বিষয় নং-৫: দ্বায়িফ সনদকে অবহেলা করার ভয়ংঙ্কর পরিণতি

<p style="text-align: justify;">বিষয় নং-৫: দ্বায়িফ সনদকে অবহেলা করার ভয়ংঙ্কর পরিণতি:</p><p style="text-align: justify;">প্রিয় নবীর হাদিসকে দ্বায়িফ হাদিস বললে ঈমান থাকবে না, তবে হ্যাঁ, রাবীর গুণাবলীর কারণে সনদ ছহীহ্, হাছান, দ্বায়িফ হয়ে থাকে। তাই বলতে হবে সনদ দ্বায়িফ; হাদিস দ্বায়িফ এমনটি বলার কোন সুযোগ নেই। বর্তমান আহলে হাদিসগণ দ্বায়িফ সনদের হাদিসকে হাদিস হিসেবে মানতেই রাজি নন, অথচ মুহাদ্দিছগণের নিকট দ্বায়িফও রাসূল (ﷺ) এর হাদিস। যার উপর আমল করা মুস্তাহাব। তবে রাবী শক্তিশালী, দুর্বল হওয়া নিয়ে মতানৈক্য থাকতে পারে। তাই দ্বায়িফ সনদকে ‘হাদিস নয়’ বলা যাবে না। আর আমি নিম্নে দ্বায়িফ সনদকে অবহেলার শাস্তির কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করায় উল্লেখ করছি।</p><p style="text-align: justify;">এক হাদিসে  বর্ণিত আছে-</p><p style="text-align: justify;">عَن سَعِيد بْن الْمسيب عَن أَبِي هُرَيْرَةَ عَن النَّبِي قَالَ: مَنِ احْتَجَمَ يَوْمَ السَّبْتِ أَوِ الأَرْبِعَاءِ فَأَصَابَهُ وَضَحٌ فَلا يَلُومَنَّ إِلا نَفْسَهُ.</p><p style="text-align: justify;">-“যে ব্যক্তি বুধবার কিংবা শনিবার নিজ শরীরে শিঙ্গা প্রয়োগ করে দূষিত রক্ত অপসারণ করবে, তার শরীরে কুষ্ট রোগ (সাদা রোগ) হবে। আর সে তখন নিজেকেই দোষারোপ করবে।”  ১০২১০২.  ইমাম ছিয়তী, আল-লাআলিল মাসনূআ,  ২/৩৪২ পৃ.,  দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ,  বয়রুত,  লেবানন;</p><p style="text-align: justify;">একজন বিজ্ঞব্যক্তি, যার নাম মুহাম্মদ ইবনে জাফর নিশাপুরী তার শিঙ্গা প্রয়োগের প্রয়োজন হয়েছিল। সেদিন ছিল বুধবার। তিনি মনে করেছিলেন যেহেতু উল্লেখিত হাদিসটি ‘ছহীহ্ পর্যায়ের নয়’ সেহেতু শিঙ্গা প্রয়োগে কোন দোষ নেই। ওই দিন তিনি স্বীয় দূষিত রক্ত অপসারণের কাজ সম্পন্ন করলেন কিন্তু এর সাথে সাথে কুষ্ট রোগ তার শরীরে ছড়িয়ে পড়ল যখন রাতে ঘুমালেন তখন স্বপ্নযোগে হুযূর করীম (ﷺ) দীদার লাভ করলেন। আর তিনি তাঁর নিকট রোগের ব্যাপারে আরয করলেন, তখন হুযূর (ﷺ) ইরশাদ করলেন- إياك والاستهانة بحديثي -“সাবধান! আমার হাদিসকে হালকা (তুচ্ছ) মনে করবে না।” ইমাম জালালুদ্দীন ছিয়তী (رضي الله عنه) আরও উল্লেখ করেন-</p><p style="text-align: justify;">فَقلت تبت يَا رَسُول اللَّهِ فانتبهت وَقد عافاني اللَّه وَذهب ذَلِكَ عني.</p><p style="text-align: justify;">-“তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহহ! (ﷺ) আমি তওবা করে নিচ্ছি এরপর জেগে ওঠে দেখেন তিনি সুস্থ হয়ে গেছেন।” ১০৩ ১০৩ . ইমাম ইবনে আসাকির: তারিখে দামেস্ক, ১/৭৫ পৃ., ইমাম ছিয়তী, আল-লাআলিল মাসনূআ, ২/৩৪২ পৃ., দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">ইমাম জালালুদ্দীন ছিয়তী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) একটি ঘটনা উল্লেখ করেন এভাবে-</p><p style="text-align: justify;">وَأخرج ابْن عَسَاكِر فِي تَارِيخه من طَرِيق أَبِي عَليّ مِهْرَان بْن هرون الْحَافِظ الهازي قَالَ سَمِعْتُ أَبَا معِين الْحُسَيْن بْن الْحَسَن الطَّبَرِيّ يَقُولُ: أردْت الْحجامَة يَوْم السبت فَقلت للغلام: ادْع لي الْحجام فَلَمَّا وُلّي الْغُلَام ذكرت خبر النَّبِي: مَنِ احْتَجَمَ يَوْمَ السَّبْتِ وَيَوْمَ الأَرْبِعَاءِ فَأَصَابَهُ وَضَحٌ فَلا يَلُومَنَّ إِلَّا نَفسه</p><p style="text-align: justify;">قَالَ: فدعوت الْغُلَام ثُمّ تفكرت فَقلت هَذَا حَدِيث فِي إِسْنَادُه بعض الضعْف فَقلت للغلام ادْع الْحجام لي فَدَعَاهُ فاحتجمت فَأَصَابَنِي البرص فَرَأَيْت رَسُول الله فِي النّوم فشكوت إِلَيْهِ حَالي فَقَالَ إياك والاستهانة بحديثي ونذرت للَّه نذرا لَئِن أذهب اللَّه مَا بِي مِنَ البرص لَمْ أتهاون فِي خبر النَّبِي صَحِيحا كَانَ أَو سقيمًا فَأذْهب اللَّه عني ذَلِكَ البرص</p><p style="text-align: justify;">-“ইমাম ইবনে আসাকির (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) হাফিস রাযী আলী ইবনে মিহরান ইবনে হারুন থেকে স্বীয় ‘তারিখে দামেস্ক’ এ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি হযরত আবু মুঈন হুসাইন ইবনে হাছান তাবরীকে বলতে শুনেছি,  তিনি বলেন, আমি একবার শনিবার শিঙ্গা লাগাতে মনস্থ করেছি। সুতরাং আমি আমার ক্রীতদাসকে হাজ্জাম (ক্ষৌরকার) কে শিঙ্গা লাগানোর জন্য ডাকতে নির্দেশ দিলাম। ক্রীতদাস তাকে ডাকতে চলে যাওয়ায় এবং বুধবার আমার মনে পড়ল নবী করীম (ﷺ) ওই হাদিস যেখানে বর্ণিত আছে ‘যে ব্যক্তি বুধবার কিংবা শনিবার নিজ শরীরে শিঙ্গা প্রয়োগ করে দূষিত রক্ত অপসারণ করবে, তার শরীরে কুষ্ট রোগ (সাদা রোগ) হবে। আর সে তখন নিজেকেই দোষারোপ করবে।’ তারপর কিছু চিন্তা ভাবনা করে বললাম, এ হাদিসের সনদে মধ্যে তো কিছু দুর্বলতা আছে। শেষ পর্যন্ত আমি শিঙ্গা প্রয়োগ করলাম। ফলে আমার শ্বেত রোগ হয়ে গেল। অত:পর স্বপ্নযোগে নাবী কারিম (ﷺ) এর সাথে স্বপ্নে সাক্ষাত হল। তখন আমি স্বীয় অবস্থা সম্পর্কে হুযূর (ﷺ) এর মহান দরবারে ফরিয়াদ করলাম। তিনি ইরশাদ করেন, সাবধান! আমার হাদিসকে তুচ্ছ জ্ঞান করবে না, অত:পর আমি আল্লাহর ওয়াস্তে মানত করলাম, আল্লাহ্ পাক যদি আমার শ্বেত রোগ থেকে মুক্তি দেন, তবে আমি আর কখনো নাবী কারিম (ﷺ) এর হাদিসকে তুচ্ছ জ্ঞান করব না, ওই হাদিস সনদ অনুযায়ী ছহীহ্ (বিশুদ্ধ) হোক কিংবা দ্বায়িফ (দুর্বল) হোক। সুতরাং আল্লাহ্ পাক আমার শ্বেত রোগ থেকে মুক্তি দান করলেন।” ১০৪১০৪ . ইমাম ইবনে আসাকির: তারিখে দামেস্ক, ১/৭৫ পৃ., ইমাম ছিয়তী, আল-লাআলিল মাসনূআ, ২/৩৪২ পৃ., দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">এভাবে আল্লামা শিহাবুউদ্দীন খিফ্ফাযি হানাফী (رضي الله عنه) এর রচিত “নাসিমুর রিয়াদ্ব শরহে শিফা” গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে, </p><p style="text-align: justify;">قص الاظفار وتقليمها سنة وورد النهى عنه فى يوم الاربعاء وانه يورث البرص وحكى عن بعض العلماء انه فعله فنهى عنه فقال لم يثبت هذا فلحقه البرص من ساعته فراى النبى صلى الله عليه وسلم فى منامه فشكى اليه فقال له الم تسمع نهى عنه فقال لم يصح عندى فقال صلى الله عليه وسلم يكفيك انه يسمع ثم مسح بدنه بيده الشريعة فذهب ما به فتاب عن مخالفة ما سمع كذا-نسيم الريض شرح الشفا:القسم الاول فى تعظيم العلى الا على لقدر النبى صلى الله عليه وسلم-</p><p style="text-align: justify;">-“নখ কাটা বা ছেঁড়ে ফেলা সুন্নাত। তবে বুধবার এটা সম্পর্কে নিষেধ বলে বর্ণিত আছে এবং এটাও যে, এতে শ্বেত রোগ হয়। জনৈক আলিম সম্পর্কে কথিত আছে যে, তিনি বুধবার নখ কেটেছেন। উপস্থিত লোকেরা তাকে (হাদিসের ভিত্তিতে নিষেধ হওয়ার কারণে) নিষেধ করলেন। উত্তরে তিনি বললেন, হাদিসটি ছহীহ্ নয়। তখনই তাঁর শ্বেত রোগ ছড়িয়ে পড়ল। একদা তিনি হুযূর (ﷺ) কে স্বপ্নে দেখলেন এবং তার নিকট স্বীয় রোগ সম্পর্কে আবেদন করলেন। হুযূর কারীম (ﷺ) তাকে উত্তরে ইরশাদ করলেন, তুমি কি শোননি যে সেটা নিষিদ্ধ? আরয করলেন, হাদিসটি ছহীহ্ হিসেবে আমার কাছে পৌঁছেনি তখন ইরশাদ হল, তোমার জন্য তো এতটুকুই যথেষ্ট ছিল যে, হাদিসটি আমারই নামে উদ্ধৃত হয়ে তোমার কানে পৌঁছেছে। এটা ইরশাদ করার পর হুযূর (ﷺ) স্বীয় পবিত্র হাত তার শরীরে বুলিয়ে দিলেন। তৎক্ষণাৎ তিনি সুস্থ হয়ে গেলেন এবং হাদিস শরীফ শুনে আর বিরোধ পোষণ করবেন না মর্মে তাওবা করে নিলেন।” ১০৫১০৫ . আল্লামা খিফ্ফাযী, নাসীমুর রিয়াদ্ব শরহে শিফা, পৃ- ১/১২০</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">ইমাম তিরমিজি ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) অনেক হাদিসে বলেছেন, </p><p style="text-align: justify;">هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ -“এই হাদিসটি হাছান, ছহীহ্ গরীবও বটে।  ১০৬১০৬  সুনানে তিরমিযী,  ১/১২৮পৃ. হাদিস:৭২,  ও ১/২৬২পৃ. হাদিস: ১৯০ এবং ১/৫৫৪পৃ. হাদিস: ৪২৮;</p><p style="text-align: justify;">ইমাম তিরমিজির বক্তব্যের মর্ম হলো, এই হাদিসখানা কয়েক রকম সনদের দ্বারা বর্ণিত। এক সনদে দ্বারা হাছান আবার এক সনদ দ্বারা ছহীহ্ আবার এক সনদ দ্বারা গরীব। তাই শুধু গরীব চিন্তা নিয়ে বসে থাকা যাবে না। দ্বায়িফ সনদের হাদিসের অবহেলা কারীদের শাস্তির ব্যাপারে আ‘লা হযরত (رضي الله عنه) এর খলিফা আল্লামা জুফারুদ্দীন বিহারী (رضي الله عنه) রচিত ‘সহিহুল বিহারী’ প্রথম খন্ড বিষদ আকারে দেখতে পারেন।</p><div style="text-align: justify;"><br /></div>

