যিয়ায়ে দরূদ ও সালাম 

প্রকাশনায়ঃ দাওয়াতে ইসলামী

টেক্সট রেডীঃ আব্দুল মুস্তফা রাহিম রমজান

প্রুফিংঃ ডা. মাসুম বিল্লাহ সানি, সিরাজুম মুনির তানভির


শয়তান লাখো অলসতা প্রর্দশন করুক, তবুও আপনি এই রিসালা সম্পূর্ণ পাঠ করে ঈমানকে সতেজ করুন।

  

❏ ৪০টি হাদীস শরীফ অপরের নিকট পৌছানোর ফযীলত

━━━━━━━━━━━━

ফরমানে মুস্তফা (ﷺ)“যে ব্যক্তি আমার উম্মতের নিকট পৌছানোর জন্য ধর্মীয় বিষয়াবলীর ৪০টি হাদীস মুখস্থ করে নিবে, তবে আল্লাহ্ তাআলা তাকে কিয়ামতের দিন আলিমে দ্বীনের পদমর্যাদায় উঠাবেন এবং কিয়ামতের দিন আমি তার সুপারিশকারী ও সাক্ষী হব।

(শুয়াবুল ঈমান, ২য় খন্ড, ২৭০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৭২৬) 


এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে ৪০টি হাদীস লোকদের নিকট  

পৌছানো যদিও সেগুলো মুখস্থ না হয়। 

(আশআতুল লুমআত, ১ম খন্ড, ১৮৬ পৃষ্ঠা)


হাদীসে মোবারকায় বর্ণিত মর্যাদা লাভের নিয়্যতে দরূদ  

শরীফের ফযীলতের উপর বর্ণিত ৪০টি হাদীস শরীফ পেশ করা হল:


❏ কিয়ামতের দিনে আফসোস 

━━━━━━━━━━━━ 

ফরমানে মুস্তফা (ﷺ) কিয়ামতের দিনে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে বেশী আফসোস করবে, যে দুনিয়াতে জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ পেল কিন্তু জ্ঞান অর্জন করল না এবং ঐ ব্যক্তি আফসোস করবে, যে জ্ঞান অর্জন করল আর অন্যরা তার থেকে শুনে উপকার গ্রহণ করল অথচ সে নিজে গ্রহণ করল না (অর্থাৎ সে জ্ঞান অনুযায়ী আমল করল না)।  (তারিখে দামেশক লিইবনে আসাকির, খন্ড-৫১, পৃষ্ঠা-১৩৭, দারূল ফিকির বৈরুত)


এই রিসালাটি শায়খে তরিকত, আমীরে আহলে সুন্নাত,  

দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা হযরত আল্লামা মাওলানা আবু বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবী (দা.) উর্দু ভাষায় লিখেছেন।


দা’ওয়াতে ইসলামীর অনুবাদ মজলিশ এই বইটিকে বাংলাতে অনুবাদ করেছে। যদি অনুবাদ, কম্পোজ বা প্রিন্টিং এ কোন প্রকারের ভুলত্রুটি আপনার দৃষ্টিগোচর হয়, তাহলে অনুগ্রহ করে মজলিশকে লিখিতভাবে জানিয়ে প্রচুর সাওয়াব হাসিল করুন।

(মৌখিকভাবে বলার চেয়ে লিখিতভাবে জানালে বেশি উপকার হয়।)


এই ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন দা’ওয়াতে ইসলামী (অনুবাদ মজলিশ) 

*মাকতাবাতুল মদীনা এর বিভিন্ন শাখা  

*ফয়যানে মদীনা জামে মসজিদ, জনপথ মোড়, সায়দাবাদ, ঢাকা।  

*ফয়যানে মদীনা জামে মসজিদ, নিয়ামতপুর, সৈয়দপুর, নীলফামারী।  

*কে.এম.ভবন, দ্বিতীয় তলা ১১ আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম। 

e-mail :  

bdtarajim@gmail.com, mktb@dawateislami.net 

web : www.dawateislami.net


এই রিসালাটি পড়ে অন্যকে দিয়ে দিন। বিয়ে শাদীর অনুষ্ঠান, ইজতিমা সমূহ, মিলাদ মাহফিল, ওরস শরীফ এবং জুলুসে মীলাদ ইত্যাদিতে মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত রিসালাসমূহ বন্টন করে সাওয়াব অর্জন করুন, গ্রাহককে সাওয়াবের নিয়্যতে উপহার স্বরূপ দেওয়ার জন্য নিজের দোকানে রিসালা রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। হকার বা বাচ্ছাদের দিয়ে নিজের এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রতি মাসে কমপক্ষে একটি করে সুন্নাতে ভরা রিসালা পৌঁছিয়ে নেকীর দাওয়াত প্রসার করুন এবং প্রচুর সাওয়াব অর্জন করুন।


