُلُوۡا عَلَیۡہِمُ الۡبَابَ ۚ فَاِذَا دَخَلۡتُمُوۡہُ فَاِنَّکُمۡ غٰلِبُوۡنَ ۬ۚ وَ عَلَی اللّٰہِ فَتَوَکَّلُوۡۤا اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۲۳﴾
📕 কানযুল ঈমান
২৩. দু’জন লোক, যারা আল্লাহ্র ভয়সম্পন্নদের অন্তর্ভুক্ত ছিলো, আল্লাহ্ তাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন, বললো, ‘তোমরা জোর করেই প্রবেশদ্বারের মধ্যে তাদের উপর প্রবেশ করো। যদি তোমরা প্রবেশ-দ্বারে প্রবেশ করো, তবে বিজয় তোমাদেরই; এবং আল্লাহ্রই উপর নির্ভর করো যদি তোমাদের মধ্যে ঈমান থাকে।’
📗 ইরফানুল কুরআন
২৩. (অল্পসংখ্যক) খোদাভীরুদের মধ্য থেকে দু’জন লোক, যাদের প্রতি আল্লাহ্ অনুগ্রহ করেছিলেন, তারা (নিজ সম্প্রদায়কে) বললো, ‘তোমরা তাদের উপর (নির্ভীকভাবে আক্রমণ করে শহরের) প্রবেশদ্বারে প্রবেশ করো। অতঃপর এতে প্রবেশ করলেই তোমরা বিজয়ী হবে। আর যদি তোমরা ঈমানদার হও তবে আল্লাহ্রই উপর ভরসা করো।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ২৪
قَالُوۡا یٰمُوۡسٰۤی اِنَّا لَنۡ نَّدۡخُلَہَاۤ اَبَدًا مَّا دَامُوۡا فِیۡہَا فَاذۡہَبۡ اَنۡتَ وَ رَبُّکَ فَقَاتِلَاۤ اِنَّا ہٰہُنَا قٰعِدُوۡنَ ﴿۲۴﴾
📕 কানযুল ঈমান
২৪. তারা বললো, ‘হে মূসা! আমরা তো সেখানে কখনো যাবো না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবে। সুতরাং আপনি যান এবং আপনার রব। আপনারা উভয়েই যুদ্ধ করুন। আমরা এখানেই বসে থাকবো।’
📗 ইরফানুল কুরআন
২৪. তারা বললো, ‘হে মূসা! যতক্ষণ পর্যন্ত তারা সেখানে (এ ভূমিতে) আছে আমরা কখনোই সেখানে প্রবেশ করবো না। সুতরাং তুমি এবং তোমার প্রতিপালক (একত্রে) যাও এবং (তাদের বিরুদ্ধে) যুদ্ধ করো; আমরা এখানেই বসে থাকি।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ২৫
قَالَ رَبِّ اِنِّیۡ لَاۤ اَمۡلِکُ اِلَّا نَفۡسِیۡ وَ اَخِیۡ فَافۡرُقۡ بَیۡنَنَا وَ بَیۡنَ الۡقَوۡمِ الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿۲۵﴾
📕 কানযুল ঈমান
২৫. মূসা আরয করলো, ‘হে আমার রব, আমার ক্ষমতা নেই, কিন্তু আমার নিজের এবং আমার ভাইয়ের উপর। সুতরাং আমাদেরকে এ নির্দেশ অমান্যকারীদের থেকে পৃথক রাখুন।’
📗 ইরফানুল কুরআন
২৫. (মূসা আলাইহিস সালাম) আরয করলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার নিজ সত্তা এবং আমার ভাই (হারুন আলাইহিস সালাম) ব্যতীত (কারো উপর) আমার কর্তৃত্ব নেই। কাজেই তুমি আমাদের এবং (এ সকল) নাফরমান সম্প্রদায়ের মাঝে (তোমার নির্দেশে) সম্পর্কচ্ছেদ করো।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ২৬
قَالَ فَاِنَّہَا مُحَرَّمَۃٌ عَلَیۡہِمۡ اَرۡبَعِیۡنَ سَنَۃً ۚ یَتِیۡہُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ ؕ فَلَا تَاۡسَ عَلَی الۡقَوۡمِ الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿۲۶﴾
📕 কানযুল ঈমান
২৬. (আল্লাহ্) বললেন, ‘তবে ওই ভূমি তাদের উপর নিষিদ্ধ রইলো চল্লিশ বছর পর্যন্ত। তারা এ ভূ-খণ্ডের মধ্যে হতাশার সাথে ঘুরে বেড়াবে’। সুতরাং আপনি এ নির্দেশ অমান্যকারীদের জন্য দুঃখ করবেন না।
📗 ইরফানুল কুরআন
২৬. (প্রতিপালক) বললেন, ‘তবে এ ভূমি এই (নাফরমান) লোকদের জন্যে চল্লিশ বছর পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হলো। এরা ভূপৃষ্ঠে (পেরেশান অবস্থায়) উদভ্রান্ত হয়ে ফিরতে থাকবে। সুতরাং (হে মূসা! এখন) এ নাফরমান সম্প্রদায়ের (ভীতিকর অবস্থার) জন্যে দুঃখ করো না।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ২৭
وَ اتۡلُ عَلَیۡہِمۡ نَبَاَ ابۡنَیۡ اٰدَمَ بِالۡحَقِّ ۘ اِذۡ قَرَّبَا قُرۡبَانًا فَتُقُبِّلَ مِنۡ اَحَدِہِمَا وَ لَمۡ یُتَقَبَّلۡ مِنَ الۡاٰخَرِ ؕ قَالَ لَاَقۡتُلَنَّکَ ؕ قَالَ اِنَّمَا یَتَقَبَّلُ اللّٰہُ مِنَ الۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۲۷﴾
📕 কানযুল ঈমান
২৭. এবং তাদেরকে পড়ে শুনান, আদমের দু’পুত্রের সত্য সংবাদ; যখন তারা উভয়ে এক একটা ক্বোরবানী পেশ করলো; তখন একজনের (ক্বোরবানী) কবূল হলো এবং অন্য জনের কবূল হলো না। সে বললো, ‘শপথ রইলো, আমি তোমাকে হত্যা করবো।’ (অপরজন) বললো, ‘আল্লাহ্ তাদের থেকেই কবূল করেন, যাদের মধ্যে (আল্লাহ্র) ভয় আছে।
📗 ইরফানুল কুরআন
২৭. (হে সম্মানিত নবী!) আপনি তাদেরকে আদম (আলাইহিস সালাম)-এঁর (হাবীল ও কাবীল) দু’পুত্রের বৃত্তান্ত শুনিয়ে দিন, যা ছিল সম্পূর্ণ সত্য; যখন উভয়ে (আল্লাহ্র সমীপে নিজ নিজ) কুরবানী পেশ করেছিলো। অতঃপর তাদের একজনের (অর্থাৎ হাবীলের) কুরবানী কবুল হলো এবং অপরজনেরটা (অর্থাৎ কাবীলেরটা) কবুল হলো না। তখন সে (কাবীল, হাবীলকে হিংসা ও প্রতিশোধের নেশায়) বললো, ‘আমি তোমাকে অবশ্যই হত্যা করবো’। সে (হাবীল প্রতিউত্তরে) বললো, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পরহেযগারদের থেকেই (দান) কবুল করেন।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ২৮
لَئِنۡۢ بَسَطۡتَّ اِلَیَّ یَدَکَ لِتَقۡتُلَنِیۡ مَاۤ اَنَا بِبَاسِطٍ یَّدِیَ اِلَیۡکَ لِاَقۡتُلَکَ ۚ اِنِّیۡۤ اَخَافُ اللّٰہَ رَبَّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۲۸﴾
📕 কানযুল ঈমান
২৮. নিশ্চয়, যদি তুমি তোমার হাত আমার দিকে বাড়াও আমাকে হত্যা করার জন্য, তবে আমি আপন হাত তোমার দিকে বাড়াবো না (এ জন্য) যে, তোমাকে হত্যা করবো। আমি আল্লাহ্কে ভয় করি, যিনি সমগ্র বিশ্বের মালিক।
📗 ইরফানুল কুরআন
২৮. তুমি আমাকে হত্যার জন্যে আমার দিকে তোমার হস্ত প্রসারিত করলেও আমি তোমাকে হত্যার জন্যে তোমার দিকে আমার হস্ত প্রসারিত করবো না। কেননা আমি আল্লাহ্কে ভয় করি, যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ২৯
اِنِّیۡۤ اُرِیۡدُ اَنۡ تَبُوۡٓاَ بِاِثۡمِیۡ وَ اِثۡمِکَ فَتَکُوۡنَ مِنۡ اَصۡحٰبِ النَّارِ ۚ وَ ذٰلِکَ جَزٰٓؤُا الظّٰلِمِیۡنَ ﴿ۚ۲۹﴾
📕 কানযুল ঈমান
২৯. আমি তো এটা চাই যে, আমার ও তোমার পাপ উভয়টারই ভার তুমি বহন করবে। সুতরাং তুমি দোযখবাসী হয়ে যাবে এবং অন্যায়কারীদের এটাই সাজা।
📗 ইরফানুল কুরআন
২৯. আমি চাই, (আমার সাথে যেন বাড়াবাড়ি না হয় এবং) আমার (হত্যার) গোনাহ এবং তোমার নিজের (পূর্ববর্তী) গোনাহ (যার কারণে তোমার কুরবানী কবুল হয়নি, সবকিছু) তুমিই বহন করো। তুমি তখন জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং এটিই যালিমদের শাস্তি।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৩০
فَطَوَّعَتۡ لَہٗ نَفۡسُہٗ قَتۡلَ اَخِیۡہِ فَقَتَلَہٗ فَاَصۡبَحَ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ ﴿۳۰﴾
📕 কানযুল ঈমান
৩০. অতঃপর তার মন তাকে ভ্রাতৃহত্যার প্ররোচনা দিলো। সুতরাং সে তাকে হত্যা করলো। ফলে সে রয়ে গেলো ক্ষতির মধ্যে।
📗 ইরফানুল কুরআন
৩০. অতঃপর তার (অর্থাৎ কাবীলের) আমিত্ব তাকে ভ্রাতৃহত্যায় উদ্বুদ্ধ (ও প্ররোচিত) করলো। কাজেই সে তাকে হত্যা করলো; ফলে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হলো।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৩১
فَبَعَثَ اللّٰہُ غُرَابًا یَّبۡحَثُ فِی الۡاَرۡضِ لِیُرِیَہٗ کَیۡفَ یُوَارِیۡ سَوۡءَۃَ اَخِیۡہِ ؕ قَالَ یٰوَیۡلَتٰۤی اَعَجَزۡتُ اَنۡ اَکُوۡنَ مِثۡلَ ہٰذَا الۡغُرَابِ فَاُوَارِیَ سَوۡءَۃَ اَخِیۡ ۚ فَاَصۡبَحَ مِنَ النّٰدِمِیۡنَ ﴿ۚۛۙ۳۱﴾
📕 কানযুল ঈমান
৩১. অতঃপর আল্লাহ্ একটা কাক পাঠালেন, যা মাটি খনন করছিলো, যাতে তাকে দেখিয়ে দেয় সে কীভাবে তার ভাইয়ের লাশ পুঁতে ফেলবে। সে বললো, ‘হায়রে সর্বনাশ! আমি তো এই কাকের মতোও হতে পারলাম না যে, আমি আমার ভাইয়ের লাশ পুঁতে ফেলতাম! অতঃপর সে অনুতপ্ত হয়েই রইলো।’
📗 ইরফানুল কুরআন
৩১. অতঃপর আল্লাহ্ একটি কাক পাঠালেন, যে তার ভ্রাতার মৃতদেহ কীভাবে গোপন করা যায় তা তাকে দেখানোর জন্যে মাটি খনন করতে লাগলো। (তা দেখে) সে বললো, ‘হায় আফসোস! আমি কি এ কাকের মতোও হতে পারলাম না যাতে নিজের ভ্রাতার মৃতদেহ লুকিয়ে ফেলতে পারি!’ কাজেই সে অনুতপ্তদের মধ্যে গণ্য হলো।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৩২
مِنۡ اَجۡلِ ذٰلِکَ ۚۛؔ کَتَبۡنَا عَلٰی بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اَنَّہٗ مَنۡ قَتَلَ نَفۡسًۢا بِغَیۡرِ نَفۡسٍ اَوۡ فَسَادٍ فِی الۡاَرۡضِ فَکَاَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِیۡعًا ؕ وَ مَنۡ اَحۡیَاہَا فَکَاَنَّمَاۤ اَحۡیَا النَّاسَ جَمِیۡعًا ؕ وَ لَقَدۡ جَآءَتۡہُمۡ رُسُلُنَا بِالۡبَیِّنٰتِ ۫ ثُمَّ اِنَّ کَثِیۡرًا مِّنۡہُمۡ بَعۡدَ ذٰلِکَ فِی الۡاَرۡضِ لَمُسۡرِفُوۡنَ ﴿۳۲﴾
📕 কানযুল ঈমান
৩২. এ কারণেই আমি বনী ইস্রাঈলের উপর (এ বিধান) লিখে দিলাম যে, যে ব্যক্তি প্রাণ হত্যা করলো কোন প্রাণ হত্যার বদলা ও পৃথিবী পৃষ্ঠে ফ্যাসাদ করা ছাড়াই, তখন সে যেন সকল মানুষকেই হত্যা করলো। আর যে ব্যক্তি একটা প্রাণ বাচালো, সে যন সকল মানুষকেই জীবিত রাখলো। নিশ্চয় তাদের নিকট আমার রসূলগণ স্পষ্ট প্রমাণাদি সহকারে এসেছেন। অতঃপর নিশ্চয় তাদের মধ্যে অনেকে এরপরও পৃথিবীতে সীমালংঘনকারী হয়ে রয়েছে।
📗 ইরফানুল কুরআন
৩২. এ কারণেই আমরা বনী ইসরাঈলের প্রতি (অবতীর্ণ তাওরাতে এ বিধান) লিখে দিলাম যে, যে ব্যক্তি কাউকে ‘ক্বিসাস’ তথা হত্যার বিপরীতে হত্যা অথবা পৃথিবীতে বিপর্যয় (সৃষ্টি করা অর্থাৎ হত্যাকান্ড, ডাকাতি ও অন্যান্য অপরাধের শাস্তি) ব্যতীত (অন্যায়ভাবে) হত্যা করলো, সে যেন (সমাজের) সকল মানুষকেই হত্যা করলো; আর যে ব্যক্তি কাউকে (অন্যায় হত্যাকান্ড থেকে) রক্ষা করলো , তবে সে যেন (সমাজের) সমস্ত মানুষকে রক্ষা করলো (অর্থাৎ সে যেন মানবজাতির সামগ্রিক রীতিনীতিকে রক্ষা করলো)। আর নিশ্চয়ই তাদের নিকট আমাদের রাসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে আগমন করেছেন। অথচ এরপরও তাদের অনেকেই পৃথিবীতে সীমালঙ্ঘনকারী।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৩৩
اِنَّمَا جَزٰٓؤُا الَّذِیۡنَ یُحَارِبُوۡنَ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ وَ یَسۡعَوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ فَسَادًا اَنۡ یُّقَتَّلُوۡۤا اَوۡ یُصَلَّبُوۡۤا اَوۡ تُقَطَّعَ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ اَرۡجُلُہُمۡ مِّنۡ خِلَافٍ اَوۡ یُنۡفَوۡا مِنَ الۡاَرۡضِ ؕ ذٰلِکَ لَہُمۡ خِزۡیٌ فِی الدُّنۡیَا وَ لَہُمۡ فِی الۡاٰخِرَۃِ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿ۙ۳۳﴾
📕 কানযুল ঈমান
৩৩. যারা আল্লাহ্ এবং তার রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং রাজ্যের মধ্যে ধ্বংসাত্নক কাজ করে বেড়ায়, তাদের শাস্তি এই যে, তাদেরকে গুনে গুনে হত্যা করা হবে অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে অথবা তাদের একদিকের হাত ও অপরদিকের পা কেটে ফেলা হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে। এটা দুনিয়ার মধ্যে তাদের জন্য লাঞ্ছনা এবং পরকালে তাদের জন্য মহা শাস্তি রয়েছে;
📗 ইরফানুল কুরআন
৩৩. নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায় (অর্থাৎ মুসলমানদের মাঝে সন্ত্রাস, ছিনতাই, চৌর্যবৃত্তি ও অন্যান্য অপরাধে লিপ্ত হয়), তবে তাদের শাস্তি এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা ফাঁসি দেয়া হবে অথবা তাদের হাত ও পা উল্টো দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে নির্বাসিত (অথবা বন্দী) করা হবে। এটা (তো) তাদের জন্যে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা, আর তাদের জন্যে পরকালেও রয়েছে কঠোর শাস্তি।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৩৪
اِلَّا الَّذِیۡنَ تَابُوۡا مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ تَقۡدِرُوۡا عَلَیۡہِمۡ ۚ فَاعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۳۴﴾
📕 কানযুল ঈমান
৩৪. তবে, ওই সব লোক, যারা তাওবা করেছে এর পূর্বে যে, তোমরা তাদের উপর কর্তৃত্ব লাভ করবে। সুতরাং জেনে রেখো যে, আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
📗 ইরফানুল কুরআন
৩৪. তবে তারা ব্যতীত, তোমরা যাদের উপর আধিপত্য বিস্তার করার পূর্বেই তারা তওবা করে নিয়েছে। সুতরাং জেনে রেখো, আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৩৫
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰہَ وَ ابۡتَغُوۡۤا اِلَیۡہِ الۡوَسِیۡلَۃَ وَ جَاہِدُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِہٖ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ ﴿۳۵﴾
📕 কানযুল ঈমান
৩৫. হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ্কে ভয় করো এবং তারই দিকে মাধ্যম তালাশ করো এবং তার পথে জিহাদ করো এ আশায় যে, সফলতা পেতে পারো।
📗 ইরফানুল কুরআন
৩৫. হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং তাঁর (সান্নিধ্যে পদার্পণ ও নৈকট্যের) জন্যে মাধ্যম [ওসিলা] অন্বেষণ করো। আর তাঁর পথে জিহাদ করো যাতে তোমরা সফলতা লাভ করতে পারো।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৩৬
اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَوۡ اَنَّ لَہُمۡ مَّا فِی الۡاَرۡضِ جَمِیۡعًا وَّ مِثۡلَہٗ مَعَہٗ لِیَفۡتَدُوۡا بِہٖ مِنۡ عَذَابِ یَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ مَا تُقُبِّلَ مِنۡہُمۡ ۚ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۳۶﴾
📕 কানযুল ঈমান
৩৬. নিশ্চয় ওই সব লোক, যারা কাফির হয়েছে, যা কিছু দুনিয়ায় রয়েছে সবটুকু এবং এরই সমপরিমাণ আরো কিছুও যদি তাদের মালিকানায় থাকে এ জন্য যে, তা (পণ স্বরূপ) দিয়ে কিয়ামতের শাস্তি থেকে নিজেদের প্রাণ বাচাবে, তবুও তাদের নিকট গ্রহণ করা হবে না; এবং তাদের জন্য কষ্টদায়ক শাস্তি রয়েছে।
📗 ইরফানুল কুরআন
৩৬. নিশ্চয়ই যারা কুফরী অবলম্বন করেছে, যদি তাদের আয়ত্বাধীনে সকল কিছু (সম্পদ ও ধনভান্ডার বিদ্যমান) থাকে যা পৃথিবীতে রয়েছে এবং এর সাথে (আরো) সমপরিমাণ যাতে তারা তা কিয়ামতের দিন শাস্তি থেকে বাঁচতে মুক্তিপণ হিসেবে (নিজেদের জীবনের পরিবর্তে) দিতে পারে, তবুও তাদের থেকে (এর কিছুই) গ্রহণ করা হবে না। বরং তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৩৭
یُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ یَّخۡرُجُوۡا مِنَ النَّارِ وَ مَا ہُمۡ بِخٰرِجِیۡنَ مِنۡہَا ۫ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ مُّقِیۡمٌ ﴿۳۷﴾
