🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ০

بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ


📕কানযুল ঈমান


০. আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)


📗ইরফানুল কুরআন


০. আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১

الٓـمّٓ ۚ﴿۱﴾


📕কানযুল ঈমান


১. আলিফ-লাম-মীম।


📗ইরফানুল কুরআন


১.  আলিফ, লা-ম, মীম। (প্রকৃত অর্থ আল্লাহ্ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামই সম্যক অবগত।)


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২

ذٰلِکَ  الۡکِتٰبُ لَا رَیۡبَ ۚۖۛ فِیۡہِ ۚۛ ہُدًی  لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ۙ﴿۲﴾


📕কানযুল ঈমান


২. সে-ই উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন কিতাব (ক্বোরআন) কোন সন্দেহের ক্ষেত্র নয়। তাতে হিদায়ত রয়েছে খোদাভীতিসম্পন্নদের জন্য;


📗ইরফানুল কুরআন


২.  (এটি) মহাগ্রন্থ, যাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। (এটি) পরহেযগারদের জন্যে হেদায়াত,


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৩

الَّذِیۡنَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡغَیۡبِ وَ یُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ وَ  مِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ  یُنۡفِقُوۡنَ ۙ﴿۳﴾


📕কানযুল ঈমান


৩. তারাই, যারা না দেখে ঈমান আনে, নামায কায়েম রাখে এবং আমার দেয় জীবিকা থেকে আমার পথে ব্যয় করে।


📗ইরফানুল কুরআন


৩.  যারা অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, আর (সকল আবশ্যকীয়তা সহ) নামায কায়েম করে, আর যা কিছু আমরা তাদেরকে দান করেছি তা থেকে (আমাদের পথে) ব্যয় করে;


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৪

وَ الَّذِیۡنَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِمَاۤ  اُنۡزِلَ اِلَیۡکَ وَ مَاۤ اُنۡزِلَ مِنۡ قَبۡلِکَ ۚ وَ بِالۡاٰخِرَۃِ ہُمۡ یُوۡقِنُوۡنَ ؕ﴿۴﴾


📕কানযুল ঈমান


৪. এবং তারাই, যারা ঈমান আনে এর উপর যা, হে মাহবুব! আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং যা আপনার পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছে আর পরলোকের উপর নিশ্চিত বিশ্বাস রাখে।


📗ইরফানুল কুরআন


৪.  আর তারা বিশ্বাস স্থাপন করে তাতে যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং যা আপনার পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছে (তার সবকিছুতে)। আর তারা (পূর্ণ) বিশ্বাস রাখে পরকালের প্রতিও।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৫

اُولٰٓئِکَ عَلٰی ہُدًی مِّنۡ رَّبِّہِمۡ ٭ وَ اُولٰٓئِکَ ہُمُ  الۡمُفۡلِحُوۡنَ ﴿۵﴾


📕কানযুল ঈমান


৫. সে সব লোক তাদের রবের পক্ষ থেকে হিদায়তের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং তারাই সফলকাম।


📗ইরফানুল কুরআন


৫.  তারাই তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে হেদায়াতের উপর রয়েছে এবং তারাই প্রকৃত সফলতা অর্জনকারী।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৬

اِنَّ الَّذِیۡنَ  کَفَرُوۡا سَوَآءٌ  عَلَیۡہِمۡ ءَاَنۡذَرۡتَہُمۡ  اَمۡ  لَمۡ  تُنۡذِرۡہُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۶﴾


📕কানযুল ঈমান


৬. নিশ্চয় তারা, যাদের অদৃষ্টে কুফর রয়েছে তাদের জন্য সমান-চাই আপনি তাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করুন কিংবা না-ই করুন। তারা ঈমান আনার নয়।


📗ইরফানুল কুরআন


৬.  নিশ্চয়ই যারা কুফরী আত্মস্থ করেছে তাদের জন্যে উভয়ই সমান- চাই আপনি তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করুন অথবা নাই করুন। তারা ঈমান আনয়ন করবে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৭

خَتَمَ اللّٰہُ عَلٰی قُلُوۡبِہِمۡ وَ عَلٰی سَمۡعِہِمۡ ؕ  وَ عَلٰۤی اَبۡصَارِہِمۡ غِشَاوَۃٌ ۫ وَّ لَہُمۡ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿۷﴾


📕কানযুল ঈমান


৭. আল্লাহ্‌ তাদের অন্তরগুলোর উপর এবং কানগুলোর উপর মোহর ছেপে দিয়েছেন। আর তাদের চোখের উপর কালো-ঠুলী (আবরণ) রয়েছে এবং তাদের জন্য রয়েছে মহা শাস্তি।


📗ইরফানুল কুরআন


৭.  (তাদের নিজস্ব পছন্দের পরিপ্রেক্ষিতে) আল্লাহ্ মোহরাঙ্কিত করে দিয়েছেন তাদের অন্তর এবং কর্ণসমূহ, আর তাদের চক্ষুসমুহের উপর (পড়েছে) অন্ধত্বের আবরণ এবং তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন শাস্তি।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৮

وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّقُوۡلُ اٰمَنَّا بِاللّٰہِ وَ بِالۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ مَا ہُمۡ بِمُؤۡمِنِیۡنَ ۘ﴿۸﴾


📕কানযুল ঈমান


৮. এবং কিছু লোক বলে, ‘আমরা আল্লাহ্‌ ও শেষ দিনের উপর ঈমান এনেছি।’ এবং (প্রকৃতপক্ষে) তারা ঈমানদার নয়।


📗ইরফানুল কুরআন


৮.  আর মানুষের মাঝে কেউ কেউ এমনও রয়েছে যারা বলে, ‘আমরা ঈমান আনয়ন করেছি আল্লাহ্ এবং কিয়ামত দিবসে’, অথচ তারা (মোটেই) ঈমানদার নয়।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৯

یُخٰدِعُوۡنَ اللّٰہَ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ۚ وَ مَا یَخۡدَعُوۡنَ  اِلَّاۤ  اَنۡفُسَہُمۡ وَ مَا یَشۡعُرُوۡنَ ؕ﴿۹﴾


📕কানযুল ঈমান


৯. ধোকা দিতে চায় আল্লাহ্‌ তা’আলা ও ঈমানদেরকে এবং প্রকৃতপক্ষে, তারা ধোকা দিচ্ছে না, কিন্তু নিজেদের আত্মাকেই এবং তাদের অনুভূতি নেই।


📗ইরফানুল কুরআন


৯.  তারা ধোঁকা দিতে চায় আল্লাহ্কে (অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামকে)* এবং ঈমানদারগণকে, কিন্তু (প্রকৃতপক্ষে) তারা নিজেদেরকেই ধোঁকা দিচ্ছে এবং তারা তা অনুধাবন করছে না।


* এখানে রাসূল ‘মুযাফ’, যা উহ্য রয়েছে। অর্থাৎ ‘ইউখা-দিউনাল্লাহা’ বলে ‘রাসূলুল্লাহা ইউখা-দিউনা’অর্থ নেয়া হয়েছে। তাফসীর বিষয়ের অধিকাংশ ইমাম এ অর্থটি বর্ণনা করেছেন। রেফারেন্সের জন্যে দেখুন, তাফসীরে কুরতুবী, বায়যাবী, বাগুভী, নাসাফী, কাশ্শাফ, মাযহারী, যাদুল মুয়াস্সার, খাযিন ও অন্যান্য।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১০

فِیۡ قُلُوۡبِہِمۡ مَّرَضٌ ۙ فَزَادَہُمُ  اللّٰہُ  مَرَضًا ۚ  وَ لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌۢ  ۬ۙ بِمَا کَانُوۡا یَکۡذِبُوۡنَ ﴿۱۰﴾  


📕কানযুল ঈমান


১০. তাদের অন্তরগুলোতেই ব্যাধি রয়েছে, অত:পর আল্লাহ্‌ তাদের ব্যাধি আরো বৃদ্ধি করে দিয়েছেন এবং তাদের জন্য অবধারিত রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি, তাদের মিথ্যার পরিণামে।


📗ইরফানুল কুরআন


১০. তাদের অন্তরে রয়েছে ব্যাধি। অতঃপর আল্লাহ্ তাদের ব্যাধি আরো বাড়িয়ে দেন। আর তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি, কারণ তারা মিথ্যা বলতো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১১

وَ اِذَا قِیۡلَ لَہُمۡ لَا تُفۡسِدُوۡا فِی الۡاَرۡضِ ۙ  قَالُوۡۤا اِنَّمَا نَحۡنُ مُصۡلِحُوۡنَ ﴿۱۱﴾


📕কানযুল ঈমান


১১. তাদেরকে যখন বলা হয়, ‘পৃথিবীতে বিবাদ সৃষ্টি করোনা’ তখন তারা বলে, ‘আমরাই তো সংশোধনবাদী।’


📗ইরফানুল কুরআন


১১. আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘পৃথিবীতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বিস্তার করো না’, তখন তারা বলে, ‘আমরাই তো সংশোধনকারী’।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১২

اَلَاۤ اِنَّہُمۡ ہُمُ الۡمُفۡسِدُوۡنَ وَ لٰکِنۡ لَّا یَشۡعُرُوۡنَ ﴿۱۲﴾


📕কানযুল ঈমান


১২. শুনছো! তারাই বিবাদ সৃষ্টিকারী; কিন্তু তাদের সে অনুভূতি নেই।


📗ইরফানুল কুরআন


১২. সাবধান! এরাই (প্রকৃতপক্ষে) বিপর্যয় সৃষ্টিকারী, কিন্তু তারা (তা) অনুধাবন পর্যন্ত করে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৩

وَ  اِذَا قِیۡلَ لَہُمۡ اٰمِنُوۡا کَمَاۤ اٰمَنَ النَّاسُ قَالُوۡۤا اَنُؤۡمِنُ کَمَاۤ اٰمَنَ السُّفَہَآءُ ؕ اَلَاۤ اِنَّہُمۡ ہُمُ  السُّفَہَآءُ  وَ لٰکِنۡ لَّا  یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۳﴾


📕কানযুল ঈমান


১৩. এবং যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘ঈমান আনো যেমন অপরাপর লোকেরা ঈমান এনেছে’ তখন তারা বলে, ‘নির্বোধদের মতো কি আমরাও বিশ্বাস (ঈমান) স্থাপন করবো?’ শুন্‌ছো! তারাই হলো নির্বোধ; কিন্তু তারা তা জানেনা।


📗ইরফানুল কুরআন


১৩. আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘(তোমরাও) ঈমান আনয়ন করো যেভাবে (অপরাপর) লোকেরা ঈমান আনয়ন করেছে’; তখন তারা বলে, ‘আমরাও কি (এভাবে) ঈমান আনয়ন করবো যেভাবে (সেসব) নির্বোধেরা ঈমান আনয়ন করেছে?’ জেনে রাখো! (প্রকৃত) নির্বোধ তারা নিজেরাই, কিন্তু তারা (স্বীয় বোকামি ও হীনতা সম্পর্কে) জানে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৪

وَ  اِذَا لَقُوا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا قَالُوۡۤا اٰمَنَّا ۚۖ وَ  اِذَا خَلَوۡا اِلٰی شَیٰطِیۡنِہِمۡ ۙ قَالُوۡۤا اِنَّا مَعَکُمۡ ۙ اِنَّمَا نَحۡنُ مُسۡتَہۡزِءُوۡنَ ﴿۱۴﴾


📕কানযুল ঈমান


১৪. এবং যখন ঈমানদারদের সাথে সাক্ষাৎ করে তখন বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি।’ আর যখন নিভৃতে তাদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে, ‘আমরা তোমাদের সাথে রয়েছি। আমরা তো এমনিতে তাদের সাথে ঠাট্টা-তামাশা করে থাকি।’


📗ইরফানুল কুরআন


১৪. আর যখন সেসব (মুনাফিক) ঈমানদারদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে, ‘আমরা(ও) ঈমান আনয়ন করেছি’। আর যখন নিজেদের শয়তানদের সাথে গোপনে মিলিত হয় তখন বলে, ‘আমরা তোমাদের সাথেই আছি, আমরা তো (মুসলমানদের সাথে) কেবল ঠাট্টা-মশকরা করছি’।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৫

اَللّٰہُ یَسۡتَہۡزِئُ بِہِمۡ وَ یَمُدُّہُمۡ  فِیۡ طُغۡیَانِہِمۡ یَعۡمَہُوۡنَ ﴿۱۵﴾


📕কানযুল ঈমান


১৫. আল্লাহ্‌ তাদের সাথে ‘ইস্তিহ্‌যা’ করেন (যেমনি তাঁর জন্য শোভা পায়) এবং তাদেরকে অবকাশ দেন, যেন তারা তাদের অবাধ্যতায় বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াতে থাকে।


📗ইরফানুল কুরআন


১৫. আল্লাহ্ তাদেরকে তাদের ঠাট্টা-বিদ্রুপের শাস্তি দেন, আর তাদেরকে অবকাশ দেন (যাতে তারা নিজেদের পরিণতি নির্ধারণ করতে পারে)। সুতরাং তারা নিজেরা তাদের অবাধ্যতায় পথভ্রষ্ট হচ্ছে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৬

اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ اشۡتَرَوُا الضَّلٰلَۃَ بِالۡہُدٰی ۪  فَمَا رَبِحَتۡ تِّجَارَتُہُمۡ وَ مَا کَانُوۡا مُہۡتَدِیۡنَ ﴿۱۶﴾


📕কানযুল ঈমান


১৬. তারা এমন সব লোক, যারা হিদায়তের বিনিময়ে গোমরাহী ক্রয় করেছে। সুতরাং তাদের এ ব্যবসা কোন লাভ আনয়ন করেনি এবং তারা ব্যবসার (লাভজনক) পন্থা জানতোই না।


📗ইরফানুল কুরআন


১৬. তারাই সেসব লোক যারা হেদায়াতের পরিবর্তে গোমরাহী ক্রয় করেছে, কিন্তু তাদের ব্যবসা লাভজনক হয়নি, আর তারা (লাভজনক ও উপকারী বাণিজ্যের) পথ জানতোই না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৭

مَثَلُہُمۡ کَمَثَلِ الَّذِی اسۡتَوۡقَدَ نَارًا ۚ  فَلَمَّاۤ اَضَآءَتۡ مَا حَوۡلَہٗ ذَہَبَ اللّٰہُ بِنُوۡرِہِمۡ وَ تَرَکَہُمۡ فِیۡ ظُلُمٰتٍ لَّا یُبۡصِرُوۡنَ ﴿۱۷﴾


📕কানযুল ঈমান


১৭. তাদের দৃষ্টান্ত ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে আগুন প্রজ্জ্বলিত করেছে; অত:পর যখন তা দ্বারা আশেপাশে সবকিছু আলোকিত হয়ে উঠলো, তখন আল্লাহ্‌ তাদের জ্যোতি অপসারণ করে নিলেন এবং তাদেরকে (এমনভাবে) অন্ধকাররাশিতে ছেড়ে দিলেন যে, তারা কিছুই দেখতে পায় না।


📗ইরফানুল কুরআন


১৭. তাদের দৃষ্টান্ত সেসব ব্যক্তির ন্যায়, যারা (অন্ধকারে) আগুন প্রজ্বলিত করলো এবং যখন তা চারপাশকে আলোকিত করলো তখন আল্লাহ্ তাদের আলো নিভিয়ে দিলেন এবং তাদেরকে ঘোর অন্ধকারে ছেড়ে দিলেন; এখন তারা কিছুই দেখতে পায় না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৮

صُمٌّۢ  بُکۡمٌ عُمۡیٌ فَہُمۡ لَا یَرۡجِعُوۡنَ ﴿ۙ۱۸﴾ 


📕কানযুল ঈমান


১৮. বধির, বোবা ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসার নয়;


📗ইরফানুল কুরআন


১৮. তারা বধির, বোবা (এবং) অন্ধ। সুতরাং তারা (সঠিক পথে) ফিরে আসবে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৯

اَوۡ کَصَیِّبٍ مِّنَ السَّمَآءِ فِیۡہِ ظُلُمٰتٌ وَّ رَعۡدٌ وَّ بَرۡقٌ ۚ یَجۡعَلُوۡنَ اَصَابِعَہُمۡ فِیۡۤ  اٰذَانِہِمۡ مِّنَ الصَّوَاعِقِ حَذَرَ الۡمَوۡتِ ؕ وَ اللّٰہُ مُحِیۡطٌۢ بِالۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۱۹﴾ 


📕কানযুল ঈমান


১৯. কিংবা যেমন, আস্‌মান থেকে বর্ষণরত বৃষ্টি, যাতে রয়েছে অন্ধকাররাশি, বজ্র ও বিদ্যুৎ-চমক; (তারা) নিজেদের কানে আঙ্গুল প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছে বজ্র-ধ্বনির কারনে, মৃত্যুর ভয়ে; এবং আল্লাহ্‌ কাফিরদেরকে পরিবেষ্টন করে রয়েছেন।


📗ইরফানুল কুরআন


১৯. অথবা তাদের দৃষ্টান্ত মুষলধারে বৃষ্টির মতো, যা আকাশ থেকে বর্ষিত হয়, যাতে রয়েছে অন্ধকার, গর্জন এবং ঝলকও। কাজেই বজ্রধ্বণির কারণে মৃত্যুর ভয়ে তারা নিজেদের কানে আঙ্গুল চেপে ধরে। আর আল্লাহ্ কাফেরদেরকে পরিবেষ্টন করে আছেন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২০

یَکَادُ الۡبَرۡقُ یَخۡطَفُ اَبۡصَارَہُمۡ ؕ کُلَّمَاۤ اَضَآءَ لَہُمۡ مَّشَوۡا فِیۡہِ ٭ۙ وَ اِذَاۤ اَظۡلَمَ عَلَیۡہِمۡ قَامُوۡا ؕ وَ لَوۡ شَآءَ اللّٰہُ  لَذَہَبَ بِسَمۡعِہِمۡ وَ اَبۡصَارِہِمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۲۰﴾


📕কানযুল ঈমান


২০. বিদ্যুৎ-চমক এমনি মনে হয় যেন তাদের দৃষ্টি-শক্তি কেড়ে নিয়ে যাবে। যখনই সামান্য বিদ্যুতালোক (তাদের সম্মুখে) উদ্ভাসিত হলো তখন তাতে চলতে লাগলো এবং যখন অন্ধকারচ্ছন্ন হলো তখন তারা দাঁড়িয়ে রইলো। আল্লাহ্‌ ইচ্ছা করলে তাদের কান ও চোখ নিয়ে যেতেন। নিঃসন্দেহে, আল্লাহ্‌ সব কিছু করতে সক্ষম।


📗ইরফানুল কুরআন


২০. মনে হয় যেন বিদ্যুতের ঝলক তাদের দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নেবে। যখনই কিছু ঝলক তাদের সম্মুখে উদ্ভাসিত হয়, তারা তাতে চলতে শুরু করে, আর যখন তাদের উপর অন্ধকার ছেয়ে পড়ে, তখন তারা থমকে দাঁড়ায়। আর যদি আল্লাহ্ চান তবে তাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণরূপে ছিনিয়ে নিতে পারেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২১

یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اعۡبُدُوۡا رَبَّکُمُ الَّذِیۡ خَلَقَکُمۡ وَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَتَّقُوۡنَ ﴿ۙ۲۱﴾ 


📕কানযুল ঈমান


২১. হে মানবকুল! (তোমরা) স্বীয় রবের ইবাদত করো, যিনি তোমাদের এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন; এ আশায় যে, তোমাদের পরহেযগারী অর্জিত হবে।


📗ইরফানুল কুরআন


২১. হে মানবজাতি! তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত করো যিনি তোমাদেরকে এবং সেসব লোককে সৃষ্টি করেছেন যারা তোমাদের পূর্বে ছিল, যাতে তোমরা পরহেযগার হতে পারো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২২

الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمُ الۡاَرۡضَ فِرَاشًا وَّ السَّمَآءَ بِنَآءً ۪ وَّ اَنۡزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً  فَاَخۡرَجَ بِہٖ مِنَ الثَّمَرٰتِ رِزۡقًا لَّکُمۡ ۚ فَلَا تَجۡعَلُوۡا لِلّٰہِ اَنۡدَادًا وَّ اَنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۲۲﴾


📕কানযুল ঈমান


২২. এবং যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে বিছানা এবং আস্‌মানকে ইমারত করেছেন এবং আস্‌মান থেকে পানি বর্ষন করেছেন। অতঃপর তা’দ্বারা কিছু ফল সৃষ্টি (উৎপন্ন) করেন তোমাদের আহারের জন্য। সুতরাং জেনে-বুঝে আল্লাহ্‌র জন্য সমকক্ষ দাঁড় করাবে না।


📗ইরফানুল কুরআন


২২. যিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে বিছানা এবং আকাশকে ইমারত করেছেন এবং আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, অতঃপর এর মাধ্যমে তোমাদের জীবিকার জন্যে সৃষ্টি করেছেন (বিভিন্ন প্রকারের) ফলমূল। সুতরাং তোমরা (প্রকৃত অবস্থা) অবগত হয়ে আল্লাহ্‌র শরীক সাব্যস্ত করো না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৩

وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ فِیۡ رَیۡبٍ مِّمَّا نَزَّلۡنَا عَلٰی عَبۡدِنَا فَاۡتُوۡا بِسُوۡرَۃٍ مِّنۡ مِّثۡلِہٖ ۪ وَ ادۡعُوۡا شُہَدَآءَکُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ  اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۲۳﴾


📕কানযুল ঈমান


২৩. এবং যদি তোমাদের কোন সন্দেহ হয় তাতে, যা আমি স্বীয় (এ খাস) বান্দার উপর নাযিল করেছি, তবে এর অনুরুপ একটা সূরা তো নিয়ে এসো এবং আল্লাহ্‌ ব্যতীত নিজেদের সকল সহায়তাকারীকে আহবান করো (সাহায্যের জন্য), যদি তোমরা সত্যবাদী হও!


📗ইরফানুল কুরআন


২৩. আর যদি তোমরা এর (এ বাণীর) ব্যাপারে সন্দেহে পতিত হও, যা আমরা আমাদের (মনোনীত) বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, তবে এর অনুরূপ কোনো সূরা তৈরি করে নিয়ে আসো। আর (এ কাজের জন্যে অবশ্যই) আল্লাহ্ ব্যতীত তোমাদের (সকল) সহায়তাকারীদেরকেও আহ্বান করো, যদি তোমরা (নিজেদের সন্দেহ ও অস্বীকারে) সত্যবাদী হও।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৪

فَاِنۡ لَّمۡ تَفۡعَلُوۡا وَ لَنۡ تَفۡعَلُوۡا فَاتَّقُوا النَّارَ الَّتِیۡ وَقُوۡدُہَا النَّاسُ وَ الۡحِجَارَۃُ  ۚۖ اُعِدَّتۡ لِلۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۲۴﴾ 


📕কানযুল ঈমান


২৪. অতঃপর যদি আনয়ন করতে না পারো, আর আমি চ্যালেন্জ করছি যে, কখনো আনতে পারবে না, তবে ভয় করো ঐ আগুনকে, যার ইন্ধন হচ্ছে মানুষ ও পাথর, (যা) তৈরী রাখা হয়েছে কাফিরদের জন্য।


📗ইরফানুল কুরআন


২৪. অতঃপর যদি তোমরা এমনটি করতে না পারো, অবশ্য কখনোই করতে পারবে না; তবে বেঁচে থাকো অগ্নি থেকে, যার ইন্ধন হলো মানুষ (অর্থাৎ কাফেরেরা) এবং পাথর (অর্থাৎ তাদের মূর্তিসমূহ), যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফেরদের জন্যে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৫

وَ بَشِّرِ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ اَنَّ لَہُمۡ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ ؕ  کُلَّمَا رُزِقُوۡا مِنۡہَا مِنۡ ثَمَرَۃٍ رِّزۡقًا ۙ قَالُوۡا ہٰذَا الَّذِیۡ رُزِقۡنَا مِنۡ قَبۡلُ ۙ وَ اُتُوۡا بِہٖ مُتَشَابِہًا ؕ وَ لَہُمۡ فِیۡہَاۤ اَزۡوَاجٌ مُّطَہَّرَۃٌ ٭ۙ وَّ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۲۵﴾


📕কানযুল ঈমান


২৫. এবং সুসংবাদ দিন তাদেরকে, যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে যে, তাদের জন্য বাগান (জান্নাত) রয়েছে, যার নিম্নদেশে নহরসমূহ প্রবাহমান। যখন তাদেরকে ঐ বাগানগুলো থেকে কোন ফল খেতে দেয়া হবে তখনই তারা (সেটার বাহ্যিক আকার দেখে) বলবে, ‘এতো সে-ই রিযক্ব, যা আমরা পূর্বে পেয়েছিলাম; এবং সে-ই ফল, যা (বাহ্যিক আকৃতিগতভাবে) পরষ্পর সাদৃশ্যময়, তাদেরকে দেয়া হবে এবং তাদের জন্য সে-ই বাগানগুলোতে (জান্নাতসমূহ) পবিত্র স্ত্রীগণ রয়েছে এবং তারা ওইগুলোর মধ্যে স্থায়ীভাবে থাকবে।


📗ইরফানুল কুরআন


২৫. আর (হে হাবীব!) আপনি সেসব লোকদেরকে সুসংবাদ শুনিয়ে দিন, যারা ঈমান আনয়ন করেছে এবং সৎকর্ম করছে। তাদের জন্যে রয়েছে (বেহেশতের) উদ্যানসমূহ, যার তলদেশে স্রোতধারা প্রবাহিত। যখন তাদেরকে এ উদ্যান থেকে কোনো ফল খেতে দেয়া হবে, তখন (এর বাহিরের আকৃতি দেখে) তারা বলবে, ‘এ তো সেই ফল যা আমাদেরকে (দুনিয়াতে) পূর্বে দেয়া হয়েছিল, অথচ (শুধু আকৃতিতে) এগুলোর সাদৃশ্যপূর্ণ ফল প্রদান করা হবে। তাদের জন্যে জান্নাতে থাকবে পবিত্র স্ত্রীগণও। আর তারা তাতে থাকবে চিরকাল।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৬

اِنَّ اللّٰہَ لَا یَسۡتَحۡیٖۤ اَنۡ یَّضۡرِبَ مَثَلًا مَّا بَعُوۡضَۃً فَمَا فَوۡقَہَا ؕ فَاَمَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا فَیَعۡلَمُوۡنَ اَنَّہُ الۡحَقُّ مِنۡ رَّبِّہِمۡ ۚ وَ اَمَّا الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا فَیَقُوۡلُوۡنَ مَا ذَاۤ  اَرَادَ  اللّٰہُ بِہٰذَا مَثَلًا ۘ یُضِلُّ بِہٖ کَثِیۡرًا ۙ وَّ یَہۡدِیۡ بِہٖ کَثِیۡرًا ؕ وَ مَا یُضِلُّ بِہٖۤ  اِلَّا الۡفٰسِقِیۡنَ ﴿ۙ۲۶﴾


📕কানযুল ঈমান


২৬. নিশ্চয় আল্লাহ্‌ যে কোন জিনিষের দৃষ্ঠান্ত বর্ণনা করতে লজ্জাবোধ করেন না- মশা হোক কিংবা তদপেক্ষা বড় কিছু। সুতরাং যারা ঈমান এনেছে তারা তো জানে যে, এটা তাদের রবের পক্ষ থেকে, সত্য। বাকী রইলো কাফিরগণ, তারা বলে, ‘এ ধরণের উপমায় আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্য কি?’ আল্লাহ্‌ তা দ্বারা অনেককে গোমরাহ্‌ করেন এবং অনেককে হিদায়ত করেন, এবং তা দ্বারা তাদেরকেই পথভ্রষ্ট করেন, যারা অবাধ্য-


📗ইরফানুল কুরআন


২৬. নিশ্চয়ই আল্লাহ্ (বুঝানোর জন্যে) কোনোও দৃষ্টান্ত বর্ণনা করতে কুন্ঠাবোধ করেন না, (চাই) তা মশা হোক অথবা (হীনতায়) এরচেয়েও বড়। সুতরাং যারা ঈমান আনয়ন করেছে, তারা খুব ভালোভাবে জানে যে, এ দৃষ্টান্ত তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সত্য (নির্দেশনা)। আর যারা কুফরীকে বেছে নিয়েছে তারা (তা শুনে এ কথা) বলে, ‘এমন দৃষ্টান্ত পেশ করার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র কী অভিপ্রায়?’ (এভাবে) আল্লাহ্ একই বিষয়ের মাধ্যমে অনেককে গোমরাহ্ করেন এবং অনেককে হেদায়াত দান করেন। আর তা দ্বারা কেবল তাদেরকেই গোমরাহীতে নিমজ্জিত করেন, যারা (পূর্বেই) নাফরমান ছিল।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৭

الَّذِیۡنَ یَنۡقُضُوۡنَ عَہۡدَ  اللّٰہِ مِنۡۢ بَعۡدِ مِیۡثَاقِہٖ ۪ وَ یَقۡطَعُوۡنَ مَاۤ اَمَرَ اللّٰہُ بِہٖۤ  اَنۡ یُّوۡصَلَ وَ یُفۡسِدُوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡخٰسِرُوۡنَ ﴿۲۷﴾


📕কানযুল ঈমান


২৭. তারাই, যারা আল্লাহ্‌র অঙ্গীকার ভঙ্গ করে পাকাপোক্ত হবার পর এবং ছিন্ন করে ঐ সম্পর্ককে, যা জুড়ে রাখার জন্য আল্লাহ্‌ নির্দেশ দিয়েছেন এবং যমীনে ফ্যাসাদ ছড়িয়ে বেড়ায়; তারা ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।


📗ইরফানুল কুরআন


২৭. (এসব নাফরমানেরা সেসব লোক) যারা আল্লাহ্‌র সাথে অঙ্গীকারাবদ্ধ হবার পর তা ভঙ্গ করে, (সম্পর্ক) ছিন্ন করে যা যুক্ত রাখার নির্দেশ আল্লাহ্ দিয়েছেন এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় ছড়ায়। এসব লোকেরাই ক্ষতিগ্রস্ত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৮

کَیۡفَ تَکۡفُرُوۡنَ بِاللّٰہِ وَ کُنۡتُمۡ اَمۡوَاتًا فَاَحۡیَاکُمۡ ۚ ثُمَّ یُمِیۡتُکُمۡ ثُمَّ یُحۡیِیۡکُمۡ ثُمَّ  اِلَیۡہِ تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۲۸﴾


📕কানযুল ঈমান


২৮. আশ্চর্য! তোমরা কিরুপে আল্লাহ্‌কে অস্বীকারকারী হবে? অথচ তোমরা মৃত ছিলে, তিনি তোমাদেরকে জীবিত করেন, আবার তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন, পুনরায় তোমাদেরকে জীবিত করবেন; আবার তাঁরই দিকে দিকে ফিরে যাবে।


📗ইরফানুল কুরআন


২৮. তোমরা কিভাবে আল্লাহ্কে অস্বীকার করো, অথচ তোমরা ছিলে প্রাণহীন? তিনি তোমাদেরকে জীবন দিয়েছেন, অতঃপর তোমাদেরকে মৃত্যুর আলিঙ্গনে আবদ্ধ করবেন এবং তোমাদেরকে পুনর্জীবিত করবেন। অতঃপর তোমাদেরকে তাঁরই নিকট ফিরিয়ে নেয়া হবে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৯

ہُوَ الَّذِیۡ خَلَقَ لَکُمۡ مَّا فِی الۡاَرۡضِ جَمِیۡعًا ٭ ثُمَّ اسۡتَوٰۤی اِلَی السَّمَآءِ فَسَوّٰىہُنَّ سَبۡعَ سَمٰوٰتٍ ؕ وَ ہُوَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ ﴿۲۹﴾


📕কানযুল ঈমান


২৯. তিনিই, যিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে; অতঃপর তিনি আসমানের দিকে ‘ইস্তিওয়া’ (ইচ্ছা) করলেন, তখন ঠিক সপ্ত-আস্‌মান সৃষ্টি করলেন, এবং তিনি সবকিছু জানেন।


📗ইরফানুল কুরআন


২৯. তিনিই তোমাদের জন্যে সবকিছু সৃষ্টি করেছেন যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে। অতঃপর তিনি (বিশ্বজগতের) উর্ধ্ব মণ্ডলের দিকে মনোনিবেশ করলেন, তখন তিনি এগুলোকে যথাযথরূপে সাতটি মহাজাগতিক স্তরে বিন্যস্ত করলেন। আর তিনি সকল কিছু সম্বন্ধে সম্যক অবগত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৩০

وَ  اِذۡ قَالَ رَبُّکَ لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اِنِّیۡ جَاعِلٌ فِی الۡاَرۡضِ خَلِیۡفَۃً ؕ قَالُوۡۤا اَتَجۡعَلُ فِیۡہَا مَنۡ یُّفۡسِدُ فِیۡہَا وَ یَسۡفِکُ الدِّمَآءَ ۚ وَ نَحۡنُ نُسَبِّحُ بِحَمۡدِکَ وَ نُقَدِّسُ لَکَ ؕ قَالَ اِنِّیۡۤ اَعۡلَمُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۳۰﴾ 


📕কানযুল ঈমান


৩০. এবং (স্মরণ করুন!) যখন আপনার রব ফিরিশ্‌তাদেরকে বলেছিলেন, আমি পৃথিবীতে আপন প্রতিনিধি সৃষ্টিকারী।’ (তারা) বললো, ‘আপনি কি এমন কোন সৃষ্টিকে প্রতিনিধি করবেন, যে তাতে ফ্যাসাদ ছড়াবে ও তাতে রক্তপাত ঘটাবে? আর আমরা আপনার প্রশংসা পূর্বক আপনার তাস্‌বীহ (স্তূতিগান) করি এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করি।’ তিনি বললেন, আমার জানা আছে যা তোমরা জানোনা।


📗ইরফানুল কুরআন


৩০. আর (স্মরণ করুন সে সময়ের কথা) যখন আপনার প্রতিপালক ফেরেশতাগণকে বললেন, ‘আমি পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধি সৃষ্টি করতে চাই। তারা আরয করলো, ‘তুমি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে (প্রতিনিধি) বানাবে, যে তাতে বিপর্যয় ঘটাবে এবং রক্তপাত করবে? অথচ আমরা তোমার প্রশংসার সাথে তাসবীহ্ পাঠ করছি এবং (সর্বদা) পবিত্রতা বর্ণনা করছি।’ (আল্লাহ্) বললেন, ‘নিঃসন্দেহে আমি তা জানি, যা তোমরা জানো না’।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৩১

وَ عَلَّمَ اٰدَمَ الۡاَسۡمَآءَ کُلَّہَا ثُمَّ عَرَضَہُمۡ عَلَی الۡمَلٰٓئِکَۃِ ۙ فَقَالَ اَنۡۢبِـُٔوۡنِیۡ بِاَسۡمَآءِ ہٰۤؤُلَآءِ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۳۱﴾


📕কানযুল ঈমান


৩১. এবং আল্লাহ্‌ তা’আলা আদমকে যাবতীয় (বস্তুর) নাম শিক্ষা দিলেন অতঃপর সমুদয় (বস্তু) ফিরিশ্‌তাদের সামনে উপস্থাপন করে এরশাদ করলেন, ‘সত্যবাদী হলে এসব বস্তুর নাম বলো তো!’


📗ইরফানুল কুরআন


৩১. আর আল্লাহ্ আদম (আলাইহিস সালাম)-কে সকল (বস্তুর) নাম শিখিয়ে দিলেন, অতঃপর এগুলোকে ফেরেশতাদের সম্মুখে পেশ করলেন এবং বললেন, ‘আমাকে এ বস্তুসমূহের নাম বলো, যদি তোমরা (নিজেদের ধারণানুযায়ী) সত্যবাদী হও’।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৩২

قَالُوۡا سُبۡحٰنَکَ لَا عِلۡمَ لَنَاۤ اِلَّا مَا عَلَّمۡتَنَا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَلِیۡمُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۳۲﴾


📕কানযুল ঈমান


৩২. (তারা) বললো, ‘পবিত্রতা আপনারই, আমাদের কোন জ্ঞান নেই, কিন্তু (ততটুকুই) যতটুকু আপনি আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আপনিই জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।’


📗ইরফানুল কুরআন


৩২. ফেরেশতারা আরয করলো, ‘তোমার সত্তা (সকল অসম্পূর্ণতা থেকে) পূতঃপবিত্র, যা তুমি আমাদেরকে শিখিয়েছো তা ব্যতীত আমাদের কোনো জ্ঞান নেই। নিশ্চয়ই তুমিই (সকল কিছু) অবগত, প্রজ্ঞাবান।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৩৩

قَالَ یٰۤاٰدَمُ اَنۡۢبِئۡہُمۡ بِاَسۡمَآئِہِمۡ ۚ فَلَمَّاۤ اَنۡۢبَاَہُمۡ بِاَسۡمَآئِہِمۡ ۙ قَالَ اَلَمۡ اَقُلۡ لَّکُمۡ اِنِّیۡۤ  اَعۡلَمُ غَیۡبَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ۙ وَ اَعۡلَمُ مَا تُبۡدُوۡنَ وَ مَا کُنۡتُمۡ تَکۡتُمُوۡنَ ﴿۳۳﴾


📕কানযুল ঈমান


৩৩. তিনি এরশাদ করলেন, ‘হে আদম! বলে দাও তাদেরকে সমুদয় (বস্তুর) নাম।’ যখন তিনি (অর্থাৎ আদম) তাদেরকে সমুদয় বস্তুর নাম বলে দিলো, এরশাদ করলেন, ‘আমি কি (একথা) বলছিলাম না যে, আমি জানি আস্‌মানসমূহ এবং যমীনের সমস্ত গোপন (অদৃশ্য) বস্তু সম্পর্কে এবং আমি


📗ইরফানুল কুরআন


৩৩. আল্লাহ্ বললেন, ‘হে আদম! (এখন তুমি) তাদেরকে এ বস্তুগুলোর নাম জানিয়ে দাও’। অতঃপর যখন আদম (আলাইহিস সালাম) তাদেরকে ঐসব বস্তুর নাম জানিয়ে দিলেন, তখন (আল্লাহ্) বললেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, আমি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর (সকল) প্রকৃত গোপন বিষয়াদি জানি, আর তাও জানি যা তোমরা প্রকাশ করো এবং যা তোমরা গোপন করো?’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৩৪

وَ اِذۡ قُلۡنَا لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اسۡجُدُوۡا لِاٰدَمَ فَسَجَدُوۡۤا  اِلَّاۤ  اِبۡلِیۡسَ ؕ اَبٰی وَ اسۡتَکۡبَرَ ٭۫ وَ  کَانَ مِنَ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۳۴﴾


📕কানযুল ঈমান


৩৪. এবং (স্মরণ করুন!) যখন আমি ফিরিশ্‌তাদেরকে নির্দেশ দিলাম, ‘তোমরা আদমকে সাজদা করো।’ তখন সবাই সাজদা করেছিলো, ইবলীস ব্যতীত; সে অমান্যকারী হলো ও অহংকার করলো এবং কাফির হয়ে গেলো।


📗ইরফানুল কুরআন


৩৪. আর (স্মরণ করুন সে সময়ের কথাও) যখন আমরা ফেরেশতাগণকে বললাম, ‘আদম (আলাইহিস সালাম)-কে সেজদা করো’, তখন ইবলিশ ব্যতীত সবাই সেজদা করলো। সে অস্বীকার করলো এবং অহঙ্কার করলো, আর (ফলশ্রুতিতে) কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৩৫

وَ قُلۡنَا یٰۤاٰدَمُ اسۡکُنۡ اَنۡتَ وَ زَوۡجُکَ الۡجَنَّۃَ وَ کُلَا مِنۡہَا رَغَدًا حَیۡثُ شِئۡتُمَا ۪ وَ لَا تَقۡرَبَا ہٰذِہِ الشَّجَرَۃَ فَتَکُوۡنَا مِنَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۳۵﴾


📕কানযুল ঈমান


৩৫. এবং আমি এরশাদ করলাম, ‘হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী এই জান্নাতে অবস্থান করো এবং খাও এখানে কোন বাধা-বিঘ্ন ব্যাতিরেকেই, যেখানে তোমাদের মন চায়; কিন্তু এই গাছের নিকটে যেওনা! গেলে, (তোমরা) সীমা অতিক্রমকারীদের অন্তুর্ভূক্ত হয়ে যাবে।’


📗ইরফানুল কুরআন


৩৫. আর আমরা নির্দেশ দিলাম, ‘হে আদম! তুমি এবং তোমার স্ত্রী এ জান্নাতে বসবাস করো এবং তোমরা উভয়ে এ থেকে যা চাও, যেখান থেকে চাও, ভক্ষণ করো; তবে এ বৃক্ষের নিকটে যেও না, তাহলে সীমালঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৩৬

فَاَزَلَّہُمَا الشَّیۡطٰنُ عَنۡہَا فَاَخۡرَجَہُمَا مِمَّا کَانَا فِیۡہِ ۪ وَ قُلۡنَا اہۡبِطُوۡا بَعۡضُکُمۡ لِبَعۡضٍ عَدُوٌّ ۚ وَ لَکُمۡ فِی الۡاَرۡضِ مُسۡتَقَرٌّ  وَّ مَتَاعٌ اِلٰی  حِیۡنٍ ﴿۳۶﴾


📕কানযুল ঈমান


৩৬. অতঃপর শয়তান জান্নাত থেকে তাদের পদস্খলন ঘটালো এবং যেখানে ছিলো সেখান থেকে তাঁদেরকে আলাদা করে দিলো। আর আমি এরশাদ করলাম, ‘(তোমরা) নীচে নেমে যাও! তোমরা পরষ্পর পরষ্পরের শত্রু; এবং তোমাদেরকে একটা (নির্দ্ধারিত) সময়সীমা পর্যন্ত পৃথিবীতে অবস্থান ও 


📗ইরফানুল কুরআন


৩৬. অতঃপর শয়তান তাদেরকে এ স্থান থেকে সরিয়ে দিল এবং যেখানে তারা ছিল তাদেরকে এ (শান্তির) স্থান থেকে বের করে দিল। আর (পরিশেষে) আমরা নির্দেশ দিলাম, ‘নিচে নেমে যাও। তোমরা একে অপরের শত্রু হয়ে থাকবে। এখন তোমাদের জন্যে পৃথিবীতেই নির্ধারিত সময় পর্যন্ত বসবাসস্থল এবং জীবিকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৩৭

فَتَلَقّٰۤی اٰدَمُ مِنۡ رَّبِّہٖ کَلِمٰتٍ فَتَابَ عَلَیۡہِ ؕ اِنَّہٗ ہُوَ  التَّوَّابُ الرَّحِیۡمُ ﴿۳۷﴾


📕কানযুল ঈমান


৩৭. অতঃপর শিখে নিলেন আদম আপন রবের নিকট থেকে কিছু কলেমা (বাণী)। তখন আল্লাহ্‌ তা’আলা তাঁর তওবা কবুল করলেন। নিশ্চয় তিনিই অত্যন্ত তাওবা কবুলকারী, দয়ালু।


📗ইরফানুল কুরআন


৩৭. অতঃপর আদম (আলাইহিস সালাম) তাঁর প্রতিপালকের নিকট থেকে (অনুনয়-বিনয় ও অনুশোচনার) কিছু কালিমা শিখে নিলেন, সুতরাং আল্লাহ্ তাঁর তওবা কবুল করলেন। নিশ্চয়ই তিনিই অত্যধিক তওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৩৮

قُلۡنَا اہۡبِطُوۡا مِنۡہَا جَمِیۡعًا ۚ فَاِمَّا یَاۡتِیَنَّکُمۡ مِّنِّیۡ ہُدًی فَمَنۡ تَبِعَ ہُدَایَ فَلَا خَوۡفٌ عَلَیۡہِمۡ  وَ لَا ہُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ ﴿۳۸﴾


📕কানযুল ঈমান


৩৮.  আমি এরশাদ করলাম, ‘তোমরা সবাই জান্নাত থেকে নেমে যাও! অতঃপর পরে যদি তোমাদের নিকট আমার পক্ষ থেকে কোন হিদায়ত আসে, তবে যে ব্যক্তি আমার সেই হিদায়তের অনুসারী হবে, তার জন্য না কোন ভয়, (এবং) না কোন দুঃখ থাকবে।


📗ইরফানুল কুরআন


৩৮. আমরা বললাম, ‘তোমরা সকলে জান্নাত থেকে নেমে যাও। অতঃপর যদি তোমাদের নিকট আমার পক্ষ থেকে কোনো হেদায়াত পৌঁছে, তখন যে-ই আমার হেদায়াতের অনুসরণ করবে, সে না হবে ভীত, আর না হবে চিন্তাগ্রস্ত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৩৯

وَ الَّذِیۡنَ  کَفَرُوۡا وَ کَذَّبُوۡا بِاٰیٰتِنَاۤ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۳۹﴾


📕কানযুল ঈমান


৩৯. আর ওই সব লোক, যারা কুফর করবে এবং আমার নির্দশনগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে, তারা হলো দোযখবাসী, তাদেরকে সেখানেই সর্বদা থাকতে হবে।


📗ইরফানুল কুরআন


৩৯. আর যারা কুফরী করবে এবং আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করবে, তবে তারাই হবে জাহান্নামী, তারা চিরকাল সেখানেই থাকবে ।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৪০

یٰبَنِیۡۤ  اِسۡرَآءِیۡلَ اذۡکُرُوۡا نِعۡمَتِیَ الَّتِیۡۤ اَنۡعَمۡتُ عَلَیۡکُمۡ وَ اَوۡفُوۡا بِعَہۡدِیۡۤ اُوۡفِ بِعَہۡدِکُمۡ ۚ وَ اِیَّایَ فَارۡہَبُوۡنِ ﴿۴۰﴾


📕কানযুল ঈমান


৪০. হে ইয়া’কুবের বংশধরগণ! (তোমরা) স্মরণ করো আমার ঐ অনুগ্রহকে, যা আমি তোমাদের উপর করেছি এবং আমার অঙ্গীকার পূরণ করো। আমি ও তোমাদের অঙ্গীকার পূরণ করবো এবং বিশেষ করে, আমারই ভয় (অন্তরে) রাখো।


📗ইরফানুল কুরআন


৪০.  হে (বনী ইসরাঈল!) ইয়াকুবের সন্তানেরা! স্মরণ করো আমার অনুগ্রহের কথা, যা আমি তোমাদেরকে প্রদান করেছিলাম, আর পূর্ণ করো আমার (সাথে কৃত) অঙ্গীকার। আমি তোমাদের (সাথে কৃত) অঙ্গীকার পূর্ণ করবো। আর আমাকেই ভয় করো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৪১

وَ اٰمِنُوۡا بِمَاۤ اَنۡزَلۡتُ مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَکُمۡ وَ لَا تَکُوۡنُوۡۤا اَوَّلَ کَافِرٍۭ بِہٖ ۪ وَ لَا تَشۡتَرُوۡا بِاٰیٰتِیۡ ثَمَنًا قَلِیۡلًا ۫ وَّ اِیَّایَ فَاتَّقُوۡنِ ﴿۴۱﴾


📕কানযুল ঈমান


৪১. এবং (তোমরা) ঈমান আনো সেটার উপর, যা আমি অবতীর্ণ করেছি সেটারই সত্যায়ন-কারীরুপে যা তোমাদের সাথে আছে এবং সর্বপ্রথম সেটার অস্বীকারকারী হয়ো না। আর আমার আয়াতগুলোর বিনিময়ে স্বল্পমূল্য গ্রহণ করো না এবং শুধু আমাকেই ভয় করো।


📗ইরফানুল কুরআন


৪১. আর (এ কিতাব)-এর উপর ঈমান আনয়ন করো, যা আমি অবতীর্ণ করেছি (আমার রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের প্রতি, প্রকৃতপক্ষে) যা সত্যায়ন করে তার যা তোমাদের নিকট রয়েছে। আর তোমরাই সর্বপ্রথম এর অস্বীকারকারী হয়ো না এবং আমার আয়াতসমূহকে (পার্থিব) সামান্য মূল্যে বিক্রয় করো না। আর আমাকেই ভয় করতে থাকো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৪২

وَ لَا تَلۡبِسُوا الۡحَقَّ بِالۡبَاطِلِ وَ تَکۡتُمُوا الۡحَقَّ وَ اَنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۴۲﴾


📕কানযুল ঈমান


৪২. এবং সত্যের সাথে বাতিলকে মিশ্রিত করো না আর দেখে-জেনে সত্যকে গোপন করো না।


📗ইরফানুল কুরআন


৪২. আর মিথ্যার সাথে সত্যকে মিশ্রিত করো না এবং জেনেশুনে সত্য গোপন করো না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৪৩

وَ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ وَ ارۡکَعُوۡا مَعَ الرّٰکِعِیۡنَ ﴿۴۳﴾


📕কানযুল ঈমান


৪৩. এবং নামায কায়েম রাখো ও যাকাত দাও এবং যারা রুকু’ করে তাদের সাথে রুকু’ করো।


📗ইরফানুল কুরআন


৪৩. আর নামায কায়েম করো, যাকাত দাও এবং রুকুকারীদের সাথে (মিলিত হয়ে) রুকু করো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৪৪

اَتَاۡمُرُوۡنَ النَّاسَ بِالۡبِرِّ وَ تَنۡسَوۡنَ اَنۡفُسَکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ تَتۡلُوۡنَ الۡکِتٰبَ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۴۴﴾


📕কানযুল ঈমান


৪৪. তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দিচ্ছো এবং নিজেদের আত্মাগুলোকে ভুলে বসছো? অথচ তোমরা কিতাব পড়ছো। তবু ও কি তোমাদের বিবেক নেই?


📗ইরফানুল কুরআন


৪৪. তোমরা অপরাপর লোকদেরকে পূণ্যের নির্দেশ দাও আর নিজেদেরকে ভুলে যাও, অথচ তোমরাও (আল্লাহ্‌র) কিতাব পাঠ করো, সুতরাং তোমরা কি চিন্তা করো না?