❏ হাদিস ১ :


“যে (ব্যক্তি) আমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পাঠ করে, আল্লাহ্ তাআলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন।”

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● মুসলিম, ২১৬ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪০৮


❏ হাদিস ২ :

 

“কিয়ামতের দিন আমার নিকটতম ব্যক্তি সেই হবে, 

যে দুনিয়ায় আমার উপর বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ পড়েছে।”  

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● তিরমিযী, ২য় খন্ড, ২৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৮৪


❏ হাদিস ৩ :

 

“যে ব্যক্তি আমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পড়ে, 

আল্লাহ্ তাআলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন এবং তার আমল নামায় দশটি নেকী লিখে দেন।”   

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● তিরমিযী, ২য় খন্ড, ২৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৮৪


❏ হাদিস ৪ :


“মুসলমান যতক্ষণ পর্যন্ত আমার উপর দরূদে পাক 

পড়তে থাকে, ফিরিশতারা তার উপর রহমতরাজি নাযিল করতে থাকে, এখন বান্দার মর্জি সে কম পড়ুক কিংবা বেশি।” 

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● ইবনে মাজাহ, ১ম খন্ড, ৪৯০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৯০৭


❏ হাদিস ৫ :


"নামাযের পর হামদ, সানা ও দরূদ শরীফ পাঠকারীকে বলা হয়: দোয়া কর, কবুল করা হবে। প্রার্থনা কর, প্রদান করা হবে।”

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● নাসায়ী, ২২০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১২৮১


❏ হাদিস ৬ :

 

“যে ব্যক্তি আমার প্রতি ভালবাসা ও আগ্রহের কারণে প্রতিটি দিন ও রাতে তিন তিন বার করে দরূদ শরীফ পাঠ করবে, আল্লাহ্ তাআলা তার বদান্যতার দায়িত্বে একথা অপরিহার্য করে নেন যে, তিনি তার ওই দিন ও রাতের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।” 

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● মু’জামুল কবীর, ১৮তম খন্ড, ৩৬২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৯২৮


❏ হাদিস ৭ :


“তোমরা যেখানেই থাক, আমার উপর দরূদে পাক পাঠ করো, কেননা তোমাদের দরূদ আমার নিকট পৌছে থাকে।”

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● মু’জামুল কবীর, ৩য় খন্ড, ৮২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৭২৯


❏ হাদিস ৮ :


"নিশ্চয় তোমাদের নাম পরিচয় সহ আমার কাছে 

পেশ করা হয়, এজন্য আমার উপর সুন্দর (অর্থাৎ- সর্বোত্তম শব্দাবলীর মাধ্যমে) দরূদ পাক পাঠ কর। 

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● মুসান্নিফ আবদুল রাজ্জাক, ২য় খন্ড, ১৪০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩১১৬


❏ হাদিস ৯ :

 

"নিশ্চয় জিব্রাইল আলাইহি ওয়া সাল্লাম

আমাকে সুসংবাদ দিয়েছেন: “যে (ব্যক্তি) আপনি (ﷺ) এর উপর দরূদ শরীফ পড়ে, আল্লাহ্ তাআলা তার উপর রহমত নাযিল করেন। আর যে আপনি  (ﷺ) এর উপর সালাম প্রেরণ করে, আল্লাহ্ তাআলা তার উপর নিরাপত্তা নাযিল করেন।” 

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● মুসনাদে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ১ম খন্ড, ৪০৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৬৬৪


❏ হাদিস ১০ :


"হযরত সায়্যিদুনা উবাই বিন কা’ব (رضي الله عنه) আরজ করল যে, আমি (সমস্ত ভির্দ, ওয়াজিফা ছেড়ে দেব আর) নিজের পরিপূর্ণ সময় দরূদ শরীফ পাঠ করাতে ব্যয় করব। তখন ছরকারে মদীনা (ﷺ) ইরশাদ করলেন: “তা তোমার পেরেশানী সমূহ দূর করার জন্য যথেষ্ট হবে এবং তোমার গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।”

