১০ম অধ্যায়ঃ 

❏ ঘটনা ১-১৮: ইমাম ও বুজুর্গানে দ্বীনের বর্ণনায় দুরূদের ফজিলত।


❏ ঘটনা ১:


তাবেয়ী বুযুর্গ হযরত সায়্যিদুনা কাবুল আহবার رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বলেন: আল্লাহ্ তাআলা হযরত সায়্যিদুনা মুসা কলিমুল্লাহ্ عَلَيْهِ السَّلَام এর নিকট এ মর্মে ওহী পাঠালেন: হে মুসা عَلَيْهِ السَّلَام! তুমি কি কিয়ামতের দিনের পিপাসা থেকে রক্ষা পেতে চাও? আরয করলেন: হে আমার প্রতিপালক! হ্যাঁ! আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করলেন:   فَاَكْثِرِ الصَّلَاةَ عَلٰى مُحَمَّدٍ অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা  (ﷺ) এর উপর বেশি পরিমানে দরূদ শরীফ পড়ো। 

▶[ইবনে আসাকির, ৬১তম খন্ড, ১৫০ পৃষ্ঠা, সংক্ষেপিত]


❏ ঘটনা ২:


ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) বলেন,

وقال الملا علي القاري في الوسائل : أنه لم يقل أحد أن قبورهم خاليه عن أجسادهم ، وأرواحهم غير المتعلقة بأجسامهم ؛ لءلا يسمعوا سلام من يسلم عليهم ، وكذا ورد أن الأنبياء يلبون ويحجون ، فنبينا - صلى الله عليه وسلم - أولى بهذه الكرامات،

মােল্লা আলী কারী নিজ কিতাব ‘জমউল মাসায়েল ফি শরহিশ শামায়েল’ এ বললেন, নিঃসন্দেহে কেউ একথা বলেন নি যে, তাঁর কবর তার দেহ থেকে খালি এবং তাঁর রূহের সাথে তার দেহের কোন সম্পর্ক নেই এবং যে কেউ তার উপর সালাম পেশ করে উহা তিনি শুনেন না। তখন এরূপে আম্বিয়াদের প্রসঙ্গে এসেছে যে, নিঃসন্দেহে আম্বিয়ায়ে কেরাম আলায়হিমুস সালাম তালবিয়া বলেন এবং হজ্ব করেন এবং আমাদের হুজুর নবী আকরাম (ﷺ) এর জন্য এই কারামতসমূহ উত্তম পন্থায় প্রমাণিত আছে।

▶[মোল্লা আলী কারী : জমউল ওসায়েল, ২/৩০০]


❏ ঘটনা ৩:


ইমাম শাযলি (رحمة الله) বলেন,

“রাসুলে করিম (ﷺ)'র সাথে স্বপ্নে আমার সাক্ষাত হলে আমি  জিজ্ঞেস করি, ইয়া রাসুলুল্লাহ (ﷺ), ‘যে ব্যক্তি আপনার প্রতি একবার দুরূদ শরিফ পাঠ করে, আল্লাহ তায়ালা তাঁর ওপর দশটি রহমত নাযিল করেন’-  এ ফযিলত কি একাগ্রচিত্তে দুরূদ পাঠকারীর জন্যে প্রযোজ্য? রাসুলে করিম ইরশাদ করেন, “না”, বরং অন্যমনষ্ক প্রত্যেক দুরূদ পাঠকারীর জন্যে প্রযোজ্য। আল্লাহ তায়ালা ওই পাঠকারীর জন্যে পাহাড়সম ফেরেশতাদেরকে নিয়োজিত করে দেন। যাঁরা তাঁর জন্যে প্রার্থনা করেন এবং ক্ষমা চান। আর একাগ্রচিত্তে দরূদ পাঠকারীর প্রতিদান কী হবে, তা একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।”

▶[ইমাম শা’রানি,আত তাবাকাতুল কুবরা,পৃ.২৯৬]


❏ ঘটনা ৪:


আল্লামা মাজদুদ্দিন ফিরোজাবাদী (رحمة الله) বলেছেন, যখন কোনো মজলিশে বস আর বল বিসমিল্লা-হির-রাহমা-নির ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ তো আল্লাহ তোমার উপরে একজন ফারিশতা  নিয়োগ করেন যে তোমাকে গীবত থেকে বাঁচাবে । আর যদি উঠবার সময় তা বল তবে ফ্যারিস্তা তোমার গীবত করা থেকে লোককে বিরত রাখবে।

▶[গুলদাস্তায়ে দুরূদ ও সালাম, কওলুল বদী]


❏ ঘটনা ৫:

আসমানের মধ্যে ফেরেশতাদের ইমামতি 


ইবনে আসাকের (رحمة الله) হাফস ইবনে আবদুল্লাহ (رحمة الله) থেকে রিওয়ায়ত করেছেন যে, তিনি বলেন, আমি হযরত আবু যুবআ (رحمة الله) কে তাঁর মৃত্যুর পর স্বপ্নে দেখি যে, তিনি আসমানের মধ্যে ফেরেশতাদের ইমামতি করছেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি এত উচ্চ মর্যাদা কিভাবে লাভ করলেন? তিনি উত্তর দিলেন আমি স্বহস্তে হাজার হাজার হাদীস সংকলন করেছি এবং হাদীস লেখার সময় আমি  عَنِ النَّبِيّة ﷺ লিপিবদ্ধ করতাম, আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন,

 صَلَّى عَلَى صَلاةً صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ عَشراه

“যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ শরীফ পাঠ করে, আল্লাহ তাআলা তাঁর ওপর দশবার রহমত নাযিল করেন। 

তথ্যসূত্রঃ

(১) ইমাম ইবনে আসাকের (رحمة الله) তাঁর "তারিখে ইবনে আসাকের", খন্ড ৩৮, পৃষ্ঠা ৩৮-৩৯। 

(২) ইমাম জালালউদ্দীন সুয়ুতী (رحمة الله) তাঁর "জমউল জওয়ামিউ" পৃষ্ঠা ৮ কিতাবে।

(৩) শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) : হৃদয়ের টানে মদিনার পানেঃ পৃষ্ঠা ৩৬২, গাজী প্রকাশনী।


❏ ঘটনা ৬:

তিন হাজার দিনার কর্জ পরিশোধ


"একজন নেককার ব্যক্তির তিন হাজার দিনার কর্জ হয়। মহাজন লােকটির বিরুদ্ধে কাযীর দরবারে নালিশ দায়ের করে। কাযী তাঁকে কর্জ আদায়ের জন্য এক মাসের সময় দেন। লােকটি কাযীর দরবার থেকে ফিরে এসে মসজিদের মিহরাবের নিকট গিয়ে আল্লাহ পাকের দরবারে কান্নাকাটি আরম্ভ করে দেয় এবং রাসূলে করীম (ﷺ) এর ওপর দরূদ পাঠে নিমগ্ন হয়ে যান। সাতাশ দিনের রাতে তিনি স্বপ্নে দেখেন যে, একজন লােক তাকে বলছেন, আল্লাহ তা'আলা তােমার কর্জ আদায় করে দেবেন। তুমি আলী ইবনে ঈসা উযিরের নিকট যাও এবং তাঁকে বল যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নির্দেশ দিচ্ছেন, আপনি আমার তিন হাজার দিনার কর্জ পরিশােধ করে দিন। লােকটি বলেন, যখন আমি জাগ্রত হই, তখন আমার মন প্রফুল্ল ছিল কিন্তু যদি উযির মহােদয় জিজ্ঞেস করেন তােমার একথার সত্যতার প্রমাণ কি? তবে আমি তাকে কি বলবাে? একথা ভেবে আমি তার কাছে গেলাম না। পরবর্তী রাতে আমি পুনরায় হুযূর আকরম (ﷺ) কে স্বপ্নে দেখি। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি উযিরের কাছে যাওনি কেন? আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমি এ আশঙ্কায় উযিরের কাছে যায়নি যে, যদি তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে, একথায় যে তুমি সত্যবাদী তার প্রমাণ কি? তবে আমি কি বলবাে? হুযূর আকরম (ﷺ) আমার মনােভব পছন্দ করলেন এবং ইরশাদ করলেন, যদি আলী ইবনে ঈসা এ ব্যাপারে তােমার সত্যবাদিতার কোন প্রমাণ তলব করে, তবে তুমি তাঁকে বল যে, একথার সত্যতার প্রমাণ এই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই বলেছেন যে, তুমি ফজরের নামাযের পর লােকজনের কথা বার্তায় লিপ্ত হওয়ার পূর্বে পাঁচ হাজার বার দরূদ শরীফ পাঠ করে আমার দরবারে পেশ করে থাকো আর তােমার এই আমলের কথা আল্লাহ তাআলা এবং কিরামন-কাতিবীন ব্যতীত আর কেউ অবগত নয়। এ স্বপ্ন দেখার পর আমি সােজা উযিরের নিকট গমন করি এবং স্বপ্নের ঘটনা সম্পর্কে তাকে অবহিত করি। আর রাসূলুল্লাহ ও নির্দেশিত সত্যতার প্রমাণ তাঁর কাছে পেশ করি। উযির মহােদয় আমার একথা শুনে খুবই সন্তুষ্ট হন এবং বলেন, 

রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সত্যবাদীতার ওপর ধন্যবাদ।

দ্বিতীয় রাতে আমি খােদ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে স্বপ্নে দেখি এবারও তিনি উহাই ইরশাদ করলেন যা প্রথম রজনীতে ইরশাদ করেছিলেন। আমি অত্যন্ত প্রফুল্ল মনে জাগ্রত হই। কিন্তু উল্লিখিত কারণে উযিরের নিকট গমন করা থেকে বিরত থাকি। এরপর তিনি আমাকে তিন হাজার দিনার দান করে বলেন, যাও তোমার কর্জ পরিশোধ কর।

▶[শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) : হৃদয়ের টানে মদিনার পানেঃ পৃষ্ঠা ৩৬২-৩৬৩, গাজী প্রকাশনী।]


❏ ঘটনা ৭:

মাটিগুলো মুক্তায় পরিণত 


একদা এক ব্যক্তি অভিশপ্ত আবু জেহেল থেকে কিছু ভিক্ষা চাইল, আবু জেহেল ঠাট্রা বিদ্রুপ করে ঐ ব্যক্তিকে বললো শেরে খোদা আলীর নিকট যাও। তিনি একজন অর্থশালী ব্যক্তি। অবশ্যই তোমাকে  কিছু না কিছু দান করবেন। অতএব সে হযরত আলীর মহান দরবারে উপস্থিত হয়ে কিছু সাহায্য প্রার্থনা করলো। অথচ প্রকৃত অবস্থা এ ছিল ওই সময় হযরত আলী (رضي الله عنه) এর নিকট প্রার্থনা কারীকে দেওয়ার মত কিছুই ছিল না। সুবাহানাল্লাহ, আমাদের প্রিয় নবীজী(ﷺ) এর আহলে বাইতের কতটুকু ক্ষমতা। শাহে বেলায়াতের সম্রাট হযরত আলী (رضي الله عنه) বললেন হে ভিক্ষুক তোমার হাত আমার দিকে প্রসারিত করো। সে হাত প্রসারিত করলে, হযরত আলী (رضي الله عنه) তিনবার দরূদ শরীফ পাঠ করে বললেন, এ মাটিকে মুষ্টিতে শক্ত করে ধরো এবং আবু জেহেলের সামনে গিয়ে খুলবে। ওদিকে আবু জেহেল এ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে হাসি ও বিদ্রুপ করছিলো। ভিক্ষুক আবু জেহেলের নিকট আসলে সে বললো মুষ্টি খোল। ভিক্ষুক মুষ্টি খুলে দেখলো ওই মাটিগুলো তার হাতে মনি মুক্তায় পরিণত হয়ে আছে। আবু জেহেল ও মক্কার কাফেররা এ অবস্থা দেখে হতভম্ভ হয়ে গেল এবং বিদ্রুপ কারীদের মুখ থুবড়ে পড়লো। 


❏ ঘটনা ৮:

হযরত শিবলী (رحمة الله) এর ঘটনা


বিশ্বস্ত সনদ সহকারে শায়খ আহমদ ইবনে আবু বকর ইবনে রাদ্দাদ সুফী (رحمة الله) ও মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) স্বীয় কিতাবে শায়খ মজদুদ্দীন ফিরূযাবাদী থেকে রিওয়ায়ত করেন যে আকনসী (رحمة الله) বলেন, 

 

"একদা হযরত শিবলী (رحمة الله) বাগদাদ শরীফের বিজ্ঞ আলিম হযরত সায়্যিদুনা আবূ বকর মুজাহিদ (رحمة الله) এর নিকট তাশরিফ নিলেন। আবু বকর মুজাহিদ (رحمة الله) তার সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে যান এবং তার সাথে কোলাকুলি করেন আর তারা উভয় চোখের মাঝখানে চুমাে দেন। আমি আরজ করলাম, হে আমার সরদার! আপনি হযরত শিবলী (رحمة الله) এর সাথে এমন ব্যবহার কেন করলেন? অথচ আপনি এবং বাগদাদের সমস্ত লােক তাঁকে পাগল মনে করেন। উত্তরে তিনি বললেন, আমি নিজ তরফ থেকে এ কাজ করিনি, বরং হযরত নবী করীম (ﷺ) কে এরূপ করতে দেখেই করেছি। একদিন আমি স্বপ্নে দেখি যে, হযরত শিবলী (رحمة الله) হুযূর আকরম (ﷺ) এর পাক দরবারে উপস্থিত হয়েছেন। তাঁর আগমনে তিনি দাঁড়িয়েছে এবং তাঁর সাথে কোলাকুলি করেছেন, আর তাঁর উভয় চোখের মাঝখানে চুমাে দিয়েছেন। আমি হুযূর আকরম (ﷺ) এর নিকট আরজ করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আপনি শিবলী (رحمة الله)-এর সাথে এরূপ সদয় ব্যবহার কেন করলেন? ইরশাদ করলেন, কেননা তিনি নামাযের পর কুরাআনে পাকের এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন, 

لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِّنْ أَنفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُم بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ 

এ আয়াতটি তিলাওয়াতের পর তিনি আমার ওপর দরূদ শরীফ পাঠ করেন।"