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৪৫

وَ اسۡتَعِیۡنُوۡا بِالصَّبۡرِ وَ الصَّلٰوۃِ ؕ وَ اِنَّہَا لَکَبِیۡرَۃٌ اِلَّا عَلَی الۡخٰشِعِیۡنَ ﴿ۙ۴۵﴾


📕কানযুল ঈমান


৪৫. এবং ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। এবং নিশ্চয় নিশ্চয় নামায ভারী, কিন্তু তাদের জন্য (নয়), যারা আন্তরিকভাবে আমার প্রতি বিনীত হয়;


📗ইরফানুল কুরআন


৪৫. আর ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে (আল্লাহ্‌র নিকট) সাহায্য প্রার্থনা করো। আর নিশ্চয়ই এটি কঠিন, তবে (এরূপ) বিনয়ীদের জন্যে (কখনো) নয় (যাদের হৃদয় আল্লাহ্‌র ভালোবাসায় বিগলিত ও আল্লাহ্‌র ভয়ে ভীত)।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৪৬

الَّذِیۡنَ یَظُنُّوۡنَ اَنَّہُمۡ مُّلٰقُوۡا رَبِّہِمۡ وَ اَنَّہُمۡ  اِلَیۡہِ رٰجِعُوۡنَ ﴿۴۶﴾


📕কানযুল ঈমান


৪৬. যাদের অন্তরে এই দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে যে, তাদেরকে আপন রবের সাথে সাক্ষাৎ করতে হবে এবং তাঁরই দিকে যেতে হবে।


📗ইরফানুল কুরআন


৪৬. (তারা সেসব লোক) যারা বিশ্বাস রাখে যে, তারা তাদের প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাত করতে যাচ্ছে এবং তাঁরই নিকট তারা প্রত্যাবর্তন করবে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৪৭

یٰبَنِیۡۤ  اِسۡرَآءِیۡلَ اذۡکُرُوۡا نِعۡمَتِیَ الَّتِیۡۤ اَنۡعَمۡتُ عَلَیۡکُمۡ وَ اَنِّیۡ فَضَّلۡتُکُمۡ عَلَی الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۴۷﴾


📕কানযুল ঈমান


৪৭. হে ইয়া’কুবের বংশধরগণ! স্মরণ করো, আমার সেই অনুগ্রহকে যা আমি তোমাদের উপর করেছি। আর এ কথাও যে, আমি এই সমগ্র যুগের উপর তোমাদের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি।


📗ইরফানুল কুরআন


৪৭. হে (বনী ইসরাঈল!) ইয়াকুবের সন্তানেরা! স্মরণ করো আমার অনুগ্রহের কথা, যা আমি তোমাদেরকে প্রদান করেছিলাম, আরোও এ যে, আমি তোমাদেরকে (সে যুগে) সকল মানুষের উপর মর্যাদা দান করেছিলাম।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৪৮

وَ اتَّقُوۡا یَوۡمًا لَّا تَجۡزِیۡ نَفۡسٌ عَنۡ نَّفۡسٍ شَیۡئًا وَّ لَا یُقۡبَلُ مِنۡہَا شَفَاعَۃٌ وَّ لَا یُؤۡخَذُ مِنۡہَا عَدۡلٌ وَّ لَا ہُمۡ یُنۡصَرُوۡنَ ﴿۴۸﴾


📕কানযুল ঈমান


৪৮. এবং ভয় করো ঐ দিনকে, যেদিন কোন আত্মা অন্য কারো বিনিময় হতে পারবে না আর না কাফিরদের পক্ষে কোন সুপারিশ গ্রহণ করা হবে এবং না কোন কিছু নিয়ে (তার) আত্মাকে মুক্তি দেয়া হবে এবং না তারা কোন প্রকার সাহায্য পাবে।


📗ইরফানুল কুরআন


৪৮. আর সে দিনকে ভয় করো, যে দিন কেউ কারো সামান্যতম উপকার করতে পারবে না এবং তার পক্ষ থেকে (আল্লাহ্ তা’আলার অনুমতি ব্যতীত কারো) কোনো সুপারিশও গ্রহণ করা হবে না। আর তার পক্ষ থেকে (তাকে ছাড়িয়ে নিতে) কোনো বিনিময়ও নেয়া হবে না এবং (আল্লাহ্‌র নির্দেশের বিপরীতে) তাকে সাহায্যও করা হবে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৪৯

وَ اِذۡ نَجَّیۡنٰکُمۡ مِّنۡ اٰلِ فِرۡعَوۡنَ یَسُوۡمُوۡنَکُمۡ سُوۡٓءَ الۡعَذَابِ یُذَبِّحُوۡنَ اَبۡنَآءَکُمۡ وَ یَسۡتَحۡیُوۡنَ نِسَآءَکُمۡ ؕ وَ فِیۡ ذٰلِکُمۡ بَلَآ ءٌ  مِّنۡ رَّبِّکُمۡ عَظِیۡمٌ ﴿۴۹﴾


📕কানযুল ঈমান


৪৯. এবং (স্মরণ করো)! যখন আমি তোমাদেরকে ফিরআউনি সম্প্রদায় থেকে নিষ্কৃতি দান করেছি, যারা তোমাদেরকে মর্মান্তিক যন্ত্রণা দিতো; তোমাদের পুত্রদেরকে যবেহ করতো আর তোমাদের কন্যাদেরকে জীবিত রাখতো; এবং এর মধ্যে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে এক মহা ‘বালা’ ছিলো (অথবা মহা পুরষ্কার)।


📗ইরফানুল কুরআন


৪৯. আর (স্মরণ করো সে সময়ের কথা) যখন আমরা তোমাদেরকে উদ্ধার করেছিলাম ফেরাউনের সম্প্রদায় থেকে যারা তোমাদেরকে দুঃসহ কঠিন শাস্তি দিতো, তোমাদের পুত্রদেরকে যবাই করতো এবং তোমাদের কন্যাদেরকে জীবিত রেখে দিতো। আর এতে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে ছিল এক মহা (ভয়ানক) পরীক্ষা।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৫০

وَ اِذۡ فَرَقۡنَا بِکُمُ الۡبَحۡرَ فَاَنۡجَیۡنٰکُمۡ وَ اَغۡرَقۡنَاۤ  اٰلَ فِرۡعَوۡنَ وَ اَنۡتُمۡ تَنۡظُرُوۡنَ ﴿۵۰﴾


📕কানযুল ঈমান


৫০. এবং আমি যখন তোমাদের জন্য সাগরকে দ্বিধা-বিভক্ত (ফাঁক) করেছি, অতঃপর তোমাদেরকে রক্ষা করেছি। আর ফিরআউনি সম্প্রদায়কে তোমাদের চোখের সামনে ডুবিয়ে দিয়েছি।


📗ইরফানুল কুরআন


৫০. আর যখন আমরা তোমাদের (উদ্ধারের) জন্যে সাগরকে বিভক্ত করে দিলাম এবং তোমাদেরকে (এভাবে) উদ্ধার করলাম; আর (অপরদিকে) আমরা তোমাদের চোখের সম্মুখে ফেরাউনের সম্প্রদায়কে ডুবিয়ে দিলাম।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৫১

وَ اِذۡ وٰعَدۡنَا مُوۡسٰۤی اَرۡبَعِیۡنَ لَیۡلَۃً ثُمَّ اتَّخَذۡتُمُ الۡعِجۡلَ مِنۡۢ بَعۡدِہٖ وَ اَنۡتُمۡ ظٰلِمُوۡنَ ﴿۵۱﴾


📕কানযুল ঈমান


৫১. এবং যখন আমি মুসাকে চল্লিশ রাতের ওয়াদা দিয়েছি। অতঃপর তার পশ্চাতে (প্রস্থানের পর) তোমরা গো-বৎসের পূজা আরম্ভ করে দিয়েছিলে এবং তোমরা ছিলে অত্যাচারী।


📗ইরফানুল কুরআন


৫১. আর (স্মরণ করো সে সময়ের কথা) যখন আমরা মূসা (আলাইহিস সালাম)-এঁর সাথে অঙ্গীকার করেছিলাম চল্লিশ রাত্রির, অতঃপর তোমরা মূসা (আলাইহিস সালামের চল্লিশ দিনের ইতেকাফে গমন)-এর পর বাছুরকে (তোমাদের) উপাস্য বানিয়ে নিয়েছিলে। বস্তুত তোমরা ছিলে বড়ই যালিম।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৫২

ثُمَّ عَفَوۡنَا عَنۡکُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۵۲﴾


📕কানযুল ঈমান


৫২. অতঃপর, এ (ঘটনা)র পর আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি, যাতে তোমরা অনুগ্রহ স্বীকার করো।


📗ইরফানুল কুরআন


৫২. অতঃপর আমরা এরপর(ও) তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৫৩

وَ اِذۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسَی الۡکِتٰبَ وَ الۡفُرۡقَانَ لَعَلَّکُمۡ تَہۡتَدُوۡنَ ﴿۵۳﴾


📕কানযুল ঈমান


৫৩. এবং যখন আমি মুসাকে কিতাব এবং হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী দান করেছি, যাতে তোমরা সঠিক পথে এসে যাও।


📗ইরফানুল কুরআন


৫৩. আর যখন আমরা মূসা (আলাইহিস সালাম)-কে কিতাব ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী (মুজিযা) দান করলাম, যাতে তোমরা হেদায়াত লাভ করতে পারো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৫৪

وَ اِذۡ قَالَ مُوۡسٰی لِقَوۡمِہٖ یٰقَوۡمِ  اِنَّکُمۡ ظَلَمۡتُمۡ اَنۡفُسَکُمۡ بِاتِّخَاذِکُمُ الۡعِجۡلَ فَتُوۡبُوۡۤا اِلٰی بَارِئِکُمۡ فَاقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ  لَّکُمۡ عِنۡدَ بَارِئِکُمۡ ؕ فَتَابَ عَلَیۡکُمۡ ؕ اِنَّہٗ ہُوَ التَّوَّابُ الرَّحِیۡمُ ﴿۵۴﴾


📕কানযুল ঈমান


৫৪. এবং যখন মুসা স্বীয় সম্প্রদায়ের লোকদেরকে বলল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা গো-বাছুর তৈরী করে নিজেদের আত্মার উপর অবিচার করেছো। সুতরাং তোমরা আপন সৃষ্টিকর্তার দিকে ফিরে এসো। অতঃপর তোমরা একে অপরকে হত্যা করো। এটা তোমাদের স্রষ্টার নিকট তোমাদের জন্য শ্রেয়।’ অতঃপর তিনি তোমাদের তওবা কবুল করলেন। নিশ্চয় তিনিই হলেন অত্যন্ত তওবা কবুলকারী, দয়ালু।


📗ইরফানুল কুরআন


৫৪. আর যখন মূসা (আলাইহিস সালাম) তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়! নিশ্চয়ই তোমরা গোবৎসকে (নিজেদের উপাস্যরূপে) গ্রহণ করে নিজেদের প্রতি (মহা) অন্যায় করেছো। সুতরাং এখন তোমরা তোমাদের (প্রকৃত প্রতিপালক) সৃষ্টিকর্তার সমীপে তওবা করো। অতঃপর (পরস্পরে) নিজ নিজ প্রাণ বিসর্জন দাও (যারা গোবৎসের উপাসনা করেনি এবং নিজের দ্বীনের উপর অবিচল ছিল তারা যেন গোবৎসের উপাসনাকারী, দ্বীন থেকে প্রত্যাখ্যাতদেরকে শাস্তিস্বরূপ হত্যা করে)। এটাই তোমাদের জন্যে তোমাদের সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে উৎকৃষ্ট (তওবা)।’ অতঃপর তিনি তোমাদের তওবা কবুল করলেন। অবশ্যই তিনি বড়ই তওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৫৫

وَ اِذۡ قُلۡتُمۡ یٰمُوۡسٰی لَنۡ نُّؤۡمِنَ لَکَ حَتّٰی نَرَی اللّٰہَ جَہۡرَۃً فَاَخَذَتۡکُمُ الصّٰعِقَۃُ وَ اَنۡتُمۡ تَنۡظُرُوۡنَ ﴿۵۵﴾


📕কানযুল ঈমান


৫৫. এবং যখন তোমরা বলেছিলে, ‘হে মুসা! আমরা কখনো আপনার কথা বিশ্বাস করবো না যতক্ষণ না আমরা আল্লাহ্‌কে প্রকাশ্যভাবে দেখে নিই।’ তখন তোমাদেরকে বজ্রাঘাত পেয়ে বসলো আর তোমরা দেখতে পাচ্ছিলে।


📗ইরফানুল কুরআন


৫৫. আর যখন তোমরা বললে, ‘হে মূসা! আমরা আপনার উপর কখনো ঈমান আনয়ন করবো না, যতক্ষণ না আমরা আল্লাহ্কে (চাক্ষুষ) প্রত্যক্ষ করি।’ অতঃপর (এ কারণে) তোমাদেরকে বজ্রধ্বণি এসে গ্রাস করলো (যা তোমাদের মৃত্যুর কারণে পরিণত হলো)। আর তোমরা (নিজেরা এ দৃশ্য) প্রত্যক্ষ করছিলে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৫৬

ثُمَّ بَعَثۡنٰکُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ مَوۡتِکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۵۶﴾


📕কানযুল ঈমান


৫৬. অতঃপর তোমাদেরকে মৃত্যুর পর আমি পূনর্জীবিত করেছি, যাতে তোমরা অনুগ্রহ স্বীকার করো।


📗ইরফানুল কুরআন


৫৬. অতঃপর আমরা মৃত্যুর পর তোমাদেরকে পুনর্জীবিত করলাম, যাতে তোমরা (আমাদের প্রতি) কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৫৭

وَ ظَلَّلۡنَا عَلَیۡکُمُ الۡغَمَامَ وَ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡکُمُ الۡمَنَّ وَ السَّلۡوٰی ؕ کُلُوۡا مِنۡ طَیِّبٰتِ مَا رَزَقۡنٰکُمۡ ؕ وَ مَا ظَلَمُوۡنَا وَ لٰکِنۡ کَانُوۡۤا اَنۡفُسَہُمۡ یَظۡلِمُوۡنَ ﴿۵۷﴾


📕কানযুল ঈমান


৫৭. এবং আমি তোমাদের উপর মেঘকে ছাউনি করেছি আর তোমাদের প্রতি ‘মান্ন্‌’ ও ‘সাল্‌ওয়া’ অবতরণ করেছি। খাও, আমার প্রদত্ত পবিত্র (হালাল) বস্তুগুলো। এবং তারা আমার কোন ক্ষতি করেনি; হাঁ, তবে তারা নিজেদের আত্মারই ক্ষতি সাধন করেছিলো।


📗ইরফানুল কুরআন


৫৭. আর (স্মরণ করো) যখন আমরা তোমাদের উপর (তিহা উপত্যকায়) মেঘের ছায়া সন্নিবেশ করেছিলাম এবং তোমাদের নিকট ‘মান্না’ এবং ‘সালওয়া’ প্রেরণ করেছিলাম, যাতে তোমরা আমাদের দেয়া উত্তম বস্তু থেকে ভক্ষণ করো। সুতরাং তারা (নাফরমানী ও অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে) আমাদের কোনো ক্ষতি করেনি, বরং তারা নিজেদের প্রতিই যুলুম করেছিল।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৫৮

وَ  اِذۡ قُلۡنَا ادۡخُلُوۡا ہٰذِہِ الۡقَرۡیَۃَ فَکُلُوۡا مِنۡہَا حَیۡثُ شِئۡتُمۡ رَغَدًا وَّ ادۡخُلُوا الۡبَابَ سُجَّدًا وَّ قُوۡلُوۡا حِطَّۃٌ نَّغۡفِرۡ لَکُمۡ خَطٰیٰکُمۡ ؕ وَ سَنَزِیۡدُ الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۵۸﴾


📕কানযুল ঈমান


৫৮. এবং যখন আমি বললাম, ‘এ লোকালয়ে প্রবেশ করো। অতঃপর তাতে যেখানে ইচ্ছা কোন প্রকার বাধা-বিপত্তি ছাড়াই আহার করো এবং ‘দরজা’ দিয়ে সাজদারত অবস্থায় প্রবেশ করো আর বলো, ‘আমাদের গুনাহের ক্ষমা হোক!’ আমি তোমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেবো এবং অনতিবিলম্বে আমি নেককার লোকদেরকে আরো বেশী দেবো।’


📗ইরফানুল কুরআন


৫৮. আর (স্মরণ করো) যখন আমরা বললাম, ‘এ শহরে প্রবেশ করো এবং তাতে যেখান থেকে ইচ্ছা, প্রাণভরে স্বাচ্ছন্দে আহার করো; আর (শহরের)  প্রবেশদ্বারে সেজদাবনত অবস্থায় প্রবেশ করো এবং বলো, ‘(হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের সকল ত্রুটির জন্যে) ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ (তখন) আমরা তোমাদের (অতীতের) ত্রুটিসমূহ ক্ষমা করে দেবো এবং (এ ছাড়া) সৎকর্মশীলদের প্রতি অধিক (করুণা ও দয়ার মাধ্যমে) অনুগ্রহ করবো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৫৯

فَبَدَّلَ الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا قَوۡلًا غَیۡرَ الَّذِیۡ قِیۡلَ لَہُمۡ فَاَنۡزَلۡنَا عَلَی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا رِجۡزًا مِّنَ السَّمَآءِ بِمَا کَانُوۡا یَفۡسُقُوۡنَ ﴿۵۹﴾


📕কানযুল ঈমান


৫৯. অতঃপর যালিমগণ যা তাদেরকে বলা হয়েছিলো তা ব্যতীত অন্য বাক্য বদলে দিল, তারপর আমি আস্‌মান থেকে তাদের উপর আযাব নাযিল করেছি তাদের আদেশ অমান্য করার প্রতিফল স্বরুপ।


📗ইরফানুল কুরআন


৫৯. অতঃপর তাদেরকে যা বলা হয়েছিল (এ) যালিমেরা তা অন্য কথার দ্বারা পরিবর্তন করে ফেললো। সুতরাং আমরা (এ) যালিমদের উপর আকাশ থেকে (মহামারীর আকারে) চরম দুর্দশা প্রেরণ করলাম; কারণ তারা (ক্রমাগতভাবে) নির্দেশ অমান্য করছিল।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৬০

وَ اِذِ اسۡتَسۡقٰی مُوۡسٰی لِقَوۡمِہٖ فَقُلۡنَا اضۡرِبۡ بِّعَصَاکَ الۡحَجَرَ ؕ فَانۡفَجَرَتۡ مِنۡہُ اثۡنَتَاعَشۡرَۃَ عَیۡنًا ؕ قَدۡ عَلِمَ کُلُّ اُنَاسٍ مَّشۡرَبَہُمۡ ؕ کُلُوۡا وَ اشۡرَبُوۡا مِنۡ رِّزۡقِ اللّٰہِ وَ لَا تَعۡثَوۡا فِی الۡاَرۡضِ مُفۡسِدِیۡنَ ﴿۶۰﴾ 


📕কানযুল ঈমান


৬০. এবং যখন মুসা নিজ সম্প্রদায়ের জন্য পানি প্রার্থনা করলো তখন আমি বললাম, ‘এ পাথরের উপর তোমার লাঠি দ্বারা আঘাত করো।’ তৎক্ষণাৎ এর ভিতর থেকে বারটি প্রস্রবণ প্রবাহিত হলো। প্রত্যেক গোত্র নিজ নিজ ঘাট (পান-স্থান) চিনে নিলো। (তোমরা) খাও এবং পান করো খোদা প্রদত্ত রিযক্ব এবং পৃথিবীতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে বেড়িয়ো না।


📗ইরফানুল কুরআন


৬০. আর (স্মরণ করুন সে সময়ের কথা) যখন মূসা (আলাইহিস সালাম) তাঁর সম্প্রদায়ের জন্যে পানি প্রার্থনা করলেন, তখন আমরা বললাম, ‘তোমার লাঠি দ্বারা পাথরে আঘাত করো’। অতঃপর এ (পাথর) থেকে বারোটি ঝরনা প্রবাহিত হলো। প্রকৃতপক্ষে প্রত্যেক দল নিজ নিজ পান করার স্থান চিহ্নিত করলো। (আমরা বললাম) ‘আল্লাহ্‌র (দেয়া) রিযিক থেকে খাও এবং পান করো, তবে পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়িও না’।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৬১

وَ  اِذۡ قُلۡتُمۡ یٰمُوۡسٰی لَنۡ نَّصۡبِرَ عَلٰی طَعَامٍ وَّاحِدٍ فَادۡعُ لَنَا رَبَّکَ یُخۡرِجۡ لَنَا مِمَّا تُنۡۢبِتُ الۡاَرۡضُ مِنۡۢ بَقۡلِہَا وَ قِثَّآئِہَا وَ فُوۡمِہَا وَ عَدَسِہَا وَ بَصَلِہَا ؕ قَالَ اَتَسۡتَبۡدِلُوۡنَ الَّذِیۡ ہُوَ اَدۡنٰی بِالَّذِیۡ ہُوَ خَیۡرٌ ؕ اِہۡبِطُوۡا مِصۡرًا فَاِنَّ لَکُمۡ مَّا سَاَلۡتُمۡ  ؕ وَ ضُرِبَتۡ عَلَیۡہِمُ الذِّلَّۃُ  وَ الۡمَسۡکَنَۃُ ٭ وَ بَآءُوۡ بِغَضَبٍ مِّنَ اللّٰہِ ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ کَانُوۡا یَکۡفُرُوۡنَ بِاٰیٰتِ اللّٰہِ وَ یَقۡتُلُوۡنَ النَّبِیّٖنَ بِغَیۡرِ الۡحَقِّ ؕ ذٰلِکَ بِمَا عَصَوۡا وَّ کَانُوۡا یَعۡتَدُوۡنَ ﴿۶۱﴾


📕কানযুল ঈমান


৬১. এবং যখন তোমরা বলেছো, ‘হে মুসা! একই খাদ্যের উপর তো আমাদের কখনো ধৈর্য হবে না। সুতরাং আপনি স্বীয় রবের নিকট দো’আ করুন যেন (তিনি) জমির উৎপন্ন দ্রব্য আমাদের জন্য উৎপাদন করেন-কিছু শাক-সব্জী, কাকুড়, গম, মসুর এবং পেঁয়াজ।’ এরশাদ ফরমালেন, ‘(তোমরা) কি নিকৃষ্টতর বস্তুকে উৎকৃষ্টতর বস্তুর পরিবর্তে চাচ্ছো? আচ্ছা! মিশর অথবা কোন এক শহরে অবতরণ করো! সেখানে তোমরা পাবে যা তোমরা চেয়েছো।’ এবং তাদের উপর অবধারিত করে দেয়া হলো লাঞ্ছনা ও দারিদ্র এবং (তারা) আল্লাহ্‌র ক্রোধের প্রতি ধাবিত হলো। এটা পরিণতি ছিলো এ কথারই যে, তারা আল্লাহ্‌র আয়াতগুলোকে অস্বীকার করতো এবং নবীগণকে অন্যায়ভাবে শহীদ করতো; এটা পরিণতি ছিলো তাদের অবাধ্যতাগুলো ও সীমালংঘনের।


📗ইরফানুল কুরআন


৬১. আর যখন তোমরা বললে, ‘হে মূসা! আমরা কেবল (মান্না ও সালওয়ার মতো) এক খাবারে কখনো ধৈর্য ধারণ করতে পারি না, সুতরাং আপনি আপনার প্রতিপালকের নিকট (আমাদের অনুকূলে) প্রার্থনা করুন যাতে তিনি আমাদের জন্যে ভূমি থেকে উদ্গত বস্তুসমূহ থেকে সবজি, শসা, গম, রসূন, ডাল ও পিঁয়াজ উৎপন্ন করে দেন। (মূসা আলাইহিস সালাম স্বীয় সম্প্রদায়কে) বললেন, ‘তোমরা কি উত্তম বস্তুর পরিবর্তে এমন বস্তু কামনা করছো যা তুচ্ছ? (যদি তোমাদের বাসনা এটিই হয়, তবে) কোনোও শহরে গিয়ে অবতরণ করো, অবশ্যই (সেখানে) তোমাদের জন্যে এমন কিছু (সহজলভ্য) হবে, যা তোমরা কামনা করছো।’ তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হলো অপমান ও অভাব এবং তারা আল্লাহ্‌র ক্রোধে প্রত্যাবর্তন করলো; তা এ কারণে (হয়েছিল) যে, তারা আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহকে অস্বীকার করতো, আর নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করতো; আর তা এ কারণেও (হয়েছিল) যে, তারা নাফরমানী করতো এবং (সর্বদা) সীমালঙ্ঘন করতো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৬২

اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ الَّذِیۡنَ ہَادُوۡا وَ النَّصٰرٰی وَ الصّٰبِئِیۡنَ مَنۡ اٰمَنَ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ عَمِلَ صَالِحًا فَلَہُمۡ اَجۡرُہُمۡ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ ۪ۚ وَ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا ہُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ ﴿۶۲﴾


📕কানযুল ঈমান


৬২. নিশ্চয় ঈমানদারগণ, অনুরুপভাবে ইহুদী, খৃষ্টান ও তারকা-পূজারীদের মধ্যে যারা সত্য অন্তরে আল্লাহ্‌ ও শেষ দিনের উপর ঈমান এনেছে আর সৎ কাজ করে, তাদের প্রতিদান তাদের রবের নিকট রয়েছে এবং তাদের জন্য না কোন ভয়-ভীতি আছে, না কোন প্রকার দুঃখ।


📗ইরফানুল কুরআন


৬২. নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনয়ন করেছে, যারা ছিল ইহুদী, খ্রিস্টান এবং সাবী (তাদের মধ্যে) যারা(ই) আল্লাহ্ এবং শেষ দিবসে বিশ্বাস রেখেছে এবং উত্তম আমল করেছে, তবে তাদের জন্যে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে রয়েছে প্রতিদান। তাদের না থাকবে কোনো ভয়, আর তারা না হবে চিন্তিত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৬৩

وَ اِذۡ اَخَذۡنَا مِیۡثَاقَکُمۡ وَ رَفَعۡنَا فَوۡقَکُمُ الطُّوۡرَ ؕ خُذُوۡا مَاۤ اٰتَیۡنٰکُمۡ بِقُوَّۃٍ وَّ اذۡکُرُوۡا مَا فِیۡہِ لَعَلَّکُمۡ تَتَّقُوۡنَ ﴿۶۳﴾


📕কানযুল ঈমান


৬৩. এবং যখন আমি তোমাদের থেকে দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়েছি এবং তোমাদের উপর ‘তূর’ (পাহাড়) তুলে ধরেছি; ‘গ্রহণ করে নাও যা কিছু আমি তোমাদেরকে প্রদান করেছি, শক্তভাবে এবং এর সারমর্মগুলো স্মরণ করো, এ আশায় যে, তোমাদের পরহেযগারী (খোদাভীতি) অর্জিত হবে।’


📗ইরফানুল কুরআন


৬৩. আর (স্মরণ করো) যখন আমরা তোমাদের থেকে দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়েছিলাম এবং তোমাদের উপর তূরকে তুলে ধরেছিলাম, যাতে যা কিছু আমরা তোমাদেরকে দিয়েছি তা মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরে থাকো, আর যা কিছু এতে (এ তাওরাতে লিখিত) রয়েছে তা স্মরণে রাখো, যাতে তোমরা পরহেযগার হও।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৬৪

ثُمَّ تَوَلَّیۡتُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ ۚ فَلَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ وَ رَحۡمَتُہٗ لَکُنۡتُمۡ مِّنَ  الۡخٰسِرِیۡنَ ﴿۶۴﴾


📕কানযুল ঈমান


৬৪. অতঃপর, এর পরে তোমরা ফিরে গেছো। তারপর যদি আল্লাহ্‌র কৃপা এবং তাঁর রহমত তোমাদের উপর না হতো, তবে তোমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যেত।


📗ইরফানুল কুরআন


৬৪. অতঃপর এরপরও (অর্থাৎ এ অঙ্গীকার ও সতর্কতার পরও) তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিলে। সুতরাং যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ এবং তাঁর রহমত না হতো, তবে তোমরা অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যেতে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৬৫

وَ لَقَدۡ عَلِمۡتُمُ  الَّذِیۡنَ اعۡتَدَوۡا مِنۡکُمۡ فِی السَّبۡتِ فَقُلۡنَا لَہُمۡ کُوۡنُوۡا قِرَدَۃً خٰسِئِیۡنَ ﴿ۚ۶۵﴾


📕কানযুল ঈমান


৬৫. এবং নিশ্চয় নিশ্চয় তোমাদের জানা আছে- তোমাদের মধ্যকার ওই সব লোক সম্পর্কে, যারা শনিবারে সীমা লংঘন করেছে। অতঃপর আমি তাদের উদ্দেশ্যে বললাম, ‘(তোমরা) হয়ে যাও ধিকৃত বানর!’ 


📗ইরফানুল কুরআন


৬৫. আর (হে ইহুদীরা!) তোমরা অবশ্যই তাদের ব্যাপারে অবগত যারা তোমাদের মধ্যে সপ্তাহের দিন (শনিবারের বিধানের ব্যাপারে) অবাধ্য হয়েছিলে। তখন আমরা তাদেরকে বললাম, ‘তোমরা বিতাড়িত ও ঘৃণিত বানরে পরিণত হও’।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৬৬

فَجَعَلۡنٰہَا نَکَالًا لِّمَا بَیۡنَ یَدَیۡہَا وَ مَا خَلۡفَہَا وَ مَوۡعِظَۃً  لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۶۶﴾


📕কানযুল ঈমান


৬৬. অতঃপর আমি (ঐ বস্তির) এ ঘটনাকে এর পূর্ব ও পরবর্তীদের জন্য (শিক্ষণীয়) দৃষ্টান্ত করেছি এবং পরহেযগারদের জন্য উপদেশ।


📗ইরফানুল কুরআন


৬৬. অতঃপর আমরা এ ঘটনাকে তৎকালীন এবং তাদের পরবর্তী যুগের লোকদের জন্যে করেছি সাবধান বাণী (-এর উপলক্ষ) এবং পরহেযগারদের জন্যে উপদেশ (-এর উৎস)।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৬৭

وَ اِذۡ قَالَ مُوۡسٰی لِقَوۡمِہٖۤ  اِنَّ اللّٰہَ یَاۡمُرُکُمۡ اَنۡ تَذۡبَحُوۡا بَقَرَۃً ؕ قَالُوۡۤا اَتَتَّخِذُنَا ہُزُوًا ؕ قَالَ اَعُوۡذُ بِاللّٰہِ اَنۡ اَکُوۡنَ مِنَ  الۡجٰہِلِیۡنَ ﴿۶۷﴾ 


📕কানযুল ঈমান


৬৭. এবং যখন মুসা আপন সম্প্রদায়কে বলেছিলেন, ‘খোদা তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন- তোমরা একটা গরু যবেহ করো।’ বললো, ‘আপনি কি আমাদেরকে ঠাট্টার পাত্র বানাচ্ছেন?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহ্‌র শরণ (এ থেকে) যে, আমি অজ্ঞদের অন্তর্ভূক্ত হই!’


📗ইরফানুল কুরআন


৬৭. আর (স্মরণ করুন সে ঘটনাও) যখন মূসা (আলাইহিস সালাম) তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ্ তোমাদেরকে একটি গাভী জবাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন’। (তখন) তারা বললো, ‘আপনি কি আমাদেরকে ঠাট্টার বস্তু বানাচ্ছেন?’ মূসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আমি আল্লাহ্‌র আশ্রয় প্রার্থনা করছি’।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৬৮

قَالُوا ادۡعُ لَنَا رَبَّکَ یُبَیِّنۡ لَّنَا مَا ہِیَ ؕ قَالَ  اِنَّہٗ یَقُوۡلُ  اِنَّہَا بَقَرَۃٌ لَّا فَارِضٌ وَّ لَا بِکۡرٌ ؕ عَوَانٌۢ بَیۡنَ ذٰلِکَ ؕ فَافۡعَلُوۡا مَا تُؤۡمَرُوۡنَ ﴿۶۸﴾


📕কানযুল ঈমান


৬৮. (তারা) বললো, ‘আপন রবের নিকট প্রার্থনা করুন যেন তিনি আমাদেরকে বলে দেন- গরুটা কেমন!’ তিনি (হযরত মুসা) বললেন, তিনি (আল্লাহ্‌) এরশাদ করেছেন- সেটা এমন এক গাভী, যা না বৃদ্ধ, না অল্প বয়স্কা; বরং উভয়ের মাঝামাঝি (বয়সের)। সুতরাং পালন করো, তোমাদের প্রতি যা করার নির্দেশ হচ্ছে।’


📗ইরফানুল কুরআন


৬৮. (তখন) তারা বললো, ‘আপনি আমাদের জন্যে আপনার প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা করুন, তিনি যেন আমাদেরকে সুস্পষ্ট করে দেন, (সে) গাভীটি কী প্রকারের হবে!’ (মূসা আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘নিশ্চয়ই তিনি বলেছেন, ‘গাভীটি না বৃদ্ধ হবে, আর না একেবারে কম বয়স্ক (বকনা বাছুর), বরং মধ্য বয়সের (পূর্ণতাপ্রাপ্ত)। সুতরাং এখন তার বাস্তবায়ন করো, যা তোমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৬৯

قَالُوا ادۡعُ لَنَا رَبَّکَ یُبَیِّنۡ لَّنَا مَا لَوۡنُہَا ؕ قَالَ  اِنَّہٗ یَقُوۡلُ  اِنَّہَا بَقَرَۃٌ صَفۡرَآءُ ۙ فَاقِعٌ لَّوۡنُہَا تَسُرُّ النّٰظِرِیۡنَ ﴿۶۹﴾


📕কানযুল ঈমান


৬৯. (তারা) বললো, ‘আপনি আপন রবের নিকট প্রার্থনা করুন যেন (তিনি) আমাদেরকে বলে দেন- এর রং কিরুপ হবে।’ (হযরত মুসা) বললেন, ‘তিনি (আল্লাহ্‌ পাক) এরশাদ করেছেন- তা একটা হলুদ বর্ণের গাভী, যার রং হবে গাঢ় উজ্জ্বল (চমকিত), (যা) দর্শকদেরকে আনন্দ দেয়।’


📗ইরফানুল কুরআন


৬৯. তারা (আবার) বললো, ‘আপনার প্রতিপালকের নিকট আমাদের জন্যে প্রার্থনা করুন, তিনি যেন আমাদেরকে সুস্পষ্ট করে দেন, এর রঙ কেমন হবে।’ (মূসা আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘তিনি বলেছেন যে, সে গাভীটি হতে হবে হলুদ বর্ণের, খুব গাঢ় রঙের (দৃষ্টিনন্দন) যা দর্শকদের মুগ্ধ করে।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৭০

قَالُوا ادۡعُ لَنَا رَبَّکَ یُبَیِّنۡ لَّنَا مَا ہِیَ ۙ اِنَّ الۡبَقَرَ تَشٰبَہَ عَلَیۡنَا ؕ وَ  اِنَّاۤ اِنۡ شَآءَ  اللّٰہُ  لَمُہۡتَدُوۡنَ ﴿۷۰﴾


📕কানযুল ঈমান


৭০. (তারা) বললো, ‘আপন রবের নিকট প্রার্থনা করুন যেন তিনি আমাদেরকে স্পষ্পভাবে জানিয়ে দেন, সেই গাভীটা কেমন! নিশ্চয় গাভীগুলো সম্পর্কে আমাদের সন্দেহ হয়ে গেছে এবং আল্লাহ্‌ যদি চান, তবে আমরা দিশা পেয়ে যাবো।’


📗ইরফানুল কুরআন


৭০. (এ সময়ে) তারা বললো, ‘আপনি আমাদের জন্যে আপনার প্রতিপালকের নিকট আবেদন করুন, তিনি যেন আমাদেরকে সুস্পষ্ট করেন যে, এটি কেমন গাভী? (কেননা) আমাদের নিকট গাভীটি সন্দেহপূর্ণ মনে হচ্ছে। আর যদি আল্লাহ্ চান তবে আমরা অবশ্যই দিশা পাবো।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৭১

قَالَ اِنَّہٗ یَقُوۡلُ  اِنَّہَا بَقَرَۃٌ لَّا ذَلُوۡلٌ تُثِیۡرُ الۡاَرۡضَ وَ لَا تَسۡقِی الۡحَرۡثَ ۚ مُسَلَّمَۃٌ لَّا شِیَۃَ فِیۡہَا ؕ قَالُوا الۡـٰٔنَ جِئۡتَ بِالۡحَقِّ ؕ فَذَبَحُوۡہَا وَ مَا کَادُوۡا یَفۡعَلُوۡنَ ﴿۷۱﴾ 


📕কানযুল ঈমান


৭১. (হযরত মুসা) বললেন, ‘তিনি (আল্লাহ্‌) এরশাদ করেছেন, তা এমন একটা গাভী, যা দ্বারা কোন খিদমত নেয়া হয় না, না সেটা জমি কর্ষণ করে, না ক্ষেতে পানি সেচন করে, নিখুঁত- যাতে কোন প্রকার দাগ নেই।’ (তারা) বললো, ‘এখনই আপনি সঠিক বর্ণনা এনেছেন।’ অতঃপর তারা তা যবেহ করেছিলো এবং তারা যে যবেহ করবে তা বুঝা যাচ্ছিলো না। 


📗ইরফানুল কুরআন


৭১. (মূসা আলাইহিস সালাম বললেন,) ‘আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন (সেটি অতি সাধারণ মানের কোনো গাভী হবে না, বরং) নিশ্চিতভাবে এমন (উন্নতমানের) গাভী, যা কখনো জমিতে হাল-চাষে এবং শস্যক্ষেতে পানিসেচের কাজে ব্যবহৃত হয়নি; সম্পূর্ণরূপে সুস্থ-নিঁখুত।’ তারা বললো, ‘এবার আপনি সঠিক বিষয় নিয়ে এসেছেন’। অতঃপর তারা এটি জবাই করলো, অথচ তারা যে জবাই করবে এরকম মনেই হচ্ছিল না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৭২

وَ اِذۡ قَتَلۡتُمۡ نَفۡسًا فَادّٰرَءۡتُمۡ فِیۡہَا ؕ وَ اللّٰہُ مُخۡرِجٌ مَّا کُنۡتُمۡ تَکۡتُمُوۡنَ ﴿ۚ۷۲﴾


📕কানযুল ঈমান


৭২. এবং যখন তোমরা একটা খুন সংঘটিত করেছো, তখন একে অন্যের প্রতি এর অপবাদ চাপিয়ে দিচ্ছিলে এবং আল্লাহ্‌র প্রকাশ করে দেয়ার ছিলো যা তোমরা গোপন করছিলে।


📗ইরফানুল কুরআন


৭২.  আর যখন তোমরা এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে, পরে পরস্পরে এ (দোষারোপের) কারণে বাদানুবাদ শুরু করলে, তখন আল্লাহ্ (তা) প্রকাশ করে দিলেন যা তোমরা গোপন করছিলে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৭৩

فَقُلۡنَا اضۡرِبُوۡہُ بِبَعۡضِہَا ؕ کَذٰلِکَ یُحۡیِ اللّٰہُ  الۡمَوۡتٰی ۙ وَ یُرِیۡکُمۡ اٰیٰتِہٖ لَعَلَّکُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۷۳﴾


📕কানযুল ঈমান


৭৩. অতঃপর আমি বললাম, ‘এ নিহত ব্যক্তির গায়ে ওই গাভীর একটা টুকরো নিক্ষেপ করো।’ আল্লাহ্‌ এভাবেই মৃতকে জীবিত করবেন এবং তোমাদেরকে আপন (কুদরতের) নিদর্শনসমূহ দেখাচ্ছেন, যাতে তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।


📗ইরফানুল কুরআন


৭৩. অতঃপর আমরা নির্দেশ দিলাম, ‘এ (গরুর) একটি অংশ দ্বারা একে (এ মৃত ব্যক্তিকে) আঘাত করো। এভাবেই আল্লাহ্ মৃতকে জীবিত করেন (অথবা কিয়ামতের দিন মৃতদেরকে জীবিত করবেন) এবং তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান, যাতে তোমরা বিবেক ও বুদ্ধি দ্বারা কার্য সম্পাদন করো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৭৪

ثُمَّ قَسَتۡ قُلُوۡبُکُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِکَ فَہِیَ کَالۡحِجَارَۃِ اَوۡ اَشَدُّ قَسۡوَۃً ؕ وَ  اِنَّ مِنَ الۡحِجَارَۃِ لَمَا یَتَفَجَّرُ  مِنۡہُ الۡاَنۡہٰرُ ؕ وَ اِنَّ مِنۡہَا لَمَا یَشَّقَّقُ فَیَخۡرُجُ مِنۡہُ الۡمَآءُ ؕ وَ اِنَّ مِنۡہَا لَمَا یَہۡبِطُ مِنۡ خَشۡیَۃِ اللّٰہِ  ؕوَ مَا اللّٰہُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۷۴﴾


📕কানযুল ঈমান


৭৪. অতঃপর, এরপর তোমাদের হৃদয় কঠিন হয়ে গেলো। তখন তা পাথরসমূহে ন্যায় হয়; বরং তদপেক্ষাও কঠিনতর এবং পাথরগুলোর মধ্যে তো কিছু এমনও আছে, যেগুলো থেকে নদীসমূহ প্রবাহিত হয় এবং কতেক এমনও রয়েছে, যেগুলো ফেটে যায়- তখন সেগুলো থেকে পানি নির্গত হয়; এবং কতেক এমনও আছে, যেগুলো আল্লাহ্‌র ভয়ে গড়িয়ে পড়ে। এবং আল্লাহ্‌ তোমাদের কৃতকর্মগুলো সম্পর্কে অনবগত নন।


📗ইরফানুল কুরআন


৭৪. অতঃপর, এরপর(ও) তোমাদের হৃদয় কঠিন হয়ে গেল, (কঠোরতায়) পাথর কিংবা এর চেয়েও কঠিনতর (হয়ে গেল)। নিশ্চয় পাথরের মাঝেও (তো) এমন কিছু রয়েছে যা থেকে স্রোতধারা প্রবাহিত হয় এবং এদের মাঝে এমন কিছু (পাথর)ও রয়েছে যা বিদীর্ণ হয়ে তা থেকে পানি নির্গত হয়। আর অবশ্যই এদের মাঝে কিছু এমনও রয়েছে যা আল্লাহ্‌র ভয়ে ধ্বসে পড়ে। (আফসোস! তোমাদের অন্তরে এমন পরিমাণ নম্রতা, কোমলতা ও কাতরতাও বিদ্যমান নেই।) আর আল্লাহ্ তোমাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অনবহিত নন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৭৫

اَفَتَطۡمَعُوۡنَ اَنۡ یُّؤۡمِنُوۡا لَکُمۡ وَ قَدۡ کَانَ فَرِیۡقٌ مِّنۡہُمۡ یَسۡمَعُوۡنَ کَلٰمَ اللّٰہِ ثُمَّ یُحَرِّفُوۡنَہٗ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا عَقَلُوۡہُ وَ ہُمۡ یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۷۵﴾


📕কানযুল ঈমান


৭৫. অতঃপর, হে মুসলমানগণ! তোমরা কি এ আশা পোষণ করো যে, এ ইহুদীগণ তোমাদেরকে বিশ্বাস করবে? আরা তাদের মধ্যকার একদল এমনই ছিলো যে, তারা আল্লাহ্‌র কালাম (বাণী) শুনতো অতঃপর বুঝার পর সেটাকে জেনেশুনে বিকৃত করতো।


📗ইরফানুল কুরআন


৭৫. (হে মুসলমানেরা!) তোমরা কি এ প্রত্যাশা করো যে, সেসব (ইহুদী) তোমাদের প্রতি বিশ্বাস আনয়ন করবে, যখন তাদের মধ্যে একদল এমন(ও) ছিল যারা আল্লাহ্‌র বাণী (তাওরাত) শ্রবণ করতো, অতঃপর তা বোঝার পর (প্রকৃত অবস্থা কী এবং তারা কী করছে) জেনেশুনেই তা পরিবর্তন করতো?


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৭৬

وَ اِذَا لَقُوا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا قَالُوۡۤا اٰمَنَّا   ۚۖ وَ اِذَا خَلَا بَعۡضُہُمۡ  اِلٰی بَعۡضٍ قَالُوۡۤا اَتُحَدِّثُوۡنَہُمۡ بِمَا فَتَحَ اللّٰہُ عَلَیۡکُمۡ لِیُحَآجُّوۡکُمۡ بِہٖ عِنۡدَ رَبِّکُمۡ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۷۶﴾


📕কানযুল ঈমান


৭৬. এবং যখন মুসলমানদের সাথে মিলতো তখন বলতো, ‘আমরা ঈমান এনেছি।’ আর যখন পরষ্পর আলাদাভাবে মিলিত হয় তখন বলে, ‘ওই জ্ঞান, যা আল্লাহ্‌ তোমাদের উপর খুলে দিয়েছেন তা কি মুসলমানদেরকে বলে দিচ্ছো? এতে করে তারা তোমাদের রবের দরবারে তোমাদের বিরুদ্ধে দলিল পেশ করবে। তোমাদের কি বুঝ-শক্তি নেই?’


📗ইরফানুল কুরআন


৭৬. আর (তাদের অবস্থা তো এমন হয়েছে যে,) তারা যখন ঈমানদারদের সংস্পর্শে আসে (তখন) বলে, ‘আমরাও (তোমাদের ন্যায় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের উপর) ঈমান আনয়ন করেছি’, আবার যখন তারা পরস্পরে একে অপরের সাথে নির্জনে মিলিত হয় (তখন) বলে, ‘তোমরা কি এদেরকে (এ মুসলমানদেরকে শেষ যামানার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের রিসালাত ও মর্যাদার ব্যাপারে) সেসব কথা বলে দাও, যা আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি (তাওরাতের মাধ্যমে) ব্যক্ত করেছেন? এর মাধ্যমে তারা তোমাদের প্রতিপালকের সমীপে তোমাদের বিপক্ষে প্রমাণ পেশ করতে পারে, তোমরা কি (এটুকু) বুদ্ধি-বিবেচনা(ও) রাখো না?’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৭৭

اَ وَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ اَنَّ اللّٰہَ یَعۡلَمُ مَا یُسِرُّوۡنَ وَ مَا یُعۡلِنُوۡنَ ﴿۷۷﴾


📕কানযুল ঈমান


৭৭. তারা কি জানে না যে, আল্লাহ্‌ জানেন যা কিছু তারা গোপন করে এবং যা কিছু তারা প্রকাশ করে?


📗ইরফানুল কুরআন


৭৭.  তারা কি জানে না, তারা যা লুকিয়ে রাখে এবং যা প্রকাশ করে আল্লাহ্ তা ভালোভাবেই অবগত?


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৭৮

وَ مِنۡہُمۡ اُمِّیُّوۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ الۡکِتٰبَ اِلَّاۤ اَمَانِیَّ وَ اِنۡ ہُمۡ  اِلَّا یَظُنُّوۡنَ ﴿۷۸﴾


📕কানযুল ঈমান


৭৮. এবং তাদের মধ্যে এমন কিছু নিরক্ষর লোক রয়েছে, যারা কিতাব সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখে না, কিন্তু মৌখিকভাবে পড়তে জানে মাত্র কিংবা নিজেদের কিছু মনগড়া কথাবার্তা; আর তারা নিরেট কল্পনার মধ্যে রয়েছে।


📗ইরফানুল কুরআন


৭৮. আর তাদের (অর্থাৎ ইহুদীদের) মাঝে কিছু নিরক্ষরও রয়েছে, যাদের (শোনাকথা ও মিথ্যা আশা ছাড়া) কিতাবের (অন্তর্নিহিত মর্মের ন্যূনতম) কোনো জ্ঞানই নেই, তারা কেবল মুখে মুখে পড়তে জানে ধারণা ও অনুমানে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৭৯

فَوَیۡلٌ لِّلَّذِیۡنَ یَکۡتُبُوۡنَ الۡکِتٰبَ بِاَیۡدِیۡہِمۡ ٭ ثُمَّ یَقُوۡلُوۡنَ ہٰذَا مِنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ  لِیَشۡتَرُوۡا بِہٖ ثَمَنًا قَلِیۡلًا ؕ فَوَیۡلٌ لَّہُمۡ  مِّمَّا کَتَبَتۡ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ وَیۡلٌ لَّہُمۡ مِّمَّا یَکۡسِبُوۡنَ ﴿۷۹﴾


📕কানযুল ঈমান


৭৯. সুতরাং দুর্ভোগ তাদের জন্যই যারা কিতাব নিজেদের হাতে রচনা করে, অতঃপর বলে বেড়ায়, ‘এটা আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে;’ এ উদ্দেশ্যেই যে, এর পরিবর্তে তারা স্বল্প মূল্যই অর্জন করবে। সুতরাং দুর্ভোগ তাদের জন্যই, তাদের আপন হাতে (কিতাব) রচনার কারণে। আর দুর্ভোগ তাদের জন্যই, তাদের এ (অবৈধ) উপার্জনের দরুন।


📗ইরফানুল কুরআন


৭৯. গুরুতর বিপর্যয় তাদের জন্যে, যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে, অতঃপর বলে, ‘এটি আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে’, যাতে এর বিনিময়ে সামান্য মূল্য উপার্জন করতে পারে। সুতরাং ধ্বংস তাদের জন্যে, তাদের হস্ত যা রচনা করেছে তার কারণে এবং ধ্বংস এর (বিনিময়ের) কারণে, যা তারা উপার্জন করছে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৮০

وَ قَالُوۡا لَنۡ تَمَسَّنَا النَّارُ اِلَّاۤ اَیَّامًا مَّعۡدُوۡدَۃً ؕ قُلۡ اَتَّخَذۡتُمۡ عِنۡدَ اللّٰہِ عَہۡدًا فَلَنۡ یُّخۡلِفَ اللّٰہُ عَہۡدَہٗۤ اَمۡ تَقُوۡلُوۡنَ عَلَی اللّٰہِ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۸۰﴾


📕কানযুল ঈমান


৮০. এবং তারা (ইহুদীগণ) বললো, ‘আমাদেরকে তো আগুন স্পর্শ করবে না, কিস্তু মাত্র দিন কতেক।’ (হে হাবীব!) আপনি বলে দিন, ‘তোমরা কি আল্লাহ্‌র নিকট থেকে কোন অঙ্গীকার নিয়ে রেখেছো? তবে তো আল্লাহ্‌ তা’আলা আপন অঙ্গীকার কখনো ভঙ্গ করবেন না, কিংবা আল্লাহ্‌ সম্পর্কে এমন কিছূ উক্তি করেছো যা সম্পর্কে তোমাদের জ্ঞান নেই!’


📗ইরফানুল কুরআন


৮০. আর এরা (এ ইহুদীরা আরো) বলে, ‘অল্প কয়েকদিন ব্যতীত (জাহান্নামের) আগুন আমাদেরকে কখনো স্পর্শ করবে না’। আপনি (তাদেরকে একটু) জিজ্ঞেস করুন, ‘তোমরা কি আল্লাহ্‌র নিকট থেকে (এরূপ) কোনো অঙ্গীকার নিয়ে নিয়েছো, অতঃপর তিনি কখনো স্বীয় অঙ্গীকারের বিপরীত করবেন না, নাকি তোমরা আল্লাহ্‌র প্রতি এমনিই (এমন) অপবাদ রচনা করছো, যা তোমরা নিজেরাই জানো না?’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৮১

بَلٰی مَنۡ کَسَبَ سَیِّئَۃً وَّ اَحَاطَتۡ بِہٖ خَطِیۡٓــَٔتُہٗ فَاُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۸۱﴾


📕কানযুল ঈমান


৮১. হাঁ, কেন এমন হবে না- যারা পাপার্জন করেছে এবং তাদের পাপরাশি তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে- তারা দোযখবাসীদেরই অন্তর্ভূক্ত; স্থায়ীভাবে তাতে থাকতে হবে।


📗ইরফানুল কুরআন


৮১. হ্যাঁ, বাস্তবিকই, যে মন্দ বেছে নিয়েছে এবং যার পাপরাশি তাকে সকল দিক থেকে পরিবেষ্টন করে নিয়েছে তারাই তো জাহান্নামবাসী। তারা চিরকাল সেখানেই থাকবে ।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৮২

وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ الۡجَنَّۃِ ۚ ہُمۡ  فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۸۲﴾


📕কানযুল ঈমান


৮২. যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারা জান্নাতবাসী। তারা তাতে স্থায়ীভাবে থাকবে।


📗ইরফানুল কুরআন


৮২. আর যারা ঈমান আনয়ন করেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তারাই তো জান্নাতবাসী। তাতে তারা চিরকাল বসবাস করবে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৮৩

وَ اِذۡ اَخَذۡنَا مِیۡثَاقَ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ لَا تَعۡبُدُوۡنَ اِلَّا اللّٰہَ ۟ وَ بِالۡوَالِدَیۡنِ اِحۡسَانًا وَّ ذِی ‌الۡقُرۡبٰی وَ الۡیَتٰمٰی وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ قُوۡلُوۡا لِلنَّاسِ حُسۡنًا وَّ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ ؕ ثُمَّ تَوَلَّیۡتُمۡ  اِلَّا قَلِیۡلًا مِّنۡکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ ﴿۸۳﴾


📕কানযুল ঈমান


৮৩. এবং যখন আমি বনী ইস্রাঈল থেকে অঙ্গীকার নিয়েছি, ‘আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করো আর আত্মীয়-স্বজনদের সাথে, এতিম ও মিসকিনদের সাথে এবং মানুষের সাথে সদালাপ করো, নামায কায়েম রাখো ও যাকাত দাও।’ অতঃপর তোমরা ফিরে গিয়েছো, কিন্তু (ফিরে যায় নি) তোমাদের মধ্যে থেকে অল্প সংখ্যক লোক; এবং তোমরা বিমুখ।


📗ইরফানুল কুরআন


৮৩. আর (স্মরণ করো) যখন আমরা ইয়াকুবের সন্তানদের হতে দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, ‘আল্লাহ্ ব্যতীত (অন্য কারো) ইবাদত করবে না, পিতামাতা, নিকটাত্মীয়, এতিম ও অভাবগ্রস্তদের সাথে সদাচরণ করবে এবং জনসাধারণের সাথেও (কোমলতা ও প্রফুল্ল ভঙ্গিতে) পূণ্যের কথা বলবে, নামায কায়েম করবে ও যাকাত দিবে’। অতঃপর তোমাদের মধ্যে কিছু লোক ব্যতীত সকলে (এ অঙ্গীকার থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। আর তোমরা (সত্য থেকে) পলায়নকারীই।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৮৪

وَ اِذۡ  اَخَذۡنَا مِیۡثَاقَکُمۡ لَا تَسۡفِکُوۡنَ دِمَآءَکُمۡ وَ لَا تُخۡرِجُوۡنَ اَنۡفُسَکُمۡ مِّنۡ دِیَارِکُمۡ ثُمَّ  اَقۡرَرۡتُمۡ  وَ اَنۡتُمۡ تَشۡہَدُوۡنَ ﴿۸۴﴾


📕কানযুল ঈমান


৮৪. এবং যখন আমি তোমাদের অঙ্গীকার নিয়েছি (এ মর্মে) যে, আপন লোকদেরকে খুন করবে না এবং আপন লোকদেরকে তাদের বস্তিগুলো থেকে তাড়িয়ে দেবেনা। অতঃপর তোমরা তা স্বীকার করেছো এবং তোমরা সাক্ষী রয়েছো।


📗ইরফানুল কুরআন


৮৪. আর যখন তোমাদের থেকে এ অঙ্গীকারও নিয়েছিলাম যে, ‘তোমরা পরস্পরে রক্তপাত করবে না এবং আপনজনদেরকে (নিজেদের গৃহ এবং জনপদ থেকে) দেশান্তর করবে না’। অতঃপর তোমরা (তা) স্বীকার করে নিয়েছিলে এবং (এর) সাক্ষীও প্রদান করেছিলে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৮৫

ثُمَّ  اَنۡتُمۡ  ہٰۤـؤُلَآءِ تَقۡتُلُوۡنَ اَنۡفُسَکُمۡ  وَ تُخۡرِجُوۡنَ فَرِیۡقًا مِّنۡکُمۡ مِّنۡ دِیَارِہِمۡ ۫ تَظٰہَرُوۡنَ عَلَیۡہِمۡ بِالۡاِثۡمِ وَ الۡعُدۡوَانِ ؕ وَ اِنۡ یَّاۡتُوۡکُمۡ اُسٰرٰی تُفٰدُوۡہُمۡ  وَ ہُوَ مُحَرَّمٌ عَلَیۡکُمۡ اِخۡرَاجُہُمۡ  ؕ اَفَتُؤۡمِنُوۡنَ بِبَعۡضِ الۡکِتٰبِ وَ تَکۡفُرُوۡنَ بِبَعۡضٍ ۚ فَمَا جَزَآءُ  مَنۡ یَّفۡعَلُ ذٰلِکَ مِنۡکُمۡ اِلَّا خِزۡیٌ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۚ وَ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ یُرَدُّوۡنَ اِلٰۤی اَشَدِّ الۡعَذَابِ ؕ وَ مَا اللّٰہُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۸۵﴾


📕কানযুল ঈমান


৮৫. অতঃপর, এই যে তোমরা! আপন লোকদেরকে হত্যা করতে আরম্ভ করেছো এবং আপন লোকদের মধ্যে থেকে একটা দলকে তাদের মাতৃভূমি থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছো, তাদের বিরুদ্ধে (তাদের প্রতিপক্ষকে) গুনাহ ও সীমালংঘনে সাহায্য করছো। আর যদি তারা বন্দী হয়ে তোমাদের নিকট আসে, তবে তোমরা বিনিময় (মুক্তিপণ) দিয়ে (তাদেরকে) মুক্ত করে নিয়ে থাকো এবং তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়া তোমাদের উপর হারাম। তবে কি খোদার কিছু সংখ্যক নির্দেশের উপর ঈমান আনছো এবং কিছু সংখ্যক নির্দেশকে অস্বীকার করছো? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে এরূপ করে তার প্রতিফল কি? কিন্তু দুনিয়াতে অপমানিত হওয়াই এবং ক্বিয়ামতে কঠিনতম শাস্তির দিকে ধাবিত করা হবে; এবং আল্লাহ্‌ তোমাদের কার্যাদি সম্পর্কে অনবগত নন।


📗ইরফানুল কুরআন


৮৫. অতঃপর তোমরাই তারা যারা নিজেদের লোকজনকে হত্যা করছো এবং তোমাদেরই এক দলকে তাদের গৃহ থেকে বহিষ্কার করছো। (অধিকন্তু এও যে,) তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় ও সীমালঙ্ঘন দ্বারা (তাদের শত্রুদেরকে) পৃষ্ঠপোষকতা করছো। আর যদি তারা বন্দী হয়ে তোমাদের নিকট আসে তবে তাদেরকে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে নিচ্ছ (যাতে তারা তোমাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে), অথচ তাদেরকে বহিষ্কার করাই তোমাদের জন্যে অবৈধ করা হয়েছিল। তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশ বিশ্বাস করো এবং কিছু অংশ অস্বীকার করো? অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে এরূপ করে পার্থিব জীবনে অপমান (ও অসম্মান) ব্যতীত তার আর কি শাস্তি হতে পারে? আর কিয়ামতের দিনেও (এরূপ লোককে) কঠিনতর শাস্তির দিকে ফিরিয়ে নেয়া হবে। আর আল্লাহ্ তোমাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অনবহিত নন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৮৬

اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ اشۡتَرَوُا الۡحَیٰوۃَ الدُّنۡیَا بِالۡاٰخِرَۃِ ۫ فَلَا یُخَفَّفُ عَنۡہُمُ الۡعَذَابُ وَ لَا ہُمۡ یُنۡصَرُوۡنَ ﴿۸۶﴾    


📕কানযুল ঈমান


৮৬. এরাই হচ্ছে ঐসব লোক, যারা পরকালের পরিবর্তে পার্থিব জীবনকে খরিদ করেছে। সুতরাং তাদের উপর থেকে না শাস্তি হ্রাস করা হবে এবং না তাদের সাহায্য করা হবে।


📗ইরফানুল কুরআন


৮৬. এরাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করেছে। অতঃপর তাদের শাস্তি হালকাও করা হবে না, আর তাদেরকে সাহায্যও করা হবে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৮৭

وَ لَقَدۡ اٰتَیۡنَا مُوۡسَی الۡکِتٰبَ وَ قَفَّیۡنَا مِنۡۢ بَعۡدِہٖ بِالرُّسُلِ ۫ وَ اٰتَیۡنَا عِیۡسَی ابۡنَ مَرۡیَمَ الۡبَیِّنٰتِ وَ اَیَّدۡنٰہُ بِرُوۡحِ الۡقُدُسِ ؕ اَفَکُلَّمَا جَآءَکُمۡ رَسُوۡلٌۢ بِمَا لَا تَہۡوٰۤی اَنۡفُسُکُمُ اسۡتَکۡبَرۡتُمۡ ۚ  فَفَرِیۡقًا کَذَّبۡتُمۡ  ۫ وَ فَرِیۡقًا تَقۡتُلُوۡنَ ﴿۸۷﴾


📕কানযুল ঈমান


৮৭. এবং নিশ্চয়ই আমি মুসাকে কিতাব দান করেছি, এবং তারপর একের পর এক রসূল প্রেরণ করেছি এবং আমি মারয়ামের পুত্র ঈসাকে স্পষ্ট নির্দশনসমূহ দান করেছি এবং ‘পবিত্র রূহ’ দ্বারা তাকে সাহায্য করেছি। তবে কি যখন কোন রসূল তোমাদের নিকট এমন কিছু (বিধান) নিয়ে আসেন, যা তোমাদের মনঃপূত হয়না, (তখনই তোমরা) অহংকার করো? অতঃপর ওই সব (নবী)-এর মধ্য থেকে একদলকে তোমরা অস্বীকার করছো এবং একদলকে শহীদ করছো?


