ফেরেশতাগণ কর্তৃক দুরূদ প্রেরণকারীর জন্য দোয়া প্রার্থনা
❏ হাদিস ১৯:
এ রেওয়ায়েতটি আবু তালহার (رضي الله عنه)'র ভাষায় এরূপ অতিরিক্তি সহকারে এসেছে,
ফেরশতা তাকে (দূরুদ পাঠকারীকে) সেটিই বলে যা আপনাকে বলা হয়েছে। বললামঃ হে জিব্রাইল! এ ফেরেশতাটিকে কি বললেন? মহিয়ান, গড়িয়ান আল্লাহ যখন আপনাকে সৃষ্টি করেছেন তখন থেকে আপনার নেবুওয়াতের ঘোষণা দেয়া সময় পর্যন্ত দুটি ফেরেশতা আপনার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। আপনার এমন কোন উম্মত নেই যে দূরুদ পড়েনি আর ফেরেশতাগণ তাকে বলেননিঃ তোমাকেও! মহান আল্লাহ তোমার উপর দূরুদ পাঠিয়েছেন। [কানযুল উম্মাল খন্ড,১ পৃষ্ঠা ৪৪০,৪৪৯ এবং খঃ২ পৃষ্ঠা১৮১।]
❏ হাদিস ২০:
“হযরত আবদুল্লাহ বিন আমের বিন রাবেঈ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি তার পিতা হযরত আমের ইবনে রাবে'ঈ (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ)-কে এক ভাষণে বলতে শুনেছি, কোন ব্যক্তি যখন আমার উপর দুরূদ পাঠ করে, ফিরিশতাগণ তার জন্য রহমতের দুআ করতে থাকেন। অতএব আল্লাহর কোন বান্দা এটি বেশি করে করুক অথবা কম করুক।”
তথ্যসূত্রঃ
১.মুসনাদে আহমদ, ২৪/৪৫১ পৃ. হা/১৫৬৮০, এ গ্রন্থের তাহকীককারী শায়খ শুয়াইব আরনাওয়াত বলেন, এটি হাসান।
২.ইমাম মুনযিরী, তারগীব ওয়াত তারহীব, ২/৩২৭ পৃ. হা/২৫৭৬, তিনিও বলেছেন হাদিসটি হাসান।
৩.মুফতি আমজাদ আলী আযমী (رحمة الله), বাহারে শরিয়ত (তৃতীয় খণ্ড), ১৭৬ পৃ, সাকলাইন প্রকাশনী।
❏ হাদিস ২১:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “যে (ব্যক্তি) কিতাবে আমার উপর দুরূদ পাক লিখেছে, যতক্ষণ পর্যন্ত আমার নাম তাতে থাকবে, ফিরিশতারা তার জন্য ইস্তিগফার (অর্থাৎ- ক্ষমা প্রার্থনা) করতে থাকবে।” (মুজাম আওসাত, ১ম খন্ড, ৪৯৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৮৩৫)