কিতাবঃ তাকবিলুল ইবহামাইন
লেখকঃ কাজী মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম হাশেমী
টেক্সট রেডীঃ ডা. মাসুম বিল্লাহ সানি
অবতরণিকা
ইদানিং কুরআন, হাদিস, ফিক্বাহ্ ও ফতোয়ার জ্ঞানশূণ্য একজন নামধারী মৌলভী সাহেব বিভিন্ন জায়গায় তার ওয়াজ মাহফিলে আযানে প্রিয় নবীর নূরানী নাম মোবারক শুনে আঙ্গুলদ্বয় চুম্বন করে চোখে লাগানোকে কোন কিতাবে নাই বলে প্রচার করছে এবং চুম্বনকে কুকুরের বমি খাওয়ার মত ‘পশর পশর করা’ ইত্যাদি অশোভনীয় ভাষায় সমালোচনা করছে। যার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বহুদিন যাবত অনেক ধর্মভীরু সুন্নি মুসলমান, সরলমনা রাসূল প্রেমিক ঈমানদার আমাদেরকে এটা করা না করা সম্বন্ধে ধর্মসঙ্গত বিধান সাধারণ্যে প্রচার করার জন্য অনুরোধকরে আসছেন। তাই তাঁদের বারংবার অনুরোধে আমি নিজের স্বল্পজ্ঞান ও সময়ের স্বল্পতা সত্ত্বেও এই পুস্তিকাটি পাঠকদের খেদমতে পেশ করলাম। যেন প্রকৃত মাসয়ালাটি স্পষ্ট হয়ে যায়, নতুবা আদৌ পুস্তক প্রণয়নের সাধ ও সময় আমার নাই এবং আমি এই মহৎ কর্মের উপযুক্তও নয়। এটি দ্বারা আশেকে রাসূল ঈমানদারগণ সামান্যতম উপকৃত হলেও আমি আমার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে করবো। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার পথে আল্লাহর করুণাই আমার আত্মপ্রসাদ। দয়াময় আল্লাহ্ পাক আপন প্রিয় হাবিব (ﷺ)’র ওসীলায় এই ক্ষুদ্র পুস্তিকাটি কবুল করুন। আমিন!!!
ইতি-
কাজী মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম হাশেমী
ভূমিকা
اے اخی اے عاشق محبوب حق
اے ثنار طالب ومطلوب حق
হে ভ্রাতঃ! হে মাহবুবে খোদার প্রেমিক! হে খোদার প্রেমিক ও প্রেমাস্পদ নবীর প্রতি উৎসর্গিত।
جب سنے تونام پاک مصطفے
چوم انگٹھے اور انکھوں لگا
যখন তুমি প্রিয় পবিত্র নাম শুন, তখন স্বীয় আঙ্গুলি চুম্বন করে চোখে লাগাও।
پڑھ درودان پر بصیغۂ خطاب
آنکھیں تیری ھونگی نہ ہر گزخراب
তাঁকে সম্বোধন করতঃ দরূদ পাঠ কর; এর ফলে তোমার চোখ কখনো খারাপ হবে না।
ھونگے محشر میں شفیع و ہ بایقین
پھر خدا دیگاتجھے خلد بریں
তিনি অবশ্যই রোজ হাশরে তোমার জন্য সুপারিশকারী হবেন। অতঃপর আল্লামা তা’আলা তোমাকে চিরস্থায়ী জান্নাত দান করবেন।
جس نے تعظیم کی سن کی ان کا نام
اتش دوزخ ھوئی اس پر حرام
যে ব্যক্তি হযরতের পবিত্র নাম শুনে সম্মান প্রদর্শন করে, দোযখের আগুন তার জন্য হারাম হয়ে যায়।
ان کے تعظیم مؤمنوں پر فرض ھے
جونہ مانے اس کے دل میں مرض ھے
হযরতের (ﷺ) এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা মু’মিনদের উপর ফরয বা অবশ্য কর্তব্য। যে অস্বীকার করে তার অন্তরে অবশ্যই কপটতার ব্যাধি রয়েছে।
اے خدا اے بے نیاز وکار ساز
اے کریم من شہ بندہ نواز
হে আল্লাহ্! হে শানে বে নিয়াযীর মালিক, হে কর্ম সম্পাদনকারী, হে আমার দাতা দয়ালু, হে বান্দার লালন-পালনকারী।
رحم کن بھر حبیب مصطفے
از کرم تو عفوکن جرم وخطا
হে আল্লাহ্! মোমার প্রিয়তম মুস্তফা আলাইহিস সালাতু ওয়াস্ সালামের বদৌলতে আমার প্রতি দয়া কর, তোমার করুণা পরশে আমার অন্যায় অপরাধ ও গুনাহ মাফ কর।
یا رسو ل اللہ حبیب حق توئی
حق توئی بیشک توئی بر حق توئی
হে আল্লাহ্ রাসূল! আপনি হক তা’আলার হাবীব। আপনি সত্য, নিঃসন্দেহে আপনিই, আপনিই সত্যের মূর্ত প্রতীক।
رحمۃ للعالمین شان شھا
رحم کن برحال من بھر خدا
রজকীয় আপনার শান, হে রাহমাতুল্লাহি আলামীন! আল্লাহর ওয়াস্তে আমার অবস্থার প্রতি নজর করুন, রহম করুন।
ایک نظر بر ایں کمینہ اے کریم
کن طلب سوئے مدینہ اے کریم
অধমের প্রতি একবার কৃপাদৃষ্টি করুন। হে দয়ালু নবী! আমাকে মদীনায় ডেকে নিন।
اے شفیع من کرم بر ایں غلام
صدہزارں الصلوۃ والسلام
হে সুপারিশকারী! এই গোলামের প্রতি কৃপাদৃষ্টি করুন। আপনার প্রতি অসংখ্য সালাম ও সালাম।
بسم اللہ الرحمن الرحیم
الحمد للہ القادر القوی العزیز الغفار غافر الذنب وقابل التوب الکریم الستار واکرم الصلواۃ والسلام علی النبی المحتار سیدنا محمد صاحب العز والوقار وعلی الہ الاطہار واصابہ الاخیار وعلی من سلک مسالکہم الی یوم القرار اما بعد
আযানে হুযুরে পাক সাহেবে লওলাক হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ) এর নাম মুবারক শ্রবণকালে দরূদ শরীফ পড়া এভং বৃদ্ধাঙ্গুলিদ্বয় চুমো দিয়ে চক্ষুদ্বয়ে মসেহ্ করা জায়েজ ও মুস্তাহাব এবং এতে অনেক সওয়াব, রহমত ও বরকত রয়েছে। বলার সমর্থনে অনেক দলিল মওজুদ আছে। নাজায়েজ এর সমর্থনে কোন নিষেধাজ্ঞা নাই। পাঠক বৃন্দের খেদমতে জায়েজ সম্পর্কিত কতিপয় দলীল পেশ করা গেল।
১.মুফাস্সিরে কুরআন আল্লামা শায়খ ইসমাইল হক্কী (رحمة الله) প্রণীত সুবিখ্যাত আরবী তাফসীর রুহুল বয়াান এ বলেন-