📕 কানযুল ঈমান
৩৭. তারা দোযখ থেকে বের হতে চাইবে এবং তারা তা থেকে বের হতে পারবে না; আর তাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী শাস্তি।
📗 ইরফানুল কুরআন
৩৭. তারা চাইবে (যে কোনোভাবে) জাহান্নাম থেকে বের হতে, অথচ তারা তা থেকে বের হতে পারবে না, এবং তাদের জন্যে রয়েছে চিরস্থায়ী শাস্তি।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৩৮
وَ السَّارِقُ وَ السَّارِقَۃُ فَاقۡطَعُوۡۤا اَیۡدِیَہُمَا جَزَآءًۢ بِمَا کَسَبَا نَکَالًا مِّنَ اللّٰہِ ؕ وَ اللّٰہُ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ ﴿۳۸﴾
📕 কানযুল ঈমান
৩৮. আর যে পুরুষ কিংবা নারী চোর (সাব্যস্ত) হয়, তবে তার হাত কর্তন করো; এটা তাদের কৃতকর্মের ফল, আল্লাহ্র পক্ষ থেকে শাস্তি; এবং আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
📗 ইরফানুল কুরআন
৩৮. আর (বিচার বিভাগীয় যথাযথ রায়ের পর) চৌর্যবৃত্তিতে লিপ্ত পুরুষ এবং চৌর্যবৃত্তিতে লিপ্ত নারী, উভয়ের হাত কেটে দাও, তারা যা (অপরাধ) সংঘটিত করেছে এর ফলশ্রুতিতে; (এটি) আল্লাহ্র পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক শাস্তি। আর আল্লাহ্ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৩৯
فَمَنۡ تَابَ مِنۡۢ بَعۡدِ ظُلۡمِہٖ وَ اَصۡلَحَ فَاِنَّ اللّٰہَ یَتُوۡبُ عَلَیۡہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۳۹﴾
📕 কানযুল ঈমান
৩৯. সুতরাং যে ব্যক্তি যুল্ম করার পর তাওবা করে এবং নিজেকে সংশোধন করে নেয়, তবে আল্লাহ্ আপন অনুগ্রহ সহকারে তার প্রতি ফিরে চান। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ ক্ষমাশিল, দয়ালু।
📗 ইরফানুল কুরআন
৩৯. অতঃপর যে ব্যক্তি তার (এ) অপরাধের পর তওবা করে এবং নিজেকে সংশোধন করে নেয়, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তার প্রতি অনুগ্রহ সহকারে প্রত্যাবর্তনশীল। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৪০
اَلَمۡ تَعۡلَمۡ اَنَّ اللّٰہَ لَہٗ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ یُعَذِّبُ مَنۡ یَّشَآءُ وَ یَغۡفِرُ لِمَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۴۰﴾
📕 কানযুল ঈমান
৪০. তুমি কি জানো না যে, আল্লাহ্রই জন্য আসমানসমূহের বাদশাহী এবং যমীনের? শাস্তি দেন যাকে চান এবং ক্ষমা করে দেন যাকে ইচ্ছা করেন। আর আল্লাহ্ সবকিছু করতে পারেন।
📗 ইরফানুল কুরআন
৪০. (হে মানুষ!) তুমি কি জানো না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর (সমস্ত) রাজত্ব আল্লাহ্রই? তিনি যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আর আল্লাহ্ সকল কিছুর উপর নিরঙ্কুশ ক্ষমতাবান।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৪১
یٰۤاَیُّہَا الرَّسُوۡلُ لَا یَحۡزُنۡکَ الَّذِیۡنَ یُسَارِعُوۡنَ فِی الۡکُفۡرِ مِنَ الَّذِیۡنَ قَالُوۡۤا اٰمَنَّا بِاَفۡوَاہِہِمۡ وَ لَمۡ تُؤۡمِنۡ قُلُوۡبُہُمۡ ۚۛ وَ مِنَ الَّذِیۡنَ ہَادُوۡا ۚۛ سَمّٰعُوۡنَ لِلۡکَذِبِ سَمّٰعُوۡنَ لِقَوۡمٍ اٰخَرِیۡنَ ۙ لَمۡ یَاۡتُوۡکَ ؕ یُحَرِّفُوۡنَ الۡکَلِمَ مِنۡۢ بَعۡدِ مَوَاضِعِہٖ ۚ یَقُوۡلُوۡنَ اِنۡ اُوۡتِیۡتُمۡ ہٰذَا فَخُذُوۡہُ وَ اِنۡ لَّمۡ تُؤۡتَوۡہُ فَاحۡذَرُوۡا ؕ وَ مَنۡ یُّرِدِ اللّٰہُ فِتۡنَتَہٗ فَلَنۡ تَمۡلِکَ لَہٗ مِنَ اللّٰہِ شَیۡئًا ؕ اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ لَمۡ یُرِدِ اللّٰہُ اَنۡ یُّطَہِّرَ قُلُوۡبَہُمۡ ؕ لَہُمۡ فِی الدُّنۡیَا خِزۡیٌ ۚۖ وَّ لَہُمۡ فِی الۡاٰخِرَۃِ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿۴۱﴾
📕 কানযুল ঈমান
৪১. হে রসূল, আপনাকে যেন দুঃখিত না করে সেসব লোক, যারা কুফরের উপর দৌঁড়ায়- কিছু লোক এমন রয়েছে, যারা নিজ মুখে বলে থাকে, ‘আমরা ঈমান এনেছি;’ অথচ তাদের অন্তর মুসলমান নয়; এবং কিছু সংখ্যক ইহুদী মিথ্যা খুব শুনে এবং ঐ সব লোকের কথা খুব শুনে যারা আপনার নিকট হাযিয় হয় নি। আল্লাহ্র বাণীগুলোকে সেগুলোর ঠিকানাসমূহে স্থির হবার পর পরিবর্তন করে দেয়। তারা বলে, ‘এ নির্দেশ পেলে তা মান্য করো এবং যদি না পাও তবে বর্জন করো’! আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করতে চান, তবে কখনো তুমি আল্লাহ্র নিকট তার জন্য কিছুই করতে পারবে না। এরা হচ্ছে ওই সবলো দের অন্তরকে আল্লাহ্ বিশুদ্ধ করতে চান নি। তাদের জন্য দুনিয়ায় রয়েছে লাঞ্ছনা আর তাদের জন্য আখিরাতে রয়েছে মহাশাস্তি।
📗 ইরফানুল কুরআন
৪১. হে রাসূল! আপনাকে যেন সেসব লোকেরা চিন্তান্বিত না করে, যারা কুফরীতে ধাবমান হয়; তাদের মধ্যে (প্রথমত) রয়েছে সেসব (মুনাফিক) যারা তাদের মুখে বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’, অথচ তাদের অন্তর ঈমান গ্রহণ করেনি, আর তাদের মধ্যে (দ্বিতীয়ত) রয়েছে ইহুদীরা (যারা) মিথ্যাচারের জন্যে (আপনার কথা) মনোযোগ দিয়ে শুনে, (প্রকৃতপক্ষে) তারা অন্য লোকদের জন্যে (গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে) শোনে, যারা (এখনো পর্যন্ত) আপনার কাছে আসেনি। (তারাই সেসব লোক) যারা (আল্লাহ্র) বাণীসমূহকে যথাস্থানে (নির্ধারিত) হবার পরেও পরিবর্তন করে (এবং) বলে, ‘যদি তোমাদেরকে (তাদের পছন্দের নির্দেশ থেকে) তা দেয়া হয় তবে গ্রহণ করো আর যদি তোমাদেরকে (নির্দেশ হিসেবে) তা না দেয়া হয়, তবে (তা) বর্জন করো’। আর আল্লাহ্ যে ব্যক্তির গোমরাহীর ইচ্ছা পোষণ করেন, তবে তোমরা তার জন্যে আল্লাহ্র (নির্দেশকে প্রতিহত করার) উপর কোনো ক্ষমতা রাখো না। এরাই সেসব লোক যাদের অন্তরকে আল্লাহ্ পবিত্র করার ইচ্ছা(ই) করেন না। তাদের জন্যে দুনিয়াতে রয়েছে (কুফরীর) লাঞ্ছনা এবং তাদের জন্যে পরকালে রয়েছে ভয়ানক শাস্তি।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৪২
سَمّٰعُوۡنَ لِلۡکَذِبِ اَکّٰلُوۡنَ لِلسُّحۡتِ ؕ فَاِنۡ جَآءُوۡکَ فَاحۡکُمۡ بَیۡنَہُمۡ اَوۡ اَعۡرِضۡ عَنۡہُمۡ ۚ وَ اِنۡ تُعۡرِضۡ عَنۡہُمۡ فَلَنۡ یَّضُرُّوۡکَ شَیۡئًا ؕ وَ اِنۡ حَکَمۡتَ فَاحۡکُمۡ بَیۡنَہُمۡ بِالۡقِسۡطِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ الۡمُقۡسِطِیۡنَ ﴿۴۲﴾
📕 কানযুল ঈমান
৪২. (তারা) বড় মিথ্যা শ্রবণকারী, বড়ই হারামখোর। সুতরাং তারা যদি আপনার নিকট হাযির হয় তবে তাদের মধ্যে মীমাংসা করুন অথবা তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন। এবং যদি তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন, তবে তারা আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি তাদের মধ্যে মীমাংসা করেন তবে ন্যায়ের সাথে মীমাংসা করুন। নিশ্চয় ন্যায়বিচারককে আল্লাহ্ ভালবাসেন।
📗 ইরফানুল কুরআন
৪২. (তারা) মিথ্যা রচনার উদ্দেশ্যে গুপ্তচর বৃত্তি করে, (তদুপরি) অধিক পরিমাণে হারাম সম্পদ ভক্ষণ করে। সুতরাং যদি তারা (কোনো সমস্যা নিয়ে) আপনার নিকট আসে তবে আপনি (স্বাধীন,) হয় তাদের মাঝে মীমাংসা করুন অথবা তাদেরকে উপেক্ষা করুন। আর যদি আপনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়েও নেন, (তবুও) তারা আপনার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি আপনি মীমাংসা করেন, তবে তাদের মাঝে(ও) ন্যায়বিচারের মাধ্যমে(ই) মীমাংসা করুন। (অর্থাৎ তাদের শত্রুতা যেন ন্যায় সংগত মীমাংসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক না হয়।) নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ন্যায়পারয়ণদেরকে পছন্দ করেন।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৪৩
وَ کَیۡفَ یُحَکِّمُوۡنَکَ وَ عِنۡدَہُمُ التَّوۡرٰىۃُ فِیۡہَا حُکۡمُ اللّٰہِ ثُمَّ یَتَوَلَّوۡنَ مِنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ ؕ وَ مَاۤ اُولٰٓئِکَ بِالۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۴۳﴾
📕 কানযুল ঈমান
৪৩. এবং তারা আপনার নিকট কি করে বিচার চাইবে, অথচ তাদের নিকট তাওহীদ রয়েছে, যার মধ্যে আল্লাহ্র নির্দেশ রয়েছে। এতদ্সত্ত্বেও তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এবং তারা ঈমান আনয়নকারী নয়।
📗 ইরফানুল কুরআন
৪৩. আর তারা আপনাকে কীভাবে বিচারক মানতে পারে যখন তাদের নিকট তাওরাত (বিদ্যমান) রয়েছে, যাতে আল্লাহ্র হুকুম (উল্লেখ) রয়েছে? অতঃপর তারা এরপরেও (সত্য থেকে) মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং তারা (মোটেও) ঈমান আনয়নকারী নয়।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৪৪
اِنَّاۤ اَنۡزَلۡنَا التَّوۡرٰىۃَ فِیۡہَا ہُدًی وَّ نُوۡرٌ ۚ یَحۡکُمُ بِہَا النَّبِیُّوۡنَ الَّذِیۡنَ اَسۡلَمُوۡا لِلَّذِیۡنَ ہَادُوۡا وَ الرَّبّٰنِیُّوۡنَ وَ الۡاَحۡبَارُ بِمَا اسۡتُحۡفِظُوۡا مِنۡ کِتٰبِ اللّٰہِ وَ کَانُوۡا عَلَیۡہِ شُہَدَآءَ ۚ فَلَا تَخۡشَوُا النَّاسَ وَ اخۡشَوۡنِ وَ لَا تَشۡتَرُوۡا بِاٰیٰتِیۡ ثَمَنًا قَلِیۡلًا ؕ وَ مَنۡ لَّمۡ یَحۡکُمۡ بِمَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡکٰفِرُوۡنَ ﴿۴۴﴾
📕 কানযুল ঈমান
৪৪. নিশ্চয় আমি তাওরীত অবতীর্ন করেছি- তাঁতে হিদায়ত এবং আলো রয়েছে; সেটার বিধানানুযায়ী ইহুদীদেরকে নির্দেশ দিতেন আমার অনুগত নবীগণ, আলিমগণ ও ফিক্বহ্শাস্ত্রবিদগণ; এজন্য যে, তাদের থেকে আল্লাহ্র কিতাবের রক্ষণাবেক্ষণ চাওয়া হয়েছিলো; এবং তারা সেটারপক্ষে সাক্ষী ছিলো। সুতরাং মানুষকে ভয় করো না এবং আমাকেই ভয় করো; আর আমার আয়াতগুলোর পরিবর্তে হীন মূল্য নিও না এবং যে সব লোক আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুযায়ী নির্দেশ দেয় না, তারাই কাফির।
📗 ইরফানুল কুরআন
৪৪. নিশ্চয়ই আমরা অবতীর্ণ করেছিলাম তাওরাত, যাতে ছিল হেদায়াত ও নূর। সে অনুসারে ইহুদীদেরকে নির্দেশ প্রদান করতেন (আল্লাহ্র) আজ্ঞাবহ (বান্দা) নবীগণ, আল্লাহ্র অনুরক্ত (আউলিয়াগণ) এবং জ্ঞানীগণও, (তারা এ অনুসারেই মীমাংসা করতেন); কারণ, তাদেরকে আল্লাহ্র কিতাবের রক্ষাবেক্ষণকারী করা হয়েছিল এবং তারা ছিলেন এর অভিভাবক (ও সাক্ষী)। অতঃপর তোমরা (দ্বীন প্রতিষ্ঠা এবং আল্লাহ্র বিধিবিধান বাস্তবায়নে) মানুষকে ভয় করো না, আর ভয় করতে থাকো (কেবল) আমাকে। আর আমার আয়াতসমূহের (অর্থাৎ বিধিবিধানের) পরিবর্তে (দুনিয়ার) তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করো না। আর যে সকল ব্যক্তি আল্লাহ্র অবতীর্ণ বিধান অনুসারে মীমাংসা (ও শাসন পরিচালনা) করে না, তবে তারাই কাফের।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৪৫
وَ کَتَبۡنَا عَلَیۡہِمۡ فِیۡہَاۤ اَنَّ النَّفۡسَ بِالنَّفۡسِ ۙ وَ الۡعَیۡنَ بِالۡعَیۡنِ وَ الۡاَنۡفَ بِالۡاَنۡفِ وَ الۡاُذُنَ بِالۡاُذُنِ وَ السِّنَّ بِالسِّنِّ ۙ وَ الۡجُرُوۡحَ قِصَاصٌ ؕ فَمَنۡ تَصَدَّقَ بِہٖ فَہُوَ کَفَّارَۃٌ لَّہٗ ؕ وَ مَنۡ لَّمۡ یَحۡکُمۡ بِمَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿۴۵﴾
📕 কানযুল ঈমান
৪৫. এবং আমি তাওরীতের মধ্যে তাদের উপর ওয়াজিব করেছি যে, প্রাণের বদলে প্রাণ, চোখের বদলে চোখ, নাকের বদলে নাক, কানের বদলে কান, দাঁতের বদলে দাঁত এবং যখমসমূহের বদলে অনুরূপ বদলা। অতঃপর যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় আত্নসমর্পণের মাধ্যমে ‘ক্বিসাস’ গ্রহণ করে তবে তা তার গুনাহ মোচন করে দেবে; এবং যেসব লোক আল্লাহ্র অবতীর্ণ বিধান অনুযায়ী নির্দেশ দেয় না, তবে তারা যালিম।
📗 ইরফানুল কুরআন
৪৫. আর আমরা এতে (অর্থাৎ তাওরাতে) তাদের জন্যে ফরয করে দিয়েছিলাম যে, প্রাণের পরিবর্তে প্রাণ, চোখের পরিবর্তে চোখ, নাকের পরিবর্তে নাক, কানের পরিবর্তে কান, দাঁতের পরিবর্তে দাঁত এবং জখমেরও বিনিময় রয়েছে। কাজেই যে ব্যক্তি তা (অর্থাৎ ক্বিসাসকে) সাদ্কাহ্ (অর্থাৎ ক্ষমা) করে দেয়, তবে তা তার (গোনাহের) কাফফারা হবে; আর যেসব ব্যক্তি আল্লাহ্র নাযিলকৃত বিধান অনুসারে মীমাংসা (ও শাসন পরিচালনা) করে না, তবে তারাই যালিম।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৪৬
وَ قَفَّیۡنَا عَلٰۤی اٰثَارِہِمۡ بِعِیۡسَی ابۡنِ مَرۡیَمَ مُصَدِّقًا لِّمَا بَیۡنَ یَدَیۡہِ مِنَ التَّوۡرٰىۃِ ۪ وَ اٰتَیۡنٰہُ الۡاِنۡجِیۡلَ فِیۡہِ ہُدًی وَّ نُوۡرٌ ۙ وَّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَیۡنَ یَدَیۡہِ مِنَ التَّوۡرٰىۃِ وَ ہُدًی وَّ مَوۡعِظَۃً لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ﴿ؕ۴۶﴾
📕 কানযুল ঈমান
৪৬. এবং আমি ওই নবীগণের পশ্চাতে তাদের পদচিহ্নের উপর মরিয়ম তনয় ঈসাকে এনেছি তাওরীতের সমর্থকরূপে, যা তার পূর্বে ছিলো এবং আমি তাকে ইন্জীল দান করেছি, যার মধ্যে পথপ্রদর্শন ও আলো রয়েছে এবং সমর্থন করছে তাওরীতের, যা তার পূর্বে ছিলো আর হিদায়াত ও উপদেশ খোদাভীরুদের জন্য।
📗 ইরফানুল কুরআন
৪৬. আর আমরা তাঁদের (অর্থাৎ রাসূলগণের) পেছনে তাঁদের পদাঙ্ক ধরেই প্রেরণ করেছিলাম মারইয়াম-তনয় ঈসা (আলাইহিস সালাম)-কে যিনি ছিলেন তাঁর পূর্বের (কিতাব) তাওরাতের সত্যায়নকারী। আর আমরা তাঁকে দিয়েছিলাম ইঞ্জীল, যাতে ছিল হেদায়াত ও নূর; (এ ইঞ্জিলও ছিল) তাঁর পূর্বের (কিতাব) তাওরাতের সত্যায়নকারী এবং (নিশ্চিত) হেদায়াত এবং পরহেযগারদের জন্যে উপদেশ।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৪৭
وَ لۡیَحۡکُمۡ اَہۡلُ الۡاِنۡجِیۡلِ بِمَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ فِیۡہِ ؕ وَ مَنۡ لَّمۡ یَحۡکُمۡ بِمَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ ﴿۴۷﴾
📕 কানযুল ঈমান
৪৭. এবং এটাই উচিত যে, ইন্জীলের অনুসারীরা নির্দেশ দেবে তদনুযায়ীই, যা আল্লাহ্ সেটার মধ্যে অবতারণ করেছেন। এবং যারা আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুযায়ী নির্দেশ দেয় না, তবে তারাই ফাসিক্ব (আল্লাহ্র নির্দেশ অমান্যকারী)।
📗 ইরফানুল কুরআন
৪৭. আর ইঞ্জিলের অধিকারীগণ(ও) যেন সে (বিধান) অনুসারে মীমাংসা করে, যা আল্লাহ্ এতে অবতীর্ণ করেছেন। আর যে সকল ব্যক্তি আল্লাহ্র নাযিলকৃত বিধান অনুসারে মীমাংসা (ও শাসন পরিচালনা) করে না তবে তারাই পাপাত্মা।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৪৮
