❏ হাদিস ৮: 

জীবনের গোনাহ মাফ


হযরত সায়্যিদুনা আনাস (رضي الله عنه) হতে বর্নিত আছে, তাজদারে মদিনা (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ

যে ব্যক্তি নিচের শরিফটি পড়বে? সে যদি! দাঁড়ানো থাকে তাহলে বসার পূর্বে, আর যদি বসা থাকে তাহলে দাঁড়ানোর পূর্বে তার জীবনের গুনাহ গুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে। তা হলঃ "আল্লাহুম্মা ছল্লি আ'লা সায়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিও ওয়াআ'লা আলিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়াসাল্লিম।"

[আফদ্বালুস সালাওয়াত আলা সায়্যিদিস সাদাত,৬৫পৃষ্টা]


❏ হাদিস ৯: 

ফেরেশতাগণ  ১০০০ দিন তার জন্য সওয়াব লিখতে থাকবে


হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ

"যে ব্যক্তি একবারে নিম্নোক্ত দুরূদ একবার তিলাওয়াত করে, আল্লাহ ফেরেশতাদেরকে তাঁর জন্য ১০০০ দিন সওয়াব লেখার জন্য নির্দেশ দেন। 

অপর বর্ণনায় আছে, এই দুরূদ একবার পাঠ করলে আগামী ১০০০ দিন নেকী লিখার জন্য আল্লাহর ফেরেশতাগণ ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দুরূদটি হলঃ


 جَزَی اﷲُ عَنَّاسَيِّدِنَا مُحَمَّدًاﷺ مَا هُوَ أُهْلُهْ


“জাযাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মা হুয়া আহলুহু”

“জাযাল্লাহু আন্না সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদান মা হুয়া আহলুহু”


অনুবাদঃ "আল্লাহ পাক হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) কে আমাদের পক্ষ থেকে তিনি (আমাদের উপর) যতটা হকদার (প্রাপ্য), সে সংখ্যানুপাতে তার প্রতিদান দিন।"

তথ্যসূত্রঃ

(১).ইমাম তাবরানী (رحمة الله): আল-মু’জামুল কবির, (হাদীস: ১১৫০৯),

(২).ইমাম আবু নুয়াইম (رحمة الله), হিলিয়াতুল আউলিয়া

(৩).ইমাম মুনাযিরী (رحمة الله): তারগীব, খণ্ড ২ পৃষ্ঠা পৃষ্ঠা ৫০৪।

(৪).ইমাম হায়সামী  (رحمة الله): মাজমা’উজ জাওয়াইদ, খণ্ড ১০ পৃষ্ঠা, হাদিস ১৬৩,  

(৫).ইমাম সাখাবী  (رحمة الله): আল-কওলুল বদি, পৃষ্ঠা ১১৬।

(৬). ফাজাইলে আমল, খণ্ড  ১, পৃ ৪৩।


❏ হাদিস ১০: 

হাজার দিনের নেকী অর্জন


উচ্চারণঃ জাযাল্লা-হু আন্না মুহাম্মাদান মা-হুয়া আহলুহ।

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সল্লি আ’লা সায়্যিদিনা- ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া আ'লা- আ-লি সায়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন কামাতুহিব্দু ওয়া তারদ্বা-লাহ্।

ফযীলতঃ এ দুরূদ শরীফদ্বয় পাঠকারীর জন্য ৭০ জন ফিরিশতা ১ হাজার দিন পর্যন্ত নেকী লিখতে থাকেন।

(তাবরানী, মাযরাউল হাস্নাত)


❏ হাদিস ১১: 


আবু হুরায়রা  (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি শুক্রবার আসর সালাতের পর পরই তার দুরূদ ৮০ বার তেলাওয়াত করে, তার স্থান থেকে উঠে দাঁড়ানোর আগে আল্লাহ ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করবেন এবং তাকে ৮০ বছরের ইবাদতের সমান পুরষ্কার দান করবেন।”

"আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা মুহাম্মাদিনীন নাবিয়িল উম্মি-ইয়ি ওয়া-আ'লা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা।"

অনুবাদ: "হে আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) এবং তাঁর পরিবারবর্গের উপর দুরূদ প্রেরণ করুন এবং তাঁদেরকে সর্বোত্তম শান্তি প্রদান করুন।"

[ইমাম তাবারানীঃ মুজামুল কবীর ও ইমাম সুয়ূতীঃ জামেউস সগীরে এটি বর্ণনা করেছেন] 


❏ হাদিস ১২:


হযরত যায়েদ বিন খারিজাহ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, আমি নবী করিম (ﷺ) কে (দুরূদের ব্যপারে) জিজ্ঞেস করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, তােমরা আমার উপর দুরূদ পড় এবং অনেক বেশি চেষ্টা করে দোআ কর। এভাবে বলবে, 

"আল্লাহুম্মা ছাল্লি আ'লা মুহাম্মাদিন ওয়া আ'লা আলি মুহাম্মাদিন।" 

[সুনানে নাসায়ী শরীফ, হাদিস নং- ১২২৫]


❏ হাদিস ১৩:


ইমাম আবূ দাউদ  (رحمة الله) সূত্রে বর্ণিত। তিনি,➡ আহমাদ ইবনু ইউনুস, যুহাইর, ➡মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক, ➡মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম ইবনুল হারিস এবং মুহাম্মাদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়িদের মাধ্যমে➡ ‘উক্ববাহ ইবনু ‘আমর (رضي الله عنه) হতে এই হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, তোমরা বলোঃ 


 باب الصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم بَعْدَ التَّشَهُّدِ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَمْرٍو، بِهَذَا الْخَبَرِ قَالَ ‏"‏ قُولُوا اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ الأُمِّيِّ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ ‏"‏ ‏.‏ - حسن [1


‘‘আল্লাহুম্মা সল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিন নাবিই্যুল উম্মীয়ি ওয়া ‘আলা ‘আলি মুহাম্মাদিন।’’

তথ্যসূত্রঃ

[আহমাদ (৪/১১৯) মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম ইবনুল হারিস হতে, এর সনদ হাসান, সুনান আবূ দাউদ, অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (كتاب الصلاة), হাদিস নম্বরঃ ৯৮১]


❏ হাদিস ১৪:


হযরত আনাস বিন মালিক (رضي الله عنه) হতে হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলে পাক (ﷺ) যখন মসজিদে প্রবেশ করতেন তখন বলতেন- তখন "বিছমিল্লাহি আল্লহুম্মা ছাল্লি আ'লা মুহাম্মাদিন", 

আর যখন বের হতেন তখনও বলতেন "বিছমিল্লাহি আল্লহুম্মা ছাল্লি আ'লা মুহাম্মাদিন।"

তথ্যসূত্রঃ

(১) ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলা, পৃষ্ঠা-১৮১। 

(২) ইবনে হাজার আসকালানী, নাতায়েযুল আফকার, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-২৮২ 

(৩) লিছানুল মিজান, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৩১৬। 

Top