📗ইরফানুল কুরআন


৮৭. আর অবশ্যই আমরা মূসা (আলাইহিস সালাম)-কে (তাওরাত) কিতাব প্রদান করেছি এবং তার পরে পর্যায়ক্রমে (অনেক) রাসূল প্রেরণ করেছি। আর আমরা মারইয়াম-তনয় ঈসা (আলাইহিস সালাম)-কেও প্রদান করেছি উজ্জ্বল নিদর্শনাবলী এবং তাঁকে শক্তিশালী (ও সাহায্য) করেছি পবিত্র রূহের মাধ্যমে। তবে কি (হলো!) যখনই কোনো রাসূল তোমাদের নিকট সে সকল (বিধিবিধান) নিয়ে এসেছেন যা তোমাদের (দুরাত্মা) মনে পছন্দ হয়নি, তখনই তোমরা অহঙ্কার করেছো? অতঃপর কাউকে তোমরা মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছো এবং কাউকে হত্যা করেছো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৮৮

وَ قَالُوۡا قُلُوۡبُنَا غُلۡفٌ ؕ بَلۡ لَّعَنَہُمُ اللّٰہُ بِکُفۡرِہِمۡ  فَقَلِیۡلًا مَّا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۸۸﴾


📕কানযুল ঈমান


৮৮.  এবং ইহুদিগণ বললো, ‘আমাদের হৃদয়গুলোর উপর পর্দা (আচ্ছাদান) পড়েছে’ বরং আল্লাহ্‌ তা’আলা তাদের উপর তাদের কুফরের কারণে অভিশাপ করেছেন। সুতরাং তাদের মধ্যে অল্প সংখ্যক লোকই ঈমান আনে।


📗ইরফানুল কুরআন


৮৮.  আর ইহুদীরা বলেছিল, ‘আমাদের অন্তর আচ্ছাদিত’। (তা নয়) বরং তাদের কুফরীর কারণে আল্লাহ্ তাদেরকে অভিসম্পাত করেছেন। সুতরাং তাদের খুব অল্পই ঈমান আনয়ন করে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৮৯

وَ لَمَّا جَآءَہُمۡ کِتٰبٌ مِّنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ مُصَدِّقٌ لِّمَا مَعَہُمۡ  ۙ وَ کَانُوۡا مِنۡ قَبۡلُ یَسۡتَفۡتِحُوۡنَ عَلَی الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ۚۖ فَلَمَّا جَآءَہُمۡ مَّا عَرَفُوۡا کَفَرُوۡا بِہٖ ۫ فَلَعۡنَۃُ اللّٰہِ عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۸۹﴾


📕কানযুল ঈমান


৮৯. এবং যখন তাদের নিকট আল্লাহ্‌ তা’আলার ওই কিতাব (ক্বোরআন) এসেছে, যা তাদের সাথে রয়েছে এমন কিতাব (তাওরীত) এর সত্যায়ন করে এবং এর পূর্বে তারা ওই নবীর ‘ওসীলা’ ধরে কাফিরদের উপর বিজয় প্রার্থনা করতো; অতঃপর যখন তাদের নিকট সেই পরিচিত সত্তা তাশরীফ আনলেন তখন তাঁকে অস্বীকারকারী হয়ে বসলো। অতএব, অস্বীকারকারীদের উপর আল্লাহ্‌র লা’নত।


📗ইরফানুল কুরআন


৮৯. আর যখন আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে তাদের নিকট কিতাব (কুরআন) এলো, যা তাদের কাছে বিদ্যমান থাকা কিতাব (তাওরাত)-এর সত্যায়নকারী; যদিও এরপূর্বে তারা নিজেরা (সর্বশেষ যামানার নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর উপর অবতীর্ণ কিতাব কুরআনের ওসিলায়) কাফেরদের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের প্রার্থনা করতো, সুতরাং যখন তাদের নিকট সেই নবী (হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম নিজের প্রতি অবতীর্ণ কুরআনসহ) আগমন করলেন, যাঁকে তারা (পূর্ব থেকেই) চিনতো, তবুও তাঁকেই তারা প্রত্যাখ্যান করে বসলো। অতঃপর (এরূপ ইচ্ছাকৃত) প্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি আল্লাহ্‌র অভিসম্পাত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৯০

بِئۡسَمَا اشۡتَرَوۡا بِہٖۤ اَنۡفُسَہُمۡ  اَنۡ یَّکۡفُرُوۡا بِمَاۤ  اَنۡزَلَ اللّٰہُ  بَغۡیًا اَنۡ یُّنَزِّلَ اللّٰہُ مِنۡ فَضۡلِہٖ عَلٰی مَنۡ یَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِہٖ ۚ فَبَآءُوۡ بِغَضَبٍ عَلٰی غَضَبٍ ؕ وَ  لِلۡکٰفِرِیۡنَ عَذَابٌ مُّہِیۡنٌ ﴿۹۰﴾


📕কানযুল ঈমান


৯০. কতোই নিকৃষ্ট বিনিময়ে তারা আপন আত্মাগুলোকে খরিদ করেছে! (তা’হলো) আল্লাহ্‌র নাযিলকৃত কিতাবকে (তারা) অস্বীকার করেছে মনের এ যাতনায় যে, আল্লাহ্‌ আপন অনুগ্রহে স্বীয় যে বান্দার উপর ইচ্ছা করেন ‘ওহী’ নাযিল করেন। সুতরাং (তারা) ক্রোধের উপর ক্রোধের উপযোগী হয়েছে। আর কাফিরদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনার শাস্তি।


📗ইরফানুল কুরআন


৯০. তারা নিজেদের প্রাণের বিনিময়ে কতোই না নিকৃষ্ট বাণিজ্য করেছে যে, আল্লাহ্‌র অবতীর্ণ কিতাবকে তারা প্রত্যাখ্যান করছে, কেবল এ বিদ্বেষের কারণে যে, আল্লাহ্ নিজ অনুগ্রহে তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা (ওহী) অবতীর্ণ করেন। অতঃপর তারা ক্রোধের উপর ক্রোধের পাত্র হলো। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৯১

وَ اِذَا قِیۡلَ لَہُمۡ  اٰمِنُوۡا بِمَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ قَالُوۡا نُؤۡمِنُ بِمَاۤ  اُنۡزِلَ عَلَیۡنَا وَ یَکۡفُرُوۡنَ بِمَا وَرَآءَہٗ ٭ وَ ہُوَ الۡحَقُّ مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَہُمۡ  ؕ قُلۡ فَلِمَ تَقۡتُلُوۡنَ اَنۡۢبِیَآءَ اللّٰہِ مِنۡ قَبۡلُ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۹۱﴾


📕কানযুল ঈমান


৯১. এবং যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ্‌র নাযিলকৃতের (কিতাব) উপর ঈমান আনো, তখন বলে, ‘যা আমাদের উপর নাযিল হয়েছে, আমরা তার উপর ঈমান রাখি; এবং বাকীগুলোকে তারা অস্বীকার করে; অথচ তা সত্য, তাদের নিকট যা আছে তার সত্যায়নকারী। (হে হাবীব) আপনি বলে দিন, ‘অতঃপর তোমরা পূর্ববর্তী নবীগণকে কেন শহীদ করেছো, যদি তোমাদের আপন কিতাবের উপর ঈমান ছিলো?’


📗ইরফানুল কুরআন


৯১. আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘এতে (এ কিতাবে) ঈমান আনয়ন করো, যা আল্লাহ্ (এখন) অবতীর্ণ করেছেন’, (তখন) তারা বলে, ‘আমরা কেবল তাতে (সে কিতাবে) বিশ্বাস স্থাপন করি যা আমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে’। তারা তা ব্যতীত অন্য সব অস্বীকার করে, অথচ এ (কুরআন) সত্য, (এবং) সত্যায়ন করে তাদের নিকট যা রয়েছে তার। আপনি (তাদেরকে) জিজ্ঞেস করুন, ‘তাহলে তোমরা ইতোপূর্বে নবীদেরকে কেন হত্যা করতে, যদি তোমরা (বাস্তবিকই নিজেদেরই কিতাবের প্রতি) ঈমান রাখো?’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৯২

وَ لَقَدۡ جَآءَکُمۡ مُّوۡسٰی بِالۡبَیِّنٰتِ ثُمَّ اتَّخَذۡتُمُ الۡعِجۡلَ مِنۡۢ بَعۡدِہٖ وَ اَنۡتُمۡ ظٰلِمُوۡنَ ﴿۹۲﴾


📕কানযুল ঈমান


৯২. এবং নিশ্চয় তোমাদের নিকট মুসা স্পষ্ট নির্দশনসমূহ নিয়ে তাশরীফ এনেছেন। অতঃপর, তোমরা এর পরে গো-বাছুরকে উপাস্য করে নিয়েছো এবং তোমরা ছিলে অত্যাচারী।


📗ইরফানুল কুরআন


৯২. আর (অবস্থা এরকম যে,) তোমাদের নিকট (স্বয়ং) মূসা (আলাইহিস সালাম) সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে এসেছিলেন, অথচ তাঁর অনুপস্থিতিতে তোমরা বাছুরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছিলে। আর তোমরা (প্রকৃতপক্ষে) অত্যাচারীই।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৯৩

وَ اِذۡ اَخَذۡنَا مِیۡثَاقَکُمۡ وَ رَفَعۡنَا فَوۡقَکُمُ الطُّوۡرَ ؕ خُذُوۡا مَاۤ اٰتَیۡنٰکُمۡ بِقُوَّۃٍ وَّ اسۡمَعُوۡا ؕ قَالُوۡا سَمِعۡنَا وَ عَصَیۡنَا ٭ وَ اُشۡرِبُوۡا فِیۡ قُلُوۡبِہِمُ الۡعِجۡلَ بِکُفۡرِہِمۡ ؕ قُلۡ بِئۡسَمَا یَاۡمُرُکُمۡ بِہٖۤ  اِیۡمَانُکُمۡ   اِنۡ  کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۹۳﴾


📕কানযুল ঈমান


৯৩. এবং স্মরণ করো যখন আমি তোমাদের থেকে অঙ্গীকার নিয়েছি এবং ‘তুর পাহাড়’কে তোমাদের মাথার উপর তুলে ধরেছি। ‘দৃঢ়ভাবে গ্রহণ করো যা আমি তোমাদেরকে দিচ্ছি এবং শুনো!’ (তারা) বললো ‘আমরা শুনেছি ও অমান্য করেছি।’ আর তাদের কুফরের কারণে তাদের হৃদয়গুলোতে গো-বাছুর সিঞ্চিত হয়েছিলো। (হে হাবীব!) আপনি বলে দিন, ‘তোমাদেরকে তোমাদের ঈমান কী নিকৃষ্ট নির্দেশ দিচ্ছে, যদি (তোমরা) ঈমান রাখো!’


📗ইরফানুল কুরআন


৯৩. আর যখন আমরা তোমাদের থেকে দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়েছিলাম এবং তূর পর্বতকে তোমাদের উপর তুলে ধরেছিলাম (এ বলে যে,) ‘(এ কিতাব) মজুবতভাবে আঁকড়ে ধরো, যা আমরা তোমাদেরকে দিয়েছি এবং (আমাদের নির্দেশ) শ্রবণ করো,’। তখন (তোমাদের জ্যেষ্ঠরা) বললো, ‘আমরা শ্রবণ করলাম, কিন্তু মানলাম না’। আর তাদের কুফরীর কারণে তাদের অন্তরে গোবৎস-প্রীতি সিঞ্চিত করা হয়েছিল। (হে প্রিয়তম! তাদেরকে) বলে দিন, ‘এসব বিষয় খুবই মন্দ, যা তোমাদের (নামেমাত্র) ঈমান তোমাদেরকে নির্দেশ প্রদান করছে; যদি (তোমরা বাস্তবিকই তাদের প্রতি) ঈমান রাখো।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৯৪

قُلۡ  اِنۡ کَانَتۡ لَکُمُ الدَّارُ الۡاٰخِرَۃُ عِنۡدَ اللّٰہِ خَالِصَۃً مِّنۡ دُوۡنِ النَّاسِ فَتَمَنَّوُا الۡمَوۡتَ اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۹۴﴾


📕কানযুল ঈমান


৯৪. (হে হাবীব!) আপনি বলে দিন, ‘যদি পরকালীন নিবাস আল্লাহ্‌র নিকট শুধু তোমাদের জন্যই নির্দিষ্ট হয়, না অন্য কারো জন্য, তবে তো ভালো, মৃত্যু কামনা করো, যদি সত্যবাদী হও!’


📗ইরফানুল কুরআন


৯৪. বলে দিন, ‘যদি আল্লাহ্‌র নিকট পরকালের গৃহ কেবল তোমাদের জন্যেই বিশেষভাবে সংরক্ষিত থাকে, অন্য লোকদের জন্যে নয়; তবে (নির্ভয়ে) মৃত্যু কামনা করো, যদি তোমরা (নিজেদের ধারণানুযায়ী) সত্যবাদী হও।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৯৫

وَ لَنۡ یَّتَمَنَّوۡہُ اَبَدًۢا بِمَا قَدَّمَتۡ اَیۡدِیۡہِمۡ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌۢ بِالظّٰلِمِیۡنَ ﴿۹۵﴾


📕কানযুল ঈমান


৯৫. এবং অবশ্যই কখনো তারা এর কামনা করবে না ওই অপকর্মগুলোর কারণে, যেগুলো তারা পূর্বে করেছে এবং আল্লাহ্‌ অত্যাচারীদেরকে ভালোভাবে জানেন।


📗ইরফানুল কুরআন


৯৫. কিন্তু তারা কোনো কালে কখনোই এ কামনা করবে না, পাপের (ও পাশবিকতার) কারণে যা তাদের হস্ত অগ্রে প্রেরণ করেছে (অথবা পূর্বে করেছিল)। আর আল্লাহ্ যালিমদের ব্যাপারে ভালোভাবেই অবগত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৯৬

وَ لَتَجِدَنَّہُمۡ اَحۡرَصَ النَّاسِ عَلٰی حَیٰوۃٍ  ۚۛ وَ مِنَ الَّذِیۡنَ اَشۡرَکُوۡا  ۚۛ یَوَدُّ  اَحَدُہُمۡ لَوۡ یُعَمَّرُ اَلۡفَ سَنَۃٍ ۚ وَ مَا ہُوَ بِمُزَحۡزِحِہٖ مِنَ الۡعَذَابِ اَنۡ یُّعَمَّرَ ؕ وَ اللّٰہُ  بَصِیۡرٌۢ بِمَا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۹۶﴾ 


📕কানযুল ঈমান


৯৬. এবং নিঃসন্দেহে, আপনি অবশ্যই তাদেরকে এমনই পাবেন যে, তারা সব লোকের চেয়েও অধিকাল জীবিত থাকার একান্ত কামনা রাখে এবং মুশরিকদের মধ্যে এক (দল) এর কামনা হচ্ছে যেন হাজার বছর বেঁচে থাকে এবং তার এ দীর্ঘায়ু প্রদত্ত হওয়া তাকে আযাব থেকে মুক্তি দেবে না। আর আল্লাহ্‌ তাদের কৃতকর্ম দেখছেন।


📗ইরফানুল কুরআন


৯৬. আপনি তাদেরকে অবশ্যই সকল মানুষ এবং (এমনকি) মুশরিকদের চেয়েও বেশি বেঁচে থাকার লালসায় অধিক নিমজ্জিত পাবেন। তাদের প্রত্যেকেই আকাঙ্ক্ষা করে, যদি সে হাজার বছর আয়ু পেতো! এরূপ আয়ু পেয়ে থাকলেও তা তাকে শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারবে না। আর আল্লাহ্ তাদের কর্মকাণ্ড ভালোভাবেই দেখছেন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৯৭

قُلۡ مَنۡ کَانَ عَدُوًّا لِّجِبۡرِیۡلَ فَاِنَّہٗ نَزَّلَہٗ عَلٰی قَلۡبِکَ بِاِذۡنِ اللّٰہِ مُصَدِّقًا لِّمَا بَیۡنَ یَدَیۡہِ وَ ہُدًی وَّ بُشۡرٰی لِلۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۹۷﴾


📕কানযুল ঈমান


৯৭. (হে হাবীব!) আপনি বলে দিন, ‘যে কেউ জিব্রাঈলের শত্রু হয়, তবে সে (জিব্রাঈল) তো আপনারই হৃদয়ের উপর আল্লাহ্‌র নির্দেশে এ ক্বোরআন নাযিল করেছেন, পূর্ববর্তী কিতাবগুলোর প্রত্যায়নকারী হিসেবে এবং সঠিক পথ-প্রদর্শন ও সুসংবাদ (হিসেবে) মুসলমানদের জন্য।


📗ইরফানুল কুরআন


৯৭. বলে দিন, ‘যে ব্যক্তি জিবরাঈলের শত্রু (সে যুলুম করছে); কেননা তিনি তো আল্লাহ্‌র নির্দেশে এ (কুরআন) আপনার হৃদয়ে পৌঁছে দিয়েছেন, যা এর পূর্বের (কিতাবসমূহের) সত্যায়নকারী এবং মুমিনদের জন্যে (নিরঙ্কুশ) হেদায়াত ও সুসংবাদ।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৯৮

مَنۡ کَانَ عَدُوًّا  لِّلّٰہِ وَ مَلٰٓئِکَتِہٖ وَ رُسُلِہٖ وَ جِبۡرِیۡلَ وَ مِیۡکٰىلَ فَاِنَّ اللّٰہَ عَدُوٌّ  لِّلۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۹۸﴾


📕কানযুল ঈমান


৯৮. যে কেউ শত্রু হয় আল্লাহ্‌র, তাঁর ফিরিশ্‌তাদের, তাঁর রসূলগণের, জিব্রাঈলের এবং মীকাইলের, তবে আল্লাহ্‌ কাফিরদের শত্রু।


📗ইরফানুল কুরআন


৯৮. যে কেউ আল্লাহ্‌র, তাঁর ফেরেশতাগণের, তাঁর রাসূলগণের, জিবরাঈল ও মীকাঈলের শত্রু, তবে অবশ্যই আল্লাহ্ও (এ সব) কাফেরদের শত্রু ।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ৯৯

وَ لَقَدۡ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکَ اٰیٰتٍۭ بَیِّنٰتٍ ۚ وَ مَا یَکۡفُرُ بِہَاۤ  اِلَّا الۡفٰسِقُوۡنَ ﴿۹۹﴾


📕কানযুল ঈমান


৯৯. এবং নিঃসন্দেহে, আমি তোমাদের প্রতি স্পষ্ট নির্দশনসমূহ নাযিল করেছি; আর এগুলোকে অস্বীকার করবে না কিন্তু ফাসিক্ব লোকেরা।


📗ইরফানুল কুরআন


৯৯. আর নিশ্চয়ই আমরা আপনার নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শন অবতীর্ণ করেছি, আর নাফরমান ব্যতীত কেউই এগুলো অস্বীকার করতে পারে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১০০

اَوَ کُلَّمَا عٰہَدُوۡا عَہۡدًا نَّبَذَہٗ فَرِیۡقٌ مِّنۡہُمۡ ؕ بَلۡ اَکۡثَرُہُمۡ  لَا یُؤۡمِنُوۡنَ ﴿۱۰۰﴾


📕কানযুল ঈমান


১০০. এবং তবে কি যখনই কেউ কোন অঙ্গীকার করে (তখনই) তাদের মধ্য থেকে একদল সেটাকে ছুঁড়ে মারে? বরং তাদের অনেকের ঈমান নেই।


📗ইরফানুল কুরআন


১০০. তবে কি (এমন নয় যে,) যখনই তারা কোনো অঙ্গীকার করেছে, তখনই তাদের কোনো একদল তা ভঙ্গ করে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে? বরং তাদের অধিকাংশ বিশ্বাসই রাখে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১০১

وَ لَمَّا جَآءَہُمۡ  رَسُوۡلٌ مِّنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ مُصَدِّقٌ لِّمَا مَعَہُمۡ نَبَذَ فَرِیۡقٌ مِّنَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ ٭ۙ کِتٰبَ اللّٰہِ وَرَآءَ  ظُہُوۡرِہِمۡ کَاَنَّہُمۡ لَا  یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۰۱﴾۫


📕কানযুল ঈমান


১০১. এবং যখন তাদের নিকট তাশরীফ আনলেন আল্লাহ্‌র নিকট থেকে একজন রসূল, তাদের কিতাবগুলোর সমর্থকরুপে, তখন কিতাবীদের একটা দল আল্লাহ্‌র কিতাবকে তাদের পৃষ্ঠ-পেছনে নিক্ষেপ করেছে, যেন তারা কোন জ্ঞানই রাখে না।


📗ইরফানুল কুরআন


১০১.  আর (এভাবে) যখন আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে তাদের নিকট আগমন করলেন রাসূল (হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) যিনি (প্রকৃতপক্ষে) তাদের কাছে (পূর্ব থেকেই) বিদ্যমান থাকা কিতাবের সত্যায়নকারী, তখন (এসব) আহলে কিতাবের একদল আল্লাহ্‌র (অনুরূপ তাওরাত) কিতাব তাদের পশ্চাতে নিক্ষেপ করলো, যেন তারা (এ সম্পর্কে) জানতোই না (অথচ এ তাওরাতই শেষ যামানার নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের তাশরীফ আনয়নের সংবাদ দিয়েছিল)।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১০২

وَ اتَّبَعُوۡا مَا تَتۡلُوا الشَّیٰطِیۡنُ عَلٰی مُلۡکِ سُلَیۡمٰنَ ۚ وَ مَا کَفَرَ سُلَیۡمٰنُ وَ لٰکِنَّ الشَّیٰطِیۡنَ کَفَرُوۡا یُعَلِّمُوۡنَ النَّاسَ السِّحۡرَ ٭ وَ مَاۤ اُنۡزِلَ عَلَی الۡمَلَکَیۡنِ بِبَابِلَ ہَارُوۡتَ  وَ مَارُوۡتَ ؕ وَ مَا یُعَلِّمٰنِ مِنۡ اَحَدٍ حَتّٰی یَقُوۡلَاۤ اِنَّمَا نَحۡنُ فِتۡنَۃٌ فَلَا تَکۡفُرۡ ؕ فَیَتَعَلَّمُوۡنَ مِنۡہُمَا مَا یُفَرِّقُوۡنَ بِہٖ بَیۡنَ الۡمَرۡءِ  وَ زَوۡجِہٖ ؕ وَ مَا ہُمۡ  بِضَآرِّیۡنَ بِہٖ مِنۡ اَحَدٍ  اِلَّا بِاِذۡنِ اللّٰہِ ؕ وَ یَتَعَلَّمُوۡنَ مَا یَضُرُّہُمۡ  وَ لَا یَنۡفَعُہُمۡ  ؕ وَ لَقَدۡ عَلِمُوۡا لَمَنِ اشۡتَرٰىہُ مَا لَہٗ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنۡ خَلَاقٍ ۟ؕ وَ لَبِئۡسَ مَا شَرَوۡا بِہٖۤ  اَنۡفُسَہُمۡ  ؕ لَوۡ کَانُوۡا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۰۲﴾


📕কানযুল ঈমান


১০২. আর (তারা) তারই অনুসারী হয়েছে, যা শয়তান পাঠ করতো সুলায়মানের রাজত্বকালে; এবং সুলায়মান কুফর করেনি। হাঁ, কাফির হয়েছে শয়তান-গণ; (তারা) মানুষকে যাদু শিক্ষা দেয় আর ওই যাদুও, যা ‘বাবেল’ শহরে দু’জন ফিরিশ্‌তা- হারূত ও মারূতের উপর অবতীর্ণ হয়েছে। আর তারা দু’জন কাউকে কিছু শিক্ষা দিত না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা এ কথা বলে দিতো না, ‘আমরা তো নিছক পরীক্ষা। কাজেই, নিজ ঈমান হারিয়ে বসোনা।’ অতঃপর (তারা) তাদের নিকট থেকে তাই শিখতো, যা বিরোধ বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতো পুরুষ এবং তার স্ত্রীর মধ্যে। আর তা দ্বারা কারো ক্ষতি সাধন করতে পারতো না, আল্লাহ্‌রই নির্দেশে ব্যতীত। এবং তারা তাই শিক্ষা করে, যা তাদের ক্ষতি সাধন করবে, উপকার করবে না এবং নিশ্চয় নিশ্চয় তাদের জানা আছে যে, যে ব্যক্তি এ সওদা ক্রয় করেছে পরকালে তার কোন অংশ নেই; এবং নিশ্চয় তা কতোই নিকৃষ্ট বস্তু, যার বিনিময়ে তারা নিজেদের আত্মাসমূহ বিক্রি করেছে! যদি কোন রকমের তাদের জ্ঞান হতো!


📗ইরফানুল কুরআন


১০২. অধিকন্তু এরা (এ ইহুদীরা তো ঐ) মিথ্যারই অনুসরণ করতো যা সুলাইমান (আলাইহিস সালাম)-এঁর রাজত্বের সূত্রে শয়তান উদ্ভাবন করেছিল, অথচ সুলাইমান (আলাইহিস সালাম কোনোই) কুফরী করেননি, বরং কুফরী তো করেছিল শয়তান। সে মানুষকে যাদু শেখাতো আর (এ যাদুর জ্ঞান) বাবেল শহরে হারূত ও মারূত (নামক) দু’ফেরেশতার উপর অবতীর্ণ হয়েছিল। তারা উভয়ে পূর্ব সতর্কতা ছাড়া কাউকে কিছুই শেখাতো না, তবে বলে দিত, ‘আমরা তো কেবল পরীক্ষা (-এর জন্যে)। সুতরাং তোমরা (এর উপর বিশ্বাস করে) কাফের হয়ে যেও না।’ এতদসত্বেও সেসব (ইহুদী) এ দু’জনের নিকট থেকে এমন কিছু (মন্ত্র) শিখেছিল যার মাধ্যমে তারা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতো; অথচ আল্লাহ্‌র নির্দেশ ব্যতীত তারা এর মাধ্যমে কাউকেই ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারতো না। আর ওইসব লোক তাদের থেকে এমন কিছুই শিখতো যা তাদের জন্যে ক্ষতিকর এবং কোনো উপকারে আসতো না। তাদের (এও) জানা ছিল যে, যে-ই একে (এ কুফরী অথবা যাদুটোনা) ক্রয় করে, পরকালে তার কোনো অংশ থাকবে না। তা খুবই মন্দ বিষয় যার পরিবর্তে তারা স্বীয় আত্মাকে (অর্থাৎ আত্মার প্রকৃত কল্যাণ, মানে পরকালীন সফলতা) বিক্রয় করেছে। হায়! যদি তারা এ (ব্যবসার প্রকৃত সত্য) জানতো!


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১০৩

وَ لَوۡ اَنَّہُمۡ اٰمَنُوۡا وَ اتَّقَوۡا لَمَثُوۡبَۃٌ مِّنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ خَیۡرٌ ؕ  لَوۡ کَانُوۡا یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۰۳﴾


📕কানযুল ঈমান


১০৩. এবং যদি তারা ঈমান আনতো এবং সাবধানতা অবলম্বন করতো, তবে আল্লাহ্‌র নিকটস্থিত সাওয়াব অত্যধিক উত্তম যদি কোন প্রকারে তারা জানতো!


📗ইরফানুল কুরআন


১০৩. আর যদি তারা ঈমান আনতো এবং পরহেযগারিতা অবলম্বন করতো, তবে আল্লাহ্‌র নিকট থেকে (সামান্যতম) সাওয়াবও (এসব কিছু থেকে) অতি উত্তম হতো। হায়! যদি তারা (এ গোপন রহস্য) অবগত হতো!


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১০৪

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَقُوۡلُوۡا رَاعِنَا وَ قُوۡلُوا انۡظُرۡنَا وَ اسۡمَعُوۡا ؕ  وَ لِلۡکٰفِرِیۡنَ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۱۰۴﴾


📕কানযুল ঈমান


১০৪. হে ঈমানদারগণ! ‘রা-ইনা’ বলো না এবং এভাবে আরয করো, ‘হুযুর, আমাদের প্রতি কৃপাদৃষ্টি রাখুন!’ এবং প্রথম থেকেই মনোযোগ সহকারে শুনো। আর কাফিরদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি অবধারিত।


📗ইরফানুল কুরআন


১০৪. হে ঈমানদারগণ! (নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামকে নিজেদের দিকে মনোনিবেশের উদ্দেশ্যে) ‘রা-‘ইনা’বলো না, বরং (আদবের সাথে) বলো ‘উনযুরনা’ (আমাদের দিকে অনুগ্রহের দৃষ্টি দিন)। আর (তাঁর বাণী) মনযোগ দিয়ে শুনতে থাকো, আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১০৫

مَا یَوَدُّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ وَ لَا الۡمُشۡرِکِیۡنَ اَنۡ یُّنَزَّلَ عَلَیۡکُمۡ مِّنۡ خَیۡرٍ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ یَخۡتَصُّ بِرَحۡمَتِہٖ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ ذُو الۡفَضۡلِ الۡعَظِیۡمِ ﴿۱۰۵﴾


📕কানযুল ঈমান


১০৫. তারাই, যারা কাফির, কিতাবী কিংবা মুশরিক, তারা চায়না যে, তোমাদের উপর কোন কল্যাণ অবতীর্ণ হোক তোমাদের রবের নিকট থেকে এবং আল্লাহ্‌ স্বীয় রহমত দ্বারা বিশেষভাবে মনোনিত করেন যাকে চান, এবং আল্লাহ্‌ মহা অনুগ্রহশীল।


📗ইরফানুল কুরআন


১০৫. আহলে কিতাবের মধ্যে যারা কাফের হয়ে গিয়েছে তারা এবং মুশরিকেরা পছন্দ করে না যে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে তোমাদের প্রতি কোনো কল্যাণ অবতীর্ণ হোক। আর আল্লাহ্ যাকে চান নিজ অনুগ্রহ দ্বারা বিশেষায়িত করেন এবং আল্লাহ্ মহা অনুগ্রহশীল।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১০৬

مَا نَنۡسَخۡ مِنۡ اٰیَۃٍ اَوۡ نُنۡسِہَا نَاۡتِ بِخَیۡرٍ مِّنۡہَاۤ  اَوۡ مِثۡلِہَا ؕ اَلَمۡ تَعۡلَمۡ اَنَّ اللّٰہَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ  قَدِیۡرٌ ﴿۱۰۶﴾


📕কানযুল ঈমান


১০৬. যখন আমি কোন আয়াতকে রহিত করে দিই কিংবা বিস্মৃত করে দিই তখন এর চেয়ে উত্তম কিংবা এর মতো (কোন আয়াত) নিয়ে আসবো। তোমার কি খবর নেই যে, আল্লাহ্‌ সব কিছু করতে পারেন?


📗ইরফানুল কুরআন


১০৬. আমরা কোনো আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করলে (তখন সর্বাবস্থায়) এর চেয়ে উত্তম অথবা অনুরূপই (অপর কোনো আয়াত) নিয়ে আসি। তুমি কি জানো না যে আল্লাহ্ সকল কিছুর উপর (পরিপূর্ণ) ক্ষমতাবান?


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১০৭

اَلَمۡ تَعۡلَمۡ اَنَّ اللّٰہَ لَہٗ  مُلۡکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ مَا لَکُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ مِنۡ وَّلِیٍّ وَّ لَا نَصِیۡرٍ ﴿۱۰۷﴾


📕কানযুল ঈমান


১০৭. তোমাদের কি খবর নেই যে, আল্লাহ্‌রই জন্য আস্‌মানসমূহ ও যমীনের বাদশাহী এবং আল্লাহ্‌ ব্যতীত তোমাদের না আছে কোন অভিভাবক এবং না আছে কোন সাহায্যকারী।


📗ইরফানুল কুরআন


১০৭. তুমি কি জানো না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহ্‌রই? আর আল্লাহ্ ব্যতীত তোমাদের না কোনো বন্ধু রয়েছে, আর না কোনো সাহায্যকারী।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১০৮

اَمۡ  تُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ تَسۡـَٔلُوۡا رَسُوۡلَکُمۡ کَمَا سُئِلَ مُوۡسٰی مِنۡ قَبۡلُ ؕ وَ مَنۡ یَّتَبَدَّلِ الۡکُفۡرَ بِالۡاِیۡمَانِ فَقَدۡ ضَلَّ سَوَآءَ  السَّبِیۡلِ ﴿۱۰۸﴾


📕কানযুল ঈমান


১০৮. তোমরা কি এটাই চাও যে, তোমাদের রসূলকে সেরূপই প্রশ্ন করবে, যেরূপ মুসার সাথে পূর্বে সংঘটিত হয়েছিলো? আর যে ব্যক্তি ঈমানের পরিবর্তে কুফর গ্রহণ করে, সে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে।


📗ইরফানুল কুরআন


১০৮. (হে মুসলমানেরা!) তোমরাও কি তোমাদের রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-কে সেভাবে প্রশ্ন করতে চাও যেভাবে পূর্বে মূসা (আলাইহিস সালাম)-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল? সুতরাং যে ব্যক্তি ঈমানের পরিবর্তে কুফরী অর্জন করে সে সত্যিই সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১০৯

وَدَّ کَثِیۡرٌ مِّنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ لَوۡ یَرُدُّوۡنَکُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ اِیۡمَانِکُمۡ کُفَّارًا ۚۖ حَسَدًا مِّنۡ عِنۡدِ اَنۡفُسِہِمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ مَا تَبَیَّنَ لَہُمُ الۡحَقُّ ۚ فَاعۡفُوۡا وَ اصۡفَحُوۡا حَتّٰی یَاۡتِیَ اللّٰہُ بِاَمۡرِہٖ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۱۰۹﴾


📕কানযুল ঈমান


১০৯. বহু কিতাবী কামনা করেছে, ‘তারা যদি তোমাদেরকে (তোমাদের) ঈমান আনার পর কুফরের দিকে ফিরিয়ে দিতে পারতো!’ তাদের অন্তরগুলোর বিদ্বেষবশতঃ, এর পর যে, তাদের নিকট সত্য অতিমাত্রায় প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং তোমরা ছেড়ে দাও ও এড়িয়ে যাও যতক্ষণ না আল্লাহ্‌ নিজ হুকুম প্রদান করেন। নিশ্চয়, আল্লাহ্‌ প্রত্যেক কিছুর উপর শক্তিমান। 


📗ইরফানুল কুরআন


১০৯. আহলে কিতাবের অনেকেই তাদের অন্তরে বিদ্বেষবশত আকাঙ্ক্ষা করে যে, ঈমান আনয়নের পর তোমাদেরকে আবার কুফরীর দিকে ফিরিয়ে নেয়, যদিও তাদের নিকট সুস্পষ্টভাবে সত্য প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। সুতরাং তোমরা ক্ষমা করতে থাকো এবং উপেক্ষা করতে থাকো, যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহ্ তাঁর নির্দেশ প্রেরণ করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সকল কিছুর উপর পরিপূর্ণ ক্ষমতাবান।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১১০

وَ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ ؕ وَ مَا تُقَدِّمُوۡا لِاَنۡفُسِکُمۡ مِّنۡ خَیۡرٍ تَجِدُوۡہُ عِنۡدَ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ ﴿۱۱۰﴾


📕কানযুল ঈমান


১১০. এবং নামায কায়েম রাখো ও যাকাত দাও। আর নিজেদের আত্মাগুলোর জন্য যে উত্তম কাজ পূর্বে প্রেরণ করবে তা আল্লাহ্‌র নিকট পাবে। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ আমাদের কাজ প্রত্যক্ষ করেছেন।


📗ইরফানুল কুরআন


১১০.  আর (সর্বদা) নামায কায়েম করো এবং যাকাত প্রদান করতে থাকো। আর তোমরা নিজেদের জন্যে যে পূণ্যই অগ্রে প্রেরণ করবে তা আল্লাহ্‌র নিকট পাবে। যা কিছু তোমরা করছো অবশ্যই আল্লাহ্ তা দেখছেন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১১১

وَ قَالُوۡا لَنۡ یَّدۡخُلَ الۡجَنَّۃَ اِلَّا مَنۡ کَانَ ہُوۡدًا اَوۡ نَصٰرٰی ؕ تِلۡکَ اَمَانِیُّہُمۡ ؕ قُلۡ ہَاتُوۡا بُرۡہَانَکُمۡ  اِنۡ کُنۡتُمۡ صٰدِقِیۡنَ ﴿۱۱۱﴾


📕কানযুল ঈমান


১১১. এবং কিতাবীরা বলল, ‘নিশ্চয় জান্নাতে যাবে না, কিন্তু সেই-ব্যক্তি, যে ইহুদী কিংবা খৃষ্টান হবে।’ এটা তাদের কল্পনাপ্রসুত আশা মাত্র। (হে হাবীব!) আপনি বলুন, ‘(তোমরা) পেশ করো স্বীয় প্রমাণ যদি সত্যবাদী হও।’


📗ইরফানুল কুরআন


১১১.  আর (আহলে কিতাব) বলে, ‘ইহুদী অথবা খ্রিস্টান ব্যতীত কখনো কেউই জান্নাতে প্রবেশ করবে না’। এটি তাদের মিথ্যা আশা। আপনি বলে দিন, ‘যদি তোমরা (নিজেদের দাবীতে) সত্যবাদী হও, তবে নিজেদের (এ আকাঙ্ক্ষার) প্রমাণ উপস্থাপন করো’।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১১২

بَلٰی ٭  مَنۡ اَسۡلَمَ وَجۡہَہٗ  لِلّٰہِ وَ ہُوَ  مُحۡسِنٌ فَلَہٗۤ اَجۡرُہٗ عِنۡدَ رَبِّہٖ ۪ وَ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡہِمۡ  وَ لَا ہُمۡ  یَحۡزَنُوۡنَ ﴿۱۱۲﴾


📕কানযুল ঈমান


১১২. হাঁ, কেন (এমন) নয়? যে ব্যক্তি আপন চেহারা ঝুঁকিয়েছে আল্লাহ্‌র জন্য এবং সে হয় সৎকর্মপরায়ণ, তবে তার প্রতিদান তাঁর রবের নিকট রয়েছে এবং তাদের না আছে কোন শংকা এবং না আছে কোন দুঃখ।


📗ইরফানুল কুরআন


১১২.  হ্যাঁ, যে নিজের চেহারা ঝুঁকিয়ে দিয়েছে আল্লাহ্‌র তরে (অর্থাৎ নিজেকে আল্লাহ্‌র নিকট সমর্পণ করেছে) এবং সে সৎকর্মপরায়ণ; তবে তাঁর জন্যে তাঁর প্রতিপালকের নিকট রয়েছে প্রতিদান। আর এমন লোকদের না থাকবে কোনো ভয় আর তারা না হবে চিন্তিত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১১৩

وَ قَالَتِ الۡیَہُوۡدُ  لَیۡسَتِ النَّصٰرٰی عَلٰی شَیۡءٍ ۪ وَّ قَالَتِ النَّصٰرٰی لَیۡسَتِ الۡیَہُوۡدُ عَلٰی شَیۡءٍ ۙ وَّ ہُمۡ یَتۡلُوۡنَ الۡکِتٰبَ ؕ کَذٰلِکَ قَالَ الَّذِیۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ مِثۡلَ قَوۡلِہِمۡ ۚ فَاللّٰہُ یَحۡکُمُ بَیۡنَہُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ فِیۡمَا کَانُوۡا فِیۡہِ یَخۡتَلِفُوۡنَ ﴿۱۱۳﴾


📕কানযুল ঈমান


১১৩. এবং ইহুদীরা বললো, ‘খৃষ্টান কিছুই নয়।’ আর খৃষ্টান বললো, ‘ইহুদী কিছুই নয়।’ অথচ তারা কিতাব পাঠ করে। এভাবে মূর্খরা তাদের মতো কথা বলেছে। সুতরাং আল্লাহ্‌ তা’আলা ক্বিয়ামত-দিবসে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেবেন যে বিষয়ে তারা ঝগড়া করছে।


📗ইরফানুল কুরআন


১১৩.  আর ইহুদীরা বলে, ‘খ্রিস্টানদের ভিত্তি কোনো কিছুর উপর নেই (অর্থাৎ বিশুদ্ধ আকীদার উপর নেই),’ আর খ্রিস্টানেরা বলে, ‘ইহুদীদের ভিত্তি কোনো কিছুর উপর নেই;’ অথচ তারা (সবাই আল্লাহ্‌র অবতীর্ণ) কিতাব পাঠ করে। এভাবে যাদের নিকট (অর্থাৎ মুশরিকদের নিকট শুরু থেকেই কোনো আসমানী) জ্ঞান নেই, তারাও তাদের মতোই কথা বলে। কাজেই আল্লাহ্ তাদের মাঝে কিয়ামতের দিন এ ব্যাপারে (নিজেই) ফায়সালা করবেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১১৪

وَ مَنۡ اَظۡلَمُ  مِمَّنۡ مَّنَعَ مَسٰجِدَ اللّٰہِ اَنۡ یُّذۡکَرَ فِیۡہَا اسۡمُہٗ وَ سَعٰی فِیۡ خَرَابِہَا ؕ اُولٰٓئِکَ مَا کَانَ لَہُمۡ اَنۡ یَّدۡخُلُوۡہَاۤ اِلَّا خَآئِفِیۡنَ ۬ؕ لَہُمۡ  فِی الدُّنۡیَا خِزۡیٌ وَّ لَہُمۡ فِی الۡاٰخِرَۃِ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ ﴿۱۱۴﴾


📕কানযুল ঈমান


১১৪. এবং তার চেয়ে অধিক যালিম কে, যে আল্লাহ্‌র মসজিদগুলোতে বাধা দেয় সেগুলোতে আল্লাহ্‌র নামের চর্চা হওয়া থেকে, এবং সেগুলোর ধ্বংস সাধনে প্রয়াসী হয়? তাদের জন্য ভয়-বিহ্‌বল না হয়ে মসজিদে প্রবেশ করা সঙ্গত ছিলো না যে, তাদের জন্য পৃথিবীতে লাঞ্ছনা রয়েছে এবং তাদের জন্য রয়েছে পরকালের মহাশাস্তি।


📗ইরফানুল কুরআন


১১৪.  আর তার চেয়ে বড় যালিম আর কে, যে আল্লাহ্‌র মসজিদে তাঁর নাম স্মরণে বাধা দেয় এবং এগুলো জনশূন্য করে দেয়ার চেষ্টা করে? তাদের জন্যে (আল্লাহ্‌র) ভয়-বিহবল অবস্থা ব্যতীত মসজিদে প্রবেশ করা সঙ্গত ছিল না। পৃথিবীতে তাদের জন্যে রয়েছে লাঞ্ছনা এবং পরকালেও রয়েছে ভয়ঙ্কর শাস্তি।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১১৫

وَ  لِلّٰہِ الۡمَشۡرِقُ وَ الۡمَغۡرِبُ ٭ فَاَیۡنَمَا تُوَلُّوۡا فَثَمَّ وَجۡہُ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۱۱۵﴾


📕কানযুল ঈমান


১১৫. এবং পূর্ব-পশ্চিম সব আল্লাহ্‌রই। সুতরাং তোমরা যেদিকে মুখ করো সেদিকেই ‘ওয়াজাহুল্লাহ’ (খোদার রহমত তোমাদের দিকে নিবদ্ধ) রয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সর্বব্যাপী, সর্বজ্ঞ।


📗ইরফানুল কুরআন


১১৫.  আর পূর্ব ও পশ্চিম (সবই) আল্লাহ্ তা’আলার। কাজেই তোমরা যেদিকেই মুখ ফিরাও সেদিকেই আল্লাহ্ তা’আলার উপস্থিতি বিদ্যমান (অর্থাৎ সবদিকেই আল্লাহ্ তা’আলার সত্তা উজ্জ্বলরূপে প্রতীয়মান)। অবশ্যই আল্লাহ্ তা’আলা সর্বব্যাপী এবং সর্বজ্ঞ।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১১৬

وَ قَالُوا اتَّخَذَ اللّٰہُ وَلَدًا ۙ سُبۡحٰنَہٗ ؕ بَلۡ لَّہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ کُلٌّ لَّہٗ قٰنِتُوۡنَ ﴿۱۱۶﴾


📕কানযুল ঈমান


১১৬. এবং (তারা) বললো, আল্লাহ্‌ নিজের জন্য সন্তান রেখেছেন। পবিত্রতা তাঁরই বরং তাঁরই মালিকানাধীন যা কিছু আস্‌মানসমূহ এবং যমীনে রয়েছে। সবাই তাঁর সামনে গর্দান অবনতকারী।


📗ইরফানুল কুরআন


১১৬.  আর তারা বলে, ‘আল্লাহ্ নিজের জন্যে সন্তান-সন্ততি গ্রহণ করেছেন, অথচ তিনি (তা থেকে) পূতঃপবিত্র। বরং আকাশমন্ডলীতে এবং পৃথিবীতে যা কিছু আছে (সবকিছু) তাঁরই (সৃষ্টি ও অধিকারে রয়েছে)। (আর) সকল কিছুই তাঁর অনুগত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১১৭

بَدِیۡعُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ  اِذَا قَضٰۤی اَمۡرًا فَاِنَّمَا یَقُوۡلُ لَہٗ  کُنۡ فَیَکُوۡنُ ﴿۱۱۷﴾


📕কানযুল ঈমান


১১৭. (আল্লাহ্‌) নতুন (নমুনা ছাড়া) সৃষ্টিকারী আস্‌মান সমূহের ও যমীনের এবং যখন কোন কিছুর নির্দেশ দেন তখন তিনি তাকে এটাই বলেন, ‘হয়ে যাও!’ তা সাথে সাথে হয়ে যায়।


📗ইরফানুল কুরআন


১১৭. তিনিই আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীকে অস্তিত্বে আনয়নকারী। আর যখন কোনো কিছু (অস্তিত্বশীল করার) সিদ্ধান্ত নেন, তখন একে কেবল এটুকুই বলেন, ‘হও’ তখন তা হয়ে যায়।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১১৮

وَ قَالَ الَّذِیۡنَ لَا یَعۡلَمُوۡنَ لَوۡ لَا یُکَلِّمُنَا اللّٰہُ  اَوۡ تَاۡتِیۡنَاۤ  اٰیَۃٌ  ؕ کَذٰلِکَ قَالَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِہِمۡ  مِّثۡلَ قَوۡلِہِمۡ  ؕ تَشَابَہَتۡ قُلُوۡبُہُمۡ ؕ قَدۡ بَیَّنَّا الۡاٰیٰتِ لِقَوۡمٍ  یُّوۡقِنُوۡنَ ﴿۱۱۸﴾


📕কানযুল ঈমান


১১৮. এবং মূর্খরা বললো, ‘আল্লাহ্‌ আমাদের সাথে কেন কথা বলেন না? কিংবা যদি আমাদের কোন নিদর্শনও মিলতো!’ তাদের পূর্ববর্তীরাও এরুপই বলেছে- তাদের মতো কথা। এদের ও ওদের অন্তরগুলো একই ধরণের। নিশ্চয়ই আমি নিদর্শনাবলী স্পষ্টভাবে বিবৃত করেছি- দৃঢ় বিশ্বাসীদের জন্য।


📗ইরফানুল কুরআন


১১৮.  আর যারা জ্ঞান রাখে না তারা বলে, ‘আল্লাহ্ আমাদের সাথে কেন কথা বলেন না অথবা আমাদের নিকট (সরাসরি) কোনো নিদর্শন কেন আসে না?’ এভাবে তাদের পূর্ববর্তী লোকেরাও তাদের মতো কথা বলতো। এ (সব) লোকদের অন্তর পরস্পরে একই রকম। নিশ্চয়ই আমরা দৃঢ় প্রত্যয়শীলদের জন্যে নিদর্শনাবলী সুস্পষ্টভাবে বিবৃত করেছি।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১১৯

اِنَّاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ بِالۡحَقِّ بَشِیۡرًا وَّ نَذِیۡرًا ۙ وَّ لَا  تُسۡئَلُ عَنۡ  اَصۡحٰبِ  الۡجَحِیۡمِ ﴿۱۱۹﴾


📕কানযুল ঈমান


১১৯. নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছি সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারীরুপে। আর আপনাকে জাহান্নামীদের সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে না।


📗ইরফানুল কুরআন


১১৯.  (হে সম্মানিত প্রিয়তম!) নিশ্চয়ই আমরা আপনাকে সত্য-সহ সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি। জাহান্নামের অধিবাসীদের ব্যাপারে আপনাকে জিজ্ঞেস করা হবে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১২০

وَ لَنۡ تَرۡضٰی عَنۡکَ الۡیَہُوۡدُ وَ لَا النَّصٰرٰی حَتّٰی تَتَّبِعَ مِلَّتَہُمۡ ؕ قُلۡ اِنَّ ہُدَی اللّٰہِ ہُوَ  الۡہُدٰی ؕ وَ لَئِنِ اتَّبَعۡتَ اَہۡوَآءَہُمۡ بَعۡدَ الَّذِیۡ جَآءَکَ مِنَ الۡعِلۡمِ ۙ مَا لَکَ مِنَ اللّٰہِ مِنۡ وَّلِیٍّ وَّ لَا نَصِیۡرٍ ﴿۱۲۰﴾ؔ


📕কানযুল ঈমান


১২০. এবং কখনো আপনার উপর ইহুদী ও খৃষ্টানগণ সন্তুষ্ট হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ করবেন না। (হে হাবীব!) আপনি বলে দিন, ‘আল্লাহ্‌র হিদায়তই প্রকৃত হিদায়ত।’ এবং (হে শ্রোতা, যেই হও!) যদি তুমি তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করো তোমার নিকট জ্ঞান আসার পর, তবে আল্লাহ্‌ থেকে কেউ না তোমার রক্ষাকারী হবে এবং না সাহায্যকারী।


📗ইরফানুল কুরআন


১২০. আর ইহুদী ও খ্রিস্টানরা (সে সময় পর্যন্ত) কখনোই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ না আপনি তাদের ধর্মাদর্শ অনুসরণ করবেন। আপনি বলে দিন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ্‌র (দেয়া) হেদায়াতই (প্রকৃত) হেদায়াত’। (উম্মতের শিক্ষার জন্যে বলা হলো,) আর যদি (অসম্ভব ধরেও নেয়া হয় যে, আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে) আপনার নিকট যা এসেছে আপনি তা জানার পরও তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করেন, তবে আপনার জন্যে আল্লাহ্‌র বিপক্ষে না কোনো রক্ষাকারী বন্ধু হবে, আর না কোনো সাহায্যকারী।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১২১

اَلَّذِیۡنَ اٰتَیۡنٰہُمُ الۡکِتٰبَ یَتۡلُوۡنَہٗ حَقَّ تِلَاوَتِہٖ ؕ اُولٰٓئِکَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِہٖ ؕ وَ مَنۡ یَّکۡفُرۡ بِہٖ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ  الۡخٰسِرُوۡنَ ﴿۱۲۱﴾


📕কানযুল ঈমান


১২১. যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি, তারা যেমন উচিত, তা পাঠ করে; তারাই তার উপর ঈমান রাখে। আর যারা এটাকে অস্বীকার করে তারাই ক্ষতিগ্রস্থ।


📗ইরফানুল কুরআন


১২১.  (এরকম লোকও রয়েছে) যাদেরকে আমরা কিতাব দিয়েছি তারা তা যথাযথভাবে পাঠ করে যেভাবে পাঠ করা সমীচিন, তারাই এতে (এ কিতাবে) বিশ্বাস রাখে, আর যারা একে অস্বীকার করে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১২২

یٰبَنِیۡۤ  اِسۡرَآءِیۡلَ اذۡکُرُوۡا نِعۡمَتِیَ الَّتِیۡۤ  اَنۡعَمۡتُ عَلَیۡکُمۡ وَ اَنِّیۡ فَضَّلۡتُکُمۡ عَلَی الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۲۲﴾


📕কানযুল ঈমান


১২২. হে ইয়া’কুবের বংশধরগণ! স্মরণ করো আমার ওই অনুগ্রহকে, যা আমি তোমাদের উপর করেছি। আর ওটাও যে, আমি সে যুগের সকলের উপর তোমাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছি।


📗ইরফানুল কুরআন


১২২.  হে ইয়াকুবের সন্তানগণ! স্মরণ করো আমার অনুগ্রহ, যা আমি তোমাদেরকে প্রদান করেছিলাম এবং (বিশেষ করে) আমি তোমাদেরকে তৎকালীন সমস্ত মানুষের উপর মর্যাদা প্রদান করেছিলাম।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১২৩

وَ اتَّقُوۡا یَوۡمًا لَّا تَجۡزِیۡ نَفۡسٌ عَنۡ نَّفۡسٍ شَیۡئًا وَّ لَا یُقۡبَلُ مِنۡہَا عَدۡلٌ وَّ لَا تَنۡفَعُہَا شَفَاعَۃٌ  وَّ لَا ہُمۡ یُنۡصَرُوۡنَ ﴿۱۲۳﴾


📕কানযুল ঈমান


১২৩. এবং ভয় করো সেদিনকে, যেদিন কোন প্রাণ অন্য প্রাণের বিনিময় হবে না এবং না তাকে কিছু বিনিময় নিয়ে ছেড়ে দেয়া হবে আর না কাফিরদেরকে কোন সুপারিশ উপকার করবে এবং না তাদেরকে সাহায্য করা হবে।


📗ইরফানুল কুরআন


১২৩. আর ভয় করো সেই দিনকে, যেদিন কেউ অপর কারো পক্ষে কোনো প্রতিদান দিতে পারবে না এবং তার পক্ষ থেকে (নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্যে) কোনো বিনিময়ও গ্রহণ করা হবে না। আর (আল্লাহ্‌র অনুমতি ব্যতীত) কোনো সুপারিশই তার উপকারে আসবে না এবং (আল্লাহ্‌র নির্দেশের বিপরীতে) তাদেরকে কোনো সাহায্যও করা হবে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১২৪

وَ اِذِ ابۡتَلٰۤی  اِبۡرٰہٖمَ  رَبُّہٗ بِکَلِمٰتٍ فَاَتَمَّہُنَّ ؕ قَالَ اِنِّیۡ جَاعِلُکَ لِلنَّاسِ  اِمَامًا ؕ قَالَ وَ مِنۡ ذُرِّیَّتِیۡ ؕ قَالَ لَا یَنَالُ عَہۡدِی الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۱۲۴﴾


📕কানযুল ঈমান


১২৪. এবং যখন ইব্রাহীমকে তাঁর রব কতিপয় কথা দ্বারা পরীক্ষা করেছেন; অতঃপর তিনি সেগুলোকে পূর্ণ করে দেখিয়েছেন। (আল্লাহ্‌) এরশাদ করেন, ‘আমি তোমাকে মানুষের ইমাম সাব্যস্তকারী হই।’ আরয করলেন, ‘এবং আমার বংশধরদের মধ্যে থেকেও।’ এরশাদ করলো, ‘আমার প্রতিশ্রুতি অত্যাচারীদের ভাগ্যে জোটে না।’


