ইলিম দুই প্রকার
أَخْبَرَنَا أَبُو الْقَاسِمِ الذَّكْوَانِيُّ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ حَيَّانَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّكَنِ، قَالَ: حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الْكَبِيرِ الْمَسْجَعِيُّ، قَالَ: يُوسُفُ بْنُ عَطِيَّةَ الصَّفَّارُ، قَالَ: حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّمَ: الْعِلْمُ عِلْمَانِ: عِلْمٌ فِي الْقَلْبِ فَذَاكَ الْعِلْمُ النَّافِعُ، وَعِلْمٌ عَلَى اللِّسَانِ فَذَاكَ حُجَّةُ اللَّهِ عَلَى ابْنِ آدَمَ
-“হযরত হাছান (رَحْمَةُ الله عليه) নবী করিম (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: ইলিম দুই প্রকার, এক প্রকার ক্বাল্বে থাকে যা মূলত উপকারী ইলিম। আরেক প্রকার হচ্ছে জিহ্বা ইলিম, যা হচ্ছে আদম সন্তানের উপর আল্লাহ তা’আলার দলিল।” ২১০১০. মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, হাদিস নং ৩৪৩৬১; তারিখে বাগদাদ, হাদিস নং ১৫৮০; তারতীবুল আমালী খামছিয়াতী শাজারী, হাদিস নং ৩০০; ইমাম মুনজেরী: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, ১ম খন্ড, ৭২ পৃ: হাদিস নং ১৩৯; ইমাম ইবনে আব্দিল র্বার জামেউল বায়ানুল ইলমে ওয়া ফাদ্বলী, হাদিস নং ১১৫১; ইমাম ছিয়তী: জামেউস ছাগীর, হাদিস নং ৮৩১৪; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিস, হাদিস নং ১৪৪৯৮; হাকেম তিরমিজি: নাওয়াদেরুল অছুল, ২য় খন্ড, ৩০৩ পৃ:; ইমাম ইবনে শাহিন: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব লি’কাওয়াইমিস সুন্নাহ, হাদিস নং ২১৩৯; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, ১০ম খন্ড ৫৮ পৃ: হাদিস নং ২৮৬৬৭; ইলালু মুতানাহিয়া ফি আহাদিসিল ওয়াহিয়া, হাদিস নং ৮৮;
এই হাদিসের আরেকটি সূত্র রয়েছে,
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّكَنِ قال: ثنا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الْكَبِيرِ الْمِسْمَعِيُّ قال: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَطِيَّةَ الصَّفَّارُ قال: ثنا قَتَادَةُ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْعِلْمُ عِلْمَانِ: عِلْمٌ فِي الْقَلْبِ فَذَاكَ الْعِلْمُ النَّافِعُ وَعِلْمٌ عَلَى اللِّسَانِ فَذَاكَ حُجَّةُ اللَّهِ عَلَى ابْنِ آدَمَ
-“হযরত আনাস ইবনে মালেক (رَحْمَةُ الله عليه) বলেন, রাসূলে করিম (ﷺ) বলেছেন: ইলিম দুই প্রকার, একটি ইলিম থাকে ক্বাল্বের মধ্যে যা মূলত উপকারী ইলিম। আরেকটি ইলিম থাকে জিহ্বা উপর যা আদম সন্তানদের জন্য আল্লাহর পক্ষে দলিল।” ২১১১১. হাফিজ ইস্পাহানী: আত্তারগীব ওয়া তারহীব, হাদিস নং ২১৩৯; মাজমুউ ফিহি মুছান্নিফাত, হাদিস নং ৫৫৯; ইমাম মুনজিরী: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, হাদিস নং ১৪০; মুসনাদে ফেরদৌস; ইমাম আবু নুয়াইম: তবকাতুল মুহাদ্দেছীন, ৪র্থ খন্ড, ১০১ পৃ: হাদিস নং ১১৮০;
ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী (رَحْمَةُ الله عليه) এর সনদটি হল:
حدثنا أحمد بن محمد بن السكن ، قال : ثنا صالح بن عبد الكبير المسمعي ، قال : ثنا يوسف بن عطية الصفار ، قال : ثنا قتادة ، عن الحسن عن أنس رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم..
-আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে সুকান বলেন, আমার কাছে সালেহ্ ইবনে আব্দুল কবীর মাছমায়ী হাদিস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমার কাছে ইউছুফ ইবনে আত্বিয়া সাফ্ফার হাদিস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমার কাছে কাতাদা হাদিস বর্ণনা করেছেন, তিনি হযরত হাছান (رَحْمَةُ الله عليه) থেকে তিনি হযরত আনাস (رَحْمَةُ الله عليه) থেকে, তিনি বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন..। ২১২১২ ইমাম আবু নুয়াইম: তবকাতুল মুহাদ্দেসীন, হাদিস নং ১১৮০;
এই হাদিস খানা হযরত জাবের (رَحْمَةُ الله عليه) থেকেও বর্ণিত আছে। যেমন:
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ بُكَيْرٍ النَّجَّارُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ العَبَّاسِ الْمُسْتَمْلِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو أَحْمَدُ بْنُ الْفَضْلِ بْنِ سَهْلٍ الْقَاضِي النَّفَّرِيُّ قَدِمَ عَلَيْنَا مِنْ نِفَّرٍ سَنَةَ تِسْعٍ وَثَلاثِ مِائَةٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَمَانٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْعِلْمُ عِلْمَانِ: فَعِلْمٌ فِي الْقَلْبِ وَذَلِكَ الْعِلْمُ النَّافِعُ، وَعِلْمٌ عَلَى اللِّسَانِ وَتِلْكَ حُجَّةُ اللَّهِ عَلَى ابْنِ آدَمَ
-“হযরত জাবের (رَحْمَةُ الله عليه) বলেন রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: ইলিম দুই প্রকার, এক প্রকার ক্বাল্বে থাকে যা মূলত উপকারী ইলিম। আরেক প্রকার হচ্ছে জিহ্বা ইলিম, যা হচ্ছে আদম সন্তানের উপর আল্লাহ তা’আলার দলিল।” ২১৩১৩. তারিখে বাগদাদ, ২৪৪৮ নং রাবীর ব্যাখ্যায়; ইলালুল মুতানাহিয়া ফি আহাদিসিল ওয়াহিয়া, ৮৮; ইমাম মুনজেরী: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, ১ম খন্ড, ৭২ পৃ:;
তবে হাদিসটি হযরত হাছান বছরী (رَحْمَةُ الله عليه) থেকেও মুরছাল রূপে বর্ণিত আছে,
أَخْبَرَنَا أَبُو حَفْصٍ عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْجُمَحِيُّ بِمَكَّةَ، ثنا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، ثنا عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، أَنْبَأ أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْعِلْمُ عِلْمَانِ: عِلْمٌ فِي الْقَلْبِ فَذَلِكَ الْعِلْمُ النَّافِعُ، وَعِلْمٌ عَلَى اللِّسَانِ فَذَلِكَ حُجَّةُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى ابْنِ آدَمَ
-“হযরত হাছান বছরী (رَحْمَةُ الله عليه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: ইলিম দুই প্রকার, এক প্রকার ক্বাল্বে থাকে যা মূলত উপকারী ইলিম। আরেক প্রকার হচ্ছে জিহ্বা ইলিম, যা হচ্ছে আদম সন্তানের উপর আল্লাহ তা’আলার দলিল।” ২১৪১৪. আমালী ইবনে বাশারানে, হাদিস নং ৬১৬; জামেউল বায়ানুল ইলমে ওয়া ফাদ্বলী, হাদিস নং ১১৫০; মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, হাদিস নং ৩৪৩৬১; সুনানে দারেমী শরীফ, ১ম খন্ড, ১১৪ পৃ: হাদিস নং ৩৭৬; মেসকাত শরীফ, ৩৭ পৃ:; ইমাম মোল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১ম খন্ড, ৪৭৮ পৃ:;