وَ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکَ الۡکِتٰبَ بِالۡحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَیۡنَ یَدَیۡہِ مِنَ الۡکِتٰبِ وَ مُہَیۡمِنًا عَلَیۡہِ فَاحۡکُمۡ بَیۡنَہُمۡ بِمَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ وَ لَا تَتَّبِعۡ اَہۡوَآءَہُمۡ عَمَّا جَآءَکَ مِنَ الۡحَقِّ ؕ لِکُلٍّ جَعَلۡنَا مِنۡکُمۡ شِرۡعَۃً وَّ مِنۡہَاجًا ؕ وَ لَوۡ شَآءَ اللّٰہُ لَجَعَلَکُمۡ اُمَّۃً وَّاحِدَۃً وَّ لٰکِنۡ لِّیَبۡلُوَکُمۡ فِیۡ مَاۤ اٰتٰىکُمۡ فَاسۡتَبِقُوا الۡخَیۡرٰتِ ؕ اِلَی اللّٰہِ مَرۡجِعُکُمۡ جَمِیۡعًا فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ فِیۡہِ تَخۡتَلِفُوۡنَ ﴿ۙ۴۸﴾
📕 কানযুল ঈমান
৪৮. এবং হে মাহবূব! আমি আপনার প্রতি সত্য কিতাব অবতীর্ন করেছি পূর্ববর্তি কিতাবগুলোর সমর্থকরূপে এবং সেগুলোর সংরক্ষক ও সাক্ষীরূপে। সুতরাং আল্লাহ্ যা অবতীর্ন করেছেন তা’ অনুসারে তাদের মধ্যে ফয়সালা করুন এবং হে শ্রোতা! তাদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করো না নিজের নিকট আগত সত্যকে ত্যাগ করে। আমি তোমাদের সবার জন্য এক একটা শরীয়ত (বিধান) এবং পথ রেখেছি আর যদি আল্লাহ্ চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে একটা মাত্র উম্মতে (জাতি) পরিণত করে দিতেন; কিন্তু এটাই সাব্যস্ত হলো যে, যা কিছু তোমাদেরকে প্রদান করেছেন তা দ্বারা তোমাদেরকে পরীক্ষা করবেন। সুতরাং সৎকার্যাদির দিকে তোমরা প্রতিযোগিতা করো! আল্লাহ্রই দিকে তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে বলে দেবেন যে বিষয়ে তোমরা মতভেদ করছিলে।
📗 ইরফানুল কুরআন
৪৮. আর (হে সম্মানিত নবী!) আমরা আপনার প্রতি সত্য সহকারে কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যা তার পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী এবং এর (প্রকৃত বিধিবিধান ও বিষয়বস্তুর) সংরক্ষক। অতঃপর আপনি তাদের মাঝে সে (বিধিবিধান) অনুসারে মীমাংসা করুন যা আল্লাহ্ অবতীর্ণ করেছেন এবং যা আপনার নিকট এসেছে; সে সত্য ত্যাগ করে আপনি তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। আমরা তোমাদের প্রত্যেকের জন্যে পৃথক শরীয়ত ও সর্বব্যাপী জীবন পদ্ধতি নির্ধারণ করেছি। আর যদি আল্লাহ্ চাইতেন তবে তোমাদের সকলকে (এক শরীয়তে ঐক্যবদ্ধ) একই জাতি করতেন। কিন্তু তিনি তোমাদেরকে (পৃথক পৃথক বিধানে) সেগুলোতে পরীক্ষা করতে চান, যা তিনি তোমাদেরকে (তোমাদের পরিস্থিতি অনুসারে) প্রদান করেছেন। সুতরাং তোমরা পূণ্য কাজে ধাবমান হও। আল্লাহ্রই দিকে তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে সে (সব বিষয়ের সত্য-মিথ্যা) সম্পর্কে অবগত করবেন, যাতে তোমরা মতবিরোধ করতে।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৪৯
وَ اَنِ احۡکُمۡ بَیۡنَہُمۡ بِمَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ وَ لَا تَتَّبِعۡ اَہۡوَآءَہُمۡ وَ احۡذَرۡہُمۡ اَنۡ یَّفۡتِنُوۡکَ عَنۡۢ بَعۡضِ مَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ اِلَیۡکَ ؕ فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَاعۡلَمۡ اَنَّمَا یُرِیۡدُ اللّٰہُ اَنۡ یُّصِیۡبَہُمۡ بِبَعۡضِ ذُنُوۡبِہِمۡ ؕ وَ اِنَّ کَثِیۡرًا مِّنَ النَّاسِ لَفٰسِقُوۡنَ ﴿۴۹﴾
📕 কানযুল ঈমান
৪৯. এবং এ’যে, হে মুসলামান! আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন তদানুযায়ী বিচার নিষ্পত্তি করো এবং তাদের খেয়াল খুশীর অনুসরণ করো না আর তাদের থেকে বাচতে থাকো, যাতে কখনো তারা তোমার পদস্থুলন না ঘটায় কোন বিধানের মধ্যে, যা তোমার প্রতি আল্লাহ্ অবতীর্ন করেছেন। অতঃপর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে জেনে রেখো যে, আল্লাহ্ তাদের কোন গুনাহ্র শাস্তি তাদেরকে ভোগ করাতে চান; এবং নিশ্চয় অনেক লোক নির্দেশ অমান্যকারী।
📗 ইরফানুল কুরআন
৪৯. আর (হে হাবীব! আমরা এ নির্দেশ প্রদান করেছি যে,) আপনি তাদের মাঝে সে (প্রত্যাদেশ) অনুসারে মীমাংসা করুন, যা আল্লাহ্ অবতীর্ণ করেছেন। আর তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না এবং আপনি তাদের থেকে সতর্ক থাকুন, কখনো যাতে তারা আপনাকে, যা আল্লাহ্ আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছেন, সেসব (বিধিবিধান) থেকে ফিরিয়ে (না) দেয়। অতঃপর যদি তারা (আপনার মীমাংসা থেকে) মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে আপনি জেনে রাখুন যে, আল্লাহ্ তো তাদের কোনো কোনো পাপের কারণে তাদেরকে শাস্তি দিতে চান। আর মানুষের মধ্যে অধিকাংশই অবাধ্য (হয়ে থাকে)।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৫০
اَفَحُکۡمَ الۡجَاہِلِیَّۃِ یَبۡغُوۡنَ ؕ وَ مَنۡ اَحۡسَنُ مِنَ اللّٰہِ حُکۡمًا لِّقَوۡمٍ یُّوۡقِنُوۡنَ ﴿۵۰﴾
📕 কানযুল ঈমান
৫০. তবে কি তারা অন্ধকার যুগের বিচারব্যবস্থা কামনা করে? এবং আল্লাহ্র চেয়ে অধিকতর ভাল কার বিচার-ব্যবস্থা আছে নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য?
📗 ইরফানুল কুরআন
৫০. তারা কি অজ্ঞতার (যুগের) বিধান চায়? আর বিশ্বাসস্থাপনকারী সম্প্রদায়ের জন্যে নির্দেশ দানে আল্লাহ্র চেয়ে উৎকৃষ্ট কে হতে পারে?
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৫১
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوا الۡیَہُوۡدَ وَ النَّصٰرٰۤی اَوۡلِیَآءَ ۘؔ بَعۡضُہُمۡ اَوۡلِیَآءُ بَعۡضٍ ؕ وَ مَنۡ یَّتَوَلَّہُمۡ مِّنۡکُمۡ فَاِنَّہٗ مِنۡہُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یَہۡدِی الۡقَوۡمَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۵۱﴾
📕 কানযুল ঈমান
৫১. হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খৃষ্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা পরস্পরের বন্ধু এবং তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। বস্তুতঃ আল্লাহ্ অন্যায়কারীদেরকে পথ দেখান না।
📗 ইরফানুল কুরআন
৫১. হে ঈমানদারগণ! ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা (সবাই তোমাদের বিরুদ্ধে) পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। আর তোমাদের যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, নিশ্চয়ই সে(ও) তাদেরই (একজন) হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ যালিম সম্প্রদায়কে হেদায়াত দান করেন না।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৫২
فَتَرَی الَّذِیۡنَ فِیۡ قُلُوۡبِہِمۡ مَّرَضٌ یُّسَارِعُوۡنَ فِیۡہِمۡ یَقُوۡلُوۡنَ نَخۡشٰۤی اَنۡ تُصِیۡبَنَا دَآئِرَۃٌ ؕ فَعَسَی اللّٰہُ اَنۡ یَّاۡتِیَ بِالۡفَتۡحِ اَوۡ اَمۡرٍ مِّنۡ عِنۡدِہٖ فَیُصۡبِحُوۡا عَلٰی مَاۤ اَسَرُّوۡا فِیۡۤ اَنۡفُسِہِمۡ نٰدِمِیۡنَ ﴿ؕ۵۲﴾
📕 কানযুল ঈমান
৫২. এখন আপনি তাদেরকে দেখবেন যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে, তারা ইহুদী ও খৃষ্টানদের প্রতি ধাবিত হচ্ছে এ বলে যে, ‘আমরা আশঙ্কা করছি যে, আমাদের উপর কোন বিপদ এসে যাবে’। সুতরাং এটা নিকটে যে, আল্লাহ্ বিজয় এনে দিবেন অথবা নিজের নিকট থেকে কোন নির্দেশ; অতঃপর ঐ সব জিনিষের উপর, যেগুলো তারা তাদের অন্তরসমূহের মধ্যে গপন করছিলো, অনুশোচনা করতে থাকবে।
📗 ইরফানুল কুরআন
৫২. সুতরাং যাদের অন্তরে (কপটতা এবং মস্তিস্কে দাসত্বের) ব্যাধি রয়েছে তাদেরকে আপনি এদের (অর্থাৎ ইহুদী ও খ্রিস্টানদের) মধ্যে (অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্যে) দ্রুত অগ্রসর হতে দেখবেন; তারা বলে, ‘আমাদের ভয় হয় যে, আমাদের উপর না কোনো দুর্বিপাক এসে পড়ে’ (অর্থাৎ তাদের সাথে জোটবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে হয়তো তারা নিরাপত্তা লাভ করবে)। সুতরাং তা দূরে নয় যে, আল্লাহ্ (বাস্তবিকই মুসলমানদেরকে) বিজয় অথবা তাঁর পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশ (বিজয় ও সফলতার নিদর্শন হিসেবে) প্রদান করবেন। তখন তারা সে (কপটতাপূর্ণ মনোভাবের) কারণে লজ্জিত হবে যা তারা তাদের অন্তরে লুকিয়ে রেখেছিল।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৫৩
وَ یَقُوۡلُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَہٰۤؤُلَآءِ الَّذِیۡنَ اَقۡسَمُوۡا بِاللّٰہِ جَہۡدَ اَیۡمَانِہِمۡ ۙ اِنَّہُمۡ لَمَعَکُمۡ ؕ حَبِطَتۡ اَعۡمَالُہُمۡ فَاَصۡبَحُوۡا خٰسِرِیۡنَ ﴿۵۳﴾
📕 কানযুল ঈমান
৫৩. এবং ঈমানদারগণ বলছে, ‘এরা কি তারাই, যারা আল্লাহ্র নামে (এ মর্মে) শপথ করেছিলো, স্বীয় শপথের মধ্যে পূর্ণ প্রচেষ্টা সহকারে যে, তারা তোমাদের সাথেই আছে’? তাদের কী রইলো? সবইতো বিনষ্ট হলো। সুতরাং তারা ক্ষতির মধ্যেই রয়ে গেলো।
📗 ইরফানুল কুরআন
৫৩. আর (সে সময়) ঈমানদারগণ বলবে, ‘এরাই কি সেসব লোক যারা দৃঢ় প্রত্যয়ে আল্লাহ্র নামে শপথ করতো যে, তারা অবশ্যই তোমাদের সাথেই রয়েছে?’ (কিন্তু) তাদের সমস্ত কর্মকান্ড ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, সুতরাং তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৫৪
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مَنۡ یَّرۡتَدَّ مِنۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِہٖ فَسَوۡفَ یَاۡتِی اللّٰہُ بِقَوۡمٍ یُّحِبُّہُمۡ وَ یُحِبُّوۡنَہٗۤ ۙ اَذِلَّۃٍ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اَعِزَّۃٍ عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ ۫ یُجَاہِدُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ لَا یَخَافُوۡنَ لَوۡمَۃَ لَآئِمٍ ؕ ذٰلِکَ فَضۡلُ اللّٰہِ یُؤۡتِیۡہِ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۵۴﴾
📕 কানযুল ঈমান
৫৪. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্যে যে কেউ স্বীয় দ্বীন থেকে ফিরে যাবে, তখন অনতিবিলম্বে আল্লাহ্ এমন সব লোককে নিয়ে আসবেন, যারা আল্লাহ্র প্রিয়পাত্র এবং আল্লাহ্ও তাদের নিকট প্রিয়; তারা মুসলমানদের প্রতি কোমল এবং কাফিরদের প্রতি কঠোর। তারা আল্লাহ্র পথে জিহাদ করবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবে না; এটা আল্লাহ্র অনুগ্রহ, যাকে চান তিনি দান করেন এবং আল্লাহ্ বিস্তৃতিময়, সর্বজ্ঞ।
📗 ইরফানুল কুরআন
৫৪. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্যে যে কেউ দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তবে অচিরেই আল্লাহ্ (তাদের স্থলে) এমন এক সম্প্রদায়কে নিয়ে আসবেন যাদেরকে তিনি (নিজে) ভালোবাসবেন এবং তারাও তাঁকে ভালোবাসবে, তারা মুমিনদের জন্যে কোমল-হৃদয় (এবং) কাফেরদের জন্যে কঠোর-হৃদয় হবে, আল্লাহ্র পথে (অবিচল) জিহাদ করবে এবং কোনো তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এ (বৈপ্লবিক চরিত্র) আল্লাহ্র অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আর আল্লাহ্ অসীম প্রাচুর্যময়, সম্যক অবগত।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৫৫
اِنَّمَا وَلِیُّکُمُ اللّٰہُ وَ رَسُوۡلُہٗ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا الَّذِیۡنَ یُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ وَ یُؤۡتُوۡنَ الزَّکٰوۃَ وَ ہُمۡ رٰکِعُوۡنَ ﴿۵۵﴾
📕 কানযুল ঈমান
৫৫. নিশ্চয় তোমাদের বন্ধু তো, আল্লাহ্ এবং তার রসূল ও ঈমানদারগণ, যারা নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ্রই সামনে বিনত হয়।
📗 ইরফানুল কুরআন
৫৫. নিশ্চয়ই তোমাদের (সাহায্যকারী) বন্ধু তো আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) এবং (সাথে) ঈমানদারগণ যারা নামায কায়েম করেন ও যাকাত দেন এবং যারা (আল্লাহ্র সমীপে বিনয়ের সাথে) ঝুঁকে পড়েন।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৫৬
وَ مَنۡ یَّتَوَلَّ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا فَاِنَّ حِزۡبَ اللّٰہِ ہُمُ الۡغٰلِبُوۡنَ ﴿۵۶﴾
📕 কানযুল ঈমান
৫৬. এবং যে সব লোক আল্লাহ্, তার রসূল এবং মুসলমানদেরকে স্বীয় বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্রই দল বিজয়ী হয়।
📗 ইরফানুল কুরআন
৫৬. আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্, তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) এবং ঈমানদানগণকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, তবে (তারাই আল্লাহ্র পক্ষ এবং) আল্লাহ্র পক্ষই বিজয়ী হবে।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৫৭
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوا الَّذِیۡنَ اتَّخَذُوۡا دِیۡنَکُمۡ ہُزُوًا وَّ لَعِبًا مِّنَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ وَ الۡکُفَّارَ اَوۡلِیَآءَ ۚ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۵۷﴾
📕 কানযুল ঈমান
৫৭. হে ঈমানদারগন! তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে যারা তোমাদের দ্বীনকে হাসি-তামাশা ও ক্রীড়ার বস্তুরূপে গ্রহণ করেছে তাদেরকে ও কাফিরদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাকো যদি ঈমান রেখে থাকো।
📗 ইরফানুল কুরআন
৫৭. হে ঈমানদারগণ! যাদেরকে তোমাদের পূর্বে কিতাব দেয়া হয়েছিলো, তাদের মধ্যে যারা তোমাদের দ্বীনকে হাসি-ঠাট্টা ও খেল-তামাশারূপে নিয়েছে তাদেরকে এবং কাফেরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। আর আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো যদি তোমরা (বাস্তবিকই) ঈমানদার হও।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৫৮
وَ اِذَا نَادَیۡتُمۡ اِلَی الصَّلٰوۃِ اتَّخَذُوۡہَا ہُزُوًا وَّ لَعِبًا ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ قَوۡمٌ لَّا یَعۡقِلُوۡنَ ﴿۵۸﴾
📕 কানযুল ঈমান
৫৮. এবং যখন তোমরা নামাযের জন্য আযান দাও তখন তারা সেটাকে হাসি ও খেলায় পরিণত করে। এটা এজন্য যে, তারা নিরেট বোধশক্তিহীন লোক।
📗 ইরফানুল কুরআন
৫৮. আর যখন তোমরা (মানুষকে আযানের মাধ্যমে) নামাযের জন্যে আহ্বান করো, তখন তারা একে উপহাস ও খেল-তামাশা হিসেবে নেয়, কারণ তারা (একেবারেই) নিরেট বোধশক্তিহীন।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৫৯
قُلۡ یٰۤاَہۡلَ الۡکِتٰبِ ہَلۡ تَنۡقِمُوۡنَ مِنَّاۤ اِلَّاۤ اَنۡ اٰمَنَّا بِاللّٰہِ وَ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡنَا وَ مَاۤ اُنۡزِلَ مِنۡ قَبۡلُ ۙ وَ اَنَّ اَکۡثَرَکُمۡ فٰسِقُوۡنَ ﴿۵۹﴾