📗ইরফানুল কুরআন


১২৪. আর (স্মরণ করুন সে সময়ের কথা) যখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে তাঁর প্রতিপালক কিছু বিষয়ে পরীক্ষা করলেন, অতঃপর তিনি তা পূর্ণ করলেন, (এর প্রেক্ষিতে) আল্লাহ্ বললেন, ‘আমি তোমাকে মানবজাতির নেতা নিরূপণ করবো’। তিনি আরয করলেন, ‘আমার সন্তানদের মধ্য থেকেও (কি)?’ তিনি বললেন, ‘(হ্যাঁ! তবে) আমার অঙ্গীকার যালিমদের জন্যে প্রযোজ্য হবে না।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১২৫

وَ اِذۡ جَعَلۡنَا الۡبَیۡتَ مَثَابَۃً لِّلنَّاسِ وَ اَمۡنًا ؕ وَ اتَّخِذُوۡا مِنۡ مَّقَامِ اِبۡرٰہٖمَ مُصَلًّی ؕ وَ عَہِدۡنَاۤ اِلٰۤی اِبۡرٰہٖمَ  وَ اِسۡمٰعِیۡلَ اَنۡ طَہِّرَا بَیۡتِیَ  لِلطَّآئِفِیۡنَ وَ الۡعٰکِفِیۡنَ وَ الرُّکَّعِ  السُّجُوۡدِ ﴿۱۲۵﴾


📕কানযুল ঈমান


১২৫. এবং (স্মরণ করুন,) যখন আমি এ ঘরকে মানবজাতির জন্য আশ্রয়স্থল ও নিরাপদ স্থান করেছি আর (বললাম,) ‘ইব্রাহীমের দাঁড়াবার স্থানকে নামাযের স্থানরূপে গ্রহণ করো।’ আমি ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে তাগিদ দিয়েছি, ‘আমার ঘরকে খুব পবিত্র করো- তাওয়াফকারী, ই’তিকাফকারী এবং রুকু’ ও সাজদাকারীদের জন্য।’


📗ইরফানুল কুরআন


১২৫. আর (স্মরণ করুন) যখন আমরা এ (কা’বা) গৃহকে মানুষের জন্যে প্রত্যাবর্তনের (ও জমায়েতের) কেন্দ্র এবং নিরাপত্তাস্থল করেছিলাম, তখন (নির্দেশ দিয়েছিলাম,) ‘ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এঁর দাঁড়াবার স্থানকে নামাযের স্থানরূপে গ্রহণ করো’। আর আমরা ইবরাহীম এবং ইসমাঈল (আলাইহিমাস সালাম)-কে নির্বন্ধ নির্দেশ দিয়েছিলাম, ‘আমার ঘরকে তাওয়াফকারী, ই’তেকাফকারী এবং রুকু ও সেজদাকারীদের জন্যে পবিত্র রাখো’।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১২৬

وَ اِذۡ قَالَ  اِبۡرٰہٖمُ  رَبِّ اجۡعَلۡ ہٰذَا بَلَدًا اٰمِنًا وَّ ارۡزُقۡ اَہۡلَہٗ مِنَ الثَّمَرٰتِ مَنۡ اٰمَنَ مِنۡہُمۡ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ؕ قَالَ وَ مَنۡ کَفَرَ فَاُمَتِّعُہٗ قَلِیۡلًا ثُمَّ  اَضۡطَرُّہٗۤ اِلٰی عَذَابِ النَّارِ ؕ وَ بِئۡسَ الۡمَصِیۡرُ ﴿۱۲۶﴾


📕কানযুল ঈমান


১২৬. এবং যখন ইব্রাহীম আরয করলেন, ‘হে আমার রব! এ শহরকে নিরাপদ করে দাও! আর এর অধিবাসীদেরকে বিভিন্ন ধরণের ফল থেকে জীবিকা দান করো! যারা তাদের মধ্যে আল্লাহ্‌ ও পরকালের উপর ঈমান আনবে।’ এরশাদ করলেন, ‘এবং যারা কাফির হবে তাদেরকেও এর সামান্য ভোগ করার জন্য দেবো। অতঃপর তাদেরকে দোযখের কঠিন শাস্তির দিকে (ধাবিত হতে) বাধ্য করবো এবং তা অত্যন্ত নিকৃষ্ট স্থান ফিরে যাবার।’


📗ইরফানুল কুরআন


১২৬.  আর যখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) আরয করলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! একে নিরাপদ শহর করো এবং এর অধিবাসীদের মধ্যে যারা আল্লাহ্ এবং শেষ দিবসে বিশ্বাস রাখে তাদেরকে বিভিন্ন প্রকারের ফলমূল দ্বারা অনুগ্রহ করো’। (আল্লাহ্) বললেন, ‘আর যে ব্যক্তি কুফরী করবে, তাকেও জীবনের সামান্য সময়ের (জন্যে) উপভোগের সুযোগ দেবো; অতঃপর (তার কুফরীর কারণে) তাকে জাহান্নামের শাস্তিতে (যেতে) বাধ্য করবো; আর তা খুবই নিকৃষ্ট স্থান।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১২৭

وَ اِذۡ یَرۡفَعُ  اِبۡرٰہٖمُ  الۡقَوَاعِدَ مِنَ الۡبَیۡتِ وَ اِسۡمٰعِیۡلُ ؕ رَبَّنَا تَقَبَّلۡ مِنَّا ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ السَّمِیۡعُ الۡعَلِیۡمُ ﴿۱۲۷﴾


📕কানযুল ঈমান


১২৭. এবং যখন ইব্রাহীম এ ঘরের ভিত্তিগুলো উঠাচ্ছিলো এবং ইসমাঈল, এ প্রার্থনারত অবস্থায়- ‘হে আমাদের রব! আমাদের পক্ষ থেকে গ্রহণ করো। নিশ্চয় তুমিই শ্রোতা, জ্ঞাতা।


📗ইরফানুল কুরআন


১২৭. আর (স্মরণ করুন) যখন ইবরাহীম এবং ইসমাঈল (আলাইহিমাস সালাম) কাবাগৃহের ভিত্তি স্থাপন করছিলেন (তখন উভয়ে প্রার্থনা করে বলেছিলেন), ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের (এ বিনীত পরিষেবা) কবুল করো। নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১২৮

رَبَّنَا وَ اجۡعَلۡنَا مُسۡلِمَیۡنِ لَکَ وَ مِنۡ ذُرِّیَّتِنَاۤ اُمَّۃً مُّسۡلِمَۃً  لَّکَ ۪ وَ اَرِنَا مَنَاسِکَنَا وَ تُبۡ عَلَیۡنَا ۚ اِنَّکَ اَنۡتَ التَّوَّابُ الرَّحِیۡمُ ﴿۱۲۸﴾


📕কানযুল ঈমান


১২৮. হে রব আমাদের! এবং আমাদেরকে তোমারই সামনে গর্দান অবতনকারী করো এবং আমাদের বংশধরদের মধ্য থেকে একটা উম্মতকে তোমারই অনুগত করো। আর আমাদেরকে আমাদের ইবাদতের নিয়ম-কানুন বলে দাও এবং আমাদের প্রতি স্বীয় অনুগ্রহ সহকারে দৃষ্টিপাত করো। নিশ্চয় তুমিই অত্যন্ত তাওবা কবূলকারী, দয়ালু। 


📗ইরফানুল কুরআন


১২৮. হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উভয়কে তোমার নির্দেশের সম্মুখে আজ্ঞানুবর্তী করো এবং আমাদের সন্তান-সন্ততিদের মধ্য থেকেও এক উম্মতকে তোমার বিশেষ আজ্ঞাবহ করো। আমাদেরকে আমাদের ইবাদত (ও হজ্জের) বিধিবিধান বলে দাও এবং আমাদের প্রতি (রহমত ও ক্ষমার) দৃষ্টি দাও। নিশ্চয় তুমিই অতিশয় তওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১২৯

رَبَّنَا وَ ابۡعَثۡ فِیۡہِمۡ رَسُوۡلًا مِّنۡہُمۡ یَتۡلُوۡا عَلَیۡہِمۡ اٰیٰتِکَ وَ یُعَلِّمُہُمُ الۡکِتٰبَ وَ الۡحِکۡمَۃَ وَ یُزَکِّیۡہِمۡ ؕ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۱۲۹﴾


📕কানযুল ঈমান


১২৯. হে রব আমাদের! এবং তাদের মধ্যে তাদেরই থেকে একজন রসূল প্রেরণ করো, যিনি তোমার আয়াতসমূহ তাদের নিকট তেলাওয়াত করবেন এবং তাদেরকে তোমার কিতাব ও পরিপক্ক জ্ঞান শিক্ষা দেবেন এবং তাদেরকে অতি পবিত্র করবেন। নিশ্চয়, তুমিই পরাত্রুমশালী, প্রজ্ঞাময়।


📗ইরফানুল কুরআন


১২৯. হে আমাদের প্রতিপালক! তাদেরই মধ্য থেকে তাদের নিকট (সর্বশেষ এবং সর্বাধিক মর্যাদাবান) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামকে) প্রেরণ করো, যিনি তাদের নিকট তোমার আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করবেন, (আধ্যাত্মিক গোপন ভেদে পরিজ্ঞাত করে) তাদেরকে কিতাব ও প্রজ্ঞা শিক্ষা দেবেন এবং (তাদের অন্তর ও আত্মা পরিশুদ্ধির মাধ্যমে) তাদেরকে উত্তমরূপে পবিত্র করবেন। নিশ্চয় তুমিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৩০

وَ مَنۡ یَّرۡغَبُ عَنۡ مِّلَّۃِ  اِبۡرٰہٖمَ  اِلَّا مَنۡ سَفِہَ نَفۡسَہٗ ؕ وَ لَقَدِ اصۡطَفَیۡنٰہُ فِی الدُّنۡیَا ۚ وَ اِنَّہٗ فِی الۡاٰخِرَۃِ  لَمِنَ الصّٰلِحِیۡنَ ﴿۱۳۰﴾


📕কানযুল ঈমান


১৩০. এবং ইব্রাহীমের দ্বীন থেকে কে বিমুখ হবে ওই ব্যক্তি ছাড়া, যে অন্তরের (দিক দিয়ে) নির্বোধ? আর নিশ্চয় নিশ্চয় আমি পৃথিবীতে তাকে মনোনীত করে নিয়েছি; এবং নিশ্চয় সে পরকালে আমার খাস নৈকট্যের উপযোগীদের অন্তভূক্ত।


📗ইরফানুল কুরআন


১৩০. আর কে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এঁর ধর্মাদর্শ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, সে ব্যতীত যে নিজেকে নির্বুদ্ধিতায় নিমজ্জিত করেছে? আর অবশ্যই আমি তাঁকে পৃথিবীতে(ও) মনোনীত করেছিলাম এবং অবশ্যই তিনি পরকালে(ও) উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন নৈকট্যবানদের মধ্যে থাকবেন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৩১

اِذۡ قَالَ لَہٗ رَبُّہٗۤ  اَسۡلِمۡ ۙ قَالَ اَسۡلَمۡتُ لِرَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۱۳۱﴾


📕কানযুল ঈমান


১৩১. যখন তাকে তার রব বললেন, ‘গর্দান অবনত করো (আত্মসমর্পণ করো)!’ তখন আরয করলো আমি গর্দান অবনত করেছি তাঁরই জন্যই, যিনি সমগ্র বিশ্বের রব।


📗ইরফানুল কুরআন


১৩১.  আর যখন তাঁর প্রতিপালক তাঁকে বললেন, ‘(আমার সমীপে) অবনত হও’, তখন তিনি বললেন, ‘আমি বিশ্বজগতের প্রতিপালকের সমীপে সম্পূর্ণরূপে মস্তক অবনত করলাম’।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৩২

وَ وَصّٰی بِہَاۤ اِبۡرٰہٖمُ  بَنِیۡہِ وَ یَعۡقُوۡبُ ؕ یٰبَنِیَّ  اِنَّ اللّٰہَ اصۡطَفٰی لَکُمُ الدِّیۡنَ فَلَا تَمُوۡتُنَّ  اِلَّا وَ اَنۡتُمۡ  مُّسۡلِمُوۡنَ ﴿۱۳۲﴾ؕ


📕কানযুল ঈমান


১৩২. এবং ইব্রাহীম তার পুত্রদেরকে ওই দ্বীন সম্পর্কে ওসীয়ত করলো এবং ইয়া‘কূবও- ‘হে আমার পুত্রগণ! নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তোমাদের জন্য এ দ্বীনকে মনোনিত করে দিয়েছেন। সুতরাং মৃত্যুবরণ করো না, কিন্তু মুসলমান হয়ে।’


📗ইরফানুল কুরআন


১৩২. আর ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) নিজ পুত্রদেরকে একই বিষয়ে উপদেশ দিলেন এবং ইয়াকূব (আলাইহিস সালাম)ও, ‘হে আমার পুত্রগণ! নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে (ইসলাম) ধর্মকে মনোনীত করেছেন। সুতরাং তোমরা কখনো (কোনো অবস্থাতেই) মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৩৩

اَمۡ کُنۡتُمۡ  شُہَدَآءَ  اِذۡ حَضَرَ یَعۡقُوۡبَ الۡمَوۡتُ ۙ اِذۡ  قَالَ لِبَنِیۡہِ مَا تَعۡبُدُوۡنَ مِنۡۢ بَعۡدِیۡ ؕ قَالُوۡا نَعۡبُدُ اِلٰہَکَ وَ اِلٰـہَ اٰبَآئِکَ اِبۡرٰہٖمَ  وَ  اِسۡمٰعِیۡلَ وَ  اِسۡحٰقَ  اِلٰـہًا وَّاحِدًا ۚۖ وَّ نَحۡنُ لَہٗ مُسۡلِمُوۡنَ ﴿۱۳۳﴾


📕কানযুল ঈমান


১৩৩. বরং তোমাদের মধ্যে থেকে (তোমরা) নিজেরাই উপস্থিত ছিলে যখন ইয়া’কুবের নিকট মৃত্যু আসলো; যখন সে আপন পুত্রদেরকে বললো, ‘আমার পরে কার ইবাদত করবে?’ (তারা) আরয করলো, ‘আমরা ইবাদত করবো তাঁরই, যিনি খোদা হন আপনার এবং আপনার পিতামহ ইব্রাহীম, ইসমাঈল এবং ইসহাক্বের, একমাত্র খোদা; এবং আমরা তাঁরই সামনে গর্দান রেখেছি।


📗ইরফানুল কুরআন


১৩৩. তোমরা কি (সে সময়) উপস্থিত ছিলে যখন ইয়াকূব (আলাইহিস সালাম)-এঁর মৃত্যু নিকটবর্তী হয়েছিল? তিনি যখন তাঁর পুত্রদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা আমার (ইন্তেকালের) পর কার ইবাদত করবে?’ তখন তারা বললেন, ‘আমরা ইবাদত করবো আপনার উপাস্যের, আপনার পিতৃপুরুষ ইবরাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাক (আলাইহিমুস সালাম)-এঁর উপাস্যের, যিনি একক উপাস্য। আর আমরা (সবাই) তাঁরই আজ্ঞাবহ থাকবো।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৩৪

تِلۡکَ اُمَّۃٌ قَدۡ خَلَتۡ ۚ لَہَا مَا کَسَبَتۡ وَ لَکُمۡ مَّا کَسَبۡتُمۡ ۚ وَ لَا تُسۡـَٔلُوۡنَ عَمَّا  کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۳۴﴾


📕কানযুল ঈমান


১৩৪. এ এক উম্মত; যারা গত হয়েছে, তাদের জন্য রয়েছে যা তারা অর্জন করেছে; এবং তোমাদের জন্য রয়েছে যা তোমরা অর্জন করবে; এবং তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে তোমাদেরকে কোন প্রশ্ন করা হবে না।


📗ইরফানুল কুরআন


১৩৪. তারা ছিল এক সম্প্রদায় যারা গত হয়েছে। তাদের জন্যে তাই থাকবে যা তারা উপার্জন করেছে এবং তোমাদের জন্যে তাই থাকবে যা তোমরা উপার্জন করবে। আর তোমাদেরকে তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৩৫

وَ قَالُوۡا کُوۡنُوۡا ہُوۡدًا اَوۡ نَصٰرٰی تَہۡتَدُوۡا ؕ قُلۡ بَلۡ مِلَّۃَ  اِبۡرٰہٖمَ  حَنِیۡفًا ؕ وَ مَا کَانَ مِنَ الۡمُشۡرِکِیۡنَ ﴿۱۳۵﴾


📕কানযুল ঈমান


১৩৫. এবং কিতাবীরা বললো, ‘ইহুদী কিংবা খৃষ্টান হয়ে যাও, ঠিক পথ পাবে!’ (হে হাবীব!) আপনি বলুন, ‘বরং আমরা তো ইব্রাহীমের দ্বীনকেই গ্রহণ করছি, যিনি সব রকমের বাতিল থেকে মুক্ত ছিলেন এবং মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।’


📗ইরফানুল কুরআন


১৩৫. আর (আহলে কিতাব) বলে, ‘ইহুদী অথবা খ্রিস্টান হও, তবে হেদায়াত পেয়ে যাবে’। বলে দিন, ‘(না) বরং আমরা তো ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এঁর দ্বীন বেছে নিয়েছি, যিনি (সকল বাতিল হতে মুক্ত থেকে) কেবল আল্লাহ্‌র দিকে নিবিষ্ট ছিলেন। আর তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৩৬

قُوۡلُوۡۤا اٰمَنَّا بِاللّٰہِ وَ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡنَا وَ مَاۤ اُنۡزِلَ  اِلٰۤی  اِبۡرٰہٖمَ  وَ  اِسۡمٰعِیۡلَ وَ  اِسۡحٰقَ وَ یَعۡقُوۡبَ وَ الۡاَسۡبَاطِ وَ مَاۤ اُوۡتِیَ مُوۡسٰی وَ عِیۡسٰی وَ مَاۤ اُوۡتِیَ النَّبِیُّوۡنَ مِنۡ  رَّبِّہِمۡ ۚ  لَا نُفَرِّقُ بَیۡنَ اَحَدٍ مِّنۡہُمۡ ۫ۖ وَ نَحۡنُ لَہٗ مُسۡلِمُوۡنَ ﴿۱۳۶﴾


📕কানযুল ঈমান


১৩৬. এভাবে আরয করো, ‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহ্‌র উপর এবং সেটারই উপর, যা আমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, আর যা অবতারণ করা হয়েছে ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক্ব, ইয়া‘কূব এবং তাঁরই বংশধরদের উপর। আর (সেটারই উপর) যা দান করা হয়েছে মুসা ও ঈসাকে এবং যা দান করা হয়েছে অন্যান্য নবীগণকে তাঁদের রবের পক্ষ থেকে। আমরা তাঁদের কারো উপর ঈমান আনার ক্ষেত্রে পার্থক্য করি না এবং আমরা আল্লাহ্‌র সামনে গর্দান রেখেছি।


📗ইরফানুল কুরআন


১৩৬. (হে মুসলমানেরা!) তোমরা বলো, ‘আমরা বিশ্বাস স্থাপন করি আল্লাহ্তে, এতে (এ কিতাবে) যা আমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং তাতেও যা ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব (আলাইহিমুস সালাম) এবং তাদের বংশধরদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছিল; এবং (এ কিতাবসমূহেও) যা মূসা ও ঈসা (আলাইহিমাস সালাম)-কে দেয়া হয়েছিল এবং (এভাবে) যা অন্যান্য নবীগণ (আলাইহিমুস সালাম)-কে তাঁদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল। আমরা তাদের মধ্যে (ঈমানের ব্যাপারে) কোনো পার্থক্য করি না এবং আমরা তাঁর (অর্থাৎ একক আল্লাহ্‌র) আজ্ঞাবহ।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৩৭

فَاِنۡ اٰمَنُوۡا بِمِثۡلِ مَاۤ  اٰمَنۡتُمۡ  بِہٖ فَقَدِ اہۡتَدَوۡا ۚ وَ اِنۡ تَوَلَّوۡا فَاِنَّمَا ہُمۡ فِیۡ شِقَاقٍ ۚ فَسَیَکۡفِیۡکَہُمُ اللّٰہُ ۚ وَ ہُوَ السَّمِیۡعُ  الۡعَلِیۡمُ ﴿۱۳۷﴾ؕ


📕কানযুল ঈমান


১৩৭. অতঃপর তারাও যদি এভাবে ঈমান আনতো, যেমন তোমরা এনেছো, তবেই তো তারা হিদায়ত পেয়ে যেতো। আর যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তারা নিরেট একগুঁয়েমীর মধ্যে রয়েছে। তবে হে মাহবুব! অদূর ভবিষ্যতে আল্লাহ্‌ তাদের দিক থেকে আপনার জন্য যথেষ্ট হবেন এবং তিনিই শ্রোতা, জ্ঞাতা।


📗ইরফানুল কুরআন


১৩৭. অতঃপর যদি তারা(ও) এভাবে ঈমান আনয়ন করে যেভাবে তোমরা তাঁর প্রতি ঈমান আনয়ন করেছো, তবে তারা (বাস্তবিকই) হেদায়াত লাভ করবে। আর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে (বুঝে নিও যে,) তারা কেবল বিরোধীতায় লিপ্ত। অতঃপর এখন তাদের অনিষ্ট থেকে আপনাকে রক্ষা করার জন্যে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। আর তিনি সর্বশ্রোতা, সম্যক অবগত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৩৮

صِبۡغَۃَ اللّٰہِ ۚ وَ مَنۡ اَحۡسَنُ مِنَ اللّٰہِ صِبۡغَۃً  ۫ وَّ نَحۡنُ لَہٗ عٰبِدُوۡنَ ﴿۱۳۸﴾


📕কানযুল ঈমান


১৩৮. আমরা আল্লাহ্‌র রং গ্রহণ করেছি এবং আল্লাহ্‌র রং অপেক্ষা কার রং অধিক উত্তম? এবং আমরা তাঁরই ইবাদত করি।


📗ইরফানুল কুরআন


১৩৮. (বলে দাও যে, আমরা গ্রহণ করলাম) আল্লাহ্‌র রঙ; আল্লাহ্‌র রঙের চেয়ে কার রঙ উত্তম? আর আমরা তো তাঁরই ইবাদতকারী।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৩৯

قُلۡ اَتُحَآجُّوۡنَنَا فِی اللّٰہِ وَ ہُوَ رَبُّنَا وَ رَبُّکُمۡ ۚ وَ لَنَاۤ اَعۡمَالُنَا وَ لَکُمۡ اَعۡمَالُکُمۡ ۚ وَ نَحۡنُ لَہٗ  مُخۡلِصُوۡنَ ﴿۱۳۹﴾ۙ


📕কানযুল ঈমান


১৩৯. (হে হাবীব!) আপনি বলুন, ‘আল্লাহ্‌ সম্পর্কে (আমাদের সাথে) কি (তোমরা) বিতর্ক করছো? অথচ তিনি আমাদেরও মালিক এবং তোমাদেরও; এবং আমাদের কর্ম আমাদের সাথে আর তোমাদের কর্ম তোমাদের সাথে; এবং আমরা শুধু তাঁরই;


📗ইরফানুল কুরআন


১৩৯. বলে দিন, ‘তোমরা কি আল্লাহ্‌র ব্যাপারে আমাদের সাথে ঝগড়া করছো, অথচ তিনি আমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। আর আমাদের জন্যে আমাদের আমল এবং তোমাদের জন্যে তোমাদের আমল। আর আমরা তো একনিষ্ঠভাবে তাঁরই প্রতি নিবেদিত।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৪০

اَمۡ  تَقُوۡلُوۡنَ  اِنَّ  اِبۡرٰہٖمَ  وَ اِسۡمٰعِیۡلَ وَ اِسۡحٰقَ وَ یَعۡقُوۡبَ وَ الۡاَسۡبَاطَ کَانُوۡا ہُوۡدًا اَوۡ نَصٰرٰی ؕ قُلۡ ءَاَنۡتُمۡ  اَعۡلَمُ اَمِ اللّٰہُ ؕ وَ مَنۡ اَظۡلَمُ مِمَّنۡ کَتَمَ شَہَادَۃً عِنۡدَہٗ مِنَ اللّٰہِ ؕ وَ مَا اللّٰہُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۴۰﴾


📕কানযুল ঈমান


১৪০. বরং তোমরা এটাই বলে থাকো যে, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক্ব, ইয়া‘কূব এবং তাঁদের পুত্রগণ ইহুদী কিংবা খৃষ্টান ছিলেন। (হে হাবীব!) আপনি বলুন, ‘জ্ঞান কি আমাদের বেশী, না আল্লাহ্‌র? এবং তার চেয়ে অধিক অত্যাচারী কে, যার নিকট রয়েছে আল্লাহ্‌র পক্ষে সাক্ষ্য, আর সে তা গোপন করে? এবং খোদা তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অনবগত নন।’


📗ইরফানুল কুরআন


১৪০. (হে আহলে কিতাব!) তোমরা কি বলো যে, ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইয়াকূব (আলাইহিমুস সালাম) এবং তাদের পুত্রগণ ইহুদী বা খ্রিস্টান ছিলেন? বলে দিন ‘তোমরা অধিক জানো, না আল্লাহ্?’ আর তার চেয়ে বড় যালিম আর কে হবে, যে সাক্ষ্য গোপন করেছে যা তার নিকট আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে (কিতাবে বিদ্যমান) ছিল? আর আল্লাহ্ তোমাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অনবহিত নন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৪১

تِلۡکَ اُمَّۃٌ  قَدۡ خَلَتۡ ۚ لَہَا مَا کَسَبَتۡ وَ لَکُمۡ مَّا کَسَبۡتُمۡ ۚ وَ لَا تُسۡـَٔلُوۡنَ عَمَّا  کَانُوۡا  یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۴۱﴾


📕কানযুল ঈমান


১৪১. সেই একটা জনগোষ্ঠী, যারা গত হয়েছে। তাদের জন্য তাদের অর্জিত বস্তু আর তোমাদের জন্য তোমাদের অর্জিত বস্তু। আর তাদের কর্মসমূহ সম্পর্কে তোমাদেরকে প্রশ্ন করা হবে না।


📗ইরফানুল কুরআন


১৪১.  তারা ছিল এক সম্প্রদায় যারা গত হয়েছে। যা তারা উপার্জন করেছে তা তাদের জন্যে ছিল; আর যা তোমরা উপার্জন করবে তা তোমাদের জন্যে হবে। আর তোমাদেরকে তাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হবে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৪২

سَیَقُوۡلُ السُّفَہَآءُ مِنَ النَّاسِ مَا وَلّٰىہُمۡ عَنۡ قِبۡلَتِہِمُ الَّتِیۡ کَانُوۡا عَلَیۡہَا ؕ قُلۡ لِّلّٰہِ الۡمَشۡرِقُ وَ الۡمَغۡرِبُ ؕ یَہۡدِیۡ مَنۡ  یَّشَآءُ  اِلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ﴿۱۴۲﴾


📕কানযুল ঈমান


১৪২. এখন বলবে নির্বোধ লোকেরা, ‘কে ফিরিয়ে দিলো মুসলমানদেরকে তাদের সেই ক্বিবলা থেকে, যার উপর (তারা) ছিলো?’ আপনি বলে দিন, ‘পূর্ব-পশ্চিম সব আল্লাহ্‌রই। তিনি যাকে চান সোজা পথে পরিচালিত করেন।’


📗ইরফানুল কুরআন


১৪২. এখন নির্বোধ লোকেরা বলবে যে, এদেরকে (অর্থাৎ মুসলমানদেরকে) তাদের সে ক্বিবলা (জেরুজালেমের বাইতুল মাক্বদিস) থেকে কে ফেরালো, যার দিকে তারা (পূর্ব থেকেই) ছিল? বলে দিন, ‘পূর্ব ও পশ্চিম (সব) আল্লাহ্‌রই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে পরিচালিত করেন।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৪৩

وَ کَذٰلِکَ جَعَلۡنٰکُمۡ اُمَّۃً وَّسَطًا لِّتَکُوۡنُوۡا شُہَدَآءَ عَلَی النَّاسِ وَ یَکُوۡنَ الرَّسُوۡلُ عَلَیۡکُمۡ شَہِیۡدًا ؕ وَ مَا جَعَلۡنَا الۡقِبۡلَۃَ الَّتِیۡ کُنۡتَ عَلَیۡہَاۤ  اِلَّا لِنَعۡلَمَ مَنۡ یَّتَّبِعُ الرَّسُوۡلَ مِمَّنۡ یَّنۡقَلِبُ عَلٰی عَقِبَیۡہِ ؕ وَ اِنۡ کَانَتۡ لَکَبِیۡرَۃً  اِلَّا عَلَی الَّذِیۡنَ ہَدَی اللّٰہُ  ؕ وَ مَا کَانَ اللّٰہُ لِیُضِیۡعَ اِیۡمَانَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ بِالنَّاسِ لَرَءُوۡفٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۴۳﴾


📕কানযুল ঈমান


১৪৩. এবং কথা হলো এরূপই যে, আমি তোমাদেরকে সব উম্মতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ করেছি, যাতে তোমরা মানবজাতির উপর সাক্ষী হও। আর এ রসূল তোমাদের রক্ষক ও সাক্ষী; এবং হে মাহবুব! আপনি ইতিপূর্বে যে ক্বিবলার উপর ছিলেন, আমি সেটাকে এজন্যই নির্দ্ধারণ করেছিলাম যেন দেখি-কে রসূলের অনুসরণ করছে (আর) কে উল্টো পায়ে ফিরে যাচ্ছে। এবং নিশ্চয় এটা কঠিন ছিলো, কিন্তু তাদের উপর কঠিন ছিলো না যাদেরকে আল্লাহ্‌ হিদায়ত করেছেন। আর আল্লাহ্‌র জন্য এটা শোভা পায় না যে, তিনি তোমাদের ঈমানকে ব্যর্থ করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ মানুষের উপর অত্যন্ত দয়ার্দ্র, দয়ালু।


📗ইরফানুল কুরআন


১৪৩. আর (হে মুসলমানেরা!) এভাবে আমরা তোমাদেরকে (সহনশীল, পরিমিত এবং সুষম দৃষ্টিভঙ্গির) উৎকৃষ্টতর জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি, যাতে তোমরা মানবজাতির জন্যে সাক্ষী হতে পারো এবং (আমাদের এ মর্যাদাবান) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) তোমাদের জন্যে সাক্ষী হতে পারেন। আর আপনি ইতিপূর্বে যে ক্বিবলা অনুসরণ করছিলেন, তা আমরা কেবল এ কারণে নির্ধারণ করেছিলাম যে, যাতে আমরা (যাচাই করে) জানতে পারি, কে (আমাদের) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর অনুসরণ করে, (এবং) কে পশ্চাদ্ধাবন করে। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ্ যাদেরকে হেদায়াত (ও মারিফাত) দিয়ে অনুগ্রহ করেছেন তারা ব্যতীত অন্যের নিকট এ (ক্বিবলা পরিবর্তন) খুবই কঠিন বিষয় ছিল। আর আল্লাহ্‌র শান এ নয় যে, তিনি (কোনো কারণ ছাড়াই) তোমাদের ঈমান বিনষ্ট করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মানুষের প্রতি দয়ার্দ্র, অসীম দয়ালু।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৪৪

قَدۡ نَرٰی تَقَلُّبَ وَجۡہِکَ فِی السَّمَآءِ ۚ فَلَنُوَلِّیَنَّکَ قِبۡلَۃً  تَرۡضٰہَا  ۪  فَوَلِّ وَجۡہَکَ شَطۡرَ الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ ؕ  وَ حَیۡثُ مَا کُنۡتُمۡ   فَوَلُّوۡا  وُجُوۡہَکُمۡ شَطۡرَہٗ ؕ وَ  اِنَّ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ لَیَعۡلَمُوۡنَ اَنَّہُ  الۡحَقُّ مِنۡ رَّبِّہِمۡ ؕ وَ مَا اللّٰہُ بِغَافِلٍ عَمَّا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۴۴﴾


📕কানযুল ঈমান


১৪৪. আমি লক্ষ্য করছি বারবার আপনার আসমানের দিকে তাকানো। সুতরাং অবশ্যই আমি আপনাকে ফিরিয়ে দেবো সেই ক্বিবলার দিকে, যাতে আপনার সন্তুষ্টি রয়েছে। এখনই আপন মুখ ফিরিয়ে নিন মসজিদে হারামের দিকে; এবং হে মুসলমানগণ! তোমরা যেখানেই থাকো স্বীয় মুখ সেটার দিকে ফিরাও। আর ওই সব লোক, যারা কিতাব প্রাপ্ত হয়েছে, তারা নিশ্চয় জানে যে, এটা তাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য এবং আল্লাহ্‌ তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অনবগত নন।


📗ইরফানুল কুরআন


১৪৪. (হে হাবীব!) আমরা বারবার আপনার জ্যোতির্ময় চেহারা আকাশের দিকে ফেরানো লক্ষ্য করেছি। কাজেই আমরা অবশ্য অবশ্যই সে ক্বিবলার দিকে আপনাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি যাতে আপনি সন্তুষ্ট। অতঃপর আপনি এখনই আপনার চেহারা মসজিদে হারামের দিকে ফেরান এবং (হে মুসলমানেরা!) তোমরা যেখানেই থাকো না কেনো এরই দিকে নিজেদের চেহারা ফেরাও। আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তারা অবশ্যই জানে যে, এ (ক্বিবলা পরিবর্তনের নির্দেশ) তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সত্য এবং আল্লাহ্ সেসব কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অনবহিত নন, যা তারা সম্পাদন করছে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৪৫

وَ لَئِنۡ اَتَیۡتَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ بِکُلِّ اٰیَۃٍ مَّا تَبِعُوۡا قِبۡلَتَکَ ۚ وَ مَاۤ اَنۡتَ بِتَابِعٍ قِبۡلَتَہُمۡ ۚ وَ مَا بَعۡضُہُمۡ  بِتَابِعٍ قِبۡلَۃَ بَعۡضٍ ؕ وَ لَئِنِ اتَّبَعۡتَ اَہۡوَآءَہُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ مَا جَآءَکَ مِنَ الۡعِلۡمِ  ۙ اِنَّکَ اِذًا  لَّمِنَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۱۴۵﴾ۘ


📕কানযুল ঈমান


১৪৫. এবং যদি আপনি সেই কিতাবীদের নিকট সমস্ত নির্দশন নিয়ে আসেন, (তবুও) তারা আপনার ক্বিবলার অনুসরণ করবে না এবং না আপনি তাদের ক্বিবলার অনুসরণ করবেন- এবং তারা পরষ্পরের মধ্যেও একে অপরের ক্বিবলার অনুসারী নয়; এবং (ওহে শ্রোতা! যেই হওনা কেন) যদি তুমি তাদের খেয়াল-খুশির উপর চলো, এর পরে যে, তোমার নিকট জ্ঞান আসার পর, তবে তখন তুমি অবশ্যই যালিম হবে। 


📗ইরফানুল কুরআন


১৪৫. আর আপনি যদি আহলে কিতাবের নিকট থাকা প্রত্যেকটি নিদর্শন উপস্থাপন করেন তবুও তারা আপনার ক্বিবলার অনুসরণ করবে না; এবং আপনিও তাদের ক্বিবলার অনুসারী নন এবং তারা পরস্পরেও একে অপরের ক্বিবলার অনুসারী নয়। (উম্মতের শিক্ষার জন্যে বলা হয়) আর যদি (এ অবাস্তব অবস্থা ধরেও নেয়া হয়) আপনার নিকট জ্ঞান আসার পর আপনি তাদের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করেন, তবে অবশ্যই আপনি (আপনার নিজের প্রতি) সীমালঙ্ঘনকারীদের মধ্যে গণ্য হবেন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৪৬

اَلَّذِیۡنَ اٰتَیۡنٰہُمُ الۡکِتٰبَ یَعۡرِفُوۡنَہٗ کَمَا یَعۡرِفُوۡنَ اَبۡنَآءَہُمۡ ؕ وَ اِنَّ فَرِیۡقًا مِّنۡہُمۡ لَیَکۡتُمُوۡنَ الۡحَقَّ وَ ہُمۡ یَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۴۶﴾ؔ


📕কানযুল ঈমান


১৪৬. যাদেরকে কিতাব দান করেছি তারা এ নবীকে এমনিভাবে চিনে যেমন মানুষ তার পুত্রদের চিনে এবং নিশ্চয়ই তাদের একটা দল জেনে বুঝে সত্য গোপন করে।


📗ইরফানুল কুরআন


১৪৬. আর যাদেরকে আমরা কিতাব প্রদান করেছিলাম, তারা (শেষ যামানার) এ রাসূল (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর মর্যাদা ও মহত্ব)-কে সেভাবে চিনে যেভাবে তারা নিশ্চিত নিজেদের সন্তানদেরকে চিনে। আর অবশ্যই তাদের একদল জেনেশুনে সত্য গোপন করে থাকে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৪৭

اَلۡحَقُّ  مِنۡ رَّبِّکَ فَلَا تَکُوۡنَنَّ مِنَ الۡمُمۡتَرِیۡنَ ﴿۱۴۷﴾


📕কানযুল ঈমান


১৪৭. (হে শ্রোতা!) এটা সত্য তোমাদের রবের তরফ থেকে (অথবা সত্য হচ্ছে ওটাই, যা তোমার রবের নিকট থেকে আসে)। সুতরাং হুশিয়ার! তুমি সন্দেহ করোনা।


📗ইরফানুল কুরআন


১৪৭. (হে শ্রবণকারী!) সত্য তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে; সুতরাং তুমি কখনো সন্দেহ পোষণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৪৮

وَ  لِکُلٍّ وِّجۡہَۃٌ ہُوَ مُوَلِّیۡہَا فَاسۡتَبِقُوا الۡخَیۡرٰتِ ؕ؃ اَیۡنَ مَا تَکُوۡنُوۡا یَاۡتِ بِکُمُ اللّٰہُ جَمِیۡعًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۱۴۸﴾


📕কানযুল ঈমান


১৪৮. এবং প্রত্যেকের জন্য মুখ করার একটা দিক রয়েছে যে দিকে সে মুখ করে। সুতরাং এটা চাও যে, সৎ কার্যাবলীতে অন্যদের থেকে এগিয়ে চলে যাবে। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন, আল্লাহ্‌ তোমাদের সবাইকে একত্রিত করে আনবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ যা চান, করেন।


📗ইরফানুল কুরআন


১৪৮. আর প্রত্যেকের জন্যেই একটি (নির্ধারিত) দিক রয়েছে, সেদিকেই সে মুখ ফিরায়। সুতরাং তোমরা কল্যাণের দিকে দ্রুত অগ্রসর হও। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন আল্লাহ্ তোমাদের সবাইকে একত্রিত করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সকল কিছুর উপর মহাক্ষমতাবান।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৪৯

وَ مِنۡ حَیۡثُ خَرَجۡتَ فَوَلِّ وَجۡہَکَ شَطۡرَ الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ ؕ وَ اِنَّہٗ  لَلۡحَقُّ مِنۡ رَّبِّکَ ؕ وَ مَا اللّٰہُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۴۹﴾


📕কানযুল ঈমান


১৪৯. এবং যেখান থেকে আসো আপন মুখ মসজিদে হারামের দিকে ফিরাও এবং তা নিশ্চয়ই তোমার রবের পক্ষ থেকে সত্য। এবং আল্লাহ্‌ তোমাদের কার্যাদি সম্পর্কে অনবগত নন।


📗ইরফানুল কুরআন


১৪৯. আর তুমি যে দিক থেকেই (সফরে) বের হও না কেন (নামাযের সময়) নিজেদের চেহারা মসজিদে হারামের দিকে ফেরাও। আর এটি তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সত্য এবং আল্লাহ্ তোমাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অনবহিত নন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৫০

وَ مِنۡ حَیۡثُ خَرَجۡتَ فَوَلِّ وَجۡہَکَ شَطۡرَ الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ ؕ وَ حَیۡثُ مَا کُنۡتُمۡ  فَوَلُّوۡا وُجُوۡہَکُمۡ شَطۡرَہٗ  ۙ لِئَلَّا یَکُوۡنَ  لِلنَّاسِ عَلَیۡکُمۡ حُجَّۃٌ ٭ۙ اِلَّا الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡا مِنۡہُمۡ ٭ فَلَا تَخۡشَوۡہُمۡ وَ اخۡشَوۡنِیۡ ٭ وَ لِاُتِمَّ  نِعۡمَتِیۡ عَلَیۡکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ تَہۡتَدُوۡنَ ﴿۱۵۰﴾ۙۛ


📕কানযুল ঈমান


১৫০. এবং হে মাহবুব! আপনি যেখান থেকেই আসুন না কেন আপনার মুখ মসজিদে হারামের দিকে ফিরান। এবং হে মুসলমানগণ! তোমরা যেখানে থাকো না কেন, আপন মুখ সেটারই দিকে করো, যাতে তোমাদের বিরুদ্ধে লোকদের কোন বিতর্ক না থাকে; কিন্তু তাদের মধ্যে যারা অবিচার করে, তবে তাদেরকে ভয় করো না এবং আমাকেই ভয় করো। আর এটা এ জন্যই যে, আমি আমার অনুগ্রহ তোমাদের উপর পূর্ণ করবো এবং কোন প্রকারে তোমরা সঠিক পথের দিশা পাও।


📗ইরফানুল কুরআন


১৫০. আর তুমি যে দিক থেকেই (সফরে) বের হও না কেন (নামাযের সময়ে) নিজেদের চেহারা মসজিদে হারামের দিকে ফেরাও। আর (হে মুসলমানেরা!) তোমরা যেখানেই থাকো না কেন নিজেদের চেহারা এরই দিকে ফেরাও, যাতে তাদের মধ্যে সীমালঙ্ঘনকারী ব্যতীত অপর মানুষ তোমাদের বিরুদ্ধে আপত্তি করার কোনো অবকাশ না পায়। সুতরাং তোমরা তাদেরকে ভয় করো না, ভয় করো আমাকে; যাতে আমি তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত পূর্ণরূপে দান করতে পারি এবং যাতে তোমরা পরিপূর্ণরূপে হেদায়াত লাভ করতে পারো।


🕋 🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৫১

کَمَاۤ  اَرۡسَلۡنَا فِیۡکُمۡ رَسُوۡلًا مِّنۡکُمۡ یَتۡلُوۡا عَلَیۡکُمۡ  اٰیٰتِنَا وَ یُزَکِّیۡکُمۡ وَ یُعَلِّمُکُمُ الۡکِتٰبَ وَ الۡحِکۡمَۃَ وَ یُعَلِّمُکُمۡ مَّا لَمۡ تَکُوۡنُوۡا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۵۱﴾ؕۛ


📕কানযুল ঈমান


১৫১. যেমন আমি তোমাদের মধ্যে প্রেরণ করেছি একজন রসূল তোমাদের মধ্য থেকে, যিনি তোমাদের উপর আমার আয়াতগুলো তেলাওয়াত করেন, তোমাদেরকে পবিত্র করেন এবং কিতাব ও পরিপক্ক জ্ঞান শিক্ষা দেন। আর তোমাদের ওই শিক্ষা দান করেন, যার জ্ঞান তোমাদের ছিলো না।


📗ইরফানুল কুরআন


১৫১.  এভাবে আমরা তোমাদের মাঝে তোমাদের মধ্য থেকে (আমাদের) রাসূল প্রেরণ করেছি, যিনি তোমাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করেন, তোমাদেরকে (প্রবৃত্তি ও হৃদয়ের দিক থেকে) পবিত্র করেন এবং তোমাদেরকে শিক্ষা দেন কিতাব, হিকমত ও বুদ্ধিমত্তা। আর তোমাদেরকে শিক্ষা দেন (মা’রিফাত ও হাকিকতের গুঢ় রহস্যের) সেসব বিষয় যা তোমরা জানতে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৫২

فَاذۡکُرُوۡنِیۡۤ اَذۡکُرۡکُمۡ  وَ اشۡکُرُوۡا لِیۡ وَ لَا تَکۡفُرُوۡنِ ﴿۱۵۲﴾


📕কানযুল ঈমান


১৫২. সুতরাং আমার স্মরণ করো, আমিও তোমাদের চর্চা করবো আর আমার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো এবং আমার অকৃতজ্ঞ হয়ো না।


📗ইরফানুল কুরআন


১৫২. সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমাদেরকে স্মরণে রাখবো এবং আমার কৃতজ্ঞতা আদায় করো, আর কখনো আমার প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়ো না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৫৩

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اسۡتَعِیۡنُوۡا بِالصَّبۡرِ وَ الصَّلٰوۃِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ مَعَ الصّٰبِرِیۡنَ ﴿۱۵۳﴾


📕কানযুল ঈমান


১৫৩. হে ঈমানদারগণ! সবর ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সবরকারীদের সাথে রয়েছেন।


📗ইরফানুল কুরআন


১৫৩. হে ঈমানদারগণ! ধৈর্য এবং নামাযের মাধ্যমে (আমার নিকট) সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ (সর্বদা) ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৫৪

وَ لَا تَقُوۡلُوۡا لِمَنۡ یُّقۡتَلُ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ اَمۡوَاتٌ ؕ بَلۡ اَحۡیَآءٌ وَّ لٰکِنۡ لَّا تَشۡعُرُوۡنَ ﴿۱۵۴﴾


📕কানযুল ঈমান


১৫৪. এবং যারা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হয় তাদেরকে মৃত বলো না; বরং তারা জীবিত; হাঁ, তোমাদের খবর নেই।


📗ইরফানুল কুরআন


১৫৪. আর যারা আল্লাহ্‌র পথে নিহত হয় তাদেরকে মৃত বলো না। (তারা মৃত নয়) বরং জীবিত, কিন্তু তোমরা তা (তাদের জীবন) উপলব্ধি করতে পারো না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৫৫

وَ لَنَبۡلُوَنَّکُمۡ بِشَیۡءٍ مِّنَ الۡخَوۡفِ وَ الۡجُوۡعِ وَ نَقۡصٍ مِّنَ الۡاَمۡوَالِ وَ الۡاَنۡفُسِ وَ الثَّمَرٰتِ ؕ وَ بَشِّرِ الصّٰبِرِیۡنَ ﴿۱۵۵﴾ۙ  


📕কানযুল ঈমান


১৫৫. এবং অবশ্যই আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করবো কিছু ভয় ও ক্ষুধা দ্বারা এবং কিছু ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ঘাটতি দ্বারা। এবং সুসংবাদ শুনাও ওই সব সবরকারীদেরকে;


📗ইরফানুল কুরআন


১৫৫. আর আমরা অবশ্য অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করবো কিছুটা ভয় ও ক্ষুধার মাধ্যমে এবং কিছুটা সম্পদ, জীবন ও ফলমূলের ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে। আর (হে হাবীব!) আপনি (এ সকল) ধৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ দিন;


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৫৬

الَّذِیۡنَ اِذَاۤ  اَصَابَتۡہُمۡ مُّصِیۡبَۃٌ  ۙ قَالُوۡۤا اِنَّا لِلّٰہِ وَ  اِنَّاۤ اِلَیۡہِ رٰجِعُوۡنَ ﴿۱۵۶﴾ؕ


📕কানযুল ঈমান


১৫৬. যারা হচ্ছে (এমন লোক) যে, যখন তাদের উপর কোন বিপদ এসে পড়ে তখন বলে, ‘আমরা তো আল্লাহ্‌রই মালিকানাধীন এবং আমাদেরকে তাঁরই প্রতি ফিরে যেতে হবে।’ 


📗ইরফানুল কুরআন


১৫৬. (তারাই ধৈর্যশীল) যাদের উপর কোনো মুসিবত আপতিত হলে তারা বলে, ‘নিশ্চয়ই আমরাও আল্লাহ্‌রই (সম্পদ) এবং আমরা নিশ্চিতভাবে তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী’।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৫৭

اُولٰٓئِکَ عَلَیۡہِمۡ صَلَوٰتٌ مِّنۡ رَّبِّہِمۡ وَ رَحۡمَۃٌ ۟ وَ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُہۡتَدُوۡنَ ﴿۱۵۷﴾


📕কানযুল ঈমান


১৫৭. এসব লোক হচ্ছে তারাই, যাদের উপর তাদের রবের দরুদসমূহ এবং রহমত বর্ষিত হয়। আর এসব লোকই সঠিক পথের উপর প্রতিষ্ঠিত।


📗ইরফানুল কুরআন


১৫৭. এরাই সেসব লোক যাদের প্রতি তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে রয়েছে ক্রমাগত অনুগ্রহ ও রহমত, আর তারাই হেদায়াতপ্রাপ্ত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৫৮

اِنَّ الصَّفَا وَ الۡمَرۡوَۃَ مِنۡ شَعَآئِرِ اللّٰہِ ۚ فَمَنۡ حَجَّ الۡبَیۡتَ اَوِ اعۡتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡہِ اَنۡ یَّطَّوَّفَ بِہِمَا ؕ وَ مَنۡ تَطَوَّعَ خَیۡرًا  ۙ فَاِنَّ اللّٰہَ شَاکِرٌ  عَلِیۡمٌ ﴿۱۵۸﴾


📕কানযুল ঈমান


১৫৮. নিশ্চয় ‘সাফা’ ও ‘মারওয়া’ আল্লাহ্‌র নিদর্শনগুলোর অন্তর্ভূক্ত। সুতরাং যে কেউ এ ঘরের হজ্জ্‌ কিংবা ওমরাহ সম্পন্ন করে, তার উপর কোন গুনাহ নেই- এ দু’টি প্রদক্ষিণ করায়; এবং যে কেউ কোন সৎকর্ম স্বতঃস্ফূর্তভাবে করবে, তবে আল্লাহ্‌ সৎকর্মের পুরষ্কারদাতা, সর্বজ্ঞ।


📗ইরফানুল কুরআন


১৫৮. নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহ্‌র নিদর্শনাবলীর অন্যতম। সুতরাং যে কেউ বাইতুল্লাহ্ শরীফে হজ্জ অথবা ওমরাহ্ সম্পন্ন করে, এ দুটি স্থান প্রদক্ষিণ করায় তার কোনো দোষ নেই। আর কেউ স্বতঃস্ফুর্তভাবে কোনো সৎকর্ম করলে আল্লাহ্ অবশ্যই সপ্রসংশ পুরস্কারদাতা, সর্বজ্ঞ।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৫৯

اِنَّ الَّذِیۡنَ یَکۡتُمُوۡنَ مَاۤ اَنۡزَلۡنَا مِنَ الۡبَیِّنٰتِ وَ الۡہُدٰی مِنۡۢ بَعۡدِ مَا بَیَّنّٰہُ لِلنَّاسِ فِی الۡکِتٰبِ  ۙ  اُولٰٓئِکَ یَلۡعَنُہُمُ اللّٰہُ  وَ  یَلۡعَنُہُمُ  اللّٰعِنُوۡنَ ﴿۱۵۹﴾ۙ


📕কানযুল ঈমান


১৫৯. নিশ্চয় ওই সব লোক, যারা আমার নাযিলকৃত সুস্পষ্ট বার্তাগুলো ও হিদায়তকে গোপন করে এর পরে যে, মানুষের জন্য আমি সেটা কিতাবের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছি, তাদের উপর আল্লাহ্‌র অভিশাপ রয়েছে এবং অভিশম্পাতকারীদের অভিশম্পাতও।


📗ইরফানুল কুরআন


১৫৯. নিশ্চয়ই যারা আমাদের অবতীর্ণ সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও হেদায়াত গোপন করে, আমরা তা মানুষের জন্যে (আমাদের) কিতাবে সুস্পষ্ট করার পরও, তবে এদেরকেই আল্লাহ্ অভিসম্পাত করেন (অর্থাৎ তাদেরকে স্বীয় রহমত থেকে দূর করে দেন) এবং অভিসম্পাতকারীরাও এদের প্রতি অভিসম্পাত করেন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৬০

اِلَّا الَّذِیۡنَ تَابُوۡا وَ اَصۡلَحُوۡا وَ بَیَّنُوۡا فَاُولٰٓئِکَ اَتُوۡبُ عَلَیۡہِمۡ ۚ وَ اَنَا التَّوَّابُ الرَّحِیۡمُ ﴿۱۶۰﴾


📕কানযুল ঈমান


১৬০. কিন্তু ওই সব লোক, যারা তাওবা করে, সংশোধন করে এবং সুস্পষ্টরুপে প্রকাশ করে, তবে আমি তার তাওবা কবুল করবো এবং আমিই হলাম মহান তাওবা কবূলকারী, দয়ালু।


📗ইরফানুল কুরআন


১৬০. কিন্তু যারা তওবা করে এবং (নিজেদেরকে) সংশোধন করে, আর (সত্যকে) সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করে, তখন এরাই তারা যাদেরকে আমি(ও) ক্ষমা করবো। আর আমি খুবই ক্ষমা-পরবশ, অসীম দয়ালু।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৬১

اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَ مَاتُوۡا وَ ہُمۡ کُفَّارٌ اُولٰٓئِکَ عَلَیۡہِمۡ لَعۡنَۃُ اللّٰہِ وَ الۡمَلٰٓئِکَۃِ وَ النَّاسِ اَجۡمَعِیۡنَ ﴿۱۶۱﴾ۙ


📕কানযুল ঈমান


১৬১. নিশ্চয় ঐসব লোক, যারা কুফর করেছে এবং কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের উপর অভিশম্পাত রয়েছে- আল্লাহ্‌, ফিরিশ্‌তাকুল এবং মানবকুল- সবারই। 


📗ইরফানুল কুরআন


১৬১.  নিশ্চয়ই যারা (সত্য গোপন করে) কুফরী করেছে এবং কাফের অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করেছে; তাদের প্রতি অভিশাপ রয়েছে আল্লাহ্‌র, ফেরেশতাদের এবং সকল মানুষের।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৬২

خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ۚ لَا یُخَفَّفُ عَنۡہُمُ الۡعَذَابُ وَ لَا ہُمۡ یُنۡظَرُوۡنَ ﴿۱۶۲﴾


📕কানযুল ঈমান


১৬২. তারা তাতে স্থায়ীভাবে থাকবে। না তাদের উপর থেকে শাস্তি লঘু করা হবে, না তাদেরকে কোন বিরাম দেয়া হবে।


📗ইরফানুল কুরআন


১৬২.  তারা চিরকাল এতে (এ অভিসম্পাতে আবদ্ধ) থাকবে। তাদের শাস্তি না হালকা করা হবে, আর না তাদেরকে অবকাশ দেয়া হবে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৬৩

وَ اِلٰـہُکُمۡ  اِلٰہٌ  وَّاحِدٌ ۚ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ الرَّحۡمٰنُ  الرَّحِیۡمُ ﴿۱۶۳﴾


📕কানযুল ঈমান


১৬৩. এবং তোমাদের মা’বূদ হলেন একমাত্র মা’বূদ। তিনি ব্যতীত অন্য কোন মা’বূদ নেই; কিন্তু তিনিই মহান দয়ালু, করুণাময়।


📗ইরফানুল কুরআন


১৬৩. আর তোমাদের উপাস্য একক উপাস্য; তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; (তিনি) পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৬৪

اِنَّ فِیۡ خَلۡقِ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ اخۡتِلَافِ الَّیۡلِ وَ النَّہَارِ وَ الۡفُلۡکِ الَّتِیۡ تَجۡرِیۡ فِی الۡبَحۡرِ  بِمَا یَنۡفَعُ النَّاسَ وَ مَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ مِنَ السَّمَآءِ مِنۡ مَّآءٍ فَاَحۡیَا بِہِ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِہَا وَ بَثَّ فِیۡہَا مِنۡ کُلِّ دَآبَّۃٍ  ۪ وَّ تَصۡرِیۡفِ الرِّیٰحِ وَ السَّحَابِ الۡمُسَخَّرِ بَیۡنَ السَّمَآءِ وَ الۡاَرۡضِ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ  یَّعۡقِلُوۡنَ ﴿۱۶۴﴾