وفی قصص الانبیاء وغیرہا ان ادم علیہ السلام اشتاق الی لقاء محمد صلی اللہ تعالی علیہ وسلم حین کان فی الجنۃ فاوحی اللہ تعالی الیہ ہو من صلبک ویظہر فی اخر الزمان فسال لقائ محمد صلی اللہ تعالی علیہ وسلم حین کان فی الجنۃ فاوحی اللہ تعالی الیہ فجعل اللہ النور المحمدی فی یدی الیمنی فسبح ذالک النور فلذالک سمیت تلک الاصبع مسبحۃ کما فی الروض الفائق واظہر اللہ تعالٰی جمال حبیبہ فی صفائ ظفری ابہامیہ مشل المراۃ فقبل ادم ظفری ابہامیہ ومسح علی عینیہ فصار اصلا لذریتہ فلما اخبر جبریل النبی صلی اللہ تعالی علیہ وسلم بہذہ القصۃ قال علیہ السلام من سمع اسمی فی الاذان فقبل ظہری ابہامیہ ومسح علی عینیہ لم یعم ابدًا
“কাসাসুল-আম্বিয়া এবং অন্যান্য কিতাবে আছে যে, বেহেশ্তে থাকাকালে হযরত আদম আলাইহিস্ সালামের মনে হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)’র সাক্ষাত লাভের আগ্রহ জন্মায়। তখন আল্লাহ্ তা’আলা হযরত আদম আলাইহিস্ সালামকে ওহীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন যে, তিনি তাঁর পৃষ্ঠদেশ হতে শেষ যমানায় আবির্ভূত হবেন। অতঃপর হযরত আদম (عليه السلام) হুযুর মুহাম্মদ (ﷺ)’র সাক্ষাৎ প্রার্থনা করলে আল্লাহ্ তা’আলা হযরত আদমের ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলী। (রওদুল ফায়েক) আল্লাহ্ তা’আলা আপন প্রিয় হাবীবের সৌন্দর্য-শোভা হযরত আদমের উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলীর নখে স্বচ্ছ আয়নার ন্যায় বিকশিত করলেন। এটা দেখে হযরত আদম (عليه السلام) স্বীয় উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলীর নখ চুম্বন করতঃ চোখে লাগালেন। অতঃপর এই সুন্নাত তাঁর বংশধরের মধ্যে প্রচলনের উৎস হয়ে গেল। হযরত জিব্রাইল আমীন আলাইহিস্ সালাম যখন এই ঘটনার সংবাদ দিলেন, তখন হুযুর (ﷺ) ইরশাদ ফরমালেন, যে ব্যক্তি আযানে আমার নাম শ্রবণ করে আপন বৃদ্ধাঙ্গুলীর নখ চুম্বন করেও চোখে লাগায় সে কখনও অন্ধ হবে না”। (রুহুল বয়ান ৪র্থ খন্ড ৬৪৯ পৃ.)
২. উক্ত তাফসীরে রুহুল বয়ান-এ আরও বিকৃতত হয়েছে:
در محیط اور دہ کہ پیغمبرصلی اللہ علیہ وسلم بمسجد درامدونزدیک ستون بنشست وصدیق رضی اللہ تعالی عنہ در برابر انحضرت نشستہ برد -بلال رضی اللہ عنہ برخواست وباذان اشتغال فرمود چون گفت اشھدان محمد رسول اللہ ابو بکر رضی اللہ تعالی عنہ ہردوناخن ابہامین خودرابرھر دوچشم خود نہادہ گفت قرۃ عینی بک یارسول اللہ چوں بلال رضی اللہ تعالی عنہ فارغ شد حضرت رسول اللہ صلی اللہ تعالی علیہ وسلم فرمود کہ یاابا بکر ہرک بکند چنین -کہ تو کردی خدائے بیامرذوگناہان جدید وقدیم اور اگر بعمد بودہ باشد اگر بخطا -
“মুহীত” কিতাবে উদ্ধৃত আছে যে, হযরত নবী করীম (ﷺ) মসজিদে নববীতে তাশরীফ এনে একটি স্তম্ভের কাছে উপবিষ্ট হলেন। তাঁর পাশে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (رضي الله عنه)ও বসা ছিলেন। ইত্যবসরে হযরত বিলাল (رضي الله عنه) আযান শুরু করে দিলেন। যখন اشہد ان محمد رسول اللہ (আশহাদু আন্না মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ্) উচ্চারণ করলেন, তখন হযরত সিদ্দিকে আকবর (رضي الله عنه) আপন বৃদ্ধাঙ্গুলীদ্বয়ের নখ চুম্বন করে আপন চক্ষুদ্বয়ের উপরে রেখে বললেন, قرۃ عینی بک یا رسول اللہ কুররাতু আইনী বিকা ইয়া রাসূলাল্লাহু (হে রাসূলাল্লাহ্! আপনি হোন আমার নয়নের শীতলতা) বিলালের আযান শেষ হওয়ার পর হুযুর পাক আলাইহ্সি সালাতু ওয়াস্সালাম ইরশাদ করলেন, হে আবু বকর! আপনি যা করেছেন তদানুরূপ যে ব্যক্তি করবে, আল্লাহ্ তা’আলা তার সমুদয় গুনাহ্ মাফ করে দেবেন। (রুহুল বয়ান ৪র্থ খন্ড ৬৪৮ পৃ.)
৩. উক্ত তাফসীরে আরও বর্ণিত আছে:
وحضرت شیخ امام ابو طالب محمد بن علی المکی رفع اللہ درجتہ درقوت القلوب روایت کردہ ازا بن عیینہ رحمۃ اللہ علیہ کہ حضرت پیغمبرعلیہ الصلوۃ والسلام بمسجد درامد دردہہ محرم وبعد ازانکہ نماز جمعہ ادافرمودہ بود نزدیک اسطوانہ قرار گرفت وابوبکر رضی اللہ تعالٰی عنہ بظہر ابہامین چشم خود را مسح کرد وگفت قرۃ عینی بک یارسو ل اللہ چون بلال رضی اللہ تعالٰی عنہ از اذان فراغتی روئے نمود حضرت رسو ل اللہ تعالٰی علیہ وسلم فرمودہ کہ اے ابا بکر ہر کہ بگوید انچہ تو گفتی ازروئے شوق بلقائے من وبکند انچہ تو کردی خدائے درگذاردگناھان وبرا انچہ باشد نود وکھنہ خطاوعمد ونھان واشکارا -
“হযরত শায়খ ইমাম আবু তালিব মুহাম্মদ বিন আলী মক্কী (আল্লাহ্ তাঁকে উচ্চ মর্দাদা দান করুন) স্বীয় কিতাব “কুতুল-কুলুব” এ ইবনে উয়াইনা (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন যে, হুযুর পুর নুর (ﷺ) জুমার নামায আদায় করবার জন্য ১০ই মুর্হরম তারিখে মসজিদে নববীতে তাশরীফ এনে একটি খুঁটির নিকটে বসলেন। হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) আযানে হুযুরের পাক নাম শুনে নিজের বৃদ্ধাঙ্গুলীদ্বয়ের নখ আপন চোখের উপরে মসেহ্ করলেন ও বললেন-
قرۃ عینی بک یا رسول اللہ
হযরত বিলাল (رضي الله عنه)র আযান শেষ হলে হুযুর আলাইহিস্ সালাম ফরমালেন: হে আবু বকর! যে কেউ আমর নাম শুনে আপনার ন্যায় উভয় হাতের আঙ্গুলী চোখের উপর মসেহ্ করে এবং আপনি যা বলেছেন তা বলে, তাহলে আল্লাহ্ তা’আলা তার নতুন-পুরাতন প্রকাশ্য-গুপ্ত যাবতীয় গুনাহ্ মাফ করে দিবেন। (রুহুল বয়ান ৪র্থ খন্ড, ৬৪৮ পৃ.)
