প্রতি রাত্রে আল্লাহ প্রথম আসমানে নেমে আসেন
حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ هِلَالِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ رِفَاعَةَ الْجُهَنِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا مَضَى ثُلُثُ اللَّيْلِ أَوْ قَالَ: ثُلُثَا اللَّيْلِ يَنْزِلُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا وَقَالَ: لَا أَسْأَلُ عَنْ عِبَادِي أَحَدًا غَيْرِي مَنْ ذَا الَّذِي يَسْتَغْفِرُنِي أَغْفِرُ لَهُ؟ مَنْ ذَا الَّذِي يَدْعُونِي أَسْتَجِيبُ لَهُ؟ مِنْ ذَا الَّذِي يَسْأَلُنِي أُعْطِهِ؟ حَتَّى يَطْلُعَ الْفَجْرُ
-“হযরত রিফায়াতাল জুহানী (رضي الله عنه) বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন: নিশ্চয় রব তাবারুকু তা’আলা প্রতি রাতের শেষ ভাগে পৃথিবীর নিকটতম আসমানে অবতরণ করেন। অত:পর বলতে থাকে: আমার বান্দাদের মাঝে কে আছ আমার কাছে ক্ষমা চাও আমি তাকে ক্ষমা করে দিব, কে আছ আমার কাছে দোয়াকারী আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে আছ আমার কাছে প্রার্থনাকারী আমি তাকে ইহা দিব। এমনকি ফজর পর্যন্ত ডাকতে থাকেন।” ৫৬৮৬৮, সুনানে আবু দাউদ ত্বয়ালুছী, হাদিস নং ১৩৮৮; ছহীহ্ বূখারী শরীফ, হাদিস নং ১১৪৫ আবু হুরায়রা রা: হতে; ছহীহ্ মুসলীম শরীফ, হাদিস নং ৭৫৮ আবু হুরায়রা রা: থেকে; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, ২য় খন্ড, ৪৬ পৃ:; তিরমিজি শরিফ, ১ম জি: ১০২ পৃ:; কাজী আয়্যায: শিফা শরিফ, ১ম জি: ২৪৩ পৃ:; ইমাম গাজ্জালী: এহইয়াই উলুমুদ্দিন, ১ম খন্ড, ৩৯৯ পৃ:;
এই হাদিস ছহীহ্। হাদিসটি আরেকটি সূত্রে বর্ণিত আছে,
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَنْزِلُ اللَّهُ تَعَالَى إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا كُلَّ لَيْلَةٍ لِنِصْفِ اللَّيْلِ الْآخِرِ، أَوْ لِثُلُثِ اللَّيْلِ الْآخِرِ، فَيَقُولُ: مَنْ ذَا الَّذِي يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ؟ مَنْ ذَا الَّذِي يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ؟ مَنْ ذَا الَّذِي يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ؟ حَتَّى يَطْلُعَ الْفَجْرُ
-“হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে করিম (ﷺ) বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহু তাবারুকু তা’আলা প্রতি রাতের মধ্য ভাগে অথবা শেষ ভাগে পৃথিবীর নিকটতম আসমানে অবতরণ করেন। অত:পর বলতে থাকের: আমার বান্দাদের মাঝে কে আছ আমার কাছে ক্ষমা চাও আমি তাকে ক্ষমা করে দিব, কে আছ আমার কাছে প্রার্থনাকারী আমি তাকে ইহা দিব। এমনকি ফজর পর্যন্ত ডাকতে থাকেন।” ৫৬৯৬৯, ছহীহ্ বূখারী শরীফ, হাদিস নং ১১৪৫; ছহীহ্ মুসলীম, হাদিস নং ৭৫৮; মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ৭৫০৯; তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ৪৪৬; দারেমী শরীফ, হাদিস নং ১৫১৯;
হাদিসটি আরেকটি সূত্রে বর্ণিত আছে,
حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَنْزِلُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا، فَيَقُولُ: هَلْ مِنْ سَائِلٍ فَأُعْطِيَهُ؟ هَلْ مِنْ مُسْتَغْفِرٍ فَأَغْفِرَ لَهُ؟ حَتَّى يَطْلُعَ الْفَجْرُ
-“হযরত নাফে ইবনে যুবাইর (رضي الله عنه) তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি নবী করিম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহু তাবারুকু তা’আলা প্রতি রাতে পৃথিবীর নিকটতম আসমানে অবতরণ করেন। অত:পর বলতে থাকে: আমার বান্দাদের মাঝে কে আছ আমার কাছে ক্ষমা চাও আমি তাকে ক্ষমা করে দিব, কে আছ আমার কাছে প্রার্থনাকারী আমি তাকে ইহা দিব। এমনকি ফজর পর্যন্ত ডাকতে থাকেন।” ৫৭০৭০, মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ১৬৭৪৫; দারেমী শরীফ, হাদিস নং ১৫২১; মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদিস নং ৭৪০৮;