📕কানযুল ঈমান


১৬৪. নিশ্চয় আস্‌মানগুলো ও যমীনের সৃষ্টি, রাত ও দিনের নিয়মিত পরিবর্তন, জলযান- যা সমুদ্রের মানুষের উপকার নিয়ে বিচরণ করে এবং আল্লাহ্‌ তা’আলা আস্‌মান থেকে যেই পানি বর্ষন করেন তা দ্বারা মৃত যমীনকে পুনর্জীবিত করেছেন ও যমীনে প্রত্যেক প্রকারের জীবজন্তু বিস্তার করেছেন, বিভিন্ন বায়ুর দিক পরিবর্তন এবং সে-ই মেঘ যা আস্‌মান ও যমীনের মাঝখানে হুকুমের নিয়ন্ত্রনাধীন - এ সবের মধ্যে জ্ঞানবান লোকদের জন্য অবশ্যই সমূহ নির্দশন রয়েছে। 


📗ইরফানুল কুরআন


১৬৪. আর নিশ্চয়ই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, রাত্রি ও দিবসের পরিবর্তনে, সমুদ্রে মানুষের উপকারী সামগ্রী নিয়ে বিচরণশীল জাহাজে (ও নৌকায়), আর (বৃষ্টির) পানিতে, আকাশ থেকে আল্লাহ্ যে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর এর দ্বারা মৃত ভূমিকে পুনর্জীবিত করেন তাতে, (পৃথিবী) যাতে তিনি সকল প্রকার জীবজন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন, বায়ুর দিক পরিবর্তনে এবং আকাশ ও পৃথিবীতে (আল্লাহ্‌র নির্দেশে) নিয়ন্ত্রিত (হয়ে চলমান) মেঘমালায় বুদ্ধিমানদের জন্যে রয়েছে (আল্লাহ্‌র কুদরতের অনেক) নিদর্শনাবলী।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৬৫

وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّتَّخِذُ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ اَنۡدَادًا یُّحِبُّوۡنَہُمۡ کَحُبِّ اللّٰہِ ؕ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَشَدُّ حُبًّا  لِّلّٰہِ ؕوَ لَوۡ  یَرَی الَّذِیۡنَ ظَلَمُوۡۤا اِذۡ یَرَوۡنَ الۡعَذَابَ  ۙ اَنَّ الۡقُوَّۃَ لِلّٰہِ جَمِیۡعًا  ۙ وَّ اَنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعَذَابِ ﴿۱۶۵﴾


📕কানযুল ঈমান


১৬৫. এবং কিছু লোক আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য উপাস্য সাব্যস্ত করে নেয়, যাদেরকে (তারা) আল্লাহ্‌র মতো ভালবাসে এবং ঈমানদারদের অন্তরে আল্লাহ্‌র ন্যায় কারো ভালবাসা নেই। আর কেমন (অবস্থা) হবে যদি যালিমগণ দেখে ওই সময়, যখন আযাব তাদের চোখের সামনেই এসে পড়বে? এ জন্যই যে, সমস্ত শক্তি আল্লাহ্‌রই এবং এজন্যই যে, আল্লাহ্‌র শাস্তি অত্যন্ত কঠিন। 


📗ইরফানুল কুরআন


১৬৫. আর মানুষের মাঝে কতিপয় এমনও রয়েছে, যারা আল্লাহ্কে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে আল্লাহ্‌র সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে এবং তাদেরকে ভালোবাসে ‘আল্লাহ্‌র ভালোবাসা’র ন্যায়; কিন্তু যারা ঈমান আনয়ন করেছে তারা (প্রত্যেকের চেয়ে অগ্রসর হয়ে) আল্লাহ্কেই অধিক ভালোবাসে। আর যদি এসব যালিমেরা দেখতো ওই সময়, যখন (পরকালীন) শাস্তি তাদের চোখের সম্মুখে সংঘটিত হবে (তখন জানবে) যে, সমস্ত শক্তি আল্লাহ্‌রই এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শাস্তি প্রদানে অত্যন্ত কঠোর।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৬৬

اِذۡ  تَبَرَّاَ الَّذِیۡنَ اتُّبِعُوۡا مِنَ الَّذِیۡنَ اتَّبَعُوۡا  وَ رَاَوُا  الۡعَذَابَ وَ تَقَطَّعَتۡ بِہِمُ الۡاَسۡبَابُ ﴿۱۶۶﴾


📕কানযুল ঈমান


১৬৬. যখন নেতৃবৃন্দ তাদের অনুসারীদের প্রতি অসন্তুষ্ট হবে আর আযাব দেখতে পাবে আর ছিন্ন হয়ে যাবে তাদের সম্পর্কের সমস্ত বন্ধন,


📗ইরফানুল কুরআন


১৬৬.  (আর) যখন অনুসৃত (কাফের) নেতৃবৃন্দ নিজেদের অনুসারীদের প্রতি অসন্তুষ্ট হবে এবং (তারা সকলে আল্লাহ্‌র) শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে এবং সমস্ত উপায় ও উপকরণ তাদের থেকে ছিন্ন হয়ে যাবে,


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৬৭

وَ قَالَ الَّذِیۡنَ اتَّبَعُوۡا لَوۡ  اَنَّ لَنَا کَرَّۃً فَنَتَبَرَّاَ مِنۡہُمۡ کَمَا تَبَرَّءُوۡا مِنَّا ؕ کَذٰلِکَ یُرِیۡہِمُ اللّٰہُ  اَعۡمَالَہُمۡ حَسَرٰتٍ عَلَیۡہِمۡ ؕ وَ مَا ہُمۡ  بِخٰرِجِیۡنَ مِنَ النَّارِ ﴿۱۶۷﴾


📕কানযুল ঈমান


১৬৭. এবং অনুসারীরা বলবে, ‘যদি আমাদের পুনরায় ফিরে যাওয়া (সম্ভব) হতো, তবে আমরাও তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতাম-যেমন তারা আমাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এভাবেই আল্লাহ্‌ তাদেরকে দেখাবেন তাদের কার্যাবলী তাদের পরিতাপরুপে আর তারা দোযখ থেকে কখনো বের হবার নয়।


📗ইরফানুল কুরআন


১৬৭. তখন (এ বিমুখতা দেখে মুশরিক) অনুসারীরা বলবে, ‘হায়! যদি আমাদের (পৃথিবীতে ফিরে যাবার) সুযোগ থাকতো তবে আমরা(ও) তাদেরকে বিমুখ করতাম, যেভাবে তারা (আজ) আমাদেরকে বিমুখ করছে।’ এভাবে আল্লাহ্ তাদেরকে তাদের আমল তাদের নিকট অনুশোচনা ও অনুতাপরূপে দেখাবেন। আর তারা (কোনোক্রমেই) জাহান্নাম থেকে বের হতে পারবে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৬৮

یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ کُلُوۡا مِمَّا فِی الۡاَرۡضِ حَلٰلًا طَیِّبًا ۫ۖ وَّ لَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ ؕ اِنَّہٗ لَکُمۡ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ ﴿۱۶۸﴾


📕কানযুল ঈমান


১৬৮. হে মানবজাতি! তোমরা আহার করো যা কিছু যমীনে হালাল, পবিত্র রয়েছে এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।


📗ইরফানুল কুরআন


১৬৮. হে মানবজাতি! পৃথিবীর বস্তুসমূহের মধ্য থেকে যা কিছু হালাল ও পবিত্র তা ভক্ষণ করো এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৬৯

اِنَّمَا یَاۡمُرُکُمۡ بِالسُّوۡٓءِ وَ الۡفَحۡشَآءِ وَ اَنۡ تَقُوۡلُوۡا عَلَی اللّٰہِ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۶۹﴾


📕কানযুল ঈমান


১৬৯. সে তোমাদেরকে কেবল মন্দ ও অশ্লীল কাজের নির্দেশ দেবে এবং এরও যে, আল্লাহ্‌ সম্বন্ধে এমন সব কথাবার্তা রচনা করো, যে সম্বন্ধে তোমাদের খবর নেই।


📗ইরফানুল কুরআন


১৬৯.  সে তো তোমাদেরকে কেবল নির্দেশ দেয় অপকর্ম ও অশ্লীলতার এবং (এও যে) তোমরা আল্লাহ্‌র সম্পর্কে এমন কিছু বলো যে বিষয়ে তোমাদের (নিজেদের) জ্ঞান নেই।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৭০

وَ اِذَا قِیۡلَ لَہُمُ  اتَّبِعُوۡا مَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ قَالُوۡا بَلۡ نَتَّبِعُ مَاۤ اَلۡفَیۡنَا عَلَیۡہِ اٰبَآءَنَا ؕ اَوَ لَوۡ کَانَ اٰبَآؤُہُمۡ لَا یَعۡقِلُوۡنَ شَیۡئًا وَّ لَا  یَہۡتَدُوۡنَ ﴿۱۷۰﴾


📕কানযুল ঈমান


১৭০. এবং যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্‌র অবতীর্ণ (নির্দেশ) এর অনুসরণ করো!’ তখন (তারা) বলে, ‘বরং আমরা তারই অনুসরণ করবো, যার উপর আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি।’ যদিও কি তাদের পিতৃপুরুষরা না কোন বিবেক রাখে, না হিদায়ত?


📗ইরফানুল কুরআন


১৭০. আর যখন এদেরকে (এসব কাফেরদেরকে) বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন তা অনুসরণ করো’, তখন তারা বলে, ‘(না) বরং আমরা তো অনুসরণ করবো (সে পথের) যার উপর আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি’। যদিও তাদের পিতৃপুরুষগণ না কিছু বুঝতো আর না তারা হেদায়াতের উপর ছিল।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৭১

وَ مَثَلُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا کَمَثَلِ الَّذِیۡ یَنۡعِقُ بِمَا لَا یَسۡمَعُ اِلَّا دُعَآءً  وَّ  نِدَآءً ؕ صُمٌّۢ  بُکۡمٌ عُمۡیٌ  فَہُمۡ  لَا  یَعۡقِلُوۡنَ ﴿۱۷۱﴾


📕কানযুল ঈমান


১৭১. এবং কাফিরদের উপমা ওই ব্যক্তির মতো, যে ডাকে এমন কিছুকে, যা শুধু ডাক-হাঁক ছাড়া আর কিছুই শুনেনা- বধির, মূক, অন্ধ। সুতরাং তাদের বুঝশক্তি নেই।


📗ইরফানুল কুরআন


১৭১.  আর এসব কাফেরদেরকে (হেদায়াতের দিকে আহবানের) দৃষ্টান্ত যেমন কোনো ব্যক্তি এমনকিছুকে আহবান করে যা হাঁকডাক ব্যতীত আর কিছুই শুনে না, এরা বধির, বোবা, অন্ধ; সুতরাং তারা বুঝবে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৭২

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا کُلُوۡا مِنۡ طَیِّبٰتِ مَا رَزَقۡنٰکُمۡ وَ اشۡکُرُوۡا لِلّٰہِ  اِنۡ  کُنۡتُمۡ اِیَّاہُ  تَعۡبُدُوۡنَ ﴿۱۷۲﴾


📕কানযুল ঈমান


১৭২. হে ঈমানদারগণ! খাও, আমার প্রদত্ত পবিত্র বস্তগুলো এবং আল্লাহ্‌র কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, যদি তোমরা শুধু তাঁরই ইবাদত করো।


📗ইরফানুল কুরআন


১৭২. হে ঈমানদারগণ! আহার করো পবিত্র বস্তুসমূহ থেকে, যা আমরা তোমাদেরকে দিয়েছি এবং আল্লাহ্‌র নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, যদি তোমরা কেবল তাঁরই ইবাদত করো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৭৩

اِنَّمَا حَرَّمَ عَلَیۡکُمُ الۡمَیۡتَۃَ وَ الدَّمَ وَ لَحۡمَ الۡخِنۡزِیۡرِ وَ مَاۤ  اُہِلَّ بِہٖ لِغَیۡرِ اللّٰہِ ۚ فَمَنِ اضۡطُرَّ غَیۡرَ بَاغٍ وَّ لَا عَادٍ فَلَاۤ اِثۡمَ عَلَیۡہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ  غَفُوۡرٌ  رَّحِیۡمٌ ﴿۱۷۳﴾


📕কানযুল ঈমান


১৭৩. তিনি এ সবই তোমাদের উপর হারাম করেছেন- মড়া, রক্ত, শূকরের মাংস, এবং ওই পশু, যাকে আল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য কারো নাম দিয়ে যবেহ করা হয়েছে; সুতরাং যে ব্যক্তি অনন্যোপায় হয়, না এমন যে, একান্ত কামনার বশবর্তী হয়ে আহার করে, আর এমনও নয় যে, প্রয়োজনের সীমা লংঘন করে, তবে তার গুনাহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু।


📗ইরফানুল কুরআন


১৭৩. তিনি তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন কেবল মৃত জন্তু, রক্ত, শুকরের মাংস এবং সেসব প্রাণী যা যবাই কালে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যের নাম নেয়া হয়েছে। কিন্তু যে খুবই নিরূপায়, নাফরমান কিংবা সীমা অতিক্রমকারী নয়, তবে তার জন্যে (জীবন রক্ষার সীমা পর্যন্ত খাওয়াতে) কোনো পাপ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৭৪

اِنَّ الَّذِیۡنَ یَکۡتُمُوۡنَ مَاۤ  اَنۡزَلَ اللّٰہُ مِنَ الۡکِتٰبِ وَ یَشۡتَرُوۡنَ بِہٖ ثَمَنًا قَلِیۡلًا  ۙ اُولٰٓئِکَ مَا یَاۡکُلُوۡنَ فِیۡ بُطُوۡنِہِمۡ  اِلَّا النَّارَ وَ لَا یُکَلِّمُہُمُ اللّٰہُ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ وَ لَا  یُزَکِّیۡہِمۡ ۚۖ وَ لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ﴿۱۷۴﴾


📕কানযুল ঈমান


১৭৪. ঐসব লোক, যারা গোপন করে আল্লাহ্‌র অবতীর্ণ কিতাবকে এবং এর পরিবর্তে হীন বিনিময় গ্রহণ করে, তারা নিজেদের পেটে আগুনই ভর্তি করে; এবং আল্লাহ্‌ ক্বিয়ামতের দিন না তাদের সাথে কথা বলবেন এবং না তাদেরকে পবিত্র করবেন; আর তাদের জন্য কষ্টদায়ক শাস্তি (অবধারিত)।


📗ইরফানুল কুরআন


১৭৪. নিশ্চয়ই যারা (তাওরাতের আয়াতসমূহ) গোপন করে যা আল্লাহ্ কিতাবে অবতীর্ণ করেছেন এবং এর পরিবর্তে স্বল্প মূল্য গ্রহণ করে, তারা তাদের পেটে আগুন ব্যতীত আর কিছুই পুরে না। আর আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন না তাদের সাথে কথা বলবেন, আর না তাদেরকে পবিত্র করবেন, বস্তুত তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৭৫

اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ اشۡتَرَوُا الضَّلٰلَۃَ بِالۡہُدٰی وَ الۡعَذَابَ بِالۡمَغۡفِرَۃِ ۚ فَمَاۤ اَصۡبَرَہُمۡ عَلَی النَّارِ ﴿۱۷۵﴾


📕কানযুল ঈমান


১৭৫. ওই সব লোক, যারা হিদায়তের পরিবর্তে গোমরাহী খরিদ করেছে এবং ক্ষমার পরিবর্তে আযাবকে, তবে আগুনের উপর তাদের কি পর্যায়ের বরদাশ্‌ত শক্তি রয়েছে!


📗ইরফানুল কুরআন


১৭৫. এরাই সেসব লোক যারা হেদায়াতের পরিবর্তে গোমরাহী ক্রয় করেছে এবং ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি। কোন্ বস্তু তাদেরকে (জাহান্নামের) আগুনের উপর ধৈর্য ধারণকারী বানিয়েছে?


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৭৬

ذٰلِکَ بِاَنَّ اللّٰہَ نَزَّلَ الۡکِتٰبَ بِالۡحَقِّ ؕ وَ اِنَّ الَّذِیۡنَ اخۡتَلَفُوۡا فِی الۡکِتٰبِ لَفِیۡ شِقَاقٍۭ بَعِیۡدٍ ﴿۱۷۶﴾


📕কানযুল ঈমান


১৭৬. এটা এজন্যই যে, আল্লাহ্‌ কিতাবকে সত্য সহকারে নাযিল করেছেন; এবং নিঃসন্দেহে যে সব লোক কিতাব সম্বন্ধে বিরোধ সৃষ্টি করছে, নিশ্চয়ই তারা চূড়ান্ত পর্যায়ের ঝগড়াটে।


📗ইরফানুল কুরআন


১৭৬. এটি এ কারণে যে, আল্লাহ্ সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। আর নিশ্চয়ই যারা কিতাব সম্পর্কে মতবিরোধ করেছে তারা শত্রুতায় (সত্য থেকে) অনেক দূরে (পড়ে) আছে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৭৭

لَیۡسَ الۡبِرَّ اَنۡ تُوَلُّوۡا وُجُوۡہَکُمۡ  قِبَلَ الۡمَشۡرِقِ وَ الۡمَغۡرِبِ وَ لٰکِنَّ الۡبِرَّ مَنۡ اٰمَنَ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ الۡمَلٰٓئِکَۃِ وَ الۡکِتٰبِ وَ النَّبِیّٖنَ ۚ وَ اٰتَی الۡمَالَ عَلٰی حُبِّہٖ ذَوِی الۡقُرۡبٰی وَ الۡیَتٰمٰی وَ الۡمَسٰکِیۡنَ  وَ ابۡنَ السَّبِیۡلِ  ۙ وَ السَّآئِلِیۡنَ وَ فِی الرِّقَابِ ۚ وَ اَقَامَ الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَی الزَّکٰوۃَ ۚ وَ الۡمُوۡفُوۡنَ بِعَہۡدِہِمۡ  اِذَا عٰہَدُوۡا ۚ وَ الصّٰبِرِیۡنَ فِی الۡبَاۡسَآءِ وَ الضَّرَّآءِ  وَ حِیۡنَ الۡبَاۡسِ ؕ اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ صَدَقُوۡا ؕ وَ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُتَّقُوۡنَ ﴿۱۷۷﴾


📕কানযুল ঈমান


১৭৭. কোন মৌলিক পূণ্য এ নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিম দিকে মুখ করবে; হাঁ, মৌলিক পূণ্য হলো এ যে, ঈমান আনবে- আল্লাহ্‌, ক্বিয়ামত-দিবস, ফিরিশ্‌তাগণ, কিতাব ও নবীগণের উপর এবং আল্লাহ্‌র প্রেমে আপন প্রিয় সম্পদ দান করবে আত্মীয়-স্বজন, এতিমগণ, মিসকীনগণ, মুসাফির ও সাহায্য প্রার্থীদেরকে আর গর্দানসমূহ (গোলাম ও বন্দীদের) মুক্তকরণে; এবং নামায কায়েম রাখবে ও যাকাত প্রদান করবে। আর আপন প্রতিশ্রুতি পূরণকারীরা যখন অঙ্গীকার করে এবং বিপদে, সংকটে এবং জিহাদের সময় ধৈর্যধারণকারীরা। এরাই হচ্ছে- ওই সব লোক, যারা আপন কথা সত্য প্রমাণ করেছে এবং এরাই হচ্ছে খোদাভীরু।


📗ইরফানুল কুরআন


১৭৭. পূণ্য কেবল এটিই নয় যে, তোমরা নিজেদের মুখ পূর্ব ও পশ্চিমে ফেরাও, বরং প্রকৃত পূণ্য তো এ যে, যে কেউ বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহ্তে, কিয়ামত দিবসে, ফেরেশতাগণে, (আল্লাহ্‌র) কিতাবে এবং নবীগণে এবং আল্লাহ্‌র ভালবাসায় (নিজের) সম্পদ ব্যয় করে নিকটাত্মীয়ের জন্যে, এতিমদের জন্যে, অভাবগ্রস্তের জন্যে, মুসাফিরের জন্যে, যাচ্ঞাকারীর জন্যে এবং (কৃতদাস) মুক্তির জন্যে; আর নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং যখন কোনো অঙ্গীকার করে তখন স্বীয় অঙ্গীকার পূর্ণ করে, আর দুর্ভোগে (দারিদ্র্যে), (অসুস্থতার) কষ্টে এবং (জিহাদে) যুদ্ধের প্রচণ্ডতায় ধৈর্যধারণ করে; এসব লোকেরাই সত্যাশ্রয়ী এবং এরাই পরহেযগার।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৭৮

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا کُتِبَ عَلَیۡکُمُ الۡقِصَاصُ فِی الۡقَتۡلٰی ؕ اَلۡحُرُّ بِالۡحُرِّ وَ الۡعَبۡدُ بِالۡعَبۡدِ وَ الۡاُنۡثٰی بِالۡاُنۡثٰی ؕ فَمَنۡ عُفِیَ لَہٗ مِنۡ اَخِیۡہِ شَیۡءٌ فَاتِّبَاعٌۢ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ اَدَآءٌ اِلَیۡہِ بِاِحۡسَانٍ ؕ ذٰلِکَ تَخۡفِیۡفٌ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَ رَحۡمَۃٌ ؕ فَمَنِ اعۡتَدٰی بَعۡدَ ذٰلِکَ فَلَہٗ عَذَابٌ  اَلِیۡمٌ ﴿۱۷۸﴾


📕কানযুল ঈমান


১৭৮. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর ফরয যে, যাদেরকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে তাদের খুনের বদলা নেবে- আযাদের বদলে আযাদ, ক্রীতদাসের বদলে ক্রীতদাস এবং নারীর বদলে নারী। সুতরাং যার প্রতি তার ভাইয়ের পক্ষ থেকে কিছু ক্ষমা (প্রদর্শন করা) হয়েছে, তাহলে উত্তমভাবে তলব করা এবং সুন্দরভাবে আদায় করা বিধেয়। এটা হচ্ছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের বোঝা হাল্কা করা এবং তোমাদের উপর দয়া। অতঃপর, এর পরে যে সীমা লংঘন করবে তার জন্য বেদানাদায়ক শাস্তি রয়েছে।


📗ইরফানুল কুরআন


১৭৮. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্যে ক্বিসাস (শাস্তির ক্ষেত্রে সমতার বিধান) বিধিবদ্ধ করা হয়েছে সেসব লোকদের রক্তের বিনিময় যাদেরকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়; স্বাধীন ব্যক্তির পরিবর্তে স্বাধীন ব্যক্তি, কৃতদাসের পরিবর্তে কৃতদাস এবং নারীর পরিবর্তে নারী। অতঃপর যদি তাকে (অর্থাৎ হত্যাকারীকে) তার (নিহতের উত্তরাধিকারী) ভাইয়ের পক্ষ থেকে কিছুটা (রক্তমূল্যের বিনিময়ে) ক্ষমা করা হয়, তবে সমীচিন হলো উত্তম বিধান অনুসরণ করা এবং (রক্তমূল্য) উত্তম পন্থায় তার (অর্থাৎ নিহতের উত্তরাধিকারের) নিকট পৌঁছে দেয়া। এটি তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে লাঘব ও অনুগ্রহ। অতঃপর যে এরপরও বাড়াবাড়ি করে, তার জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।


আসসালামু আলাইকুম ইসলামী বিশ্বকোষ গ্রন্থ S২ : https://shorturl.at/আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৭৯

وَ لَکُمۡ فِی الۡقِصَاصِ حَیٰوۃٌ یّٰۤاُولِی الۡاَلۡبَابِ لَعَلَّکُمۡ تَتَّقُوۡنَ ﴿۱۷۹﴾


📕কানযুল ঈমান


১৭৯. এবং খুনের বদলা নেওয়ার মধ্যে তোমাদের জীবন (নিহিত) রয়েছে, হে বিবেকসম্পন্ন লোকেরা! যেন তোমরা কোন প্রকারে বাঁচতে পারো।


📗ইরফানুল কুরআন


১৭৯. আর তোমাদের জন্যে ক্বিসাসেই (অর্থাৎ হত্যার বিনিময় গ্রহণ করায়) রয়েছে জীবন (নামক নিরাপত্তা), হে বুদ্ধিমানেরা! যাতে তোমরা (রক্তপাত ও ধ্বংসযজ্ঞ থেকে) বেঁচে থাকো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৮০

کُتِبَ عَلَیۡکُمۡ  اِذَا حَضَرَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ اِنۡ تَرَکَ خَیۡرَۨا ۚۖ  الۡوَصِیَّۃُ لِلۡوَالِدَیۡنِ وَ الۡاَقۡرَبِیۡنَ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ۚ حَقًّا عَلَی الۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۱۸۰﴾ؕ


📕কানযুল ঈমান


১৮০. তোমাদের উপর ফরয করা হয়েছে যে, যখন তোমাদের মধ্যে কারো নিকট মৃত্যু উপস্থিত হয়, যদি সে কোন ধন-সম্পদ রেখে যায়, তবে যেন ‘ওসীয়ত’ করে যায়- আপন পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের জন্য, প্রচলিত নিয়ম মোতাবেক। এটা অপরিহার্য খোদাভীরুদের জন্য।


📗ইরফানুল কুরআন


১৮০. তোমাদের জন্যে বিধিবদ্ধ করা হচ্ছে যে, যখন তোমাদের কারো মৃত্যুকাল উপস্থিত হয়, যদি সে কিছু ধন-সম্পদ রেখে যায়, তবে (তার) পিতামাতা এবং নিকটাত্মীয়ের জন্যে যেন উত্তম পন্থায় ওসিয়্যত করে যায়। পরহেযগারদের জন্যে এ নির্দেশ কর্তব্য।


আসসালামু আলাইকুম ইসলামী বিশ্বকোষ গ্রন্থ S২ : https://shorturl.at/আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৮১

فَمَنۡۢ بَدَّلَہٗ بَعۡدَ مَا سَمِعَہٗ فَاِنَّمَاۤ اِثۡمُہٗ عَلَی الَّذِیۡنَ یُبَدِّلُوۡنَہٗ ؕ اِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۱۸۱﴾ؕ


📕কানযুল ঈমান


১৮১. সুতরাং যে ব্যক্তি ওসীয়ত শ্রবণ করার পর পরিবর্তন সাধন করে, তবে সেটার গুনাহ সেসব পরিবর্তনকারীদের উপরিই বর্তাবে। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ শ্রোতা, জ্ঞাতা।


📗ইরফানুল কুরআন


১৮১.  অতঃপর যে ব্যক্তি এ (ওসিয়্যত) শ্রবণ করার পর তা পরিবর্তন সাধন করে, তবে এর পাপ তাদের উপর যারা পরিবর্তন সাধন করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৮২

فَمَنۡ خَافَ مِنۡ مُّوۡصٍ جَنَفًا اَوۡ اِثۡمًا فَاَصۡلَحَ  بَیۡنَہُمۡ فَلَاۤ  اِثۡمَ عَلَیۡہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۸۲﴾


📕কানযুল ঈমান


১৮২. তারপর যে ব্যক্তি এ আশংকা বোধ করে যে, ওসীয়তকারী কিছু অন্যায় কিংবা পাপ করেছে, অতঃপর সে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিলে, তার উপর কোন গুনাহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু।


📗ইরফানুল কুরআন


১৮২. অতঃপর যদি কেউ ওসিয়্যতকারীর পক্ষ থেকে (কারো প্রতি) পক্ষপাতিত্ব অথবা (কারো অধিকারের ব্যাপারে) অবিচারের আশঙ্কা করে, অতঃপর সে তাদের মাঝে মীমাংসা করে দেয়; তবে তার উপর কোনো অপরাধ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৮৩

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا کُتِبَ عَلَیۡکُمُ الصِّیَامُ کَمَا کُتِبَ عَلَی الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَتَّقُوۡنَ ﴿۱۸۳﴾ۙ


📕কানযুল ঈমান


১৮৩. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে যেমন পূর্ববর্তীদের উপর ফরয হয়েছিল, যাতে তোমাদের পরহেয্‌গারী অর্জিত হয় ;


📗ইরফানুল কুরআন


১৮৩. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যাতে তোমরা পরহেযগারিতা অর্জন করতে পারো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৮৪

اَیَّامًا مَّعۡدُوۡدٰتٍ ؕ فَمَنۡ کَانَ مِنۡکُمۡ مَّرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ وَ عَلَی الَّذِیۡنَ یُطِیۡقُوۡنَہٗ فِدۡیَۃٌ طَعَامُ مِسۡکِیۡنٍ ؕ فَمَنۡ تَطَوَّعَ خَیۡرًا فَہُوَ خَیۡرٌ لَّہٗ ؕ وَ اَنۡ تَصُوۡمُوۡا خَیۡرٌ لَّکُمۡ   اِنۡ کُنۡتُمۡ  تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۸۴﴾


📕কানযুল ঈমান


১৮৪. গণনাকৃত দিনসমূহ। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে কেউ রুগ্ন হও কিংবা সফরে থাকো, অতঃপর ততোসংখ্যক রোযা অন্যান্য দিন-সমূহে। আর যাদের মধ্যে এর সামর্থ্য না থাকে তারা এর বিনিময়ে (ফিদিয়া) দেবে একজন মিসকীনের খাবার। অতঃপর যে ব্যক্তি নিজ থেকে সৎকর্ম অধিক করবে তবে তা তার জন্য উত্তম এবং রোযা রাখা তোমাদের জন্য অধিক কল্যাণকর যদি তোমরা জানো।


📗ইরফানুল কুরআন


১৮৪. (এগুলো হচ্ছে) গণনার কয়েক দিন। অতঃপর যদি তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হয় অথবা ভ্রমণে থাকে, তবে সে যেন অন্যান্য দিনে (রোযা) গণনা পূর্ণ করে। আর যাদের এর সামর্থ নেই, তাদের দায়িত্ব হলো এর বিনিময়ে একজন মিসকীনকে খাওয়ানো। অতঃপর যে কেউ স্বতঃস্ফুর্তভাবে (অতিরিক্ত) পূণ্য সম্পাদন করে, তবে সেটি তার জন্যে অধিক কল্যাণকর। আর তোমাদের রোযাই তোমাদের জন্যে কল্যাণকর, যদি তোমরা উপলব্ধি করো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৮৫

شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَہِدَ مِنۡکُمُ الشَّہۡرَ فَلۡیَصُمۡہُ ؕ وَ مَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰہُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَ لِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۸۵﴾


📕কানযুল ঈমান


১৮৫. রমযানের মাস, যাতে ক্বোরআন অবতীর্ণ হয়েছে, মানুষের জন্য হিদায়ত ও পথ নির্দেশ এবং মীমাংসার সুস্পষ্ট বাণীসমূহ। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে, সে যেন অবশ্যই সেটার রোযা পালন করে। আর যে ব্যক্তি রুগ্ন হয় কিংবা সফরে থাকে, তবে ততোসংখ্যক রোযা অন্যান্য দিনসমূহে। আল্লাহ্‌ তোমাদের উপর সহজ চান এবং তোমাদের উপর ক্লেশ চান না; আর এ জন্য যে, তোমরা সংখ্যা পূরণ করবে এবং আল্লাহ্‌র মহিমা বর্ণনা করবে এর উপর যে, তিনি তোমাদেরকে হিদায়ত করেছেন। আর যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও।


📗ইরফানুল কুরআন


১৮৫. রমজান মাস (সে মাস) যাতে অবতীর্ণ হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্যে হেদায়াত এবং (যাতে রয়েছে) পথপ্রদর্শনকারী এবং (সত্য-মিথ্যার) পার্থক্যকারী সকল সুস্পষ্ট নিদের্শনা। অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে সে যেন অবশ্যই এ মাসে রোযা রাখে। আর যে ব্যক্তি অসুস্থ বা ভ্রমণে থাকে সে যেন অন্যান্য দিনে (রোযার) গণনা পূর্ণ করে। আল্লাহ্ তোমাদের ব্যাপারে স্বাচ্ছন্দ চান এবং তিনি তোমাদের ব্যাপারে দুর্ভোগ চান না। আর তা এ জন্যে যে, যাতে তোমরা গণনা পূর্ণ করতে পারো; আর এ জন্যে যে, তিনি তোমাদেরকে যে হেদায়াত দান করেছেন যাতে এর মহত্ব বর্ণনা করো; আর এ জন্যে যে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৮৬

وَ اِذَا سَاَلَکَ عِبَادِیۡ عَنِّیۡ فَاِنِّیۡ قَرِیۡبٌ ؕ اُجِیۡبُ دَعۡوَۃَ الدَّاعِ  اِذَا دَعَانِ  ۙ فَلۡیَسۡتَجِیۡبُوۡا لِیۡ وَ لۡیُؤۡمِنُوۡا بِیۡ  لَعَلَّہُمۡ  یَرۡشُدُوۡنَ ﴿۱۸۶﴾


📕কানযুল ঈমান


১৮৬. এবং হে মাহবুব! যখন আপনাকে আমার বান্দাগণ আমার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে, আমি তো নিকটেই আছি; প্রার্থনা গ্রহণ করি আহ্বানকারীর যখন আমাকে আহ্বান করে। সুতরাং তাদের উচিৎ যেন আমার নির্দেশ মান্য করে এবং আমার উপর ঈমান আনে, যাতে পথের দিশা পায়।


📗ইরফানুল কুরআন


১৮৬. আর (হে হাবীব!) আমার বান্দা যখন আপনার নিকট আমার বিষয়ে জিজ্ঞেস করে, তখন (বলে দিন যে,) আমি নিকটেই রয়েছি। আমি আহবানকারীর আহবানের জবাব দেই, যখনই সে আমাকে আহবান করে। অতঃপর তাদের উচিত আমার আনুগত্য বেছে নেয়া এবং আমার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখা, যাতে তারা (কাঙ্ক্ষিত) পথ পেতে পারে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৮৭

اُحِلَّ لَکُمۡ لَیۡلَۃَ الصِّیَامِ الرَّفَثُ اِلٰی نِسَآئِکُمۡ ؕ ہُنَّ لِبَاسٌ لَّکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ لِبَاسٌ لَّہُنَّ ؕ عَلِمَ اللّٰہُ  اَنَّکُمۡ کُنۡتُمۡ تَخۡتَانُوۡنَ اَنۡفُسَکُمۡ فَتَابَ عَلَیۡکُمۡ وَ عَفَا عَنۡکُمۡ ۚ فَالۡـٰٔنَ بَاشِرُوۡہُنَّ وَ ابۡتَغُوۡا مَا کَتَبَ اللّٰہُ  لَکُمۡ  ۪ وَ کُلُوۡا وَ اشۡرَبُوۡا حَتّٰی یَتَبَیَّنَ لَکُمُ الۡخَیۡطُ الۡاَبۡیَضُ مِنَ الۡخَیۡطِ الۡاَسۡوَدِ  مِنَ الۡفَجۡرِ۪ ثُمَّ   اَتِمُّوا الصِّیَامَ اِلَی الَّیۡلِ ۚ وَ لَا تُبَاشِرُوۡہُنَّ وَ اَنۡتُمۡ عٰکِفُوۡنَ  ۙ فِی الۡمَسٰجِدِ ؕ تِلۡکَ حُدُوۡدُ  اللّٰہِ فَلَا تَقۡرَبُوۡہَا ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ  اٰیٰتِہٖ لِلنَّاسِ لَعَلَّہُمۡ  یَتَّقُوۡنَ ﴿۱۸۷﴾


📕কানযুল ঈমান


১৮৭. রোযার রাতগুলোতে আপন স্ত্রীদের নিকটে যাওয়া তোমাদের জন্য হালাল হয়েছে; তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক। আল্লাহ্‌ জেনেছেন যে, তোমরা নিজেদের আত্মাগুলোকে অবিশ্বস্ততার মধ্যে ফেলেছিলে, অতঃপর তিনি তোমাদের তওবা কবুল করেছেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন। সুতরাং এখন তোমরা তাদের সাথে সঙ্গত হও; এবং তালাশ করো- আল্লাহ্‌ যা তোমাদের ভাগ্যে লিপিবদ্ধ করেছেন; এবং পানাহার করো এ পর্যন্ত যে, তোমাদের নিকট প্রকাশ পেয়ে যাবে শুভ্ররেখা কৃষ্ণরেখা থেকে, ভোর হয়ে; অতঃপর রাত আসা পর্যন্ত রোযাগুলো সম্পূর্ণ করো; এবং স্ত্রীদের গায়ে হাত লাগাবে না যখন তোমরা মসজিদগুলোতে ই’তিকাফরত থাকো। এগুলো আল্লাহ্‌র সীমারেখা, এগুলোর নিকটে যেওনা। আল্লাহ্‌ এভাবেই বর্ণনা করেন লোকদের জন্য আপন নির্দশনগুলো, যাতে তাদের পরহেয্‌গারী অর্জিত হয়।


📗ইরফানুল কুরআন


১৮৭. রোযার রাত্রিতে তোমাদের জন্যে তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ্ অবগত আছেন, তোমরা নিজেদের ব্যাপারে খেয়ানত করতে, অতঃপর তিনি তোমাদের অবস্থার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। অতঃপর এখন (রোযার রাত্রিতে বিনা দ্বিধায়) তাদের সাথে সহবাস করো এবং আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তা অন্বেষণ করো, আর পানাহার করতে থাকো যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমাদের নিকট প্রভাতের শুভ্র রেখা (রাতের) কালো রেখা থেকে (পৃথক হয়ে) উদ্ভাসিত হয়। অতঃপর রাত (আগমন) পর্যন্ত রোযা পূর্ণ করো। আর স্ত্রীগণের সাথে রাত্রিযাপন করো না যখন তোমরা মসজিদে ই’তেকাফে থাকো। এ হলো আল্লাহ্‌র (নির্ধারিত) সীমারেখা। অতঃপর এর (লঙ্ঘনের) দিকে গমন করো না। এভাবে আল্লাহ্ মানুষের জন্যে নিজের আয়াতসমূহ (সুস্পষ্টভাবে) বর্ণনা করেন, যাতে তারা আল্লাহ্ভীতি গ্রহণ করে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৮৮

وَ لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ وَ تُدۡلُوۡا بِہَاۤ اِلَی الۡحُکَّامِ لِتَاۡکُلُوۡا فَرِیۡقًا مِّنۡ اَمۡوَالِ النَّاسِ بِالۡاِثۡمِ وَ اَنۡتُمۡ  تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۱۸۸﴾


📕কানযুল ঈমান


১৮৮. এবং পরষ্পরের মধ্যে একে অপরের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না এবং না বিচারকদের নিকট তাদের মুকাদ্দমা এজন্য পৌঁছাবে যে, লোকজনের কিছু ধন-সম্পদ অবৈধভাবে গ্রাস করে নেবে, জেনে-বুঝে।


📗ইরফানুল কুরআন


১৮৮. আর তোমরা নিজেদের মধ্যে অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ গ্রাস করো না এবং মানুষের সম্পদের কিছু অংশ তোমরা(ও) অবৈধ পন্থায় গ্রাসের উদ্দেশ্যে বিচারকগণকে তা (উৎকোচ হিসেবে) দিও না, যখন তোমরা জ্ঞাত (যে, এটি পাপ)।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৮৯

یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡاَہِلَّۃِ ؕ قُلۡ ہِیَ مَوَاقِیۡتُ لِلنَّاسِ وَ الۡحَجِّ ؕ وَ لَیۡسَ الۡبِرُّ بِاَنۡ تَاۡتُوا الۡبُیُوۡتَ مِنۡ ظُہُوۡرِہَا وَ لٰکِنَّ الۡبِرَّ مَنِ اتَّقٰیۚ وَ اۡتُوا الۡبُیُوۡتَ مِنۡ اَبۡوَابِہَا ۪ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ ﴿۱۸۹﴾


📕কানযুল ঈমান


১৮৯. (হে হাবীব!) আপনাকে নতুন চাঁদ সম্পর্কে (তারা) জিজ্ঞাসা করছে। আপনি বলে দিন, ‘সেটা সময়ের কতগুলো প্রতীক, মানবজাতি ও হজ্জে্‌র জন্য। আর এটা কোন পূণ্যময় কাজ নয় যে, গৃহগুলোর মধ্যে পেছনে দরজা কেটে আসবে। হাঁ, পূণ্যতো খোদাভীরুতাই; এবং ঘরগুলোতে দরজা দিয়েই প্রবেশ করো। আর আল্লাহ্‌কে ভয় করতে থাকো এ আশায় যে, সাফল্য অর্জন করবে।’


📗ইরফানুল কুরআন


১৮৯. (হে হাবীব!) লোকেরা আপনাকে নতুন চাঁদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে, বলে দিন, ‘এটি মানুষের জন্যে এবং হজ্জের মাস নির্ণয়ের জন্যে সময়ের নিদর্শন’। আর এ কোনো পূণ্য নয় যে, তোমরা (ইহরাম অবস্থায়) পিছন দিক থেকে তোমাদের গৃহে প্রবেশ করবে, বরং পূণ্য তো (এ উল্টো প্রথার বিপরীতে) খোদাভীতি অবলম্বন করা, আর তোমরা গৃহের দরজা দিয়ে প্রবেশ করো এবং আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৯০

وَ قَاتِلُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ الَّذِیۡنَ یُقَاتِلُوۡنَکُمۡ وَ لَا تَعۡتَدُوۡا ؕ اِنَّ اللّٰہَ  لَا یُحِبُّ الۡمُعۡتَدِیۡنَ ﴿۱۹۰﴾


📕কানযুল ঈমান


১৯০. এবং আল্লাহ্‌র পথে যুদ্ধ করো তাদের বিরুদ্ধে, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং সীমা অতিক্রম করো না। আল্লাহ্‌ পছন্দ করেন না সীমা অতিক্রমকারীদেরকে।


📗ইরফানুল কুরআন


১৯০. আর আল্লাহ্‌র পথে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, (হ্যাঁ) তবে সীমা অতিক্রম করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৯১

وَ اقۡتُلُوۡہُمۡ حَیۡثُ ثَقِفۡتُمُوۡہُمۡ وَ اَخۡرِجُوۡہُمۡ مِّنۡ حَیۡثُ اَخۡرَجُوۡکُمۡ وَ الۡفِتۡنَۃُ اَشَدُّ مِنَ الۡقَتۡلِ ۚ وَ لَا تُقٰتِلُوۡہُمۡ عِنۡدَ الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ حَتّٰی یُقٰتِلُوۡکُمۡ فِیۡہِ ۚ فَاِنۡ قٰتَلُوۡکُمۡ فَاقۡتُلُوۡہُمۡ ؕ  کَذٰلِکَ جَزَآءُ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۱۹۱﴾


📕কানযুল ঈমান


১৯১. এবং কাফিরদেরকে যেখানে পাও হত্যা করো এবং তাদেরকে বের করে দাও যেখান থেকে তোমাদেরকে তারা বের করেছিলো। আর তাদের ফিৎনা তো হত্যা অপেক্ষাও প্রচণ্ডতর এবং মসজিদে হারামের নিকট তাদের সাথে যুদ্ধ করো না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের সাথে সেখানে যুদ্ধ না করে। আর যদি তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তবে তাদেরকে হত্যা করো। কাফিরদের এটাই শাস্তি।


📗ইরফানুল কুরআন


১৯১.  আর (যুদ্ধাবস্থায়) তাদেরকে (অর্থাৎ কাফেরদেরকে) যেখানেই পাও সেখানেই হত্যা করো এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা তোমাদেরকে বের করে দিয়েছিল। বস্তুত ফেতনা তো হত্যার চেয়েও মারাত্মক (অপরাধ)। আর তাদের সাথে মসজিদে হারামের (অর্থাৎ কা’বা গৃহের) সন্নিকটে যুদ্ধ করো না, যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে যুদ্ধ করে। অতঃপর তারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করলে তাদেরকে হত্যা করো। (এরকম) কাফেরদের শাস্তি এমনই।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৯২

فَاِنِ انۡتَہَوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۹۲﴾


📕কানযুল ঈমান


১৯২. অতঃপর যদি তারা বিরত থাকে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু।


📗ইরফানুল কুরআন


১৯২.  অতঃপর যদি তারা বিরত হয়, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৯৩

وَ قٰتِلُوۡہُمۡ حَتّٰی لَا تَکُوۡنَ فِتۡنَۃٌ وَّ یَکُوۡنَ الدِّیۡنُ  لِلّٰہِ ؕ فَاِنِ انۡتَہَوۡا فَلَا عُدۡوَانَ  اِلَّا عَلَی الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۱۹۳﴾


📕কানযুল ঈমান


১৯৩. এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো যে যাবৎ কোন ফিৎনা না থাকে এবং এক আল্লাহ্‌রই ইবাদত হতে থাকে। অতঃপর যদি তারা বিরত হয়, তবে আক্রমণ নেই, কিন্তু যালিমদেরকে।


📗ইরফানুল কুরআন


১৯৩. আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকো যতক্ষণ পর্যন্ত না ফেতনা সম্পূর্ণভাবে দূরীভূত হয়। আর দ্বীন (অর্থাৎ জীবন ও ইবাদতের শৃঙ্খলা কার্যত) আল্লাহ্‌রই অধীন। অতঃপর যদি তারা বিরত হয়, তবে যালিম ব্যতীত কারো বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক আচরণ বৈধ নয়।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৯৪

اَلشَّہۡرُ الۡحَرَامُ  بِالشَّہۡرِ الۡحَرَامِ وَ الۡحُرُمٰتُ قِصَاصٌ ؕ فَمَنِ اعۡتَدٰی عَلَیۡکُمۡ فَاعۡتَدُوۡا عَلَیۡہِ بِمِثۡلِ مَا اعۡتَدٰی عَلَیۡکُمۡ  ۪ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ وَ اعۡلَمُوۡۤا  اَنَّ اللّٰہَ مَعَ  الۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۱۹۴﴾


📕কানযুল ঈমান


১৯৪. পবিত্র মাসের পরিবর্তে পবিত্র মাস এবং আদবের পরিবর্তে আদব। যে তোমাদের উপর আক্রমণ করবে তাকে (তোমরা) আক্রমণ করো ততটুকুই, যতটুকু সে করেছে; এবং আল্লাহ্‌কে ভয় করতে থাকো। আর জেনে রেখো- আল্লাহ্‌ খোদাভীরুদের সাথে রয়েছেন। 


📗ইরফানুল কুরআন


১৯৪. পবিত্র মাসের বিনিময়ে পবিত্র মাস, আর (অন্যান্য) পবিত্র বিষয়াদি একটি অপরটির বিনিময়। অতঃপর যদি তোমাদের উপর কেউ জবরদস্তি করে, তবে তোমরাও তার উপর জবরদস্তি করো; তবে সে তোমাদের উপর যে পরিমাণ করেছে ততটুকুই। আর আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো এবং জেনে রাখো, আল্লাহ্ পরহেযগারদের সাথে রয়েছেন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৯৫

وَ اَنۡفِقُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ لَا تُلۡقُوۡا بِاَیۡدِیۡکُمۡ  اِلَی التَّہۡلُکَۃِ ۚۖۛ وَ اَحۡسِنُوۡا ۚۛ اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۱۹۵﴾


📕কানযুল ঈমান


১৯৫. এবং আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করো এবং নিজেদের হাতে ধ্বংসের মধ্যে পতিত হয়ো না এবং সৎকর্মপরায়ণ হয়ে যাও। নিশ্চয় সৎকর্মপরায়ণগণ আল্লাহ্‌র প্রিয়।


📗ইরফানুল কুরআন


১৯৫. আর আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করো এবং নিজের হাতে নিজেকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না। আর পূণ্য অবলম্বন করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ নেক্কারদেরকে ভালোবাসেন


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৯৬

وَ اَتِمُّوا الۡحَجَّ وَ الۡعُمۡرَۃَ  لِلّٰہِ ؕ فَاِنۡ اُحۡصِرۡتُمۡ  فَمَا اسۡتَیۡسَرَ مِنَ الۡہَدۡیِ ۚ وَ لَا تَحۡلِقُوۡا رُءُوۡسَکُمۡ حَتّٰی یَبۡلُغَ الۡہَدۡیُ  مَحِلَّہٗ ؕ فَمَنۡ کَانَ مِنۡکُمۡ مَّرِیۡضًا اَوۡ بِہٖۤ اَذًی مِّنۡ رَّاۡسِہٖ فَفِدۡیَۃٌ مِّنۡ صِیَامٍ اَوۡ صَدَقَۃٍ اَوۡ نُسُکٍ ۚ فَاِذَاۤ  اَمِنۡتُمۡ ٝ فَمَنۡ تَمَتَّعَ بِالۡعُمۡرَۃِ  اِلَی الۡحَجِّ فَمَا اسۡتَیۡسَرَ مِنَ الۡہَدۡیِ ۚ فَمَنۡ لَّمۡ  یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ فِی الۡحَجِّ وَ سَبۡعَۃٍ اِذَا  رَجَعۡتُمۡ ؕ تِلۡکَ عَشَرَۃٌ کَامِلَۃٌ  ؕ ذٰلِکَ لِمَنۡ لَّمۡ یَکُنۡ اَہۡلُہٗ حَاضِرِی الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ وَ اعۡلَمُوۡۤا  اَنَّ اللّٰہَ  شَدِیۡدُ  الۡعِقَابِ ﴿۱۹۶﴾


📕কানযুল ঈমান


১৯৬. এবং হজ্জ্‌ ও ওমরাহ্‌ আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে পূর্ণ করো। অতঃপর যদি তোমরা বাধাপ্রাপ্ত হও, তবে ক্বোরবানী প্রেরণ করো, যা সহজলভ্য হয় এবং আপন মস্তক মুণ্ডন করো না যতক্ষণ পর্যন্ত ক্বোরবানীর পশু আপন ঠিকানায় পৌঁছে না যায়। অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পীড়িত হয় কিংবা তার মাথায় কিছু ক্লেশ থাকে, তবে তার বিনিময় (ফিদিয়া) দেবে- রোযা কিংবা সাদ্‌ক্বাহ্‌ অথবা ক্বোরবানী। অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ থাকবে, তখন যে ব্যক্তি হজ্জে্‌র সাথে ওমরাহ্‌ মিলানোর ফায়দা উঠায় তার উপর ক্বোরবানী রয়েছে যেমনি সহজলভ্য হয়; অতঃপর যার জন্য সম্ভবপর না হয়, তবে সে তিনটা রোযা হজ্জে্‌র দিনগুলোতে রাখবে এবং সাতটা যখন আপন গৃহে ফিরে যাবে- এ পূর্ণ দশটা হলো। এ হুকুম তারই জন্য যে মক্কার বাসিন্দা নয়; আর আল্লাহ্‌কে ভয় করতে থাকো এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ্‌র শাস্তি কঠিন।


📗ইরফানুল কুরআন


১৯৬.  আর আল্লাহ্‌র জন্যে হজ্জ ও ওমরাহ্ (-এর বিধিবিধান) পূর্ণ করো। অতঃপর যদি তোমরা (পথে) বাধাপ্রাপ্ত হও, তবে যে কুরবানীই সহজলভ্য হয় (তা-ই সম্পন্ন করার জন্যে প্রেরণ করো)। আর তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা মুণ্ডন করো না যতক্ষণ পর্যন্ত না কুরবানী (আদায়ের পশু) যথাস্থানে পৌঁছে। অতঃপর তোমাদের কেউ অসুস্থ হলে কিংবা মাথায় কোনো ব্যাধি থাকলে (নির্ধরিত সময়ের পূর্বে মাথা মুণ্ডন করবে), তবে (এর) পরিবর্তে রোযা (রাখবে) অথবা সাদকাহ্ (দেবে) অথবা কুরবানী (করবে)। অতঃপর যখন তোমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থায় থাকবে, তখন যে ব্যক্তি হজ্জের সাথে ওমরাহ্ যুক্ত করার সুযোগ গ্রহণ করবে, তাহলে যে কুরবানীই সহজলভ্য হবে (সম্পন্ন করবে)। অতঃপর যার জন্যে তাও সহজলভ্য হবে না, সে হজ্জের (সময়ের) মধ্যে তিন দিন, আর হজ্জ থেকে ফেরার পর সাত দিন রোযা রাখবে। এ হলো পূর্ণ দশদিন (রোযা)। এ (শিথিলতা) তার জন্যে, যার পরিবার পরিজন মসজিদে হারামের নিকট অবস্থান করে না (অর্থাৎ যে মক্কার অধিবাসী নয়)। আর আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো এবং জেনে রাখো, আল্লাহ্ শাস্তি প্রদানে কঠোর।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৯৭

اَلۡحَجُّ اَشۡہُرٌ مَّعۡلُوۡمٰتٌ ۚ فَمَنۡ فَرَضَ فِیۡہِنَّ الۡحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَ لَا فُسُوۡقَ  ۙ وَ لَا جِدَالَ فِی الۡحَجِّ ؕ وَ مَا تَفۡعَلُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ  یَّعۡلَمۡہُ اللّٰہُ  ؕؔ وَ تَزَوَّدُوۡا فَاِنَّ خَیۡرَ الزَّادِ التَّقۡوٰی ۫ وَ اتَّقُوۡنِ یٰۤاُولِی الۡاَلۡبَابِ ﴿۱۹۷﴾


📕কানযুল ঈমান


১৯৭. হজ্জের কতিপয় মাস রয়েছে, সুবিদিত, অতঃপর যে ব্যক্তি এ গুলোতে হজ্জে্‌র নিয়ত করে, তবে না স্ত্রীদের সামনে সম্ভোগের আলোচনা করা হবে, না কোন গুনাহ্‌, না কারো সাথে ঝগড়া হজ্জে্‌র সময় পর্যন্ত এবং তোমরা যে-ই উত্তম কাজ করবে আল্লাহ্‌ সেটা জানেন; আর পাথেয় সঙ্গে নাও। যেহতু সর্বাধিক উত্তম পাথেয় হচ্ছে- খোদাভীরুতা এবং আমাকে ভয় করতে থাকো, হে বিবেকবানগণ!


