৮ম অধ্যায়: হজ্জ্ব, আজান, নামাজ, ইকামাত, মসজিদ ও ঘরে প্রবেশের সময় দুরূদ পাঠ।
❏ হাদিস ১-২০:
❏ আযানের পূর্বে দুরূদ ও সালাম।
❏ আযানের পর দুরূদ ও সালাম।
❏ ইকামাতের পূর্বে দুরূদ ও সালাম।
❏ মসজিদে প্রবেশের সময় দুরূদ ও সালাম।
❏ হাদিস ১-৭:
➡নামাজের মধ্যে দুরূদ পাঠ সম্পর্কিত হাদিস ও মাসায়েল।
❏ হাদিস ১-৮:
❏ মোনাজাতের মধ্যে দুরূদ পাঠ।
❏ মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দুরূদ।
❏ ঘরে প্রবেশের সময় দুরূদ ও সালাম।
❏ তালবীয়াহ পাঠ শেষ করার পর দুরূদ পড়া
❏ সাফা ও মারওয়ার মাঝে দুরূদ শরীফ পাঠ
❏ রওজা শরীফ যিয়ারতের সময় দুরূদ শরীফ পড়া।
❏ হাদিস ১-১৫ :
➡বিভিন্ন শব্দে দুরূদ শরীফ পাঠ
❏ হাদিস ১-১৭ :
➡রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সহ অন্যান্য যাদের উপর দুরূদ পড়া যায়, বিভিন্ন শব্দে দুরূদে ইব্রাহীম।
❏ আরো কিছু দুরূদ শরীফ।
৮ম অধ্যায়: আজান, ইকামাত, নামাজ, মসজিদ ও ঘরে দুরূদ পাঠ।
আযানের পূর্বে দুরূদ ও সালাম
❏ হাদিস ১:
সূরা আহযাবের ৫৬ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু) বলেন-
يَا أَيهَا الَّذين آمنُوا صلوا عَلَيْهِ أثنوا عَلَيْهِ فِي صَلَاتكُمْ وَفِي مَسَاجِدكُمْ وَفِي كل موطن
-‘‘মহান রবের ঘোষণা হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার হাবিবের উপর দুরূদ সালাম পাঠ কর। হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন, এ আয়াতের মধ্যে দুরূদ-সালাম নামাযে, মসজিদের মধ্যে এবং এমনকি সর্বাবস্থায় (আযানের আগে পড়ে বলতে কোন কথা নেই) পড়ার হুকুম দেয়া হয়েছে।’’
[আল্লামা ইবনুল কাইয়্যুম : জালাউল ইফহাম : ১/৪২২পৃ. দারুল উরুবাত, কুয়েত, দ্বিতীয় প্রকাশ. ১৪০৭হি.]
❏ হাদিস ২:
হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ بِلَالٌ إِذَا أَرَادَ أَنْ يُقِيمَ الصَّلَاةَ قَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، الصَّلَاةُ رَحِمَكَ اللهُ
-‘‘হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন হযরত বেলাল (رضي الله عنه) যখন ইকামাত (ইকামাতও এক প্রকার আযান) দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করতেন তখন তিনি নবীজির প্রতি সালাম পেশ করতেন এভাবে
السلام عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، الصَّلَاةُ رَحِمَكَ اللَّهُ
হে আল্লাহর নবি আপনার প্রতি সালাম.....।’’
[হাইসামী, মাযমাউয যাওয়াইদ, ২/৭৫পৃ. হাদিস নং. ২৩৮৯]
❏ হাদিস ৩:
‘‘আপনার জিকির (দুরূদ, সালাম, আলোচনা) কে আমি বুলন্দ করে দিয়েছি।’’ [সুরা ইনশিরাহ : আয়াত:৪]
উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ‘হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) হতে একটি হাদিস বর্ণিত আছেঃ
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَنَّهُ قَالَ: أَتَانِي جِبْرِيلُ فَقَالَ: إِنَّ رَبِّي وَرَبَّكَ يَقُولُ: كَيْفَ رَفَعْتُ ذِكْرَكَ؟ قَالَ: اللَّهُ أَعْلَمُ، قَالَ: إِذَا ذُكِرْتُ ذُكِرْتَ مَعِي قال الهيثمي رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى وَإِسْنَادُهُ حَسَنٌ -
রাসূল (ﷺ) ইরশাদ ফরমান : আমার নিকট জিবরাঈল আলাইহিস সালাম আগমন করলেন বললেন আল্লাহ পাক জানতে চেয়েছেন তিনি আপনার জিকিরকে কীভাবে বুলন্দ করেছেন? রাসূল (ﷺ) বললেন, আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন। জিবরাঈল (আ.) বলেন মহান রব আমাকে : হে হাবিব! যেখানে আমার জিকির হবে সেখানে আমার সাথে আপনার ও জিকির হবে।’’
তথ্যসূত্রঃ
১.ইমাম আবু ইয়ালা: আল মুসনাদ : ২/৫২২ : হাদীস : ১৩৮০,
২.ইমাম ইবনে হাইয়্যান : আস সহীস : ৮/১৭৫: হাদীস : ৩৩৮২,
৩.ইমাম দায়লামী : আল মুসনাদিল ফিরদাউস : ৪/৪০৫ : হদীস : ৭১৭৬,
৪.ইমাম ইবনে খাল্লাল : আল মুসনাদ: ১/২৬২ : হাদীস : ৩১৮,
৫.ইবনে হাজার আসকালানী : ফতহুল বারী শরহে বুখারী : ৮/৭১২পৃ.
৬.আল্লামা ইবনে কাসীর : তাফসীরে ইবনে কাসীর : ৪/৫২৫পৃ.,
৭.আল্লামা ইবনে হাজার হায়সামী : মাযমাউদ যাওয়ায়েদ: ৮/২৫৪।