✧ অনারবে মীলাদ

কিতাবঃ আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ)

🖋️মূলঃ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (رحمة الله)

واما دلعجم فمن حيث دخول هذا الئهد المعظم والزمان المكرم- لاهلها مجالس فخام من انواع الطعام للفقراء الكرام وللفقراء من الخاص ولعامة- وقراءة الختمات والتلاوات المتواليات والانشادات المتعاليات والبناس البرات والخيرات وانواع السرور واضاف الحبورحتى بعض العبائز من غزلهن ونسجهن يجمعن مايقمن بجمعهن الاكابر والأعيان- وبهيا فهن ما يقدرون عليه فى ذالك الزمان ومن تعظيم مشايخهم وعلمائهم هذا المولدا لمعظم والمجلس المكرم- انه لايأ باه احد فى حضوده دجاء ادراك نوده وسروره وقد وقع لشيخ مشايتنا مولنازين الدين محمود البهدا نى النقشبندى (قدس سره العلى) انه اراد سلطان الزمان وخاقان الدوران هما يون بادشاه- (تغمده الله واحسن مثوااه) ان يجتمع به ويحصل له المدر والامداد بسببه- فأباه السيغ وامتنع ايضا ان يأتيه السلطان ستغاناء بقضل الرحمن- فألح السلطان على وزيره يبرام خان- بانه لابد من تدبير للا جتماع فى الكان ولو فى قليل من الزمان- فسمع الوزيد ان الشيغ لايحصر فى دعوة من هناء وعزاء الافى مولد النبى عليه الصلاة والسلام- تعظيما لذ الك المقام فأنهى الى اللطان فأمره يتهيئة اسبابه الملو كانية من انواع الاطعمة والاسبة ومما يثم به ويتبخر فى المجلس العلمية- ونادى الاكابر والأ هالى- وحفر الشيغ مع بعض الموالى فاخذ الطلن الابريق بيد الأدب ومعاونة التوفيق- والوزير اخذ الطثت من تحت امره- رجاء لطفه ونظره وعسلا يد التسيغ المكرم وحصل لهما يبركة تواضعهما لته تعالى ولرلوله صلى الله عليه وسلم) لمقام المعظم والجاه المفخم.

অর্থাৎ- আরব ছাড়াও অনারবে মীলাদ মাহফিলের প্রচলন ছিল মহাসমারোহে যেমন: পবিত্র রবিউল আওয়াল মাসে এবং মহিমান্বিত দিনে (১২ই তারিখে) এতদঞ্চলের অধিবাসীদের মীলাদ মাহফিলের নামে জাঁকজমক পূর্ণ মাজলিসের আয়োজন হতো সে গরীব মিসকীনদের মধ্যকার বিশেষ ও সাধারনদের জন্য বহু ধরনের খাবারের বন্দোবস্ত করা হতো। তাতে ধারাবাহিক তেলাওয়াত বহু প্রকার খতম এবং উচ্ছাঙ্গ ভাষায় প্রশংসা সম্বলিত কবিতা মালা আবৃত্ব হতো। বহু বরকতময় ও কল্যাণময় আমলের সমাহার ঘটতো বৈধ পন্থায় বঙ্গ আনন্দোল্লাস প্রকাশ করা হতো বহু বিশেষক্ত মহা পন্ডিতগণ ও তাতে অংশ গ্রহণ করতেন। এমনকি কোন কোন বৃদ্ধা মহিলাগণ ও সে মাজলিসে সমবেত হয়ে রাসূলে পাকের শানে বহু প্রেমকাব্য ও ছন্দ মালা সংগ্রহ করতঃ তা মাজলিসে উপবেশন করতো। তাঁদের প্রেমকাব্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গগন ও জড়ো হতেন। তাঁদের (মহিলাদের) জন্য সাধ্যানুসারী আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকতো। তৎকালীন উলামা মাশায়েখগণের বহুবিদ সম্মানজনক কার্যাবলীর অন্যতম হচ্ছে এ মহান মীলাদ মাহফিল এবং মহিমাময় মাজলিসের প্রতি গুরুত্বারোপ ও সম্মান প্রদর্শন করা। কিন্তু তা সত্বেও উক্ত মাহফিলে সমবেত হওয়ার ব্যাপারে তাদেঁর কারও থেকে কোন ধরনের অস্বীকৃতি মুলক কঠোক্তি প্রকাশ পায়নি। যেহেতু সকলের এ উত্তম ধারনা ও আত্মবিশ্বাস ছিল যে, উক্ত মাহফিলে সমবেত হওয়া মূলতঃ আত্মতৃপ্তি, হুযূরে পাকের শুভাগমনের খুশী যাহের এবং তাঁরা এ ধরনের বহু উপমা বিদ্যমান রয়েচে। তন্মধ্যে আমাদের মহামান্য শায়েখগনের মুরববী শায়েখ মাওলানা যাইনুদ্দী্ন মাহমুদ আল-বাহদানী নকশবন্দী (رضي الله عنه) এর ঘটনা উল্লেখ যোগ্য। 