📕 কানযুল ঈমান
৫৯. আপনি বলে দিন, ‘হে কিতাবীরা! তোমাদের নিকট আমাদের কি মন্দ লেগেছে? এটা নয় কি যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহ্র উপর এবং সেটার উপর, যা আমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেটার উপর, যা পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছে?’ এবং এই যে, তোমাদের মধ্যে অনেকেই হুকুম অমান্যকারী।
📗 ইরফানুল কুরআন
৫৯. (হে সম্মানিত নবী!) আপনি বলে দিন, ‘হে আহলে কিতাব! এ ছাড়া আমাদের কোন বিষয় তোমাদের খারাপ লাগছে যে, আমরা আল্লাহ্তে, (কিতাব হিসেবে) যা আমাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতে এবং যা পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছিলো সেসব কিতাবে বিশ্বাস স্থাপন করেছি? আর নিশ্চয়ই তোমাদের অধিকংশই বেপরোয়া এবং অবাধ্য।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৬০
قُلۡ ہَلۡ اُنَبِّئُکُمۡ بِشَرٍّ مِّنۡ ذٰلِکَ مَثُوۡبَۃً عِنۡدَ اللّٰہِ ؕ مَنۡ لَّعَنَہُ اللّٰہُ وَ غَضِبَ عَلَیۡہِ وَ جَعَلَ مِنۡہُمُ الۡقِرَدَۃَ وَ الۡخَنَازِیۡرَ وَ عَبَدَ الطَّاغُوۡتَ ؕ اُولٰٓئِکَ شَرٌّ مَّکَانًا وَّ اَضَلُّ عَنۡ سَوَآءِ السَّبِیۡلِ ﴿۶۰﴾
📕 কানযুল ঈমান
৬০. আপনি বলে দিন, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলে দেবো যা আল্লাহ্র নিকট এ থেকে আরো নিকৃষ্টতর পর্যায়ে আছে? ঐ সব লোক, যাদেরকে আল্লাহ্ অভিসম্পাত করেছেন, যাদের উপর তিনি ক্রোধান্বিত হয়েছেন, যাদের কতেককে করেছেন বানর ও শূকর এবং শয়তানের পূজারীরা, তাদের ঠিকানা অত্যন্ত নিকৃষ্ট এবং তারা সরল পথ থেকে সর্বাধিক বিচ্যুত।’
📗 ইরফানুল কুরআন
৬০. বলে দিন, ‘আমি কি তোমাদেরকে সে ব্যক্তি সম্পর্কে অবহিত করবো যে শাস্তির দিক থেকে আল্লাহ্র নিকট ওই ব্যক্তির চেয়ে(ও) নিকৃষ্ট (যাকে তোমরা সবচেয়ে খারাপ মনে করো), যার প্রতি আল্লাহ্ অভিসম্পাত করেছেন, যার উপর ক্রোধান্বিত হয়েছেন এবং তাদেরকে (অর্থাৎ মন্দ লোকদের কতিপয়কে) বানর এবং (কতিপয়কে) শূকর করেছেন? আর (সে ওই ব্যক্তি) যে শয়তানের (আনুগত্য ও) পূজা করেছে।’ তারাই ঠিকানার দিক থেকে নিকৃষ্টতম এবং সরল পথ থেকে ঘোরতর বিপথগামী হয়েছে।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৬১
وَ اِذَا جَآءُوۡکُمۡ قَالُوۡۤا اٰمَنَّا وَ قَدۡ دَّخَلُوۡا بِالۡکُفۡرِ وَ ہُمۡ قَدۡ خَرَجُوۡا بِہٖ ؕ وَ اللّٰہُ اَعۡلَمُ بِمَا کَانُوۡا یَکۡتُمُوۡنَ ﴿۶۱﴾
📕 কানযুল ঈমান
৬১. এবং তারা যখন তোমাদের নিকট আসে তখন বলে, ‘আমরা মুসলমান’; এবং তারা আসার সময়ও কাফির ছিলো এবং যাওয়ার সময়ও কাফির আর আল্লাহ্ খুব জানেন যা তারা গোপন করছে।
📗 ইরফানুল কুরআন
৬১. আর যখন তারা (মুনাফিকেরা) তোমাদের নিকট আসে (তখন) তারা বলে, ‘আমরা ঈমান আনয়ন করেছি’, অথচ তারা (তোমাদের মজলিসে) কুফরী নিয়েই প্রবেশ করেছে এবং তা নিয়েই বের হয়েছে। আর আল্লাহ্ সেসব (বিষয়) সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত, যা তারা লুকিয়ে রাখে।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৬৩
لَوۡ لَا یَنۡہٰہُمُ الرَّبّٰنِیُّوۡنَ وَ الۡاَحۡبَارُ عَنۡ قَوۡلِہِمُ الۡاِثۡمَ وَ اَکۡلِہِمُ السُّحۡتَ ؕ لَبِئۡسَ مَا کَانُوۡا یَصۡنَعُوۡنَ ﴿۶۳﴾
📕 কানযুল ঈমান
৬৩. তাদেরকে কেন নিষেধ করে না তাদের পাদ্রীগণ এবং দরবেশগণ পাপের কথা বলতে এবং অবৈধ ভক্ষণ করতে? তারা নিঃসন্দেহে খুবই মন্দকাজ করছে।
📗 ইরফানুল কুরআন
৬৩. তাদেরকে (আধ্যাত্মিক) সাধক ও (ধর্মীয়) প্রাজ্ঞগণ তাদের অপরাধপূর্ণ বক্তব্য এবং হারাম ভক্ষণ করা থেকে কেন নিষেধ করে না? নিশ্চয়ই তারাও (মন্দের বিরুদ্ধে নিরব থেকে) যা কিছু প্রস্তুত করছে, তা খুবই নিকৃষ্ট।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৬৪
وَ قَالَتِ الۡیَہُوۡدُ یَدُ اللّٰہِ مَغۡلُوۡلَۃٌ ؕ غُلَّتۡ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ لُعِنُوۡا بِمَا قَالُوۡا ۘ بَلۡ یَدٰہُ مَبۡسُوۡطَتٰنِ ۙ یُنۡفِقُ کَیۡفَ یَشَآءُ ؕ وَ لَیَزِیۡدَنَّ کَثِیۡرًا مِّنۡہُمۡ مَّاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکَ مِنۡ رَّبِّکَ طُغۡیَانًا وَّ کُفۡرًا ؕ وَ اَلۡقَیۡنَا بَیۡنَہُمُ الۡعَدَاوَۃَ وَ الۡبَغۡضَآءَ اِلٰی یَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ ؕ کُلَّمَاۤ اَوۡقَدُوۡا نَارًا لِّلۡحَرۡبِ اَطۡفَاَہَا اللّٰہُ ۙ وَ یَسۡعَوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ فَسَادًا ؕ وَ اللّٰہُ لَا یُحِبُّ الۡمُفۡسِدِیۡنَ ﴿۶۴﴾
📕 কানযুল ঈমান
৬৪. এবং ইহুদীগণ বললো, ‘আল্লাহ্র হাত রুদ্ধ’, তাদের হাত রুদ্ধ হোক! এবং তাদের উপর এটা বলার কারণে অভিসম্পাত করা হয়েছে; বরং তার হাত প্রশস্ত; (তিনি) দান করেন যেভাবে চান। এবং হে মাহ্বূব! যা আপনারই প্রতি আপনার রবের নিকট থেকে অবতীর্ণ হয়েছে, তাঁতে তাদের মধ্যে অনেকের ধর্মদ্রোহীতা ও কুফরের উন্নতি হবে। এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে আমি ক্বিয়ামত পর্যন্ত শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঢেলে দিয়েছি, যখন তারা যুদ্ধের আগুন প্রজ্জ্বলিত করে তখন আল্লাহ্ তা নির্বাপিত করেন এবং তারা ভূ-পৃষ্ঠে ফ্যাসাদ করার জন্য দৌঁড়ে বেড়ায়। আর আল্লাহ্ ধ্বংস সাধনাকারীদেরকে ভালোবাসেন না।
📗 ইরফানুল কুরআন
৬৪. আর ইহুদীরা বলে, ‘আল্লাহ্র হস্ত রুদ্ধ’ (অর্থাৎ ‘তিনি কৃপণ’, আল্লাহ্র আশ্রয় চাই!) তাদের (নিজেদেরই) হস্ত রুদ্ধ হোক! আর যা কিছু তারা বলেছে সে কারণে তাদেরকে অভিসম্পাত করা হয়েছে। বরং (সত্য এ যে,) তাঁর উভয় হস্তই (ঔদার্য ও বদান্যতায়) প্রশস্ত। তিনি যেভাবে ইচ্ছা ব্যয় (অর্থাৎ বান্দাদেরকে দান) করেন। আর (হে হাবীব! এ কিতাব) যা আপনার প্রতি আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে, (হিংসার ফলে) তা অবশ্যই তাদের অধিকাংশের অবাধ্যতা ও কুফরী আরও বাড়িয়ে দেবে। আর আমরা তাদের মাঝে কিয়ামত পর্যন্ত শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চার করেছি। যখনই এরা যুদ্ধের অগ্নি প্রজ্জ্বলন করে, তখনই আল্লাহ্ তা নিভিয়ে দেন; আর তারা ভূপৃষ্ঠে (সর্বত্র) বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায় এবং আল্লাহ্ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৬৫
وَ لَوۡ اَنَّ اَہۡلَ الۡکِتٰبِ اٰمَنُوۡا وَ اتَّقَوۡا لَکَفَّرۡنَا عَنۡہُمۡ سَیِّاٰتِہِمۡ وَ لَاَدۡخَلۡنٰہُمۡ جَنّٰتِ النَّعِیۡمِ ﴿۶۵﴾
📕 কানযুল ঈমান
৬৫. এবং যদি কিতাবীগণ ঈমান আনতো এবং খোদাভীরু হতো, তবে অবশ্যই আমি তাদের পাপ অপনোদন করতাম এবং নিশ্চয় তাদেরকে শান্তির কাননে নিয়ে যেতাম।
📗 ইরফানুল কুরআন
৬৫. আর যদি আহলে কিতাব (হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের উপর) ঈমান আনয়ন করতো এবং পরহেযগারিতা অবলম্বন করতো, তবে আমরা তাদের (আমলনামা) থেকে তাদের সমস্ত পাপ মোচন করে দিতাম এবং তাদেরকে অবশ্যই নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতে প্রবেশ করাতাম।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৬৬
وَ لَوۡ اَنَّہُمۡ اَقَامُوا التَّوۡرٰىۃَ وَ الۡاِنۡجِیۡلَ وَ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡہِمۡ مِّنۡ رَّبِّہِمۡ لَاَکَلُوۡا مِنۡ فَوۡقِہِمۡ وَ مِنۡ تَحۡتِ اَرۡجُلِہِمۡ ؕ مِنۡہُمۡ اُمَّۃٌ مُّقۡتَصِدَۃٌ ؕ وَ کَثِیۡرٌ مِّنۡہُمۡ سَآءَ مَا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۶۶﴾
📕 কানযুল ঈমান
৬৬. এবং যদি তারা প্রতিষ্ঠিত রাখতো তাওরীত ও ইন্জীলকে এবং সেটাকেও যা কিছু তাদের প্রতি তাদের রবের নিকট থেকে অবতীর্ণ হয়েছে, তবে তারা জীবিকা পেতো উপরের দিকে থেকে এবং পায়ের নিচ থেকে। তাদের মধ্য থেকে এক দল মধ্যপন্থী রয়েছে; এবং তাদের মধ্যে অনেকে অত্যন্ত নিকৃষ্ট কাজ করছে।
📗 ইরফানুল কুরআন
৬৬. আর যদি তারা তাওরাত, ইঞ্জিল এবং (আরো) যা কিছু তাদের প্রতি তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছিল তা (বাস্তবায়ন ও) প্রতিষ্ঠা করতো তবে (তাদের বস্তুগত উপাদানের এতো পরিমাণ প্রশস্ততা লাভ হতো যে, যদি) তারা তাদের উপর থেকে(ও) এবং তাদের পায়ের নীচ থেকে(ও) ভক্ষণ করতো (তবুও রিযিক শেষ হতো না)। তাদের একদল মধ্যমপন্থী, কিন্তু তাদের অধিকাংশই যা করছে তা খুবই নিকৃষ্ট।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৬৭
یٰۤاَیُّہَا الرَّسُوۡلُ بَلِّغۡ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکَ مِنۡ رَّبِّکَ ؕ وَ اِنۡ لَّمۡ تَفۡعَلۡ فَمَا بَلَّغۡتَ رِسَالَتَہٗ ؕ وَ اللّٰہُ یَعۡصِمُکَ مِنَ النَّاسِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یَہۡدِی الۡقَوۡمَ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۶۷﴾
📕 কানযুল ঈমান
৬৭. হে রসূল ! পৌঁছিয়ে দিন যা কিছু অবতীর্ণ করা হয়েছে আপনার প্রতি রবের নিকট থেকে; এবং যদি এমন না হয় তবে আপনি তার কোন সংবাদই পৌঁছালেন না। আর আল্লাহ্ আপনাকে রক্ষা করবেন মানুষ থেকে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ কাফিরদের সুপথ প্রদান করেন না।
📗 ইরফানুল কুরআন
৬৭. হে (সম্মানিত) রাসূল! যা কিছু আপনার প্রতি আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে তা (সমস্ত মানুষের নিকট) পৌঁছে দিন। আর যদি আপনি (এমনটি) না করেন তবে আপনি সে (প্রতিপালক) সত্তার বার্তাই পৌঁছালেন না। আর আল্লাহ্ (নিজে প্রতিপক্ষ) লোকদের থেকে আপনাকে (তথা আপনার প্রাণ) রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ কাফেরদেরকে হেদায়াতের পথ দেখান না।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৬৮
قُلۡ یٰۤاَہۡلَ الۡکِتٰبِ لَسۡتُمۡ عَلٰی شَیۡءٍ حَتّٰی تُقِیۡمُوا التَّوۡرٰىۃَ وَ الۡاِنۡجِیۡلَ وَ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکُمۡ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ ؕ وَ لَیَزِیۡدَنَّ کَثِیۡرًا مِّنۡہُمۡ مَّاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکَ مِنۡ رَّبِّکَ طُغۡیَانًا وَّ کُفۡرًا ۚ فَلَا تَاۡسَ عَلَی الۡقَوۡمِ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۶۸﴾
📕 কানযুল ঈমান
৬৮. আপনি বলে দিন! হে কিতাবী সম্প্রদায়! তোমরা কিছুই নও যতক্ষণ না তোমরা প্রতিষ্ঠা করো তাওরীত ও ইন্জীলকে এবং সেটাকে যা কিছু তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের নিকট থেকে অবতীর্ণ হয়েছে; এবং নিঃসন্দেহে, হে মাহ্বূব! যা আপনার প্রতি আপনার রবের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে, তাঁতে তাদের মধ্যে অনেকের ঔদ্ধত্য ও কুফরের আরো উন্নতি হবে। সুতরাং আপনি কাফিরদের জন্য কোন দুঃখ করবেন না।
📗 ইরফানুল কুরআন
৬৮. বলে দিন, ‘হে আহলে কিতাব! তোমরা (দ্বীনের) কোনো কিছুর উপরই নেই যতক্ষণ না তোমরা তাওরাত ও ইঞ্জিল এবং যা কিছু তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে (তা বাস্তবায়ন ও) প্রতিষ্ঠা করো’। আর (হে হাবীব! কিতাবরূপে) যা আপনার প্রতি আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে তা অবশ্যই (হিংসার কারণে) তাদের অধিকাংশের অবাধ্যতা ও কুফরী বাড়িয়ে দেবে। সুতরাং আপনি কাফের সম্প্রদায়ের (অবস্থার) জন্যে আফসোস করবেন না।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৬৯
اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ الَّذِیۡنَ ہَادُوۡا وَ الصّٰبِـُٔوۡنَ وَ النَّصٰرٰی مَنۡ اٰمَنَ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ عَمِلَ صَالِحًا فَلَا خَوۡفٌ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا ہُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ ﴿۶۹﴾
📕 কানযুল ঈমান
৬৯. নিশ্চয় ঐ সব লোক, যারা নিজেদেরকে মুসলমান বলে এবং অনুরূপভাবে ইহুদী, নক্ষত্র-পূজারীগণ এবং খৃষ্টানগণ; তাদের মধ্যে যে কেউ সরল অন্তরে আল্লাহ্ ও ক্বিয়ামত দিবসের উপর ঈমান আনবে এবং সৎ কর্ম করবে, তবে তাদের না থাকবে কোন ভয়, না কোন দুঃখ।
📗 ইরফানুল কুরআন
৬৯. নিশ্চয়ই (যারা নিজেদেরকে) মুসলমান (দাবী করে), ইহুদী এবং সাবী (অর্থাৎ তারকাপূজারী) এবং খ্রিস্টান যারাই (খাঁটি অন্তরে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের শিক্ষা অনুসারে) আল্লাহ্ এবং শেষদিনে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, তবে তাদের না থাকবে কোনো ভয় আর তারা না হবে চিন্তান্বিত।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৭০
لَقَدۡ اَخَذۡنَا مِیۡثَاقَ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ وَ اَرۡسَلۡنَاۤ اِلَیۡہِمۡ رُسُلًا ؕ کُلَّمَا جَآءَہُمۡ رَسُوۡلٌۢ بِمَا لَا تَہۡوٰۤی اَنۡفُسُہُمۡ ۙ فَرِیۡقًا کَذَّبُوۡا وَ فَرِیۡقًا یَّقۡتُلُوۡنَ ﴿٭۷۰﴾
📕 কানযুল ঈমান
৭০. নিশ্চয়, আমি বনী ইস্রাঈল থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছি এবং তাদের প্রতি রসূল প্রেরণ করেছি। যখনই কোন রসূল তাদের নিকট এমন কোন বাণী নিয়ে এসেছেন, যা তাদের মনঃপূত হয় নি তখন তারা একদলকে অস্বীকার করেছে এবং অন্য একদলকে তারা শহীদ করে।
📗 ইরফানুল কুরআন
৭০. নিশ্চয়ই আমরা বনী ইসরাঈলের নিকট থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম এবং আমরা তাদের নিকট (অনেক) রাসূলও প্রেরণ করেছিলাম, (কিন্তু) যখনই তাদের নিকট কোনো রাসূল এমন কিছু বিধান নিয়ে এসেছেন যা তাদের মনঃপূত হয়নি তখনই তারা (নবীগণের) কাউকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছে এবং কাউকে (একের পর এক) হত্যা করেছে।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৭১
وَ حَسِبُوۡۤا اَلَّا تَکُوۡنَ فِتۡنَۃٌ فَعَمُوۡا وَ صَمُّوۡا ثُمَّ تَابَ اللّٰہُ عَلَیۡہِمۡ ثُمَّ عَمُوۡا وَ صَمُّوۡا کَثِیۡرٌ مِّنۡہُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ بَصِیۡرٌۢ بِمَا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۷۱﴾
📕 কানযুল ঈমান
৭১. এবং তারা মনে করেছে যে, ‘তাদের কোন শাস্তি হবে না’। ফলে তারা অন্ধ ও বধির হয়ে গেছে। অতঃপর আল্লাহ্ তাদের তাওবা কবূল করেন। পুনরায় তাদের মধ্যে অনেকে অন্ধ ও বধির হয়ে গেছে এবং আল্লাহ্ তাদের কার্যকলাপ দেখছেন।
📗 ইরফানুল কুরআন
