কিয়ামতের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)'র নিকটবর্তী হবে ও শাফায়াত নসীব হবে
❏ হাদিস ২২:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “কিয়ামতের দিন আমার নিকটতম ব্যক্তি সেই হবে, যে দুনিয়ায় আমার উপর বেশি পরিমাণে দুরূদ শরীফ পড়েছে।” (তিরমিযী, ২য় খন্ড, ২৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৮৪)
❏ হাদিস ২৩:
হয়বত রুওয়াইফিঈ ইবনে সাবিত আনসারী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয় হুযূর (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এর উপর দুরূদ পাঠ করবে এবং বলবে “হে আল্লাহ! আপনি তাঁকে কিয়ামতের দিন তােমার সর্বাধিক নিকটবর্তী ও মর্যাদাপূর্ণ স্থানে অধিষ্ঠিত কর!" রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হবে।"
তথ্যসূত্রঃ
১.ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ২৮/২০১ পৃ. হা/১৬৯৯১,
২.ইমাম তাবরানী, মুজামুল আওসাত, ৩/২১ পৃ. হা/৩২৮৫,
৩.ইমাম আবু বকর ইবনে খাল্লাল, আস-সুন্নাহ, ১/২৬০ পৃ. হা/৩১৫,
৪.মুসনাদে বাযযার, ৬/২৯৯ পৃ. হা/২৩১৫,
৫.ইমাম তাবরানী, মুজামুল কাবীর, ৫/২৫ পৃ. হা/৪৪৮০-৮১,
৬.ইবনে কাসির, জামেউল মাসানীদ ওয়াল সুনান, ২/৭৭০ পূ, হা/৩০৯১,
৭.ইমাম মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ১/৪৯৬৭. হা/২১৮৮-২১৮৯,
৮.ইমাম হাইসামী (রঃ) এ হাদিসটির সনদ প্রসঙ্গে বলেন, -“এ হাদিসটি ইমাম বাযযার, তাবরানী তার মুজামুল আওসাত ও মুজামুল কাবীরে এ সনদ্বয় হাসান সূত্রে বর্ণনা করেছেন।”
(হাইসামী, মাযমাউয-যাওয়াইদ, ১০/১৬৩ পৃ. হা/১৭৩০৪)
৯.মুফতি আমজাদ আলী আযমী (رحمة الله), বাহারে শরিয়ত (তৃতীয় খণ্ড), পৃ ১৮১, সাকলাইন প্রকাশনী।
❏ হাদিস ২৪:
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত।
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اَللَّهِ ﷺ إِنَّ أَوْلَى اَلنَّاسِ بِي يَوْمَ اَلْقِيَامَةِ, أَكْثَرُهُمْ عَلَيَّ صَلَاةً. (رواه الترمذي و ابن حبان)
“কিয়ামতের দিবসে ঐ ব্যক্তি আমার সবচেয়ে অধিক নিকটবর্তী হবে যে ব্যক্তি (দুনিয়াতে) আমার প্রতি সর্বাধিক দুরূদ শরীফ পাঠ করেছে।"
তথ্যসূত্রঃ
১.ইবনে আবি শায়বাহ, আল-মুসান্নাফ, ১/২০৭পৃ. হাদিস,৩০৬, ও ৬/৩২৫পৃ. হাদিস.৩১৭৮৭,
২.সুনানে তিরমিযী, আবওয়াবুল বিতির, বাবু মা জাআ ফি ফাদলিস সালামে আলান্নবী (ﷺ), ২/৩৫৪, নং: ৪৮৪।
৩.সহিহ ইবনে হিব্বান, ২: ১৯২, নং: ৯১১।
৪.যাহাবী, মিযানুল ই'তিদাল : ৪/২০৯ পৃ: রাভী : ৯৪৪০,
৫.সাখাভী : মাকাসিদুল হাসানা : ১৬০ পৃ: হাদিস : ২৬৮,
৬.সাখাভী : আল কওলুল বদী : ২৪১ পৃ:
৭.ইবনে হাজার হায়সামী : মাওরিদুয় যামান । ১৫৯৪পৃ.হাদিস : ২৩৮৯,
৮.ইবনে আছির,জামিউল উসূল, ৪/৪০৫পৃ. হাদিস,২৪৭৫,
৯.নাওয়াবী খলাসাতল আহকাম, ১/৪৩৯পৃ. হাদিস,১৪৩৩, তিনি বলেন সনদটি হাসান।
১০.মিযী,তুহফাতুল আশরাফ বি মা'রিফাতুল আতরাফ, ৭/৬৯পৃ. হাদিস,৯৩৪০,
১১.ইবনুল ইরাকী, তাখরীযে আহাদিসুল ইহইয়াউল উলম, ১/৩৬৬পৃ.
