তালবীয়াহ "লাব্বাইক আল্লাহুম্মাহ লাব্বাইক’ শেষ পর্যন্ত বলার পর দুরূদ শরীফ পড়বে। 


❏ হাদিস ৫:


ইমাম শাফেয়ী  (رحمة الله) ও দারাকুতনী  (رحمة الله) হযরত কাশেম বিন মুহাম্মদ বকর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন যে, তালবীয়্যাহ পাঠ সমাপ্তকারীকে হুকুম দেয়া যায় যে, সে যেন সর্বদা নবী আকরাম (ﷺ) এর উপর দুরূদ শরীফ পড়ে। 

[সুনানে দারাকুতনী, ৩/২৫৭ পূ, হা/২৫০৭, ইমাম কাস্তালানীঃ আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহঃ ৩য় খন্ড, ৪২৪ পৃ, সাকলাইন প্রকাশনী।]


সাফা ও মারওয়ার মাঝে দুরূদ শরীফ পড়া। 


❏ হাদিস ৬:

 

ইমাম ইসমাঈল কাযী  (رحمة الله) হযরত উমর বিন খাত্তাব  (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, তােমরা যখন আসবে তাওয়াফের সাথে চক্কর লাগাবে মাকামে ইবরাহীমের পাশে দুই রাকাত নামায পড়ে, সাফা পাহাড়ে এসে দাঁড়িয়ে যাবে। এমনকি বায়তুল্লাহ শরীফকে দেখে সাতবার তাকবীর বলবে, আর এর পূর্বে আল্লাহ তা'আলার হামদ ছানা পড়বে, নবী আকরাম (ﷺ) এর উপর দুরূদ শরীফ পড়বে। আর নিজে নিজের জন্য দোয়া করবে। আর মারওয়াতেও অনুরূপ করবে। 

▪ ইমাম ইবনে কাসির  (رحمة الله) বলেন, এর সনদ হাসান অতি উত্তম ও শক্তিশালী।

[ইমাম কাস্তালানীঃ আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহঃ ৩য় খন্ড, ৪২৪ পৃ, সাকলাইন প্রকাশনী]


রওজা শরীফ যিয়ারতের সময় দুরূদ শরীফ পড়া


❏ হাদিস ৭:


তাবেয়ী নাফে (رحمة الله) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি যখন সফর থেকে ফিরে আসতেন, তখন মসজিদ শরীফে প্রবেশ করে, অতঃপর রওজা আনােওয়ারে হাযির হতেন, আর এভাবে বলতেন, 

-“হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আপনার প্রতি সালাম হােক, হে আবু বকর (رضي الله عنه)! আপনার প্রতি সালাম হােক, হে আব্বাজান [হযরত উমর (رضي الله عنه)]! আপনার প্রতিও সালাম হােক।”


তথ্যসূত্রঃ

১.ইমাম আব্দুর রাযযাক, আল-মুসান্নাফ, ৩/৫৭৬ পৃ. হা/৬৭২৪, 

২.ইমাম বায়হাকী, মা'রিফাতুল সুনানি ওয়াল আছার, ৭/৫৩৩ পৃ, হা/১০৯৪০, 

৩.ইমাম বায়হাকি, আস-সুনানুল কোবরা, ৫/৪০২ পৃ. হা/১০২৭১ এবং 

৪.ইমাম বায়হাকি, আস-সুনানুস সুগরা, ২/২১০ পৃ. হা/১৭৭০, 

৫.ইমাম আবি শায়বা, ৩/২৮ পৃষ্ঠা, হা/১১৭৯৩, 

৬.ইমাম ইবনে সা'দ, আত-তবকাতুল কোবরা, ৪/১১৭ পৃ. 


❏ হাদিস ৮:


❏ হযরত মালিক ইবনে আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে, আর তােমাদের জন্য এ খবরের শানে এতােই যথেষ্ট হয়েছে হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওহাব (رحمة الله) তাঁর নিকট থেকে বর্ণনা করেন যে, মুসলমান বা যিয়ারতকারী এভাবে বলবে, 

-“হে আল্লাহর নবী আপনার প্রতি সালাম হােক, আর আল্লাহ তা'য়ালার রহমত ও বরকত হােক।”

[ইমাম শিহাবুদ্দীন আল-কাস্তালানীঃ আল-মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহঃ ৪র্থ খন্ড, পৃ ৭৬১, সাকলাইন প্রকাশনী]


❏ হযরত মালিক ইবনে আনাস (رضي الله عنه) আল-মাবসুত’ গ্রন্থে অতিরিক্ত বর্ণনা করে বলেন, 

"নবী আকরাম (ﷺ), এরপর হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) ও হযরত উমর (رضي الله عنه) এর প্রতি সালাম পেশ। 

[আল্লামা জুরকানী, শারহুল মাওয়াহেব, ৮/৩০৬ পৃ.]

Top