মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত
الجَنَّةُ تَحْتَ أقْدامِ الأُمَّهاتِ
-“মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত।”
৭১৬১৬, ইমাম দোলাভী: আল কুনা ওয়াল আসমা, হাদিস নং ১৯১১; মুসনাদে ফেরদৌস, হাদিস নং ২৬১১; ইমাম ছিয়তী: ফাতহুল কবীর, হাদিস নং ৫৭৫৯; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৪৫৪৩৯; ইমাম ছিয়তী: জামেউস ছাগীর, হাদিস নং ৬৪১২; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিস, হাদিস নং ১১৪৭৬; ইমাম কাস্তালানী: এরশাদুস ছারী শরহে বুখারী, ২৯৬৬ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়; ইমাম মোল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ৬৯৪ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়; আল্লামা মানাভী: ফায়জুল কাদীর, হাদিস নং ৬৪১২; কাজী শাওকানী: নাইলুল আওতার, ২৮৪৭ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়; আত্তানভীর শরহে জামেউস ছাগীর, হাদিস নং ৩৬২৬; তাজকিরাতু ফি আহাদিছিল মুশতাহিরা, ১ম খন্ড, ১৯২ পৃ:; ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানাহ, হাদিস নং ৩৭৩; ইমাম ইবনে শাহিন: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীর লি’কাওয়াইমিস সুন্নাহ, হাদিস নং ৪৪৮; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ১ম খন্ড, ২৯৯ পৃ: হাদিস নং ১০৭৮;
হাদিসখানা ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ছালামা ইবনে জাফর কাদ্বাঈ মিছরী (র:) ওফাত ৪৫৪ হিজরী তদীয় কিতাবে সনদসহ উল্লেখ করেন,
أَخْبَرَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحَسَنُ بْنُ خَلَفٍ الْوَاسِطِيُّ، ثنا عُمَرُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ شَاهِينَ، ثنا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ الْمُهْتَدِي بِاللَّهِ بْنِ الْوَاثِقِ بِاللَّهِ، ثنا عَلِيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْوَاسِطِيُّ، ثنا مَنْصُورُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، عَنْ أَبِي النَّضْرِ الْأَبَّارُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْجَنَّةُ تَحْتَ أَقْدَامِ الْأُمَّهَاتِ
-“হযরত আনাস ইবনে মালেক (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত।” ৭১৭১৭, ইমাম কাদ্বাঈ: মুসনাদে শিহাব, হাদিস নং ১১৯; ইমাম ইবনে শাহিন: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীর লি’কাওয়াইমিস সুন্নাহ, হাদিস নং ৪৪৮;
এই হাদিসের সনদ সম্পর্কে হাফিজ ইরাকী (র:) বলেছেন,
قلت: ورواه القضاعي في مسند الشهاب والخطيب في الجامع من حديث أنس بلفظ الجنة تحت أقدام الأمهات وإسناده ضعيف
-“আমি বলছি: ইমাম কাদ্বাঈ তার মুসনাদে শিহাব গ্রন্থে এবং খতিবে বাগদাদী (র:) তার জামে গ্রন্থে হযরত আনাস (رضي الله عنه) এর রেওয়ায়েতটি বর্ণনা করেছেন। আর এর সনদ দ্বায়িফ ।” ৭১৮১৮, তাখরিজু আহাদিসুল এহইয়ায়ে উলুমুদ্দিন, হাদিস নং ১৮৯০;
এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম জারকাশী (র:) ও ইমাম ছাখাবী (র:) বলেন,
والْحَدِيث مُنكر وَذكره ايضا من حَدِيث ابْن عَبَّاس وَضَعفه وَمَعْنَاهُ ان التَّوَاضُع للامهات سَبَب لدُخُول الْجنَّة
-“এই হাদিস মুনকার, ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকেও অনুরূপ হাদিস বর্ণনা করেছেন ও একে দ্বায়িফ বলেছেন। এর অর্থ হচ্ছে: মায়ের কাছে বিনয় প্রকাশ করা জান্নাতে প্রবেশের অন্যতম কারণ।” ৭১৯১৯, ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানাহ, হাদিস নং ৩৭৩; আত তাজকিরা ফি আহাদিসিল মুশতাহিরা, ১ম খন্ড, ১৯২ পৃ:;