বিষয় নং-৫: দ্বায়িফ সনদকে অবহেলা করার ভয়ংঙ্কর পরিণতি

বিষয় নং-৫: দ্বায়িফ সনদকে অবহেলা করার ভয়ংঙ্কর পরিণতি: প্রিয় নবীর হাদিসকে দ্বায়িফ হাদিস বললে ঈমান থাকবে না, তবে হ্যাঁ, রাবীর গুণাবলীর কারণে সন...

Read more »

বিষয় নং-৪: দুর্বল সনদ একাধিক সূত্রে বর্ণিত হলে ‘হাছান’ স্তরে উপনীত হয়

<p>বিষয় নং-৪: দুর্বল সনদ একাধিক সূত্রে বর্ণিত হলে ‘হাছান’ স্তরে উপনীত হয়:</p><p>ইলমে হাদিসের এ নীতিমালাটি এখানে এ জন্যই উল্লেখ করলাম যে বর্তমান আহলে হাদিসগণ তথা সালাফীরা দ্বায়িফ সনদের হাদিস একাধিক সনদে বর্ণিত হলেও সেটি নাকি দ্বায়িফই থাকে তাদের সে মিথ্যা শ্লোগানের স্বরূপ উন্মোচনের জন্য। এটি তারা বলার পরেও বিভিন্ন সময়ে নিজেদের স্বার্থে নফসের তাড়নায় এ শ্লোগান ভুলে যান। নিজেদের স্বপক্ষে কোন অত্যন্ত দুর্বল (জাল হওয়ার নিকটবর্তী) হাদিস একাধিক সনদে বর্ণিত হলে তাকে ‘হাছান’ বলতে একটু দ্বিধাবোধ করেন না। এ উসূলে হাদিসের এ নীতিমালাটি বিভিন্ন হাদিস সম্পর্কে আলোকপাতকালে বিভিন্ন অবস্থায় অনেক প্রয়োজন পড়বে, তাই বারবার যাতে উল্লেখ করতে না হয় সেজন্য এখানে তা উল্লেখ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম। এ প্রসঙ্গে আমি কিছু ঊসূলে হাদিসবিদ এবং পাশাপাশি ফকিহগণের অভিমতও পেশ করবো ইনশা আল্লাহ।</p><p>অভিমত নং-১: হিজরী ১১শ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ, বিখ্যাত উসূলে হাদিসবিদ (যিনি উসূলে হাদিসের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ নুখবাতুল ফিকরের শরাহ করেছেন), হানাফী বিখ্যাত ফকিহ আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেন-</p><p>وَتَعَدُّدُ الطُّرُقِ يُبْلِغُ الْحَدِيثَ الضَّعِيفَ إِلَى حَدِّ الْحَسَنِ</p><p>-“দ্বায়িফ হাদিসও একাধিক সনদে বর্ণিত হলে “হাছান” হাদিস এর পর্যায়ে পৌঁছে যায়।”  ৮৫৮৫ . আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, মিরকাত: ৩/৭৭ পৃ. হা/১০০৮</p><p>অভিমত নং-২: তিনি আরেকটি দ্বায়িফ সনদ একাধিক সূত্রে বর্ণিত হওয়ার আলোচনা করতে গিয়ে লিখেন-</p><p>وَلَهُ طُرُقٌ أُخْرَى ذَكَرَهَا الطَّحَاوِيُّ وَغَيْرُهُ تَرْتَقِي إِلَى حَدِّ الْحَسَنِ</p><p>-“এ হাদিসটি আরেকটি ভিন্ন সনদেও বর্ণিত আছে যা ইমাম তাহাভী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎)সহ আরও অন্যান্য মুহাদ্দিছগণ উল্লেখ করেছেন। আর তাতে হাদিসটি ‘হাছান’ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।”  ৮৬৮৬.  আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী,  মিরকাত: ২/৭৫৪,  হাদিস: ৯৪৩;</p><p><br /></p><p>অভিমত নং-৩: তিনি তার আরেক প্রসিদ্ধ গ্রন্থে লিখেছেন-</p><p>وإن ضعف بعضها، فبتعدد الطرق، يرتقي إلى حد الحسن</p><p>-“আর যখন দ্বায়িফ সনদ একাধিক সনদে বর্ণিত হয় তখন তার মর্যাদা ‘হাছান’ পর্যায়ে পৌঁছে যায়।”  ৮৭৮৭  আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, শরহে মুসনাদে আবি হানিফা,  ৫২১ পৃ.;</p><p>অভিমত নং-৪: তিনি তার সুপ্রসিদ্ধ দ্বায়িফ জাল নির্ণয়ের কিতাবে এক স্থানে লিখেন- وَتَعَدُّدُ الطُّرُقِ وَلَوْ ضَعُفَتْ يُرَقِّي الْحَدِيثَ إِلَى الْحسن</p><p>-“একাধিক সনদে যদিও দ্বায়িফ হাদিস বর্ণিত হয় তবে বর্ণিত ঐ হাদিস ‘হাছান’ বলে গণ্য হবে বা উপনীত হবে।” ৮৮৮৮ . আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী: আসারুল মারফ‚আহ, পৃ-৪৮১</p><p><br /></p><p>অভিমত নং-৫: হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ফকীহ ও মুহাদ্দিছ, আল্লামা কামালুদ্দীন ইবনুল হুমাম (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন-</p><p>وَلَوْ تَمَّ تَضْعِيفُ كُلِّهَا كَانَتْ حَسَنَةً لِتَعَدُّدِ الطُّرُقِ وَكَثْرَتِهَا</p><p>-“হাদিসের সমস্থ রাবী দুর্বল প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন তরিকায় বর্ণিত হওয়ার কারণে তা ‘হাছানে’ পরিণত হয়ে যায়।” ৮৯৮৯ . ইমাম ইবনুল হুমাম: ফতহুল কাদির: ১/৩০৬ পৃ.</p><p><br /></p><p>অভিমত নং-৬: তিনি তাঁর লিখিত উক্ত কিতাবে আরও লিখেন-</p><p>جَازَ فِي الْحَسَنِ أَنْ يَرْتَفِعَ إلَى الصِّحَّةِ إذَا كَثُرَتْ طُرُقُهُ، وَالضَّعِيفُ يَصِيرُ حُجَّةً بِذَلِكَ لِأَنَّ تَعَدُّدَهُ قَرِينَةٌ عَلَى ثُبُوتِهِ فِي نَفْسِ الْأَمْر</p><p>-“যখন ‘হাছান’ হাদিস অনেক সনদ দ্বারা বর্ণিত হয়,  তখন তা ছহীহ্ পর্যন্ত উন্নীত করা জায়েজ আছে এবং দুর্বল সনদের হাদিস এই পদ্ধতিতে (একাধিক তরিকায় বর্ণিত হওয়ার দ্বারা) দলীল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। যখন বিভিন্ন সনদে হাদিস বর্ণিত হয়, তা দৃঢ় দলীল হওয়ার ও আদেশ প্রয়োগের যোগ্যতা রাখে।” ৯০৯০. ইমাম ইবনুল হুমাম: ফতহুল কাদির, ১/৪৪৬ পৃ.</p><p><br /></p><p>অভিমত নং-৭: সূফিকূল সম্রাট, বিখ্যাত ফকিহ, মুহাদ্দিছ ও মুফাচ্ছির, আরিফীন দরজার ওলী ইমাম আবদুল ওয়াহ্হাব শা‘রানী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তার একটি বিখ্যাত গ্রন্থে এ উসূলটি এভাবে বর্ণনা করেন-</p><p>قد احتج جمهور المحدثين بالحديث الضعيف اذا كثرت طرقه وألحقوه بالصحيح تارة وبالحسن أخرى- وهذا النوع من الضعيف يوجد كثيرا فى كتاب السنن الكبرى للبيهقى التى ألفها بقصد الاحتجاج لأقوال الأئمة وأقوال أصحابهم-</p><p>-“নি:সন্দেহে জমহুর মুহাদ্দিছীনগণ দুর্বল হাদিসকে অধিক সনদে বর্ণিত হওয়ার কারণে দলীল হওয়ার যোগ্যতা রূপে মেনে নিয়েছেন এবং সেটিকে কোন সময় ছহীহ্ আবার কোন সময় ‘হাছান’র সাথে মিলিয়েছেন। এই প্রকারের দুর্বল সনদের হাদিস সমূহ ইমাম বায়হাকী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর ‘সুনানুল কুবরা’ মধ্যে অধিক পাওয়া যায়, যাকে ইমাম মুজতাহিদীন এবং আসহাবে আইয়াম্মা দলীল হিসেবে গ্রহণের জন্য ইচ্ছাপোষণ করেন।” ৯১৯১.ইমাম আবদুল ওয়াহ্হাব শা‘রানী, মিযানুল কোবরা, ১/৬৮ পৃ.