- কিতাবঃ আদর্শ জীবনের বাণী
- সম্পাদনা ও সংকলনেঃ সৈয়দ মুহাম্মদ আবু তাহের রেজা।
- টেক্সট রেডীঃ ড. মাসুম বিল্লাহ সানি
১) নিজেই প্রতিশােধ নিও না, আল্লাহর জন্য অপেক্ষা কর! তিনি তােমাকে রক্ষা করবেন।
☛ হযরত সােলাঈমান (عليه السلام)
২) চক্ষু শরীরের প্রদীপ বিশেষ চোখের দৃষ্টিকে পবিত্র করতে পারলেই সমগ্র শরীরের পবিত্রতা অর্জন করা সহজ।
☛ হযরত ঈসা (عليه السلام)
৩) আল্লাহর কাছ থেকে তােমাকে যে রিজিক দেওয়া হয়েছে তাতেই তুষ্ট থাক। অপরের সম্পদের প্রতি নজর দিও না, তাহলে অন্তরের দাহ থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। খাদ্য-পানির চাইতে পেটে জ্ঞানের কথা বেশি প্রবেশ করাতে চেষ্টা কর।
☛ হযরত লােকমান (عليه السلام)
৪) প্রকৃত মানবতা-খােদাভীতি,
প্রকৃত সম্পদ-আত্মবিশ্বাস এবং
শ্রেষ্ঠত্ব হল-বিনয়।
☛ হযরত আবু বকর ছিদ্দিক (رضي الله عنه)
৫) কোন একটি মন্দ কাজ থেকে এমনভাবে বিরত থাকবে যেন জীবনে আর তা না করা হয়, ইহাই বিশুদ্ধতম তাওবাহ।
☛ হযরত ওমর (رضي الله عنه)
৬) জীবিকার জন্য কোন চেষ্টা সাধন না করে নিশ্চেষ্ট বসে থাকার নাম কোন অবস্থাতেই তাওয়াক্কুল হতে পারে না। কেননা, জীবিকার জন্য এ চেষ্টার তদবির ছেড়ে দেয়া বড় রকমের গুনাহ।
☛ ইমাম গাজ্জালী (رحمة الله)
৭) মন্দ লোকের সঙ্গে যার উঠা বসা সে কখনো কল্যাণের মুখ দেখবে না।
☛ হযরত ওসমান (رضي الله عنه)
৮) বুদ্ধিমানেরা কোন কিছু প্রথমে অন্তর দিয়ে অনুভব করে, তারপর সে সম্বন্ধে মন্তব্য করে। আর নির্বোধেরা প্রথমেই মন্তব্য করে বসে এবং পরে তা নিয়ে চিন্তা করে।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৯) তােমার নরম শরীর আর প্রিয়তাই তােমায় পুড়িয়ে মারছে, মিথ্যা,অহেতুক ভয়, দুঃখ ও সন্দেহ পরিত্যাগ কর।
☛ আল্লামা ইকবাল (رحمة الله)
১০) ভিক্ষা করার চেয়ে যে কোন সমান্য পেশাও শ্রেয়।
☛ হযরত ওমর (رضي الله عنه)
১১) অন্তরচক্ষু অল্প হওয়া অপেক্ষা চর্ম চক্ষু অল্প হওয়া অনেক ভাল।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
১২) তােমার উপর কুরানের আছে অধিকার, বারবার তুমি কুরআন করিবে পাঠ। কোরানের সাহায্যে তােমার আকাঙ্ক্ষিত যে কোন লক্ষ্যে তুমি পারিবে পৌছিতে।
☛ আল্লাম ইকবাল (رحمة الله)
১৩) মর্যাদা লাভ হয় জ্ঞানের মাধ্যমে, রক্ত সম্পকের মাধ্যমে নয়, সৌন্দর্য্যের সুষমা বিকশিত হয় শিষ্টাচারের মাধ্যমে, সুন্দর পােশাকে নয়।
☛ ইমাম গাজ্জালী (رحمة الله)
১৪) যার বাক্যের উপর যার নিয়ন্ত্রণ নেই, তার পক্ষে মর্যদা পাওয়ার মত কিছুই নেই।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
১৫) আহমকের কথায় প্রতিবাদ কর না, শেষে তুমিই আহমক সেজে যাবে।
☛ হযরত সােলাইমান (عليه السلام)।
১৬) যা সত্য নয় তা কখনাে মুখে এনাে না, তাহলে তােমার সত্য কথাকেও লােকে অসত্য বলে মনে করবে।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
১৭) অত্যাচারীর বিরুদ্ধে অত্যাচারিত দের অন্তরে যে বিদ্বেশাগ্নির জন্ম হয়,
তা অত্যাচারীকে ভস্ম করেই ক্ষান্ত হয় না, সে আগুনের শিখায় অনেক কিছুই দগ্ধীভূত হয়।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
