হাদিসে পাকে বিভিন্ন শব্দে দুরূদ শরীফ পাঠের প্রমাণ
❏ হাদিস ১:
"আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদিন 'আবদিকা ওয়া রাসূলিকা ওয়া ছাল্লি আলাল মু'মিনীনা ওয়াল মু'মিনাত ওয়াল মুসলিমীনা ওয়াল মুসলিমাত।
[সহীহ ইবনে হিব্বান ৩/১৫৮]
❏ হাদিস ২:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
যে ব্যক্তি জুমার দিন এ দুরূদ শরীফটি এক হাজার বার পাঠ করবে, যতক্ষণ পর্যন্ত সে বেহেশতের মধ্যে তাঁর স্থান প্রত্যক্ষ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে মৃত্যুবরণ করবে না।
اللَّهُمَّ صَلّ وَسَلَّمَ عَلَى مُحَمَّدٍ وَآلِهِ ألف ألف مَرَةٍ »
‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মদীন ওয়া আলিহি আলফা আলফা মররতিন।'
তথ্যসূত্রঃ
(১) ইমাম সাখাভী (رحمة الله), আল-কওলুল বদী ফিস সালাত আলাল হাবীবিশ শফী; পৃ. ১৯৭;
(২) ইবনে শাহান (رحمة الله), আত-তারগীব ফী ফাযায়িলিল আমাল ওয়া সাওয়াবি যালিক, পৃ. ১৪, হাদীস: ১৯; হযরত আনাস ইবনে মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত।
(৩) শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) : হৃদয়ের টানে মদিনার পানেঃ পৃষ্ঠা ৩৬৫।
❏ হাদিস ৩:
ইমাম সাখাভী (رحمة الله) হাদীসে মরফু সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পর্যন্ত সনদ সহকারে হাদীস বর্ণনা করেন যে,
"যে ব্যক্তি সাত জুমুআ পর্যন্ত প্রত্যেক দিন এ দুরূদ শরীফটি সাত বার করে পাঠ করবে, তার জন্য আমার শুপারিশ নিশ্চিত হবে। দুরূদ শরীফটি এই,
বাংলা উচ্চারণঃ ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মদীন ওয়া আ'লা আলি মুহাম্মদীন সালাতান তাকূনু লাকা রিযাউন, ওয়া লাহিকিহি আদাউন, ওয়া আতিহিল ওয়াসীলাতা ওয়াল্ মাকামাল মাহমূদা আল্লাযী ওয়াআততাহূ, ওয়া আজযিহি মাহুওয়া আহলুহু, ওয়া আজযিহি ‘আন্না মিন্ আফযালি মা জাযায়তা নবীয়ান আন উম্মাতিহি, ওয়া সাল্লি আ'লা জমীয়ি ইখওয়ানিহি মিনান্ নবীয়ীনা ওয়াস সিদ্দীকীনা ওয়াশ শুহাদায়ি ওয়াস সলিহীনা, ইয়া আরহামার রাহিমীন।
তথ্যসূত্রঃ
(১) ইমাম সাখাভী (رحمة الله), আল-কওলুল বদী' ফিস সালাত আলাল হাবীবিশ শফী; পৃ. ৫৭।
(২) শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) : হৃদয়ের টানে মদিনার পানেঃ পৃষ্ঠা ৩৬৬।
❏ হাদিস ৪:
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) ইয়াযীদ ইবনে ওয়াহব (رضي الله عنه) কে বলেছেন, তুমি জুমাবারে দুরূদ শরীফ পাঠ করা থেকে বিরত থেকো না। বরং এ দুরূদ শরীফটি এক হাজার বার করে পাঠ করবে:
اللهم صَلِّ عَلَى مُحَمَّدِ النّبي الأمي »
বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মদীন আন্নবীয়িল উম্মী।
তথ্যসূত্রঃ
(১) ইমাম সাখাভী (رحمة الله), আল-কওলুল বদী ফিস সালাত আলাল হাবীবিশ শফী, প, ১৯৭-১৯৮।
(২) শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) : হৃদয়ের টানে মদিনার পানেঃ পৃষ্ঠা ৩৬৬।
❏ হাদিস ৫:
হযরত সায়ীদ ইবনে মুসাইব (رضي الله عنه)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে আরও বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন,
"যে ব্যক্তি জুমাবারে আমার ওপর ৮০ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।"
তথ্যসূত্রঃ
