❏ জিবীত বা মৃত ব্যক্তির জন্য নামাজ আদায় করা
জিবীত ব্যক্তির নামাজের দ্বারা মৃত ব্যক্তিরা কিংবা জিবীত ব্যক্তিরাও উপকৃত হয়। সওয়াব রেছানী করলে ইহার সওয়াব মৃতের আমল নামা যোগ হবে। এ ব্যাপারেও হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে। যেমনঃ
❍ নিচে লক্ষ্য করুন,
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ صَالِحِ بْنِ دِرْهَمٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي، يَقُولُ:، انْطَلَقْنَا حَاجِّينَ، فَإِذَا رَجُلٌ، فَقَالَ لَنَا: إِلَى جَنْبِكُمْ قَرْيَةٌ يُقَالُ لَهَا: الْأُبُلَّةُ؟ قُلْنَا: نَعَمْ، قَالَ: مَنْ يَضْمَنُ لِي مِنْكُمْ أَنْ يُصَلِّيَ لِي فِي مَسْجِدِ الْعَشَّارِ رَكْعَتَيْنِ، أَوْ أَرْبَعًا، وَيَقُولَ هَذِهِ لِأَبِي هُرَيْرَةَ
“ইব্রাহিম ইবনে সালেহ ইবনে দিরহাম (رحمة الله) বলেন, একবার আমরা কতিপয় লোক হজ্বের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। হঠাৎ এক ব্যক্তি (আবু হুরায়রা (রা.) এর সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হল। তিনি আমাদেরকে বললেন: তোমাদের পাশে ‘উবুল্লাহ’ নামে কোন জনপদ আছে কি? আমরা বললাম: হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন: তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি যে, আমার জন্য ‘আশয়ার’ নামক মসজিদে ২ রাকাত কিংবা ৪ রাকাত নামাজ পড়বে ও বলবে: ইহার সওয়াব আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) এর জন্য।”
তথ্যসূত্রঃ
・সুনানু আবী দাউদ, হাদিস নং ৪৩০৮
・মেসকাত শরীফ, হাদিস নং ৫৪৩৪
・মেরকাত শরহে মেসকাত, ১০ম খন্ড, ৬৯ পৃ:
・বজলুল মাজহুদ ফি হল্লে আবী দাউদ, ১৭তম জি: ১১৩ পৃ:
𓈃 এই হাদিসের সনদে إِبْرَاهِيمُ بْنُ صَالِحِ بْنِ دِرْهَمٍ ‘ইব্রাহিম ইবনে ছালেহ্ ইবনে দিরহাম’ নামক রাবী রয়েছে, তার ব্যাপারে দারে কুতনী ও উকাইলী সমালোচনা করলেও ইমাম ইবনে হিব্বান الثِّقَات বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন। (ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ২২৮)
অতএব, এই হাদিস দ্বারা সরাসরি প্রমাণিত হয়, সবচেয়ে বেশী হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) স্বীয় আমল নামায় নামাজের সওয়াব বকশানোর জন্য অন্যান্য তাবেঈগণকে অনুরুধ করছেন। সুতরাং বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেল যে, নামাজ আদায় করে ইহার সওয়াব অন্য মুসলমানের আমল নামায় বা রুহে রেছানী করা বা বকশিয়ে দেওয়া সাহাবীগণের সুন্নাত।
𓈃 এই হাদিসের ব্যাখ্যায় প্রখ্যাত দেওবন্দী আলিম, আল্লামা খলিল আহমদ ছাহারানপুরী বলেন:
وفي الحديث دلالة ان الطاعات البدنية توصل الى الغير اجرها
-“শারিরিক আমল করে ইহার সওয়াব অন্যের রুহে বকশানোর দলিল হচ্ছে এই হাদিস।” (খলিল আহমদ: বজলুল মাজহুদ ফি হল্লে আবী দাউদ, ১৭তম জি: ১১৩ পৃ:)