১৮) নিজের বিপদের কথা শত্রুকে বলাে না, সে মুখে দুঃখ প্রকাশ করবে অন্তরে উল্লাস বােধ করবে।
☛ শেখ সাদী (رحمة الله)
১৯) পশুর মত সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে লাভ কি, যদি আমাদের গৌরব করার মত কিছুই না থাকে।
☛ কাজী নজরুল ইসলাম (رحمة الله)
২০) বুদ্ধিমান লােক নিজে নত হয়ে বড় হয়, আর নির্বোধ নিজেকে বড় বলে অপদস্থ হয়।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
২১) এমন প্রসাদ তৈরি করো না, যা তুমি বাসযােগ্য করতে পারবে না।
☛ আল ফারাবী (رحمة الله)
২২) বহুদর্শিতার মতাে উপদেশ আর নেই, যে ব্যক্তি স্বয়ং ঠেকে শিখেছে তার কাছে শিক্ষা করো।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
২৩) অলসতার প্রতি আত্মসম্পন করার অর্থ নিজের অধিকার হতে স্বেচ্ছায় বঞ্চিত হওয়া।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
২৪) বিপদ যত বড়ই হােক, তাকে চিরস্থায়ী মনে কর না এবং মৃত্যুকে কোন সময় ভুলে যেয়াে না।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
২৫) আজকের অত্যন্ত মধুর অনেক কিছুই পরবর্তী জীবনের জন্য বড় কষ্টদায়ক ব্যাপারে পতিত হবে।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
২৬) তােমরা যখন বিপদে পড়িবে, সন্ত্রস্ত হইওনা কোন দুশমন কিংবা বন্ধু কাহারাে নিকট প্রকাশ করিও না। আল্লাহপাকের উপর কোন রকম অভিযোগ করিও না, আল্লাহ বান্দাদের পরীক্ষা করেন। তবে যদি তােমাদের লাভের সম্ভাবনা থাকে তাহা হইলে প্রকাশ কর এবং শোকর কর।
☛ বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (رحمة الله)
২৭) অন্যের নিকট হাত পাতার ফলে মানুষের সর্বোত্তম সম্পদ বিনষ্ট ও হয়ে যায়। সে সম্পদ হচেছ আত্মমর্যাদাবোধ।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
২৮) যার লক্ষ্য চিরন্তন জীবন, প্রবৃত্তির লালসা তার ত্যাগ করা উচিত। প্রবৃত্তিকে পরাভূত করে যে কাজ করা হয়, সেই সর্বোত্তম।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
২৯) জীবন দর্শনের নিগুঢ় অর্থ আত্মপ্রতিষ্ঠা ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ, ব্যক্তিত্বের অভাবই মৃত্যু।
☛ আল্লামা ইকবাল (رحمة الله)
৩০) ক্ষমতা প্রাপ্ত রাজপুরুষের অত্যাচার ও বিচারাসনে বসিয়া বিচারকদের অবিচারের মত মন্দ কাজ আর নাই।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৩১) অপ্রয়ােজনীয় দুরাশার পিছনে ঘুরে জীবনপাত কারী ব্যক্তিই সর্বাপেক্ষা বেশী ক্ষতিগ্রস্ত।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৩২) হে আল্লাহ! তুমি আমাকে খুব বেশি অর্থ দান করাে না। কেননা, তাতে আমি দাম্ভিক হয়ে যেতে পারি ; আর একেবারে অল্পও দিওনা। "কেননা, তাতে তােমাকে ভুলে যেতে পারি। যে “প্রাচুর্য” পথভ্রষ্ট করে তা অপেক্ষা অল্প অনেক ভাল।
☛ হযরত ওমর (رضي الله عنه)
৩৩) যে তােমাকে ধনী বানায় না, সে তােমার চেয়ে বেশি জানে।
☛ শেখ সাদী (رضي الله عنه)
