দুরুদ শরীফের উছিলায় মহরানা আদায় 

📚কিতাবঃ আল মাওরিদুর রাভী ফি মাওলিদিন নাবাবী (ﷺ)

🖋️মূলঃ ইমাম সুলতান মোল্লা আলী কারী (رحمة الله)


এরপর মহান আল্লাহ পাক হযরত আদম (عليه السلام ) কে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর জীবন সঙ্গীনী হিসেবে হযরত হাওয়া (عليه السلام ) কে তাঁর বাম পাজরের হাড্ডি থেকে সৃষ্টি করেন এবং তাঁর নাম করণ করেন হাওয়া (عليه السلام )। হাওয়া হিসেবে নাম করণের কারণ যেহেতু তাঁকে প্রাণ শক্তি দিয়ে একেবারে বিনম্র ও লজ্জাশীলা করে সৃষ্টি করা হয়েছে। 


হযরত আদম (عليه السلام ) ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে বিবি হাওয়াকে দেখা মাত্রই তাঁর পাশের্ব যেয়ে অবস্থান করেন এবং অবশেষে তাঁর দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা মাত্রই ফেরেস্তারা তাঁকে সম্বোধন করে বললেন: ও হে আদম থাম! তিনি বললেন: কেন? ওকে তো আমারই জন্যে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাঁরা বললেন! ওর মহরানা আদায় না করা পর্যন্ত ওকে স্পর্শ করতে পারবে না। এবার তিনি বললেন: তাহলে বলুনতো ওর মহরানা হিসেবে কি দিতে পারি? ফেরেস্তারা বললেন: ওহে আদম (عليه السلام ) ! আপনি সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ট নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি তিন বার দুরুদ পাঠ করুন, তবেই তাঁর মহরানা আদায় হয়ে যাবে। 


ইমাম ইবনুল কাইয়্যুম জাওযী (رضي الله عنه ) এর মতে হযরত আদম (আ.) মা হাওয়া (عليه السلام ) এর নিকটবর্তী হতে চাইলে মা হাওয়া বললেন: আপনি মহর আদায় করুন। একথা শ্রবনে তিনি ফরিয়াদ করেন ওহে মাওলা! আমি হাওয়ার মহর হিসেবে কি দিতে পারি? 

মহান আল্লাহ পাক বললেন: ওহে আদম! তুমি আমার প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি বিশবার দরুদ পাঠ কর, তবেই তাঁর মহর আদায় হয়ে যাবে। আল্লাহ পাকের নিদের্শ মোতাবেক তিনি বিশমরতবা দরুদ শরীফ পাঠ করেন। 


আমি (মুল্লা আলী ক্বারী) বলবো আদম (عليه السلام ) কর্তৃক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি তিন বার দরুদ শরীফ পাঠ করা ছিল মহরে মুয়াজ্জাল বা তাৎক্ষনিক মহর এবং বিশবার পাঠ করা ছিল মহরে মুয়াজ্জাল বা বিলম্ব মহর। 

Top