বিশ^ বিখ্যাত মুহাদ্দিছ আল্লামা আব্দুর রউফ মানাভী (رَحْمَةُ الله عليه) এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে বলেছেন,
(عَن الْحسن) الْبَصْرِيّ (مُرْسلا) وَإِسْنَاده صَحِيح (خطّ عَنهُ عَن جَابر) وَإِسْنَاده حسن
-“হাছান বছরী (رَحْمَةُ الله عليه) থেকে মুরছাল রূপে বর্ণিত হাদিসটি ছহীহ। খতিব এর হযরত জাবের (رَحْمَةُ الله عليه) হতে বর্ণিত রেওয়ায়েত টি হাছান।” ২১৫১৫. আল্লামা মানাভী: আত তাইছির শরহে জামেউছ ছাগীর, ২য় খন্ড, ১৫৭ পৃ:;
আল্লামা আব্দুর রউফ মানাভী (رَحْمَةُ الله عليه) আরো বলেন,
عن الحسن) البصري (مرسلا) قال المنذري: إسناده صحيح وقال الحافظ العراقي: إسناده صحيح (خط عنه) أي الحسن (عن جابر) مرفوعا قال المنذري: إسناده صحيح قال الحافظ العراقي: وسند جيد وقال السمهودي: إسناده حسن ورواه أبو نعيم والديلمي عن أنس مرفوعا
-“হযরত হাছান বছরী (رَحْمَةُ الله عليه) মুরছালরূপে বর্ণনা করেছেন, এর সনদ ছহীহ। হাফিজ ইরাকী (رَحْمَةُ الله عليه) বলেছেন: এর সনদ ছহীহ্। খতিবে বোগদাদী (رَحْمَةُ الله عليه) হাছান বছরী (رَحْمَةُ الله عليه) হতে তিনি হযরত জাবের (رَحْمَةُ الله عليه) হতে মারফূ রূপে বর্ণনা করেছেন। ইমাম মুনজেরী (رَحْمَةُ الله عليه) বলেন: এর সনদ ছহীহ্। হাফিজ ইরাকী (رَحْمَةُ الله عليه) বলেন: এর সনদ যায়্যেদ বা অতি-উত্তম। ছামহুদী (رَحْمَةُ الله عليه) বলেন: এর সনদ হাছান। আবু নুয়াইম ও দায়লামী হযরত আনাস (رَحْمَةُ الله عليه) থেকে মারফূরূপে ইহা বর্ণনা করেছেন।” ২১৬১৬. আল্লামা মানাভী: ফায়জুল কাদীর, ৫৭১৭ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়;
মাওলানা উবাইদুল্লাহ মুবারকপুরী বলেন,
وأخرجه الخطيب في تاريخه، عن الحسن، عن جابر مرفوعاً بإسناد حسن، وأبونعيم في الحلية، والديلمي في مسند الفردوس عن أنس مرفوعاً، العلم عن الحسن مرسلاً بإسناد صحيح،
-“খতিব তার তারিখে হাছান বছরী হতে, তিনি জাবের (رَحْمَةُ الله عليه) হতে মারফূরূপে হাছান সনদে বর্ণনা করেছেন। আবু নুয়াইম তার হিলিয়া গ্রন্থে ও দায়লামী তার মুসনাদে ফেরদৌস গ্রন্থে আনাস (رَحْمَةُ الله عليه) থেকে মারফূরূপে বর্ণনা করেছেন। হাছান (رَحْمَةُ الله عليه) থেকে মুরছাল রেওয়ায়েতটির সনদ ছহীহ।” ২১৭১৭. মেরআত শরহে মেসকাত, ২৭২ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়;
এই হাদিস ও হযরত হাছান (رَحْمَةُ الله عليه) বর্ণিত হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে হাফিজুল হাদিস ইমাম মুনজিরী (رَحْمَةُ الله عليه) বলেন:
