❏ মৃত ব্যক্তির জন্য জিবীতরা ক্ষমা প্রার্থনা করা


আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের দৃষ্টিতে জিবীত লোকের দোয়া ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তিরা উপকৃত হয়। এ কারণেই মহান শ্রষ্টা আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে মৃতদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন। যেমনঃ


❍ এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে,

رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ

-“হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে ক্ষমা করে দিন এবং অন্য সকল মুসলমানকেও ক্ষমা করে দেন যেদিন হিসাব-নিকাশ নেওয়া হবে।” (সূরা ইব্রাহিম: ৪১ নং আয়াত)


এই আয়াত দ্বারা সু-স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, সন্তানের দোয়ার মাধ্যমে তার পিতা-মাতা ও এক মুসলমানের দোয়ায় অন্য মুসলমান কবর জগৎ থেকেও উপকৃত হবে। 


❍ এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের আরেকটি আয়াতে উল্লেখ আছে,

وَالَّذِينَ جَاءُوا مِنْ بَعْدِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ

-“আর যে সকল লোকেরা তাদের পরে এসেছে তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের ঐসব ভাইদেরকেও ক্ষমা করুন যাঁরা ঈমানের সাথে চলে গেছেন।” (সূরা হাশর: ১০ নং আয়াত)


❍ পবিত্র কোরআনের আরেক জায়গায় পিতা-মাতার প্রতি দোয়া স্বয়ং শ্রষ্টা শিক্ষা দিয়েছেন। যেমন লক্ষ্য করুন,

وَقُلْ رَبِّ ارْحَمْهُما كَما رَبَّيانِي صَغِيراً -

“আর বল, হে পালনকর্তা! তাদের উভয়ের (পিতা-মাতার) প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।” (সূরা বনী ইসরাইল: ২৪ নং আয়াত)


এই আয়াতে পিতা-মাতা জিবীত বা মৃত সর্ব অবস্থায় তাদের জন্য দোয়া করার নির্দেশনা রয়েছে। আর আল্লাহর নির্দেশনা কখনো অমূলক হতে পারেনা। অবশ্যই সেই দোয়ার দ্বারা মৃত পিতা-মাতা উপকৃত হন। সুতরাং উল্লেখিত আয়াতদ্বয় দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, জীবিত লোকের দোয়ার মাধ্যমে মৃত ব্যক্তিরা কবর জগৎ থেকেও উপকৃত হবে। তাই এই বিষয়টাকে অস্বীকার করবে তারা পবিত্র কোরআনকে অস্বীকার করার কারণে কাফির হিসাবে গন্য হবে।

Top