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● তিরমিযী, ৪র্থ খন্ড, ২০৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৪৬৫


❏ হাদিস ১১ :


“হে লোকেরা! নিশ্চয় কিয়ামতের দিনের ভয়াবহতা এবং হিসাব নিকাশ থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবে সেই ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে আমার উপর দুনিয়াতে অধিক হারে দরূদ শরীফ পাঠ করে থাকে।”

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● আল ফিরদৌস বিমাসুরিল খাত্তাব, ৫ম খন্ড, ২৭৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৮১৭৫


❏ হাদিস ১২ :


“আমার প্রতি অধিক হারে দরূদ শরীফ পাঠ কর, নিশ্চয় আমার প্রতি তোমাদের দরূদ শরীফ পাঠ করা, তোমাদের গুনাহের জন্য মাগফিরাত স্বরূপ।”

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● ইবনে আসাকির, ৬১তম খন্ড, ৩৮১ পৃষ্ঠা।


❏ হাদিস ১৩ :


“যে (ব্যক্তি) আমার উপর এক বার দরূদে পাক পাঠ করে, আল্লাহ্ তাআলা তার জন্য এক ‘ক্বীরাত’ পরিমাণ সাওয়াব লিখে দেন। ক্বীরাত হচ্ছে: উহুদ পর্বতের সম-পরিমাণ।”

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● মুসান্নিফে আবদুর রাজ্জাক, ১ম খন্ড, ৩৯ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৫৩


❏ হাদিস ১৪ :


“নিশ্চয় আল্লাহ্ তাআলা আমার কবরে এক ফিরিশতা নিযুক্ত করেছেন, যাকে সকল সৃষ্টির আওয়াজ সমূহ শোনার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে সুতরাং কিয়ামত পর্যন্ত যে কেউ আমার উপর দরূদ পাক পড়ে, তবে সে আমাকে তার নাম এবং তার পিতার নাম পেশ করে থাকে। সে বলে: অমুকের ছেলে অমুক আপনার উপর এই মুহুর্তে দরূদ শরীফ পাঠ করেছে।”

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● মুসনাদে বাজারিজ, ৪র্থ খন্ড, ২৫৫ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৪২৫


সুবহানাল্লাহ দরূদ শরীফ পাঠকারী কি পরিমাণ 

সৌভাগ্যবান যে, তার নাম পিতার নাম সহ হুযুর পুরনূর, নবী (ﷺ) এর মহান দরবারে পেশ করা হয়।


❏ হাদিস ১৫ :


রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم ইরশাদ করেছেন: “যে ব্যক্তি আমার উপর জুমার দিন ২০০ বার দরূদ শরীফ পড়ে, তার ২০০ শত বৎসরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।”

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ (কানযুল উম্মাল) 


এখানে এই বিষয়টি খুবই ঈমান তাজাকারী যে, নূরানী 

কবরে নিযুক্ত ফিরিশতাকে এমন অধিক শ্রবণ শক্তি প্রদান করা হয়েছে যে, সে দুনিয়ার কোণায় কোণায় একই সময়ে দরূদ শরীফ পাঠকারী লাখো মুসলমানদের খুব ছোট আওয়াজও শুনে থাকে। যখন দরবারের খাদেমের শুনার ক্ষমতার এই শান, তবে ছরকারে মদীনা, মক্কী মাদানী আক্বা, হুযুর (ﷺ) এর ক্ষমতার শান কেমন হবে! তিনি (ﷺ) কেনইবা আপন গোলামদেরকে চিনবেন না, আর কেনইবা তাদের আহবান শুনে আল্লাহর হুকুমে তাদেরকে সাহায্য করবেন না।


 অওর কুয়ী গাইব কিয়া তুমছে নিহা হো ভালা, 

 জব না খোদা হি ছুপা তুম পে করোড়ো দরূদ। 

 ম্যায় কুরবা ইছ আদায়ে দস্তগীরী পর মেরে আক্বা, 

 মদদ কো আগেয়ে জব ভি পুকারা ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ)


❏ হাদিস ১৬ :


“যে (ব্যক্তি) একথা পছন্দ করে যে, আল্লাহ্ 

তাআলার মহান দরবারে পেশ হবার সময় আল্লাহ্ তাআলা তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন, তবে তার উচিত আমার উপর বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ পাঠ করা।” 

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● ফিরদৌসুল আখবার, বিমাসুরিল খাত্তাব, ২য় খন্ড, ২৮৪ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৬০৮৩


