১০ম অধ্যায়ঃ 

❏ ইমাম ও বুজুর্গানে দ্বীনের বর্ণনায় দুরূদের ফজিলত।



❏ ঘটনা ১:


তাবেয়ী বুযুর্গ হযরত সায়্যিদুনা কাবুল আহবার رَحْمَةُ اللهِ تَعَالٰى عَلَيْهِ বলেন: আল্লাহ্ তাআলা হযরত সায়্যিদুনা মুসা কলিমুল্লাহ্ عَلَيْهِ السَّلَام এর নিকট এ মর্মে ওহী পাঠালেন: হে মুসা عَلَيْهِ السَّلَام! তুমি কি কিয়ামতের দিনের পিপাসা থেকে রক্ষা পেতে চাও? আরয করলেন: হে আমার প্রতিপালক! হ্যাঁ! আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করলেন:   فَاَكْثِرِ الصَّلَاةَ عَلٰى مُحَمَّدٍ অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা  (ﷺ) এর উপর বেশি পরিমানে দরূদ শরীফ পড়ো। 

▶[ইবনে আসাকির, ৬১তম খন্ড, ১৫০ পৃষ্ঠা, সংক্ষেপিত]


❏ ঘটনা ২:


ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) বলেন,

وقال الملا علي القاري في الوسائل : أنه لم يقل أحد أن قبورهم خاليه عن أجسادهم ، وأرواحهم غير المتعلقة بأجسامهم ؛ لءلا يسمعوا سلام من يسلم عليهم ، وكذا ورد أن الأنبياء يلبون ويحجون ، فنبينا - صلى الله عليه وسلم - أولى بهذه الكرامات،

মােল্লা আলী কারী নিজ কিতাব ‘জমউল মাসায়েল ফি শরহিশ শামায়েল’ এ বললেন, নিঃসন্দেহে কেউ একথা বলেন নি যে, তাঁর কবর তার দেহ থেকে খালি এবং তাঁর রূহের সাথে তার দেহের কোন সম্পর্ক নেই এবং যে কেউ তার উপর সালাম পেশ করে উহা তিনি শুনেন না। তখন এরূপে আম্বিয়াদের প্রসঙ্গে এসেছে যে, নিঃসন্দেহে আম্বিয়ায়ে কেরাম আলায়হিমুস সালাম তালবিয়া বলেন এবং হজ্ব করেন এবং আমাদের হুজুর নবী আকরাম (ﷺ) এর জন্য এই কারামতসমূহ উত্তম পন্থায় প্রমাণিত আছে।

▶[মোল্লা আলী কারী : জমউল ওসায়েল, ২/৩০০]


❏ ঘটনা ৩:


ইমাম শাযলি (رحمة الله) বলেন,

“রাসুলে করিম (ﷺ)'র সাথে স্বপ্নে আমার সাক্ষাত হলে আমি  জিজ্ঞেস করি, ইয়া রাসুলুল্লাহ (ﷺ), ‘যে ব্যক্তি আপনার প্রতি একবার দুরূদ শরিফ পাঠ করে, আল্লাহ তায়ালা তাঁর ওপর দশটি রহমত নাযিল করেন’-  এ ফযিলত কি একাগ্রচিত্তে দুরূদ পাঠকারীর জন্যে প্রযোজ্য? রাসুলে করিম ইরশাদ করেন, “না”, বরং অন্যমনষ্ক প্রত্যেক দুরূদ পাঠকারীর জন্যে প্রযোজ্য। আল্লাহ তায়ালা ওই পাঠকারীর জন্যে পাহাড়সম ফেরেশতাদেরকে নিয়োজিত করে দেন। যাঁরা তাঁর জন্যে প্রার্থনা করেন এবং ক্ষমা চান। আর একাগ্রচিত্তে দরূদ পাঠকারীর প্রতিদান কী হবে, তা একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।”

▶[ইমাম শা’রানি,আত তাবাকাতুল কুবরা,পৃ.২৯৬]


❏ ঘটনা ৪:


আল্লামা মাজদুদ্দিন ফিরোজাবাদী (رحمة الله) বলেছেন, যখন কোনো মজলিশে বস আর বল বিসমিল্লা-হির-রাহমা-নির ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ তো আল্লাহ তোমার উপরে একজন ফারিশতা  নিয়োগ করেন যে তোমাকে গীবত থেকে বাঁচাবে । আর যদি উঠবার সময় তা বল তবে ফ্যারিস্তা তোমার গীবত করা থেকে লোককে বিরত রাখবে।

▶[গুলদাস্তায়ে দুরূদ ও সালাম, কওলুল বদী]

Top