৪. আল্লামা ইমাম শামসুদ্দীন (رحمة الله) দায়লমী (رحمة الله) এর বরাত দিয়ে উল্লেখ করেন যে, হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
لما سمع قول المؤذن اشہد ان محمدا رسول اللہ قال ہذا وقبل باطن الانملتین السبابتین ومسح علی عینیہ فقال صلی اللہ تعالٰی علیہ وسلم من فعل مثل ما فعل خلیلی فقد حلت لہ شفاعتی
“যখন মুয়ায্যিনকে اشہد ان محمد رسو اللہ বলতে শুনলেন তখন তিনিও তা বললেন এবং শাহাদাত আঙ্গুলীদ্বয়ের অভ্যন্তরাংশ চুম্বন করে চোখে লাগালেন। এতে হুযুর (ﷺ) ফরমালেন, যে আমার এই প্রিয়তমের কার্যের অনুরূপ করবে তার জন্য আমার শাফায়াত অবধারিত”। (আল মাকাসেদুল হাসানাহ্, ৩৮৪ পৃ.)
ইমাম সাখাভী (رحمة الله) হযরত আবুল আব্বাস আহমদ বিন আবী বকর (رحمة الله) হতে [তার রচিত কিতাব موجبات الرحمۃ وعزائم المغفرۃ হতে] উদ্ধৃত করেন যে, হযরত খিযির (عليه السلام) বলেন,
من قال حین یسمع المؤذن یقول اشہد ان محمدا رسو اللہ مرحبا بحبیبی وقرۃ عینی محمد ابن عبد اللہ ویقبل ابہامیہ ویجعلہما علی عینیہ لم یرمد ابدًا
“যে ব্যক্তি মুয়ায্যিন কর্তৃকاشہد ان محمد رسول اللہ শ্রবণ করে مرحبا بحبیبی وقرۃ عینی محمد ابن عبد اللہ বলে অতঃপর উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বনের পর নয়নযুগলে মসেহ্ করে তাহলে কোন সময় তার চোখ ব্যথা বেদনায় আক্রান্ত হবে না। (আল মাকাসিদুল হাসানাহ্, ৩৮৪ পৃ.)
৬. এই ইমাম সাখাভী ফকীহ্ মুহাম্মদ বিন সাঈদ খাওলীন (رحمة الله) হতে বর্ণনা করেন যে, সাইয়্যেদুনা হযরত ইমাম হাসান (رضي الله عنه) বলেন,
من قال حین یسمع المؤذن یقول اشہد ان محمدا رسول اللہ مرحبا بحبیبی وقرۃ عینی محمد ابن عبد اللہ صلی اللہ علیہ وسلم ویقبل ابہامیہ ویجعلہما علی عینیہ لم یعم ولم یرمد
“যে ব্যক্তি মুয়ায্যিনকে اشہد ان محمد رسول اللہ বাক্যটি বলতে শুনে مرحبا بحبیبی وقرۃ عینی محمد ابن عبد اللہ صلی اللہ علیہ وسلم বলে, তারপর উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন দিয়ে চোখের উপরে মসেহ্ করে সে কখনো অন্ধ হবে না এবং তার চোখ বেদনা-ক্লিষ্টও হবে না। (আল মাকাসিদুল হাসানাহ্, ৩৮৪ পৃ.)
৭. উক্ত ইমাম সাখাভী (رحمة الله) শামসুদ্দীন ইমাম মুহাম্মদ দবিন সালাহ্ মাদানী (رحمة الله) হতে [তার রচিত ইতিহাস হতে উদ্ধৃত করতঃ] বলেন, আমি পূণ্যাত্মা কামেল বান্দাগণের অন্যতম হযরত মাজ্দ মিসরীকে, তাঁকে বলতে শুনেছি যে,
من صلی علی النبی صلی اللہ تعالی علیہ وسلم اذا سمع ذکرہ فی الاذان وجمع اصبعیہ المسجد والابہام وقبلہما ومسح بہما علی عینیہ لم یرمد ابدًا
“যে ব্যক্তি আযানে নবী করীম (ﷺ)’র পবিত্র নাম শুনে দরূদ পাঠ করে এবং শাহাদত আঙ্গুলী ও বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করতঃ চুম্বন করতঃ চোখের উপর মাসেহ্ করে, কখনো তাহার চোখে যন্ত্রণা হবে না। (আল মাকাসেদুল হাসানাহ্, ৩৮৪ পৃ.)
৮. ইমাম সাখাভী (رحمة الله), ইমাম মুহাম্মদ বিন সালেহ্ (رحمة الله) এর রচিত ইতিহাস হতে নকল করে বলেন, ইরাকের বহু ধর্মবেত্তা হতে বর্ণিত হয়েছে যে, বৃদ্ধাঙ্গুরী চুম্বন করবার সময় নিম্নোক্ত দরূদ শরীফ পড়বে:
صلی اللہ علیک یاسیدی یارسول اللہ یا حبیب قلبی ویانور بصری ویاقرۃ عینی
এর ফলে আল্লাহর ইচ্ছায় তার চোখ কখনো যন্ত্রণা কাতর হবে না, এটা পরীক্ষিত। তারপর উক্ত ইমাম সাখাভী বলেন, এটা শুনবার পর হতে অধ্যাবধি আমি এই কল্যাণময় কাজটি করে আসছি। আজ পর্যন্ত আমার চোখ ব্যাথাক্লিষ্ট হয় নাই এবং ইনশাআল্লাহ্ হবেও না। (আল মাকাসেদুল হাসানাহ্)
৯. উক্ত ইমাম সাখাভী (رحمة الله) ইমাম তাউস (رحمة الله) হতে, তিনি খাজায়ে হাদীস মুহাম্মদ বিন আবী নসর বুখারী হতে নিম্নবর্ণিত হাদিসটি শুনেছেন:
من قبل عند سماعہ من المؤذن کلمۃ الشہادۃ ظفری ابہامیہ ومسحہما علی عینیہ وقال عند المسح اللہم احفظ حدقتی ونورہما ببرکۃ حدقتی محمد رسول اللہ صلی اللہ تعالٰی علیہ وسلم ونورہما لم یعم
“যে ব্যক্তি মুয়ায্যিন কর্তৃক উচ্চারিত কালেমায়ে শাহাদাত শ্রবণ করিয়া স্বীয় বৃদ্ধাঙ্গুলীর নখে চুম্বন দেয় ও উহা চোখে মসেহ্ করে আল এই দোয়া পড়ে,
اللہم احفظ حدقتی ونورہما ببرکۃ حدقتی محمد رسول اللہ صلی اللہ تعالی علیہ وسلم ونورہما
তবে সে কখনো অন্ধ হবে না। (আল মাকাসেদুল হাসানাহ্, ৩৮৫ পৃ.)