তথ্যসূত্রঃ

(১) ইমাম সাখাবী (رحمة الله), আল-কওলুল বদী ফিস সালাত আলাল হাবিবিশ শফী, পৃষ্ঠা ১৭৭।

(২) শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) : হৃদয়ের টানে মদিনার পানেঃ পৃষ্ঠা ৩৫৬, গাজী প্রকাশনী।

(৩) মু’সিসাতুর রাইয়ান, বৈরুত।


❏ ঘটনা ৯:


হজরত শিবলী (رحمة الله) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, আমার একজন প্রতিবেশী মারা যায়। আমি তাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞাসা করি, আল্লাহ তা'আলা তােমার সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন? তিনি বললেন, আমার সম্পর্কে কি জিজ্ঞাসা করেন, আমার ওপর তাে বড়ই মুসিবত এসেছিল। বিশেষ করে মুনকার-কীরের সওয়ালের সময়। আমার তাে মনে হচ্ছিল যে, আমি যেন দীনে ইসলামের ওপর মৃত্যুবরণ করিনি। এমন সময় হঠাৎ আওয়াজ হলাে, তুই যে তাের মুখকে বেকার রেখেছিলে, এ যে তারই শাস্তি। যখন আযাবের ফেরেশতাগণ আমার দিকে এগিয়ে আসে। তখন আমি দেখতে পাই যে, খােশবুত মুখরিত একজন সুন্দর পুরুষ আমার এবং ফেরেশতাদের মাঝখানে আড়াল হয়ে আছেন। তিনি আমাকে ঈমানের দলীল বাতলিয়ে দেন। আমি লােকটিকে জিজ্ঞেস করি, আল্লাহ আপনার ওপর রহমত বর্ষণ করুক, আপনি কে? তিনি বললেন, আমি সেই ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ তা'আলা আপনার অধিক সংখ্যক 

দরূদ শরীফ পাঠ করার ফলে সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমি যেন আপদে-বিপদে আপনাকে সাহায্য করি।" 

তথ্যসূত্রঃ

(১) আস-সাখাবী (رحمة الله), আল-কওলুল বদী' ফিস সালাত আলাল হাবীবিশ শফী; পৃ. ১২৭; 

(২) ইবনুন নু'মান (رحمة الله), মিসবাহস যাল্লাম ফিল মুসতাগিসীনা বি-বায়রিল আনাম আলায়হিস সালাতু ওয়াস সালাম, ২৩৩। 

(৩) শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) : হৃদয়ের টানে মদিনার পানেঃ পৃষ্ঠা ৩৫৭, গাজী প্রকাশনী।


❏ ঘটনা ১০:

বিকৃত চেহারা চাঁদের মত উজ্বল


হযরত শায়খ শিবলী (رحمة الله) বলেন, বায়তুল্লাহ্ শরীফ যিয়ারতের সময় আমি একবার এক যুবকের সাক্ষাত পাই। সে বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করছিল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্ধারিত দোয়া না পড়ে সর্বত্রই সে দরূদ শরীফ পাঠ করছিল। শিবলী (رحمة الله) বলেন, তুমি কি দরূদ শরীফ ছাড়া অন্য কোনো দোয়া পারতে পার না? তুমি সর্বত্রই দরূদ শরীফ পাঠ করছো কেন? যুবকটি বলল, আমি অনেক দোয়া মুখস্ত পারি। কিন্তু দরূদ শরীফের যে উপকার আমি নিজে লাভ করেছি অন্য কোন দোয়ায় তা পাইনি। তাই সর্বত্র দরূদ শরীফ পাঠ করছি। 

হযরত শিবলী (رحمة الله) বললেন, ঘটনাটি কী আমাকে খোলে বল। অনেক বছর আগের কথা। আমি আর আমার বাবা হজ্বে আসছিলাম। বাগদাদে পৌছার পর আমার বাবা ভীষণভাবে জ্বরাক্রান্ত হলেন এবং কয়েকদিন পর মারা গেলেন। কিন্তু মৃত্যুর পর তার মুখের আকৃতি শুকরের মত হয়ে গেল। আমি এ অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পরলাম। তার মুখের উপর একটি কাপড় টেনে দিলাম। কাউকে এ অবস্থা বলতেও পারছিলাম না। আবার একা একা দাফন করতেও পারছিলাম না। প্রচন্ড কষ্ট, চিন্তা ও দূর্ভাবনায় আমি উপুর হয়ে পড়েছিলাম। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বলতেও পারব না। আমি ঘুমের মধ্যে দেখি কি অসাধারণ সুন্দর এক পবিত্র মানুষের আগমণ। রূপময় সেই উজ্জলকান্তি পবিত্র আমার বাবার কাছে এলেন। মুখ থেকে কাপড় সড়িয়ে তার মুখে হাত বুলিয়ে দিলেন। আর এমনিতেই আমার বাবার চেহারা চাঁদের মত উঁজ্বল হয়ে উঠল। তারপর তিনি যখন চলে যেতে উদ্যত হলেন আমি তাকি জড়িয়ে ধরে তার পরিচয় জানতে চাইলাম। বড়ই বিপদে আপনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। তখন তিনি ইরশাদ করলেন, তিনি আমি পাপীদের আশ্রয়, অপরাধীদের সুপারিশকারী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (ﷺ)। এই কথা শুনেই আমি পবিত্র কদমে লুটিয়ে পড়লাম। কদমবুছি করলাম। তারপর আরয করলাম হে রাসূল (ﷺ) আমার বাবার মৃত্যুর সংবাদ আপনি কিভাবে পেলেন? আমি তো এই সংবাদ এখনো কাউকে দেইনি। ইরশাদ করলেন, তোমার বাবা প্রতি রাতে আমার প্রতি তিনশতবার দরূদ শরীফ পাঠ করত। আজ রাতে যখন তার দরূদ আমার কাছে পৌছায়নি, তখন আমি সেই ফেরেশতাকে জিজ্ঞেস করলাম যে, আমার কাছে তোমার বাবার দরূদ শরীফ প্রতিদিন পৌঁছাত। তখন ফেরেশতা আমাকে বলল, সে তো আজ মারা গেছে এবং তার অবস্থা এই। একথা শুণে আমার খুবই দু:খ হলো। তাই চলে এলাম। অত:পর হুযুর (ﷺ) চলে গেলেন। তারপর আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। ফজরের নামাজ পড়লাম। দেখলাম সত্যিই আমার বাবার চেহারা চাঁদের মত উজ্জল হয়েগেছে। আরও দেখলাম লোক দলে দলে চারদিক থেকে ছুটে আসছে। যেন শহরে সব মানুষ ঢলে পড়েছে আমাদের দিকে। আমি ভেবে হয়রান হলাম। এদেরকে কে সংবাদ দিল। আমি অবশেষে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা আমার বাবার মৃত্যু এবং যানাজার সংবাদ কীভাবে পেলেন? তারা বলল, আমরা আকাশ থেকে একটি গায়েবী আওয়াজ শোনলাম। যেই ব্যক্তি স্বীয় পাপ মাফ করতে চায়, সে যেন অমুক মহল্লার অমুক স্থানে একজন লোক মারা গেছে, তার যানাজায় গিয়ে শরীক হয়। 