৭১. আর তারা (এও) মনে করতো যে, (নবীগণকে হত্যা ও মিথ্যাপ্রতিপন্ন করার কারণে) কোনো শাস্তি নেমে আসবে না। ফলে তারা অন্ধ ও বধির হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর আল্লাহ্ তাদের তওবা কবুল করলেন; আবার তাদের অধিকাংশ লোক (দ্বিতীয়বার) অন্ধ ও বধির (অর্থাৎ সত্যদর্শন ও শ্রবণে অক্ষম) হয়ে গেল। আর আল্লাহ্ তাদের কর্মকান্ড ভালোভাবেই দেখছেন।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৭২
لَقَدۡ کَفَرَ الَّذِیۡنَ قَالُوۡۤا اِنَّ اللّٰہَ ہُوَ الۡمَسِیۡحُ ابۡنُ مَرۡیَمَ ؕ وَ قَالَ الۡمَسِیۡحُ یٰبَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اعۡبُدُوا اللّٰہَ رَبِّیۡ وَ رَبَّکُمۡ ؕ اِنَّہٗ مَنۡ یُّشۡرِکۡ بِاللّٰہِ فَقَدۡ حَرَّمَ اللّٰہُ عَلَیۡہِ الۡجَنَّۃَ وَ مَاۡوٰىہُ النَّارُ ؕ وَ مَا لِلظّٰلِمِیۡنَ مِنۡ اَنۡصَارٍ ﴿۷۲﴾
📕 কানযুল ঈমান
৭২. নিঃসন্দেহে কাফির হচ্ছে ঐ সব লোক যারা একথা বলে যে, ‘আল্লাহ্ ওই মরিয়মের পুত্র মসীহ্ই’ এবং মসীহ্তো এটাই বলেছিলো, ‘হে বনী ইস্রাঈল! আল্লাহ্র ইবাদত করো, যিনি আমার রব’। নিশ্চয় যারা আল্লাহ্র সাথে (কাউকে) শরীক সাব্যস্ত করে, তবে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাত নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন এবং তার ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম; আর অত্যাচারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।
📗 ইরফানুল কুরআন
৭২. প্রকৃতপক্ষে তারা তো কাফের হয়ে গিয়েছে যারা বলে, ‘আল্লাহ্ই মারইয়াম-তনয় মাসীহ্’ (আলাইহিমাস সালাম)। অথচ মাসীহ্ (আলাইহিস সালাম তো এ কথা) বলেছিলেন, ‘হে বনী ইসরাঈল! তোমরা আল্লাহ্র ইবাদত করো, যিনি আমার(ও) প্রতিপালক এবং তোমাদের(ও) প্রতিপালক।’ নিশ্চয়ই যে আল্লাহ্র সাথে কাউকে শরীক করে, তবে অবশ্যই আল্লাহ্ তার জন্যে জান্নাত নিষিদ্ধ করেন, এবং তার ঠিকানা জাহান্নাম। আর যালিমদের জন্যে কেউই সাহায্যকারী হবে না।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৭৩
لَقَدۡ کَفَرَ الَّذِیۡنَ قَالُوۡۤا اِنَّ اللّٰہَ ثَالِثُ ثَلٰثَۃٍ ۘ وَ مَا مِنۡ اِلٰہٍ اِلَّاۤ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ ؕ وَ اِنۡ لَّمۡ یَنۡتَہُوۡا عَمَّا یَقُوۡلُوۡنَ لَیَمَسَّنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۷۳﴾
📕 কানযুল ঈমান
৭৩. নিঃসন্দেহে কাফির ঐ সব লোক, যারা একথা বলে, ‘আল্লাহ্ তিন খোদার মধ্যে তৃতীয়’; আর খোদাতো নেই, কিন্তু (আছেন) একমাত্র এবং তারা শাস্তির মধ্যে চিরদিন থাকবে।
📗 ইরফানুল কুরআন
৭৩. নিশ্চয়ই তারা(ও) কাফের হয়ে গিয়েছে যারা বলে, ‘(উপাস্য হিসেবে) আল্লাহ্ তিনজনের মধ্যে তৃতীয়’; অথচ একক উপাস্য ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য অন্য কেউ নেই। আর যদি তারা এ (অনর্থক বিষয়) থেকে নিবৃত্ত না হয় যা তারা বলছে তবে তাদের মধ্যে যারা কাফের তাদের নিকট অবশ্যই যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি পৌঁছবে।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৭৪
اَفَلَا یَتُوۡبُوۡنَ اِلَی اللّٰہِ وَ یَسۡتَغۡفِرُوۡنَہٗ ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۷۴﴾
📕 কানযুল ঈমান
৭৪. তবে কেন তারা প্রত্যাবর্তন করছেনা আল্লাহ্র দিকে? এবং তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছেনা? এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
📗 ইরফানুল কুরআন
৭৪. এসব লোকেরা কি আল্লাহ্র দিকে প্রত্যাবর্তন করবে না এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে (না)? অথচ আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৭৫
مَا الۡمَسِیۡحُ ابۡنُ مَرۡیَمَ اِلَّا رَسُوۡلٌ ۚ قَدۡ خَلَتۡ مِنۡ قَبۡلِہِ الرُّسُلُ ؕ وَ اُمُّہٗ صِدِّیۡقَۃٌ ؕ کَانَا یَاۡکُلٰنِ الطَّعَامَ ؕ اُنۡظُرۡ کَیۡفَ نُبَیِّنُ لَہُمُ الۡاٰیٰتِ ثُمَّ انۡظُرۡ اَنّٰی یُؤۡفَکُوۡنَ ﴿۷۵﴾
📕 কানযুল ঈমান
৭৫. মরিয়ম-তনয় মসীহ্ নয়, কিন্তু একজন রসূল। তার পূর্বে বহু রসূল গত হয়েছে এবং তার মাতা ‘সিদ্দীক্বাহ্’ (সত্যনিষ্ঠা)। তারা উভয়ে খাদ্যাহার করতো। দেখোতো! আমি কেমন সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ তাদের জন্য বর্ণনা করছি, অতঃপর দেখো তারা কিভাবে কুঁজো হয়ে চলে যাচ্ছে;
📗 ইরফানুল কুরআন
৭৫. মারইয়াম-তনয় মাসীহ্ (আলাইহিমাস সালাম) কেবল একজন রাসূল (অর্থাৎ তিনি আল্লাহ্ কিংবা আল্লাহ্র পুত্র অথবা অংশীদার নন)। নিশ্চয়ই তাঁর পূর্বেও অনেক রাসূল গত হয়েছেন। আর তাঁর মাতা ছিলেন সত্যানুসন্ধানী (সাধনাকারিণী)। তারা উভয়ে (ছিলেন সৃষ্ট, কেননা তারা) খাদ্যও গ্রহণ করতেন। (হে হাবীব!) দেখুন, আমরা তাদের (পথনির্দেশনার) জন্যে কীভাবে সুস্পষ্টভাবে আয়াতসমূহ বর্ণনা করি। আরো দেখুন, (এতদসত্বেও) তারা কীভাবে (সত্য থেকে) মুখ ফিরিয়ে নেয়।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৭৬
قُلۡ اَتَعۡبُدُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ مَا لَا یَمۡلِکُ لَکُمۡ ضَرًّا وَّ لَا نَفۡعًا ؕ وَ اللّٰہُ ہُوَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ ﴿۷۶﴾
📕 কানযুল ঈমান
৭৬. আপনি বলে দিন, ‘তোমরা কি আল্লাহ্ ব্যতীত এমন কিছুর ইবাদত করছো যা তোমাদের না ক্ষতি করার মালিক, না উপকারের? এবং আল্লাহ্ই শুনেন, জানেন’।
📗 ইরফানুল কুরআন
৭৬. বলে দিন, ‘তোমরা কি আল্লাহ্ ব্যতীত এমন কারো ইবাদত করছো, যার না আছে তোমাদের কোনো অপকার করার ক্ষমতা, আর না কোনো উপকারের? আর আল্লাহ্ই তো সর্বশ্রোতা, সম্যক অবগত।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৭৭
قُلۡ یٰۤاَہۡلَ الۡکِتٰبِ لَا تَغۡلُوۡا فِیۡ دِیۡنِکُمۡ غَیۡرَ الۡحَقِّ وَ لَا تَتَّبِعُوۡۤا اَہۡوَآءَ قَوۡمٍ قَدۡ ضَلُّوۡا مِنۡ قَبۡلُ وَ اَضَلُّوۡا کَثِیۡرًا وَّ ضَلُّوۡا عَنۡ سَوَآءِ السَّبِیۡلِ ﴿۷۷﴾
📕 কানযুল ঈমান
৭৭. আপনি বলুন, ‘হে কিতাবীগণ! স্বীয় দ্বীনের মধ্যে অন্যায় বর্দ্ধিত করোনা। এবং এমন লোকদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করোনা; যারা ইতিপূর্বে পথভ্রষ্ট হয়েছে ও অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে এবং সরল পথ থেকে দূরে সরে গেছে।
📗 ইরফানুল কুরআন
৭৭. বলে দিন, ‘হে আহলে কিতাব! তোমরা তোমাদের ধর্ম সম্পর্কে অন্যায়ভাবে সীমালঙ্ঘন করো না এবং সেসব লোকের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করো না যারা (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের আবির্ভূত হওয়ার) পূর্বেই গোমরাহ হয়ে গিয়েছে এবং (আরো) অনেককে গোমরাহ করেছে। আর (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের আগমনের পরেও) সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৭৮
لُعِنَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡۢ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ عَلٰی لِسَانِ دَاوٗدَ وَ عِیۡسَی ابۡنِ مَرۡیَمَ ؕ ذٰلِکَ بِمَا عَصَوۡا وَّ کَانُوۡا یَعۡتَدُوۡنَ ﴿۷۸﴾
📕 কানযুল ঈমান
৭৮. অভিশপ্ত হয়েছে ঐ সব লোক, যারা কুফর করেছে, বনী ইস্রাঈল সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে, দাঊদ এবং মরিয়ম-তনয় ঈসার ভাষায়। এটা পরিণাম তাদের অবাধ্যতা ও সীমালংঘনের।
📗 ইরফানুল কুরআন
৭৮. বনী ইসরাঈলের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল, তাদেরকে দাউদ ও মারইয়াম-তনয় ঈসা (আলাইহিমাস সালাম)-এঁর ভাষায় অভিসম্পাত করা হয়েছিল। তা এ জন্যে যে, তারা ছিল অবাধ্য এবং তারা সীমালঙ্ঘন করতো।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৭৯
کَانُوۡا لَا یَتَنَاہَوۡنَ عَنۡ مُّنۡکَرٍ فَعَلُوۡہُ ؕ لَبِئۡسَ مَا کَانُوۡا یَفۡعَلُوۡنَ ﴿۷۹﴾
📕 কানযুল ঈমান
৭৯. যারা অন্যায় কাজ করতো, পরস্পরের মধ্যে একে অপরকে বারণ করতোনা। তারা নিশ্চয়ই অত্যন্ত নিকৃষ্ট কাজ করতো।
📗 ইরফানুল কুরআন
৭৯. (আর এ অভিসম্পাতের একটি কারণ এও ছিল যে,) তারা যে মন্দকর্ম করতো তা থেকে একে অপরকে নিষেধ করতো না। বাস্তবিকই তা ছিল নিকৃষ্ট যা তারা করতো।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৮০
تَرٰی کَثِیۡرًا مِّنۡہُمۡ یَتَوَلَّوۡنَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ لَبِئۡسَ مَا قَدَّمَتۡ لَہُمۡ اَنۡفُسُہُمۡ اَنۡ سَخِطَ اللّٰہُ عَلَیۡہِمۡ وَ فِی الۡعَذَابِ ہُمۡ خٰلِدُوۡنَ ﴿۸۰﴾
📕 কানযুল ঈমান
৮০. তাদের মধ্যে আপনি অনেককে দেখবেন যে, তারা কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব করছে। কতই নিকৃষ্ট বস্তু নিজেদের জন্য নিজেরা অগ্রে প্রেরণ করেছে যে, তাদের উপর আল্লাহ্ ক্রোধান্বিত হয়েছেন এবং তারা শাস্তির মধ্যে চিরদিন থাকবে।
📗 ইরফানুল কুরআন
৮০. আপনি তাদের অধিকাংশকে দেখবেন যে, তারা কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে। কতোই না মন্দ বিষয় যা তারা তাদের (পরকালের হিসাবের) জন্যে অগ্রে প্রেরণ করে রেখেছে, (আর তা) এ যে, আল্লাহ্ তাদের উপর (খুবই) অসন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারা চিরকাল শাস্তিতেই (বন্দী) থাকবে।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৮১
وَ لَوۡ کَانُوۡا یُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَ النَّبِیِّ وَ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡہِ مَا اتَّخَذُوۡہُمۡ اَوۡلِیَآءَ وَ لٰکِنَّ کَثِیۡرًا مِّنۡہُمۡ فٰسِقُوۡنَ ﴿۸۱﴾
📕 কানযুল ঈমান
৮১. এবং তারা যদি ঈমান আনতো আল্লাহ্ ও এ নবীর উপর এবং সেটার উপর, যা তার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, তবে কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করতো না; কিন্তু তাদের মধ্যে তো অনেকে ফাসিক্ব।
📗 ইরফানুল কুরআন
৮১. আর তারা যদি ঈমান আনয়ন করতো আল্লাহ্তে, (সর্বশেষ) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁ এবং এতে (এ কিতাবে) যা তাঁর প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, তবে তারা তাদেরকে (অর্থাৎ ইসলামের শত্রুদেরকে) বন্ধু বানাতো না। কিন্তু তাদের অধিকাংশই নাফরমান।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৮২
لَتَجِدَنَّ اَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَۃً لِّلَّذِیۡنَ اٰمَنُوا الۡیَہُوۡدَ وَ الَّذِیۡنَ اَشۡرَکُوۡا ۚ وَ لَتَجِدَنَّ اَقۡرَبَہُمۡ مَّوَدَّۃً لِّلَّذِیۡنَ اٰمَنُوا الَّذِیۡنَ قَالُوۡۤا اِنَّا نَصٰرٰی ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّ مِنۡہُمۡ قِسِّیۡسِیۡنَ وَ رُہۡبَانًا وَّ اَنَّہُمۡ لَا یَسۡتَکۡبِرُوۡنَ ﴿۸۲﴾
📕 কানযুল ঈমান
৮২. নিশ্চয় আপনি মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুশমন ইহুদী ও অংশীবাদীদেরকে পাবেন; এবং নিশ্চয় আপনি মুসলমানদের সাথে বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিকটতম তাদেরকেই পাবেন যারা বলতো, ‘আমরা খ্রীস্টান’। এটা এজন্য যে, তাদের মধ্যে জ্ঞানী ও দরবেশগণ রয়েছে আর এরা অহংকার করে না।
📗 ইরফানুল কুরআন
৮২. বাস্তবে আপনি মানবমন্ডলীর মধ্যে ইহুদী ও মুশরিকদেরকে মুসলমানদের প্রতি শত্রুতায় কঠোরতর পাবেন, অপরদিকে অবশ্যই বন্ধুত্বে মুসলমানদের নিকটতর পাবেন তাদেরকে যারা বলে, ‘নিশ্চয়ই আমরা খ্রিস্টান’। তা এ জন্যে যে, তাদের মধ্যে (শরীয়ত বিষয়ে) জ্ঞানীগণ রয়েছেন এবং (ইবাদতকারী) দরবেশগণও রয়েছেন; আর (অধিকন্তু) তারা নিরহঙ্কার।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৮৩
وَ اِذَا سَمِعُوۡا مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَی الرَّسُوۡلِ تَرٰۤی اَعۡیُنَہُمۡ تَفِیۡضُ مِنَ الدَّمۡعِ مِمَّا عَرَفُوۡا مِنَ الۡحَقِّ ۚ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاکۡتُبۡنَا مَعَ الشّٰہِدِیۡنَ ﴿۸۳﴾
📕 কানযুল ঈমান
৮৩. এবং তারা যখন শুনে সেটা, যা রসূলের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, তখন তাদের চোখগুলো দেখো অশ্রুতে ভরে উঠছে, এ কারণে যে, তারা সত্যকে চিনে নিয়েছে। তারা বলে ‘হে রব আমাদের! আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাং আমাদেরকে সত্যের সাক্ষীগণের মধ্যে লিপিবদ্ধ করে নিন।’
📗 ইরফানুল কুরআন
৮৩. আর (এ কারণেই) তাদের মধ্যে (সত্যিকারের কিছু খ্রিস্টান) যখন (এ কুরআন) শ্রবণ করে যা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, তখন আপনি তাদের অশ্রুসজল চক্ষু লক্ষ্য করবেন; (এ অশ্রু প্রস্রবণ) ওই সত্যের কারণে যার সাথে তাদের প্রকৃত পরিচয় (অর্জিত) হয়েছে। (অধিকন্তু) তারা আরয করে যে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা (তোমার প্রেরিত সত্যের প্রতি) ঈমান আনয়ন করেছি, সুতরাং তুমি আমাদেরকে (সত্যের) সাক্ষ্য দানকারীদের অন্তর্ভুক্ত করো।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৮৪
وَ مَا لَنَا لَا نُؤۡمِنُ بِاللّٰہِ وَ مَا جَآءَنَا مِنَ الۡحَقِّ ۙ وَ نَطۡمَعُ اَنۡ یُّدۡخِلَنَا رَبُّنَا مَعَ الۡقَوۡمِ الصّٰلِحِیۡنَ ﴿۸۴﴾
📕 কানযুল ঈমান
৮৪. ‘এবং আমাদের কী হয়েছে যে, আমরা ঈমান আনবো না আল্লাহ্র উপর এবং সে সত্যের উপর যা আমাদের নিকট এসেছে? আর আমরা এ প্রত্যাশা করি যে, আমাদেরকে আমাদের রব সৎকর্মপরায়ণ লোকদের অন্তর্ভুক্ত করবেন।
📗 ইরফানুল কুরআন
৮৪. আর আমাদের কী হয়েছে যে, আমরা আল্লাহ্তে, এ সত্যে যা আমাদের নিকট এসেছে (অর্থাৎ আল্লাহ্র রাসূল হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম এবং কুরআন মাজীদে) ঈমান আনয়ন করবো না? অথচ আমরাও (এ) বাসনা রাখি যে, আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে পূণ্যবান লোকদের সাথে (তাঁর রহমত ও জান্নাতে) প্রবেশ করাবেন।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৮৫
فَاَثَابَہُمُ اللّٰہُ بِمَا قَالُوۡا جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ؕ وَ ذٰلِکَ جَزَآءُ الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۸۵﴾
📕 কানযুল ঈমান
৮৫. অতঃপর আল্লাহ্ তাদের এ স্বীকারোক্তির বিনিময়ে তাদেরকে (এমন) জান্নাতসমূহ দিলেন, যেগুলোর নিচে নহরসমূহ প্রবহমান। (তারা) সেগুলোর মধ্যে সর্বদা অবস্থান করবে। এটাই পুরস্কার সৎ লোকদের।
📗 ইরফানুল কুরআন