📗ইরফানুল কুরআন


১৯৭. হজ্জের কয়েকটি মাস নির্ধারিত (অর্থাৎ শাওয়াল, জিলক্বদ এবং জিলহজ্জের দশদিন)। সুতরাং যে ব্যক্তি এ সময়ে (নিজের জন্যে) হজ্জ আবশ্যক মনে করে, তবে সে হজ্জের সময়ে স্ত্রী-সম্ভোগ করবে না, (অন্য) কোনো অশোভন কাজ করবে না এবং কারো সাথে কলহবিবাদেও জড়াবে না। আর তোমরা যে কল্যাণই করো আল্লাহ্ তা ভালোভাবেই জানেন। (পরকালের) সফরের পাথেয়-এর ব্যবস্থা করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ভীতিই সবচেয়ে উৎকৃষ্ট পাথেয়। আর হে বুদ্ধিমানগণ! আমাকে ভয় করো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৯৮

لَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَبۡتَغُوۡا فَضۡلًا مِّنۡ رَّبِّکُمۡ ؕ فَاِذَاۤ اَفَضۡتُمۡ مِّنۡ عَرَفٰتٍ فَاذۡکُرُوا اللّٰہَ عِنۡدَ الۡمَشۡعَرِ الۡحَرَامِ ۪ وَ اذۡکُرُوۡہُ  کَمَا ہَدٰىکُمۡ ۚ وَ اِنۡ  کُنۡتُمۡ مِّنۡ قَبۡلِہٖ  لَمِنَ الضَّآلِّیۡنَ ﴿۱۹۸﴾


📕কানযুল ঈমান


১৯৮. তোমাদের উপর কোন গুনাহ্‌ নেই যে, আপন রবের অনুগ্রহ সন্ধান করবে। কাজেই, যখন ‘আরাফাত’ থেকে প্রর্ত্যাবর্তন করবে তখন আল্লাহ্‌র স্মরণ করো ‘মাশ্‘আর-ই-হারাম’ (পবিত্র ও সম্মানিত স্থান) এর নিকটে আর তাঁকে স্মরণ করো যেভাবে তিনি তোমাদেরকে হিদায়ত করেছেন এবং নিশ্চয় এর পূর্বে তোমরা বিভ্রান্ত ছিলে। 


📗ইরফানুল কুরআন


১৯৮. আর এ বিষয়ে তোমাদের কোনো অপরাধ নেই যদি তোমরা (হজ্জের সময়ে ব্যবসার মাধ্যমে) তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ অন্বেষণ করো। অতঃপর যখন তোমরা আরাফাত থেকে প্রত্যাবর্তন করবে তখন মাশ’আরে হারামে (অর্থাৎ মুযদালিফায়) আল্লাহ্কে স্মরণ করো এবং তাঁকে এমনভাবে স্মরণ করো যেমনিভাবে তিনি তোমাদেরকে হেদায়াত দান করেছেন। যদিও এরপূর্বে তোমরা ছিলে নিশ্চিত বিভ্রান্ত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ১৯৯

ثُمَّ  اَفِیۡضُوۡا مِنۡ حَیۡثُ اَفَاضَ النَّاسُ وَ اسۡتَغۡفِرُوا اللّٰہَ  ؕ اِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۹۹﴾


📕কানযুল ঈমান


১৯৯. অতঃপর কথা হচ্ছে হে ক্বোরাঈশীগণ! তোমরাও সেই স্থান থেকে প্রর্ত্যাবর্তন করো যে স্থান থেকে অন্যান্য লোক প্রর্ত্যাবর্তন করে এবং আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়াবান।


📗ইরফানুল কুরআন


১৯৯.  অতঃপর সেখানে যাবার পর তোমরা ফিরে আসো, যেখান থেকে (অন্যান্য) লোকজন ফিরে আসে এবং আল্লাহ্‌র নিকট (আন্তরিকভাবে) ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২০০

فَاِذَا قَضَیۡتُمۡ مَّنَاسِکَکُمۡ فَاذۡکُرُوا اللّٰہَ  کَذِکۡرِکُمۡ اٰبَآءَکُمۡ اَوۡ اَشَدَّ ذِکۡرًا ؕ فَمِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّقُوۡلُ رَبَّنَاۤ  اٰتِنَا فِی الدُّنۡیَا وَ مَا لَہٗ فِی الۡاٰخِرَۃِ  مِنۡ خَلَاقٍ ﴿۲۰۰﴾


📕কানযুল ঈমান


২০০. অতঃপর যখন (তোমরা) আপন হজ্জে্‌র কাজ পূর্ণ করে নাও, তখন আল্লাহ্‌কে স্মরণ এমনভাবে করো, যেমন আপন পিতা ও পিতামহকে স্মরণ করছিলে; বরং তদপেক্ষাও বেশী; এবং কিছু লোক এভাবে বলে, ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়াতে দাও।’ আর পরকালে তার কোন অংশ নেই।


📗ইরফানুল কুরআন


২০০. অতঃপর যখন তোমরা তোমাদের হজ্জের অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করো, তখন (মিনায়) আল্লাহ্কে এমন ঐকান্তিকভাবে স্মরণ করো যেভাবে (গভীর অনুরাগে) তোমরা তোমাদের পিতৃ-পুরুষগণকে স্মরণ করো। আবার এমন কিছু মানুষও রয়েছে যারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালেই কল্যাণ দান করো’। বস্তুত তাদের জন্যে পরকালে কোনো অংশ নেই।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২০১

وَ مِنۡہُمۡ مَّنۡ یَّقُوۡلُ رَبَّنَاۤ  اٰتِنَا فِی الدُّنۡیَا حَسَنَۃً  وَّ فِی الۡاٰخِرَۃِ حَسَنَۃً  وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ ﴿۲۰۱﴾


📕কানযুল ঈমান


২০১. আর কেউ এমন বলে, ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়ায় কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে আখিরাতে কল্যাণ দাও আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা করো।’


📗ইরফানুল কুরআন


২০১. আর তাদের মধ্যে এরকমও রয়েছে যারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালেও কল্যাণ দান করো এবং পরকালেও কল্যাণ দ্বারা অনুগ্রহ করো। আর জাহান্নামের শাস্তি থেকে আমাদেরকে নিরাপদ রাখো।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২০২

اُولٰٓئِکَ لَہُمۡ نَصِیۡبٌ مِّمَّا کَسَبُوۡا ؕ وَ اللّٰہُ  سَرِیۡعُ  الۡحِسَابِ ﴿۲۰۲﴾


📕কানযুল ঈমান


২০২. এমন লোকদের জন্য তাদের উপার্জন থেকে ভাগ রয়েছে এবং আল্লাহ্‌ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। 


📗ইরফানুল কুরআন


২০২. এরাই সেসব লোক যাদের জন্যে তাদের (পূণ্যময়) উপার্জনে অংশ রয়েছে। আর আল্লাহ্ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২০৩

وَ اذۡکُرُوا اللّٰہَ فِیۡۤ  اَیَّامٍ  مَّعۡدُوۡدٰتٍ ؕ فَمَنۡ تَعَجَّلَ فِیۡ یَوۡمَیۡنِ فَلَاۤ اِثۡمَ عَلَیۡہِ ۚ وَ مَنۡ تَاَخَّرَ فَلَاۤ اِثۡمَ عَلَیۡہِ  ۙ لِمَنِ اتَّقٰی ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّکُمۡ  اِلَیۡہِ تُحۡشَرُوۡنَ ﴿۲۰۳﴾


📕কানযুল ঈমান


২০৩. এবং আল্লাহ্‌কে স্মরণ করো গণনাকৃত দিনগুলোতে। অতঃপর যে ব্যক্তি তাড়াতাড়ি করে দু’দিনের মধ্যে চলে যায়, তার উপর কোন গুনাহ নেই আর যে ব্যক্তি রয়ে যায়, তবে তারও গুনাহ নেই, খোদাভীরুর জন্য এবং আল্লাহ্‌কে ভয় করতে থাকো। আর জেনে রেখো যে, তোমাদেরকে তাঁরই দিকে উঠতে হবে।


📗ইরফানুল কুরআন


২০৩. আর (এ) নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহ্কে (অত্যধিক) স্মরণ করো। অতঃপর যে কেউ (মিনা থেকে প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে) দু’দিনেই তাড়াহুড়ো করে চলে যায়, তার জন্যে কোনো অপরাধ নেই। আর যে (এতে) বিলম্ব করে, তার জন্যেও কোনো অপরাধ নেই। এটি তাঁর জন্যে যে আল্লাহ্ভীতি অবলম্বন করে। তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো এবং জেনে রাখো, তোমাদের সবাইকে তাঁরই নিকট একত্রিত করা হবে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২০৪

وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یُّعۡجِبُکَ قَوۡلُہٗ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا وَ یُشۡہِدُ اللّٰہَ عَلٰی مَا فِیۡ  قَلۡبِہٖ  ۙ وَ ہُوَ  اَلَدُّ  الۡخِصَامِ ﴿۲۰۴﴾


📕কানযুল ঈমান


২০৪. এবং কোন মানুষ এমনও আছে যে, পার্থিব জীবনে তার কথাবার্তা তোমার নিকট ভালো লাগবে এবং সে আপন অন্তরের কথার উপর আল্লাহ্‌কে সাক্ষী আনে এবং সে সবচেয়ে বেশী ঝগড়াটে।


📗ইরফানুল কুরআন


২০৪. আর মানুষের মাঝে কতিপয় এমনও রয়েছে পার্থিব জীবনে যার কথাবার্তা আপনাকে চমৎকৃত করে এবং সে তার অন্তরে যা আছে তার জন্যে আল্লাহ্কে সাক্ষীও রাখে, অথচ সে খুবই ঝগড়াটে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২০৫

وَ اِذَا تَوَلّٰی سَعٰی فِی الۡاَرۡضِ لِیُفۡسِدَ فِیۡہَا وَ یُہۡلِکَ الۡحَرۡثَ وَ النَّسۡلَ ؕ وَ اللّٰہُ  لَا  یُحِبُّ الۡفَسَادَ ﴿۲۰۵﴾


📕কানযুল ঈমান


২০৫. এবং যখন সে পৃষ্ঠ ফেরায় তখন পৃথিবীতে ফ্যাসাদ ছড়িয়ে বেড়ায় এবং শস্যক্ষেত্র ও প্রাণসমূহ বিনষ্ট করে। আর আল্লাহ্‌ ফ্যাসাদের প্রতি সন্তুষ্ট নন।


📗ইরফানুল কুরআন


২০৫. আর যখন সে (আপনার কাছ থেকে) ফিরে যায়, তখন সে পৃথিবীতে (যথাসম্ভব) বিপর্যয় সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ছুটে বেড়ায় এবং শস্যক্ষেত্র ও জীবন ধ্বংসের চেষ্টা করে। অথচ আল্লাহ্ বিপর্যয় ও অশান্তি পছন্দ করেন না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২০৬

وَ اِذَا قِیۡلَ لَہُ  اتَّقِ اللّٰہَ اَخَذَتۡہُ الۡعِزَّۃُ بِالۡاِثۡمِ فَحَسۡبُہٗ جَہَنَّمُ ؕ وَ لَبِئۡسَ الۡمِہَادُ ﴿۲۰۶﴾


📕কানযুল ঈমান


২০৬. এবং যখন তাকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্‌কে ভয় করো; তখন তার গুনাহ্‌র জিদ্ আরো বৃদ্ধি পায়। এমন লোকদের জন্য দোযখই যথেষ্ট। আর সেটা নিশ্চয় অত্যন্ত মন্দ বিছানা।


📗ইরফানুল কুরআন


২০৬. আর যখন (যুলুম ও অপকর্মের কারণে) তাকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্কে ভয় করো’, তখন তার দাম্ভিকতা তাকে পাপাচারে উদ্বুদ্ধ করে। আর তার জন্যে জাহান্নামই যথেষ্ট এবং অবশ্যই তা মন্দ ঠিকানা।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২০৭

وَ مِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّشۡرِیۡ نَفۡسَہُ ابۡتِغَآءَ مَرۡضَاتِ اللّٰہِ ؕ وَ اللّٰہُ  رَءُوۡفٌۢ بِالۡعِبَادِ ﴿۲۰۷﴾


📕কানযুল ঈমান


২০৭. এবং কোন কোন মানুষ আপন আপন আত্মাকে বিক্রি করে আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির তালাশে। আর আল্লাহ্‌ বান্দাদের উপর দয়াবান।


📗ইরফানুল কুরআন


২০৭. আর (এর বিপরীতে) মানুষের মাঝে কেউ এমনও রয়েছে, যে আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টিকল্পে নিজের জীবনও বাজি রাখে। আর আল্লাহ্ বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত অনুগ্রহশীল।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২০৮

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا ادۡخُلُوۡا فِی السِّلۡمِ  کَآفَّۃً  ۪ وَ لَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ ؕ اِنَّہٗ لَکُمۡ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ ﴿۲۰۸﴾


📕কানযুল ঈমান


২০৮. হে ঈমানদারগণ! (তোমরা) ইসলামে পূর্ণরুপে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাংকগুলোর উপর চলো না। নিঃসন্দেহে, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।


📗ইরফানুল কুরআন


২০৮. হে ঈমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২০৯

فَاِنۡ زَلَلۡتُمۡ  مِّنۡۢ بَعۡدِ مَا جَآءَتۡکُمُ الۡبَیِّنٰتُ فَاعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ ﴿۲۰۹﴾


📕কানযুল ঈমান


২০৯. এবং যদি তোমাদের পদস্খলন ঘটে এরপরও যে, তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট নির্দেশ এসেছে, তবে জেনে রেখো যে, আল্লাহ্‌ মহা পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়।


📗ইরফানুল কুরআন


২০৯. আর এরপরও যদি তোমরা পদস্খলিত হও, তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী আসার পর; তবে জেনে রাখো, আল্লাহ্ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২১০

ہَلۡ یَنۡظُرُوۡنَ  اِلَّاۤ  اَنۡ یَّاۡتِیَہُمُ اللّٰہُ فِیۡ ظُلَلٍ مِّنَ الۡغَمَامِ وَ الۡمَلٰٓئِکَۃُ وَ قُضِیَ الۡاَمۡرُ ؕ وَ  اِلَی اللّٰہِ تُرۡجَعُ  الۡاُمُوۡرُ ﴿۲۱۰﴾


📕কানযুল ঈমান


২১০. কিসের প্রতীক্ষায় রয়েছে? কিন্তু এরই যে, আল্লাহ্‌ তা’আলার শাস্তি আসবে ছেয়ে ফেলা মেঘের মধ্যে এবং ফিরিশ্‌তাগণ অবতীর্ণ হবে। আর কাজের ফয়সালা হয়ে গেছে এবং সমস্ত কাজের প্রর্ত্যাবর্তন আল্লাহ্‌রই দিকে।


📗ইরফানুল কুরআন


২১০. তারা কি অপেক্ষা করছে যে, মেঘের ছায়ায় আগমন করবে আল্লাহ্ (-এঁর শাস্তি) এবং ফেরেশতাগণও (অবতরণ করবেন), আর (সমস্ত) বিষয় নিষ্পত্তি হয়ে যাবে? বস্তুত সবকিছু আল্লাহ্‌রই নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২১১

سَلۡ بَنِیۡۤ  اِسۡرَآءِیۡلَ  کَمۡ اٰتَیۡنٰہُمۡ مِّنۡ اٰیَۃٍۭ بَیِّنَۃٍ ؕ وَ مَنۡ یُّبَدِّلۡ نِعۡمَۃَ اللّٰہِ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا جَآءَتۡہُ فَاِنَّ اللّٰہَ شَدِیۡدُ الۡعِقَابِ ﴿۲۱۱﴾


📕কানযুল ঈমান


২১১. বনী ইস্রাঈলকে জিজ্ঞাসা করো আমি কতগুলো সুস্পষ্ট নিদর্শনই তাদেরকে প্রদান করেছি! আর যে আল্লাহ্‌র আগত অনুগ্রহকে পরিবর্তন করেছে, তবে নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌র শাস্তি কঠিন।


📗ইরফানুল কুরআন


২১১.  আপনি বনী ইসরাঈলকে জিজ্ঞেস করুন যে, আমরা তাদেরকে কতো সুস্পষ্ট নিদর্শন প্রদান করেছিলাম! আর তার নিকট আল্লাহ্‌র নিয়ামত আগমনের পর কেউ তা পরিবর্তন করে ফেললে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শাস্তিদানে কঠোর।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২১২

زُیِّنَ لِلَّذِیۡنَ کَفَرُوا الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَا وَ یَسۡخَرُوۡنَ مِنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ۘ وَ الَّذِیۡنَ اتَّقَوۡا فَوۡقَہُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ وَ اللّٰہُ یَرۡزُقُ مَنۡ یَّشَآءُ بِغَیۡرِ حِسَابٍ ﴿۲۱۲﴾


📕কানযুল ঈমান


২১২. কাফিরদের দৃষ্টিতে পার্থিব জীবনকে সুশোভিত করা হয়েছে এবং তারা মুসলমানদেরকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে আর খোদাভীতিসম্পন্নরা ক্বিয়ামত-দিবসে তাদের ঊর্দ্ধে থাকবে এবং আল্লাহ্‌ যাকে চান অগণিত দান করেন।


📗ইরফানুল কুরআন


২১২.  কাফেরদের জন্যে পার্থিব জীবন খুবই সুশোভিত করে দেয়া হয়েছে, এবং তারা ঈমানদারগণের সাথে উপহাস করে থাকে। অথচ যারা পরহেযগারিতা অবলম্বন করেছে কিয়ামতের দিন তারা তাদের চেয়ে ঊর্ধ্বে অবস্থান করবে এবং আল্লাহ্ যাকে চান অপরিমিত রিযিক দিয়ে অনুগ্রহ করেন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২১৩

کَانَ النَّاسُ اُمَّۃً  وَّاحِدَۃً ۟ فَبَعَثَ اللّٰہُ النَّبِیّٖنَ مُبَشِّرِیۡنَ وَ مُنۡذِرِیۡنَ  ۪ وَ اَنۡزَلَ مَعَہُمُ  الۡکِتٰبَ بِالۡحَقِّ لِیَحۡکُمَ بَیۡنَ النَّاسِ فِیۡمَا اخۡتَلَفُوۡا فِیۡہِ ؕ وَ مَا اخۡتَلَفَ فِیۡہِ اِلَّا الَّذِیۡنَ اُوۡتُوۡہُ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا جَآءَتۡہُمُ الۡبَیِّنٰتُ بَغۡیًۢا بَیۡنَہُمۡ ۚ فَہَدَی اللّٰہُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لِمَا اخۡتَلَفُوۡا فِیۡہِ مِنَ الۡحَقِّ بِاِذۡنِہٖ ؕ وَ اللّٰہُ  یَہۡدِیۡ مَنۡ یَّشَآءُ  اِلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ﴿۲۱۳﴾


📕কানযুল ঈমান


২১৩. লোকেরা এই দ্বীনের উপর ছিলো; অতঃপর আল্লাহ্‌ নবীগণকে প্রেরণ করেছেন সুসংবাদদাতারুপে ও সতর্ককারীরুপে; আর তাঁদের সাথে সত্য কিতাব অবতীর্ণ করেছেন, যাতে তা লোকদের মধ্যেকার মতভেদগুলোর মীমাংসা করে দেয় এবং কিতাবের মধ্যে মতভেদ তারাই সৃষ্টি করেছে, যাদেরকে তা প্রদান করা হয়েছিলো এর পর যে, তাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শন এসেছে পরষ্পরের অবাধ্যতার কারণে। অতঃপর আল্লাহ্‌ ঈমানদারগণকে ঐ সত্য বিষয় দেখিয়ে দিয়েছেন, যা’তে তারা বিবাদ করছিলো, আপন নিদের্শে এবং আল্লাহ্‌ যাকে চান সরল পথ দেখান।


📗ইরফানুল কুরআন


২১৩. (শুরুর দিকে) সকল মানুষ একই দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। (অতঃপর যখন তাদের মাঝে মতবিরোধ দেখা দিল) তখন আল্লাহ্ নবীগণকে প্রেরণ করলেন সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে এবং তাদের সাথে অবতীর্ণ করলেন সত্য-নির্ভর কিতাব, যাতে তারা মানুষের মাঝে সেসব বিষয়ের ফায়সালা করতে পারেন যেসব বিষয়ে তারা মতবিরোধ শুরু করেছিল। আর যাদেরকে কিতাব প্রদান করা হয়েছিল, তাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী আসার পরও তাতে কেবল তারাই মতবিরোধ করেছিল, পারস্পরিক ক্রোধ ও বিদ্বেষের কারণে। অতঃপর আল্লাহ্ ঈমানদারগণকে তাঁর নির্দেশে সত্য অনুধাবন করালেন যেসব বিষয়ে তারা মতবিরোধ করতো। আর আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা সরল পথের দিকে হেদায়াত দান করেন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২১৪

اَمۡ حَسِبۡتُمۡ  اَنۡ تَدۡخُلُوا الۡجَنَّۃَ وَ لَمَّا یَاۡتِکُمۡ مَّثَلُ الَّذِیۡنَ خَلَوۡا مِنۡ قَبۡلِکُمۡ ؕ مَسَّتۡہُمُ الۡبَاۡسَآءُ  وَ الضَّرَّآءُ وَ زُلۡزِلُوۡا حَتّٰی یَقُوۡلَ الرَّسُوۡلُ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مَعَہٗ مَتٰی نَصۡرُ  اللّٰہِ ؕ اَلَاۤ اِنَّ نَصۡرَ اللّٰہِ  قَرِیۡبٌ ﴿۲۱۴﴾


📕কানযুল ঈমান


২১৪. তোমরা কি এই ধারণায় রয়েছো যে, জান্নাতে চলে যাবে? আর এখনো তোমাদের উপর পূর্ববর্তীদের মতো রোয়েদাদ (অবস্থা) আসেনি। তাদেরকে স্পর্শ করেছে সংকট ও দুঃখ-কষ্ট এবং প্রকম্পিত করা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত রসূল এবং তাঁর সঙ্গেকার ঈমানদারগণ বলে ওঠেছে, ‘কখন আসবে আল্লাহ্‌র সাহায্য’? শুনে নাও! ‘নিশ্চয় আল্লাহ্‌র সাহায্য সন্নিকটে।’


📗ইরফানুল কুরআন


২১৪. তোমরা কি মনে করো যে, তোমরা (কোনো পরীক্ষা ব্যতীত এমনি এমনি) জান্নাতে প্রবেশ করবে, অথচ তোমাদেরকে তো এখনও তাদের অবস্থা অতিক্রমই করেনি, যারা তোমাদের পূর্বে গত হয়েছে? তাদেরকে তো বিভিন্ন কষ্টকর পরিস্থিতি ও দুর্ভোগ স্পর্শ করেছিলো এবং (এমনভাবে) শিহরিত করেছিলো যে, (স্বয়ং) রাসূল ও তাঁর ঈমানদার সঙ্গীরা(ও) বলে উঠলেন, ‘আল্লাহ্‌র সাহায্য কখন আসবে?’ জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌র সাহায্য নিকটবর্তী।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২১৫

یَسۡـَٔلُوۡنَکَ مَا ذَا یُنۡفِقُوۡنَ ۬ؕ قُلۡ مَاۤ اَنۡفَقۡتُمۡ  مِّنۡ خَیۡرٍ فَلِلۡوَالِدَیۡنِ وَ الۡاَقۡرَبِیۡنَ وَ الۡیَتٰمٰی وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ ابۡنِ‌السَّبِیۡلِ ؕ وَ مَا تَفۡعَلُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ فَاِنَّ اللّٰہَ بِہٖ عَلِیۡمٌ ﴿۲۱۵﴾


📕কানযুল ঈমান


২১৫. আপনাকে জিজ্ঞাসা করছে, ‘কি ব্যয় করবে?’ আপনি বলুন, ‘যা কিছু সম্পদ সৎ কাজে ব্যয় করো, তবে তা মাতা-পিতা, নিকটাত্মীয়, এতিম, অভাবগ্রস্থ ও মুসাফিরদের জন্য; এবং যা সৎকর্ম করবে, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তা জানেন।


📗ইরফানুল কুরআন


২১৫. তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করে যে, (আল্লাহ্‌র পথে) তারা কী খরচ করবে। বলে দিন, ‘যে পরিমাণ সম্পদই তোমরা ব্যয় করবে, (তা সঠিক) তবে এর প্রাপ্য তোমাদের পিতামাতা, নিকটাত্মীয়, এতিম, অভাবগ্রস্ত ও মুসাফির। আর যে পূণ্যই তোমরা করছো, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা সম্যক অবগত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২১৬

کُتِبَ عَلَیۡکُمُ الۡقِتَالُ وَ ہُوَ کُرۡہٌ لَّکُمۡ ۚ وَ عَسٰۤی اَنۡ تَکۡرَہُوۡا شَیۡئًا وَّ ہُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ ۚ وَ عَسٰۤی اَنۡ تُحِبُّوۡا شَیۡئًا وَّ ہُوَ شَرٌّ لَّکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ یَعۡلَمُ  وَ اَنۡتُمۡ  لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۲۱۶﴾


📕কানযুল ঈমান


২১৬. তোমাদের উপর ফরয হয়েছে আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করা আর তা তোমাদের নিকট অপছন্দনীয় এবং সম্ভবতঃ তোমাদের নিকট কোন বিষয় অপছন্দ হবে অথচ তা তোমাদের পক্ষে কল্যাণকর হয়; এবং সম্ভবতঃ কোন বিষয় তোমাদের পছন্দনীয় হবে অথচ তা তোমাদের পক্ষে অকল্যাণকর হয়। আর আল্লাহ্‌ জানেন এবং তোমরা জানো না। 


📗ইরফানুল কুরআন


২১৬.  (আল্লাহ্‌র পথে) যুদ্ধ করা তোমাদের জন্যে ফরয করা হয়েছে, অথচ প্রকৃতিগতভাবে এটি তোমাদের নিকট অপছন্দনীয়। আর সম্ভবতঃ তোমরা কোনো বিষয় অপছন্দ করো অথচ (প্রকৃতপক্ষে) এটি তোমাদের জন্যে কল্যাণকর। আর (এও) সম্ভবপর যে, তোমরা কোনো বিষয় পছন্দ করো অথচ (প্রকৃতপক্ষে) তা তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। আর আল্লাহ্ ভালোভাবেই জানেন, কিন্তু তোমরা জানো না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২১৭

یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الشَّہۡرِ الۡحَرَامِ  قِتَالٍ فِیۡہِ ؕ قُلۡ قِتَالٌ فِیۡہِ کَبِیۡرٌ ؕ وَ صَدٌّ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ کُفۡرٌۢ بِہٖ وَ الۡمَسۡجِدِ الۡحَرَامِ ٭ وَ  اِخۡرَاجُ اَہۡلِہٖ مِنۡہُ اَکۡبَرُ عِنۡدَ  اللّٰہِ ۚ وَ  الۡفِتۡنَۃُ  اَکۡبَرُ مِنَ الۡقَتۡلِ ؕ وَ لَا یَزَالُوۡنَ یُقَاتِلُوۡنَکُمۡ حَتّٰی یَرُدُّوۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِکُمۡ   اِنِ  اسۡتَطَاعُوۡا ؕ وَ مَنۡ یَّرۡتَدِدۡ مِنۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِہٖ فَیَمُتۡ وَ ہُوَ کَافِرٌ فَاُولٰٓئِکَ حَبِطَتۡ اَعۡمَالُہُمۡ  فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ ۚ وَ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ   فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۲۱۷﴾  


📕কানযুল ঈমান


২১৭. আপনাকে জিজ্ঞাসা করছে সম্মানিত মাসে যুদ্ধ করার হুকুম সম্পর্কে। আপনি বলুন, ‘তাতে যুদ্ধ করা মহাপাপ এবং আল্লাহ্‌র পথে বাধা দেয়া, তাঁর উপর ঈমান না আনা, মসজিদে হারাম থেকে নিবৃত্ত রাখা এবং সেখানে বসবাসকারীদেরকে বের করে দেয়া- আল্লাহ্‌র নিকট এ গুনাহ্‌ তা অপেক্ষাও বড় এবং তাদের ফ্যাসাদ হত্যা অপেক্ষাও ভীষণতর।’ আর (তারা) সর্বদা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যতক্ষণ না তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দেবে, যদি সম্ভবপর হয়; এবং তোমাদের মধ্যে যে কেউ আপন দ্বীন থেকে ফিরে যায় অতঃপর কাফির হয়ে মৃত্যুবরণ করে, তবে ঐসব লোকের কর্ম নিস্ফল হয়েছে দুনিয়ায় ও আখিরাতে এবং তারা দোযখবাসী। তাতে তারা সর্বদা থাকবে।


📗ইরফানুল কুরআন


২১৭. লোকেরা আপনাকে পবিত্র মাসে যুদ্ধের বিধান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে; বলে দিন, ‘তাতে যুদ্ধ করা ভীষণ অন্যায়। আর আল্লাহ্‌র পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, তাঁর সাথে কুফরী করা, মসজিদুল-হারামে (অর্থাৎ কা’বাগৃহে) বাধা দেয়া এবং এর অধিবাসীদেরকে সেখান থেকে বহিষ্কার করা আল্লাহ্‌র নিকট (এরচেয়েও) গুরুতর অন্যায়। আর এ বিপর্যয় সৃষ্টি হত্যা অপেক্ষা ভীষণতর অপরাধ।’ এরা (এ কাফেরেরা) তোমাদের সাথে সর্বদা যুদ্ধ চলমান রাখবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দেয়, যদি (তারা সে) সক্ষমতা অর্জন করে। আর তোমাদের মধ্যে যে কেউ দ্বীন থেকে ফিরে পুনরায় কাফেররূপে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তবে তাদের ইহকাল ও পরকালে (সকল) আমল নিষ্ফল হয়ে যাবে। আর এরাই জাহান্নামী, তাতে তারা থাকবে চিরকাল।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২১৮

اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ الَّذِیۡنَ  ہَاجَرُوۡا وَ جٰہَدُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ  ۙ اُولٰٓئِکَ یَرۡجُوۡنَ  رَحۡمَتَ اللّٰہِ ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۱۸﴾


📕কানযুল ঈমান


২১৮. ওই সব লোক, যারা ঈমান এনেছে এবং ওই সব লোক, যারা আল্লাহ্‌র জন্য আপন ঘরবাড়ী ত্যাগ করেছে ও আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করেছে, তারা আল্লাহ্‌র অনুগ্রহের প্রত্যাশী, আর আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়াবান।


📗ইরফানুল কুরআন


২১৮. নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনয়ন করেছে এবং যারা আল্লাহ্‌র জন্যে স্বদেশ ছেড়েছে ও আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করেছে, তারাই আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে। আর আল্লাহ্ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২১৯

یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡخَمۡرِ وَ الۡمَیۡسِرِؕ قُلۡ فِیۡہِمَاۤ اِثۡمٌ  کَبِیۡرٌ  وَّ مَنَافِعُ  لِلنَّاسِ ۫ وَ اِثۡمُہُمَاۤ  اَکۡبَرُ مِنۡ نَّفۡعِہِمَا ؕ وَ یَسۡـَٔلُوۡنَکَ مَا ذَا یُنۡفِقُوۡنَ ۬ؕ قُلِ الۡعَفۡوَؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ  لَکُمُ الۡاٰیٰتِ لَعَلَّکُمۡ تَتَفَکَّرُوۡنَ ﴿۲۱۹﴾ۙ


📕কানযুল ঈমান


২১৯. আপনাকে মদ ও জুয়ার বিধান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে। আপনি বলুন, ‘ওই দু’টিতে মহাপাপ রয়েছে এবং মানুষের জন্য কিছু পার্থিব উপকারও। এবং ওই দু’টির পাপ ওই দু’টির উপকার অপেক্ষা বড়।’ আর আপনাকে জিজ্ঞাসা করছে- কি ব্যয় করবে? আপনি বলুন, ‘যা উদ্বৃত্ত থাকে।’ অনুরুপভাবে, আল্লাহ্‌ তোমাদের নিকট নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা চিন্তা করে সম্পন্ন করো-


📗ইরফানুল কুরআন


২১৯.  তারা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে, বলে দিন, ‘উভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ, তবে মানুষের জন্যে আছে (পার্থিব) কিছু উপকারও; কিন্তু এগুলোর পাপ এগুলোর উপকার অপেক্ষা অধিকতর।’ তারা আপনাকে আরো জিজ্ঞেস করে তারা কী ব্যয় করবে? বলে দিন, ‘যা প্রয়োজনের অতিরিক্ত (তা ব্যয় করো)’। এভাবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে (স্বীয়) বিধান সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন যাতে তোমরা গভীরভাবে চিন্তা করো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২২০

فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ ؕ وَ یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡیَتٰمٰی ؕ قُلۡ  اِصۡلَاحٌ لَّہُمۡ خَیۡرٌ ؕ وَ اِنۡ تُخَالِطُوۡہُمۡ  فَاِخۡوَانُکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ یَعۡلَمُ الۡمُفۡسِدَ مِنَ الۡمُصۡلِحِ ؕ وَ لَوۡ شَآءَ اللّٰہُ  لَاَعۡنَتَکُمۡ ؕ اِنَّ  اللّٰہَ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ ﴿۲۲۰﴾


📕কানযুল ঈমান


২২০. দুনিয়া ও আখিরাতের কাজ। আর আপনাকে এতিমদের মাস্আলা জিজ্ঞাসা করছে। আপনি বলুন, ‘তাদের কল্যাণ করা উত্তম’ এবং যদি নিজেদের ও তাদের ব্যয় একত্র করে নাও, তবে তারা তোমাদের ভাই; আর আল্লাহ্‌ খুব ভালভাবে জানেন অনিষ্টকারীকে হিতকারীদের থেকে; এবং আল্লাহ্‌ ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে কষ্টে ফেলতেন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।


📗ইরফানুল কুরআন


২২০. (তোমাদের গভীর চিন্তা) ইহকাল ও পরকাল (উভয় বিষয়) সম্পর্কিত (যেন হয়)। আর তারা আপনাকে এতিমদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে, বলে দিন, ‘এদের (বিষয়গুলোর) সুব্যবস্থা করা উত্তম’। আর যদি তাদের (ভরণ-পোষণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের) সাথে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করো, তবে তারাও তোমাদের ভাই। আল্লাহ্ অনিষ্টকারীকে কল্যাণকারী থেকে স্বতন্ত্রভাবে চিনেন এবং আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে কষ্টে নিক্ষেপ করতে পারতেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২২১

وَ لَا تَنۡکِحُوا الۡمُشۡرِکٰتِ حَتّٰی یُؤۡمِنَّ ؕ وَ لَاَمَۃٌ مُّؤۡمِنَۃٌ  خَیۡرٌ مِّنۡ مُّشۡرِکَۃٍ  وَّ لَوۡ اَعۡجَبَتۡکُمۡ ۚ وَ لَا تُنۡکِحُوا الۡمُشۡرِکِیۡنَ حَتّٰی یُؤۡمِنُوۡا ؕ وَ لَعَبۡدٌ مُّؤۡمِنٌ خَیۡرٌ مِّنۡ مُّشۡرِکٍ وَّ لَوۡ اَعۡجَبَکُمۡ ؕ اُولٰٓئِکَ یَدۡعُوۡنَ  اِلَی النَّارِ ۚۖ وَ اللّٰہُ  یَدۡعُوۡۤا اِلَی الۡجَنَّۃِ وَ الۡمَغۡفِرَۃِ  بِاِذۡنِہٖ ۚ وَ یُبَیِّنُ  اٰیٰتِہٖ لِلنَّاسِ لَعَلَّہُمۡ  یَتَذَکَّرُوۡنَ ﴿۲۲۱﴾


📕কানযুল ঈমান


২২১. আর অংশীবাদীনী নারীদেরকে বিবাহ করো না যতক্ষণ পর্যন্ত না মুসলমান হয়ে যায় এবং নিশ্চয় মুসলমান ক্রীতদাসী অংশীবাদীনী নারী অপেক্ষা উত্তম যদিও সে তোমাদেরকে চমৎকৃত করে এবং মুশরিকদের বিবাহে দিও না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ঈমান না আনে। আর নিশ্চয় মুসলমান ক্রীতদাস মুশরিক অপেক্ষা উত্তম যদিও সে তোমাদেরকে চমৎকৃত করে। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে এবং আল্লাহ্‌ জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহ্বান করেন স্বীয় নির্দেশে; আর আপন নিদর্শনসমূহ লোকদের জন্য বর্ণনা করেন, যাতে তারা উপদেশ মান্য করে।


📗ইরফানুল কুরআন


২২১.  আর তোমরা মুশরিক নারীদেরকে বিবাহ্ করো না, যতক্ষণ না তারা মুসলমান হয়। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী (স্বাধীন) মুশরিক নারীর চেয়ে উত্তম, যদিও তারা তোমাদেরকে চমৎকৃত করে। আর (মুসলমান নারীদেরকে) মুশরিক পুরুষদের সাথেও বিবাহ প্রদান করো না, যতক্ষণ না তারা মুসলমান হয়। অবশ্য মুমিন ক্রীতদাস মুশরিক পুরুষের চেয়ে উত্তম, যদিও সে তোমাদেরকে চমৎকৃত করে। তারা (কাফেরেরা ও মুশরিকেরা) জাহান্নামের দিকে আহবান করে, আর আল্লাহ্ স্বীয় নির্দেশে জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহবান করেন। আর তিনি মানুষের জন্যে স্বীয় আয়াতসমূহকে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২২২

وَ یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡمَحِیۡضِ ؕ قُلۡ ہُوَ اَذًی  ۙ فَاعۡتَزِلُوا النِّسَآءَ فِی الۡمَحِیۡضِ  ۙ وَ لَا تَقۡرَبُوۡہُنَّ حَتّٰی یَطۡہُرۡنَ ۚ فَاِذَا تَطَہَّرۡنَ  فَاۡتُوۡہُنَّ مِنۡ حَیۡثُ اَمَرَکُمُ اللّٰہُ  ؕ اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ التَّوَّابِیۡنَ  وَ یُحِبُّ الۡمُتَطَہِّرِیۡنَ ﴿۲۲۲﴾


📕কানযুল ঈমান


২২২. এবং (হে হাবিব!) আপনাকে (লোকেরা) জিজ্ঞাসা করছে রজঃস্রাবের বিধান। আপনি বলুন, ‘সেটা অশুচিতা; সুতরাং (তোমরা) স্ত্রীদের নিকট থেকে পৃথক থাকো রজঃস্রাবের দিনগুলোতে এবং তাদের নিকটে যেওনা যতক্ষণ না পবিত্র হয়ে যায়। অতঃপর যখন পবিত্র হয়ে যায়, তখন তাদের নিকট যাও যেখান থেকে তোমাদেরকে আল্লাহ্‌ নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ পছন্দ করেন অধিক তাওবাকারীদেরকে এবং পছন্দ করেন পবিত্রতা অবলম্বনকারীদেরকে।


📗ইরফানুল কুরআন


২২২. আর তারা আপনাকে (মাসিক) ঋতুশ্রাব বিষয়ে জিজ্ঞেস করে, বলে দিন, ‘তা অপবিত্রতা। সুতরাং তোমরা ঋতুশ্রাবের দিনগুলোতে স্ত্রী-সঙ্গ বর্জন করো; এবং যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয় তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। আর যখন তারা উত্তমরূপে পরিশুদ্ধ হয় তখন গমন করো তাদের নিকট, যেভাবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে অনুমতি দিয়েছেন।’ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তওবাকারীকে ভালোবাসেন এবং উত্তমরূপে পবিত্রতা অবলম্বনকারীকেও ভালোবাসেন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২২৩

نِسَآؤُکُمۡ حَرۡثٌ لَّکُمۡ  ۪ فَاۡتُوۡا حَرۡثَکُمۡ اَنّٰی شِئۡتُمۡ ۫ وَ قَدِّمُوۡا لِاَنۡفُسِکُمۡ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّکُمۡ  مُّلٰقُوۡہُ  ؕ وَ بَشِّرِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۲۲۳﴾


📕কানযুল ঈমান


২২৩. তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেত স্বরুপ। অতএব, (তোমরা) এসো আপন আপন ক্ষেতসমূহে যেভাবে ইচ্ছা করো। এবং নিজেদের মঙ্গলের কাজ পূর্বাহ্নে করো। আর আল্লাহ্‌কে ভয় করতে থাকো এবং জেনে রেখো যে, তোমাদেরকে তাঁর সাথে মিলতে হবে। আর হে মাহবুব! সুসংবাদ দিন ঈমানদারদেরকে।


📗ইরফানুল কুরআন


২২৩. তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র, অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেতে যেভাবে ইচ্ছে গমন করতে পারো। আর নিজেদের জন্যে আগামীদিনের কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করো এবং আল্লাহ্কে ভয় করো। আর জেনে রাখো যে, তোমরা তাঁর সমীপে আবির্ভূত হবে, আর (হে হাবীব!) আপনি ঈমানদারগণকে সুসংবাদ দিন (যে, আল্লাহ্‌র সমীপে তাদের আবির্ভূত হওয়া লাভজনক হবে)।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২২৪

وَ لَا تَجۡعَلُوا اللّٰہَ عُرۡضَۃً  لِّاَیۡمَانِکُمۡ اَنۡ تَبَرُّوۡا وَ تَتَّقُوۡا وَ تُصۡلِحُوۡا بَیۡنَ النَّاسِ ؕ وَ اللّٰہُ  سَمِیۡعٌ  عَلِیۡمٌ ﴿۲۲۴﴾


📕কানযুল ঈমান


২২৪. এবং আল্লাহ্‌কে তোমাদের শপথগুলোর (এ মর্মে) নিশানা (অজুহাত) বানিয়ে নিওনা যে, ‘সৎকর্ম, পরহেয্‌গারী এবং মানুষের মধ্যে শান্তি স্থাপন (না) করার শপথ করে নেবে। এবং আল্লাহ্ শ্রোতা, জ্ঞাতা। 


📗ইরফানুল কুরআন


২২৪. আর নিজেদের শপথের কারণে আল্লাহ্কে (অর্থাৎ আল্লাহ্‌র নামকে) অজুহাত বানিও না; (মানুষের সাথে) উত্তম আচরণে, খোদাভীতি অবলম্বনে এবং মানুষের মাঝে সংশোধন করে দেয়ার ক্ষেত্রে। আর আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সম্যক অবগত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২২৫

لَا  یُؤَاخِذُکُمُ  اللّٰہُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ  اَیۡمَانِکُمۡ وَ لٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ  بِمَا کَسَبَتۡ قُلُوۡبُکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ  حَلِیۡمٌ ﴿۲۲۵﴾


📕কানযুল ঈমান


২২৫. আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন না সেসব শপথের মধ্যে, যা অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখ থেকে বের হযে যায়। হাঁ, সেটারই উপর পাকড়াও করেন, যে কাজ তোমাদের অন্তরসমূহ করেছে; এবং আল্লাহ্‌ ক্ষমাপরায়ণ, সহনশীল।


📗ইরফানুল কুরআন


২২৫. আল্লাহ্ তোমাদেরকে তোমাদের অনর্থক শপথের কারণে পাকড়াও করবেন না, কিন্তু তিনি এর জন্যে অবশ্যই পাকড়াও করবেন যা তোমাদের অন্তর সংকল্প করেছে। আর আল্লাহ্ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অত্যধিক ধৈর্যশীল।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২২৬

لِلَّذِیۡنَ یُؤۡلُوۡنَ مِنۡ نِّسَآئِہِمۡ تَرَبُّصُ اَرۡبَعَۃِ اَشۡہُرٍ ۚ فَاِنۡ فَآءُوۡ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ  رَّحِیۡمٌ ﴿۲۲۶﴾


📕কানযুল ঈমান


২২৬. এবং ওই সব লোক, যারা শপথ করে বসে আপন স্ত্রীদের নিকট যাবার (বেলায়), তাদের জন্য চার মাসের অবকাশ রয়েছে। অতঃপর যদি সেই মেয়াদের মধ্যে ফিরে আসে, তবে আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়ালু। 


📗ইরফানুল কুরআন


২২৬. আর যারা নিজেদের স্ত্রীদের নিকট গমন করবে না বলে যে শপথ করে তাদের জন্যে রয়েছে চার মাসের অবকাশ। অতঃপর যদি তারা (এ সময়সীমার মধ্যে) প্রত্যাগত হয়, তবে আল্লাহ্ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২২৭

وَ اِنۡ عَزَمُوا الطَّلَاقَ فَاِنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۲۷﴾


📕কানযুল ঈমান


২২৭. এবং যদি ছেড়ে দেয়ার ইচ্ছা পাকাপোক্ত করে নেয়, তবে আল্লাহ্‌ শ্রোতা, জ্ঞাতা।


📗ইরফানুল কুরআন


২২৭. আর যদি তারা তালাক দেয়ার দৃঢ় সংকল্প করে, তবে আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২২৮

وَ الۡمُطَلَّقٰتُ یَتَرَبَّصۡنَ بِاَنۡفُسِہِنَّ ثَلٰثَۃَ قُرُوۡٓءٍ ؕ وَ لَا یَحِلُّ لَہُنَّ اَنۡ یَّکۡتُمۡنَ مَا خَلَقَ اللّٰہُ فِیۡۤ  اَرۡحَامِہِنَّ  اِنۡ  کُنَّ یُؤۡمِنَّ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ  الۡاٰخِرِ ؕ وَ بُعُوۡلَتُہُنَّ اَحَقُّ بِرَدِّہِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ اِنۡ اَرَادُوۡۤا اِصۡلَاحًا ؕ وَ لَہُنَّ مِثۡلُ الَّذِیۡ عَلَیۡہِنَّ بِالۡمَعۡرُوۡفِ  ۪ وَ لِلرِّجَالِ عَلَیۡہِنَّ دَرَجَۃٌ ؕ وَ اللّٰہُ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ ﴿۲۲۸﴾


📕কানযুল ঈমান


২২৮. এবং তালাক্বপ্রাপ্তারা আপন আত্মাগুলোকে সংযত করবে তিন রজঃস্রাব পর্যন্ত; আর তাদের জন্য হালাল নয় যে, তারা তা গোপন করবে যা আল্লাহ্‌ তাদের গর্ভাশয়ে সৃষ্টি করেছেন যদি আল্লাহ্‌ এবং ক্বিয়ামতের উপর ঈমান রেখে থাকে; এবং তাদের স্বামীদের উক্ত মেয়াদের মধ্যে তাদেরকে পুনঃগ্রহণ করার অধিকার থাকে যদি আপোষ-নিষ্পত্তি চায়। আর নারীদেরকেও হক তেমনিই রয়েছে যেমন রয়েছে তাদের উপর, শরীয়তানুযায়ী; এবং পুরুষদের তাদের (নারীগণ) উপর শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে; এবং আল্লাহ্‌ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।


📗ইরফানুল কুরআন


২২৮. আর তালাকপ্রাপ্তা নারীগণ নিজেদেরকে তিন ঋতুকাল পর্যন্ত প্রতীক্ষায় রাখবে এবং তাদের জন্যে বৈধ নয় যে, আল্লাহ্ তাদের গর্ভাশয়ে যা সৃষ্টি করেছেন তা তারা গোপন রাখে; যদি তারা আল্লাহ্ ও শেষদিনে বিশ্বাস রাখে। আর তাদের স্বামীগণ এ সময়সীমার মধ্যে তাদেরকে পুনঃগ্রহণে অধিকতর হক্বদার, যদি তারা সংশোধনের ইচ্ছা রাখে। আর রীতি অনুযায়ী নারীদেরও পুরুষদের উপর একই অধিকার রয়েছে যেমন পুরুষদের অধিকার রয়েছে নারীদের উপর। অবশ্য তাদের উপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আর আল্লাহ্ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২২৯

اَلطَّلَاقُ مَرَّتٰنِ۪ فَاِمۡسَاکٌۢ بِمَعۡرُوۡفٍ اَوۡ تَسۡرِیۡحٌۢ بِاِحۡسَانٍ ؕ وَ لَا  یَحِلُّ  لَکُمۡ اَنۡ تَاۡخُذُوۡا مِمَّاۤ  اٰتَیۡتُمُوۡہُنَّ شَیۡئًا اِلَّاۤ اَنۡ یَّخَافَاۤ  اَلَّا یُقِیۡمَا حُدُوۡدَ اللّٰہِ ؕ فَاِنۡ خِفۡتُمۡ  اَلَّا یُقِیۡمَا حُدُوۡدَ اللّٰہِ  ۙ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡہِمَا فِیۡمَا افۡتَدَتۡ بِہٖ ؕ تِلۡکَ حُدُوۡدُ اللّٰہِ فَلَا تَعۡتَدُوۡہَا ۚ وَ مَنۡ یَّتَعَدَّ حُدُوۡدَ اللّٰہِ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿۲۲۹﴾


📕কানযুল ঈমান


২২৯. এ তালাক্ব দু’বার পর্যন্ত। অতঃপর উত্তম পন্থায় রেখে দেয়া অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করে দেয়া। আর তোমাদের পক্ষে বৈধ নয় যে, যা কিছু স্ত্রীদেরকে দিয়েছো তা থেকে কিছু ফেরৎ নেবে, কিন্তু যখন উভয়ের আশংকা হয় যে, আল্লাহ্‌র সীমারেখাগুলোর কায়েম করবে না; অতঃপর যদি তোমাদের আশংকা হয় যে, তারা উভয়ে ঠিকভাবে সে সীমারেখাগুলোর উপর থাকবে না, তবে তাদের উপর কোন গুনাহ নেই এর মধ্যে যে, কিছু বিনিময় দিয়ে স্ত্রী নিষ্কৃতি গ্রহণ করবে। এগুলো আল্লাহ্‌র সীমারেখা; এগুলো থেকে অগ্রে অগ্রসর হয়োনা এবং যারা আল্লাহ্‌র সীমারেখাগুলোর থেকে আগে বাড়ে, তবে ওই সব লোকই যালিম।


📗ইরফানুল কুরআন


২২৯. তালাক (কেবল মাত্র) দু’বার (পর্যন্ত প্রত্যাহারযোগ্য)। এরপর হয় (স্ত্রীকে) উত্তম পন্থায় (বিবাহবন্ধনে) রেখে দাও অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করে দাও। আর তোমাদের জন্যে বৈধ নয় যে, যা কিছু তোমরা তাদেরকে দিয়েছো তা থেকে কিছু ফিরিয়ে নাও; যদি আশঙ্কা হয় যে, (দাম্পত্য জীবনে) উভয়ে আল্লাহ্‌র নির্ধারিত সীমারেখা রক্ষা করতে পারবে না। অতঃপর যদি তোমরা আশঙ্কা করো যে, উভয়ে আল্লাহ্‌র সীমারেখা বজায় রাখতে পারবে না, এমতাবস্থায় তাদের কোনো অপরাধ নেই যদি স্ত্রী (নিজে) কোনো বিনিময় দিয়ে (এ কষ্টদায়ক বন্ধন থেকে) মুক্তি লাভ করতে চায়। এ হলো আল্লাহ্‌র (নির্ধারিত) সীমারেখা। অতঃপর তোমরা তা অতিক্রম করো না। আর যারা আল্লাহ্‌র নির্ধারিত সীমারেখা অতিক্রম করে তারাই যালিম।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৩০

فَاِنۡ طَلَّقَہَا فَلَا تَحِلُّ لَہٗ مِنۡۢ بَعۡدُ حَتّٰی تَنۡکِحَ زَوۡجًا غَیۡرَہٗ ؕ فَاِنۡ طَلَّقَہَا فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡہِمَاۤ  اَنۡ یَّتَرَاجَعَاۤ  اِنۡ ظَنَّاۤ  اَنۡ یُّقِیۡمَا حُدُوۡدَ اللّٰہِ ؕ وَ تِلۡکَ حُدُوۡدُ اللّٰہِ یُبَیِّنُہَا لِقَوۡمٍ  یَّعۡلَمُوۡنَ ﴿۲۳۰﴾


📕কানযুল ঈমান


২৩০. অতঃপর যদি তাকে তৃতীয় তালাক্ব প্রদান করে, তবে তখন সেই স্ত্রী তার জন্য হালাল হবে না যতক্ষণ না অন্য স্বামীর নিকট থাকবে; অতঃপর অন্য স্বামী যদি তাকে তালাক্ব দিয়ে দেয়, তবে এতে তাদের উভয়ের উপর গুনাহ বর্তাবে না যে, তারা পরষ্পর পূর্নমিলিত হবে, যদি মনে করে যে, আল্লাহ্‌র সীমারেখাগুলো রক্ষা করতে সমর্থ হবে। আর এগুলো আল্লাহ্‌র সীমারেখা, যেগুলো স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন জ্ঞানসম্পন্নদের জন্য।


📗ইরফানুল কুরআন


২৩০. অতঃপর যদি সে (তৃতীয়বার) তালাক দিয়ে দেয়, তবে সে তার জন্যে বৈধ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সে অন্য কোনো স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু যদি সে (দ্বিতীয় স্বামীও) তালাক দেয়, তবে (প্রথম স্বামী ও তার স্ত্রী) উভয়ের জন্যেই (দ্বিতীয়বার বিবাহ্ বন্ধনে) ফিরে যাওয়ায় কোনো অপরাধ হবে না, যদি তারা উভয়ে মনে করে যে, (এখন) তারা আল্লাহ্‌র নির্ধারিত সীমারেখা বহাল রাখতে সমর্থ হবে। এ হলো আল্লাহ্‌র (নির্ধারিত) সীমারেখা যা তিনি জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্যে বর্ণনা করেন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৩১

وَ اِذَا طَلَّقۡتُمُ النِّسَآءَ فَبَلَغۡنَ اَجَلَہُنَّ فَاَمۡسِکُوۡہُنَّ بِمَعۡرُوۡفٍ اَوۡ سَرِّحُوۡہُنَّ بِمَعۡرُوۡفٍ  ۪ وَ لَا تُمۡسِکُوۡہُنَّ ضِرَارًا لِّتَعۡتَدُوۡا ۚ وَ مَنۡ یَّفۡعَلۡ ذٰلِکَ فَقَدۡ  ظَلَمَ نَفۡسَہٗ ؕ وَ لَا تَتَّخِذُوۡۤا اٰیٰتِ اللّٰہِ ہُزُوًا ۫ وَّ اذۡکُرُوۡا نِعۡمَتَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ وَ مَاۤ  اَنۡزَلَ عَلَیۡکُمۡ مِّنَ الۡکِتٰبِ وَ الۡحِکۡمَۃِ یَعِظُکُمۡ  بِہٖ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ وَ اعۡلَمُوۡۤا  اَنَّ اللّٰہَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ ﴿۲۳۱﴾


📕কানযুল ঈমান


২৩১. আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক্ব দাও এবং তাদের মেয়াদ (ইদ্দতপূর্তি) এসে পৌঁছে তখন হয়তো উত্তমরুপে রেখে দেবে; অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করে দেবে এবং তাদেরকে ক্ষতি সাধনের জন্য আটক করে রাখবে না, যাতে সীমালংঘনকারী হয়ে যাও। আর যে এরূপ করে সে নিজেরেই ক্ষতি করে; এবং আল্লাহ্‌র আয়াতগুলোর ঠাট্টা-তামাশার বস্তু বানিয়ে নিও না; এবং স্মরণ করো আল্লাহ্‌র অনুগ্রহকে, যা তোমাদের উপর রয়েছে আর সেটাকে, যা তোমাদের উপর অবতীর্ণ করেছেন কিতাব ও হিকমত তোমাদেরকে উপদেশ দেয়ার জন্য এবং আল্লাহ্‌কে ভয় করতে থাকো ও জেনে রেখো যে, আল্লাহ্‌ সবকিছু জানেন।


📗ইরফানুল কুরআন


২৩১. আর যখন তোমরা নারীদেরকে তালাক দাও এবং তারা তাদের ইদ্দতদকাল পূর্ণ করে, তখন হয় তাদেরকে উত্তম পন্থায় (বিবাহ্ বন্ধনে) রেখে দাও অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করে দাও। আর তাদেরকে কেবল কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্যে আটকে রেখো না যাতে তোমরা (তাদের প্রতি) সীমালঙ্ঘন করো। আর যে কেউ এরূপ করবে, সে নিজের প্রতিই যুলুম করবে। আর আল্লাহ্‌র বিধানকে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করো না। স্মরণ করো তোমাদের প্রতি (অবতীর্ণ) আল্লাহ্‌র সে অনুগ্রহের কথা, সে কিতাব যা তিনি তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করেছেন এবং সে (মুক্তোময়) প্রজ্ঞা (যার শিক্ষা তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন এবং) যা দ্বারা তিনি তোমাদেরকে (এসব বিষয়ের) উপদেশ দান করেন। আর আল্লাহ্কে ভয় করো এবং জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে পরিজ্ঞাত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৩২

وَ اِذَا طَلَّقۡتُمُ النِّسَآءَ فَبَلَغۡنَ اَجَلَہُنَّ فَلَا تَعۡضُلُوۡہُنَّ اَنۡ یَّنۡکِحۡنَ اَزۡوَاجَہُنَّ  اِذَا تَرَاضَوۡا بَیۡنَہُمۡ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ؕ ذٰلِکَ یُوۡعَظُ بِہٖ مَنۡ کَانَ مِنۡکُمۡ  یُؤۡمِنُ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ  الۡاٰخِرِ ؕ ذٰلِکُمۡ اَزۡکٰی لَکُمۡ وَ اَطۡہَرُ ؕ وَ اللّٰہُ یَعۡلَمُ  وَ اَنۡتُمۡ  لَا  تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۲۳۲﴾