অত:পর যুবক বলল- দরূদ শরীফের মহান এই মর্ম ও মর্যাদা আমি নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করেছি। একারণেই আমি অন্যসব দোয়া ছেড়ে এখন সর্বদা দরূদ শরীফই পাঠ করছি। একথা শোনার পর শায়খ শিবলী (رحمة الله) বললেন- তুমি বাবার এই খুটিটি আরও শক্ত করে ধর এবং কখনও ছেড়ে দিও না। ▶[জিকরে এলাহি-পৃ: ১০৪]


❏ ঘটনা ১১:


হযরত সায়্যিদুনা শায়খ আহমদ ইবনে মনসুর رحمة الله عليه যখন ওফাত প্রাপ্ত হন, তখন একজন শীরাযবাসী তাঁকে স্বপ্নে দেখলেন-তিনি শীরাযের জামে মসজিদের মেহরাবে দাঁড়ানো। আর তাঁর পরনে ছিলো উন্নতমানের পোশাক। মাথার উপর মুক্তা খচিত তাজ শোভা পাচ্ছিলো। স্বপ্নে যে দেখেছে সে স্বপ্নদ্রষ্টা আরয করল, “হযরত কেমন আছেন?” তিনি বললেন, “আল্লাহ তা’আলা আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং আমার উপর দয়া করেছেন। আমাকে তাজ পরিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছেন।” লোকটি বললো, “কি কারণে?” বললেন, আমি তাজেদারে মদীনা হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর উপর বেশি পরিমাণে দুরূদে পাক পড়তাম, বস্তুত: এই আমলটা কাজে এসেছে।” 

▶(ইমাম সাখাবীঃ আল কাউলূল বদী, পৃ-২৫৪)


❏ ঘটনা ১২:

মধু তিক্ত থেকে মিষ্টি হয় 


আল্লামা রুমী (رحمة الله) মসনবীজীশরীফে উলে­খ করেন, একদা নবীকুল সম্রাট হুযুর (ﷺ) মৌমাছিদেরকে বলেন, তোমরা প্রত্যেক প্রকারের ফুল থেকে রস আহরণ কর, এতে কিছু মিষ্টি কিছু তিক্ত এবং কিছু টক ও রয়েছে এতদসত্বেও সমুদয় রস কীভাবে মিষ্টি হয়ে মধুতে পরিণত হয়? মৌমাছিরা আরজ করল, হে সমগ্র সৃষ্টির পথ প্রদর্শক! আমরা ফুল হতে রস আহরন করে ঘড়ে প্রত্যাবর্তন করা অবধি আপনার প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করে থাকি। এর ফলে সমুদয় রস সুমিষ্ট মধু হয়ে যায়। ▶(মুফতি ইয়ার খান নঈমী রহঃ শানে হাবিবুর রহমান)


❏ ঘটনা ১৩:

দরূদ শরীফ পাঠে রোগ মুক্তি লাভ 


জনৈক মুত্তাকী নেক্কার পরহেজগার ব্যক্তি পেশাব আটকে যাওয়া রোগে আক্রান্ত হয়। যার কারনে সীমাহীন কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। একরাত্রে স্বপ্নে আরেফবিল্লাহ শাহাবুদ্দীন ইবনে আরসালান (رحمة الله) এর সাথে সাক্ষাত হয়। সে তার কাছে বেদনাদায়ক রোগের কথা উলে­খ করলে, তিনি বলেন, আমি তোমাকে একটা দরূদ শিখিয়ে দিচ্ছি ,তুমি তা পড়তে থাক। এটি পরিক্ষিত যে এর পাঠের দ্বারা দ্রুত রোগ মুক্ত হওয়া যায়। লোকটি ঘুম থেকে জাগ্রত হলে স্বপ্ন মনে পড়ল এবং দরূদশরীফটিও স্মরণ হল। সে ঐ দরূদ শরীফ পাঠ আরম্ব করে দিল। আল্লাহ তায়ালা দরূদ শরীফের বরকতে দ্রুত আরোগ্য দান করেন। 

▶[ইমাম সাফুরীঃ নুযহাতুল মাজলিস-৯২, সূত্র- বার মাসের আমল ও ফযীলত- ১৮২]


❏ ঘটনা ১৪:

মুসা (عليه السلام) এর উম্মতের নাযাত 


ইমাম সাখাবী (رحمة الله) বর্ণনা করেন, হযরত মুসা (عليه السلام) এর সময়কালে একজন ব্যাক্তি বড়ই ফাসেক ছিল। বনী ইসরাইলের লোকেরা তার উপর বড়ই অসন্তুষ্ট ছিল। তার মৃৃত্যু হলে লোকেরা তাকে কাপন দাপন ব্যতিত একটি আবর্জনার স্তুপে নিক্ষেপ করে দিল। তার নামাজের যানাযাও কেউ পড়ে নি। আল্লাহ তায়ালা হযরত মুসা (عليه السلام) কে ওহীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন যে, হে মুসা! অমুক আবর্জনার স্থানে একজন মৃত ব্যক্তির লাশ কাপন দাফন ব্যতিত পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে তাকে গোসল দিয়ে কাপন পড়িয়ে জানাযা পড়ে সম্মানের সহিত দাফন কর। কেননা আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। মুসা (عليه السلام) ও তার অবস্থা জানতেন। তিনি বললেন হে আল্লাহ! তার গুণাহ্ কী কারণে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। তার কোন আমলটি মাগফিরাতের কারণ হল? আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বলা হল- হে মুসা তার মাগফিরাতের কারণ হল, একদিন সে তাওরাত পাঠ করার সময় আমার শেষ নবীর নাম মোবারক দেখে সে দরূদ পাঠ করেছে। একারনেই আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। 

▶[আফযালুস সালাত পৃ: ৪১। বার মাসের আমল ও ফযীলত-পৃ: ১৬৮]


❏ ঘটনা ১৫:

হযরত মুসা (عليه السلام) এর ঘটনা 


একদা আল্লাহ তায়ালা হযরত মুসা আ'লাইহিস সালাম এর প্রতি ওহী অবতীর্ণ করলেন, তুমি কি ইচ্ছে কর তোমার জিহ্বার সাথে তোমার কথার যে সম্পর্ক, আমি তার থেকেও তোমার অধিক নিকটবর্তী এবং বিপদ-আপদে তোমার ও তোমার অন্তরের সাথে তোমার আত্মা ও তোমার শরীরের সাথে এবং তোমার দৃষ্টি ও তোমার চোখের সাথে যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে, তার চেয়েও অধিক নিকটবর্তী হই? উত্তরে মুসা (عليه السلام) বললেন- হ্যাঁ। তখন আল্লাহ তায়ালা বললেন, তুমি আমার প্রিয় হাবীব মুহাম্মদ মোস্তফা (ﷺ) এর প্রতি অসংখ্য দরূদ শরীফ প্রেরণ করো, যাতে তুমি এ সৌভাগ্য ও নৈকট্য অর্জন করতে পার। (সুবাহানাল্লাহ্), 

▶[গাউছিয়া তরবীয়তী নেসাব- ৫১১পৃ:]


❏ ঘটনা ১৬:

একটি বালিকার ঘটনা 


দালায়েলুল খাইরাত প্রনেতা হযরত মুহাম্মদ ইবনে সুলাইমান জাযুলী (رحمة الله) একদিন ভ্রমণ করতে গিয়ে ফাস নাম শহরে উপস্থিত হলেন। সেখানে ভ্রমণে জোহরের সময় হল, তিনি পানি পাচ্ছিলেন না। অনেক্ষণ পানি তালাশ করার পর একটি কূপ দৃষ্টিগোচর হল, কিন্তু পানি উঠানোর জন্য কোন মাধ্যম তথা বালতি বা অন্য কোন পাত্র পেলেন না। উক্ত কিতাবের গ্রন্থকার পানির আশায় ঐ কূপের চারপাশে অসহায়ভাবে প্রদক্ষিণ করতে লাগলেন। কিন্তু এর কোন সমাধান না পেয়ে গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হলেন। এই ঘটনা এক জায়গা হতে আট বা নয় বছরের এক বালিকা প্রত্যক্ষ করেছেন। 

অল্পক্ষণপর বালিকা লেখক হযরত সুলায়মান জাযুলি (رحمة الله) এর কাছে এসে বললেন যে, আপনার এই চিন্তার কারণ কী? অনুগ্রহ করে আমাকে কি বলবেন? তদুত্তরে তিনি বললেন যে, আমি জোহরের নামাজ আদায় করতে চাই। অথচ অযুর পানি পাওয়ার কোন মাধ্যম বা লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না। আপনার সম্ভব হলে সাহায্য করুন। উত্তরে বালিকা বললেন আপনি একজন জগৎখ্যাত ওলী। অথচ এ সামান্য কাজও সমাধান করতে পারছেন না। এ বলে বালিকাটি এসে কূপের মধ্যে থু-থু নিক্ষেপ করলেন। সাথে সাথে পানি ফুসলিয়ে উঠে। কূপের উপর দিয়ে প্রবাহিত হল। 

ফলে উপস্থিত সবাই অযু করে নামাজ আদায় করলেন। নামাজ থেকে অবসর হয়ে লেখক ঐ বালিকার ঘরে গিয়ে ডেকে জানতে চাইলেন যে, আপনার ঐ সত্তার কসম যে সত্তা আপনাকে সৃষ্টি করেছেন এবং ইসলামের সঠিক পথ প্রদর্শন করেছেন। তোমাকে আল্লাহ সমস্ত নবী-রাসূল বিশেষত আমার নবীয়ে পাক (ﷺ) এর দোহাই দিয়ে বলছি যে কুপ থেকে পানি উঠানো এটা কীভাবে সম্ভব হলো? 

বালিকা বললেন, জনাব আপনি যদি আমাকে এতবড় শপথের কথা না বলতেন, তাহলে আমি অবশ্যই বলতাম না। ইহা মূলত বিশেষ একটি দরূদ শরীফ পাঠ করার কারণে পেয়েছি। যে দরূদ শরীফ খানা আমি সর্বদা পাঠ করে আসছি। 

শেখ মুহাম্মদ সুলায়মান (رحمة الله) বললেন যে, আমি উক্ত দরূদ শরীফ বালিকা থেকে মুখস্ত করলাম এবং উহাকে মানুষের মধ্যে প্রচার করার অনুমতি নিলাম। অত:পর দৃঢ় ইচ্ছা ব্যক্ত করলাম যে আমি দরূদ শরীফ সংক্রান্ত কিতাব রচনা করব। তাই দালায়েলুল খাইরাত কিতাবখানা রচনা করলাম। 


❏ ঘটনা ১৭:

আদম (عليه السلام) এর মোহরানা আদায় 


হযরত আদম (عليه السلام) একাকিত্ব দূরীভূত হওয়ার জন্য আরয করতেন যে, যদি আমার কোন সঙ্গী হতো, তাহলে তার সাহচর্যে কালাতিপাত করতে পারতাম। আল্লাহ তায়ালার দয়া হল, ঘুমন্ত অবস্থায় তার বাম পাজর থেকে হযরত হাওয়া (عليه السلام) কে সৃষ্টি করলেন। তিনি খুবই সুন্দরী ছিলেন এবং সৃষ্টি হওয়া মাত্র শারিরীক গঠন পরিপূর্ণ হয়ে গেল। হযরত আদম (عليه السلام) যখন ঘুম থেকে জাগ্রত হলেন, তখন দেখেন যে তার পাশে একজন সুশ্রী মহিলা বিদ্যমান। জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কে? আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তর আসল ইনি আমার বান্দীনি নাম তার হাওয়া, তোমার একাকিত্ব দূর করার জন্য আমি তাকে সৃষ্টি করেছি। আদম (عليه السلام) তাকে স্পর্ষ করতে চাইলেন। আদেশ আসল হে আদম! তাকে স্পর্ষ করবে না, যতক্ষন পর্যন্ত তার “মহর” আদায় না করবে। আদম (عليه السلام) আরয করলেন, এর মহর কি? হুকুম আসল তার মহর হল তুমি মুহাম্মদ (ﷺ) এর উপর এবং তার পরিবার পরিজনের উপর দশ বার দরূদ শরীফ প্রেরণ কর। আদম (عليه السلام) আরয করলেন, মুহাম্মদ কে? এরশাদ হল, তিনি হলেন তোমার আওলাদ শেষ যমানার নবী। যদি আমি তাকে সৃষ্টি না করতাম তবে তোমাকেও সৃষ্টি করতাম না। অত:পর হযরত আদম (عليه السلام) দশবার দরূদ শরীফ পাঠ করে মুহাম্মদ (ﷺ) ও তাঁর পরিবারের উপর প্রেরণ করবেন আর ফেরেশতারা স্বাক্ষী হলেন ফলে হযরত আদম (عليه السلام) ও হাওয়া এর বিবাহ সম্পাদিত হয়। 

▶[হাশিয়ায়ে দালায়েলুল খাইরাত-২০৩, বার মাসের আমল ও ফযীলত-১৮১]


❏ ঘটনা ১৮:

দরূদ পাঠে অন্তর নিফাক মুক্ত হয় 


মাজালিসে মাক্কীয়া নামক গ্রন্থে আবুল মোজাফফর মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ খৈয়াম সমরকন্দী (رحمة الله) বলেন, একদিন আমি পথ হারিয়ে গেলে হঠাৎ একজন লোক দেখলাম। লোকটি আমাকে তার সাথে চলতে বললে আমি তার সাথে চললাম। আমার মনে হল যে, তিনি সম্ভবত হযরত খিজির (عليه السلام) হবেন, যিনি হারিয়ে যাওয়া পথিককে রাস্তা দেখান এবং মনজিলে মকসুদ পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার নাম কী? উত্তরে তিনি বললেন আমার নাম খিজির ইবনে ইসা আবুল আব্বাস। আমি তার সাথে আরেকজনকে দেখতে পাই। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনার নাম কী? উত্তরে তিনি বললেন, ইলিয়াস ইবনে শাম। এরপর উভয়কে সম্ভোধন করে বললাম, আল্লাহ তায়ালা আপনাদের উপর রহমত নাযিল করুন। আপনারা কি মুহাম্মদ (ﷺ) কে দেখেছেন? তারা বললেন হ্যা দেখেছি। আমি আরয করলাম আপনারা আমাকে ঐ সব কথা শুনান যা আপনারা রাসুলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শুনেছেন। যাতে আমি অন্যদেরকে বর্ননা করতে পারি । তারা বললেন আমরা রাসূল (ﷺ) কে ইরশাদ করতে শুনেছি, 