</p><p>অভিমত নং- ৮: হিজরী নবম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ, বিখ্যাত হাফিজুল হাদিস (যিনি তাদরীবুর রাবী নামক উসূলে হাদিসের বিখ্যাত কিতাব লিখেছেন),  শাফেয়ী মাযহাবের অন্যতম ফকিহ ও মুফাচ্ছির, ইমাম জালালুদ্দীন ছিয়তী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেন-</p><p>المتروك أو المنكر إذا تعددت طرقه ارتقى إلى درجة الضعيف الغريب بل ربما ارتقى الى الحسن-</p><p>-“মাতরুক ও মুনকার হাদিস বিভিন্ন তরিকায় বর্ণিত হওয়ার কারণে দ্বায়িফ হাদিসের মর্যাদায় উপনীত হয়। বরং কখনো হাদিসে “হাসানের” মর্যাদায় উপনীত হয়ে থাকে।”  ৯২৯২.আল্লামা জালালুদ্দীন ছিয়তী: তাআকিবাত আলা মওজুআত: ৭৫ পৃ.: কিতাবুল মানাকিব</p><p>দেখুন এখানে তিনি সুস্পষ্ট উল্লেখ করেছেন যে মুনকার, মাতরুক সনদের হাদিসও অনেক সনদে বর্ণিত হওয়ার দ্বারা ‘হাছান’ পর্যায়ে পৌঁছে; আফসোস তাদের জন্য যারা ইমাম ছিয়তীর চেয়েও বড় হাফেজুল হাদিস সেজে বসে আছেন।</p><p>অভিমত নং-৯: আল্লামা জাফর আহমদ উসমানী বলেন, </p><p>والحديث الضعيف اذا تعددت طرقه ولو طريقا واحدا اخر ارتقى بمجموع ذالك الى درجة الحسن وكان محتجا به-</p><p>-“দ্বায়িফ হাদিস একাধিক তরিকায় বর্ণিত হওয়ার কারণে, যদিও তা এক সনদে বর্ণিত ছিল, তা সমষ্টিগত ভাবে হাছানের দরজায় উন্নীত হয় এবং এটি দলীল হিসেবে প্রয়োগ করা যায়।” ৯৩৯৩ . আল্লামা জাফর আহমদ ওসমানী: কাওয়াইদুল উলূমুল হাদিস- ৭৮ পৃ.</p><p>অভিমত নং-১০: আল্লামা আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, </p><p>والضعيف ان تعددت طرقه وانجبر ضعفه يسمى حسنا لغيره-</p><p>-“আর দ্বায়িফ হাদিস যদি বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয় এবং তার দুর্বলতা দূরীভূত হয়, তাহলে তাকে ‘হাছান লিগাইরিহি’ নামে নামকরণ করা হয়।” ৯৪৯৪ . আল্লামা শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দেস দেহলভী: মুকাদ্দামাতুশ্ শায়খ: পৃ. ১০</p><p>অভিমত নং-১১: আল্লামা মুফতী আমিমুল ইহসান (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,  </p><p>الضعيف ان تعددت طرقه أو تأيد بما يرجح قويه فهو حسن لغيره-</p><p>-“আর দ্বায়িফ হাদিস যদি বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়,  গ্রহণীয় হওয়ার প্রমাণ দ্বারা শক্তিশালী হয়, তবে তা ‘হাছান লিগাইরিহী’ হয়ে যাবে।” ৯৫৯৫ . মুফতি আমিমুল ইহসান: মিযানুল আখবার: ৭ পৃ.</p><p>অভিমত নং-১২: আল্লামা শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন :</p><p>الضعيف الذى بلغ بتعدد الطرق مرتبة الحسن لغيره ايضا مجمع وَمَا اشتهرَ (مقدمۃ للشیخ : فصل العاشر : ۲۵)</p><p>-“আর দ্বায়িফ হাদিস যদি বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হওয়ার দরুন ‘হাছান লিগাইরিহী’ হওয়ার মর্যাদায় উপনীত হয়, তা দলীল হওয়া সম্পর্কে আলিমগণ একমত হয়েছেন।” ৯৬৯৬ . আল্লামা শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী: মুকাদ্দামতুশ্ শায়খ, পৃ-২৫</p><p>অভিমত নং-১৩: আল্লামা ইমাম বদরুদ্দিন আইনী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,</p><p>وَاِذَا قَوی الضَّعِیفُ بِطَرِی اَخر أو اسانیدُ اخر حاد حَسَن لغیرہ</p><p>-“যখন দ্বায়িফ হাদিস অন্য কোন সনদ বা বর্ণনা দ্বারা শক্তিশালী হয় অর্থাৎ দুর্বলতা দূর হয়ে যায়, তখন তা হাছান লিগাইরিহী রূপে গৃহিত হবে। ” ৯৭৯৭ . আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী: উমদাদুল ক্বারী শরহে বুখারী: ১/৯ পৃ.</p><p>অভিমত নং-১৪: দুররুল মুখতার গ্রন্থের প্রথম খন্ড,مستحبات الوضوء  শীর্ষক অধ্যায়ে ওযুর বিভিন্ন অংশের দু’আ প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে, </p><p>وَقد رَوَاہ اِبنُ حِبَّانَ وَغَیرُہ عَنه عَلَیهِ السَّلامُ مِن طُرُفٍ -“এ হাদিসটি ইমাম ইবনে হিব্বানর প্রমুখের কয়েকটি সনদ দ্বারা মারফূ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।”</p><p>অভিমত নং- ১৫: উক্ত রেওয়ায়েতের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন :</p><p>أَيْ يُقَوِّي بَعْضُهَا بَعْضًا فَارْتَقَى إلَى مَرْتَبَةِ الْحَسَنِ</p><p>-“কতেক সনদ কতেক সনদকে শক্তি জোগায়। তাই এ হাদিস “হাছান” পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।” ৯৮৯৮ . আল্লামা ইমাম ইবনে আবেদীন শামী: ফতোয়ায়ে শামী: ১/৪২৮</p><p>অভিমত নং-১৬: আহলে হাদিসদের মুহাদ্দিছ, আব্দুর রহমান মোবারকপুরী লিখেন- وَتَعَدُّدُ الطُّرُقِ يُبَلِّغُ الْحَدِيثَ الضَّعِيفَ إِلَى حَدِّ الْحَسَنِ</p><p>-“দ্বায়িফ হাদিস যখন একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয় তা ‘হাছান’ স্তরে উন্নিত হয়।” ৯৯৯৯.  তুহফাতুল আহওয়াজি, ২/৩৭২ পৃ.;</p><p> তিনি তার উক্ত গ্রন্থে আরেক স্থানে লিখেন-</p><p>وَهُوَ حَدِيثٌ ضَعِيفٌ لَكِنَّهُ مَرْوِيٌّ مِنْ طُرُقٍ يُقَوِّي بَعْضُهَا بَعْضًا</p><p>-“এ হাদিসটির সনদ দ্বায়িফ, তবে সনদটি যেহেতু একাধিক সূত্রে বর্ণিত হওয়ায় একটি সূত্র অপর সূত্রকে শক্তিশালী করেছে (হাছান স্তরে উপনীত হয়েছে)।” ১০০১০০. তুহফাতুল আহওয়াজি, ১/২৩৭ পৃ.;</p><p><br /></p><p> ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেন-</p><p>لأن كثرة الطرق تقوِّي. -“হাদিস যখন অধিক পদ্ধতিতে বর্ণিত হয় তা শক্তিশালী হয়।”  ১০১১০১.  নুখবাতুল ফিকর, ৮০ পৃ.;</p><p>তাই প্রমাণিত হলো যে, পূর্বসূরী মুহাদ্দিছীনের মূলনীতি মোতাবেক দ্বায়িফ হাদিসে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হলে তা আর দ্বায়িফ থাকে না; বরং হাছান হাদিস হয়ে যায়।</p><div><br /></div>

বিষয় নং-৪: দুর্বল সনদ একাধিক সূত্রে বর্ণিত হলে ‘হাছান’ স্তরে উপনীত হয়

বিষয় নং-৪: দুর্বল সনদ একাধিক সূত্রে বর্ণিত হলে ‘হাছান’ স্তরে উপনীত হয়: ইলমে হাদিসের এ নীতিমালাটি এখানে এ জন্যই উল্লেখ করলাম যে বর্তমান আহলে ...