৮৫. সুতরাং আল্লাহ্ তাদের এ (মুমিনসুলভ) উক্তির বিনিময়ে এর পুরস্কারস্বরূপ প্রদান করবেন জান্নাত, যার তলদেশে স্রোতধারা প্রবাহিত; তথায় তারা থাকবে চিরকাল। আর এটিই সৎকর্মশীলদের পুরস্কার।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৮৬
وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَ کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِنَاۤ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ الۡجَحِیۡمِ ﴿۸۶﴾
📕 কানযুল ঈমান
৮৬. এবং ঐ সব লোক, যারা কুফর করেছে এবং আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করেছে, তারা হচ্ছে দোযখবাসী।
📗 ইরফানুল কুরআন
৮৬. আর যারা কুফরী করে এবং আমাদের আয়াতসমূহকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করে তারাই জাহান্নামের বাসিন্দা।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৮৭
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تُحَرِّمُوۡا طَیِّبٰتِ مَاۤ اَحَلَّ اللّٰہُ لَکُمۡ وَ لَا تَعۡتَدُوۡا ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یُحِبُّ الۡمُعۡتَدِیۡنَ ﴿۸۷﴾
📕 কানযুল ঈমান
৮৭. হে ঈমানদারগণ! তোমরা হারাম করে নিও না ওই সব পবিত্র বস্তুকে, যেগুলো আল্লাহ্ তোমাদের জন্য হালাল করেছেন এবং সীমাতিক্রম করো না। নিশ্চয় সীমাতিক্রম কারীরা আল্লাহ্র নিকট পছন্দনীয় নয়।
📗 ইরফানুল কুরআন
৮৭. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্যে যেসব পবিত্র বস্তু হালাল করা হয়েছে সেগুলো (নিজেদের জন্যে) হারাম সাব্যস্ত করো না এবং সীমালঙ্ঘন(ও) করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সীমালঙ্ঘনকারীকে পছন্দ করেন না।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৮৮
وَ کُلُوۡا مِمَّا رَزَقَکُمُ اللّٰہُ حَلٰلًا طَیِّبًا ۪ وَّ اتَّقُوا اللّٰہَ الَّذِیۡۤ اَنۡتُمۡ بِہٖ مُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۸۸﴾
📕 কানযুল ঈমান
৮৮. এবং আহার করো যা কিছু তোমাদেরকে আল্লাহ্ জীবিকা দিয়েছেন, হালাল পবিত্র; এবং ভয় করো আল্লাহ্কে, যার উপর তোমাদের ঈমান আছে।
📗 ইরফানুল কুরআন
৮৮. আর আল্লাহ্ তোমাদেরকে যে হালাল রিযিক দান করেছেন তা থেকে আহার করো এবং আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো, যাঁর প্রতি তোমরা বিশ্বাস রাখো।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৮৯
لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰہُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَ لٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا عَقَّدۡتُّمُ الۡاَیۡمَانَ ۚ فَکَفَّارَتُہٗۤ اِطۡعَامُ عَشَرَۃِ مَسٰکِیۡنَ مِنۡ اَوۡسَطِ مَا تُطۡعِمُوۡنَ اَہۡلِیۡکُمۡ اَوۡ کِسۡوَتُہُمۡ اَوۡ تَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ ؕ فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ ؕ ذٰلِکَ کَفَّارَۃُ اَیۡمَانِکُمۡ اِذَا حَلَفۡتُمۡ ؕ وَ احۡفَظُوۡۤا اَیۡمَانَکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمۡ اٰیٰتِہٖ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۸۹﴾
📕 কানযুল ঈমান
৮৯. আল্লাহ্ তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন না তোমাদের ভুল বুঝে শপথ করার উপর, হাঁ, ঐ সব শপথের উপর পাকড়াও করবেন যেগুলোকে তোমরা সুদৃঢ় করেছো। তখন এমন শপথের প্রায়শ্চিত্ত হচ্ছে দশজন মিসকীনকে খাধ্য দেওয়া আপন পরিবারের লোকদেরকে যা আহার করাও তার মধ্যম ধরনের, অথবা তাদেরকে কাপড় দেওয়া, অথবা একজন ক্রীতদাস মুক্ত করে দেওয়া। অতঃপর যে ব্যক্তি এসবের কোনটার সামর্থ্য রাখে না তার জন্য তিন দিনের রোযা রাখা। এটা হচ্ছে প্রায়শ্চিত্ত তোমাদের শপথসমূহের, যখম তোমরা শপথ করবে এবং স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা করে। এভাবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্য তার নিদর্শনসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেন, যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।
📗 ইরফানুল কুরআন
৮৯. আল্লাহ্ তোমাদেরকে তোমাদের নিরর্থক (এবং তুচ্ছ) শপথের কারণে পাকড়াও করবেন না, তবে তোমাদের সেসব (গুরুতর) শপথের কারণে পাকড়াও করবেন যেগুলো তোমরা (ইচ্ছাকৃতভাবে) দৃঢ় করে থাকো। (যদি তোমরা সেগুলো ভঙ্গ করো) তবে এর প্রায়শ্চিত্ত হলো দশজন মিসকীনকে মধ্যম (মানের) খাবার খাওয়ানো, যা তোমরা তোমাদের পরিবারের লোকজনকে প্রদান করে থাকো অথবা (এমনিভাবে) তাদেরকে পোশাক প্রদান করা অথবা একজন কৃতদাস বা কৃতদাসী মুক্ত করা। অতঃপর যার (এগুলোর) সামর্থ নেই তার জন্যে তিনদিন রোযা রাখা। এ হলো তোমাদের শপথের কাফফারা যখন তোমরা শপথ করো (এবং তা ভঙ্গ করো)। আর নিজেদের শপথ রক্ষা করো। এভাবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে তাঁর আয়াতসমূহকে সুস্পষ্ট করেন, যাতে তোমরা (তাঁর বিধিবিধানের আনুগত্য করে) কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৯০
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّمَا الۡخَمۡرُ وَ الۡمَیۡسِرُ وَ الۡاَنۡصَابُ وَ الۡاَزۡلَامُ رِجۡسٌ مِّنۡ عَمَلِ الشَّیۡطٰنِ فَاجۡتَنِبُوۡہُ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ ﴿۹۰﴾
📕 কানযুল ঈমান
৯০. হে ঈমানদারগণ! মদ, জুয়া, মূর্তি এবং ভাগ্য নির্ণায়ক তীর অপবিত্রই, শয়তানী কাজ। সুতরাং তা থেকে বেচে থাকো, যাতে তোমরা সাফল্য লাভ করো।
📗 ইরফানুল কুরআন
৯০. হে ঈমানদারগণ! অবশ্যই মদ, জুয়া, (পূজার উদ্দেশ্যে) স্থাপিত মূর্তি এবং (ভাগ্য গণনায়) শুভাশুভ নিরূপণের তীর (এসব কিছু) অপবিত্র, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা এ থেকে (সম্পূর্ণরূপে) নিবৃত্ত থাকো, যাতে তোমরা সাফল্য লাভ করতে পারো।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৯১
اِنَّمَا یُرِیۡدُ الشَّیۡطٰنُ اَنۡ یُّوۡقِعَ بَیۡنَکُمُ الۡعَدَاوَۃَ وَ الۡبَغۡضَآءَ فِی الۡخَمۡرِ وَ الۡمَیۡسِرِ وَ یَصُدَّکُمۡ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰہِ وَ عَنِ الصَّلٰوۃِ ۚ فَہَلۡ اَنۡتُمۡ مُّنۡتَہُوۡنَ ﴿۹۱﴾
📕 কানযুল ঈমান
৯১. য়তান তো এটাই চায় যে, তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাবে মদ ও জুয়ার মাধ্যমে এবং তোমাদেরকে আল্লাহ্র স্মরন ও নামাযে বাধা দেবে। তবে কি তোমরা বিরত হবে?
📗 ইরফানুল কুরআন
৯১. শয়তান তো এটাই চায় যে, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঢুকিয়ে দেবে এবং তোমাদেরকে আল্লাহ্র স্মরণ এবং নামায থেকে বিরত রাখবে। তবে কি তোমরা (এসব অনিষ্টকর বিষয় থেকে) নিবৃত্ত হবে?
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৯২
وَ اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ وَ احۡذَرُوۡا ۚ فَاِنۡ تَوَلَّیۡتُمۡ فَاعۡلَمُوۡۤا اَنَّمَا عَلٰی رَسُوۡلِنَا الۡبَلٰغُ الۡمُبِیۡنُ ﴿۹۲﴾
📕 কানযুল ঈমান
৯২. এবং নির্দেশ মান্য করো আল্লাহ্র, আদেশ পালন করো রসূলের এবং সতর্ক থাকো। অতঃপর যদি তোমরা ফিরে যাও, তবে জেনে রেখো- আমার রসূলের দায়িত্ব হচ্ছে শুধু স্পষ্টভাবে নির্দেশ পৌঁছিয়ে দেওয়া।
📗 ইরফানুল কুরআন
৯২. আর তোমরা আনুুগত্য করো আল্লাহ্র এবং আনুগত্য করো রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর এবং (আল্লাহ্ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের বিরোধিতা থেকে) সতর্ক থাকো। অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে জেনে রেখো, আমাদের রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর দায়িত্ব কেবল (বিধিবিধান) সুস্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া (আর তিনি এ দায়িত্ব সম্পন্ন করেছেন)।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৯৩
لَیۡسَ عَلَی الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ جُنَاحٌ فِیۡمَا طَعِمُوۡۤا اِذَا مَا اتَّقَوۡا وَّ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ثُمَّ اتَّقَوۡا وَّ اٰمَنُوۡا ثُمَّ اتَّقَوۡا وَّ اَحۡسَنُوۡا ؕ وَ اللّٰہُ یُحِبُّ الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۹۳﴾
📕 কানযুল ঈমান
৯৩. যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তাদের উপর কোন গুনাহ্ নেই তাঁতে যা কিছুর স্বাদ তারা গ্রহণ করেছে, যখন (আল্লাহ্কে) ভয় করে এবং ঈমান রাখে ও সৎকার্যাদি করে; পুনরায় (আল্লাহ্কে) ভয় করে ও ঈমান রাখে, পুনরায় ভয় করে ও সৎভাবে থাকে এবং আল্লাহ্ সৎ ব্যক্তিদেরকে ভালবাসেন।
📗 ইরফানুল কুরআন
৯৩. যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্যে সেসব (হারাম) বস্তুতে কোনো পাপ নেই যা তারা (হারামের বিধান অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে) ভক্ষণ করেছে; যখন তারা (অন্যান্য বিষয়াদিতে) খোদাভীতি অবলম্বন করেছে, (আল্লাহ্র অন্যান্য বিধিবিধানের উপর) ঈমান এনেছে এবং ধারাবাহিকভাবে সৎকর্ম করেছে। অতঃপর (হারাম বিধান আগমনের পরও এ সকল হারাম বস্তু থেকে) বিরত থেকেছে এবং (তা হারাম হওয়ার বিষয়ে খাঁটি অন্তরে) ঈমান এনেছে। এরপর খোদাভীতির অধিকারী হয়েছে এবং (পরিশেষে) ইহ্সানের অধিকারী (অর্থাৎ আল্লাহ্র বিশেষ, প্রিয়, নৈকট্যবান ও পূণ্যবান বান্দা) হয়েছে। আর আল্লাহ্ ইহসানের অধিকারী বান্দাদেরকে ভালোবাসেন।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৯৪
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَیَبۡلُوَنَّکُمُ اللّٰہُ بِشَیۡءٍ مِّنَ الصَّیۡدِ تَنَالُہٗۤ اَیۡدِیۡکُمۡ وَ رِمَاحُکُمۡ لِیَعۡلَمَ اللّٰہُ مَنۡ یَّخَافُہٗ بِالۡغَیۡبِ ۚ فَمَنِ اعۡتَدٰی بَعۡدَ ذٰلِکَ فَلَہٗ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۹۴﴾
📕 কানযুল ঈমান
৯৪. হে ঈমানদারগণ! অবশ্যই আল্লাহ্ তোমাদেরকে পরীক্ষা করবেন এমন কতেক শিকার-প্রাণী দ্বারা, যেগুলো পর্যন্ত তোমাদের হাত ও বর্শা পৌঁছবে, যাতে আল্লাহ্ পরিচয় করিয়ে দেন ঐসব লোকের, যারা তাকে না দেখে ভয় করে। অতঃপর, এর পরেও ভয় করে। অতঃপর এর পরেও যে ব্যক্তি সীমালংঘন করবে তার জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি।
📗 ইরফানুল কুরআন
৯৪. হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্ নিশ্চিত তোমাদেরকে (এমন) কিছু শিকার দ্বারা পরীক্ষা করবেন যেগুলো পর্যন্ত তোমাদের হাত ও তোমাদের বর্শা পৌঁছুতে পারে; যাতে আল্লাহ্ পরিচয় করাবেন কে তাঁকে না দেখে ভয় করে। অতঃপর এরপর(ও) যে সীমালঙ্ঘন করে, তবে তার জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৯৫
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَقۡتُلُوا الصَّیۡدَ وَ اَنۡتُمۡ حُرُمٌ ؕ وَ مَنۡ قَتَلَہٗ مِنۡکُمۡ مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآءٌ مِّثۡلُ مَا قَتَلَ مِنَ النَّعَمِ یَحۡکُمُ بِہٖ ذَوَا عَدۡلٍ مِّنۡکُمۡ ہَدۡیًۢا بٰلِغَ الۡکَعۡبَۃِ اَوۡ کَفَّارَۃٌ طَعَامُ مَسٰکِیۡنَ اَوۡ عَدۡلُ ذٰلِکَ صِیَامًا لِّیَذُوۡقَ وَبَالَ اَمۡرِہٖ ؕ عَفَا اللّٰہُ عَمَّا سَلَفَ ؕ وَ مَنۡ عَادَ فَیَنۡتَقِمُ اللّٰہُ مِنۡہُ ؕ وَ اللّٰہُ عَزِیۡزٌ ذُو انۡتِقَامٍ ﴿۹۵﴾
📕 কানযুল ঈমান
৯৫. হে ঈমানদারগণ! তোমরা শিকার জন্তু হত্যা করো না যখন তোমরা ইহরাম অবস্থায় থাকো এবং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সেটা ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করবে তবে তার বদলা (প্রায়শ্চিত্ত) হচ্ছে অনুরূপ গবাদি পশু থেকে প্রদান করা, তোমাদের মধ্য থেকে দু’জন নির্ভরযোগ্য লোক সেটার নির্দেশ (ফয়সালা) করবে; এটা এমন ক্বোরবানী হবে, যা কা’বায় পৌঁছবে। অথবা কাফ্ফারা দেবে- কতিপয় দরিদ্রের অন্ন, কিংবা এর সমপরিমাণ রোযা, যাতে সে আপন কৃতকর্মের কুফল ভোগ করে। আল্লাহ্ ক্ষমা করেছেন যা গত হয়ে গেছে; আর এখন যে ব্যক্তি পুণরায় করবে আল্লাহ্ তার নিকট থেকে প্রতিশোধ নেবেন; এবং আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
📗 ইরফানুল কুরআন
৯৫. হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহরাম অবস্থায় শিকার হত্যা করো না। আর তোমাদের মধ্যে যে কেউ (ইহরাম অবস্থায়) ইচ্ছাকৃতভাবে তা হত্যা করে, তবে (এর) বিনিময় গৃহপালিত জন্তু থেকে এর অনুরূপ (কোনো প্রাণী) যা সে হত্যা করেছে; যার ফায়সালা করবে তোমাদের মধ্য থেকে দু’জন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি (যে, প্রকৃতই এ প্রাণীটি হত্যাকৃত শিকারের সমান কিনা), এ কুরবানী কা’বায় প্রেরিত হবে। অথবা (এর) কাফ্ফারা কিছু অভাবগ্রস্তকে খাবার প্রদান করা, (অর্থাৎ জন্তুটির মূল্যের সমপরিমাণ সাধারণ খাবার যতজন অভাবগ্রস্তকেই দেয়া যায়) অথবা এর সমপরিমাণ (অর্থাৎ যতজন অভাবগ্রস্তদের খাবার দেয়া যায়, ততটি) রোযা রাখা, যাতে সে নিজ কৃতকর্মের (বোঝার) স্বাদ আস্বাদন করে। যা কিছু (এর) পূর্বে সংঘটিত হয়েছে, আল্লাহ্ তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। আর যে ব্যক্তি (এমন কাজ) দ্বিতীয়বার করবে, তবে আল্লাহ্ তার থেকে (অবাধ্যতার) প্রতিশোধ নিবেন। আর আল্লাহ্ মহাপরাক্রমশালী, প্রতিশোধগ্রহণকারী।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৯৬
اُحِلَّ لَکُمۡ صَیۡدُ الۡبَحۡرِ وَ طَعَامُہٗ مَتَاعًا لَّکُمۡ وَ لِلسَّیَّارَۃِ ۚ وَ حُرِّمَ عَلَیۡکُمۡ صَیۡدُ الۡبَرِّ مَا دُمۡتُمۡ حُرُمًا ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ الَّذِیۡۤ اِلَیۡہِ تُحۡشَرُوۡنَ ﴿۹۶﴾
📕 কানযুল ঈমান
৯৬. হালাল করা হয়েছে তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার এবং তা ভক্ষণ করা, তোমাদের ও মুসাফিরদের উপকারার্থে; এবং স্থলের শিকার তোমাদের জন্য হারাম যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা ইহরাম অবস্থায় থাকবে আর আল্লাহ্কে ভয় করো, যাঁর দিকে তোমরা উত্থিত হবে।
📗 ইরফানুল কুরআন
৯৬. তোমাদের জন্যে সমুদ্রের শিকার এবং তা ভক্ষণ বৈধ করা হয়েছে, তোমাদের এবং মুসাফিরদের উপকারার্থে। আর স্থলভাগের শিকার তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা ইহরাম অবস্থায় থাকো। আর আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো, যার (নৈকট্যের) দিকে তোমাদেরকে একত্র করা হবে।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৯৭