১০. শরহে বিকায়া কিতাবে আছে
واعلم انہ یستحب ان یقال عند سماع الاولی من الشہادۃ صلی اللہ علیک یا رسول اللہ وعند الثانیۃ منہا قرۃ عینی بک یارسول اللہ ثم یقال اللہم متعنی بالسمع والبصر بعد وضع ظفری الابہامین علی العینین فانہ صلی اللہ تعالٰی علیہ وسلم یکون لہ قائد الی الجنۃ
“জেনে রাখ, আযানের মধ্যে (রিসালাতের) প্রথম শাহাদাত শুনে صلی اللہ علیک یا رسول اللہ এবং দ্বিতীয়বারে শাহাদাত শুনে قرۃ عینی بک یا رسول اللہ বলা মুস্তাহাব। তারপর বৃদ্ধাঙ্গুলীর নখ চুম্বন করতঃ আপন চোখের উপর রেখে বলবে। اللہم متعنی بالسمع والبصر এরূপ আশলকারীকে হুযুর পাক (ﷺ) নিজের তত্ত্বাবধানে বেহেশ্তে নিয়ে যাবেন”।
১১. আল্লামা শামী (رحمة الله) উক্ত ইবারত রুদ্দুল মুহ্তারে লিখে বলেন,
کذا فی کنز العباد قہاستانی ونحوہ فی الفتاوی الصوفیۃ وفی کتاب الفردوس من قبل ظفری ابہامیہ عند سماع اشہد ان محمد رسول اللہ فی الاذان انا قائدہ ومدخلہ فی صفوف الجنۃ وتمامہ فی حواشی البحر للرملی
“অনুরূপ বর্ণনা ইমাম কাহেস্তানীর কিতাব ‘কানযুল ইবাদ’ এবং ফতওয়া-ই-সূফীয়া ও ‘কিতাবুল ফিরদাউস’ এর মত প্রভৃতি গ্রন্থে আছে, যে ব্যক্তি আযানে اشہد ان محمدا رسول اللہ শ্রবণ করে আপন বৃদ্ধাঙ্গুলীর নখ চুম্বন করে তাহার সম্বন্ধে হুযুর (ﷺ) বলেন, আমি তার অগ্রনায়ক হব তাকে বেহেশতে দাখিল করবো। এর বিশদ আলোচনা বাহরুর রায়িক এর হাশিয়া ‘রমলী’ দ্রষ্টব্য (রুদ্দুল মুহ্তার, ১ম খন্ড, ৩৭০ পৃ.)
১২. হানাফী ফকীহ্কুলের শিরোমণি আল্লামা তাহতীব (رحمة الله) শরহে মারাকীল ফালাহ্-এ এই ইবারত এবং দায়লমী বর্ণিত হযরত আবু বকর সিদ্দিক (رضي الله عنه) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস উদ্ধৃত করে বলেন,
وکذا روی عن الحضر علیہ السلام وبمثلہ یعمل فی الفضائل
“এবং হযরত খিদ্বির আলাইহিস্ সালাম হতেও অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে এবং আমলের ফযীলত বা গুরুত্বের ক্ষেত্রে এই সমস্ত হাদীস গ্রহণযোগ্য”। (তাহতীব, মারাকীল ফালাহ্, ১১১ পৃ.)
১৩. আল্লামা কাহেস্তানী ‘শরহে কবীর’ এ কানযুল ইবাদ হতে নকল করেন:
واعلم انہ یستحب عند سماع الاولی من الشہادۃ صلی اللہ علیک یا رسول اللہ وعند سماع الثانیۃ قرۃ عینی بک یارسول اللہ ثم یقال اللہم متعنی بالسمع والبصر بعد وضع ظفری الابہامین علی العینین فانہ صلی اللہ تعالٰی علیہ وسلم یکون قائد الہ الی الجنۃ
“জেনে রাখ, যে আযানে (রিসালাতের) প্রথম শাহাদাত শুনে صلی اللہ علیک یا رسول اللہ (ﷺ) এভং দ্বিতীয়বারের শাতাদাত শুনে قرۃ عینی بک یارسول اللہ (কুররাতু আইনী বিকা ইয়া রাসূলাল্লাহ্) বলা মুস্তাহাব। অতঃপর আপন বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন দিয়ে নিজের চোখের উপর রেখে বলবে اللہم متعنی بالسمع والبصر এরূপ আমলকারীকে হুযুর (ﷺ) নিজের পিছনে পিছনে বেহেশত নিয়ে যাবেন। (তাফসীরে রূহুল বয়ান, ৬৪৮ পৃ.)
শাফেয়ী ও মালেকী মাযহাবের বিখ্যাত কিতাব
১৪ ও ১৫. শাফেয়ী মাযহাবের বিখ্যাত কিতাব
اعانہ الطالبین علی حل الفاظ فتح المعین
এর ২৪৭ পৃ. এবং মালেকী মাযহাবের মশহুর কিতাব
کفایۃ الطالب الربانی لرسالۃ ابن ابی زید القیرورانی
এর ১৬৯ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে যে, যখন আযানে হুযুর (ﷺ)’র পাক নাম নিবে তখন দরূদ শরীফ পড়বে, তারপর
ثم یقبل ابہامیہ ویجعلہما علی عینیہ لم یعم ولم یرمد ابدا
“বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করে চোখের উপর রাখবে। এর ফলে সে কোন কালে অন্ধ হবে না এবং চোখে রোগও হবে না।
১৬. মক্কা মোর্কারামার হানাফী আলেমদের নেতা শায়খুল মাশায়েখ রঈসুল মোহাক্কেকীন মাওলানা জামাল বিন আবদুল্লাহ বিন ওমর মক্কী (رحمة الله) আপন ফতোয়াতে বলেন,
سئلت من تقبیل الابہامین ووضعہما علی العینین عند ذمر اسمہ صلی اللہ تعالٰی علیہ وسلم فی الاذان ہل ہو جائز ام لا؟ اجبت بمانصہ نعم تقبیل الابہامین وضعہما علی العینین عند ذکر اسمہ صلی اللہ تعالٰی علیہ وسلم فی الاذان جائز بل ہو مستحب صرح بہ مشائخنا
আমাকে প্রশ্ন করা হল যে, আযানে হুযুর (ﷺ)’র পবিত্র নাম উচ্চারণকালে বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করা এবং চোখের উপর তা মোছন করা জায়েজ কিনা? আমি তদুত্তরে বললাম, হ্যাঁ। আযানে হুযুর (ﷺ)’র বরকতপূর্ণ নাম শ্রবণে বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন এবং উহা চোখের উপর স্থাপন করা জায়েজ এবং মুস্তাহাব। এই আমল মুস্তাহাব হওয়ার বিষয়ে আমাদের মাশায়েখ কেরাম সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন মুনীরুল আইনান ফি তাকবীলিল ইবহামাইন, [আ’লা হযরত (رحمة الله) বেরলভী]
১৭. হযরত মাওলানা আবদুল হাই লাখনুভীর ফতোয়া-
ناخہاے ہردودست بر چشم نھادن ہنگام شنیدن نام سرورکائنات صلی اللہ علیہ وسلم دراذان چہ حکم دارد؟
“আযানে হুযুর সরওয়ারে কায়েনাত (ﷺ)’র নাম মুবারক শ্রবণকালে দুই হাতের নখ চুম্বন করে উহা চোখের উপর স্থাপন করা সম্পর্কে কী ফায়সালা?