(১) ইমাম সাখাভী (رحمة الله), আল-কওলুল বদী ফিস সালাত আলাল হাবীবিশ শফী, পৃ. ১৯৮;
(২) ইবনে শাহীন (رحمة الله), আত-তারগীব ফী ফাযায়িলিল আমাল ওয়া সাওয়াব মালিক, পৃ. ১৪, হাদীস: ২২; হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত।
(৩) শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) : হৃদয়ের টানে মদিনার পানেঃ পৃষ্ঠা ৩৬৬।
❏ হাদিস ৬:
হযরত হাসান (رضي الله عنه)-এর বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি জুমাবারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ওপর এ দুরূদ শরীফটি পাঠ করবে তার আশি বৎসরে গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে:
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদীন আবদিকা ওয়া রাসূলিকান নবীয়্যিল উম্মীয়ি, ওয়া আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়া সাল্লাম তসলীমা।"
তথ্যসূত্রঃ
(১) ইমাম সাখাভী (رحمة الله), আল-কওলুল বদী ফিস সালাত আলাল হাবীবিশ শফী; পৃ. ৬৭
(২) শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) : হৃদয়ের টানে মদিনার পানেঃ পৃষ্ঠা ৩৬৭।
❏ হাদিস ৭:
হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ ফরমান : যে ব্যক্তি জুমআ'র দিন আমার প্রতি ৮০ বার দুরূদ শরীফ পড়বে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার ৮০ বছরের (সগীরা) গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। সাহাবীরা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আপনার প্রতি দুরূদ শরীফ আমরা কিভাবে পড়বাে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ ফরমান,
اللهم صل على محمد عبدك ونبيك ورسولك النبي الأمي
“আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন আবদিকা ওয়া নাব্যিয়িকা ওয়া রাসূলিকা আন-নাবিয়্যিল উম্মি’ এভাবে পড়বে।”
তথ্যসূত্রঃ
১. দারে কুতনী : আস সুনান : ২/১৫৪ পৃ:,
২. আল্লামা শায়খ ইউসূফ বিন নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার : ৪/১৭৯পৃ.,
৩. খতিবে বাগদাদী : তারীখে বাগদাদ : ১৩/৪৮৯, তিনি হযরত আনাস বিন মালেক (رضي الله عنه) হতে,
৪. ইমাম সাখাভী : কওলুল বদী : ১৪৫ পৃ হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) এর সূত্রে,
৫. ইমাম সাখাভী : আল কাশেফ, ১/১৬৭.পূ.
৬. ইরাকী, তানযিহুল শারীয়াতুল কোবরা, ২/৩৩১পৃ. হাদিসঃ ৪৫, তিনি বলেন হাদিসটি হাসান’,
৭. ইরাকী, তাখরীযে ইহইয়াউল উলূম,১/২২০পৃ. ৩শ বলেন, "ইমাম ইবনে নুমান হাদিসটিকে হাসান বলেছেন ও ১/৪৪৫প, হাদিস ৫১১। তিনি বলেন ইমাম ইবনে কাত্তান হাদিসটিকে হাসান বলেছেন।)
৮. ইবনুল যওজী, আল-ইল্ললুল মুতনাহিয়্যাত আহাদিসুল ওয়াহিয়্যাত, ১/৪৬৮পৃ. হাদিসঃ ৭৯৬,
৯. আলুনী,কাশফুল খাফা, ১/১৮৯পৃ. হাদিস,৫০১, তিনি বলেন, ইমাম ইরাকি হাদিসটিকে হাসান বলেছেন।
১০. আবু তূলেব মক্কী,কুউয়াতুল কুলুব,১/১২১পৃ.দারুল। ইলমিয়্যাহ,বয়রুত,লেবানন,
১১. ইমাম গাযযালী, ইহইয়াউল উলুমুদ্দীন,১/১৮৬পৃ.,
১২. দারুল মা'রিফ বয়র, শায়খ খলিল (ওফাত-৮৬৯ হি.),
১৩. বাশারাতুল মাহবুব বি তাকফীরুল যুনুব,১/৩৯পৃ.
১৪. আবদুর রহমান সাফুরী, নুযহাতুল মাযালিস, ১/১৩৮পৃ. মাতবায়ে কাস্তালিয়া, কাহেরা, মিশর।
১৫. প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানাের “স্বরূপ উন্মােচন”৪২২ পৃ।