একবার যুগশ্রেষ্ট প্রতিভা সমপন্ন কালজয়ী, বিপ­বী মুঘল সম্রাট বাদশা হুমায়ুন (আল্লাহ পাক তাকেঁ করুনার আচলে ডেকে রাখুন এবং সর্বোত্তম মাকাম দান করুন) তাঁর বিশাল জাঁকজমকপূর্ণ মাজলিসে মহামান্য শেখ যাইনুদ্দিন মাহমুদ আল বাহদানী নকশেবন্দী (رضي الله عنه) কে সমবেত করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন কিন্তু শায়খ (رحمة الله) সহসাই তা প্রত্যাখ্যান করে বললেন, আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে অমুখাপেক্ষী কোন সভা- সমাবেশে তিনি সমবেত হন না। কিন্তু সম্রাট তাঁর এ উক্তিতে পিছপা না হয়ে বরং তাঁর মন্ত্রীমহোদয় জনাব বারাম খাঁনকে দিয়ে বারং বার অনুনয় ব্যক্ত করেন যে, রাজদরবারে এ ধরনের কল্যান মুলক অনুষ্ঠানের নিতান্তই প্রয়োজন বিধায় অল্পক্ষন হলেও উপস্থিতি কামনা করি। 

সম্রাটের মন্ত্রী মহোদয় বুঝতে পারলেন যে, আল্লামা মাইনুদ্দিন ছাহেব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মীলাদ মাহফিলে কেবল তাঁর সম্মানার্থে উপস্থিত হতে পারেন অন্য কোন অনুষ্ঠানে নয়। এবিষয়টি মন্ত্রী মহোদয় সম্রাট মহোদয়ের দরবারে অবহিত করেন। এ সুবাদে সম্রাট মহোদয় স্বীয় মন্ত্রী মহোদয় কে আন্তর্জাতিক মানের খাদ্য ও পান সামগী প্রস্তুত করত: মাহফিল কে অপরূপ সজ্জায় সজ্জিত এভং সুরভীতি করার জন্য আতর গোলাপ, ধুপদ্বারা সুঘ্রানীত ও সুরভীত করার নির্দেশ দেন। 

অনুষ্ঠানে আকাবীর তথা বড় বড় উলামা-মাশায়েখ ও তথাকার অধিবাসীদিগকে অংশ গ্রহনের আহবান করা হয়। হাজারও মানুষের সমাগমে অনুষ্ঠানে সজ্জিত টিক এমনই মুহুর্তেই শায়খুল আল্লামা যাইনুদ্দিন (رحمة الله) কিছু সংখ্যক সহচরবৃন্দকে নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। তাঁর সম্মানার্থে সম্রাট মহোদয় আপ্যায়নের জন্য স্বয়ং- শেখ মহোদয়ের হস্ত ধৌত করনের জন্য শিষ্ঠাচার হস্তে পানির লোটা বহন করেন এবং স্বীয় মন্ত্রী মহোদয় (বারাম খান) নির্দেশের অধীনস্ত হয়ে নীচে চিলমুচি (চিলিমচি) বহন করেন। উভয়ের উদ্দেশ্য একটিই ছিল যে, যাতে করে তাদের প্রতি শায়খ মহোদয়ের সুদৃষ্টি পরায়ন স্নেহশীল এবং কোমলপ্রাণ হোন। তারা তাঁর হস্তমোবারকে মিষ্টি পরিবেশন করেন। এরই ফলে আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের সন্তুষ্টি কামনায় তাঁর প্রতি উভয়ের সমোচ্ছ স্থান ও গৌরভয়ম মর্যাদা অর্জিত হয়।

Top