উম্মতের জন্য মাগফিরাত ও গুনাহের কাফফারা
❏ হাদিস ৩৫:
হযরত ইমাম হাসান (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
أکثِرُوا الصَّلاةَ عَلَيَّ. فَاءنَّ صَلاتَکُم عَلَيَّ مَغفِرَةُ لِذُنُو بِکُم.
আমার প্রতি অধিক দূরুদ পড়। কারণ, আমার প্রতি তোমাদের দূরুদ তোমাদের গুণাহ মাফের উপায় হবে। [কানযূল উম্মাল খন্ড,১ পৃষ্ঠা ৪৩৬, ইবনে আসাকির, ৬১তম খন্ড, ৩৮১ পৃষ্ঠা]
❏ হাদিস ৩৬:
হযরত আনাস ইবনে মালিক (رضي الله عنه) থেকে আরও বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যদি পরস্পর সাক্ষাতের সময় দু'জন মুসলমান একে অপরের হাত ধরে মুসাফাহ করেন এবং রাসূলে খােদা (ﷺ)-এর ওপর দুরূদ শরীফ পাঠ করেন, তবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্বে উভয়ের আগের পরের গুনাহ মার্জনা করে দেওয়া হয়।
তথ্যসূত্রঃ
(১) আবুল কাসিম আল-আস্পাহানী (رحمة الله) এ রিওয়ায়তটি বর্ণনা করেছেন।
(২) হাফিয ইবনে আলী বিশকওয়াল (رحمة الله) রিওয়ায়তটি বর্ণনা করেছেন।
(৩) আস-সাখাবীঃ, আল কওলুল বদী ফিস সালাত আলাল হাবীবিশ শফী; ৫. ২৪০
(৪) শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) : হৃদয়ের টানে মদিনার পানেঃ পৃষ্ঠা ৩৫৮, গাজী প্রকাশনী।
❏ হাদিস ৩৭:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
“আল্লাহ্ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা পোষণকারী যখন দু’জন বন্ধু যখন পরস্পর সাক্ষাত করে ও মুসাফাহা করে আর রাসূলে খােদা (ﷺ) এর উপর দুরূদ পাক পাঠ করে, তবে তারা উভয়ে পরস্পর পৃথক হবার পূর্বে আগের ও পরের গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।”
[মুসনাদে আবি ইয়ালা, ৩য় খন্ড, ৯৫ পৃষ্ঠা, হাদীস-২৯৫১]
❏ হাদিস ৩৮:
অদৃশ্যের সংবাদ দাতা, নবী করীম রাউফুর রাহীম (ﷺ) ইরশাদ করেন “যে ব্যক্তি আঁমার প্রতি ভালবাসা ও আগ্রহের কারণে প্রতিটি দিন ও রাতে তিন তিন বার করে দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, আল্লাহ্ তা’আলা তার বদান্যতার দায়িত্বে একথা অপরিহার্য করে নেন যে, তিনি তার ওই দিন ও রাতের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।”
[মু’জামুল কবীর, ১৮তম খন্ড, ৩৬২ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৯২৮, আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, ফায়জানে সুন্নাত]
❏ হাদিস ৩৯:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি দিনে ও রাতে আমার প্রতি ভালবাসা ও ভক্তি সহকারে তিনবার করে দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, আল্লাহ্ তাআলার উপর (নিজ বদান্যতায়) দায়িত্ব যে, তিনি তার ঐ দিন ও ঐ রাতের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।
[আল মুজামুল কবীর লিখিত তিবরানী, ১৮তম খন্ড, ৩৬২ পৃষ্ঠা, হাদীস-৯২৮]
❏ হাদিস ৪০:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, এ অধিকহারে দুরূদ পাঠের ফলে তোমার সকল চিন্তা-পেরেশানী দূর হয়ে যাবে এবং তোমার গুনাহ সমূহ মাফ হয়ে যাবে।”
[ইমাম সুয়ূতীঃ নবীগণ স্বশরীরে জীবিত]
❏ হাদিস ৪১:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “কেউ যদি তাঁর উপর সালাম পাঠ করে, আর তার গুনাহ যতই হোক না কেন, তার প্রতি ওই রহমতটুকু তাঁর (ﷺ) নুরানী হৃদয়ে জাগ্রত হবে, যা তাঁর স্বভাবজাত; ফলে তিনি ওই ব্যক্তির সালামের জবাব নিজেই দেবেন। পূর্বে তার অনেক গুনাহ থাকলেও তার সালামের জবাবে কোন ধরনের বাধা সৃষ্টি হবে না।"
❏ হাদিস ৪২:
হুজুর (ﷺ) দুরূদ শরীফ পাঠ কারীর জন্য মাগফিরাতের দোয়া করেন এবং তাঁর চোখ মুবারক শীতল হয় (অর্থাৎ,তিনি সন্তুষ্ট হন) [মুসনাদুল ফিরদাউস]
❏ হাদিস ৪৩:
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় আমার উপর বেশী পরিমানে দুরূদ পাক পাঠ করে, তার মৃত্যুর সময় আল্লাহ রব্বুল ইজ্জাত সমস্ত সৃষ্টি কে বলবেন এ বান্দার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো।
[নুজহাতুল মাজালিস, ফায়জানে সুন্নাত, ইমাম বাগাভী, শারহুস সুন্নাত,সহি ইবনে হিব্বান, বাইহাক্কী শুয়াবুল ইমান, বুখারীর তারিখুল কাবীর]