❏ মৃতের নিকট কোরআন তেলাওয়াত করা
সময় সুযোগ হলে মৃত ব্যক্তি নিকটে বসে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা বিশেষ করে সূরা ইয়াছিন তেলাওয়াত করা উচিৎ। এতে মৃত ব্যক্তির অনেক আছান বা উপকার হয় এবং তেলাওয়াতকারী সওয়াব পাবে। যেমন হানাফী মাজহাবের ফতোয়া:
وَحُضُورُ أَهْلِ الْخَيْرِ وَالصَّلَاحِ مَرْغُوبٌ فِيهِ وَيُسْتَحَبُّ قِرَاءَةُ سُورَةِ يس عِنْدَهُ، كَذَا فِي شَرْحِ مُنْيَةِ الْمُصَلِّي لِابْنِ أَمِيرٍ الْحَاجِّ، وَيُحْضَرُ عِنْدَهُ مِنْ الطِّيبِ، كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ،
-“মৃত ব্যক্তির নিকট নেক বান্দাহ ও পুণ্যবান লোক হাজির থাকবে এবং তার নিকট বসে সূরা ইয়াছিন তেলাওয়াত করা মুস্তাহাব। ইহা শরহে মুনিয়াতুল মুছাল্লি কিতাবে উল্লেখ আছে- যা আমিরুল হাজ্ব কর্তৃক লিখা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নিকট খোশবু রাখা উচিৎ, ইহা যাহেদী কিতাবে আছে।”
তথ্যসূত্রঃ
(ফাতওয়ায়ে আলমগিরী, ১ম খন্ড, ১৭৩ পৃ:)
মৃত ব্যক্তির নিকট কোরআন পাঠের বিষয়টি মূলত রাসূলে পাক (ﷺ) এর হাদিস থেকেই প্রমাণিত। যেমন
❍ এ সম্পর্কে আল্লাহর নবী (ﷺ) বলেছেন,
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، وَلَيْسَ بِالنَّهْدِيِّ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اقْرَءُوهَا عِنْدَ مَوْتَاكُمْ، يَعْنِي يس
-“হজরত মাকিল ইবনে ইয়াছার (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: তোমরা তোমাদের মৃত লোকদের কাছে সূরা ইয়াছিন তেলাওয়াত কর।”
তথ্যসূত্রঃ
・সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ, ১০৫ পৃ: হাদিস নং ১৪৪৮
・আবু দাউদ শরীফ, হাদিস নং ২১৩১
・মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ২০৩০১
・ইমাম বায়হাক্বী: মারেফাতুস সুনান ওয়াল আছার, হাদিস নং ৭৩০৯
・ইমাম হাকেম: আল মুস্তাদরাক, হাদিস নং ২০৭৪
・ইমাম বায়হাক্বী: সুনানে কুবরা, হাদিস নং ৬৬০০
・ইমাম বায়হাক্বী: শুয়াইবুল ঈমান, হাদিস নং ২২৩০
・মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, হাদিস নং ১০৮৫৩
・খলিল আহমদ: বজলুল মাজহুদ, ১৪ তম জি: ৫৮ পৃ:
・ইমাম নিমাভী: আছারুছ ছুনান, ৩২৩ পৃ:
・ইমাম নাসাঈ: সুনানে কুবরা, হাদিস নং ১০৮৪৬
এই হাদিসের সনদে أَبِي عُثْمَانَ ‘আবী উছমান’ নামক একজন রাবী রয়েছে, যার সম্পর্কে লা-মাজহাবীরা বলে থাকেন যে, তিনি مجهول বা অপরিচিত রাবী। কিন্তু তাদের এ দাবী সঠিক নয়।
𓈃 কারণ হাফিজুল হাদিস ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله) তদীয় কিতাবে উল্লেখ করেন:
اسمه سعد. وقال أبو داود: هو أبو عثمان السَّلِّي. -
“তার নাম হচ্ছে: ‘সাদ’। ইমাম আজরী ইমাম আবু দাউদ (رحمة الله) থেকে বর্ণনা করেন: তিনি হলেন আবু উছমান আস সাল্লী।”
(হাফিজ ইবনে কাছির: তাকমিল ফি জারহে ওয়া তা’দিল, রাবী নং ২২১৮ ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৭৫০৬ খলিল আহজমদ: বজলুল মাজহুদ, ১৪তম জি: ৫৯ পৃ:)
وذكره ابن حبان في الثقات.
