আরো কিছু ফজিলতপূর্ণ দুরূদ শরীফ পাঠের সওয়াব :
৬ লক্ষ দুরূদ শরীফ পাঠের সাওয়াব
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সল্লি আ’লা- সায়্যিদিনাওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন আ’দাদা মা-ফী ই’লমিল্লা-হি সলা-তান দা-ইমাতাম্ বিদাওয়ামি মুকিল্লা-হ্।
ফযীলতঃ হযরত সায়্যিদ আ’লী বিন ইউসুফ মাদানী (رحمة الله) আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী (رحمة الله) থেকে বর্ণনা করেন, এ দুরূদ শরীফ ১ বার পাঠ করলে ৬ লক্ষ দুরূদ শরীফ পাঠের সাওয়াব অর্জন হয়। আর ১০০০ বার
পাঠ কারী দুনিয়া-আখিরাতে সম্মানিত হবে। ইনশা'আল্লাহ্।
(নুসখা সহীহ, দালায়িলুল খয়রাত, পৃষ্ঠা-১০১)
১ লক্ষ দুরূদ শরীফ পাঠের সাওয়াব
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সল্লি আ’লা-সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিন্ নূরিযা-তিস্সা-রী ফী জামীই’ল আসারি ওয়াল আসমা-ই ওয়াস সিফা-তি ওয়া আ’লা আ-লিহী ওয়া সহাবিহী ওয়াসাল্লিম।
ফযীলতঃ এ দুরূদ শরীফ ১ বার পাঠ করলে ১ লক্ষ দুরূদ শরীফ পড়ার সাওয়াব অর্জন হয় এবং ৫০০ বার পাঠ করলে যে কোন নেক উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে ইনশা-আল্লাহ। (আহসানুল কালাম ফী সলাতুস সালাম)
১৪ হাজার দুরূদ শরীফ পাঠের সাওয়াব
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সল্লি ওয়াসাল্লিম ওয়া বা-রিক আ’লা- সায়্যিদিনা- মুহাম্মাদিওঁ ওয়া-আ’লা- আ-লিহী আ'দাদা কামা-লিল্লা-হি ওয়া কামা-ইয়ালীকু বিকামালিহ্।।
ফযীলতঃ এ দুরূদ শরীফ ১ বার পাঠ করলে ১৪ হাজার দুরূদ শরীফ পড়ার সাওয়াব অর্জন হয়।
(আফযালুস্ সলাত, পৃষ্ঠা-১৮৬)
➠নকশবন্দীয়া ও মুজাদ্দেদিয়া তরিকার শ্রেষ্ঠ দুরূদ
আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন, ওয়াসীলাতী ইলাইকা ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লিম!
➠প্রিয় নবীর নৈকট্য লাভের দুরূদ
আল্লাহুম্মা সাল্লিয়ালা মুহাম্মাদিন কামা তুহিব্বু ওয়াতারদা লাহু।
➠সমস্ত গুণাহ ক্ষমার দুরূদ
আল্লাহুম্মা সাল্লিয়ালা সায়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন ওয়ালা আলিহি ওয়াসাল্লিম।
➠রহমতের ৭০টি দরজা খুলে দেয়া হয়
সাল্লাল্লাহু আ'লা মুহাম্মদ।
➠মৃত্যুর সময় দীদারে মোস্তফা
আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়াসাল্লিম ওয়াবারিক আ'লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যিল হাবীবীল আলীয়্যিল ক্বাদরিল আ'যিমীল জাহী ওয়া আ'লা আলিহি ওয়াছাহবিহী ওয়াসাল্লিম।
ইমাম বুখারী (رحمة الله)'র ব্যবহৃত দুরূদ
ইমাম বুখারী (رحمة الله)-এর উনি নিজেও নবীজির নাম মােবারকের পর দুরূদে ইব্রাহিম লিখেননি। বরং (ﷺ) দুরূদখানা লিখেছেন। শুধু তাই নয় তিনি বুখারী শরীফে এ দুরূদটি ১০ হাজারেরও অধিক বার লিখেছেন।
[ঈদে মিলাদুন্নবী (ﷺ) বিরোধীদের আপত্তির জবাব, পৃষ্ঠা ১০৩]
লেখা বা বয়ানের শুরুতে বিভিন্ন দুরূদ পাঠ
"আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আ'লামীন, ওয়াল আক্বিবাতু লিল মুত্তাক্বিন, ওয়াচ্ছালাতু ওয়াচ্ছালামু আ'লা ছায়্যিদিল আম্বিয়ায়ি ওয়াল মুরছালিন।"
অনুরূপ বক্তব্য বা কোন লেকচার দেওয়ার শুরুতে দুরূদ পড়ার সময় সবাই পাঠ করে,
نحمده ونصلی علی رسوله الكريم
(নাহমুদুহু ওয়া নুছাল্লিই আ'লা রাছুলিহিল করিম)
এ দুরূদটি হাদিসে বর্ণিত দুরূদ নয়, বরং সময় সংক্ষেপের জন্য অনির্দিষ্ট শব্দাবলী ব্যবহার করে দুরূদটি সংক্ষিপ্তভাবে পাঠ করা হয়।