৩৪) অন্যের মধ্যে যা খারাপ বলে মনে কর, নিজের মধ্যেও তা খারাপ মনে করতে শেখ।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৩৫) আজকের কাজ কালকের জন্য কখনো অবহেলা করে রেখে দিও না।
☛ হযরত ওমর (رضي الله عنه)
৩৬) অবিচার এবং কুশাসনের মধ্যে শাসকগণের পক্ষাবলম্বন করা সর্বপেক্ষা বড় প্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৩৭) যে তােমার উপদেশ শুনিতে চায় তাকে ছাড়া অন্য কাউকে উপদেশ দিও না।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৩৮) আত্মীয় ত্যাগী ধনী অপেক্ষা আত্মীয় বৎসল গরীব ভাল।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৩৯) খােদার নিকট আমি আদব আর শক্তি কামনা করছি। কেননা, বে-আদব আল্লাহ তা'য়ালার মেহেরবাণী থেকে বঞ্চিত থাকে।
☛ মাওলানা রুমী (رحمة الله)
৪০) ধন দানে যে ব্যক্তি যত বেশি কৃপণ, মান-সম্মান দানে সে তত বেশি অকৃপণ।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৪১) কৃতজ্ঞ কুকুর অকৃতজ্ঞ মানুষের চেয়েও শ্রেয়।
☛ শেখ সাদী (رحمة الله)
৪২) মূর্খের সঙ্গে বন্ধুত্ব করাে না, সে তােমার উপকারের চেয়ে তােমার ক্ষতিই বেশি করবে।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৪৩) মূর্খতা এমন এক পাপ, সারা জীবনে যার প্রায়শ্চিত্ত হয় না।
☛ আল ফখরী (رحمة الله)
৪৪) অজ্ঞ ব্যক্তিরাই বলে পরিবেশের সঙ্গে মিলেমিশে চল, পরিবেশ যদি তােমার নির্দেশে না চলে তবে তার সাথে যুদ্ধ ঘােষণা কর।
☛ আল্লামা ইকবাল (رحمة الله)
৪৫) যে ব্যক্তি পাপ লুকিয়ে রাখে তার মুক্তি নেই কিন্তু যে পাপ স্বীকার করে এবং উহা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তার প্রতি দয়া প্রদর্শন করেন।
☛ হযরত সােলাঈমান (عليه السلام)
৪৬) অল্প কথা বলা জ্ঞানীর লক্ষণ, অল্প আহার স্বাস্থের সহায়ক, অল্প ঘুম উপসনা স্বরূপ এবং লােকের সঙ্গে অল্প মেলামেশা নিরাপদ রাখে।
☛ হযরত ওমর (رضي الله عنه)
৪৭) ব্যক্তি বিশেষের একটি আচরণ দেখেই তার প্রতি আকৃষ্ট হইও না, তার অন্যান্য আচরণ সম্পর্কেও খোঁজ খবর নিও।।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৪৮) যে ব্যক্তি গরীব দুঃখীর আর্তনাদ শুনে কান বন্ধ করে রাখে, সেও একদিন আর্তনাদ করবে কিন্তু কেউ শুনবে না।
☛ হযরত সােলায়মান (عليه السلام)
৪৯) আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা, বিপদের সময় দু'হাত তুলে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া এবং বিপদে ধৈর্য ধারণ করা মানুষের জন্য কল্যাণ ডেকে আনে।
☛ ইমাম গাজ্জালী (رحمة الله)
৫০) যে প্রাচুর্য কুপথে টানে দারিদ্র তদপেক্ষা অনেক শ্রেয়।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৫১) যদি কারাে প্রতি তুমি অনুগ্রহ কর, তবে তা গোপন রাখবে। আর অন্যে যদি তােমার প্রতি অনুগ্রহ করে তবে তা সাধ্যমত প্রচার করবে।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৫২) নীচ লােকের প্রধান হতিয়ার হচ্ছে অশ্লীল বাক্য।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৫৩) মুখের সম্মুখে এমন বিদ্যার কথা বলিও না, যাহা সেজন বুঝিতে না পারে, বলিলে সে তােমাকে মূর্খ ও মিথ্যাবাদী ভাবিবে।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৫৪) দুষ্টু লােককে তার দুষ্টামিই গ্রাস করবে, আপন পাপ রাশিতেই সে লত বাঁধা পড়বে।