১২.সুয়ূতি, আদুরল মুনতাসিরাহ, ১/৮৫পৃ. হাদিস,১৪০,
১৩.শায়খ ইউসুফ নাবহানী, ফতহুল কাবীর, ১/৩৫১, হাদিস,৩৮১৯,
১৪.আযলূনী : কাশফুল খাফা : ১/২৩৯ পৃ: হাদিস : ৮৩৫,
১৫.সুয়ুতি : আদ দুররুল মুনতাসিরাহ: ৫/২১৮:
১৬.ইমাম বুখারী : তারীখুল কবীর : ৫/১৭৭ পৃ: হাদিস,৫৫৯,
১৭.ইমাম আদী : আল কামিল : ৬/২৪২পু,
১৮.ইমাম দারেকুতনী : আল ইল্লল : ২৪১ পৃ.
১৯.বায়হাকী : আস-সুনানুল কোবরা , ৩/২৪৯পৃ, হাদিস : ৫৭৯১,
২০.বায়হাকী : শুআবুল ঈমান : ৩/১২৯ পৃ. হাদিস :১৪৬২,
২১.আবু ইয়ালা, আল-মুসনাদ, ৮: ৪২৭, নং: ৫০১১। তিনিও বলেন, হাদিসটি হাসান।
২২.ইমাম মুনযিরী, তারগীব ওয়াত তারহীব, ২/৩২৭ পৃ. হা/২৫৭৭, তিনিও বলেন, হাদিসটি হাসান।
২৩.খতিব তিবরিযী : মিশকাত : ১/১১৮ পৃ. হাদিস : ৯২৩,
২৪.মােল্লা আলী কারী : মেরকাত : ১৮-৯ পূ, হাদিস : ৯২৩,
২৫.সুয়ুতী : জামিউস সগীর : ১/১৬৮ পৃ. হাদিস : ২২৪৯,
২৬.দায়লামী : মুসনাদিল ফিরদাউস : ১/৮১ পৃ. হাদিস : ২৫০,
২৭.হাকিম নিশাপুরী : আল-মুস্তাদরাক : ২/৪২১ পৃ.
২৮.দিন্নুরী মালেকী, মাযালিসে দিন্নুরী, ১/৪২৯পৃ. হাদিস,১২৮,
২৯.বগবী, শরহে সুন্নাহ, ৩/১৯৭পৃ. হাদিস,৬৮৬,
৩০.মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ১/৪৮৯পৃ. হাদিস,২১৫১,
৩১.দরবেশহুত, আস্-সুনানিল মুত্তালিব, ১/৭৫পৃ. হাদিস,২৯৫,
৩২.মিযযী, তাহযীবুল কামাল, ১৫/৪৮২ ক্রমিক,অ৫০৯,
৩৩.মাওলানা শহিদুল্লাহ বাহাদুরঃ প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন।
❏ হাদিস ২৫:
ইমাম তাবরানী (رحمة الله) হযরত আবু দারদা (رضي الله عنه) থেকে মারফু বর্ণনা করেন, নবী আকরাম (ﷺ) ইরশাদ করেন,
من صلى على حين يصبح عشرا وحين يمس عشر اأد ركته شفاعتي يوم القيامة
"যে ব্যক্তি সকালে আমার প্রতি ১০ বার, আর সন্ধ্যায় ১০ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করে সে কিয়ামতের দিন আমার শাফায়াত লাভ করবে।”
তথ্যসূত্রঃ
(১) মুনযিরী, তারগীব ওয়াত্তারহীব, ১:২৬১, হা-৯৮৭।
(২) ইমাম হাইসামী, মাযমাউয-যাওয়াইদ, ১০/১২০ পৃ. হা/১৭০২২, তিনি বলেন, এ সনদটি শক্তিশালী ও সনদের সমস্ত রাবী সিকাহ।”
(৩) আল্লামা মুত্তাকি হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ১/৪৯২ পৃ, হা/২১৬৪।
(৪) ইমাম কাস্তালানীঃ আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহঃ ৩য় খন্ড, ৪২৫ পৃ, সাকলাইন প্রকাশনী।
(৫) হযরত আবু বকর ইবনে আসেম রহ. [ওফাত-২৮৭হি] কিতাবুস সালাত আ'লান নাবিয়্যিন এর ৬১ পৃষ্টায়,
❏ হাদিস ২৬:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
من صلى على اوسأل لى الوسيلة حقت عليه شفاعتى يوم القيامة অর্থাৎ যে ব্যাক্তি আমার উপর দুরূদ পাঠ করবে অথবা আমাকে উসিলা বানাবে কিয়ামতের দিন তার উপর আমার শাফায়াত আবশ্যক হবে।
[ইমাম আবু ইসহাক (رحمة الله) [ওফাত ২৮২ হি] ফযলুস সালাত আ'লান নাবিয়্যি এর ৫০ পৃষ্টা]
❏ হাদিস ২৭:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “যে এটা বলে:
اَللّٰهُمَّ صَلِّى عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّاَنْزِلْهُ الْمَقْعَدَ المُقَرَّبَ عِنْدَكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
তার জন্য আমার সুপারিশ ওয়াজিব হয়ে যাবে।” (মুজাম কবীর, ৫ম খন্ড, ২৫ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৪৪৮০)
অনুবাদ: হে আল্লাহ্! হযরত মুহাম্মদ এর উপর রহমতনাযিল কর এবং তাঁকে কিয়ামতের দিন তোমার দরবারে নৈকট্যতম স্থান প্রদান কর।