৭ম অধ্যায়: হায়াতুল আম্বিয়া উম্মতের পাঠকৃত দুরুদ ও আমলসমূহ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)'র নিকট পৌঁছায়।

❏ হাদিস ১-২৮:

❏ ইমামগণের বর্ণনায় উম্মতের পাঠকৃত দুরুদ পেশ।

❏ হাদিসের বর্ণনায় উম্মতের পাঠকৃত দুরুদ পেশ।

❏ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)'র নিকট আমাদের আমলসমূহ পৌঁছায়।

❏ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুরুদ পাঠকারীকে চিনেন এবং জবাব প্রদান করেন।



৭ম অধ্যায়: হায়াতুল আম্বিয়া উম্মতের পাঠকৃত দুরুদ ও আমলসমূহ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)'র নিকট পৌঁছায়। 


ইমামগণের বর্ণনায় উম্মতের পাঠকৃত দুরুদ পেশ করা হয়ঃ


❏ আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান (রহঃ) (১২৭২-১৩৪০হিজরী) কত সুন্দর বলেছেন, 

"কাছে দূরের শব্দ শ্রবণকারী কান মুবারকের কারামতের প্রতি লাখো সালাম।"

[আহমদ রেযা খান, হাদায়েকে বখশিশ, ২:২০৬; ১৩৭] 


❏ আল্লামা তকিউদ্দীন সুবকী (রহঃ) এই রেওয়াতগুলাে সম্পর্কে বলেছেন, (দুরুদ পেশ সংক্রান্ত) হাদিসটি দ্বারা বুঝা যায়, হুজুর-পাক (ﷺ) এর রূহ মােবারক তারই দেহ মােবারকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় আর নিঃসন্দেহে তিনি উম্মতিদের সালামও শােনেন এবং জবাবও দেন। 

(সুবকী, শিফাউস সিকাম ফি যিয়ারাতি খাইরিল আনাম। ১৩৩) 


❏ হযরত ইবরাহীম বিন শায়বান (রহঃ) বলছেন, হজ্ব শেষ করে আমি মদীনা-শরীফ চলে এলাম। রওজায়ে আতহারের নিকটে গিয়ে সালাম আরজ করলাম। সাথে সাথে হুজরা শরীফের ভেতর থেকে শুনতে পেলাম- (তােমার উপরও শাস্তি হােক)। 

তথ্যসূত্রঃ

১. সাখাবী, আল কওসুল বদী ফিস সালাতি আলাল হাবীবিশ শফী । ১৬০। 

২. মুকরিযী, ইমতাউল আসমা । ১৪: ৬১৬। 

৩. সুবকী শিফাউস সিকাম ফি যিয়ারাতি খাইরিল আনাম (পৃ: ৩৮) কিতাবে উক্তিটি ইবরাহীম বিন বিশারের বলে উল্লেখ করেছেন। 


❏ সােলায়মান বিন তামীম বলছেন, নবী-পাক (ﷺ) কে আমি স্বপ্নে দেখি। আমি তাঁকে আরজ করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্(ﷺ)! এরা সবাই তাে আপনার দরবারে এসে আপনাকে সালাম জানায়। আপনি কি তাদের সালামের কথা বুঝতে পারেন? হুজুর-পাক (ﷺ) বললেন, হাঁ, (বুঝতে পারি) এবং আমি (তাদের সালামের) জাবাবও দিয়ে থাকি।  

তথ্যসূত্রঃ

১.বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, ৩: ৪৯১, হাদিস : ৪১৬৫। 

২.সুবকী, শিফাউস সিকাম ফি যিয়ারতি আইরিল আনাম ৩৮। 

৩.মুকরীযী, ইমতাউল আসমা, ১০: ৩০৮। 

৪.সাখাবী, আল কওলুল বদী ফিস সালাতি আলাল হাবীবিশ শফী, ১৬০। 


হাদিসের বর্ণনায় উম্মতের পাঠকৃত দুরুদ পেশ করা হয়ঃ


❏ হাদিস ১:


হযরত আবু হুরায়রা  (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। হুযূর নবী আকরাম (ﷺ) এরশাদ করেছেন, 

"আমার প্রতি দরূদ প্রেরণ করতে থাক। নিশ্চয় তােমাদের পক্ষ থেকে প্রেরিত দরূদ আমার পর্যন্ত পৌঁছে থাকে, তােমরা যেখানে থাক না কেন।


তথ্যসূত্রঃ

১. আবু দাউদ: আস সুনান, কিতাবু মানাসিক, ২:১৭৬, হাদীস নং ২০৪২। 

২. আমহদ বিন হাম্বল: আল মুসনাদ, ২:৩৬৭। 

৩. ইবনে আবি শায়বাহ: আল মুসান্নাফ, ২:৮২,৮৩, হাদীস নং ৭৫৪২। 

৪. তাবরানী: আল মু'জামুল আওসাত, ৮:৪৯১, হাদীস নং ৪১৬২। অথবা ৮: ৮২, ৮৩, হাদিস নম্বর: ৮০৩০। 

৫. বায়হাকী: শুআবুল ঈমান, ৩:৪৯১, হাদীস নং ৪১৬২। 

৬. মাকরিযী: এমতা'উল আসমা, ১১:৫৯,৭১। 

৭. ইবনে কাইয়্যুম: জালাউল আযহাম ফিস সালাতি ওয়া সালামি ‘আলা খায়রিল আনাম (ﷺ), ৪২, হাদীস নং ৬১। 

৮. ইবনে কাসীর তাফসিরুল কুরআনিল আযিম, ৩:৫১৪। 

৯. আসকালানী: ফাতহুল বারী, ৬:৪৮৮।


❏ হাদিস ২:


হযরত আলী বিন হুসাইন  (رضي الله عنه) স্বীয় সম্মানিত দাদা হযরত আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন। হুযূর নবী করিম (ﷺ) এরশাদ করেছেন, 

وصلوا علي وسلموا كيثام، قتلغي صلاتكم ولامكم 

-“আর তােমরা যেখানে থাকনা কেন আমার প্রতি দরূদ ও সালাম প্রেরণ করতে থাক, (কারণ) তােমাদের দরূদ ও সালাম আমার কাছে পৌছে থাকে।


তথ্যসূত্রঃ

(১) ইবনে ইসহাক আযদী: ফদলুস সালাতি আলান নবী (ﷺ), ৩৫, হাদীস নং ২০। 

(২) ইবনে আবি শায়বাহ: আল মুসান্নাফ, ২:১৫০, হাদীস নং ২:১৫০, হাদীস নং ৭৫৪২।। 

(৩) ইবনে কাসীর: তাফসিরুল কুরআনিল আযিম', ৩:৫১৫।

(৪) আসকালানী: নিসানুল মিযান, ২:১০৬।  

(৫) হিন্দী : কানযুল উম্মাল ফী সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফয়াল (১:৪৯৮, হাদীস নং ২১৯৯।), 

উল্লেখ করেন, হাদিসটি হাকীম তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।

(৬) ইমাম হাকিমঃ মুস্তাদরাক আল হাকিম।

(৭) আহমদ বিন হাম্বল: আল মুসনাদ, ২:৩৬৭, হাদীস নং ৮৭৯০। 


❏ হাদিস ৩:


হযরত হাসান বিন আলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। হুযুর (ﷺ) বলেন, "আমার প্রতি দরূদ ও সালাম প্রেরণ করতে থাক। নিশ্চয় তােমাদের দরূদ-সালাম আমার পর্যন্ত পৌঁছে থাকে, তােমরা যেখানে হওনা কেন।"


তথ্যসূত্রঃ

[অত্র হাদীসটি ইমাম আহমদ ও তাবরানী (رحمة الله) ইসনাদে হাসান এর সাথে বর্ণনা করেন। বর্ণিত হাদীসের শব্দ ইমাম তাবরানী (رحمة الله)-এর]

(১) আহমদ বিন হাম্বল, মুসনাদ, ২:৩৬৭, নং: ৮৭৯০। 

(২) তাবরানী, মু'জামুল কবীর, ৩: ৮২, নং: ২৭২৯। 

(৩) তাবরানী, মু'জামুল আওসাত, ১: ১৭, নং: ৩৬৫। 

(৪) দাইলামী, মুসনাদুল ফিরদাউস, ৫: ১১৫, নং: ৮৩।

(৫) নাসাঈ, মিশকাত, 

(৬) সুনানে আবু দাউদ: হাদিস নং-২০৪৪/৪০।

(৭) আবু ইয়ালা: আল মুসনাদ, ১:৩৬১, হাদীস নং ৪৬৯। ১২:১৩১, হাদীস নং ৬৭৬১।

(৮) মুকাদ্দসী: আল আহাদিসুল মুখতারা, ২:৪৯, হাদীস নং ৪২৮। 

(৯) হায়সমী: মাজমাউয জাওয়ায়িদ ওয়া মানবাউল ফাওয়ায়িদ, ৪:৩। 

(১০) আসকালানী: লিসানুল মিযান, ২:১০৬। ১৩২, 

(১১) ইবনে কায়ুম: জলাউল আযহাম ফিস সালাতি ওয়াস সালাম আলা হায়রিল আনাম (ﷺ), ৪২, হাদীস নং ৬০।


❏ হাদিস ৪:


হযরত হাসান বিন হাসান বিন আলী (رضي الله عنه) নিজ পিতা থেকে বর্ণনা করেন। হুযূর (ﷺ) এরশাদ করেছেন, "তােমরা যেখানে হওনা কেন আমার প্রতি দরূদ পৌঁছাতে থাক। নিশ্চয় তােমাদের দরূদ আমার বরাবর পৌঁছে থাকে।"


তথ্যসূত্রঃ

১. তাবরানী: আল মু'জামুল কবীর, ৩:৮২, হাদীস নং ৬৭৬৯। 

২. তাবরানী: আল মু'জামুল আওসত, (১:২৩৮, হাদীস নং ৩৬৭) এ রাবীর নাম হুসাইন বিন হাসান বিন আলী (رضي الله عنه) লেখা হয়েছে। 

৩.আহমদ বিন হাম্বল : আল মুসনাদ, (২:৩৬৭) এ বচনে হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন। 

৪. আবদুর রাযযাক : আল মুসান্নাফ,(৩:৫৭৭, হাদীস নং ৬৭২৬) এ কিছু শব্দের পার্থক্য সহকারে বর্ণনা করেছেন। 

৫. দাওলাভী : আল যুররিয়াতুত তাহিরা, ৭৩, হাদীস নং ১৯৯। 

৬. আত তারগীব ওয়াত তারহীব (২: ৩৬১) গ্রন্থে মুনযিরী বলেছেন, তাবারানী হাদিসটিকে আল মুজামুল কবীরে হাসান ইসনাদ সহকারে বর্ণনা করেছেন। 

৭. হায়সমী: আল মাজমাউয যাওয়ায়িদ ওয়া মানবাউল ফাওয়ায়িদ, ১০:১৬২। 

৮. ইবনু কাইয়িম: জালাউল আযহাম ফিস সালাত ওয়াস সালাম আলা হায়রিল আনাম (ﷺ), ৪২, হাদীস নং ৬১। 

৯. আসকালানী, লিসানুল মীযান, ২: ১০৬। 

১০. মুনাদী, ফয়যুল কদীর, ২: ৪০০। 


❏ হাদিস ৫:


হযরত হাসান বিন হুসায়ন  (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। হুযূর (ﷺ) এরশাদ করেছেন, "আর আমার প্রতি দরূদ প্রেরণ করতে থাক। নিশ্চয় তােমাদের দরূদ (সরাসরি) আমার নিকট পৌঁছাতে থাকে, তােমরা যেখানে থাক না 

কেন।"


তথ্যসূত্রঃ

১. ইবনে ইসহাক আযদী: ফাদলুস সালতি আলান নবী (ﷺ), ৪৫, হাদীস নং ৩০।

২. ইবনে আবি শায়বাহ: আল মুসান্নাফ, ২:১৫০, হাদীস নং ৭৫৪৩।

৩. আবদুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ, (৩:১৭, হাদীস নং ৪৮৩৯)।


❏ হাদিস ৬:


হযরত আবু হুরাইরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, 


رقم الحديث : ১৪ حديث مرفوع وفي هذا المعنى الحَدِيث الذي أخبَرَنَا أَبُو عَلى الحسين بن مُحتَ الرُوأَبَارِي أنبأبو بكر بن داسة ثنا أَبُو داد ثنا أحمَتُبُن صالح قال : قَرَأتُ عَلَى عبْد الله بن نافع ، قال : أَخَبَرَنِينِ أبي ذئب سعيد المقبري و أبي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " لا تجعَلُوا بُيُوتَكُمْ فَتُورًا ولا تجعلوا قبري عيدًا ، وصلوا علي فإن صلاتكم تبَلغني حيْتُ كُنْتُمْ " ( ১৪ ) "


"তোমরা তোমাদের ঘরকে কবরে পরিণত করো না এবং আমার কবর শরীফকে ঈদে রূপান্তর করো না। বরং তোমরা আমার প্রতি সালাত-সালাম প্রেরণ করো, কেননা তোমরা যেখানে হওনা কেন তোমাদের সালাত-সালাম আমার প্রতি প্রেরণ করা হয়।"


তথ্যসূত্রঃ

১. আবু দাউদ, হাদিস নং-২০৪২, ফিল মানাসিক, বাবু যিয়ারাতিল ক্বুবুর, 

২. মসনদে আহমদ,২য় খন্ড, পৃ-৩৬৭

৩. ইমাম বায়হাকীঃ হায়াতুল আম্বিয়াঃ ১৪ নং হাদিস।

৪. হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী (রাহ:) বলেন, এর সনদ সহীহ।

[ফাতহুল বারী ৬/৬০৬, মজমুউল ফাতাওয়া, ইবনে তাইমিয়া ২৬/১৪৭]


১৪ - ( أخرجه أحمد في " مسنده " ( ۳۶۷ / ۲ ) ، وأبو داود في " السنن " ( ۲۰۶۲ ) - ومن طريقه البيهقي في " شعب الايمان " ( ৪১৬ ) ، وفي " حياة الأنبياء بعد وفاتهم " ( ص ৯৫ ) - ، وابن فيل البالسي في " جزئه " ( ۱۱۳ ) ، والطبراني في " المعجم الأوسط " ( ۸۰۳۰ . ( أخرجه أبو نعيم في " حلية الأولياء " 

( ۲۸۳ / ৬ : )

. “তোমরা তোমাদের ঘরকে কবর বানিওনা” মানে কবরে যেভাবে নামাজ পড়া হয় না সেভাবে তোমাদের ঘরকেও কবরের মত নামাযবিহীন করোনা, বরং তোমরা মসজিদের পাশাপাশি তোমাদের ঘরেও কিছু নফল নামায পড়। 

আর “আমার কবরকে ঈদে পরিণত কর না” মানে যেভাবে বৎসরে মাত্র দু’বার সমবেত হয়, তোমরা আমার কবর শরীফকে তেমন করোনা। বরং বৎসরের সব সময় আমার রওযা শরীফ যেয়ারতে আস। আর যাদের পক্ষে সম্ভব না হয়, আর যখন তোমরা অনুপস্থিত থাক, তাহলে তোমরা বিশ্বের যে প্রান্তেই — থাকনা কেন তোমরা আমার প্রতি দুরূদ ও সালাম প্রেরণ করতে থাকো। কারণ তোমাদের সালাত-সালাম পৌঁছানো হয়। 

[ইমাম বায়হাকীকৃত হায়াতুল আম্বিয়াঃ ১৪ নং হাদিসের ব্যাখ্যা]


❏ হাদিস ৭:


হযরত আব্দুল্লাহ বিন সায়িব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত নবী আকরাম (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: 

“নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালার কিছু ফেরেশতা রয়েছেন যারা যমিনে পরিভ্রমণ করেন এবং আমার উম্মতের সালাম আমার নিকট পৌঁছে দেন।” 


তথ্যসূত্রঃ

(১) সুনানে নাসাঈ, কিতাবুস সাহু, বাবুস সালামে আলান্নাবী , ৩:৪৩, নং: ১২৮২। 

(২) নাসাঈ, সুনানুল কুবরা, ১: ৩৮০, নং: ১২০৫। 

(৩) সুনানে নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ, ১:৬৭, নং: ৬৬। 

(৪) সুনানে দারিমী, ২: ৪০৯, নং: ২৭৭৪। 

(৫) সহিহ ইবনে হিব্বান, ৩: ১৯৫, নং: ৯১৪। 

(৬) আব্দুর রাজ্জাক, মুসান্নাফ, ২: ২১৫, নং: ২০১৮। 

(৭) ইবনু আবি শাইবাহ, মুসান্নাফ, ২:২৫৩, নং: ৭৮০৫, ৩১৭২১। 

(৮) বাযযার, মুসনাদ, ৫:৩০৭, নং-৪২১০,৪৩২০। 

(৯) আবু ইয়ালা, মুসনাদ, ৯:১৩৭, নং-৫২১৩। 

(১০) তাবরানী, মুজামুল কবীর, ১০:২১৯, নং-৫২১৩। 

(১১) হাকীম, মুস্তাদরাক, ২:৪৫৭, নং-৩৫৭৬। 

(১২) বাইহাকী, শুআবুল ঈমান, ২:২১৭, নং-১৫৮২। 


❏ হাদিস ৮:


হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, নবী-পাক (ﷺ) এরশাদ করেন, 

"আল্লাহ্ তা'আলার এমন অনেক ফেরেশতা বিদ্যমান রয়েছেন, যারা পৃথিবীময় বিচরণ করেন। তারা আমার উম্মতদের সালামগুলাে আমার কাছে নিয়ে আসেন।" 


তথ্যসূত্রঃ

১. নাসাঈ, আস সুনান, ৩: ৩১, কিতাবুস সাহু, হাদিস নম্বর: ১২৮২। 

২. নাসায়ী: আমালুল ইয়াওমি ওয়ার লায়লা,১৬৭৬৬। 

৩. নাসায়ীঃ আস-সুনানুল কোবরা, ২/৭০ পূ, হা/১২০৬, 

৪. দারিমী: আস সুনান, ২:৪০৯, হাদীস নং ২৭৭৪। 

৫. ইবনে হিব্বান: আস সহীহ, ৩:১৯৫, হাদীস নং ৯১৪। 

৬. বাযযার: আল বাহরুয যাহার, (আল মুসনাদ), ৫:৩০৭, ৩০৭, হাদীস নং ১৯২৪, ১৯২৫ 

৭. আবু ইয়ালা: আল মুসনাদ, ৯:১৩৭, হাদীস নং ৫২১৩। 

৮. ইমাম আবদুর রাযযাক: আল মুসনাদ, ২:২১৫, হাদীস নং ৩১১৬। 

৯. মুসনাদে আহমদ, ৬/১৮৩ পৃ. হা/৩৬৬৬ এবং ৭/২৬০ পৃ. হা/৪২১০ এবং হা/৯৮১১, হাদিসটি সহীহ।

১০. মুফতি আমজাদ আলী আযমী (রহ.), বাহারে শরিয়ত (তৃতীয় খণ্ড),পৃ ১৭৮।

১১. ইবনু আবি শায়বা, আল মুসান্নাফ। ২: ২৫৩। হাদিস নম্বর: ৮৭০৫। 

১২. ইবনু আবি শায়বা, আল মুসান্নাফ।৬: ৩১৬। হাদিস নম্বর: ৩১৭২১। 

১৩. শাশী, আল মুসনাদ। ২: ২৫২। হাদিস নম্বর: ৮২৫। 

১৪. হাকেম, আল মুসতাদরিক। ২: ৪২১। হাদিস নম্বর: ৩৫৭৬। 

১৪. তাবারানী, আল মুজামুল কবীর।১০: ২১৯, ২২০। হাদিস নম্বর: ১০৫২৮-১০৫৩০। 

১৫. বায়হাকী, শুআবুল ঈমান। ২: ২১৫। হাদিস নম্বর: ১৫৮২। 

১৬. বাগাবী, শরহুস সুন্নাহ্, ৩: ১৯৭, হাদিস নম্বর: ৯৮৭। 

১৭. আবু বকর বাগদাদী, আল ফছলু লিল ওয়াছলিল মাদরাজ। ২: ৭৬৮, ৭৬৯।

১৮. খতীবে তাবরীযী, মিশকাতুল মাসাবীহ, ১: ১৭৯ । কিতাবুস সালাত, হাদিস নম্বর: ৯২৪। 

১৯. হাইছমী, মাওয়ারিদুয যামআন ৫৯৪, হাদিস নম্বর: ২৩৯২। 

২০. মুকরীযী, ইমতাউল আসমা ১০: ৩০৬, ৩০৭। 

২১. মুকরীযী, ইমতাউল আসমা ১১: ৬০। 

২২. ইবনু কাইয়্যিম, জালাউল আযহাম ২৩ হাদিস নম্বর: ৩৬। 

২৩. ইবনু কছীর, তাফসীরুল কুরআন ৩: ৫১৫। 

২৪. ফিরােজাবাদী, আস সালাতু ওয়াল বিশর ফিস সালাতি আলা খাইরিল বাশার ১০৮। 

২৫. নাবহানী, সালাওয়াতুস সানা আলা সাইয়িদিল আম্বিয়া ২৩। 


হাদিসের সনদ ও মান


▶ইবনে-হাব্বান কর্তৃক বর্ণিত হাদিসটির সনদসমূহ ইমাম মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ্ এবং রেজালগণ (রাবীগণ) অত্যন্ত নির্ভরযােগ্য।

▶হাদিসটিকে হাকেম সহীহ্ বলে ঘােষণা দিয়েছেন। 

▶ইমাম যাহাবীও একই কথা ব্যক্ত করেছেন। 

▶ইবনে-কাইয়িম হাদিসটির সনদকে সহীহ্ বলেছেন। 


❏ হাদিস ৯:

 

হযরত এজীদ রাক্কাশী (رضي الله عنه) বলছেন, 

"প্রত্যেক জুমাবারে একটি ফেরেশতাকে নিয়ােজিত করা হয়। যেই ব্যক্তি নবী-পাকের উপর সালাত ও সালাম পেশ করে, তিনি তা তাঁর দরবারে নিয়ে যান। আর বলেন, আপনার অমুক উম্মত আপনার উপর সালাত ও সালাম পাঠ করেছেন।"


তথ্যসূত্রঃ

১. ইবনু ইসহাক এজদী, ফদ্বলুস সালাতি আলান নবী (ﷺ), ৪২। হাদিস নম্বর: ২৭। 

২. ইবনু আবি শায়বা, আল মুসান্নাফ। ২: ২৫৩। হাদিস নম্বর: ৮৬৯৯। 

৩. ইবনু আবি শায়বা, আল মুসান্নাফ । ৬: ৩২৬। হাদিস নম্বর: ৩১৭৯২। 

৪. মুকরীযী, ইমতাউল আসমা। ১১: ৭০, ৭১। 

৫. ইবনু কাইয়িম, জালাউল আফহাম। ৬৪। হাদিস নম্বর: ১১০। 


❏ হাদিস ১০:


রাসূলুল্লাহ (ﷺ)  ইরশাদ করেন, “নিশ্চয় আল্লাহ্ তাআলা আমার কবরে এক ফেরেশতা নিযুক্ত করেছেন, যাকে সকল সৃষ্টির আওয়াজ সমূহ শুনার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে সুতরাং কিয়ামত পর্যন্ত যে কেউ আমার উপর দরূদ পাক পড়ে, তবে সে আমাকে তার নাম এবং তার পিতার নাম পেশ করে থাকে। সে বলে: অমুকের ছেলে অমুক আপনার উপর এই মুহুর্তে দরূদ শরীফ পাঠ করেছে।” 


তথ্যসূত্রঃ

১. মুসনাদে বাজ্জার, ৪র্থ খন্ড, ২৫৫ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৪২৫, 

২. মুত্তাকী হিন্দিঃ কানজুল উম্মাল, 

৩. হায়সামীঃ মাজমায়ে যাওয়ায়েদ।


❏ হাদিস ১১:

হযরত আম্মার ইবনু ইয়াসির (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত যে, 


عن عمار بن یاسر ، يقول : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إن الله وكل بقبري ملكا أعطاه أسماع الخلائق ، فلا يصلي على أحد إلى يوم القيامة إلا ابلغني باسمه واسم ابيه، هذا فلان ابن فلان قد صلى عليك - 

رواه البزار والبخاري في الكبير ، وقال الهيثمي : فيه ان الجميري لا أعرفه وبقية رجاله رجال الصحيح


وروى أبو الشيخ ابن حبان ولفظه : قال رسول الله صلى الله تعالى عليه وسلم : إن الله تبارك وتعالي ملگا أعطاه أسماع الخلائق كلهم ، فهو قائم على قبري ، إذا مت الى يوم القيامة ، فليس أحد من صلى على صلاة إلا سماه باسمه واسم آبیه ، فقال : يا محمد ، صلي عليك فلان، فيصلي الرب تبارك وتعالى علي ذالك الرجل بكل واحد عشرا.


হুযূর নবী আকরাম (ﷺ) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার কবরের উপর একজন ফেরেশতা নিয়ােগ করেছেন, যাকে আল্লাহ তা'আলা সমস্ত সৃষ্টিকুলের শব্দ শ্রবণের (এবং বুঝার) শক্তি দান করেছেন, তখন কেয়ামত দিবস পর্যন্ত যে-কেউ আমার উপর দরূদ পাঠ করবে সে ফেরেশতা ঐ দরূদ পাঠকের নাম এবং তার পিতার নাম আমার নিকট পৌঁছাবেন এবং আবেদন করবেন, এয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! অমুকের পুত্র অমুক আপনার উপর দরূদ প্রেরণ করেছেন।


তথ্যসূত্রঃ

▶ এ হাদিসকে ইমাম বাজ্জার আল মুসনাদে।

▶ ইমাম বুখারী আত্তারিখুল কবীরে এবং

▶ ইমাম মুনজেরী ও বর্ণনা করেছেন।

▶ ইমাম হায়সামী বলেন, ইহার সনদে ইবনু হুমায়রী বর্ণনাকারীকে আমি চিনি না। তিনি ছাড়া সকল বর্ণনাকারীগণ সহীহ হাদিসের বর্ণনাকারী।


❏ হাদিস ১২:


আবূ শায়খ ইবনু হাইয়্যান এর বর্ণনার শব্দসমূহ এরূপ যে, হুযূর নবী আকরাম (ﷺ) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলার এক ফেরেশতা আছে, যাকে আল্লাহ তা'আলা সমস্ত সৃষ্টিকুলের শব্দ শােনার (এবং বুঝার) শক্তি দান করেছেন, তখন সে ফেরেশতা আমার ওফাতের পর কেয়ামত পর্যন্ত আমার কবরের উপর দণ্ডয়মান থাকবে, অতঃপর আমার উম্মতের মধ্য থেকে যে-কেউ আমার উপর দরূদ প্রেরণ করবে সে ফেরেশতা তার নাম এবং তার পিতার নাম নেবেন এবং বলবেন, হে মুহাম্মদ! (আমার মনিব) অমুক ব্যাক্তি আপনার খেদমতে দরূদ প্রেরণ করেছেন। তখন আল্লাহ তা'আলা সে ব্যাক্তির উপর প্রতি দরূদের বিনিময়ে দশটি রহমত অবতীর্ণ করবেন।


তথ্যসূত্রঃ

১. বাযযার : আল মুসনাদ, ৪/২৫৫, হাদিস : ১৪২৫, ১৪২৬।

২. বুখারী : তারিখুল কবীর, ৬/৪১৬, হাদিস : ২৮৩১। 

৩. ইবনে হাইয়ান: আল আযমা, ২/৭৬২, হাদিস : ১।

৪. হায়ছুমী : মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ১০/১৬২।

৫.ড: তাহেরুল ইসলাম কাদেরীঃ প্রিয় নবীর পরকালীন জীবন।

৬.কানযুল উম্মাল খঃ১ পৃঃ৪৪৮-৪৫০।


❏ হাদিস ১৩:


হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ  (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলছেন, যখন তোমরা আমার প্রতি দরুদ পড় তখন তা ভালো অবস্থায় পড়ো। কারণ তোমরা হয়ত এটা জানোনা যে তোমাদের প্রতিটি পড়া দরুদ আমার উপর পেশ করা হয়। (ইমাম দাইলামীর মুসনাদুল ফিরদাউস)


❏ হাদিস ১৪:


রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে হাওযে কাওসারের উপর আমি এমন এমন দল পাবো যাদের কে আমি বেশী পরিমানে দরুদ শরীফ পাঠ করার কারনে চিনব। (কাশফুল গুম্মাহ)


❏ হাদিস ১৫:


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “নিশ্চয় তোমাদের নাম পরিচয় সহ আমার কাছে পেশ করা হয়, এজন্য আমার উপর সুন্দর (অর্থাৎ- সর্বোত্তম শব্দাবলীর মাধ্যমে) দরূদ পাক পাঠ কর। (মুসান্নিফ আবদুল রাজ্জাক, ২য় খন্ড, ১৪০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩১১৬)


❏ হাদিস ১৬:


হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত - রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “যখন বৃহম্পতিবার আসে আল্লাহ্ তাআলা ফেরেশতাদেরকে প্রেরণ করেন। তাদের নিকট রূপার কাগজ ও সোনার কলম থাকে, তারা লিপিবদ্ধ করে- কে বৃহস্পতিবার ও জুমার রাতে আমার উপর বেশি পরিমাণে দরূদ শরীফ পাঠ করে।” (আল ফিরদৌস বিমাসুরিল খাত্তাব, ১ম খন্ড, ১৮৪ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৬৮৮, কানজুল উম্মাল)


❏ হাদিস ১৭:


হযরত আনাস ইবনে মালেক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,


رقم الحديث : ۱۳ حديث مرفوع ( وَأَخَبَرَنَابو الحسن علي بن مُحَمَدَ بْنِ عَلِيّ السقاء الإسفَرَانِيني ، قال : حَدّتَنِي وَالِدِي أَبُو عَلِيّ ثنا أَبُو رافع أسامة بَن علي بن سعيد الرّازي ، بمصر , ثنفَحمَدَ بن إسماعيل بن سَالِم الصعَلَيْهِ حَدَتُناحكمة بنت عثمَان بْنِ دِينَار أخي مالك بْنِ دِينَار ، قالت : حَدَثني أبعَثمان بن دِينار


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, ক্বিয়ামতের দিনের সকল স্থানে তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তিই আমার সর্বাধিক নিকটতম স্থানে থাকবে, যে ব্যক্তি দুনিয়াতে আমার প্রতি সর্বাধিক সালাত-সালাম প্রেরণকারী ছিল। আর যে ব্যক্তি আমার প্রতি প্রত্যেক জুমার দিনে ও জুমার রাতে ১০০ বার দুরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তা‘আলা ওই ব্যক্তির একশ’টি চাহিদা পূরণ করবেন- ৭০টি আখিরাতের প্রয়োজন ও চাহিদা এবং ৩০টি দুনিয়ার চাহিদা ও প্রয়োজন। অত:পর আল্লাহ তা‘আলা ওই সালাত- সালাম সংরক্ষণ ও পৌঁছানোর জন্য এক ফেরেশতা নিয়োজিত করবেন, যিনি তা আমার কবর শরীফে ওইভাবে প্রবেশ করাবে, যেভাবে তোমাদের কারও নিকট হাদিয়া উপঢোকনসমূহ প্রবেশ করানো হয়। আর ওই ফেরেশতা আমাকে সংবাদ দেবেন যে ব্যক্তি আমার প্রতি সালাত-সালাম প্রেরণ করেছে তার নাম, তার পিতা, বংশ, গোত্র, অঞ্চলসহ সমুদয় বিষয়ে। অত:পর তা আমি আমার নিকট রক্ষিত শ্বেত বালামে লিপিবদ্ধ করে রাখি। 


তথ্যসূত্রঃ

১. ইমাম বায়হাকীঃ হায়াতুল আম্বিয়াঃ হাদীস নং ১৩

২. ইমাম বায়হাকীঃ শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ১১১ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩০৩৫, 

৩. তারিখে   দামেশক লি  ইবনে আসাকির, ৫৪তম খন্ড, ৩০১ পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর বৈরুত।

৪. ফিরােযাবাদী: আস সালাতু ওয়াল বাশর ফি সালাতি আলা খায়রিল বাশার (ﷺ), ৭৭। 

৫. সুয়ুতী: আদ্ দুররুল মানসুর ফি তাফসীরি বি মা'সূর: ৫:২১৯। 

৬. যুরকানী: শরহু মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়া, ৭:৩৭২। 

৭. সাখাবী : আল কাওলুল বদী' ফিস সালাতি আলা হাবিবিশ শফী (ﷺ), ১৫২। 

৮.শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) : হৃদয়ের টানে মদিনার পানেঃ পৃষ্ঠা ৩৬৫।


❏ হাদিস ১৮:


হযরত আনাস  (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, প্রিয়নবী (ﷺ) এরশাদ করেন,

“যে ব্যক্তি আমার উপর জুমার দিনে ও রাতে ১০০বার দুরূদ পাঠ করবে এর বিনিময়ে তার ১০০’টি চাহিদা পূরণ করা হবে- ৭০টি তার আখিরাতের চাহিদা ও প্রয়োজন এবং ৩০টি তার দুনিয়ার চাহিদা ও প্রয়োজন। অত:পর আল্লাহ তা‘আলা এর জন্য একজন ফেরেশতা নিয়োগ করবেন, যে আমার নিকট দুরূদসমূহ ওইভাবে পেশ করবে, যেভাবে দুনিয়াতে তোমাদের নিকট উপহার-উপঢৌকন পেশ করা হয়। নিশ্চয় আমার জ্ঞান আমার ইন্তিকালের পরও ওইরূপ সচল বিদ্যমান ও অক্ষুন্ন থাকবে যেভাবে আমার যাহেরী হায়াতে আছে।"


তথ্যসূত্রঃ

(১) ইমাম বায়হাক্বী (رحمة الله) হায়াতুল আন্বিয়া’,

(২) আল-বায়হাকী (رحمة الله) শুআবুল ঈমান, গ. ১, পৃ. ৪৯৯, হাদীস: ২৭৬; 

(৩) ইমাম সুয়ূতীঃ নবীগণ (عليه السلام) স্বশরীরে জিবীত।

(৪) ইমাম সুয়ূতী, জালাল উদ্দিন সুয়ূতী  (رحمة الله) (৯১১হি.), আল খাসায়েসুল কুবরা, আরবী, বৈরুত, খন্ড:২য় পৃ:৪৯০।

(৫) ইমাম সাখাভী (رحمة الله),  আল-কওলুল বদী ফিস সালাত আলাল হাবীবিশ শফী; পৃ. ১৬২; 

(৬) আন নুমায়রী, আল-ই'লামু বি-ফযলিস সালাতি আলান্নাবিয়ি (ﷺ), পৃ. ১৫৯, হাদীস: ১৬০; 

(৭) ইমাম ইস্পাহানী  (رحمة الله) ‘আত্ তারগীব’ কিতাবে।

(৮) শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) : হৃদয়ের টানে মদিনার পানেঃ পৃষ্ঠা ৩৬৫।

 


দুরূদ প্রেরণের জন্য ফেরেস্তা নিয়ােগ 



❏ হাদিস ১৯:


হযরত আবু উমামা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত।   

رقم الحديث : ۱۲ حديث مرفوع ( وَأَحَجَليّا بن أدمدَ بن عبُدَ أن الكاتب ثنا | أحمد بن عُبيد الصقار , ثللحسن بن سعيد , ثنإبراهيم بن الحَجّاج ثنلحمّاد بن سَلْمَةً نَبُرد بُن سِنَان عنَ محَولِ الشامي عن أبي أُمَامَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَال قال رسول اللَّهِ صلى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " أكثروا علي من الصلاة في كل يوم جُمُعَان صَلاة أمتي تُعرض عليّ في كل يوم جُمُعَةِ , فمن كان أكثرَهُمْ عَلَى صَلاةً كَانَ أَفَرَبَهُمْ مِنّي مَنْزِلَةً ( ۱۲ )

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেন, আমার প্রতি প্রত্যেক জুমার দিনে অধিক পরিমাণে দুরূদ সালাম প্রেরণ করো, কেননা আমার উম্মতের সালাত-সালামসমূহ আমার নিকট প্রত্যেক জুমাবারে পেশ করা হয়। সুতরাং আমার উম্মতের মধ্যে যে আমার প্রতি সর্বাধিক সালাত-সালাম প্রেরণকারী হবে, সে ক্বিয়ামতের দিন আমার সর্বাধিক নিকটবর্তী হবে। 


তথ্যসূত্রঃ

১.বায়হাকী: শুআবুল ঈমান, ৩:১১০, হাদীস নং ৩০৩২। 

২.বায়হাকী: আল সুনানুল কুবরা, ৩:২৪৯, হাদীস নং ৫৭৯১। 

৩.ইমাম বায়হাকীঃ হায়াতুল আম্বিয়াঃ হাদীস নং-১২: 

৪.মুনযিরী: আত তারগীব ওয়াত তারহিব মিন আহদীসিস শরীফ, ২:৩২৮: হাদীস নং ২৫৮৩। 

৫.সুবকী: শিফাউস সিকাম ফি যিয়ারতি খায়রিল আনাম, ১৩৬। 

৬.মাকরীযী: ইমতাউল আসমা ১১:৬৬। 

৭.ইবনু কাইয়িম, জালাউল আফহাম। ৪০। হাদিস নম্বর: ৫৬। 

৮.আযীমাবাদী: আওনুল মা'বুদ আলা সুনানি আবি দাউদ, ৪:২৭২। 

৯.দায়লামী: দাইলামী, ফিরদাউসুল আখবার ১: ৮১। হাদিস নম্বর: ২৫০। 

১০. আবু তাইয়িব। আওনুল মাবুদ। ৪: ২৭২। 

১১. হিন্দী, কানযুল ওম্মাল,১: ৪৮৮, হাদিস নম্বর: ২১৪১।

১২. ফিরােজাবাদী, আস সালাতু ওয়াল বিশরু ফিস সালাতি আলা খাইরিল বাশার ৭৫। 

১৩. সাখাবী, আল কওলুল বদী ফিস সালাতি আলাল হাবীবিশ শফী(ﷺ) ১৫৮। 


হাদিসের সনদ মানঃ


▶ফিরােজাবাদী বলেন, হাদিসটির সনদ জাইয়িদ’ এবং রিজাল (রাবীগণ) অত্যন্ত নির্ভরযােগ্য ।

▶ইমাম সাখাবী বলছেন, বায়হাকী রেওয়ায়তটি হাসান সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন। 


❏ হাদিস ২০:


হযরত আউস ইবনে আউস  (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে যে,


عَنْ أَوْسِ بْنِ أَوْسٍ رضي الله عنه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اﷲِ صلي الله عليه وآله وسلم. إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَامِکُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فِيْهِ خُلِقَ آدَمُ، وَفِيْهِ قُبِضَ وَفِيْهِ النَّفْخَةُ، وَفِيْهِ الصَّعْقَةُ فَأَکْثِرُوْا عَلَيَّ مِنَالصَّلَاةِ فِيْهِ، فَإِنَّ صَلَاتَکُمْ مَعْرُوْضَةٌ عَلَيَّ، قَالَ : قَالُوْا : يَا رَسُوْلَ اﷲِ! کَيْفَ تُعْرَضُ صَلَاتُنَا عَلَيْکَ وَقَدْ أَرِمْتَ؟ يَقُوْلُوْنَ : بَلِيْتَ قَالَ صلي الله عليه وآله وسلم : إِنَّ اﷲَ حَرَّمَ عَلَي الْأَرْضِ أَجْسَادَالْأَنْبِيَاءِ


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমুয়ার দিন সর্বাধিক সেরা। কারণ ঐ দিন আদম (عليه السلام) সৃষ্টি করা হয়েছিল ঐ দিনই ওনার ওফাত হয়েছিল ।ঐ দিন সিঙ্গায় ফুত্‍কার দেয়া হবে আর ঐ দিনই (কিয়ামতের) চিত্‍কার শুরু হবে! তাই ঐ দিন বেশি বেশি করে আমার প্রতি দুরুদ পাঠাও। তোমাদের দুরুদ আমার নিকট (নিশ্চই) পৌঁছানো হবে। তাঁরা (সাহাবীগণ) জিজ্ঞাসা করলেন - আমাদের দরুদ আপনার ওফাতের পর আপনার উপরে কিরুপে পেশ করা হবে? আপনার বরকতময় মোবারক দেহ কি মাটিতে মিশে যাবে না?

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ তায়ালা জমিনের জন্য নবীগণের দেহকে ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন।"


তথ্যসূত্রঃ


১. আবূ দাউদ: আস্ সুনান, কিতাবুস সালাত, ১/২৭৫, হা-১০৪৭ এবং কিতাবুস সালাত, ২/৮৮, হা-১৫৩১।

২. নাসাঈ: আস্ সুনান, কিতাবুল সালাহ : অধ্যায়: জুমু'আ, ৩/৯১, হা-১৩৭৪। এবং আস্ সুনানুল কুবরা, ১/৫১৯, হা-১৬৬৬।

৩.ইবনু মাজাহ্: আস্ সুনান, কিতাবু ইকামাতিস সালাত, ১/৩৪৫, হা-১০৮৫।

৪.দারেমী: আস্ সুনান, বই : জুমা, অধ্যায় : ফি ফদ্বল ইয়াওমাল জুমা ১/৪৪৫, হা-১৫৭২।

৫.আহমদ ইবনে হাম্বল: আল মুসনাদ, ৪/৮, হা-১৬২০৭। ২৬/৮৪, হা- ১৬১৬২

৬.ইবনে আবি শায়বাহ্: আল মুসান্নাফ, আস-সালাহ ২/২৫৩, হা-৭৬৯৭, ৬/৪০, হা- ৮৭৮৯

৭.ইবনে খুজায়মা: আস্ সহীহ, ৩/১১৮, হা-১৭৩৩-১৭৩৪।

৮.ইবনে হিব্বান: আস্ সহীহ, বই : আর-রাকাইক, অধ্যায় : আদিয়্যাহ : ৩/১৯০, হা-৯১০।

৯.হাকেম: আল মুসতাদরাক, ১/৪১৩, হা-১০২৯।

১০.বাযযার: আল মুসনাদ, ৮/৪১১, হা-৩৪৮৫

১১.তাবরানী: আল মু'জামুল আওসাত, ৫/৯৭, হা-৪৭৮০।

১২.তাবরানী: মু'জামুল কবীর, ১/২৬১, হা-৫৮৯।

১৩.বায়হাকী: আস্ সুনানুস সগীর, ১/৩৭১, হা-৬৩৪।

১৪.বায়হাকী: আস্ সুনানুল কুবরা, ৩/২৪৮, হা-৫৭৮৯। Or, অধ্যায় : আল- জুমুয়া : ৩/৩৫৩, হা-৫৯৯৩

১৫.বায়হাকী: শু'আবুল ঈমান, ৩/১০৯, হা-৩০২৯। Or অধ্যায় : ফাজাইলুস সালাতুন্নবী (ﷺ) ৪/৪৩২, হা-২৭৬৮

১৬. যাহদ্বামী: ফাদ্বলুস্ সালাতি আলান্ নবী, হা-২২।

১৭.ওয়াদীয়াশী: তুহফাতুল মুহতাজ, ১/৫২৪, হা-৬৬১।

১৮.আসকালানী: ফাতহুল বারী, ১১/৩৭০।

১৯.আযলূনী: কাশফুল খিফা, ১/১৯০, হা-৫০১।

২০.ইবনে কাসীর, তাফসীরিল কুরআনিল আযীম, ৩/৫১৫ সুরা আল-আহজাব ৫৬,

২১.ইমাম খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ১/৪২৯ পৃ. হা/১৩৮১, 

২২.ইমাম কাসতালানীঃ আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যা, ৩য় খন্ড, ৪২৭ পৃ

২৩.ড. তাহেরুল ইসলাম কাদেরীঃ প্রিয় নবীর পরকালীন জীবন।


হাদিসটির সনদ-মান পর্যালোচনা 


☞ এ হাদিসকে ইমাম আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ্, দারেমী, অাহমদ, ইবনু খুজায়মা এবং ইবনু হিব্বান বর্ণনা করেছেন।

▶ ইমাম হাকেম বলেন, এ হাদিস ইমাম বুখারীর শর্তাবলীর ভিত্তিতে সহীহ্ এবং

▶ ইমাম ওয়াদিয়াশীও বলেন, ইহাকে ইমাম ইবনু হিব্বান সহীহ্ নির্ধারণ করেছেন এবং

▶ ইমাম আসক্বালানী বলেন, ইহাকে ইমাম ইবনু খুজায়মা সহীহ্ নির্ধারণ করেছেন।

▶ ইমাম আজলুনী বলেন, ইহাকে ইমাম বায়হাকী উত্তম, মজবুত সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন।

▶ইবনু কাছির বলেন, ইহাকে ইমাম ইবনু খুজায়মা, ইবনু হিব্বান, দারু কুতনী এবং ইমাম নববী 'আল-আযকার' -এ সহীহ্ নির্ধারণ করেছেন।


❏ হাদিস ২১:


হযরত আবু দারদা  (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত।

عن أبي الدرداء قال قال رسول الله صلىالله عليه و سلم أكثروا الصلاة علي يوم الجمعة . فإنه مشهود تشهده الملائكة . وإن أحدا لن يصلي علي إلا عرضت علي صلاته حتى يفرغ منها ) قال قلت وبعد الموت ؟ قال ( وبعد الموت . إن الله حرم على الأرض أن تأكل أجساد الأنبياء (سنن ابن ماجه، كتاب الجنائز، باب ذكر وفاته صلى الله عليهو سلم، رقم الحديث-১৬৩৭

রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন-তোমরা জুমআর দিন বেশি বেশি করে দুরুদ পড়। নিশ্চয় ফেরেস্তারা এর উপর স্বাক্ষ্যি থাকে। আর যখন কেউ আমার উপর দুরুদ পড়ে তখনই তা আমার নিকট পেশ করা হয়। আবু দারদা রাঃ বলেন-আমি জিজ্ঞাসা করলাম - মৃত্যুর পরেও কি তা পেশ করা হবে? উত্তরে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,

"হ্যাঁ! আল্লাহ্‌ পাক নবীগণের শরীর মোবারাককে ভক্ষণ করা জমিনের জন্য হারাম করে দিয়েছেন। তাই নবীগণ (কবরে) জীবিত আছেন এবং নিয়মিতভাবে তারা রিজিকও পেয়ে থাকেন।"


তথ্যসূত্রঃ


১. ইবনে মাজাহ্ঃ কিতাবুল জানাযা, খন্ড- ১/৫২৪পৃ, হাদিস: ১৬৩৬,

২. ইবনে মাজাহ্ঃ কিতাবুল জানাযা, খন্ড- ১/৫২৪পৃ, হাদিস: ১৬৩৭

৩. ইবনে মাজাহ্ঃ ইকামাতুস সালাহ ওয়াস সুন্নাহ ফিহা : অধ্যায় ৭৯, ১/৩৪৫, হা- ১০৮৫

৪. মুনজারীঃ আত্ তারগীব ওয়াত তারহীব, খন্ড- ২/২২৮পৃ, হাদিস: ২৫৮২।

৫. ইবনে কাসীরঃ তাফসীরু কুরআনিল আযীম, খন্ড- ৩/৫১৫পৃ, খন্ড- ৪/৪৯৩পৃ।

৬. মুনাবীঃ ফয়যুল কদীর, খন্ড- ২/৮২পৃ।

৭. আযুলুনীঃ কাশফুল খিফা, খন্ড- ১/১৯০পৃ, হাদিস: ৫০১

৮. সুনানুস সাগীর লিল বায়হাকী, হাদীস নং-৪৬৯,

৯. আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৭৮০,

১০. সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৫৭২,

১১. মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৪৮৫,

১২. মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৫৭৫৯

১৩. আবু দাউদ : আস সুনান, কিতাবুস সালাত : ১:২৭৫, হাদিস ১০৪৭

১৪. নাসাঈ : আস সুনান, অধ্যায় : জুমুয়া ৩:৯২

১৫. ইমাম আহমদ বিন হাম্বল : আল মুসনাদ (৪:৮)

১৬. ইমাম ইবনে হিব্বান : আস সহীহ : (৩:১৯১, হাদিস ৯১০)

১৭. ইবনে খুজায়মাহ : আস সহীহ : (৩:১১৮, হাদিস ১৭৩৩)

১৮. ইমাম হাকিম : আল মুস্তাদরাক (১:২৭৮)

১৯. ইমাম তাবারানী : আল মুজমাউল কবীর  (১:২১৭, হাদিস ৫৮৯)

২০. বায়হাকী : আস সুনান আল কুবরা : (৩:২৪৯).

২১.ড. তাহেরুল ইসলাম কাদেরীঃ প্রিয় নবীর পরকালীন জীবন।

২২. কিনানী, মিছবাহুয যুজাজাহ্। ২: ৫৮, ৫৯। হাদিস নম্বর:৬০২। 

২৩. খতীবে তাবরীযী, মিশকাতুল মাসাবীহ।১: ৩৯২। হাদিস নম্বর: ১৩৬৬। 

২৪. মুনাবী, ফয়যুল কদীর। ২: ৮৭। 

২৫. সুবকী, শিফাউস সিকাম ফি যিয়ারাতি খাইরিল আনাম। ৩৫, ৩৬। 

২৬. উনদুলুসী, তুহফাতুল মুহতাজ। ১: ৫২৬। হাদিস নম্বর: ৬৬৩। 

২৭. ইবনু কাইয়িম, জালাউল আফহাম। ৬৩। হাদিস নম্বর: ১০৮। 

২৮. ইবনু কছীর, তাফসীরুল কুরআন । ৩: ৫১৪। 

২৯. ইবনু কছীর, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া। ৪: ২৫৮। 

৩০. মুকরীযী, ইমতাউল আসমা। ১১: ৬৫। 

৩১. মাযী, তাহযীবুল কামাল।১০: ২৩। হাদিস নম্বর: ২০৯০। 

৩২. ফিরােজাবাদী, আস সিলাতু ওয়াল বাশারু ফিস সালাতি আলা খাইরিল বাশার। ৭৫। 

৩৩. সাখাবী, আল কওলুল বদী ফিস সালাতি আলাল হাবীবিশ শফী । ১৫৮। 

৩৪. শাওকানী, নাইলুল আওতার। ৩: ৩০৪, ৩০৫। 


হাদিসটির সনদ-মান পর্যালোচনা 


▶ এ হাদিসকে ইমাম ইবনু মাজাহ্ সহীহ্ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন।

▶ ইমাম মুনযেরী বলেন, ইহাকে ইমাম ইবনু মাজাহ্ উত্তম-মজবুত সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন।

▶ ইমাম মুনাবী বর্ণনা করেন যে, ইমাম দমীরী বলেন, ইহার রাভীগণ (বর্ণনাকারীগণ) নির্ভরযোগ্য।

▶ ইমাম আজলুনীও ইহাকে হাসান বলেছেন।

▶ ইমাম সাখাবী (রহঃ)'র অভিমত, হাদিসটির রিজাল (বিভিন্ন স্তরের রাবীগণ) অত্যন্ত নির্ভরযােগ্য। 



রাসূলুল্লাহ (ﷺ)'র নিকট আমাদের আমল ও পাঠকৃত দুরূদ সমূহ পৌঁছায়



❏ হাদিস ২২:


হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,  

"যে ব্যক্তি আমার রওজার পাশে দাঁড়িয়ে আমার দুরূদ পাঠ করে আমি তার দুরূদ সরাসরি শুনতে পাব, আর যে ব্যক্তি দূর থেকে আমার উপর দুরূদ প্রেরণ করে তা আমার কাছে পাঠানাে হয়। (হাদিসটির সনদ সহিহ)


তথ্যসূত্রঃ 


১.বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, ২: ২১৮, হাদিস নম্বর: ১৫৮৩/ ৩/১৪০ পৃ. হা/১৪৮১।  

২.ইমাম বায়হাকীঃ হায়াতুল আম্বিয়া ১০৩-১০৪

৩.ইমাম খতিব তিবরিয়ীঃ মিশকাত শরীফঃ ১/১৯০পৃ, হাদিসঃ ৯৩৪, দারুল কুতুব ইসলামিয়্যাহ, বয়রুত। 

৪.ইমাম যাহাবী: মিযানুল এ'তেদাল, ৮১৫৪ নং রাবীর ব্যাখ্যায়। 

৫.ইমাম সুবুকী: তবকাতুস শাফিয়াতুল কুবরা, ১ম খন্ড, ১৭০ পৃ:, ৩য় খন্ড, ৪০৮ পৃ:,

৬.ইমাম ইবনে আসাকির (রহঃ) হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।

৭.ইমাম ইস্পাহানী  (رحمة الله) আত্ তারগীব গ্রন্থে

৮.ইমাম আয়ায, আশ-শিফা শরীফ, ২/৭৯ পৃ., 

৮.রওজাতুল মুহাদ্দেছীন, হাদিস নং ১১৯৩। 

৯.হাফিজ ইবনুল কাইয়্যুম: জালাউল আফহাম, হাদিস নং ২৪। 

১০.ইমাম সুয়ূতি, খাসায়েসুল কোবরা, ২/৪৮৯ পৃ. 

১১.ইমাম সুয়ূতী: জামেউল আহাদিস, হাদিস নং ২২৭৭০। 

১২.ইমাম সুয়ূতী: ফাতহুল কবীর, হাদিস নং ১১৯৭২। 

১৩.সূয়ূতী, শরহুন আলা সুনানিন নাসাঈ। ৪: ১১০। 

১৪.ইমাম সুয়ূতী (رحمة الله) (৯১১হি.), আল খাসায়েসুল কুবরা, আরবী, বৈরুত, খন্ড:২য় পৃ:৪৮৯।

১৫.তারিখে বাগদাদ, ১০৯০ নং হাদিস, ৪র্থ খন্ড, ৪৬৮ পৃ:। 

১৬.ইমাম সাখাভীঃ আল-কওলুল বদীঃ ১৫৪পঃ 

১৭.ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী, ফতহুল বারী, ৬/৪৮৮ পৃ.,

১৮.আজিমাবাদী: আওনুল মা'বুদ শরহে আবু দাউদ, ২০৪২। 

১৯.ফাওয়াইদুল মাজমুয়া, হাদিস/১৬।

২০. ইমাম কাসতালানীঃ আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যা, ৩য় খন্ড, ৪২৭ পৃ।

২১.ইমাম মুত্তাকী আল হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ২১৯৮ ও ২১৬৫।

২২.তাখরিজু আহাদিসুল কাসসাফ, ৩য় খন্ড, ১৩৫ পৃঃ। 

২৩.মুনাদী, ফয়যুল কদীর । ৬: ১৭০।

২৪.মুকরীযী, ইমতাউল আসমা। ১১: ৫৯, ও ১০: ৩০৬।

২৫.আল্লামা ইবনে মুলাকিন বাদরুল মুনীর, ৫ম খন্ড, ২৯০ পৃ:। 


হাদিসের সনদ মানঃ


▪ এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله) বলেন, “আবুশ শায়েখ তাঁর কিতাবুছ ছাওয়াব’-এ হাদিসটি অতি-উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন, এই শব্দে: যে আমার রওজার কাছে এসে সালাত পাঠ করবে আমি তার সালাত শুনব।” (ইমাম আসকালানী: ফাতহুল বারী শরহে বুখারী, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৪৮৮ পৃ: ৩৪৪১ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়)। 


▪ আল্লামা মােল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) বর্ণনা করেন,  

-“আবুশ শায়েখ ও ইবনে হিব্বান (رحمة الله) কিতাবুছ ছাওয়াবে’ হাদিসটি উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।” 

(ইমাম মােল্লা আলী কারী: মেরকাত শরহে মেসকাত, হাদিস নং ৯৩৪ এর ব্যাখ্যায়)। 


▪ এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে আল্লামা নুরুদ্দিন আলী ইবনে মুহাম্মদ আল কেনানী (رحمة الله) {ওফাত ৯৬৩ হি.} বলেন, -“আবুশ শায়েখ তার 'ছাওয়াব’ গ্রন্থে উত্তম সনদে ইহা বর্ণনা করেছেন । যেমনটিঃ ইমাম ছাখাবী (رحمة الله) তাঁর উস্তাদ হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله) থেকে বর্ণনা করেছেন।” 

(তানজিয়াতু শারিয়াতুল মারফুয়া, ১ম খন্ড, ৩৩৫ পৃ:)। 


▪ এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে আল্লামা আব্দুর রউফ মানাভী (رحمة الله) উল্লেখ করেন, -“হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله) বলেন: ইহার সনদ জায়্যেদ বা অতি-উত্তম।” 

(আল্লামা মানাভী: তায়ছির বি’শরহে জামেউছ ছাগীর, ২য় খন্ড, ৪১৮)


▪ এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে ইমাম নববী (رحمة الله) বলেন, -“ইমাম নববী (رحمة الله) তাঁর ‘আজকার ও রিয়াদুছ ছালেহীন' গ্রন্থে বলেন: ইহার সনদ ছহীহ্।” 

(আজিমাবাদী: আওনুল মা'বুদ শরহে আবু দাউদ, ৬ষ্ঠ খন্ড, ২২ পৃ:)। 


আফসোসের বিষয় হল, কুখ্যাত নাছিরুদ্দিন আলবানী এই হাদিসের রাবী আব্দুর রহমান ইবনে আহমদ ইবনে আবী ইয়াহইয়া যুহুরী আবু ছালেহ্ আল আরাজ সম্পর্কে বলেন, -“সে অপরিচিত।” (সিলসিলায়ে আহাদিসুদ দ্বায়িফা, হাদিস নং ২০৩) 


অথচ এই রাবী মজহুল বা অপরিচিত নয় বরং মারুফ বা সু-পরিচিত, কারণ ইমামগণের কেউ তার ব্যাপারে সমালােচনা করেননি, বরং তার নাম, উপনাম, পিতা ও দাদার নাম, ভাইয়ের নাম, মৃত্যু সন, বাড়ি। কোথায়, বংশের নাম ইত্যাদি পেশ করেছেন। এই রাবী সম্পর্কে। ইমামদের বক্তব্য হল, 

-“আব্দুর রহমান ইবনে আহমদ ইবনে আবী ইয়াহইয়া যুহুরী আবু ছালেহ আল আরাজ’ তিনশ হিজরীতে ইন্তেকাল করেছেন। তার ভাই হচ্ছে ‘মুহাম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে ইয়াজিদ যুহুরী।” 

১.ইমাম আবু নুয়াইম: তারিখে ইসবাহান, রাবী নং ১১৩৭। 

২.তবকাতুল মুহাদ্দেসীন বি’ইসবাহান, রাবী নং ৪৮৬

৩.মুফতি আলাউদ্দিন জেহাদীঃ জাল হাদিসই আল হাদিস থেকে সংকলিত।



❏ হাদিস ২৩:


হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) রাসূল (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন,


ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻣَﺴْﻌُﻮﺩٍ، ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ - ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - ﻗَﺎﻝَ  ﺇِﻥَّ ﻟِﻠَّﻪِ ﻣَﻠَﺎﺋِﻜَﺔً ﺳَﻴَّﺎﺣِﻴﻦَ، ﻳُﺒَﻠِّﻐُﻮﻥَ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﺍﻟﺴَّﻠَﺎﻡَ ." ﻗَﺎﻝَ : ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : " ﺣَﻴَﺎﺗِﻲ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻜَﻢْ ﺗُﺤْﺪِﺛُﻮﻥَ ﻭَﻳُﺤَﺪَﺙُ ﻟَﻜَﻢْ، ﻭَﻭَﻓَﺎﺗِﻲ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻜَﻢْ ﺗُﻌْﺮَﺽُ ﻋَﻠَﻲَّ ﺃَﻋْﻤَﺎﻟُﻜُﻢْ، ﻓَﻤَﺎ ﺭَﺃَﻳْﺖُ ﻣِﻦْ ﺧَﻴْﺮٍ ﺣَﻤَﺪَﺕُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ، ﻭَﻣَﺎ ﺭَﺃَﻳْﺖُ ﻣِﻦْ ﺷَﺮٍّ ﺍﺳْﺘَﻐْﻔَﺮْﺕُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﻜَﻢ -


‘‘আমার হায়াত তোমাদের জন্য উত্তম। কেননা আমি তোমাদের সাথে কথা বলি তোমরাও আমার সাথে কথা বলতে পারছ। এমনকি আমার ওফাতও তোমাদের জন্য উত্তম নেয়ামত। কেননা তোমাদের আমল আমার নিকট পেশ করা হয় এবং আমি তা দেখি। যদি তোমাদের কোন ভাল আমল দেখি তাহলে আমি তোমাদের ভাল আমল দেখে আল্লাহর নিকট প্রশংসা করি, আর তোমাদের মন্দ কাজ দেখলে আল্লাহর কাছে তোমাদের জন্য গুনাহ মাফের জন্য (তোমাদের পক্ষ হয়ে) ক্ষমা প্রার্থনা করি।’’


মুসনাদে বাযযারের সনদঃ


ইমাম বাযযার ➡ ইউসুফ বিন মূসা ➡ আবদুল মজিদ বিন আবদুল আজিজ বিন আবি রওয়াদ ➡ ইমাম সুফিয়ান সাওরি ➡ আবদুল্লাহ ইবনে সা’ইব➡ যাধান ➡ আবদুল্লাহ ইবনে মাস'উদ (رضي الله عنه)


হাদিসটির অন্যান্য সূত্রঃ

❏ বকর বিন আব্দিল্লাহ মুযানী  (رضي الله عنه)

❏ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ  (رضي الله عنه)

❏ হযরত আনাস বিন মালেক  (رضي الله عنه)


তথ্যসূত্রঃ  


১.ইমাম হায়সামী (رحمة الله) মাজমাউয জাওয়াইদ, আলামাত আন নুবুউয়াঃ অধ্যায়: হায়াতিহি ওয়া ওয়াফতিহি, ২/৮৮৪, হাদিস নম্বরঃ ৯৫৩ ও ৯/২৪, হাদিস: ৯১,পুস্তকে জানান যে, হাদীসটি আল-বাযযার তাঁর ’মুসনাদ’ গ্রন্থে বর্ণনা করেন এবং এর সকল ’রাবী’ (বর্ণনাকারী) সহীহ (মানে হাদীসটি সহীহ)।

২.ইবনুল ইরাকী, তারহ আল-তাথরিব ফী শারহ,(৩:২৯৭) তাঁর মতে হাদিসটি বিশুদ্ধতা। 

৩.ইবনে সা’আদঃ আত-তাবাক্কাত-উল-কুবরা (২:১৯৪), (৫/৫০০)

৪.ইমাম কাজী আয়ায (رحمة الله) ‘আশ-শিফা’ গ্রন্থে (১:১৯) 

৫.ইমাম সুয়ুতি, আল হাবি লিল ফাতাওয়া, ২

 পৃষ্ঠা: ৩

৬.ইমাম সৈয়ুতী (رحمة الله), ‘আল-খাসাইস আল-কুবরা’ (২:২৮১) 

৭.ইমাম সৈয়ুতী (رحمة الله),‘মানাহিল-উস-শিফা ফী তাখরিজ-এ-আহাদীস আশ-শেফা’ ৩১ (# ৮) তিনি বিবৃত করেন যে আবূ উসামাহ নিজ ‘মুসনাদ’ পুস্তকে বকর বিন আব্দিল্লাহ মুযানী  (رضي الله عنه)-এর সূত্রে এবং  আল-বাযযার তাঁর ‘মুসনাদ’ বইয়ে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ  (رضي الله عنه)-এর সূত্রে সহীহ সনদে এই হাদীস লিপিবদ্ধ করেন।

৮.খাফাযী স্বরচিত ‘নাসিমুর রিয়াদ’ (১:১০২) ও 

৯.মোল্লা আলী কারী তাঁর ‘শরহে শিফা’(১:৩৬) এ হাদিসটি সমর্থন করেন।

১০.মুহাদ্দীস ইবনুল জাওযী এটি বকর বিন আব্দিল্লাহ  (رضي الله عنه) ও হযরত আনাস বিন মালেক  (رضي الله عنه)-এর সূত্রে "আল ওয়ফা দ্বি আহওয়ালিল মুস্তাফা (ﷺ), পৃষ্ঠা: ৮৬২, হাদিস নম্বরঃ ১৫৬৪

১১.ইমাম তাকিউদ্দীন সুবকী (رحمة الله) নিজ ‘শেফাউস্ সেকাম ফী যেয়ারাতে খায়রিল আনাম’ (৩৪ পৃষ্ঠা) কিতাবে বকর ইবনে আব্দিল্লাহ মুযানী  (رضي الله عنه) হতে এ হাদীস নকল করেছেন।

১২.ইবনে আব্দিল হাদী তাঁর ‘আস্ সারিম-উল-মুনকি’ (২৬৬-৭ পৃষ্ঠায়) পুস্তকে হাদিসটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

১৩.ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী (رحمة الله) নিজ ‘আল-মাতালিব-উল-আলিয়্যাহ’ (৪:২২-৩ #৩৮৫৩) গ্রন্থে  বকর ইবনে আব্দিল্লাহ মুযানী  (رضي الله عنه)-এর সূত্রে। 

১৪.ইবনে হাজার আসকালানী, তাকরিব ওয়াল তাহযিব, ১/৪৭৮

১৫.ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী, লিসান আল মিজান, ২/পৃষ্ঠা: ৩৯৫, হাদিস ১৬২০

১৬.আলাউদ্দীন আলী নিজস্ব ‘কানযুল উম্মাল’ পুস্তকে (১১:৪০৭ #৩১৯০৩) ইবনে সাআদের বর্ণিত হাদীসটি উদ্ধৃত করেন এবং হারিস হতেও একটি রওয়ায়াত উদ্ধৃত করেন (# ৩১৯০৪)।

১৭.হাকিম তিরমিযী, নওদীর আল উসুল, ৪/পৃষ্ঠা: ১৭৬

১৮.ইমাম যাহাবি, মিজান আল ইতিদাল, ২, পৃষ্ঠা: ৪৩৯

১৯.ইমাম ইবনে আদি, আল কামিল, ৩/পৃষ্ঠা: ৭৬

২০.ইমাম আজলুনি, কাশফ আল খিফা, ১/পৃষ্ঠা: ১১৭৮

২১.ইমাম সাখাভীঃ আল কাউলুল বদী ফী সালাত আলাল হাবিব আশ শাফী (ﷺ), পৃষ্ঠা: ১৬০

২২.শাশীঃ আল মুসনাদস-শাশী, ২/২৫৩ পৃ, হাদিস নম্বর: ৮২৬

২৩.আবু হাতিম, আল-জারহ ওয়াত-তাদিল, ৬/৬৪ পৃ

২৪.শায়খ শু‘আয়েব আল-আরনা’উত, তাহরির আল-তাকরীব,২/৩৭৯, হাদিস: ৪১৬০

২৫.আল-মুগনি, ১/৫৭১, হাদীস: ৩৭৯৩

২৬.ইবনে হিব্বান, কিতাব আল-মাজরুহিন, ২/১৬০।

২৭.কিতাব আল-হজ্ব, পৃষ্ঠা: (# ১৭৯)

২৮.ইমাম দায়লামিঃ মুসনাদুল ফিরদুস, ১/১৮৩, হাদিস : ৬৮৬

২৯.ইমাম যাহাবিঃ সিয়ার আল আ'লাম আন নুবালা, ১৭/পৃষ্ঠা: ১০৬

৩০.ইমাম মিয্যিঃ তাহযিব আল কামাল, ১৪/পৃষ্ঠা: ৫৫৮

৩১.ইমাম ইবনে কাসিরঃ তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৩/ পৃষ্ঠা: ৫১৬

৩২.ইমাম ইবনে কাসীরঃ ‘আল-বেদায়া ওয়ান-নেহায়া’ (৪:২৫৭)। 

৩৩.ইমাম জুরকানীঃ শরহে মাওহিব, ৭/পৃষ্ঠা: ৩৭৩

৩৪.শায়খ আবদুল্লাহ আল-তালিদি, মানাহিল আল-সাফা ফী তাখরিজ আহাদীছ আশ-শিফা'র তাহযিব, পৃষ্ঠা। ৪৫৮-৪৫৯ (# ৬৯৪)

৩৫.আল-মুনাভি, ফয়জুল কাদির, ৩/৪০১

৩৬.তারিখ আল-দাওরি, ২/৩৭০

৩৭.আল-বুরকানী, পৃষ্ঠা ৩১৭

৩৮.আন হামল আল-আসফার, ৪/১৪৮

৩৯.মাহমুদ মামদুহ, রাফউল-মিনারাহ’ আন তাখরিজ আহাদীস আল-জিয়ারা, ১৫৬-১৫৯ পৃ

৪০.জুহদামি, ফাদ্বালুস সালাহ ‘আলান ন্যাবি (ﷺ), ১/৩৮-৩৯, হাদিস নম্বর: ২৫-২৬

৪১.ইমাম মুত্তাকী আল হিন্দি, কানজুল উম্মাল, ১১/পৃষ্ঠা: ৪০৭, হাদিস নম্বরঃ ৩১৯০৪

৪২.ফায়রোজ আবাদী, আস ছালাত ওয়াল বাশার ফিস সালাত আ'লা খায়েরুল বাশার, পৃষ্ঠা: ১০৪-১০৫

৪৩.আল-মুনযিরি, তারগীব ওয়াল-তারাহীব ৩: ৩৪৩

৪৪.ইমাম নাবহানীঃ হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিন ফি মু'জাজাতুল মুরসালীন (ﷺ), পৃষ্ঠা: ৭১৩


উক্ত হাদিস প্রসঙ্গে ইমাম ইবনে হাজার হাইসামী (رحمة الله) বলেন:


ﺭَﻭَﺍﻩُ ﺍﻟْﺒَﺰَّﺍﺭُ، ﻭَﺭِﺟَﺎﻟُﻪُ ﺭِﺟَﺎﻝُ ﺍﻟﺼَّﺤِﻴﺢِ  -


-‘‘উক্ত হাদীসের সমস্ত রাবী বুখারীর সহিহ গ্রন্থের ন্যায়।’’ তাই হাদিসটি সহিহ।


তথ্যসূত্রঃ

১.বাজ্জার,আল-মুসনাদ,৫/৩০৮পৃ.হাদিস,১৯২৫

২.সুয়ূতি,জামিউস সগীর,১/২৮২পৃ.হাদিস,৩৭৭০-৭১

৩.আল্লামা ইবনে কাছির ,বেদায়া ওয়ান নিহায়া,৪/২৫৭পৃ.

৪.আল্লামা মুত্তাকী হিন্দী,কানযুল উম্মাল,১১/৪০৭পৃ. হাদিস,৩১৯০৩

৫.ইমাম ইবনে জওজী,আল-ওফা বি আহওয়ালি মোস্তফা,২/৮০৯-৮১০পৃ.

৬.আল্লামা ইবনে কাছির,সিরাতে নববিয়্যাহ,৪/৪৫পৃ.


ইমাম ইবনুল হাজ্জ ও ইমাম কুসতালানী (رحمة الله) বলেন:


وَقَدْ قَالَ عُلَمَاءُ نَالَا فَرْقَ بَيْنَ مَوْتِه وَحَيو تِه عَلَيْهِ السَّلَامُ فِىْ مُشَاهِدَ تِه لِاُمَّتِهِ وَمَعرِ فَتِه بِاَحْوَ الِهِمْ وَنِيَّا تِهِمْ وَعَزَائِمِهِمْ وَخَوَاطِرِ هِمْ وَذلِكَ جَلِىٌّ عِنْدَهُ لَاخَفَاءَبِه


আমাদের সু-বিখ্যাত উলামায়ে কিরাম বলেন যে,হুযুর আলাইহিস সালামের জীবন ও ওফাতের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তিনি নিজ উম্মতকে দেখেন,তাদের অবস্থা, নিয়ত, ইচ্ছা ও মনের কথা ইত্যাদি জানেন। এগুলো তাঁর কাছে সম্পূর্ণরূপে সুস্পষ্ট। কোনরূপ অস্পষ্টতা ও দুর্বোধ্যতার অবকাশ নেই এখানে।           


তথ্যসূত্রঃ

১.ইমাম ইবনুল হাজ্জ مدخل গ্রন্থে

২.ইমাম কুসতালানী (رحمة الله) مواهب  (মাওয়াহিব)  গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ৩৮৭ পৃষ্ঠায় ২য় পরিচ্ছেদে زيارة قبره شريف শীর্ষক বর্ণনা।


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুরুদ পাঠকারীকে চিনেন এবং জবাব প্রদান করেন



❏ হাদিস ২৪:

 

হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে যে, 

عن أبي هريرة، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «ما من أحد يسلم على الا رد الله علي روحى حتى ارد عليه السلام -

رواه ابو داؤد والحمد والطبراني والبيهقي . وقال العسقلاني : رواه أبو داود ورواته ثقات، وقال الهيثمى : وفيه عبد الله بن يزيد الاسكندرانى ولم اعرفه ومهدى بن جعفر ثقه وبقية رجاله ثقات.

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, "যখন তােমাদের কেউ আমার প্রতি দরূদ প্রেরণ করে, তখন আল্লাহ্ তা'আলা আমার রূহ ফিরিয়ে দেন, এমনকি আমি তার সালামের জবাব দেই।"


তথ্যসূত্রঃ


১.ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান, কিতাবু মানাসিক, ২/২১৮ পৃ. হা/২০৪১, সনদঃ সহিহ

২.আন-নাসাই তাঁর কিতাব আল-দু‘ফা ’ওয়া’ ই-মাতরুকিন, পৃষ্ঠা -১৬৮।

৩.আল দারিমির আল-তারিখ, পৃষ্ঠা ২৬০।

৪.ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ১৬/৪৭৭ পৃ. হা/১০৮১৫, 

৫.ইবনে ইসহাক আল রাহূইয়াহ তার মুসনাদে, ১/৪৫৩ (৫২৬ & ২০৪১)।

৬.ইবনে ‘আসাকির’ মুক্ততাসার তারিক দিমশাক, ২/৪০।

৭.আবু নু'আয়াম আল-ইস্পাহানীঃ আখবার আল-আসবাহান, ২/৩৫৩।

৮.তাবারানীঃ মুজাম আল-আসাতঃ ৩/২৬২ (৩০৯২, ৯৩২৯)/ ৪:৮৪, হাদীস নং ৩১১৬।

৯.আল-বায়হাকী আল-সুনান আল-কুবরা, ১/৫১৯: হাদীস ১৬৬৬, ৩/২৪৯: হাদীস ৫৭৮৯

১০.বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, ২: ২১৫। হাদিস নম্বর: ১৫৭১। 

১১.ইমাম বায়হাকী, দাওয়াতুল কাবীর, ১/২৬১ পৃ. হা/১৭৮, 

১২.সাখাবী, আল কওলুল বদী ফিস সালাতি আলাল হাবীবিশ শফী (ﷺ)।

১৩.ইমাম আন নওয়াবী (رحمة الله) এই হাদীস সম্পর্কে বলেছেন: رَوَاهُ أبُو دَاوُدَ بإسناد صحيح অনুবাদ: এটি আবু দাউদ (রহঃ) "সহীহ সনদ" দ্বারা বর্ণনা করেছেন।

১৪.নাওয়াইল আল আওতার ৫/১৬৪।

১৫.রিয়াদ উস সালিহীন ১/২৫৫, হাদীস ১৪০২।

১৬.ড. তাহেরুল ইসলাম কাদেরীঃ প্রিয় নবীর পরকালীন জীবন ও খাসায়েল মুস্তফা (ﷺ)

১৭.আলবানীর সংস্করণ জিয়ারাতুল কুবুরের অধীনে (# ২০৪১) এটিকে "হাসান" বলেছে।

১৮.আলবানীঃ সিলসিলাহ আহাদিস আল-সহিহাহ [২২৬৬]

১৯.ইমাম ইবনে হাজার আল-আসকালানী, তাকরিব-আল তাহযিব, ১/২০০।

২০.ইমাম ইবনে হাজার আল-আসকালানী, ফতহুল বারী, ৬: ৪৮৮।

২১.ইমাম ইবনে হাজার আল-আসকালানী, তালখীসুল জহীর। ২: ২৬৭। 

২২.ইবনে আল-নাজ্জার, আখবার আল-মদীনা, পৃ .১৪৪।

২৩.তফসীরে ইবনে কাসীর, ৬: ৪৬৪।

২৪.হাফিজ আল-দারাকুতনী ইবন হিব্বান তাঁর আল-সিকাহ, ১৮৮ তে উদ্ধৃত করেছেন।

২৫.হায়সমী: মাজমাউয যাওয়ায়িদ ওয়া মানবাউল ফাওয়ায়িদ, ১/১৬২ এবং ১০:৩৪৯।

২৬.ইমাম খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ১/২৯১ পৃ. হা ৯২৫। 

২৭.আল্লামা মুত্তাকি হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ১/৪৯১ পৃ. হা/২১৫৬, 

২৮.মুরতদা আল-জাবেদী, ইতাফ আল-সাদাত আল- মুত্তাকিন, ৪/৪১৯ এবং ১০/৩৬৫।

২৯.ইবনে রাহবীয়া: আল মুসনাদ, ১/৪৫৩, হাদিস: ৫২৬।

৩০.ইমাম কাসতালানীঃ আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যা, ৩য় খন্ড, ৪২৭ পৃ।, ৪র্থ খন্ড ৭৫৯ পৃ

৩১.আল-মিয্যিঃ তাহযিব আল-কামাল, ৭/৩৬৬।

৩২.মুনাবী, ফয়যুল কদীর ৫: ৪৬৭। 

৩৩.উনদুলুসী, তােহফাতুল মােহতাজ। ২: ১৯০। 

৩৪.আবু তাইয়িব, আওনুল মাবুদ। ৬: ১৯, ২০। 

৩৫. যারকানী, শরহুল মুয়াত্তা। ৪: ৩৫৭। 

৩৬. শাওকানী, নাইলুল আওতার ৫: ১৮০। 

৩৭. ইবনু জাওযী, ছাফওয়াতুছ ছাফওয়া। ১: ২৩৩। 

৩৮.সুবকী, শিফাউস সিকাম ফি যিয়ারাতি খাইরিল আনাম। ১৩৬। 

৩৯. মুকরীযী, ইমতাউল আসমা। ১: ৩০৬, ৩০৭, ৩০৮। 

৪০.ইবনু কুদামা । আল মুগনী । ৩: ২৯৭, ২৯৮। 

৪১.ফিরােজাবাদী, আস সালাতু ওয়াল বাশারু ফিস সালাতি আলা খইরিল বাশার । ১০৩, ১০৪। 

৪২.ইমাম সুয়তি, খাসায়েসুল কোবরা, ২/৪৯০ পৃ. 

৪৩.ইমাম সুয়ূতী, আর রাসায়িলুলত্ তিস্'। ২৩৫। 

৪৪.ইমাম সুয়ূতীঃ আল-হাওই লিল ফাতওয়া, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা নং ২৭১-২৭২

৪৫.মুনযিরী: আততারগিব ওয়াত তাহহীব মিনাল হাদীসিশ শরীফ, ২:৩৬২, হাদীস নং ২৫৭৩। 


হাদিসটির মান ও সনদ পর্যালোচনা :


▶এ হাদিসকে ইমাম আবূ দাউদ, আহমদ, তাবরানী এবং বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।

▶ইমাম আসক্বালানীও বলেন,

ইহাকে ইমাম আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন এবং ইহার বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য।

▶ইমাম হায়ছমীও বলেন, ইহার সনদে আব্দুল্লাহ ইবনু ইয়াজিদ আল- ইস্কান্দারানী বর্ণনাকারীকে আমি চিনি না, যখন মাহদী ইবনু জাফর এবং অপরাপর সমস্ত বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য।




ফিরেশতাদের মাধ্যমে দুরূদ পেশ করা হয়



❏ হাদিস ২৫:


ইবনে রাহওয়াইয়া  (رحمة الله) হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, 


ليس احد من أمة محمد صلى الله عليه وسلم يصلي او يسلم عليه الأبلغه يصلى عليك فلان وسلم عليك فلان


 অর্থাৎ- রাসূল (ﷺ) যেকোন উম্মত তাঁকে দরূদ কিংবা সালাম পেশ করে তা তাঁর কাছে এই বলে পাঠানাে হয় যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! অমুক ব্যক্তি আপনার উপর দুরূদ পাঠ করেছে, অমুক ব্যক্তি আপনাকে সালাম দিয়েছে। 


[ইমাম সুয়ূতী, জালাল উদ্দিন সুয়ুতী  (رحمة الله) (৯১১হি.), আল খাসায়েসুল কুবরা, আরবী, বৈরুত, খন্ড:২য় পৃ:৪৯০]


❏ হাদিস ২৬:


হযরত আবু বকর সিদ্দীক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত,


ْﻦَﻋ ﻲِﺑَﺃ ٍﺮْﻜَﺑ ِﻖْﻳِّﺪِّﺼﻟﺍ ﻲِﺿَﺭ ُﻪﻠﻟﺍ ُﻪْﻨَﻋ

:َﻝﺎَﻗ َﻝﺎﻗ َﻝﻮُﺳَﺭ ِﻪﻠﻟﺍ ﻲﻠﺻ ﻪﻠﻟﺍ ﻪﻴﻠﻋ

ﻢﻠﺳﻭ : ﺍْﻭُﺮِﺜْﻛَﺃ َﺓَﻼَّﺼﻟﺍ َّﻲَﻠَﻋ َّﻥِﺈَﻓ َﻪﻠﻟﺍ

َﻞَّﻛَﻭ ﻲِﺑ ًﺎﻜَﻠَﻣ َﺪْﻨِﻋ ﻱِﺮْﺒَﻗ ﺍَﺫِﺈَﻓ ﻲَّﻠَﺻ َّﻲَﻠَﻋ

ٌﻞُﺟَﺭ ْﻦِﻣ ﻲِﺘَّﻣُﺃ َﻝﺎَﻗ ﻲِﻟ ﻚِﻟَﺫ :ُﻚَﻠَﻤْﻟﺍ ﺎَﻳ

َﺪَّﻤَﺤُﻣ َّﻥِﺇ َﻥَﻼُﻓ َﻦْﺑﺍ ٍﻥَﻼُﻓ ﻲَّﻠَﺻ َﻚْﻴَﻠَﻋ

َﺔَﻋﺎَّﺴﻟﺍ . ‏( ﻦﺴﺣ ، ﻩﺍﻭﺭ ﻲﻤﻠﻳﺪﻟﺍ ،

ﺔﻠﺴﻠﺳ ﺚﻳﺩﺎﺣﻷﺍ ﺔﺤﻴﺤﺼﻟﺍ ﻰﻧﺎﺒﻟﻸﻟ ،

ﺀﺰﺠﻟﺍ ﻝﻭﻷﺍ


নবীজী (ﷺ) বলেছেন, তোমরা আঁমার উপর বেশী বেশী দরূদ পড়। কারণ আল্লাহ তা‘আলা আঁমার রওজার কাছে একজন মালাক (ফেরেশতা) নির্ধারণ করে রেখেছেন। যখন আঁমার উম্মতের কোনো ব্যক্তি আঁমার উপর দরূদ পাঠ করে তখন সে মালাক আঁমাকে বলে,হে মুহাম্মদ (ﷺ)! অমুকের ছেলে অমুক এই মুহুর্তে আঁপনার উপর দরূদ পাঠ করেছে। [দায়লামী, হাদিস:১২১৫ (মানঃ হাসান)]


❏ হাদিস ২৭:


হযরত আবু হুরায়রা  (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। হুযুর (ﷺ) এরশাদ করেছেন, 

"প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের যেকোন মুসলমান আমার প্রতি দরূদ প্রেরণ করে আমি ও আমার রবের ফেরেশতারা তার (প্রেরিত) সালামের জবাব দিই।"


তথ্যসূত্রঃ

১. আবু নাঈম: হিলইয়াতুল আওলিয়া ওয়া তাবাতুল আসফিয়া, ৬:৩৪৯। 

২. মাকরীযী : ইমতা'উল আসমা', ১১:৫৯।

৩. ইবনে কাইয়ুম: জালাউল আফহাম ফিস সালাতি ওয়াস সালামি আলা খায়রিল আনাম (ﷺ), ১৯, হাদীস নং ২০। 

৪. সাখাবী: আল কাওলুল বদী' ফিস সালাতি আলাল হাবিবিশ শফি (ﷺ),১৫৬।


❏ হাদিস ২৮:


হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, 

“হুযুর (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করা হল- আপনার কাছে দূরে অবস্থানকারী ও আপনার ওফাতের পরে আগমনকারীদের দরুদের অবস্থা কি? তখন তিনি ফরমালেন, আমি মুহাব্বত সম্পন্ন লােকদের দরূদ নিজেই স্বয়ং শুনি এবং তাদেরকে চিনি। এবং মুহাব্বতহীনদের দরূদও আমার নিকট (ফিরেশতাদের মাধ্যমে) পেশ করা হয়।” 


তথ্যসূত্রঃ

১.ইমাম বায়হাকীঃ শুয়াবুল ঈমান, ৩/১৪০ পৃ. হা/১৪৮১,

২.ইমাম বায়হাকীঃ হায়াতুল আম্বিয়া

৩.ইমাম বায়হাকী দুটি সনদে - শুআবুল-ইমানে (২: ২১৮ # ১৫৮৩),

৪.ইমাম বায়হাকী: আল-উকায়লি থেকে আল-দু'য়াফা (৪: ১৩৭)

৫.তারিখ আল বাগদাদেঃ আল-খতিব আল-বাগদাদি (৩: ২৯২) 

৬.ইমাম মুত্তাকী আল-হিন্দীঃ কাঞ্জুল উম্মাল: হাদীস ২১৬৫, ২১৯৭, ২১৯৮, ৪১৫১২

৭.ইমাম খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ১/২৯৫ পৃ. হা/৯৩ 

৮.ইবনে হাজার আল-আসকালানি সনদটিকে "জায়েদ" (নির্ভরযোগ্য) হিসাবে অবিহিত করেছেন: ফাতহুল-বারী শরহে বুখারী (১৯৮৯ সম্পাদনা ৬: ৩৭৯ = ১৯৫৯ সংস্করণ ৬: ৪৮৮)

৯.ইমাম আসকালানির ছাত্র ইমাম সাখাভীঃআল-কওলুল বদিতে ', পৃষ্ঠা ২২২, আল্লামা সাখাবী (رحمة الله) وسنده جيِّد -এর সনদ মজবুত লিখেছেন। (আল কওলুল বদী-১১৬)

১০.মোল্লা আলী ক্বারী (রহ) তাঁর কিতাব الدرة ِالمضٔية في ِالزيارة المصطفوية তে লিখেন।

১১.আল-লা'আলিতেঃ ইমাম-সুয়ুতি, [সনদটিকে "জায়েদ]" হিসাবে বিবেচনা করে (১৯৯ তম সংস্করণ। ১: ২৫৯ = ১: ২৮২-২৮৩)

১২.তাফসীরে ইবনে কাসীর পৃ ৪৬৬,

১৩.ইমাম আলুসিঃ আয়াত আল-বাইয়াইনাত, পৃষ্ঠা ৮০

১৪.জাওয়াইদ তরীখ বাগদাদে (৩:৬৯)

১৫.তানজিহ আল-শরীয়ায় ইবনে আরাক (১: ৩৩৫) ইবনে হাজারের রায়কে নিশ্চিত করেছেন এবং আল-লা'আলিতে আস-সুয়ূতীর 'অন্যান্য বর্ণনার মধ্যে আবু শায়খের সনদের সত্যতা দিয়েছেন।

১৬.রাফ আল-মিনারাতে শায়খ মাহমুদ মামদুহ (পৃষ্ঠা ৩৫১)

১৭.ফয়যুল কাদিরে- আল-মুনাভি।

১৮.ইবনে আবদুল আল-হাদী আল-সরিম আল-মুনকি (পৃষ্ঠা ২০৬)

১৯.ইবনে তাইমিয়াহ: মাজমু‘আত আল-ফাতাওয়া, ২৭ / ২৪১-২৪২

২০.ইবনে তাইমিয়াহও এটিকে জিলা'আল ইফহামে সহীহ হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করেছেন।

২১.ইবনে কাইয়্যুমঃ আস সালাতু সালাম

২২.আহমদ আল-ঘুমারী আল-মুদাবী লি ‘ইলাল আল-মুনাভি, ৬/২৭৭ এ ইবনে হাজারের গ্রেডিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন

২৩.ইমাম নাবহানী, শাওয়াহিদ আল-হক্ক (পৃষ্ঠা ২৮৩-২৮৫)।

২৪.আল্লামা শায়খ ইউসূফ নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৪৪ পৃ:, 

২৫.ইমাম কাসতালানীঃ আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যা, ৩য় খন্ড, ৪২৭ পৃ।

২৬. ইমাম আবু আব্দুল্লাহ জাজুলী : দালায়েলুল খায়রাত- পৃষ্ঠা নং- ৫৯,

২৭. ইমাম ইবনে মাহদী আল ফার্সী : মাতালিউল মুসাাত ফি শরহে দালায়েলুল খায়রাত ,১৫৬পৃ., 

২৮. শাইখ আব্দুল্লাহ সিরাজ আল-দ্বীন [নির্ভরযোগ্য সনদে] -সালাতুন নবী (পৃষ্ঠা ২১৪)

২৯. ইমাম সাভী : তাফসীরে সাভী : সূরা আহযাব ৫৬,

৩০. আল্লামা মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী : জা'আল হক-১/২৬৫ পৃ. বাংলা সংস্করণ, 

৩১. আল্লামা শফী উকাড়ভী : জিকরে জামিল-পৃষ্টা: ৯১, 

৩২. প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানাের “স্বরূপ উন্মােচন” ১৬৪।




Top