𓈃 “ইমাম ইবনে হিব্বান (رحمة الله) তাকে বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন।”
(হাফিজ ইবনে কাছির: তাকমিল ফি জারহে ওয়া তা’দিল, রাবী নং ২২১৮ ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৭৫০৬ খলিল আহমদ: বজলুল মাজহুদ, ১৪তম জি: ৫৯ পৃ: হাফিজ ইবনু হাজার: তাহজিবুত তাহজিব, ৮ম খন্ড, ২৮৪ পৃ:)
𓈃 হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله) তাকে مقبول মাকবুল বা গ্রহণযোগ্য রাবী বলেছেন।
(হাফিজ ইবনে হাজার: তাকরীবুত তাহজিব, রাবী নং ৮২৪০)
এ কারণেই ইমাম মাকদেছী (رحمة الله) হাদিসটিকে হাছান বলেছেন। (ছিলছিলায়ে আহাদিসুদ দায়িফা, ৫৪৬১ হাদিসের ব্যাখ্যায়)
দেখুন! যাকে ইমাম আবু দাউদ (رحمة الله) চিনেন, ইমাম ইবনে হিব্বান (رحمة الله) তাঁকে চিনেন ও বিশ্বস্ত বলেছেন। হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله) তার নাম উল্লেখ করে مقبول মাকবুল বলেছেন।
অথচ লা-মাজহাবীরা বলে দিলেন তাকে আমরা চিনিনা!! বড়ই আশ্চর্য ব্যাপার! তাই লা-মাজহাবীদের প্রপাগন্ডা আর মিথ্যাচার শুনে নিজেদের আমল নস্ট করার কোন ইস্যু নেই।
❍ বিষয়টি বুঝার সুবিধার্থে আরো কয়েকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করছি:-
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ، أَخْبَرَنا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، حدثنا أَبُو مُسْلِمٍ إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، حدثنا أَبُو عُمَرَ الضَّرِيرُ، حدثنا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ الْمُزَنِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ قَرَأَ يس ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ فَاقْرَءُوهَا عِنْدَ مَوْتَاكُمْ
-“হজরত মাকিল ইবনে ইয়াছার (رضي الله عنه) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন: যে সূরা ইয়াছিন তেলাওয়াত করবে আল্লাহ তার চেহাড়া উজ্জল করবে এবং তার অতীতের সকল গোনাহ্ মাফ করবেন। তোমরা সূরা ইয়াছিন মৃতের কাছে তেলাওয়াত করো।”
তথ্যসূত্রঃ
・ইমাম বায়হাক্বী: শুয়াইবুল ঈমান, হাদিস নং ২২৩১
・ইমাম মোল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ৫ম খন্ড, ৬৪ পৃ:
・মেসকাত শরীফ, হাদিস নং ২১৭৮
❍ ইমাম আব্দুর রঊফ আল-মানাভী (رحمة الله) তার ‘আত তাইছির’ গ্রন্থে হাদিসটিকে জয়ীফ বলেছেন, যা আমলের বেলায় যথেষ্ঠ। এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত লক্ষ্য করুন,
وَأَخْرَجَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا وَالدَّيْلَمِيُّ حَدَّثَنَا الْقَاضِي مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ ,ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بُنْدَارٍ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ أَبِي عُمَرَ، ثنا عَبْدُ الْمَجِيدِ بْنُ أَبِي رَوَّادٍ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا مِنْ مَيِّتٍ يَمُوتُ فَيُقْرَأُ عِنْدَهُ يس إِلَّا هَوِّنَ اللَّهُ عَلَيْهِ
“হজরত আবু দারদা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, আল্লাহর নবী (ﷺ) বলেছেন: মৃত ব্যক্তি মাথার নিকটে সূরা ইয়াছিন পাঠ করা হয় যেন তার জন্য সব কিছু সহজ করে দিবেন।”
তথ্যসূত্রঃ
・তারিখে ইসবাহান, ১ম খন্ড, ২২৯ পৃ:
・কাজী শাওকানী: নাইলুল আওতার, ১৩৬৯ নং হাদিসের ব্যাখ্যায় ইবনে আবী দুনিয়া, দায়লামী শরীফ
・খলিল আহমদ: বজলুল মাজহুদ, ১৪তম জি: ৫৯ পৃ:
・ইমাম মোল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১৬২২ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়
❍ এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত লক্ষ্য করুন,
وَأخرج أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن ماجة وَمُحَمّد بن نصر وَابْن حبَان وَالطَّبَرَانِيّ وَالْحَاكِم وَالْبَيْهَقِيّ فِي شعب الإِيمان أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَن معقل بن يسَار أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ: أَيْضًا يس قَلْبُ الْقُرْآنِ، لَا يَقْرَؤُهَا عَبْدٌ يُرِيدُ الدَّارَ الْآخِرَةَ إِلَّا غَفَرَ اللَّهُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ فَاقْرَءُوهَا عَلَى مَوْتَاكُمْ