📕কানযুল ঈমান


২৩২. এবং যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক্ব দাও এবং তাদের মেয়াদকাল পূর্ণ হয়ে যায়, তবে হে স্ত্রীদের অভিবাবকরা! তাদেরকে বাধা দিওনা এ থেকে যে, (তারা) আপন আপন স্বামীদের সাথে বিবাহ করে নেবে, যখন পরষ্পর শরীয়তের বিধিমতো রাজি হয়ে যায়। এ উপদেশ তাকেই দেয়া যায়, যে তোমাদের মধ্য থেকে আল্লাহ্‌ ও ক্বিয়ামতের উপর ঈমান রাখে। এটা তোমাদের জন্য অধিকতর পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র। আর আল্লাহ্‌ জানেন এবং তোমরা জানো না।


📗ইরফানুল কুরআন


২৩২. আর যখন তোমরা নারীদেরকে তালাক দাও এবং তারা তাদের ইদ্দতদকাল পূর্ণ করে, যদি তারা বিধিসম্মতভাবে পরস্পরে সম্মত হয়, তখন তাদেরকে তাদের (পূর্বের বা পরের) স্বামীগণের সাথে বিবাহ্ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াতে বাধা দিও না। তোমাদের মধ্যে যে আল্লাহ্ এবং শেষদিবসে বিশ্বাস রাখে তার জন্যে এর দ্বারা উপদেশ দেয়া হচ্ছে। এটি তোমাদের জন্যে শুদ্ধতম ও পবিত্রতম। আর আল্লাহ্ জানেন এবং তোমরা (অনেক কিছুই) জানো না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৩৩

وَ الۡوَالِدٰتُ یُرۡضِعۡنَ اَوۡلَادَہُنَّ حَوۡلَیۡنِ کَامِلَیۡنِ لِمَنۡ اَرَادَ  اَنۡ یُّتِمَّ الرَّضَاعَۃَ ؕ وَ عَلَی الۡمَوۡلُوۡدِ لَہٗ رِزۡقُہُنَّ وَ کِسۡوَتُہُنَّ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ؕ لَا تُکَلَّفُ نَفۡسٌ اِلَّا وُسۡعَہَا ۚ لَا تُضَآرَّ وَالِدَۃٌۢ بِوَلَدِہَا وَ لَا مَوۡلُوۡدٌ لَّہٗ بِوَلَدِہٖ ٭ وَ عَلَی الۡوَارِثِ مِثۡلُ ذٰلِکَ ۚ فَاِنۡ اَرَادَا فِصَالًا عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡہُمَا وَ تَشَاوُرٍ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡہِمَا ؕ وَ اِنۡ اَرَدۡتُّمۡ اَنۡ تَسۡتَرۡضِعُوۡۤا اَوۡلَادَکُمۡ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ  اِذَا سَلَّمۡتُمۡ مَّاۤ  اٰتَیۡتُمۡ  بِالۡمَعۡرُوۡفِ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ ﴿۲۳۳﴾


📕কানযুল ঈমান


২৩৩. এবং জননীগণ স্ত্যন্যপান করাবে আপন সন্তানদেরকে পূর্ণ দু’বছর, তারই জন্য, যে স্তন্যপানকাল পূর্ণ করতে চায় এবং সন্তান যার তার উপর স্ত্রীদের ভরণ-পোষণ করা কর্তব্য, বিধি-মোতাবেক। কোন আত্মার উপর বোঝা রাখা হবে না, কিন্তু তার সাধ্য পরিমাণ, যেন জননীকে ক্ষতিগ্রস্থ না করা হয় তার সন্তান দ্বারা এবং না সন্তান যার তাকে তার সন্তান দ্বারা; 

},কিংবা জননী যেন কষ্ট না দেয় আপন সন্তানকে এবং না সন্তান যার, সে তার সন্তানকে] এবং যে পিতার স্থলাভিষিক্ত, তার উপরও অনুরুপই অপরিহার্য। অতঃপর যদি পিতা-মাতা উভয়ে পরষ্পরের সম্মতি ও পরামর্শক্রমে স্তন্যপান বন্ধ করতে চায়, তবে তাদের উপর গুনাহ বর্তাবে না। আর যদি তোমরা চাও যে, ধাত্রীদের দ্বারা আপন সন্তানদেরকে স্তন্যপান করাবে, তবুও তোমাদের অপরাধ নেই- যখন, যা প্রদান করা সাব্যস্ত হয়েছিলো তা বিধিমত তাদেরকে অর্পণ করে দাও। আর আল্লাহ্‌কে ভয় করতে থাকো এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ্‌ তোমাদের কর্ম দেখছেন।


📗ইরফানুল কুরআন


২৩৩. আর জননীগণ তাদের সন্তানকে পূর্ণ দু’বছর স্তন্য পান করাবে, এ (নির্দেশ) তার জন্যে যে স্তন্যপান কাল পূর্ণ করতে চায়। আর বিধি অনুযায়ী দুগ্ধপানকারিণীগণের ভরণপোষণ সন্তানের পিতার উপর বাধ্যতামূলক। কাউকেও তার সাধ্যের অধিক দায়িত্ব চাপানো হয় না, (আর) কোনো জননীকে তার সন্তানের জন্যে এবং জনককে তার সন্তান-সন্ততির জন্যে ক্ষতিগ্রস্ত করা হবে না। আর অনুরূপ কর্তব্য উত্তরাধিকারীগণেরও। অতঃপর যদি পিতামাতা উভয়ে পারস্পরিক সম্মতি ও পরামর্শের মাধ্যমে (দু’বছরের পূর্বেই) স্তন্যপান ছাড়িয়ে নিতে চায়, তবে তাদের কোনো অপরাধ নেই। অতঃপর যদি তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে (ধাত্রীর দ্বারা) স্তন্য পান করানোর ইচ্ছা পোষণ করো, তাতেও তোমাদের কোনো অপরাধ নেই, যখন তোমরা রীতি অনুযায়ী প্রচলিত বিনিময় আদায় করো। আর আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো এবং এটি জেনে রেখো যে, নিশ্চয়ই যা কিছু তোমরা করছো আল্লাহ্ তা খুব ভালোভাবেই দেখছেন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৩৪

وَ الَّذِیۡنَ یُتَوَفَّوۡنَ مِنۡکُمۡ وَ یَذَرُوۡنَ اَزۡوَاجًا یَّتَرَبَّصۡنَ بِاَنۡفُسِہِنَّ اَرۡبَعَۃَ اَشۡہُرٍ وَّ عَشۡرًا ۚ فَاِذَا بَلَغۡنَ اَجَلَہُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ فِیۡمَا فَعَلۡنَ فِیۡۤ  اَنۡفُسِہِنَّ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ؕ وَ اللّٰہُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ  خَبِیۡرٌ ﴿۲۳۴﴾


📕কানযুল ঈমান


২৩৪. আর তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করে এবং স্ত্রীদের রেখে যায়, তারা (স্ত্রীগণ) চার মাস দশ দিন নিজেদের বিরত করে রাখবে। অতঃপর যখন তাদের ‘ইদ্দত’ পূর্ণ হয়ে যাবে, তখন, হে অভিভাবকগণ! তোমাদের জবাবদিহি করতে হবে না ওই কাজে, যা স্ত্রীগণ নিজেদের মামলায় শরীয়ত মোতাবেক করবে এবং আল্লাহ্‌র নিকট তোমাদের কার্যাদির খবর রয়েছে।


📗ইরফানুল কুরআন


২৩৪. আর তোমাদের মধ্যে যারা (তাদের) স্ত্রীদের রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তারা (অর্থাৎ স্ত্রীরা) যেন নিজেদেরকে চার মাস দশ দিন প্রতীক্ষায় রাখে। অতঃপর যখন তারা নিজেদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করে, তখন নিজেদের ব্যাপারে বিধিসম্মত যা কিছু করে তাতে তোমাদের কোনো অপরাধ নেই। আর যা কিছু তোমরা করছো আল্লাহ্ তা সম্পূর্ণ অবগত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৩৫

وَ لَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ فِیۡمَا عَرَّضۡتُمۡ بِہٖ مِنۡ خِطۡبَۃِ النِّسَآءِ اَوۡ اَکۡنَنۡتُمۡ فِیۡۤ  اَنۡفُسِکُمۡ ؕ عَلِمَ اللّٰہُ  اَنَّکُمۡ سَتَذۡکُرُوۡنَہُنَّ وَ لٰکِنۡ لَّا تُوَاعِدُوۡہُنَّ سِرًّا اِلَّاۤ اَنۡ تَقُوۡلُوۡا قَوۡلًا مَّعۡرُوۡفًا  ۬ؕ وَ لَا تَعۡزِمُوۡا عُقۡدَۃَ النِّکَاحِ حَتّٰی یَبۡلُغَ الۡکِتٰبُ اَجَلَہٗ ؕ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ یَعۡلَمُ مَا فِیۡۤ اَنۡفُسِکُمۡ فَاحۡذَرُوۡہُ ۚ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ حَلِیۡمٌ ﴿۲۳۵﴾


📕কানযুল ঈমান


২৩৫. এবং তোমাদের উপর পাপ নেই এ কথায় যে, পর্দার আড়ালে (ইঙ্গিতে) তোমরা স্ত্রী লোকদেরকে বিবাহের প্রস্তাব দেবে কিংবা আপন আপন অন্তরে গোপন রাখবে। আল্লাহ্‌ জানেন যে, এখন তোমরা তাদের স্মরণ (আলোচনা) করবে। হাঁ, তাদের সাথে গোপন অঙ্গীকার করে রেখোনা, কিন্তু এটা যে, শুধু এতটুকু কথা বলো যা শরীয়তের বিধি মোতাবেক হয় এবং বিবাহ-বন্ধন পাকাপোক্ত করো না, যতক্ষণ না লিপিবদ্ধ হুকুম (ইদ্দত) আপন মেয়াদকালে পৌঁছে যায় এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ্‌ তোমাদের অন্তরের কথা জানেন। সুতরাং তাঁকে ভয় করো এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ্‌ ক্ষমাপরায়ণ, সহনশীল।


📗ইরফানুল কুরআন


২৩৫. আর তাতেও তোমাদের কোনো অপরাধ নেই যদি (ইদ্দতকালের মধ্যেও) সেসব নারীদেরকে ইংগিতে বিবাহের প্রস্তাব করো অথবা (এ সংকল্প) তোমাদের অন্তরে লুকিয়ে রাখো। আল্লাহ্ জানেন যে, তোমরা অচিরেই তা উল্লেখ করবে; কিন্তু তোমরা কেবল শরীয়তের (দৃষ্টিতে ইংগিতে) উত্তম কথা ব্যতীত তাদের থেকে গোপনীয়ভাবেও (এরকম) কোনো অঙ্গীকার গ্রহণ করো না এবং নির্দিষ্ট মেয়াদকাল পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত (এ সময়কালে) বিবাহ্ বন্ধনের সুদৃঢ় সংকল্প করো না। আর জেনে রেখো যে, আল্লাহ্ তোমাদের অন্তরের বিষয়ও জানেন। কাজেই তাঁকে ভয় করতে থাকো। আর (এও) জেনে রেখো যে, আল্লাহ্ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, ধৈর্যশীল।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৩৬

لَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ  اِنۡ طَلَّقۡتُمُ النِّسَآءَ مَا لَمۡ تَمَسُّوۡہُنَّ اَوۡ تَفۡرِضُوۡا لَہُنَّ فَرِیۡضَۃً ۚۖ وَّ مَتِّعُوۡہُنَّ ۚ عَلَی الۡمُوۡسِعِ قَدَرُہٗ  وَ عَلَی الۡمُقۡتِرِ قَدَرُہٗ ۚ مَتَاعًۢا بِالۡمَعۡرُوۡفِ ۚ حَقًّا عَلَی الۡمُحۡسِنِیۡنَ ﴿۲۳۶﴾


📕কানযুল ঈমান


২৩৬. তোমাদের উপর কোন দাবী নেই যদি তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক্ব দাও, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তাদেরকে স্পর্শ না করে থাকো, কিংবা কোন মহর নির্দ্ধারিত (না) করে থাকো এবং তাদেরকে কিছু সামগ্রী ভোগ করতে দাও। সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর তার সামর্থ্যনুযায়ী এবং দরিদ্রের উপর তার সামর্থ্যানুযায়ী বিধিমতো কিছু ভোগ করার বস্তু, এটা ওয়াজিব সত্যপরায়ণ ব্যক্তিদের উপর।


📗ইরফানুল কুরআন


২৩৬. তোমাদের এতে(ও) কোনো অপরাধ নেই যদি তোমরা (তোমাদের বিবাহিত) স্ত্রীদেরকে স্পর্শ করা অথবা তাদের দেনমোহর সাব্যস্ত করার পূর্বেই তালাক দিয়ে দাও। তবে তাদেরকে (এ অবস্থায়) উপযুক্ত ব্যয় প্রদান করো। স্বচ্ছল ব্যক্তির জন্যে তার সাধ্যানুযায়ী (আবশ্যক) এবং অস্বচ্ছল ব্যক্তির জন্যে তার সাধ্যানুযায়ী। (সর্বাবস্থায়) এ ব্যয় সমীচিন পন্থায় প্রদান করতে হবে। তা সৎকর্মশীলদের জন্যে কর্তব্য।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৩৭

وَ اِنۡ طَلَّقۡتُمُوۡہُنَّ مِنۡ قَبۡلِ اَنۡ تَمَسُّوۡہُنَّ وَ قَدۡ فَرَضۡتُمۡ لَہُنَّ فَرِیۡضَۃً فَنِصۡفُ مَا فَرَضۡتُمۡ  اِلَّاۤ  اَنۡ یَّعۡفُوۡنَ اَوۡ یَعۡفُوَا الَّذِیۡ بِیَدِہٖ عُقۡدَۃُ النِّکَاحِ ؕ وَ اَنۡ تَعۡفُوۡۤا اَقۡرَبُ لِلتَّقۡوٰی ؕ وَ لَا تَنۡسَوُا الۡفَضۡلَ بَیۡنَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ ﴿۲۳۷﴾


📕কানযুল ঈমান


২৩৭. এবং যদি তোমরা স্ত্রীদের স্পর্শ করা ব্যতিরেকে তালাক্ব দিয়ে থাকো আর তাদের জন্য কিছু মহর নির্দ্ধারণ করেছিলে এমন হয়, তবে যে পরিমাণ নির্দ্ধারিত হয়েছিলো তার অর্ধেক ওয়াজিব হয়, কিন্তু এ’যে, যদি স্ত্রীগণ কিছু ছেড়ে দেয়; কিংবা সে বেশী দেয় যার হাতে বিবাহের বন্ধন রয়েছে এবং হে পুরুষগণ, তোমাদের বেশী দেওয়া পরহেয্‌গারীর নিকটতর এবং পরষ্পর একে অপরের উপর অনুগ্রহকে ভুলে যেও না। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তোমাদের কর্ম প্রত্যক্ষ করছেন।


📗ইরফানুল কুরআন


২৩৭. আর যদি তোমরা তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দাও, অথচ তাদের দেনমোহর ধার্য করে থাকো তবে নির্ধারিত দেনমোহরের অর্ধেক প্রদান করা আবশ্যক; যদি না সে (নিজের অধিকার) নিজে ক্ষমা করে দেয় অথবা যার হাতে বিবাহের বন্ধন সে (স্বামী) ছেড়ে দেয় (অর্থাৎ অর্ধেকের বেশী অথবা পুরোটাই আদায় করে দেয়)। আর (হে পুরুষগণ!) যদি তোমরা ছেড়ে দাও তবে তা পরহেযগারিতার নিকটবর্তী। আর (অসন্তোষের সে সময়গুলোতেও) পরস্পরের প্রতি অনুগ্রহের (এবং সদাচরণের) কথা বিস্মৃত হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদের কর্মকাণ্ড ভালোভাবে অবলোকন করছেন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৩৮

حٰفِظُوۡا عَلَی الصَّلَوٰتِ وَ الصَّلٰوۃِ الۡوُسۡطٰی ٭ وَ قُوۡمُوۡا لِلّٰہِ  قٰنِتِیۡنَ ﴿۲۳۸﴾


📕কানযুল ঈমান


২৩৮. সজাগ দৃষ্টি রেখো সমস্ত নামাযের প্রতি এবং মর্ধ্যবর্তী নামাযের প্রতি। আর দন্ডায়মান হও আল্লাহ্‌র সম্মুখে আদব সহকারে।


📗ইরফানুল কুরআন


২৩৮. সকল নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের প্রতি। আর আল্লাহ্‌র সমীপে আপাদমস্তক বিনিত ও নিবেদিত হয়ে দণ্ডয়মান হও।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৩৯

فَاِنۡ خِفۡتُمۡ  فَرِجَالًا اَوۡ  رُکۡبَانًا ۚ فَاِذَاۤ اَمِنۡتُمۡ  فَاذۡکُرُوا اللّٰہَ  کَمَا عَلَّمَکُمۡ مَّا لَمۡ تَکُوۡنُوۡا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۲۳۹﴾


📕কানযুল ঈমান


২৩৯. অতঃপর যদি আশংকায় থাকো, তবে পদচারী অথবা আরোহী অবস্থায়, যেমনি সম্ভব হয়। অতঃপর যখন নিরাপদে থাকো, তখন আল্লাহ্‌কে স্মরণ করো- যেমন তিনি শিক্ষা দিয়েছেন যা তোমরা জানতে না।


📗ইরফানুল কুরআন


২৩৯. অতঃপর যদি তোমরা ভীতিকর অবস্থায় পতিত হও, তবে পদব্রজে অথবা আরোহণ অবস্থায় (যেভাবেই থাকো নামায আদায় করো)। সুতরাং যখন তোমরা নিরাপদ অবস্থানে আগমন করো, তখন সকল পন্থায় আল্লাহ্কে স্মরণ করো যেভাবে তিনি তোমাদেরকে শিখিয়েছেন যা তোমরা জানতে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৪০

وَ الَّذِیۡنَ یُتَوَفَّوۡنَ مِنۡکُمۡ وَ یَذَرُوۡنَ اَزۡوَاجًا ۚۖ وَّصِیَّۃً  لِّاَزۡوَاجِہِمۡ مَّتَاعًا اِلَی الۡحَوۡلِ غَیۡرَ   اِخۡرَاجٍ ۚ فَاِنۡ  خَرَجۡنَ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ فِیۡ مَا فَعَلۡنَ فِیۡۤ  اَنۡفُسِہِنَّ مِنۡ مَّعۡرُوۡفٍ ؕ وَ اللّٰہُ عَزِیۡزٌ حَکِیۡمٌ ﴿۲۴۰﴾


📕কানযুল ঈমান


২৪০. এবং যারা তোমাদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করে আর স্ত্রীদের রেখে যায় তারা যেন তাদের স্ত্রীদের উদ্দেশ্যে ওসীয়ৎ করে যায় সারা বছর পর্যন্ত ভরণ-পোষণের, ঘর থেকে বের করা ব্যতিরেকে। অতঃপর যদি তারা নিজেরাই বের হয়ে যায়, তবে তোমাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে না ওই কাজের উপর যা তারা আপন আপন মামলায় বিধি মতো করেছে। আর আল্লাহ্‌ পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়।


📗ইরফানুল কুরআন


২৪০. আর তোমাদের মধ্যে যারা (তাদের) স্ত্রীদের রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, (মৃত্যুর পূর্বে) তারা যেন তাদের স্ত্রীদের উদ্দেশ্যে ওসিয়্যত করে যায়, তাদেরকে এক বছরের খরচ প্রদানের (এবং) তাদেরকে গৃহ থেকে বের করে না দেয়ার জন্যে। কিন্তু যদি তারা নিজেরা (স্বেচ্ছায়) বের হয়ে যায়, তবে বিধি মতো তারা নিজেদের বিষয়ে যা কিছুই করবে তাতে তোমাদের কোনো অপরাধ নেই। আর আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৪১

وَ لِلۡمُطَلَّقٰتِ مَتَاعٌۢ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ؕ حَقًّا عَلَی  الۡمُتَّقِیۡنَ ﴿۲۴۱﴾


📕কানযুল ঈমান


২৪১. এবং তালাক্বপ্রাপ্তা স্ত্রীদের জন্যও উপযুক্ত ভরণ-পোষণ রয়েছে। এটা ওয়াজিব পরহেয্‌গারদের উপর।


📗ইরফানুল কুরআন


২৪১. আর তালাকপ্রাপ্তা নারীগণকেও বিধি মতো ভরণপোষণ দেয়া কর্তব্য, এটি পরহেযগারদের জন্যে আবশ্যক।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৪২

کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمۡ اٰیٰتِہٖ لَعَلَّکُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۲۴۲﴾


📕কানযুল ঈমান


২৪২. আল্লাহ্‌ এভাবে সুস্পষ্টরুপে বর্ণনা করেন তোমাদের জন্য আপন আয়াতসমূহ (বিধি-বিধান), যাতে তোমাদের বুঝে আসে।


📗ইরফানুল কুরআন


২৪২. এভাবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে স্বীয় বিধান সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন যাতে তোমরা বুঝতে পারো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৪৩

اَلَمۡ تَرَ  اِلَی الَّذِیۡنَ خَرَجُوۡا مِنۡ دِیَارِہِمۡ وَ ہُمۡ اُلُوۡفٌ حَذَرَ الۡمَوۡتِ  ۪ فَقَالَ لَہُمُ اللّٰہُ  مُوۡتُوۡا ۟ ثُمَّ  اَحۡیَاہُمۡ  ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَذُوۡ فَضۡلٍ عَلَی النَّاسِ وَ لٰکِنَّ  اَکۡثَرَ  النَّاسِ لَا یَشۡکُرُوۡنَ ﴿۲۴۳﴾


📕কানযুল ঈমান


২৪৩. হে মাহবুব! আপনি কি দেখেন নি তাদেরকে, যারা আপন ঘরগুলো থেকে বের হয়েছে মৃত্যুর ভয়ে এবং তারা ছিলো হাজার হাজার, তখন আল্লাহ্‌ তাদেরকে বলেছেন, ‘মরে যাও’! অতঃপর তাদেরকে জীবিত করেছেন। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ মানুষের উপর অনুগ্রহশীল, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ অকৃতজ্ঞ।


📗ইরফানুল কুরআন


২৪৩. (হে হাবীব!) আপনি কি তাদেরকে দেখেননি যারা মৃত্যু ভয়ে নিজেদের গৃহ পরিত্যাগ করেছিল, যদিও তারা (সংখ্যায়) ছিল হাজারে হাজার? অতঃপর আল্লাহ্ তাদেরকে নির্দেশ দিলেন, ‘তোমাদের মৃত্যু হোক’ (ফলে তারা মৃত্যুবরণ করলো)। তারপর তাদেরকে জীবিত করলেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল, কিন্তু অধিকাংশ লোক (তাঁর) কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৪৪

وَ قَاتِلُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۴۴﴾


📕কানযুল ঈমান


২৪৪. এবং যুদ্ধ করো আল্লাহ্‌র পথে এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ্‌ শ্রোতা, জ্ঞাতা।


📗ইরফানুল কুরআন


২৪৪. (হে মুসলমানেরা!) তোমরা আল্লাহ্‌র পথে লড়াই করো এবং জেনে রাখো যে, আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সম্যক অবগত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৪৫

مَنۡ ذَا الَّذِیۡ یُقۡرِضُ اللّٰہَ  قَرۡضًا حَسَنًا فَیُضٰعِفَہٗ لَہٗۤ اَضۡعَافًا کَثِیۡرَۃً ؕ وَ اللّٰہُ یَقۡبِضُ وَ یَبۡصُۜطُ  ۪ وَ اِلَیۡہِ  تُرۡجَعُوۡنَ ﴿۲۴۵﴾


📕কানযুল ঈমান


২৪৫. এমন কেউ আছো, যে আল্লাহ্‌কে ‘উত্তম কর্জ’ দেবে? তবে আল্লাহ্‌ তার জন্য অনেক গুণ বর্ধিত করে দেবেন এবং আল্লাহ্‌ সংকোচন ও প্রশস্ত করেন আর তোমাদেরকে তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে।


📗ইরফানুল কুরআন


২৪৫. কে সে, যে আল্লাহ্কে উত্তম ঋণ প্রদান করবে? অতঃপর তিনি তার জন্যে তা বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেবেন। আর আল্লাহ্ই (তোমাদের রিযিক) সংকুচিত ও সম্প্রসারিত করেন। আর তোমাদেরকে তাঁরই নিকট প্রত্যাবর্তিত করা হবে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৪৬

اَلَمۡ تَرَ  اِلَی الۡمَلَاِ مِنۡۢ بَنِیۡۤ  اِسۡرَآءِیۡلَ مِنۡۢ بَعۡدِ مُوۡسٰی ۘ اِذۡ  قَالُوۡا لِنَبِیٍّ لَّہُمُ ابۡعَثۡ لَنَا مَلِکًا نُّقَاتِلۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ؕ قَالَ ہَلۡ عَسَیۡتُمۡ  اِنۡ کُتِبَ عَلَیۡکُمُ الۡقِتَالُ اَلَّا تُقَاتِلُوۡا ؕ قَالُوۡا وَ مَا لَنَاۤ  اَلَّا نُقَاتِلَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ قَدۡ اُخۡرِجۡنَا مِنۡ دِیَارِنَا وَ اَبۡنَآئِنَا ؕ فَلَمَّا کُتِبَ عَلَیۡہِمُ الۡقِتَالُ تَوَلَّوۡا اِلَّا قَلِیۡلًا مِّنۡہُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌۢ  بِالظّٰلِمِیۡنَ ﴿۲۴۶﴾


📕কানযুল ঈমান


২৪৬. হে মাহবুব! আপনি কি দেখেন নি বনী ইস্রাইলের একটা দলকে, যা মুসার পরে সৃষ্ট হয়েছে? যখন (তারা) তাদের একজন পয়গাম্বরকে বলেছে, ‘আমাদের জন্য দাঁড় করান একজন বাদশাহ, যাতে আমরা আল্লাহ্‌র পথে যুদ্ধ করি।’ নবী বলেছেন, ‘তোমাদের অনুমান কি এমন যে, তোমোদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হবে অতঃপর (তোমরা) তা করবে না?’ বললো, ‘আমাদের কি হয়েছে যে আমরা আল্লাহ্‌র পথে যুদ্ধ করবোনা? অথচ আমাদের বের করে দেয়া হয়েছে আমাদের জন্মভূমি থেকে এবং আপন সন্তানদের নিকট থেকে।’ অতঃপর যখন তাদের উপর ‘জিহাদ’ ফরয করা হলো (তখন তারা) মুখ ফিরিয়ে নিলো, কিন্তু তাদের মধ্যেকার অল্প সংখ্যক লোক এবং আল্লাহ্‌ ভালভাবে জানেন অত্যাচারীদেরকে।


📗ইরফানুল কুরআন


২৪৬. (হে হাবীব!) আপনি কি মূসা (আলাইহিস সালাম)-এঁর পরে আগত বনী ইসরাঈলের সে দলটিকে দেখেননি? যখন তারা তাদের নবীকে বলেছিল, ‘আমাদের জন্যে একজন বাদশাহ্ নিরূপন করে দিন, যাতে আমরা (তাঁর নেতৃত্বে) আল্লাহ্‌র পথে সংগ্রাম করতে পারি’। নবী (তাদেরকে) বললেন, ‘এমন যেন না হয় যে, তোমাদের প্রতি সংগ্রামের বিধান দেয়া হলো, তখন তোমরা আর যুদ্ধ করলে না’। তারা বলতে লাগলো, ‘আমাদের কী হলো যে, আমরা আল্লাহ্‌র পথে সংগ্রাম করবো না, অথচ আমরা আমাদের গৃহ এবং সন্তান-সন্ততি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছি?’ কিন্তু যখন তাদের জন্যে সংগ্রামের বিধান দেয়া হলো তখন তাদের মধ্যে অল্পকিছু ব্যতীত সকলেই পৃষ্ঠ প্রদর্শন করলো। আর আল্লাহ্ যালিমদেরকে খুব ভালোভাবেই জানেন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৪৭

وَ قَالَ لَہُمۡ نَبِیُّہُمۡ  اِنَّ اللّٰہَ قَدۡ بَعَثَ لَکُمۡ طَالُوۡتَ مَلِکًا ؕ قَالُوۡۤا  اَنّٰی یَکُوۡنُ لَہُ الۡمُلۡکُ عَلَیۡنَا وَ نَحۡنُ اَحَقُّ بِالۡمُلۡکِ مِنۡہُ وَ لَمۡ یُؤۡتَ سَعَۃً مِّنَ الۡمَالِ ؕ قَالَ  اِنَّ اللّٰہَ  اصۡطَفٰىہُ عَلَیۡکُمۡ وَ زَادَہٗ بَسۡطَۃً فِی الۡعِلۡمِ وَ الۡجِسۡمِ ؕ وَ اللّٰہُ یُؤۡتِیۡ مُلۡکَہٗ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ  وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۴۷﴾


📕কানযুল ঈমান


২৪৭. এবং তাদেরকে তাদের নবী বললেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তালূতকে তোমাদের বাদশাহ নিয়োজিত করে প্রেরণ করেছেন।’ (তারা) বললো, ‘আমাদের উপর তার বাদশাহী কিভাবে হবে এবং আমরা তার অপেক্ষা রাজত্বের জন্য অধিক উপযোগী আর তাকে আর্থিক প্রাচুর্যও প্রদান করা হয় নি।’ তিনি (নবী) বললেন, ‘তাকে আল্লাহ্‌ তোমাদের জন্য নির্বাচিত করেছেন এবং তাঁকে জ্ঞান ও শরীরের দিক দিয়ে অধিক প্রাচুর্য প্রদান করেছেন; আর আল্লাহ্‌ আপন রাজ্য যাকে চান প্রদান করেন; এবং আল্লাহ্‌ প্রাচুর্যময়, জ্ঞাতা।’


📗ইরফানুল কুরআন


২৪৭. আর তাদের নবী তাদেরকে বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে তালূতকে বাদশাহ নিরূপণ করেছেন’। তখন তারা বলতে লাগলো, ‘আমাদের উপর কীভাবে তার রাজত্ব চলবে, অথচ শাসনক্ষমতার (আমানতের) আমরাই তারচেয়ে অধিকতর হক্বদার, তাছাড়া তাকে তো সম্পদের প্রাচুর্যও দেয়া হয়নি?’ (নবী) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাকে তোমাদের জন্যে মনোনীত করেছেন এবং তাকে জ্ঞানে ও দৈহিক শক্তিমত্তায় প্রাচুর্য দান করেছেন, আর আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা তাকেই স্বীয় রাজত্বের (আমানতের) অধিকারী করেন। আল্লাহ্ হলেন অসীম প্রাচুর্যের অধিকারী, সম্যক অবগত।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৪৮

وَ قَالَ لَہُمۡ نَبِیُّہُمۡ اِنَّ اٰیَۃَ مُلۡکِہٖۤ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمُ التَّابُوۡتُ فِیۡہِ سَکِیۡنَۃٌ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَ بَقِیَّۃٌ   مِّمَّا تَرَکَ اٰلُ مُوۡسٰی وَ اٰلُ ہٰرُوۡنَ تَحۡمِلُہُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ ؕ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکَ لَاٰیَۃً لَّکُمۡ  اِنۡ  کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۲۴۸﴾


📕কানযুল ঈমান


২৪৮. এবং তাদেরকে তাদের নবী বললেন, ‘তার বাদশাহীর নির্দশন এই যে, তোমাদের নিকট তাবূত আসবে, যার মধ্যে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে চিত্ত-প্রশান্তি রয়েছে এবং কিছু অবশিষ্ট বস্তু, সম্মানিত মূসা ও সম্মানিত হারুনের পরিত্যক্ত; সেটাকে ফিরিশ্‌তাগণ বহন করে আনবে।’ নিঃসন্দেহে, এর মধ্যে মহান নির্দশন রয়েছে তোমাদের জন্য যদি ঈমান রাখো।


📗ইরফানুল কুরআন


২৪৮. আর তাদের নবী তাদেরকে বললেন, ‘(আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে) তার রাজত্বের নিদর্শন এ যে, তোমাদের নিকট একটা সিন্দুক আসবে, যাতে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে চিত্ত-প্রশান্তির উপকরণ এবং মূসা ও হারুনের বংশধরদের রেখে যাওয়া কিছু বরকতময় বস্তু থাকবে। এটি ফেরেশতারা বহন করে আনবে। তোমরা যদি ঈমানদার হও, তবে অবশ্যই তোমাদের জন্যে তাতে রয়েছে মহান নিদর্শন।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৪৯

فَلَمَّا فَصَلَ طَالُوۡتُ بِالۡجُنُوۡدِ  ۙ قَالَ  اِنَّ اللّٰہَ مُبۡتَلِیۡکُمۡ بِنَہَرٍ ۚ فَمَنۡ شَرِبَ مِنۡہُ فَلَیۡسَ مِنِّیۡ ۚ وَ مَنۡ لَّمۡ یَطۡعَمۡہُ فَاِنَّہٗ مِنِّیۡۤ  اِلَّا مَنِ اغۡتَرَفَ غُرۡفَۃًۢ بِیَدِہٖ ۚ فَشَرِبُوۡا مِنۡہُ اِلَّا قَلِیۡلًا مِّنۡہُمۡ ؕ فَلَمَّا جَاوَزَہٗ ہُوَ وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مَعَہٗ  ۙ قَالُوۡا لَا طَاقَۃَ لَنَا الۡیَوۡمَ بِجَالُوۡتَ وَ جُنُوۡدِہٖ ؕ قَالَ الَّذِیۡنَ یَظُنُّوۡنَ اَنَّہُمۡ مُّلٰقُوا اللّٰہِ  ۙ  کَمۡ مِّنۡ فِئَۃٍ قَلِیۡلَۃٍ غَلَبَتۡ فِئَۃً  کَثِیۡرَۃًۢ بِاِذۡنِ  اللّٰہِ ؕ وَ اللّٰہُ مَعَ  الصّٰبِرِیۡنَ ﴿۲۴۹﴾


📕কানযুল ঈমান


২৪৯. অতঃপর যখন তালূত সৈন্যদের নিয়ে শহর থেকে পৃথক হলো, (তখন) বললো, ‘নিঃসন্দেহে, আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে একটা নদী দ্বারা পরীক্ষাকারী। সুতরাং যে ব্যক্তি সেটার পানি পান করবে সে আমার নয়, আর যে পান করবে না সে আমার; কিন্তু ওই ব্যক্তি, যে এক অঞ্জলী পরিমাণ আপন হাতে নিয়ে নেবে (সেও আমার)।’ অতঃপর সবাই সেটা থেকে পান করলো, কিন্তু অল্প সংখ্যক লোক। অতঃপর যখন তালূত এবং তার সঙ্গেকার মুসলমান নদী পার হয়ে গেলো, তখন (তারা) বললো, ‘আমাদের মধ্যে আজ শক্তি নেই জালূত এবং তার সৈন্যদের (বিরুদ্ধে লড়ার)।’ ওই সব লোক বললো, যাদের মধ্যে আল্লাহ্‌র সাথে সাক্ষাতের দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো, ‘বহুবার ছোট দল বিজয়ী হয়েছে বৃহৎদলের উপর, আল্লাহ্‌র নির্দেশক্রমে’ এবং আল্লাহ্‌ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।


📗ইরফানুল কুরআন


২৪৯. অতঃপর যখন তালূত নিজ বাহিনী নিয়ে শহর থেকে বের হলো, তখন সে বললো, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদেরকে একটি নদীর মাধ্যমে পরীক্ষা করবেন। অতঃপর যে তা থেকে পান করবে সে আমার দলভুক্ত নয়, আর যে তা পান করবে না, সেই আমার দলভুক্ত; তবে যে তার হাতে এক কোষ (পরিমাণ) পান করবে (তার জন্যে কোনো ক্ষতি নেই)।’ অতঃপর তাদের মধ্যে অল্পকিছু ব্যতীত অবশিষ্ট সকলেই তা থেকে পানি পান করলো। এরপর যখন তালূত এবং তার ঈমানদার সঙ্গীরা নদী অতিক্রম করলো, তখন তারা বললো, ‘আজ জালূত ও তার সৈন্যবাহিনীর মোকাবেলা করার মতো শক্তি আমাদের নেই’। যারা বিশ্বাস রাখতো যে, (তারা শহীদ হয়ে অথবা মারা যাবার পর) আল্লাহ্‌র সাথে সাক্ষাত লাভের সৌভাগ্য অর্জন করবে, তারা বললো, ‘আল্লাহ্‌র নির্দেশে অনেকবারই ক্ষুদ্র দল (অনেক) বৃহৎ দলের উপর বিজয়ী হয়েছে। আর আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদেরকে স্বীয় সাহচর্যের মাধ্যমে অনুগ্রহ করেন।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৫০

وَ لَمَّا بَرَزُوۡا لِجَالُوۡتَ وَ جُنُوۡدِہٖ قَالُوۡا رَبَّنَاۤ  اَفۡرِغۡ عَلَیۡنَا صَبۡرًا وَّ ثَبِّتۡ اَقۡدَامَنَا وَ انۡصُرۡنَا عَلَی الۡقَوۡمِ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۲۵۰﴾ؕ


📕কানযুল ঈমান


২৫০. অতঃপর (তারা) যখন সম্মুখীন হলো জালূত ও তার সৈন্য বাহিনীর, তখন প্রার্থনা করলো, ‘হে আমাদের রব! আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দাও এবং আমাদের পাগুলো অবিচলিত রাখো আর কাফিরদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করো।’


📗ইরফানুল কুরআন


২৫০. আর যখন তারা জালূত ও তার সৈন্যবাহিনীর মুখোমুখি হলো, তখন বললো, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ধৈর্যধারণে সক্ষমতা দান করো ও আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখো, আর আমাদেরকে অবিশ্বাসী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিজয় দান করো।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৫১

فَہَزَمُوۡہُمۡ  بِاِذۡنِ اللّٰہِ ۟ۙ وَ قَتَلَ دَاوٗدُ جَالُوۡتَ وَ اٰتٰىہُ اللّٰہُ  الۡمُلۡکَ وَ الۡحِکۡمَۃَ وَ عَلَّمَہٗ مِمَّا یَشَآءُ ؕ وَ لَوۡ لَا دَفۡعُ اللّٰہِ النَّاسَ بَعۡضَہُمۡ بِبَعۡضٍ ۙ لَّفَسَدَتِ الۡاَرۡضُ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ ذُوۡ فَضۡلٍ عَلَی الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۲۵۱﴾


📕কানযুল ঈমান


২৫১. অতঃপর তারা তাদেরকে বিতাড়িত করলো আল্লাহ্‌র নির্দেশে এবং দাউদ জালূতকে হত্যা করলো এবং আল্লাহ্‌ তাকে বাদশাহী ও হিকমত দান করলেন এবং তাকে যা চেয়েছেন শিক্ষা দিয়েছেন। আর যদি আল্লাহ্‌ মানুষের মধ্য থেকে এককে অন্যের দ্বারা প্রতিহত না করেন, তবে অবশ্যই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে; কিন্তু আল্লাহ্‌ সমগ্র জাহানের উপর অনুগ্রহশীল।


📗ইরফানুল কুরআন


২৫১. অতঃপর তারা আল্লাহ্‌র নির্দেশে তাদেরকে পরাভূত করলো। আর দাউদ (আলাইহিস সালাম) জালূতকে হত্যা করলেন, ফলে আল্লাহ্ তাঁকে রাজত্ব ও প্রজ্ঞা দান করলেন এবং যা ইচ্ছা করলেন তাঁকে তা শিখিয়ে দিলেন। আল্লাহ্ যদি মানব জাতির একদলকে অন্য দলের মাধ্যমে প্রতিহত না করতেন তবে (অত্যাচারী শাসকদের ক্রমাগত আধিপত্য বিস্তার ও নির্যাতনের কারণে মানবজীবন কলুষিত হয়ে) পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতো। কিন্তু আল্লাহ্ সমগ্র বিশ্বজগতের প্রতি একান্তই অনুগ্রহশীল।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৫২

تِلۡکَ اٰیٰتُ اللّٰہِ نَتۡلُوۡہَا عَلَیۡکَ بِالۡحَقِّ ؕ وَ  اِنَّکَ لَمِنَ الۡمُرۡسَلِیۡنَ ﴿۲۵۲﴾


📕কানযুল ঈমান


২৫২. এগুলো হচ্ছে আল্লাহ্‌র আয়াত, যেগুলো হে মাহবুব, আমি আপনার উপর ঠিক ঠিক পড়ছি এবং আপনি নিশ্চয় রসূলগণের অন্তর্ভূক্ত।


📗ইরফানুল কুরআন


২৫২. এগুলো আল্লাহ্‌র আয়াত (হে হাবীব!), আমরা এগুলো আপনার নিকট যথাযথভাবে পাঠ করি। আর নিশ্চয়ই আপনি রাসূলগণের অন্তর্ভুক্ত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৫৩

تِلۡکَ الرُّسُلُ  فَضَّلۡنَا بَعۡضَہُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ ۘ مِنۡہُمۡ مَّنۡ کَلَّمَ اللّٰہُ وَ رَفَعَ بَعۡضَہُمۡ  دَرَجٰتٍ ؕ وَ اٰتَیۡنَا عِیۡسَی  ابۡنَ مَرۡیَمَ الۡبَیِّنٰتِ وَ اَیَّدۡنٰہُ بِرُوۡحِ الۡقُدُسِ ؕ وَ لَوۡ شَآءَ اللّٰہُ مَا اقۡتَتَلَ الَّذِیۡنَ مِنۡۢ بَعۡدِہِمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ مَا جَآءَتۡہُمُ الۡبَیِّنٰتُ وَ لٰکِنِ اخۡتَلَفُوۡا فَمِنۡہُمۡ مَّنۡ اٰمَنَ وَ مِنۡہُمۡ مَّنۡ  کَفَرَ ؕ وَ لَوۡ شَآءَ اللّٰہُ  مَا اقۡتَتَلُوۡا ۟ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ یَفۡعَلُ  مَا یُرِیۡدُ ﴿۲۵۳﴾


📕কানযুল ঈমান


২৫৩. এঁরা রসূল, আমি তাঁদের মধ্যে এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠ করেছি। তাঁদের মধ্যে কারো সাথে আল্লাহ্‌ কথা বলেছেন এবং কেউ এমনও আছেন, যাঁকে সবার উপর মর্যাদাসমূহে উন্নীত করেছেন। আর আমি মরিয়ম-তনয় ঈসাকে স্পষ্ট নির্দশনসমূহ প্রদান করেছি; এবং পবিত্র রূহ দ্বারা তাঁকে সাহায্য করেছি; আর আল্লাহ্‌ ইচ্ছা করলে তাদের পরবর্তীগণ পরষ্পর যুদ্ধ করতো না এরপর যে, তাঁদের নিকট স্পষ্ট নির্দশনসমূহ এসেছে; কিন্তু তারা তো পরস্পর বিরোধকারী হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে কেউ ঈমানের উপর রইলো এবং কেউ কাফির হয়ে গেলো; আর আল্লাহ্‌ ইচ্ছা করলে তারা পরষ্পর যুদ্ধ বিগ্রহে লিপ্ত হতো না; কিন্তু আল্লাহ্‌ যা চান করে থাকেন।


📗ইরফানুল কুরআন


২৫৩. এ রাসূলগণ (যাদেরকে আমরা প্রেরণ করেছি), আমরা তাদের মধ্যে কাউকে কারো উপর মর্যাদা দিয়েছি। তাদের কারো সাথে আল্লাহ্ (সরাসরি) কথা বলেছেন এবং কাউকে মর্যাদায় (সবার উপর) শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন (অর্থাৎ হুযুর নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামকে মর্যাদার সমস্ত স্তরসমূহের মধ্যে সবার উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন)। আর আমরা মারইয়াম-তনয় ঈসা (আলাইহিস সালাম)-কে সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী দান করেছি এবং পবিত্র রূহের মাধ্যমে তাঁকে সাহায্য করেছি। আর যদি আল্লাহ্ চাইতেন তবে রাসূলগণের পরে আগমনকারীরা তাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী আসার পর পরস্পরে কখনো বিবাদ ও যুদ্ধে লিপ্ত হতো না। কিন্তু (তাদেরকে স্বীয় কর্মকাণ্ডের উপর আল্লাহ্‌র নিকট জবাবদিহিতার জন্যে যে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি প্রদান করা হয়েছে তার কারণে) তারা মতবিরোধ করলো। অতঃপর তাদের কেউ ঈমান আনয়ন করলো এবং কেউ সত্য প্রত্যাখ্যান করলো। (আর মনে রেখো যে,) যদি আল্লাহ্ চাইতেন (অর্থাৎ তাদেরকে একটি মাত্র বিষয়ে বাধ্য রাখতেন) তবে তারা কখনো পরস্পরে লড়াই করতো না। কিন্তু আল্লাহ্ যা চান তা করেন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৫৪

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَنۡفِقُوۡا مِمَّا رَزَقۡنٰکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَ یَوۡمٌ لَّا بَیۡعٌ فِیۡہِ وَ لَا خُلَّۃٌ وَّ لَا شَفَاعَۃٌ ؕ وَ الۡکٰفِرُوۡنَ ہُمُ  الظّٰلِمُوۡنَ ﴿۲۵۴﴾


📕কানযুল ঈমান


২৫৪. হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্‌র পথে আমার প্রদত্ত (সম্পদ) থেকে ব্যয় করো ওই দিন আসার পূর্বে, যার মধ্যে না কোন বেচাকেনা থাকবে, না কাফিরদের জন্য বন্ধুত্ব এবং না শাফা’আত; এবং কাফিরগণ নিজেরাই অত্যাচারী।


📗ইরফানুল কুরআন


২৫৪. হে ঈমানদারগণ! আমরা তোমাদেরকে যা কিছু দিয়েছি, তা থেকে (আল্লাহ্‌র পথে) ব্যয় করো, সেদিন আসার পূর্বেই যেদিন না কোনো ক্রয়-বিক্রয় সংঘটিত হবে, আর না (কাফেরদের জন্যে) কোনো বন্ধুত্ব (কার্যকর) হবে, আর না (কোনো) সুপারিশ। আর এ কাফেরেরাই যালিম।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৫৫

اَللّٰہُ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَۚ اَلۡحَیُّ الۡقَیُّوۡمُ ۬ۚ لَا تَاۡخُذُہٗ سِنَۃٌ وَّ لَا نَوۡمٌ ؕ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ مَنۡ ذَا الَّذِیۡ یَشۡفَعُ  عِنۡدَہٗۤ  اِلَّا بِاِذۡنِہٖ ؕ یَعۡلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ مَا خَلۡفَہُمۡ  ۚ وَ لَا یُحِیۡطُوۡنَ بِشَیۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِہٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ ۚ وَسِعَ کُرۡسِیُّہُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ ۚ وَ لَا یَـُٔوۡدُہٗ حِفۡظُہُمَا ۚ وَ ہُوَ الۡعَلِیُّ  الۡعَظِیۡمُ ﴿۲۵۵﴾ 


📕কানযুল ঈমান


২৫৫. আল্লাহ্‌ হন, যিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। তিনি নিজে জীবিত এবং অন্যান্যাদের অধিষ্ঠিত রাখেন। তাঁকে না তন্দ্রা স্পর্শ করে, না নিদ্রা। তাঁরই, যা কিছু আস্‌মানসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু যমীনে। সে কে, যে তাঁর সম্মুখে সুপারিশ করবে, তাঁর অনুমতি ব্যতিরেকে? (তিনি) জানেন যা কিছু তাদের সম্মুখে রয়েছে এবং যা কিছু তাদের পেছনে। আর তারা পায়না তাঁর জ্ঞান থেকে, কিন্তু যতটুকু তিনি চান। তাঁর ‘কুরসী’ আস্‌মানসমূহ ও যমীন ব্যাপী এবং তাঁর জন্য ভারী নয় এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ। আর তিনিই হন উচ্চ, মহা মর্যাদাসম্পন্ন। 


📗ইরফানুল কুরআন


২৫৫. আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য কেউ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরন্তন, যিনি (সমগ্র বিশ্ব জগতকে স্বীয় কৌশলে) অধিষ্ঠিত রাখেন। না তাঁকে তন্দ্রা স্পর্শ করে, আর না নিদ্রা। যা কিছু রয়েছে আকাশমন্ডলীতে এবং যা কিছু পৃথিবীতে সমস্ত কিছু তাঁরই। কে সে ব্যক্তি, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে? যা কিছু সৃষ্টিজগতের সম্মুখে (সংঘটিত হচ্ছে বা হয়ে গিয়েছে) এবং যা কিছু তাদের পশ্চাতে (সংঘটিত হবে) তিনি সবকিছুই অবগত। আর তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত তারা তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুই পরিবেষ্টন করতে পারে না। তাঁর (রাজত্ব ও ক্ষমতার) সিংহাসন সমস্ত আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে পরিব্যাপ্ত। আর তাঁর জন্যে (আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী) উভয়ের রক্ষণাবেক্ষণ কঠিন কিছুই নয়। তিনিই সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী, সর্বাপেক্ষা মহান।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৫৬

لَاۤ اِکۡرَاہَ فِی الدِّیۡنِ ۟ۙ قَدۡ تَّبَیَّنَ الرُّشۡدُ مِنَ الۡغَیِّ ۚ فَمَنۡ یَّکۡفُرۡ بِالطَّاغُوۡتِ وَ یُؤۡمِنۡۢ بِاللّٰہِ فَقَدِ اسۡتَمۡسَکَ بِالۡعُرۡوَۃِ الۡوُثۡقٰی ٭ لَا انۡفِصَامَ  لَہَا ؕ وَ اللّٰہُ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۵۶﴾


📕কানযুল ঈমান


২৫৬. কোন জোর জবরদস্তী নেই ধর্মের মধ্যে; নিশ্চয় খুবই স্পষ্ট হয়েছে সত্য পথ ভ্রান্তি থেকে। সুতরাং যে শয়তানকে অমান্য করে এবং আল্লাহ্‌র উপর ঈমান আনে, সে এমন এক মজবুত গ্রন্থি ধারণ করেছে, যা কখনো খুলে যাবার নয়; এবং আল্লাহ্‌ শ্রোতা, জ্ঞাতা।


📗ইরফানুল কুরআন


২৫৬. ধর্মের ব্যাপারে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই। নিশ্চয়ই হেদায়াত গোমরাহি থেকে সুস্পষ্টরূপে পৃথক হয়ে গিয়েছে। সুতরাং যে ব্যক্তি মিথ্যা উপাস্যদেরকে অস্বীকার করেছে এবং আল্লাহ্তে বিশ্বাস স্থাপন করেছে, সে এমন এক সুদৃঢ় হাতল ধারণ করেছে যা কখনো ছিন্ন হবার নয়। আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৫৭

اَللّٰہُ وَلِیُّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ۙ یُخۡرِجُہُمۡ مِّنَ الظُّلُمٰتِ اِلَی النُّوۡرِ۬ؕ وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَوۡلِیٰٓـُٔہُمُ الطَّاغُوۡتُ ۙ یُخۡرِجُوۡنَہُمۡ مِّنَ النُّوۡرِ اِلَی الظُّلُمٰتِ ؕ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ  فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۲۵۷﴾


📕কানযুল ঈমান


২৫৭. আল্লাহ্ মুসলমানদের অভিবাবক, তাদেরকে অন্ধকার রাশি থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন এবং কাফিরদের সাহায্যকারী হচ্ছে শয়তান। তারা তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকার রাশির দিকে বের করে নেয়। এসব লোক দোযখবাসী। এদেরকে তা’তে স্থায়ীভাবে থাকতে হবে। 


📗ইরফানুল কুরআন


২৫৭. আল্লাহ্ ঈমানদারগণের অভিভাবক, তিনি তাদেরকে (সকল প্রকার) অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে আসেন। আর যারা কাফের তাদের অভিভাবক শয়তান; সে তাদেরকে (সত্যের) আলো থেকে বের করে (মিথ্যার) অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এসব লোকেরাই জাহান্নামী, তথায় তারা থাকবে চিরকাল।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৫৮

اَلَمۡ تَرَ اِلَی الَّذِیۡ حَآجَّ اِبۡرٰہٖمَ فِیۡ رَبِّہٖۤ اَنۡ اٰتٰىہُ اللّٰہُ الۡمُلۡکَ ۘ اِذۡ  قَالَ اِبۡرٰہٖمُ رَبِّیَ الَّذِیۡ یُحۡیٖ وَ یُمِیۡتُ ۙ قَالَ اَنَا اُحۡیٖ وَ اُمِیۡتُ ؕ قَالَ اِبۡرٰہٖمُ  فَاِنَّ اللّٰہَ یَاۡتِیۡ بِالشَّمۡسِ مِنَ الۡمَشۡرِقِ فَاۡتِ بِہَا مِنَ الۡمَغۡرِبِ فَبُہِتَ الَّذِیۡ کَفَرَ ؕ وَ اللّٰہُ لَا یَہۡدِی الۡقَوۡمَ الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۲۵۸﴾ۚ


📕কানযুল ঈমান


২৫৮. হে মাহবুব! আপনি কি দেখেন নি তাকে, যে ইব্রাহীমের সাথে বিতর্ক করেছে তাঁর রব সম্পর্কে, এর উপর যে, আল্লাহ্‌ তাকে বাদশাহী দিয়েছেন? যখন ইব্রাহীম বললেন, ‘আমার রব তিনিই, যিনি জীবন দান করেন ও মৃতু ঘটান।’ সে বললো, ‘আমিও জীবন দান করি ও মৃত্যু ঘটাই।’ ইব্রাহীম বললেন, তাহলে, আল্লাহ্‌ সূর্য উদিত করেন পূর্ব দিক থেকে, তুমি সেটাকে পশ্চিম দিক থেকে নিয়ে এসো। অতঃপর হতবুদ্ধি হয়ে গেলো কাফির। এবং আল্লাহ্‌ সৎপথ দেখান না অত্যাচারীদেরকে।


📗ইরফানুল কুরআন


২৫৮. (হে হাবীব!) আপনি কি ওই ব্যক্তিকে দেখেননি, যে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এঁর সাথে স্বীয় প্রতিপালকের ব্যাপারে(ই) বাদানুবাদ শুরু করেছিল, কারণ আল্লাহ্ তাকে রাজত্ব প্রদান করেছিলেন? যখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘তিনি আমার প্রতিপালক যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যুও ঘটান’। তখন সে (প্রতিউত্তরে) বললো, ‘আমিও তো জীবন দান করি এবং মৃত্যু ঘটাই’। ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সূর্যকে পূর্ব দিক থেকে উদিত করেন, তুমি একে পশ্চিম দিক থেকে উদিত করো!’ তখন সে সত্য প্রত্যাখ্যানকারী হতভম্ভ হয়ে গেল। আর আল্লাহ্ সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়কে সত্যের পথ দেখান না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৫৯