جَعَلَ اللّٰہُ الۡکَعۡبَۃَ الۡبَیۡتَ الۡحَرَامَ قِیٰمًا لِّلنَّاسِ وَ الشَّہۡرَ الۡحَرَامَ وَ الۡہَدۡیَ وَ الۡقَلَآئِدَ ؕ ذٰلِکَ لِتَعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ یَعۡلَمُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ وَ اَنَّ اللّٰہَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ ﴿۹۷﴾
📕 কানযুল ঈমান
৯৭. আল্লাহ্ সম্মানিত ঘর কা’বাকে মানুষের স্থিতীশীলতার কারণ করেছেন এবং সম্মানিত মাস, হেরমে প্রেরিত ক্বোরবাণীর পশু ও গলায় ঝুলন্ত চিহ্নবিশিষ্ট জন্তুসমূহকেও। এটা এ জন্য যেন তোমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করো যে, আল্লাহ্ জানেন যা কিছু আসমানসমূহে রয়েছে, এবং যা কিছু যমীনে রয়েছে; আর এটাও যে, আল্লাহ্ সব কিছু জানেন।
📗 ইরফানুল কুরআন
৯৭. আল্লাহ্ মহিমান্বিত (ও মর্যাদাসম্পন্ন) কা’বা গৃহকে মানুষের জন্যে (ধর্মীয় ও পার্থিব বিষয়ের নিরাপত্তায়) স্থিতিশীলতার উপলক্ষ করেছেন; পবিত্র মাসকে, হেরেমে প্রেরিত কুরবানীর পশুকে এবং গলায় চিহ্নিতকরণ বন্ধনীবিশিষ্ট প্রাণীকেও (যা মক্কার পবিত্র সীমানায় আনা হয়েছে, সবকিছুকে এর সাথে সম্বন্ধযুক্ত হওয়ার কারণে মর্যাদা ও সম্মান প্রদান করা হয়েছে)। তা এ জন্যে, যাতে তোমরা অবগত হও যে, যা কিছু আকাশমন্ডলীতে এবং যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে তা আল্লাহ্ ভালোভাবে জানেন। আর আল্লাহ্ সকল কিছু সম্পর্কে সম্যক অবগত।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৯৮
اِعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ وَ اَنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿ؕ۹۸﴾
📕 কানযুল ঈমান
৯৮. জেনে রাখো যে, আল্লাহ্র শাস্তি কঠোর এবং আল্লাহ্ ক্ষমাশিল, দয়ালু।
📗 ইরফানুল কুরআন
৯৮. জেনে রেখো যে, আল্লাহ্ কঠিন শাস্তিদাতা এবং আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু(ও)।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ৯৯
مَا عَلَی الرَّسُوۡلِ اِلَّا الۡبَلٰغُ ؕ وَ اللّٰہُ یَعۡلَمُ مَا تُبۡدُوۡنَ وَ مَا تَکۡتُمُوۡنَ ﴿۹۹﴾
📕 কানযুল ঈমান
৯৯. রসূলের উপর নেই, কিন্তু নির্দেশ পৌঁছিয়ে দেয়া এবং আল্লাহ্ জানেন যা তোমরা প্রকাশ করো এবং যা তোমরা গোপন করো।
📗 ইরফানুল কুরআন
৯৯. রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর দায়িত্ব কেবল (পরিপূর্ণরূপে বিধিবিধান) পৌঁছে দেয়া। আর আল্লাহ্ (সবকিছু) জানেন যা তোমরা প্রকাশ করো এবং যা তোমরা গোপন করো।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১০০
قُلۡ لَّا یَسۡتَوِی الۡخَبِیۡثُ وَ الطَّیِّبُ وَ لَوۡ اَعۡجَبَکَ کَثۡرَۃُ الۡخَبِیۡثِ ۚ فَاتَّقُوا اللّٰہَ یٰۤاُولِی الۡاَلۡبَابِ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ ﴿۱۰۰﴾
📕 কানযুল ঈমান
১০০. আপনি বলে দিন, ‘অপবিত্র এবং পবিত্র সমান নয় যদিও অপবিত্রের প্রাচুর্য তোমাকে চমৎকৃত করে। সুতরাং আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো হে বোধশক্তি সম্পন্নরা, যাতে তোমরা সাফল্য পাও’।
📗 ইরফানুল কুরআন
১০০. বলে দিন, ‘পবিত্র ও অপবিত্র (উভয়) কখনো সমান হতে পারে না, (হে শ্রোতা!) যদিও অপবিত্রের প্রাচুর্য তোমাকে মুগ্ধ করে। অতঃপর হে জ্ঞানীগণ! তোমরা (অধিক ও অল্পের পার্থক্য লক্ষ্য করার পরিবর্তে) আল্লাহ্কে ভয় করো, যাতে তোমরা সফলতা লাভ করো।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১০১
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَسۡـَٔلُوۡا عَنۡ اَشۡیَآءَ اِنۡ تُبۡدَ لَکُمۡ تَسُؤۡکُمۡ ۚ وَ اِنۡ تَسۡـَٔلُوۡا عَنۡہَا حِیۡنَ یُنَزَّلُ الۡقُرۡاٰنُ تُبۡدَ لَکُمۡ ؕ عَفَا اللّٰہُ عَنۡہَا ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ حَلِیۡمٌ ﴿۱۰۱﴾
📕 কানযুল ঈমান
১০১. হে ঈমানদারগণ! তোমরা এমন সব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যেগুলো তোমাদের উপর প্রকাশ করা হলে তোমাদের খারাপ লাগবে; এবং যদি ঐ সব বিষয়ে সে সময় প্রশ্ন করো, যখন ক্বোরআন অবতীর্ণ হচ্ছে, তবে তোমাদের উপর প্রকাশ করে দেওয়া হবে। আল্লাহ্ সেগুলো ক্ষমা করে দিয়েছেন; এবং আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, সহনশীল।
📗 ইরফানুল কুরআন
১০১. হে ঈমানদারগণ! তোমরা সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করো না (যে ব্যাপারে কুরআন নিশ্চুপ), যা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হলে তোমাদেরকে কষ্টে ফেলবে (এবং তাতে তোমাদের খারাপ লাগবে)। আর যদি তোমরা এসব বিষয় এমন সময়ে জিজ্ঞেস করো যখন কুরআন অবতীর্ণ হচ্ছে, তবে তা তোমাদের জন্যে (নির্ধারিত বিধান হিসেবে) প্রকাশ করে দেয়া হবে। (ফলে তোমাদের বেছে নেয়ার স্বাধীনতা রহিত হয়ে যাবে এবং একটি বিধানেই আবদ্ধ হয়ে যাবে)। আল্লাহ্ এ (জাতীয় বিষয়াদি ও প্রশ্নকরা) থেকে (এখন পর্যন্ত) মার্জনা করে দিয়েছেন। আর আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, সহনশীল।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১০২
قَدۡ سَاَلَہَا قَوۡمٌ مِّنۡ قَبۡلِکُمۡ ثُمَّ اَصۡبَحُوۡا بِہَا کٰفِرِیۡنَ ﴿۱۰۲﴾
📕 কানযুল ঈমান
১০২. তোমাদের পূর্বেও এসব বিষয়ে এক সম্প্রদায় প্রশ্ন করেছে; অতঃপর (তারা) ঐ সব বিষয়কে অস্বীকার করে বসে।
📗 ইরফানুল কুরআন
১০২. নিশ্চয়ই তোমাদের পূর্বে একটি সম্প্রদায়ও এসব বিষয়ে জিজ্ঞেস করতো। (যখন তা বর্ণনা করা হলো) অতএব তারা তা অস্বীকার করে বসলো।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১০৩
مَا جَعَلَ اللّٰہُ مِنۡۢ بَحِیۡرَۃٍ وَّ لَا سَآئِبَۃٍ وَّ لَا وَصِیۡلَۃٍ وَّ لَا حَامٍ ۙ وَّ لٰکِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یَفۡتَرُوۡنَ عَلَی اللّٰہِ الۡکَذِبَ ؕ وَ اَکۡثَرُہُمۡ لَا یَعۡقِلُوۡنَ ﴿۱۰۳﴾
📕 কানযুল ঈমান
১০৩. আল্লাহ্ নির্ধারণ করেনি কানচেরা উষ্ট্রীকে, না মানস হিসেবে ছেড়ে দেওয়া উষ্ট্রীকে, না সাতটা বাচ্চার জননী ছাগীকে, না দশটা বাচ্চার জন্মদাতা উষ্ট্রকে। হাঁ, কাফিরগণ আল্লাহ্র প্রতি মিথ্যা রচনা করে; এবং তাদের মধ্যে অনেকে নিরেট বোধশক্তিহীন।
📗 ইরফানুল কুরআন
১০৩. (মূর্তির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা শরীয়তসম্মত নয়, যেমন) আল্লাহ্ না ‘বাহীরাহ্’ নির্ধারণ করেছেন, না ‘সায়িবাহ্’, না ‘ওয়াসীলাহ্’ আর না ‘হাম’। কিন্তু কাফেরেরা আল্লাহ্র প্রতি মিথ্যা অপবাদ রচনা করে এবং তাদের অধিকাংশই উপলব্ধি করে না।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১০৪
وَ اِذَا قِیۡلَ لَہُمۡ تَعَالَوۡا اِلٰی مَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ وَ اِلَی الرَّسُوۡلِ قَالُوۡا حَسۡبُنَا مَا وَجَدۡنَا عَلَیۡہِ اٰبَآءَنَا ؕ اَوَ لَوۡ کَانَ اٰبَآؤُہُمۡ لَا یَعۡلَمُوۡنَ شَیۡئًا وَّ لَا یَہۡتَدُوۡنَ ﴿۱۰۴﴾
📕 কানযুল ঈমান
১০৪. এবং যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘এসো সেটার প্রতি, যা আল্লাহ্ অবতীর্ণ করেছেন; এবং রসূলের প্রতি’। (তখন) তারা বলে, ‘আমাদের জন্য সেটাই যথেষ্ট, যার উপর আমরা আমাদের পিতৃপুরুষকে পেয়েছি’। কী! যদিও তাদের পিতৃপুরুষ কিছুই না জানে এবং না থাকে সৎপথের উপর তবুও?
📗 ইরফানুল কুরআন
১০৪. আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ কর্তৃক অবতীর্ণ (এ কুরআন)-এর দিকে এবং (সম্মানিত) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর দিকে আসো’; তখন তারা বলে, ‘আমাদের জন্যে এ পথ(ই) যথেষ্ট যার উপর আমরা আমাদের পিতৃ-পুরুষকে পেয়েছি’। যদিও তাদের পিতৃ-পুরুষ না কোনো (দ্বীনের) জ্ঞান রাখে আর না তারা সঠিকভাবে হেদায়াতপ্রাপ্ত।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১০৫
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا عَلَیۡکُمۡ اَنۡفُسَکُمۡ ۚ لَا یَضُرُّکُمۡ مَّنۡ ضَلَّ اِذَا اہۡتَدَیۡتُمۡ ؕ اِلَی اللّٰہِ مَرۡجِعُکُمۡ جَمِیۡعًا فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۰۵﴾
📕 কানযুল ঈমান
১০৫. হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের চিন্তা-ভাবনা রাখো। তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না ওই ব্যক্তি, যে পথভ্রষ্ট হয়েছে যখন তোমরা সৎপথে থাকো। তোমাদের সবার প্রত্যাবর্তন আল্লাহ্রই দিকে। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে বলে দেবেন যা তোমরা করছিলে।
📗 ইরফানুল কুরআন
১০৫. হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের নিজেদের কথা ভাবো। কোনো পথভ্রষ্ট ব্যক্তি তোমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না, যদি তোমরা হেদায়াত প্রাপ্ত হও। তোমাদের সবাইকে আল্লাহ্রই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে; অতঃপর তিনি তোমাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে অবগত করবেন যা তোমরা করতে।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১০৬
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا شَہَادَۃُ بَیۡنِکُمۡ اِذَا حَضَرَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ حِیۡنَ الۡوَصِیَّۃِ اثۡنٰنِ ذَوَا عَدۡلٍ مِّنۡکُمۡ اَوۡ اٰخَرٰنِ مِنۡ غَیۡرِکُمۡ اِنۡ اَنۡتُمۡ ضَرَبۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ فَاَصَابَتۡکُمۡ مُّصِیۡبَۃُ الۡمَوۡتِ ؕ تَحۡبِسُوۡنَہُمَا مِنۡۢ بَعۡدِ الصَّلٰوۃِ فَیُقۡسِمٰنِ بِاللّٰہِ اِنِ ارۡتَبۡتُمۡ لَا نَشۡتَرِیۡ بِہٖ ثَمَنًا وَّ لَوۡ کَانَ ذَا قُرۡبٰی ۙ وَ لَا نَکۡتُمُ شَہَادَۃَ ۙ اللّٰہِ اِنَّاۤ اِذًا لَّمِنَ الۡاٰثِمِیۡنَ ﴿۱۰۶﴾
📕 কানযুল ঈমান
১০৬. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের পরস্পরের সাক্ষ্য হচ্ছে, যখন তোমাদের মধ্যে কারো নিকট মৃত্যু উপস্থিত হয়, ওসীয়ত করার সময়, তোমাদের মধ্য থেকে দু’জন নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি অথবা তোমাদের ব্যতীত অন্য লোকদের মধ্য থেকে দু’জন, যখন তোমরা ভূ-পৃষ্ঠে সফরে যাও, অতঃপর তোমাদের নিকট মৃত্যুর বিপদ এসে পৌঁছে। ঐ দু’জনকে নামাযের পর আটক করো। তখন তারা আল্লাহ্র নামে শপথ করে বলবে, যদি তোমাদের কোনরূপ সন্দেহ হয়, এ মর্মে যে, ‘আমরা শপথের বিনিময়ে কোন সম্পদ ক্রয় করবো না, যদি সে নিকট আত্নীয়ও হয় এবং আল্লাহ্র সাক্ষ্যকে গোপন করবোনা; এমন করলে আমরা অবশ্যই পাপীদের অন্তর্ভুক্ত হবো।
📗 ইরফানুল কুরআন
১০৬. হে ঈমানদারগণ! যখন তোমাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হয়, অসিয়ত করার সময় তোমাদের মাঝে সাক্ষ্য প্রদানের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে দু’জন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি থাকা সঙ্গত; অথবা তোমাদের বাইরে অন্যদের মধ্য থেকে দু’জন ব্যক্তি, যদি তোমরা ভূপৃষ্ঠে সফরে থাকো এবং (সে অবস্থাতেই) তোমাদের নিকট মৃত্যুরূপ বিপদ উপস্থিত হয়। যদি (তাদের উপর) তোমাদের সন্দেহ্ হয়, তবে তোমরা তাদের উভয়কে নামাযের পর অপেক্ষমান রাখো; তারা উভয়ে যেন আল্লাহ্র নামে শপথ করে, ‘আমরা এর বিনিময়ে না কোনো মূল্য গ্রহণ করবো, যদিও কেউ (ঘনিষ্ট) নিকটাত্মীয় হয়; আর না আমরা আল্লাহ্র (নির্ধারিত) সাক্ষ্য গোপন করবো; (যদি গোপন করি) তবে আমরা গোনাহগারদের শামিল হবো।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১০৭
فَاِنۡ عُثِرَ عَلٰۤی اَنَّہُمَا اسۡتَحَقَّاۤ اِثۡمًا فَاٰخَرٰنِ یَقُوۡمٰنِ مَقَامَہُمَا مِنَ الَّذِیۡنَ اسۡتَحَقَّ عَلَیۡہِمُ الۡاَوۡلَیٰنِ فَیُقۡسِمٰنِ بِاللّٰہِ لَشَہَادَتُنَاۤ اَحَقُّ مِنۡ شَہَادَتِہِمَا وَ مَا اعۡتَدَیۡنَاۤ ۫ۖ اِنَّاۤ اِذًا لَّمِنَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۱۰۷﴾
📕 কানযুল ঈমান
১০৭. অতঃপর যদি এটার হদিস মিলে যে, তারা (দু’জন) কোন অপরাধে অপরাধি হয়েছে, তবে তাদের স্থলে অপর দু’জন লোক স্থলাভিষিক্ত হবে ঐ সব লোকের মধ্য থেকে, যাদেরকে এ অপরাধ অর্থাৎ মিথ্যা সাক্ষ্য তাদের হক নিয়ে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যারা মৃত ব্যক্তির অধিক নিকটের হয়। অতঃপর তারা আল্লাহ্র শপথ করে বলবে, ‘আমাদের সাক্ষ্য অধিকতর সত্য ঐ দু’জন লোকের সাক্ষ্যের চেয়ে এবং আমরা সীমালংঘন করিনি; এমন করলে আমরা যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবো।’
📗 ইরফানুল কুরআন
১০৭. অতঃপর যদি প্রকাশ পায় যে, তারা উভয়ে (সত্য সাক্ষ্য গোপনের কারণে) অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছে, তবে অসিয়ত প্রাপ্তদের মধ্য থেকে দু’জন (সাক্ষী) তাদের স্থলাভিষিক্ত হবে যারা হবে মৃত ব্যক্তির নিকটতম। অতঃপর তারা যেন আল্লাহ্র নামে শপথ করে: ‘আমাদের সাক্ষ্য সে দুজনের সাক্ষ্যের চেয়ে অধিকতর সত্য। আর আমরা (সত্য থেকে) সীমালঙ্ঘন করিনি। (যদি এমনটি করি, তবে) আমরা যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবো।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১০৮
ذٰلِکَ اَدۡنٰۤی اَنۡ یَّاۡتُوۡا بِالشَّہَادَۃِ عَلٰی وَجۡہِہَاۤ اَوۡ یَخَافُوۡۤا اَنۡ تُرَدَّ اَیۡمَانٌۢ بَعۡدَ اَیۡمَانِہِمۡ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ وَ اسۡمَعُوۡا ؕ وَ اللّٰہُ لَا یَہۡدِی الۡقَوۡمَ الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿۱۰۸﴾
📕 কানযুল ঈমান
১০৮. এ (পদ্ধিতি)টা অধিকতর কাছাকাছি এ কথার যে, সাক্ষ্য যেমন হওয়া চাই তেমনিভাবে আদায় করবে, অথবা এরই ভয় করবে যে, কিছু কিছু শপথ বাতিল করে দেয়া হবে তাদের শপথগুলোর পর, এবং আল্লাহ্কে ভয় করো ও নির্দেশ শ্রবণ করো; আর আল্লাহ্ আদেশ অমান্যকারীদেরকে সরল পথ দেখান না।
📗 ইরফানুল কুরআন
১০৮. (পদ্ধতিগতভাবে) এতেই অধিকতর সম্ভাবনা আছে যে, লোকেরা সঠিক পন্থায় সাক্ষ্য প্রদান করবে অথবা ভয় করবে যে, তাদের (মিথ্যা সাক্ষ্যের) শপথের পর (নিকটতম উত্তরাধিকারীদের কর্তৃক একই) শপথ রদ করা হবে। আর আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো এবং (তাঁর বিধিবিধান মনোযোগ দিয়ে) শ্রবণ করো। আর আল্লাহ্ নাফরমান সম্প্রদায়কে হেদায়াত দান করেন না।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১০৯
یَوۡمَ یَجۡمَعُ اللّٰہُ الرُّسُلَ فَیَقُوۡلُ مَا ذَاۤ اُجِبۡتُمۡ ؕ قَالُوۡا لَا عِلۡمَ لَنَا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ عَلَّامُ الۡغُیُوۡبِ ﴿۱۰۹﴾
