দোয়া কবুলের পূর্বশর্ত



❏ হাদিস ২৮: 

দোয়া আসমান ও জমীনের মাঝখানে ঝুলন্ত থাকে


“হযরত আমিরুল মু'মিনিন ফারুকে আযম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, দোয়া আসমান ও জমীনের মাঝখানে ঝুলন্ত থাকে, তা উপরে উঠে না যতক্ষণ না হুযূর নবী কারিম (ﷺ) উপর দুরূদ পাঠ করা হয়।” 


তথ্যসূত্রঃ

১.ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান, ১/৬১৪ পূ, হা/৪৮৬, 

২.ইমাম বাগভী, শরহে সুন্নাহ, ৩/১৮৭ পৃ. হা/৬৭৯, ৫/২০৫ পৃ. হা/১৪০১, 

৩.খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ১/২৯৬-পৃ. হা/৯৩৮, 

৪.মুনযিরী, তারগীব ওয়াত তারহীব, ২/৩৩০, পৃ. হা/২৫৯০, 

৫.ইবনে কাসির, মুসনাদে আমিরুল মু'মিনীন উমর ইবনুল খাত্তাব, ১/১৭৬, ইমাম ইবনে কাসির (رحمة الله) বলেন- “এ হাদিসটির সনদ শক্তিশালী।"

৬.তুহফাতুল আশরাফ, ৮/২৫ পৃ. হা/১০৪৪৯, 

৭.ইমাম ইবনে আছির, জামিউল উসূল, ৩৫৫ পৃ. হা/২১২১, 

৮.মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ২/২৬৮ পৃ. হা/৩৯৮৪ ও ২/২৬৯ পৃ: হা/৩৯৮৬ এ হাদিসটি তিনি মারফু সূত্রে সংকলন করেছেন।

৯.মুফতি আমজাদ আলী আযমী (رحمة الله), বাহারে শরিয়ত (তৃতীয় খণ্ড), পৃ ১৮১, সাকলাইন প্রকাশনী।


❏ হাদিস ২৯:

প্রত্যেক দো'আ পর্দাবৃত থাকে


হযরত আলী  (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, 

"প্রত্যেক দো'আ পর্দাবৃত থাকে; যতক্ষণ না রাসূল (ﷺ) এবং তার আহলে বায়তের উপর দুরূদ পড়া হয়।"


তথ্যসূত্রঃ

(১) তাবরানী, মুজামুল আওসাত, ১: ২২০, নং: ৭২১। 

(২) বাইহাকী, শুআবুল ঈমান, ২:২১৬, নং-১৫৭৫। 

(৩) দাইলামী, মুসনাদুল ফিরদাউস, ৩:২৫৫, নং-৪৭৫৪। 

(৪) মুনযিরী, তারগীব ওয়াত্তারহীব, ২:৩৩০, নং-২৫৮৯। 

(৫) হাইছামী, মাজমাউয যাওয়ায়িদ, ১০:১৬০। 


▪ ইমাম তাবরানী ও ইমাম বায়হাকী (رحمة الله) এ হাদীসকে উত্তম (যাইয়্যিদ) সনদে বর্ণনা করেন। 

▪ ইমাম হাইছামী (رحمة الله) বলেন, এ হাদীসের বর্ণনাকারীরা ‘সিকাহ’ বা বিশ্বাসযােগ্য।

▪ ইমাম মুনযিরী, বাইহাকী ও তাবরানীর বর্ণিত হাদীসের সকল রাবীকে সিকাহ বলেছেন।


❏ হাদিস ৩০: 

দুরূদের মাধ্যমে দোয়া কবুল হয়


হযরত ফুদ্বালা বিন আবীদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত,  তিনি বলেন নবীয়ে কারীম রাউফুর রাহীম (ﷺ) মাসজিদে নবুবী শরীফে উপস্থিত ছিলেন। ঐসময় একজন ব্যক্তি এলেন এবং নামায পড়ে এইভাবে দুয়া করতে লাগলেন, ইয়া আল্লাহ আমার উপরে রহম করুন এবং আমাকে মাফ করে দিন। তখন নবীয়ে কারীম রাউফুর রাহীম (ﷺ) বললেন ; অ্যায় নামাযী তুমি প্রার্থনার ব্যাপারে খুব তাড়াতাড়ি করে দিয়েছ। তখন ঐ ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ) আমাকে কিভাবে দুয়া করতে হবে। তখন হুযুর (ﷺ) বললেন, আমার উপরে দুরূদ শরীফ পাঠ করে দুয়া করা উচিৎ। হযরত ফুদ্বালা বিন আবীদ (رضي الله عنه) বলেন, ঐ সময়েই আর একজন ব্যক্তি এলেন এবং হুযুর (ﷺ) এর পবিত্র ফরমানের মত করলেন। তা দেখে হুযুর (ﷺ) বললেন, দুয়া কবুল হয়ে গেছে। (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)


❏ হাদিস ৩১:

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, আমি একদা নামায পাঠ করলাম ঐসময়ে হুযুর (ﷺ), হযরত আবুবকর (رضي الله عنه) ও হযরত উমার (رضي الله عنه) উপস্থিত ছিলেন। আমি নামাযের পরে বসে গেলাম এবং আল্লাহ তায়ালার হামদ ও সানা পাঠ করলাম। তারপর আমি নবীয়ে কারীম রাউফুর রাহীম (ﷺ) এর উপর দুরূদ শরীফ পাঠ করলাম এবং দুয়া প্রার্থনা করলাম, তখন নবীয়ে কারীম রাউফুর রাহীম (ﷺ) বললেন তুমি যা প্রার্থনা করবে সেটাই পাবে অর্থাৎ, তোমার দুয়া কবুল হবে।  (মিশকাত শরীফ)


❏ হাদিস ৩২:

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ইরশাদ করেন, “নামাযের পর হামদ, সানা ও দুরূদ শরীফ পাঠকারীকে বলা হয়: দোয়া কর, কবুল করা হবে। প্রার্থনা কর, প্রদান করা হবে।” (নাসায়ী, ২২০ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১২৮১)


Top