Read more »

বিষয় নং-৩: দ্বায়িফ সনদ বিশিষ্ট হাদিসের উপরে আমল করার হুকুম

<p> <span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-weight: 700; text-align: justify; white-space-collapse: preserve;">বিষয় নং-৩: দ্বায়িফ সনদ বিশিষ্ট হাদিসের উপরে আমল করার হুকুম:</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">দ্বায়িফ বা দুর্বল হাদিস ফাযায়েল আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য তাতে মুহাদ্দিছীনগণ একমত পোষণ করেছেন। ইলমে হাদিসের এ নীতিমালাটি এখানে এ জন্য উল্লে¬খ করলাম বর্তমান আহলে হাদিসগণ দ্বায়িফ সনদের হাদিসের উপর আমল করা বৈধ নয় বলে উল্লেখ করেন। ২৩২৩ . এ বিষয়ে আহলে হাদিসের ইমাম নাসিরুদ্দীন আলবানীর একটি গ্রন্থ উল্লেখযোগ্য, এটি বাংলায় প্রকাশ করা হয়েছে এবং নাম রাখা হয়েছে ‘‘ছহীহ হাদীছের পরিচয় ও হাদীছ বর্ণনার মূলনীতি’’ এটি চট্টগ্রাম, আন্দরকিল¬া, আযাদ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত। বইটির ২৩ পৃষ্ঠায় ও ২৫ পৃষ্ঠায়, এবং ২৭ পৃষ্ঠায় আলবানী লিখেছেন যে দ্বঈফ সনদের হাদিসের উপর ভিত্তি করে কোন ক্রমেই আমল করা যাবে না। নাউজুবিল্লাহ  </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"> আহলে হাদিস আলবানী সকল মুহাদ্দিসের ইজমার বিরোদ্ধে অবস্থান নিয়ে লিখেন- “অনেকে এরূপ ধারণা পোষণ করেন যে, ফাযায়েলের ক্ষেত্রে দুর্বল হাদীসের উপর আমল করা যাবে এ মর্মে কোনো মতভেদ নেই। বাস্তবিক পক্ষে তা সঠিক নয়।”  ২৪২৪. আলবানী, য‘ঈফ ও জাল হাদীছ সিরিজ, ১ম খন্ড,, ৫০ পৃ. তাওহীদ পাবলিকেশন্স, বংশাল, ঢাকা-১১০০;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অথচ এ বিষয়ে বিখ্যাত হাফিজুল হাদিস ও ফকীহ, ইমাম নববী আশ-শাফেয়ী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">قد اتفق العلماء على جواز العمل بالحديث الضعيف فى فضائل الاعمال:مقدمة المؤلف</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“উলামায়ে কিরাম এই বিষয়ে সবাই ঐক্যমত পোষণ করেছেন দুর্বল হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।” ২৫২৫. ইমাম নববী: আরবাঈন: ১/২০ পৃ. এবং ইমাম ইবনে দাকিকুল ঈদ, শরহে আরবাঈনুন নববিয়্যাহ, ১/২০ পৃ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">পাঠকদের কাছেই বিচারের সিদ্ধান্ত অর্পন করা হলো, আপনারা কাকে মানবেন, আলবানীকে না ইমাম নববী (রহ.)সহ পৃথিবী বিখ্যাত ইমামদের!</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">এ বিষয়ে এক নং নীতিমালার আলোচনায় কতিপয় আহলে হাদিসদের জঘন্য বক্তব্যও উল্লেখ করে এসেছি। এখন আমি এ বিষয়ের স্বপক্ষে আপনাদের সামনে পৃথিবী বিজ্ঞাত আলেমদের অভিমত তুলে ধরার চেষ্টা করবো, ইনশা আল্লাহ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-১: দ্বায়িফ হাদিস আমলযোগ্য তার ব্যাপারে হানাফী মাযহাবের অন্যতম ইমাম কামালুদ্দীন ইবনে হুমাম (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,  </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">وَرَوَى الْحَاكِمُ عَنْهُ ﷺ إنْ سَرَّكُمْ أَنْ تُقْبَلَ صَلَاتُكُمْ فَلْيَؤُمَّكُمْ خِيَارُكُمْ فَإِنْ صَحَّ وَإِلَّا فَالضَّعِيفُ غَيْرُ الْمَوْضُوعِ يُعْمَلُ بِهِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ، </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“ইমাম হাকিম (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) স্বীয় কিতাব (আল-মুস্তাদরাক) হুযূর (ﷺ) থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন, ‘যদি তোমাদের অন্তর চায় যে, তোমাদের নামায কবুল করা হোক, তবে তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তিই যেন ইমাম হন।’ আলোচ্য হাদিস ছহীহ্ হলে তো ভাল, অন্যথায় হাদিসটি দ্বায়িফ বানোয়াট নয়, আর দ্বায়িফ হাদিস অনুযায়ী আমল করা যাবে, আমল বা ফযিলত প্রমাণের ক্ষেত্রে এমন হাদিস অবশ্যই দলীল।” ২৬২৬ . আল্লামা কামাল উদ্দীন ইবনে হুমাম: ফতহুল কাদীর, ১/৩৪৯ পৃ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-২: ইমাম সৈয়দ আবু তালেব মক্কী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) রচিত গ্রন্থ ‘কুউয়াতুল কুলূব’ কিতাবে লিখেন, </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">بعض ما يضعف به رواة الحديث وتعلل به أحاديثهم لا يكون تعليلاً ولا جرحاً عند الفقهاء ولا عند العلماء بالله تعالى مثل أن يكون الراوي مجهولاً لإيثاره الخمول، وقد ندب إليه أو لقلة الأتباع له إذ لم يقم لهم الأثرة عنه - </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“এমন কিছু বিষয়, যেগুলোর কারণে হাদিস বর্ণনাকারীকে দুর্বল এবং তাঁদের বর্ণিত হাদিস সমূহকে ছহীহ্ নয় বলে ঘোষণা দেয়া হয়। সম্মানিত ফিক্বহ বিশারদগণ ও ওলামা-ই-কেরাম সেগুলোকে দ্বায়িফ বলার যোগ্য কিংবা ত্রুটিযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করেন না। যেমন বর্ণনাকারীর নাম উল্লেখ না থাকা বা অপরিচিত হওয়া। কারণ, এমনও হতে পারে যে,  বর্ণনাকারী নিজেই তার নাম গোপন করেছেন। নিজেকে প্রকাশ ও প্রচারে উৎসুক না হওয়ার বিষয়ে শরীয়াতে প্রমাণিত দলীল রয়েছে। অথবা এ জন্যই তিনি অপরিচিত হয়েছেন যে, তাঁর ছাত্র সংখ্যা কিংবা অনুসারী সংখ্যা একেবারে নগন্য। ফলে ব্যাপক হারে মানুষ তাঁর থেকে হাদিস বর্ণনা করার সুযোগ পায়নি।”  ২৭২৭. কুউয়াতুল কুলুব, প্রথম খন্ড,  পৃ.৩০০,  দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ,  বয়রুত;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৩: আল্লামা মুফতী আমীমুল ইহসান (رَحْمَةُ الله عليه‎‎)  বলেন, </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">والضعيف غير الموضوع بانفراده يعمل عليه فى الفضائل استحبابا ولا يحتج به فى الاحكام نعم يكفى للاعتضاد الا اذا كان فيه الاحتياط-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“দুর্বল হাদিস যদি কাল্পনিক না হয় যদিও তা একক রাবী কর্তৃক বর্ণিত হয়ে থাকে, তবু ফযীলতের বেলায় তার উপর আমল করা মুস্তাহাব। তবে শরীয়তের বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে এ হাদিস কার্যকর হবে না। হ্যাঁ, তবে সতর্কতার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জোর প্রকাশের জন্য দুর্বল হাদিসকেও দলীল হিসেবে পেশ করা যেতে পারে।” ২৮২৮. আল্লামা মুফতী আমিমুল ইহসান: মিযানুল আখবার, পৃ-১৫</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৪: ইমাম আযম আবু হানিফা (رضي الله عنه) মত সর্ম্পকে বলা হয়ে থাকে,  </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">وقد ذهب ابو حنيفة رضى الله تعالى عنه ان ضعيف الحديث عنده اولى من الرأى-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“ইমাম আবু হানিফা (رضي الله عنه) এ মত দৃঢ়ভাবে পোষণ করেছেন যে, দুর্বল হাদিস কিয়াসী রায় অর্থাৎ নিজস্ব মতামত থেকে অনেক উত্তম।” ২৯২৯ . মুফতি আমিমুল ইহসান: মিযানুল আখবার, পৃ-১৫, ইবনে হাজার মক্কী, আল খায়রাতুল হিসান, ২৭ পৃ. মিশর হতে প্রকাশিত।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"> হাফিজুল হাদিস, ইমাম যাহাবী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) উল্লেখ করেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">قَالَ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حَزْمٍ: جَمِيعُ الْحَنَفِيَّةِ مُجْمِعُونَ عَلَى أَنَّ مَذْهَبِ أَبِي حَنِيفَةَ أَنَّ ضَعِيفَ الْحَدِيثِ أَوْلَى عِنْدَهُ مِنَ الْقِيَاسِ وَالرَّأْيِ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“ইমাম আবু মুহাম্মদ ইবনে হাযম (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,  সকল হানাফীগণ এ বিষয়ে একমত কোন আলেমের নিজ কিয়াস এবং রায় হতে দ্বায়িফ সনদের হাদিসের আমল করা উত্তম।”  ৩০৩০. যাহাবী,  তারিখুল ইসলাম,  ৩/৯৯০ পৃ. ক্রমিক. ৪৪৫;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৫: বিশ্ববিখ্যাত ফতোয়াবিদ এবং মুহাদ্দিছ ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ফতোয়ায়ে শামীর ১ম খন্ড بَابُ الَاذَانْ এ লিখেছেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"> وَالْعَارِفِ الشَّعْرَانِيِّ عَنْ كُلٍّ مِنْ الْأَئِمَّةِ الْأَرْبَعَةِ أَنَّهُ قَالَ: إذَا صَحَّ الْحَدِيثُ فَهُوَ مَذْهَبِي، عَلَى أَنَّهُ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ يَجُوزُ الْعَمَلُ بِالْحَدِيثِ الضَّعِيفِ كَمَا مَرَّ أَوَّلَ كِتَابِ الطَّهَارَةِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“আরিফ কুল সম্রাট ইমাম শা’রানী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, নিশ্চয় চার মাযহাবের ইমামগণ বলেছেন, ছহীহ্ হাদিস হলো আমাদের মাযহাব। কিন্তু ফাযায়েল আমলের জন্য দ্বায়িফ বা দুর্বল হাদিস আমল করা জায়েয। যা আমি এ গ্রন্থের কিতাবুত ত্বাহারাত অধ্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।” ৩১৩১ . ইমাম ইবনে আবেদীন শামী: ফতোয়ায়ে শামী, পৃ-১/৩৮৫ পৃ. কিতাবুল আযান</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৬: বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিছ আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারীর মুকাদ্দামায় দ্বায়িফ হাদিসের বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">وقد جوز العلماء التساهل فى الضعيف من غير بيان ضعفه فى المواعظ والقصص وفضائل الاعمال-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“উলামায়ে কেরামের নিকট দ্বায়িফ হাদিস ওয়াজ ও কাহিনীর জন্য এবং ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।” ৩২৩২ . আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী: উমদাতুল ক্বারী, শরহে বুখারী: ১/৯ পৃ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৭: বিশ্ববিখ্যাত মুফাচ্ছির, মুহাদ্দিছ, ফকিহ আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) ‘তাফসীরে রুহুল বায়ানে’ বলেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">لكن المحدثين اتفقوا على ان الحديث الضعيف يجوز العمل به فى الترغيب والترهيب–</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“তবে মুহাদ্দিছীনে কিরাম এ ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে,  আকর্ষণ সৃষ্টি ও ভীতি সঞ্চারের বেলায় দ্বায়িফ হাদিস অনুযায়ী আমল করা যায়েয।” ৩৩৩৩ . আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী: তাফসিরে রুহুল বায়ান, ২/৪১০ পৃ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"> তিনি উক্ত কিতাবের অন্যস্থানে বলেন , </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">يقول الفقير قد صح عن العلماء تجويز الاخذ بالحديث الضعيف فى العمليات فكون الحديث-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“এই অধম ফকীর আরজ করছি যে, উলামায়ে কেরাম থেকে আমলের ব্যাপারে দ্বায়িফ হাদিস গ্রহণযোগ্য। ব্যাপারটি বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত আছে।”  ৩৪৩৪ . আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী: তাফসীরে রুহুল বায়ান, ৭/ পৃ. ২২৯</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">তিনি তার আরেক গ্রন্থে লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">وفى كلام الحافظ السيوطي لم يثبت فى التلقين حديث صحيح او حسن بل حديثه ضعيف باتفاق جمهور المحدثين والحديث الضعيف يعمل به فى فضائل الأعمال</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“ইমাম হাফেয ছিয়তী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বক্তব্য হলো কবরে তলকীনের হাদিস দৃঢ়ভাবে প্রমাণিত নয়, এ বিষয়ের হাদিসটি ছহীহ্ বা হাছান কোন পর্যায়ের নয়, বরং এ বিষয়ক হাদিসটি দ্বায়িফ; কিন্তু জমহুর মুহাদ্দিছগণ একমত যে দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমালের জন্য গ্রহণযোগ্য।”  ৩৫৩৫. তাফসিরে রুহুল বায়ান,  ৪/৪১৭ পৃ.;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">তিনি আরেক স্থানে লিখেন- ان الحديث الضعيف يعمل به فى فضائل الأعمال</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“নিশ্চয় হাদিসে দ্বায়িফ ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।” ৩৬ ৩৬. তাফসিরে রুহুল বায়ান,  ৭/১৮৬ পৃ.;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৮: আল্লামা ইমাম আবু তালিব মক্কী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">الاحاديث وفي فضائل الأعمال وتفضيل الأصحاب متقبلة محتملة على كل حال مقاطيعها ومراسيلها لا تعارض ولا ترد،ৃ.. كذلك كان السلف يفعلون-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“ফাযায়েলে আমল এবং সাহাবাদের বা কারও ফযীলত বর্ণনার ক্ষেত্রে মুহাদ্দিছগণ একমত এই যে, তা যে প্রকারের হোক না কেন সেটা গ্রহণযোগ্য ও গৃহীত। যদিও তা সনদ অসংযুক্ত অথবা মুরছাল হয়, তার বিরোধীতা করা বা খন্ডন করা যাবে না। এমনকি পূর্ব যুগের ইমামগণ এরুপই করেছেন।” ৩৭৩৭ . আল্লামা আবু তালিব মক্কী: কুউয়াতুল কূলুব: ১/৩০১ পৃ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৯: ইমাম নববী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">قد اتفق العلماء على جواز العمل بالحديث الضعيف فى فضائل الاعمال:مقدمة المؤلف</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“উলামায়ে কেরাম এই বিষয়ে সবাই ঐক্যমত পোষণ করেছেন দুর্বল হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।” ৩৮৩৮ . ইমাম নববী: আরবাঈন: ১/২০ পৃ. এবং ইমাম ইবনে দাকিকুল ঈদ, শরহে আরবাঈনুন নববিয়্যাহ, ১/২০ পৃ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-১০: আল্লামা ইমাম জালালুদ্দীন ছিয়তী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">(وَيَجُوزُ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَغَيْرِهِمُ التَّسَاهُلُ فِي الْأَسَانِيدِ) الضَّعِيفَةِ (وَرِوَايَةُ مَا سِوَى الْمَوْضُوعِ مِنَ الضَّعِيفِ وَالْعَمَلُ بِهِ مِنْ غَيْرِ بَيَانِ ضَعْفِهِ وَفَضَائِلِ الْأَعْمَالِ وغيرها (مِمَّا لَا تَعَلُّقَ لَهُ بِالْعَقَائِدِ وَالْأَحْكَامِ)وَمَنْ نُقِلَ عَنْهُ ذَلِكَ: ابْنُ حَنْبَلٍ، وَابْنُ مَهْدِيٍّ، وَابْنُ الْمُبَارَكِ، قَالُوا: إِذَا رُوِّينَا فِي الْحَلَالِ وَالْحَرَامِ شَدَّدْنَا، وَإِذَا رُوِّينَا فِي الْفَضَائِلِ وَنَحْوِهَا تَسَاهَلْنَا.- </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“মুহাদ্দিছ ও অন্যান্য উলামাদের বক্তব্য হলো দুর্বল সনদ সম্পর্কে অথবা কিছু ছাড় দেওয়া এভাবে যে মওদ্বু বা বানোয়াট না হয়, তা ফাযায়েল আমল এবং অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে আমল করা বৈধ আছে। যদি তা আহকাম ও আকায়েদের সাথে সম্পর্ক না হয়, যে ইমামগণ এ মত পোষণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম ইবনে মাহদী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎), ইমাম ইবনুল মোবারক (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) সংযুক্ত আছেন। তাঁরা বলেন যে, আমরা হালাল হারামের মধ্যে হাদিস বর্ণনা করতে গিয়ে কঠিনতা অবলম্বন করেছি এবং ফাযায়েল বর্ণনার ক্ষেত্রে নম্রতা অবলম্বন করেছি।” ৩৯৩৯ . ইমাম আব্দুর রহমান জালালুদ্দীন ছিয়তী: তাদরীবুর রাবী, ১/৩৫১ পৃ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-১১: ইমাম নববী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) আরো বলেন, </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">قال العلماءُ من المحدّثين والفقهاء وغيرهم: يجوز ويُستحبّ العمل في الفضائل والترغيب والترهيب بالحديث الضعيف ما لم يكن موضوعاً-مقدمة المؤلف:فصل فى الامر بالاخلاق</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“মুহাদ্দিছীনে কেরাম ও ফুকাহায়ে কেরাম এবং অন্যান্য উলামায়ে কেরাম বলেছেন, ফাযায়েল বা উৎসাহিত করা ও ভয়ভীতি প্রমাণ বা গ্রহণ করা হাদিসে দ্বায়িফ দ্বারা জায়েজ, যদি তা জাল হাদিস না হয়।” ৪০৪০. ইমাম নববী: কিতাবুল আযকার, ১/৮ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত,  লেবানন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-১২: আল্লামা ইমাম বুরহানুদ্দিন ইবরাহিম হালবী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">يستحب ان يمسح بدنه بمنديل بعد الغسل لما روت عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: كَانَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِرْقَةٌ يُنَشِّفُ بِهَا بَعْدَ الوُضُوءِ-وراه الترمذى هو ضعيف ولكن يجوز العمل بالضعيف فى الفضائل-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“গোসল বা ওজুর পরে রুমাল দ্বারা শরীর মুছাহ মুস্তাহাব। হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, হুযূর (ﷺ) এর একটি কাপড়ের টুকরা ছিল যা দ্বারা ওযুর পরে অঙ্গ মোবারক মাসেহ করিতেন। উক্ত হাদিস ইমাম তিরমিজি (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) দুর্বল বলেছেন। এরপরেও উহার আমল বিদ্যমান আছে।” ৪১৪১ . ইমাম ইব্রাহীম হালবী হানাফী: গুনিয়াতুল মুসল¬ী, ৫২ পৃ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-১৩: আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">وَالضَّعِيفُ يُعْمَلُ بِهِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ اتِّفَاقًا وَلَذَا قَالَ أَئِمَّتُنَا إِنَّ مَسْحَ الرَّقَبَةِ مُسْتَحَبٌّ أَوْ سُنَّةٌ-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমলের মধ্যে আমল করার ব্যাপারে ইমামগণের ঐক্যমত হইয়াছে। এই জন্য আমাদের ইমামগণ বলেছেন গর্দান মাসেহ করা মুস্তাহাব অথবা সুন্নাত প্রমাণিত হয়েছে।” ৪২৪২ . আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী: মওজু আতুল কাবীর: ১/৩১৫ পৃ. হা/৪৩৩</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-১৪: আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) অন্যস্থানে বলেন- إِنَّمَا يُعْمَلُ بِالْحَدِيثِ الضَّعِيفِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“দ্বায়িফ সনদের হাদিস (মওদ্বু বা জাল নয়) ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।” ৪৩৪৩ . আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত: ২/২০৬ পৃ. হা/৫২১</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-১৫: আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) অন্যত্র বলেন, </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">اعْلَمْ أَنَّ الْحَدِيثَ الضَّعِيفَ يُعْمَلُ بِهِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“নিশ্চয় জেনে রাখুন! দুর্বল সনদের হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।” ৪৪৪৪ . আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত: ৩/৪৯ পৃ. কিতাবুস সালাত: হা/৯৭৪</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-১৬: আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) আরও বলেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">أَجْمَعُوا عَلَى جَوَازِ الْعَمَلِ بِالْحَدِيثِ الضَّعِيفِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"> -“ইমাম মুহাদ্দিছ ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, ফাযায়েলে আমলের জন্য দ্বায়িফ বা দুর্বল হাদিস দ্বারা আমল করা বৈধ।” ৪৫৪৫. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী: মেরকাত: ৩/৪৯ পৃ. কিতাবুস সালাত: হা/১১৭৩</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-১৭: আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) আরও বলেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">ضَعْفُهُ يُعْمَلُ بِهِمَا فِي الْفَضَائِلِ.  -“হাদিসটি দুর্বল, তবে ফাজায়েলের জন্য এবং আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।” ৪৬৪৬ . আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী: মিরকাত: ৩/৮৯৯ পৃ. কিতাবুস সালাত: হা/১১৮৪</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-১৮: আল্লামা শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">ان الحديث الضعيف معتبر فى الفضائل الأعمال لا فى غيرها المراد مفرداته لا مجموعها لانه داخل فى الحسن لا فى الضعيف-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য, তা ব্যতিত অন্য বিষয়ের জন্য নয়। এই কথার মর্ম হচ্ছে তার বর্ণনা যদি একক হয়, একাধিক সনদে বর্ণিত যে হাদিস তা হাছানের অন্তর্ভূক্ত, তা তখন দ্বায়িফের অন্তর্ভূক্ত নয়।” ৪৭৪৭ . আল্লামা শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী: মুকাদ্দামাতুশ্ শায়খ, ২৩ পৃ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-১৯: আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">لَكِنْ يَعْمَلُ بِالْحَدِيثِ الضَّعِيفِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ بِاتِّفَاقِ الْعُلَمَاءِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“সমস্ত উলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে দ্বায়িফ হাদিস ফযিলতপূর্ণ আমল এর ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য।” ৪৮৪৮. মোল্লা আলী ক্বারী: মিরকাত, ৩/৩৪০ পৃ. বাব: সাহরী কিয়ামে রামাদ্ধান: হা/১৩২৯</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;"> আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) অন্য জায়গায় আরো বলেন, يَجُوزُ الْعَمَلُ بِالْخَبَرِ الضَّعِيفِ،</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“দ্বায়িফ হাদিসের উপর আমল করা জায়েয বা বৈধ।” ৪৯৪৯ . আল্লামা মোল্লা ক্বারী: মিরকাত: ৩/৩৫০ পৃ., হাদিস: ১৩০৮</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-২০: আল্লামা ড. মাহমুদ আত্-ত্বহান বলেন, </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">اختلف العلماء في العمل بالحديث الضعيف، الذي عليه جمهور العلماء أنه يستحب العمل به في فضائل الأعمال،-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“দুর্বল হাদিসের উপর আমলের ব্যাপারে ইখতিলাফ (মত পার্থক্য) রয়েছে, তবে জমহুর (অধিকাংশ) ইমাম ও উলামার মতে দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমলের ক্ষেত্রে আমল করা মুস্তাহাব। ” ৫০৫০ . আল্লামা ড. মাহমুদ জাহান: তাইসীরুল মাস্তালিউল হাদিস, ৪৪ পৃ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-২১: আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">جهالة بعض الرواة لاتقتضى كون الحديث موضوعا و كذا نكارة الالفاظ فينبغى ان يحكم عليه بانه ضعيف ثم يعمل بالضعيف فى فضائل الاعمال-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“হাদিসের সনদে কোন বর্ণনাকারী অজানা বা অচেনা হওয়া অথবা হাদিসের কোথাও স্পষ্ট না হওয়া দ্বারা হাদিসটি মওদ্বু বা বানোয়াট বিবেচিত হয় না। তবে হ্যাঁ,  দ্বায়িফ বলা যেতে পারে। অতএব দ্বায়িফ হাদিস অনুসারে ফযিলত বর্ণনার ক্ষেত্রে এবং আমল করা যাবে।”  ৫১৫১ . আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী: ফাযায়েলে নিসফিস শা’বান: ৪৪ পৃ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-২২: আল্লামা আজলূনী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর বর্ণিত ঘাড় মাসেহ এর হাদিস প্রসঙ্গে বলেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">بِسَنَدٍ ضَعِيفٍ...... مَسْحَ الرَّقَبَةِ مُسْتَحَبٌّ أَوْ سُنَّةٌ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“উক্ত হাদিসটির সনদ দুর্বল ......... তবে হাদিসটি দ্বারা প্রমণিত হলো ঘাড় মাসেহ করা মুস্তাহাব অথবা সুন্নাত।” ৫২৫২. আল্লামা আজলুনী: কাশফুল খাফা: ২/১৮৬ পৃ. হা/২২৯৮</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-২৩: আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">وَهِيَ يُعْمَلُ فِيهَا بِالْحَدِيثِ الضَّعِيفِ وَالْمُرْسَلِ وَالْمُنْقَطِعِ بِالِاتِّفَاقِ، كَمَا قَالَهُ النَّوَوِيُّ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“এ হাদিসের উপর আমল করা বৈধ, কেননা হাদিসের সনদ দুর্বল, মুরছাল, মুনকাতে হলেও আমল করা বৈধ, আর এ ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছেন, যেমনটি ইমাম নববী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেছেন।” ৫৩৫৩. আল¬াম মোল্লা আলী ক্বারী, মিরকাত, ২/৪৭৭ পৃ. হা/৫২১</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-২৪: তিনি এ কিতাবে আরও উল্লেখ করেন</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">فِي مَذْهَبِ الشَّافِعِيِّ أَنَّ الْحَدِيثَ الضَّعِيفَ لَا يُعْمَلُ بِهِ إِلَّا فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“শাফেয়ী মাযহাবে দ্বায়িফ হাদিস আমল করা হয়না তবে শুধু ফাযায়েলে আমালের জন্যই গ্রহণযোগ্য হয়।” ৫৪৫৪ . আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, মিরকাত, ৩/১২২৩ পৃ. হা/১৭০৮</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-২৫: তিনি আরও বলেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">أَنَّ الْحَدِيثَ الضَّعِيفَ يُعْمَلُ بِهِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“নিশ্চয় দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমালের জন্য গ্রহণযোগ্য হয়।” ৫৫৫৫ . আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, মেরকাত, ১/২৮২ পৃ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-২৬: তিনি তাঁর এ কিতাবে অন্যস্থানে তাকিদ দিয়ে বলেন, اعْلَمْ أَنَّ الْحَدِيثَ الضَّعِيفَ يُعْمَلُ بِهِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“জেনে রাখুন! নিশ্চয় দ্বায়িফ সনদের হাদিস ফাযায়েলে আমালের জন্য গ্রহণযোগ্য। ”  ৫৬৫৬ . আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, মেরকাত, ২/৭৭৩ পৃ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-২৭: হুবহু তিনি এ কিতাবের অন্যস্থানে বলেন এ রুপ বলেছেন। ৫৭৫৭ . আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, মেরকাত, ৩/১২২৭ পৃ. হা/১৭১৬</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-২৮: আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এ কিতাবে আরও বলেন, أَنَّ الْحَدِيثَ الضَّعِيفَ يُعْمَلُ بِهِ فِي الْفَضَائِلِ -“নিশ্চয় দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমালের জন্য গ্রহণযোগ্য হয়।”  ৫৮৫৮ . আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, মেরকাত, ৩/১৪৮ পৃ. হা/১৭৩৩</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-২৯: তিনি আরও বলেন</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">أَنَّ الْحَدِيثَ الضَّعِيفَ يُعْمَلُ بِهِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ اتِّفَاقًا</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“সবাই এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে, দ্বায়িফ সনদের হাদিস ফাযায়েলে আমালের জন্য গ্রহণযোগ্য। ” ৫৯৫৯ . আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, মেরকাত, ৪/১০৪৫ পৃ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৩০: ইমাম ইবনে হাজার মক্কী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন,</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">لِأَنَّ الْحَدِيثَ الضَّعِيفَ يُعْمَلُ بِهِ فِي الْفَضَائِلِ. - নিশ্চয় দ্বায়িফ সনদের হাদিস ফাযায়েলে আমালের জন্য গ্রহণযোগ্য। ” ৬০৬০. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, মেরকাত, ৪/১৬৩৭ পৃ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৩১: তিনি এ কিতাবে আরও বলেন</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">فَإِنَّ فَضَائِلَ الْأَعْمَالِ يَكْفِيهَا الْحَدِيثُ الضَّعِيفُ لِلْعَمَلِ -“ফাযায়েলে আমালের জন্য দ্বায়িফ সনদের হাদিসই যথেষ্ঠ।” ৬১৬১ . আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, মেরকাত, ৭/৩০৫৭ পৃ. হা/৪৮৭৭</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৩২: তিনি অন্যস্থানে বলেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">إِنَّهُ ضَعِيفٌ لَكِنَّهُ يُعْمَلُ بِهِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ -“নিশ্চয় এ সনদটি দুর্বল, তবে এটি ফাযায়েলে আমালের জন্য গ্রহণযোগ্য।” ৬২৬২. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী, মেরকাত, ৪/১৩৮০ পৃ. হা/১৯৮২</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৩৩: আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">حديثه ضعيف باتفاق جمهور المحدثين والحديث الضعيف يعمل به فى فضائل الأعمال</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“জমহুর মুহাদ্দিছগণের মতে তার (রাবীর) হাদিস দ্বায়িফ, আর দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমালের জন্য গ্রহণযোগ্য।” ৬৩৬৩ . আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী, তাফসীরে রুহুল বায়ান, ৪/৪৩৭ পৃ. সূরা ইবরাহিম, আয়াত,  ২৭</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৩৪: আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">ان الحديث الضعيف يعمل به فى فضائل الأعمال -“নিশ্চয় দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।”  ৬৪৬৪ . আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী, তাফসীরে রুহুল বায়ান, ৭/১৮৬ পৃ. সূরা আহযাব, আয়াত,  ৪০</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৩৫: আল্লামা ত্বীবি (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">وقد اتفق العلماء على جواز العمل بالحديث الضعيف في فضائل الأعمال.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“উলামায়ে কেরামগণ এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন যে, দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।”  ৬৫৬৫.  ইমাম তিব্বী, শরহে মিশকাত, ২/৭০৭ পৃ. হা/২৫৯;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৩৬: আল্লামা সান‘আনী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">ومعلوم عند المحدثين أن الاستدلال بالحديث الضعيف في فضائل الأعمال</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“মুহাদ্দিছগণ অবগত যে, দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমালের জন্য দলিল দেওয়া হয়।”  ৬৬৬৬. সান‘আনী, তানভীর শরহে জামেউস সগীর, ১/১২৮ পৃ. মুকাদ্দামা;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৩৭: হাফিজুল হাদিস, ইমাম জালালুদ্দীন ছিয়তী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তার আরেক গ্রন্থে লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">أَنهم اجْمَعُوا على جَوَاز الْعَمَل بِالْحَدِيثِ الضَّعِيف فِي فَضَائِل الْأَعْمَال</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“সকলে (ফকিহ, মুহাদ্দিছ, আহলে তাফসির) একমত পোষণ করেছেন যে দ্বায়িফ সনদের হাদিসের উপরে আমল করা বৈধ।”  ৬৭৬৭.  ছিয়তী, শরহে সুনানে ইবনে মাযাহ,  ১/৯৮ পৃ.;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">তিনি তার আরেক (قوت المغتذي على جامع الترمذي) গ্রন্থের ১/৫১৩ পৃষ্ঠায় হাদিসের নীতিমালা আলোচনা করতে গিয়ে লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">الرابعة: وهي من يطلق عليه: ضعيف، فيعمل به في فضائل الأعمال دون الأحكام الراجعة إلى الاعتقاد في الأصول، والحل والحرمة في الفُرُوع.