কিয়ামতের দিন মুক্তি লাভ
❏ হাদিস ৫৫:
হযরত আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলে করিম (ﷺ) ইরশাদ করেন,
তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পার্থিব জীবনে আমার ওপর অত্যাধিক দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, সে ব্যক্তি কিয়ামত দিবসে কিয়ামতের ভয়-ভীতি ও বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত থাকবে।
[আল্লামা ইসপাহানি,আত তারগিব ওয়াত তারহিব, হাদিস নং: ১৬৮৭]
❏ হাদিস ৫৬:
(৩২) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “আমার উপর দুরূদ শরীফ পাঠ করে তোমরা তোমাদের মজলিশ সমূহকে সজ্জিত করো, কেননা তোমাদের দুরূদে পাক পাঠ করা কিয়ামতের দিন তোমাদের জন্য নূর হবে।” (ফিরদৌসুল আখবার, ১ম খন্ড, ৪২২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩১৪৯)
❏ হাদিস ৫৭:
(২১) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “হে লোকেরা! নিশ্চয় কিয়ামতের দিনের ভয়াবহতা এবং হিসাব নিকাশ থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবে সেই ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে আমার উপর দুনিয়াতে অধিক হারে দুরূদ শরীফ পাঠ করে থাকে।” (আল ফিরদৌস বিমাসুরিল খাত্তাব, ৫ম খন্ড, ২৭৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৮১৭৫)
❏ হাদিস ৫৮:
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
যে ব্যক্তি এটা চাই যে কেয়ামতের দিন তাকে সওয়াবের পাল্লা ভরপুর করে দেওয়া হোক, তার উচিত সে যেন আমার উপর বেশী পরিমানে দুরূদ শরীফ পাঠ করে।
(সা আদাতুদ্দা রাঈন, ফায়জানে সুন্নাত)
❏ হাদিস ৫৯:
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
ঐ ব্যক্তি কেয়ামতের দিনে তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ভয়ানক অবস্তাদি থেকে নাজাত প্রাপ্ত হবে, যে দুনিয়াই আমার উপর সর্বাপেক্ষা বেশি পরিমাণে দুরূদ শরীফ পাঠ কারী হবে। (ফায়জানে সুন্নাত)
❏ হাদিস ৬০:
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে হাওযে কাওসারের উপর আমি এমন এমন দল পাবো যাদের কে আমি বেশী পরিমানে দুরূদ শরীফ পাঠ করার কারনে চিনব। (কাশফুল গুম্মাহ)