☛ হযরত সােলায়মান (عليه السلام)
৫৫) মানব জীবনের সব চাইতে কৃতিত্ব হইতেছে মুখের ভাষাকে আয়ত্বে রাখিতে সমর্থ হওয়া।
☛ ইমাম গাজ্জালী (رحمة الله)
৫৬) ক্ষমতা না থাকিলে শত্রুর সম্মুখীন হইও না।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)।
৫৭) যদি কেহ তােমার সম্পর্কে সুধারণা পােষণ করে, তবে তুমি তার সে 'সু ধারণা যে সত্য তা দেখাতে চেষ্টা কর।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৫৮) ব্যক্তিত্ব গঠন এবং মর্যাদা প্রাপ্তির সর্বোত্তম পন্থা হলাে উদারতা।
☛ হযরত ইমাম হুসাঈন (رضي الله عنه)
৫৯) নিজের চিন্তা, মতামত এবং কাজকর্মকে সর্বাপেক্ষা উত্তম মনে করা এবং অন্যের সবকিছু তুচ্ছজ্ঞান করার নামই আত্মপ্রশান্তি (স্বার্থপরতা) এবং ইহা একটি মারাত্মক চারিত্রিক দোষ।
☛ ইমাম গাজ্জালী (رحمة الله)
৬০) সৎ কাজ, সৎ ব্যবহার এবং সৎ স্বভাব মানুষকে সম্মানের উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করে কিন্তু অন্যায় মানুষকে চরম মানহানি করে।
☛ হযরত সােলায়মান (عليه السلام)
৬১) যে ব্যক্তি হালাল পথে রােজগার করে সেই প্রকৃত মুসলমান।
☛ হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (رحمة الله)
৬২) যে আমার একটি ভুল আমাকে উপহার দেয় আল্লাহ তার উপর করুণা করুন।
☛ হযরত ওমর (رضي الله عنه)
৬৩) যে ব্যক্তি অপরের দোষের কথা তােমার নিকট প্রকাশ করে, সে নিশ্চয়ই তোমার দোষের কথাও অপরের নিকট প্রকাশ করে থাকে।
☛ হযরত হাছান বসরী (رضي الله عنه)
৬৪) উচ্চাকাঙ্খা এমন এক বাহন যাতে আরোহণ করার পরিণাম সীমাহীন ক্লান্তি ছাড়া আর কিছুই নয়। লােভ-লালসা, অহংকার এবং পরশ্রীকাতরতা মানুষকে অসীম পাপের পথে ঠেলে দেয়। যারা জানে সাফল্য কামনা করে, তাদেরকে উপরােক্ত বিষয় গুলির প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হবে।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৬৫) অসৎ লােকের ধন-দৌলত পৃথিবীতে সৃষ্ট জীবের বিপদ-আপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৬৬) জ্ঞানী লােক অন্যের কাছ থেকে উপদেশ লাভ করে এবং নিজেকে উপদেশ দানের পাত্র বলে মনে করে না।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৬৭) পরশ্রীকাতর এবং লােভী ব্যক্তি কখনাে শান্তি লাভ করে না।
☛ রাবেয়া বসরী (رحمة الله)
৬৮) ভদ্র লােক মানে সদাশয় ব্যক্তি যিনি দয়ালু, নিজের উন্নতির সাথে। সেই সাথে পরের সুখ ও মঙ্গল কামনা করেন, তিনিই প্রকৃত ভদ্রলােক।
☛ হযরত শেখ সাদী (رحمة الله)
৬৯) অহংকার মানুষকে নিম্নস্তরে নিয়ে যায়।
☛ ইমাম গাজ্জালী (رحمة الله)
৭০) প্রত্যেক মানুষকে একদিন মাটির সাথে মিশে যেতে হবে। সুতারাং মানুষের পক্ষে অহংকার করা হাসির ব্যাপার ছাড়া আর কিছুই নয়।
☛ ইমাম জয়নুল আবেদিন (رضي الله عنه)