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“চতুর্থতম নীতি: সাধারণ দ্বায়িফ। এ ধরনের হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য, যদিও তা আহকাম, ই‘তিকাদে উসূলের এবং হালাল-হারামের নির্ণয়ের জন্য গ্রহণ বৈধ নয়।” </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৩৮: আল্লামা ইমাম যুরকানী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">أَنَّ الضَّعِيفَ يُعْمَلُ بِهِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ. -“নিশ্চয় দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।”  ৬৮৬৮. শরহে মুয়াত্তায়ে মালেক,  ৪/৪৪৮ পৃ.;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৩৯: আহলে হাদিসদের শায়খ উবায়দুল্লাহ মোবারকপুরী লিখেন- قد اتفقوا على جواز العمل بالضعيف في فضائل الأعمال</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“উলামায়ে কেরামগণ এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন যে দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।”  ৬৯৬৯. মের‘আত,  ১/৩৫০ পৃ. হা/২৬২;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৪০: আল্লামা আব্দুল হাই লাখনভী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">فإن الضعيف يكفي في فضائل الأعمال -“দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য যথেষ্ঠ।”  ৭০৭০.  আত-তালাকুল মুমাজ্জাদ আ‘লা মুয়াত্তায়ে মুহাম্মদ,  ২/৬৬০ পৃ.;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৪১: আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">رواه ابن ماجه بإسناد ضعيف لكنه قوي حيث يعمل به في فضائل الأعمال والله أعلم بالأحوال.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“এ হাদিসটি ইমাম ইবনে মাযাহ দ্বায়িফ সনদে বর্ণনা করেছেন। তবে এটি ফাযায়েলে আমলের জন্য শক্তিশালী দলিল। মহান রবই এ অবস্থা সম্পর্কে অবগত।”  ৭১৭১.  শরহে মুসনাদে আবি হানিফা,  ১/২৬ পৃ.;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৪২: আল্লামা নুরুদ্দীন সানাদী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">الْحَدِيثُ ضَعِيفٌ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ لِمُسَامَحَتِهِمْ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ بِالْعَمَلِ بِالْحَدِيثِ الضَّعِيفِ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“এ হাদিসটি দ্বায়িফ, আর দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমলের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে মুহাদ্দিছগণ নমনীয়তা প্রকাশ করেছেন।”  ৭২৭২. হাশীয়ায়ে সানাদী আ‘লা সুনানে ইবনে মাযাহ,  ২/২২৬ পৃ.;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৪৩: আল্লামা ইমাম সাফেরী (৯৫৬হি.) লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">واتفق العلماء على أن الحديث الضعيف والمرسل والموقوف يتسامح به في فضائل الأعمال ويعمل بمقتضاه.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“উলামায়ে মুহাদ্দিছীন দ্বায়িফ, মুরছাল, মাওকুফ হাদিসের ক্ষেত্রে, তা ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য হওয়ার বিষয়ে নর্মতা প্রকাশ করেন এ বিষয়ে উলামগণ একমত পোষণ করেছেন।”  ৭৩৭৩.  শরহে বুখারী লিসাফেরী,  ২/৩১৩ পৃ.;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৪৪: আল্লামা আব্দুর রহমান মোবারকপুরী লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">قال بن حَجَرٍ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ بِسَنَدٍ مُنْقَطِعٍ وَمَعَ ذَلِكَ يُعْمَلُ بِهِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“হাফিজ ইবনু হাজার বলেন, ইমাম তিরমিজি (র:) ইহা মুনকাতে সনদে বর্ণনা করেছেন। এ ধরনের হাদিসের উপর আমল করা জায়েয।”  ৭৪৭৪. তুহফাতুল আহওয়াজী,  ২/৪০ পৃ.;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৪৫: আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (المطالب العالية بزوائد المسانيد الثمانية) এ একটি পরিচ্ছেদ কায়েম করেন এ শিরোনামে- ২৩ - بَابُ الْعَمَلِ بِالْحَدِيثِ الضَّعِيفِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“পরিচ্ছেদ নং-২৩: দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণ বৈধতা প্রসঙ্গ। ” ৭৫৭৫. মাতালিবুল আলিয়া, ১২/৬৫৯ পৃ.;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৪৬: হাফিজুল হাদিস ইমাম ছাখাবী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) তার বিখ্যাত গ্রন্থে লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">وقد قال ابن عبد البر: إنهم يتساهلون في الحديث إذا كان من فضائل الأعمال</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“ইমাম ইবনে আবদুল র্বারররর (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, মুহাদ্দিছগণ ফাযায়েলে আমল সংক্রান্ত কোনো বিষয়ের হাদিস আসলে নম্রতা প্রকাশ করেন।”  ৭৬৭৬. ইমাম ছাখাবী, মাকাসিদুল হাছানা,  ৬৩৫ পৃ. হা/১০৯১;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৪৭: ইমাম ইবনুল আছির (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">وقال أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ ,يَقُولُ: إِذَا رَوَيْنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَّ فِي الْحَلَالِ وَالْحَرَامِ وَالسُّنَنِ وَالْأَحْكَامِ تَشَدَّدْنَا فِي الْأَسَانِيدِ ,وَإِذَا رَوَيْنَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَّ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ وَمَا لَا يَضَعُ حُكْمًا ولا يرفعه، تساهلنا في الأسانيد ، ولولا الأسانيد لقال من شاء ما شاء</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) বলেন, যখন রাসূল (ﷺ)-এর পক্ষ থেকে কোনো হাদিস আমাদের কাছে আসে তখন হালাল-হারাম, সুনান সম্পর্কিত হলে আমরা সনদের বিষয়ে কঠোরতা করতাম, যখন ফাযায়েলে আমল সংক্রান্ত কোনো হাদিস বর্ণিত হলে সে সনদের বিষয়ে নমনীয়তা প্রকাশ করতাম, যদি তা জাল না হয়। যদি সনদ না থাকতো যে যা ইচ্ছে তাই বলতো।”  ৭৭৭৭. জামেউল উসূল, ১/১০৯ পৃ., ইমাম খতিবে বাগদাদী,  আল-কিফায়াত ফি উলূমির রিওয়ায়েত,  ১/১৩৪ পৃ.,  ইবনে আবি ই‘য়ালা,  তবকাতুল হাম্বলীয়া,  ১/৪২৫ পৃ.;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৪৮-৪৯: আল্লামা ইবনুল মুলাক্কীন ( رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">وَهُوَ ضَعِيف لكنه من فَضَائِل الْأَعْمَال -“এ হাদিসটি দ্বায়িফ, তবে তা ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।” ৭৮ ৭৮.  তুহফাতুল মুহতাজ ইলা আদিল্লাতিল মিনহাজ,  ১/১৬৮ পৃ.;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">তিনি আরেক গ্রন্থে এভাবে লিখেছেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">وَقد اتّفق الْعلمَاء عَلَى الْعَمَل بِالْحَدِيثِ (الضَّعِيف) فِي فَضَائِل الْأَعْمَال دون الْحَلَال وَالْحرَام</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“উলামায়ে মুহাদ্দিছীন দ্বায়িফ হাদিসের উপর আমল করার উপর একমত পোষণ করেছেন, তবে তা যদি হালাল-হারাম সংক্রান্ত বিষয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত না হয়।”  ৭৯৭৯.  ইবনু মুলাক্কীন, বদরুল মুনীর,  ৪/২০৩ পৃ.;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৫০: ইমাম হাকেম নিশাপুরী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ، يَقُولُ: إِذَا رَوِينَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَلَالِ، وَالْحَرَامِ، وَالْأَحْكَامِ، شَدَّدْنَا فِي الْأَسَانِيدِ، وَانْتَقَدْنَا الرِّجَالَ، وَإِذَا رَوِينَا فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ وَالثَّوَابِ، وَالْعِقَابِ، وَالْمُبَاحَاتِ، وَالدَّعَوَاتِ تَسَاهَلْنَا فِي الْأَسَانِيدِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“ইমাম আব্দুর রহমান ইবনে মাহদী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূল (ﷺ)-এর পক্ষ থেকে কোনো হাদিস আমাদের কাছে আসে তখন হালাল-হারাম, আহকাম সম্পর্কিত হলে আমরা সনদের বিষয়ে কঠোরতা করতাম, সনদের রাবী নিয়ে কঠোর যাচাই বাছাই করতাম। যখন ফাযায়েলে আমল, কর্মের সাওয়াব এবং দাওয়াত বিষয়ক কোনো হাদিস বর্ণিত হয়, তখন সে সনদের বিষয়ে নম্রতা প্রদর্শন করতাম (যদি তা জাল না হয়)।” ৮০ ৮০.  ইমাম হাকেম, আল-মুস্তাদরাক,  ১/৬৬৬ পৃ. হা/১৮০১;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৫১: আল্লামা মোল্লা খুসরু (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) এর লিখিত র্দুরুল হেকাম হানাফী নির্ভরযোগ্য ফিকহের কিতাবে রয়েছে-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">وَإِنْ كَانَتْ ضَعِيفَةً لِلْعَمَلِ بِالْحَدِيثِ الضَّعِيفِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“হাদিস যদি দ্বায়িফ হয় ফাযায়েলে আমলের ক্ষেত্রে আমল করা বৈধ।”  ৮১৮১.  দুররুল হেকাম, ১/১২ পৃ.;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৫২: ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">وَالْعُلَمَاءُ يَتَسَاهَلُونَ فِي ذِكْرِ الْحَدِيثِ الضَّعِيفِ وَالْعَمَلِ بِهِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“উলামায়ে মুহাদ্দিছীনগণ দ্বায়িফ হাদিসের হুকুমের বিষয়ে বলেছেন, তা ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।”  ৮২৮২.  ইমাম ইবনে আবেদীন শামী, ফাতওয়ায়ে শামী, ১/১৩১ পৃ.;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">তিনি আরেক স্থানে লিখেন- أَنَّ الضَّعِيفَ يُعْمَلُ بِهِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“নিশ্চয় দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।”  ৮৩৮৩.  ইমাম ইবনে আবেদীন শামী, ফাতওয়ায়ে শামী, ৬/৪০৫ পৃ.;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অভিমত নং-৫৩: শরহে বেকায়া গ্রন্থকার আল্লামা উবায়দুল্লাহ মাসউদ (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) লিখেন- الاتفاق على أن الضعيف يُعمل به في فضائل الأعمال</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“সকলে একমত যে দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমালের জন্য গ্রহণযোগ্য।”  ৮৪৮৪.  শরহে বেকায়া,  ১/৩৪ পৃ. ঘাড় মাসেহ এর আলোচনা;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">সর্বশেষ বলতে চাই উপরের আলোচনা থেকে বুঝলাম যে, সকল ইমাম ও মুহাদ্দিছগণ একমত পোষণ করেছেন দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমালের জন্য গ্রহণীয় এবং ইহার প্রমাণিত আমলের স্তর হবে মুস্তাহাব।</span></p>

