মু’মীনে কামেল আল্লাহর নূর দিয়ে সব কিছু দেখে

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الطَّيِّبِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ سَلاَّمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اتَّقُوا فِرَاسَةَ الْمُؤْمِنِ فَإِنَّهُ يَنْظُرُ بِنُورِ اللهِ، ثُمَّ قَرَأَ: إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِلْمُتَوَسِّمِينَ.
-“হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে করিম (ﷺ) বলেছেন: তোমরা মু’মিনের অন্তরের দৃষ্টিকে ভয় কর, নিশ্চয় আল্লাহর নূর দিয়ে তাঁরা দেখে।” ৩২৬২৬,  জামে তিরমিজি শরিফ, ২য় খন্ড, ১৪৫ পৃ: হাদিস নং ৩১২৭; তাফছিরে কাবির শরিফ, ১ম খন্ড, ১২৭ পৃ:; ২৩তম খন্ড, ২৩১ পৃ:; তাফছিরে রুহুল বয়ান, ১ম খন্ড, ৩৯ পৃ:; ৪র্থ খন্ড, ৫৯০ পৃ:; ২য় খন্ড, ৪৫৫ পৃ:; ইমাম তাবারানী: মুজামুল কবিরে, ৮ম খন্ড, ১০২ পৃ: হা: নং ৭৪৯৪; ইমাম হায়ছামী: মজমুয়ায়ে জাওয়াহেদ’ ১০ম খন্ড, ২৭১ পৃ:; গাউছে পাক: ছেররুল আছরার, ১২২ পৃ:; হাফিজ ইবনে কাছির: আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া, ২য় খন্ড, ৪০৯ পৃ:; তাফছিরে কুরতবী, ১০ম খন্ড, ৩৪ পৃ:; নাওয়াদেরুল উছুল, ২৭১ নং হা:; তাফছিরে তাবারী, ১৪ তম খন্ড, ৫০ পৃ:; তাফছিরে রুহুল মায়ানী, ১৪ তম খন্ড, ৪২৯ পৃ:; তাফছিরে খাজেন, ৩য় খন্ড, ৬০ পৃ:; তাফছিরে ইবনে কাছির, ২য় খন্ড, ৬৯২ পৃ:; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ১ম খন্ড, ৩৫ পৃ:; ইমাম ছাখাভী: মাকাছিদুল হাছানা, ১৯ পৃ:; ইমাম ছিয়তী: জামেউছ ছাগীর, ১ম জি: ১৬ পৃ:; ইমাম আবু নুয়াইম: হিলিয়াতুল আউলিয়া, ৫ম খন্ড, ৩৫ পৃ:; তারিখে বাগদাদ, ৫ম খন্ড, ৯৯ পৃ:;

ইমাম তিরমিজি (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এই হাদিস উল্লেখ করে বলেন: 
هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ -“এই হাদিস ‘গরীব’ তথা একজন রাবী কর্তৃক বর্ণিত।” ৩২৭২৭,  তিরমিজি শরীফ, ২য় জি: ১৪৫ পৃ:;