من صلى على طهر الله قلبه من النفاق كمايطهر الثوب الماء

অর্থাৎ- যে ব্যক্তি আমার উপর দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার অন্তরকে নিফাক থেকে এমন ভাবে পবিত্র করবেন, যেভাবে পানি কাপড়কে পবিত্র করে। 

▶[জযবুল কুলুব উর্দূ পৃ: ২৬৭, বার মাসের আমল ও ফযীলত- ১৭৩]




সহায়ক পুস্তকঃ



❏ইসলামী বিশ্বকোষ | সুন্নি-বিশ্বকোষ ব্লগ 

❏রিয়াদ্বুস সালেহীনঃ ইমাম নববী (رحمة الله)

❏দুরূদ শরীফের বাস্তব কাহিনীঃ মুহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন আনোয়ারী।

❏হৃদয়ের টানে মদিনার পানেঃ ইমাম শাহ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)

❏জিয়ায়ে দুরূদঃ দাওয়াতে ইসলামী।

❏বাহারে শরিয়তঃ আল্লামা আমজাদ আলী আজমী (رحمة الله), সাকলাইন প্রকাশন, মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর।

❏আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়াঃ ইমাম শিহাবুদ্দীন কাস্তালানী (رحمة الله), সাকলাইন প্রকাশন, মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর।

❏প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচনঃ শহিদুল্লাহ বাহাদুর, সাকলাইন প্রকাশন, মাওলানা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর।

❏প্রিয়নবীর পরকালীন জীবনঃ ড. তাহেরুল ইসলাম কাদেরী, সঞ্জরী পাব্লিকেশন।

❏দালায়েলুল বারাকাতঃ ড. তাহেরুল ইসলাম কাদেরী, সঞ্জরী পাব্লিকেশন।

❏হাদিস সংকলনঃ ড. তাহেরুল ইসলাম কাদেরী,PHP family

❏মা'মুলাতে মিলাদঃ ড. তাহেরুল ইসলাম কাদেরী, সঞ্জরী পাব্লিকেশন।

❏প্রিয়নবীর প্রশংসায় হৃদয়ের প্রশান্তিঃ ড. তাহেরুল ইসলাম কাদেরী, সঞ্জরী পাব্লিকেশন।

❏ফেরেশতা সৃষ্টির ইতিবৃত্তঃ ইমাম আ'লা হযরত (رحمة الله)

❏জাল হাদিসই আল হাদিসঃ মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ আলাউদ্দীন জেহাদী, সাকলাইন প্রকাশন।

❏আরশের ছায়ায় যাদের কায়াঃ ইমাম সুয়ূতী (رحمة الله)

❏আনোয়ারে মদিনাঃ আল্লামা আব্দুল করিম সিরাজনগরী।

❏ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) এর বিরোধীদের আপত্তির জবাব।

❏দরূদ ও সালামের কিমতি হীরাঃ মুহাম্মদ খাইরুল মিনার কাদরী।

❏দরূদ পাঠের উপকারিতা ও ফযিলতঃ মুহাম্মদ হোসাইন আহমেদ আলকাদেরী।

❏আল কাওলুল বদীঃ ইমাম সাখাবী

❏ফয়জানে সুন্নতঃ দাওয়াতে ইসলামী

❏জযবুল কুলুব 

❏বার মাসের আমল ও ফযীলত

❏ইমাম সাফুরীঃ নুযহাতুল মাজলিস

❏জিকরে এলাহি

❏মুফতি ইয়ার খান নঈমী রহঃ শানে হাবিবুর রহমান


অন্যান্য প্রমাণ পুঞ্জিঃ


১.আবদুর রায্যাক: আল-মুসান্নাফ: ইমাম আবদুর রায্যাক সান‘আনী (ওফাত. ২১১ হি.): মাকতুবাতুল ইসলামী, বয়রুত, লেবানন।

২.    ইসমাঈল ইবনে কাসীর (ওফাত ৭৭৪ হি.) : তাফসীরে কুরআনুল আজীম : দারুল খায়ের, বয়রুত।

৩.    আল্লামা মাহমুদ আলূসী (ওফাত ১২৭০ হি.) : রুহুল মা‘য়ানী, এমদাদিয়া, মুলতান, পাকিস্তান।

৪.    ইমাম খাযেন (ওফাত : ৭৪১হি. ): তাফসীরে খাযেন, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত।

৫.    ইমাম কাযী নাসিরুদ্দীন বায়যাভী (ওফাত. ৬৮৫হি.) : তাফসীরে বায়যাভী, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত।

৬.    আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী : (ওফাত. ১১২৭ হি.)ঃ তাফসীরে রুহুল বায়ান : দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত।

৭.    ইমাম ফখরুদ্দিন রাযি (ওফাত. ৬০৬ হি.) : তাফসিরে কাবির : দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।

৮.    ইবনে আব্বাস: সায়্যিদিল মুফাস্সিরিন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস: তাফসীর ইবনে আববাস, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।

৯.    তাবারী: ইমাম মুহাম্মদ ইবনে জারীর আত-তাবারী (৩১০ হি.): জামেউল বায়ান, দারুল হুজর, কায়রু, মিশর। 

১০.    নাসাফী: ইমাম আবদুল্লাহ ইবনে আহমদ নাসাফী: তাফসীরে মাদারেকুত তানযিল ওয়া হাকায়েকুল তাভীল, দারুল কালিমাতুত তায়্যব, বয়রুত, লেবানন।

১১.    কুরতুবী: ইমাম আবূ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ বিন সামসুদ্দীন কুরতুবী আল-মালেকী: তাফসীরে জামেউ লি আহকামিল কোরআন: দারুল কুতুব মিশরিয়্যাহ, কায়রু, মিশর, দ্বিতীয় প্রকাশ. ১৩৮৪ হি.

১২.    বাগভী: ইমাম মহিউস্ সুন্নাহ আবু মুহাম্মদ হোসাইন ইবনে মাসউদ ইবনে বাগভী আশ-শাফেয়ী (ওফাত. ৫১০ হি.) : তাফসীরে মুআলিমুত তানযিল: দারু ইহ্ইয়াউস তুরাসুল আরাবী, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ. ১৪২০ হি.

