হযরত ঈসা (عليه السلام)'র মু'জিযা

❏ হযরত ঈসা (عليه السلام) যখন তাঁর নবুয়তের প্রমাণ স্বরূপ মাটি দিয়ে পাখি সৃষ্টি করা, জন্মান্ধ, কুষ্ঠ ও শেত রােগীকে ভাল ও সুস্থ করতে পারি, তােমাদের ঘরে কি খাও আর কি জমা করে রাখ তাও বলতে পারি, এমনকি মৃতকে জীবিতও করতে পারি আল্লাহর হুকুমে ইত্যাদি মুজিযার দাবী করলেন তখন তারা বলল, তাহলে আপনি একটি বাদুর সৃষ্টি করে দেখান। বাদুর সৃষ্টি করতে বলার কারণ হল এর এমন কতিপয় বৈশিষ্ট্য আছে যা অন্য পক্ষীকুলের মধ্যে নেই। যেমন- 
১. এর মধ্যে হাড্ডি নেই শুধু মাংস ও রক্ত আছে, 
২. এর পালক নেই বরং মাংস দিয়ে উড়ে, 
৩. এটি ডিম দেয়না বরং বাচ্চা প্রসব করে অথচ সাধারণ পাখি ডিম দিয়ে বাচ্চা ফুটায়,
৪. এর বুকে দুধের জন্য স্তন রয়েছে যা দিয়ে বাচ্চাকে দুধ পান করায়,
৫. এর ঠোট নেই বরং মুখ আছে, 
৬. এদের মুখে দাঁতও রয়েছে যা দিয়ে চিবিয়ে খায় আর হাসে, 
৭. এদের ঋতুস্রাবও হয়, 
৮. এরা দিনের আলােতে দেখেনা, 
৯. রাতের অন্ধকারেও দেখেনা বরং শুধুমাত্র সূর্যোদয়ের এক ঘন্টা পূর্বে ও সূর্যাস্তের পর এক ঘন্টা পর্যন্ত দেখতে পায়। ●৪০৩
_____________________________
৪০৩.[আল্লামা মাহমুদ আলুসী (رحمة الله) (১২৭০হি.), তাফসীরে রূহুল মায়ানী, আরবী বৈরুত, খণ্ড:৩য়, পৃ:১৬৮ ও মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী (رحمة الله), (১৩৯১হি.), তাফসীরে নঈমী, উর্দু, দিল্লী, খণ্ড:৩য়, পারা:৩য়, পৃ:৫১৫ ]

অতঃপর তিনি বনী ইস্রাঈলদের চোখের সামনে মাটি দ্বারা পাখির আকৃতি তৈরী করে তাতে ফুঁক দিলে আল্লাহর হুকুমে তা পাখি উড়ে যায়।
Top