 ইমাম তিরমিজি (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর কাছে একজন রাবী কর্তৃক এই হাদিস বর্ণনা করেছেন এজন্যে তিনি এই হাদিসকে ‘গরীব’ বলেছেন, অন্যথায় এই হাদিস ‘গরীব’ নয়, মোট ৬ জন সাহাবী এই হাদিস বর্ণনা করেছেন। উল্লেখ্য যে, ‘গরীব’ মানে ‘দ্বায়িফ’ নয়। ‘গরীব হাদিস’ হল যে হাদিস প্রত্যেক যুগে মাত্র একজন রাবী বর্ণনা করেছেন সে হাদিসকে ‘গরীব হাদিস’ বলে। গরীব হাদিস ছহীহ্ হতে পারে, ইমাম তিরমিজি (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর কাছে হাদিসটি গরীব সনদের হলেও ছহীহ্, কারণ এই হাদিস ‘দ্বায়িফ’ হলে তিনি ‘দ্বায়িফ’ উল্লেখ করতেন। এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত লক্ষ্য করুন,
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الطُّوسِيُّ، قَالَ: ثنا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: ثنا الْفُرَاتُ بْنُ السَّائِبِ، قَالَ: ثنا مَيْمُونُ بْنُ مِهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اتَّقُوا فِرَاسَةَ الْمُؤْمِنِ؛ فَإِنَّهُ يَنْظُرُ بِنُورِ اللَّهِ
-“হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه), বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: তোমরা মু’মীনের অন্তরের দৃষ্টিকে ভয় কর, কেননা তাঁরা আল্লাহর নূর দিয়ে সব কিছু দেখে।”  ৩২৮২৮,  তাফছিরে ইবনে কাছির, ২য় খন্ড, ৬৯২ পৃ:; তাফছিরে তাবারী শরীফ, ১৪তম খন্ড, ৫০ পৃ:; হিলিয়াতুল আউলিয়া, ৪র্থ খন্ড, ৯৪ পৃ:; তাফছিরে দূর্রে মানছুর, ৪র্থ খন্ড, ১৯৪ পৃ:;

এখানে একটি লক্ষ্যনীয় যে, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) মু’মীনরে দেখার বিষয়টি يَنْظُرُ (ইয়ানজুরু) শব্দ দ্বারা প্রকাশ করেছেন, যা মুজারের ছিগা। অর্থাৎ ইহার মধ্যে দুইটি কাল নিহিত, যথা বর্তমান ও ভবিষ্যত কাল। অর্থাৎ মু’মীনে কালেমগণ আল্লাহর নূর দিয়ে দেখতেছেন ও দেখতে থাকবেন। এ সম্পর্কে আরেক হাদিসে আছে,
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ سَهْلٍ، ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: اتَّقُوا فِرَاسَةَ الْمُؤْمِنِ، فَإِنَّهُ يَنْظُرُ بِنُورِ اللَّهِ
-“হযরত আবু উমামা (رضي الله عنه), বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: তোমরা মু’মীনের অন্তরের দৃষ্টিকে ভয় কর, কেননা তাঁরা আল্লাহর নূর দিয়ে সব কিছু দেখে।” ৩২৯২৯, ইমাম তাবারানী তাঁর আওছাতে, ২য় খন্ড, ২৭১ পৃ:; ইমাম তাবারানী তাঁর কবীরে, ৮ম খন্ড, ১০২ পৃ:; তাফছিরে কবীর, ১ম খন্ড, ১২৬ পৃ:; ইমাম ছিয়তী: জামেউছ ছাগীর, ১ম জি: ১৩ পৃ:; ইমাম ছাখাভী: মাকাছিদুল হাছানাহ, ৩৮ পৃ:; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৩০৭৩; মুসনাদে শিহাব, ১ম খন্ড, ৩৮৭ পৃ:; নাওয়াদেরুল ঊছুল, ১স খন্ড, ৬৭৭ পৃ:;

এই হাদিস সম্পর্কে আল্লামা হাফিজ হায়ছামী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন:
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ، وَإِسْنَادُهُ حَسَنٌ. -“ইমাম তাবারানী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ইহা বর্ণনা করেছেন আর ইহার সনদ ‘হাছান’।” ৩৩০৩০, ইমাম হায়ছামী: মাজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, ১০ম খন্ড, ৪৭৩ পৃ:; ইমাম তাবারানী তাঁর আওছাতে, ২য় খন্ড, ২৭১ পৃ: হাশিয়া:; ইমাম আবু নুয়াইম: হিলিয়াতুল আউলিয়া, ৫ম খন্ড, ৩৫ পৃ:; মুসনাদে শিহাব, ১ম খন্ড, ৩৮৭ পৃ:;