“ইমাম আহমদ, ইমাম আবু দাউদ, ইমাম নাসাঈ, ইমাম ইবনে মাজাহ, ইমাম মুহাম্মদ ইবনে নাছর, ইমাম ইবনে হিব্বান, ইমাম তাবারানী, ইমাম হাকেম ও ইমাম বায়হাক্বী তার শুয়াবুল ঈমানে বর্ণনা করেছেন: হযরত মাকিল ইবনে ইয়াছার (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত নিশ্চয় আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন: এমনিভাবে সূরা ইয়াছিন কোরআনের ক্বাল্ব। আখেরাতের ধারপ্রান্তে এসে বান্দার কাছে ইহা পাঠ করা হয় একমাত্র আল্লাহর ক্ষমা লাভের আশায়, যেন তার পূর্বের সকল গোনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। তোমরা মৃত ব্যক্তির কাছে সূরা ইয়াছিন পাঠ করো।”
তথ্যসূত্রঃ
・মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ২০৩০০
・ইমাম নাসাঈ: সুনানে কুবরা, হাদিস নং ১০৮৪৭
・ইমাম তাবারানী: মুজামুল কবীর, হাদিস নং ৫১১
・হাফিজ ইবনে কাছির: জামেউল মাসানিদ ওয়াস সুনান, হাদিস নং ১০০৮৫
・ইমাম হায়ছামী: মাজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, হাদিস নং ১০৮১৬
・ইমাম ছিয়তী: তাফছিরে দুর্রে মানছুর, ৭ম খন্ড, ৩৭ পৃ: সূরা ইয়াছিনের শুরুতে
・কাজী শাওকানী: তাফছিরে ফাতহুল কাদীর, ৪র্থ খন্ড, ৪১১ পৃ:
・বজলুল মাজহুদ ফি হল্লে আবী দাউদ, ১৪তম জি: ৫৯ পৃ:
・ইমাম মোল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১৬২২ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়
・শাওকানী: নাইলুল আওতার, হাদিস নং ১৩৬৯
・ইমাম মারুজী: মুখতাছারু কিয়ামু লাইলী ওয়া কিয়ামু রমাদ্বান, ১ম খন্ড, ১৬৮ পৃ:
অতএব, মৃতের কাছে পবিত্র কোরআন তথা সূরা ইয়াছিন তেলাওয়াত করা সুন্নাহ সমর্থিত ও মুস্তাহাব, যা একাধিক রেওয়ায়েত দ্বারা প্রমাণিত।
❍ এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত লক্ষ্য করুন,
أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، ثنا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ ثنا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: سَأَلْتُ يَحْيَى بْنَ مَعِينٍ عَنِ الْقِرَاءَةِ عِنْدَ الْقَبْرِ فَقَالَ: حَدَّثَنَا مُبَشِّرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْحَلَبِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْعَلَاءِ بْنِ اللَّجْلَاجِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ لِبَنِيهِ:ৃ وَاقْرَءُوا عِنْدَ رَأْسِي أَوَّلَ الْبَقَرَةِ وَخَاتِمَتَهَا فَإِنِّي رَأَيْتُ ابْنَ عُمَرَ يَسْتَحِبُّ ذَلِكَ
“আব্বাস ইবনে মুহাম্মদ বলেন আমি ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন (رحمة الله) কে কবরের কাছে কোরআন পাঠ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি বলেন আমার কাছে মুবাশ্বির ইবনে ইসমাঈন হালাবী হাদিস বর্ণনা করেন, তিনি আব্দুর রহমান ইবনে আলা ইবনে লাজলাজ হতে, তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি কার সন্তানদেরকে বলতেন:... তোমরা আমার (মৃত্যুর পরে) মাথার কাছে কোরআন পাঠ করবে সূরা বাকারার প্রথম ও শেষ অংশ পড়বে। নিশ্চয় আমি হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) কে দেখেছি এরুপ করা পছন্দ করেছেন।”
তথ্যসূত্রঃ
・ইমাম বায়হাক্বী: সুনানু কুবরা, হাদিস নং ৭০৬৮
・ইমাম বায়হাক্বী: দাওয়াতুল কবীর, হাদিস নং ৬৩৮
𓈃 ইমাম বায়হাক্বী (رحمة الله) হাদিসের সনদ সম্পর্কে বলেন:
هذا موقوف حسن -“এই হাদিস মাওকুফ ও হাছান।” (ইমাম বায়হাক্বী: দাওয়াতুল কবীর, হাদিস নং ৬৩৮)
𓈃 এই রেওয়ায়েতে আব্দুর রহমান ইবনে আলা ইবনে লাজলাজ এর পিতা العلاء بن اللجلاج
‘আলা ইবনু লাজলাজ’ একজন تابعي، ثقة. বিশ্বস্ত তাবেঈ। তিনি নিজেই মৃত্যুর পর কোরআন তেলাওয়াত করা পছন্দ করতেন এবং সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه) এর রেফারেন্স দিয়ে ইহার উপর নির্দেশনা দিয়েছেন।
অতএব, মৃত ব্যক্তির লাশ গোসল দেওয়ার পরে তার কাছে বসে পবিত্র অবস্থায় কোরআন পাঠ করা একট অতি-উত্তম কাজ। এতে মৃত ব্যক্তি উপকৃত হবে ও কোরআন পাঠকারী সওয়াবের ভাগীদার হবেন।