১৩.    শাহ আবদুল আযিয: তাফসীরে আযীযী: শাহ আবদুল আযীয মুহাদ্দিসে দেহলভী।

১৪.    সুয়ূতি: ইমাম জালালুদ্দীন আবদুর রহমান সূয়ূতি: তাফসীরে দুররুল মানসূর, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।

১৫.    তাফসীরে জালালাইন: আল্লামা জালালুদ্দীন মহল্লী এবং ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি:

১৬.    নিশাপুরী: ইমাম মুহাম্মদ বিন হোসাইন নিশাপুরী: তাফসীরে গারাইবুল কুরআন, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।

১৭.    মাযহারী: ইমাম কাযী সানাউল্লাহ পানিপথী: তাফসীরে মাযহাবী, মাকতাবায়ে রশীদিয়্যাহ, করাচী, পাকিস্তান।

১৮.    হুসাইনী: ইমাম মুঈন উদ্দীন ওয়ায়েয কাশেফী: তাফসীরে হোসাইনী,

১৯.    শারবীনী: ইমাম মুহাম্মদ বিন শারবিনী: তাফসীরে সিরাজুল মুনীর।

২০.    জুমাল: ইমাম সোলাইমান: তাফসীরে জুমাল।

২১.    সাভী: ইমাম আহমদ সাভী আল-মালেকী: তাফসীরে সাভী, দারুল হাদিস, কায়রু, মিশর।

হাদিস

২২.    বুখারীঃ আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল বুখারী (১৯৪হি-২৫৬হি.) : আস্-সহীহ, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ.১৪২২ হি. (শামিলা)।

২৩.    বুখারীঃ আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল বুখারী : আত্-তারিখুল কাবীর, বয়রুত, লেবানন, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ। 

২৪.    বায্যার : আবু বকর আহমদ ইবনে উমর ইবনে আবদুল খালেক বসরী (২১০-২৯২ হি. / ৮২৫-৯০৫ ইং) : আল মুসনাদ: বয়রুত, লেবানন, মুয়াস্সাসাতু উলূমিল কুরআন, ১৪০৯ হিজরী;

২৫.    বাগভী : আবু মুহাম্মদ হোসাইন ইবনে মাসউদ ইবনে মুহাম্মদ (৪৩৬-৫১৬ হি. / ১০৪৪-১১২২ ইং) : শরহে সুন্নাহ: বয়রুত, লেবানন, দারুল মা’আরিফ, ১৪০৭ হি / ১৯৮৭ ইং।

২৬.    বায়হাকী : আবু বকর আহমদ ইবনে হোসাইন ইবনে আলী ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মূসা (৩৮৪-৪৫৮ হি. / ৯৯৪-১০৬৬ ইং) : দালায়িলুন নবুয়ত, বয়রুত, লেবানন, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়া, ১৪০৫ হি. / ১৯৮৫ ইং।

২৭.    বায়হাকী : আবু বকর আহমাদ ইবনে হোসাইন ইবনে আলী ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মূসা (৩৮৪-৪৫৮ হি. / ৯৯৪-১০৬৬ ইং) : আস-সুনানুল কুবরা, মক্কা, সৌদি আরব, মাকতাবা দারুল বায, ১৪১৪ হি. / ১৯৯৪ ইং।

২৮.    বায়হাকী : আবু বকর আহমাদ ইবনে হোসাইন ইবনে আলী ইবনে আবদুল্লাহ ইবনু মূসা (৩৮৪-৪৫৮ হি. / ৯৯৪-১০৬৬ ইং) : আল-মা‘রিফাতুল সুনানি ওয়াল আছার: 

২৯.    তিরমিযী : আবু ঈসা মুহাম্মদ ইবনে ঈসা ইবনে সওরাহ ইবনে মূসা (২১০-২৭৯ হি. ৮২৫-৮৯২ ইং) : আল-জামেউস সহিহ, বয়রুত, লেবানন, দারুল গুরাবিল ইসলামী, ১৯৯৮ ইং।

৩০.    হাকিম : আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ (৩২১-৪০৫ হি. ৯৩৩-১০১৪ ইং) : আল-মুস্তাদরাক আলাস সহিহাইন, বয়রুত, লেবানন, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়া, ১৪১১ হি. ১৯৯০ ইং।

৩১.    ইবনে হিব্বান : আবু হাতেম মুহাম্মদ ইবনে হিব্বান ইবনে আহমাদ ইবনে হিব্বান (২৭০-৩৫৪ হি. ৮৮৪-৯৬৫ ইং) : আস্-সিকাত, বয়রুত, লেবানন, দারুল ফিক্র, ১৩৯৫ হি. / ১৯৭৫ ইং।

৩২.    ইবনে খুযায়মা : আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক (২২৩-৩১১ হি. / ৮৩৮-৯২৪ ইং) আস-সহীহ, বয়রুত, লেবানন, আল-মাকতাবুল ইসলামী, ১৩৯০ হি. / ১৯৭০ ইং।

৩৩.    খতিবে বাগদাদী : আবু বকর আহমাদ ইবনে আলী ইবনে সাবেত ইবনে আহমাদ ইবনে মাহদী ইবনে সাবিত (৩৯২-৪৬০ হি. / ১০০২-১০৭১ ইং) : তারিখে বাগদাদ, বয়রুত, লেবানন, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়া।

৩৪.    খাওয়ারযামী : আবদুল মু‘আয়্যিদ মুহাম্মদ ইবনে মাহমুদ (৫৯৩-৬৬৫ হি.) : জা‘মিউল মাসানিদ লি ইমাম আবী হানিফা, বয়রুত, লেবানন, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়া।

৩৫.    দারাকুতনি : আবুল হাসান আলী ইবনে উমর ইবনে আহমদ ইবনে মাহাদী মাসউদ ইবনে নু’মান (৩০৬-৩৮৫ হি. / ৯১৮-৯৯৫ ইং) : আস সুনান, বয়রুত, লেবানন, দারুল মা’আরিফ, ১৩৮৬ হি. / ১৯৬৬ ইং।

৩৬.    দারিমি : আবু মুহাম্মদ আবদুল্লাহ ইবনে আবদুর রহমান (১৮১-২৫৫ হি. / ৭৯৭-৮৬৯ ইং) : আস-সুনান, বয়রুত, লেবানন, দারুল কিতাবিল আরাবী, ১৪০৭ হি.।

৩৭.    আবু দাউদ : সুলাইমান ইবনে আসআছ সাজিসতানী (২০২-২৭৫ হি. / ৮১৭-৮৮৯ ইং) : আস-সুনান, বয়রুত, লেবানন, দারুল ফিকর, ১৪১৪ হি. / ১৯৯৪ ইং।

৩৮.    দায়লামি : আবু সূজা শেরওয়াই ইবনে শহরদার ইবনে শেরওয়াই হামদানী (৪৪৫-৫০৯ হি. / ১০৫৩-১১১৫ ইং) : আল-ফিরদাউস বি মা’সুরিল খিতাব, বয়রুত, লেবানন, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়া, ১৯৮৬ ইং।

৩৯.    ইবনে সা’দ : আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ (১৬৮-২৩০ / হি. ৭৮৪-৮৪৫ ইং) : আত্ব ত্বাবক্বাতুল কুবরা, বয়রুত, লেবানন, দারে ছদীর।

৪০.    ইবনে আবী শায়বা : আবু বকর আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে ইবরাহীম ইবনে উসমান কুফী (১৫৯-২৩৫ হি. / ৭৭৬-৮৪৯ ইং) : আল-মুসান্নাফ, রিয়াদ, সৌদি আরব, মাকতাবাতুর রাশাদ, প্রকাশ. ১৪০৯ হি.।