📕 কানযুল ঈমান
১০৯. যেদিন আল্লাহ্ একত্রিত করবেন রসূলগণকে অতঃপর বলবেন, ‘তোমরা কি জবাব পেয়েছো’? (তারা) আরয করবেন, ‘আমাদের কোন জ্ঞান নেই, নিঃসন্দেহে আপনিই সমস্ত অদৃশ্য সম্বন্ধে খুব জ্ঞাত’।
📗 ইরফানুল কুরআন
১০৯. (ভয় করো সে দিনকে) যে দিন আল্লাহ্ সমস্ত রাসূলগণকে একত্রিত করবেন, অতঃপর (তাদেরকে) বলবেন, ‘তোমাদেরকে (তোমাদের উম্মতের দিক থেকে দ্বীনের দাওয়াতের) কী উত্তর দেয়া হয়েছিল?’ তারা (আল্লাহ্র সমীপে) আরয করবেন, ‘আমাদের জানা নেই। নিঃসন্দেহে তুমিই অদৃশ্যের সকল বিষয়ে সম্যক অবগত।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১১০
اِذۡ قَالَ اللّٰہُ یٰعِیۡسَی ابۡنَ مَرۡیَمَ اذۡکُرۡ نِعۡمَتِیۡ عَلَیۡکَ وَ عَلٰی وَالِدَتِکَ ۘ اِذۡ اَیَّدۡتُّکَ بِرُوۡحِ الۡقُدُسِ ۟ تُکَلِّمُ النَّاسَ فِی الۡمَہۡدِ وَ کَہۡلًا ۚ وَ اِذۡ عَلَّمۡتُکَ الۡکِتٰبَ وَ الۡحِکۡمَۃَ وَ التَّوۡرٰىۃَ وَ الۡاِنۡجِیۡلَ ۚ وَ اِذۡ تَخۡلُقُ مِنَ الطِّیۡنِ کَہَیۡـَٔۃِ الطَّیۡرِ بِاِذۡنِیۡ فَتَنۡفُخُ فِیۡہَا فَتَکُوۡنُ طَیۡرًۢا بِاِذۡنِیۡ وَ تُبۡرِیٴُ الۡاَکۡمَہَ وَ الۡاَبۡرَصَ بِاِذۡنِیۡ ۚ وَ اِذۡ تُخۡرِجُ الۡمَوۡتٰی بِاِذۡنِیۡ ۚ وَ اِذۡ کَفَفۡتُ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ عَنۡکَ اِذۡ جِئۡتَہُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ فَقَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡہُمۡ اِنۡ ہٰذَاۤ اِلَّا سِحۡرٌ مُّبِیۡنٌ ﴿۱۱۰﴾
📕 কানযুল ঈমান
১১০. যখন আল্লাহ্ বলবেন, ‘হে মরিয়ম তনয় ঈসা! স্মরণ করো আমার করুণাকে তোমার উপর ও তোমার মায়ের উপর যখন আমি ‘পবিত্র আত্না’ দ্বারা তোমাকে সাহায্য করেছিলাম; তুমি মানুষের সাথে কথা বলতে দোলনায় থাকাবস্থায় ও পরিপক্ক বয়সে; এবং যখন আমি তোমাকে শিক্ষা দিয়েছি কিতাব, তাওরীত এবং ইন্জীল; আর যখন তুমি মাটির দ্বারা পাখী সদৃশ আকৃতি আমার নির্দেশে তৈরী করতে অতঃপর সেটার মধ্যে ফুঁৎকার দিতে, তখন সেটা আমার নির্দেশে উড়তে আরম্ভ করতো; এবং তুমি জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ ব্যাধিগ্রস্তকে আমার নির্দেশে নিরাময় করতে; আর যখন তুমি মৃতদেরকে আমার নির্দেশে জীবিত বের করতে এবং যখন আমি বনী ইস্রাঈলকে তোমাকে শহীদ করা থেকে নিবৃত্ত রেখেছি; যখন তুমি তাদের নিকট উজ্জ্বল নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছিলে, তখন তাদের মধ্য থেকে কাফিরগণ বললো, ‘এ তো নয়, কিন্তু সুস্পষ্ট যাদু’।
📗 ইরফানুল কুরআন
১১০. যখন আল্লাহ্ বলবেন, ‘হে মারইয়াম-তনয় ঈসা! তোমার প্রতি এবং তোমার মাতার প্রতি আমার অনুগ্রহ স্মরণ করো; যখন আমি পবিত্র রূহ (জীব্রাঈল আলাইহিস সালাম)-এঁর মাধ্যমে তোমাকে শক্তিশালী করেছিলাম, তুমি দোলনায় (শৈশবকালে) এবং পূর্ণবয়সে (দ্বীন ও রিসালাতের প্রচারকালে একইভাবে) কথোপকথন করতে; আর যখন আমি তোমাকে কিতাব, প্রজ্ঞা (ও জ্ঞান), তাওরাত ও ইঞ্জিল শিক্ষা দিয়েছিলাম; এবং যখন তুমি আমার নির্দেশে মাটির খামির থেকে পাখির আকৃতির ন্যায় (অবয়ব) তৈরি করতে, অতঃপর তুমি এতে ফুঁক দিতে, তখন সেটি (সে অবয়ব) আমার নির্দেশে পাখিতে রূপান্তরিত হয়ে যেতো; যখন তুমি জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে আমার নির্দেশে সুস্থ করে দিতে এবং যখন তুমি আমার নির্দেশে মৃতদেরকে (জীবিত করে কবর) থেকে বের করে (দন্ডায়মান) করতে; আর যখন আমি বনী ইসরাঈলকে তোমাকে (হত্যা করা) থেকে নিবৃত্ত রেখেছিলাম, যখন তুমি তাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছিলে; তখন তাদের মধ্য থেকে কাফেরেরা (এ কথা) বলে দিল, ‘এ তো স্পষ্ট যাদু ব্যতীত কিছুই নয়।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১১১
وَ اِذۡ اَوۡحَیۡتُ اِلَی الۡحَوَارِیّٖنَ اَنۡ اٰمِنُوۡا بِیۡ وَ بِرَسُوۡلِیۡ ۚ قَالُوۡۤا اٰمَنَّا وَ اشۡہَدۡ بِاَنَّنَا مُسۡلِمُوۡنَ ﴿۱۱۱﴾
📕 কানযুল ঈমান
১১১. এবং যখন আমি হাওয়ারীদের অন্তরে এ প্রেরণা সৃষ্টি করেছিলাম আমার উপর এবং আমার রসূলের উপর ঈমান আনো! (তখন তারা) বললো, ‘আমরা ঈমান এনেছি এবং সাক্ষী থাকো যে, আমরা মুসলমান’।
📗 ইরফানুল কুরআন
১১১. আর যখন আমি হাওয়ারীদের অন্তরে (এ) প্রেরণা দিয়েছিলাম, ‘আমার প্রতি এবং আমার রাসূল (ঈসা আলাইহিস সালাম)-এঁর প্রতি ঈমান আনয়ন করো’। (তখন) তারা বললো, ‘আমরা ঈমান আনয়ন করলাম এবং তুমি সাক্ষী থাকো যে, আমরা অবশ্যই মুসলমান।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১১২
اِذۡ قَالَ الۡحَوَارِیُّوۡنَ یٰعِیۡسَی ابۡنَ مَرۡیَمَ ہَلۡ یَسۡتَطِیۡعُ رَبُّکَ اَنۡ یُّنَزِّلَ عَلَیۡنَا مَآئِدَۃً مِّنَ السَّمَآءِ ؕ قَالَ اتَّقُوا اللّٰہَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۱۱۲﴾
📕 কানযুল ঈমান
১১২. যখন হাওয়ারীগণ বললো, ‘হে মরিয়ম তনয় ঈসা! আপনার রব কি এমন করবেন আমাদের প্রতি আকাশ থেকে একটা ‘খাদ্য ভর্তি খাঞ্চা অবতারণ করবেন?’ তিনি বললেন, ‘তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো, যদি ঈমান রাখো।’
📗 ইরফানুল কুরআন
১১২. আর (এও স্মরণ করো) যখন হাওয়ারীরা বললো, ‘হে মারইয়াম-তনয় ঈসা! তোমার প্রতিপালক কি আমাদের জন্যে আসমান থেকে (খাদ্যভর্তি) দস্তরখানা অবতীর্ণ করতে সক্ষম?’ (তখন) ঈসা (আলাইহিস সালাম প্রতিউত্তরে) বললেন, ‘(হে লোক সকল!) আল্লাহ্কে ভয় করো, যদি তোমরা ঈমানদার হও।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১১৩
قَالُوۡا نُرِیۡدُ اَنۡ نَّاۡکُلَ مِنۡہَا وَ تَطۡمَئِنَّ قُلُوۡبُنَا وَ نَعۡلَمَ اَنۡ قَدۡ صَدَقۡتَنَا وَ نَکُوۡنَ عَلَیۡہَا مِنَ الشّٰہِدِیۡنَ ﴿۱۱۳﴾
📕 কানযুল ঈমান
১১৩. (তারা) বললো, ‘আমরা চাই যে, তা থেকে আহার করবো এবং আমাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করবে আর আমরা সচক্ষে দেখে নেবো যে, আপনি আমাদেরকে সত্য বলেছেন এবং আমরা সেটার উপর সাক্ষী হয়ে যাবে’।
📗 ইরফানুল কুরআন
১১৩. তারা বললো, ‘আমরা (তো কেবল) চাই যে, আমরা তা থেকে ভক্ষণ করবো, আমাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করবে এবং আমরা (আরো দৃঢ়বিশ্বাসের সাথে) জানতে চাই যে, আপনি আমাদেরকে সত্য বলেছেন এবং আমরা এ (নিয়ামতের দস্তরখানা অবতীর্ণের) ব্যাপারে সাক্ষী থাকি।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১১৪
قَالَ عِیۡسَی ابۡنُ مَرۡیَمَ اللّٰہُمَّ رَبَّنَاۤ اَنۡزِلۡ عَلَیۡنَا مَآئِدَۃً مِّنَ السَّمَآءِ تَکُوۡنُ لَنَا عِیۡدًا لِّاَوَّلِنَا وَ اٰخِرِنَا وَ اٰیَۃً مِّنۡکَ ۚ وَ ارۡزُقۡنَا وَ اَنۡتَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ ﴿۱۱۴﴾
📕 কানযুল ঈমান
১১৪. মরিয়ম তনয় ঈসা আরয করলেন, ‘হে আল্লাহ্, হে রব! আমাদের উপর আকাশ থেকে একটা ‘খাদ্য-ভর্তি খাঞ্চা’ অবতারণ করুন, যা আমাদের জন্য ঈদ (আনন্দ-উৎসব) হবে আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের জন্য এবং আপনার নিকট থেকে নিদর্শন; এবং আমাদেরকে রিয্ক্ব দান করুন, আর আপনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ জীবিকদাতা।’
📗 ইরফানুল কুরআন
১১৪. মারইয়াম-তনয় ঈসা (আলাইহিস সালাম) আরয করলেন, ‘হে আল্লাহ্! হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্যে আসমান থেকে (নিয়ামতের) দস্তরখানা অবতীর্ণ করো, যা (অবতীর্ণ হওয়ার দিন) আমাদের জন্যে হবে ঈদ-উৎসব, আমাদের পূর্বর্তীদের জন্যে(ও) এবং আমাদের পরবর্তীদের জন্যে(ও); আর (এ দস্তরখানা) হবে তোমার পক্ষ থেকে নিদর্শন, এবং আমাদেরকে রিযিক দান করো, আর তুমিই সবচেয়ে উত্তম রিযিকদাতা।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১১৫
قَالَ اللّٰہُ اِنِّیۡ مُنَزِّلُہَا عَلَیۡکُمۡ ۚ فَمَنۡ یَّکۡفُرۡ بَعۡدُ مِنۡکُمۡ فَاِنِّیۡۤ اُعَذِّبُہٗ عَذَابًا لَّاۤ اُعَذِّبُہٗۤ اَحَدًا مِّنَ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۱۵﴾
📕 কানযুল ঈমান
১১৫. আল্লাহ্ বললেন, ‘আমি তোমাদের প্রতি সেটা অবতারণ করবো। অতঃপর এখন তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ কুফর করবে তখন আমি তাকে এমন শাস্তি দেবো যা সমগ্র বিশ্বের মধ্যে কাউকেও দেবোনা।’
📗 ইরফানুল কুরআন
১১৫. আল্লাহ্ বললেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তা তোমাদের নিকট অবতীর্ণ করছি। অতএব তোমাদের মধ্যে যে কেউ এরপর কুফরী করবে তবে অবশ্যই আমি তাকে এমন শাস্তি দেবো, যে শাস্তি সমস্ত জগতবাসীর কাউকেই দেবো না।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১১৬
وَ اِذۡ قَالَ اللّٰہُ یٰعِیۡسَی ابۡنَ مَرۡیَمَ ءَاَنۡتَ قُلۡتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُوۡنِیۡ وَ اُمِّیَ اِلٰہَیۡنِ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ ؕ قَالَ سُبۡحٰنَکَ مَا یَکُوۡنُ لِیۡۤ اَنۡ اَقُوۡلَ مَا لَیۡسَ لِیۡ ٭ بِحَقٍّ ؕ اِنۡ کُنۡتُ قُلۡتُہٗ فَقَدۡ عَلِمۡتَہٗ ؕ تَعۡلَمُ مَا فِیۡ نَفۡسِیۡ وَ لَاۤ اَعۡلَمُ مَا فِیۡ نَفۡسِکَ ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ عَلَّامُ الۡغُیُوۡبِ ﴿۱۱۶﴾
📕 কানযুল ঈমান
১১৬. এবং যখন আল্লাহ্ বলবেন, ‘হে মরিয়ম তনয় ঈসা! তুমি কি জনগণকে বলেছিলে- তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত আমাকে ও আমার জননীকে দু’খোদারূপে গ্রহণ করো?’ তখন তিনি আরয করবেন, ‘পবিত্রতা আপনারই। আমার জন্য শোভা পায় না যে, ঐ কথা বলবো, যা বলার অধিকার আমার নেই, যদি আমি এমন বলতাম, তবে তা অবশ্যই আপনার জানা থাক্তো। আপনি জানেন যা আমার অন্তরে রয়েছে এবং আমি জানি না যা আপনার জ্ঞানে রয়েছে। নিঃসন্দেহে আপনিই সমস্ত অদৃশ্য সম্বন্ধে খুব জ্ঞাত।
📗 ইরফানুল কুরআন
১১৬. আর যখন আল্লাহ্ বলবেন, ‘হে মারইয়াম-তনয় ঈসা! তুমি কি মানুষকে বলেছিলে, “তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত আমাকে এবং আমার মাতাকে দু’জন উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করো”?’ তিনি আরয করবেন, ‘তুমি পবিত্র, আমার জন্যে এ (সংগত) নয় যে, আমি এমন কথা বলি, যা বলার কোনো অধিকার আমার নেই। যদি আমি এ কথা বলতাম, তবে অবশ্যই তুমি তা জানতে। তুমি এমন সব (বিষয়) জানো, যা আমার অন্তরে রয়েছে এবং আমি সে সব (বিষয়) জানি না, যা তোমার জ্ঞানে রয়েছে। নিশ্চয়ই তুমিই অদৃশ্যের সকল বিষয় ভালোভাবে অবগত।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১১৭
مَا قُلۡتُ لَہُمۡ اِلَّا مَاۤ اَمَرۡتَنِیۡ بِہٖۤ اَنِ اعۡبُدُوا اللّٰہَ رَبِّیۡ وَ رَبَّکُمۡ ۚ وَ کُنۡتُ عَلَیۡہِمۡ شَہِیۡدًا مَّا دُمۡتُ فِیۡہِمۡ ۚ فَلَمَّا تَوَفَّیۡتَنِیۡ کُنۡتَ اَنۡتَ الرَّقِیۡبَ عَلَیۡہِمۡ ؕ وَ اَنۡتَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ شَہِیۡدٌ ﴿۱۱۷﴾
📕 কানযুল ঈমান
১১৭. আমি তো তাদেরকে বলিনি, কিন্তু তা-ই যা বলার আপনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। তা হচ্ছে- ‘তোমরা আল্লাহ্রই ইবাদত করো, যিনি আমারও রব এবং তোমাদেরও রব আর আমি তাদের সম্বন্ধে অবগত ছিলাম যতদিন যাবৎ আমি তাদের মধ্যে ছিলাম। অতঃপর যখন আপনি আমাকে উঠিয়ে নিয়েছেন তখন আপনিই তো তাদের প্রতি দৃষ্টি রাখতেন; এবং প্রতিটি বস্তু আপনার সামনে উপস্থিত।
📗 ইরফানুল কুরআন
১১৭. আমি তাদেরকে এ (বিষয়) ব্যতীত কিছুই বলিনি যার নির্দেশ তুমি আমাকে দিয়েছিলে, “তোমরা (কেবল) আল্লাহ্রই ইবাদত করো, যিনি আমার(ও) প্রতিপালক এবং তোমাদের(ও) প্রতিপালক”। আর আমি তাদের (আকীদা ও আমলের) উপর (সে সময় পর্যন্ত) সতর্ক প্রহরারত ছিলাম, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি সেসব লোকের মাঝে বিদ্যমান ছিলাম। অতঃপর যখন তুমি আমাকে উঠিয়ে নিলে, তখন তুমিই তাদের (অবস্থার) উপর প্রহরী ছিলে। আর তুমি সর্ব বিষয়ে সাক্ষী।
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১১৮
اِنۡ تُعَذِّبۡہُمۡ فَاِنَّہُمۡ عِبَادُکَ ۚ وَ اِنۡ تَغۡفِرۡ لَہُمۡ فَاِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۱۱۸﴾
📕 কানযুল ঈমান
১১৮. যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি দেন, তবে তারা আপনারই বান্দা এবং যদি আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন, তবে নিঃসন্দেহে আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’।
📗 ইরফানুল কুরআন
১১৮. যদি তুমি তাদেরকে শাস্তি দাও, তবে তারা তোমার(ই) বান্দা আর যদি তুমি তাদেরকে ক্ষমা করে দাও, তবে নিশ্চয়ই তুমি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১১৯
قَالَ اللّٰہُ ہٰذَا یَوۡمُ یَنۡفَعُ الصّٰدِقِیۡنَ صِدۡقُہُمۡ ؕ لَہُمۡ جَنّٰتٌ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَاۤ اَبَدًا ؕ رَضِیَ اللّٰہُ عَنۡہُمۡ وَ رَضُوۡا عَنۡہُ ؕ ذٰلِکَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ ﴿۱۱۹﴾
📕 কানযুল ঈমান
১১৯. আল্লাহ্ এরশাদ করেছেন, ‘এটা হচ্ছে ঐ দিন, যার মধ্যে সত্যবাদীদের সততা তাদের কাজে আসবে। তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ, যেগুলোর নিম্নদেশে নহরসমূহ প্রবহমান। তারা সদা সর্বদা সেগুলোর মধ্যে থাকবে। আল্লাহ্ তাদের উপর সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহ্র উপর সন্তুষ্ট। এটা হচ্ছে বড় সাফল্য।
📗 ইরফানুল কুরআন
১১৯. আল্লাহ্ বলবেন, ‘এটি সেই দিন, (যেদিন) সত্যবাদী লোকদেরকে তাদের সত্যবাদিতা উপকৃত করবে। তাদের জন্যে রয়েছে জান্নাত, যার তলদেশে স্রোতধারা প্রবাহিত; তারা তাতে চিরকাল বসবাস করবে। আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট আর তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট। এ (আল্লাহ্র সন্তুষ্টি) সবচেয়ে বড় সাফল্য।’
🕋 আল মা-য়েদাহ আয়াত নং : ১২০
لِلّٰہِ مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا فِیۡہِنَّ ؕ وَ ہُوَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۱۲۰﴾
📕 কানযুল ঈমান
১২০. আল্লাহ্রই জন্য আসমান সমূহ ও যমীন এবং যা কিছু এগুলোর মধ্যে রয়েছে সবকিছুর রাজত্ব এবং তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।
📗 ইরফানুল কুরআন
১২০. (সকল কিছুর) রাজত্ব আল্লাহ্রই; আসমানসমূহ, পৃথিবী এবং যা কিছু এসবে রয়েছে । আর তিনি সকল কিছুর উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান।