❏ ঘটনা ১৪:
মুসা (عليه السلام) এর উম্মতের নাযাত
ইমাম সাখাবী (رحمة الله) বর্ণনা করেন, হযরত মুসা (عليه السلام) এর সময়কালে একজন ব্যাক্তি বড়ই ফাসেক ছিল। বনী ইসরাইলের লোকেরা তার উপর বড়ই অসন্তুষ্ট ছিল। তার মৃৃত্যু হলে লোকেরা তাকে কাপন দাপন ব্যতিত একটি আবর্জনার স্তুপে নিক্ষেপ করে দিল। তার নামাজের যানাযাও কেউ পড়ে নি। আল্লাহ তায়ালা হযরত মুসা (عليه السلام) কে ওহীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন যে, হে মুসা! অমুক আবর্জনার স্থানে একজন মৃত ব্যক্তির লাশ কাপন দাফন ব্যতিত পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে তাকে গোসল দিয়ে কাপন পড়িয়ে জানাযা পড়ে সম্মানের সহিত দাফন কর। কেননা আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। মুসা (عليه السلام) ও তার অবস্থা জানতেন। তিনি বললেন হে আল্লাহ! তার গুণাহ্ কী কারণে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। তার কোন আমলটি মাগফিরাতের কারণ হল? আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বলা হল- হে মুসা তার মাগফিরাতের কারণ হল, একদিন সে তাওরাত পাঠ করার সময় আমার শেষ নবীর নাম মোবারক দেখে সে দরূদ পাঠ করেছে। একারনেই আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।
▶[আফযালুস সালাত পৃ: ৪১। বার মাসের আমল ও ফযীলত-পৃ: ১৬৮]
❏ ঘটনা ১৫:
হযরত মুসা (عليه السلام) এর ঘটনা
একদা আল্লাহ তায়ালা হযরত মুসা আ'লাইহিস সালাম এর প্রতি ওহী অবতীর্ণ করলেন, তুমি কি ইচ্ছে কর তোমার জিহ্বার সাথে তোমার কথার যে সম্পর্ক, আমি তার থেকেও তোমার অধিক নিকটবর্তী এবং বিপদ-আপদে তোমার ও তোমার অন্তরের সাথে তোমার আত্মা ও তোমার শরীরের সাথে এবং তোমার দৃষ্টি ও তোমার চোখের সাথে যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে, তার চেয়েও অধিক নিকটবর্তী হই? উত্তরে মুসা (عليه السلام) বললেন- হ্যাঁ। তখন আল্লাহ তায়ালা বললেন, তুমি আমার প্রিয় হাবীব মুহাম্মদ মোস্তফা (ﷺ) এর প্রতি অসংখ্য দরূদ শরীফ প্রেরণ করো, যাতে তুমি এ সৌভাগ্য ও নৈকট্য অর্জন করতে পার। (সুবাহানাল্লাহ্),
▶[গাউছিয়া তরবীয়তী নেসাব- ৫১১পৃ:]