মূসা (عليه السلام) আল্লাহর সাথে দুইবার সরাসরি কথা বলেছেন আর মুহাম্মদ (ﷺ) আল্লাহকে দুইবার সরাসরি দেখেছেন
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ: لَقِيَ ابْنُ عَبَّاسٍ كَعْبًا بِعَرَفَةَ فَسَأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ فَكَبَّرَ حَتَّى جَاوَبَتْهُ الجِبَالُ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: إِنَّا بَنُو هَاشِمٍ، فَقَالَ كَعْبٌ: إِنَّ اللَّهَ قَسَمَ رُؤْيَتَهُ وَكَلاَمَهُ بَيْنَ مُحَمَّدٍ وَمُوسَى، فَكَلَّمَ مُوسَى مَرَّتَيْنِ، وَرَآهُ مُحَمَّدٌ مَرَّتَيْنِ.
-“হযরত শাবী (র:) বলেন, ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) এর সাথে আরাফার মাঠে হযরত কা’ব আহবারের দেখা হলে তিনি এ ব্যাপারে (নবীজি আল্লাহকে দেখেছেন কি-না) জিজ্ঞাসা করলেন, ইহা শুনে হযরত কা’ব (رضي الله عنه) এমন জোরে ‘আল্লাহু আকবার’ তাকবীর দিলেন ফলে আওয়াজ প্রতিধ্বনিত হতে লাগল। তখন ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বললেন: আমরা বনী হাশিমের বংশধর। হযরত কা’ব (رضي الله عنه) বললেন: আল্লাহ তাঁর দর্শন ও কথাকে হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) ও মুসা (عليه السلام) এর মাঝে বিভক্ত করেছেন। হযরত মুসা (عليه السلام) এর সাথে আল্লাহ দু’বার কথা বলেছেন, আর মুহাম্মদ (ﷺ) এর সাথে দু’বার দেখা দিয়েছেন।” ৫৭৭৭৭, মেসকাত শরিফ, ৫০১ পৃ: হাদিস নং ৫৬৬১; তিরমিজি শরিফ, ২য় জি: ১৬৩ পৃ: হাদিস নং ৩২৭৮; ইমাম মোল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১০ম খন্ড, ৩৩০ পৃ:; জামেউল উসুল, হাদিস নং ৮২১; তাফছিরে ইবনে কাছির, ৭ম খন্ড, ৪১৬ পৃ:; তাফছিরে খাজেন শরিফ, ৪র্থ খন্ড, ২০৫ পৃ:;
এর সনদে কোন দ্বায়িফ রাবী নেই। মেসকাতের তাহকিকে লা-মাজহাবী নাছিরুদ্দিন আলবানীও হাদিসটিকে صَحِيحُ ছহীহ্ বলেছেন। হাদিসটি আরেকটি সূত্রে বর্ণিত আছে,
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَيَانٍ قَالَ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عَامِرٍ قَالَ: ثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ كَعْبٍ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَسَمَ رُؤْيَتَهُ وَكَلَامَهُ بَيْنَ مُوسَى وَمُحَمَّدٍ، فَكَلَّمَهُ مُوسَى مَرَّتَيْنِ، وَرَآهُ مُحَمَّدٌ مَرَّتَيْنٍ
-“হযরত কা’ব (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, নিশ্চয় খবর বর্ণনা করেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা দিদার ও কথাকে ভাগ করেছেন মুহাম্মদ (ﷺ) ও মূসা (عليه السلام) এর মাঝে। মূসা (عليه السلام) আল্লাহর সাথে দুইবার কথা বলেছেন এবং মুহাম্মদ (ﷺ) আল্লাহকে দুইবার দেখেছেন।” ৫৭৮৭৮, তাফছিরে তাবারী, ২২তম খন্ড, ৩১ পৃ:;