এর সমর্থনে আরো রেওয়ায়েত রয়েছে। যেমন:
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، نا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ طَلْحَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ السُّلَمِيِّ، أَنَّ جَاهِمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي أَرَدْتُ أَنْ أَغْزُوَ مَعَكَ وَجِئْتُ أَسْتَشِيرُكَ. قَالَ: أَلَكَ وَالِدَةٌ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَاذْهَبْ فَالْزَمْهَا؛ فَإِنَّ الْجَنَّةَ تَحْتَ رِجْلِهَا
-“হযরত মুয়াবিয়া ইবনে জাহমা আস সালামী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় তিনি নবী পাক (ﷺ) এর কাছে আসলেন ও বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি ইচ্ছা করছি যে, আপনার সাথে যুদ্ধের ময়দানে যাব ও আপনার সাথে শরিক হব। আল্লাহর নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন: তোমার মা কি জিবীত আছেন? তিনি বললেন: হ্যাঁ। নবীজি (ﷺ) বললেন: ইহাই তোমার জন্য আবশ্যক, কেননা মায়ের পায়ের নিচেই তোমার জান্নাত।”
৭২০২০, ইমাম ইবনে আবী আছেম: আল আহাদু ওয়াল মাছানী, হাদিস নং ১৩৭১;
এই হাদিসটি ইবনে জুরাইয (র:) থেকে ইমাম নাসাঈ (র:) আরেকটি সূত্রে বর্ণনা করেছেন,
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْحَكَمِ الْوَرَّاقُ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ طَلْحَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ السَّلَمِيِّ، أَنَّ جَاهِمَةَ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَৃৃ
-“ইবনে জুরাইয (র:) মুহাম্মদ ইবনে ত্বলহা আর তিনি হলেন ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুর রহমান তার পিতা ত্বলহা (র:) হতে, তিনি হযরত মুয়াবিয়া ইবনে জাহমা আস সালামী (رضي الله عنه) হতে...।” ৭২১২১, নাসাঈ শরীফ, হাদিস নং ৩১০৪; ইমাম নাসাঈ: সুনানে কুবরা, হাদিস নং ৪২৯৭;
সুনানে নাসাঈ এর তাহকিকে আলবানী হাদিসটিকে হাছান-ছহীহ বলেছেন। এখানে ‘মুহাম্মদ ইবনে ত্বালহা ইবনে আব্দুর রহমান’ সম্পর্কে ইমামগণের অভিমত লক্ষ্য করুন,
محمد بن طلحة بن عبد الرحمنৃ قال أبو حاتم محله الصدق يكتب حديثه ولا يحتج به وذكره بن حبان في الثقات
-“মুহাম্মদ ইবনে ত্বালহা ইবনে আব্দুর রহমান সম্পর্কে ইমাম আবু হাতিম (র:) বলেন: আমি তার হাদিস লিখি তার হাদিসের উপর নির্ভর করিনা। ইমাম ইবনে হিব্বান (র:) তাকে বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন।”
৭২২২২, ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ৩৮০; ইমাম মিযযী: তাহজিবুল কামাল, রাবী নং ৫৩১২; কাশ্শাফ, রাবী নং ৪৯২৪; ইমাম যাহাবী: তারিখে ইসলামী, রাবী নং ২৮২;
شيخ ابْن الْمَدِينِيّ وثق وَقَالَ أَبُو حَاتِم لَا يحْتَج بِهِ -
“শায়েখ ইবনে মাদানী (র:) তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন, আবু হাতেম (র:) তার উপর নির্ভর করেননি।” ৭২৩২৩, ইমাম যাহাবী: আল মুগনী ফিদ দোয়াফা, রাবী নং ৫৬৫০;
অতএব, তার বর্ণিত হাদিস হাছান হওয়াতে কোন বাধা নেই। ইবনে জুরাইয (র:) থেকে ইমাম তাবারানী (র:) আরেকটি সূত্রে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন,
