জুমার নামাজ ও উহার ফরজ সম্পর্কে বর্ণনা


بيان صلواة الجمعة وفرضيتها


وهى قرض عين مستقل يكفر جاحدها لذلك .


صلوة الجمعة ركعتان – فقدروى عن عمر بن الخطاب رضى الله عنه انه قال صلاة الجمعة ركعتان تمام غير قصر على لسان نبيكم صلى الله عليه وسلم (رواه احمد والنسائى وابن ماجه باسناد حسن) .


وهى ليست بدلا عن الظهر غير انها اذا فاتت فرض عليه ان يصليها اربعا ظهرا وقد ثبتت فرضيتها بالكتاب والسنة والاجماع – والجمعة فرض آكد من الظهر .


أما الكتاب فقوله تعالىٰ ’’يا ايها الذين امنوا اذا نودى للصلاة من يوم الجمعة فاسعو الى ذكر الله‘‘ الخ .


وأما السنة فمنها حديث عمر رضى الله عنه (المتقدم) .


ولما روى عن ابن مسعود رضى الله عنه ان النبى صلى الله عليه وسلم قال لقوم يتخلفون عن الجمعة هممت ان أمررَ جلايصلى بالناس ثم أحرق على رجال يتخلفون عن الجمعة بيوتهم (رواه احمد ومسلم) .


وعن أبى الجعد الضمرى ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من ترك ثلاث جمع تهاونًا طبع الله على قلبه (رواه الخمسة) .


জুমার নামাজ ফরজে আইন, স্বাধীন এ কারণে এর অস্বীকারকারী কাফের হয়। জুমার নামাজ দু’রাকাত যেমন- হযরত ওমর বিন খাত্তাব (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন; নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভাষায় জুমার নামাজ দু’রাকাত পরিপূর্ণ কছর নয়। (আহমদ, নাসায়ী ও ইবনু মাজা হাসান সনদে রেওয়ায়ত করেছেন)


ইহা জোহরের পরিবর্তে নয় হ্যাঁ তবে উহার ফরজ ছুটে গেলে ঐ ব্যক্তি চার রাকাত জোহর আদায় করা ফরজ। জুমার ফরজিয়ত কিতাবুল্লাহ, সুন্নাতে রাসূলুল্লাহ ও ইজমা দ্বারা প্রমাণিত। জুমা জোহরের চেয়ে অধিক তাকিদের সাথে ফরজ হয়েছে। যেমন আল্লাহ তায়ালার বাণী- “হে ঈমানদারগণ যখন জুমার দিন নামাজের জন্য আজান দেয়া হয় তখন নামাজের জন্য চেষ্টা কর।’’ হুজুর সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী- হযরত ওমর বিন খাত্তা (رضي الله عنه) এর উপরে বর্ণিত হাদীস। হযরত ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন সে সম্প্রদায় সম্পর্কে যারা জুমার নামাজে উপস্থিত হয় না আমার ইচ্ছা হয় কোন এক ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে যে, তিনি লোকদেরকে নামাজ পড়াবে আর এদিকে আমি জুমাতে অনুপস্থিত ব্যক্তিদেরকে তাদের ঘর-বাড়িসহ জালিয়ে দিই। (আহমদ ও মুসলিম শরীফ)


হযরত আবুল জা’দ্ আজজমিরি (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি উপর্যপুরি তিন জুমা বর্জন করে আল্লাহ তায়ালা তার আত্মাকে ধ্বংস করে দেয় অর্থাৎ ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। (সিহাসিত্তার পাঁচটিতে ইহা বর্ণিত)

Top