উত্তর:
بعضے فقہامستحب نوشتہ اندوحدیثے ہم درایں باب نقل میسازند مگر صحیح نیست ودرامر مستحب فاعل وتارک قابل ملامت وتشنبع نیستند درجامع الرموزمی ارد -
اعلم انہ یستحب ان یقال عند سماع الاولی من الشہادۃ صلی اللہ علیک یارسول وعند سماع الثانیۃ قرۃ عینی بک یارسول اللہ ثم یقال اللہم متعنی بالسمع والبصر بعد وضع ظفری الیدین علی العینین فانہ صلی اللہ تعالٰی علیہ وسلم یکون قائدا لہ الی الجنۃ
কোন কোন ফিকাহ্ শাস্ত্রবিদ তা মুস্তাহাব লিখেছেন এবং এই ব্যাপারে হাদীস উদ্ধৃত করেছেন, কিন্তু হাদিসটি সহীহ্ নয়। মুস্তাহাব কাজ যে করে ও যে না করে কেউই তিরস্কৃত ও নিন্দিত নয়। “জামেউর রমুজ” এ আছে জেনে রাখ, আযানের সময় প্রথম বার শাহাদাত বাক্য শ্রবণ করতঃصلی اللہ علیک یارسول اللہ এবং দ্বিতীয় বার শাহাদাত বাক্য শুনে পড়বেقرۃ عینی بک یارسول اللہ اللہم متعنی بالسمع والبصر তারপর উভয় হাতের নখ চুম্বন করে চোখের উপর স্থাপন করবে। অতঃপর এরূপ আমল করে হুযুর (ﷺ)’র বরকতময় নাম শুনে বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করতাম। অতঃপর এই আমল বর্জন করলাম, ফলে আবার চোখে পীড়া দেখা দিল।
فرایتہ صلی اللہ علیہ وسلم مناما فقال لم ترکت مسح عینیک عند الاذان ان اردت ان تبراعیناک فعد الی السمع فاستیقظت ومسحت فبرئت ولم یعاود فی مرضہما الی الان
অতঃপর স্বপ্নযোগে হুযুর (ﷺ)’র সাক্ষাত লাভ করলাম। হুযুর ফরমালেন, তুমি আযানের সময় বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করে উহা চোখে লাগানো কেন পরিত্যাগ করেছ? যদি তোমার চোখের রোগ মুক্তির বাসনা থাকে তবে পুনরায় এ আমল শুরু কর। তারপর আমি জাগ্রত হয়ে এই কাজ পুনঃ আরম্ভ করি। এতে আমার চোখ ভাল হয়ে যায়, অতঃপরর অধ্যাবধি আমার চোখে আর কোন প্রকার পীড়া হয় নাই।
(مہج السلامۃ فی تقبیل الابہامین فی الاقامۃ(
১৯. হযরত ওহাব বিন মুনাব্বিহ্ (رضي الله عنه) বলেন, ইসরাইলের এক ব্যক্তি দুইশত বছর আল্লাহর নাফরমানীতে কাটিয়েছিল। ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর পর জনগণ তাকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করলো। তখন আল্লাহ্ তা’আলা হযরত মূসা (عليه السلام) এর প্রতি ওহী নাযিল করলেন যে, উক্ত ব্যক্তিকে সেখান থেকে উঠিয়ে তার জানাযার নামায পড়। হযরত মূসা (عليه السلام) আরয করলেন, ইসরাঈল বংশীয় সমস্ত লোক ঐ ব্যক্তির নাফরমানীর সাক্ষ্য দিতেছে। এরশাদ হল, ঠিক বটে,
الاانہ کان کلما نشر التوراۃ ونظر الی اسم محمد صلی اللہ علیہ وسلم قبلہ ووضعہ علی عینیہ وصلی علیہ فشکرت ذلک لہ وغفرت ذنوبہ وزوجتہ سبعین حوراء
“কিন্তু এই ব্যক্তির অভ্যাস ছিল, যখন সে তৌরীত গ্রন্থ খুলতে এবং হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)’র পবিত্র নাম দেখতে পেত তখন এই নাম চুম্বন করে চোখে লাগাত এবং দরূদ পাঠ করত। এই কারণে আমি এই বান্দার হক স্বীকার করেছি ও তার গুনাহ্ মাফ করে ৭০ জন হুর তার বিবাহে দিয়েছি”। (হিলইয়াতুল আউলিয়া আবু নঈম ৪র্থ খন্ড, ৪২ পৃ. সীরাতে হালবীয়া ১ম খন্ড, ৮৫ পৃ.)