رَوَاهُ الْحَافِظ أَبُو بكر الْخَطِيب فِي تَارِيخه بِإِسْنَاد حسن وَرَوَاهُ ابْن عبد الْبر النمري فِي كتاب الْعلم عَن الْحسن مُرْسلا بِإِسْنَاد صَحِيح
-“হাফিজ আবু বকর খতিব (رَحْمَةُ الله عليه) তার তারিখে হাছান সনদে ইহা বর্ণনা করেছেন। হাফিজ ইবনে আব্দিল র্বাররর নিমুরী (رَحْمَةُ الله عليه) তাঁর কিতাবুল ইলিমে হযরত হাছান (رَحْمَةُ الله عليه) থেকে মুরছাল ভাবে ছহীহ্ সনদে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।” ২১৮১৮. ইমাম মুনজেরী: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, ১ম খন্ড, ৭২ পৃ:;
সুতরাং প্রমাণিত হল, হযরত জাবের (رَحْمَةُ الله عليه) এর মারফু হাদিস খানা ‘হাছান’ ও হযরত হাছান (رَحْمَةُ الله عليه) বর্ণিত হাদিস খানা ‘মুরছাল ছহীহ্’। ইমাম দায়লামী (رَحْمَةُ الله عليه) আরেকটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করেছেন,
عَائِشَة الْعلم علمَان فَعلم ثَابت فِي الْقلب وَعلم فِي اللِّسَان فَذَلِك حجَّة على عباده
-“হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, এক প্রকার ইলিম ক্বাল্বের মধ্যে প্রমাণিত, আরেক প্রকার ইলিম জিহ্বা উপর যা বান্দার জন্য প্রমাণ।” ২১৯১৯. মুসনাদে ফেরদৌস, হাদিস নং ৪১৯৪;
আশ্চের্যের বিষয় হল, নাছিরুদ্দিন আলবানী হযরত হাছান (رَحْمَةُ الله عليه) এর হাদিসটিকে ‘দ্বায়িফ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। অথচ ইহা সকল ইমামের মতে ছহীহ্ সনদের ও জাবের (رَحْمَةُ الله عليه) মারফু রেওয়ায়েতটি ‘হাছান’ পর্যায়ের।
উপরে উল্লেখিত ৩টি রেওয়ায়েত দ্বারা স্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হয়, ইসলামী জ্ঞান শাস্ত্রে ২ প্রকার এলেম রয়েছে। তথা জাহেরী ইলিম ও বাতেনী ইলিম। মু’মীনের জীবনে উভয় প্রকার বিদ্যার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রিয় নবীজি (ﷺ) এর সাহাবায়ে কেরাম তাঁর কাছ থেকে উভয় প্রকার এলেম অর্জন করতেন। যেমন ছহীহ্ রেওয়ায়েতে আছে,
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَخِي، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ المَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: حَفِظْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وِعَاءَيْنِ: فَأَمَّا أَحَدُهُمَا فَبَثَثْتُهُ، وَأَمَّا الآخَرُ فَلَوْ بَثَثْتُهُ قُطِعَ هَذَا البُلْعُومُ
-“হযরত আবু হুরায়রা (رَحْمَةُ الله عليه) বলেন, আমি রাসূলে করিম (ﷺ) এর কাছ থেকে দুই প্রকার ইলিম অর্জন করেছি। এক প্রকার ইলিম আমি লোক সমাজে প্রচার করি। আরেক প্রকার ইলিম যদি আমি লোক সমাজে প্রচার করি তাহলে লোকেরা আমার কন্ঠনালী কেটে ফেলবে।” ২২০২০. ছহীহ্ বূখারী, ১ম খন্ড, ২২ পৃ: হাদিস নং ১২০; মেসকাত শরীফ, ২৭১ নং হাদিস; ফাতহুল বারী, উমদাতুল ক্বারী;
সুতরাং প্রমাণিত হল, আল্লাহর নবী (ﷺ) দুই প্রকার ইলিম শিক্ষা দিতেন। এ জন্যেই বলা হয় যারা এই দুই প্রকার ইলিম অর্জন করেছেন তারাই মু’মীনে কামেল তথা কামেল পীর।