এই হাদিসের একটি সনদে رَاشِد بْن سَعْدٍ الحمصي (রশিদ ইবনে ছাইদ) নামক একজন রাবী রয়েছে যাকে ওহাবীরা দুর্বল বলতে চায়। অথচ ইমামগণ তার ব্যাপারে বলেছেন,
 وثقه ابن معين، وأبو حاتم، وابن سعد.-“তাঁকে ইমাম ইবনে মাঈন, ইমাম আবু হাতিম, ইমাম ইবনে সাঈদ (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বিশ্বস্ত বলেছেন।”
عَن أَحْمَد بْن حنبل: لا بأس بِهِ. -“ইমাম আহমদ (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) হতে বর্ণিত, তার ব্যাপারে অসুবিধা নেই।”
وَقَال عثمان بْن سَعِيد الدارمي، عَن يحيى بْن مَعِين، وأَبُو حاتم، وأحمد بْن عَبد الله العجلي، ويعقوب بْن شَيْبَة، والنَّسَائي ثقة. 
-“উসমান ইবনে সাঈদ দারেমী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: ইয়াহইয়া ইবনে মঈন, ইমাম আবু হাতিম, আহমদ ইবনে আব্দুল্লাহ আজলী, ইয়াকুব ইবনে শাইবাহ ও ইমাম নাসাঈ (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন: সে বিশ্বস্ত।” 
وَقَال الدَّارَقُطْنِيُّ: لا بأس به، يعتبر به -“ইমাম দারে কুতনী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: তার ব্যাপারে অসুবিধা নেই, তার উপর নির্ভর করা যায়।”
وله ذكر في الجهاد من صحيح البخاري. قلت وذكره ابن حبان في الثقات 
-“ইমাম বুখারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাঁর ছহীহ্ গ্রন্থে জিহাদ অধ্যায়ে তার থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন। আমি (আসকালানী) বলছি: ইবনে হিব্বান (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তাকে বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন।”
وقال الدارقطني: يعتبر به، لا بأس به. وقال أحمد: لا بأس به،
-“ইমাম আহমদ ও ইমাম দারে কুতনী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: তার উপর নির্ভর করা যায়, তার ব্যাপারে কোন অসুবিধা নেই।”   ৩৩১৩১,  ইমাম শামছুদ্দিন যাহাবী কৃত ‘মিযানুল এ’তেদাল, ২য় খন্ড, ২৯৩ পৃ:; তাহজিবুত তাহজিব, তাহজিবুল কামাল;

অতএব, ইমামগণের অভিমত দ্বারা প্রমাণিত হয় رَاشِد بْن سَعْد (রশিদ ইবনে ছাইদ) এর বর্ণিত রেওয়ায়েত নির্ভরযোগ্য। তাই এই রাবীর রেওয়ায়েত ছহীহ্ অথবা হাছান হবে। এ সম্পর্কে অনুরূপ আরেকটি রেওয়ায়েত আছে,
حَدَّثَنِي أَبُو شُرَحْبِيلَ الْحِمْصِيُّ، قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: ثنا الْمُؤَمَّلُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ يُوسُفَ الرَّحَبِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو الْمُعَلَّى أَسَدُ بْنُ وَدَاعَةَ الطَّائِيُّ قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ، عَنْ طَاوُسِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: احْذَرُوا فِرَاسَةَ الْمُؤْمِنِ؛ فَإِنَّهُ يَنْظُرُ بِنُورِ اللَّهِ،
-“হযরত ছাওবান (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: তোমরা মু’মীনের দাওয়াত ও অন্তরের দৃষ্টিকে ভয় কর। কেননা তাঁরা আল্লাহর নূর দিয়ে সব কিছু দেখে।”  ৩৩২৩২, ইমাম আবু নুয়াইম: হিলিয়াতুল আউলিয়া, ৪র্থ খন্ড, ৮১ পৃ:; তাফছিরে তাবারী, ১৪তম খন্ড, ৯৭ পৃ:; তাফছিরে দুর্রে মানছুর, ৫ম খন্ড, ৯১ পৃ:; তাফছিরে ইবনে কাছির, ৪র্থ খন্ড, ৫৪৩ পৃ:; ইমাম আবু নুয়াইম: তবকাতুল মোহাদ্দেছীন, ৩য় খন্ড, ৪১৯ পৃ:; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিস, ১ম খন্ড, ৪৭৫ পৃ:;

এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত রয়েছে,
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ نَصْرٍ الْحَمَّالُ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْخَلِيلِ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يُونُسَ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَرْقَمَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اتَّقُوا فِرَاسَةَ الْمُؤْمِنِ
-“হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন, তোমরা মু’মীনের অন্তর দৃষ্টিকে ভয় কর।” ৩৩৩৩৩, শাইখ ইস্পাহানী: আমছালুল হাদিস, হাদিস নং ১২৬;

 এ বিষয়ে আরেকটি মারফূ রেওয়ায়েত লক্ষ্য করুন,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُؤْمِنُ يَنْظُرُ بِنُورِ اللَّه الَّذِي خُلِق مِنْهُ
-“হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: মু’মীন আল্লাহর নূর দ্বারা দেখে যে নূর দ্বারা তাঁকে সৃষ্টি করা হয়েছে।” ৩৩৪৩৪, মুসনাদে ফিরদাউছ, ৪র্থ খন্ড, ১৭৮ পৃ:, হাদিস নং ৬৫৫৪; ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, ২য় খন্ড, ২৬৪ পৃ: হাদিস নং ২৭০০; ইমাম ছাখাভী: মাকাছিদুল হাছানা, ৪৪০ পৃ: হাদিস নং ১২৩৪; তাজকিরাতুল মওজুয়াত, ১৯৫ পৃ:; ইমাম ছিয়তী: জামেউল আহাদিস, ২২তম খন্ড, ১১৪ পৃ: হাদিস নং ২৪৪৪১;


 এ সম্পর্কে আরেকটি রেওয়ায়েত লক্ষ্য করুন,
وعند العسكري من حديث ابن المبارك عن عبد الرحمن بن يزيد بن جابر عن عمير بن هانئ عن أبي الدرداء رضي اللَّه عنه من قوله: اتقوا فراسة العلماء، فإنهم ينظرون بنور اللَّه 
-“হযরত আবু দারদা (رضي الله عنه) বলেন: তোমরা আল্লাহর আলিমগণের অন্তরের দৃষ্টিকে ভয় কর। কেননা তাঁরা আল্লাহর নূর দ্বারা সবকিছু দেখেন।” ৩৩৫৩৫,  তারিখে ইবনে আসাকির; মাকাছিদুল হাছানাহ, ১৯ পৃ: হাদিস নং ২৩;

এই হাদিসটি হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকেও বর্ণিত আছে। আর এ বিষয়ে সতর্ক করতে গিয়ে বিশিষ্ট তাবেঈ হযরত হাছান বছরী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: كَانَ يُقَالُ: إِيَّاكُمْ وَفِرَاسَةَ الْمُؤْمِنِ، فَإِنَّهُ يَنْظُرُ بِنُورِ اللَّهِ
-“হযরত হাছান বছরী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন: তোমরা মু’মীনের অন্তরদৃষ্টিকে ভয় কর, কেননা তারা আল্লাহর নূর দ্বারা সবকিছু দেখতে পান। ৩৩৬৩৬, জামে মা’মার ইবনে রাশাদ, ১০/৪৫১, হাদিস নং ১৯৬৭৪;

সুতরাং উল্লেখিত হাদিস সমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয়, মু’মীনে কামেল তথা আল্লাহর ওলীগণ আল্লাহর নূর দিয়ে সবকিছু দেখতে পান। বিষয়টি মোট ৬জন সাহাবী থেকে বর্ণিত হয়েছে, যা সব মিলিয়ে ‘মশহুর’ পর্যায়ের। উছুলে হাদিসের আইন মোতাবেক একাধিক দুর্বল রেওয়ায়েত একত্রিত হলে সবগুলো মিলিত হয়ে ক্বাবী বা শক্তিশালী হয়ে যায়। আর এ বিষয়ে মাকতু ও মাওকুফরূপে ছহীহ্ এবং মারফূ রূপে হাছান ও দ্বায়িফ পর্যায়ের একাধিক রেওয়ায়েত রয়েছে। যা নিশ্চিত রূপে সব মিলিয়ে ক্বাবী বা শক্তিশালী হওয়াতে কোন বাধা থাকবেনা।
Top