২০. সাইয়েদুল আরেফীন হযরত মাওলানা রূমী (رحمة الله) মসনভী শরীফে বলেন,
بود درانجیل نام مصطفے
ان سر پیغمبر ان عمر صفا
“পুতঃ পবিত্র জীবনের অধিকারী পয়গম্বর কুলের সরদর হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ)’র পাক নাম আসমানী কিতাব ইঞ্জিলে লিপিবদ্ধ ছিল”।
بودذکر حلیہ ھا اوشکل او
بودذکر غزوصوم واکل او
“তদুপরি হুযুর পাকের শারীরিক গঠন ও অবয়ব স্বভাব-চরিত্র, জেহাদ, রোযা পালন এবং পানাহারেরও উল্লেখ ছিল”।
طائفہ نصرانیاں بھر ثواب
چوں رسید قدے بداں نام وخطاب
بوسہ دادندے بداں نام شریف
رونھا دانے بداں وصف لطیف
একদল খ্রিষ্টান যখন এই পুতঃপবিত্র নামও সম্বোধনের স্থানে উপনীত হত তখন তারা পূণ্য লাভের নিমিত্তে এই পবিত্র নামকে চুম্বন দিত এবং তাঁর পবিত্র আলোচনার প্রতি অতিশয় সম্মান প্রদর্শন করত।
نسل ایشاں نبزھم بسیارشد
نور احمد ناصر امد یارشد
“এহেন তাযীম প্রদর্শনের দরুণ তাদের বংশধর বহুগুণে বৃদ্ধি পেল এভং হযরত আহমদ মুস্তফা (ﷺ)’র নূর মোবারক প্রতিক্ষেত্রে তাদের সহায় ও সাথী হল।
وان گردہ دیگرنصرانیاں
نام احمد راشتند ے مستہان
ঐ খ্রিস্টানদের অন্য একটি দল হুযুর (ﷺ)’র নামের অবমাননা করত।
مستہان خوار گشتند ان فریق
گشتہ محروم ازخود شرط طریق
অবশেষে তারা লাঞ্ছিত অপমানিত হয়ে নিশ্চিহ্ন হল (অর্থাৎ ইত্যাদিতে দন্ডিত হল) এবং তাদের মাযহাব তথা ধর্মীয় বিশ্বাস কলুষিত হয়ে গিয়েছিল।
نام احمد چوں چنیں یاری کند
تاکہ نورش چوں مددگاری کند
হযরত আহমদ মুস্তফা (ﷺ)’র মোবারক নাম যখন এমন সহায়-সাহায্যকারী, তখন একটু অনুধাবন করুন যে, তার নূর পাক কিরূপ অভূতপূর্ব সাহায্য সহায়তা করতে পারে।
نام احمد چوں حصاوے شد حصین
تچہ باشد ذات ان روح الامین
হযরত নবী করীম (ﷺ)’র কল্যাণময় পাক নাম যখন নিরাপত্তার জন্য সুদৃঢ় দুর্গস্বরূপ, তখন ঐ রুহুল আমিন (হুযুর (ﷺ)’র পবিত্র সত্ত্বা) কিরূপ মহিমাময় হবে? (মসনভী শরীফ ১ম দপ্তর)
সন্দেহ পোষণ
কোন কোন লোক বলে তাকে যে, আযানে হযরতের নাম শ্রবণকালে বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন সম্বন্ধে যেসব হাদীস রয়েছে সবই জঈফ (দুর্বল), এই সম্পর্কে একটি বিশুদ্ধ মরফু হাদীসও নাই। কাজেই মোহাদ্দেসগণ এতদসম্পর্কীয় সমস্ত হাদীস লিপিবদ্ধ করে বলেছেন, (সহীহ্ মরফু নহে) সুতরাং জঈফ হাদীস দ্বারা কিরূপে একটি শরয়ী মাসয়ালা প্রমাণিত হইতে পারে?
অপনোদন
এই সন্দেহ্ অপনোদনের জন্য এতটুকু আরয করাই যথেষ্ট মনে করি যে, মুহাদ্দেসীনে কেরামের কোন হাদীস সম্পর্কে এরূপ উক্তি করা যে “সহীহ নহে” তার মর্ম এই নয় যে, এই হাদীস ভ্রান্তিমূলক ও বাতিল, বরং তার মর্মকথা এই যে, এই হাদীস বিশুদ্ধতায় সেই উচ্চতম স্তরে পৌছে নাই যাকে মোহাদ্দেসীন আপন পরিভাষায়, বা বিশুদ্ধতায় উচ্চস্তর রূপে আখ্যায়িত করেছেন।
মনে রাখা দরকার, মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় হাদিসের উচ্চতম স্তর হল সহীহ এবং নিম্নতম স্তর হইল মওজু। এই দু’য়ের মাঝখানে হাদীসের বহু শ্রেণি বিভাগ, যা পর্যায়ক্রমে ‘সুবিন্যস্ত’ আছে ‘সহীহ’, এরপর ‘হাসান’ এর মর্যাদা। অতএব কোন হাদীস সহীহ্ নয় বললে হাদীস হাসান না হওয়া প্রমাণিত হয় না। অথচ এজমায়ে উম্মতের সিদ্ধান্ত মতে হাদীস জঈফ হলেও আমলের ফযীলতের বেলায় উহা গ্রহণযোগ্য, আর মোহাদ্দেসীনে কেরাম যে ঐ সকল হাদীস সম্বন্ধে বলেছেন যে, অর্থাৎ এ সকল হাদীসের সূত্র হুযুর (ﷺ) পর্যন্ত মরফু হিসাবে সহীহ্ প্রমাণিত হয় নাই, তাহাদের এহেন উক্তিই প্রমাণ করছে যে, এই সব হাদীধস মওকুফ হিসাবে সহীহ। যেমন:
আল্লামা ইমাম মোল্লা আলী কারী (رحمة الله) বলেন-
قلت واذا ثبت رفعہ الی الصدیق رضی اللہ عنہ فیکفی للعمل بہ لقولہ علیہ الصلوۃ والسلام علیک بسنتی وسنۃ الخلفاء الراشدین
আমি বলছি, হযরত আবু বকর সিদ্দিক (رضي الله عنه) পর্যন্ত যখন এই হাদীস মরফু হওয়া প্রমাণিত, তখন এটাই আমলের জন্য যথেষ্ট। যেহেতু হুযুর (ﷺ) ইরশাদ করেছেন “আমার সুন্নাত ও খোলাফায়ে রাশেদীন” এর সুন্নাত পালন করা তোমাদের জন্য লাযেম, জরুরী।
সুতরাং জানা গেল যে, মওকুফ হাদীসও সহীহ, কেননা হযরত আবু বকর সিদ্দিক (رضي الله عنه) পর্যন্ত ঐ হাদিসের সরাসরি সম্পর্ক প্রমাণিত এবং সিদ্দিক আকবর (رضي الله عنه)র মূলে হুযুর (ﷺ)’র সুন্নাত। যেমন বিরোধী মতাবলম্বীদের নেতাদ্বয় মওলভী খলীল আহমদ আম্বেটভী ও মৌলভী রশিদ আহমদ গাঙ্গুলী বলেন,
جس کے جوازی کی دلیل قرون ثلثہ میں ہوخواہ جزئیہ بوجود خارجی ان قرجن میں ہوا یانہ ہوا اور خواہ اسکی جنج کاوشود خارج میں ہوا یا نہ ہوا ہووہ سب سنت ہے -
যার বৈধতার দলিল সোনালী তিন যুগের মধ্যেই পাওয়া যায় তাহা অথবা তদনুরূপ কার্য ঐ যুগের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়ে থাকুক বা না হয়ে থাকুক তার সবই সুন্নাত। (বারাহীনে কাতেয়া ২৮ পৃ.)
