সিরিয়ায় তৃতীয় সফরে নাসতোর পাদ্রীর সাক্ষাৎ লাভ
📚কিতাবঃ আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ)
🖋️মূলঃ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (رحمة الله)


রাসূলে করীম (ﷺ) কর্তৃক মক্কা থেকে সুদুর সিরিয়ায় সফরটি ছিল তৃতীয় পর্যায়ের। তখন তাঁর বয়স ছিল ২৫ বছর। এসময় তাঁর সাথে সফর সঙ্গীনী হিসেবে ছিলেন হযরত খাদীজাতুল কুবরা (رضي الله عنه) এর দাসী হযরত মাইসারা (رضي الله عنه) ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়ায় গমন করে সেখানকার বসরার একটি বাজারে যেয়ে পৌছলেন। অতপর সেখানকার একটি বৃক্ষের ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করেন।এক পর্যায়ে নাস্তোর পাদ্রির সাক্ষাত ঘটলে সে বলল-

 ما نزل تحت ظل هذه الثجرة الانبى 

অর্থৎ- এ বৃক্ষের ছায়ায় তো কেবল নবীরা ব্যতীত অন্য কেউ অবস্থান করেনা। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ঈসা عليه السلام  এর পরবর্তীতে কেবল মোহাম্মদ (ﷺ) অবস্থান করবেন। অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, এ বলে নাসতোর পাদ্রী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে কদমবুছিও করল, হযরতের মোহরে নবুওয়তের দৃষ্টি করতঃ চুম্বন করলেন এবং বললেনঃ আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিঃসন্দেহে আপনি আল্লাহর পয়গম্বর হবেন, যার সম্র্পকে হযরত ঈসা عليه السلام  ভবিষ্যধানী করে গেছেন। পাদ্রী হযরত মাইসারকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ আফসোস। কতইনা সৌভাগ্যবান হতাম, যদি তাঁর আবির্ভাব কাল পেতাম। এতদভিন্ন হযরতে মাইসারা (رضي الله عنه) এ সফরের মধ্যে সবর্দাই লক্ষ্য করেছেন যে, প্রখর রৌদ্রের মধ্যে ও চলাকালে দুজন ফেরেস্তা হযরতের মাথার উপর ছায়া প্রদান করতো। এমনকি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন এসুদীর্ঘ সফর হতে ফিরে আসলেন, তখন দুপুর বেলা মক্কা নগরীতে পৌছলেন। ঐ সময় বিবি খাদিজা (رضي الله عنه) স্বীয় বাস ভবনের দ্বিতলের বারান্দা হতে তাঁর আগমনের অবস্থা উপলদ্ধি করতে ছিলেন। 

যখন মাইসারা বিবি খাদিজার ঘরে উপস্থিত হলেন, তখন তাঁর কাছে সংঘটিত বর্ণনা দিলেন। মাইসারা বললেনঃ আমিতো আগাগোড়া সম্পুর্ণ সফরেই এ অবস্থা বিরাজমান দেখেছি। এ বলে পাদ্রীর সমস্ত ঘটনা খুলে বললেন। 
Top