❏ হাদিস ১৭ :


“যে (ব্যক্তি) কুরআন পড়লো এবং আপন 

প্রতিপালকের প্রশংসা করলো, অতঃপর আমার উপর দরূদে পাক পড়লো, তারপর নিজ প্রতিপালক থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করল, তবে সে মঙ্গলকে সেটার জায়াগা থেকে তালাশ করে নিলো।” 

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● শুয়াবুল ঈমান, ২য় খন্ড, ৩৭৩ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২০৮৪


❏ হাদিস ১৮ :


“আমার উপর দরূদ শরীফ পাঠ করে তোমরা 

তোমাদের মজলিশ সমূহকে সজ্জিত করো, কেননা তোমাদের দরূদে পাক পাঠ করা কিয়ামতের দিন তোমাদের জন্য নূর হবে।”

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● ফিরদৌসুল আখবার, ১ম খন্ড, ৪২২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩১৪৯


❏ হাদিস ১৯ :


“জুমা রাত এবং জুমার দিন আমার উপর বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ পড়ো, কেননা তোমাদের দরূদে পাক আমার নিকট পেশ করা হয়।”  

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● মুজাম আওসাত, ১ম খন্ড, ৮৩ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৪১


❏ হাদিস ২০ :


“জুমার দিন ও জুমার রাতে (অর্থাৎ- বৃহস্পতিবার 

ও জুমার মধ্যবর্তী রাতে) আমার উপর বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ পাঠ করো। কেননা যে এমনটি করবে, আমি কিয়ামতের দিন তার সুপারিশকারী ও সাক্ষী হবো।”

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ১১১ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩০৩৩


❏ হাদিস ২১ :


“যখন বৃহম্পতিবার আসে আল্লাহ্ তাআলা ফিরিশতাদের কে প্রেরণ করেন। তাদের নিকট রূপার কাগজ ও সোনার কলম থাকে, তারা লিপিবদ্ধ করে- কে বৃহস্পতিবার ও 

জুমার রাতে আমার উপর বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ পাঠ করে।” 

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● আল ফিরদৌস বিমাসুরিল খাত্তাব, ১ম খন্ড, ১৮৪ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৬৮৮


দরূদ না পড়ার ক্ষতি 

এর উপর হুযুর পুরনূর صلى الله عليه وسلم এর ৮টি বাণী 


━━━━━━

❏ হাদিস ২২ :

“যে লোক নিজেদের মজলিশ থেকে আল্লাহ্ তাআলার যিকির এবং হুযুর (ﷺ) এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ করা ব্যতীত উঠে যায়, তবে সে দুর্গন্ধময় লাশ থেকে উঠল।”

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● শুয়াবুল ঈমান, ২য় খন্ড, ২১৫ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৫৭০


❏ হাদিস ২৩ :

 

“যার কাছে আমার আলোচনা হল, আর সে আমার 

উপর দরূদ শরীফ পড়ল না, তবে সে জান্নাতের রাস্তা ভূলে 

গেল।” 

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● মুজাম কবীর, ৩য় খন্ড, ১২৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৮৮৭


❏ হাদিস ২৪ :


“ঐ ব্যক্তির নাক ধূলায় মলিন হোক, যার কাছে আমার আলোচনা হল, আর সে আমার উপর দরূদ পাক পড়ল 

না।” 

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● তিরমিযী, ৫ম খন্ড, ৩২০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩৫৫৬


❏ হাদিস ২৫ :


“যে ব্যক্তির নিকট আমার আলোচনা হল, আর সে আমার উপর দরূদ শরীফ পড়ল না, তবে সে লোকদের মধ্যে সবচেয়ে কৃপণ ব্যক্তি।” 

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● মুসনাদে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ১ম খন্ড, ৪২৯ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৭৩৬


❏ হাদিস ২৬ :


"যে সব লোক কোন মজলিশে বসল, আল্লাহ্ তাআলার যিকির এবং হুযুর (ﷺ) এর উপর দরূদ শরীফ পড়ানো হয় না, ঐ সব লোক কিয়ামতের দিন যখন তাদের পরিণাম দেখবে তবে তাদের উপর চরম অনুশোচনা সৃষ্টি হবে। যদিও তারা জান্নাতে প্রবেশ করে।”

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● প্রাগুক্ত, ৩য় খন্ড, ৪৮৯ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৯৯৭২


❏ হাদিস ২৭ :