এতে প্রতিয়মান হল যে, গাঙ্গুহী সাহেবের দৃষ্টিতেও আযানে হুযুর হাকের পবিত্র নাম শুনে বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করা সুন্নাত। কারণ মোল্লা আলী কারীর ইবারত দ্বারা তার উৎস সোনালী তিন যুগের মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। এমতাবস্থায় এই কাজকে বেদআত বা নব উদ্ভাবিত কাজরূপে অভিহিত করা অজ্ঞানতা ও পক্ষপাতমূলক মনোবৃত্তির পরিচায়ক বৈ কি।
উপরে উল্লেখিত ইবারত ছাড়া আরো অনেক কিতাবের ইবারত ও দলীল উল্লেখ করা যায়, কিন্তু কলেবর বৃদ্ধির আশংকায় এতটুকুতে সমাপ্তি করা হল। স্মরণ রাখা দরকার যে, সত্য তালাশকারী প্রকৃত মু’মিন মুসলমানদের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। হানাফী মাযহাবের আলেমগণ চাড়া শাফেঈ ও মালেকী মাযহাবের আলেমগণও আঙ্গুল চুম্বনকে মুস্তাহাব বলার উপর একমত। যেমন শাফেঈ মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব “এনায়তুত্ তালেবীন” ২৪৭ পৃঃ এবং মালেকী মাযহাবের বিখ্যাত কিতাব “কিফায়েতুত্ তালেবীর রাব্বানী লির রেসালতে ইবনে আবি জায়দিল কয়রত্তনী” ১ম পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে যে, যখন আযানে হুযুর পাক (ﷺ) এর নাম শুনবে তখন দরূদ শরীফ পড়বে অতঃপর বৃদ্ধাঙ্গুলীদ্বয় চুমো দিয়ে আপন চক্ষুদ্বয়ে মসেহ্ করা জায়েয ও মুস্তাহাব এবং লাভজনক। এতে অনেক সাওয়াব ও উপকার রয়েছে। এটি এমন একটি আমল যা সৈয়্যেদুনা হযরত আদম আলাইহিস্সালাম, হযরত সিদ্দিকে আকবর (رضي الله عنه) ও হযরত ইমাম হাসান (رضي الله عنه) এর সুন্নাত। জগদ্বিখ্যাত ফোকাহা, মুহাদ্দেসীন ও মুফাস্সেরিন মোস্তাহাবের উপর একমত। শাফেয়ী, মালেকী মাযহাবের ইমামগণও মোস্তাহাবের কথা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং প্রত্যেক দেশে, প্রত্যেক যুগের মুসলমানগণ এটাকে মুস্তাহাব বলেছেন,
এতে নিম্নলিখিত উপকার রয়েছে:
১. এই আমলকারীর চোখ ব্যথা বেদনায় আক্রান্ত হবে না।
২. এই আমলকারী কখনো অন্ধ হবে না। (চোখে কোন প্রকার ব্যথা বেদনা হলে আঙ্গুল চুম্বনের আমল উৎকৃষ্ট চিকিৎসা)
৩. এই আমলকারীকে হুযুর পাক (ﷺ) কিয়ামতের মাঠে খোঁজ করে নিজের সাথেই বেহেস্ত নিয়ে যাবেন।
৪. এই আমলকারীর জন্য হুযুর (ﷺ)’র শাফায়াত নসীব হবে।
“আল্লাহুম্মার যুক্না শাফায়াতা হাবিবিকাল করীম (ﷺ)” (হে আল্লাহ্! আমাদিগকে আপনার প্রিয় হাবিব (ﷺ)’র শাফায়াত নসীব করুন) আমিন।
এই রকম একটি পূণ্যময় কাজকে অবৈধ, বেদয়াত বা নব উদ্ভাবিত কাজরূপে অভিহিত করা মূর্খতা, অজ্ঞতা ও পক্ষপাতি মনোবৃত্তি ও নবীর শত্রæতার পরিচায়ক হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত নিষেধের স্পষ্ট দলীল পাওয়া যাবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত নিষেধ করা যেতে পারে না। মুস্তাহাবের জন্য মুসলমানদের মুস্তাহাব জানাই যথেষ্ট। কেননা সহকারে কায়েনাত (ﷺ) বলিয়াছেন, অর্থাৎ- মু’মীনগণ যাকে (যে আক্বিদা ও আমলকে) ভাল মনে করেন, আল্লাহ্ পাকের নিকটও তা ভাল বলে গণ্য। হযরত আরও বলেছেন, “লা তাজ্বতামেউ উম্মতি আলাদদ্বালালা” অর্থাৎ- আমার উম্মতগণ কোন ভ্রান্তি মতবাদের উপর একমত (ইজমা) হতে পারে না।
উসুলে ফিকাহ্ বিখ্যাত কিতাব “নুরুল আনোয়ার” এ উল্লেখ রয়েছে, তায়ামুলুন্নাছে মূলহাকুমবিল ইজমা” অর্থাৎ- মুহাক্কেকগণ বা আমল করে আসছেন তাও ইজমার পর্যায়ভুক্ত। “মুসাল্লামুস্ ছুবুত” কিতাবের আখেরুত্তাতিম্মায় লিখিত আছে, কালের গতিবিধি সাপেক্ষে মুহাক্কিকীন আলেমগণের কোন মাসয়ালায় ইজমা (একতাবদ্ধ) হওয়া শরয়িত সমর্থিত একটি প্রামাণ্য দলিল, যদিও উক্ত ওলামায়ে কেরাম মুজতাহেদীন না হন।
ماراہ المسلمین حسنا فہو عند اللہ حسن
“মা রাআহুল মুসলিমুনা হাস্নান্ ফাহুয়া ইনদাল্লাহে হাসানুন্” নিষেধের জন্য বিশেষ দলীলের প্রয়োজন, যা ফিকাহ্ ও উসুলে ফিকাহ্ এর কিতাবের বিস্তারিত লিখা আছে। আল্লাহ্ পাক আমাদেরকে এই ধরনের পূণ্যময় ও লাভজনক কাজ করে উভয় জগতের কামিয়াবী লাভ করার তৌফিক দিন। আমিন!