اَوۡ کَالَّذِیۡ مَرَّ عَلٰی قَرۡیَۃٍ وَّ ہِیَ خَاوِیَۃٌ عَلٰی عُرُوۡشِہَا ۚ قَالَ اَنّٰی یُحۡیٖ ہٰذِہِ  اللّٰہُ بَعۡدَ مَوۡتِہَا ۚ فَاَمَاتَہُ اللّٰہُ مِائَۃَ عَامٍ ثُمَّ بَعَثَہٗ ؕ قَالَ کَمۡ لَبِثۡتَ ؕ قَالَ لَبِثۡتُ یَوۡمًا اَوۡ بَعۡضَ یَوۡمٍ ؕ قَالَ بَلۡ لَّبِثۡتَ مِائَۃَ عَامٍ فَانۡظُرۡ  اِلٰی طَعَامِکَ وَ شَرَابِکَ لَمۡ یَتَسَنَّہۡ ۚ وَ انۡظُرۡ اِلٰی حِمَارِکَ وَ لِنَجۡعَلَکَ اٰیَۃً لِّلنَّاسِ وَ انۡظُرۡ اِلَی الۡعِظَامِ کَیۡفَ نُنۡشِزُہَا ثُمَّ نَکۡسُوۡہَا لَحۡمًا ؕ فَلَمَّا تَبَیَّنَ لَہٗ ۙ قَالَ اَعۡلَمُ  اَنَّ اللّٰہَ  عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۲۵۹﴾


📕কানযুল ঈমান


২৫৯. অথবা ওই ব্যক্তির ন্যায়, যে অতিক্রম করলো একটা জনপদের উপর দিয়ে এবং তা ভেঙ্গে পড়েছিলো সেগুলোর ছাদগুলোর উপর। বললো, ‘আল্লাহ্‌ এটাকে কীভাবে জীবিত করবেন এটার মৃত্যুর পর?’ অতঃপর আল্লাহ্‌ তাঁকে মৃত রাখলেন একশ’ বছর। তারপর পূনর্জীবিত করে দিলেন। বললেন, ‘তুমি এখানে কতোকাল অবস্থান করলে?’ আরয করলো, ‘সম্ভবত: পূর্ণ দিন অথবা কিছু কম।’ তিনি বললেন, ‘না, বরং তোমার উপর একশ বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে এবং আপন খাদ্য-পানীয়ের দিকে দেখো, এখনো পর্যন্ত দুর্গমন্ধময় হয়নি; এবং আপন গাধার প্রতি তাকাও, যার অস্থিগুলো পর্যন্ত সঠিক অবস্থায় থাকে নি! এবং এটা এজন্য যে, আমি তোমাকে মানুষের জন্য নিদর্শন করবো; এবং ওই অস্থিগুলোর দিকে দেখো, কিভাবে সেগুলোর উথান প্রদান করি, অতঃপর সেগুলোকে মাংসাবৃত করি।’ যখন এ ঘটনা তাঁর নিকট সুস্পষ্ট হয়ে গেলো, (তখন) বললেন, ‘আমি খুব ভালভাবে জানি যে, আল্লাহ্‌ সবকিছু করতে পারেন।’


📗ইরফানুল কুরআন


২৫৯. অথবা এভাবে সে ব্যক্তিকে (কি আপনি দেখেননি), যে এক জনপদে উপনীত হলো যা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। তখন সে বললো, ‘এর মৃত্যুর পর কিভাবে আল্লাহ্ একে জীবিত করবেন?’ এরপর (স্বীয় কুদরত প্রদর্শনের জন্যে) আল্লাহ্ তাকে শত বছর পর্যন্ত মৃত রাখলেন, অতঃপর তাকে জীবিত করলেন। (এরপর) জিজ্ঞেস করলেন, ‘(মৃত্যুর পর) তুমি এখানে কতোকাল অবস্থান করলে?’ সে বললো, ‘আমি এক দিন অথবা এক দিনেরও কিছু কম সময় অবস্থান করেছি’। তিনি বললেন, ‘(না) বরং তুমি একশত বছর শায়িত ছিলে। অতএব (এখন) তোমার খাদ্য সামগ্রী ও পানীয়ের দিকে লক্ষ্য করো, (এগুলো বাসি বা) পরিবর্তিতও হয়নি এবং (এখন) তোমার গাধাটির দিকে লক্ষ্য করো (যার অস্থিগুলোও অটুট নেই) এবং তা এ কারণে যাতে আমি তোমাকে মানব জাতির জন্যে (আমার কুদরতের) নিদর্শন করতে পারি। আর (এখন এ সকল) অস্থির প্রতি লক্ষ্য করো, এগুলোকে কিভাবে আমরা সংযোজন করি (এবং উত্তোলন করি), আবার এগুলোকে মাংসের আবরণ দেই।’ যখন এ বিষয়টি তার নিকট সুস্পষ্ট হলো তখন বলে উঠলো, ‘আমি (চাক্ষুষ বিশ্বাসের মাধ্যমে) জেনে গিয়েছি যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সকল কিছুর উপর সর্বময় ক্ষমতাবান’।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৬০

وَ اِذۡ قَالَ اِبۡرٰہٖمُ  رَبِّ اَرِنِیۡ  کَیۡفَ تُحۡیِ الۡمَوۡتٰی ؕ  قَالَ اَوَ لَمۡ تُؤۡمِنۡ ؕ قَالَ بَلٰی وَ لٰکِنۡ لِّیَطۡمَئِنَّ قَلۡبِیۡ ؕ قَالَ فَخُذۡ اَرۡبَعَۃً مِّنَ الطَّیۡرِ فَصُرۡہُنَّ اِلَیۡکَ ثُمَّ اجۡعَلۡ عَلٰی کُلِّ جَبَلٍ مِّنۡہُنَّ جُزۡءًا ثُمَّ ادۡعُہُنَّ یَاۡتِیۡنَکَ سَعۡیًا ؕ وَ اعۡلَمۡ اَنَّ اللّٰہَ عَزِیۡزٌ  حَکِیۡمٌ ﴿۲۶۰﴾


📕কানযুল ঈমান


২৬০. এবং যখন আরয করলো ইব্রাহীম, ‘হে আমার রব! আমাকে দেখিয়ে দাও, তুমি কিভাবে মৃতকে জীবিত করবে।’ এরশাদ করলেন, ‘তোমার কি নিশ্চিত বিশ্বাস নেই?’ আরয করলো, ‘নিশ্চিত বিশ্বাস কেন থাকবে না? কিন্তু আমি এই চাই যে, আমার অন্তরে প্রশান্তি এসে যাক!’ এরশাদ করলেন, ‘তবে আচ্ছা! চারটা পাখী নিয়ে তোমার সাথে নেড়েচেড়ে নাও। অতঃপর সেগুলোর একেক খণ্ড প্রতিটি পাহাড়ের উপর রেখে দাও, অতঃপর সেগুলোকে আহ্বান করো, সেগুলো তোমার নিকট চলে আসবে নিজ পায়ে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে এবং জেনে রেখো যে, আল্লাহ্‌ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। 


📗ইরফানুল কুরআন


২৬০. আর (স্মরণ করুন সে ঘটনাও) যখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) আরয করলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখাও তুমি মৃতদেরকে কিভাবে জীবিত করো?’ আল্লাহ্ বললেন, ‘তবে কি তুমি বিশ্বাস করো না?’ তিনি আরয করলেন, ‘কেন নয়! (বিশ্বাস করি) তবে তা আমার চিত্ত-প্রশান্তির জন্যে।’ আল্লাহ্ বললেন, ‘তবে তুমি চারটি পাখি নিয়ে আসো। অতঃপর এগুলোকে তোমার বশীভুত করো। এরপর (যবাই করে) এগুলোর একেকটি টুকরা একেকটি পাহাড়ের উপর রেখে দাও। অতঃপর এগুলোকে আহবান করো, এগুলো অতিদ্রুত তোমার নিকট চলে আসবে। আর জেনে রাখো যে, অবশ্যই আল্লাহ্ মহাপরাক্রমশালী, অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৬১

مَثَلُ الَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَہُمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ کَمَثَلِ حَبَّۃٍ اَنۡۢبَتَتۡ سَبۡعَ سَنَابِلَ فِیۡ کُلِّ سُنۡۢبُلَۃٍ مِّائَۃُ حَبَّۃٍ ؕ وَ اللّٰہُ یُضٰعِفُ لِمَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ  وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۶۱﴾


📕কানযুল ঈমান


২৬১. তাদের উপমা, যারা আপন সম্পদ আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করে সেই শস্য বীজের মতো, যা উৎপাদন করে সাতটা শীষ। প্রত্যেক শীষে একশ’ শস্যকণা; এবং আল্লাহ্‌ তা থেকেও অধিক বৃদ্ধি করেন যার জন্য চান। আর আল্লাহ্‌ প্রাচুর্যময়, জ্ঞানময়।


📗ইরফানুল কুরআন


২৬১.  যারা নিজের সম্পদ আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করে তাদের দৃষ্টান্ত (সে) শস্যবীজের ন্যায়, যা থেকে সাতটি শীষ উদ্গত হয়, (অতঃপর) প্রত্যেক শীষে হয় একশত শস্যকণা (অর্থাৎ সাতশগুণ প্রতিদান লাভ হয়)। আর আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা (তাকেও) বহুগুণে বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ্ অসীম প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৬২

اَلَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَہُمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ثُمَّ لَا یُتۡبِعُوۡنَ مَاۤ  اَنۡفَقُوۡا مَنًّا وَّ لَاۤ  اَذًی ۙ لَّہُمۡ اَجۡرُہُمۡ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ ۚ وَ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡہِمۡ  وَ لَا ہُمۡ  یَحۡزَنُوۡنَ ﴿۲۶۲﴾


📕কানযুল ঈমান


২৬২. ওই সব লোক যারা নিজ সম্পদ আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করে, অতঃপর ব্যয় করার পর না খোঁটা দেয়, না ক্লেশ দেয়, তাদের প্রতিদান তাদের রবের নিকট রয়েছে এবং তাদের না আছে কোন আশংকা না আছে কিছু দুঃখ। 


📗ইরফানুল কুরআন


২৬২. যারা নিজের সম্পদ আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করে এবং এরপর যা ব্যয় করে তার জন্যে খোঁটা দেয় না এবং কষ্টও দেয় না; তাদের জন্যে তাদের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে প্রতিদান এবং (কিয়ামতের দিন) তাদের না আছে কোনো আশংকা আর তারা না হবে চিন্তিত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৬৩

قَوۡلٌ مَّعۡرُوۡفٌ وَّ مَغۡفِرَۃٌ خَیۡرٌ مِّنۡ صَدَقَۃٍ یَّتۡبَعُہَاۤ  اَذًی ؕ وَ اللّٰہُ غَنِیٌّ حَلِیۡمٌ ﴿۲۶۳﴾


📕কানযুল ঈমান


২৬৩. ভালো কথা বলা এবং ক্ষমা করা ওই সাদক্বাহ্‌ অপেক্ষা শ্রেয়তর, যার পর ক্লেশ দেয়া হয়। আর আল্লাহ্‌ বেপরোয়া (অভাবমুক্ত), সহনশীল।


📗ইরফানুল কুরআন


২৬৩. (যাচ্ঞাকারীর সাথে) নম্রভাবে কথা বলা এবং ক্ষমা প্রদর্শন করা ঐ দান-খয়রাতের চেয়ে উত্তম, যার পরে (তার) অন্তরে কষ্ট দেয়া হয়। আর আল্লাহ্ অমুখাপেক্ষী, পরম ধৈর্যশীল।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৬৪

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تُبۡطِلُوۡا صَدَقٰتِکُمۡ بِالۡمَنِّ وَ الۡاَذٰی ۙ کَالَّذِیۡ یُنۡفِقُ مَالَہٗ رِئَآءَ النَّاسِ وَ لَا یُؤۡمِنُ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِؕ فَمَثَلُہٗ  کَمَثَلِ صَفۡوَانٍ عَلَیۡہِ تُرَابٌ فَاَصَابَہٗ وَابِلٌ فَتَرَکَہٗ صَلۡدًا ؕ لَا  یَقۡدِرُوۡنَ عَلٰی شَیۡءٍ مِّمَّا کَسَبُوۡا ؕ وَ اللّٰہُ  لَا یَہۡدِی الۡقَوۡمَ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۲۶۴﴾


📕কানযুল ঈমান


২৬৪. হে ঈমানদারগণ! আপন দানকে নিষ্ফল করে দিওনা খোঁটা দিয়ে এবং ক্লেশ দিয়ে, ওই ব্যক্তির ন্যায়, যে আপন ধন লোক-দেখানোর জন্য ব্যয় করে এবং আল্লাহ্‌ ও ক্বিয়ামত-দিবসের উপর ঈমান রাখে না। সুতরাং তার উপমা তেমনই, যেমন একটা মসৃণ পাথর যার উপর মাটি রয়েছে, এখন সেটার উপর প্রবল বারিপাত হলো, যা সেটাকে নিরেট পাথর করে ছাড়লো। (তারা) আপন উপার্জন থেকে কোন জিনিষই (তাদের) আয়ত্বে পাবে না। আর আল্লাহ্‌ কাফিরদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।


📗ইরফানুল কুরআন


২৬৪. হে ঈমানদারগণ! (দান করার পর) খোঁটা দিয়ে অথবা কষ্ট দিয়ে তোমাদের দান-খয়রাতকে ঐ ব্যক্তির ন্যায় নষ্ট করে দিও না যে মানুষকে দেখানোর জন্যে সম্পদ ব্যয় করে এবং সে আল্লাহ্ ও শেষদিনে বিশ্বাস রাখে না। সুতরাং তার দৃষ্টান্ত সেসব মসৃণ পাথরের ন্যায় যার উপর সামান্য মাটি পড়ে থাকে, অতঃপর এর উপর যখন প্রবল বৃষ্টিপাত হয় তখন তা একে (আবার সেই) শক্ত ও পরিস্কার (পাথর) করে ছাড়ে। সুতরাং নিজের উপার্জন থেকে এরা (এ কপট লোকেরা) কিছুই পায় না। আর আল্লাহ্ কাফের সম্প্রদায়কে হেদায়াত দান করেন না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৬৫

وَ مَثَلُ الَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَہُمُ ابۡتِغَآءَ مَرۡضَاتِ اللّٰہِ وَ تَثۡبِیۡتًا مِّنۡ اَنۡفُسِہِمۡ کَمَثَلِ جَنَّۃٍۭ بِرَبۡوَۃٍ اَصَابَہَا وَابِلٌ فَاٰتَتۡ اُکُلَہَا ضِعۡفَیۡنِ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یُصِبۡہَا وَابِلٌ فَطَلٌّ ؕ وَ اللّٰہُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ  بَصِیۡرٌ ﴿۲۶۵﴾


📕কানযুল ঈমান


২৬৫. এবং তাদের উপমা, যারা আপন সম্পদ আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির প্রত্যাশার মধ্যে এবং নিজেদের আত্মা দৃঢ় করার জন্য ব্যয় করে, ওই বাগানের ন্যায়, যা কোন উচ্চ ভূমির উপর (অবস্থিত), সেটার উপর প্রবল বারিপাত হলো, এর ফলে দ্বিগুণ ফলমূল জন্মালো। অতঃপর তাতে যদি প্রবল বারিপাত না হয় তবুও শিশিরই যথেষ্ট। এবং আল্লাহ্‌ তোমাদের কর্ম প্রত্যক্ষ করেছেন।


📗ইরফানুল কুরআন


২৬৫. আর যারা আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভের জন্যে এবং নিজেদেরকে (ঈমান ও আনুগত্যের উপর) বলিষ্ঠ রাখার জন্যে নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের দৃষ্টান্ত উঁচু ভুমিতে অবস্থিত উদ্যানের ন্যায়, যাতে প্রবল বৃষ্টিপাত হলে তাতে দ্বিগুণ ফলন হয়; আর যদি তাতে প্রবল বৃষ্টিপাত নাও হয় তবু (তাতে) শিশির (বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিই) যথেষ্ট। আর আল্লাহ্ তোমাদের কর্মকান্ড ভালোভাবেই দেখছেন।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৬৬

اَیَوَدُّ اَحَدُکُمۡ اَنۡ تَکُوۡنَ لَہٗ جَنَّۃٌ مِّنۡ نَّخِیۡلٍ وَّ اَعۡنَابٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ ۙ لَہٗ فِیۡہَا مِنۡ کُلِّ الثَّمَرٰتِ ۙ وَ اَصَابَہُ الۡکِبَرُ وَ لَہٗ ذُرِّیَّۃٌ ضُعَفَآءُ ۪ۖ فَاَصَابَہَاۤ اِعۡصَارٌ فِیۡہِ نَارٌ فَاحۡتَرَقَتۡ ؕ  کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ لَکُمُ الۡاٰیٰتِ لَعَلَّکُمۡ تَتَفَکَّرُوۡنَ ﴿۲۶۶﴾


📕কানযুল ঈমান


২৬৬. তোমাদের কেউ কি এটা পছন্দ করবে যে, তার নিকট একটা বাগান থাকবে খেজুর ও আঙ্গুরের, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত, যাতে তার জন্য সব ধরনের ফলমূল থাকে আর সে বার্ধক্যে উপনীত হয় এবং তার কর্মাক্ষম (দুর্বল) সন্তান-সন্ততি থাকে, তারপর আপতিত হলো এর উপর এক ঘূর্ণিঝড়, যার মধ্যে ছিলো আগুন, অতঃপর তা জ্বলে গেলো? এভাবেই আল্লাহ্‌ তোমাদের জন্য সুস্পষ্টরুপে ব্যক্ত করেন তাঁর নিদর্শনসমূহ, যাতে তোমরা ধ্যান দাও।


📗ইরফানুল কুরআন


২৬৬. তোমাদের কেউ কি পছন্দ করবে যে, তার খেজুর ও আঙ্গুরের একটি বাগান থাকুক, যার তলদেশে স্রোতধারা প্রবাহিত, তার জন্যে তাতে (খেজুর এবং আঙ্গুর ছাড়াও) আছে সকল প্রকারের ফলমূল; আর (তখনই) সে বার্ধক্যে উপনীত হয় এবং (তখন) তার সন্তান-সন্ততিও দুর্বল; অতঃপর (সে সময়ে) এ বাগানে (নিরেট) অগ্নিখরা এক ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়, অতঃপর বাগানটি পুড়ে যায় (তখন তার বঞ্চনা ও দুর্গতির কী অবস্থা হবে)? এভাবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে সুস্পষ্টভাবে নিদর্শনাবলী বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা গভীরভাবে চিন্তা করো। (সুতরাং তোমরা কি চাও যে, পরকালে তোমাদের আমলের বাগানও কপটতার আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যাক এবং কেউ তোমাদের সমর্থনকারীও না হোক?)


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৬৭

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَنۡفِقُوۡا مِنۡ طَیِّبٰتِ مَا کَسَبۡتُمۡ وَ مِمَّاۤ اَخۡرَجۡنَا لَکُمۡ مِّنَ الۡاَرۡضِ ۪ وَ لَا تَیَمَّمُوا الۡخَبِیۡثَ مِنۡہُ تُنۡفِقُوۡنَ وَ لَسۡتُمۡ بِاٰخِذِیۡہِ اِلَّاۤ اَنۡ تُغۡمِضُوۡا فِیۡہِ ؕ وَ اعۡلَمُوۡۤا  اَنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ حَمِیۡدٌ ﴿۲۶۷﴾


📕কানযুল ঈমান


২৬৭. হে ঈমানদারগণ! নিজেদের পবিত্র উপার্জনগুলো থেকে কিছু দান করো এবং তা থেকে, যা আমি তোমাদের জন্য ভূমি থেকে উৎপাদন করেছি আর নিছক নিকৃষ্ট বস্তুর ইচ্ছা করো না যে, প্রদান করলে তা থেকে করে থাকো, আর তোমরা পেলে গ্রহণ করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তাতে চোখ বন্ধ করবে না। আর জেনে রেখো যে, আল্লাহ্‌ বেপরোয়া, প্রশংসিত।


📗ইরফানুল কুরআন


২৬৭. হে ঈমানদারগণ! তোমরা (আল্লাহ্‌র পথে) ব্যয় করো উৎকৃষ্ট উপার্জন থেকে এবং তা থেকে যা আমরা তোমাদের জন্যে ভুমি থেকে উদ্গত করি; এবং তা থেকে নিকৃষ্ট বস্তু (আল্লাহ্‌র পথে) ব্যয় করার সংকল্প করো না; (যদি তোমাদেরকে তা দেয়া হয় তবে) তাতে চক্ষু বন্ধ করা ব্যতীত তোমরা নিজেরা তা কখনো গ্রহণ করবে না। আর জেনে রেখো যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ অমুখাপেক্ষী, সকল প্রশংসা ও স্তুতির অধিকারী।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৬৮

اَلشَّیۡطٰنُ یَعِدُکُمُ الۡفَقۡرَ وَ یَاۡمُرُکُمۡ بِالۡفَحۡشَآءِ ۚ وَ اللّٰہُ یَعِدُکُمۡ مَّغۡفِرَۃً مِّنۡہُ  وَ فَضۡلًا ؕ وَ اللّٰہُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۲۶۸﴾ۖۙ


📕কানযুল ঈমান


২৬৮. শয়তান তোমাদেরকে ভয় দেখায় দারিদ্রের আর নির্দেশ দেয় লজ্জাহীনতার এবং আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ক্ষমা ও অনুগ্রহের; আর আল্লাহ্‌ প্রাচুর্যময়, জ্ঞানময়।


📗ইরফানুল কুরআন


২৬৮. শয়তান তোমাদেরকে (আল্লাহ্‌র পথে ব্যয় করা থেকে প্রতিহত করার নিমিত্তে) দারিদ্রের ভয় দেখায় এবং নির্লজ্জতার নির্দেশ দেয়। পক্ষান্তরে আল্লাহ্ তোমাদেরকে তাঁর ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। আর আল্লাহ্ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৬৯

یُّؤۡتِی الۡحِکۡمَۃَ مَنۡ یَّشَآءُ ۚ وَ مَنۡ یُّؤۡتَ الۡحِکۡمَۃَ فَقَدۡ اُوۡتِیَ خَیۡرًا کَثِیۡرًا ؕ وَ مَا یَذَّکَّرُ  اِلَّاۤ  اُولُوا الۡاَلۡبَابِ ﴿۲۶۹﴾


📕কানযুল ঈমান


২৬৯. আল্লাহ্‌ হিকমত প্রদান করেন যাকে চান, এবং যে ব্যক্তি হিকমত প্রদত্ত হয়েছে সে প্রভূত কল্যাণ প্রাপ্ত হয়েছে আর উপদেশ মানে না কিন্তু বোধশক্তিসম্পন্ন লোকেরা।


📗ইরফানুল কুরআন


২৬৯. তিনি যাকে ইচ্ছা প্রজ্ঞা দান করেন, আর যাকে (বিচারবুদ্ধি ও) প্রজ্ঞা প্রদান করা হয় তাকে প্রভুত কল্যাণ দান করা হয়। আর কেবল বুদ্ধিমান ও জ্ঞানীরাই উপদেশ গ্রহণ করে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৭০

وَ مَاۤ اَنۡفَقۡتُمۡ مِّنۡ نَّفَقَۃٍ اَوۡ نَذَرۡتُمۡ مِّنۡ نَّذۡرٍ فَاِنَّ اللّٰہَ یَعۡلَمُہٗ ؕ وَ مَا لِلظّٰلِمِیۡنَ مِنۡ  اَنۡصَارٍ ﴿۲۷۰﴾


📕কানযুল ঈমান


২৭০. এবং তোমরা যা ব্যয় করবে কিংবা মান্নত করবে আল্লাহ্‌র নিকট সেটার খবর আছে; এবং অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই।


📗ইরফানুল কুরআন


২৭০. আর তোমরা যা কিছুই ব্যয় করো অথবা তোমরা যা কিছুই মান্নত করো, আল্লাহ্ তা অবশ্যই জানেন। আর যালিমদের জন্যে কোনো সাহায্যকারী নেই।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৭১

اِنۡ تُبۡدُوا الصَّدَقٰتِ فَنِعِمَّا ہِیَ ۚ وَ اِنۡ تُخۡفُوۡہَا وَ تُؤۡتُوۡہَا الۡفُقَرَآءَ فَہُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ ؕ وَ یُکَفِّرُ عَنۡکُمۡ مِّنۡ سَیِّاٰتِکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ خَبِیۡرٌ ﴿۲۷۱﴾


📕কানযুল ঈমান


২৭১. যদি দান-খায়রাত প্রকাশ্যে করো তবে তা কতোই ভালো কথা আর যদি গোপনে অভাবগ্রস্থদেরকে দান করো তবে তা তোমাদের জন্য সবচেয়ে উত্তম। এবং এতে তোমাদের কিছু পাপ মোচন হবে। আর আল্লাহ্‌ তোমাদের কার্যাদি সম্পর্কে অবহিত।


📗ইরফানুল কুরআন


১৭১.  যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান করো তবে তাও উত্তম (এর মাধ্যমে অন্যান্যরা উদ্বুদ্ধ হবে); আর যদি তা গোপন রাখো এবং অভাবগ্রস্তের কাছে পৌঁছে দাও তবে তোমাদের জন্যে তা (আরো) উত্তম; এবং (এ দানের কারণে) আল্লাহ্ তোমাদের কিছু পাপ মোচন করে দেবেন। আর আল্লাহ্ তোমাদের সমস্ত কর্মকান্ড সম্পর্কে অবগত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৭২

لَیۡسَ عَلَیۡکَ ہُدٰىہُمۡ وَ لٰکِنَّ اللّٰہَ یَہۡدِیۡ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ فَلِاَنۡفُسِکُمۡ ؕ وَ مَا تُنۡفِقُوۡنَ اِلَّا ابۡتِغَآءَ وَجۡہِ اللّٰہِ ؕ وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ یُّوَفَّ اِلَیۡکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ لَا تُظۡلَمُوۡنَ ﴿۲۷۲﴾


📕কানযুল ঈমান


২৭২. তাদেরকে পথ প্রদান করা (হে হাবিব!) আপনার দায়িত্বে অপরিহার্য নয়। হ্যাঁ, আল্লাহ্‌ পথ প্রদান করেন যাকে চান। আর তোমরা যে উত্তম বস্তু দান করো, তা তোমাদেরই মঙ্গল এবং তোমাদের ব্যয় করা উচিত নয়, কিন্তু আল্লাহ্‌রই সন্তুষ্টি চাওয়ার উদ্দেশ্যে আর যে সম্পদ দেবে, তোমাদেরকে পুরোপুরি (বিনিময়) দেয়া হবে, কম দেয়া হবে না।


📗ইরফানুল কুরআন


২৭২. তাদের হেদায়াত প্রাপ্তির দায় আপনার নয়, বরং আল্লাহ্ই যাকে ইচ্ছা হেদায়াতের মাধ্যমে অনুগ্রহ করেন। আর তোমরা যে সম্পদই ব্যয় করো তা নিজেদের উপকারের জন্যেই করো; এবং আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি ব্যতীত তোমাদের ব্যয় করা সমীচিনই নয়। তোমরা যে সম্পদই ব্যয় করবে তোমাদেরকে (তার প্রতিদান) পুরোপুরি দেয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি কোনো অন্যায় করা হবে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৭৩

لِلۡفُقَرَآءِ الَّذِیۡنَ اُحۡصِرُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ لَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ ضَرۡبًا فِی الۡاَرۡضِ ۫ یَحۡسَبُہُمُ الۡجَاہِلُ اَغۡنِیَآءَ مِنَ التَّعَفُّفِ ۚ تَعۡرِفُہُمۡ بِسِیۡمٰہُمۡ ۚ لَا یَسۡـَٔلُوۡنَ النَّاسَ اِلۡحَافًا ؕ وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ فَاِنَّ اللّٰہَ بِہٖ عَلِیۡمٌ ﴿۲۷۳﴾


📕কানযুল ঈমান


২৭৩. ওই দারিদ্র লোকদের জন্য যারা আল্লাহ্‌র পথে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে, ভূপৃষ্ঠে চলতে পারে না; অজ্ঞ লোকেরা তাদেরকে ধনী বুঝে থাকে (যাচ্ঞা করে থেকে) বিরত থাকার কারণে। তুমি তাদেরকে তাদের বাহ্যিক আকৃতি দেখে চিনে নেবে। (তারা) মানুষের নিকট যাচ্ঞা করে না যাতে অতি কাকুতি মিনতি করতে হয়। আর তোমরা যা দান করো আল্লাহ্‌ তা জানেন।


📗ইরফানুল কুরআন


২৭৩. (দান-খয়রাত) সেসব অভাবগ্রস্তদের অধিকার যারা আল্লাহ্‌র পথে ব্যাপৃত, (ফলে জীবিকা উপার্জনে বাধাগ্রস্ত। ধর্মীয় বিষয়ে সর্বদা ব্যাপৃত থাকার কারণে) তারা পৃথিবীতে জীবিকার সন্ধানে ঘুরাফেরাও করতে পারে না। (অন্যের মুখাপেক্ষী এবং) লালসা থেকে বিরত থাকায় (তারা তাদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে বেখবর,) অজ্ঞ লোকেরা মনে করে তারা অভাবমুক্ত। আপনি তাদের লক্ষণ দেখে তাদেরকে চিনতে পারবেন। তারা মানুষের নিকট কাকুতি-মিনতি করে (সাহায্য) ভিক্ষা করে না। আর তোমরা যে সম্পদই (আল্লাহ্‌র পথে) ব্যয় করো, অবশ্যই আল্লাহ্ তা পরিজ্ঞাত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৭৪

اَلَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَہُمۡ بِالَّیۡلِ وَ النَّہَارِ سِرًّا وَّ عَلَانِیَۃً فَلَہُمۡ اَجۡرُہُمۡ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ ۚ وَ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا ہُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ ﴿۲۷۴﴾ؔ


📕কানযুল ঈমান


২৭৪. ওই সব লোক, যারা নিজেদের ধন সম্পদ দান করে রাতে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে তাদের জন্য তাদের পূণ্যফল রয়েছে তাদের রবের নিকট। তাদের না কোন আশংকা আছে, না কোন দুঃখ।


📗ইরফানুল কুরআন


২৭৪. যারা নিজেদের সম্পদ (আল্লাহ্‌র পথে) ব্যয় করে রাতে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে, তাদের জন্যে তাদের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে প্রতিদান। আর (কিয়ামতের দিন) তাদের না থাকবে কোনো ভয়, আর তারা না হবে চিন্তিত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৭৫

اَلَّذِیۡنَ یَاۡکُلُوۡنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوۡمُوۡنَ اِلَّا کَمَا یَقُوۡمُ الَّذِیۡ یَتَخَبَّطُہُ الشَّیۡطٰنُ مِنَ الۡمَسِّ ؕ ذٰلِکَ بِاَنَّہُمۡ قَالُوۡۤا اِنَّمَا الۡبَیۡعُ مِثۡلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللّٰہُ الۡبَیۡعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا ؕ فَمَنۡ جَآءَہٗ مَوۡعِظَۃٌ مِّنۡ رَّبِّہٖ فَانۡتَہٰی فَلَہٗ مَا سَلَفَ ؕ وَ اَمۡرُہٗۤ اِلَی اللّٰہِ ؕ وَ مَنۡ عَادَ فَاُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ ﴿۲۷۵﴾


📕কানযুল ঈমান


২৭৫. ওই সব লোক, যারা সুদ খায় ক্বিয়ামতের দিন (তারা) দাঁড়াবে না, কিন্তু যেমন দাঁড়ায় সেই ব্যক্তি যাকে শয়তান (জিন) স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে। এটা এ জন্য যে, তারা বলেছে, ‘বেচাকেনাও তো সুদেরই মতো’। আর আল্লাহ্‌ হালাল করেছেন বেচা কেনাকে এবং হারাম করেছেন সুদকে। সুতরাং যার কাছে তার রবের নিকট থেকে উপদেশ এসেছে আর সে বিরত রয়েছে, তবে তার জন্য হালাল যা পূর্বে নিয়েছিলো; এবং তার কাজ আল্লাহ্‌রই সোপর্দকৃত। আর যে এখন এমন আচরণ করবে, তবে তারা দোযখবাসী, তারা সেখানে দীর্ঘস্থায়ী হবে।


📗ইরফানুল কুরআন


২৭৫. যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতে) দণ্ডায়মান হবে (জ্বিন) শয়তানের স্পর্শে উন্মাদ ব্যক্তির ন্যায়। তা এ কারণে যে, তারা বলতো, ‘(ক্রয়-বিক্রয়) ব্যবসাও সুদের মতোই’; অথচ আল্লাহ্ ক্রয়-বিক্রয়কে করেছেন বৈধ এবং সুদকে করেছেন অবৈধ। অতঃপর যার নিকট তার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে উপদেশ আসার পর (সুদ থেকে) বিরত হয়েছে, পূর্বে যা গত হয়েছে তা তারই। আর এ বিষয়টি আল্লাহ্‌র নিকট সমর্পিত। আর যারা তারপরও এর পুনরাবৃত্তি করছে, তারা জাহান্নামের অধিবাসী, তারা তাতে চিরকাল থাকবে।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৭৬

یَمۡحَقُ اللّٰہُ الرِّبٰوا وَ یُرۡبِی الصَّدَقٰتِ ؕ وَ اللّٰہُ  لَا یُحِبُّ کُلَّ  کَفَّارٍ اَثِیۡمٍ ﴿۲۷۶﴾


📕কানযুল ঈমান


২৭৬. আল্লাহ্‌ ধ্বংস করেন সুদকে এবং বর্ধিত করেন দানকে। আর আল্লাহ্‌র নিকট পছন্দনীয় নয় কোন অকৃতজ্ঞ, মহাপাপী। 


📗ইরফানুল কুরআন


২৭৬. আর আল্লাহ্ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন (অর্থাৎ সুদের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ থেকে বরকতকে বিলীন করে দেন) এবং দান-খয়রাতকে বৃদ্ধি করেন (অর্থাৎ সাদকাহর মাধ্যমে সম্পদের বরকতকে বৃদ্ধি করেন)। আর আল্লাহ্ কোনো অকৃতজ্ঞ নাফরমানকেই পছন্দ করেন না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৭৭

اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَوُا الزَّکٰوۃَ لَہُمۡ اَجۡرُہُمۡ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ ۚ وَ لَا خَوۡفٌ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا ہُمۡ  یَحۡزَنُوۡنَ ﴿۲۷۷﴾


📕কানযুল ঈমান


২৭৭. নিশ্চয় ওই সব লোক, যারা ঈমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, নামায কায়েম করেছে এবং যাকাত দিয়েছে, তাদের পুরষ্কার তাদের রবের নিকট রয়েছে আর তাদের না কোন শংকা থাকবে, না কোন দুঃখ।


📗ইরফানুল কুরআন


২৭৭. নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়, তাদের জন্যে তাদের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে তাদের প্রতিদান। আর (পরকালে) তাদের না হবে কোনো ভয়, আর তারা না হবে চিন্তিত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৭৮

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰہَ وَ ذَرُوۡا مَا بَقِیَ مِنَ الرِّبٰۤوا اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿۲۷۸﴾


📕কানযুল ঈমান


২৭৮. হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্‌কে ভয় করো এবং ছেড়ে দাও যা বাকী রয়েছে সুদের, যদি মুসলমান হও। 


📗ইরফানুল কুরআন


২৭৮. হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো এবং সুদের যা অবশিষ্ট রয়ে গিয়েছে তা ছেড়ে দাও; যদি তোমরা (খাঁটি অন্তরে) ঈমান আনয়ন করে থাকো।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৭৯

فَاِنۡ لَّمۡ تَفۡعَلُوۡا فَاۡذَنُوۡا بِحَرۡبٍ مِّنَ اللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ ۚ وَ  اِنۡ تُبۡتُمۡ  فَلَکُمۡ رُءُوۡسُ اَمۡوَالِکُمۡ ۚ لَا تَظۡلِمُوۡنَ وَ لَا تُظۡلَمُوۡنَ ﴿۲۷۹﴾


📕কানযুল ঈমান


২৭৯. অতঃপর যদি তোমরা অনুরুপ না করতে পারো, তবে নিশ্চিত বিশ্বাস করে নাও, আল্লাহ্‌ ও আল্লাহ্‌র রসূলের সাথে যুদ্ধের এবং যদি তোমরা তাওবা করো, তবে নিজেদের মূলধন নিয়ে নাও। না তোমরা কারো ক্ষতি সাধন করবে, না তোমাদের ক্ষতি হবে।


📗ইরফানুল কুরআন


২৭৯. অতঃপর যদি তোমরা তা না করো, তবে আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর পক্ষ থেকে যুদ্ধ-ঘোষণায় সাবধান হও। আর যদি তোমরা তওবা করো তবে তোমাদের জন্যে তোমাদের মূলধন (বৈধ); তোমরা নিজেরা অত্যাচার করবে না এবং তোমরা অত্যাচারিতও হবে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৮০

وَ اِنۡ کَانَ ذُوۡ عُسۡرَۃٍ فَنَظِرَۃٌ اِلٰی مَیۡسَرَۃٍ ؕ وَ اَنۡ تَصَدَّقُوۡا خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ  کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۲۸۰﴾


📕কানযুল ঈমান


২৮০. এবং যদি ঋণ গ্রহীতা অভাবগ্রস্থ হয়, তবে তাকে অবকাশ দাও সচ্ছলতা (আসা) পর্যন্ত। এবং ঋণ তার উপর সম্পূর্ণ ছেড়ে দেয়া তোমাদের জন্য আরো কল্যাণকর, যদি জানো।


📗ইরফানুল কুরআন


২৮০. আর যদি ঋণগ্রহিতা অভাবগ্রস্ত হয় তবে স্বচ্ছলতা পর্যন্ত অবকাশ দেয়া উচিত। তবে (ঋণ) মওকুফ করে দেয়া তোমাদের জন্যে উত্তম, যদি তোমরা বুঝতে (যে, অভাবগ্রস্তের অন্তর জয় আল্লাহ্‌র দৃষ্টিতে কতোটা তাৎপর্যপূর্ণ)।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৮১

وَ اتَّقُوۡا یَوۡمًا تُرۡجَعُوۡنَ فِیۡہِ  اِلَی اللّٰہِ ٭۟ ثُمَّ تُوَفّٰی کُلُّ نَفۡسٍ مَّا کَسَبَتۡ وَ ہُمۡ لَا  یُظۡلَمُوۡنَ ﴿۲۸۱﴾


📕কানযুল ঈমান


২৮১. এবং ভয় করো ওই দিনকে, যেদিন আল্লাহ্‌র দিকে প্রর্ত্যাবর্তন করবে, আর প্রত্যেক আত্মাকে তার কর্মফল পুরোপুরি প্রদান করা হবে এবং তাদের উপর যুলুম করা হবে না।


📗ইরফানুল কুরআন


২৮১. আর ভয় করো সে দিনকে যেদিন তোমরা আল্লাহ্‌র নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে। অতঃপর প্রত্যেকেই তার কর্মের ফল পুরোপুরি পাবে এবং তাদের প্রতি কোনোরূপ যুলুম করা হবে না।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৮২

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا تَدَایَنۡتُمۡ بِدَیۡنٍ اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی فَاکۡتُبُوۡہُ ؕ وَ لۡیَکۡتُبۡ بَّیۡنَکُمۡ کَاتِبٌۢ بِالۡعَدۡلِ ۪ وَ لَا یَاۡبَ کَاتِبٌ اَنۡ یَّکۡتُبَ کَمَا عَلَّمَہُ اللّٰہُ فَلۡیَکۡتُبۡ ۚ وَ لۡیُمۡلِلِ الَّذِیۡ عَلَیۡہِ الۡحَقُّ وَ لۡیَتَّقِ اللّٰہَ رَبَّہٗ وَ لَا یَبۡخَسۡ مِنۡہُ شَیۡئًا ؕ فَاِنۡ کَانَ الَّذِیۡ عَلَیۡہِ الۡحَقُّ سَفِیۡہًا اَوۡ ضَعِیۡفًا اَوۡ لَا یَسۡتَطِیۡعُ اَنۡ یُّمِلَّ ہُوَ  فَلۡیُمۡلِلۡ وَلِیُّہٗ بِالۡعَدۡلِ ؕ وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی ؕ وَ لَا یَاۡبَ الشُّہَدَآءُ اِذَا مَا دُعُوۡا ؕ وَ لَا تَسۡـَٔمُوۡۤا اَنۡ تَکۡتُبُوۡہُ صَغِیۡرًا اَوۡ کَبِیۡرًا اِلٰۤی اَجَلِہٖ ؕ ذٰلِکُمۡ اَقۡسَطُ عِنۡدَ اللّٰہِ وَ اَقۡوَمُ لِلشَّہَادَۃِ وَ اَدۡنٰۤی اَلَّا تَرۡتَابُوۡۤا اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً حَاضِرَۃً  تُدِیۡرُوۡنَہَا بَیۡنَکُمۡ فَلَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَلَّا تَکۡتُبُوۡہَا ؕ وَ اَشۡہِدُوۡۤا اِذَا تَبَایَعۡتُمۡ ۪ وَ لَا یُضَآرَّ کَاتِبٌ وَّ لَا شَہِیۡدٌ ۬ؕ وَ  اِنۡ تَفۡعَلُوۡا فَاِنَّہٗ فُسُوۡقٌۢ بِکُمۡ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ وَ یُعَلِّمُکُمُ اللّٰہُ ؕ وَ اللّٰہُ بِکُلِّ شَیۡءٍ  عَلِیۡمٌ ﴿۲۸۲﴾


📕কানযুল ঈমান


২৮২. হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা একটা নির্দ্ধারিত সময়সীমা পর্যন্ত কোন ঋণের লেনদেন করো, তখন তা লিখে নাও এবং উচিত যেন তোমাদের মধ্যে কোন লেখক ঠিক ঠিক লিখে আর লেখক যেন লিখতে অস্বীকার না করে যেমন তাকে আল্লাহ্‌ শিক্ষা দিয়েছেন। সুতরাং তার সেটা লিখে দেয়া উচিত এবং যার উপর প্রাপ্য বর্তায় সে যেন লিখিয়ে যায় আর যেন আল্লাহ্‌কে ভয় করে, যিনি তার রব; এবং প্রাপ্য থেকে কিছু যেন না কমায়। অতঃপর যার উপর প্রাপ্য বর্তায় সে যদি নির্বোধ অথবা দূর্বল হয় কিংবা লিখতে না পারে, তবে তার অভিভাবক ন্যায্যভাবে লিখিয়ে দেবে এবং দু’জন সাক্ষী করে নাও নিজেদের পুরুষদের মধ্য হতে। অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না থাকে তবে একজন পুরুষ এবং দু’জন স্ত্রীলোক; এমন সাক্ষী যাদেরকে পছন্দ করো, যাতে স্ত্রীলোকদ্বয়ের মধ্যে একজন ভুলে গেলে সেই একজনকে অপরজন স্মরণ করিয়ে দেয় আর সাক্ষীদের যখন ডাকা হয় তখন আসতে যেন অস্বীকার না করে এবং এটাকে বিরক্তিবোধ মনে করো না যে, ঋণ ছোট হোক কিংবা বড়, সেটার মেয়াদ পর্যন্ত লিপিবদ্ধ করে নিতে। এটা আল্লাহ্‌র নিকট সঠিক ন্যায়ের কথা এর মধ্যে সাক্ষ্য খুব ঠিক থাকবে এবং এটা এ থেকে নিকটতর যে, তোমাদের সন্দেহের উদ্রেক হবে না; কিন্তু কোন নগদ ব্যবসা হাতে হাতে সম্পন্ন হলে তা না লিখার তোমাদের উপর গুনাহ্‌ নেই। আর যখন বেচাকেনা করো তখন সাক্ষী করে নাও, এবং না কোন লেখককে ক্ষতিগ্রস্থ করা হবে, না সাক্ষীকে (কিংবা না লেখক ক্ষতিগ্রস্থ করবে, না সাক্ষী) এবং তোমরা যারা এমন করো, তবে তোমাদের পাপ হবে আর আল্লাহ্‌কে ভয় করো এবং আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে শিক্ষা দেন। আর আল্লাহ্‌ সব কিছু জানেন।


📗ইরফানুল কুরআন


২৮২. হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা নির্ধারিত সময়ের জন্যে পরস্পরে কোনো ঋণের লেনদেন করো তখন তা লিপিবদ্ধ করে নিও; আর তোমাদের মাঝে কোনো লিপিবদ্ধকারী যেন ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে তা লিখে দেয় এবং লিখে দিতে অস্বীকার না করে। যেহেতু আল্লাহ্ তাকে শিক্ষা দিয়েছেন, অতঃপর সে যেন লিখে দেয় (অর্থাৎ শরয়ী ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী চুক্তিনামা লিপিবদ্ধ করার দায়িত্ব পরিপূর্ণ নিষ্ঠার সাথে আদায় করে)। (ঋণ) গ্রহীতা যেন বিষয়বস্তু বলে দেয় এবং তার প্রতিপালক আল্লাহ্কে ভয় করে, আর (লিখিয়ে নেয়ার সময় ঋণের অঙ্ক থেকে) এর কিছু কমবেশী না করে। অতঃপর ঋণ গ্রহীতার জন্যে আবশ্যক, সে যদি অবুঝ অথবা নাজুক অথবা নিজে বিষয়বস্তু লিখিয়ে নিতে সক্ষম না হয়, তবে তার অভিভাবক যেন ন্যায়সঙ্গতভাবে তা লিখিয়ে নেয়। আর তোমাদের মধ্য থেকে যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ করো (অর্থাৎ নির্ভরযোগ্য মনে করো) এমন দু’জন পুরুষ সাক্ষী রাখবে। যদি দু’জন পুরুষ পাওয়া না যায় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন নারী রাখবে, যাতে নারীদ্বয়ের একজন ভুলে গেলে অন্যজন তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে পারে। সাক্ষীদেরকে যখন (সাক্ষ্যের জন্যে) ডাকা হবে তখন যেন তারা অস্বীকার না করে। লেনদেন ছোট হোক বা বড় তা নির্ধারিত সময়সহ লিখে রাখতে আলস্য করো না। তোমাদের এ লিপিবদ্ধকরণ আল্লাহ্‌র নিকট ন্যায়ের অধিকতর নিকটবর্তী এবং সাক্ষ্য প্রমাণের জন্যে দৃঢ়তর; আর তোমরা যেন সন্দেহে পতিত না হও এটা তারও নিকটবর্তী। তবে তোমরা পরস্পরে নগদ যে লেনদেন সম্পাদন করছো তা লিপিবদ্ধ না করলে তোমাদের কোনো অপরাধ নেই। আর যখনই পরস্পরে ক্রয়-বিক্রয় করো তখন সাক্ষী রেখো। লিপিবদ্ধকারী এবং সাক্ষী যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আর যদি ক্ষতিগ্রস্ত করো তবে তা তোমাদের পক্ষে নির্দেশ লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে। আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো। আর আল্লাহ্ তোমাদেরকে (লেনদেনের বিষয়ে) শিক্ষা দেন এবং আল্লাহ্ সকল কিছু সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৮৩

وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ عَلٰی سَفَرٍ وَّ لَمۡ تَجِدُوۡا کَاتِبًا فَرِہٰنٌ مَّقۡبُوۡضَۃٌ ؕ فَاِنۡ اَمِنَ بَعۡضُکُمۡ بَعۡضًا فَلۡیُؤَدِّ الَّذِی اؤۡتُمِنَ اَمَانَتَہٗ وَ لۡیَتَّقِ اللّٰہَ رَبَّہٗ ؕ وَ لَا تَکۡتُمُوا الشَّہَادَۃَ ؕ وَ مَنۡ یَّکۡتُمۡہَا فَاِنَّہٗۤ اٰثِمٌ قَلۡبُہٗ ؕ وَ اللّٰہُ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ عَلِیۡمٌ ﴿۲۸۳﴾


📕কানযুল ঈমান


২৮৩. আর যদি তোমরা সফরে থাকো এবং লেখক না পাও, তবে বন্ধক থাকবে হাতে (অধিকারে) প্রদত্ত আর যদি তোমাদের মধ্যে একজনের উপর অপরের আস্থা থাকে, তবে যাকে সে আমানতদার মনে করেছিলো, সে যেন স্বীয় আমানত প্রর্ত্যার্পণ করে দেয় এবং (যেন) আল্লাহ্‌কে ভয় করে, যিনি তার রব। আর সাক্ষ্য গোপন করো না; এবং যে সাক্ষ্য গোপন করবে, তবে ভিতরের দিক থেকে তার অন্তর গুনাহ্‌গার; আর আল্লাহ্‌ তোমাদের কার্যাদি সম্পর্কে জানেন।


📗ইরফানুল কুরআন


২৮৩. আর যদি তোমরা সফরে থাকো এবং কোনো লিপিবদ্ধকারী না পাও তবে বন্ধক রাখা বৈধ। অতঃপর যদি তোমাদের একে অপরের প্রতি আস্থা থাকে, তবে যার সততার প্রতি বিশ্বাস করা হয়েছে সে যেন স্বীয় আমানত প্রত্যর্পণ করে এবং আল্লাহ্কে ভয় করে, যিনি তার প্রতিপালক। তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না, আর যে ব্যক্তি সাক্ষ্য গোপন করে অবশ্যই তার অন্তর অপরাধী। আর আল্লাহ্ তোমাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে সম্যক অবগত।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৮৪

لِلّٰہِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ وَ اِنۡ تُبۡدُوۡا مَا فِیۡۤ  اَنۡفُسِکُمۡ اَوۡ تُخۡفُوۡہُ یُحَاسِبۡکُمۡ بِہِ  اللّٰہُ ؕ فَیَغۡفِرُ   لِمَنۡ یَّشَآءُ  وَ یُعَذِّبُ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ  قَدِیۡرٌ ﴿۲۸۴﴾


📕কানযুল ঈমান


২৮৪. আল্লাহ্‌রই, যা কিছু আস্‌মানসমূহে রয়েছে, এবং যা কিছু যমীনে। আর যদি তোমরা প্রকাশ করো যা কিছু তোমাদের অন্তরে রয়েছে কিংবা গোপন করো, আল্লাহ্‌ তোমাদের থেকে সেটার হিসাব নেবেন। অতঃপর যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন আর যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেবেন। এবং আল্লাহ্‌ প্রত্যেক বস্তুর উপর শক্তিমান।


📗ইরফানুল কুরআন


২৮৪. যা কিছু আকাশমন্ডলীতে এবং যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে সবকিছুই আল্লাহ্‌র জন্যে। তোমাদের অন্তরে যা রয়েছে তা প্রকাশ করো অথবা গোপন করো, আল্লাহ্ তোমাদের থেকে তার হিসেব গ্রহণ করবেন। অতঃপর তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেবেন। আর আল্লাহ্ সকল কিছুর উপর সর্বময় ক্ষমতাবান।


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৮৫

اٰمَنَ الرَّسُوۡلُ بِمَاۤ  اُنۡزِلَ اِلَیۡہِ مِنۡ رَّبِّہٖ وَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ؕ کُلٌّ اٰمَنَ بِاللّٰہِ وَ مَلٰٓئِکَتِہٖ وَ کُتُبِہٖ وَ رُسُلِہٖ ۟ لَا نُفَرِّقُ بَیۡنَ  اَحَدٍ مِّنۡ رُّسُلِہٖ ۟ وَ قَالُوۡا سَمِعۡنَا وَ اَطَعۡنَا ٭۫ غُفۡرَانَکَ رَبَّنَا وَ اِلَیۡکَ الۡمَصِیۡرُ ﴿۲۸۵﴾


📕কানযুল ঈমান


২৮৫. রসূল ঈমান এনেছেন সেটার উপর, যা তাঁর রবের নিকট থেকে তাঁর উপর অবতীর্ণ হয়েছে এবং মু’মিনগণও। সবাই মেনে নিয়েছে আল্লাহ্‌, তাঁর ফিরিশ্‌তাগণ, তাঁর কিতাবসমুহ এবং তাঁর রসূলগণকে এ কথা বলে যে, ‘আমরা তাঁর কোন রসুলের উপর ঈমান আনার মধ্যে তারতম্য করিনা’ আর আরয করেছে- ‘আমরা শুনেছি ও মান্য করেছি। তোমার ক্ষমা হোক!’ হে আমাদের রব এবং তোমারই দিকে প্রর্ত্যাবর্তন করতে হবে।’


📗ইরফানুল কুরআন


২৮৫. (তিনি) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) বিশ্বাস স্থাপন করেছেন (অর্থাৎ এর সত্যায়ন করেছেন) যা কিছু তাঁর প্রতি তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং ঈমানদারগণও সকলেই (অন্তর থেকে) আল্লাহ্তে, তাঁর ফেরেশতাগণে, তাঁর কিতাবসমূহে এবং তাঁর রাসূলগণে বিশ্বাস স্থাপন করেছেন। (অধিকন্তু বলেন,) ‘আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে (ঈমান আনয়নের ক্ষেত্রে) কোনো পার্থক্য করি না’। আর (আল্লাহ্‌র সমীপে) আরয করেন, ‘আমরা (তোমার নির্দেশ) শুনেছি এবং আনুগত্য (গ্রহণ) করেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমার ক্ষমা অন্বেষণকারী। আর তোমারই দিকে (আমাদের সকলের) প্রত্যাবর্তন।’


🕋 আল বাকারাহ  আয়াত নং : ২৮৬

لَا یُکَلِّفُ اللّٰہُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَہَا ؕ لَہَا مَا کَسَبَتۡ وَ عَلَیۡہَا مَا اکۡتَسَبَتۡ ؕ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَاۤ  اِنۡ نَّسِیۡنَاۤ  اَوۡ اَخۡطَاۡنَا ۚ رَبَّنَا وَ لَا  تَحۡمِلۡ عَلَیۡنَاۤ  اِصۡرًا کَمَا حَمَلۡتَہٗ عَلَی الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِنَا ۚ رَبَّنَا وَ لَا  تُحَمِّلۡنَا مَا لَا طَاقَۃَ لَنَا بِہٖ ۚ وَ اعۡفُ عَنَّا ٝ وَ اغۡفِرۡ لَنَا ٝ وَ ارۡحَمۡنَا ٝ اَنۡتَ مَوۡلٰىنَا فَانۡصُرۡنَا عَلَی الۡقَوۡمِ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۲۸۶﴾


📕কানযুল ঈমান


২৮৬. আল্লাহ্‌ কোন আত্মার উপর বোঝা অর্পন করেন না, কিন্তু তার সাধ্য পরিমাণ। তার জন্য কল্যাণ- যেই পুণ্য সে উপার্জন করেছে, আর তার জন্য ক্ষতি- যেই মন্দ সে উপার্জন করেছে। হে আমাদের রব! আমাদেরকে পাকড়াও করো না যদি আমরা বিস্মৃত হই কিংবা ভুল করি। হে আমাদের রব! এবং উপর ভারী বোঝা রেখোনা, যেমন তুমি আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর রেখেছিলে। হে আমাদের রব! এবং আমাদের উপর ঐ বোঝা অর্পণ করো না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই; আর আমাদের পাপ মোচন করো, আমাদেরকে ক্ষমা করো এবং আমাদের উপর দয়া করো। তুমি আমাদের মুনিব। সুতরাং কাফিরদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করো।


📗ইরফানুল কুরআন


২৮৬. আল্লাহ্ কোনো সত্তাকেই তার সামর্থের অধিক বোঝা অর্পণ করেন না। সে তারই প্রতিদান পাবে যে পূণ্য সে অর্জন করেছে এবং তারই শাস্তি সে পাবে যে মন্দ সে অর্জন করেছে। ‘হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমরা ভুলে যাই অথবা ত্রুটি করে বসি, তবে আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের লালনপালনকারী! আমাদের উপর ওরকম বোঝাও চাপিয়ে দিও না যেরকম চাপিয়ে দিয়েছিলে আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উপর এরকম গুরু দায়িত্ব অর্পণ করো না, যা বহনের ক্ষমতা আমাদের নেই। আর আমাদের (পাপসমূহ) উপেক্ষা করো এবং আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও। আর আমাদের উপর অনুগ্রহ করো। তুমিই আমাদের অভিভাবক, সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে বিজয় দান করো।’

Top