হাদিসটি আরেকটি সূত্রে বর্ণিত আছে,
حَدَّثَنَا مُطَّلِبُ بْنُ شُعَيْبٍ الْأَزْدِيُّ، ثنا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زِيَادَةَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ، عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ الْأَنْصَارِيِّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَنْزِلُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي آخِرِ ثَلَاثِ سَاعَاتٍ يَبْقَيْنَ مِنَ اللَّيْلِ
-“হযরত আবু দারদা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহু তাবারুকু তা’আলা প্রতি রাতের মধ্য ভাগে অথবা শেষ ভাগে পৃথিবীর নিকটতম আসমানে অবতরণ করেন।” ৫৭১৭১, ইমাম তাবারানী: আদ দোয়া, হাদিস নং ১৩৫;
হাদিসটি আরেকটি সূত্রে বর্ণিত আছে,
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ آدَمَ بْنِ أَبِي إِيَاسَ الْعَسْقَلَانِيُّ، وَعَلِيُّ بْنُ إِسْحَاقَ الْأَصْبَهَانِيُّ، قَالَا: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَقْدِسِيُّ، ثنا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسَ، ثنا عَدِيُّ بْنُ الْفَضْلِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ كِلَابِ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: يَنْزِلُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا ثُمَّ يَأْمُرُ مُنَادِيًا يُنَادِي هَلْ مِنْ مُسْتَغْفِرِ فَأَغْفِرَ لَهُ، هَلْ مِنْ تَائِبٍ فَأَتُوبَ عَلَيْهِ، هَلْ مِنْ دَاعِ فَأَسْتَجِيبَ لَهُ
-“হযরত উসমান ইবনে আবীল আস (رضي الله عنه) বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহু তাবারুকু তা’আলা প্রতি রাতে পৃথিবীর নিকটতম আসমানে অবতরণ করেন। অত:পর আহবানকারীকে আদেশ দেন এভাবে আহবান করার জন্য: কে আছ আমার কাছে ক্ষমা চাও আমি তার তওবা কবুল করব, কে আছ আমার কাছে প্রার্থনাকারী আমি তার ডাকে সাড়া দিব।” ৫৭২৭২, ইমাম তাবারানী: আদ দোয়া, হাদিস নং ১৪০;
হাদিসটি আরেকটি সূত্রে বর্ণিত আছে,
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْحَاقَ التُّسْتَرِيُّ، ثنا هِلَالُ بْنُ يَحْيَى الرَّأْي، ثنا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْأَغَرِّ أَبِي مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي سَعِيدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَنْزِلُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فِي كُلِّ لَيْلَةٍ إِذَا مَضَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الْأَوَّلُ، ثُمَّ يُنَادِي مُنَادٍ: هَلْ مِنْ مُسْتَغْفِرِ فَيُغْفَرَ لَهُ، هَلْ مِنْ سَائِلٍ فَيُعْطَى
-“হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) ও আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহু তাবারুকু তা’আলা প্রতি রাতের শেষ ভাগে পৃথিবীর নিকটতম আসমানে অবতরণ করেন। অত:পর আহবানকারী বলতে থাকেন: কে আছ আমার কাছে ক্ষমা চাও আমি তাকে ক্ষমা করে দিব, কে আছ আমার কাছে দোয়াকারী আমি তার ডাকে সাড়া দিব।” ৫৭৩৭৩, ইমাম তাবারানী: আদ দোয়া, হাদিস নং ১৪৮;
এই হাদিস ছহীহ্ বুখারীসহ বহু সংখ্যক কিতাবে বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত বিধায় সনদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার প্রয়োজন মনে করছি না। আরেকটি জরুরী বিষয় হল, আল্লাহ তা’আলা প্রথম আসমানে নেমে আসেন এই কথা অর্থ হল আল্লাহর খাস রহমতের দরজার পৃথিবীর নিকটতম অবস্থানে খোলে দেওয়া হয়। আল্লাহর স্বীয় অজুদ দিয়ে নেমে আসেন এরুপ বলা যাবেনা। কারণ আল্লাহর আসা যাওয়া লাগেনা। তিনি অসীম ও কোন স্থান কালের মুখাপেক্ষী না।