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُحَمَّدٍ التَّمَّارُ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمُبَارَكِ الْعَيْشِيُّ، ثنا سُفْيَانُ بْنُ حَبِيبٍ، ثنا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ رُكَانَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَৃৃ
-“ইবনে জুরাইয (র:) মুহাম্মদ ইবনে ত্বলহা ইবনে ইয়াজিদ ইবনে রুকানা হতে, তিনি মুয়াবিয়া ইবনে জাহমা (رضي الله عنه) হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি বলেন:...।
৭২৪২৪, ইমাম তাবারনী: মুজামুল কবীর, হাদিস নং ২২০২;
এই হাদিস সম্পর্কে লা-মাজহাবী নাছিরুদ্দিন আলবানী বলেন,
ورواه الطبراني بإسناد جيد -
“ইমাম তাবারানী যায়্যেদ সনদে বর্ণনা করেছেন।” ৭২৫২৫, আলবানী: ছহীহ্ তারগীব ওয়া তারহীব, হাদিস নং ২৪৮৫;
ইমাম বায়হাক্বী (র:) ইবনে জুরাইয (র:) ও হাজ্জায থেকে আরেকটি থেকে আরেকটি সূত্রে বর্ণনা করেছেন,
أَخْبَرَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ، أنا أَبُو جَعْفَرٍ الرَّزَّازُ، نا أَحْمَدُ بْنُ الْوَلِيدِ الْفَحَّامُ، نا حَجَّاجٌ، قَالَ: قَالَ جُرَيْجٌ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ ৃৃ
-“হাজ্জায বলেন, ইবনে জুরাইয (র:) মুহাম্মদ ইবনে ত্বলহা ইবনে আব্দুর রহমান হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি মুয়াবিয়া ইবনে জাহমা (رضي الله عنه) হতে...।” ৭২৬২৬, ইমাম বায়হাক্বী: শুয়াইবুল ঈমান, হাদিস নং ৭৪৪৯;
ইমাম হাকেম (র:) ইবনে জুরাইয (رضي الله عنه) ও হাজ্জায থেকে আকেটি সূত্রে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন,
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْفَقِيهُ، بِالرِّيِّ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَرَجِ الْأَزْرَقُ، ثنا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ: قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ، أَنَّ جَاهِمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ:ৃৃ
-“হাজ্জায ইবনে মুহাম্মদ বলেন, ইবনে জুরাইয (র:) বলেছেন আমার কাছে মুহাম্মদ ইবনে ত্বলহা ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান বর্ণনা করেছেন, তিনি তার পিতা হতে, তিনি হযরত মুয়াবিয়া ইবনে জাহমা (رضي الله عنه) হতে,...।” ৭২৭২৭, মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ২৫০২;
ইমাম হাকেম নিছাপুরী (র:) ও ইমাম যাহাবী (র:) হাদিসটি উল্লেখ করে বলেন: هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ -“এই হাদিসের সনদ ছহীহ্।” ৭২৮২৮, মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ২৫০২; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ১ম খন্ড, ২৯৯ পৃ:;
নাছিরুদ্দিন আলবানী তার ‘তাহকিকু হুকুন নিসাই ফিল ইসলাম’ গ্রন্থের ১ম খন্ডের ১৯৫ পৃষ্টায় হাদিসটিকে صحيح (ছহীহ্) বলেছেন।
ইমাম আবুল কাশেম আব্দুল মালেক ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে বাশরানে বাগদাদী (র:) ওফাত ৪৩০ হিজরী আরেকটি সনদে হাদিসটি উল্লেখ করেছেন,
أَخْبَرَنَا أَبُو مُحَمَّدٍ عَبْدُ الْخَالِقِ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ مُحَمَّدٍ السَّقَطِيُّ الْمُعَدَّلِ، ثنا أَبُو أَيُّوبَ سُلَيْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْخٍ، ثنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْأُمَوِيُّ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ رُكَانَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ السُّلَمِيِّ، قَالَ: أَتَى رَجُلٌ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَৃৃ
(আমালী ইবনে বাশরানে, হাদিস নং ৬২)
ইমাম বায়হাক্বী (র:) ইবনে জুরাইয (র:) আরেকটি সূত্রে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন,
أَخْبَرَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ بِبَغْدَادَ، أنبأ أَبُو جَعْفَرٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو الرَّزَّازُ، ثنا أَحْمَدُ بْنُ الْوَلِيدِ الْفَحَّامُ، ثنا حَجَّاجٌ، ح وَأَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرٍ أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ الْقَاضِي، وَأَبُو سَعِيدِ بْنُ أَبِي عَمْرٍو، قَالَا: ثنا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، ثنا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ طَلْحَةَ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ جَاهِمَةَ السُّلَمِيِّ، أَنَّ جَاهِمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ جَاءَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ:ৃৃ
(সুনানে কুবরা লিল বায়হাক্বী, হাদিস নং ১৭৮৩২)
এই হাদিসের রাবী ‘ত্বালহা ইবনে আব্দুল্লাহ’ সম্পর্কে নাছিরুদ্দিন আলবানী বলেন,
وطلحة بن عبد الله لم يوثقه غير ابن حبان ,لكن روى عنه جماعة ,فهو حسن الحديث إن شاء الله وفى التقريب: مقبولৃ لكن الحديث بمجموع طرقه صحيح
-“ইবনে হিব্বান (র:) ব্যতীত কেউ তাকে ছিক্বাহ বলেননি। কিন্তু একদল ইমাম তার থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। আর আল্লাহ চাহেতু সে হাছানুল হাদিস। তাকরীব গ্রন্থে ইমাম আস্কালানী (র:) বলেন: সে গ্রহণযোগ্য। কিন্তু সমষ্ঠিগতভাবে হাদিসটি ছহীহ্।” ৭২৯২৯, আলবানী: ইরইয়াউল গালিল, ৫ম খন্ড, ২১ পৃ:;
নাছিরুদ্দিন আলবানী অন্যত্র আরো বলেন,
وسنده حسن إن شاء الله، وصححه الحاكم ووافقه الذهبي،
-“আল্লাহ চাহেতু এর সনদ হাছান, ইমাম হাকেম (র:) একে ছহীহ্ বলেছেন, ইমাম যাহাবী (র:) একমত পোষণ করেছেন।” ৭৩০৩০, আলবানী: ছিলছিলায়ে জয়ীফা, হাদিস নং ৫৯৩;
ইমাম ছাখাবী (র:) ও ইমাম আজলুনী (র:) বলেন,
أحمد والنسائي وابن ماجه والحاكم في مستدركه من حديث ابن جريج، أخبرني محمد بن طلحة هو ابن عبد اللَّه بن عبد الرحمن ابن أبي بكر الصديق عن أبيه عن معاوية بن جاهمة السلمي، أن جاهمة جاء إلى النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فقال: يا رسول اللَّه، أردت أن أغزو، وقد جئت أستشيرك، فقال: هل لك من أم؟ قال: نعم، قال: فالزمها فإن الجنة تحت رجليها، وقال الحاكم: إنه صحيح الإسناد
-“আহমদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, হাকেম তার ‘মুস্তাদরাকে’ হযরত ইবনে জুরাইয এর হাদিটি বর্ণনা করেছেন।.. মুয়াবিয়া ইবনে জাহমা সালামী (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, নিশ্চয় জাহমা নবী করিম (ﷺ) এর কাছে গেলেন এবং বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আশা করছি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করব আর এই মর্মে আপনার কাছে উপস্থিত হয়েছে। নবীজি (ﷺ) বললেন: তোমার মাতা জিবিত আছে? সে বলল হ্যাঁ। তাহলে তার খেদমত করা তোমার জন্য আবশ্যক কেননা মায়ের পায়ের নিচেই তোমার জান্নাত। ইমাম হাকেম বলেন: এর সনদ ছহীহ্।” ৭৩১৩১, ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানাহ, হাদিস নং ৩৭৩; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ১ম খন্ড, ২৯৯ পৃ: হাদিস নং ১০৭৮;