৪১.    তাবরানী : আবুল কাসেম সুলাইমান ইবনে আহমদ ইবনে আইয়ুব (২৬০-৩৬০ হি. / ৮৭৩-৯৭১ ইং) : আল-মু’জামুল আওসাত, রিয়াদ, সৌদি আরব, মাকতাবাতুল মা’রিফ, ১৪০৫ হি. / ১৯৮৫ ইং।

৪২.    তাবরানী : আবুল কাসেম সুলাইমান ইবনে আহমদ ইবনে আইয়ুব (২৬০-৩৬০ হি. / ৮৭৩-৯৭১ ইং) : আল-মু’জামুল কাবীর, মুসিল, ইরাক, মাতবাআতুল উলুম ওয়াল হিকম, ১৪০৪ হি. / ১৯৮৪ ইং।

৪৩.    তাবারী : আবু জা’ফর মুহাম্মদ ইবনে জারীর ইবনে ইয়াযীদ (২২৪-৩১০ হি./৮৩৯-৯২৩ ইং) : জা’মিউল বয়ান ফী তাফসীরিল কুরআন, বয়রুত, লেবানন, দারুল মা’আরিফ,১৪০০ হি./১৯৮০ ইং।

৪৪.    তাহাবী : আবু জাফর আহমাদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে সালামাহ ইবনু সালমা ইবনু আবদুল মালিক ইবনে সালমা (২২৯-৩২১ হি. / ৮৫৩-৯৩৩ ইং) শরহু মা’আনিল আসার, বয়রুত, লেবানন, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ, ১৩৯৯ ইং।

৪৫.    তায়ালসী : আবু দাউদ সুলায়মান ইবনু দাউদ জারুদ (১৩৩-২০৪ হি / ৭৫১-৮১৯ ইং), আল মুসনাদ, বয়রুত, লেবানন, দারুল মা’আরিফ।

৪৬.    ইবনে ‘আবদুল র্বা: আবু উমর ইউসূফ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ (৩৬৮-৪৬৩ হি. / ৯৭৯-১০৭১ ইং) : আল ইসতিয়াবু ফী মা’আরিফাতিল আসহাব, বয়রুত, লেবানন, দারুল জিল।

৪৭.    ইবনে ‘আবদুল বার : আবু উমর ইউসূফ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ (৩৬৮-৪৬৩ হি. / ৯৭৯-১০৭১ ইং) : জামি’উল বায়ানিল ইল্মি ওয়া ফাদ্বলি, বয়রুত, লেবানন, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়া, ১৩৯৮ হি. / ১৯৭৮ ইং।

৪৮.    ‘আবদুর রায্যাক : আবূ বকর ইবনে হুম্মাম ইবনে নাফে’ সান‘আনী (১২৬-২১১ হি. / ৭৪৪-৮২৬ ইং) : আল-মুসান্নাফ, বয়রুত, লেবানন, আল মাকতুবাতুল ইসলামী, ১৪০৩ হি.।

৪৯.    ইবনে মাযাহ : আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইয়াযীদ কাযভীনি (২০৯-২৭৩ হি. / ৮২৪-৮৮৭ ইং) : আস্-সুনান, বয়রুত, লেবানন, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়া, ১৪১৯ হি. / ১৯৯৮ ইং।

৫০.    মালেক : ইবনে আনাস ইবনু মালেক ইবনু আবী ‘আমর ইবনে হারেছ আসবাহী (৯৩-১৭৯ হি. / ৭১২-৭৯৫ ইং) : আল মুআত্তা, বয়রুত, লেবানন, দারুল ইহইয়াউত আত তুরাসুল আরবিয়্যাহ, ১৪০৬ হি. / ১৯৮৫ খ্রি:।

৫১.    মুসলিম : মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ আল-কুশাইরি (২০৬-২৬১ হি. / ৭২১-৮৭৫ ইং) : আস-সহীহ, বয়রুত, লেবানন, দারু ইহয়ায়ি আত-তুরাসিল আরাবি।

৫২.    মুনযিরী : আবু মুহাম্মদ আবদুল আযীম ইবনে আবদুল কাভী ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে সালামাহ ইবনে সা’দ (৫৮১-৬৫২ হি. / ১১৮৫-১২৫৮ ইং) আত তারগীব ওয়াত তারহীব মিনাল হাদীসিশ শরীফ, বয়রুত, লেবানন, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়া, ১৪০৭ হি.।

৫৩.    নাসাঈ : আহমদ ইবনে মাআ‘ইব (২১৫-৩০৩ হি. / ৮৩০-৯১৫ ইং) : আস-সুনান, হালব, শাম, মাকতুবুল মাতবু’আত, ১৪০৬ হি./১৯৮৬ ইং।

৫৪.    আবূ নু‘আঈম : আহমাদ ইবনে ‘আবদুল্লাহ ইবনে আহমাদ ইবনে ইসহাক ইবনে মূসা ইবনে মেহরান ইসবাহানী (৩৩৬-৪৩০ হি. / ৯৪৮-১০৩৮ ইং) : হিলয়াতুল আওলিয়া ওয়া তাবকাতুল আসফিয়া, বয়রুত, লেবানন, দারুল কিতাবিল আরাবি, ১৪০০ হি. / ১৯৮০ ইং;

৫৫.    হিন্দি : হুসামুদ্দীন আলা উদ্দিন আলী মুত্তাকী হিন্দী (৯৭৫ হি.) : কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়ালি ওয়াল আফ’আল, বয়রুত, লেবানন, মুআস্সাসাতুর রিসালা, ১৩৯৯ হি. / ১৯৭৯ ইং।

৫৬.    হাইসামি : আবুল হাসান নূরুদ্দিন আলী ইবনে আবু বকর ইবনে সুলাইমান (৭৩৫-৮০৭ হি. / ১৩৩৫-১৪০৫ ইং) : মাজমাউয যাওয়ায়িদ ওয়া মানবা’উল ফাওয়ায়িদ, কায়রো, মিসর, দারুর রায়আন লিত তুরাছ, বয়রুত, লেবানন, দারুল কিতাবিল আরবী, ১৪০৭ হি./১৯৮৭ ইং।

৫৭.    আবু ই‘য়ালা : আহমাদ ইবনে আলী ইবনু মুসান্ন ইবনু ইয়াহইয়া ইবনে ‘ঈসা ইবনে হেলাল মুসিলী, তামিমী (২১০-৩০৭ হি. / ৮২৫-৯১৯ ইং) আল-মুসনাদ, দামিশক, সিরিয়া, দারুল মামুন লিত্ তুরাস, ১৪০৪ হি. / ১৯৮৪ ইং।

৫৮.    আবূ ইউসূফ : ইয়াকুব ইবনু ইবরাহীম ইবনু আনসারী (১৮২ হি.) : কিতাবুল আসার, সানগালা হাল, শেখপুরা, পাকিস্তান, আল মাকতাবুল আসারিয়া/বয়রুত, লেবানন, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ।

৫৯.    শাফেয়ী : আবূ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইদ্রীস ইবনু আব্বাস ইবনে ওসমান ইবনে শাফেয়ী কারশী (১৫০-২০৪ হি./৭৬৭-৮১৯ ইং) : আল-মুসনাদ, বয়রুত, লেবানন, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ।

৬০.    মুহাম্মদঃ ইমাম মুহাম্মদ হাসান শায়বানিঃ কিতাবুল আসারঃ দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।


Top