৭১) ইমানের আদর্শ হচ্ছে নিজের ক্ষতি স্বীকার করে হলেও সত্য বলা, জ্ঞানের পরিধির বাইরে কিছু বলার চেষ্টা না করা এবং অন্যের সমালােচনা করার সময় অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত করা।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৭২) বলিতে না পার যাহা চোখের উপরে বলিও না, বলিও না তাহা অগােচরে।
☛ শেখ সাদী (رحمة الله)
৭২) ধৈর্য ও স্থিরচিত্ততা মানব চরিত্রকে সুষমা মন্ডিত করে তােলে।
☛ হযরত ইমাম হুসাঈন (رضي الله عنه)
৭৩) অজ্ঞদেরকে মৃত্যু বরণ করার পূর্বেই মৃত অবস্থায় কালযাপন করতে হয় এবং সমাধিস্থ হবার পূর্বেই তাদের শরীর কবরের আঁধারে সমাহিত হয়। কেননা, তাদের অন্তর মৃত আর মৃতের স্থান কবর।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৭৪) কেহ তােমার উপকার করিলে প্রতিদানে তাহার উপকার করা তােমার কর্তব্য, কিন্তু কেহ তােমার ক্ষতি করিলে প্রতিদানে তাহার উপকার করা তােমার পক্ষে অপরিহার্য।
☛ হযরত ওমর (رضي الله عنه)
৭৫) সব বিষয়ে ধৈর্য ধারণ করার আভ্যাস গড়ে তােল। মাথা ব্যতীত দেহের যেমন কোন মূল্য নেই, ধৈর্য ছাড়া আর ঈমানেরও তদ্রপ কোন মূল্য নেই।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৭৬) ঈমানের সঠিক অর্থ হচ্ছে এই, যে অন্তর দিয়ে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব ও একত্ববাদের উপলদ্ধি করবে এবং তার প্রতিটি নির্দেশকে যথাযথ পালন করবে।
☛ হযরত ওমর (رضي الله عنه)
৭৭) এটা মানুষ হিসেবে তােমার জন্য লজ্জাকর যে, সকালের পাখিরা তােমার আগে ঘুম থেকে জেঁগে উঠে আর তুমি ফজরের নামাজের ব্যাপারে অবহেলা কর।
☛ হযরত আবু বকর সিদ্দিক (رضي الله عنه)
৭৮) ধন সম্পদ হচ্ছে কলহের কারণ, দুর্যোগের মাধ্যম, কষ্টের উপলক্ষ এবং বিপদের বাহন।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)।
৭৯) রাজা বাদশা এবং প্রভাবশালী লােকদের সংস্পর্শ হতে দূরে থেকো।
☛ ইমাম গাজ্জালী (رحمة الله)
৮০) পাপের কাজ করে লজ্জিত হলে পাপ কমে যায়। আর পূণ্য কাজ করে গর্ববােধ করলে পূণ্য বরবাদ হয়ে যায়।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)
৮১) নিজেকে উচ্চ ও অন্যকে তুচ্ছ মনে করার নামই অহমিকা। অন্যের উপদেশ অসহ্য এবং নিজের সমালোচনায় বিরক্ত হওয়ার নামই অহংকার। যা হচ্ছে মারাত্মক ব্যাধিস্বরূপ।
☛ ইমাম গাজ্জালী (رحمة الله)
৮২) অজ্ঞের পক্ষে নিরবতায় হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এটা যদি সবাই জানত তাহলে কেউ অজ্ঞ হত না।
☛ শেখ সাদী (رحمة الله)
৮৩) তিন কারণে মানুষের চরিত্রের পরিবর্তন হয়। ১. রাজা-বাদশার সঙ্গ লাভ।
২. ক্ষমতা লাভ।
৩. দারিদ্রতার পর প্রচুর ধন-সম্পদ লাভ।
এই তিন অবস্থা়র মধ্যে কোন এক বা একাধিক অবস্থা়র সম্মুখীন হয়েও যদি কোন ব্যক্তির চরিত্রের পরিবর্তন না হয়, তবে জানবে সে ব্যক্তি বুদ্ধিমান।
☛ হযরত আলী (رضي الله عنه)।
৮৪) অন্যের কল্যাণ করার সময় অন্তরে বিশ্বাস রেখ যে তুমি নিজেরই কল্যাণ সাধন করছ।
☛ আল ফারাবী (رحمة الله)
৮৫) দৃঢ় বিশ্বাস, অনবরত প্রচেষ্টা এবং বিশ্বজয়ী প্রেম জীবন যুদ্ধে এই হলাে মানুষের হাতিয়ার।
☛ আল্লামা ইকবাল (رحمة الله)