বিষয় নং-৩: দ্বায়িফ সনদ বিশিষ্ট হাদিসের উপরে আমল করার হুকুম

  বিষয় নং-৩: দ্বায়িফ সনদ বিশিষ্ট হাদিসের উপরে আমল করার হুকুম: দ্বায়িফ বা দুর্বল হাদিস ফাযায়েল আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য তাতে মুহাদ্দিছীনগণ একমত ...

Read more »

বিষয় নং-০১. কথিত আহলে হাদিসদের দৃষ্টিতে দ্বায়িফ হাদিস বলতে কী বুঝায়?

<p dir="ltr" id="docs-internal-guid-1a0bcabd-7fff-b914-b427-6a167eaa6c96" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="color: red; font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; font-weight: 700; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">বিষয় নং-০১. কথিত আহলে হাদিসদের দৃষ্টিতে দ্বায়িফ হাদিস বলতে কী বুঝায়?</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">বর্তমান আহলে হাদিস তথা সালাফীদের নিকট দ্বায়িফ হাদিস হলো এক প্রকার জাল হাদিস হিসেবে গণ্য, যেমনটি আলবানীর অনেক পুস্তকে দৃষ্টি দিলে তা অনুধাবন করা যায়। আহলে হাদিস শায়খ কামাল আহমদ তার লিখিত ‘দ্বায়িফ হাদীস কেন বর্জনীয়?’ (যা ওয়াহীদিয়া ইসলামিয়া লাইব্রেরী, রাণীবাজার, রাজশাহী, বাংলাদেশ হতে প্রকাশিত) গ্রন্থের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এটি নিয়েই আলোকপাত করেছেন। আরেক আহলে হাদিস মুযাফ্ফর বিন মুহসিন তার লিখিত ‘দ্বায়িফ ও জাল হাদীছ বর্জনের মূলনীতি’ গ্রন্থে সকল মুহাদ্দিছীনে কিরামের নীতিমালাকে উপেক্ষা করে ৩৩ পৃষ্ঠায় লিখেছেন- “যার প্রতি (দ্বায়িফ হাদিসের উপর) আমল করা ঐকমত্যের ভিত্তিতে নাজায়েয।” </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">তিনি দ্বায়িফ আর জাল হাদিসের হুকুমকে এক সাথে মিলিয়ে ৩৫ পৃষ্ঠায় লিখেন- “অতএব শারঈ মানদন্ডে জাল হাদীছ তো নয়ই, দ্বায়িফ হাদীছও গ্রহণযোগ্য নয়।”</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! সকল মুহাদ্দেসীন কেরাম একমত যে, দ্বায়িফ সনদের হাদিসও হাদিসের এক প্রকারের অন্তর্ভূক্ত; সনদের রাবির আদালতের ক্ষেত্রে ছহীহ, হাছান, দ্বায়িফ হয়ে থাকে। কিন্তু আলবানী ও তার উত্তরসূরীরা সকল ইমাম ও মুহাদ্দীসিনে কেরামের নীতিমালাকে উপেক্ষা করে, তারাই এক উসূলে হাদিসের নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে। অথচ আজ এ আহলে হাদিসগণ পৃথিবীর সমস্ত মুহাদ্দিছদের ইজমার বিপরীতে কথা বলছেন। এ বিষয়ে বিখ্যাত হাফিজুল হাদিস ও ফকীহ, ইমাম নববী আশ-শাফেয়ী (رضي الله عنه) বলেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">قد اتفق العلماء على جواز العمل بالحديث الضعيف فى فضائل الاعمال:مقدمة المؤلف</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“উলামায়ে কিরাম এই বিষয়ে সবাই ঐক্যমত পোষণ করেছেন দুর্বল হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।” ১১ . ইমাম নববী: আরবাঈন: ১/২০ পৃ. এবং ইমাম ইবনে দাকিকুল ঈদ, শরহে আরবাঈনুন নববিয়্যাহ, ১/২০ পৃ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">বিশ্ববিখ্যাত মুফাচ্ছির,  মুহাদ্দিছ ও  ফকিহ, আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী হানাফী (رضي الله عنه) ‘তাফসীরে রুহুল বায়ানে’ লিখেন-</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">لكن المحدثين اتفقوا على ان الحديث الضعيف يجوز العمل به فى الترغيب والترهيب</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">-“তবে মুহাদ্দিছীনে কিরাম এ ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে,  আকর্ষণ সৃষ্টি ও ভীতি সঞ্চারের বেলায় দ্বায়িফ হাদিস অনুযায়ী আমল করা যায়েয।” ২২. আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী: তাফসিরে রুহুল বায়ান, ২/৪১০ পৃ.</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">এ বিষয়ে বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও ফকীহ, আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী (رضي الله عنه) লিখেন,  وَالضَّعِيفُ يُعْمَلُ بِهِ فِي فَضَائِلِ الْأَعْمَالِ اتِّفَاقًا -“দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমলের মধ্যে আমল করার ব্যাপারে ইমামগণের ঐক্যমত হয়েছে।” ৩ ৩. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী: মওজু আতুল কাবীর: ১/৩১৫ পৃ. হা/৪৩৩</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! উপরের তিনজন নির্ভরযোগ্য আলেমের অভিমত থেকে জানতে পারলাম দ্বায়িফ হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য সে বিষয়ে সকল ইমামদের ইজমা হয়েছে, তাহলে এ নীতি অমান্য করে আহলে হাদিসরা কি তাদের অর্ন্তভুক্ত হবেন!</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">কিন্তু আহলে হাদিস আলবানী সকল মুহাদ্দিসের ইজমার বিরোদ্ধে অবস্থান নিয়ে লিখেছেন- “অনেকে এরূপ ধারণা পোষণ করেন যে, ফাযায়েলের ক্ষেত্রে দুর্বল হাদীসের উপর আমল করা যাবে এ মর্মে কোনো মতভেদ নেই। বাস্তবিক পক্ষে তা সঠিক নয়।”  ৪. আলবানী, য‘ঈফ ও জাল হাদীছ সিরিজ, ১ম খন্ড, ৫০ পৃ. তাওহীদ পাবলিকেশন্স, বংশাল, ঢাকা-১১০০;</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">পাঠকদের কাছেই বিচারের সিদ্ধান্ত অর্পন করা হলো, আপনারা কাকে মানবেন, আলবানীকে না ইমাম নববী (رَحْمَةُ الله عليه‎‎) সহ পৃথিবীর সকল বিখ্যাত ইমামদের? </span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অপরদিকে দ্বায়িফ হাদিস যখন একাধিক সনদে বর্ণিত হবে তা আর দ্বায়িফ থাকে না। মুহাদ্দিছীনে কিরামের এ নীতিমালাটি আহলে হাদিস সম্প্রাদায় নিজেদের মতের পক্ষে যখন একটি দ্বায়িফ সনদের হাদিসও আসবে তখন এটিকে ‘হাছান’ বলতে একটুও চিন্তা করে না, আর নিজেদের মত ও পথের বিরোদ্ধে যখন একাধিক সনদ নয় বরং ১৭ জন সাহাবী বর্ণনা করলেও তা তাদের নিকট দ্বায়িফ সনদই থেকে যায়! ৫৫. এ বিষয়ে আ‘লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরলবী (রহ:) এর সংকলিত ‘ফতোওয়ায়ে আফ্রিকায়’ রাসূল (ﷺ) আবূ বকর, উমর একই মাটির সৃষ্টির হাদিসের আলোচনায় দেখতে পাবেন যে একটি জাল হাদিসকেও  ড. আব্দুল্লাহ জাঙ্গীর তার ‘হাদীসের নামে জালিয়াতি’ বইয়ের ৩৪৮ পৃষ্ঠায় আলবানীর দলিলের ভিত্তিতে ‘হাছান’ বলতে একটুও চিন্তা বা দ্বিধাবোধ করেননি। আবার আহলে হাদিস শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী আলেমের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে পবিত্র ও যে সূরা ইখলাস তিনবার পড়বে সে যেন সর্ম্পন্ন কুরআন পড়লো এবং ‘তোমরা মু‘মিনের অন্তর দৃষ্টিকে ভয় কর, কেননা তারা আল্লাহর নূর দ্বারা দেখে’ এ হাদিসটি দ্বারা ওলীদের কাশ্ফ প্রমাণিত হয় বিধায় মোট দশজনেরও বেশী সাহাবি হতে বর্ণিত হওয়ার হওয়ার পরেও হাদিসটিকে সে দ্বঈফ বলে উড়িয়ে  দিতে চেয়েছিল। অনূরুপ বহু উদাহারণ আমার এ পুস্তুকে পাবেন এবং আলবানীর এ সমস্ত বাতিল মতবাদ এবং ভূয়া তাহকীকের জবাব জানতে জনাব শহিদুল্লাহ বাহাদুরের ‘আলবানীর স্বরূপ উন্মোচন’ পড়ুন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 12.0pt; margin-top: 12.0pt; text-align: justify;"><span style="font-family: Arial, sans-serif; font-variant-alternates: normal; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; font-variant-position: normal; vertical-align: baseline; white-space-collapse: preserve;">অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, আলবানী ও তার উত্তরসূরীদের নিকট কোনো সনদের একজন রাবী মাজহুল (অপরিচিত) থাকলে তখন সেটিকে মাওদ্বু বা জাল হাদিস বলতে দ্বিধাবোধ করেন না। আমার বিভিন্ন পুস্তুকের অনেক স্থানে আলবানী ও তার অনুসারীদের এ মনগড়া নীতির খন্ডন করেছি, এ কিতাবের বিভিন্ন স্থানেও আলবানীর এ ভুল নীতিমালার জবাব পাবেন,  ইনশা আল্লাহ!</span></p>

বিষয় নং-০১. কথিত আহলে হাদিসদের দৃষ্টিতে দ্বায়িফ হাদিস বলতে কী বুঝায়?

বিষয় নং-০১. কথিত আহলে হাদিসদের দৃষ্টিতে দ্বায়িফ হাদিস বলতে কী বুঝায়? বর্তমান আহলে হাদিস তথা সালাফীদের নিকট দ্বায়িফ হাদিস হলো এক প্রকার জাল হ...

Read more »