“যে (ব্যক্তির) নিকট আমার আলোচনা হল, আর সে 

আমার উপর দরূদ শরীফ পড়ল না, তবে সে জুলুম করল।” 

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● মুসান্নিফে আবদুর রাজ্জাক, ২য় খন্ড, ১৪২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩১২৬


❏ হাদিস ২৮ :


“যে (ব্যক্তির) নিকট আমার আলোচনা হল, আর সে 

আমার উপর দরূদ শরীফ পাঠ করল না, সে নিশ্চিত দূর্ভাগা হয়ে গেল।” 

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● আমলুল ইয়াউম ওয়াল লাইলাতি ইবনিস সুন্নী, ৩৩৬ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩৮১।


❏ হাদিস ২৯ :


“যে সব লোক কোন মজলিশে বসে, আর তাতে আল্লাহ্ তাআলার যিকির করল না এবং তার রাসুল (ﷺ) এর উপর দরূদ শরীফও পাঠ করল না, কিয়ামতের দিন তার ঐ মজলিশ তাদের আফসোসের কারণ হবে (আল্লাহ্ তাআলা) চাইলে তবে তাদেরকে আযাব দিবে, নতুবা ক্ষমা করে দিবে।” 

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● তিরমিযী, ৫ম খন্ড, ২৪৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩৩৯১


সাহাবায়ে কেরামদের (رضي الله عنه) ৫টি বাণী

━━━━━━

❏ হাদিস ৩০ :

 

"হযরত সায়্যিদুনা আবু বকর সিদ্দিক (رضي الله عنه) বলেন: “নবী করীম, রউফুর রহীম (ﷺ) এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ করা গুনাহ সমূহকে এত দ্রুত মিটিয়ে দেয় যে, পানিও আগুণকে তত দ্রুত নিভাতে পারে না, আর রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর উপর সালাম প্রেরণ করা গর্দান সমূহ (অর্থাৎ- গোলামদেরকে) আযাদ করার চেয়েও উত্তম।” 

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● তারিখে বাগদাদ, ৭ম খন্ড, ১৭২ পৃষ্ঠা


❏ হাদিস ৩১ :


"হযরত সায়্যিদুনা আয়েশা সিদ্দিকা (رضي الله عنه) বলেন: “তোমরা তোমাদের মজলিশ সমূকে আল্লাহর নবী, রাসুলে (ﷺ) এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ করে সজ্জিত করো।” 

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● তারিখে বাগদাদ, ৭ম খন্ড, ২১৬ পৃষ্ঠা


❏ হাদিস ৩২ :


হযরত সায়্যিদুনা ফারুকে আজম (رضي الله عنه) বলেন: “নিশ্চয় দোয়া জমীন ও আসমানের মধ্যখানে ঝুলন্ত থাকে এবং তা থেকে কোন বস্তু উপরের দিকে যায় না, যতক্ষণ তোমরা নিজেদের নবীয়ে আকরাম (ﷺ) এর উপর দরূদ পাক পড়ে না নাও।”

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● তিরমিযী, ২য় খন্ড, ২৮ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৮৬


❏ হাদিস ৩৩ :


হযরত সায়্যিদুনা মাওলা আলী মুশকিল কোশা (رضي الله عنه) বলেন: “হুযুর হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এবং আওলাদে মুহাম্মদ (ﷺ) এর উপর দরূদ পাক পাঠ করার আগ পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া পর্দার (আড়ালে) থাকে।” 

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● মুজাম আওসাত, ১ম খন্ড, ২১১ পৃষ্ঠা, হাদীস- ২৭১


❏ হাদিস ৩৪ :


হযরত সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে আমর বিন আ’স (رضي الله عنه) বলেন: “যে (ব্যক্তি) নবী পাক, সাহিবে লাওলাক, হুযুর পুরনূর (ﷺ) এর উপর এক বার দরূদে পাক পাঠ করবে, তার উপর আল্লাহ্ তাআলা এবং তার ফিরিশতারা ৭০ বার রহমত প্রেরণ করবেন।” 

━━━━━━

✧তথ্যসূত্রঃ

● মুসনাদে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ২য় খন্ড, ৬১৪ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৬৭৬৬


কা’বে কে বদরুদ দোজা তুম পে করোড়ো দরূদ, 

তৈইবা কে শামসু দ্দোহা তুম পে করোড়ো দরূদ। 

(হাদায়িকে বখশিশ শরীফ, ২৬৪ পৃষ্ঠা)

Top