❏ ঘটনা ১৭:

আদম (عليه السلام) এর মোহরানা আদায় 


হযরত আদম (عليه السلام) একাকিত্ব দূরীভূত হওয়ার জন্য আরয করতেন যে, যদি আমার কোন সঙ্গী হতো, তাহলে তার সাহচর্যে কালাতিপাত করতে পারতাম। আল্লাহ তায়ালার দয়া হল, ঘুমন্ত অবস্থায় তার বাম পাজর থেকে হযরত হাওয়া (عليه السلام) কে সৃষ্টি করলেন। তিনি খুবই সুন্দরী ছিলেন এবং সৃষ্টি হওয়া মাত্র শারিরীক গঠন পরিপূর্ণ হয়ে গেল। হযরত আদম (عليه السلام) যখন ঘুম থেকে জাগ্রত হলেন, তখন দেখেন যে তার পাশে একজন সুশ্রী মহিলা বিদ্যমান। জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কে? আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তর আসল ইনি আমার বান্দীনি নাম তার হাওয়া, তোমার একাকিত্ব দূর করার জন্য আমি তাকে সৃষ্টি করেছি। আদম (عليه السلام) তাকে স্পর্ষ করতে চাইলেন। আদেশ আসল হে আদম! তাকে স্পর্ষ করবে না, যতক্ষন পর্যন্ত তার “মহর” আদায় না করবে। আদম (عليه السلام) আরয করলেন, এর মহর কি? হুকুম আসল তার মহর হল তুমি মুহাম্মদ (ﷺ) এর উপর এবং তার পরিবার পরিজনের উপর দশ বার দরূদ শরীফ প্রেরণ কর। আদম (عليه السلام) আরয করলেন, মুহাম্মদ কে? এরশাদ হল, তিনি হলেন তোমার আওলাদ শেষ যমানার নবী। যদি আমি তাকে সৃষ্টি না করতাম তবে তোমাকেও সৃষ্টি করতাম না। অত:পর হযরত আদম (عليه السلام) দশবার দরূদ শরীফ পাঠ করে মুহাম্মদ (ﷺ) ও তাঁর পরিবারের উপর প্রেরণ করবেন আর ফেরেশতারা স্বাক্ষী হলেন ফলে হযরত আদম (عليه السلام) ও হাওয়া এর বিবাহ সম্পাদিত হয়। 

▶[হাশিয়ায়ে দালায়েলুল খাইরাত-২০৩, বার মাসের আমল ও ফযীলত-১৮১]

Top