বিঃ দ্রঃ- আযানের ব্যাপারে স্পষ্ট রেওয়ায়াত ও হাদীস রয়েছে, যা উল্লেখ করা হয়েছে ইক্বামত ও আযানের মত। একামতের সময় ও উপস্থিত মুসল্লীগণ আযানের মত ভক্তি সহকারে ক্বিবলার দিক হয়ে নিরবে জওয়াব দিবে এবং ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মদুর রাসূলাল্লাহ্’ উচ্চারণের সময় তর্জনীঙ্গুলীদ্বয় ঠিক আযানের জবাবের মত চুম্বন করবে শুধু ‘ক্বাদ কামাতিস্ সালাত’ এর উত্তরে ‘আকামাহাল্লাহু ওয়া আদামাহা’ বলবে। ইমাম-খতিব ও মুকতাদীগণ বসা অবস্থায় একামত শুনবে। ‘হাইয়া আস্ সালাত’ বলার সময় দাঁড়াবে। এর আগে দাঁড়ালে মাকরূহ হবে সুন্নাতের খেলাফ। (ফতোয়ায়ে শামী ইত্যাদি) হাদীস শরীফের মধ্যে ইক্বামতকে আযান বলা হয়েছে। “বাইনা কুল্লে আযনাইনে সালাতুন” প্রত্যেক দুই আযানের মধ্যেই নামায অর্থাৎ আযান ও তাকবীরের মধ্যখানেই, তাই তাকবীরের ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মদুর রাসুলাল্লাহ্ ও আঙ্গুলী চুম্বন করা উপকারী ও বরকতময়, যার বিস্তারিত বিবরণ ও প্রমাণ “নহজ্বচ্ছালামা ফি তাকবীলিল ইবহামাইনে ফিল এক্বামা” নামক কিতাবের মধ্যে রয়েছে। আযান ও তাকবীর ছাড়াও যদি কেহ হুযুর (ﷺ)’র পাক নাম শুনে আঙ্গুল চুম্বন করে তাহলে কোন ক্ষতি নাই, বরং এটা হুযুর করীম (ﷺ)’র প্রতি ভক্তি, মুহাব্বত ও সম্মান প্রদর্শনের একটি সুন্দরতম আদর্শ এবং এই নিয়্যত করলে সাওয়াবের ভাগী হবে। আরো স্মরণ রাখা দরকার যে, নিষেধের দলীল ছাড়া নিষেধ করতে পারবেন না। নিষেধের জন্য বিশেষ দলীলের প্রয়োজন। যেবাবেই হুযুর পাক (ﷺ)’র তাযীম ও সম্মানই প্রদর্শন করা হউক না কেন, তা লাভজনক, সওয়াব এবং অনেক কল্যাণময়। কেননা আল্লাহ্ পাক ইরশাদক করেছেন, ওয়াতোয়ায্যিরুহু ওয়াতোযক্কিরহু (আল কোরআন)। আল্লাহ পাক জাল্লা শানুহু আমাদের এহেন পূণ্যশয় কাজ করে উভয় জগতের কল্যাণ ও কামিয়াবী লাভ করার তৌফিক দান করুন। আমিন!
আঞ্জুমানে আশেকানে মোস্তফা (ﷺ)’কে দৈনন্দিন উন্নতি ও কামিয়াবী দান করুন এবং আঞ্জুমানের সমস্ত নগণ্য খেদমতগুলোকে নিজ প্রিয় হাবীবের উসিলায় কবুল করুন। আমিন। ইয়া রাব্বাল আলামিন, বে উসিলাতে সৈয়্যদিল মুরসালীন রাহমাতুল্লাহি আলামিন সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া আসহাবিবহী আজমাঈন। বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।
صلواۃ یا رسول اللہ علیہکم سلام یا حبیب اللہ علیکم
‘ছালাতুন ইয়া রাসুলাল্লাহ্ আলাইকুম
ছালামুন ইয়া হাবীবাল্লাহ্ আলাইকুম’
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
আঞ্জুমানে আশেকানে মোস্তফা (ﷺ) বাংলাদেশ
(সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, ধর্মীয় জনকল্যাণ ও সমাজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান)
প্রতিষ্ঠাতা : পীরে কামেল, মুর্শিদে বরহক, ফকিহে বাঙ্গাল, ওস্তাজুল ওলামা, হযরতুল আল্লামা শাহ্সূফী আলহাজ্ব কাযী মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম হাশেমী (رحمة الله)
প্রতিষ্ঠাকাল : ১৪০০ হিজরী, ১৯৮০ ইংরেজি। রেজিস্ট্রেশন নং-১৪২০
প্রধান কার্যালয়: হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (رحمة الله) দরগাহ্ লেইন, বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম-৪২১০
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : কুরআন সুন্নাহর মৌলিক নীতিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সঠিক মূল্যবোধে মুসলমানদের অন্তরে প্রিয় নবীর প্রেম ভালবাসা সৃষ্টি করে ধর্মীয় বিধি-বিধান পালনে অভ্যস্ত করে তোলা। অসহায় এতিমদের লালন পালন করে ধর্মীয় শিক্ষায় সুশিক্ষিত করে স্বাবলম্বী ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। নবী মুহাম্মদ মুস্তফা (ﷺ) এর আশেক প্রেমিক তৈরী করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।
হুযুর ক্বেবলার প্রতিষ্ঠিত ও আঞ্জুমানের পরিচালনাধীন দেশব্যাপী প্রতিষ্ঠানসমূহ:
▪ শাহ্ আমিনিয়া মাদ্রাসা হেফ্জখানা ও এতিমখানা, শেরশাহ্ কলোনী, চট্টগ্রাম।
▪ নূরে মদিনা হাশেমীয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা, বিরতুল, উলুখোলা, নাগরী, গাজীপুর, ঢাকা।
▪ শাহ্ আমিনিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা হেফ্জখানা ও এতিমখানা, হারুয়ালছড়ি, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম।
▪ শাহ্ আমিনিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা হেফ্জখানা ও এতিমখানা, কাথারিয়া, বাঁশখালী।
▪ কাদেরিয়া শাহ্ আমিনিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা হেফ্জখানা ও এতিমখানা, ফতেয়াবাদ, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
▪ আল আমিন হাশেমীয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা হেফ্জখানা ও এতিমখানা, পুরুত্যাখালী, চক্রিয়া, ক▪বাজার।
▪ আল আমিন হাশেমীয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা, বানুদেব, গোপলার বাজার, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।
▪ দারুল আমিন হাশেমীয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা, পাটিয়ালছড়ি, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম।
▪ দারুল আমিন হাশেমীয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা, আরেফিন নগর, বায়েজীদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম।
▪ গাউছিয়া শাহ্ আমিন হাশেমী হেফ্জখানা ও এতিমখানা, সলিমপুর, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম।
▪ শাহ্ আমিনিয়া মাদ্রাসা ও খানকা শরীফ, মোহাম্মদীয়া আবাসিক এলাকা, আখালিয়া, সদর, সিলেট।
▪ খান জাহানীয়া মহিউদ্দিন মোল্লা হাফেজিয়া মাদ্রাসা, বৈঠপুর, বাগেরহাট, সদর।
▪ শাহ্ আমিনিয়া মাদ্রাসা হেফ্জখানা ও এতিমখানা। লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী।
▪ গাউছিয়া হাশেমীয়া শরাফত উল্লাহ হাফেজিয়া মাদ্রাসা, বসন্তপুর, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা।
▪ মসজিদে বায়তুন নূর ও খানকায়ে আশেকানে মোস্তফা (ﷺ), কুলগাঁও, জালালাবাদ।
▪ হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (رحمة الله) ইসলামী পাঠাগার, বায়েজীদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম।
▪ খানকায়ে আশেকানে মোস্তফা (ﷺ), আমান বাজার, হাটহাজারী রোড, চট্টগ্রাম।